User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
test gdfgd gdg ssdgsdg sfsf sesdfsd
Was this review helpful to you?
or
আপনি যদি আমার মতো সাধারণ পাঠক হন এবং enthusiast level এর সাহিত্যপ্রেমীনা না হয়ে থাকেন তাহলে কুটু মিয়া পড়ে মজা পাবেন না।
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভাল এবং অদ্ভুত
Was this review helpful to you?
or
বইটার নাম আমি প্রথমে শুনি আমার ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে.. কিন্তু বইটা যে এত ভালো হবে না কনোদিন ভাবি নি.... শুরু থেকে শেষ অসাধারণ একটি বই....❤️❤️ বইটি পড়ে দেখার আনুরোধ রইলো ?
Was this review helpful to you?
or
কুটু মিয়া, হুমায়ুন আহমেদ স্যার কর্তৃক একটি অদ্ভুত চরিত্রের সৃষ্টি যা একমাত্র তার লেখা বই বলেই পাঠক হৃদয়ে এতোটা আলোরন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া বইয়ের উপরের হার্ডকভারটাও কিছুটা ভূমিকা পালনে করেছে। এই বই এর কভার পেজ ও লেখক ব্যাতিত এই বইটার কোন বিশেষ বিশেষ্যত্ব আমি খুজে পেলাম না। একজন পাঠক লিখেছেন যে, ‘যারা কথায় কথায় যুক্তি খুজেন তাদের জন্য এই বইটি নয়”। আসলেই তাই, বইটি তাদের জন্য নয়। যারা আসল ঘটনা খুজতে চান, আসল বিশেষ্যত্ব বুঝতে চান, বইয়ের সারমর্শ কি জানতে চান তাদের জন্য এই বইটি পাঠ করে একেবারে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। যারা কল্পনার অবাস্তব জগতে বাস করেন একমাত্র তাদের জন্যই এ বইটি যাথার্থ্য।
Was this review helpful to you?
or
ভিন্ন রকম এক কাহিনি নিয়ে লেখা! যারা এত এত যুক্তি খুজেন তাদের জন্য এই বই নাহ... ভায়া
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল একটা লেখনি পরলাম
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই আমি মুগ্ধ পাঠিকা ?
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই
Was this review helpful to you?
or
really enjoyed reading কুটু মিয়া ?
Was this review helpful to you?
or
Good books to read.
Was this review helpful to you?
or
প্রথমবার পড়েছিলাম অনেক আগে। তখন যা পড়তাম তাই ভালো লাগত। মুগ্ধ হয়েছিলাম পড়ে। তবে এখন আর আগের মত এতটা ভালো লাগা কাজ করে নি। গড়পরতা মনে হয়েছে। তবে হুমায়ূণ আহমেদের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একবার পড়া শুরু করলে শেষ পাতা পর্যন্ত টানে। বাইন্ডিং, বানান বা কাগজের মান নিয়ে কোন অভিযোগ নেই।
Was this review helpful to you?
or
Oshadharon!!!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাস- আগস্ট। সপ্তাহ -প্রথম। পর্ব - ২ বই- কুটু মিয়া। লেখক -হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশক -অন্যপ্রকাশ। প্রচ্ছদ -ধ্রুব এষ। পৃষ্টা- ১১২ মূল্য- ৮০ প্রথম প্রকাশ -২০০১ কুটু মিয়া।বয়স চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের মধ্যে।বাবুর্চির কাজ জানে। কুটু শুরু করলো - আমার মৃত্যু হইছিল জুম্মাবার।সকালে মৃত্যু হইছে।নামাজে জানাজা হইছে জুম্মার পর।ইমাম সাহেব বললেন, কুটু মিয়ারে তোমরা তাড়াতাড়ি কবর দাও।......... আলাউদ্দিন জানতে চাইলেন,তুমি শুনলে কিভাবে?তুমি তো মরেই গেছ।কুটু বলে- সমস্যা তো স্যার এইখানেই।আমি মইরা গেছি কিন্তু সবার সব কথা শুনছি।........ কবর দিয়া সবাই চইলা গেলো।কবরের ভিতরে কিযে গরম।........।এক সময় মনে হইলো আমি ছাড়াও কবরের ভিতরে আরেকজন কে যেনো আছে।নড়ে চড়ে-শব্দ পাই।হাসে.....। আলাউদ্দিন নেত্রকোনার রিটায়ার শিক্ষক,ঢাকায় থাকেন।কোচিং সেন্টারের সাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সুবিধে করতে না পেরে এখন পেশাদার লেখক।বিয়ে করা হয়ে উঠেনি,মুক্তি প্রকাশনীর মালিক হাজী একরামুল্লাহ তার ভাগ্নির সাথে আলাউদ্দিন এর বিয়ে ঠিক করেছেন ৫৩ বছর বয়সে!পাত্রী ও ৪৫ বছরের বিধবা।কিন্তু সংসার শুরুর আগেই নানারকম রহস্যময়,ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আর নিত্য নতুন আহার বিলাসে তার জীবন বদলে গেলো কুটু মিয়ার সংস্পর্শে। প্রতিটি পরিচিত জনের বিয়োগে। একাকী মৃত্যুর কুৎসিত এক পরিণতি তাকে অসহায়ভাবে মেনে নিতে হয়। ভয়ংকর অন্ধকার এক ভুবনের গল্প।চেতনার অতল গহ্বরে জন্মানো আতঙ্কের গল্প।যে আতঙ্ক আমরা গোপনে লালন করি কিন্তু্ কখনো তার মুখোমুখি হই না।বইটিতে এক অচেনা ভয় চেতনাতে নাড়া দেবে।অস্বস্তিকর! বইটি প্রথম বার পড়ে যে ভয় পেয়েছিলাম,প্রতিবার সে একই রকম ভয় আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে! এই বইটা সাধারণ ভুতের গল্পের মতো না,যারা লেখকের অন্যান্য চরিত্রের সাথে পরিচিত, তারা নতুন এক চরিত্রের সাথে পরিচিত হবেন।যারা বই টি পড়েছেন তারা এক মত হবেন আশা করি,যারা পড়েননি তাদের সাথে এই বইটির পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই আমার এ লেখা। রিভিউ লিখেছেনঃ শিরিন আক্তার আইভি
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট By: Bibi Rasheda Afrin Rumi হুমায়ূন আহমেদ কে একবার জিজ্ঞেস করা হল, তাঁর সবচেয়ে অপ্রিয় বই কোনটি? তিনি বললেন,"কুটু মিয়া"। এই উপন্যাসের মূল চরিত্র আলাউদ্দিন সাহেব ও কুটু মিয়া হলেও কুটু মিয়া উপন্যাসে এক অদ্ভুত চরিত্র। হুমায়ূন আহমেদ কুটুমিয়া চরিত্রটি কে অদ্ভুত ভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তিনি সম্ভবত কুটুমিয়া নামটি পাঠকের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছেন যা তিনি সচরাচর করে থাকেন। সম্ভবত সে কারণেই উপন্যাসের নাম দেন কুটুমিয়া। নামটি পুরোপুরিভাবে তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। কুটুমিয়ার বর্ণনা লেখক যেভাবে দিয়েছেন ঘোর কৃষ্ণবর্ণের লোকটির আকৃতি পুরনো বাড়ির খাম্বার মতো অর্থাৎ গোল। মাথার চুল জায়গায় জায়গায় খাবলা খাবলা, তেলতেলে মুখ এবং চোখজোড়া অতিশয় ছোট হওয়াতে কালো মণির অংশ দেখতে পাওয়া যায় না বিধায় তার চোখ নেই বলেই ধরে নেয়া হয়। সেই সাথে তার শরীর থেকে ভেসে আসে বোটকা গন্ধ। আলাউদ্দিন সাহেবের কাছের বলতে বিশেষ কেউ নেই। বিয়েও করেননি, একা থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। একসময় শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে হাজী প্রকাশনীর একজন ছোটখাটো লেখক। হাজী সাহেব কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কিছু বই দিলে সেই বইগুলো থেকে কপি করে নতুন একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি করাই তার কাজ। হাজী সাহেব সাহেব সেখানে অন্যকারো নাম বসিয়ে বাজারে ছাড়েন। মূলত উপন্যাস শুরু হয় কুটু মিয়ার আলাউদ্দিনের কাছে বাবুর্চির কাজ চাইতে আসার মাধ্যমে। কুটুমিয়ার বয়স চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের মধ্যে। সে বাবুর্চি কাজ জানে। বাংলা, ইংলিশ, থাই, মোগলাই সব ধরনের রান্না পারে। পাইলট স্যার তাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এই সার্টিফিকেট নিয়ে সে কাজ করতে এসেছে আলাউদ্দিন সাহেবের বাড়িতে। তাকে দেখে প্রথমে পছন্দ হয় না। আলাউদ্দিনের মনে হলো কোথাও কোনো সমস্যা আছে। সমস্যা তিনি ধরতে পারছেন না। ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তিনি ধরতে পারছেন না। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন বাধ্য হয়ে তাকে কাজে রেখে দেয়। রহস্যময় মানুষ কুটু মিয়া দিন কয়েকের মধ্যেই আলাউদ্দিনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হয়ে পড়ে এবং আলাউদ্দিন এক অজানা কারণে তার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তার জীবনের বদলে যেতে শুরু করে। এক সময় দেখা গেল তিনি কুটু মিয়কে সঙ্গে নিয়ে গুনগুন করে গান গাইছেন!!!- যমুনার জল দেখতে কালো স্নান করিতে লাগে ভালো যৌবন ভাসিয়া গেছে জলে। আলাউদ্দিন সব কিছু বাদ দিয়ে কুটুমিয়ার বানানো খাবার আর সেবাই মগ্ন হয়ে যান। আলাউদ্দিনের কাছে কুটুমিয়ার রান্না পৃথিবীর সেরা খাবার বলে মনে হয়, যেন অমৃত।তিনি কুটুমিয়ার কাছে পাইলট স্যারের কথা শুনে শুনে নিজের অজান্তে পাইলট স্যারের মত জীবন যাপন করা শুরু করেন। আলাউদ্দিন সাহেব তার লেখালেখি কাজ ছেড়ে দেন। টাকা পয়সার জন্য বসত বাড়ি বিক্রি করে দেন। কুটুমিয়া আসার পর থেকেই আলাউদ্দিন সাহেবের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তার শারীরিক দিক দিয়ে অদ্ভুত পরিবর্তন হয়।ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা! কি রহস্য লুকিয়ে আছে কুটুমিয়ার মাঝে? কে সে?? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ তখন এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অখণ্ড অবসর। কিন্তু নিজের কালেকশনে কোন বই নেই, অল্প যা আছে সব পড়া। তখন গ্রামের বাড়িতে আব্বুর চাচাত বোনের কাছ থেকে হুমায়ূন আহমেদের "অতিপ্রাকৃত" নামের একটা ঢাউস আকারের বই আনি। সেই বইটাতে ৪টা বা ৫টা উপন্যাসের সংকলন ছিল।সবগুলোই আলাদা অদ্ভুত ধরণের। কুটুমিয়া পড়ে আমি অনেকদিন স্তব্ধ ছিলাম। অন্য কোন বই পড়তে বা অন্যকোন কাজে মন দিতে পারিনি। সারাক্ষণ মাথার মধ্য শুধু কুটুমিয়া ঘুরপাক খাচ্ছিল। কুটুমিয়া ঠিক কি ধরণের চরিত্র বোঝার চেষ্টায় ছিলাম, কিন্তু ওই বয়সে আমার ছোট্ট মাথায় অনেক চিন্তা করেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। এমন উপন্যাস বোধহয় হুমায়ূন আহমেদের পক্ষেই লেখা সম্ভব। পাঠকদের এক ঘোরের মধ্য নিয়ে যাওয়া,ঘোরে আটকে রাখা। এটাকে সমকালীন ঘরনার ধরা হলেও, এটা ঠিক কি ধরণের উপন্যাস তা বোঝা মুস্কিল। আংশিক হরর ভাব রয়েছে,সাইকোলজিক্যাল হিসেবেও ধরা যেতে পারে। আসলে "কুটু মিয়া" ভয়ঙ্কর অন্ধকার এক ভুবনের গল্প। চেতনার অতল গহ্বরে জন্মানো আতঙ্কের গল্প। যে আতঙ্ক আমরা গোপনে লালন করি কিন্তু স্বীকার করিনা। রেটিং:- ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
it's written with a very different and unique plot. It is very rare to see stories with such theme. But I feel like the writer couldn't give the book a well deserved ending. Cause by the end of the book, everything gets pretty much unclear and the book ends just like that.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই পড়ে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার, হুমায়ুন আহমেদ স্যার তার কুটু মিয়া বইয়ে একজন লেখকের অদ্ভুত জীবনযাপন ও করুণ মৃত্যু বরণ করার কাহিনী বনণা করেছে। শিক্ষক থেকে লেখক হওয়া, এর পর কুটু মিয়ার সাথে পরিচয়, তার অমৃত স্বাদের রান্নার প্রেমে পড়া, আমিনা কে বিয়ে করা, এর পর কুটু মিয়ার সাথে বাথটবে জীবনযাপন করা, পরিশেষে বাথটবে মৃত্যু। এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
অতি অসাধারণ একটা ডার্ক হরর। এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করার মতো বই। খুবিই ভালো!
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা ::::::::::::::::05::::::::::::: বই:- কুটু মিয়া লেখক হুমায়ূন আহমেদ ঘরানা:- সমকালীন উপন্যাস রকমারি মূল্য:- ১৭৬ টাকা আলাউদ্দিন সাহেব শিক্ষক ছিলেন। বিয়ে করেন নি, একা থাকতে থাকতে অভস্থ হয়ে গেছেন। কাছের মানুষ বলতে বিশেষ কেউ নেই। সাবলেটে একটি রুম নিয়ে তিনি থাকেন। বর্তমানে হাজী সাহেবের প্রকাশনির লেখক। স্বনাম ধন্য কোন লেখক নয়। হাজী সাহেব কোন একটা নির্দিষ্ঠ বিষয়ের উপরে কিছু বই দিলে সেই বইগুলো থেকে কপি করে নতুন একটি পান্ডুলিপী তৈরি করে দিলেই তার কাজ শেষ। পরে হাজী সাহেব সেখানে অন্যকারো নাম দিয়ে বাজারে ছেড়ে দেন। কুটু মিয়া আলাউদ্দিন সাহেবের কাছে কাজ চাইতে আসেন। তাকে দেখে প্রথমে পছন্দ না হলেও পরবর্তীতে আলাউদ্দিন বাধ্য হয়ে তাকে কাজে রেখে দেয়। রহস্যময় মানুষ কুটু মিয়া। কুটু মিয়া নামটা শুনলেই কাজের লোক কাজের লোক ভাব আসছে। কাজের লোকদের নাম শুনলে কারো মনে মায়া হয় না। এই নামটা শুনেও খুব আদুরে একটা ভাব কাজ করছে না? কিন্তু ঘটনা পুরো বিপরীত। লেখকের মতে, "ঘোর কৃষ্ণবর্ণের লোকটির আকৃতি পুরনো বাড়ির খাম্বার মতো অর্থাৎ গোল। মাথার চুল জায়গায় জায়গায় খাবলা খাবলা, তেলতেলে মুখ এবং চোখজোড়া অতিশয় ছোট হওয়াতে কালো মণির অংশ দেখতে পাওয়া যায় না। বিধায় তার চোখ নেই বলেই ধরে নেয়া হয়। সেই সাথে তার শরীর থেকে ভেসে আসে বোটকা গন্ধ"। আলাউদ্দিন সাহেব খুব দ্রুত কুটু মিয়ার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পরে। আলাউদ্দিনের জগতটাকে কুটু মিয়া সহজেই প্রভাবিত করে ফেলে। কে এই কুটু মিয়া? কি রহস্য লুকিয়ে আছে তার মাঝে? এমন একাকী একজন মানুষকে কি কারনে প্রভাবিত করছেন কুটু? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- কুটু নোংরা হলেও তার রান্নার হাত অসাধারন। মাথায় আসে না হুমায়ূন স্যার কি করে এমন সব চরিত্রগুলো তৈরি করতেন। একটা মায়া লেগে থাকে তার চরিত্রগুলোর মধ্যে। এক কথায় অসাধারন একটা বই। আলাউদ্দিন সাহেবের সাহেবকে যখন রুম ছেড়ে দেতে বলে তার পরের দিন তার মাথা ফাটানো হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কুটু মিয়া আলাউদ্দিন সাহেবের কাছে বলেন এক মেয়ে ফাটিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো কুটু মিয়া ফাটিয়েছেন। এমন মনে হচ্ছিলো কেন তাও জানি না। রেটিং ৪.৮০/৫
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা তো অসাধারণ তাই বই পড়ে কেমন লেগেছে এটার থেকে আমি বলবো আমার কুটু মিয়ার হাতের রান্না খেতে ইচ্ছে করছে খুব।
Was this review helpful to you?
or
এইটা হুমায়ুন আহমেদের একটা ভৌতিক কাহিনি।এই গল্পে "কুটু মিয়া"হলো রহস্যময় চরিত্র।সে ছিল মারা যাওয়ার পরেও বেচে যাওয়া একজন মানুষ।সে যারই জন্য কাজ করেছে তারা শেষে একইরকম ভাবে মারা গিয়েছে।এই চমৎকার কাহিনি জানতে এক্ষুনি বইটা পড়ে ফেলা উচিৎ।
Was this review helpful to you?
or
কুটু মিয়া…বইটার নাম শুনে খুব আদুরে একটা মানুষের দৃশ্যকল্প আসছে না? ঘটনা পুরো বিপরীত...লেখকের ভাষাতেই যদি বলি তাহলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণের লোকটির আকৃতি পুরনো বাড়ির খাম্বার মতো অর্থাৎ গোল। মাথার চুল জায়গায় জায়গায় খাবলা খাবলা, তেলতেলে মুখ এবং চোখজোড়া অতিশয় ছোট হওয়াতে কালো মণির অংশ দেখতে পাওয়া যায় না বিধায় তার চোখ নেই বলেই ধরে নেয়া হয়। সেই সাথে তার শরীর থেকে ভেসে আসে বোটকা গন্ধ। এবার কল্পনা করতে পারছেন কুটু মিয়াকে? শব্দে বাঁধা কুটু মিয়াকে ভিজ্যুয়ালাইজেশনে কেমন লাগছে? গল্পটি শুরু হয় কুটু মিয়ার আলাউদ্দিনের কাছে বাবুর্চির কাজ চাইতে আসার মাধ্যমে। তাকে দেখে প্রথমে পছন্দ না হলেও পরবর্তীতে আলাউদ্দিন বাধ্য হয়ে তাকে কাজে রেখে দেয়। রহস্যময় মানুষ কুটু মিয়া দিন কয়েকের মধ্যেই আলাউদ্দিনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হয়ে পড়ে এবং আলাউদ্দিন এক অজানা কারণে তার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পেশায় লেখক আলাউদ্দিনের জগতটাকে কুটু মিয়া সহজেই প্রভাবিত করে ফেলে। গল্পের শুরুটুকু শুনে মনে হচ্ছে না সরলরেখার মতো গল্প? উহু একদমই না। পুরো বই জুড়েই কেমন যেন একটা আধিভৌতিক ভাব আছে। পড়ার সময় স্নায়ুতে প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয়...কী হচ্ছে, আদৌতে কোন দিকে গল্প এগোচ্ছে। জীবনের উপর নিরুৎসাহী আলাউদ্দিনের মধ্যে যখন হঠাৎ করে সব অকল্পনীয় পরিবর্তন চলে আসে, কিংবা তার জীবনযাত্রাতে যখন বেখেয়ালীর একটা ছাপ পড়ে তখন ব্যাপারগুলো সহজে বোঝা যায় না। কুটু মিয়া এক্ষেত্রে সুপ্ত একটা নিয়ামক হিসেবেই যেন উপস্থাপিত হয়। ঔপন্যাসিক হুমায়ুনের দক্ষতা ঠিক এখানেই...আপনি পড়তে পড়তে অনেক কিছুই সন্দেহ করবেন, কিন্তু সে আপনাকে কোন মতেই ধরা দেবে না। সাইকোলজিক্যাল হরর খুব কম ব্যবহৃত একটা টার্ম...আমি কুটু মিয়ার জন্য ঠিক এই শব্দটাই বেছে নিলাম। সাইকোলজিক্যাল হরর হতে গেলে একটা বইতে যেসব উপাদানের দরকার পড়ে, এই বইতে সবটুকুই আছে। আপনি ভাববেন এক...পাবেন এক...একইসাথে যেমন স্নায়ুতে চাপ পড়ার মতো অনুভূতি পাবেন, ঠিক তেমনভাবে যৌক্তিক মনকে দিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে বসিয়ে দেবেন...এটা হয়ত এরকম হতে পারে, এটা ঠিক অমন। শুধু এটুকুই বলতে পারি, অনেক কিছুই যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না...কুটু মিয়াও ক্ষেত্রেও বাগাড়ম্বর যুক্তি খাটবে না। হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট অল্পভাষী, গোবেচারা, রহস্যময় এই চরিত্রটি অত্যন্ত প্রভাবশালী। কিছু কিছু বইয়ের চরিত্র দেখবেন, মৃত হয়...বর্ণনা এমনভাবেই দেয়া থাকে যাতে করে আপনি যেভাবেই কল্পনা করুন না কেন, তাকে অনুভব করতে পারবেন না। কুটু মিয়া তা না, তাকে বড় বেশি জীবন্ত মনে হয়, লেখক তার মাথার খাবলা খাবলা চুলের বর্ণনা বা গায়ের গন্ধের বর্ণনা যেভাবে দিয়েছেন তাতে করে আপনি তার রহস্যময়তাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করতে পারবেন! অন্ধকার অস্তিত্বের গল্প কুটু মিয়াতে সেসব কিছুই রয়েছে যা একটা সার্থক সাইকোলজিক্যাল হররে থাকা উচিত। চমৎকার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কুটু মিয়া লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ক্যাটাগরিঃ উপন্যাস প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ১১২ মূল্যঃ ১৭৬ টাকা রিভিউঃ আলাউদ্দিন সাহেব রিটায়ার্ড শিক্ষক। নেত্রকোনার এক কলেজে ইতিহাস পড়াতেন। রিটায়ার্ড করার পর ঢাকায় এসেছিলেন কোচিং এর খোঁজে। এখানে এক গার্মেন্টস কোম্পানির ম্যানেজার সাইফুদ্দিন সাহেবের সাথে একটা ফ্লাট ভাগাভাগি করে আছেন। কোচিং না পেলেও তিনি এখন পেশাদার লেখক। তিনি মুক্তি প্রকাশনীতে ছদ্মনামে কিছু বই লিখছেন। আসলে তিনি বিভিন্ন বই থেকে নকল করে পাণ্ডুলিপি তৈরি করে প্রকাশক হাজী একরামুল সাহেবের কাছে দেন। তিনি বিভিন্ন লেখকের নামে তা ছাপিয়ে দেন। একদিন আলাউদ্দিনের কাছে একজন অদ্ভুত মানুষ আসে। কুটু মিয়া। আলাউদ্দিন সাহেবেরও একজন কাজের লোক লাগত। তাই রেখে দেন কুটু মিয়াকে। কুটু মিয়ার কোনো কিছুই ইয়াদ নেই। বউ, বাচ্চা কারো নামই মনে নেই। দেখতেও অদ্ভুত। বা চোখে দেখতে পায় না। চুল থেকে হাতের নখ সবই বড়। অদ্ভুত একটা মানুষ। কিন্তু তার রান্নার হাত অনেক ভালো। যেটাই রান্না করে যেন অমৃত। খুব দ্রুতই তাকে পছন্দ করে ফেলেন আলাউদ্দিন। নানান ধরনের রান্না করে খাওয়ায় সে। এর আগে এক পাইলট সাহেবের কাছে কাজ করত সে। একদিন প্রকাশক একরামুল সাহেব আলাউদ্দিনকে একটা প্রস্তাব দেন। একরামুল সাহেবের বিধবা এক ভাগ্নি আছে। হামিদা। যার দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। একা মানুষ। তাই একরামুল সাহেব তাকে প্রস্তাব দেয়। আলাউদ্দিন কি করবেন বুঝতে পারেন না। একরামুল সাহেব তাকে এক অজুহাতে নিয়ে যান হামিদা বেগমের বাড়ি। হালিমা বুঝতে পারে। হামিদার বিয়েতে মত নেই। এসব আলোচনার মাঝে আলাউদ্দিনের মন নেই। আলাউদ্দিনের মন পরে থাকে কুটু মিয়ার রান্না করা খাবারে। কখন বাড়ি যাবেন আর কখন খাবেন সেই অমৃত। কুটু মিয়ার সাথে নানা বিষয়ে কথা হয় আলাউদ্দিনের। কথা হয় সেই পাইলট সাহেবকে নিয়ে, কথা হয় কুয়েতে যে শেখের বাড়িতে কুটু কাজ করত তাকে নিয়ে। কুটু বলে তাদের খাবার-দাবার, আরাম আয়েশের কথা। কুটু মিয়া তাকে অনেক উপদেশও দেয়। পরোক্ষভাবে কুটু মিয়া আলাউদ্দিনকেই যেন কন্ট্রোল করছে। একদিন সাইফুদ্দিন সাহেব এসে জানায় তার বাবাকে সে ঢাকা নিয়ে আসবে তাই আলাউদ্দিনকে ফ্লাট ছাড়তে হবে। কিন্তু পরদিন রহস্যজনকভাবে মারা যায় সাইফুদ্দিন। এভাবেও কাটছিল আলাউদ্দিনের সুখের দিন। সারাদিন শুয়ে বসে থাকা, কখনো বা গোসল করতে করতে নিষিদ্ধ পানীয় পান করা, আর কুটু মিয়ার অমৃত রান্না খাওয়া। ঘটনাক্রমে হামিদার সাথে বিয়ে হয় আলাউদ্দিনের। আলাউদ্দিন তার রাধুনী কুটু মিয়া এবং তল্পিতল্পাসহ উঠেন হামিদার বাড়িতে। হামিদা ভুগতে থাকেন মানসিক যন্ত্রনায়। তার মনে হয় তিনি বিয়ে করে ঠিক করেননি। তিনি চলে যান মামার বাসায়। তার কাজের মেয়েটাকে সাথে নিয়েই। হামিদার বাসায় এখন শুধু আলাউদ্দিন আর কুটু ময়া। হামিদার বাসায় বাথটাব আছে। আলাউদ্দিনের এই জিনিসটারই অভাব ছিল। এখন নেই। চলতে থাকে অদ্ভুত জীবন- যাপন। কয়েকদিনের মধ্যে হামিদার বাসার সামনে কয়েকটা কুকুর দেখা যায়। হিংস্র কুকুর। অদ্ভুত ব্যাপার হল হামিদা মামার বাড়িতে থেকেও সেই কুকুর গুলোর আওয়াজ শুনতে পায়। হামিদা সাইক্রিয়াট্রিস্ট দেখায়। কুটু মিয়ার সাথে বাথটাবে শুয়ে গল্প করেন আলাউদ্দিন। কুটু মিয়া বলে তার মৃত্যু হয়েছিল জুম্মাবার। তার অদ্ভুত জীবনের কথা। বলে সেই পাইলট আর শেখের কথা। যারা মারা গিয়েছিল বাথটাবে শুয়েই। তাদের গায়ে ফোস্কার মত উঠত। আর সেই ফোসকায় কিলবিল করত ভয়ংকর পোকা। পোকাগুলো শেষে তাদের মাংস খেত। বিভৎস মৃত্যু হয় তাদের। আলাউদ্দিন সাহেবও তো এখন সারাদিন বাথটাবেই শুয়ে থাকেন। তাহলে আলাউদ্দিন সাহেবরও কি সেই একই মৃত্যু হবে? নাকি বেচে যাবেন তিনি? হামিদা কুকুরের আর্তনাদের শুনতে পায় কেন? তার মাথা থেকে দূর হবে কি সেই আওয়াজ? সাইফুদ্দিন সাহেবের মৃত্যুর ব্যাখা কি? কুকুর গুলোই বা কেন এই বাসার চারিদিকে আছে? কে এই কুটু? কি তার অদ্ভুত জীবনের গল্প? জুম্মাবার যদি সে মারা গিয়েছিল তাহলে সে বাচল কিভাবে? সে কি সত্যিই বেচে আছে? এত কিছুর পিছনে কুটু মিয়ার হাত নেই তো? এতসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ে ফেলুন হুমায়ূন আহমেদের লেখা- "কুটু মিয়া"। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অদ্ভুত একটা গল্প। অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের চারদিকের অনেক কিছুর ব্যাখাই আমাদের জানা নেই। তেমনি একটি গল্প কুটু মিয়ার জীবন। অনেক ভালো লেগেছে। লেখক পাইলট সাহেব আর শেখের মৃত্যু ঘটনা শেষে দিয়ে গল্পের শেষটা অসাধরন করেছেন। শেষটা অনেক ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো একটা পড়ার উপযোগী বই। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
যদিও কুটু মিয়ার অনেক সময় পার হয়ে গেছে, তারপরও আমার পঠিত হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর বই গুলর মধ্যে অসাধারণ বই এটি।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে অতটা ভালো লাগেনি, যতটা সবাই এটাকে নিয়ে লিখেছে। শুরুর দিকে কাহিনি ভালো লাগলেও শেষের দিকে একদম মেলাতে পারেনি। অবাস্তব আর গার্বেজ কাহিনি। কোন প্রশ্নের ই উত্তর জানা যায়না। আমি জানি না, শুধু হুমায়ূন আহমেদ লিখেছে বলেই কি সবাই এই বই গিলেছে?! এটা কোন দিক দিয়ে ভৌতিক উপন্যাস হয়! কোন মূল চরিত্র ই দেখা যায়না। সব চরিত্র ই মারা যায়, তাও কোন লজিক ছাড়া। আর সেগুলো অসম্পূর্ণ রেখেই গল্প শেষ করে দিয়েছে! কয়েক ঘন্টা শুধু সময় নষ্ট।