User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আসসালামু আলাইকুম ভাইজান... বইটি আমার খুবই প্রয়োজন। যদি বইটি আবার মার্কেটে আনেন তাহলে দয়া করে অবশ্যই জানাবেন
Was this review helpful to you?
or
ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত একমাত্র ধর্ম, দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা। যেসব মানুষ ইসলামকে অনুসরণ করে তারাই মুসলিম। ইসলাম শব্দটির উৎপত্তি আরবি সালাম শব্দ থেকে, যার অর্থ শান্তি। আবার সালাম শব্দটি এসেছে আরবি সিলম্ থেকে, যার অর্থ নিজের ইচ্ছেকে আল্লাহ্র কাছে সমর্পণ করা। এক কথায় মুসলিম অর্থ এমন একজন মানুষ যিনি তাঁর ইচ্ছেকে আল্লাহ্র কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পন করার মাধ্যমে শান্তি লাভ করেন। ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বা ব্যবস্থা। এতে জীবনের প্রতিটি দিক, বিষয় বা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি একজন মুসলিম এসতেন্জার পর কিরূপে পবিত্রতা অর্জন করবে সে পদ্ধতিও হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান সময়ে মুসলিমদের মধ্যে ধর্মচর্চা কিছু নির্দিষ্ট বিষয় যেমন- নামায পড়া, রমযানের রোযা রাখা, কুরবানী করা, ঈদ উদ্যাপন করা প্রভৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। অথচ একজন মুসলিমের উচিত সে জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত বিষয়ের সম্মুখীন হবে প্রত্যেকটি বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলা সরাসরি কুরআনে বা নবীজী (সা.) এর মাধ্যমে কি বিধান জারি করেছেন তা জানার চেষ্টা করা এবং পালন করা। যৎসামান্য কিছু বিষয় অনুসরণ করেই আমরা নিজেদেরকে ইসলামের অনুসারী বা মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি। আমাদের এ দাবি কতটা যুক্তিসংগত তা আমাদেরই বিবেচনা করা উচিত। একজন প্রকৃত মুসলিমের দুটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক, প্রথমত- সে তাঁর ইচ্ছা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পন করবে অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ্র ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দিবে; এবং দ্বিতীয়ত- এরূপ করার মাধ্যমে সে তাঁর অন্তরে শান্তি অনুভব করবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বিভিন্নভাবে আমাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ ও দাসত্ব করতে নিষেধ করেছেন এবং এর ক্ষতিকর পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বর্তমান সময়ে দেখা যায় তথাকথিত মুসলিমরা আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পন করার বদলে নিজ প্রবৃত্তি বা যাবতীয় পার্থিব ভোগ্যবস্তুর প্রতি আত্মসমর্পন করে আছে। উদাহরন বলা যায়, যখন আযান দেয়া হয় তখন আল্লাহ্র ইচ্ছা তাঁর বান্দা যাবতীয় কাজ ফেলে রেখে তাকেই গুরুত্ব দিবে এবং তাঁর স্মরণে সালাত আদায়ের লক্ষ্যে মসজিদের দিকে ছুটে আসবে। কিন্তু আমরা তা না করে নিজেদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি এবং পার্থিব জগতে স্বার্থ লাভ হয় এমন কাজে সময় অতিবাহন করে থাকি। এ ধরনের আচরণ করার মাধ্যমে আমরা কি আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পন করি নাকি নিজ প্রবৃত্তির নিকট? নিজ প্রবৃত্তি বা খেয়াল-খুশী মতো চলেও কি আমরা নিজেদের মুসলিম দাবি করতে পারি? ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং সাভাবিকভাবেই এর অনুসারীদের অন্তরেও শান্তি বিরাজ করার কথা। কিন্তু আমরা কি শান্তিতে আছি! আমাদের উপর বিপদ-আপদ আপতিত হলে অথবা আমরা কোন রোগ-বালাই এ আক্রান্ত হলে হতাশ হয়ে পড়ি অথচ আমাদের কাছে আছে সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্টা আল্লাহ্ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী। কুরআন-হাদীসের মাধ্যমে এ কথা সুস্পষ্ট যে, একজন মুমিনের জন্য সকল প্রকার অবস্থায়ই মঙ্গলজনক যেমনটি একজন কাফেরের বেলায় ঘটে নয়। একজন মুমিন কোন বিপদে-আপদে পড়ে ধৈর্য্যধারণ করলে আল্লাহ্ তাঁর সম্মান বৃদ্ধি করে দেন, কোন রোগ-বালাই এ আক্রান্ত হয়ে ধৈর্য্যধারণ করলে আল্লাহ্ তাঁর গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন। একইভাবে একজন মুমিন রিযিকের চিন্তায় কখনো দিশেহারা হয় না, কেননা সে জানে যে সমস্ত প্রাণীর রিযিকের দায়িত্বভার আল্লাহ্ গ্রহণ করেছেন এবং প্রত্যেকের রিযিকের পরিমাণ আগে হতেই নির্ধারিত। কাফেরদের জৌলুস ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ চলাফেরা একজন মুমিনের মনে আফসোসের জন্ম দিতে পারে না কেননা সে জানে যে তাদেরকে দুনিয়াতে অবকাশ দেয়া হয়েছে এবং পরকালে তাদের জন্য কোন অংশ নেই। এভাবেই একজন মুমিন দুনিয়াতে যতই দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, অভাব-অনটনের মধ্যেই থাক না কেন, চির সুখ-শান্তির স্থান জান্নাতের যে প্রতিশ্রুতি আল্লাহ্ তাকে দিয়েছেন সে জান্নাতের নাজ-নেয়ামতের আশা তার অন্তরে প্রশান্তির হাওয়া বইয়ে দেয়। সুতরাং একজন মুসলিম যখন প্রকৃত অর্থেই ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে তখন সে শান্তির মধ্যে থাকে। বিপরীতে তাঁর ভেতরকার অশান্তি ধর্ম সম্পর্কিত পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং তা চর্চার ঘাটতিকেই প্রকাশ করে।