User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Happy reading!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর আন্ডাররেটেড একটি বই। এই বইয়ের গল্পটি ছোট হলেও অসাধারণ। এখানে কোনো প্রেমের গল্প নেই আছে এক মা মেয়ের গল্প...
Was this review helpful to you?
or
vlo boita
Was this review helpful to you?
or
boi ti porechi,vlo lgeche pore
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই ।এই বইটা পড়তে পড়তে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।
Was this review helpful to you?
or
এপিটাফ গল্পটি সত্যি অনেক বেদনাদায়ক একটি উপন্যাস । যেখানে এক মা এবং তার মেয়েকে নিয়ে লেখা যে মেয়ে এক মরনব্যাধি রোগে আক্রান্ত । মেয়েটি জানে সে বেশিদিন বাঁচবে না ; তবুও তার মা চেষ্টা করছে টাকার ব্যবস্থা করতে । তার বাবা থেকেও তাদের পাশে নেই , তাই সংসারের সব দায়িত্ব একার তার মার ।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "এপিটাফ" প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ বইগুলোর মধ্যে এটিও একটি। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো এই বোধ হয় বইয়ের মূল চরিত্র টিকেই সরিয়ে ফেলা হবে কিন্তু শেষ টা খুব চমৎকার করেছেন। বইটি না পড়লে বুঝাই যাবে না প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ শেষটি কি অসম্ভব সুন্দর করেছেন। বইটি পড়তে পেরে মনে হচ্ছে সার্থক অনেক দিন পর এমন সুন্দর একটি বই পড়লাম।
Was this review helpful to you?
or
#পুপ-৫ বইঃ- এপিটাফ লেখকঃ- হুমায়ূন আহমেদ বই যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পড়লাম। প্রথবারের চেয়েও আজ বেশি ভালো লেগেছে আসলে কি ভালো লেগেছে? না কষ্ট লেগেছে? মাঝে মাঝে কষ্টও ভালো লাগে। এটা কষ্ট হলেও তৃপ্তি পাওয়া যায়। হুমায়ূন আহমেদের আনুমানিক ৩০টির মতো উপন্যাস পড়েছি এই মধ্যে দুইটি গল্প আমার খুব প্রিয় কারণ গল্পগুলো হুমায়ূন আহমেদের নয় গল্প গুলো আমার! শুধুই আমার গল্প আর কারো নয়। একটা হলো এপিটাফ আর একটা হলো নির্বাসন। একটা উপন্যাস তখন আর উপন্যাস থাকেনা যখন সেটা জীবন্ত হয়ে উঠে। এই বইটি আমার কাছে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। বইটি আমি যেই ভাবে অনুভব করেছি সেই ভাবে কেউ অনুভব করতে কেউ পারেনি পারবেও না। এমন কি লেখক নিজেও না। বিশ্বাস না করলেও সত্যি যে বইটি পড়ে মনে হয়েছিল আরে এতো আমার গল্প। আমি যদি হুমায়ূন আহমেদের মতো ভালো লেখক হতাম তবে আমাকে নিয়ে লেখা আমার গল্প হয়তো এই গল্পকে ছাড়িয়ে যেত। গল্পটি চলেছে অসুস্থ নাতাশাকে নিয়ে। তাকে বিদেশ নেওয়া হবে চিকিৎসার জন্য। বাবা মার মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। মা ভিক্ষুকের মতো টাকা খুজে বেড়াচ্ছে লতাপাতার আত্বীয়দের কাছে। নাতাশা আর তার মাই ছিল গল্পের কথক। এই বইটি একটি অনুপ্রেরণা মূলক বই। এই বইটি পড়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবে। আর যারা বাঁচবেই না তারা মৃত্যুকে গ্রহণ করবে অসীম সাহসিকতায়। কে জানে তার সাহস দেখে হয়তো মৃত্যুও লজ্জা পেয়ে যাবে! বইতে একটা কথা আমি পেয়েছিলাম যেটা ছিল আমার নিজেরও মনের কথা আর সেটা হলো মানুষের করুণা গ্রহণ করার চেয়ে লজ্জা আর কিছুতেই নেই। করুণা শব্দ এবং করুণাকারি এই দুটিকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি। যদি কেউ আমাকে বলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কি কি জিনিস ঘৃণা করো তবে আমি প্রথমেই বলবো ক রু ণা! এপিটাফ শব্দটি পড়লেই মৃত্যুর কথা মনে পড়ে যায়। আচ্ছা কি লেখা থাকবে আমার এপিটাফে? হয়ত কিছুই লেখা থাকবে না। হয়ত থাকবে। থাকুক বা না থাকুক আমার কিছু এসে যায় না। আমার মনে হয় মৃত্যুর পর কে কি করলো না করলো তার জানা যায় না। মৃত্যু মানেই পৃথিবীর সাথে সব সম্পর্ক উষ্ঠা দিয়ে শেষ করে দেয়া। মৃত্যুর পরও পৃথিবীর সাথে যদি সম্পর্ক থাকে তবে সেটা ভূত হয়ে। আমার বিশ্বাস ভুত বলে কিছুনেই। শুধু আমারই নয় সমগ্র ইসলাম ধর্মের মানুষের বিশ্বাস। ভূত নেই জিন আছে। খ্রিস্টান রা যাকে বলে ডেবিল। কি নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম পাগলের মতো কত কিছু লেখা শুরু করে দিলাম। যাই হোক এবার শেষ করতে হবে। তবে শেষ করার আগেঃ- "দিলশাদের চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে। সে শাড়ির আঁচল চোখ মুছে মা'র দিকে হাত বাড়িয়ে শান্ত গলায় বলল, তুমি কুট কুট করে কী সুন্দর পান খাচ্ছ। তোমার মুখ থেকে একটু পান দাও তো মা।" লাইনটা আমার প্রিয় কোন লাইন নয় তবুও দিলাম কিন্তু কেন বুঝতে পারছিনা। [পুনশ্চঃ- আমি এখনো বিশ্বাস করি নাতাশা বেঁচে আছে। কারণ, বিশ্বাস ই নাতাশাদের বাঁচিয়ে রাখে।] [পু পুনশ্চঃ- ছবিতে চিপস্ গুলো হচ্ছে এক একটা কষ্ট দূর করার ঔষধ। (অবশ্যই কল্পনার) বইটা পড়ার সময় কষ্ট পেলে ওটা খেতে হয়।]
Was this review helpful to you?
or
?রিভিউ? বই : এপিটাফ লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনায় : অন্যপ্রকাশ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্টা সংখ্যা : ১১৯ মূল্য : ২৫০ টাকা সাজ্জাদ ও দিলশাদ দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে নাতাশা। নাতাশা ঘুমুচ্ছে। গায়ে পাতলা একটা চাদর। কোলবালিশের উপর তার রোগা একটা হাত। নাতাশা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। রোগের নাম মেনিনজিওমা। অসুখটা ভয়াবহ। বাংলাদেশে এর চিকিৎসা নেই। নাতাশাকে বাইরে পাঠাতে হবে। কিন্তু বাধ সাধে অর্থ। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর জন্য এটি একটি মহামারি সমস্যা বটে। কিন্ত নাতাশার মা দিলশাদ দমে যাওয়ার মানুষ নন। যে করেই হোক মেয়েকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকা পাঠাবেনই। তিনি প্রাণ পণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী একজন মহিলা। যিনি দিনরাত পাগলের মত ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। একজন মাতাল,বাউন্ডুলে স্বামীর অপেক্ষায় তিনি থাকতে পারেন নি। মেয়েকে বাঁচাতে তাই তিনি নিজেই নেমে পড়েছেন এক অনিশ্চয়তার যুদ্ধে। দিলশাদ প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন জীবনের সাথে। একমাত্র মেয়ে টিয়া পাখির জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে। সফল হবেন কি না তিনি জানেন না। তিনি এও জানেন না এর শেষ পরিণতি কি? তবুও তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন দ্বিক-বিদ্বিক। টাকার জন্য। শুধু পরিচিত না, ভাসাভাসা পরিচিত জনদের কাছেও তিনি ছুটে গিয়েছেন। ছুটে গিয়েছেন বাল্যবন্ধু আনুশকার কাছে। যে কিনা বারিধারার মতো রাজকীয় জায়গায় এক রাজপ্রাসাদের বাসিন্দা। দিলশাদ একমাত্র মেয়ের কথা ভেবে নিজেকে ভিক্ষুকের মতো উপস্থাপন করেছেন বাল্যবন্ধু আনুশকার কাছে। আনুশকা সব শুনে একটা খামের ভেতর পাঁচশত টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলেন। কষ্টে দিলশাদের হৃদয় ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেলো। জীবনের এ কঠিন সময়ে আনুশকা তার সাথে এহেন আচরণ করতে পারে দিলশাদ তা ভেবেই পাচ্ছেন না। তবুও দমে যান নি দিলশাদ। তিনি ছুটে গেলেন বড় বোনের স্বামী ওয়াদুদুর রহমানের কাছে। বোনের সাথে দাম্পত্য কলহের জের ধরে তিনি এখন ধানমন্ডিতে আলাদা ফ্ল্যাটে থাকেন। অনেক নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে দিলশাদ অবশেষে পৌঁছালেন শ্বেতপাথরের কারুকার্যে সুশোভিত চারতলা ভবনের থ্রী-সিতে। দিলশাদকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেন ওয়াদুদুর রহমান। তিনি অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে হাসলেন। দিলশাদের গালে একটা হাত রাখলেন। অন্য হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। ওয়াদুদুর রহমান নাতাশার চিকিৎসার জন্য দু লাখ টাকার চেক লিখে দিলেন। বিনিময়ে চাচ্ছেন অন্য কিছু। তিনি আলিশান বাড়ির বাথটাব উদ্বোধন করতে চান দিলশাদকে দিয়ে। দিলশাদ চোখ বন্ধ করলেন। ভাবলেন, এ কেমন নিয়তি!! আমার বিপদের দিনে চির চেনা মানুষগুলোও কেমন অচেনা-অস্বাভাবিক আচরণ করছে! অবশেষে নাতাশাকে বিদেশ পাঠানোর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। নাতাশা যাবার আগে ডায়রী খুললো। চিঠি লেখলো বাবা, মা, নানু, ফুলির মা (কাজের মহিলা) কে। নাতাশার ধারণা সে আর সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেনা। তার মৃত্যুর পর যেন সবাই তার মনের অব্যক্ত কথাগুলো পড়তে পারে, তাকে মনে রাখতে পারে এ জন্যই আজকের লেখা। আকাশভর্তি ঘন কালো মেঘ। বিজলি চমকাচ্ছে। ক্ষমতাধর মানুষের সৃষ্ট ডিসি-১০ বিকট গর্জন করে মেঘ কেটে উপরে উঠে যাচ্ছে। কত অবলীলাতেই না উড়ে যাচ্ছে নাতাশাকে বহন করা বিমানটি। দিলশাদের চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে। শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে দিলশাত মা'র দিকে হাত বাড়িয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করছে। ততক্ষণে বিমান তার একমাত্র কলিজার টুকরো মেয়ে নাতাশাকে নিয়ে আকাশের সাথে মিশে গেছে। বইটিতে দিলশাদের প্রতিনিয়ত মানসিক-সামাজিক চাপের দিকগুলোও আলাদাভাবে ফুটে উঠেছে। কিভাবে তাকে ছোট হতে হয় তার কলেজের বান্ধুবীর কাছে এমনকি নিজের দুলাভাইয়ের কাছেও তা দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে একমাত্র মেয়ের জীবন বাঁচানোর তাগিদে একজন মায়ের জীবনযুদ্ধে প্রতিনিয়ত হার না মানা সংগ্রামের এক রূদ্ধশ্বাস কাহিনী। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্তের জীবনে একটা মরণব্যাধী যে কি রকম প্রভাব ফেলতে পারে তা হুমায়ূন আহমেদ দেখিয়েছেন "এপিটাফ" বইটিতে তাঁর নিজস্ব ঢঙ্গে। রেটিং ৯/১০
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাস: জুলাই সপ্তাহ: ৩য় পর্ব: ১ বইয়ের নাম: এপিটাফ লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠা: ১১৯ মূল্য: ৯০৳ প্রকাশ কাল : অন্যপ্রকাশ সংস্করণ জুন ২০০৪ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ কাহিনী সংক্ষেপ: 'এপিটাফ' মৃত ব্যক্তির সমাধিস্থলে ফলকে যে স্মৃতিকথা লেখা থাকে সেটাই এপিটাফ নামে পরিচিত। কিন্তু এ গল্পে তেমন কোন এপিটাফের উল্লেখ নাই। অাছে ১৩ বছর বয়সী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাওয়া নাতাশা অার তার সংগ্রামী মমতাময়ী মায়ের গল্প। নাতাশা, তার মা দিলশাদ, বাবা সাজ্জাদ অার কাজের বুয়া ফুলির মা এ চারজনের ছোট সংসার তাদের। ছোট পরিবার সুখী পরিবার বলে যে ধারনাটা বদ্ধমূল অামাদের মাথায়, নাতাশার জন্য তা ঠিক না। নাতাশা বয়সে ছোট হলেও বুদ্ধিতে যেন অনেকটাই পরিপক্ক, বাবা মায়ের ঝামেলা বুঝতে পেরেও নিজেকে তার থেকে অাড়াল করে রাখে। মা সারদিন অফিস অার তার চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থায় ব্যস্ত, অসুস্থ জীবনে তাই তার একমাত্র সঙ্গী ফুলির মা অার ডায়রি লেখা। ছোট ছোট খন্ডাংশে নানা ঘটনা সে তার ডায়রিতে লিখে রাখে। বাবার বেখেয়ালি উড়নচন্ডী স্বভাবের কারনে মা দিলশাদের সাথে তেমন বনিবনা হয় না। কিন্তু নাতাশা তার বাবার অন্ধভক্ত তাই বাবার অন্ধকার জগতের দিকটা মেয়ের সামনে দিলশাদ কখনো প্রকাশ করে না। মরনব্যধি মেনিনজিওমা রোগের কারনে নাতাশার অবস্থা দিনদিন অবনতি হতে থাকে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অাত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সবার কাছে পাগলের মত ছুটে বেড়ায় দিলশাদ। বিপদের সময়েই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি ভদ্রতার মুখোশও খুলে যায় অনেকের। একমাত্র মেয়ের জীবন অার নিজের সম্ভ্রম দুই পাল্লায় রেখে দ্বীধায় দোলে দিলশাদ। স্বামী সাজ্জাদের সাথে দূরত্ব তৈরি হবার কারনে একান্তে কিছু সময় নিজের কাছে থাকার কথাও মুখ ফুটে বলতে পারে না সংকোচে তাকে। সে এক কঠিন সময় দিলশাদের, এখন অার তার কোন স্বপ্ন নেই, নেই কোন অাক্ষেপ! অাছে কেবল অপেক্ষার প্রহর গোণা... নাতাশার অনিশ্চিত জীবনের, মৃত্যু কিংবা সুস্থতার। দিলশাদ কী পারবে নাতাশার জন্য টাকা জোগার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে, কী হয় নাতাশার পরিনতি? জানতে অবশ্যই পড়তে হবে হৃদয়স্পর্শী এ বইটা। নিজস্ব মতামত: হুমায়ূন অাহমেদের গল্প মানেই ভিন্ন কিছু। অানাফ্রাঙ্কের ডায়রির মত নাতাশাও তার না বলা কথাগুলো ডায়রিতে লিখে রাখে। হয়তো তার না থাকার সময়গুলোতে এ ডায়রিটাই অনেক কথা বলে দিবে। বাবা মায়ের সেপারেসন সন্তানের উপর যে কতটা প্রভাব ফেলে অন্যান্য বইয়ের মত এখানেও লেখক সে বিষয়টা চোখে অাঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন। প্রতিটা লেখাতেই কিছু না কিছু লেখকের জীবনের প্রভাব পরে, এসব গল্পেও হয়তো তারই কোন অংশ অাছে। গল্পটা নাতাশা কেন্দ্রিক হলেও মূল চরিত্র যেন দিলশাদই ছিল। মেয়ের জীবনের জন্য যে একের পর এক ত্যাগ স্বীকার করে যায় যে। উপরে কাঠিন্যের প্রলেপ দেয়া হলেও যার ভেতর প্রতিনিয়ত দহন হয়ে যায়। নিজের দুঃখগুলো শেয়ার করার মতো যেখানে তার কেউই থাকে না পাশে। সাজ্জাদের সাথে যতটা রূঢ়ভাষীই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত সুক্ষ্মকিছু অনুভূতি যেন তাকেই কাছে পেতে চায়। তবে গল্পের নামকরণের সার্থকতা যেন নাতাশার লেখা চিঠিগুলোতে। যার প্রতিটা লাইন হৃদয়ের গভীরে অালোড়ন তোলে। মৃত্যুর পথযাত্রী কারো মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে, ভেসে ওঠে নোনা জলে ভেজা এপিটাফ। লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন অাহমেদ সম্পর্কে নতুন করে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবার মতো কিছুই নাই। যার লেখার যাদুতে লক্ষ লক্ষ পাঠকের সৃষ্টি, সে মহান ব্যক্তিই হলেন হুমায়ূন, কাজল ডাকনামে পরিবারে বড় হলেও ভাইবোনের প্রিয় দাদাভাই নাতাশার মত একাকী কিছু রোগের সাথে বসবাস করে ১৯ জুলাই ২০১২ সকল পাঠকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় চলে যায়। বর্তমানে তার সৃষ্ট নন্দন কানন নুহাশ পল্লীতে যার এপিটাফ শোভা পায়! রেটিং- ৪.৫/৫ রেটিং পাঠকের একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তার ফল। তাই অন্যের রেটিং এ বই বিচার না করে নিজে বই কিনুন, বই পড়ুন। নিজের সাথে জাতিকে সমৃদ্ধ করুন। তাসনীম রীমি
Was this review helpful to you?
or
Fav one
Was this review helpful to you?
or
"এপিটাফ" শব্দের অর্থ সমাধিলিপি। অর্থ্যাৎ মৃত মানুষের কবর বাধাঁই করে তার গায়ে কিছু লিখে দেয়ার নামই "এপিটাফ"। কিন্তু এই বই তেমন কোন কাহিনী নিয়ে লেখা। এই বইয়ের গল্পে আছে তেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর মরণব্যাধীর সাথে পাঞ্জা লড়ার গল্প, এক সংগ্রামী মায়ের সংগ্রাম করে মেয়েকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টার গল্প, আছে স্বপ্ন গড়া আবার সেই স্বপ্ন ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়ার গল্প। সেই তেরো বছর বয়সী কিশোরীর নাম নাতাশা। যার বাবা মেয়েকে "টিয়া" বলে ডাকে। "নাতাশা" নামটার থেকে টিয়া নামটাই বেশি পচ্ছন্দ করে নাতাশা। নাতাশার বাবা সাজ্জাদ এবং মা দিলশাদ। ছোট্ট একটা পরিবার নাতাশাদের। ছোট্ট পরিবার যতোটা সুখের হয় বলে সবার ধারণা নাতাশাদের পরিবারে সেই সুখের ছিটেফোঁটাও নেই। নাতাশার মা দিলশাদ একসময় সুখী পরিবারের স্বপ্ন দেখলেও কোন এক কারণে সেইরকম পরিবার গড়ে তুলতে পারে নি। যার কারণে দিলশাদ এবং সাজ্জাদ এখন আলাদা থাকে। দিলশাদ একটা এনজিওতে চাকরী করে। আলাদা একটা বাসা নিয়ে চোখের মণি নাতাশাকে নিয়ে থাকে। ও হ্যাঁ এই পরিবারে আরো একজন আছে। সে হলো ফুলির মা বুয়া। এই ফুলির মায়ের কাছে রেখে দিলশাদ তার বাহিরের কাজকর্ম দেখে। তেরো বছর বয়সী এই নাতাশা খুব বড় এক রোগে আক্রান্ত। যার চিকিৎসা করতে অনেক টাকা লাগবে। আর সেই সবটা টাকার যোগাড় দিলশাদের একার পক্ষে সম্ভব না। টাকা যোগাড় করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে দিলশাদকে। যতো কষ্টই হোক মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করবেই দিলশাদ এবং এই চিকিৎসার জন্য সাজ্জাদের থেকে একটা টাকাও নেয়ার ইচ্ছা নেই দিলশাদের। কিন্তু কিভাবে এতো টাকা যোগাড় হবে? জানেনা দিলশাদ! শুধু জানে নাতাশা আবার ভালো হয়ে যাবে! সেই অসহায়ত্বের গল্প নিয়েই লেখা হুমায়ূন আহমেদের "এপিটাফ"
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের লেখনী-জাদুবিদ্যার স্পর্শ এই বইয়েও পাওয়া যায়, কিন্তু কাহিনী এবং বিষয়বস্তু বিবেচনা করে আমি লেখকের সেরার কাতারে একে রাখবো না। বারবার মনে হয়েছে, লেখাটা একটু বেশিই দুঃখবাদী। পাঠকের মনে দুঃখবোধ জাগ্রত করাকে লেখকের ব্যর্থতা বলা যায় না কোনোভাবেই, সেদিক থেকে সফল এই উপন্যাস। কিন্তু কাহিনীটায় পূর্ণতা পাইনি। গল্পটা আরেকটু এগোনোর কথা ছিল। নাতাশার কিংবা টিয়া পাখির গল্প এপিটাফ, বেশ কঠিন একটা সংগ্রামের গল্প।
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ বই - এপিটাফ লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রথম প্রকাশ - জুন, ১৯৯৫ প্রকাশক - অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠা - ৯৬ মূল্য - ২৫০ টিয়া পাখি একটি ছোট মেয়ে। টিয়া পাখি নামটি তার বাবা রেখেছে তবে এর পেছনেও কারণ আছে। তবে টিয়া পাখিকে তার মা নাতাশা বলে ডাকে। কিন্তু টিয়া পাখির টিয়া পাখি নামটাই বেশি ভালো লাগে। টিয়া পাখির মাথায় ব্রেন টিউমার হয়েছে। সেটা নিয়ে দিলশাদ অথাৎ নাতাশার মায়ের চিন্তার শেষ নেই। নাতাশাকে বাইরে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। সবার দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরতেছেন তিনি, ভিক্ষা করেতেছেন মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য। সাজ্জাদ হল টিয়া পাখির বাবা, যিনি জঙ্গলে থাকেন। কাজ- কর্ম মোটেও করেন না তবে অনেক বদ অভ্যাস আছে তার। তাই দিলাশাদের সাথে সাজ্জাদের কোনো রকম মিল থাকে না, শুধু ঝগড়া আর কথা কাটা-কাটি হয়। এগুলো টিয়া পাখি ঘুমের ভান করে শুনে আর কষ্ট পায়। তবে টিয়া পাখি অভিনয়টা ভালোই করে! ফুলির মা হলো টিয়া পাখিদের বুয়া। মজার একটা একটা চরিত্র। যে চরিত্রে তিনি দিনশেষে সকলে হাসি মূখ দেখতে যান। তবে তার কাজে তিনি কোনো রকম ফাঁকি দেন না। এছাড়াও এই গল্পে দিলশাদের আরো দুই বোন, তার দুলাভাই, মা-বাবা, ডাক্তার সাহেব মিলে অন্য রকম গল্প সৃষ্টি করেছেন। তবে টিয়া পাখির নানীজানের পান খাওয়া কিংবা হাসতে হাসতে গড়িয়ে গড়া গল্পটি করছে অসাধারণ। আর টিয়া পাখির আন্দাজ করার ক্ষমতা অসাধারণ। সে মনে যাই বলে কিংবা স্বপ্ন দেখে সেটাই সত্যি হয় যায়। যারা গল্পের বই পড়ে হাসেন, কাঁদেন কিংবা রোমান্টিক হয়ে তাদের জন্য এই বইটি। বইটি পড়ে কাঁদবেন না এমণ মানুষ হয়তো নগন্যই আছেন। হুমায়ূন আহমেদ যে একজন গল্পের অসাধারণ জাদুকর তার গল্প পড়েই বুঝা যায়। তিনি চলে গেছেন কিন্তু তার বইটি বইয়ের মাধ্যমে আমাদের কাঁদিয়ে দিলেন। এই বইয়ে মায়ে'দের যে অসাধারণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন সেটাও অকল্পনীয়। আসলে আমাদের মায়েরা এমণই হয় কিন্তু আমরা অপদার্থ বলে বুঝতে পারি না। বাস্তবে এমণটা ঘটে না তা কিন্তু নয়। বইটি পড়ার সময় কাঁদেছি আর কাঁদেছি। বিশেষ করে টিয়া পাখির লেখা চিঠি গুলো প্রচুর কাঁদিয়েছে। সত্যি কথা বলতে অসাধারণ একটি বই। কাঁদাবে তবে অনেক কিছুই শিখাবে। বইটি কাহিনী অন্তরে যেভাবে গেঁথে গেছে সেটা ঘোর কবে কাটবে কে জানে। আপনারা বইটি পড়তে পারেন। বইটি অবশ্যই আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। আর অনেক বেশি আবেগী হলে তো কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলবেন। পৃথিবী বইয়ের হোক♥
Was this review helpful to you?
or
বই: এপিটাফ লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠা: ১১৯ মূল্য: ৯০৳ প্রকাশ কাল : অন্যপ্রকাশ সংস্করণ জুন ২০০৪ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ কাহিনী সংক্ষেপ: 'এপিটাফ' মৃত ব্যক্তির সমাধিস্থলে ফলকে যে স্মৃতিকথা লেখা থাকে সেটাই এপিটাফ নামে পরিচিত। কিন্তু এ গল্পে তেমন কোন এপিটাফের উল্লেখ নাই। অাছে ১৩ বছর বয়সী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাওয়া নাতাশা অার তার সংগ্রামী মমতাময়ী মায়ের গল্প। নাতাশা, তার মা দিলশাদ, বাবা সাজ্জাদ অার কাজের বুয়া ফুলির মা এ চারজনের ছোট সংসার তাদের। ছোট পরিবার সুখী পরিবার বলে যে ধারনাটা বদ্ধমূল অামাদের মাথায়, নাতাশার জন্য তা ঠিক না। নাতাশা বয়সে ছোট হলেও বুদ্ধিতে যেন অনেকটাই পরিপক্ক, বাবা মায়ের ঝামেলা বুঝতে পেরেও নিজেকে তার থেকে অাড়াল করে রাখে। মা সারদিন অফিস অার তার চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থায় ব্যস্ত, অসুস্থ জীবনে তাই তার একমাত্র সঙ্গী ফুলির মা অার ডায়রি লেখা। ছোট ছোট খন্ডাংশে নানা ঘটনা সে তার ডায়রিতে লিখে রাখে। বাবার বেখেয়ালি উড়নচন্ডী স্বভাবের কারনে মা দিলশাদের সাথে তেমন বনিবনা হয় না। কিন্তু নাতাশা তার বাবার অন্ধভক্ত তাই বাবার অন্ধকার জগতের দিকটা মেয়ের সামনে দিলশাদ কখনো প্রকাশ করে না। মরনব্যধি মেনিনজিওমা রোগের কারনে নাতাশার অবস্থা দিনদিন অবনতি হতে থাকে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অাত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সবার কাছে পাগলের মত ছুটে বেড়ায় দিলশাদ। বিপদের সময়েই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি ভদ্রতার মুখোশও খুলে যায় অনেকের। একমাত্র মেয়ের জীবন অার নিজের সম্ভ্রম দুই পাল্লায় রেখে দ্বীধায় দোলে দিলশাদ। স্বামী সাজ্জাদের সাথে দূরত্ব তৈরি হবার কারনে একান্তে কিছু সময় নিজের কাছে থাকার কথাও মুখ ফুটে বলতে পারে না সংকোচে তাকে। সে এক কঠিন সময় দিলশাদের, এখন অার তার কোন স্বপ্ন নেই, নেই কোন অাক্ষেপ! অাছে কেবল অপেক্ষার প্রহর গোণা... নাতাশার অনিশ্চিত জীবনের, মৃত্যু কিংবা সুস্থতার। দিলশাদ কী পারবে নাতাশার জন্য টাকা জোগার করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে, কী হয় নাতাশার পরিনতি? জানতে অবশ্যই পড়তে হবে হৃদয়স্পর্শী এ বইটা। নিজস্ব মতামত: হুমায়ূন অাহমেদের গল্প মানেই ভিন্ন কিছু। অানাফ্রাঙ্কের ডায়রির মত নাতাশাও তার না বলা কথাগুলো ডায়রিতে লিখে রাখে। হয়তো তার না থাকার সময়গুলোতে এ ডায়রিটাই অনেক কথা বলে দিবে। বাবা মায়ের সেপারেসন সন্তানের উপর যে কতটা প্রভাব ফেলে অন্যান্য বইয়ের মত এখানেও লেখক সে বিষয়টা চোখে অাঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন। প্রতিটা লেখাতেই কিছু না কিছু লেখকের জীবনের প্রভাব পরে, এসব গল্পেও হয়তো তারই কোন অংশ অাছে। গল্পটা নাতাশা কেন্দ্রিক হলেও মূল চরিত্র যেন দিলশাদই ছিল। মেয়ের জীবনের জন্য যে একের পর এক ত্যাগ স্বীকার করে যায় যে। উপরে কাঠিন্যের প্রলেপ দেয়া হলেও যার ভেতর প্রতিনিয়ত দহন হয়ে যায়। নিজের দুঃখগুলো শেয়ার করার মতো যেখানে তার কেউই থাকে না পাশে। সাজ্জাদের সাথে যতটা রূঢ়ভাষীই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত সুক্ষ্মকিছু অনুভূতি যেন তাকেই কাছে পেতে চায়। তবে গল্পের নামকরণের সার্থকতা যেন নাতাশার লেখা চিঠিগুলোতে। যার প্রতিটা লাইন হৃদয়ের গভীরে অালোড়ন তোলে। মৃত্যুর পথযাত্রী কারো মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে, ভেসে ওঠে নোনা জলে ভেজা এপিটাফ। লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন অাহমেদ সম্পর্কে নতুন করে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেবার মতো কিছুই নাই। যার লেখার যাদুতে লক্ষ লক্ষ পাঠকের সৃষ্টি, সে মহান ব্যক্তিই হলেন হুমায়ূন, কাজল ডাকনামে পরিবারে বড় হলেও ভাইবোনের প্রিয় দাদাভাই নাতাশার মত একাকী কিছু রোগের সাথে বসবাস করে ১৯ জুলাই ২০১২ সকল পাঠকে কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় চলে যায়। বর্তমানে তার সৃষ্ট নন্দন কানন নুহাশ পল্লীতে যার এপিটাফ শোভা পায়! রেটিং- ৪.৫/৫ রেটিং পাঠকের একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তার ফল। তাই অন্যের রেটিং এ বই বিচার না করে নিজে বই কিনুন, বই পড়ুন। নিজের সাথে জাতিকে সমৃদ্ধ করুন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই: এপিটাফ লেখক:হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনী :অন্যপ্রকাশ ধরন: সমসাময়িক উপন্যাস/ ট্র্যাজিক রকমারি মূল্য: ১৭৬ টাকা কাহিনী সংক্ষেপ: ছোট পরিবার নাকি সুখের হয়! নাতাশার পরিবার তার মা দিলশাদ, বাবা সাজ্জাদ আর তাকে নিয়ে! না ভুল বলা হলো তাদের পরিবারে আরেকজন মানুষ আছে, ফুলির মা বুয়া! চারজনের এই পরিবার ছোট পরিবার তো বটেই! কিন্তু সুখী কি? বোধ হয় না! দিলশাদ ঢাকার এক নামীদামী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে অল্প বেতনের চাকুরী করে! দিলশাদ এখন আর স্বপ্ন দেখেনা! জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে ক্লান্ত এক মানুষী সে! সাজ্জাদ, কাঠের ব্যবসা করে! দিলশাদের সাথে তার শীতল সম্পর্ক! কোথায় যেন সুর হারিয়ে দুজন থাকে দুই শহরে! আর নাতাশা, তের বছরের ছোট্ট একটা মেয়ে মেনিনিজিওমাতে আক্রান্ত! অনেক স্বপ্ন তার! মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা তের বছরের মেয়ের জীবন বোধের গল্প এপিটাফ! একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপোড়ন, এক মায়ের সংগ্রাম, স্বপ্ন দেখা- স্বপ্ন ভাঙা আর অপেক্ষার গল্প এপিটাফ! ভালোবাসা আর ভালোবাসার মানুষের জন্য তীব্র অনুভূতির গল্প এপিটাফ! পাঠ-প্রতিক্রিয়া: বইটা এক কথায় আমার অনেক পছন্দের! প্রতিটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকা গোপন সৌন্দর্য, ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক! লেখায় অতিরঞ্জন নেই, বাড়তি কোনো বর্ণনা নেই! ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই! খুব সাধারন একটা কাহিনীকে বেছে নিয়ে অসাধারন একটা গল্প লিখেছেন লেখক! এ গল্পে জীবনের সুন্দর দিক যেমন উপস্থিত, তেমনি উপস্থিত নোংরা, কঠিন সত্য! আমার ব্যক্তিগত মত লেখকের অন্যতম ভালো বইগুলোর একটা এপিটাফ! মাত্র ১১১ পৃষ্ঠায় লেখক এমন এক গল্প লিখে গিয়েছেন যা আপনাকে ভাবাবে, কাঁদাবে, মুগ্ধ করবে আর বারবার মনে করিয়ে দেবে মানুষের অসহায়ত্ব!
Was this review helpful to you?
or
Besh valoo lagloo poree
Was this review helpful to you?
or
ভান মানে মিথ্যা, প্রিয় মানুষ গুলোকে নিশ্চিন্ত রাখতে,ভান করতে করতে কখন যে ভান টা কেই সত্যি মনে হয় মানুষ কখনোই তা বুঝতে পারেনা। মাথার ভেতর বড় হতে থাকা মটর দানাটা,নিজেকে কুচকুচে পোঁকা মনে হওয়া,নানীজানের কুটকুট হাসি,পান খেতে গিয়ে লাল রস ঠোঁট বেয়ে গরিয়ে পড়া, মৃত মানুষের মত দিলশাদ কে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা,ফুলির মায়ের আল্লাহ্ পাকের পাক্ দোহাই, বাবার টিয়াপাখি আর সাইনবোর্ডের গল্পটা আরও একবার শোনার জন্য টিয়া পাখি আমেরিকা থেকে ফিরে আসুক। নানীজানের নাতু ডাকেই টিয়া পাখি বেঁচে যাবে হয়ত। আমেরিকা যাবার আগে যার যার নাম করে রেখে যাওয়া চিঠি গুলো ওঁরা পেয়েছে কিনা আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছা করছিল, মাস দুই পর আমেরিকা থেকে হাসিখুশি চুল ঝাঁকানো একটা রঙ্গিন পুতুল আসবে নাকি কফিন ভর্তি দূর্ভাগ্য ফিরে আসবে তা লেখার জন্য হুমায়ূন স্যারের বেঁচে থাকা টা দরকার ছিল, অন্তত এপিটাফের পরিণতি লেখার জন্য স্যারের কাছে চিঠি পাঠানোর একটা উপায় তো থাকতো...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই- এপিটাফ লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-১১৯ মূল্য-২০০ প্রকাশনী-অন্যপ্রকাশ এপিটাফ। মৃত ব্যক্তির কবরের পাশের লিখিত এক স্মৃতিস্তম্ব। গল্পটা কোন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে নয়। তবে একটু একটু করে মৃত্যুর দোয়ারে এগিয়ে যাওয়া ১৩ বছরের এক কিশোরী মেয়ের গল্প। তার নাম নাতাশা।এই নামটি তার পছন্দ নয়। তার পছন্দের নাম টিয়া। কিন্তু তার মা তাকে নাতাশা বলেই ডাকেন। সে মনে মনে রাগ হলেও ভান করে যেন এই ডাক শুনে সে খুব খুশি হয়েছে। বইটা তারই আত্নকথা। তার ভানের গল্প। মা দিলশাদ আর বাবা সাজ্জাদ। অন্যান্য বাবা মায়ের মতো তাদের মধ্যকার সম্পর্কটা স্বাভাবিক নয়। সে কারনেই দুজনের দিক দুটো হয়ে গেছে। কিন্তু নাতাশা তার মায়ের কাছেই থাকে। একজন মায়ের কাছে সব থেকে দামী হয় তার সন্তান। দিলশাদের কাছেও নাতাশা ভিন্ন কিছু নয়। মানুষের অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে। কিন্তু দিলশাদের এখন আর কোনো বড় স্বপ্ন নেই। তার সব স্বপ্নই ছোট ছোট। অথচ একসময় সে খুব স্বপ্ন দেখত। রুমের পাশের তার বারান্দাটা সে স্বপ্ন দেখার জন্যেই সাজিয়েছিল। এই বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে নানা কিছু ভাবতে ভালো লাগত তার। আর আজ, বারান্দা তার আগেই মতোই আছে, কিন্তু ভেতর থেকে বদলে গেছে শুধু দিলশাদ । দিন পাল্টে গেছে। স্বপ্ন দেখার বারান্দায় এখন সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অপেক্ষা করে। স্বপ্নের জন্যে নয়, একটা পরিপূর্ণ ঘুমের জন্যে। তার চোখের মনি নাতাশা যে তারই চোখের সামনে শুকিয়ে এতটুকু হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে যন্ত্রনায় কুকড়ে যায়। মা হয়ে তার মেয়েকে রক্ষা করা উচিৎ। কিন্ত, তাকে সুস্থ করতে যে অনেক টাকা দরকার! কোথায় পাবে সে এগুলো। নাতাশার বাবার সাথে দিলশাদের কোন যোগাযোগ নেই। নাতাশার ব্যপারে মোটেও সে সাজ্জাদের কাছে সাহায্য চাইবে না। কিন্তু কিভাবে সম্ভব! আর কি উপায় হতে পারে! বইয়ের নাম দেখেই একটা আতংক কাজ করে। না জানি কার কি হলো। শুরুর পৃষ্ঠার থেকেই শোক একটু একটু ঘিরে ধরতে থাকে। একজন মায়ের অসহায়ত্ব, একটা কিশোরী মেয়ের বেঁচে থাকার প্রত্যাশা, একজন মায়ের তাকে বাঁচিয়ে তোলার সে কি চেষ্টা। নাতাশা জানে পৃথিবীতে তার সময় খুবই অল্প। হাতে গোনা কয়েকটা দিন। যা তারই জন্য নির্ধারিত। চাইলেও সে স্বাভাবিক হতে পারবে না। সে সবার থেকেই আলাদা। তাকে ঘিরে তার ভালোবাসার মানুষ গুলোর কষ্ট সে সবই বুঝতে পারে। সকল অসাহায়ত্ব নিজের মধ্যে নিয়ে আলাদা গন্ডি তৈরি করে, সেখানে বলে যায় তার সকল কথামালা। তার সকল চাওয়া পাওয়া, সকল স্বপ্ন আর স্বপ্ন পূরণের গল্প। তার সকল যন্ত্রনা। সে যে সব কিছু জানে, সব কিছু বুঝে তা সে আড়াল করে রাখে। কাউকে জানতে বা বুঝতেও দেয় না। একটা চাপা কষ্ট নিয়ে পাতার পর পাতা উল্টাতে হয়। ক্ষীন একটা প্রত্যশা থাকে, লেখক এবার বোধহয় যন্ত্রনার শেষ দেখাবেন। এর পরের পৃষ্ঠায় মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কোথাও কোন দুঃখবোধ নয়। ভালো হয়ে যাবে নাতাশা। ভালো থাকবে দিলশাদ। সেই সাথে আমিও। তৃপ্তির একটা হাসি দিয়ে বইটা উল্টে দিবো! হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টির এক নিষ্টা ভক্ত আমি। খুব সহজেই তার কলমের কালো কালির অক্ষর গুলো আমাকে কাঁদিয়ে ফেলে। বড় জোর চোখের পানি আটকে রাখতে পারি। কিন্তু তীব্র কষ্টের চাপে গলা ব্যথাটাকে কখনো এড়িয়ে যেতে পারি না। এতো আবেগপ্রবন হওয়া বোধ হয় উচিৎ নয়।কিন্তু চিত্র গুলো আমি এমন ভাবে অনুভব করি। মনে হয় আমি নিজেই এসবের একজন। সব কিছুর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। শুধু ফেলি না ফেলতে বাধ্য হই। নাতাশার মুহূর্ত গুলো দিলশাদের অবস্থা আমাকে কোনঠাসা করে দেয়। এর সকল কৃতিত্ব লেখকের নিজের। এমন একটা কাহিনীর, নাতাশার নিজের হাতের লেখায় এরকম বর্ণনা, খুব সহজেই পাঠকে ছুঁয়ে যাবে। পড়ার সময় পাঠকের মনে হবে খুব কাছের কারো ডায়েরী পড়ছি। একজন মায়ের সন্তানের প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসার গল্প। রোটিং-৪.৫/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/49997/এপিটাফ
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃএপিটাফ লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্যপ্রকাশ মূল্যঃ২১৩ টাকা হুমায়ূন আহমেদের আনুমানিক ৩০টির মতো উপন্যাস পড়েছি এর মধ্যে এপিটাফ বইটির গল্প আমার সবচেয়ে প্রিয় কারণ গল্পগুলো হুমায়ূন আহমেদের কাহিনীগুলো শুধু কাহিনী নয় যেন চির জীবন্ত! এপিটাফ এমনি একটি বই যা আমাকে কাদিয়ে ছেড়েছে।এই বইটি একটি অনুপ্রেরণা মূলক বই। এই বইটি পড়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবে। আর যারা বাঁচবেই না তারা মৃত্যুকে গ্রহণ করবে অসীম সাহসিকতায়। কে জানে তার সাহস দেখে হয়তো মৃত্যুও লজ্জা পেয়ে যাবে!বইটির অন্যতম প্রধান চরিত্র নাতাশা। মাত্র ১৩ বছর বয়স। মেয়েটি একটি মরণব্যাধির সাথে লড়াই করে। কিন্তু বইটিতে উল্লেখিত তার দৃষ্টিভঙ্গি, আবেগ, চিন্তাশীলতা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ শুধু নয়, অনেকক্ষেত্রে মানুষের মত। সেসব পাঠক যাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভাল লাগে আমার অনুরোধ বইটি অবশ্যই পড়বেন আর বুঝতে পারবেন কত অসাধারণ একটি লেখা এতদিন দৃষ্টির আড়ালে ছিল।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হূমায়ুন আহমেদের শ্রেষ্ঠ বই। এই প্রথম কোন বই পড়ে এতোটা খারাপ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
একজন নারীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জিনিস কি? হয়ত তার সম্ভ্রম। কিন্তু একজন মায়ের কাছে? সম্ভ্রম নাকি সন্তান?? নাতাশা ১৩ বছর বয়সি একটি মেয়ে। খুব জটিল রোগে আকান্ত্র। মেনিনজিওমা। রোগের কারনে নাতাশার শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। যখন রোগ এটাক করে তখন প্রচন্ড মাথা যন্ত্রনার সাথে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে। নাতাশার মা দিলশাদ। নাতাশার বাবা সাজ্জাদের সাথে তার বনাবনি হয় না। ফলে সাজ্জাদ দিলশাদের সাথে থাকে না। নাতাশার এই ভয়াবহ রোগের কথা সাজ্জাদকে বলে নি দিলশাদ। সে একাই মেয়ের চিকিৎসা করবে। আমেরিকায় পাঠাবে চিকিৎসার জন্য। প্রচুর টাকার দরকার দিলশাদের। টাকা পাবে কোথায় সে? কে দিবে এত টাকা? স্বপ্ন দেখতে খুব পছন্দ করতো দিলশাদ। যেই বারান্দায় বসে স্বপ্ন দেখতো সেই বারান্দায় বসে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু ঘুমাতে চেষ্টা করে সে। পরিচিত-অপরিচিত সকলের কাছে গিয়ে হাত পাতে কিছু টাকার জন্য। আর নাতাশা? নাতাশা জানে সে আর বেশিদিন বাচবে না। তাই সে আনা ফ্রাঙ্কের মত ডায়েরি লেখে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ সাধারনত সব বইয়ে কিছুদুর পড়ার পরে ট্রাজেডি শুরু হয়। কিন্তু এপিটাফ ভিন্ন। বইয়ের প্রথম পাতা থেকেই এত কষ্ট যে পুরো বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল কেউ বুকে ভারি কিছু চাপা দিয়ে রাখছে। শেষে এসে আর চাপা থাকতে পারে নাই। চোখ থেকে তরল হয়ে বের হয়ে গেছে। পড়তে পড়তে নাতাশার পরিবারের একজন হয়ে গেছিলাম। দিলশাদের কষ্টে কষ্ট পেয়েছি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে বরাবরের মততই কিছু বলবো না। তার লেখা বিশ্লেষন করার যোগ্যতা আমার নাই। তবে এপিটাফ পড়ার পর তার প্রতি শ্রদ্ধায় আরও একবার মাথা নিচু করে ফেললাম। "স্যার, আপনি সত্যিই অতুলনীয়"