User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Qazi Akash

      28 Nov 2020 03:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঈলিয়াদ মহাকাব্যের কাহিনী ট্রয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। ট্রয়য়ের অধিবাসীদের বলা হতো ট্রোজান। ট্রোজানদের সাথে গ্রীকদের ১০ বছরের যুদ্ধই ঈলিয়াদ মহাকাব্যের বিষয়বস্তু। জলপরিদের দেবী থেটিসের বিয়ের অনুষ্ঠানে সকল দেব-দেবীদের আমন্ত্রন জানানো হলেও যুদ্ধের দেবতা এরিসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাগে দুঃখে এরিস বিনা দাওয়াতেই চলে আসলো। এসে বাদালো এক ঝামেলা। সে একটি আপেল রেখে গেল। আপেলের গায়ে লেখা যে সবচেয়ে সুন্দরী তারই প্রাপ্য এই আপেল। এই নিয়ে হেরা, এথেনা ও অ্যাফ্রোডেটের মধ্যে চুলছেরা অবস্থা হলো। অবশেষে জিউসের কাছে গেল সঠিক বিচারের জন্য। জিউস এক রাখাল বালককে দেখিয়ে বললো সে যাকে সেরা সুন্দরী বলবে সে পাবে আপেল। রাখাল ছেলেটির নাম প্যারিস। প্যারিস মোটেও রাখাল ঘরে জন্মায়নি। সে রাজার ছেলে। প্যারিসের জন্মের আগে তাঁর মা স্বপ্ন দেখলো, সে একটি আগুনের দলা প্রসব করছে আর তাতে ট্রয় নগ্রী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নিল, ছেলে জন্মাবার সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলতে হবে। কিন্তু জন্মের পর প্যারিসের চেহারা দেখে সবার মায়া হলো। তাকে এক চারণভূমিতে ফেলে আসা হলো। এক রাখাল তাকে পেয়ে বড়ট করতে লাগলো। যাইহোক প্যারিসের কাছে এসে সমস্ত ঘটনা বললো দেবীরা। সবাই প্যারিসকে ভালো ভালো উফার দেওয়ার লোভ দেখালো। অবশেষে সে অ্যাফোডেটকে আপেলটা দিল। অ্যাফ্রোডাইট তাকে তাঁর আসল পরিচয় দিল এবং সবচেয়ে সুন্দরী নারীকে তাঁর বউ হিসেবে পাইয়ে দিতে সাহয্য করবে বলে কথা দিল। প্যারিস রাজ মহলে গিয়ে নিজের পরিচয় দিলে সবাই তাকে গ্রহন করে নিল। প্যারিস বড় হলো। গ্রীসের সুন্দরী রাজকন্যা হেলেনকে ইতমধ্যে সবাই পেতে চায়। তাদের মধ্যে একজন ওদিসিয়াস। রাজসভায় বলা হলো হেলেন যাকে পছন্দ করবে তাঁর সাথেই বিয়ে হবে। হেলেন পছন্দ করলো রাজকুমার ম্যানিলাসকে। প্যারিস এসে পৌছাল হেলেনের দেশে। সে সময় ম্যানিলাসকে চলে যেতে হলো জরুরী কাজে। এই সুযোগে প্যারিস হেলেনা পটাতে লাগলো। দেবী অ্যাফ্রোডেটই মূল কাজ করে দিয়েছিল। হেলেনকে ভুলিয়েভালিয়ে বিয়ে করে ট্রয় নগরীতে নিয়ে আসলেন। সাথে কোষাগারে থাকা সব ধনরত্নও। ম্যানিলাস ফিরে এসে হেলেন ও সম্পত্তি না পেয়ে রেগে গেলেন। হেলেনকে ফিরিয়ে আনতে গ্রীস ও ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ট্রোজানদের মধ্যে ছিলেন মহান বীর হেক্টর। গ্রীকদের ছিল দেবীর পুত্র আকিলেস। আকিলেসের জন্মের পর তাঁর মা তাকে দেবতাদের সমুদ্রে ডুব দেওয়ায় অমরত্বের আশায়। কিন্তু অমরত্ব না পেলেও তাঁর শরীরে মানুষের আঘাতে কিছুই হতোনা। কিন্তু আকিলেসের পায়ের গোড়ালি ধরে ডুব দেওয়ালে গোড়ালী ভেজানো হয়নি। ফলে তাঁর একমাত্র দূর্বল জায়গা হয়ে রইলো পায়ের গোড়ালি। শুরু হলো যুদ্ধ। গ্রীকদের সাথে ট্রোজানরা পেরে উঠছিল না। ট্রয়ের বিভিন্ন শহর দখল করে সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে গেল গ্রীক বীরেরা। তাদের মধ্যে একজন পূজারীর কন্যা। তাকে নিয়েছিল গ্রীকদের সর্দার আগামেনন। পূজারী আগামেননের কাছে মেয়েকে ভিক্ষা চাইলে পুজারীকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। পূজারী দেবতাদের কাছে বিচার দেয়। ফলে গ্রীকদের মধ্যে দেবতারা একটি রোগ ঢুকিয়ে দেয় এবং অনেকে সৈনিক রোগেই মারা যায়। এই নিয়ে আকিলেসের সাথে আগেমেননের ঝগড়া হয়। অবশেষে আগেমেনন পূজারীর কন্যাকে ফেরত দিতে রাজী হয়। তবে শর্ত হলো আকিলেসের স্ত্রীকে আগেমেননকে দিয়ে দিতে হবে। ফলে রাগে আকিলেস যুদ্ধ বর্জন করে। দুই দলের লাক্ষো লাক্ষো মানুষ শহীদ হওয়ার পর তাঁরা একটি চুক্তি করলো। প্যারিসের সাথে গ্রীকদের যেকোনো একজন লড়াই করবে। প্যারিস জিতলে হেলেন সহ সকল সম্পত্তি তাঁর আর গ্রীক বিরদের কেউ জিতেলে সব গ্রীকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যুদ্ধ শুরু হলে প্যারিস যখন পরাজিত হবে সে সময় দেবী তাকে লুকিয়ে ঘরে নিয়ে গেল। আবার যুদ্ধ শুরু হলো। এরপর বীর হেক্টর আবার তাঁর সাথে একজনকে যুদ্ধের আহব্বান করলো। গ্রীকরা মেনে নিল। দুজনার যুদ্ধ শুরু হলে দেবতাদের সাহায্য নিয়ে হেক্টর গ্রীক বীরকে মেরে ফেললো। এই বীর ছিল আকিলেসে বন্ধু। অন্যায়ভাবে বন্ধুর মৃত্যুতে আকিলেসে রেগে আবার যুদ্ধ যোগদান করলো। আকিলেস হেক্টরকে পরাজিত করলো। প্যারিসের ছোরা একটি তীর এসে লাগলো আকিলেসের পায়ের গোড়ালিতে। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লো আকিলেস। এরপর ওদিসিয়াসের চাতুর্য্য ও অভিনব বুদ্ধিতে গ্রীকরা ট্রোজানদের পরাজিত করলো। এভাবেই শেষ হয় ঈলিয়াদের কাহিনী।

      By Sagar Mallick

      01 May 2020 08:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      " ইলিয়াড " ইলিয়াড এক রহস্যে মোড়া ধাঁধার নাম। যার অব্যক্ত সাহিত্য রস উন্মোচনে ব্যস্ত গোটা দুনিয়া। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতকে হোমার নামে এক অন্ধ কবির বয়ানে অনুলিখন এই ইলিয়াড মহাকাব্য। মূলত ইলিয়াড রচনার মধ্য দিয়েই পশ্চিমা সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয়। যার সুবিশাল প্রভাব থেকে আজও মুক্ত নয় বর্তমান সাহিত্য সম্রাজ্য। সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান, প্রেম, বিরহ, বীরত্ব, কলহ, কাম, ক্রোধ, কাপুরুষতা, মহামারী কি নেই এই মহাকাব্যে! মহাকাব্য বলছি কারণ গ্রিক ভাষায় রচিত এই রচনাটি চব্বিশ টি সর্গে বিভক্ত যার মধ্য অাছে ষোল হাজার পঙ্‌ক্তি কবিতা। যা মূলত সাহিত্য বিচারে মহাকাব্য শ্রেণীগত। তিন হাজার বছর পরে এসেও মানুষ যে সমস্ত সংকটের সম্মুখীন হয় তা ইলিয়াড মহাকাব্যকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত এই যে, ঐশ্বরিক দেব দেবীদের বিশাল সাম্রাজ্য থেকে মানব জীবনের গল্প অাঁকা শুরু হয় হোমারের এই ইলিয়াড মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে। যার শুরুটা দেবদেবীর ছলাকলার মধ্য দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় মানব সত্তার বহিঃপ্রকাশ দিয়ে। এজন্য রচনায় অনেক চরিত্রের সাথে দেবদেবীর সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও কাহিনী পরিক্রমায় দেখা মিলবে মানব জীবনের বিভিন্ন সত্তা। উদাহরণ সরূপ বলা যায় ট্রয় যুদ্ধে জয়লাভের জন্য গ্রিকদের ঐশ্বরিক শক্তির সাহায্য ব্যতিরকে ষড়যন্ত্রের অাশ্রায় নেওয়া। মানব জীবনের মুক্তির পথে এই গল্প গুলো পৃথিবীর বুকে অাঁকা ট্র্যাজিক ছবি। এবার মূল কাহিনীতে অাসা যাক, মূলত ট্রয়ের যুদ্ধ নিয়ে লেখা হয়েছে ইলিয়াড মহাকাব্য। প্রাচীনকালে গ্রিস এবং ট্রয় নামে দুই প্রসিদ্ধ নগরী ছিল। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্য সবসময় বিবাদ লেগেই ছিল। একবার দুই দেশের রাজারা মিলে ঠিক করল যুদ্ধ-বিগ্রহ বাদ দিয়ে দুই দেশের মধ্য শান্তিচুক্তি করার। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হল। দুই দেশের মধ্য এই শান্তিচুক্তির খুশিতে গ্রিসের রাজা মেনেলাউস এক ভোজ সভার অায়োজন করলেন। ট্রয়ের পক্ষ থেকে রাজপুত্র হেক্টর এবং প্যারিস যোগ দিলেন ভোজ সভাতে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলল ভোজসভা। এই দিন কয়েকের সুবাতে ট্রয় পুত্র প্যারিস গ্রিক রাজা মেনোলাসের স্ত্রী হেলেনের সাথে প্রণয় লীলায় মত্ত হলেন। হেলেন ছিলে অতিব সুন্দর রমনী। কয়েকদিন বাদে যখন ট্রয় রাজপুত্রেরা দেশে ফিরে এলেন তখন সঙ্গে করে নিয়ে ফিরলেন হেলেনকে। হেলেনের অপহরণের কারণে গ্রিকবাসি খুব অপমানিত বোধ করলেন। গ্রিকরা মনস্থির করলেন এই অপমানের বদলা নিতে হবে। দলে দলে সংগঠিত হতে থাকলো গ্রিক বীর সন্যরা। এদিকে অাবার গ্রিক মহাবীর অ্যাকিলিসের সাথে মেনোলাসের মনদন্ড। কিন্তু বীর যোদ্ধা বন্ধু ওডিসিয়াসের কথায় অ্যাকিলিস যোগ দিতে চাইলেন যুদ্ধে। গ্রিকেরা সমুদ্রে নৌবহর ভাসালেন। হাজার হাজার সন্য নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গ্রিক সৈন্যরা ট্রয় নগরীতে পৌঁছালো। কিন্তু দূর্ভেদ্য ট্রয় দেয়াল। ট্রয়ের সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র ছিল এই প্রচির বা দূর্গ। যা পুরো ট্রয়কে রক্ষা করতো। যদিও গ্রিক সৈন্যরা অধিক বেশি শক্তিশালী ছিলো তবুও গ্রিক সন্যরা ব্যার্থ হলেন এই অভেদ্য দেয়ালকে ভেদ করতে। তখন তারা ট্রয় দূর্গের অদূরে সাগরের বালুচরে নিজেদের তাবু গাড়লেন। একদিকে নীল সাগর অন্যদিকে অভেদ্য ট্রয় প্রাচীর। এর মাঝে গ্রিক সন্যরা পিষ্ট হতে থাকলো দীর্ঘ দশ বছর ধরে। যুদ্ধে পরাজিত হতে হতে গ্রিক সৈন্যরা মনোবল হারালো, দেখা দিল খাদ্যের অভাব। এমনকি গ্রিক সন্যরা নিজেদের মধ্য বিবাদে জড়িয়ে পড়ল। গ্রিকদের এই বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্য দেখাদিল মহামারী প্লেগের অাক্রমণ। গ্রিকসৈন্য অারো বেশি বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ল। ঠিক এই সময়ে ট্রয় রাজপুত্র হেক্টর গ্রিকবীর প্যাট্রোক্লাসকে হত্য করে বসল। এই খবর শুনে যুদ্ধবিরতিতে থাকা অ্যাকিলিস তো রেগেমেগে অাগুন। কে এই প্যাট্রোক্লাস যাকে হত্যা করার জন্য অ্যাকিলিস রেগে গেলেন? তারপর অ্যাকিলিস ট্রয় রাজপুত্র হেক্টকে যুদ্ধে অাহবান করলেন। সেই সময়ে কোন বীর যুদ্ধের অাহব্বানকে প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন না। গ্রিক মহাবীর অ্যাকিলিস এবং ট্রয় রাজপুত্র হেক্টরের মধ্য যুদ্ধো অারম্ভ হল। ভিষণ সে যুদ্ধ! যুদ্ধের এক পর্যায়ে অ্যাকিলিস হেক্টরকে হত্যা করলেন। অ্যাকিলিস এতটায় রেগে ছিলেন যে হেক্টরের মৃত দেহ নিয়ে শিবিরে ফিরে এলেন। হেক্টরের মৃত্যু সংবাদ শুনে ট্রয় বাসী কান্নায় ভেঙে পড়ল। বিশেষ করে মৃত দেহ সৎকার করতে না পারায় হেক্টরের বৃদ্ধ পিতা ট্রয়ের রাজা প্রায়াম খুব ভেঙে পড়লেন। প্রায়াম রাতের অাধারে একিলিসের শিবিরে এসে অ্যাকিলিসের সাথে স্বাক্ষাত করলেন এবং হেক্টরের মৃত দেহ চেয়ে নিলেন। এদিকে গ্রিক সৈন্যরা ভাবলেন এবার ট্রয়কে পরাজিত করার সময় এসে গেছে। কিন্তু এই অভেদ্য দেয়াল হল মূল সমস্যা। এজন্য গ্রিক সৈন্যরা ষড়যন্ত্রের অাশ্রয় নিলেন। বিশাল এক কাঠের ঘোড়া বানিয়ে উপহার দিলেন ট্রয় নগরীকে। এই ঘোড়ার মধ্য অবস্থান করছিলো গ্রিকের বীর সন্যরা। ওদিকে ঘোড়া হল ট্রয়ের দেবতার প্রতিক। তাই খুব যত্নে ট্রয় বাসী ঘোড়াকে নগরীর ভেতর নিয়ে গেলেন। বীজয় উল্লাসে মেতে উঠল ট্রয়। মধ্যরাতে ট্রয় যখন ঘুমে অাচ্ছন। তখন ঘোড়ার ভেতর থেকে বের হয়ে অাসলো গ্রিক সন্যরা। প্রথমে ট্রয়ের প্রাচীর খুলে দিলেন এবং শুরু করলেন ধ্বংস লীলা। প্রাচীর দিয়ে গ্রিক সন্যরা ট্রয়ের মধ্যে ঢুকে পড়লো। নারী শিশু সহ সকল যুবককে হত্যা করা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল ট্রয় নগরী। কিন্তু যুদ্ধের শেষে বীর যোদ্ধা অ্যাকিলিস ভাগ্যে কি লেখা ছিল সেটা জানতে কিন্তু অবশ্যই পড়তে হবে ইলিয়াড মহাকাব্য। প্রাচীন গ্রিসের ইলিওন শহরের নামানুসারে এই মহাকাব্যের নামকরণ করা হয় ইলিয়াড। ইলিয়াড কাব্যের পরবর্তী খণ্ড হিসেবে ওডিসির উল্লেখ করা হয়। যেখানে ট্রয় যুদ্ধ শেষে গ্রিসে ফেরার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। এটিও হোমারের রচনা বলে ধারণা করা হয়। এই দুটি মহাকাব্য পশ্চিমা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরাতন রচনার লিখিত রূপ। সাহিত্যের কাব্যিক মূল্যায়ন করার জন্য অামি বড়ই নঘন্য পাঠক। তবে পরিশেষে বলতেই হয় চার মহাকাব্য পড়ার জন্য অামার সংস্কৃত এবং গ্রিক ভাষা শেখার বড্ড সখ। সেই সখকে ছাপিয়া অামরা অালোচনা করতে পারি এই মহাকাব্য নিয়ে। অামাদের ধ্যান ধারনা ব্যক্ত করতে পারি এই মহাকাব্য নিয়ে। হইতো ইহা কোন মহাকাব্য নয়। হতে পারে প্রাচীন যুগের কোন অন্তনিহিত ইতিহাস। যার রসহ্য অাজো অধরা রয়ে গেছে! সবকিছুকে ছাপিয়া এই মহাকাব্য অমর সৃষ্টি। সত্যিকার সাহিত্যের রস যারা অাচ্ছাদন করতে চান তাদের জন্য ইলিয়াড পাঠের বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। তবে একে শুধুই সাহিত্য ভাবিলে তাহা পাঠকের বড়ই দূর্বলতা বৈ অন্য কিছু নয়! পরিশেষে ধন্যবাদ দিতে হয় অনুবাদক মাসরুর আরেফিনকে। গ্রিক থেকে সর্বজনীন স্বীকৃত ইংরেজি অনুবাদ থেকে এই বাংলা ইলিয়াড। যার শুরুতে প্রতিটা চরিত্র সম্পর্কে খোলামেলা ব্যাখ্যা সহ কাহিনী বিশ্লেষণ যুক্ত অাছে। একজন সাধারণ পাঠক যার বিন্দু মাত্র জ্ঞান নেই গ্রিক চরিত্র সম্পর্কে সেও এই অনুবাদ পাঠে সহজে এই কঠিন সুখাদ্য পরিপাক করতে পারবেন। সুতরাং মহাকাব্যের জগতে অাপনাকে স্বাগতম। বইঃ ইলিয়াড লেখকঃ হোমার অনুবাদকঃ মাসরুর অারেফিন প্রকাশনীঃ পাঠক সমাবেশ মূল্যঃ এক হাজার টাকা

      By Nishat Islam

      26 Mar 2015 06:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Dear Concern, Can you guys ensure me one thing ? This Illiad books is poem or novel ? Earnestly waiting for your response. Thanks & Regards, Naim

      By iqbal mahfuj

      16 Feb 2015 06:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ক্রোধ, গাও দেবী পেলিউসপুত্র অ্যাকিলিসের ক্রোধের কাহিনী’ (লাল রঙে) ইলিয়াড গ্রিক সভ্যতার প্রথম ও প্রধানতম সাহিত্যিক অর্জন—ইলিয়ন (ট্রয়) নগরকে নিয়ে গাওয়া এই মহাকাব্যিক গাথার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বসাহিত্যে নেই। আজ প্রায় তিন হাজার বছর ধরে ইলিয়াড স্বীকৃত হয়ে আছে পশ্চিমা সভ্যতার ভিত্তিমূল হিসেবে। টলস্টয় ইলিয়াডকে বলেন, ‘অলৌকিক’, গ্যেয়টে বলেন এই মহাকাব্য তাকে ‘সবসময় ঠেলে দেয় আশ্চর্য বিস্ময়ের জগতে’, হ্যারল্ড ব্লুম বলেন ‘বাইবেল ও ইলিয়াড-এর মধ্যেই আছে পশ্চিমা সাহিত্য, চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার—আরও বৃহৎ অর্থে বললে পুরো পশ্চিমা সংস্কৃতিরই—ভিত্তি’, আর আলেকজান্ডার পোপ বলেন ইলিয়াড ‘এক বন্য বেহেশত্’। ট্রোজান যুদ্ধের দশম বছরে মাত্র পঞ্চাশটি অন্ধকারতম দিনের এ-কাহিনীর শুরু গ্রিক বীর অ্যাকিলিসের খুনে ক্রোধের ঘোষণা রেখে, আর শেষ ট্রোজান বীর হেক্টরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। আর মাঝখানের রাজসিক পংক্তিগুলিতে রক্ত ঝরিয়ে হেঁটে চলেছে কিংবদন্তীর ট্রোজান বীরেরা: প্রায়াম, হেক্টর, প্যারিস, ঈনিয়াস; এবং গ্রিক পক্ষে অ্যাকিলিস, অ্যাজাক্স, আগামেমনন, মেনেলাস, প্যাট্রোক্লাস ও অডিসিয়ুস (ইউলিসিস); আর ট্রয়ের নগরপ্রাকারের ওপরে দাঁড়িয়ে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখছে এক পরমাসুন্দরী রানি, নাম তার হেলেন—তাকে কেন্দ্র করেই শুরু এ সবকিছুর। সেইসঙ্গে মানুষের এ যুদ্ধক্ষেত্রের ওপরে দীর্ঘ ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে আছে দেবদেবীরাও: জিউস, পসাইডন, অ্যাপোলো, হেরা, অ্যাথিনা ও আফ্রোদিতি, যার যার স্বার্থ মাথায় নিয়ে। ১৫,৬৯৩ লাইনের এ মহাকাব্যটির এতো নিখুঁত ও বিশ্বস্ত বাংলা অনুবাদ আর কখনোই হয়নি। পার্স করা (বাক্যের অন্তর্গত শব্দগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক নির্দেশ ও ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ করা) এক গ্রিক-ইংরেজি ইন্টারলাইনার টেক্সটের ওপর ভিত্তি করে রচিত এই বাংলা অনুবাদ লাইন-বাই-লাইন হোমার। এতে কিছুই যোগ করা হয়নি যা মূল হোমারে নেই, আর কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি যা মূল হোমারে আছে। সুত্রঃ পাঠক সমাবেশ

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!