User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"ফ্রিয়ন" বইটাতে ৩টি সায়েন্স ফিকশন রয়েছে। প্রথম সায়েন্স ফিকশন "ভয়ংকর অনুনাদ" ভালো লেগেছে। পরের দুইটা তেমন ভালো লাগেনি। আর শেষেরটা পড়ে বিরক্ত লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
পার্বত্য এলাকায় জোরদার ভূমিকম্প হয়েছে! কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। টিভির সব চ্যানেলে ঘুরছেন আশরাফ সাহেব, মন অস্থির। ছেলে ধ্রুব থাকে চট্টগ্রামে। ভূমিকম্পের পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। উদ্বিগ্ন বাবার জানা নেই, ভূমিকম্পটা ঘটিয়েছে ধ্রুব নিজেই! এদিকে পৃথিবী থেকে অনেক আলোকবর্ষ দূরে এক গ্রহে মানুষ বাস করছে মহাআতংকে। সেই আতংক নিয়ে আলোচনা তো পরের কথা, কল্পনায় আনলেও চুড়ান্ত শাস্তিভোগ করতে হয় তাদের। বিজ্ঞানী গারাদ প্রত্যেকের মাথায় বসিয়ে দিয়েছে আইসি, নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের চিন্তাভাবনা। ত্রাসের রাজত্ব চুরমার করতে যুদ্ধ ঘোষণা করলো সুরি আর ক্রল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আত্মহত্যার বীজ। অজানা এক হতাশা আর বিষন্নতায় নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে মানুষ। জারিফের বোন মীমও আক্রান্ত এই রোগে। জারিফকেও পেয়ে বসছে অস্থিরতা। বৈচিত্র্যময় তিনটি গল্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সংকলন আসিফ মেহদীর 'ফ্রিয়ন'। লেখককে চিনেছিলাম তাঁর রম্যলেখার মাধ্যমে, এবার সায়েন্স ফিকশন পড়ে চমকিত হলাম। লেখকের রসবোধের কিছুটা রেশ পাওয়া যায় প্রথম গল্প 'ভয়ংকর অনুনাদ'-এ। রসকষহীন ধ্রুব আর তূবার প্রেমের বোঝাপড়াটা এই গল্পের প্রিয় অংশ। তবে গল্পটির পরিণতি মনমতো হয়নি, মারণাস্ত্র ঝোপেঝাড়ে ফেলার ফলাফল কী হতে পারে ভেবে চিন্তিত বোধ করেছি। গল্পগুলো 'ন্যানো' হওয়ার কারণেই হয়তো, বিজ্ঞানী গারাদের চরিত্রটি ঠিক বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেল না। দ্বিতীয় গল্পে তার ভয়ংকরত্ব ফুটিয়ে তুলতে আরো দু এক ছত্র পেলে বেশ হতো। তবে এই গল্পের মাথার ভেতরে চেপে বসা আইসির চাপ নিজেও কিছুটা অনুভব করছিলাম। সেই আতংকটা ফুটিয়ে তুলতে লেখক সার্থক। 'ফ্রিয়ন' ব্যতিক্রমী একটি গল্প। মহাকাশের অধিবাসীদের সবসময় শত্রুরূপে চিত্রিত না করে, সহযোগী ভাবার ভিন্নতাটা ভালো লেগেছে। লেখক নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায়, তাঁঁর গল্পের বৈজ্ঞানিক ব্যাখাগুলো সহজ কিন্তু নিশ্ছিদ্র। নামকরণগুলো ভালো লেগেছে, 'গোগ্রাস আগ্নেয়গিরি' পড়লেই একটা চিত্র ফুটে উঠে চোখের সামনে। বইটিতে পাতায় পাতায় যত্নের ছাপ তৃপ্তিদায়ক। ছাপার ভুল নেই একেবারেই। অবসরে হাতে নিয়ে চট করে পড়ে ফেলার মতোই চমৎকার এই বইটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
জোরদার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। আশরাফ সাহেব প্রচন্ড অস্থির হয়ে আছেন। ছেলে ধ্রুব'র খোঁজ পাননি এখনো। উদ্বিগ্ন বাবার জানা নেই, ভূমিকম্পটা ঘটিয়েছে ধ্রুব নিজেই! পৃথিবী থেকে অনেক আলোকবর্ষ দূরে এক গ্রহে মানুষ বাস করছে মহাআতংকে। বিজ্ঞানী গারাদ নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের চিন্তাভাবনা। ত্রাসের রাজত্ব চুরমার করতে যুদ্ধ ঘোষণা করলো সুরি আর ক্রল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আত্মহত্যার বীজ। অজানা এক বিষন্নতায় জীবন শেষ করে দিচ্ছে মানুষ। জারিফের বোন মীমও আক্রান্ত এই রোগে। জারিফকেও পেয়ে বসছে অস্থিরতা। লেখককে চিনেছিলাম তাঁর রম্যলেখার মাধ্যমে, এবার সায়েন্স ফিকশন পড়ে চমকিত হলাম। লেখকের রসবোধের কিছুটা রেশ পাওয়া যায় প্রথম গল্প 'ভয়ংকর অনুনাদ'-এ। রসকষহীন ধ্রুব আর তূবার প্রেমের বোঝাপড়াটা এই গল্পের প্রিয় অংশ। তবে গল্পটির পরিণতি মনমতো হয়নি, মারণাস্ত্র ঝোপেঝাড়ে ফেলার ফলাফল কী হতে পারে ভেবে চিন্তিত বোধ করেছি। দ্বিতীয় গল্পে বিজ্ঞানী গারাদের ভয়ংকরত্ব ফুটিয়ে তুলতে আরো দু এক ছত্র পেলে বেশ হতো। তবে তার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করার আতংকটা পাঠকের মাথায়ও লেখক চাপিয়ে দিয়েছেন সার্থকভাবে। 'ফ্রিয়ন' ব্যতিক্রমী একটি গল্প। মহাকাশের অধিবাসীদের সবসময় শত্রুরূপে চিত্রিত না করে, সহযোগী ভাবার ভিন্নতাটা ভালো লেগেছে। লেখক নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায়, তাঁঁর গল্পের বৈজ্ঞানিক ব্যাখাগুলো সহজ কিন্তু নিশ্ছিদ্র। বইটিতে পাতায় পাতায় যত্নের ছাপ তৃপ্তিদায়ক। ছাপার ভুল নেই। অবসরে হাতে নিয়ে চট করে পড়ে ফেলার মতো চমৎকার এই বইটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: ফ্রিয়ন; লেখক: আসিফ মেহ্দী; ধরন: সায়েন্স ফিকশন। ২০৩৭ সাল। পৃথিবী জুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে আত্মহননেরর প্রবণতা। সুন্দর,স্মার্ট,হাসিখুশি যুবক, সুন্দরী গায়িকা, একে একে সবাই বেছে নিচ্ছে আত্মহননের পথ। আচ্ছা,এগুলো কি সাধারণ আত্মহত্যা? নাকি এটা কোনো মহাজাগতিক ষড়যন্ত্র যা মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে আত্মহত্যার দিকে? কি এর আসল রহস্য? অন্যদিকে আজ বাংলাদেশে ছোটখাটো একটা ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পের কারণ কি জানেন? ধ্রুবের আবিষ্কৃত একটা যন্ত্র। ধ্রুব কাউকে বলেনি এই কথা শুধু মাত্র তূবা কে ছাড়া। ধ্রুবের কথা তূবা অবাক হয়। কারণ এই আবিষ্কারের দ্বারা ভালোর চেয়ে খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ই বেশি।সে ভাবে ধ্রুবের কথা যদি সত্য হয়,তাহলে এখন তাদের কি করা উচিত? অনেকের অনেক শখ। কারো বই পড়া,কারো বাগান করা,কারো বা স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা। কিন্তু জারিফের আগ্রহ এলিয়েন নিয়ে। সর্বদা তার একটাই চেষ্টা। সেটা হলো এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করা। এদিকে তার বোন মীম বিচিত্র এক রোগে আক্রান্ত। একদিন হঠাৎ লিফটের ভেতর জ্ঞান হারায় জারিফ। জ্ঞান ফেরার পরর সে নিজেকে আবিষ্কার করে অন্য একটি গ্রহে। আর তার হাতে আছে কি জানেন? "ফ্রিয়ন।"
Was this review helpful to you?
or
'রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ' রিভিউ নং-৩ বইয়ের নাম: ফ্রিয়ন। লেখক: আসিফ মেহ্দী। পৃষ্ঠা : ৬৩ . ছোটবেলা থেকেই কোলাহল সহ্য করতে পারেনা ধ্রুব। মানুষ হিসেবে কিছুটা আঁতেল,বইপাগল ধরনের।সে এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করে যেটা দিয়ে মুহূর্তেই ভয়াবহ ভূমিকম্প সৃষ্টি করা যায়। যা প্রকাশিত হলে ধ্রুবর জন্য হুমকির কারন হতে পারে।বিপদে পড়ে যায় ধ্রুব।তারপর কি হয়েছিলো? বিজ্ঞানী গারাদের ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের কব্জায় পড়া সবুজে ভরা বিপন্ন গ্রহকে উদ্ধার করার জন্যে মিশন শুরু করে কমান্ডার প্যারো, ক্রল এবং সুরি। তারা কি পেরেছিল গারাদের ষড়যন্ত্র থেকে গ্রহটি উদ্ধার করতে?ভালো ও মন্দের লড়াইয়ে জয় লাভ করতে? জারিফের আদরের ছোট্ট বোন মীম বিচিত্র ও অজানা অসুখের উপসর্গ নিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আরো আছে এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর ভয়াবহ কিছু সমস্যা। কি তার সমাধান?জারিফ কি পারবে তার বোনকে বাঁচাতে? . ফ্রিয়ন পাঠক নন্দিত লেখক আসিফ মেহ্দীর লেখা জনপ্রিয় ছোট কলেবরের সায়েন্স ফিকশন বই।বইটিতে তিনটি গল্প রয়েছে। লেখকের সহজাত বৈশিষ্ট্য হল হাস্যরস সৃষ্টি করা। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি সেই সাথে প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন।বানানে কোনো ভুল নেই। লেখক ইচ্ছা করলে বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ এবং ফ্রিয়ন ফিকশন দুইটির কলবর আরো দীর্ঘ করতে পারতেন। তাহলে হয়তো শুরু করার পর হঠাৎ শেষ হয়ে গেছে এই অনুভূতি টা থাকতোনা। সব শেষে বলবো প্রেম,এ্যাডভেঞ্চার,রোমাঞ্চ, সব কিছুর স্বাদ পেয়েছি বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
মাত্র শেষ করলাম বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী ' ফ্রিয়ন। ' মোট তিনটি সুন্দর গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। যেন একটি তোড়ায় তাজা তিনটি গোলাপ। মহাজ্ঞানী যুবক ধ্রুবর অনন্য এক আবিস্কারের গল্প ভয়ঙ্কর অনুনাদ । যে আবিস্কার সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। অথচ সবাই জানে সে একটু বোকা। ধ্রুবকে ভালবাসে 'তূবা'। মিষ্টি এই মেয়েটিকে দেখলেই তার হার্ট কয়েকটা ' বিট ' মিস করে। আজ বাংলাদেশে ছোটখাটো একটি ভূমিকম্প হয়েছে। ধ্রুব ' তুবাকে " জানায় ভূমিকম্পের মূল কারণ তার একটি আবিষ্কার। চমকে ওঠে তূবা, সত্যিই যদি এমন হয় তাহলে ভালর চাইতে মন্দ কিছুও ঘটে যেতে পারে। তাই সে ধ্রুব'কে বলে তার আবিষ্কার নষ্ট করে ফেলতে।কি করবে ধ্রুব? - ২০৩৭ সাল। পৃথিবী জুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সুন্দর হাসিখুশি যুবক, দেশ সেরা গায়িকা । একে একে সবাই বেছে নিচ্ছে মৃত্যুর পথ। আচ্ছা এগুলো কি সাধারণ আত্মহত্যা ! নাকি চুপিসারে মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেউ ! এগুলো কোন মহাজাগতিক ষড়যন্ত্র নয়তো? মানুষের যেমন শখ বাগান করা, বই পড়া। জারিফের আগ্রহ ' এলিয়েন নিয়ে। সবসময় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করবার। তার একমাত্র বোন মীম 'কে সবসময় বন্দী করে রাখা হয়। বিচিত্র এক অসুখ মীমের। লিফটের মাঝে জ্ঞান হারায় জারিফ। জ্ঞান ফেরার পরে নিজেকে আবিস্কার করে অন্য একটি গ্রহে। আজ তার হাতে আছে ' ফ্রিয়ন। ' জারিফ কি পারবে তার বোন সহ পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়াতে?
Was this review helpful to you?
or
"ফ্রিয়ন" সম্পুর্ণ ভিন্ন ধাঁচের তিনটি কল্পবিজ্ঞান গল্পের সংকলন। "সম্পুর্ণ ভিন্ন" বললাম এই জন্যে যে, গল্পত্রয়ের কাহিনী তো বটেই, ভাষাগত, চারিত্রিক এবং লিখনশৈলীর বৈচিত্র্যও বেশ স্পষ্ট। তবে তিনটি গল্পেরই ঘটনার ছন্দময় গতিময়তা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে; কোনো গল্পেই কাহিনীর এগিয়ে নেওয়ার অধিক তাড়াহুড়ো কিংবা ধীরতা পরিলক্ষিত হয়নি। এছাড়া সাইন্সফিকশন হয়েও গল্পগুলো যেন সাইন্সফিকশন থেকেও বেশি কিছু। প্রথম গল্প "ভয়ংকর অনুনাদ"। গল্পটিতে চিরায়ত কল্পবিজ্ঞানকে ছাপিয়ে প্রকাশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব এবং তূবার রোম্যান্টিক সম্পর্ক। অনুনাদি বাঁশির মতো ভয়ঙ্কর ক্ষমতাশালী আবিষ্কারের পরেও তূর্যের স্বভাবসুলভ ধীরতা আমাকে অবাক করে; এবং ধ্রুব ও তূবার অকৃত্রিম ভালোবাসা আমাকে অভিভূত করে। তবে নায়কের আচরণ এবং স্বভাব যেন একটু বেশিই অসংলগ্ন হয়ে গেছে। পরের গল্প "গারাদের ত্রাসের জগৎ"কে আগাগোড়া নিখাঁদ সাইন্সফিকশন বলতে আমার আপত্তি নেই। একটি অসম্ভব সুন্দর গ্রহের আড়ালে সেখানকার বাসিন্দারা যে অব্যক্ত কষ্টে আর পরাধীনতার মধ্যে আছেন তা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন খুব সুন্দর এবং সরল বর্ণনার মধ্যে। এর সঙ্গে রয়েছে কমান্ডার প্যারো, সুরি এবং ক্রলের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান। মোট কথা, এটি একটি থ্রিলার সাইফাই। শেষ গল্পটি " ফ্রিয়ন"। গল্পে মানুষজন এক রহস্যময় অনিরামেয় রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। এতে তাদের মধ্যে তৈরি হয় আত্মহত্যার প্রবণতা। গল্পের নায়ক জারিফের বোনও আক্রান্ত এই বিশ্রী রোগে৷ এদিকে জারিফকে তুলে নিয়ে যায় ভীনগ্রহীরা, বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। গল্পের শুরুটা বেশ ধীরলয়ে হলেও কেন্দ্রীয় চরিত্রের আগমন ঘটেছে আকস্মিক ভাবে। এবং গল্পের শেষটাও আশানুরূপ হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক আসিফ মেহ্দী।তাঁর প্রকাশিত সায়েন্স ফিকশন বই দুইটি।ফ্রিয়ন তাঁর প্রকাশিত প্রথম সায়েন্স ফিকশন।বইটি মূলত তিনটি সায়েন্স ফিকশন গল্পের সমন্বয়।গল্প ৩টি হল-ভয়ংকর অনুনাদ,বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ এবং ফ্রিয়ন।৩টি গল্প তিন স্বাদের।ভিন্ন ভিন্ন মজার কাহিনীর। প্রথম গল্পটির নাম ভয়ংকর অনুনাদ। এ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য হল বিজ্ঞানের অতি সাধারণ একটি ঘটনা-অনুনাদ।অথচ এই অতি সাধারণ ঘটনাটাই কতটা অসাধারণ আর অস্বাভাবিক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটাতে পারে সেটাই গল্প বলার ছলে এই গল্পে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।চট্টগ্রামের একটি পাহাড় ঘেরা অভিজাত এলাকা খুলশী।কাহিনীর কেন্দ্রস্থল এই খুলশীই।গল্পের মূল নায়ক ধ্রুব।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূ-তত্ত্ববিদ্যায় মাস্টার্স করেছে সে।সবসময় পৃথিবীর নানা রকম জিনিস নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সে।গবেষণায় প্রচুর আগ্রহ।সে ভালবাসে তূবা নামের একটি মেয়েকে।তূবাও তাকে ভীষণরকম ভালবাসে।কিন্তু এই ভালবাসার কথা কারোওএকে অন্যকে বলা হয়নি। ধ্রুব তূবাকে ভালবাসলেও তাঁর কেন যেন এই ভালবাসার প্রতি ততটা মনোযোগ নেই।সে শুধু তার অবচেতন মনে অনুভব করে যে সে তূবাকে ভীষণ ভালবাসে।অনেকটা পাগল গোছের এই ছেলেটাই তার নিরন্তর গবেষণা দিয়ে আবিষ্কার করেছে এক ভয়াবহ যন্ত্র।সে যন্ত্রের এক ভয়াবহ প্রয়োগে সারা দেশবিচলিত।ঘটে গেছে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প।যার কারণ উদঘাটনে চ্যানেলে চ্যানেলে টকশো,নানাবিধ তর্ক বিতর্ক।কিন্তু আসল কারণ কারও জানা নেই।কারও জানা নেই সাধারণের মাঝে মিশে থাকা এক অসাধারণ তরুণের কথা,তার অনন্য সাধারণ এক আবিস্কারের কথা।গল্পের আরও একটি অংক –তূবা আর ধ্রুব'রপ্রেমের রসায়ন।তাদের অব্যক্ত প্রেমের গল্প আর প্রেমের নায়ক-নায়িকার এক অসাধারণ আবিষ্কার আর কীর্তির এবং বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর বিষয় অনুনাদের নানাদিক নিয়ে এগিয়ে গেছে ভয়ংকর অনুনাদ গল্পের কাহিনী। গল্পের সাথে রয়ে যাবে তাই পাঠকের রোমাঞ্চও! দ্বিতীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মূলক গল্পটির নাম ফ্রিয়ন। গল্পটি একটি গ্রহ কে নিয়ে। শান্ত আর নিরিবিলি একটি গ্রহ। সবুজে ভরা সুশীতল গ্রহটি যেন নিরব থাকা এক আপাদমস্তক দগ্ধ মানুষের প্রতিচ্ছবি। যার নিজের মুখে কোন আর্তচিৎকার নেই। কিন্তু তার পুরোটা শরীর প্রতিনিয়ত জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই গ্রহটিও তাই। গ্রহের মানুষগুলো গারাদ নামের একজন বিজ্ঞানীর হাতের কব্জায়। তারা মারাত্মক রকম পরাধীনতা নিয়ে জীবনযাপন করে। কিন্তু সেই পরাধীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিন্তা করার অধিকারটুকুও তাদের দেওয়া হয়নি। তবে তাদের আশার আলো নিভে যায়নি। তাদের মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার অর্জনের জন্য নীরবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে একদল মহৎ মনের মানুষ। এই ভালো খারাপের ভয়াবহ এক যুদ্ধের গল্পের নামই ফ্রিয়ন। তৃতীয় সায়েন্স ফিকশন গল্পটি বইটির নাম গল্প। গল্পের বিষয়বস্তু জারিফ নামের এক ছেলেকে কেন্দ্র করে। সাথে আছে এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর ভয়াবহ কিছু সমস্যা। আছে জারিফের বোনের আজব এক রোগ যা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মহাজাগতিক এসব সমস্যার সমাধান কিভাবে হল জারিফ আর ভিনগ্রহের কিছু প্রাণীকে সাথে নিয়ে তারই এক সুন্দর গল্প ফ্রিয়ন। পরিশেষে বলা যায়, গল্প ৩টি পাঠককে সত্যিকার অর্থেই এক অন্যরকম সায়েন্স ফিকশনের জগতে নিয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
ন্যানো ভাই এর লেখনী শক্তির কথা কি আর এই ছোট্ট পরিসরে লিখে বোঝানো যাবে ? তারপর ও সুযোগ যখন পেয়েছি দুইলাইন লেখার তবে হেলায় হারাবো কেন ! এই আসিফ মেহদী আর রকমারী'র কাছে আমার আর আমার বন্ধুদের ঋণ আসলে অনেক বেশী ফেসবুকে তার নিত্য-নতুন কাব্য পড়তে পড়তেই আমরা কবে নিজেরাও কবির খাতা নাম লিখিয়ে ফেলেছি টের ই পাইনি ;) চট্টগ্রামে থাকি সেই সুবাদে ঢাকার বইমেলায় উন্মোচিত বইগুলো পেতে অনেক বেগ পেতে হতো তবে পরে রকমারী এর সৌজন্যে সেই কষ্ট ও অনেকাংশে লাঘব হয়েছে তবে এওকটা অসুবিধা এখন ও আছে দেরীতে হাতে পাওয়া :( কবি আসিফ ভাই দীর্ঘজীবি হোন আর শত বর্ষজীবি হোক তার কলমের লেখা এই কামনায় ইমরান
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয়, পাঠকনন্দিত, সম্ভাবনাময় তরুণ লেখক আসিফ মেহ্দী রচিত দ্বিতীয় গ্রন্থ ফ্রিয়ন। এখানে সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচের তিনটি সায়েন্স ফিকশান গল্প সংকলিত হয়েছে। গল্পগুলো হল ভয়ংকর অনুনাদ, বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ এবং ফ্রিয়ন। আসিফ মেহ্দীর সহজাত বৈশিষ্ট্য হল হাস্যরস সৃষ্টি করা। এই তিনটি সায়েন্স ফিকশান গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। এই কারণে মূলত সায়েন্স ফিকশান হলেও এই গল্পগুলো পাঠককে নিখাদ আনন্দ দেবে। পাঠক এই বই পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই হেসে উঠবেন। আর কখনও কখনও মনে হবে গল্পগুলো তো আমার জীবন থেকেই নেয়া। এই গল্পগুলোর কাল্পনিক অংশটুকু বাদ দিলে বাকিটা এমনই জীবনঘনিষ্ঠ। প্রথম গল্প ভয়ংকর অনুনাদ কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব, বইপাগল-রসকষহীন একটা ছেলে। এই ধ্রুব প্রথম দেখাতেই তূবা নামের একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। তারপর নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোতে থাকে। হঠাৎ করেই কাহিনীতে একটা নাটকীয় মোড় আসে। ধ্রুব অনুনাদী বাঁশি নামের একটি যন্ত্র আবিস্কার করে যেটা দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই ভয়ংকর ভূমিকম্প সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু ধ্রুব এখন এই যন্ত্র দিয়ে কি করবে? এই যন্ত্রের আবিস্কারের ব্যাপারটি যদি প্রকাশিত হয়ে পড়ে তাহলে সেটা ধ্রুবর জন্যে হুমকির কারণও হতে পারে। আর তূবাই বা কিভাবে ধ্রুবকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে? জানতে হলে আপনাকে ভয়ংকর অনুনাদ গল্পটি পড়তে হবে। বইটির দ্বিতীয় গল্পটি হল বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ। এই গল্পের শুরুতে একটা ছায়া-সুনিবিড় গ্রহের বর্ণনা আছে। কিন্তু এই গ্রহেই বিজ্ঞানী গারাদ এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ছক আঁকে। আর তখন বিপন্ন গ্রহটিকে গারাদের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্যে মিশন শুরু করে কমান্ডার প্যারো, ক্রল এবং সুরি। তারা বিজ্ঞানী গারাদের অপারেটিং সিস্টেম আথ্রাক্স অকেজো করার জন্যে লিনাক্সের একটা কমান্ড ব্যবহার করে। এভাবেই অভিযান চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা গারাদের এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে পেরেছিল কিনা তা জানার জন্যে পাঠককে বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগত গল্পটি পড়তে হবে। এই সংকলনের শেষ গল্প ফ্রিয়ন আমার ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে। গল্পের দুই প্রধান চরিত্র জারিফ ও মীম। জারিফের বোন মীমের কঠিন অসুখ। অজানা এই অসুখের উপসর্গগুলো খুবই বিচিত্র ও ভয়াবহ! দেশ-বিদেশের কোনো ডাক্তারই এই মারাত্মক রোগের কারণ খুঁজে পাননি। জারিফও জানে যে তার বোনের মৃত্যু অনিবার্য। তবুও সে আশা ছাড়েনি। জারিফ কি পারবে তার আদরের ছোট্ট বোন মীমকে বাঁচাতে? এই প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্যে পাঠককে প্রথমে জানতে হবে ফ্রিয়ন কী। এই অসাধারণ সায়েন্স ফিকশান গল্পটি আশা করি সবার ভাল লাগবে। আসিফ মেহ্দীর বিজ্ঞানের ছাত্র হবার কারণেই বোধহয় তাঁর লেখা সায়েন্স ফিকশান গল্পগুলো প্রায় সময়ই বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্যগুলোর খুব কাছে থেকেই লেখা হয়। যা গল্পগুলোকে আরও সুপাঠ্য করে তোলে। ফ্রিয়ন বইটি প্রকাশিত হয়েছে শুভ্র প্রকাশ থেকে আর বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সবার প্রিয় আহসান হাবীব স্যার। যারা বইটি এখনও পড়েন নি তারা আশা করি পড়ে ফেলবেন।
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয়, পাঠকনন্দিত, সম্ভাবনাময় তরুণ লেখক আসিফ মেহ্দী রচিত দ্বিতীয় গ্রন্থ ফ্রিয়ন। এখানে সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচের তিনটি সায়েন্স ফিকশান গল্প সংকলিত হয়েছে। গল্পগুলো হল ভয়ংকর অনুনাদ, বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ এবং ফ্রিয়ন। আসিফ মেহ্দীর সহজাত বৈশিষ্ট্য হল হাস্যরস সৃষ্টি করা। এই তিনটি সায়েন্স ফিকশান গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। এই কারণে মূলত সায়েন্স ফিকশান হলেও এই গল্পগুলো পাঠককে নিখাদ আনন্দ দেবে। পাঠক এই বই পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই হেসে উঠবেন। আর কখনও কখনও মনে হবে গল্পগুলো তো আমার জীবন থেকেই নেয়া। এই গল্পগুলোর কাল্পনিক অংশটুকু বাদ দিলে বাকিটা এমনই জীবনঘনিষ্ঠ। প্রথম গল্প ভয়ংকর অনুনাদ কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব, বইপাগল-রসকষহীন একটা ছেলে। এই ধ্রুব প্রথম দেখাতেই তূবা নামের একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। তারপর নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোতে থাকে। হঠাৎ করেই কাহিনীতে একটা নাটকীয় মোড় আসে। ধ্রুব অনুনাদী বাঁশি নামের একটি যন্ত্র আবিস্কার করে যেটা দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই ভয়ংকর ভূমিকম্প সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু ধ্রুব এখন এই যন্ত্র দিয়ে কি করবে? এই যন্ত্রের আবিস্কারের ব্যাপারটি যদি প্রকাশিত হয়ে পড়ে তাহলে সেটা ধ্রুবর জন্যে হুমকির কারণও হতে পারে। আর তূবাই বা কিভাবে ধ্রুবকে এই বিপদ থেকে বাঁচাবে? জানতে হলে আপনাকে ভয়ংকর অনুনাদ গল্পটি পড়তে হবে। বইটির দ্বিতীয় গল্পটি হল বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ। এই গল্পের শুরুতে একটা ছায়া-সুনিবিড় গ্রহের বর্ণনা আছে। কিন্তু এই গ্রহেই বিজ্ঞানী গারাদ এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ছক আঁকে। আর তখন বিপন্ন গ্রহটিকে গারাদের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্যে মিশন শুরু করে কমান্ডার প্যারো, ক্রল এবং সুরি। তারা বিজ্ঞানী গারাদের অপারেটিং সিস্টেম আথ্রাক্স অকেজো করার জন্যে লিনাক্সের একটা কমান্ড ব্যবহার করে। এভাবেই অভিযান চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা গারাদের এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে পেরেছিল কিনা তা জানার জন্যে পাঠককে বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগত গল্পটি পড়তে হবে। এই সংকলনের শেষ গল্প ফ্রিয়ন আমার ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে। গল্পের দুই প্রধান চরিত্র জারিফ ও মীম। জারিফের বোন মীমের কঠিন অসুখ। অজানা এই অসুখের উপসর্গগুলো খুবই বিচিত্র ও ভয়াবহ! দেশ-বিদেশের কোনো ডাক্তারই এই মারাত্মক রোগের কারণ খুঁজে পাননি। জারিফও জানে যে তার বোনের মৃত্যু অনিবার্য। তবুও সে আশা ছাড়েনি। জারিফ কি পারবে তার আদরের ছোট্ট বোন মীমকে বাঁচাতে? এই প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্যে পাঠককে প্রথমে জানতে হবে ফ্রিয়ন কী। এই অসাধারণ সায়েন্স ফিকশান গল্পটি আশা করি সবার ভাল লাগবে। আসিফ মেহ্দীর বিজ্ঞানের ছাত্র হবার কারণেই বোধহয় তাঁর লেখা সায়েন্স ফিকশান গল্পগুলো প্রায় সময়ই বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্যগুলোর খুব কাছে থেকেই লেখা হয়। যা গল্পগুলোকে আরও সুপাঠ্য করে তোলে। ফ্রিয়ন বইটি প্রকাশিত হয়েছে শুভ্র প্রকাশ থেকে আর বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সবার প্রিয় আহসান হাবীব স্যার। যারা বইটি এখনও পড়েন নি তারা আশা করি পড়ে ফেলবেন।