User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
হিমু সিরিজ এর সব গুলাই আমার অনেক ভালো লেগেছে ❤️
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো কোয়ালিটি
Was this review helpful to you?
or
ঠিকঠাক বই
Was this review helpful to you?
or
বই টা মাত্রই হাতে পেলাম।ডেলিভারি ম্যান এর ব্যবহার খুব ভালো ছিল।আমি ময়ুরাক্ষি টা আগে পড়েছি।সেখান থেকেই হুমায়ুন আহমেদ এর এই হিমু উপন্যাস এর প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মে।তাই "হিমু" উপন্যাস এর ময়ুরাক্ষি খণ্ডের পরের খণ্ড "দরজার ওপাশে"টা নিলাম।আশা করি ভালো লাগবে এই খন্ণ্ড টি পড়ে।ধন্যবাদ রকমারি কে এটা আমার জীবনের প্রথম অনলাইন Order ছিল।আমি আরও Order করবো বই পরে।
Was this review helpful to you?
or
awesome
Was this review helpful to you?
or
As Always best best best
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো লেগেছে। তিন স্টার দেওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
বইটি হিমু সিরিজের দ্বিতীয় বই। 'ময়ূরাক্ষী' বইটি আমি পড়েছি হিমু সিরিজের প্রথম বই ছিলো। তাই এই বইটি কেন।
Was this review helpful to you?
or
ai boi ta kov vablo lage na
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
Again Himu. This novel was very complicated. When I first read the author's note, naively I thought we would finally get to know Himu and his thoughts. The author was very clever in his writing. Although he never clearly said what Himu wanted, it made you feel as if he had written all the unsaid answers in the pages of this book. My favourite part was when Himu called Rupa and proposed to her, at his uncle's urging. When Rupa said she would say yes to him, if he wanted, despite knowing it would be a wrong decision on her part, it actually made me cry. Rupa is such a strong character in Himu's life. Although he refuses to "feel" it is quiet obvious in his own way he loves Rupa. Although he would never say that, never marry her, never have his happy ending, it doesn't change the fact that Himu likes her. I think to some extent he relies on Rupa's rationality. I think they make a good couple, in a very strange way. They are both stubborn and self minded. They would never be the first one to back off to talk about their feelings. Somethings are left unsaid in the novel, but it is easy to understand that Himu was not just any other friend to Rupa and Rupa was not just a university friend. Their complex relationship is a major part of Himu's being. It was humorous, teary and worthwhile read. © Sababa
Was this review helpful to you?
or
Himu character tai onek joss. Tar Dak nam himu, himaloy theke Himu.. Babar deya nam holo Himaloy, karon Baba take mohapurush banate ceyechilo r himaloy Mohan. Himu golper sathe joriye ache onek abeg, bedona, valobasha. Je ekbar porbe sei Himur Preme pore jabe
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজের একটা বই 'দরজার ওপাশে'। দু'বার পড়লাম বইটা। হিমু সিরিজের বইগুলো সাধারণত যেমন লাগে এটাও তেমনই লেগেছে অনেকটা।ছোট একটা বই। আমার ভালো লেগেছে। আশা করি কারো কাছেই সময় কাটানোর জন্য বইটা খারাপ লাগবেনা। হ্যাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
"দরজার ওপাশে" হুমায়ুন আহমেদের খ্যাতিবহুল 'হিমু সমগ্র' এর দ্বিতীয় উপন্যাস। যদিও এটা দ্বিতীয় কিন্তু এটা আমি 'হিমু সমগ্র' এর সব উপন্যাস শেষে পড়েছি। প্রতিটা উপন্যাসে হিমুর দৈনন্দিন জীবনের পথচলা রয়েছে। এটাও ব্যতিক্রম নয়। হিমুর বন্ধু রফিক আাসে হিমুর কাছে পরামর্শের জন্য। রফিক অত্যন্ত সৎ। তবে ওর স্বভাব বিচিত্র ধরণের। তাকে কোন প্রশ্ন করলে সে তার জবাব দেয় না। যার ফলে সে সরকারি চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়। রফিকের জন্য হিমু তার মন্ত্রীপুত্র বন্ধু জহিরের সাথে দেখা হয়। জহিরের বাবা একজন তেল-জ্বালানি মন্ত্রী। হিমুর সাথে এই মন্ত্রীর মধ্য অনেক কান্ড ঘটে। এখানে বাদলকে হিমুর জন্য হিমুর ফুফা আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য বাদলের বোনের কাছে পাঠায়। বরাবরই হিমুর মামারা হিমুকে নিজের সন্তানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এ উপন্যাসে পরিলক্ষিত হয়। এককথায় চমৎকার একটি উপন্যাস। হিমু প্রেমিদের পড়ার অনুরোধ রইল।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টি অদ্ভুত এক চরিত্র হিমু। মাকে হারিয়েছেন খুব ছোটবেলায়। আর বাবাকেও হারিয়েছেন কিশোর বয়সে। বাবার রেখে যাওয়া ডায়েরির নানা উপদেশ হিমু পালন করার চেষ্টা করেন। তার বাবা মারা যাবার আগে বলে গিয়েছিল, আমি মরে গেলে তুমি তোমার মামাদের বাড়ি গিয়ে থাকবে। তোমার মামারা পিশাচ শ্রেণীর। পিশাচ শ্রেণীর মানুষের সাথে থাকলে পৃথিবী থেকে শিক্ষা নেয়া যায়। হিমুর চালচলন দেখলে পাগল টাইপ মনে হলেও প্রতিটি কাহিনীতে সে পৃথিবীর অসততা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু প্রশ্ন রেখে যায়। এই প্রশ্ন দাগ কাটে যেমন উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্রে, তেমনি দাগ কাটবে আপনার মনেও। 'দরজার ওপারে' বইটিও ঠিক এমনই এক কাহিনী তুলে আনবে আপনার সামনে।
Was this review helpful to you?
or
চিরচেনা হিমুকে নতুন আঙ্গিকে দেখার প্রয়াস হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বই দরজার ওপাশে। বইটি জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে মে ১৯৯২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। হিমুর পুরো নাম হিমালয়। এ নাম তার বাবার রাখা। হিমুর বাবা হিমালয় নাম রেখেছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে হিমালয়ের মত বিশাল ও বিস্তৃত হোক, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কেউ নয়, তাকে যেন হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। যেমন স্পর্শ করা যায় হিমালয় পর্বতকে। হিমুর বাবার স্বপ্ন ছিল তিনি হিমুকে মহাপুরুষ বানাবেন। কিন্তু হিমুর আসলে কি স্বপ্ন ছিল? সে কি আসলেই মহাপুরুষ হতে চেয়েছিল? আমরা হিমুর বাবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানি, কিন্তু হিমুর আকাঙ্ক্ষার কথা জানি না। হুমায়ূন আহমেদ দরজার ওপাশে বইয়ে হিমুর আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ খোঁজার প্রয়াস পেয়েছেন। বইয়ের গল্প শুরু হয় হিমুর মেস থেকে। তারপর নদীর পানির মত কাহিনী গড়াতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর অস্বাভাবিক সম্মোহনী ক্ষমতার দ্বারা মুহূর্তের মধ্যেই পাঠককে গল্পের ভিতরে টেনে নিয়ে যান। গল্পের ভিতরে ধীরে ধীরে হিমুর বন্ধু রফিক, জহির, রফিকের স্ত্রী রানু, জহিরের বোন তিতলী, জহিরের বাবা তেল ও জ্বালানী মন্ত্রী মোবারক হোসেনের আগমন ঘটে। আর হিমুর অন্যান্য বইয়ের মতই অবধারিতভাবেই ঘটনাচক্রে এসে যুক্ত হয় হিমুর ফুফা, ফুফাতো ভাই বাদল আর একজন পুলিশের ওসি। কখনও হাস্যরসে, কখনও সংলাপের শক্ত গাঁথুনি দিয়ে, কখনও বা খুব স্বাভাবিক কথার ভিতরেও দর্শন মিশিয়ে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ নিরন্তর পাঠককে টানতে থাকেন। এই বইয়ের অসাধারণ অলংকার হল কিছু জোছনা রাতের অতিপ্রাকৃত পরিবেশের সম্মোহনী বর্ণনা যা পাঠককে সহজেই বিভ্রমের বেড়াজালে আক্রান্ত করে ফেলে। আর হিমুর সর্বজনীন সত্যের পিছনে ছুটে চলার কাহিনী পুরো বই জুড়েই বিস্তৃত হয়েছে, যা হিমু ভক্তদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। সব মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দরজার ওপাশে দারুণ একটি বই। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না, এমন একটি বই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বইটি সকল হুমায়ূন ভক্তদের অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
হিমু।যাকে অনেকে মহাপুরুষ বলে মনে করে।কিন্তু হিমু তা বিশ্বাস করে না।সে জানে যে সে একজন ভন্ড।যে কিনা অন্য কে ধিধায় ফেলতে পছন্দ করে।হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে এমন একজন হলো বায়েজিদ।সে তার মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না।তার ধারণা হিমু দোয়া করলেই তার বিয়ে হয়ে যাবে।হিমু তার মেয়ের জন্য দোয়া করে তাকে খুশি করার জ। হিমুর এক বন্ধু রফিক এসেছে তার কাছে।রফিক এর একটি বিষয় হলো যে সে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় না।যার ফলে তার সে চাকরি তা চলে যায়।হিমুর কাছে এসেছে যে তার পরিচিত কোনো মন্ত্রি আছে কিনা।যদিও রফিক এর খালতো ভাইের এক পরিচিত মন্ত্রী আছে কিন্তু রফিক সেখানে যেতে চাচ্ছে না।হিমুর তেমন কোন পরিচিত মন্ত্রী নেয় তবে তার এক স্কুলের বন্ধুর বাবা মন্ত্রী।সে বন্ধুর নাম হলো জহির।হিমু জহিরের সাথে দেখা করতে যায়।জহিরকে তার বাবা পছন্দ করে না।এর কারন হলো জহির তার নিজের বাবা কে খারাপ চখে দেখে।তার মনে হয় তার বাবা অনেক খারাপ কাজ করেছে।হিমু জহিরের সাথে দেখা করে।দেখা করে বলে হিমু একদিন তাকে করে নিয়ে একটা গর্ত করে সেখানে বসে থাকবে এই হলো হিমুর প্লান।শুনে জহিরও রাজি হয়ে যায়।হিমু রফিক কে সে ব্যবস্থা করতে বলে।সে সব ব্যবস্থা করে।পরে রাতের বেলা হিমু এবং জহির সে গর্তে ঢুকে পরে।পুলিশ জানার পর তাদের থানায় নিয়ে আসে।জহির তাদের বুঝাতে চেষ্টা সে মন্ত্রীর ছেলে কিন্তু পুলিশ তা বিশ্বাস করে না।তাদের নিতে যায় থানায়।যখন জানতে পারে যে আসলেই সে সত্য বলেছে এবং মন্ত্রী নিজে আসতেছে তখন পুলিশ এর অবস্থা খারাপ হয়ে যাই।মন্ত্রী এসে জহির কে নিয়ে যায় কিন্তু হিমুকে রেখে যায়।তখন সব দোষ পরে হিমুর উপর।পুলিশরা হিমুর চুল,ভুরু সব কামিয়ে দেয়।হিমুর এতে কোন আক্ষেপ থাকে না।সে এই অবস্থাতাতেই উপস্থিত হয় বড়ফুফুর বাসায়।বাদল তাকে দেখে সেই খুশি হয়।বাদল তার জন্য গোসল এর ব্যবস্থা করতে থাকে।হিমু জানতে পারে যে জহির বাসা থেকে পালিয়েছে এবং এর দোষ পরে হিমুর উপর।তাদের ধারণা হিমু তাকে এই ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।ফলে আবার সব দোষ হিমুর উপর পরে।যদিও হিমু এইক্ষেত্রে সাহায্যে করেনি।হিমু তাদের বাসায় যায়।সেখানে গিয়ে জহিরের মার সাথে হিমু কথা বলে এবং বলে সে সাহায্য করেনি।কিন্তু জহিরের বোন তিতলি সে কথা বিশ্বাস করে না।তার চোখে হিমু ঘৃণা,রাগ দেখতে পায় তার জ। যদিও জহিরের মা ভালো ব্যবহার করেছে তার সাথে।রাতের বেলা তার সাথে কথা বলেন জহিরের বাবা।সেখানে তার বাবার সাথে অনেক কথা হয়,হিমু তাকেও কিছুটা অবাক করে দেয় একটা বিষয় দিয়ে।যদিও সে বেশি অবাক হয়না।এর কিসুদিন পর তাকে পুলিশ এ ধরে মিথ্যা মামলার জন্য।এদিকে এর আগে হিমু তাকে বলে রফিক এর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে।জহিরের মা অসুস্থ হয়ে পরে।তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে না কারন টাকা থাকে ব্যংক এ।আর ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারে না কারন তা পুলিশ আটকিয়ে ফেলেছে।জহিরের বাবাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।এই দিকে জহির কেও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।তিতলির অবস্থাও দিন দিন খারাপ হতে থাকে।এর মাঝে তিতলিকে সপ্নে দেখে হিমু। শেষে কি হয়েছিল তা জানতে হলেও পড়তে হবে এই বইটি।এই বইটিতে লেখক খুব সুন্দর করে সব কাহিনি গুলো আস্তে আস্তে আগাতে থাকে।বইটি সবার ভালো লাগার মতো একতা বই।বইটিতে হিমুর চরিত্র খুব ভালো করে বুঝাতে পেরেছেন লেখক।যারা হিমুর পাঠক তাদের এর বই অবশ্যই পড়া উচিত।অন্যরা এই বই পড়ে দেখতে পারেন।ভালোলাগবে বলে আমার বিশ্বাস
Was this review helpful to you?
or
বইঃদরজার ওপাশে লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৬ মূল্য-১৮০ ঘুমের মধ্যে কেউ ডাকলো, হিমু, এই হিমু গলার স্বর চিনতেও পারছে না আবার অপরিচিতও না। আধো ঘুমে হিমু জবাব দিলো কে? কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া গেল না। সে আর স্বপ্ন টা দেখতে চাইলো না। কেন না দরজার ওপাশের মানুষ টাকে সে দেখতে চায় না। তার ইচ্ছা নেই দরজার ওপাশে কে এটা জানার। প্রচন্ড অস্বস্তিতে ঘুমের মাঝেই হিমু জেগে উঠলো। জায়গা টা হিমুর মেস। সে বাইরে গিয়ে দেখলো সকাল হয়ে গেছে। বাইরে গিয়েই বায়োজিদ সাহেবের সাথে তার দেখা হয়।লোকটার চোখ সবসময় লাল থাকে।তিনি হিমু কে তার মেয়ের জন্য দোয়া করতে বললেন। হিমু তার কারন জানতে চাইলে বলল, "আপনি মহাপুরুষ ধরনের মানুষ। আপনি দোয়া করলে আমার মেয়েটার মঙ্গল হবে "। হিমু তাকে বুঝাতে চাইলো সে মহাপুরুষ টাইপের কিছু না। কিন্তু বায়োজিদ সাহেব পিছু ফেরেন নি। হিমুর খুব অসস্তি লাগলো এই ভেবে, দিন দিন তাকে মহাপুরুষ ভাবার লোকের সংখ্যা বাড়ছে। রফিকের কথা ভেবে হিমু বেড়িয়েছিল কিন্তু রফিক নিজেই এসে হাজির। রফিক তার কাছে জানতে চাইলো তার কোন উকিলের সাথে পরিচয় আছে কিনা।কারন তার চাকরি চলে গেছে। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট অন্যতম একট চরিত্র "হিমু" হিমুর পুরো নাম হিমালয়। হিমুর বাবার , ইচ্ছা ছিলো তার ছেলে হবে হিমালয়ের মতো বিশাল। এবং সে হবে মহাপুরুষ। দরজার ওপাশে হিমু সম্পর্কিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মতোই হিমু সক্রিয়। গল্প যখন ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হিমুর সাথে দেখা গেল বন্ধু রফিকে, জহির যে একজন মন্ত্রী পুত্র , রফিকের স্ত্রী রানু, জহিরের বোন তিতলী, জহিরের বাবা তেল ও জ্বালানী মন্ত্রী মোবারক হোসেন এমন কি হিমুর ফুফা, বাদল আর একজন ছিলেন তিনি পুলিশের ওসি। এই উপন্যাসের কিছু লাইন আমার বেশ পছন্দের- -তার গা থেকে কেউ একজন লেবুর মতো সমস্ত রস চিপে নিয়ে নিয়েছে। -তোকমার শরবত খাবার সময় মনে হয় ছোট ছোট কেঁচোর টুকরা পানিতে গুলে খেয়ে ফেলেছি। -অধিক শোকে পাস্তুরীভূত অবস্থা। -তোমার নাম যেন কি বললে?এভারেস্ট? না, আমার নাম হিমালয় -পুলিশ এ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে বাঁশডলা দিবে। -শিয়ালের শিং দেখেছেন? -হাড্ডি যা আছে পানি হয়ে পিশাবের সঙ্গে বের হয়ে যাবে। -যে পুরুষ দেখতে সুন্দর সে কোন কাজের হয় না। ব্যক্তিগত মতামতঃহুমায়ূন আহমেদ এর দরজার উপাশে বইটাতে অন্যরকম একটা ব্যপার আছে। যা অন্য গুলো থেকে আলাদা। হিমুর স্বাভাবিক কর্মকান্ড এর সাথে নতুন কিছু যোগ ছিলো এতে।হিমুর সর্বজনীন সত্যের পিছনে ছুটে চলার কাহিনী পুরো বই জুড়েই বিস্তৃত হয়েছে, যা হিমু ভক্তদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। সব মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দরজার ওপাশে দারুণ একটি বই। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না, এমন একটি বই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বইটি সকল হুমায়ূন ভক্তদের অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-দরজার ওপাশে লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৬ মূল্য-১৮০ জ্ঞানকোষ প্রকাশনী ... ঘুমের মধ্যে কেউ ডাকলো, হিমু, এই হিমু গলার স্বর চিনতেও পারছে না আবার অপরিচিতও না। আধো ঘুমে হিমু জবাব দিলো কে? কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া গেল না। সে আর স্বপ্ন টা দেখতে চাইলো না। কেন না দরজার ওপাশের মানুষ টাকে সে দেখতে চায় না। তার ইচ্ছা নেই দরজার ওপাশে কে এটা জানার। প্রচন্ড অস্বস্তিতে ঘুমের মাঝেই হিমু জেগে উঠলো। জায়গা টা হিমুর মেস। সে বাইরে গিয়ে দেখলো সকাল হয়ে গেছে। বাইরে গিয়েই বায়োজিদ সাহেবের সাথে তার দেখা হয়।লোকটার চোখ সবসময় লাল থাকে।তিনি হিমু কে তার মেয়ের জন্য দোয়া করতে বললেন। হিমু তার কারন জানতে চাইলে বলল, "আপনি মহাপুরুষ ধরনের মানুষ। আপনি দোয়া করলে আমার মেয়েটার মঙ্গল হবে "। হিমু তাকে বুঝাতে চাইলো সে মহাপুরুষ টাইপের কিছু না। কিন্তু বায়োজিদ সাহেব পিছু ফেরেন নি। হিমুর খুব অসস্তি লাগলো এই ভেবে, দিন দিন তাকে মহাপুরুষ ভাবার লোকের সংখ্যা বাড়ছে। রফিকের কথা ভেবে হিমু বেড়িয়েছিল কিন্তু রফিক নিজেই এসে হাজির। রফিক তার কাছে জানতে চাইলো তার কোন উকিলের সাথে পরিচয় আছে কিনা।কারন তার চাকরি চলে গেছে। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট অন্যতম একট চরিত্র "হিমু" হিমুর পুরো নাম হিমালয়। হিমুর বাবার , ইচ্ছা ছিলো তার ছেলে হবে হিমালয়ের মতো বিশাল। এবং সে হবে মহাপুরুষ। দরজার ওপাশে হিমু সম্পর্কিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মতোই হিমু সক্রিয়। গল্প যখন ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হিমুর সাথে দেখা গেল বন্ধু রফিকে, জহির যে একজন মন্ত্রী পুত্র , রফিকের স্ত্রী রানু, জহিরের বোন তিতলী, জহিরের বাবা তেল ও জ্বালানী মন্ত্রী মোবারক হোসেন এমন কি হিমুর ফুফা, বাদল আর একজন ছিলেন তিনি পুলিশের ওসি। এই উপন্যাসের কিছু লাইন আমার বেশ পছন্দের- -তার গা থেকে কেউ একজন লেবুর মতো সমস্ত রস চিপে নিয়ে নিয়েছে। -তোকমার সরবত খাবার সময় মনে হয় ছোট ছোট কেঁচোর টুকরা পানিতে গুলে খেয়ে ফেলেছি। -অধিক শোকে পাস্তুরীভূত অবস্থা। -তোমার নাম যেন কি বললে?এভারেস্ট? না, আমার নাম হিমালয় -পুলিশ এ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে বাঁশডলা দিবে। -শিয়ালের শিং দেখেছেন? -হাড্ডি যা আছে পানি হয়ে পিশাবের সঙ্গে বের হয়ে যাবে। -যে পুরুষ দেখতে সুন্দর সে কোন কাজের হয় না। হুমায়ূন আহমেদ এর দরজার উপাশে বইটাতে অন্যরকম একটা ব্যপার আছে। যা অন্য গুলো থেকে আলাদা। হিমুর স্বাভাবিক কর্মকান্ড এর সাথে নতুন কিছু যোগ ছিলো এতে। রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/8981/দরজার-ওপাশে-
Was this review helpful to you?
or
মানুষ কত প্রকারের হতে পারে, কত স্বভাবের হতে পারে তা আমরা জানতে পারি হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর উপন্যাসে।এরকম ই কয়েক ধরনের মানুষের পরিচয় পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
“দরজার ওপাশে” হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা হিমু সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস এটি মুলত স্বপ্নকেন্দ্রীক একটি উপন্যাস... মানুষের চেতন আর অবচেন মনের ভাবনা চিন্তা গুলো কেমন হতে পারে, এমন কিছু কথা আছে যা আমাদের ভাবনাতেও আসা মুশকিল! উপন্যাসে হিমুর বন্ধু রফিক সে কথা কম বলে, কোন প্রশ্নের জবাব দিতে চায় না, সে কারনে তার চাকুরী চলে গেছে! চাকুরি ফিরে পাবার জন্য সুপারিশ দরকার, হিমুর কলেজের বন্ধু জহির তারা বাবা মন্ত্রীর!! হিমু একটা অদ্ভদ খেলা খেলে, সেটা শুরু হয় মাটিতে গর্ত করে গলা পর্যন্ত নিজেকে পুঁতে পুর্ণিমা দেখা!! সে কাজ করতে গিয়ে দুজেনেই পুলিশের হাতে ধরা খায়, জহির মন্ত্রী পূত্র হওয়াতে ছাড়া পায় হিমুকে হাজতে থাকতে হয়!! আশা করি উপন্যাসটি ভালো লাগবে!!
Was this review helpful to you?
or
ময়ূরাক্ষী, পারাপার শেষ করে গত পরশু পড়তে নিয়েছিলাম হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি ভালোলাগার বই "দরজার ওপাশে" এই বইটাও আগে পড়েছিলাম। এখন পড়ার সময় মনে হয়েছিলো যেন আজই প্রথম পড়লাম। এই বইটাও হিমু সিরিজের একটি জনপ্রিয় বই। হিমুর বন্ধুর এক অদ্ভুত স্বভাব। সে সারাক্ষণ চুপ করে থাকে। কথা বলার সময় কেউ কোনো প্রশ্ন করলেই সে আর প্রশ্নের উত্তর দেয় না। তাকে প্রশ্ন করা যায় না। তার এই অদ্ভুত স্বভাবের জন্য তার চাকরি চলে যায়। চাকরি হারানোর সাথে সাথে তার বউও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলো। কিন্তু সে নিশ্চিত, কেউ যদি তাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে, তবে একমাত্র 'হিমু' পারবে। তাই সে হিমুর কাছে আসে। বন্ধুর চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে এই আশ্বাস দিয়ে হিমু ঘর থেকে বের হয়। আর তখন থেকে জড়িয়ে যায় একবার এক সমস্যার সাথে? বইটা পড়ে মজা পাবেন। একজন রাজনীতিবিদের উত্থান পতন হওয়া নিয়ে উপন্যাস টি এগিয়ে গেছে। আর বেশি কিছু লিখে মজা নষ্ট করতে চাই না। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। আমার ভালোলাগার আসলে এই লাইনগুলো সবারই ভালো লাগবে।?? "‘দেখে শুনে পাত্রী ঠিক করতে হবে। নন মেট্রিক হলে ভাল হয়। এইসব মেয়ে হাতের মুঠোর মধ্যে থাকে। যা বলবি শুনবে। পড়াশোনা জানা মেয়ে খ্যাঁচ খ্যাঁচ করবে। কালো মেয়ে খুঁজে বের করতে হবে। মুখের ছিরি ছাঁদ আছে কিন্তু রং কালো। ফর্সা মেয়েদের মেজাজ থাকে। ধরাকে সরা জ্ঞান করে। কালো মেয়ে দশ চড়েও শব্দ করবে না। মেয়ে দেখব না-কি হিমু?’"?
Was this review helpful to you?
or
আমার প্রিয় হইল ঐই বইটা বইটা পড়ে পূর্ণিমা দেখার জন্য বালিতে গর্ত খুড়ে গলা পর্যন্ত মাটি চাপা দেওয়ার কান্ড করেছিলাম। তারপর হিমুর মত কত বাসায় ফোন কইরা যে বলছি হ্যালো ফায়ার স্টেশন কোন হিসাব নাই। আহারে কি দিন ছিল :(
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ বাঙালি মধ্যবিত্তের পাল্স ধরতে পারতেন।ঠিক কেন যে এই উপন্যাস ভালো লেগেছে সেটা বলা মুশকিল।অনেক ভ্রান্তপ্রায় তথ্যকে আকর্ষণীয় করে পরিবেশন আছে অনেক বইয়ের মতোই, কিন্তু পড়তে খারাপ লাগছেনা।এখানেই হুমায়ূনের ব্যাখ্যাতীত জাদু। মার্কাট সামাজিক ছবিতে বস্তিবাসী নায়কের এক ঘুষিতে উচ্চবিত্ত দুর্নীতিবাজ ভিলেন কুপোকাত হয়ে যায়, বড়লোক সুন্দরী নায়িকা গরীব রিকশাচালকের প্রেমে পড়ে; একশ্রেণীর মানুষ গভীর আগ্রহে এই "এমন যদি হত"র দৃশ্য দেখে আমোদিত হন। ঠিক একইভাবে, অবচেতন মনে বাস করা ফ্যান্টাসিকে প্রশ্রয় দেন হুমায়ূন আহমেদ। সবারই কখনো না কখনো এই অতিবাস্তব পৃথিবীকে পাশে রেখে জোছনায় হারিয়ে যেতে মন চায়, দিগ্ভ্রান্ত পথিকের ভালো উদাহরণ হিমু ছাড়া আর কে হতে পারে? খুব সাধারণ ক্ষুধাতৃষ্ণার মানুষ,কিন্তু ভয়ানক একা। নিজের দুঃখ হতাশা ভোলার জন্যে যার মাথায় নানান ছেলেমানুষী খেলা করতে থাকে, নেই অনতিক্রম্য কষ্টকে চর্চার কোন চেষ্টা,বরং সিদ্ধার্থের মত নির্বাণী। মাঝে মাঝে হিমু পড়া স্বাস্থ্যকর।
Was this review helpful to you?
or
দরজার ওপাশে বুক মিভিউ। সমস্যা হল আগে যখন বইগুলি পড়েছিলাম, ছিলাম ক্যাম্পাসে, সামনে অবারিত মাঠ ছিল। আর আজ পড়ছি যখন তখন প্রেমের সম্ভাবনা নিয়ে কারো মুখ ভাসে না। নীল শাড়িতে কাউকে রুপা মনে করতে পারছিনা। তখন হিমু হবার সব ইচ্ছা থাকলেও, ওই রাতে বিরাতে হাটাই ছিল লক্ষ্য, আর মাঝে মাঝে মেয়েদের একটু শোনানো,- যে হিমুদের প্রেমে পড়া,যাবে না। আর আজ সকল জটিলতায় ভীত। বিসিএসের পুলিশ ভেরিফিকেশন কখন হবে- তা নিয়ে ভীত। ত বাকিটা বুঝাই যায়। ভার্সিটি লাইফে হিমু হওয়া যায়। অসময়ে কারো রুমে ধাক্কা মারা যায়। পিচ গলা রাস্তায় হাটা যায়। দরজার ওপাশে নিয়ে কিছু লেখার নেই। হিমুর বই একই রকম। রিভিউ লেখার আরো বই আছে। বড় কথা আমার ফুপা নেই। ধুর বড় বাস্তববাদি হয়ে যাচ্ছে। মিসির আলি পড়া উচিত ছিল। দিনশেষে সব মিলে যায় তাই না। কি সেই ইন্টিউশন। এই ক্ষমতা সামান্য একটু হলেও থাকা উচিত ছিল। ৫ টা বছরের স্মৃতি নিয়ে তাহলে আনন্দে থাকা যেত।
Was this review helpful to you?
or
good service
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বই দরজার ওপাশে। বইটি জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে মে ১৯৯২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। হিমুর পুরো নাম হিমালয়। এ নাম তার বাবার রাখা। হিমুর বাবা হিমালয় নাম রেখেছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে হিমালয়ের মত বিশাল ও বিস্তৃত হোক, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কেউ নয়, তাকে যেন হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। যেমন স্পর্শ করা যায় হিমালয় পর্বতকে। হিমুর বাবার স্বপ্ন ছিল তিনি হিমুকে মহাপুরুষ বানাবেন। কিন্তু হিমুর আসলে কি স্বপ্ন ছিল? সে কি আসলেই মহাপুরুষ হতে চেয়েছিল? আমরা হিমুর বাবার আকাঙ্ক্ষার কথা জানি, কিন্তু হিমুর আকাঙ্ক্ষার কথা জানি না। হুমায়ূন আহমেদ দরজার ওপাশে বইয়ে হিমুর আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ খোঁজার প্রয়াস পেয়েছেন। বইয়ের গল্প শুরু হয় হিমুর মেস থেকে। তারপর নদীর পানির মত কাহিনী গড়াতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর অস্বাভাবিক সম্মোহনী ক্ষমতার দ্বারা মুহূর্তের মধ্যেই পাঠককে গল্পের ভিতরে টেনে নিয়ে যান। গল্পের ভিতরে ধীরে ধীরে হিমুর বন্ধু রফিক, জহির, রফিকের স্ত্রী রানু, জহিরের বোন তিতলী, জহিরের বাবা তেল ও জ্বালানী মন্ত্রী মোবারক হোসেনের আগমন ঘটে। আর হিমুর অন্যান্য বইয়ের মতই অবধারিতভাবেই ঘটনাচক্রে এসে যুক্ত হয় হিমুর ফুফা, ফুফাতো ভাই বাদল আর একজন পুলিশের ওসি। কখনও হাস্যরসে, কখনও সংলাপের শক্ত গাঁথুনি দিয়ে, কখনও বা খুব স্বাভাবিক কথার ভিতরেও দর্শন মিশিয়ে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ নিরন্তর পাঠককে টানতে থাকেন। এই বইয়ের অসাধারণ অলংকার হল কিছু জোছনা রাতের অতিপ্রাকৃত পরিবেশের সম্মোহনী বর্ণনা যা পাঠককে সহজেই বিভ্রমের বেড়াজালে আক্রান্ত করে ফেলে। আর হিমুর সর্বজনীন সত্যের পিছনে ছুটে চলার কাহিনী পুরো বই জুড়েই বিস্তৃত হয়েছে, যা হিমু ভক্তদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। সব মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দরজার ওপাশে দারুণ একটি বই। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না, এমন একটি বই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বইটি সকল হুমায়ূন ভক্তদের অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
marratok 1 ta boi
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা সৃষ্টি...... হিমালয়, ডাক নাম হিমু । সে তার বাবার পাটশালার এক মাত্র ছাত্র ।আর তার বাবাই সেই পাটশালার একমাত্র শিক্ষক । সে তার বাবার কথা মতো সব কাজ করে । রাত দিন হাটে তা ও আবার খালি পয়ে। রাতে হা করে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে । তার থালা মাজেদার বাসায় যায় মাঝে মধ্যে । তার খালাত ভাই এর নাম বাদল । তার খালু টাকে দেখতে পারে না ।কারন তিনি মনে করেন হিমু তার ছেলে কে নষ্ট করছে ।
Was this review helpful to you?
or
তীব্র ভালোলাগা আর সুগভীর বিষাদ যদি একসঙ্গে মনকে আচ্ছন্ন করে, তাহলে কেমন লাগে? ভাষায় যদি সেই অনুভূতিকে ব্যাখ্যা করা যেত, তাহলে করতাম, কারণ এই মুহূর্তে আমার মন ঠিক সেই অবস্থাতেই আছে। যা বুঝছি তাতে হুমায়ূন তাঁর প্রতিটি হিমু-কাহিনি দিয়েই আমাদের এই অবস্থায় নিয়ে যেতে চান, আর অমন জাদুকরি কলম যাঁর হাতে তাঁর ইচ্ছাপূরণ ঠেকায় কে? পরের বার হিমুর উপাখ্যান পড়ব রাতে। বৃষ্টি-ভেজা অন্ধকার আর ভাঙা চাঁদ: এরা আমায় একই সঙ্গে কাঁদায় আর হাসায়। তাদের মতো, হিমুরও সঠিক স্থান-কাল রাতেই।
Was this review helpful to you?
or
আমার ডাক নাম হিমু। ভাল নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিমালয় নাম রেখেছিলেন, যেন বড় হযে সে হিমালয়ের মতো হয়-- বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা-- ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্রও বিশাল ও বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌন পর্বতমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সেই নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়। হিমুর বাবা চেয়েছিলেন হিমু একজন মহাপুরুষ হবে, যে মহাপুরুষ পরম সত্য জানেন। কিন্তু হিমু কি চেয়েছিল? আমরা তার বাবার আকাঙ্খার কথা জানি, কিন্তু হিমুর আকাঙ্খা জানি না। সে কিসের সন্ধান করে বা আসলেই সে কোন কিছুর সন্ধান করে কি-না তা নিয়েই লেখা হল ‘দরজার ওপাশে’। যদিও আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি লিখেছি তবু বিনীত অনুরোধ করছি কেউ যেন গুরুত্বের সঙ্গে লেখাটি গ্রহণ না করেন। মিসির আলী নামে আমার একটি চরিত্র আছে। সে কাজ করে লজিক নিয়ে। তার চিন্তাভাবনা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা যায় কিন্তু হিমু কাজ করে ‘এন্টি-লজিক’ নিয়ে। আমাদের এই জগতে ‘এন্টি-লজিকে’র স্থান নেই। বইটি নিঃসন্দেহে ভালো। বিশেষ করে ভাষার কারুকার্জ কোনো ভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। কিছু কিছু অংশের শব্দচয়ন এবং বাক্যচয়ন বইটির আবেদনকে আরো তীব্র করেছে। লেখা শৈল্পিক হলেও ভাব প্রকাশে লেখক ছিলেন সাবলীল। বইটির প্রথমদিকে মুল কাহিনীতে প্রবেশের আগে লেখক যেভাবে গল্পের আদলে ভূমিকা টেনে গেছেন তা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। পড়ে মনেই হবে না গল্পের চরিত্রগুলো কাল্পনিক। বরং মনে হবে এগুলো আমাদেরই গল্প, আমরাই এ গল্পের চরিত্র।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের বই পড়তে আমার সবসময়-ই ভালো লাগে।বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা বইগুলো। আর তা যদি হয় হিমুকে নিয়ে লেখা তাহলে তো কথাই নাই।মনে হয় আমিও যেন সেই গল্পের মাঝেই আছি।একেবারে বসে গল্পের বই পরে শেষ করি,তার পর মনে হয়,ইস!এতো জলদি শেষ হয়ে গেল........,,,আরোও কিছুক্ষণ যদি পড়তে পারতাম.....,,,,,,!?❤️
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃদরজার ওপাশে লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃজ্ঞানকোষ প্রকাশনী মূল্যঃ১৫৮টাকা হুমায়ূন আহমেদ এর এ বইটাতে অন্যরকম একটা ব্যপার আছে। যা অন্য গুলো থেকে আলাদা। হিমুর স্বাভাবিক কর্মকান্ড এর সাথে নতুন কিছু যোগ ছিলো এতে।হিমুর সর্বজনীন সত্যের পিছনে ছুটে চলার কাহিনী পুরো বই জুড়েই বিস্তৃত হয়েছে, যা হিমু ভক্তদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। সব মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের দরজার ওপাশে দারুণ একটি বই। একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না, এমন একটি বই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বইটি সকল হুমায়ূন ভক্তদের অবশ্যপাঠ্য। দিগ্ভ্রান্ত পথিকের ভালো উদাহরণ হিমু ছাড়া আর কে হতে পারে।খুব সাধারণ ক্ষুধাতৃষ্ণার মানুষ,কিন্তু ভয়ানক একা। নিজের দুঃখ হতাশা ভোলার জন্যে যার মাথায় নানান ছেলেমানুষী খেলা করতে থাকে, নেই অনতিক্রম্য কষ্টকে চর্চার কোন চেষ্টা,বরং সিদ্ধার্থের মত নির্বাণী।হিমু ভক্তদের আমন্ত্রণ রইলো পড়ার জন্য।