User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বই সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, আমার কাকাতো ভাইয়ের থেকে তার লেখা সম্পর্কে জানতে পারলাম। ওর থেকে এই বইয়ের রিভিউ শুনেই বইটা পড়তে আগ্রহ বোধ করলাম। বইটা এখনও পড়া হয়নি। খুব শীঘ্রই কিনব এবং পড়ব।
Was this review helpful to you?
or
আমি তেমন একটা বাইরে বেরোই না আজকাল। অনেক কিছুই বিরক্ত লাগে। চার দেয়ালের মাঝে থাকতে তেমন অসুবিধা হয় না কারন এর মধ্যে এক গাঁদা ইউনিভার্স, আমি যখন ইচ্ছা পোর্টাল চালু করে হারিয়ে যাই সেসব আজব দুনিয়ায়! সেখানে কোনো সংঘাত নেই, হিংসা নেই। বড্ড ভালো লাগে। ইচ্ছে করে চিরকাল সেসব জায়গায় থেকে যাই। কিন্তু পারি না। একদিন হঠাৎ করেই রিলেটিভিটির বই পড়তে পড়তে কিসস্যু মাথায় ঢুকছে না দেখে বিরক্ত হয়ে সেটা ছেড়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর বই হাতে নিই। বুঝতেই পারিনি কখন বইয়ের প্রায় একশো পেইজ পড়ে ফেলেছি! চা কফি আর জেনারেল রিলেটিভিটি টেক্সট বই। চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলো সেমি-পপ ধরনের বই। মানে এখানে কিছু সমীকরণ, গ্রাফ থাকবে আবার সহজ বাংলায় ব্যাখ্যাও থাকবে যেন আগ্রহ মরে না যায়। এরপর অবশ্য বেশ কিছুদিন আর বইটা ধরার সময় পাইনি। পরে আস্তে আস্তে পড়ে আজ শেষ করলাম। এই বইয়ের ব্যাপারে যদি এক শব্দে বলতে হয়- "অদ্ভুত"। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞানের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলোর একটা মনে হয় আমার কাছে। আগে পপ বই, আর্টিকেল পড়ে হালকা পাতলা এর ব্যাপারে জানতাম। তবে বুঝতাম না। তখন থেকেই মাথার মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই বই পড়ে সেসব প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবেই পেয়েছি। আর বোনাস হলো, আরো এক গাঁদা প্রশ্ন মনের মধ্যে উঁকি মারছে! আরো গভীর থেকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে জানার ইচ্ছা প্রবল হচ্ছে। তাই বলে আবার ভাবার সুযোগ নেই চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স হালকা বই। গল্পের মতো পড়ে ফেলা যাবে। এটাকে বরং আমি একটা নতুন জনরা- বৈজ্ঞানিক থ্রীলার বলতে চাই। লেখকের বর্ণনার অসাধারণ দক্ষতা ফুটে উঠেছে এই বইয়ে। প্রথমে রহস্যের জাল বুনেছেন। পাঠককে অস্থির করে তুলেছেন উত্তর জানার জন্য। আর প্রায় অধ্যায়ের শেষে গিয়ে সমস্ত জট খুলে গেছে। তার সাথে সাথে উদয় হয়েছে আরো কিছু প্রশ্ন! সেখান থেকে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়ের গল্প। আবার পাঠক যেন চিন্তা করা থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য লেখক রেখেছেন কুইজ! বইয়ে দারূণভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে। আমি জানি, এই ব্যাপারটা খুব কমন না। এবার যদি বলি, শুরুর দিকটার কথা, হুট করেই গভীরে ঢুকে পড়েননি লেখক। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝার জন্য যা যা লাগবে সেসব শিখিয়েছেন ভেঙ্গে ভেঙ্গে। কিছু জিনিসকে নতুনভাবে জেনে অবাক আর মুগ্ধ হয়েছি। এভাবেও ভাবা যায়! মূলত আগে থেকে অন্তত নাইন-টেনের ফিজিক্স আর ম্যাথের কনসেপ্ট না থাকলে এই বই পড়ে বোঝা সম্ভব না। কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে অদ্ভুত তা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। তার ফলাফল সম্পর্কে হালকা আইডিয়া বিজ্ঞানের কম বেশি সব শিক্ষার্থীরই আছে। তবে এই আইডিয়াগুলো কীভাবে আসলো তা সবার জানা নেই। আমারো তাই। এই বই পড়ে শুধু যে পুরোনো প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছি শুধু তাই নয়, বরং, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আসল সৌন্দর্যের ব্যাপারে যে চরম মাত্রায় প্রতারিত হয়েছিলাম তাও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। বইয়ের ভাষার কথা যদি বলি, সেটা আর দশটা বিজ্ঞানের বইয়ের মতো ঠিক ফরমাল না। এমনভাবে লেখা যেন লেখক সামনে বসে গল্প শোনাচ্ছেন আর আমি পাঠক মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসে তার সেই আশ্চর্য গল্প শুনছি। বইয়ের মাঝে মাঝে জোকস টাইপ জিনিসপত্র আছে। পড়ালেখা করতে হবে মনের সব আনন্দ মাটি করে। এই ধারণার বিরোধী আমি। তাই এসব রিলিভ্যান্ট জোকস বেশ এনজয় করেছি। রিভিউয়ের পাঠক হয়তো ভাবছেন বইয়ের কন্টেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত কেন বলছি না। আসলে আমি চাই যে কেউ এই বইটা পড়বে, সে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবে, ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া থেকে কী অবিশ্বাস্য সব সত্যি উঠে এসেছে! সিমিউলেটেড ইউনিভার্সের মতো অধ্যায়ের শেষে এসে কী এক আশ্চর্য শক্তিতে শরীরে মৃদু কাপাকাপি শুরু হয়েছে! হাত-পা নাড়াতে না পারার অনুভূতি হয়েছে! ভেবেছি, কী ভয়ঙ্কর রহস্যময় আর সুন্দর জগতে বাস করি আমরা! আর ছোট্ট একটা গ্রহের ছোট্ট ছোট্ট মানুষ হয়ে কতকিছু চিন্তা করতে শিখেছি! এসব জিনিসের সাথে আগে থেকেই পরিচিত থাকলেও লেখকের বর্ণনায় মনে হয়েছে যেন নতুন করে জানছি। লেখকের সাবলীল লেখনী আপনাকে নিয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আজব দুনিয়ায়। এই আমাদেরই দুনিয়া, সেটাকে চিনতেন শুধু, অস্তিত্ব জানতেন, বুঝতেন না তাকে! এখনো কেউই পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি। সেই আফসোস লেখকের না হলেও আমার কিছুটা হয়। মানুষের সাফল্য দেখতে আমার ভালো লাগে। ইচ্ছে হয় এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যদি রহস্যময় প্রকৃতিকে পুরোপুরি জানতে পারতাম! তবুও ভেবে অবাক হই, সামান্য এককোষী জীব থেকে বিবর্তিত হয়ে আমরা কতকিছুই না করেছি, করছি! সবেশেষে, যারা কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বিস্তারিতভাবে প্রাথমিক ধারণা পেতে চান, গাণিতিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সহ, তাদের জন্য এই বই সেরা। এরপরে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর টেক্সট বই পড়তে অনেক সহজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। ঘুমের ঘোরে বইয়ের রিভিউ ঠিকমতো দিতে পারলাম কিনা বুঝতে পারছি না। ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিতভাবে রিভিউ লেখার ইচ্ছা আছে। আপাতত কিছু মানুষকে জানাতে চাই, এই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বইয়ের জগত একেবারেই আলাদা। আমার কাছে একটা নতুন ইউনিভার্স! সে জগতে একবার ঢুকলে আর বেরোতে চাইবে এমন কেউ নেই পৃথিবীতে। হ্যাঁ, সবাই ঢুকতে পারবে না! তার জন্য বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে আর প্রচুর চিন্তা করতে হবে। আমি বইয়ের সবকিছু ক্লিয়ার বুঝে গিয়েছি বলতে পারবো না। তবে কিছু টপিক বাদ দিলে, এই বই পড়তে পড়তে বিজ্ঞানকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছি! এই বইটা রিভিউয়ের অনেক উর্ধ্বে বলে মনে করি। যতটা না বিষয়বস্তুুর সৌন্দর্যের জন্য, তার চেয়ে বেশি লেখকের অভাবনীয় চিন্তাশক্তির জন্য, যিনি দিনরাত শ্রম দিয়ে জিনিটার সৌন্দর্য একটুও নষ্ট না করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যতটা সম্ভব সহজ, সাবলীল করে। লেখকের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো লেখা, কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিষয়গুলোকে খুব কাছ থেকে অতোটা উপলব্ধি করতে পারিনি। তা ছাড়া বইতে অপ্রাসঙ্গিক লেখার পরিমাণ বেশি।
Was this review helpful to you?
or
Perfect demonstration and examples....one of the most precious informative book.
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় লেখা কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সেরা বই গুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
এটা বেস্ট। অসাধারণ কভার। বইটা পপ সায়েন্স মনে হয়েছে আবার হয়নি। নতুন ধরনের বই রচনা করার জন্য লেখকের বইগুলো ভালোই লাগে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং বইটা বেশ দারুন, তবে কিছু উদাহরণ আমার কাছে জটিল মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা পড়ার পর অনেক ভাল লাগল। আপনারা বিজ্ঞান প্রিয় হন বইটি পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
আমার বইয়ের একটি পৃষ্ঠার পৃন্টিং এ সমস্যা রয়েছে
Was this review helpful to you?
or
বই টা খুবি ভাল
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ :- চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই রিভিউটি ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ এর দ্বিতীয় সংস্করণের উপর লেখা। তাই পরবর্তীতে অন্যকোনো সংস্করণ বের হলে এই রিভিউর কিছুটা অমিল হতে পারে। বইটির মোট ৩৩৬ টি পেজ তাই রিভিউটা একটু বড় হবে বইটির লেখক ও সকল পাঠকদের উদ্দেশ্যে এই রিভিউটি লিখেছি। বইটি কাদের জন্য আমি মনে করি যারা ৯ম শ্রেণীতে ৬ মাস বা কিছু ত্রিকোণমিতি শিখেছে তারাও এই বইয়ের অনেক ম্যাথ বুঝতে পারবে। ম্যাথ ছাড়া আক্ষরিক ব্যাখ্যা সবাই বুঝতে পারবে। তবে যারা HSC(দ্বাদশ শ্রেণী) শেষ করেছে তারা পুরোপুরিই বুঝতে পারবে। আর যারা আগে থেকেই অনেক গণিত জানে তারাও ভালোমতো বুঝবে। যদিও এখানে কঠিন কোনো ম্যাথ নেই। রিভিউ: শুরুতেই বলতে চাই ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বিনোদনে ভরপুর। পুরো বইটিতে বিনোদনের মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর আগেও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু বই পড়েছি, তাই বলে এই নতুন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বই পরে এক ফোটাও বোরিং ফিল করিনি। কারণ এই বইয়ের মতো এতো মজার বিনোদন নিয়ে কখনো কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ি নাই। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং আগ্রহবশত কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার জন্য ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইটা সুপারিশ করতে চাই। এতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে আরো আগ্রহ বাড়বে। বইটিতে ১০ তা অধ্যায়।আবার একেকটা অধ্যায়ের গড়ে ৫ তা করে পাঠ আছে। অধ্যায়গুলোর দুটি ছবি দিয়েছি। প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শেষে চা পানের বিরতি নামক একটা অপশন আছে যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। আবার প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শুরুতে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের বাণী দেওয়া হয়েছে যা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিছু কিছু বিষয় আমার বেশি ভালো লেগেছে, যেমনঃ তরঙ্গবলবিদ্যা শিখানোর জন্য একটি গোল চাকা বা বৃত্তের ব্যবহার করে তরঙ্গের হিসাব শিখানোটা আমার ভালো লেগেছে। সেই বৃত্তের হিসাব থেকে ইলেক্ট্রনের গতিবেগ ও কক্ষপথ ব্যাখ্যাটা খুব ভালো এতে সহজেই তরঙ্গের হিসাব বুঝা যায়। কোয়ান্টাম কম্পিউটার সপর্কে অনেক কিছু জানলাম। কোয়ান্টাম কম্পিউটার যে কত দ্রুত হতে তা ভেবেই অবাক হয়েছি। কোয়ান্টাম কম্পিউটার পিছনে যেসব তত্ত্ব রয়েছে তার সম্পর্কে জানলাম। কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়ে যেকোনো দীর্ঘ পাসওয়ার্ড হ্যাক করা যায় মুহূর্তের মধ্যে। তবে বাঘেরও যেমন বাবা আছে তেমনি কোয়ান্টাম কম্পিউটারকেও হ্যাক করা থেকে বাধা দিতে পারে এমন পদ্ধতিও আছে, যা এই বই পড়লে স্পষ্ট বুঝবেন। ভরের জন্ম, তরঙ্গের কোথায় কণা থাকে, কণা তরঙ্গের দ্বৈততা, ই পি আর প্যারাডক্স, এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট, বেলের অসমতা, সিমিউলেটেড ইউনিভার্স ইত্যাদি সব আকর্ষণীয় টপিকস আমার খুব ভালো লেগেছে কারণ এই গুলো খুব ভালোমতো ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আর শেষের অধ্যায়টা(১০ম) খুব ভালো লেগেছে। আমি ওই অধ্যায়টা কয়েকবার পড়েছি। বইটার ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞানীদের যত আজব কান্ড, পাগলামি আর গোপন তথ্য, আর একে অপরের সাথে ঝগড়া বিতর্ক ইত্যাদি সব তথ্য আছে। বইটা শেষ করে আমি বুঝতে পারলাম আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিভিন্ন টপিকস শেখার পাশাপাশি অনেকগুলো বিজ্ঞানীদের শর্টকাট জীবনীও পড়লাম। বইটার আরেকটা ভালো দিক খেয়াল করেছি। সেটা হলো বইটা যেমন শুরু হয়েছে খুব আগ্রহী টপিকস দিয়ে তেমনি শেষ হয়েছে আরো আগ্রহ দিয়ে। পুরো বইটি পড়ে মনে হলো যেন একটা নাটক দেখেছি যেখানে কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখানো হয়েছে। আর মনে হলো লেখক নাইম হোসেন ফারুকি হুমায়ূন আহমেদের অনেক বই পড়েছে। যারা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে তারা এই বইতে হুমায়ুন আহমেদের গন্ধ পাবে। সমালোচনা(এই অংশটি অপশনাল, এর সাথে বইয়ের মানের তুলনা করা ঠিক নয়) বইটা মোটামুটি বড়, তাই ভুল থাকাটাও স্বাভাবিক। (১) আমি সবসময় হাইজেনবার্গের পুরো নাম শুনেছি-ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ। কিন্তু এই বইতে ভার্নার হাইজেনবার্গ লেখা। যা আমার কাছে বিরক্তিকর লেগেছে। (২) এই বইটা একটা বিজ্ঞানের বই, এখানে গণিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই গণিতকে ভয় পেয়ে এড়িয়ে গেলে হবেনা। কিন্তু এই বইয়ে দুইটা এমন ইমোজি ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে ম্যাথফোবিয়াকে(গণিতের প্রতি ভয়) প্রমোট করে দিয়েছে। সেটা হলো চিত্র হলো- ১. সামনে বিপদজ্জনক সমীকরণ পড়তে না চাইলে স্কিপ করো এবং ২. সমীকরণ শেষ। এবার রিলাক্স করা যায়। এই বইয়ে বিজ্ঞানের অন্যসকল বিষয়কে মজার হিসেবে দেখানো হয়েছে অথচ গণিতকে ভয়ানক হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং তাকে পড়তে না চাইলে স্কিপ করতেও বলা হয়েছে। যা আমার ভালো লাগে নি।এর চেয়ে ভালো হতো যদি এমন একটি ইমোজি ব্যবহার করা হতো যেখানে বলা হবে- কোমরে গামছা বাধো, সামনে সমীকরণ। (৩) বেলের অসমতা অধ্যায়টা আরো বড় করলে ভালো হতো। আরো বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো, কারণ এমনিতেও এবছর নোবেল পুরস্কার বেলের অসমতা ভঙ্গের জন্য দেওয়া হয়েছে। (৪) বইটার নাম চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলেও এখানে শুধু চা কেই প্রমোট করা হয়েছে। কারণ প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শেষে “চা পানের বিরতি” নামক পাঠ আছে কিন্তু কফির নাম নাই। কফিকে বঞ্চিত করা হয়েছে, অথচ কফির ছবি দিয়ে চায়ের নাম লেখা হয়েছে মূল্য বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪০০ টাকা হলেও রকমারিতে ৩৫০ এর কমে পাবেন। বইয়ের ৩৩৬ টি পৃষ্ঠা রয়েছে তাও আবার হার্ডকভার, তাই আমার মতে দাম ঠিক আছে। আমি ইউটুবেও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর অনেক ভালো মানের ভিডিও পেয়েছি কিন্তু বিনোদনে ভরপুর ভিডিও পাইনাই আবার যেসব ভালো মানের ভিডিও পেয়েছি সেগুলো ছিলো ইংলিশে। তাই এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় বিনোদন সহকারে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই বইতেই পাবেন। বিশেষ দ্রব্যষ্ট: আপনি যদি মনে করেন এই বই পরে পুরো কোয়ান্টাম মেকানিক্স শিখতে পারবেন তাহলে সেটা ভুল ধারণা। কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখা অনেক সাধনা ও ধৈর্য্যের ব্যাপার। এই বইতে শুধু মৌলিক বিষয়গুলো শিখতে পারবেন। এখন থেকে আপনি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগতে প্রবেশ করতে পারবেন। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আরো গভীরে যেতে হলে আপনাকে আরো অনেক বই পড়তে হবে এবং অনেক ঘাটাঘাটি করতে হবে। তবেই আপনি অনেককিছু শিখতে পারবেন। তবে এই বই আপনার আগ্রহটাকে আরো বাড়িয়ে দিবে এতে আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিলাম। এই বইয়ের সঙ্গে আমার নিজস্ব একটা ইতিহাস আছে। সেটা হলো আমার জীবনে প্রথম কোনো অনলাইনে অর্ডার দেওয়া পণ্যই ছিলো এই ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইটি। একেবারে প্রথম লোকডাউনের সময় অর্ডার করেছিলাম। বইয়ের সবদিক ও মান বিবেচনা করে আমি এই বইকে ৯৬.৫% পয়েন্ট দিলাম। অবশেষে বলতে চাই এগুলো সব আমার একান্ত মতামত। (এতক্ষন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)
Was this review helpful to you?
or
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী প্রকাশনাঃ প্রান্ত প্রকাশন মূল্যঃ ৳ = [|20|^2]sin(A), [-2π A 2π] পেইজঃ x= [(10^2)* 3*tan( 45)]+6^2 প্রচ্ছদঃ পোস্টে দেওয়া ছবির প্রচ্ছদ টার জন্য রেটিং 3^2/10 পুরো বইয়ের জন্য পার্সোনাল রেটিংঃ [18sin(30)]/[10tan(45)] বাংলাদেশ যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ খেলায় জয়লাভ করে, তখন সাংবাদিক রা কি সুন্দর, অসামান্য, হৃদয়গ্রাহী প্রতিবেদন তৈরি করে, সেগুলা নিশ্চয়ই আপনাদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে? আমি প্রায় শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়েছি। এই প্রথমবার আমি সেইরকম একটা বই পেলাম, যেটায় বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের অবিস্মরণীয় মেধা, ধৈর্য্য ও বিশ্ব রহস্যের উন্মোচনের নিরন্তর লড়াইয়ের ইতিহাস গুলোকে আবেগজড়িত, হৃদয়গ্রাহী ও মনোমুগ্ধকর লেখনিতে বর্ণনা করতে পেরেছেন লেখক।যেন মনে হচ্ছিল কোন সনামধন্য টিভি চ্যানেলের অভিজ্ঞ রিপোর্টার। আমি পদার্থবিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছি। এবং দুঃখের বিষয়, আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্স ভালোমত বুঝতাম না। আমি বাংলা ইংরেজি প্রায় ৫/৬ টা একাডেমিক বই পড়েছি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর। একাডেমিক বইয়ে তো সংক্ষিপ্ত ভূমিকা, প্রাসঙ্গিক আলোচনা, বৈজ্ঞানিক পদ/ একক সমূহের সংজ্ঞায়ন, সূত্র প্রতিপাদন এবং সংশ্লিষ্ট অংক ইত্যাদির মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায় অধ্যায় গুলা। এইটুকু কলেবরে বিজ্ঞান জগতের সবচেয়ে জটিল বিষয় কোয়ান্টাম ফিজিক্স ভালোমত বুঝা তো দূরের কথা, মোটামুটি পর্যায়ের অনুধাবন করাই সম্ভব হয় না। এমনকি বিশ্বব্যাপী সাইন্স গ্র্যাজুয়েট দের অবশ্য পাঠ্য বই, ফান্ডামেন্টালস অব ফিজিক্স ( হ্যালিডে, রেসনিক, ওয়াকার) এর বই পড়ে বাংলা ভাষী দের কোয়ান্টাম মেকানিক্স মোটামুটি বুঝার সম্ভাব্যতা অনেক অনেক কম। স্থান কাল কাঠামোয় কোন ঘটনার বৈজ্ঞানিক দৃশ্যায়ন উপলব্ধি করানো অত্যন্ত কঠিন। কিন্ত লেখক তা অত্যন্ত সাধারণ গল্প ও দৃশ্যকল্পের মাধ্যমে তা বুঝাতে পেরেছেন। এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্লাসে স্যারেরা স্বল্প সময়ে তা বুঝাতে পারবেনও না। বইতে এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় স্থান পেয়েছে, যেগুলা বহুল প্রচলিত বৈজ্ঞানিক ভুল ধারণা ভেঙে দিবে অনেকের। যেমনঃ ১) কোন বৈজ্ঞানিক মডেল ভুল প্রমাণ বা বাতিল হওয়া মানেই তা একেবারেই ভুল বিষয়টা এমন না। বরং তা অধিকতর সূক্ষ্মতর বা জটিলতর হওয়া। বিজ্ঞান আজ যা সঠিক, কাল তা ভুল হিসেবে সাব্যস্ত করে এই ধারণাও অনেকাংশে ভুল।বিজ্ঞান মানেই পরিবর্তনশীল এটাও ভুল ধারণা। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা সমীকরণ গুলো উত্তরোত্তর সূক্ষ্মতর বা জটিল হয় সময়ের সাথেসাথে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির মাধ্যমে, এটাই বিজ্ঞান। ২) মৌলিক রঙ যে মাত্র ৩ টা, এই ধারণাও একপ্রকার ভুল। এগুলো মস্তিষ্ক অনুভূত এবং বোঝার সুবিধার জন্য আপেক্ষিক ধারণা। ৬০০ ন্যানোমিটার এর তরঙ্গ দৈর্ঘকে আরো ক্ষুদ্রতর পিকোমিটার, ফেমটোমিটার ইত্যাদি পর্যায়ে ভাগ করলে ঠিকই আরো অগণিত রঙ কে নামকরণ করা সম্ভব। দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান রঙ বা আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কনসেপ্ট কে এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা দেওয়া আমি আর কোথাও পাই নাই। লেখককে অনেক ধন্যবাদ রঙের ক্ষুদ্রতর গন্ডি থেকে অসীমের গন্ডিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ৩) মৌলিক বল গুলা একে অপরের চেয়ে কত শক্তিশালী সেটা বোঝানোর জন্য চিরুনির তড়িৎচুম্বক বল যে পুরা পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে পরাজিত করে ছোট কাগজের টুকরা তুলে ফেলে, এই উদাহরণ টার চেয়ে আর ভালো কোন উদাহরণ থাকতে পারে না মহাকর্ষ বলের চেয়ে তড়িৎ বলের শক্তির বিশালতা বুঝাতে। তরঙ্গ সমীকরণ, কণা তরঙ্গ সমীকরণ, কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিষয়ক সমীকরণ গুলায় কোন পদ কেন হবে, ওই সমীকরণ কণা বা তরঙ্গের কি পরিস্থিতি বুঝাচ্ছে, ইত্যাদি অত্যন্ত সহজ গল্পে বুঝানো হয়েছে এই বইয়ে। কোন পদ কেন বর্গ হবে, কোন তরঙ্গ ফাংশন কেন সম্ভাব্যতা নির্দেশ করে, কোন তরঙ্গ কেন বিস্তার নির্দেশ করে, শাই কেন বর্গ করতে হবে, কোন পদ শক্তি নির্দেশ করে, তীব্রতা নির্দেশ করে, ইত্যাদি সব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। পপ সায়েন্সের বিভিন্ন সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলা যেমন মাল্টিভার্স, উচ্চতর ডাইমেনশন, স্ট্রিং থিওরি, সুপার ডিটারমিনিজম ইত্যাদির ভালোই ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। নাঈম ভাইয়ের ফ্যানবেইজ, রিডার বেইজ দের একটা বড় অংশই তরুণ তরুণী। তরুণ তরুণী দের যেইরকম বাক্যচয়ন, শব্দচয়ন ভালো লাগবে, সেইরকম ঢঙেই লেখক লিখেছেন। আমার পড়ার সময় খুব মজা লেগেছে। অনেক জায়গায় দম ফাটা হাসি এসেছে। রসিকতা, রহস্য দুইয়ের মিশেল চমৎকার ছিল। আর বিখ্যাত ওয়েব সিরিজের চরিত্র আর ঘটনা দিয়ে বৈজ্ঞানিক অবস্থা বুঝানোর চেষ্টাটাও অনেক ভালো লেগেছে। একজন বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছ থেকে সাহিত্যিক রস সমৃদ্ধ লেখা পাওয়া একটা বাড়তি পাওয়া। বইয়ের শেষের দিকে গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ গুলোর সমাধান, প্রতিপাদন ও বেলের অসমতা ছক দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে অনেক উপকার করেছেন। আর রেফারেন্স অংশটার জন্য আরো একটা বাড়তি ধন্যবাদ কারণ সেই রেফারেন্স বই, ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল গুলা ঘাটাঘাটি করলে বিজ্ঞান সম্পর্কে আরো অনেক জ্ঞান আহরণ করা যাবে। বইটি যাদের জন্যঃ দশম শ্রেণীর যারা জটিল সংখ্যা বুঝে থেকে, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রী, অনার্স মাস্টার্স এ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে যারা পড়বেন এবং বিশ্বের যে কোন বাংলাভাষী, যিনি বিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিলতম বিষয়টা সবচেয়ে সহজে বুঝতে চান, তাদের সবার বিজ্ঞান উপলব্ধির পথচলা শুরু হোক এই বইটার মাধ্যমে। জন্মদিন, জাতীয় দিবস, পারিবারিক অনুষ্ঠানে কিশোর কিশোরী দের বিজ্ঞান বিষয়ক বই উপহার দিন সকলে। বিজ্ঞানমনষ্ক জাতি গঠনে এগিয়ে আসুন সবাই। জয় বিজ্ঞানের জয়।
Was this review helpful to you?
or
Shei
Was this review helpful to you?
or
নাঈম হাসান ফারুকী স্যারের জন্য অসংখ্য ভালোবাসা রইলো এত চমৎকার একটা বই আমাদের জন্য লিখেছেন তিনি। ।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউঃ বইয়ের নামঃচা কফি কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স লেখকঃনাঈম ফারুকী ভাই *বইয়ের শুরুতে আক্কাস, জসীম, বক্কর এই রকম উদাহরণ দেখে মনে মনে ভাবা শুরু করলাম এই বই কেন যে নিলাম যেন আপসোস এর কুলকিনারা পাইতেছিলাম না।ভাবলাম কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স বহত সহজ হতা হে এই তো শুধু আক্কাস আর জসিমের খেলা।ভাবলাম বইটা যেহেতু নিয়েই ফেলছি পড়া শুরু করি অন্তত একবার পড়ে দেখি এই যে পড়া শুরু করলাম কয়েকবার পড়ার পর বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।অনেক ইনফরমেটিক বই। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি এই বইটা কেউ একবার পড়লে একের অধিক পড়তে বাধ্য?এই বইয়ে শুরু হইছে একেবারে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স মুল থিম ওয়েভ থেকে ঘটনা প্রবাহমান।ধাপে ধাপে বিজ্ঞানীদের মঞ্চায়ন অনেক ইন্টারেস্টিং ছিলো এই বিষয় গুলো❤।ঘটনা চলতে চলতে পৌছাল ভাইল ইলেক্ট্র ন এ।এত সুন্দর গোছাল বলা যায় নাঈম ভাইয়ের অনবদ্য সৃস্টি বইটা না পড়লে বুঝতেই পারতাম না।বইয়ের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং টপিক ছিল পার্টিকেল পাওয়ার সম্ভাবনা,,,,এই বইয়ের রিভিউ দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই কিন্ত ccqm বেস্ট বই।। এই বই পড়ে আমার সবচেয়ে অসুবিধা হইছে যা কিছু চিন্তা করি সব চিন্তা কোয়ান্টাম দিয়ে শুরু হয়।এখন আমি বলতে পারতেছি না ইলেকট্রন এর কক্ষপথ গোলাকার বা উপবৃত্তাকার, আমি কনফিউজ হয়ে যাই ইলেক্ট্রন একই সাথে দুই জায়গায় কিভাবে থাকতে পারে এমনকি ইলেক্ট্রনের ঘুর্নণ দিক পর্যবেক্ষ্ণ যেদিকে করিনা কেন ঠিক ওইদিকেই ঘুরে এই রকম সমস্যায় সম্মুখীন অবশ্যই হতে হবে?....আমি কখনো এইরকম চিন্তাও করিনি ইলেক্ট্রনের ধর্ম এমন হবে এই বই পড়ে ইলেট্রনের অদ্ভুত আচরণ জানতে পারলাম তাহলে আমি কেন বলব না সমস্যার সম্মুখীন হইছি।বইয়ের শুরুটা অনেক সহজ সরল দিয়ে শুরু হইলেও ভিতরে আরো সহজ সরল কিন্ত অবশ্যই কঠিন টপিক তবে বইয়ের উপস্থাপনা অনেক সহজ সরল।।। ধন্যবাদ Nayeem Hossain Faruque ভাই আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ থাকব। আমার ফিজিক্স শেখার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে আপনার সাথে কথা বলার পর এমনকি আপনার অসাধারণ ccqm বইটি পড়ে।অনেক কিছুই নতুন করে জানতে পারলাম নাহলে সারাজীবন ভুল জিনিসটা নিয়েই পড়ে থাকতে হইতো। আমরা সবাই পরমাণু নিয়ে কত চিল্লা চিল্লি করি কিন্ত পরমাণু যে আসলে এই জিনিসটা প্রমাণ করছে আইন্সটাইন। ভাইয়ের বই দেখে যেটা বুঝতে পারছি আপনি আইন্সটাইনের অনেক বড় ভক্ত অবশ্যই যে কেউ হবে।ভাই আপ নার কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনি অবশ্যই ম্যাক্সওয়েলের ইকুয়েশন ফর্মুলা এসব সব কিছু নিয়ে একটা বই লিখলে অনেক উপকার হইতো।আপনার বুঝানোর সিস্টেমটাই অসাধারণ যেন আপনার সাথে কথা বলতেছি।। ক্লিয়ার?!?(পপুলার ডায়ালগ)
Was this review helpful to you?
or
The writer criticised me in his post , But i dont criticise his book . He maybe ---^^-- but his books are ⚡⚡⚡⚡⚡ and i am not a teacher , i am in only grade 9
Was this review helpful to you?
or
good initiative
Was this review helpful to you?
or
যতটা ভাবছি ততটা ভালো না।সাধারণ জিনিস দিয়ে ভরপুর।আর উদাহারণ গুলো ভালো হয়নি।। পোপ সায়েন্স এর বই এর উদাহারণ গুলো আরো ভালো হওয়া উচিত।এই বই পড়ে এক্সট্রস বেসিক ক্রিয়েটিভ সম্ভব না বা নতুন করে ভাবার মত সিচুয়েশন নেই। আমার মতে আরো ভালো হওয়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
Very interesting stories about the fathers of quantum mechanics, and how they came to their conclusions. Also great insights into why "quantum" is used so much in popular culture and why it is mostly used incorrectly, even Heisenberg's famous cat is almost always used incorrectly. Getting straight to the point: my favourite characteristic of Nayeem Hossain Faruque’s books is the easy language. Quantum mechanics is one of the most complex subjects of physics, not to mention vast in content. If someone wishes to understand it, finding starting points can be really difficult. However, this is a book I would definitely recommend to them. The fundamentals have been explained perfectly and concisely here and in a way that makes you remember. Jokes and humour, yet never crossing the line to disrespect- this book is perfect for those who want to learn but not be deterred by complexities of manners. Above all, Complex words and fancy language might sound pretty, but it just leads to tangled up thoughts. I really appreciate the writer for his efforts in focusing on the subject matter and clearing doubts about topics like where does mass come from, quantum duality, uncertainty principle and so much more instead of focusing on unwanted aesthetic criteria. Understand quantum physics? Neither do I. But this book did a great job at giving my understanding a quantum leap forward. This might be worth a reread in the future.
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
This book has just shown how strong and elegant physics is!- elegantly written
Was this review helpful to you?
or
Delivery time is not flexible
Was this review helpful to you?
or
Great book for beginners'
Was this review helpful to you?
or
joss
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ! পয়েন্টঃ৯.৯৯.../১০ কোয়ান্টাম মেকানিক্স নান শুনলেই চোখের সামনে নানা বিদঘুটে সমীকরণ আর কঠিন সব থিওরি ভেসে ওঠে।ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয় এগুলো আমার জন্য নয়।কিন্তু অনেকে আবার একটু সাহস বাড়িয়ে পপ লেভেলের বই এর দিকে হাত বাড়ায়। বাজারে এই শ্রেণির বইএর অভাবও নেই।কিন্তু তাদের বিশেষত্ব হলো তারা থিওরি "কাঠাল" হলে একে "আম" বানিয়ে ছেড়ে দেয়।ফলে পাঠক শ্রেণি এই "আম" কে সব মনে করে বসে থাকে যদিও সে "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" এর কানাকড়িটিও বুঝে না।(আমিও ভিকটিম)তাহলে কি করব??কিভাবে বুঝবো,ধারণা পাব বিজ্ঞানের এই ভুতুড়ে শাখা সম্পর্কে। তাহলে একটি বই এর কথা শুনুন(নাম শেষে থাকবে)।যা পরে আপনিও জানতে পারেন এই শাখা সম্পর্কে।কোয়ান্টাম মেকানিক্স শুনলেই সবার মনে এসে পরে ইলেক্ট্রন এর কথা।মনে করি এটা একটা সলিড বল।অনেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে।তারা জানে এই সলিড আবার ঘুরে নিজে নিজেই।যেকোনো পপ বইএ ফোরথ কোয়ান্টাম সংখ্যা বা স্পিন সংখ্যা বুঝিয়ে দেবে এই কথা বলে যে "ইলেক্ট্রন সমধর্মী চার্জ হওয়ার ফলেও একই অরবিটালে ২টি ইলেক্ট্রন থাকে এই স্পিনের ফলে।একটি ইলেকট্রন ঘড়ির কাটার দিকে ও অপরটি বিপরীত দিকে ঘুরে"। পূর্বেই বলেছিলাম কাঠালকে আম বানিয়ে ছেড়ে দেয়।তেমনি এই স্পিন আসলেই কী আমারা যেই স্পিন/ঘোরা বুঝি অই স্পিন নাকি অন্য কিছু?আবার কেন ইলেক্ট্রন বা সমধর্মী চার্জ যুক্ত কণা একসাথে থাকতে চায় না এগুলো কিছুই অই পপ বই গুলা আপনাকে জানাবে না।তাছাড়া,এখানে প্ল্যাংক লেন্থ কী জিনিস সেটা কোত্থেকে এলো?এটা কি খায় নাকি মাথায় দেয়? কেন প্রয়োজন?তা এত সুন্দর উদাহরণ এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে তা তুলে ধরতে বাধ্য হোলাম।যেমনঃএকটি ফোটনের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত কমবে এর ভর তত বাড়বে।ফলে একটা লিমিটের পর যদি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কমে তবে অল্প যায়গায় বেশি ভর সৃষ্টি হওয়ার কারণে অই ফোটনই ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়ে অন্য ফোটনকে খাওয়া শুরু করবে।ফলে কম্পিউটারের পিক্সেলের মতো মহাবিশ্বের ও পিক্সেল দরকার যা হলো প্ল্যাংক লেন্থ।এরকম উদাহরণ আশা করি কোনো পপ বই এই পাবেন না।সব গুলো বিষয়ই সুন্দর উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হয়েছে বইটিতে।এই বই এর বিরাট অংশ জুড়ে আছে হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তার নীতি আর শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ। বিষয় গুলো এত সাবলীল ভাবে লেখক বুঝিয়েছেন যা বর্ণনাতীত।তাছাড়া সব কিছু সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য লেখক বিভিন্ন চরিত্রের অবতারণা ঘটিয়েছেন যার কিছু আপনাকে হাসাবে আবার কিছু আপনাকে ভাবাবে।বাংলা ভাষায় এরকম বই খুজা আর খড়ের স্তুপ থেকে সুই খুজা একই জিনিস।বিদেশি ভাষায় ও এতো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লেখা বই আছে কিনা তাও অনিশ্চিত। এই একটি বইএ যে, কত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা আপনি না পড়ে বুঝবেন না।এর মধ্যে কিছু কিছু চ্যাপ্টার আপনার লোম দাড়া করাতে বাধ্য করবে।আপনার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসবে।যেন আপনি অনিশ্চয়তার জগতের একজন অনিশ্চিত অবজেক্ট।বই এর শেষের দিকে আবার মাল্টিভার্স,প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়েও গঠনমূলক আলোচনা করা হয়েছে।যেমনঃএগুলো নিয়ে কি কি ধারণা আছে এবং এদের প্রকারভেদ। বই এর অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হলো "পরিশিষ্ট" যেখানে বিভিন্ন সূত্রের সুন্দরভাবে প্রমাণ পেয়ে যাবেন।আর বইটিকে কোনো ভাবেই পপ সাইন্স লেভেলে ফেলা যাবেনা কারণ এখানে আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা।সমীকরণ থেকে গ্রাফ,ওয়েব ফাংশন সবই আছে।এবং আপনার জন্য লেখক কিছু এক্সারসাইজ ও রেখেছেন।যেগুলা আপনাকে সলভ করতে হবে,ভাবতে হবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে।"বাঁচতে ফলে,ভাবতে হবে" সবশেষে বইটির নামটিতেই কী যেন একটি ভালো লাগা কাজ করে আমার মনে।বইটির নাম হলো,"চা,কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স"
Was this review helpful to you?
or
"সারা জীবন সংগ্রহে রাখার মত একটা বই" - এই বইটা আপনি ১০০০ টাকা দিয়ে কিনলেও আপনি চোখ বুজে লাভবান!!! কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে জলের মত সহজে বোঝানোর ক্ষমতা লেখকের!! আপনি নবম দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান জানলেই আশা করি পুরো বইটা বুঝতে কষ্ট হবে না। হ্যাঁ; বইটা কিনে আমি সার্থক?
Was this review helpful to you?
or
চা আর কফি তো মারাত্মক
Was this review helpful to you?
or
Excellent book...I really enjoyed it. Thanks to Naeem vai for giving us a good to learn about science.
Was this review helpful to you?
or
Great book on quantum mechanics, and obviously the best book written on Bengali on this topic!!
Was this review helpful to you?
or
আমাকে বইটি অনেক ভালো লাগছে
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
নাঈম ভাইয়ের লেখা মানেই ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন কিছু! . তার রচিত কোনো বই যখন হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করি, একই সাথে ভালো লাগে, আবার খারাপও লাগে। ভালো লাগে এজন্য যে, বইগুলো সহজ ভাষায় রচিত, প্রতিটা টপিক পানির মতো সহজ করে বুঝিয়ে দেন তিনি। বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও যেকেউ তার বইগুলো পড়ে আনন্দ পাবেন, এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। . নাঈম ভাইয়ের লেখা পড়ে খারাপ লাগার কারণ, তার বইগুলো আমি হাতে পেয়েছি মাত্র ১ বছর আগে। আমার খুব আফসোস হয়, এমন বই যদি আরো দশটা বছর আগে পেতাম, তাহলে আজ হয়তো আমার জ্ঞানের পরিধি আরো অনেক বেশি থাকত! প্রতি বছর আমাদের দেশের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। আমার মতে, এর প্রধানতম কারণ, বিজ্ঞানের পাঠ্যবইগুলো লেখা হয় কাঠখোট্টা টাইপের বাংলারূপী হিব্রু ভাষায়। এসব বই পড়ে বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, বিজ্ঞানের আগ্রহটাই নষ্ট হয়ে যায়। . বিজ্ঞানের প্রতি যাদের ভালোবাসা ও আগ্রহ রয়েছে, বিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়াশোনা করতে চান, তাদের জন্য নাঈম ভাইয়ের বইগুলো বন্ধু হয়ে পাশে হয়ে পাশে দাঁড়াবে সবসময়, এ নিশ্চয়তা আপনাকে দিতে পারি। কিছুদিন আগে তার লেখা ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইটা পড়ে শেষ করেছি আমি। এত চমৎকার একটা বই সম্পর্কে কিছু যদি না বলি, তবে অন্তরে একটা অতৃপ্তি রয়ে যাবে। . বইটা খুলতেই প্রথম চোখে পড়েছে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক উৎসর্গপত্র। লেখক তার প্রিয় নানিকে নিয়ে লিখেছেন, যিনি পড়াশোনা করেছেন ম্যাট্রিক পর্যন্ত। খেলনার বদলে শিশুর হাতে বল তুলে দিয়ে বলেছেন, আমাদের পৃথিবী দেখতে এই বলটির মতো। পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারদিকে... বোঝাই যাচ্ছে, লেখক নাঈম ভাইয়ের বিজ্ঞানচর্চার পেছনে এই মহিয়সী নারীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। . এবার আসি মূল কথায়। পুরো বইটি গড়ে উঠেছে গল্পের ছলে সহজ সাবলীল সুন্দর ভাষায়। পরমাণু, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, কণা, তরঙ্গ, ভরবেগ, কৌণিক বেগ, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, গাণিতিক সমীকরণ ইত্যাদি হাজারো বৈজ্ঞানিক আলোচনায় ভরপুর। সেই সাথে প্রতিটি পাতায় দেখা মিলবে বড় বড় বিজ্ঞানীদের জীবনে ঘটে যাওয়া মজার মজার গল্প। খুঁজে পাবেন আক্কাস আলী, বক্কর ভাই আর জসিম মিয়াকে, যারা আপনাকে ক্ষণে ক্ষণে বিনোদনে মাতিয়ে রাখবে। . লেখাটিকে আর বড় করছি না। চাইলে এ বইটি নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ফেলা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো মানুষজন বেশি বড় লেখা পড়তে চায় না। যাই হোক, লেখাটি শেষ করছি নাঈম ভাইয়ের একটি গল্প দিয়ে— . নাঈম ভাই তার ছাত্রজীবনে কখনো গাইডবই ব্যবহার করতেন না। সবসময় চেষ্টা করতেন নিজে নিজে অঙ্ক করতে। যদি কখনো বাধ্য হয়ে গাইডবইয়ের সাহায্য নিতে হতো, তখন তিনি আফসোস করে বলতেন, ইশ, এই অঙ্কটি আজ আমার হতে পারত! . তাই বাঁচতে হলে ভাবতে হবে। বিজ্ঞান হোক আমাদের পথচলার সাথি। বিজ্ঞান পড়ুন, বিজ্ঞান বুঝুন।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সহজ সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা দেওয়া। পূরোটা এখনো শেষ হয় নি ?
Was this review helpful to you?
or
বাংলাতে এমন বই এর সংখ্যা আমার মনে হয় খুব কম তাই লেখককে অনেক ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
বইটি অসাধারণ। বোরিং ভাব কাটানোর জন্য ও সাঠে কোয়ান্টাম ফিজিক্স প্রাথমিক লেভেল এ শিখার জন্য বইটি একদম পারফেক্ট।
Was this review helpful to you?
or
ফিজিক্স কিভাবে দুর্বোধ্য ভাষায় বোঝানো যায় এই বই না পড়লে বুজতাম ই না। প্রতিটা টপিকের ব্যাখা জটিলভাবে দেওয়া হয়েছে। বই এর শুরুতে লেখা এই বই ৯-১০ এর জন্য। অথচ এই বই পড়ে কিছু বুজতে হলে আপনাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর literally সব কিছুই আগে জানা থাকা লাগবে। প্রত্যেকটা টপিক বুজানোর আগে বক্কর ভাই টক্কর ভাই এইসব হাবিজাবি উদাহরণ টেনে বই লম্বা করা হয়েছে। অথচ টপিকের শুরুতে যেই উদাহরণ টানা হয়েছে টপিক বুঝানোর জন্য সেই উদাহরণ বুঝতে হলে আপনাকে সেই টপিক সম্পর্কে মাস্ট জানতে হবে। Its like a paradox. টপিক না জানলে উদাহরণ বুঝবেন না আবার টপিক্টা বুঝানোর জন্যই উদাহরণ টা দেওয়া হয়েছে। সহজ কথায় বললে আপনি বইটাকে শুধু মাত্র কিছু ফ্যাক্ট জানার জন্য পড়তে পারেন। ইন্টারের বই পড়লেও এর চেয়ে ভালো বুঝতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
Valo boi
Was this review helpful to you?
or
Thanks
Was this review helpful to you?
or
That's nice book to learn quantum mechanics. Usually we can not found Quantum mechanics book in bangla language. But by this book i can learn many new information.
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে বই গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। এই বইটি আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কিন্তু কোথাও পাইনি ।শুধু রকমারি পেয়েছি রকমারি কে অনেক ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
বেস্ট
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ একটা বই।আমি মনে করি এটা শুধু আমারই নয়,এই বইয়ের প্রত্যেক পাঠকেরই পড়া৷ শ্রেষ্ঠ একটা বই।এটা সেমি-পপ টাইপ বই।লেখক নাঈম্ভাই এই বইয়ে অত্যন্ত চমৎকার এবং অতি সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর রহস্যময় দুনিয়াকে ব্যাখ্যা করেছেন।তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কণা তরঙ্গ দ্বৈততা কি জিনিস?শ্রোডিঙ্গার ইকুয়েশন, বেলের অসমতা, ডি ব্রগলি ইকুয়েশন সহ আরো আরো অনেক কিছু। এই বইটা পড়তে গেলে পাঠককে ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে,কারণ লেখার ফাঁকে ফাঁকে লেখক দিয়েছেন কুইজ।বাঁচতে হলে ভাবতে হবে। এককথায় বাংলা ভাষায় রচিত বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যে যদি কেউ আমার কাছে আমার ফেভারিট বিজ্ঞান বইয়ের নাম চায়,এর মধ্যে এই বইটা প্রথমেই থাকবে নিশ্চয়ই থাকবে। কেনো থাকবে?বলবনা পড়ে নিন।
Was this review helpful to you?
or
very nice book.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই ?
Was this review helpful to you?
or
Awesome book
Was this review helpful to you?
or
বানরের বংশধর এই বই ??
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
অদ্ভুত সুন্দর। :)
Was this review helpful to you?
or
- বইটা কতদূর পড়া হল, নাঈম? - এই যে সায়ন ভাইয়া, আর একটুখানি বাকি আছে। - আচ্ছা, দ্রুত শেষ করে রিভিউ দিয়ো। নাঃ, তেমন কিছু না, নাঈম হোসেন ফারুকী নামের একটি ছেলে কন্টেস্টে জিতে আমার লেখা 'ভাত ডাল আর উৎপটাং থিওরি' নামের বইটা প্রাইজ হিসেবে পেয়েছে। বইটা পড়ে রিভিউ দিতে বললাম। এখন অবশ্য আমি 'ডাল ভাত আর ঘচাং-ফু থিওরি' বইটা লিখছি, আর তার জন্য প্রচুর চিন্তাও করতে হচ্ছে। চিন্তার একঘেয়েমি কাটানোর জন্য চিন্তা শুরু করলাম আমার আগের বই 'ভাত ডাল আর উৎপটাং থিওরি' নিয়ে। কিছু উদ্ভট কথা এল মাথায়। উৎপটাং থিওরির কিছু হাইপোথেটিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশন অনুযায়ী, অন্য কোনও মহাবিশ্বে হয়তো আছে অন্য কোনও সায়ন খাঁন, আছে অন্য কোনও নাঈম হোসেন ফারুকী! সেখানে হয়তো সায়নের বদলে বইগুলো লিখছে নাঈম, ‘ভাত ডাল আর উৎপটাং’ থিওরি’ হয়ে গেছে ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’, ‘ভাত ডাল আর ঘচাং-ফু থিওরি’ হয়ে গেছে ‘চা কফি আর জেনারেল রিলেটিভিটি’, (কী সব বিদঘুটে নাম!) আর সায়ন ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ পড়ে রিভিউ দিচ্ছে! আচ্ছা, যদি সেরকমই হয়, তবে কেমন হত সেই সায়নের রিভিউ? স্বপ্নে এইসব দেখছি, এমন সময় ভেঙে গেল ঘুম। খুবই অদ্ভুত স্বপ্ন ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। এটা কি শুধুই স্বপ্ন, নাকি অন্য কোনও মহাবিশ্বে বাস্তবও? জানি না। অন্য কোনও মহাবিশ্বের অস্তিত্বের বা অনস্তিত্বের কোনও প্রমাণ নেই, তাই বলা যাচ্ছে না কিছুই। যাই হোক, আমি মনে হয় আমার রিভিউ থেকে অনেক দূরে, (নাইম্বাইয়ের স্টাইলে হয়তো বলা যায় কয়েক মহাবিশ্ব দূরে), তাই আপাতত রিভিউতে ফিরি। পপ বই নাকি পপ নয়, সেই নিয়ে আগে অনেক কথাই হয়েছে, নতুন করে বলার কিছু নাই। সেই সব থেকে নাকি জানা গেছে, একে সেমি-পপ বললে সবচেয়ে ভালো হয়। যাই হোক, সেই সব বাদ দিয়েই বলি বরং। এটা গল্পের বই। এটা দেখেই হয়তো অনেকের অনেক রকম প্রতিক্রিয়া হতেই পারে, কিন্তু আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে। এই বই গল্প বলে। ‘গল্প হলেও সত্যি’ বলে। ভূতের গল্পের চেয়েও বেশি ভূতুড়ে বাস্তবের গল্প বলে। তো এবার হবে কি, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মতো বিজ্ঞানের থিওরিকে ‘গল্প’ বলার জন্য অনেকেরই হয়তো কোয়ান্টামানুভূতিতে লাগবে। আচ্ছা, তাহলে একে বরং ‘গল্প’ না বললে কী হয়ে যাচ্ছে, সেটাই একটু দেখা যাক না হয়। -(বই পড়তে পড়তে) সূর্যের সাদা আলো আসলে সাত রঙের আলোর মিশ্রণ। (জিজ্ঞাসা) আচ্ছা, রঙ সাতটাই কেন? ছটা বা আটটা নয় কেন? -এই তো দেখাই যাচ্ছে, এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাতটা রঙ… -কিন্তু আমার তো সেই রকম ভাগ করতে ইচ্ছা নাও করতে পারে। যদি ধরি এই দুটোর মাঝে একটা আলাদা রঙ, আর এই দুটোর মাঝে যদি… -বিজ্ঞানীরা এই রকম সাতটা রঙে ভাগ করেছেন। তুই কি বিজ্ঞানীদের চেয়েও বেশি জানিস? -(মাথা চুলকে) না তো… -তাহলে বাজে বকছিস কেন? যা লেখা আছে মুখস্থ কর। এদিকে, রঙ হচ্ছে আসলে কল্পনা, বাস্তবে কল্পনার রঙ যার ওপর নির্ভর করে, সেটা হল আলোর কম্পাঙ্ক। যেহেতু আলোর কম্পাঙ্ক অসীম সংখ্যক হতে পারে, সুতরাং রঙও অসীম সংখ্যক হতে পারে, শুধু আমরা আমাদের সুবিধার জন্য সাত ভাগে ভাগ করেছি, অন্য যে কোনও সংখ্যক ভাগে ভাগ করা যেত। এই তাহলে অবস্থা! আচ্ছা, এবার বরং একটু অন্য দিকে তাকানো যাক। ওই যে, একজন ইয়ং-এর ডাবল-স্লিট এক্সপেরিমেন্ট পড়ছে। তাকে বরং তার পড়া ধরে দেখা যাক, সে আসলেই কতটা বুঝেছে। -ইয়ং-এর ডাবল-স্লিট পড়া হচ্ছে? বেশ! আচ্ছা, বিজ্ঞানী ইয়ং কীভাবে জানলেন যে আলো আসলে তরঙ্গ, সেটাও আছে নিশ্চয়ই! -হ্যাঁ, আছে তো! উনি পর্দায় আলোর প্যাটার্ন দেখে বলেছিলেন। -কিন্তু উনি যখন এটা বলেছিলেন, থখন তো সবাই আলোকে কণা বলেই জানত। তাহলে শুধু ওই প্যাটার্ন দেখে কীভাবে বললেন উনি? আর যদি আলো ছাড়া অন্য কিছুর জন্য প্যাটার্ন হত, তাহলেও কি সেটা তরঙ্গই হত? -(কিছুক্ষণ ভেবে) তা তো জানি না! তো, আমি চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ার পরামর্শ দিয়ে এলাম। এই রকম প্রতিটা ঘটনা, প্রতিটা নতুন তথ্য আবিষ্কারের পেছনে যে গল্প আছে, যে ভাবনা আছে, তা কিন্তু কোনও সাধারণ টেক্সট বই পড়ে জানতে পারা প্রায় অসম্ভব। শুধু তাই নয়, আরও একটা বড় ব্যাপার হল, এগুলোতে ভাবতে শেখানো হয় না। বা বলা যায়, শুধু বিজ্ঞান পড়ানো হয়, বিজ্ঞান শেখানো হয় না। হ্যাঁ, বিজ্ঞান পড়া আর শেখার মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য আছে, তা হয় তো অনেকে জানতেই পারে না। বিজ্ঞান শেখার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ভাবা। হ্যাঁ, চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স ভাবতে শেখাবে। মাঝে মাঝেই থাকবে কিছু আপাত অসঙ্গতি বা সমস্যা, যার সমাধান পাওয়ার আগে ভাবানো হবে। ভাবার ক্ষেত্রে অন্যতম সুবিধাজনক পদ্ধতি হচ্ছে ভিজুয়ালাইজেশন, যা যতটা সম্ভব বেশি করানোর চেষ্টা হয়েছে বইটিতে। উদাহরণস্বরুপ ধরা যেতে পারে ইলেকট্রনের স্পিন ±১/২ হওয়ার বিষয়টি। কোনও কিছুকে ৩৬০° ঘোরানো হলেও তা যে আগের অবস্থায় ফিরে নাও আসতে পারে, এটা সাধারণভাবে ধারণা করা খুব একটা সহজ নয়। তাই, ভিজুয়ালাইজ করানোর মতো করে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, মাঝে মাঝেই থাকছে চা পানের বিরতি, আর তাতে থাকছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কিত ইন্টারেস্টিং সব বিষয়, তার কিছু বাস্তব, কিছু কাল্পনিক … আর শেষে থাকছে ভয়ঙ্কর কিছু, যা নিয়ে গ্রুপের অনেকেই কৌতূহলী! কী সেই “ভয়ঙ্কর কিছু”? জানতে হলে অবশ্যই পড়ুন ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’! তবে হ্যাঁ, এই বই পড়তে হলে অবশ্যই ভাবার পাশাপাশি গ্রাফ এবং নাইন-টেনের ম্যাথ আর ফিজিক্স বুঝতে হবে, তবেই এই বই ভালো ভাবে বুঝে ওঠা যাবে। এবার একটু অন্য দিকে আসি। প্রুফ রিডের আগের অবস্থায় থাকায় প্রচুর পরিমাণে বানান আর ব্যাকরণগত ভুল পাওয়া গেছে, তাই মূল বইতে ভুলের পরিমান কী রকম সেই বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। তবে এই ভুলগুলোর মধ্যে সব চেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে ‘না’ শব্দটি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় না-এর অনুপস্থিতি চোখে পড়ল। এছাড়া মূল কনটেন্টের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে, সমাবর্তনের ক্ষেত্রে বেলের অসমতার প্রয়োগে সম্ভাব্যতার হিসাব বুঝতে বেশ অসুবিধা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে যোগ-বিয়োগগুলো সরাসরি না করে, আর একটু ব্যাখ্যা সমেত দিলে ভালো হত বলে মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
Nice Book
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Overall Satisfied ♥️?
Was this review helpful to you?
or
Awesome!
Was this review helpful to you?
or
বইটি সত্যিই অনেক ভালো,, কোয়ান্টাম বিষয়টাকে খুবই দারুন ভাবে বুঝিয়েছেন লেখক। এ ছাড়াও ডেলিভারিও খুবই সুন্দর❤️
Was this review helpful to you?
or
Amazing...Love it..
Was this review helpful to you?
or
এই ফালতু বই এর মত বই আর পড়ি নাই জীবনে। অপবিজ্ঞান
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে খুবই মজা লাগলো। বইটিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বেসিক বিষয় গুলো মজার ছলে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।যারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স ব মেকানিক্সের সাথে পরিচিত না তারা নিঃসন্দেহে কিনতে পারেন ঠকবেন না। ভালো থাকবেন
Was this review helpful to you?
or
ভাল
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।।।
Was this review helpful to you?
or
one of the best...
Was this review helpful to you?
or
#bookreview নামঃ চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী পেজঃ৩৩৫ মূল্যঃ ৪০০ টাকা (বইয়ের গায়ে লেখা দাম) পার্সোনাল রেটিংঃ ১০/১০ চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স সেমি পপ সায়েন্স টাইপের বই।এখানে যেমন বিজ্ঞান আছে, ইতিহাস আছে, গানিতিক সমীকরণ আছে,আবার গল্পও আছে। বইয়ের প্রথম দিকের চাপ্টার গুলো পরমানুর মডেল নিয়ে।ইন্টারের কেমিস্ট্রি বইয়ে রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতায় লেখা ছিল ম্যাক্সওয়েলএর তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্বানুসারে চার্জযুক্ত ইলেক্ট্রন শক্তি হারাতে হারাতে নিউক্লিয়াসে পতিত হবে।কিন্তু কেন হবে এর কোনো ব্যাখ্যা ছিল না।কিংবা বোর পরমানু মডেল এর সীমাবদ্ধায় ছিল জিম্যান প্রভাবে বর্নালী অনেকগুলো রেখায় বিভক্ত হয়। কিন্তু এতে বোরের মডেল কেন ভুল হবে তার কোন ব্যাখ্যা ছিল না ।চা,কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইয়ে এ ধরনের বিষয় গুলো চমৎকার ভাবে বোঝানো হয়েছে।ডি ব্রুগলির মডেল দিয়ে বোরের হিসেব মিলাতে আনা mvr= nh/2π প্রমান করার জন্য তরঙ্গের বেসিক জিনিসগুলো আনা হয়েছে(পুরো বই ই তরঙ্গের সমীকরনে ভর্তি এছাড়াও রয়েছে জটিল সংখ্যা আর সম্ভাবনা )।পরবর্তী অধ্যায়গুলো তে আলোচনা করা হয়েছে ভরের জন্ম, হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা নীতি,স্টেট,সুপার পজিশন, বোজন,ফার্মিওন, ভৌতিক চাপ্টার (ফাইনম্যানের টাইম মেশিন),পলির অপবর্জন নীতি, আমার সবথেকে প্রিয় চ্যাপ্টার শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ (ইন্টারে শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ পুরাই মাথার উপর দিয়া গেছে।? অথচ বইতে খুব সহজ উপায়ে প্রমান করা হয়েছে।),কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশন, কোয়ান্টাম টানেলিং, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট, বেলের অসমতা,আর সাথে রয়েছে চা পানের বিরতি?। বইয়ের সবচেয়ে ভালো লাগছে গনিতের ব্যবহার আর প্রত্যেক চ্যাপ্টারের শেষে থাকা প্রশ্নগুলো(বাচতে হলে ভাবতে হবে)।আমি এর আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে পপ সায়েন্স টাইপের বই পড়ছি যেখানে বিজ্ঞান কম ইতিহাস বেশি।কিন্তু গনিত আর পপ সায়েন্স একসাথে আছে এরকম বই প্রথমবার পড়ছি। আমার লেখার মান বেশ খারাপ হওয়ায় সবকিছু ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারলাম না। বইটা এর থেকে অনেক ভালো।লেখককে ধন্যবাদ। কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি নিয়ে লেখা বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম কোয়ান্টামের রহস্যময় দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে চাইলে বইটা পড়তে পারেন।আক্কাস আলী, বক্কর ভাই,আর জসিমের সাথে আপনার সময় ভাল কাটুক।?
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Best book on quantum mechanics i've ever read
Was this review helpful to you?
or
ব্যাক্তিগত রেটিং ৪.৭২/৫.০০ চা,কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স -নাঈম হোসেন ফারুকী ক্যাটাগরি-সেমি পপ সায়েন্স। বিজ্ঞানের সবচেয়ে বিস্ময়কর উদ্ভাবন হলো কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। লেখক কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রতিটি পযার্য়কে খুব সহজ করে লিখেছেন। পাঠককে বোঝানোর জন্য মজার মজার উদাহরণ দিয়েছেন। আবার প্রয়োজনীয় সমীকরণ ও দেখিয়েছেন। মাঝে মাঝে পাঠকের জন্য কিছু প্রশ্ন রেখেছেন ,যে প্রশ্ন গুলো পাঠক কে ভাবাবে। চা পানের বিরতি রেখেছেন,চা পানের বিরতিতে লেখক এমন সব তথ্য দিয়েছেন, যেগুলি পড়ে বেশিরভাগ পাঠক অবাক হবেন। পড়া শুরু করলে আস্তে-ধীরে হারিয়ে যাবেন কোয়ান্টাম বলবিদ্যার রহস্যময় জগতে।
Was this review helpful to you?
or
কিছু বলব না!তবে এইটা যদি কারোও সংগ্রহে না থাকে;নির্ঘাত সে অনেক কিছু থেকে পেছনে রইল
Was this review helpful to you?
or
very very good book. recommended for any kind of science enthusiast
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের শুরুটা বেশ প্রমিজিং। সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝা যাবে এমনটা ভেবেই আগানো। কিন্তু ক্রমশ আক্কাস বক্কর অমুক তমুক ক্যারেক্টারের ভিড়ে মূল বিষয়গুলোই হালকা হয়ে গেছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা হিসাব করলে প্রায় অর্ধেকের মত অংশে তথ্যের চেয়ে গল্প বেশি। এই পুরো বইয়ে একটাই পয়েন্ট ভালোভাবে এক্সেকিউট করা হয়েছে, সেটা হলো বেলের অসমতা। অপ্রয়োজনীয় খোশগল্প বাদ দিলে এই বইয়ে আসলে আরো অনেক ম্যাথেমেটিক্স ঢুকানো যেত। মোটাদাগে এটা সাইন্স কম পপসাইন্স বেশি হয়ে গেছে। তবুও বাংলাতে বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লেখার চিন্তা করায় লেখককে সাধুবাদ জানাই।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Filled with cringe stories, not so intuitional. Its hardly for 12 years old
Was this review helpful to you?
or
Wonderful, Must read
Was this review helpful to you?
or
This is an excellent book. Thanks...
Was this review helpful to you?
or
লেখকের 'পপ-সায়েন্স' রাইটার হিসেবে ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লিখেছেন নাইম ভাই।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বেস্ট বই। বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর এরথেকে ভালো বই হয়না। হাইলি রেকমেন্ডেড। সংগ্রহে রাখার মত
Was this review helpful to you?
or
বেস্ট
Was this review helpful to you?
or
just amazing
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় লেখা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
হাস্য রসের মাধ্যমে সহজে কোয়ানটাম ফিজিক্স এর ধারণা দেয়া হয়েছে :)
Was this review helpful to you?
or
স্কুল -কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বইটি সত্যিই অসাধারণ... কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বেসিক থেকে শুরু করে মোটামুটি গভীরে যেভাবে আলোচনা করা হয়েছে তার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। বইটি বেশ ভালো।
Was this review helpful to you?
or
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স : বিশাল Late বিশাল Long রিভিউ ? (রিভিউ সামারি পড়তে চাইলে স্ক্রল করে একেবারে নিচে চলে যান) গৌরচন্দ্রিকা ? :আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের(২০০৯-১০ সেশনের ) একজন শেষের সারির ছাত্র, যাকে কিনা বলা যায় একজন পুরোদস্তুর “ব্যাকবেঞ্চার”। স্কুল,কলেজে লাইফে কেউ আমাকে এরকম জানতো না, ভাল ছাত্র হিসেবেই চিনতো। বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ কোনো কালেই কম ছিলোনা, রেগুলার বই পড়তাম,ডকুমেন্টারি দেখতাম, সবই পপ লেভেলের। যাই হোক সেই ফিসিক্স ব্যাকবেঞ্চার হওয়ার বিশাল গল্প ফাঁদব না, এমনিতেই বিশাল লং রিভিউ। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে যে কয়েকজনকে খুবই রেসপেক্ট করি “কামরুল হাসান” স্যার তাদের একজন। তিনি আমাদের ব্যাকবেঞ্চার গ্রুপকে একবার বলেছিলেন “ফিসিক্স আসলে তোমাদের প্যাশন নয়, তোমাদের আসলে বাবা মা জোর করে ফিসিক্সের সাথে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করিয়ে দিয়েছেন। তবে বিয়ে যেহেতু হয়েই গেছে এখন একটু একটু করে তাকে বুঝ,ভালোবাসতে শিখো,না হলে সংসার সুখের হবে না।“ বলা বাহুল্য যে আমার ফিসিক্সের সাথে সংসার সুখের হয়নি। সেই সকাল আটটা থেকে ক্লাস করে দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমঘুম চোখে ল্যাব অথবা মাইনর করা লাগত পাঁচটা পর্যন্ত,তার পরে যেতাম টিউশনে নইলে বন্ধুদের আড্ডায়। সময় না দিলে সংসার সুখের হবে কি করে? একটা সময় এসে যখন বাস্তবতা এসে ধ্বাক্কা দিলো তখন বহু রিঅ্যাড,রিটেক, ফেলের চক্করে হাবুডুবু খাচ্ছি। সামনে বাঁচার একটাই পথ, পাশ করে বের হতে হবে;এর জন্য সিজিপিএ তুলতে হবে। তৃতীয় বর্ষে এসে সর্বপ্রথম পরিচয় হলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর সাথে। কোয়ান্টাম ১০১ যে স্যার নিতেন উনি বোর্ডে এসে বিশাল বিশাল ফরমুলা লেখতেন, অঙ্ক করতেন, আমরা তার লেকচার নোট করতাম। নিজের সাবজেক্টে খারাপ হলেও গণিতে মোটামুটি ভাল ছিলাম, আমাদের গণিতে মাইনর ছিল প্রায় বিশ ক্রেডিট,তার সবগুলোতেই ভালো করেছি। তাই জটিল ক্যালকুলাস ইন্ট্রিগেশন, ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন,ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম,জেনারেটিং ফাংশন এগুলোর ম্যাথমেটিকাল হিসাব বুঝতে কষ্ট হতো না। তবে কোয়ান্টামের বেসিক কিছু বুঝতে গেলে ঝামেলা লাগতো। ব্যাকবেঞ্চাররা টিচারদের কাছে গেলে খেতো ঝাড়ি, “ক্লাসে মোনোযোগ দেওনা,পড়াশোনা করনা”। তাই এত ঝামেলা পাকানোর ইচ্ছাও হোত না কারণ: পাশ করতে হবে, সিজিপিএ তুলতে হবে। সেখানে শিখলাম নরমালাইজেশন করে সাইয়ের মান আসে এক, টাইম ডিপেন্ডেন্ট,ইন্ডিপেন্ডেন্ট শ্রোডিঙ্গার ইকুয়েশনের সলুশান। শিখলাম পটেনশিয়াল ওয়েল এর বিভিন্ন লিমিটের অঙ্ক। কোনটা কি কাজে লাগে? এর পিছনের ফিসিক্যাল সিগনিফিকেন্স কি? বোঝার সময় নেই কারণ : পাশ করতে হবে,সিজিপিএ তুলতে হবে। চতুর্থ বর্ষে এসে কোয়ান্টাম ২ পড়াতে আসলেন নতুন শিক্ষক, তালাল স্যার। শুনলাম উনি নাকি রাশভারী টাইপের। ইতালির আব্দুস সালাম ইন্সটিটিউট থেকে পিএইচডি । প্রথম দিন ক্লাসে এসে আমাদের তৃতীয় বর্ষে কি পড়ানো হয়েছে দেখে উনি হেসে উঠলেন। বললে, “আরে এই ক্যালকুলেশন এত জটিল করা লাগে নাকি? তোমাদের ডিরাক নোটেশন শেখায় নাই?” আমরাতো ডিরাক কে, বা কি তাই জানি না। তাই উনি প্রথম একমাস আামাদের আবার নতুন করে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বেসিক বোঝালেন। যেহেতু উনার কোর্স শেষ করা লাগবে এক বছরের মধ্যে তাই বেসিকে বেশি সময় দিতে পারলেন না । কোয়ান্টামের যা বেসিক পেয়েছি সব ঐখানেই । পাশ করে বের হওয়ার পর শুরু হলো নতুন জীবন, নতুন বাস্তবতা, চাকরীর পিছনে ছুটে সেই মুখস্থ পড়া স্রোতে গা ভাসানো, অবশেষে একটা সরকারী চাকরি। তাই কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝার জন্য সময় বের করা আর শ্রম দেয়ার অবকাশ আর হয় নি। এ বছরের শুরুর দিকে এক বন্ধু অ্যাড করল এ গ্রুপে, “পিউর সায়েন্সের মিলিট্যান্ট গ্রুপ, সবাই সুডোসায়েন্স,মনগড়া ইনফরমেশনকে এখানে বাঁশ দেয়,একেবারে অ্যাকচুয়াল সায়েন্টিফিক কমিউনিটি যা বলে তা নিয়েই কথা হয়”। অ্যাড হওয়ার পরেই গ্রুপটাকে খুব ভালো লেগে গেল। গ্রুপের মডারেটর নায়েম ভাই। সবাই দেখি উনার বই নিয়ে পোস্ট দেয়। প্রথমদিকে ভাবতাম হয়ত বই বিক্রির জন্যেই উনার এ গ্রুপ খোলার উদ্দেশ্য (নেগেটিভভাবে বলিনি,উঠতি লেখকদের অনেক কিছুই করা লাগে) কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এ গ্রুপের উদ্দেশ্য বিশাল কিছু। গ্রুপটির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে তোলা, খোলামনের অধিকারী করা, প্রশ্ন করতে,চিন্তা ভাবনা করতে শেখানো। এখানে কোনও প্রশ্নকেই ছোট করে দেখা হয়না।তাই যে কোনো প্রশ্নে হাহা দেয়া ব্যান। আমিও আর দেরি না করে রকমারিতে অর্ডার দিয়ে দিলাম বইটি। রিভিউ ?: প্রথমত, চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি পিউর পপ সায়েন্সের বই নয়। অনেক জটিল ইকুয়েশন রয়েছে বইটিতে। তবুও লেখক অনেক সুন্দর সুন্দর ছোট গল্প বলে ইকুয়েশন পর্যন্ত বুঝিয়ে দিয়েছেন। আক্কাস আলী, বক্কর ভাই আর জসিমের হৃদয় বিদারক কাহিনী সবার মন জয় করবে। ? দ্বিতীয়ত, লেখক physical significance (ভৌত তাৎপর্য), ইনটুয়েশন বোঝাতে খুব জোর দিয়েছেন। ফিজিক্স শেষ করে যখন চাকরি-বাকরি হচ্ছিল না, তখন এমএড এ ভর্তি হয়েছিলাম ঢাবি আইআরএ। সেখানে শিক্ষা আর সৃজনশীল টপিকের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বিজ্ঞানকে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে দরকার বাস্তব উদাহরণ। আর কোনো সূত্র বা থিওরির ভৌত তাৎপর্য দিতে পারে স্টুডেন্টকে ঘটনার পূর্নাঙ্গ ব্যাখ্যা। নায়েম ভাই এত সুন্দর করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সব বিষয়গুলোর তাৎপর্যগুলো তুলে ধরেছেন, এগুলো আমরা স্কুল,কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও কেউ চিন্তা করিনি! তৃতীয়ত, অনেক পপ সায়েন্স বা সায়েন্সের বই পড়লে মনে হয় তারা ধরে নিচ্ছে পাঠক অনেক কিছুই জানে। অথবা পুরো উল্টো,পাঠককে স্টুপিডের মত ট্রীট করে। এখানে সেটা হয়নি। মানুষের জানার কমতি থাকতেই পারে। নায়েম ভাই তাই শুরু করেছেন সেই স্কুল কলেজে পড়া তরঙ্গ,স্থির তরঙ্গ, ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে যাতে সবাই বিষয়গুলো ধরতে পারে। চতুর্থত, বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সব রথি-মহারথিদের জীবনের বর্ণনা, তাদের গবেষণার এবং থিওরী প্রবর্তনের পেছনের গল্প গুলো বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক নেই এমন পাঠকদেরকেও আকৃষ্ট করতে সক্ষম। আমার রুমমেট আরেক চাকুরিজীবী ভাই আছেন, পড়েছেন সমাজকল্যাণে। এক বিকেলে ফিরে দেখি বিছানায় সটান হয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন বইটি। বললেন “ভাই বোর-আইনস্টাইনের কাহিনী পড়েতো মজাই লাগে”। ? বইটি নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষার পপ সায়েন্সের একটি অসাধারণ সংযুক্তি। লেখক যে উদ্দেশ্য নিয়ে বই লিখে চলেছেন এবং গ্রুপ খুলেছেন তা সফল হোক। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল খোলামনের মানুষ তৈরী করা যারা নিজ থেকে চিন্তা ভাবনা করতে পারে, প্রশ্ন করে। লেখক একটু পরপরই পাঠকে চিন্তা ভাবনা করতে উৎসাহিত করছেন। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল। সমালোচনা: কোনও কিছুই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। (এখানের সমালোচনা পুরোটুকুই পার্সোনাল ওপিনিয়ন,গুরুত্ব দিয়ে দেখার বা লেখকের উপর পার্সোনাল অ্যাটাক মনে করার প্রয়োজন নেই,শুধু বইয়ের হার্ড কপির বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছি। এই বইয়ের টপিক নিয়ে গভীর সমালোচনা করার মতন জ্ঞান আমার নেই।) : আমার কাছে বইটির দ্বিতীয় এডিশন রয়েছে। অনেক জায়গায় বানান ভুল আছে, এটা লেখকের দোষ নয়,প্রিন্টিং মিসটেক,নতুন এডিশনে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। ইকুয়েশন আর গ্রাফের নম্বর দিলে ভালো হতো, অনেক সময় কোন ইকুয়েশন বা গ্রাফকে ইন্ডিকেট করা হচ্ছে বুঝতে মুশকিল হয়ে যেতে পারে।(আামার তেমন সমস্যা হয়নি কিন্তু কম বয়সের নতুন পাঠকদের কথা চিন্তা করে বললাম)। কিছু যায়গায় মূল টপিকের চেয়ে বক্করের কাহিনী আমার কাছে কম্প্লিকেটেড মনে হয়েছে, এটা অবশ্য এই বিষয়গুলো নিয়ে আগে পড়ে থাকার কারণে হয়ে থাকতে পারে। রেটিং ?: আমার মতে ১০(দশে দশ) শুধুমাত্র কালজয়ী সাহিত্য বা সিনেমাকে দেওয়া উচিৎ। আর ৯ হচ্ছে কালজয়ী হওয়ার মতন বইগুলোকে যা একটুর জন্য হতে পারেনি । অত্যধিক ভালো বইকে আমি ১০ এ ৮ দেই। চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স তাই আমার কাছে পাচ্ছে ৮। আমি মোটা বইতে বুকমার্ক থাকা খুব পছন্দ করি তাই এখানে একটা চোরামি করলাম। ০.২ বাড়িয়ে দিলাম। ফাইনাল রেটিং ৮.২ সাথে অগাধ ভালোবাসা ❤❤❤। রিভিউ সামারি : কোয়ান্টাম মেকানিক্স শুনলেই মনে হয় কতনা কঠিন সাবজেক্ট, অথচ স্কুল কলেজ লেভেলে আমরা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা এর অনেক বেসিক টপিকগুলোই পড়ে এসেছি। সঠিক ব্যাখ্যা নির্দেশনার অভাবে তখন টপিকগুলো বুঝিনি বা এড়িয়ে গিয়েছি। যারা সায়েন্স নিয়ে পড়ছ, বিশেষত ভবিষ্যতে সায়েন্স নিয়ে কাজ করার,পড়াশোনার ইচ্ছা আছে তাদের জন্য অবশ্যই পড়ার মতন বই। বিশেষত যারা ইন্টার দিয়েছ, ফিজিক্স,অ্যাপ্লাইড ফিসিক্স,কেমিস্ট্রি ফার্স্ট ইয়ারে আছো এখনই অর্ডার দিয়ে পড়ে ফেলো। নায়েম ভাই তোমাদের শোনাবেন আইনস্টাইন, নিলস বোর, হাইজেনবার্গ আর শ্রোডিঙ্গারের কথা, বক্কর ভাই আর জসীমের গল্প এর ফাঁকে ফাঁকে ক্লিয়ার করবেন বেসিক আর শেখাবেন গণিত। আমাদের পাঠ্য বইগুলো এমন হলে কত মজায় মজায় শিখতাম আমরা! বইয়ের রেটিং ৮.২/১০?। রকমারি রেটিং ৪.১/৫
Was this review helpful to you?
or
বাংলায় লেখা বিজ্ঞান বই গুলোর মধ্যে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি অন্যতম বলা যায়।কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলোর মধ্যে একটি কিন্তু লেখক গল্পে গল্পে বিষয়টিকে খুব বোধগম্য করেছেন। জটিল ধারণা গুলো সহসাই মস্তিষ্কে সংরক্ষিত হলো। লেখক গল্পে গল্পে বলায় অনেকের কাছেই এটা পপ সায়েন্স এর বই মনে হতে পারে। কিন্তু না! লেখক সমীকরণ গুলোকে গল্পে গুলিয়ে খাইয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যাক্তিগত মতামত এই যে লেখক আরো কিছু সমীকরণ এড করলে ভালো হতো।
Was this review helpful to you?
or
this is a very useful book. But my advice is that you should read some easy book fast. Thank You Rokomari.com
Was this review helpful to you?
or
কোথায় যেন একটা লাইন পড়েছিলাম,"I do believe something very magical can happen when you read a book" চা-কফি কোয়ান্টাম মেকানিকস বইটি পড়ে আমার ক্ষেত্রে এমন ম্যাজিকাল,সত্যিকার অর্থেই ম্যাজিকাল কিছু হয়েছে।কেন বলছি?বইটি নিয়ে কিছু বলা যাক। আমার মতে,বিজ্ঞানে কি প্রশ্ন যেমন গুরুত্বপুর্ণ,তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কেন?কিভাবে?এটাই কেন?ওটা নয় কেন এসব প্রশ্ন।কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর বাংলায় লেখা আরো কিছু বই পড়ে আমি কেবল কি প্রশ্নের,কি হয়,কি হয়না,কিছু ঘটনা,সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের নাম এসবই মূলত জানতে পেরেছি,কিন্তু চা-কফি কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটিতে সাল,ঘটনা এসব নিয়ে মাতামাতি না করে মাতামাতি করা হয়েছে জিনিসটা সত্যিকার অর্থেই কি বোঝায় তার উপরে।প্রথমেই ব্লাক বডি রেডিয়েশন নিয়ে বিজ্ঞান যে সমস্যায় ভুগছিল,তা কিভাবে প্লাঙ্ক সাহেব সলভ করলেন তা খুটিয়ে খুটিয়ে,কখনো বা গল্পের সহায়তায় বোঝানো হয়েছে।বিজ্ঞানী বোরের পরমানু মডেল,বর্ণালী,বিশেষত স্পিন,এগুলো নিয়ে হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা,ফিল্ড কি জিনিস,খায় না মাথায় দেয়?পার্টিকেল,রঙ এসব নিয়েও হয়েছে আলোচনা।মাঝেমধ্যে গল্পের তালে তালে অনেক বেসিকস ক্লিয়ার করা হয়েছে যেমন:মৌলিক রঙ কি জিনিস?মহাকর্ষের বেসিক,নক্ষত্রের জীবনচক্র,ভরের জীবনকথা,one electron universe,বেশিরভাগ ভর যে হিগস বোসন থেকে আসে না,সেটিও পরিষ্কার করা হয়েছে।সমগ্র বই জুড়েই প্রকৃতির রহস্যছেদের চেষ্টা চালানো হয়েছে।এত সুন্দর কেন বইটা?প্লিজ আন্সার,সত্যিকার গবেষনাধর্মী বইএর স্বাদ পাবেন আপনি বইটি থেকে। বইটির বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে হাইজেনবার্গ Uncertainty, চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে স্রোডিঙ্গার ইকুয়েশন নিয়ে,কি বোঝায়?কি না বোঝায়?আমাদের পপুলার মিসকনসেপশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে জোরদার।সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হল,বইটির ভাষা-ভঙ্গি।সর্বদাই আপনার মনে হবে,যেন এক কৌতুহলী চরিত্র আপনার কাছে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে তার কৌতুহল ব্যক্ত করছেন,নিজেই প্রশ্ন করে করে উত্তর দিয়ে চলেছেন,বিজ্ঞান নিয়ে লেখক যেন আপনার সামনে বসে গল্প করছেন।এমন সাবলীলতা সচারচর বইতে পাওয়া যায় না,Trust me. আরেকটা কথা,বইটিকে পপ সায়েন্স বলে পাপের বোঝা ভারী করবেন না,মাঝে মাঝেই প্রয়োজনীয় সমীকরণ ব্যবহৃত হয়েছে,শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ সলভ করা হয়েছে,২/১ টা কেসে,এখান থেকেই অরবিটাল এর আইডিয়া বোঝানো হয়েছে,শেষে আছে পরিশিষ্ট,সমাধান গেস করে স্রোডিঙ্গার ইকুয়েশন এর একটা প্রুভ দেখানো হয়েছে,ইন্টারেস্টিং ♥ বইটির শেষের দিকে জন বেলের অসমতা থেকে প্রকৃতি যে নিজেই তার ব্যপারে শিউর না,তার পেটের ভিতরে কিছু নেই, তা দেখানো হয়েছে।"Quantum world is not unknown,it is unknowable until measured"কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগলমেন্ট নিয়ে গ্রেট বোর আইন্সটাইন ডিবেট? শেষ অংশ পড়ে আপনার ভেতরে জাগবে শিহরণ,কি ভয়ংকর সব ব্যাখ্যা কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর,যদি কোয়ান্টাম বাস্তবতা জেনে আপনি শিহরিত না হয়,চারপাশ নিয়ে,আপনার এগজিস্টেন্স নিয়ে দোটানায় পড়ে না যান তবে আপনি মৃত,অন্তত মনের দিক থেকে। এত কিছু একবারে জানবার লোভ যদি আপনার না থাকে,যদি প্রশ্ন করেন এসব জেনে,পড়ে কি লাভ?একটি কথাই বলব, "কে বলেছে আপনাকে পড়তে?"
Was this review helpful to you?
or
marattok??
Was this review helpful to you?
or
সাধারণত আমি রিভিউ টিভিউ এ খুবই কাঁচা। আর বিজ্ঞানের সব বই-ই আমার ভালো লাগে তাই রেটিং দিতেও কনফিউসড হয়ে যাই। যাই হোক যেই বইটা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো তা হলো - "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স", বইটি নাঈম হোসেন ফারুকী ভাইয়ের লিখা। রেটিং দিতে কনফিউসড আগেই বলেছি তার পরেও বইটা পড়ার পরে পারসোনাল যদি রেটিং দেই তবে আমার রেটিং হবে - রেটিংঃ ৯/১০ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৩৫ কেন ১০ এর মধ্যে ৯? একটা কথাই বলবো বাংলা ভাষায় পদার্থ বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম জগত সম্পর্কে এতো প্রাঞ্জল তো বোধগম্য এর থেকে বেটার একটি বই দেখান আমাকে! এই বইটা কেনার প্রতি আগ্রহ জাগে তার পূর্বলিখিত একটি বই " বিজ্ঞানে অজ্ঞান" (যদিও নামটা কিছুটা ভিন্ন) বইটি পড়ে। সেই বইটার প্রতিটা অধ্যায় আমাকে টেনেছিলো। আমি অনেককে সেই বইটা দিয়েছিলাম পড়তে৷ কারণ বইটা একটা বিজ্ঞানমনস্ক মানসিকতা ক্রিয়েট করতে সক্ষম। এছাড়াও লেখকের গ্রুপ "ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান" এ তার চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর কিছু পোষ্ট ও অধ্যায়ের ছোট ছোট কিছু পোষ্ট দেখে বইটা কিনতে আগ্রহী হয়েছিলাম। বইটা কিনেছিলাম ফেব্রুয়ারিতে, আর বইটা পড়ে শেষ করেছি জুন মাসে মেবি। আমি একটানা পড়ে যেতে পারিনা। তাই দুই একটা করে চ্যাপ্টার পড়ি সেগুলা থেকে যা নতুন তথ্য পাই সেগুলো পরবর্তীতে গুগলে একটু ঘাটাঘাটি করি। তাই সময় লেগে যায়। আর সত্যি বলতে আমি পারসোনালি মনে করি এই টাইপের বইগুলো সময় নিয়েই পড়া উচিত। এগুলো তো উপন্যাস না যে ঝাড়া পড়ে গেলাম। এগুলোর প্রতিটা জিনিস বুঝার সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত ঘাটাঘাটির জন্য সময়ের দরকার। বইটিতে শ্রোডিঙ্গারের ইকুয়েশন, ওয়েভ পার্টিকেল ডুয়ালিটি, ফিল্ড কি, ওয়েভ ফাংশান, পলির নীতি বিষয়গুলো নিয়ে যেভাবে বোধগম্য ভাষার ব্যাখ্যা করা হয়েছে সাথে গ্রাফ তৈরি করেও দেখানো হয়েছে তা প্রশংসনীয়। আরেকটা কথা হচ্ছে আমি এই বইটা পড়েও কোয়ান্টাম টানেলিং সমন্ধে ভালোভাবে বুঝতে পারলাম না।যদিও তা সহজে বুঝাতে অনেক সমীকরণ, গ্রাফ আঁকা হয়েছিলো। (আমি গণিতে কাঁচা) হয়তো কোয়ান্টাম টানেলিং জিনিসটা কঠিন। আরও পড়া লাগবে। বিভিন্ন থিওরী থেকে আসা মাল্টিভার্স সমন্ধেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। ওভারঅল বইটি বাংলাদেশি স্টুডেন্ট দের জন্য একটা মাস্টারপিস বলা যায়। বইটিকে অনেকে পপ সাইন্সের বই বলে আখ্যায়িত করেছেন, যদিও আমি পারসোনালি একে পপ সাইন্সের বই ভাবিনা। পপ সাইন্সের বই হিসেবে উদাহরণ দিতে পারি নিল ডিগ্র্যাস টাইসনের "অ্যাস্ট্রোফিজিক্স পিপল ইন অ্যা হারি" এবার আপনারা দুটো বইয়ের মধ্যে ডিফারেন্স বের করুন। জানি এখন বলবেন টাইসনের বইটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর না! হুম এটা সত্য। কিন্তু আমি বইটার এইজন্য বললাম যে বইটা পড়লে পপসাইন্স কি তা অনন্ত বুঝতে পারবেন। যাই হোক আগেই বলেছি রিভিউ টিভিউ এ আমি অভ্যস্ত না তাই বেশি কথা বলে রিডার দের পেইন দিতে চাইনা। আর হুম লেখকের পরবর্তী বই জেনারেল রিলেটিভিটি, কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরির উপর বেস করে হবে হয়তো। বইগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
বাংলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বই।?
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
ঈদের ঝামেলার কারণে প্রায় ২১ দিন পর হাতে পেয়েছি,কিন্তু পেয়ে মন ভালো হয়ে গেছে কারণ এত সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে বুঝানো হয়েছে।আমি ১০ম শ্রেনিতে পড়ি,বইটা মাত্র শুরু করেছি শেষ করতে পারলে অনেক কিছু জানতে পারব।
Was this review helpful to you?
or
এমন বই বাংলায় খুব কমই আছে। বইটা পড়তে খুব আরাম।অনেক কিছু শিখেছি বইটা পড়ে
Was this review helpful to you?
or
আমার মতে এইটা বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
Good Service
Was this review helpful to you?
or
বিষ্ময়কর বই ?
Was this review helpful to you?
or
(উম, জীবনের প্রথম রিভিউ :| ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন) নাম: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক: নাইম হোসেন ফারুকী । ভাগ্যিস আমি কোয়ান্টাম মেথড কে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাথে মিলাতাম না! যারা কেমিস্ট্রি নিয়ে খুব গর্ব করে, কিন্তু এই সাব্জেক্টের নাম শুনেনি, যারা বলে ম্যাথেম্যাটিকালি সবচেয়ে উন্নত মডেল নিলস বোরের মডেল, যারা বলে ফিজিক্স বোরিং সাব্জেক্ট, যারা কণা-তরঙ্গ দৈত্বতার তরঙ্গকে ফিজিকালি উঠানামা করা তরঙ্গ ভাবে সব জায়গায় ওই জিনিস টানে, যারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স পুরা ভুয়া জিনিস ভাবে কারণ সেটা বাস্তব জীবনের সাথে যায়না, যারা না বুঝে ইলেক্ট্রন বিন্যাস তারাতারি করে খুব ভাব নেয়, আমি বলবো তাদের জন্য বইটা পড়া খুব দরকার! (বিশাল বড় বাক্য হয়ে গেল :|) ক্লাস নাইনের শুরুতে এই সাব্জেক্ট নিয়ে শুনছিলাম, ভালো কোনো সোর্স পাচ্ছিলাম না এটা নিয়ে একটু ভালো করে জানার... টেন পর্যন্ত এলোমেলো ভাবে খুজতে খুজতে আসলাম, তারপর এই বইটা পাইলাম! বইটা পড়ার আগেও বেশ কয়েকটা জিনিস নিয়ে আইডিয়া ছিল, কিন্তু ক্লিয়ার না। বইটা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বেসিক জিনিস গুলো ক্লিয়ার করার সাথেও অন্যান্য ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি রিলেটেড জিনিস ও ক্লিয়ার করছে। একেবারে ইতিহাস থেকে শুরু করে ফিজিক্সের প্রয়োজনীয় বেসিক শিখায়ে তারপর মেকানিক্সে ঢুকা হয়েছে। জটিল প্রতিপাদন পরিশিষ্টে ছিল। প্রথমত আলোর কোয়ান্টাইজেশন নিয়ে কোনো আইডিয়া ছিল না সেরকম। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড সম্ভবনার ফিল্ড কণা, তাও আবার রেস্টম্যাস নাই এরকম কণা। ফোটনের ব্যাপার টা খুব ভালো ভাবে পাইছি বইয়ে। বিজ্ঞানিদের কে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেটা ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লাগছে; বাস্তবেই যারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। মোল এককে আইনস্টাইনের অবদান ছিল জানতাম না! তৃতীয় আর চতুর্থ অধ্যায় ২টায় বেসিক কিছু ফিজিক্স সুন্দর ভাবে দেওয়া ছিল। পরমানু মডেল আর বর্ণালী রিলেটেড জিনিস, নিলস বোর কিভাবে সমীকরণ টা পেল, ডি ব্রগলির পরমানু মডেল এর ম্যাটার ওয়েভ টা ঠিক কিনা, কেন তার মাথায় এরকম চিন্তা আসলো, ফোটন টাইম অনুভব করে না বলতে কি বুঝায়, ফটোইলেক্ট্রিক এফেক্ট আর সবচেয়ে ভালো যেটা লাগছিল : ভরের জন্ম কিভাবে হলো, কোনটাকে রেস্ট ম্যাস আর কোনটাকে রিলেটিভ ম্যাস বলে এই জিনিসটা ভালো লাগছিল অনেক। স্পিনের ব্যাখ্যা টার কথাটাও আলাদা করে লেখার মতো! এটা বইয়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস গুলোর একটা হবে... প্রয়োজনীয় ওয়েভ মেকানিক্স ও শুরুর অধ্যায়ে দেওয়া ছিল। যেটা যেটা লাগে... এইসব বেসিকের পর ধীরে ধীরে ডিপে চলে যাই। কণা তরঙ্গ দৈত্বতা, সুপারপসিশন, অনিশ্চয়তা, ওয়েভ ফাংশন আর এটা কল্যাপ্স বলতে কি বুঝায়, ফার্মিয়ন আর বোজন এর আজব জগত, আরো যা যা আছে সব কিছুর কনসেপ্ট ক্লিয়ারের জন্য ভালো ছিল পরের অধ্যায় গুলো। ভাসা ভাসা ধারণা ছিল আগে। তার পর শেষের দিকের অধ্যায় গুলোতে আসে আরো ভুতুরে জিনিস! ঠিক ভুতুরে না, কোয়ান্টাম জগতের জিনিস আমাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে কতটা ব্যতিক্রমি সেটা বিভিন্ন কোয়ান্টাম ফেনোমেনার মাধ্যমে দেখানো ছিল। শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ আর জীবন মরণের মাঝে ঝুলে থাকা বিড়াল তো ছিলই। কোয়ান্টাম টানেলিং আর পরমানুতে ইলেক্ট্রন বিন্যাস কিভাবে হয়ে থাকে এই পার্ট টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার কাছে। রেডিওএক্টিভিটির প্রপার ব্যাখ্যা শেষ পর্যন্ত! এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট আর বেলের অসমতার জায়গা টা সবথেকে জটিল লাগছিল, আর সবচেয়ে বেশি সময় নিছিল। বিভিন্ন জায়গায় এই "কণা অনেক দূরের ভাইয়ের সাথে আলোর চেয়ে বেশি বেগে যোগাযোগ করে" টাইপ লেখা পড়ছিলাম, কিন্তু বিস্তারিত কোথাও পাইনি। এটা নিয়ে প্রায় পুরা চ্যাপ্টার ছিল একটা! শেষের দিক টা পপ সায়েন্স মনে হইলেও আমার কাছে এন্টি-পপ মনে হয়েছে। স্ট্রিং থিওরি আর মাল্টিভার্স নিয়ে মানুষ খুব বেশিই লাফায়, আর এটা নিয়ে এত লাফানো কতটা যৌক্তিক, এই পার্ট টায় ওটা ছিল। ফাইনালি, বলবো যে এটা আমার কোনোভাবেই পপ সায়েন্স মনে হয়নি। ওয়েভ মেকানিক্স, শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ ডিটেইলে, বেলের অসমতা এসব কিভাবে পপ হয় সেটা বুঝিনা। কেউ যদি এই নাইন-টেন লেভেল এ সিরিয়াস ভাবে কোয়ান্টাম ফিজিক্সে ঢুকতে চায়, এটা আমার মতে বেস্ট স্টার্ট হবে। এমনিতেক ফিজিক্সের সৌন্দর্য অনুভর করার ইচ্ছা থাকলেও এটা পড়া উচিত। গল্প পড়তে পড়তে হঠাত ফিজিক্সে ঢুকে যাওয়া- মূলত এইভাবে লেখা বইটা। কয়েকটা জায়গা এক্সেপশোনালি হাস্যকর ছিল! সব মিলে, অভিজ্ঞতা টা সুন্দর ছিল। প্লাস আমার জন্য প্রয়োজনীয়।? (বি: দ্র: রেটিং কম এর কারণ প্রিন্টিং মিস্টেক একটু বেশি ছিল, একেবারে বিগিনার দের কনফিউশন সৃষ্টি করতে পারে। তবে সেকেন্ড এডিশনে সম্ভবত ঠিক হইছে)
Was this review helpful to you?
or
A great book to read which explains quantum mechanics in the possible simplest Dr. Raihan Rafique
Was this review helpful to you?
or
very helpful book . One of the best book I have read.
Was this review helpful to you?
or
বইঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী -প্রান্ত প্রকাশন- গায়ের মূল্যঃ ৪০০ টাকা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সুবিশাল রাজ্যে বেশ উঁকি দিয়েছি।মানে বিভিন্ন আর্টিকেল,সিরিজ পড়েছি।আর“চা-কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স”- বইয়ের মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মহাসমুদ্রে ঝাপ দিয়েছি।নামের সাথে আলোচনার একদম মিল পেয়েছি। প্রথমত,উপস্থাপন কৌশল আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।বেশ মজা করে,আকর্ষণীয় করে বোঝানো হয়েছে।নরমালি,আপনাকে প্রথমেই সবাই বলবে -এটা খুবই কঠিন,পারবা তো?এইসব নেগেটিভ কথা। আর লেখক গিয়েছেন এদের প্যারালালে।তিনি দেখিয়েছেন, খুব সাবলীলভাবে কোয়ান্টাম জগতে বিচরণ সম্ভব।আমাদের সাথে থাকবে আক্কাস আলী,বক্কর ভাই।লেখার ভাষা সহজেই বোধগম্য বলে পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি। লেখক অনেক জায়গাতে, ১০ তলা বিল্ডিংয়ের ৮ তলা পর্যন্ত ওঠা শিখিয়ে বাকিটা আমাদের নিজে করতে বলেছেন ”বাঁচতে হলে ভাবতে হবে"-উক্তির মাধ্যমে।এসব সমাধান করেই বোঝা যাবে, আমি কি আদৌ ক্লিয়ার করেছি বিষয়টা? এবার আসি মূল বিষয়ে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর বিষয়গুলোর জন্ম কীভাবে,বিজ্ঞানীদের নিয়ে কথা-এসব থাকায় আগ্রহ টা ওখানেই সেট হয়ে যায়।এরপর আপনাকে ঘোরানো হবে,রহস্যময় এক জগতে।যেখানে,জে.জে.টমসন আর রাদারফোর্ড এর অবদানে পরমাণুর প্রাথমিক ও চিত্তাকর্ষক ধারণা জানবো। না না,এটা পপ সাইন্সের বই না।এখানে পিওর সাইন্স টা দারুণভাবে বোঝানো হয়েছে।ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের দারুণ কিছু তথ্য জানবো এখানে।নীলস বোরের কৌণিক ভরবেগের চমৎকার সূত্র দেখবো।সেই সাথে তার বর্ণালির ব্যখ্যা পাবো। এখানে,মজার একটা বিষয় আছে-ভরের জন্ম। কণার অবস্থান,কণা তরঙ্গ দ্বৈততা- ভালোভাবে ব্যখ্যা করা আছে। পাবেন,ফাইনম্যানের টাইম মেশিন।খুব খুব বিখ্যাত শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণের আদ্যোপান্ত আছে। এরপর সেই অসীম লেভেলের কৌতুহল সৃষ্টিকারী মাল্টিভার্স আর সুপার ডিটারমিনিজন।কয়েকটা টপিক উল্লেখ করলাম।আরও ইন্টারেস্টিং টপিক্র ভরপুর বই। বইটা একদম মন ভালো করার মতো একটা বই।আমি স্যাটিসফাইড। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারেন,আপনার চারিদিকেই রহস্যের মায়াজালে ঘেরা। আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ থাকবে,মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি জিনিস বুঝে বুঝে পড়া। আমি কয়েকটা কঠিন জিনিস ২ বার পড়াতেই মেইন থিম ধরে ফেলেছি।একদম ই কঠিক কিছু না।খাতায় করে করে সলভ করার ও শেখার ট্রাই করবেন।তাহলে,নিজের খুঁটিনাটি ভুল ধরা পড়বে। সর্বশেষে,লেখকের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আকুল আবেদন থাকবে নেক্সট মেলায় জেনারেল রিলেটিভিটি বের করার।ওহ,,হ্যাঁ! গুরুত্বপূর্ণ কথা। একদম নতুন সাইন দেখলে ওই পেইজ টা ঠিকমতো খুঁজে দেখবেন;বিস্তারিত পেয়ে যাবেন। বই টা একদম পর্যায়ক্রমে পড়ার অনুরোধ থাকবে। অপটু হাতে রিভিউ করেছি।ভুল -ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকলো। ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স নাকি খুব কঠিন। স্কুলের স্যাররা বলতো কোয়ান্টাম মেকানিক্স শিখতে নাকি অনেক জ্ঞানী হতে হয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্স মতে নাকি ভুত ৫ মাত্রিক প্রানী। এইরকম হাজারো ভুল ধারনা ছিলো আমার কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে তাই আজ সেই বইটা নিয়ে লেখবো যা আমার ভুল ধারণা ভাংগিয়ে আমাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স শিখিয়েছে। বইয়ের নাম ঃ চা-কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী স্যার। রেটিংঃ ৯/১০. আপনাকে শুরুতে পরমাণু, সুপারপজিশন বুঝাতে আক্কাস আলী র আগমন হবে। ভার্নার হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চিয়তা বোঝাবে। আপনি তখন নিজেই চিন্তার সাগরে ডুবে যাবেন আসলে কি আপনার ভরবেগ অনির্দিষ্ট নাকি আপনার পজিশন।চিন্তা করাই ভালো কোয়ান্টাম মেকানিক্স চিন্তার সাগর। জানবেন ফোটনের দুখুমিয়া আর চিরযৌবন ফোটনের কাহিনি। বস্তু জায়গা কেনো দখল করে তার জন্যে আসবেন উল্ফগ্যাং পলি।তার কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেনশন নিয়ে চিরশত্রু আইন্সটাইন ও বোরের লাঠালাঠী। আইনস্টাইন বোরকে ভুল প্রমান না করতে পেরে মারা যান অতৃপ্তি নিয়ে। Einstein : God Doesn’t play dice Bohr: Don't teach God what to do. এরপর আসে মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস। সুপারডিটারমিনিজম। পল ডিরাকের আন্টিম্যাটার,আসবে এগারোজন নোবেল ছাত্রের শিক্ষক আর্নেস্ট রাদারফোর্ড। আবার শ্রোডিঙ্গার এর বিড়ালকে সায়ানাইড খাওয়ানোর নিলনকশা চলবে। মতামত ঃকোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জন্য বাংলায় লেখা বেস্ট বই। মুলত বইয়ের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর পাঠ পড়ে আমিও ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে পড়তে চাই। আর বইটা এস এস সি ইন্টারের ছাত্রদের জন্য খুব সহায়ক। খালি হালকা নাইন টেনের সম্ভাবনা জানলেই হবে।happy reading photo credit : Abir Adnan
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক : Nayeem Hossain Faruque কোনো এক বইয়ে কোথায় যেন পড়েছিলাম যে বই কিনে কেউ কোনো দিন দেউলিয়া হয় না সেই থেকেই বই এর প্রতি একটা টান কাজ করে কেউ কিছু বললে বলি দেউলিয়াতো আর হাসি না ।আমার বই এর কালেকশন বেশ ভালোই। আর এই ভালো বইগুলোর মধ্যে একটা বই হলো চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স , বইটা পরে যা বুজলাম যে লেখক বইটার পিছনে অনেক সময় দিয়েছেন এবং সে অনুযায়ী ফল ও পেয়েছেন।কোয়ান্টাম ফিজিক্স , যা এই পর্যন্তর সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট গুলোর একটা, আর লেখক এখানে এটাকে যথেষ্ট সহজ ভাবে বুজানোর চেষ্টা করেছেন এবং যথেষ্ট সফল হয়েছেন।বইটার ভালো হওয়ার আরেকটা প্রধান কারণ হলো বইটার লেখা সাজানো , আমি অনেক বই পড়েছি যেগুলোর প্রথম থেকে শুরু হয়ে একটু পরেই প্রধান ধারা হারিয়ে ফেলে কিন্তু এই বইটার ক্ষেত্রে বেতিক্রম দেখলাম। এই বই এর আরেকটা বিশেষত্ব হলো এখানে ম্যাথমেটিক্যাল যে টার্ম গুলো বুজানো হয়েসে সেগুলো এক্কেবারে গভীর থেকে বুজানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এই বই এর মেইন সিকোয়েন্স টা এমন যে লেখক পপ সাইন্স থেকে ধীরে ধীরে ম্যাথ এর দিকে গিয়েছে যার ফলে বইটাকে পড়ার সময় অনীহা জন্ম নেয়নি,কিন্তু অনেক বই এর ক্ষেত্রেই এরকম ব্যাপার দেখা যায় না।এখন বইটা আমার বুক সেলফ এর মধ্যে ফেভারিট বইগুলো একটা অংশ দখল করে নিয়েছে। আপাতত আর কিছু বলার নাই ,আজ এই পর্যন্তই। [বি:দ্রঃ এখানে রেটিং কমার কারণ হলো বই এ অনেক প্রিন্টিং মিস্টেক আছে কোথাও লেখা ২ বার উঠছে তো কোথাও লেখা ঝাপসা আর কোথাও লেখার উলোট পালট এর কারণে লাইন বুঝা যায় নাই ,তারপর ও বইটা যথেষ্ট ভালো ]
Was this review helpful to you?
or
একবার গ্যালিলিও বলেছিলেন" Mathematics is the language with which God has written the universe." তাই আপনি যদি মহাবিশ্বকে ক্ষুদ্র বা বৃহৎ যে স্কেলেই বুঝতে চান গনিত আপনার জন্য অপরিহার্য এবং এটি আপনাকে বিষয়বস্তুর গভীরে নিয়ে যাবে।হয়তো সেরকম মনে করেই নাঈম হোসেন ফারুকী 'চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' বইটি লিখেছিলেন।তার সে কাজে সে অনেকখানিই সফল বলা চলে।কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনেক বিষয় লেখক এখানে গণিতের মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।অনেকে হয়তো সমীকরণ এড়িয়ে চলেন কিন্তু আপনি ব্যাসিক কিছু জিনিস বুঝলে হলে সাবলীলভাবেই বইটি পড়তে পারবেন যেখানে আপনি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের টেক্সবুকের দুর্বোধ্য গণিত প্রায় একটুও বুঝতে পারবেননা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জন্ম কীভাবে হলো তা থেকে শুরু করে আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনেক বিষয় এখানে বর্ণিত হয়েছে।আর বইটিতে প্রচুর ইনফরমেশন রয়েছে এবং তার অনেক বড় পরিসরে ব্যাখা রয়েছে।তবে যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আপনি হুট করেই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়ে যেতে পারবেননা।অনেক বিষয়ে লেখক ভাবার সুযোগ দিয়েছেন যা আমার মতে সৃজনশীলতাকে শাণিত করবে।তবে আসলে প্রায় প্রতিটি পৃষ্ঠায়ই আসলে চাইলে আপনি অনেক ভাবতে পারবেন যেটা লেখক আলাদা করে উল্লেখ করেননি। কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে কতটা অদ্ভুত আপনি জানতে পারবেন।আমরা নাকি নিজেরাই ঠিক করি আমরা কি দেখবো।দেখার আগ পর্যন্ত নাকি সম্ভাব্য সব অবস্থানেই কণাকে পাওয়া যাবে।কণারা নাকি আলোর চেয়ে বেশি বেগে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারে।এছাড়াও অনেক অদ্ভুত বিষয়ের সম্মুখীন হবেন আপনি আর গণিত সহ তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাবেন এবং তা ভালোভাবে বোঝার জন্য আপনাকে খাতা কলম সহ বসতে হবে। তাই পড়তে একটি গণিতবিহীন বই থেকে সময় বেশি লাগলেও বোরিং হবেননা আশা করি।সবচেয়ে বড় কথা হলো এই বইটি আমার মত অধমকেও আশা দেয়।সব সুন্দরী রমণীরা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি দেখতে গেলেই ভালোবাসার ওয়েভ ফাংশন কলাপ্স করে আর এমন এক স্টেটে দাঁড়ায় যে স্টেটে ভালোবাসার বিস্তার শূন্য।সবচেয়ে বড় কথা কোন ইউনিভার্সে এমা ওয়াটসন আমার সহধর্মিণী আর প্রিন্সেস ডায়ানা হলো তার সতীন।যদিও সেগুলোতে যাওয়ার এখনো কোন প্রযুক্তিই আমাদের হাতে আসেনি তবে কথায় আছে "আশায় বাচেঁ চাষা"।হ্যাপি রিডিং!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ তথ্যবহুল একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞানের সবচেয়ে ভয়ংকর এবং রহস্যঘেরা বিষয়গুলোর একটি। এই কথাটি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় বিখ্যাত ফিজিসিস্ট রিচার্ড ফেইনম্যানের একটি উক্তির মাধ্যমে। তিনি বলেছেন,"I think I can safely say that nobody understands Quantum Mechanics." কিন্তু এই ভুতুড়ে জগতের রহস্যময় পর্দাটি খুব সহজেই আমাদের সামনে উন্মোচন করে দিয়েছেন লেখক নাইম হোসেন ফারুকী। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বই গুলো খুললেই দেখা যায় অদ্ভুত রকম দেখতে বিশাল সব সমীকরণের ছড়াছড়ি। কিন্তু এই বইটির ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চিরপরিচিত ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স দিয়ে শুরু করে বেসিক বিল্ড আপের মাধ্যমে লেখক প্রবেশ করেছেন কোয়ান্টাম জগতে। এইটাই এই বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর দিক বলে আমার মনে হয়েছে। শুধু মাত্র নবম দশম শ্রেনির পদার্থবিজ্ঞানের বেসিক ক্লিয়ার থাকলেই বইটি পড়া শুরু করা সম্ভব। কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে বাংলায় এত সহজে উপস্থাপন করাটা সত্যিই বিস্ময়কর। রহস্যময় ক্ষুদ্র কণার জগৎ থেকে শুরু করে কল্পনাকে হার মানানো মাল্টিভার্স পর্যন্ত সবকিছু বইটিতে স্থান পেয়েছে অতি সুবিন্যস্তভাবে। বইয়ের যত সামনে আগানো যায় ততই যেন আগ্রহ বাড়ে। কঠিন দুর্বোধ্য বিষয়গুলোকেও যেন অনুভব করা যায়। বইটি একেবারেই কোনো নরমাল সাইন্স বইয়ের মত না। এতে নেই কোনো ভাষাগত জটিলতা কিংবা ভংকর সব সুত্র প্রতিপাদন। বরং বিভিন্ন হাস্য রসাত্মক ঘটনা ও অ্যানালজির মাধ্যমে হার্ড টপিক গুলোও খুব সহজেই উপস্থাপন করা। ফলে পাঠক তৃপ্ত হতে বাধ্য। এই বইয়ে যেমন আছে কণা- তরঙ্গ দ্বৈততার কথা, তেমনি আছে আক্কাস আলীর আলুর আড়তের গল্প।আছে শ্রোডিঙ্গারের সমীকরন, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট ইত্যাদি শিহরণ জাগানো বিষয়ের পাশাপাশি আক্কাস আলীর কোকেইন নিয়ে বিমানবন্দরে ধরা খাওয়ার গল্প। সব মিলিয়ে হাসতে হাসতে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগৎ থেকে ভ্রমণ করে আসতে পারবেন বইটির মাধ্যমে। বইটি স্বাভাবিকভাবে জ্ঞানের তৃষ্ণা জাগিয়ে তুলবে। এই বইটি পড়ে অনেক নতুন কিছু জানার পাশাপাশি আমার আগ্রহও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানের সৌন্দর্য আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। তাই সকলের জন্যই বইটি হাইলি রেকমেন্ডেড।♥
Was this review helpful to you?
or
#bcbreview চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স নাঈম হোসেন ফারুকী। বিজ্ঞান ভারি মজার জিনিস কিন্ত অনেক সময়ই আমাদের পাঠ্যবই সহ বিভিন্ন জায়গায় নানা জটিল ভাবে বিজ্ঞান কে আমাদের কাছে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয় এই যেনো অমাবস্যার ভয়ংকর পেত্নি!!ঠিক তখনই "বিজ্ঞানে অজ্ঞান" ব্যাপার টি আমাদের কাছে চরম সত্যের রূপ নেয়।(ও আচ্ছা এই নামেই ছিলো লেখকের প্রথম বই টি।)বইয়ের থেকেই নেওয়া ম্যাক্সওয়েল সাহেব আলোর প্যাকেট এর নাম দিলেন কোয়ান্টা আর সেইখান থেকেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জন্ম। কিন্ত অনেকের কাছেই মনে হয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স মানেই ভয়ংকর ভয়ংকর সব উদ্ভট দেখতে সকল চিহ্ন আর মারাত্মক মারাত্মক সব সমীকরণ । খুব ই মারাত্মক একটা ব্যাপার!কিন্ত সেই জায়গা থেকেই সেরা এই বই টি। কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে আসলেই ভারি মজার একটা জিনিস তারই দাবি রাখে এই বইটি।লেখকের প্রথম বই টির অসাধারণ উপস্থাপন আর লেখনী আমাকে এই বই টি পড়তে উৎসাহিত করে।এবং আমার উৎসাহ ও পুর্ণতা পেয়েছে বইটি পড়ার পর।আশা করি কোনো এক রাতে আপনারা ও চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে এই বই টি পড়ে উপলব্ধি করতে পারবেন কোয়ান্টাম মেকানিক্স জগতের সৌন্দর্য। কিন্ত একটা কথা বলতে যে বইয়ের লাস্ট এর কিছু অংশ বুঝতে গেলে আপনাদের ক্যালকুলাসের সাধারণ ধারণা থাকা লাগবে। তাই ক্যালকুলাস এর সাধারণ ধারণা না থাকলে আপাতত ওই অংশ দিয়ে স্কিপ করে গেলেই ভালো হবে বলে আমার মনে হয়।কারণ তা হলে যে আপনার পুরা বই টা পড়ার মজাই ভেস্তে যাবে।আর ক্যালকুলাস শিখতে চাইলে চমক হাসান স্যার এর নিমিখ পানে পড়তে পারেন।?
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো ব ই একটা ।
Was this review helpful to you?
or
এসএসসি পরীক্ষার পর বইটা কিনব.
Was this review helpful to you?
or
#bcb_book_review নামঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী রেটিংঃ ১০/১০ বইটা মাসখানিক আগেই পড়ে শেষ করছি।বইটা পড়ার পর লেখকের প্রতি কতটা কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি,তা বলে বুঝাতে পারছি না।এই প্রথম আমি কোনো বই সম্পর্কে রিভিউ দিতাছি।কথা সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারি না,তাই লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করতে পারি না।বইটা পড়ার পর আমার প্রতিনিয়ত মনে হইছে যে, অগুছালো ভাষাতে হলেও অনুভূতি টা ব্যক্ত করা আমার কর্তব্য। বিজ্ঞানের যেকোনো টপিক নিয়ে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলে,অনেক লম্বা লম্বা ডকুমেন্টারি সামনে আসে,ইংলিশ রাইটারদের বিভিন্ন বই সামনে আসে।সেগুলো বুঝে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও ইংরেজিতে প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে একটু পর পরই ডিকশিনারির হেল্প নিতে হয়।অনেক সময়ইবুঝতে সমস্যা হয়,লেখক কি বুঝাতে চাচ্ছেন। বিজ্ঞানের প্রতি প্রবল ভালোবাসা থাকলেও কিভাবে ভালোবাসতে হবে,তা জানা ছিল না।আবেগের বশে স্টিফেন হকিং এর ব্রিফ হিসটরি অফ টাইম, বইটা পড়া শুরু করি।ফার্স্ট চেপ্টার Our Picture of the Universe সম্পর্কে বিভিন্ন কিচ্চা কাহিনি পড়তে পারিলেও, সেকেন্ড চেপ্টার Space and Time এ গিয়ে হুচড় খাই,,কণা নামের জিনিস টা নিয়ে।আগ্রহ জন্মে পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ নিয়ে।ইচ্ছা জাগে কণা, তরঙ্গকে জানার এবং কল্পনায় অনুভব করার। ইচ্ছাগুলো পূর্ণতা পেল চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা পড়ে।বইটাতে লেখক সীমাহীন দক্ষতার সাথে পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ থেকে শুরু করে মাল্টিভার্স আর সুপার ডিটারমিনিজম দিয়ে শেষ করেছেন। অতিক্ষুদ্র থেকে অতি বিশাল! কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে ভয় কাজ করতো,কিন্তু এই বইটাতে লেখক এই জটিল বিষয় টাকে কতটা সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন,ভাবতেই অবাক লাগে।কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর ফাউন্ডিং ফাদার্স দের ধারাবাহিক অবদান এবং পরমানু সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনা থেকে শুরু করে... তরঙ্গ বলবিদ্যাঃ ইয়াং এর তরঙ্গ, ফটো ইলেক্ট্রিক ইফেক্ট, ডি ব্রগলির দ্বিচির, ফোটনের দুখের জীবন ( হতভম্ব ?হওয়ার মতো কিছু),,,ভরের জন্ম (এই জিনিসটা বুঝার জন্য ক্লাস নাইন টু টেন ছটফট করা লাগছে,,ক্লাস ৯-১০ ফিজিক্স পাঠ্য বই এর তৃতীয় অধ্যায় এর ভরবেগ টপিকটা আলোচনার সময় স্পষ্ট লেখা আছে,ভর এবং বেগের গুনফলকে ভরবেগ বলা হয়,,,কিন্তু একটু নিচেই লেখা আছে,আলোর কণা অর্থাৎ ফোটনের কোনো ভর নেই কিন্তু ভরবেগ আছে!!!!!ক্লাস ৯-১০ এজন্য মাথা হেং মারার জন্য যথেষ্ট), ডি ব্রগলির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, কণা কোথায় থাকে,কণা তরঙ্গ দৈত্বতা,ডি ব্রগলির পরমানু)। এরপরে আছে হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তার নীতি, স্টেট আর কম্পিউটার, মৌলিক কণা ফার্মিওন ও বোজনের বৈশিষ্ট্য, শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ সহজ ভাষায় বিস্তারিত, কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেনশন শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল, ই পি প্যারাডক্স, বেলের অসমতা, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট, সিমিউলেটেড ইউনিভার্স,কণার অতীত, প্যারালাল দুনিয়া, জাত বেজাতের মাল্টিভার্স, স্ট্রিং থিওরির মাল্টিভার্স,মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রিটেশন,সুপারডিটারমিনিজম। টক জিনিস দেখা মাত্রই যেমন জিহবায় পানি চলে আসে,,,,ঠিক তেমনই একজন বিজ্ঞান প্রিয় মানুষ এই টপিক গুলো দেখা মাত্রয় জ্ঞানের তৃষ্ণা জাগবে।বিজ্ঞানের জটিল জটিল বিষয় গুলোকে লেখক বইটাতে খেলার ছলে, বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে ঘটনার অবতারণা করে, সহজ ভাষায় কঠিন জিনিসকে উপস্থাপন করেছেন। যেকোনো জটিল জিনিস সামনে এলেই,লেখক তা কাল্পনিক চরিত্র আক্কাস আলী, জসিম, বক্কর ভাই,লক্কড় আপার আশ্রয় নিয়েছেন। এইবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিলেও, বিজ্ঞানের কোনো বিষয় আমায় কল্পনার স্বাদ দিতে পারে নাই।চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা আমায় ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। ( বাচতে হলে ভাবতে হবেই☺) বইয়ের শেষে সূত্র প্রতিপাদন এর আগে,লেখকের নিজস্ব অভিব্যাক্তি গুলো সত্যিই যে কাউকে ইন্সপায়ার করতে পারে।লেখক প্রাইভেট কোচিং এর অখাদ্য খেয়ে পেট খারাপ না করে,নিজ প্রচেষ্টায় সুশিক্ষিত হয়ে বুয়েটে চাঞ্চ নিয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন,,এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমন সুন্দর একটা বই উপহার দেওয়ার জন্য আবারো কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Was this review helpful to you?
or
লেখক যদিও দাবি করেছেন যে তিনি টপিকের গভীরে গিয়ে বিশ্লেষন করেছেন, তা একেবারেই না। মাঝারি মানের বই।
Was this review helpful to you?
or
আমার মতে,এই বইটা সকলকেই একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত
Was this review helpful to you?
or
''Anyone who is not shocked by quantum theory has not understood it'' -Neils Bohr বইঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯.৯/১০ কিছু অনুভূতিঃ ''কোয়ান্টাম মেকানিক্স'' শব্দটা আমি প্রথম পড়েছি নবম-দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে।এইটুকুই, আমি এই বৈজ্ঞানিক জাদুবিদ্যার আর কিছুই জানতাম না।আমি বিজ্ঞানকে যদিও ভালবাসি , হাবাগোবা কিসিমের আমায় ভালবেসে বিজ্ঞান শেখাবে এমন মানুষ পাই না ! এবার SSC চলাকালীন বইটা কিনলাম।পরীক্ষা শেষ হতেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হল। বইটা খুলতেই মনটা ভাল হয়ে গেল।আমার প্রিয় লেখকের কিছু প্রিয় লাইন দিয়ে শুরু, ''........আমার হাত ভর্তি চান্দের আলো ধরতে গেলে নাই।'' লেখক লিখেছেন এই বই পড়তে হলে কিছু কোয়ালিফিকেশন থাকতে হবে।যেময়ঃ ১. চিন্তা করাকে ভালবাসতে হবে। ২. অন্তত নাইন-টেনের ম্যাথ-ফিজিক্স বুঝতে হবে। ৩. ছক্কা,লুডু,কয়েন টসিং সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। ৪...৫....৬... আমি ভাবলাম বাহ্ ,ইনিই আমায় ভয় না দেখিয়ে ভালবেসে বিজ্ঞান শেখাবে হয়তো।আমি আসন গেড়ে বসলাম।বইয়ের মূল বিষয়ের আলোচনায় পরে আসি।আগে বইটার সম্পাদনার কথা একটু বলি।বইয়ের শুরুতেই ৬ টি চিহ্ন আর তার মানে দেয়া আছে।বইয়ের বিভিন্ন স্থানে লেখক ভাবতে বলেছেন বারবার, কখনো লেখক বিপজ্জনক সমীকরন সম্পর্কে ওয়ার্নিং দিয়েছেন, সমীকরন শেষে আবার রিলাক্সেশন সাইন, জটিল চ্যাপ্টারের আগে লেখক মাথায় ব্রেইন পরে নিতে বলেছেন প্রতিবার।আর আছে চা পানের বিরতি।বক্কর ভাই, আক্কাস আলী আর জসিম লাইকার ফ্রেন্ডদের মতো সবসময় পাশে ছিল আমাদের। বইটিকে পপ সাইন্সের বই বলা যায় না। এখানে মুখরোচক গল্প বলেই লেখক পাতা ভরে রাখেননি বরং বেসিক থেকে শুরু করে চিন্তা করিয়ে ,ম্যাথ কষে, গ্রাফ একেঁ,ওয়েব ঘাটিঁয়ে লেখক শ্রোড়িঙ্ঙ্গারের সমীকরন অবধি বুঝিয়ে ছেড়েছেন।বইয়ের শুরুতে লেখক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জনকদের একটু আধটু গল্প বলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।আমি বুঝেছি সে বৈজ্ঞানিক যেমন তেমনি সাহিত্যের হাতও পাকা।এরপর , আইনস্টাইনের অ্যাটমের এগজিস্ট্যান্স দিয়ে রুপকথার শুরু।টমসন,রাদারফোর্ড,বোর,সমারফিল্ড হয়ে পরমানু কিভাবে আজকের কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেলে পৌছলো তার গল্প।কঠিন কিছু পৃষ্ঠা পেরোতেই লেখক পুড়ে দিয়েছেন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে বিষ্ময়কর কিছু আলোচনা। এসব পড়তে পড়তে চা,কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে ,মস্তিস্কের নিউরনে নিউরনে শিহরন বয়ে যাবে। বইটি ১০ টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। কোয়ান্টামের যতই গভীরে যাবেন হৃদয় পুলকিত হবে। কাপা কাপা হাতে পাতা উল্টে এলেন তরঙ্গ বলবিদ্যা অধ্যায়ে।আমি আপনি সবাই নাকি তরঙ্গ আবার কণা।আমরা কেউ নাকি রিয়েল জিনিস না, ফিল্ডের কাপা-কাপি !কি ভয়ানক কথা ! এরপর বইয়ের পাতায় পাতায় আছে এক কুখ্যাত এক্সপেরিমেন্টের অতিভৌতিক গল্প যার নাম ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট। ভর কি? তার জন্ম কি হিগস্ ফিল্ডে নাকি আইনস্টাইনের ভর শক্তির সমীকরনে? নিউটনের গতি সূত্র নাকি ভুল? স্পিনই বা কি? কণা তরঙ্গ দ্বৈততা কিভাবে সম্ভব? তরঙ্গের কোথায় কণা থাকে? জানতে হলে পড়তেই হবে বইটি। এরপর লেখক পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ভার্নার হাইজেনবার্গের সাথে ,মহাবিশ্বের অলঙ্ঘনীয় নীতি আনসার্টেনিটি প্রিন্সিপালের সাথে। কদিন ধরে শুনছিলাম কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কথা। বইটিতে সহজ আলোচনায় তাকেও কিছুটা জানলাম।পলির অপবর্জন নীতি ,জটিল তরঙ্গের চৌদ্দগোষ্ঠি বুঝেছি লেখকের চমৎকার বর্ণয়ায়।জটিল তরঙ্গের সমীকরন কিভাবে গড়ে উঠলো,ওয়েভ ফাংশন কল্যাপ্স লেখক যত্ন করে শিখিয়েছেন।ফার্মিয়নকে জানলাম,বিষ্ময়ে অভিভূত হলাম বোজনের রহস্যময়তা জেনে।এরপর আসলেন সাই।শ্রোড্রিঙ্গারের সমীকরন।মাথায় এই অধ্যায় পড়ার সময় ক্যাপ পড়ে নিবেন।আমি স্বল্প মেধায় বুঝতে গিয়ে চুল ছিড়তে কয়েকবার উদ্যত হয়েছিলাম।ক্যালকুলাস জানলে হয়তো ভালো হত।আফসোস জানি না।কোয়ান্টাম টানেলিং পড়ে অজ্ঞান হবার জোগাড়!আমি যেন ধাক্কা খেলাম।শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল আমার মস্তিস্ক ওলটপালট করে দিয়েছে,ইপিআর প্যারাডক্স ,বেলের অসমতা,এনট্যাঙ্গেলমেন্ট,সিমিউলেটেড ইউনিভার্স পড়ে আমার জীবন দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।এটা পড়ার আগের অংশ ও পরের অংশ।বিজ্ঞানের প্রেমে হৃদয় তখন সিক্ত।মাল্টিভার্স আর সুপারডিটারমিনিজম পড়ছি তখন আমি যেন স্বপ্নের মাঝে।উপসংহার আমায় প্রেরণা দিয়েছে।বইটা যখন শেষ করলাম তখন গভীর রাত।আমি জানালা খুলে পূর্ণ জ্যোৎস্নার দিকে তাকিঁয়ে লেখকের জন্য দোয়া করলাম।রাতের আকাশ কাল থেকে আমায় আরো বেশি টানবে নিশ্চয়ই। আরেকটা কথা না বললেই নয় লেখকের সেন্স অফ কমেডি মারাত্বক।বইটি বিজ্ঞানের বই না হলেও আমি কমেডির বই হিসেবে কিনতাম।আর উদাহরনগুলো সত্যিই অসধারন ছিল।গ্রাফ,আর্ট এগুলো বইটিকে বুঝতে খুব হেল্প করেছে।যদি বানান ভুল আরেকটু কম হত তাহলে ১০ ই দিতাম। জাজাকাল্লাহ্ খাইরান।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ : চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক: নাঈম হোসেন ফারুকী এই বইয়ের রিভিউ লিখব ভাবতেই আমার কপালে ভাঁজ পড়ছে।আমার মতো দুর্বলভাবে পদার্থ বিজ্ঞান পড়া ছাত্রের জন্য অবশ্য এট কঠিন একটা কাজ বলা যায়।বইটি গল্পে গল্পে উদাহরণে ভরা একটি বই যা গতানুগতিক পাঠ্য বই থেকে অনেক ভিন্ন যেন কোন এক শিক্ষক অতি দরদ দিয়ে আমাকে কোন জটিল বিমূর্ত বিষয় সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমার মনে হয় বিজ্ঞানের ছাত্র বা পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ৯০-৯৫% এর মত স্টুডেন্ট এর কাছে অধরা থেকে যাওয়া একটা বিষয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স। যা কোন রকম চিন্তবিহীন মুখস্থ করার জন্য পড়ে যায় শুধু। আমি নিজে পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম, এখনও আছি।প্রায় দশ বছর ধরে কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ছি।কিন্তু গণিতে দুর্বল হওয়ায় আমার চিন্তায় জটিল স্টেট,জটিল সংখ্যা, ওয়েভ পারটিকেল ডুয়ালিটি, হাইজেনবার্গ আনসারটেনটি,শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ ইত্যাদির তাৎপর্য মাথায় আসত না।বিশেষ করে জটিল তরঙ্গ অনুভব করতে পারতাম না।জটিল সংখ্যার কাল্পনিক অংশকে আমি ভৌতিক কিছু মনে করতাম। যার ভিজুয়াল ব্যাখ্যা এত সুন্দর করে চিত্র দিয়ে আগে কখনো দেখিনি। বইটি যাদের জন্য- নবম দশম শ্রেণির জন্য মনে হয় খুবই দুরূহ একটা ব্যাপার হবে।উচ্চ মাধ্যমিক পড়া স্টুডেন্ট এর একটা উৎসাহ জাগানোর জন্য দারুণ সুযোগ বলা যায়।তবে যারা পদার্থ বিজ্ঞানের ৩য়-৪র্থ বর্ষ এর স্টুডেন্ট তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটা বই আমার মতে।তাদের সিলেবাসের - a)Atomic Physics b)Nuclear Physics c)Relativity d)Quantum Mechanics এর নির্দিষ্ট কিছু বিষয় এর মৌলিক ব্যাখ্যা পাবে।কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর ১০ গুন পাওয়া যাবে কমপক্ষে পাঠ্য বই থেকে। আমি বিতর্ক এড়ানোর জন্য বলি বাংলা মাধ্যমের বইগুলোতে।তেমন বেশি ইংরেজি বই আমি পড়িনি। শুরুতে যে তরঙ্গ অধ্যায়টা বেশি বেশি চিত্র দিয়ে ঠাসা।সত্যি বলতে কি আমি নতুন করে তরঙ্গ শিখেছি এই বই থেকে।আমার তরঙ্গ শেখায় ঘাটতি ছিল।এই অধ্যায়টি ছিল শ্রোডিঙ্গার তরঙ্গ সমীকরণ শেখার চাবিকাঠি। সাধারণ তরঙ্গ সমীকরণ থেকে কোয়ান্টাম স্টেটে তরঙ্গ সমীকরণ এ লাফ দেওয়া বিষয়টা চমৎকার লেগেছে। বিভব কূপ এর ভাল একটা ব্যাখ্যা এখানে দেওয়া হয়েছে সহজ করে।আমি যখন অনার্স পড়তাম তখন কিছু প্রশ্ন মনে ঘুরত যার উত্তর এখনও পাইনি।কারন এসব বিষয় পড়াতেন বড় বড় শিক্ষকরা যাদের উত্তর বেশিরভাগ সময় স্টুপিড বা বেয়াদব এই টাইপের।এইসকল প্রশ্নের উত্তর আনি এই বইতে পেয়েছি। যেমন- ক) সম্ভাব্যতা বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক।কেন নর্মালাইজ করতে হয়। খ)কণার কিভাবে তরঙ্গ থাকে আর তরঙ্গের মধ্যে কণা কিভাবে থাকে আমার কল্পনায় আসতে সহজ হয়েছে। গ) হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তার ব্যাখ্যা অসাধারণ হয়েছে। ঘ)mvR= nh/2π এর বিশ্লেষণ। ঙ) আইগেন স্টেট এর গানিতিক সংজ্ঞা জানতাম কিন্তু চিন্তা করে বুঝতাম না। আর একটা গুণ না বললে অন্যায় হবে। বইটি অন্যরকম ধারাবাহিক। কিভাবে অল্প অল্প করে পরমাণু, তরঙ্গ, তরঙ্গ- কণা,জটিল স্টেট,হাইজেনবার্গ তারপর শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ। হঠাৎ করে শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ এ লেখক ঝাঁপ দেননি।পরমাণর ধারাবাহিকতা - টমসন মডেল,রাদারফোর্ড, বোর,সমারফিল্ড,ডিব্রগলি,শ্রোডিঙ্গার বা কোয়ান্টাম মেকানিকাল মডেল যা একদম শেষে গিয়ে ক্লিয়ার করেছেন।কত আন্তরিকতা বুঝানোর জন্য তা বুঝতে পারবেন যদি বইয়ে কতবার ক্লিয়ার শব্দটা ব্যবহার করেছেন তা দেখে।তবে ভেক্টর মডেল একটা যেন পড়েছিলাম যার ব্যাখ্যা পাইনি।সবচেয়ে মজার ছিল এখানে সকল বিজ্ঞানী যারা পরমাণু মডেল ডেভেলপ করেছেন সকলের জীবনী সম্পর্কে ও আংশিক ধারণা পাবেন গল্পে গল্পে। আরো নতুন বিষয় হল শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ থেকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বের করে বুঝিয়ে দেয়া।বিশেষত কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ার সময় সমীকরণ গুলো হঠাৎ কোথা হতে জানি চলে আসত আবার ভাব ধরে কোথায় জানি চলে যেত।আমি একটু তাদের সাথে কথা বলবো সেই সুযোগ পেতাম না। একদম মনের কথা হল আমি এখনো এই বইয়ের সব বুঝে গেছি তা নয়।শেখাটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া যার শেষ নেই।লেখকে মন থেকে ভালবাসা জানাব কারন বইটি মনে হয় তিনি শুধু আমার জন্য লিখেছেন। যে প্রশ্ন গুলি নিয়ে আমি এতদিন বসে আছি সব এই বইতে।যারা আমার লেখা পড়বেন যদি খুব বেশি লিখে ফেলেছি তাদের জন্য বলছি আমি একটু স্লো লারনার।অংক ইংরেজিতে দুর্বল কিন্তু এগুলো জানার ইচ্ছে প্রবল ছিল। এখানে নেগেটিভ সাইড কি বলব খুঁজে পাচ্ছিনা কারন আমার জানা খুব বেশি নয়।যতটুকু জানি তার মধ্যে একসাথে কণা আর তরঙ্গ বিবেচনা করা যায় না তার ব্যাখ্যা থাকলে ভাল হতো। ফার্মিওন,বোজন দের নিয়ে আর একটু পদার্থ বিজ্ঞানগত আলোচনা হলে ভাল হতো আর কিছু প্রিন্টিং মিসটেক জনিত বানান। লিখতে গেলে শেষ হবে না, এত যত্ন করে শেখানোর মানুষের বড় অভাব এখন।কত নির্ঘুম রাত পার করে আজ এই লেখা সৃজন করেছেন জানি না।প্রায় সবকিছুতে নিজস্বতা লুকানো বইতে।আপনি যদি শিক্ষক হতেন আমি আপনাকে সুপারভাইজার হবার প্রার্থনা জানাতাম। আর যারা গল্প থেকে মূল পড়া আলাদা করে মূল্যায়ন করতে জানবেন না বা বই নিয়ে অবমূল্যায়ন করবেন তাদের বইটি না পড়াই ভাল। লেখককে হাজার হাজার লাল সালাম।
Was this review helpful to you?
or
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স! প্রায় এক সপ্তাহ হল বইটা পড়ে শেষ করলাম। রিভিউ লিখব তা ভাবিনি। যা হোক, বইটি নাঈম হোসেন ফারুকী ভাইয়ের অনবদ্য প্রচেষ্টা। অনেক সহজ সরল ভাষায় লিখা বইটি। পরমাণু আবিষ্কারের ইতিহাস থেকে শুরু করে মাল্টিভার্স পর্যন্ত কণা জগতের অদ্ভুতুরে আচরণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। Complex wave ব্যাপারটা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। Schroedinger equation বোঝাতে শর্টটেকনিক ব্যবহার করা হয়েছে। একাডেমিক বইগুলোতে তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলেও মাঝের গল্পগুলো পাওয়া যায় না। বক্কর বাই আর আক্কাস আলীর মাধ্যমে অনেক জটিল বিষয়গুলো উপলদ্ধি করা যায়। বিজ্ঞানীদের মধ্যকার কথোপকথনগুলো বইটিতে পাওয়া যায়। আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হল ‘চা পানের বিরতি’ (আমার পচ্ছন্দের ‘ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ’) । আর বেশী ভাল লাগা অধ্যায় ‘ফার্মিওন আর বোসন’ এবং ‘পর্দার ওপারে’। তবে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার’ এবং ‘বেলের অসমতা’ আরেকটু ভাল ব্যাখ্যা আশা করেছিলাম। বইটি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য ভাল, আবার অনার্স লেভেলে কিছু কাজে দিবে। নবম-দশম শ্রেণীতে এসব না বোঝায় ভাল। আমার জানা বাংলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এ ধরণের বই আর একটিও নেই। সবগুলোতে শুধু pop-science এর গল্পে ভরা থাকে, এগুলো পড়তে ভাল লাগলেও বিজ্ঞান তেমন জানা যায় না। তবে এই বইটি গল্পের সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুভব করতে শেখায়।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর বই খুবই কম। খুব সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে চাইলে এই বই একটা বেস্ট অপশন। বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে,গড়পড়তা ভাবে ভারি ভারি বিজ্ঞানের কথা একদমই বলা হয় নি। লেখক সব্বোর্চ চেষ্টা করেছেন গল্পের মাধ্যমে কঠিন জিনিসগুলোকে সহজ ভাবে বুঝানোর। যদিও এই রকম একটা টপিক্স গল্পের ছলে বুঝানো খুব কঠিন। বই এর সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে একদম প্রাইমারি লেভেল এর বেসিক ক্লিয়ার করতে দারুণভাবে সক্ষম। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- *অনেক স্টুডেন্টই উপস্তর আর অরবিটাল আসলে কি,কোনটা কি জিনিস সেটা জানে না।বইয়ে এটির চিত্রসহ ব্যাখ্যা রয়েছে। *পাঠ্যবইগুলোতে ইলেক্ট্রনের স্পিন সম্পর্কে মোটেও কিছু বলা হয় নি। বইটিতে গল্পের ছলে খুব সুন্দর ভাবে স্পিন বিষয়টি সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এরকম আরো অনেক জিনিস রয়েছে যা পরমাণুর বিভিন্ন বেসিক জিনিস জানতে সাহায্য করবে। বইটি শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে কঠিন হয়েছে। শেষের দিকে গাণিতিক ইকুয়েশন এর জন্য কলম খাতা নিয়ে বসে পড়লে ভালো হয়। তবে বইটি খুব ধীরে পড়তে হবে এবং বইটি দুইবার পড়া উচিত। কারণ অনেক নতুন জিনিস এর কারণে অগোছালো লাগতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়ার সময় বিষয়সমূহের পর্যায়ক্রমিক উপস্থাপন খুব ভালোভাবে বোধগম্য হবে। পুনশ্চঃ- বইটির বিশেষ ভালো লাগার দিক - বিজ্ঞানীদের গল্পগুলো!
Was this review helpful to you?
or
বইটা শেষ করতে পারলে চোখে পানি এসে যাবে। আপনার আসবে কিনা জানি না তবে আমার এসেছে। এ শুধু কোয়ান্টাম মেকানিক্স না, আবেগ অনুভূতির এক বৈজ্ঞানিক মেকানিক্স। না পড়লে নিশ্চিত ঠকে যাবেন।
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
রিডিং ডেঃ৫ দিন #বই_রিভিউ #চা_কফি_কোয়ান্টাম_মেকানিক্স লেখকঃনাঈম হোসেন ফারুকি আসলে একজন বিজ্ঞান প্রেমী হলে সবাই খুজে কিভাবে একটু কষ্ট করে হলেও একটু কিছু শিখা যায়।কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা বিজ্ঞান শিখলেও অনুভূতি ও কল্পনার রস আস্বাদন করতে পারে না যদিও এটি বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য নয়।আইন্সটাইন বলে গেছেন Fiction is more important than the knowledge. এখন তো শুধু কল্পনা করলেই হবে না যে আমি বিশ্বের সবচেয়ে বাঘা বিজ্ঞানিদের একজন দেখতে ও হবে কিভাবে বিজ্ঞানি হলাম আর কি করেছি বসুন্ধরার জন্য? আমার পার্সোনালি মনে হয় লেখক কল্পনা আর বিজ্ঞান কে একসাথে করার সাহস দেখিয়েছেন বলে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ার পরে নিশ্চিন্তে চা আর কফি খাওয়া যাচ্ছে।আলোর প্যাকেট এর সাথে কাল্পনিক আলুর চিপ্সের তুলনা দেয়া সত্যিই চমৎকার ছিল। আমি বইটি পড়ে যা বুঝেছি লেখকের বইয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লেখা থাকলেও লেখকের উদ্দেশ্য ছিল অলস মস্তিষ্ককে ভাবতে শিখানো এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে যে আমি কেন এই বই পড়ব তবে আমি উত্তর দিব তোমার সময়কে কাজে লাগাতে যেন ভাবতে পার। আর তুমি যখন রাতে কয়েক পৃষ্ঠা পরে পড়ে খাতায় আকাজুকি অঙ্ক করে মিলাতে পেরে ঘুমাতে যাবে তখন দেখবে কি শান্তির ঘুম।মনে হবে ওই কাটাছিড়া খাতার পেজ টা স্বজত্নে রেখে দিই। আর বই স্বমন্ধে আরেকটু বলি। বই এ কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখানোর জন্য লেখক একেবারে বেসিক থেকে শুরু করেছেন।তিনি ৯-১০ শ্রেণির বেসিক থেকে শুরু করেন।আমি এসএসসি দিয়েছি বিধায় আমার পড়তে সময় লেগেছে।কারণ প্রত্যেকটি ধাপ আমি সময় নিয়ে পড়েছি। আমার ভালো লাগা ১.উৎসর্গ এর পড়েই হুমায়ুন আহমেদের কবিতা ২.কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জনকদের পরিচয়। ৩.রাদারফোর্ড এর সাক্ষাৎকার। ৪.সমস্ত ক্ষেত্রে আক্কাস আলী বক্কর ভাইয়ের কাজকর্ম। পার্সোনাল রেটিং ঃ৯/১০ বানান ভুল এর বেপার টা আসলে প্রিন্টিং মিসটেক। অনেকে এটা সিরিয়াসলি নিলেও আসলে এটা সিরিয়াস নেয়ার বেপার নয়
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স উপক্রমণিকা: নাঈম ভাইয়ের একটা অভিযোগ আছে বইয়ের শুরুতেই। কোয়ান্টাম বলতে মানুষ শুধু ধ্যান বোঝে। সে হতে পারে। কিন্তু আমার অভিযোগ আলাদা। "বিজ্ঞানমনস্ক" মানুষদের মধ্যে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লাফালাফি অনেক বেশি, পপ সায়েন্সের সুবাদে। কিন্তু কেউ কি আসলে ভালোভাবে বোঝে কোয়ান্টাম মেকানিক্স? বরং অনেক জেনে বসে আছি এই ভাবটাই প্রবল, শেখার আগ্রহ প্রায় নেই। একদম শুরু থেকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কোনো বই পাওয়াও দুষ্কর। এক্ষেত্রে "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" একটা উপায় হতে পারে। মূল বক্তব্য: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা, ঠিক পপ সায়েন্স না। এখানে অদ্ভুত কণার রহস্যময় আচরণ না দেখিয়ে বরং আসলে কেন কি ঘটছে, সেটা গাণিতিকভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আছে অনেক অনেক সমীকরণ আর গ্রাফ। কিন্তু বইটা কাঠখোট্টা টেক্সটবুকের মতোও না। পুরো বইটা লিখা গল্পের ছলে, সঙ্গে রয়েছে আবিষ্কারের পেছনের অনেক ইতিহাস, মজার ঘটনা। আরেকটা জিনিস হলো বিভিন্ন অধ্যায়ের শেষে থাকা প্রশ্নগুলো। এই প্রশ্নগুলো দেওয়া আছে যাতে পাঠক চিন্তা করতে শেখে। কিন্তু কিছু প্রশ্ন, বিশেষ করে গ্রাফের প্রশ্নগুলো দেখে মনে হয়েছে, এগুলো সলভ করতে অনেক সময় লাগবে একজন বিগিনারের। অবশ্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই, চিন্তা করতে শেখাই এখানে মূল উদ্দেশ্য। বইটার শুরু হয়েছে ফোটনের পরিচয়, পরমাণু মডেল দিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে জটিল বিষয়গুলো এসেছে। প্রতিটা ধাপে খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করে বেসিক ক্লিয়ার করে নেওয়া। শেষে গিয়ে আছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচিত বিষয়ের ব্যাখ্যা । পরিশিষ্টে আছে আরো জটিল জটিল প্রতিপাদন ?। কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে ছোটখাট অনেক আর্টিকেলই হয়তো পড়া হয়েছে আমার। এই বইটা পড়ে সব বিষয়ে ধারণা যেমন স্পষ্ট হয়েছে, তেমনি অনেক বিষয় নিয়ে অনেক গভীরভাবে জানতে পেরেছি ও চিন্তা করতে শিখেছি। মনে হয় আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে বুঝি সবকিছু। কোয়ান্টাম মেকানিক্স যেহেতু একটা "ট্রেন্ডিং" টপিক, তাই এটা নিয়ে জানার আগ্রহ অনেকের। কেউ যদি সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স জিনিসটা আসলে কি, এখানে কি কেন কিভাবে হচ্ছে এগুলো গল্পের ছলে কিন্তু একদম গাণিতিক ব্যাখ্যা সহ বুঝতে চায়, তার জন্য বইটা highly recommended. উপসংহার: আমি এই বইটার টার্গেট অডিয়েন্স না (রিভিউর প্রথম শব্দটা দেখলেই বোঝার কথা :P)। আমার বিচরণ বিজ্ঞানের অন্যদিকে। তবু ফিজিক্সপ্রেমী বন্ধুবান্ধব কিংবা সুস্মিত ভাইয়ার [ইলাস্ট্রেটর] মতো বড় ভাইয়ের সুবাদে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে জানা হয়েছে ভালোই। সেই জ্ঞান থেকেই বলতে গেলে এক বসায় পড়ে ফেললাম বইটা [NOT recommended. নাঈম ভাই ক্ষমা করবেন না :P]। বইটা পড়ে রিভিউ দিতে ভুলবেন না কেউ।
Was this review helpful to you?
or
#বইমেলায়_বিজ্ঞানের_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_১ বইয়ের নাম : চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। লেখক : নাঈম হোসেন ফারুকী। মূল্য(মুদ্রিত) : ৪০০ টাকা। প্রকাশক: প্রান্ত প্রকাশন। পৃষ্ঠা: ৩৩৬টি। সাম্প্রতিককালের বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মনে এক অন্যরকম কিউরিওসিটি কাজ করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর প্রতি। কিন্তু বাংলা ভাষায় তথ্যের ঘাটতি কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে জানার প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও তথাকথিত অনলাইন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের চটকদার কন্টেন্ট তৈরি করতে গিয়ে ভুলভাল তথ্য প্রদান কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ভেতর ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে। এর উপর রয়েছে "কোয়ান্টাম মেথড" চর্চাকারী এক সংগঠন। তাদের প্রচারণা সাধারণ মানুষের কাছে কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে মেডিটেশন বা ধ্যানের ব্যাপার করে ফেলেছে। মোদ্দাকথা, বর্তমান সময়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্বন্ধে সাধারণের মনে রয়েছে বিভ্রান্তিকর আর ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। সহজবোধ্য বাংলায় প্রকৃত কোয়ান্টাম মেকানিক্স কে তুলে ধরার এক অনবদ্য প্রয়াস লেখকের, "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স"। গতানুগতিক বাংলা বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলোর একটা বিশেষ(নেতিবাচক) দিক হচ্ছে সেগুলোর ভাষার ব্যবহার। এমন অনেক বাংলা শব্দ আছে যেগুলোতে আমরা ততটা অভ্যস্ত নই। কিন্তু বইগুলোতে সেই রাসভারী শব্দগুলোই বারবার ব্যবহার করা হয় (যেমন: দর্পন, আধান )। এই বইটি পাঠকদের দিয়েছে এ ধরণের অর্ধ পরিচিত শব্দের অত্যাচার থেকে নিস্তার। যাইহোক, আমি বিজ্ঞান বইয়ের ভাষাতাত্ত্বিক রিভিউ দিতে আসিনি। মূল আলোচনায় আসি। প্রথমে আলোচনা করা হয়েছে আলো এবং আলোর প্যাকেট(কোয়ান্টা) নিয়ে। আলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ, কিন্তু সে চলে প্যাকেট আকারে। যত বেশি কম্পাংক তত বড় প্যাকেট আবার বড় প্যাকেট তৈরিতে প্রয়োজন বেশি শক্তি। এরপর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর মহারথী বিজ্ঞানীদের সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়ে শুরু করা হয়েছে মূল আলোচনা। (তবে আমি অতিরিক্ত সালাম জানাচ্ছি আলুর ব্যাপারী আক্কাস আলী, দ্যা গ্রেট বক্কর ভাই এবং লক্কড় আপুর প্রতি। কারা এরা? বলবো না। বললে মজা থাকবে না।) না, " আলোচনার" মতো একটা গালভরা শব্দ ব্যবহার করা ঠিক হচ্ছে না। বরং বলি, "শুরু হলো মূল গল্প"। পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময়, থ্রিলিং, রোম্যান্টিক এবং রোমাঞ্চকর গল্প। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর গল্প! এবার আমাদের সামনে হাজির হবেন টমসন, রাদারফোর্ড, বোর, সামারফিল্ড তাদের পরমাণু মডেল নিয়ে। পরমাণু মডেলগুলোর থেকে বেড়িয়ে আসবে কণাদের জগতের আরো অনেক অজানা রহস্যময় তথ্য! তারপর তরঙ্গের কথা। কণা আর তরঙ্গের সম্পর্ক কী? টমাস ইয়াং এক অদ্ভুত পরিক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন, আলো আসলে তরঙ্গ! একই পরিক্ষায় প্রমাণ হয় ইলেকট্রনও তরঙ্গ! কে জানে, হতো সবকিছুই তরঙ্গ! হাইজেনবার্গ সাহেব গল্পের সবটা জুড়েই রয়েছেন। তিনি আবিষ্কার করেছেন প্রকৃতির এক অদ্ভুত নীতি, অনিশ্চয়তার নীতি। এদিকে ফাইনম্যান বলেন, ইলেক্ট্রন নাকী সময়ের বিপরীতে গিয়ে ফোটন শোষণ করতে পারে! টাইম ট্রাভেলার ইলেক্ট্রন! সত্যেন বোস আর ফার্মি সাহেব ঝুড়ি ভরে আনবেন বোজন আর ফার্মিয়ন কণা। যতখুশি বোজন একসাথে রাখা যায়। কিন্তু ফার্মিওন তার উল্টো। এরপর শুরু হবে তরঙ্গের গল্পের দ্বিতীয় এপিসোড! আগের চাইতে আরো "জটিল" তরঙ্গের রোমাঞ্চকর গল্প। এরপর আসবেন মহামতি শ্রোডিঙ্গার ও তাঁর বাক্সবন্দি বিড়াল(জীবিত এবং মৃত)! এতকিছু হয়ে যাবে আর আইন্সটাইন চুপ করে থাকবেন? কখনোই না। আসলে তিনি আছেন গল্পের পরতে পরতে। ইতোমধ্যে তিনি একবার এসে বলেগেছেন ভর কী? আলোর বেগে চললে কী হতে পারে? এবার আসবেন আরো মাথা নষ্ট করা ইপিআর প্যারাডক্স নিয়ে। যেটা বলে হাইজেনবার্গ ভুল! কিন্তু ব্যাপারটা এতো সোজা? এলেন জন বেল, তাঁর অসমতা নিয়ে। আমরা জানতে পারবো অকল্পনীয় দূরে থেকেও কণাদের ভালোবাসার গল্প। এর পরের অংশে রয়েছে সিমুলেটেড ইউনিভার্স, বিভিন্নরকম প্যারালাল ইউনিভার্সের গল্প। এবার আসি অন্য কথায়, অতি সাধারণ ভাবে লেখা এই বইটি আপনাকে ভাবাবে। অনেক রাত আপনি কাটাবেন অদ্ভুত সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে। আপনি যদি "থট এক্সপেরিমেন্ট" এর সাথে পরিচিত না হন, তবে সে পরিচয়ও পাবেন। এই বই আপনার মাথার ভেতর ঢুকে যাবে। হয়তো আমার মতো ঘুমিয়েও অদ্ভুত সব স্বপ্নে দেখতে থাকবেন। একদিক থেকে বইটি সমালোচনার যোগ্য। যদি কেউ এত ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে যায়, তবে তার দায়ভার কে নেবে?
Was this review helpful to you?
or
#Book_Review #চা_কফি_আর_কোয়ান্টাম_ম্যাকানিক্স #লেখক_নাইম_হোসেইন_ফারুকী #মূল্য_৪০০_টাকা ⭕কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স কী?খায় না মাথায় দেয়?সারা বিশ্বের লোক যেখানে কোয়ান্টাম বলতে বুঝে ছোট্ট ছোট্ট কণাদের কেচ্ছা কাহিনী সেখানে বাঙালী বুঝে এটা ধ্যানের ব্যাপার।এ ধারণা মানুষ কে কোয়ান্টাম সম্পর্কে ভূল ধারনা দেয় যা মানুষকে সত্যিকার কোয়ান্টাম থেকে নিয়ে যায় বহুদূর একেবারে ধ্যানের জগতে।কোয়ান্টাম সব জাতকের মহাজাতক? ⭕নাইম ভাইয়ের বইটি মানুষকে এই সব ভ্রান্ত ধারনা থেকে পুরোপুরি বের করতে পারবে কিনা যানি না তবে খুব সম্ভবত পারবে।কারণ কোয়ান্টাম কোনো সাধু ঋষি দের ধ্যানের কাজ না এটার জন্য যে একেবারে বিজ্ঞানী হয়ে যেতে হবে তেমন কিছুও না।আপনি ভাবতে পছন্দ করেন? কণাদের আচরণে ভয় পান না?সমীকরণ আপনাকে ডাকে?হ্যাঁ আপনাকেই স্বাগত জানাচ্ছে কোয়ান্টাম।এ কথা গুলো বললাম কারণ বইটি পড়তে হলে বেশ ভাবুক হতে হবে কেননা বইয়ের প্রায় প্রতিটি জায়গায় লেখক পাঠক দের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন করে যার জন্য ভাবা খুব প্রয়োজন।বইটি অনেকটা নাটকের মতো যে নাটকের মাঝেমাঝেই আগমন ঘটে বিদঘুটে কিছু রহস্যময়ী সমীকরণের। ⭕উপক্রমণিকা দ্বারা শুরু করা এই বইটি প্রথমেই পরিচয় করিয়ে দেয় কোয়ান্টাম কী তার সাথে।তার পর পরমাণুর প্রাথমিক লেভেলের ধারণা থেকে ধিরে ধিরে বিভিন্ন বিষয় ক্লিয়ার করতে করতে লেখক পাঠকদের নিয়ে যায় কোয়ান্টামের গভীর থেকে গভীরতম জগতে যেখানে মানুষের কোনো আদেশ কাজ করেনা,যেখানে রাজত্ব করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণারা যাদের আচরণ শতাব্দীর বড় বড় বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত হতে বাধ্য করেছে। প্রতিটা বিষয়কে লেখক কিছু উদাহরণ দিয়ে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে এবং প্রশ্ন করেছেন পাঠকদের।যা পাঠককে কল্পনা করতে শিখাবে নতুন ভাবে। এই বইয়ে লেখক পাঠকদের কোয়ান্টামের জটিল জিনিস গুলিকে যথা সম্ভব সহজ করে বলার চেষ্টা করেছেন যা পাঠকদের বুঝতে সহায়তা করবে।নানান রকমের সমীকরণের বাহার এবং মাঝে মাঝে গ্রাফের দেওয়া উঁকি ঝুঁকি দ্বিগুণ উৎসাহীত করবে পাঠকদের। ⭕কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স নিয়ে লেখা বইটির মাঝে মাঝে চা পানের বিরতি আছে যেখানে আছে মাল্টিভার্স সহ বাহ্যিক কিছু জিনিস এবং এগুলোর ব্যাখ্যা।পুরো বইটা পাঠককে নতুন করে ভাবতে শিখাবে এবং সবশেষে লেখকের দেওয়া উপসংহারটা যা কিনা একজনকে প্রায় নিশ্চিত ভাবে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করতে যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।এছাড়াও এটি আমাকে নতুন অনেক কিছু শিখিয়েছে।কোয়ান্টামের বিভিন্ন বিষয় সমন্ধে আমার ধারনা পালটিয়েছে।আশা করি পাঠকরাও এই বইয়ের থেকে কিছু হলেও নতুন শিখতে পারবে।এই বইটি একজন পাঠক কে ভাবুক করে তুলতে যথেষ্ট।?
Was this review helpful to you?
or
বাংলায় বিজ্ঞানের বই নিয়ে প্রচলিত ধারণা: ১. বাংলায় ভালো মানের বিজ্ঞানের বই লেখা যায় না/ লেখা হয় না। ২. বিজ্ঞানের বইয়ে থাকবে খটর মটর সব শব্দ, কোন রসকষ, গল্প কিচ্ছু থাকবে না। ৩. বিজ্ঞানের বইয়ে থাকবে শুধু বিজ্ঞান, ফিকশন বা কেচ্ছা দিয়ে বিজ্ঞান বোঝানো যাবে না। ৪. কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে বই? শুরু করতে হবে শ্রোডিঙ্গার ইকুয়েশন দিয়ে। এছাড়া কি কোয়ান্টাম হয় নাকি! আরো অনেক কিছু। তবে এইসব বৃত্ত ভেঙে মজা করেও যে বিজ্ঞানের বই লেখা যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন Nayeem Hossain Faruque ভাই। তার লেখা "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইটির প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা পড়ি আর মুগ্ধ হই। অনেক সুন্দর, সহজবোধ্য ব্যাখ্যা। যেকোন লেভেলের জ্ঞানপিপাসুদের জন্য উপযোগী। অসাধারণ একটি বই। বিজ্ঞান ভালোবাসে এমন যে কারো অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
আমার ব্যক্তিগত ভাবে যে জিনিসগুলো সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলো প্রতিটি ছোট খাটো জিনিসকে লেখক গ্রাফ দিয়ে বুঝিয়েছেন। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের যেকোনো বইতেই ডিরেক্ট সূত্র বা সমীকরণ এনে ২-৪ কথা লিখে শেষ করা হয়, কিন্তু এই বইটিতে প্রতিটি জিনিস একেবারে বীজ থেকে বৃক্ষ জন্মানোর মতো করে বুঝানো হয়েছে। শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ দেখলেই আগে যেমন মাথা ঝিম ঝিম করতো, এখন সেটা গানের মতো মাঝে মাঝে গুণ গুণ করতে ইচ্ছে করে। কোয়ান্টাম স্পিন জিনিসটা বোঝার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি, কোথাও খুঁজে পাইনি, পেয়েছি এই বইটিতে। ভরের জন্ম নিয়েও অনেক জিনিস ক্লিয়ার হয়েছে যেটা আগে ছিল না। ফিল্ডের ধারণা বদলেছে, জতল তরঙ্গ, জটিল স্টেট কিভাবে আসে তা জেনেছি। এক কথায় বইটি অসম্ভব রকমের তথ্য সমৃদ্ধ। লেখকের জেনারেল রিলেটিভিটি বইটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত।
Was this review helpful to you?
or
বইটা জাস্ট অসাধারণ ,কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের মতো এত জটিল ও রহস্যময় বিষয় নিয়ে গল্প হাস্যরস আর এত সহজ করে বোঝানো হয়েছে যে ক্লাস ৯ এ পড়ুয়া কোন ছাত্র যদি এই বইটা পড়া শুরু করে তাহলে ধিরে ধিরে সে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের রহস্যময় দুনিয়ায় একেবারে ভিতরে ঢুকে যাবে ।এখনো পুরো বইটা শেষ করতে পারি নি,কিন্তু এত সুন্দর বইটার রিভিউ না দিয়ে পারলাম না ।বিজ্ঞান প্রেমী সকল কে এই বইটা সংগ্রহে রাখা উচিৎ ।
Was this review helpful to you?
or
This book is storehouse of knowledge. This book is one of my favorite books. I like to understand science from YouTube but in this book, quantum mechanics is explained in simple language. This books price should be more than 1000tk. This book is in international level. Thank you Nayem Hasan Faruki sir for writing this masterpiece book.
Was this review helpful to you?
or
বইবাজারে অল্পসংখ্যক কিছু বই থাকে, যা একান্ত লেখক এবং পাঠকের, তন্মধ্যে এটি একটি!
Was this review helpful to you?
or
i fallen love with this book....this book become a family memeber to me.....i love it so much and the author knows how to represent the infomation to the readers.
Was this review helpful to you?
or
Choto Boro sokoler jonnyei ei boita upojogi... je kew issa korlei binai didhay ei boita porte parbe inshaallah.
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক ভালো। তবে মুদ্রনে সমস্যা আছে। কিছু কিছু জায়গায় বোঝা যায় না কি বলল। যেমন এক জায়গায় " হবে " এর জায়গায় লেখা " কবে "। কোনো এক জায়গায় কক্ষপথে ইলেকট্রন লেখা ২,২,১৮। এরকম ছোট বড় বানানের ভুল দিয়ে বই টা ভরা। তবে এটা লেখকের ভুল নয়, প্রকাশনীর ভুল। আশা করি পরবর্তী সংস্করণে এমন ভুল সংসধন করা হবে। নিষ্সন্দেহে এটি একটি ভালো বই। কিন্তু এই রকম ভুল পড়ার আনন্দকে মাটি করে দেয়। :):
Was this review helpful to you?
or
এক ফ্রেন্ডের পোস্ট দেখেছিলাম, মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে একাডেমিক সব পড়াশোনা ছেড়ে ছুড়ে শুধু ফিজিক্স নিয়ে পড়ে থাকি। অথবা অন্য যেসব টপিকে খুবই আগ্রহ, সেগুলো নিয়ে পড়ে যাই দিনের পর দিন রাতের পর। আমার ও এই ইচ্ছে টা খুব। খুব মানে খুউব। যদি অঢেল টাকা পয়সা থাকত। হয়তো তাই করতাম। বই এর স্তুপে ডুবে থাকতাম। ইকুয়েশন সলভ করতাম। ভুল বসত কিছু আবিষ্কার করে ফেললেও মন্দ হয় না। সেই সুরাত্রিতে ভেজা ভেজা চোখে আকাশের পানে চেয়ে চেয়ে মহাবিশ্বের নব উন্মোচিত রহস্যকে উপলব্ধি করতাম। অথবা, সেই নতুন সমীকরণ যে পাতায় লেখা। কাপা কাপা হাতে দেবে যাওয়া সে লেখা গুলো কে বার বার স্পর্শ করে দেখতাম। তবে না সে সুযোগ নেই। অঢেল টাকা আমার নেই। সেই সুবাদে আমার কোনো প্রাইভেট টিউটর ও নেই। কখনও কোনোদিন ছিল না। কোথাও কোচিং করারও ইচ্ছে আমার নেই। আগে হয়তো এ নিয়ে হাহুতাশ করতাম। কিন্তু সেটা কেটে গেছে অনেক দিন আগেই, আমাকে বার বার মনে করিয়ে দেয় একটা কথা, "যখন বুঝতে পারবে তোমাকে হেল্প করার কেউ নেই, একটা আশ্চর্য সুন্দর জানালা তোমার সামনে খুলে যাবে" - নাঈম হোসেন ফারুকী। হ্যাঁ একা একা অনুভব করে চলেছি ফিজিক্সের ইকুয়েশন গুলো। গণিতের চিহ্ন গুলোর পেছনের গল্প। সঙ্গি হয়েছে খাতা, কলম আর বই। একাডেমিক স্টাডি ছাড়া টা সম্ভব না হয়তো তবে দিনের অধিকাংশ সময় কাটে পছন্দের বিষয় ফিজিক্স নিয়েই। আগ্রহ টা দিনে দিনে একটু একটু করে বেড়েছে। সেই আগ্রহে ইন্ধন জুগিয়েছে কিছু অতি অসাধারণ বন্ধু, বড়ো ভাই। আবার মাঝে মধ্যে কিছু অতি অতি অসাধারণ বই। হ্যাঁ "বই" যা আঙুল ধরে পথ দেখিয়েছে। পেতে সাহায্য করেছে অমৃতের খোঁজ। খুঁজে দিয়েছে রহস্যের সৌন্দর্য অনুভবের পদ্ধতি। বাংলায় লেখা হাজার টা অপবিজ্ঞানের বইএ আমাকে বিলিন হয়ে যেতে দেয় নি। খুব গর্বের সাথে বলতে ইচ্ছে করে এমন একটা বই হলো, "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" আর খুবই ভাগ্যবান আমি এমন একটা বই হাতে পেয়ে। রহস্যকে জানার অমূল্য ইচ্ছা কে যে বই ত্বরান্বিত করতে পারে না, তা বিশেষ জ্ঞানের বই না। যা বইটি যথার্থই পেরেছে। শুরু থেকে শেষ অবধি টেনেছে আমায়, বাধ্য করেছে কাঁদতে। খাতা কলম নিয়ে বসিয়েছে। ইকুয়েশন সলভ করিয়েছে। বইটির পদে পদে রয়েছে উন্মাদনা। অসম্ভব সুন্দর কিছু রহস্য ও তার সহজ সমাধান। রয়েছে একরাশ বিষ্ময় নিয়ে ভাববার অবকাশ। ভাবতে শেখানোর কী অসাধারণ কৌশল! ও এরপরই প্রশান্তি। ঘরে ঢুকবার আগে আমার আম্মুর তিনটা ঘরের ও রান্না ঘর আর বাথরুম এ থাকার মোট সম্ভাবনা ১। কিন্তু এখন যেহেতু দুপুর বারটা তাই রান্না ঘরে থাকার সম্ভাবনাই অনেক বেশি। আর আলমারিতে ঢুকে বসার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য। কিন্তু আমি তাকে দেখার আগ অবধি সে প্রতিটা ঘরেই সুপারপজিশনে আছে। এমনকি আলমারিতেও। কী একটা শিহরণ খেলে যায় সারা শরীরে, এমন অদ্ভুত জিনিস ভাবলে। রাদারফোর্ড এর ক্লাসিকাল মডেল থেকে শুরু করে লুই ডি ব্রয়লে এর কোয়ান্টাম মডেলের উন্মোচন। কণা তরঙ্গ দ্বৈততা দিয়ে বোরের মডেলের যে সমীকরণ সেটার জাচাই। এবং তার মডেল কে বিট করে বের করে নিয়ে আসা পরমাণুর প্রথম কোয়ান্টাম মেকানিকাল মডেল। যা এক রহস্যময় জগতের পর্দা হালকা ফাঁক করে দিতে সক্ষম। রহস্যের শুরু সেখানেই। কণা তরঙ্গের ডাক পড়েছে অনিশ্চয়তার জগতে। হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা সূত্রের নিশ্চয়তা আজ অবধি ১৬ আনা খাঁটি। সেই খান থেকে সাদা মাটা সাইন তরঙ্গ রূপ ধারণ করে ψ এর। নাম সাই হলেও এই ব্যাটা নিজের পরিচয় দিতে একটুও সাই ফিল করে না। শ্রোডিঙ্গারের অমর সমীকরণ সামনে আসে। পরমাণুর নিখুত চিত্র ফুটে উঠে সেই সমীকরণ থেকেই। একটা পরমাণুতে একটাই ইলেক্ট্রন হলেও সে থাকে মেঘের মতো। না না বিভ্রান্ত হবেন না। ইলেক্ট্রন থাকে সুপারপজিশনে। একই সাথে অগণিত সম্ভাব্য স্থানে। সেগুলোই আমরা নিজের মধ্যে আঁকি মেঘের মতো করে। যেখানে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেগুলোকেই আসলে নাম দেয়া হয়েছে অর্বিটাল নামে। এপর্যন্ত সব ঠিক ঠাক। সুপারপজিশনে থাকা মেনে নিলাম। খুবই অদ্ভুত জিনিস তবুও মেনে নিলাম। কিন্তু যখন আমাকে বলা হবে আমার একটা হুবহু দেখতে আরেকটা কপির থাকে শত আলোকবর্ষ দূরে থেকে আমি তার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাহলে কেমন হবে? হ্যাঁ এটাও হচ্ছে। কণানিজেও জানে না তাকে দেখার আগ অবধি সে কোথায়। তবু এমন অদ্ভুত জিনিস প্রকৃতিতে ঘটে চলেছে। এর কারণ? কেউ জানে না। শুধু জানে আলোর চেয়ে বেশি বেগে কোনো কিছু যেতে পারে না। তাই এইরকম ভাবে যোগাযোগ ও সম্ভব না। এসব জিনিস ভাবলে যদি কেউ একটা ঘোরের মধ্যে না তলিয়ে যায় সে কি মানুষ? আমি নিজেকে আটকাতে পারি নি।যা, অদ্ভুতুড়ে এই মহাবিশ্বের রহস্যে ঘেরা প্রকৃতিকে জানবার ইচ্ছাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। অমৃতের স্বাদ পেয়েও পিপাসায় কাতরাচ্ছি। শুধু ভেবে চলেছি কোনোদিন কি মানুষ জানবে, নাকি দূরে কোনো প্যারালাল ইউনিভার্স এ এই রহস্য আগেই ভেদ হয়ে আছে। প্রয়োজন শুধু সেই দুইনিয়ার সাথে যোগাযোগ। কিন্তু কীভাবে? কেউ জানে না। তবে যে জানতেই চায় না, তাকে দেখে খুব আশ্চর্য লাগে। বইটির উপসংহারের শেষ কিছু কথা, চারিদিকে অন্ধকার পর্দা, মাঝখানে বসে অসহায় মানুষ ছটফট করছে। তার একটা মাত্র হাতিয়ার: ছিয়াশি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি অদ্ভুত রহস্যময় এক ভয়াবহ পাওয়ারফুল মস্তিষ্ক। ইচ্ছা করে না তাকে ব্যবহার করতে? হ্যাঁ খুব ইচ্ছে করে। খুবই। বই এর রেটিং ১ থেকে ১০ এর মধ্যে পড়ার আগ অবধি সুপারপজিশনে ছিল আমার কাছে। কিন্তু আমার কাছে এটি= ১০ বোরের একটা উক্তি দিয়ে শেষ করছি, "If You are not astonished by quantum mechanics then you have not understood it!" _ Niels Bohr বইয়ের নাম: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক: Nayeem Hossain Faruque নিজস্ব রেটিং: ১০ এ ১০
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর লেখা অন্যতম সেরা বই। বইতে অনেক এক্সাম্পল আছে, কম্পলেক্স টপিকগুলোকে লেখক অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মজার ছলে বুঝিয়েছেন।বইটি হাইলি রিকমেন্ডেড?
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Very Good
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর অন্যতম ভালো একটা বই।বইটি পড়ে খুব ভালো লাগছে।সবার উচিত বইটি পড়া।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞান শুধু যে গবেষণা করে, প্রচুর কষ্ট করে, মাথার চুল ছিড়েই শিখতে হয় তা না । এক কাপ চা বা কফি নিয়ে রিল্যাক্স ভাবেও যে শেখা ও বোঝা যায় তার প্রমাণ হলো “চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স” । পড়ার সময় মনে হয় আমি নিজেই ঢুকে গেছি কোয়ান্টামের অদ্ভুদ জগতে । সব কিছু চোখের সামনে হচ্ছে । প্রতিটা গল্প, উপমা একদম অসাধারন ।
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝার জন্য সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
A great masterpiece
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই।কোয়ান্টাম মেকানিক্স, আলোর পার্টিকাল ও ওয়েভ নেচার,কোয়ান্টা ইত্যাদি বিষয়ে আমার অনেক কনফিউশন ছিল,অনেক বেসিক আমার কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
খুব সাবলীল ভাষায় লেখা একটা বই। গল্পের মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখাবে লেখক।
Was this review helpful to you?
or
টেকনিক্যাল রিভিউ! আমার পড়া কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ভাষায় লেখা তথ্যপূর্ণ বই। বইটি সবার পড়ার উপযোগী, তবে সবাই বুঝবেনা। বইটি বুঝতে ৯ম-১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের বই এবং গণিত ভালো করে চর্চা করা থাকতে হবে। বইটি পিউর সায়েন্সের হলেও এটি বুঝতে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পড়া থাকতে হবে। নাহলে এই বইয়ের বর্ণনা আর গল্পের স্বাদটা বুঝা যাবেনা। বইয়ের ছবিগুলো এবং প্রচ্ছদ সাধারণ মানের। গাণিতিক ছবিগুলো উচ্চমানের। তাই মূলভাব বুঝতে অসুবিধা হবেনা। নন টেকনিক্যাল রিভিউ!!! বইটি খুব মজার একটা বই। যারা ভালো করে ৯ম-১০ম শ্রেণীর গণিত আর পদার্থবিজ্ঞান ভালো মত চর্চা করে এবং কল্পবিজ্ঞানসহ অন্যান্য বই পড়ার অভ্যেস আছে, তারা খুব মজা পাবে বইটি, সাথে শিখাও হবে অনেক। যারা এই বইটি দশম শ্রেণিতে পড়া শেষ করবে, তারা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান খুব সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে, বিশেষ করে ২য় পত্র। (বর্তমান শিক্ষানীতি অনুযায়ী)। এ ধরণের বই লিখতে প্রচুর ধৈর্য্য আর সময়ের দরকার। তাই লেখকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমি যত বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই পড়েছি, তার মধ্যে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স হচ্ছে সবচেয়ে Memorable বই। কারণ, লেখক নিজে বইটি আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ নাঈম ভাইয়াকে।
Was this review helpful to you?
or
The worst book on pop quantum I have ever read. absolutely pathetic
Was this review helpful to you?
or
বান্ধবির কাছ থেকে নিয়ে পড়লাম। এটা পপুলার সায়েনস বুক, আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য। বই ভালো লিখেছেন। তবে লেখকের আচরণ ভালো লাগে নি। অন্যের পিছে লেগে থাকাই যেন তার জীবনের লক্ষ্য মনে হয়েছে। এই বই, বিজ্ঞানে অগ-গান বই ইত্যাদিতে নিজেই ভুলভাল লিখেছেন। কিন্তু অন্যের ভুল নিয়ে ব্যক্তিআক্রমন তার কমে নি। লেখকদের এত ছোট মানসিকতার হওয়া উচিত না।
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি লেগেছে। তবে লেখক আরো ঘাটাঘাটি করে লিখতে পারতেন
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স || লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী || কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখার জাদুকরী বই ”চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স“। চা আর কফির সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে উপলব্ধি করাতে হলে যা যা করা দরকার, লেখক কিছুই বাদ রাখেননি। আমি ক্লাস নাইনের ছাত্র । তবুও অতিমাত্রায় আগ্রহের কারণে জেনারেল রিলিটিভিটি, পার্টিকেল ফিজিক্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, আরো কিছু সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা ছিল। এগুলার প্রতিটা বিষয়ের কথা বলব না, তবে বেশ অনেক বিষয়ে গণিতবিহীন ধারণা ছিল। (পপ লেভেলের আরকি!)। স্পেশাল রিলিটিভিটি নিয়ে যদিও বেশ ভালোভাবেই গণিতসহ শিখেছিলাম। লেখকের উদ্দেশ্য ছিল, কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর এই বই যেন নাইন-টেন লেভেলের স্টুডেন্ট বুঝতে পারে। যখন আমি আমার জানা কোনো বিষয় নিয়ে লেখা চ্যাপ্টার পড়ি, মনে হয় যেন আমি এ নিয়ে কিছুই জানি না। আমি বইটা পড়ার সময় আগের জানা এসব বিষয়ের ধারণাকে বাক্স বন্ধী করে রেখেছি, যেন আমি সত্যিকারের ক্লাস নাইন-টেনের একজন ছাত্র! সেই হয়ে উপলব্ধি করলাম, যে কতটুকু বোঝা যাচ্ছে! আসলে যা রেজাল্ট পেলাম, তা আমাকে অভিভূত করে দেয় ! আমি যদি অতসব কোনোদিন নাও পরতাম, তবুও যেটুকু লেখা আছে, সবই বুঝতে পারতাম ! অসম্ভব সহজ করে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে।আমি বলব, লেখকের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। স্বভাবতই মানুষ ভাবতে পছন্দ করে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় এই বিষয়টিকে গুরুত্ব তো দেওয়া হয়ই নি আরো বরং শিক্ষক-অভিভাবক- সবাই যেন চান ছাত্র ভালো রেজাল্ট করুক কিন্তু ভাবতে ভাবতে সময় নষ্ট করা যাবে না। বইটিতে প্রচুর ভাববার বিষয় দেওয়া আছে। চিন্তা করে বুঝতে পারাটাকেই মূল ধরা হয়েছে, এই বৈশিষ্ট্য বইটিকে আরো উপরে তুলে দিয়েছে বলে মনে করি। আজ পর্যন্ত যত বই পড়েছি, তার কোনোটাই এমন একক মৌলিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নয় —বলা যেতে পারে। যেমন গল্পে গল্পে বিষয়বস্তুর ধারণা দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে বইটির অভাবনীয় ক্রিয়েটিভিটি। বইয়ের প্রতি চ্যাপ্টারে আগে বিষয় বস্তুটিকে গল্পে গল্পে বোঝানো হয়েছে তারপর বৈজ্ঞানিক ধারণা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেটার বৈজ্ঞানিক বিষয়টি বুঝতে কষ্ট হত, সেটার গল্প পড়ে নিলেই সব পরিষ্কার হয়ে যেত। লেখক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মতো কাঠখোট্টা বিষয়কে ঢেলে সাজিয়ে করা হয়েছে নিউটনের সুত্রের মতো সহজ। পর্যায়ক্রমিক ভাবে বর্ণিত হয়েছে প্রত্যেক টার্মের প্রয়োজনীয়তা, কেন টার্মটা এলো,কিভাবে এলো। যা হোক, এই বইয়ের কথা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। একটা অনন্য নজির হয়ে থাকবে আমার কাছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে বলা হয় কঠিন বিষয়, এই বই পড়লে সেটাকে কঠিন বলার সাহস কার থাকে?
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক: নাঈম হোসেন ফারুকী পার্সোনাল রেইটিং: ১০/১০ রিভিউ লেখার আগে দু-চারটে কথা বলি। আমি চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা আরো কয়েকমাস আগেই পড়ে শেষ করেছি। নানা ব্যস্ততার দরুন লিখতে বিলম্ব হলো। লিখব লিখব করে পরিশেষে লিখে ফেললাম। খুব অল্প কথায় রিভিউ শেষ করব। সত্যি বলতে, আমি বুক রিভিউ খুব কমই লিখি। সেই লেভেলের ম্যাস্টারপিস্ বই না হলে রিভিউ লিখি না সাধারণত। ব্যাক্তিগতভাবে আমি এই বইকে একটা ম্যাস্টারপিস্ হিসেবে বিবেচনা করি। কোয়ান্টাম মেকানিক্স খুবই খটমটে আর জটিল একটা বিষয়। সেটা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়। আমি এই বই পড়ার আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে যৎসামান্য ধারণা রাখতাম। বইও পড়েছি কিছু, ইংরেজি বই আর বাংলা মিলিয়ে। ঐগুলোর একটাও তেমন ফিল করতে পারি নি, বেশি সুবিধার না৷ জটিল জটিল টার্ম আর গাণিতিক রাশিমালায় ভর্তি, এক কথায় অননুধাবনীয়। অপরদিকে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স যেন সেইসব বইকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স খুব বেশি দুরধিগম্য হতে পারে, কিন্তু এই দুস্তোষ্যতার গহীনে যে আরো অনেক কিছুই অনুভব করার আছে, বোঝার আছে, ভাবার আছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স রসকষহীন না, রস আছে৷ সেই রস জুতসইভাবে বের করতে জানতে হয়। বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে মনে হবে এটা বুঝি কোনো কমিক বই৷ আবার কেউ কেউ হয়তো বইয়ের নাম শুনেই বলে দিবে যে এটা নিশ্চয়ই পপ সাইন্সের বই। বাস্তবে এর উল্টো। তারা মূলত রঙ্গের বয়াম দেখেছে, রঙ দেখেনি। আদতে এটা মোটেও পপ বই না, আমার মতে সেমি-পপ বই। বেসিক থেকে শুরু করে জটিল রকমের দাঁত কিলানো সমীকরণ, গ্রাফ এবং আগাগোড়া কি নেই এই বইয়ে? খুব গূঢৈ়ষা বিষয়গুলোও বেশ সাবলীলভাবে ব্যাখ্যা করা করা হয়েছে এই বইটিতে। কখনো গল্পের ছলে, কখনো পদার্থবিদ্যার উদ্ভাসিত ছোপে, আবার কখনো গাণিতিক উপায়ে। সবকিছুর একটি দারুণ সমাহার। শুধু কি তাই, পাঠ করার সময় একবারো মনে হয় নি বই পড়ছি। প্রত্যেকবার মনে হয়েছে যেন লেখক নিজেই এসে চা-কফি আড্ডার সুবাধে প্রাণবন্ত হয়ে ব্যাখ্যা করে চলেছেন, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মারপ্যাঁচালো চিন্তাজগতে নিয়ে যেতে এসেছেন। যারা বইটা ধীরেসুস্থে, উপভোগ করে পড়েছে, তারা মাত্রেই জানে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে আমি ঢের পরিমাণ কৌতুহল লালন করি। এই বই পড়ে আমার সেই কৌতুহল প্রভূতভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। লেখক অর্থাৎ নাঈম ভাইয়ের লেখায় একটা আলাদা অনন্যসুলভ গুণ আছে, এমন গুণ খুব অল্প লেখকের লেখাতেই থাকে৷ উনার বুঝানোর সক্ষমতা পুরোই খাসা। জটিল জিনিসকে কিভাবে অল্প আর সহজবোধ্য ভাষায় বুঝাতে হয়, সেটা নাঈম ভাইয়ের খুব ভালোমতোই জানা আছে। চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর একটা জ্বলন্ত উদাহরণ। এমন ধাচের বই এদেশে আরো একটা আছে বলে মনে হয় না, থাকলেও আমার জানা নেই। আর সেগুলো এমন হবেও না, বইটা অতুলনীয়। এটা লিখতে গিয়ে লেখকের কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটা একমাত্র লেখকই জানেন। আমরা চাইলেও সেটা উপলব্ধি করতে পারব না। এই বই লেখার প্রতিটা মুহূর্তে, পর্দার আড়ালে লেখকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কতকগুলো অজানা স্বতন্ত্র গল্প লুকিয়ে আছে। হয়তো সেগুলো অগোচরেই থেকে যাবে, কেউ জানবেও না। চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স আমার কাছে অনিন্দনীয়, তাই সমালোচনা করার কিছুই নেই। বানান ভুল আছে বেশকিছু জায়গায়, ব্যাপার না। সেকেন্ড এডিশনে ফিক্স করা হয়েছে সম্ভবত। বাদবাকি বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে, তদ্দরুন পরিচ্ছেদগুলো একে একে ধরে উল্লেখ করার প্রয়োজনবোধ করিনি। সবমিলিয়ে বইটাকে দশে দশ না দিয়ে পারলাম না। সম্ভাব্য কারণগুলো উপরে আভাস দেওয়া হয়েছে, কাজেই আলাদা কিছু বলার থাকল না আর। আর হ্যাঁ, এটা একটা ম্যাস্টারপিস্ বই। এই বিষয়ে আমি কোনো সন্দেহ পোষণ করি না। নির্দ্বিধায় বলা যায়, চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স দ্যা ম্যাস্টারপিস্।
Was this review helpful to you?
or
কয়েকবার পড়ার সুযোগ হয়েছে। গানিতিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি গল্পচ্ছলে যুক্তি প্রদান বইকে করেছে প্রানবন্ত। চা পানের বিরতি গুলো ব্রেইনকে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে ভালো ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ নাঈম ভাইকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে এমন সুন্দর একটি বই লিখে বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা তৈরী করার সুযোগ করে দেবার জন্য। পরিশেষে বলি, "সবার জীবনে সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক "!
Was this review helpful to you?
or
ছোটবেলায় আমার মাথায় আসা হরেক চিন্তার মাঝে অন্যতম ছিল, 'আচ্ছা, যদি একটা বক্স নেই, যার ভেতর পুরোটা আয়না, এবং আলো বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই, এবং এর ভেতর একটা লেজার লাইট অন করে রেখে দিলে কী ঘটবে? আলো তো বের হতেই থাকবে, এবং প্রতিফলিত হতে হতে পুরো বক্স ভেতরে আলো দিয়ে ভরে যাবে৷ এরপর? আলো যেহেতু বাইরে বের হতে পারছে না, লেজার থেকে কী আলো বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? বক্স না খুলেই যদি বাইরে থেকে কোনোভাবে দেখা যেত তাহলে কী আলো ভর্তি কিছু দেখতাম?' ছোট বেলায় আমার ধারণা ছিল আলো খুবই ছোট গোল বলের মত। ঠিক কীভাবে আমার মাথায় এই ধারণা এসেছিল আমি জানি না, কীংবা মনে নেই। তাই ওপরের প্রশ্নের উত্তর আমার মাথায় কখনোই আসত না। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাথে আমার প্রথম পরিচয় A levels এ এসে। ওয়েভ-পার্টিকেল ডুয়েলিটি বিষয়টা আমাকে বেশ অবাক করেছিল। বিখ্যাত ডাবল-স্লিট এক্সপেরিমেন্ট কেন এটা প্রমাণ করে যে আলো আসলে একটা তরঙ্গ, বা ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্ট কেন এটা প্রমাণ করে যে আলো আসলে একটা কণা সেই বিষয়গুলো দিয়েই শুরু৷ এরপরে প্রশ্ন আসে, কণা জিনিসটা আসলে কী? কণা ভাঙলে কী পাওয়া যায়? একটা ইলেক্ট্রন কণা আর প্রোটনের মাঝে পার্থক্য কী? আর চার্জ বলতেই বা কী বুঝি? চা-কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা মূলত কণা, তরঙ্গ, এদের অবস্থান, ভরবেগ সম্পর্কিত ব্যাখা, গণিত ও এক্সপেরিমেন্টাল প্রমাণ নিয়ে লেখা একটি উপভোগ্য একাডেমিক বই যা ক্লাস টেন পড়ুয়াদের জন্য বেশ উপযোগী। একটু খোলাসা করে বলি। বইটি শুরু হয় বড় বড় সব বিজ্ঞানী মহারথিদের নাম দিয়ে, কোয়ান্টাম মেকানিক্সে যাদের অবদান অমূল্য। আলো জিনিসটা যে কণা অথবা তরঙ্গ, এই জিনিস দুটো প্রমাণ হওয়ার আগে তা নিশ্চয়ই হাইপোথিসিস ছিল। এগুলোকে গাণিতিকভাবে কী করে প্রমাণ করা যায়? কার মাথায় এসেছিল এটা? কীংবা কেমিস্ট্রিতে সারাজীবন পড়ে আসা, ইলেক্ট্রনের নিজস্ব কক্ষপথ আছে। প্রথম ইলেকট্রন শেলে দুইটা, পরেরটায় আটটা কেন থাকে? কেন আচ্ছা, ইলেকট্রনও তো আবার আলোর মত তরঙ্গ-কণা। তাহলে সে আবার অরবিটে থাকে কী করে? কীংবা, আলো কেন এই নির্দিষ্ট গতিতেই ভ্রমণ করে? এর বেশি গতি কেন সম্ভব নয়? আমরা যা কিছু দেখি, মাপি, উপভোগ করি সবই দুই অন্ধকারের মাঝে স্যান্ডুইচ করে রাখা জগৎ। এক অন্ধকারের বর্ডার, মহাবিশ্বের যে পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই, যার পর থেকে আর আলো আসে না। এবং অন্য অন্ধকার হল প্লাংক লেংথ। এরচেয়ে কম দৈর্ঘ্য মাপা যেন নিষেধ! বলেছিলাম বইটা উপভোগ্য। কেন? একাডেমিক বই আবার উপভোগ্য কেন হবে? বইটা সাজানো হয়েছে এক বিশাল মঞ্চ হিসেবে৷ শুরুতেই যেই মহারথিদের নাম আমাদের জানানো হয় তারা আদতে এই রঙ্গমঞ্চের নায়ক, কখনো কখনো খলনায়ক। এরা এক এক করে আসেন, তাদের কার্যপদ্ধতি, চিন্তাভাবনা আমাদের জানিয়ে দেন। মাঝে মাঝে আক্কাস আলী ও বক্কর ভাই তাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা নিয়ে হাজির হন। তাদেরকে আমরা কোনো সিরিয়াস নাটকের কমেডি রিলিফ বলতে পারি। তবে তাদের এই সমস্যাগুলো আশ্চর্যজনকভাবে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সমস্যাগুলোর সাথে মিলে যায়। এবং তাদের সমাধানগুলোও তেমন। উল্লেখ্য, বক্কর ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড তাকে একবক্স দামী কয়েন গিফট করেছে। একই ধরণের বাক্স নিজের কাছেও রেখেছে। বক্কর ভাই এটা নিয়ে বাড়ি যাবে। এরপর বাক্স খুলবে। কয়েনগুলো সোজা করে রাখা ছিল, খোলার সাথে সাথে কিছু হেডস, কিছু টেইলস হয়ে পড়ে যাবে। কেউই আগে থেকে বলতে পারবে না সেগুলো হেড হবে, না টেইল হবে। কিন্তু বক্কর ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড পারবেন। কীভাবে? মনে আছে নিশ্চয়ই তার কাছেও একই রকম বাক্স ছিল। তিনি সেটা আগেই খুলেছেন। তার কয়েনগুলো যেই প্যাটার্নে হেড-টেইল হয়ে পড়েছে একই প্যাটার্নে তার ঠিক উল্টো পাশ বক্কর ভাইয়ের গুলো হবে। অর্থাৎ, আপুর বক্সের কয়েন হেড-হেড-টেইল-হেড-টেইল হয়ে পড়লে বক্কর ভাইয়ের গুলো পড়বে টেইল-টেইল-হেড-টেইল-হেড হয়ে। কেউ কিছু বুঝেছেন? লেখক এখানে খুবই সুন্দর উপমা দিয়ে মৌলিক কণার এনট্যাঙ্গেলমেন্ট বুঝিয়েছেন। এবং সেটার গাণিতিক প্রমাণও পাশাপাশি বুঝিয়ে গেছেন। এজন্য এটাকে উপভোগ্য একাডেমিক বই বলেছি। আমরা অনেক কিছু জানতে পারি, তবে সেটা যদি অন্যকে সহজে বোঝাতে না পারি তার অর্থ আমরা নিজেরা সেটা ভাল বুঝি না। পুরো বইটা শেষ করার পর আপনি এটমের গঠন সম্পর্কে জানবেন। এর মাঝে ইলেকট্রন কীভাবে বিন্যাস হয়ে তা জানবেন। নিউক্লিয়াসের মাঝে পজিটিভ চার্জের প্রোটনকে একসাথে কে ধরে রাখে জানবেন। রেডিওএক্টিভ ডিকে বা ক্ষয় কী করে হয় তা জানবেন। মঞ্চে শ্রোডিঙ্গার একদম শেষের দিকে আসেন৷ কারণ তার থলের বেড়াল বেশ ভয়ানক! তার বিখ্যাত থট এক্সপেরিমেন্টের কথা আমরা নিশ্চয়ই জানি অনেকেই। দেখার আগ পর্যন্ত বাক্সে বন্দি বিড়াল একই সাথে জীবিত ও মৃত। আমরা ভাবি, হোয়াট দা ফাংগাস! ভূয়া জিনিস! কিন্তু এটার গভীরে যেয়ে লেখক এখানে আপনাকে চিন্তা করাবেন। তিনি আপনাকে বিড়ালকে বিড়াল হিসেবে নয়, বাক্সকে বাক্স হিসেবে নয়, ও নিজেকে নিজ হিসেবে নয় বরং সবকিছুকে কণা-তরঙ্গ রূপে দেখতে ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলবেন। তখন আপনার কাছে ব্যাপারটা আর হাস্যকর নয় বরং ভয়ানক লাগতে পারে! কোয়ান্টাম মেকানিক্স আমাদের পরিচিত জগৎকে একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লেভেল থেকে ব্যাখা করে। বইটা তাদের জন্য যারা প্রশ্ন করতে ভালোবাসে। যারা ব্যাখা খুজতে ভালোবাসে। এবং যারা রহস্যে আবৃত প্রকৃতি দেখে বিমুগ্ধ হয়। যারা নাইন কীংবা টেন এ আছে তাদের জন্য কোয়ান্টাম জগৎ এ পদার্পণ করার জন্য, যারা ইন্টার কীংবা এ-লেভেলে, তাদের পাঠ্যবই এর বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এর জন্য, এবং যারা আমার মত ইউনিভার্সিটিতে তাদের মেদযুক্ত টেক্সট বইয়ের পিপীলিকা ফন্টের বইয়ের ভাষা ও সমীকরণ সহজে বুঝতে পারার জন্য বেশ ভালো একটি বই কীংবা মঞ্চ হল চা কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স। এমন বই বাংলা ভাষা দূরে থাক ইংরেজিতেও চোখে পড়েনি। তো আর দেরী না করে হাতে নিন বইটি, প্রবেশ করুন অনিশ্চয়তাপূর্ণ কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগৎএ! বইঃ চা কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাইম হোসেইন ফারুকী গায়ের মূল্যঃ ৪০০ টাকা মাত্র প্রকাশনীঃ প্রান্ত প্রকাশন প্রচ্ছদঃ মেহরাব সিদ্দিকী সাবিত
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ বই: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক: নাঈম হোসেন ফারুকী পার্সোনাল রেটিং: ১০/১০ পদার্থবিজ্ঞান পড়ছেন অথচ কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর নাম শোনেননি এমন ছাত্র মনে হয় খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর। তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি বা কেনোই এর আবির্ভাব অনেকেই হয়তো সেটা জানেন না। আবার অনেকের কাছে এই সাবজেক্টটা মানে মাথা ব্যাথার এক অনন্য কারন। কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে গিয়ে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে হয়নি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। দুর্বোধ্য সব জটিল সমীকরণগুলো হুট করেই কোথা থেকে যেনো টপকে পড়ে। সেগুলোকে আরো জটিল করতে গ্রিক অক্ষরের কিছু লেটার আর দুর্বোধ্য চিহ্নেরাতো সাথে আছেই। একাডেমিক বইগুলো পড়ে মোটামুটি শরীরে ভাব আসার কোনো উপায়ই নেই, বোঝা তো দূরে থাক। আমি দেখেছি যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স করছেন তাদের অনেকের কাছেই "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" হলো এক আতঙ্কের নাম। পরীক্ষার দুইমাস আগে থেকে তারা সাজেশন মুখস্ত করতে শুরু করেন। তারপর পরীক্ষার খাতায় সেগুলো বমি করেন। অথচ কেনো যে তারা এটা লিখছেন সেটা তারা নিজেরাই জানেননা। তারা সবাই যেনো একটা ধারা অনুসরণ করে আসছেন। সাজেশন খোলো - মুখস্ত করো - পরীক্ষার হলে বমি করো - A জিত। এবার বইয়ের কথায় আসা যাক। আমার লাইফে এর আগে আমি একাডেমিক বইয়ের বাইরে বিজ্ঞান বিষয়ক অন্য কোনো বই পড়িনি। তাই "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইটি আমার পড়া প্রথম বই। এবং প্রথম বারেই বইটি আমার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। বইটির লেখক সম্মানীয় "নাঈম হোসেন ফারুকী" ভাইয়া। ভাইয়ার কথা আর কিইবা বলবো...। অন্যান্য যারা ওনাকে চিনেন তারা জানেন যে তিনি কেমন। ভাইয়ার লেখাও এককথায় অতুলনীয়। আর সেটা ফুটে উঠেছে তার লেখা " চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইয়ে। আপনার কি কখনো জানার ইচ্ছা হয়েছে যে, এই যে অদৃশ্য সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা এদের লাইফ স্টাইলটা কেমন? এরা দেখতে কেমন? এদের আকার, আকৃতি? এদের আচার আচরণ? এদের না দেখা সকল কর্মকাণ্ড? যদি আপনি পদার্থবিজ্ঞান ভালোবাসেন তবে এসব আপনাকে সত্যিই ভাবিয়েছে। কোয়ান্টাম জগতে আপনাকে স্বাগতম। আর হ্যা... কোয়ান্টাম মেকানিক্স এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র না দেখা কণাগুলোর গল্প বলে। আর এইসকল ঘটনাগুলি গল্পে গল্পে, ম্যাথ আর গ্রাফে লেখক লিপিবদ্ধ করেছেন তার এই বইয়ে। কি নেই তার এই বইয়ে!!!! "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইটি আমি সকলের জন্যই রেকমেন্ড করি। যারা বইটি পড়েছেন একমাত্র তারাই বুঝবেন যে আসলে তারা কি পেয়েছেন। যারা এখনও পড়েননি তারা বুঝতে পারবেন না যে আসলে তারা কি মিস করতে চলেছেন। এখানে একেবারে বেসিক লেভেল থেকে সবকিছু শুরু করা হয়েছে। যাদের ক্লাস টেনের বেসিক স্ট্রং আছে বইটি তারাও পড়তে পারবেন। বইটি প্রথমেই শুরু হয়েছে উপক্রমণিকা শব্দটি দ্বারা। বইয়ের লেখক বলেছিলেন এই বইটি পড়তে হলে ("উপক্রমণিকা") এই জাতীয় শব্দের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে হবে। হয়েছেও তাই। আমি এই বইয়ের প্রথম যে শব্দটির জন্য ডিকশনারি ঘেঁটেছি সেটা হচ্ছে এই "উপক্রমণিকা"। হাহাহাহা.....সেইরকম একটা কিউট ব্যাপার স্যাপার। বইয়ে একে একে আলুর বস্তা থেকে সুপারডিটারমিনিজম পর্যন্ত বুঝতে যখন যেটা লাগে লেখক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সেগুলোকে আনতে। পুরো বইটা জুড়েই ছিলো ম্যাথ, গ্রাফ আর ছবির অসম্ভব ছড়াছড়ি। প্রায় প্রতিটি অধ্যায়েই লেখক ভাবার জন্য কিছুনা কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। এবং সতর্কতা হিসেবে দিয়েছেন কিছু চিহ্ন ও তাদের মানে। লেখকের এমন প্রচেষ্টায় আপনি আমি শিখতে বাধ্য। কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে ফিল্ড কি? কণারা কি এখানে বল খেলে নাকি দৌড়ায়? নাকি অন্যকিছু? স্পিন কি? কি সেই ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট যার জন্য বিজ্ঞানী আইনস্টাইন নোবেল জিতেছিলেন? কি এই তরঙ্গ কণা দ্বৈততা? এটা কি কোনো দৈত্য!!! যে একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে...। কেনো সবকিছুতে এতো অনিশ্চয়তা???? এমন অনেক জিনিসই খুব যত্ন সহকারে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তার এই বইয়ে। ওয়েট..ওয়েট..। আপনি কি ভাবছেন এগুলাই শেষ? যদি ভেবে থাকেন তাহলে আপনার ভাবনায় ছেদ পড়লো বলে। এতো সবেমাত্র শুরু। এখনও অনেকটা বাকি। স্টেট, জটিল তরঙ্গ, মাল্টিভার্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটার, বোজোন- ফার্মিওন, সুপারপজিশন, কোয়ান্টাম টানের্লিং, ψ, বেলের অসমতা, ইন্টারপ্রিটেশান, শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল, বিখ্যাত টাইম ইন্ডিপেন্ডেন্ট শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণসহ আরো অনেক অনেক কিছু। এইসব বড়ো মাপের দাঁতভাঙ্গা উচ্চারণের জিনিসগুলো বোঝা তো দূরে থাক অনেকে নামই শোনেননি। এইসব জিনিস কেনো কিভাবে হচ্ছে লেখক তা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করে গেছেন। তিনি নানান রকম কাল্পনিক চরিত্র ব্যাবহার করে একটার পর একটা রহস্য ভেদ করে গেছেন। যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জন্য আপনার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তবে শিওর থাকুন এই বইটি আপনার জন্যেই। আপনাকে কোয়ান্টাম প্রেমী বানাতে এই একটি বই'ই যথেষ্ট। যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে প্রতিটা পদে পদে ফিল করতে চান তবে "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইটি আপনার জন্য হাইলি রেকমেন্ডেড। এবার বইয়ের উপসংহারে আসা যাক। এটাকে আসলে উপসংহার না বলে মোটিভেশনাল স্পিচ বলি। কারণ লেখকের এই কথাগুলি কোনো অনুপ্রেরণা থেকে কম কিছু নয়। সত্যিকার অর্থে বর্তমান সময়ে ফিজিক্স কতোজন বুঝে পড়ে তা আমার জানা নেই। বেশির ভাগ স্টুডেন্টই চায় পরীক্ষায় পাস করার জন্য পড়তে। যারা সত্যিই বুঝে পড়তে চায় ফিজিক্স আসলে তাদের জন্যই। যতক্ষণ আপনি এটা এমন কেনো, কিভাবে, এমন কেনো নয়, কারণ কি এসব নিয়ে না ভাবছেন ততক্ষণ আপনি নেহাতই শুধু সময় নষ্ট করছেন। তাই বুঝতে হলে আপনাকে ভাবতে হবেই। বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে কিছু গাণিতিক প্রমাণ দেওয়া আছে। আছে শ্রোডিঙ্গারের সময় নির্ভর ও অনির্ভর সমীকরণের প্রতিপাদন, বেলের অসমতার প্রমাণ। এবং বইয়ের সবশেষে লেখক তার বইয়ে ব্যাবহৃত প্রতিটি ব্যাখ্যার রেফারেন্স দিয়েছেন যা তার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। যাইহোক পরিশেষে এই বলবো যে, যদি আপনি সত্যিকার অর্থেই বুঝতে চান যে কোয়ান্টাম মেকানিক্স আসলে কি বা কেনো তাহলে সময় নষ্ট না করে বইটি সংগ্রহ করে ফেলুন। আশা করি আপনি ঠকবেন না। আমি বইটির প্রথম এডিশন নিয়েছিলাম তাই বইটিতে সামান্য কিছু বানানের ভুলত্রুটি ছিলো। আশা করি সেকেন্ড এডিশনে সেই ভুলের সুযোগটা আর নেই। আর বইটিকে আমি ১০/১০ রেটিং দিয়েছি এই কারণেই যে, বাংলায় এতো সহজ সাবলীল ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর বই পাওয়াটা আমাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। দুর্বোধ্য এই জিনিসটাকে লেখক কতোটা সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন যে ক্লাস টেনের একজন স্টুডেন্টও এই বইটি পড়তে পারবে। সত্যিই ভাবতে খুব অবাক লাগে। লেখকের জন্য একবুক ভালোবাসা রইলো। আশা করছি পরবর্তীতে লেখক আমাদের আরো ভালো ভালো বই উপহার দিবেন।
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বাংলায় এরকম বই আর হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বইটি পাঠ্যবইয়ের মতো নয়, তবে পাঠ্যবইতে একের পর এক ইক্যুয়েশন দেখে দেখে কী হচ্ছে কিছুই না বুঝে হতাশ হয়ে গিয়ে যদি আপনি পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তবে বইটা পড়ে ফেলতে পারেন। বেশ ভালো insight পাবেন আশা করি। প্রচলিত বইতে থাকে না এমন অনেক টপিকই এখানে আছে। টানেলিং, ফার্মিওন, বোজন আসলে কী, ফাইনম্যানের দৃষ্টিতে এন্টিপার্টিকেল, বেল ইনইক্যুইলিটি এসব নিয়ে লেখা পাবো ভাবতেও পারি নি। আর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে এই বইতে বেশ কিছু জানতে পারবেন। সব মিলিয়ে আমার নতে বেশ ভালো বই। অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এতো বেশি গল্পের মাধ্যমে লেখার স্টাইল পছন্দ করি নি, তবে অনেকে হয়তো করবেন। আর এই বইতে গণিত একেবারে এভয়েড করে নি। খুব জটিল না হলেও যেখানে দরকার সেখানে গণিত আছে, বেশি কঠিন গণিতের বেলায় গ্রাফ দিয়ে সহজ করা হয়েছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে আমার।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম কথা, বই এর নাম চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স হইলেও, সাথে চা কফি নিয়ে না বসাই ভালো। বই পড়তে পড়তে অনেক কিছু চিন্তা করতে হবে, ভাবতে হবে। ভাবতে ভাবতে কখন চা ঠান্ডা হয়ে যাবে, টের পাওয়া যাবে না :p আমার মনে হয়, এইটা বাংলা ভাষায় প্রথম বই, যেখানে মডার্ন ফিজিক্স এর গল্পের সাথে সাথে প্রচুর ম্যাথ ও আছে। বাজারের অন্যান বিজ্ঞানের বইতে, একটা টপিকের উপরে দেখা যায় শুধু একটা কাহিনী বলে চলে যায়। তার ম্যাথমেটিকাল কোন ইন্টারপ্রিটেশন থাকে না। এতে অনেক সময়ই পুরা মজা টা পাওয়া যায় না। এই বই এর সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, সব কিছু এনালজি দিয়ে বুঝানো চেষ্টা করে হয়েছে। এনালজি গুলাও ছিল অনেক ভালো। যাদের ম্যাথমেটিকাল এক্সপ্রেশন থেকে একটা জিনিস ভিজুয়ালাইজ করতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য অনেক কাজে লাগবে। কলেজে থাকতে, একবার এক স্যার কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, স্পিন এর ভ্যাল্যু -১/২ আর ১/২ কেন? ১ আর -১ হইলেই তো হয়। উত্তর পাই নাই। পরে, এইটা তো মুখস্ত করছিলাম ই, সাথে কোন অর্বিটাল এর শেইপ কেমন, সেইটাও। তখনো আমার মাথায় ঢুকত না, অর্বিটাল এর শেইপ এইরকম অদ্ভুত কেন হবে। এই বই পড়ে বিষয় টা অনেকটাই ক্লিয়ার। অনেক দিনের অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার মতো আনন্দের আর কিছু নাই। :) সাথে ডাবল স্লিট এক্সপেরিম্যান্ট টাও যে কি জোস জিনিস, সেইটাও বোঝা যাবে। এতোদিন ভাবতাম, এইটা কি এক ঘোড়ার ডিমের পরীক্ষা, যেইটা কইরা এত বিখ্যাত হয়ে গেল :P এক্সপেরিমেন্ট এ ইলেক্ট্রন কে দেখার চেষ্টা করলে, সে কিভাবে তার বিহেভিয়ার পরিবর্তন করে, এইটা পড়ে রীতিমত হা হয়ে যাইতে হয়। কলেজে একটু খালি জায়গায় ছিল, যে আলো তরঙ্গ আর কণা, দুই রকম ই আচরণ করে। কথাটার আগা মাথা কিছুই বুঝতাম না। এখন কিছুটা মাথায় ঢুকসে :) এরপর আছে, ওয়েভ ফাংশন কল্যাপ্স। এই বই এর সবচেয়ে মজা পাইসি এই চ্যাপ্টার টা পরে। অনিশ্চয়তার নীতি খালি পড়ে আসছিলাম, যে অবস্থান জানলে ভরবেগ জানা যাবে না। কেন যাবে না, জীবনেও বুঝি নাই। জানলে কি সমস্যা সেইটাও বুঝতাম না। এখনো যে পুরাপুরি বুঝি তা বলব না, কিন্তু অনেকখানি ক্লিয়ার আগের চেয়ে। আমাদের কলেজের ক্যামিস্ট্রি বইতে, স্রোডিঞ্জার এর ইক্যুয়েশন নাম এ একটা বিদ্ঘুটে সমীকরন ছিল। এইটা নাকি প্রায় ই বোর্ড এ আসে, তাই ধুমায়া মুখস্ত মারছিলাম। পরে এইটা আমাদের বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষাতেও আসছিল। ১০ মার্ক কনফার্ম পাইয়া গেসিলাম। কিন্তু জীবনেও এই সমীকরনের কোন টার্ম কি মিন করে, কিছুই বুঝি নাই। তাই এই বই লেখার সময় যখন শুনছিলাম এতে স্রোডিঞ্জার ইক্যুএশন এর ব্যাখা থাকবে, তখন থেকেই বসে আছি, যে কবে বইটা বের হবে। অনেক দিন পর, কানার মতো একটা সমীকরন মুখস্ত করার অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেলাম। বই এর শেষের দিকের বিষয় গুলা, যেমন কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেল্ম্যান্ট, বেলের অসমতা, জিনিস গুলো নতুন ছিল। তবে আলোর চেয়ে বেশি বেগে যে ইনফ্লুয়েন্স পাঠানো যায়, সেইটা দেখে অবাক হয়েছি। তবে বই এর শুরুতে একটা কথা মিসলিডিং মনে হয়েছে, নাইন টেনের ফিজিক্স ম্যাথ বুঝতে হবে বলা ছিল। শুনে মনে হয় যে, নাইন টেনের একটা ছেলে বই পড়ে বুঝতে পারবে। আমার মনে হয় পুরাপুরি বুঝতে গেলে, আরেকটু নলেজ লাগবে। কিছু জিনিস আরেকটু ব্যাখা করলে ভালো হইত মনে হয়, যেমন n Dimensional ভেক্টর আসলে কি জিনিস। একটা সময় এসে মনে হয়েছে ম্যাথ ডিফিকাল্টি অনেক দ্রুত বেড়ে যাচ্ছিল। এইটা হয়তো এভোয়েড করার উপায় ও ছিল না। তাই পড়ার সময় বিরতি নিয়ে পড়া দরকার। একটা জায়গা না বুঝে সামনে না আগানোই ভালো। বই এর মাঝে মাঝে কিছু পাজল আছে, সেগুলা সময় নিয়ে চিন্তা করা দরকার। বেলের অসমতা চ্যাপ্টার এ বক্কর ভাই আর লক্কর আপু আলোর বেশি বেগে কিভাবে জানি যোগাযোগ করে ফেলেছিল, ব্যাপারটা এখনো সল্ভ করে উঠতে পারি নাই। কয়দিন লাগবে কে জানে :(
Was this review helpful to you?
or
পার্সোনাল রেটিংঃ ৮.২/১০ কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি নিয়ে কথা বলে? কণা কি? কোনো বস্তু একই সাথে কণা এবং তরঙ্গ! কেন, কখন, কিভাবে এটা হয়, কোনোভাবে কি তরঙ্গ দেখা সম্ভব? আমাদের আঁকা তরঙ্গই বা আসলে কি মিন করে? এই বইয়ে লেখক এগুলোকে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। পরমাণুর মডেল, স্পিন, ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্ট, ভর, কণা তরঙ্গ দ্বৈততা, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি, ইলেক্ট্রন, বোজন (একই জায়গায় একাধিক কিভাবে থাকে), এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট, মাল্টিভার্স এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করা যায় আমার ধারণাই ছিল না। বইটি পড়তে হলে অবশ্যই চিন্তাশীল হতে হবে। চিন্তা করার অভ্যাস না থাকলে পুরো বই বোঝা সম্ভব হবে না।১০ টি অধ্যায়ের প্রতিটি একেকজন বিজ্ঞানীদের অসাধারণ উক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। যেগুলোর একেকটা আমি দুই তিন মিনিট করে দেখেছি। একটা জিনিসের শিওরিটি দিতে পারি, এই বইটি পড়তে পড়তে বিরক্তি আসার কোনো সুযোগ নেই। গল্পে ভরপুর। প্রায় প্রত্যেকটা টপিক লেখক সুন্দরভাবে গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। কণাদের গল্প, বিজ্ঞানীদের গল্প। কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনেক ভয়ঙ্কর জিনিস। সেগুলো বোঝা দুঃসাধ্য ব্যাপার। জটিল সব সমীকরণে ভরপুর। এরকম শুনেছিলাম আমাদের এক স্যারের কাছে থেকে। তখন কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্বন্ধে কোনো ধারণাই ছিল না। এরকম হয়ত আমার মতো অনেকেই এর ভয়াবহ রূপের কথা শুনেছে। তাদের জন্য এই বইটা খুব দরকার। এমনকি সেইসব স্যারেদের জন্যও। এখানে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভূদ সৌন্দর্য পাবেন, ভয়ংকর কিছু নয়। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন অসাধারণ একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সব বিজ্ঞানপ্রেমীদেরই আগ্রহের একটা বিষয় হচ্ছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স। কিন্তু চা, কফি খেতে খেতে মানে এত সহজে কি কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখা যায়? প্রশ্নের উত্তরটাকে "হ্যাঁ" তে রূপান্তরিত করেছেন 'চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' এর লেখক নাঈম হোসেন ফারুকী। বইয়ের চিত্তাকর্ষক প্রচ্ছদ আর ভিন্নধর্মী নাম দেখে যেকোনো পাঠকই বইটির প্রতি আগ্রহ বোধ করবেন, যেমনটা আমার হয়েছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স ক্ষুদ্র কণাদের জগতের অদ্ভুত সব কাণ্ড নিয়ে কাজ করে যে জগতে আছে শুধুই সম্ভাবনা। আর লেখক এই বইয়ে সেই অদ্ভুত জগতের গল্প বলেছেন, পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন সেই জগতের এক অপরূপ সৌন্দর্য্য যা অনেকক্ষেত্রে যেকোনো হরর কাহিনীকেও হার মানায়! "কণা আর তরঙ্গ- যিনি কণা, তিনিই তরঙ্গ।....এমনকি তুমি নিজেও কখনও কণা কখনও তরঙ্গ।" বইয়ে এমনই কিছু বাক্য রয়েছে যা পড়ে পাঠকের শরীরে শিহরণ খেলে যেতে বাধ্য! বইটি শুরু করা হয়েছে আলোর ফোটন নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে। এরপর একে একে আলোচনায় এসেছে পরমাণুর গল্প, পরমাণুর বিভিন্ন মডেল, কণা আর তরঙ্গের কাহিনী, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি, লেখকের ভাষায় "ভদ্র" ফার্মিওন আর "অভদ্র" বোজোনদের গল্প, বিড়াল মানব শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ, কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট, বেলের অসমতা...আরও কত কী! সাথে রয়েছে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের রথী-মহারথীদের গল্প। বইটির মজাদার একটি অংশ হচ্ছে কিছুদূর পরপর থাকা চা পানের বিরতিগুলো। আর আমার পছন্দের অংশ হচ্ছে প্রতি চ্যাপ্টারে থাকা ছোট ছোট কিছু প্রশ্ন যেগুলো লেখক পাঠকের ভাবার জন্য করেছেন। জটিল সব কথাবার্তা আর সমীকরণের মাঝে পাঠককে সমানে আনন্দ দিয়ে যাবার জন্য রয়েছে বক্কর ভাই, আক্কাস আলী, জসীমের মত মজাদার চরিত্রেরা। আর গল্পচ্ছলে জটিল একটি বিষয় উপস্থাপনের যে ক্ষমতা লেখকের রয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। লেখকের প্রয়াস ছিল নাইন-টেনে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও যাতে বইটি পড়ে বুঝতে পারে। আর আমার মনে হয় লেখক এই কাজে সফল হয়েছেন। কেউ যদি ভাবতে পছন্দ করেন, সমীকরণ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন, আর নানা বিদঘুটে সমীকরণের আড়ালে আসলে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে বুঝতে চেষ্টা করেন তাহলে এই বইটি তার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আপনি একটি টেনিস বলকে আকাশে ছুড়ে মারলেন। এখন যদি প্রশ্ন করেন, তারপর কী হবে? নিউটনীয় মেকানিক্স এসে আপনাকে ব্যাখ্যা দিবে বলটি সোজা নিচের দিকে পড়বে এবং শেষ বেগ, সর্বোচ্চ উচ্চতা, সময় সব নির্ণয় করে বলে দিবে। তারপর, রিলেটিভিটি এসে আপনাকে বলবে বলটি সোজাসোজি নিচে পড়ছে না, বলটি স্পেস-টাইমে বেঁকে বেঁকে পড়ছে, এখানে আরো কাহিনী আছে। আপনি যদি আরো কিছু পাগলাটে প্রশ্ন করেন, "আমি কেন আকাশে বলটি মারলাম? বলটি কেনই বা নিচে পড়ছে? এই ফোর্সটি কোথা থেকে আসল? কেন... কেন... কেন... ইত্যাদি ইত্যাদি।" আপনাকে আপাতত সেই উত্তর কেউ দিবে না। এখন ধরুন আপনার বন্ধু আপনাকে একটি ঘুষি দিল। এখন আপনিও কি উল্টো তাকে একটি ঘুষি দিবেন? সেই বিশ্লেষণ করবে আপনার ব্রেইন। "যদি আমার শক্তি তার থেকে বেশি হয় তাহলে আমি মারব, যদি কম হয় তাহলে মারব না। যদি আমার সাহস বেশি হয় তাহলে অবশ্যই মারব...আরো ইত্যাদি ইত্যাদি"। এসব হিসাব-নিকাশ করবে আপনার ব্রেইন। ব্রেইন এগুলো করে নিউরন-নিউরনের সংযুক্তি সিন্যপসের মধ্যে ফায়ারিং করে। এই ফায়ারিং কোথায় কোথায় করবে তার একটি নির্দেশ আসবে পরিবেশ থেকে, ইলেকট্রো-মেগনেটিভ ওয়েবের মাধ্যমে। তারপর, সব খেলা হবে অনু-পরমানুর জগতে। সবশেষে আপনাকে ব্রেইন তার সিদ্ধান্ত জানাবে (আসলে ব্রেইন নিজেই নিজেকে সিদ্ধান্ত জানাবে)। তাহলে কি আমরা খেলনার পুতুল? সবই কোয়ান্টাম জগতের রাজত্ব? হয়ত তাইই। আসলে সব কিছুই পরমানুর ক্ষুদ্র জগতের খেলা। আপনি যে আমার এই রিভিউটা পড়ছেন- এটাও হয়তো ১৩.৪ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাঙের সময় ঠিক করে ফেলা হয়েছে। তাই এই ক্ষুদ্র জগতকে জানতে পারলে অনেক রহস্য বের হয়ে আসে, যা পুরো শরীরে শিহরন তুলে। এখন কথা হল, এইগুলা জেনে আমি কি করব? আমার কি কাজ এইগুলা পড়ে? আমার ব্রেইনে ছিয়াশি বিলিয়ন নিউরন আছে, সেখানে আছে একশ ট্রিলিয়ন সিন্যপস। এই রকম পাওয়ারফুল একটা জিনিসকে ব্ল্যাক হোলের সাথে তুলনা করলেও কিছু হবে না। এইরকম একটা পাওয়ারফুল ব্রেইন কি তাহলে সকাল-দুপুর-রাত এই তিনবেলা পান্তা ভাত আর ডাল খাওয়ার জন্য? আর কিছু করার নেই এই মস্তিষ্ক দিয়ে? এই একশ ট্রিলিয়ন সিন্যপসের ফায়ারিং ইউনিবার্সের সৌন্দর্য থেকেও কম সুন্দর নয়। "চা কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স" আপনার নিউরনে এবাবেই প্রতিনিয়ত উদ্দীপ্ত করে যাবে। আমি এই বইটি প্রথম তিনটি অধ্যায় বাকিটা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখেছি। তাই দুঃখিত, পুরোটা না পড়েই রিভিউ দিতে আসলাম। আসলে এই বইটা কয়েকদিনে বা কয়েক সাপ্তাহে পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। এইটা একটা অনেক বড় কোর্স। সামনে ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা থাকায় খুব গভীরে যাই নি। কারন এখন পড়ে বেশি কিছু বুঝবো না। বইয়ে বিভিন্ন চরিত্র, রূপক, গভীর চিন্তায় নিয়ে যাওয়া- সব মিলিয়ে অসাধারণ। বিজ্ঞানীদের উক্তিগুলো পুরো শরীরে শিহরণ তুলে। আর বইটি পড়তে কখনোই বোরিং লাগবে না। কারন.. কারন.. সেখানে আক্কাস আলি ও বক্কর ভাইকে নিয়ে একটি উপন্যাস আছে বলা যেতে পারে। শেষের অধ্যায়টি ফিলোসোফির মতো। আর পুরো বইটিই একটি রহস্যময় জগত নিয়ে লেখা, যেটা ধাপে ধাপে বুঝানো হয়েছে নানা গল্পের মাধ্যমে। নাঈম হোসেন ফারুকী ভাইকে অনেক ধন্যবাদ বাংলা ভাষায় এমন একটি বই উপহার দেয়ার জন্য। আর, ইনসাল্লাহ পুরো বইটি পড়ে আবার রিভিউ দিব।
Was this review helpful to you?
or
ছোটবেলা বোরের পরমাণু মডেলে পড়েছেন ইলেক্ট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে কতগুলো নির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে। শক্তি শোষণ করে সেটি লাফিয়ে উপরের শক্তিস্তরে উঠে আবার শক্তি বিকিরণ করে নিচের শক্তিস্তরে নেমে যায়। আচ্ছা বোর সাহেব কী করে সেটি জানলেন? তিনি কী ইলেকট্রন দেখেছিলেন? দেখতে পাননি। তাহলে কেমন করে তিনি জানলেন ইলেক্ট্রন এভাবে লাফালাফি করে? তার চেয়েও বড় কথা ইলেক্ট্রণ কী ক্ষুদ্র কণা? নাকি তরঙ্গ? কণা যদি হয় তবে কেন? তরঙ্গ হলে সেটি কেন তরঙ্গ? তরঙ্গটাই বা কী? আর শুধু ইলেক্ট্রনইবা কেন? অন্যান্য ফারমিউন আর বোজনগুলো কী দোষ করল? এদের কোনটার ভর আছে? কেন আছে? কোনটার ভর নেই? কেন নেই? এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয়? কিভাবে এরা ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য লাভ করে? কেন বোজনগুলো এক সাথে থাকতে পারে? কেন ফারমিউন গুলো একসাথে থাকতে পারেনা? কোয়ান্টাম টানেলিং কী? কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে? কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্টই বা কী? কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে কিভাবে শূন্য থেকে কণা তৈরী হতে পারে? এরকম হাজারো প্রশ্ন আপনার মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে? তবে এই বইটি আপনার জন্য। বইটির শুরুতে লেখক গল্পে গল্পে কোয়ান্টাম জগতের সাথে এবং তার পথিকৃতদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। গল্পচ্ছলে কখন যে হারিয়ে যাবেন পরমাণুর গহিণের সেই ভূতুরে জগতে, তা টেরই পাবেননা। যখন টের পাবেন তখন আর কিছু করার থাকবেনা। অপার কৌতুহলই আপনাকে বইয়ের শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। যারা পপ সাইন্স পড়ে পড়ে থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে বিগব্যাঙ পর্যন্ত সবকিছু জেনে বসে আছেন তাদের জন্য বইটা বেশি প্রয়োজন। আমরা বেশিরভাগই বিজ্ঞানের গল্প শুনতে পছন্দ করি, কার্যকারণটা এড়িয়ে যাই।(এক্ষেত্রে লেখকেরও দায় আছে) কিন্তু বইটিতে একই সাথে কোয়ান্টাম জগতের গল্প যেমন বলা হয়েছে পাশাপাশি প্রতিটি বিষয়ের জটিল সব কার্যকারণ দেয়া হয়েছে। ভয় পাবেননা, বইটিতে জটিল সব বিষয় গুলোকে সহজবোধ্য করার জন্য লেখক এমন সব গল্প আর উপমার আশ্রয় নিয়েছেন যাতে আপনি বারংবার মুগ্ধ হবেন। হাইজেনভার্গের অনিশ্চয়তা নীতি পড়ে জেনেছেন কোয়ান্টাম লেভেলে কোন কণার ভরবেগ আর অবস্থান একই সাথে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন সম্ভব নয় তার পেছনের বিজ্ঞানটুকু জানতে চেয়েছেন কখনো? ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় শ্রোডিঞ্জারের অদ্ভুত তরঙ্গ সমীকরণ দেখে ভয় পাননি এমন কথা বুকে হাত দিয়ে ক'জন বলতে পারবেন? অথচ এই বইটিতে লেখকের চমৎকার উপস্থাপনায় সমীকরনটিকে নিতান্তই গোবেচারা টাইপ মনে হবে। ( বইটির পরিশিষ্টে সমীকরণ গুলোর প্রতিপাদন দেওয়া আছে। ) তবে কী বইটি কেবল মৌলিক কণাগুলোর গল্পেই সীমাবদ্ধ? মুটেও তা নয়। প্রাচীনকালে মানুষ আকাশের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে মহাবিশ্বের রহস্য খোঁজতো। কিন্তু আপনি পদার্থ আর শক্তিকে না জেনে তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া না বুঝে আকাশ পানে দূরবীন তাক করে কেবল গ্রহ নক্ষত্র গুণতে পারবেন। মহাবিশ্বকে বুঝতে হলে, মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই বস্তু এবং শক্তিকে জানতে হবে। এই বইটিতে লেখক বস্তু ও শক্তির মূল উপাদান ফারমিউন আর বোজনের খুঁটিনাটি আলোচনার পাশাপাশি বিগব্যাঙ থেকে ব্ল্যাকহোল সৃষ্টির মতো বিষয়গুলোর সাথে এদের সম্পৃক্ততা নিয়েও কথা বলেছেন। বোনাস হিসেবে পাবেন স্ট্রিং থিওরির মাল্টিভার্স, প্যারালাল ইউনিভার্স, মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রিটেশন, সুপারডিটারমিনিজম সহ আরও অনেক কিছু। বইটিতে দশটি চ্যাপ্টারের প্রতিটির পর চা পানের বিরতিতে আছে বিজ্ঞানের চমৎকার কিছু গল্প। তাই একজন বিজ্ঞান মনস্ক বই পড়ুয়া হিসেবে আজই আপনার বইটি পড়ে ফেলা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলো ফিজিক্সের মাথা খারাপ করে দেওয়া বিষয়গুলোর একটি। এটা খোদ আইনস্টাইনকেও নাকানিচুবানি খাইয়েছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "ঈশ্বর পাশা খেলেন না"৷ আসলে তিনি যে ভুল ছিলেন সেটা বোর দেখিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কঠিন বলেই কি কোয়ান্টাম জগতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের চেষ্টা করা উচিত নয়? অবশ্যই করা উচিত আর এই বইটা সেটাই করবে। প্রচলিত পপ সায়েন্সের মতো শুধু বর্ণনা দিয়েই শেষ করা হয়নি বরং গাণিতিকভাবে ব্যাখা করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।গল্পের ভঙ্গিতে কাহিনীকে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানে গল্পের চরিত্র হিসেবে হিসেবে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা হাজির হয়েছেন।কখনো মঞ্চ নাটকের মতো তাদেরকে মঞ্চে উপস্থিত করানো হয়েছে, কখনো নেয়া হয়েছে তাদের ইন্টারভিউ আবার কখনো তাদের কাল্পনিক ডায়েরির পাতা থেকে লেখা নিয়েছেন। তবে প্রথমেই তাদেরকে সম্মান জানিয়ে বরণ করে নিতে লেখক ভুল যাননি। " বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে সাজ সাজ রব,আজকে এক বিশেষ অতিথি আসছে তাদের দেশে। তিনি নাকি সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী, ফিজিক্সের আইন কানুনকে একেবারে উলটে ফেলেছেন। তার নাম শুলে সসম্ভ্রমে উঠে উঠে দাঁড়ান পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীরা।............ আলবার্ট আইনস্টাইন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন জনক। তার জন্য সম্মান ও ভালোবাসা" বিষয়টা যাতে ফিল করা যায় সেজন্য দারুণভাবে সব ব্যাখা দিয়েছেন যেমন স্পিন বোঝানোর ক্ষেত্রে লিখেছেন, "যে কণাকে 180 ডিগ্রি ঘুরালে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, তাদের স্পিন হচ্ছে দুই।....। আবার যে কণাকে 120 ঘুরালে আগের অবস্থায় আসে তাদের স্পিন দুই।.....। এর উদাহরণ হতে পারে তাসের কার্ড। তাসের রাণিকে 180 ডিগ্রি ঘুরালেই তাকে আগের অবস্থায় দেখি তাই রাণির স্পিন 2। আর হার্টকে 360 ঘুরালে আগের অবস্থায় দেখা যায় না, তাই এদের স্পিন 1।" বাংলায় লেখা বইগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই আমার অভিযোগ থাকে যে গ্রাফ দিয়ে যেটা নিমিষেই বোঝানো সম্ভব সেটা না করে দুই পৃষ্ঠা বর্ণনা দিতে যান।কিন্তু এই বইটির ক্ষেত্রে সেটা বলতে পারছি না কারণ পুরো বইটা জুড়েই বিভিন্ন রকম গ্রাফে ভরপুর। অনেক লেখকই বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে লেখাটাকে আরও দুর্বোধ্য করে ফেলেন৷ পারলে "মোবাইল ফোনটা চার্জার দিয়ে চার্জ দেব" এটাকে "দূরাভাস যন্ত্রকে আহিতকরণ যন্ত্র দ্বারা আহিত করব" এরকম কাঠখোট্টা বানিয়ে দেন৷ প্যারাডক্সকে কূটাভাস আর চার্জকে আধাণ লিখে পাঠকের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন। কিন্তু এই বইয়ের লেখক তা করেননি যেটাকে প্রচলিত যে নামে চিনি সেই নামেই লিখেছেন। বইটা পড়তে গিয়ে আপনি বোর হবেন না সূক্ষ্ম সব রসিকতার জন্য। এর একটা নমুনা দেই "এইটুকু বলার পর লর্ড রাদারফোর্ডের মোবাইলটা মিষ্টি সুরে বেজে উঠল। উনি ক্লাসের সামনে যেয়ে আস্তে আস্তে কথা বলতে শুরু করলেন। দেখতে দেখতে তার চোখমুখে অন্যরকম একটা ভাব চলে। তার গাল একটু লাল হয়ে গেল৷ আমি আর কথা না বাড়িয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসলাম। " বইটা পড়তে গেলে আপনাকে প্রচুর ভাবতে হবে। প্রতি পদে পদে লেখক প্রশ্ন করবেন আর সেটার উত্তর আপনাকে ভাবতে হবে। আচ্ছা বলতে পারেন কণারা কোন পথে চলো, কোথায় থাকবে, বোজন কেন একসাথে থাকে?হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি আসলে কি বল?এসব উত্তর তো বইটাতে পাবেনই তাছাড়া বোরের বর্ণালি, সমারফিল্ড মডেল,কণার দৈততা, কোয়ান্টাম টানেলিং, বেলের সমতাসহ মোটামুটি এই ফিল্ডের সব টপিকই। আর এর সাথে বাঙালির প্রিয় জিনিস প্যারালাল ইউনিভার্স আর স্ট্রিং থিওরিও আছে।প্রত্যেকটা চা পানের বিরতির সময় একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় জানতে পারবেন এবং সেটা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য। বইটার বিশেষ কিছু চিহ্নের ব্যবহার বইটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পরিশেষে বলতে চাই বইটাতে আস্তে আস্তে জটিলতার দিকে ঝুকেছে,বিশেষ করে শেষের দিকের টপিকগুলো অনেক জটিল৷ আমি নিজেও পুরোপুরি ভাবে বুঝে উঠিনি আবার করে সেগুলো পড়তে হবে। যেগুলো নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও ভাবছি আরও ভাবতে হবে।বইয়ের কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে অতটা গল্প না করলেও হতো।তাছড়া আমার কাছে মনে হয়ে কাল্পনিক ব্যক্তির নাম এই টাইপের হয়েছে হয়ে গেছে তাই আমার ব্যালান্স ঠিক রাখতে কষ্ট হয়েছে ৷ যাহোক বইটা দারুণ একটা বই বিশেষ করে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য।বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে যদি অবশ্যপাঠ্য বইয়ের কোনো লিস্ট করা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে জায়গা করে নিবে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
সম্পুর্ন বই পড়তে পারলাম না সামনে এইচএসসি সে জন্য। কিন্তু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠায় কোয়ান্টাম সম্পর্কে আমাদের যে ভুল ধারনা ছিলো সেটা যেভাবে ধরিয়ে দিয়েছে তা খুবই চমৎকার লেগেছে। বইয়ের সাবলীল ভাষা আসলেই বইটি পড়ে বিরক্ত হওয়ার কোন সুযোগই নেই। সবার মতামত এক নাও হতে পারে, তবে ব্যক্তিগত ভাবে এই বইটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
"বৃদ্ধ নীলস বোর ঘুম থেকে ধড়মড় করে উঠলেন। তাঁর সারাজীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী আইনস্টাইন কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তাঁরও যাবার সময় হয়ে এসেছে। তাঁর সারাজীবনটাই কেটেছে স্বপ্নের মতো। এতগুলো বছর গেল, এত এত গবেষণা হলো, এখনও কেউ বুঝতে পারলো না পার্টিকেল আসলে কি জিনিস! কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশন আসলে কি মিন করে ।" মানবসভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ প্রকৃতি নিয়ে ভেবেছে। এ কাজে মানুষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছে রহস্যকে। গত শতাব্দীকে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় বলা চলে। প্রমান হিসেবে বলা যায় পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটা শাখার নাম—"কোয়ান্টাম মেকানিক্স"। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের শুরুটা ব্লাকবডি রেডিয়েশন থেকে। সমাধানে ম্যাক্স প্লাংক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন hilfsgrosse ধ্রুবকের। "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স"- বইয়ের ৩য় অধ্যায় (পরমাণুর গল্প:প্রথম যুগ) থেকে বইয়ের সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। রাদারফোর্ড মডেল ম্যাক্সওয়েলের ক্লাসিক্যাল ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক থিওরিকে কেনো সমর্থন করতে ব্যার্থ হয় তার ছোটখাটো একটা ব্যাখ্যা এখানে পাওয়া যাবে। ৪র্থ অধ্যায় (তরঙ্গ বলবিদ্যা) থেকে লেখক শুরু করেছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সিরিয়াস আলোচনা। শুরুতেই তরঙ্গ নিয়ে বেসিক কথাবার্তা থেকে তরঙ্গের ব্যাতিচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কণাদেরকে যখন ডাবল স্লিটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয় তারা আসলে কিভাবে প্রবেশ করে? মার্বেলের মতো? উত্তর হলো হ্যা এবং না। যখন দ্বি-চির পর্যবেক্ষণ করা হয় তখন দেখা গেলো কণা সলিড বস্তুর মতো আচরন করে আবার পর্যবেক্ষণ না করলে তা তরঙ্গের মতো ব্যাতিচার ধর্ম প্রদর্শন করে। এরপর আসে ফোটনের দূঃখের জীবন যার কারন হিসেবে লেখকের দাবী ফোটনের নিজের কাজে পুরো মহাবিশ্বে সময় বলতে কিছু নেই দূরত্ব বলতে কিছু নেই! কেন এমন হয়? ভরের কিভাবে জন্ম হয়? রিলেটিভ ভর কি? এগুলো নিয়ে ৪র্থ অধ্যায়ের ২টি অংশ সাজানো। ডি ব্রগলির সম্ভাবনার তরঙ্গের সাথে পুকুরের ঢেউ এর তরঙ্গের প্রধান পার্থক্য হলো মাধ্যম। সম্ভাবনা তরঙ্গের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় কণার সম্ভাব্য অবস্থান। এ আলোচনার পর আসে ডি ব্রগলির পরমানু মডেলের কচকচানি। ইন্টারের বইয়ে থাকা থিউরী গুলোকে এই পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। এর পরের অধ্যায়ে আসে অনিশ্চয়তার নীতি। সাধারন সমীকরনের মাধ্যমে এ অধ্যায়ে অনিশ্চিততার নীতিকে বোঝানো হয়েছে তবে সরাসরি হাইজেনবার্গ আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপালকে প্রমান করা হয়নি। ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে কনাদের স্টেট ও কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে একে একে উঠে এসেছে সুপারপজিশন, নরম্যালাইজেশন, জটিল স্টেট আর কোয়ান্টাম কম্পিউটারের গল্প। কাল্পনিক সংখ্যা থাকলেই যে সমীকরন অতিভৌতিক কিছু হয়না তা গানিতিকভাবে বুঝিয়েছেন লেখক। এরপর একে একে আসে বহুল প্রতিক্ষিত শ্রোডিঙ্গার সমীকরনের আলোচনা। শুরুতেই জটিল তরঙ্গগুলো দেখতে কেমন? জটিল তরঙ্গ কিভাবে একটি ইকুয়েশনে ব্যবহার করা হয় তা হাতে কলমে দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে শ্রোডিঙ্গারের এর সমীরকন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই একটা আমার প্রশ্ন ছিল যে পরমানুতে অর্বিটালগুলো দেখতে এরকম কেনো? একটি কণা অসীম বিভবের প্রাচীরের মাঝে আটকা পরলে তার যে অবস্থা হয় তার সমীকরন এর সাথে পরমানুর অর্বিটালের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তা নিয়ে আলোচনায় আমার বহুদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। এরপর কোয়ান্টাম টানেলিং এর গাণিতিক ব্যাখ্যা সহ একটি আলোচনা। এরপরের অধ্যায়ে আছে কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেনশন, বেলের উপপাদ্যের গাণিতিক হিসাব-নিকাশ, কনাদের চোখে পৃথিবী কেমন তার আলোচনা। এছাড়া এখানে আছে বিখ্যাত ইপিআর প্যারাডক্স, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট এর ব্যাখ্যা। অন্যদিকে আলোর পোলাইরাইজেশন নিয়ে গাণিতিক ব্যাখ্যা যা বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। এখানে খুব ছোট একটা প্যারা উল্লেখ না করলেই নয়, "আমরা যখন দেখি তখন আসলে কি হয়? আমরা দেখছি বলেই কি আমাদের অতীত আছে? আমরা কি দেখে দেখে নিজেদের অতীতকে বাছাই করছি? আমরা দেখছি বলেই কি এই চারপাশের জগৎ আছে? আকাশে জ্বলজ্বলে জ্যোৎস্না আছে? এটা কি সম্ভব, আমরা দেখে জন্ম দিয়েছি এই মহাবিশ্বের?" শেষের অধ্যায়ে গাণিতিক কোনো চিহ্ন লেখক রাখেননি। এ অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ইন্টারনেটে বহুল আলোচিত মাল্টিভার্স,ইউনিভার্স তার সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিভাবে সম্পর্কিত। সাথে আছে মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রিটেশন। পরিশিষ্ট অংশে লেখক রেখেছেন কিছু সমীকরনের গাণিতিক প্রমাণ। মাঝের কয়েকটি অধ্যায় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়নি। যে অধ্যায়গুলো আলোচনা করা হয়নি তার সবই অগাণিতিক। গাণিতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বই টিকে আমার কাছে বেসিক লেভেলে উপযুক্ত মনে হয়েছে। বইটি লেখক বাজারের সাধারন বইয়ের মতো করে লেখেননি। মাঝে মাঝেই লেখক চরম কিছু মজার গল্প বলেছেন তা আবার জুরে দিয়েছেন সমীকরনের মারপ্যাচে। এতে করে বইটি পপ-সাইন্স বা টেক্সট ক্যাটাগরির মাঝখানে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে লেখকের দাবী বইটি মাঝে মাঝে পপ-সাইন্স এবং মাঝে মাঝে গাণিতিক সমীকরন বুঝিয়েছেন তাই টেক্সট ক্যাটাগরি। তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স যারা অলরেডি টেক্সট লেভেলে পড়েছেন তাদের জন্য এটি একটি মজাদার বই। যদিও বা লেখক দাবী করেছেন ৯-১০ এর বেসিক থাকলেই বইটি পড়া সম্ভব তবে এ ব্যাপারে আমি একমত নই। আমার ধারনা এ বইটির সব টার্মগুলো বুঝে পড়তে ইন্টারের অনেকাংশ বেসিক থাকা প্রয়োজন। বইটি আমি কিনেছিলাম ২০২১ সালের শুরুর দিকে। তখন অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট হিসেবে বইটি অনেক বেশি বোধগম্য ও সাবলীল বলে আমি মনে করি। আমার দেখা বাংলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে এটিই একমাত্র সাবলীল বই। যেটি করতে গিয়ে লেখক গাণিতিক সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে পাঠককে হতাশ করেছেন, কিছু কিছু লেখায় তা স্পষ্ট। — "সব শেষে সমীকরণ। ডেরিভেশন সম্ভব না, সেটার জন্য ফুরিয়ে ট্রান্সফর্ম, আরো অনেক কিছু জেনে আসতে হবে । যদি অবস্থানের তরঙ্গ Δx মিটার চওড়া হয়, অর্থাৎ কণা এই Δp জায়গার মধ্যে যেকোন জায়গায় থাকতে পারে, আর সেজন্য তার ভরবেগের তরঙ্গ যদি চওড়া হয়, হয়, তাহলে ফুরিয়ে ট্রান্সফর্ম আমাদের বলে, ΔpΔx≥h/4π"
Was this review helpful to you?
or
লেখকের লিখার মানের তুলনায় বইয়ের দাম অনেক বেশি।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অসাধারণ লেগেছে।আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি কিন্তু বইটি এতো সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে যে বইটি পড়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে খুব ভালো একটা ধারণা পেয়েছি। বিগিনাররা এই বইটি দিয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়া শুরু করতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ একুশে গ্রন্থ মেলায়। বইটা হচ্ছে বিজ্ঞানের অন্যতম জটিল এবং রহস্যময় বিষয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্বন্ধে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রতি প্রথম আকর্ষণ বোধ করি Ant man and the wasp মুভিটা দেখে। তারপর কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্বন্ধে জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে যা দেখলাম তার ইংরেজি আর্টিকেল গুলো তো পরের কথা বাংলা আর্টিকেল গুলোও ঠিক মত বুঝতে পারিনি। পরে বড়দের বিষয় ভেবে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু এই বইটা সাজেস্ট করে। বইটা পড়ে আমি লেখকের কঠিন বিষয় গুলো সহজে বোঝানোর দক্ষতা দেখে অবাক হয়ে যাই। লেখক বইটিতে আক্কাস আলি, বক্কর ভাই, জসিম এবং তাদের গার্লফ্রেন্ডদের মত চরিত্রগুলো ব্যবহার করেছেন। যখনি কোন জটিল বিষয়ে মাথা খারাপ হবার জোগাড় তখনি হাজির হয়েছেন আক্কাস আলি, বক্কর ভাই, জসিম এবং তাদের বান্ধুবিদের মত চরিত্রগুলো। আলুর ব্যাপারী আক্কাস আলীর আড়তের মাধ্যমে আলোর প্যাকেট দিয়ে শুরু। তারপর ধীরে ধীরে লেখক বুঝিয়েছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি জিনিস। বিষয়টা তিনি ফিল করতে শিখিয়েছেন। আলোর প্যাকেট দিয়ে শুরু করে লেখক একে একে বলে গেছেন পরমাণুর গল্প, বুঝিয়েছেন তরঙ্গ বিদ্যা, অনিশ্চয়তার নীতি,কোয়ান্টাম কম্পিউটার, শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ। শেষ করেছেন মাল্টিভার্স আর স্ট্রিং থিওরি দিয়ে। বইটা পড়ে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। সাহিত্যের রস আস্বাদন থেকে শুরু করে চরম গম্ভির মুহুর্ত সবের-ই সম্মুখীন হয়েছি। কখনো হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে আবার কখনো ভাবতে ভাবতে মাথা গরম হয়ে গেছে। এই বইটার মাধ্যমে লেখক আমাকে ভাবতে শিখিয়েছেন। মাঝে মাঝে বইটা ছেড়ে উঠতে মন চায় নি আবার মাঝে মাঝে উঠে একটু হাটাহাটি করতে হয়েছে পানি টানি খেয়ে সিধা হতে হয়েছে। ? বইটা পড়ে ব্ল্যাক হোল, ইলেক্ট্রন, পরমাণু এসব সম্বন্ধে আমার অনেক ভুল ধারণা পাল্টে গেছে। বইটিতে বিজ্ঞানীদের অনেক মজার ঘটনা বলা হয়েছে। যতদিন বইটা পড়েছি মনে হয়েছে আইনস্টাইন, নীলস বোর, লুই ডি ব্রগলি, বেড়ালমানব শ্রোডিঙ্গার, হাইজেনবার্গ, পল ডিরাক, সত্যেন বোস এসব বিজ্ঞানীরা আমার পাশে বসেই চিন্তা করছেন, গবেষণা করছেন, পেপার লিখছেন, অঙ্ক কষছেন। সত্যি কথা বলতে এসব বিজ্ঞানীর বেশিরভাগের নাম-ই আগে জানতাম বা জানলেও তারা কি ভয়ংকর এবং অদ্ভুত বিষয় নিয়ে কাজ করে গেছেন তার কিছুই জানতাম না। জানতাম না বাঙালি একজন বিজ্ঞানীর কথা যার গবেষণা পত্র স্বয়ং আইনস্টাইন জার্মান ভাষায় আনুবাদ করেছিলেন। এসব বিজ্ঞানীদের প্রভাব নিঃসন্দেহে আমার অবচেতন মনে রয়ে যাবে। এত সহজ এবং মজার কথা বলে কিভাবে এত জটিল বিষয় ব্যাখ্যা করা যায় তা আমার কাছে এক বিষ্ময়। বইটি শুরু হয়েছে একেবারে বাচ্চা লেভেল থেকে আর শেষ হয়েছে একেবারে হাই লেভেলে। অথচ বইটা পড়তে গেলে জানতে হবে ৯ম-১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান আর গণিত বইটা পড়ে সত্যি আমি অভিভূত। পরিশেষে ধন্যবাদ নাঈম ভাই এত সুন্দর একটা বইয়ের জন্য যেটা পড়ে আমার বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এবং জানার ক্ষুধা আরো বেড়ে গেল। ধন্যবাদ ❤
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ বই এই ' চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' । নাইম ভাই এই বইতে একবারে ব্যাসিক থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর গভীরে চলে গিয়েছেন। বইটিতে গল্পের মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর অনেক জটিল বিষয় সহজে তুলে ধরা হয়েছে । আমি মনে করি সবার এই বইটি সারাজীবন সংগ্রহে রাখা উচিত। Happy Reading
Was this review helpful to you?
or
#bcb_book_review বইয়ের নামঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী রেটিংঃ আমার ধর্ত্যবের বাইরে । প্রথমেই বলি, আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের যত বই পড়েছি, তার মধ্যে সবথেকে মজাদার ছিল এই বইটি। Quantum mechanics -এর মতো একটা জটিল বিষয়কে যে এত সরসতার সাথে , গল্পের মাধ্যমের উপস্থাপন করা সম্ভব তা বইয়ের নাম দেখেই যাচ্ছে। এই বইতে ক্লাস ৯- ১০ -এর জিনিসগুলোকে প্রথমে ব্যাখ্যা করে, তারপরে আস্তে আস্তে তরঙ্গ, স্টেট, জটিল তরঙ্গ, ফাংশন ইত্যাদি অতি সন্তর্পনে ব্যাখ্যা করেছেন। Einstine বলেছেন, "Example is not a way to teach physics but it is the only way to teach physics". এই বইটি তার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরন। আক্কাস আলী, বক্কর ভাই ইত্যাদি কাল্পনিক চরিত্রের অবতারনা করে লেখক কোয়ান্টাম জগতের বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন,যা লেখকের মানবমনের ফসল। # সূচিপত্র #আলুর বস্তা আর আলোর প্যাকেটঃ এই অংশে লেখক কোয়ান্টাজাইড রাশির ধারনা উদাহরনের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন। পরমাণুর গল্প: এখানে পরমাণুর প্রাচীন ধারনা, টমসনের প্লাম-পুডিং মডেল,রাদারফোর্ডের মডেল ইত্যাদি আলোচনা করেছেন। এরপর পার্টিকেল সম্পর্কে কিছু ধারনা দিয়েছেন। #বোরের বর্ণালিঃ এখানে হাইড্রোজেনের পরমানুর বর্ণালির উত্পত্তি ও তার কারন ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারপর সমারফিল্ডের মডেল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। #স্পিন: কি এই জিনিস?ঃ এখান থেকেই প্রাথমিক পর্যায় শুরু, অর্থাত্ electron -এর spin ধারনার অবতরন। #তরঙ্গ বলবিদ্যাঃ এখানে young's double slit experiment আলোচনা করা হয়েছে। তাপরপর einsitine -এর বিশিষ্ট কীর্তি ফটো ইলেকট্রিক ইফেক্ট ,ডি ব্রগলির দ্বিচির সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। #ফোটনের দুঃখের জীবনঃ লেখক খুবই আশ্চর্যভাবে খুবই মজার উদাহরনের সাহায্যে photon -এর গঠন, চলন ব্যাখ্যা করেছেন। তারপর রয়েছে ভরের জন্ম কীভাবে হয় তার ব্যাখ্যা। #এরপর রয়েছে De-broglie র তরঙ্গ-কনিকা দ্বিত-র আলোচনা। #অনিশ্চয়তার নীতিঃ #ওয়েভ ফাংশন কল্যাপ্সঃ জটিল বিষয়টিকে খুবই সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। #তরপর অাছে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্র,স্টেট আর সুপারপজিশন, এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার -এর মতো খুবই interesting একটা জিনিস। #লেখক ফার্মিওন আর বোজোন কনাদুটোর আচরন উদাহরন দিয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তারপর আছে নক্ষত্র আর ব্ল্যাক হোল এবং পলির নীতি। #শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণঃ shordinger যে নামটা অনেকের কাছেই so danger হিসেবে পরিচিত,সেটাকে খুবই বাস্তব উদাহরনের সাহায্যে বোঝানো হয়েছে।এখানে ψ ,জটিল তরঙ্গ,ψএর সমীকরণ ব্যাখ্যা করেছেন। #কোয়ান্টাম টানেলিংঃ একটি অবিশ্বাস্যরকমের সুন্দর ধারনা। তারপর আছে - 1)কোপেনহ্যাগেন ইন্টারপ্রিটেশান 2)শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল 3)ই পি আর প্যারাডক্স 4)বেলের অসমতা 5)এনট্যাঙ্গেলমেন্ট 6)সিমিউলেটেড ইউনিভার্স 7)মাল্টিভার্স আর সুপারডিটারমিনিজম -এই বিষয়গুলোর অদ্ভূত কিছু গল্প আর ব্যাখ্যা #উপসংহারঃ এই অংশে লেখক নিজস্ব কিছু মতামত রেখেছেন, যা পাঠককে সমৃদ্ধ করবে। #পরিশিষ্টঃ এই অংশে কিছু গাণিতিক সমীকরনের প্রতিপাদন করা হয়েছে, যেমন-E =mc^2, shrodinger equation,বেলের অসমতা। #১) সমগ্র বইটিতে অসংখ্য graph -এর সরল ব্যাখ্যা অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ২)প্রতি পাঠের শেষে আছে চা পানের বিরতির আলোকে কিছু মজাদার বৈজ্ঞানিক গল্প ও তথ্য। এক কথায় Quatum mechanics -এর আগ্রহীদের কাছে এটা একটা অমূল্য সম্পদ। #আমার_বিশেষপাওনাঃ ১)জটিল তরঙ্গের ধারনা, ২)Schrodinger equation _এর সমাধান ও প্রতিপাদন, ৩)বেলের অসমতা ও তার গাণিতিক প্রমান -এখন quantum _এর জগত সম্পর্কে আমার প্রাথমিক ধারনা পুরোপুরি স্পষ্ট। এছাড়া বইটা থেকে আমি অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। #লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করব তিনি আগামীতেও এরকম বই লিখে আমাদের সমৃদ্ধ করবেন।?
Was this review helpful to you?
or
dhonnobad naim vai amader k ato vhalo akta boi gift korar jnno . zara quantam macaniqs niye agrohi tader jnno best boi.
Was this review helpful to you?
or
কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখার জন্য বাংলায় সেরা বই ?
Was this review helpful to you?
or
ফালতু বই।কেনা ভুল হয়েছিল।
Was this review helpful to you?
or
Poor book ?
Was this review helpful to you?
or
#বুক রিভিউ #চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স গোড়া থেকে অসীমত্বের সূচনা বা অনন্ত অসীম থেকে ক্ষুদ্র অদেখা জগতের আখ্যান---এসব কথার অন্তরালে হয়তো মনোজগতের আড়ালে উঁকি দিবে কোনো দিগন্ত-বিস্তৃত বিশালত্বের আঁকিবুকি,সে ক্যানভাসে তুলির রঙ তোলা এক অনিন্দ্য চিত্ররূপ হলো -চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি।একথা শুনে অনেকে ভাববেন -হয়তো সেটা পপ সাইন্স বা বাংলা কথায় ঠাসা একখানা পুস্তক,প্রকৃত অর্থে এই বই টির ব্যাপ্তি তার থেকেও বিশাল---গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হওয়া মহামানবদের চিন্তাধারার আলোকসম্পাতে হয়ে ওঠা গণিতের ভাষার এক অপূর্ব মহামিলন।বিজ্ঞান গণিত ছাড়া অচল,এটা সবাই জানে--তবুও কেন জানি অধিকাংশ লেখক কোনো বই এ সমীকরণ কে আগ্রাহ্য করতে চান।কিন্তু এখানে লেখক গণিত আর সাহিত্যের মিলনে যে অপূর্ব লেখনীতে ফুটিয়ে তোলা যায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কঠিন সকল বিমূর্ত ধারণাকে--তার ষোলো আনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।একাধারে ব্ল্যাক বডি রেডিয়েশন থেকে শুরু করে প্লাংকের কোয়ান্টাম মডেল,রাদারফোর্ড,বোর,সমারফিল্ডের পরমাণু মডেল,আইনস্টাইনের ফটো তড়িৎ ক্রিয়া,শ্রোডিঞ্জার ইকুয়েশনের মহাকাব্য রচনা করে শেষে বেলের অসমতা আর স্ট্রিং থিওরি,মাল্টিভার্সের ধারণার অবতারণা করে লেখক এক অভিনব ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন।সঠিক ভাবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে হলে যেটা খুব প্রয়োজনীয়।পাশাপাশি প্রত্যেক টি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ধারণার অবতারণা করার সময় লেখক আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের তৎসংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের কিছু কাল্পনিক-বাস্তব কথোপকথনের... এতে বিজ্ঞানীদের মস্তিষ্কে সূত্র গুলো উদ্ভাবনের সময় যেরূপ উৎসাহ-আনন্দের প্রণোদনা হয়েছিল পাঠক সেটা অনেক টা উপলব্ধি করতে পারে।তাতে বইটি সমীকরণে ঠাসা "স্বর্গীয়" কথোপকথন না হয়ে পাঠকের কাছে এটি হয়ে উঠবে একাধারে চিন্তার খোরাক আর কৌতুহলোদ্দীপনার এক অপরূপ মিশেল।অন্যেরা কতটুকু বই পড়ে কি বুঝতে পেরেছে নাকি এটাকে হাসি ঠাট্টার বই হিসেবে নিয়েছে সেটা আমার দেখা বিষয় নয়।আমি নিজেকে বড় বলছি না,তবে আমার অনুসন্ধিৎসু মন সবসময়ই আমাকে যেই জিনিস গুলা অজানা সেটাকে জানার চেষ্টা করে।আমার ক্লাস নাইন টেন থেকেই কয়েকটা প্রশ্ন ছিলঃঃঃরাদারফোর্ড মডেল যদি ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ অনুযায়ী বিলুপ্তই হয়,সে হিসেবে ম্যাক্সওয়েল সঠিক হবার কথা।কিন্তু উত্তরে বলা ছিল নির্দিষ্ট কক্ষপথে e থাকার সময় শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না বিধায় এটা স্থায়ী।এর ভেতরের ব্যাখ্যা যে শ্রোডিঞ্জারের সমীকরণের n এর ভ্যাল্যু তে আছে বা প্রোব্যাবিলিটি ফাংশনের বিস্তৃতির কারণে ওটার অবস্থান নির্ধারিত হয় না বিধায় বিকিরিত হয় না-সেটা এইবই পড়েই জেনেছি।চিরকাল হাতড়ে বেড়ানো "ব্ল্যাক বডি রেডিয়েশন" এর ব্যাখ্যা এত্ত সহজে আলুর প্যাকেট দিয়ে বৈজ্ঞানিক ভাবে বোঝানো যায় আমি সত্যিই কল্পনা করি নি।কিংবা আইনস্টাইনের ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্টের ব্যাখ্যা টা টোটালি ব্যাটারি চার্জের "অসামান্য" উপাদান দিয়ে বোঝানো যায় সেটা ভেবে সত্যি আমার মনে হয়েছিল "কতটুকু শ্রমদিয়ে একটা মানুষ বই লিখতে পারে"।।। আর শ্রোডিঞ্জারের টাইম ডিপেন্ডেনড় আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট সমীকরণ কীভাবে বিল্ড আপ হয় সেটা একটা বাচ্চা শিশুকে বোঝানোর মতো করে লেখক বুঝিয়েছেন।সত্য কথা,আমার টানা বাংলা লেখা বই ভাল্লাগে না,লেখক যেভাবে সমীকরণ দিয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝিয়েছেন আমি আমার এক্কেবাড়ে ছোটবেলা থেকে এমন একটা বই এর প্রতীক্ষায় ছিলাম।এক ফোটাও বাড়িয়ে বলছি না.-এই বইটি এবার বইমেলায় বিজ্ঞানের সেরা বই।আর আমি ছোটবেলা থেকেই গণিতের পূজারি।ইন্টারন্যাশনাল ইয়ূথ কম্পিটিশন আর বিডিএমও এর মেডেল আছে আমার..আমি স্বাভাবিকভাবেই চাইতাম গণিতের ভাষায় একটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বই থাকুক।এই বই টা সেটার ষোলো আনা পূরণ করতে পারছে বলে আমি মনে করি।গতকাল রাতে ২ঃ১৫ টায় বই টা ধরেছি।কখন ফজরের আজান দিয়েদিল খেয়াল ছিল না।নামাজ পড়েই পরে ঘুমাই।সকালে উঠে বই টা একবারে ধরে টানা ৭ ঘন্টা পড়েছি।আমার খাতা গাণিতিক সমীকরণে ভর্তি হয়ে আছে।জিনিস পত্র নিজে চিন্তা করেছি..বই এর কথামতো।মজার ব্যাপার সেগুলার উত্তর কয়েক পেজ পরেই অনেক গুলার পাওয়া যায় সেটা অনেকেই জানে না(বিশেষত যারা পপ সাইন্সের বই বলে এটাকে চালাতে চায়)।অজস্র বিজ্ঞানীর মতো লেখকের প্রতিও আমার অজস্র সালাম।সেটা বুঝতে হলে ভ্রমণ করতে পারেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের রহস্যময় জগতে..চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি সেক্ষেত্রে হতে পারে সকলের যথোপযুক্ত সংগী।শুধু পড়লেই হবে না চিন্তা করতে পারেন বই এর সমীকরণ নিয়ে।এতে বই এর তাৎপর্য আপনার কাছে আরো ভালোভাবে ধরা দিবে।
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞান আজো ভুত প্রেতের অস্তিত্ব স্বীকার করে না! এই নিয়ে ভুতপ্রেমীদের আফসোসের শেষ নেই! তবে ঘোস্ট হান্টারদের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটা কায়দা কিন্তু বিজ্ঞানের মধ্যেই আছে! অবাক হইয়েন না, এইটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স! বিজ্ঞানের যত ভুতুড়ে কান্ডকারখানা এইটাতে আছে সেটা বিজ্ঞানের অন্য কোনো শাখায় নেই, তবে ভুতের মতো এগুলা ডাহা মিথ্যা না, সত্যি সত্যিই এমন কিছু ভুতুড়ে কণা আছে যারা ভুতের মতোই একটার ঘাড়ে আরেকটা থাকতে পারে! মানে একই জায়গায় অনেক কণা থাকতে পারে আবার একটাই কণা কয়েকটা জায়গায় একসাথে দেখা দিতে পারে! সাই করে শূন্য থেকে উদয় হতে পারে আবার ঘ্যাচাং করে শূন্যে মিলিয়েও যেতে পারে! একটা কণা তার চাইতে লক্ষকোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা আরেকটা কণার সাথে তাৎক্ষণিক গায়েবী যোগাযোগ করতে পারে! এগুলা সব মাথানষ্ট ব্যাপারস্যাপার! কিন্তু এই মাথানষ্ট ব্যাপারগুলো থেকেই আমরা এমন সব গিফট পেয়েছি যা আমাদের প্রতিদিনকার নিত্য সহকারী হয়ে উঠেছে, যা আমাদের জীবনযাপন বদলে দিয়েছে! মোবাইল, কম্পিউটার সহ আরো অনেক লম্বা লিস্ট! এগুলা সব বলার দরকার নেই, আসল কথায় আসি, প্রিয় লেখক এবং প্রিয় ব্যাক্তিত্ব নাঈম হোসেন ফারুকি ভাই। এবারের বইমেলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আজব দুনিয়াকে চা আর কফির সাথে পরিবেশন করছেন! শুধু পরিবেশন করছেন বললে কম বলা হবে! রীতিমতো গুলিয়ে খাওয়াচ্ছেন! হাত ধরে টেনে জানালার সামনে নিয়ে যাচ্ছেন, জানালার ওপাশের কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আজব জগৎকে ম্যাথের ইশারায় আর গল্পের ছলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন! এসব গল্পকে লোমহর্ষক, ভুতুড়ে বললেও কম বলা হবে! বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেঁধে উঠেছে, আইনস্টাইন আর নিলস বোর সাই হাতে একে অন্যের দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন! বিজ্ঞানীরা হারজিতের খেলায় মেতেছেন, কেন? বিজ্ঞানীরা জানেন, একজন হারলে অন্যজন জিতবেন, কিন্তু জয়টা তো দিনশেষে বিজ্ঞানেরই হবে! বিজ্ঞানীদের লড়াই আর বিজ্ঞানের জয়, সাথে ভুতুড়ে কণাদের আচানক জীবনকাহিনী, পরমাণুদের ভিতর বাহির, কণা আবার একইসাথে তরঙ্গও, জেত্যিষীদের ব্যাবসা অচল করে দেওয়া হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্র! কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ভিতরের সুপারপজিশন, সত্যেন বোস আর এনরিকো ফার্মির আলাদা স্ট্রাকচারের ডিম! শ্রোডিঙ্গারের মৃবিত বিড়াল! প্যারালাল ইউনিভার্স, বিভিন্ন রকমের মাল্টির্ভাস আর নাঈম ভাইয়ের কিছু মজার কাল্পনিক চরিত্র সহ আরো কত কী! এই ব্যাটল আর তার আনাচে কানাচে র কাহিনী জানতে হলে পড়তে হবে- চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। লেখক- নাঈম হোসেন ফারুকী। প্রান্ত প্রকাশন, স্টল নং- ৬০৮- ৬০৯ এই বইয়ে চোখ রাখতে হলে- ১. চিন্তা করাকে ভালোবাসতে হবে। ২. ছক্কা, লুডু, কয়েন টসিং এগুলো সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। ৩. অন্তত নাইন টেনের ম্যাথ/ফিজিক্স বুঝতে হবে। ৪. গ্রাফ সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। ৫. শুধুমাত্র শ্রোডিঙ্গার সমীকরণ বুঝার জন্য ক্যালকুলাস সম্পর্কে হালকা-পাতলা আইডিয়া থাকতে হবে। তো হয়ে যাক তাহলে?
Was this review helpful to you?
or
best book that I have read ever!!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ চা কফি আর কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স। লেখকঃ নাঈম হোসেন ফারুকী। ⏩নাঈম ভাইয়ের সাথে পরিচয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে।ফেসবুকে উনার ফিজিক্স রিলেটেড লেখালেখিতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।জঠিল জিনিসকে সহজভাবে বুঝাতে পারার ক্ষমতা উনার প্রবল।এজন্য উনাকে খুব ভালো লাগে?। ⏩পদার্থ বিজ্ঞানের সবচেয়ে রহস্যময় ভুতুড়ে শাখা হচ্ছে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স।এই ভুতুড়ে জগতের সাথে পরিচিত হতে চাইলে প্রয়োজন ভালো মানের একটি কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স এর বই।চা কফি এই অভাব পুরন করবে বলে আশা করি। চা কফি বইটি মুলত পাহাড়ের মতো।যার গোড়া শক্তিশালী হয়ে উপরে উঠেছে।এই বইটির ম্যাকানিজমটা যদি সহজ করে বলিঃ একদম বেসিক থেকে শুরু করা হয়েছে।আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি বেসিক অংশগুলার মধ্যে ধারাবাহিকতা ছিল(একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড)।আবার ধরেন আমি বেলের অসমতা পড়তেছি মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগছে,দেখবেন লেখকও বইটিতে নিজেই আগ বাড়িয়ে প্রশ্নটি করেছেন এবং উত্তরও দিয়েছেন।ঠিক হোম টিউটরের মতো(আসলে বিজ্ঞানের বই হোম টিউটর মডেলের মতোই হওয়া উচিত,আমার মতামত)।বইটিতে ছিলো গ্রাফের ছড়াছড়ি।আপনি ১০-১২ লাইন লিখে যা বুঝাতে পারবেন না,গ্রাফে সেটা সহজেই বুঝাতে পারবেন।এজন্যই মুলত গ্রাফের ব্যাবহার।বইটিকে সেমি পপ সায়েন্সের বই বললে আমি আপত্তি করব না।কারন গল্পের মাধ্যমে অনেক জঠিল কিছুর সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।তবে সবকিছুই প্রাসঙ্গিক। এজন্য প্রয়োজন হয়েছে কিছু রসিক চরিত্রের(নামগুলা উল্লেখ করে কাউকে কষ্ট দিতে চাইনা)। ইম্পর্টেন্ট একটা কথা হলো বইটি পড়ে আমি কোন সময়ই বোরিং ফিল করিনি(ওনেস্টলি)।কেন করিনি ক্লিয়ার করিঃ ১,প্রথমেই যেহেতু বেসিক থেকে শুরু করা হইছে তাই ছোটখাটো অনেক বিষয় আপনি জানেন।এতে করে আপনার প্রফুল্ল থাকাটাই স্বাভাবিক। ২, সমীকরনগুলা ভেঙে ভেঙে বুঝানো হয়েছে।আকাশ থেকে পড়ে নাই।প্রথমে ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়া আলোচনা হয়েছে তারপর কিছু ব্যাখ্যা সবশেষে সমীকরনের আমদানি।সমীকরনগুলা এতোটা এতোটা এতোটা ভেঙে বুঝানো হয়েছে যে আপনার প্রশ্ন করার জন্য কোন প্রশ্নই থাকবে না। ৩,যেহেতু সেমি পপ বই গল্পে সল্পে লেখক আপনাকে এগিয়ে নেবেন।বলা যায় গল্পে সল্পে আর সমীকরনে আপনি কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স খাইতে বাধ্য হবেন। ৪,লেখক আপনাকে ব্যাস্ত রাখার ফন্দিও করেছেন।প্রতিটা টফিকের শেষে কিছু কাজ দেওয়া হয়েছে সেগুলার সমাধান করে মনোযোগ বাড়ানো যায় বলে আমি বিশ্বাস। ৫,তাছাড়া রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য আছে চা কফির বিরতি?। ৫,সমীকরনের প্রমান ও প্রতিপাদন বইটির পরিশিষ্টে দেওয়া হয়েছে(যাতে করে নবম-দশম শ্রেনীর বা অনাগ্রহীরা ইগনোর করতে পারেন)। ৬,একজনের পর একজন বিজ্ঞানী(যারা কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সকে সমৃদ্ধ করেছেন)এসে আপনাকে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের বিভিন্ন অংশ শিখিয়ে যাবেন। ⏩বইটি কাদের জন্য প্রযোজ্য? আমি ফিজিক্সের স্টুডেন্ট।এবছর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।আমি এর আগেও শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ পড়েছি।তবে বুঝা বা ফিল করার জন্য নয়।পরীক্ষায় পাস করার জন্য?।এইতো কিছুদিন আগে আমার ক্লাসমেট কে বললাম বলতো কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স মানে কি? সে বললো বিড়ালের একই সাথে জীবিত আর মৃত থাকাকে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স বলে(ফিজিক্সের স্টুডেন্ট বুঝেন অবস্থা)।যাই হোক বইটা ফিজিক্সের প্রতি আমার আগ্রহকে আরও আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সন্দেহ নেই।সুতরাং আমি বলতেই পারি ফিজিক্সের স্টুডেন্টের জন্য বইটি সোনায় সোহাগা হবে নিঃসন্দেহে।তাছাড়া বইটি পড়ে আমরা ফিজিক্সকে ফিল করার ক্ষমতা অর্জন করব অনেকখানি।ফিজিক্সের অনেক খুটিনাটি বিষয় জানতে পারবো। তাছাড়া ইন্টারের বিজ্ঞানের স্টুডেন্টরাও পড়বেন।বইটি বুঝতে হলে ক্যালকুলাস,ত্রিকোণমিতি তাছাড়া ফিজিক্সের বেসিক কিছু সুত্র সম্বন্ধে ধারণা থাকলেই চলবে।নবম-দশম শ্রেনীর স্টুডেন্ট যারা উচা গনিত? নিয়ে পড়ছ তারাও পড়বে(আশা করি বুঝতে পারবে)। ⏩তো বইটি পড়ে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স কতটুকু বুঝলাম? একেবারে যে উল্টায়ে ফেলেসি তা না।ধরেন ৮০-৮৫% বুঝেছি(আবার পড়ব ইনশাআল্লাহ পার্সেন্টিজ আরও বাড়বে)।সবচেয়ে বড় কথা আমি চিন্তা করতে শিখেছি,আমার চিন্তার পরিধি বেড়েছে নিঃসন্দেহে।শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ ক্লিয়ার হয়েছে।বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছে অনেকখানি। ⏩ভাই খারাপ কিছু বলবেন না? বইটির ভালো গুন এতো বেশী যে মন্দ কিছু থাকলে অবশ্যই ভালোর আড়ালে চাপা পড়ে যাবে।আর এই মুহুর্তে নেগেটিভ কিছু মনেও পড়ছে না(সত্যি?)। ⏩অনেক কথাই তো বললেন রেটিং দিবেন না? রেটিং ৯.৪/১০ জানি বইটি আরও রেটিং পাওয়ার দাবিদার।তবে লেখক উনার আপকামিং বই জেনারেল রিলেটিভিটি যাতে আরও ভালো করে লেখেন সেজন্যই একটু কম(বুঝেন নাই?)। ⏩রহস্যই সর্বাতীত সৌন্দর্যের প্রতীক।সমস্ত বিজ্ঞান আর শিল্পকলার উৎস হচ্ছে রহস্য।এই অনুভুতিটি যার মধ্যে অনুপস্থিত,বুকভরা জীবন্ত রহস্যের সামনে দাড়িয়েও যার মন বিস্ময়ে অভিভুত হয়ে যায় না,ধরতে হবে তার মৃত্যু হয়েছে ,তার মন আর চোখ দুয়েরই। -আলবার্ট আইন্সটাইন।
Was this review helpful to you?
or
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ব নিয়ে বৃটিশ বিজ্ঞানী আর্থার এডিংটনকে এক সাংবাদিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "কথাটা কি সত্য যে মাত্র তিন জন মানুষ এই তত্ব বোঝেন?" এডিংটন কৌতুক করে বলেছিলেন, "আমি ভাবছি তৃতীয় ব্যাক্তিটা কে?" এখন অবশ্য আপেক্ষিকতার তত্ব অনেকেই বোঝে, তার চাইতে অনেক বেশী ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার খাতায় শুধু মুখস্ত করে ঢেলে দিয়ে আসে পরমাণুর বা ইলেকট্রনের পর্যায়ে নেমে গেলে আমাদের স্কুল কলেজের শেখা পদার্থবিজ্ঞানের অনেকটাই আর কাজ করে না। একটা ইলেকট্রন কোথায় আছে, সেটা আমরা আর নিশ্চিন্ত করে বলতে পারি না, শুধু সেটার বিভিন্ন অবস্থানের সাম্ভাবনা বলতে পারি।। অনেকেই হয়তো জানে, আলোর গতির চাইতে দ্রুত আর কিছু যেতে পারে না। যদি তার কাছাকাছি গতিতে কিছু যায়, তাহলে সেখানে সময় ধীরে চলতে থাকে। পুরাই মাথা খারাপ করে দেয়া ব্যাপারস্যাপার। কিন্তু ঠিক কতখানি মাথা খারাপ করে দেয়ার মত ব্যাপার? এই আলোর গতি থেকে শুরু করে পদার্থবিজ্ঞান আজ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে আমাদের ভাবতে হচ্ছে, আমাদের এই মহাবিশ্বই একমাত্র নয়, আরো অগুণিত মহাবিশ্ব আছে। কিন্তু সেই চিন্তার জগতে আমরা কীভাবে পৌছাবো? নাঈম হোসেন ফারুকী চমৎকার একটা গাইডবুক লিখেছে সেখানে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কেউ যদি মুখস্ত না করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স গোড়া থেকে জানতে চায়, এই বইটার মত ভাল বই বাংলাতে তো নেইই, এই টপিকের ওপর অন্তত পঞ্চাশটা ইংলিশ বই আর অগুনিত রিসার্চ পেপার পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সম্ভবত অন্য কোন ভাষাতেও নেই। কেন এত বড় কথা বললাম? কারন এটা এমনভাবে লেখা হয়েছে যে ক্লাস নাইন-টেন এর বিজ্ঞানমনষ্ক ছাত্রছাত্রীদেরও বুঝতে অসুবিধা হবে না, কিন্তু আবার অন্য দিকে ফিজিক্সের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও কাজে লাগবে। ক্লাস নাইন-টেন? এটা কিন্তু শুধু মুখের কথা না। বইটার অনেক লেখা আগে অন-লাইনে প্রকাশিত হয়েছে, এবং স্কুল পড়ুয়ারা যে লেখাগুলি বোঝে, সেটার পরীক্ষা হয়েছে। আমি বইটার চ্যাপটার ধরে ধরে ব্যাবচ্ছেদ এখানে করছি না। বইটার সবচাইতে ভাল লেগেছে, গল্প বলার ধরণে বিজ্ঞান শেখানোয়। মাঝে মাঝে গল্প আর আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে উদাহরণ। যেমন আলুর ব্যাবসায়ীর আলু চোরকে আটকানোর গল্প পড়তে গিয়ে আমরা পেয়ে যাব আলুর প্যাকেট থেকে আলোর প্যাকেটের ধারণা। তাই বইয়ের "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" নামটা খাপে খাপে মিলে গিয়েছে। পড়তে গিয়ে মনে হবে বড় ভাইয়ের সাথে বিজ্ঞান নিয়ে আড্ডা হচ্ছে, আর সেই আড্ডা থেকে বের হয় অবাক হয়ে দেখবে, বিজ্ঞানের কঠিনতম বিষয়গুলির মধ্যে একটা বেশ ভালই শেখা হয়ে গিয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান তো বটেই, এমনকি রাসায়ন নিয়েও যার বিন্দুমাত্র উৎসাহ আছে, এমন স্কুল বা কলেজ-পড়ুয়াদের জন্য এটা একটা অবশ্যপাঠ্য বই। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় বমি না করে যারা আসলেই শিখতে চায়, তাদের জন্য এটা অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখা দারুণ একটা বই। নিজে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবলে, বা বিজ্ঞান নিয়ে ভাবে এমন কাউকে উপহার দিতে হলে, এই বইটা চমৎকার। পুনশ্চ: লেখকের সম্পর্কে একটা ছোট মন্তব্য। বিজ্ঞানের ভাইরাস একবার ধরলে আর ছাড়ে না, এবং অন্যদের মধ্যেও সেটা ছড়াতে থাকে। নাঈম নিজেই এটার একটা উদাহরণ। নিজের প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়ে ও বিজ্ঞানপ্রচার করে যাচ্ছে, এবং কয়েক হাজার ছেলে মেয়ের মধ্যে নাঈম এই বিজ্ঞানুরাগ ছড়িয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। সেটার জন্য নাঈমকে আলাদা একটা ধন্যবাদ। নাঈম-এর ওয়েবসাইট http://nayeem.science/ এ ওর অনেক লেখা পড়া যাবে।
Was this review helpful to you?
or
এটা একটা সৌভাগ্যের বিষয় যে আমি কোয়ান্টাম বলতে মেকানিক্স কেই বুঝতাম। কোনো ধ্যানকে না। এই ধ্যানওয়ালা কোয়ান্টাম যে একটা আছে এবং সেটা মেকানিক্স থেকেও বেশ জনপ্রিয় তা জানি গতবছর লেখকের পোস্ট থেকে। আমার অবশ্য কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে প্রথমে অতো ইন্টারেস্ট ছিলো না। তখন জানতাম, এটা বিজ্ঞানের একটা শাখা, এখানে কণা নিয়ে আলোচনা করা হয়, ব্যাস। পরে কসমোলজির বই পড়তে দিয়ে দেখি কোয়ান্টাম মেকানিক্স আসলেই একটা মজার বিষয় এবং কসমোলজির জন্য এটাও জানতে হবে। সৌভাগ্যক্রমে লেখক সেবছর থেকেই বইয়ের কাজ শুরু করেন। এবার রিভিউতে আসি। বইটা সেমি-পপ বই। শুরুর বেশখানিকটাই পপ, পরে আস্তে আস্তে দেখা মেলে অংকের আর কিছু হালকা জটিল বিষয়ের। প্রথমদিকে লেখক দেখান কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর শুরু কিকরে হয়, এরপর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর জনক দের গল্প। এরপর আসে পরমাণুর গল্প, কেন নানান পরমাণু মডেল বাদ গেলো তাদের বিশ্লেষণ। এরপর লেখক আস্তে আস্তে নিয়ে যান কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর আরো গভীরে, সেখানে দেখান কণা কণার পাশাপাশি একই সাথে তরঙ্গ, বিখ্যাত অনিশ্চয়তার নীতি ঠিক কি জিনিস, আরো গভীরে ফার্মিওন আর বোজনের ভূতুরে কীর্তি। কিভাবে বোজনরা এক সাথে থাকে, কেন ফার্মিওনরা তা পারে না। আরো গভীরে, বিড়াল জাতির শত্রু শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ, কোয়ান্টাম টানেলিং এর কথা। এপর্যন্ত আমার কোনো ঝামেলা হয়নি, তবে আমি বেলের অসমতা আর এনট্যাঙ্গেলমেন্ট এ বেশ ঝামেলায় পরি, এ দুটো আমার কাছে একটু কঠিনই লেগেছে, তবে সেটা ঠিক লেখকের দোষ নয়, বইটা আমি আবার পড়বো পরীক্ষার পর। সবশেষে মাল্টিভার্স এর লিখা দিয়ে শেষ হয় এই বইটি। বইয়ের প্রতি অধ্যায়ের পর আছে একটি বিরতির অধ্যায়, মনকে ফ্রেশ করার জন্য।আর প্রতিটি অধ্যায় শুরু হয় বিখ্যাত ব্যাক্তির উক্তি দিয়ে৷ লেখকের লিখার হাত চমৎকার। ঠিক যেন আপনার সাথে কেউ গল্প করছে৷ পুরো বই জুড়ে আছে নানান প্রয়োজনীয় গ্রাফ আর ছবি, যা বুঝানোতে আরো সহজ করে তোলে। ঠিক যেন একজন আপনাকে সরাসরি বুঝাচ্ছেন আর বোর্ডে প্রয়োজনীয় ছবি আঁকছেন। লেখক ঠিক যতটুকু সহজ করা যায় ঠিক ততটুকুই সহজ করেছেন৷ একটা বিষয় বোঝানোর আগে, কাল্পনিক গল্পের ছলে তার প্রধান বিষয় বোঝানোর চেষ্টাটা অসাধারণ ছিল। আর অধিকাংশ অধ্যায় জুড়ে ছিল, নিজে ভাবার জন্য কাজ। বইটা পড়লেই এর পেছনে লেখকের সময় এবং শ্রম বুঝা যায়। বইটা অনার্সের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনেক কিছুই কভার করে, এ নিয়ে অধ্যয়নরত সকলেই এটা পড়া উচিত। একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে "শিক্ষার সম্পূর্ণতা ততদিন হইতে পারে না, যতদিন সে শিক্ষার বাহন মাতৃভাষা না হয়।" - ড. কুদরত-এ-খুদা আমাদের দেশে বিজ্ঞানচর্চা বেড়েছে ও বাড়ছে। তবে বিশ্ব বিজ্ঞানের বই হিসেবে আমাদের অনেক অনেক ভালো বইয়ের অভাব। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে এ বইটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স শুরুর জন্যে নিঃসন্দেহে দুই বাংলায় এখন পর্যন্ত লেখা বেস্ট বই। তাও বাংলায় লিখা মৌলিক বই, অনুবাদ বা কোনো বইয়ের অবলম্বনে লিখা নয়৷ তাছাড়া, ইংরেজিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর সেমি-পপ বই আমার জানামতে নেই। আমাদের দেশে এই জাতের বই গুরুতর প্রয়োজন। দেশের অধিকাংশ লেখকদের বই হয়, পপ পড়ে পপ বই লিখা। খুবই কম সংখ্যক লেখক সেমি-পপ বা টেক্সট বই পড়ে পপ বা সেমি-পপ লেখেন। তবে এই লেখক টেক্সট বই পড়ে এই সেমি-পপ বইটা লিখেছেন। এ লেখকের অবশ্য এই জাতের আরো ৩টা বই বের করার ইচ্ছে রাখেন - কোয়ান্টাম ফিল্ড, আপেক্ষিকতা আর সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে৷ দেশের অন্যান্য অনেক বইয়ের বিবেচনায় এই জাতের এসব বই প্রতিটিই হতে পারে এক একটি অমূল্য সম্পদ। এ বইয়ের জন্য লেখকের নিকট আমি কৃতজ্ঞ, লেখকের ভবিষ্যতের অন্যান্য সকল বইয়ের জন্য শুভকামনা। আরেকটি বিষয়, অনেকেই হয়তো লেখকের লেখাপড়ার বিষয় দেখে বলবেন, উনিতো সরাসরি পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়েন নি, বুয়েটের সি.এস.ই তে পড়েছেন। অবশ্য উনি নিজে পড়ে যতটুকু বুঝেন অনেকেই পদার্থবিজ্ঞান এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে ততটুকু বুঝেন না। তাদের জন্য বলেরাখি, মাইকেল ফ্যারাডের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় কেউ হয়তো কোনোদিন কল্পনাও করেনি যে উনি পদার্থবিজ্ঞানে চমক দেখাবেন। তাই, পদার্থবিজ্ঞান বুঝার জন্য যে পদার্থবিজ্ঞানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাগবে একথা বলা গুরুতর অন্যায়। বুঝা একজিনিস, পরীক্ষায় পাস করা অন্য জিনিস। হৃদয় হক, ০৩/০৫/২০২০ নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
Was this review helpful to you?
or
"চ্যাপ্টা, শূন্য সাইজের একটা ভয়ঙ্কর পৃথিবীতে তুমি হতে পুরোপুরি অন্ধ এক চিরযৌবনা শিশু, বাইরের দুনিয়ার কাছে যে কিনা পুরোপুরি চ্যাপ্টা একটা মূর্তি!"- বই থেকে নেয়া এই লাইনটা নিতান্তই ভয়ানক। এ কেমন বিচার জানতে পড়তে হবে বইটি। কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে জানার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিলো তাই চেষ্টা করেছি ইন্টারনেট থেকে জানার। তখন হাজার সমীকরণ দেখে এমন অজ্ঞান হয়েছি যা নাই বা বললাম। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এক অনিশ্চিত সম্ভাবনার জগৎ। এই জগতে সবই সম্ভাবনাময়। কোনো কিছু ১০০% দিয়ে বলতে গেলে তার পরিপূরক জিনিসটার সম্পর্কে ধারণা হবে ০%। চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইতে আছে এই জগতের গল্প। এই জগৎটাকে লেখক চেষ্টা করেছেন সহজভাবে কিছু গল্পের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়ার। তরঙ্গ এবং কণার মধ্যে থাকা সম্পর্ক সম্পর্কে বোঝাতে তিনি যেমন সফল হয়েছেন ঠিক তেমনি তিনি সফল হয়েছেন শ্রোডিঙ্গারের এর বিড়ালের প্রতি হওয়া নিষ্ঠুরতা বোঝাতে। তবে ব্যাপারগুলোকে এতো সহজ এবং সুন্দরভাবে তুলে ধরাও সম্ভব তা আমি জানতাম না। এখানে আছেন বক্কর ভাই আজ এই বসন্তে তার কিন্তু লক্কড় নামের এক গার্ল ফ্রেন্ডও আছেন। আছেন আক্কাস আলির মতো শুটকি ও আলু ব্যবসায়ীও। তারা ছাড়াও কিছু চরিত্র আছেন। এরা মিলে হাস্যরসে ভরিয়ে বুঝাবে কত চায়ে কত কফি। ওয়েভ সম্পর্কে, ইন্টারফেয়ারেন্স সম্পর্কে লেখক দারুণভাবেই ধারণা পরিষ্কার করিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি সমীকরণগুলোকেও তুলে ধরেছেন নিখুঁত ও সহজভাবে। ভর কি? মৌলিক রঙ কি? আলোই বা কি জিনিস? এসব জানা যাবে বই থেকে। লেখক আপনাকে অনেকগুলো গল্পের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দিবেন। পরমাণু,তরঙ্গ,হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তার নিশ্চয়তা,শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল এবং মাল্টিভার্স ছাড়াও বইটি অনেক তথ্যে পরিপূর্ণ। এখানে প্যারাডক্স আছে আবার আছে প্যারালাল ইউনিভার্সের কোনো এক আগন্তুক। বইটা নিজেও একরকমের শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল। খোলার পরে এটি আপনার কাছে পপ সাইন্স অথবা পপ সাইন্স নয় টাইপের বই হিসেবে ধরা দিবে। বই পড়ার সময় ভাবছিলাম বইটা কেমন আসলে? ভালো? নাকি অনেক ভালো? নাকি এভারেজ? হঠাৎ মনে হইলো এক্সেপশনাল। কারণ আমি যা অনেক চেষ্টা করেও বুঝি নাই আগে তা সহজেই বুঝতে পেরেছি। আর আমার কি চাই? চায়ের দামে শরবত?? যাই হোক ৯-১০ এর স্টুডেন্ট দের বেসিক ক্লিয়ার করতে এবং ইন্টারের স্টুডেন্টদের বেসিক ঝালাই করতে কাজে লাগবে বলে মনে করি। সবশেষে বললে বইটা নিজের কাছে রেখে বারবার পড়ার মতো বই। তবে বইটি বুঝতে হলে পড়তে হবে আর বাঁচতে হলে ভাবতে তো হবেই। জয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর। জয় পদার্থবিজ্ঞানের। আর জয় তাদের যাদের জন্য এই সুন্দর জগৎ সম্পর্কে আমরা জেনেছি।
Was this review helpful to you?
or
বাসা থেকে ব্যাচ প্রায় এক কিলো দূরে। পথে সবসময়ই দেখতাম 'কোয়ান্টাম' লেখা একটি সাইনবোর্ড এক বিল্ডিং এর দিকে ইঙ্গিত করছে। কবে জানি একদিন পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে পড়েছিলাম- "কোয়ান্টাম হলো এক ধরণের নাম্বার"। ভেবে নিলাম, ঐ বিল্ডিংএ এই নিয়েই আলোচনা হয়। ? বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, তখন কোয়ান্টাম সম্পর্কে এতটুকুই জানতাম। তারপর কোনো এক শুভদিনে হাতে আসলো নাইম্ভায়ের 'চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স'। এখন মনে হয় কোয়ান্টাম সম্পর্কে আমি অনেকের থেকে একটু বেশিই জানি...?❤️ লেখক অত্যন্ত নিপুনতার সাথে ব্যাখ্যা করেছেন প্রত্যেকটি বিষয়(অন্তত আমার মনে হয়েছে)। শুধু কোয়ান্টাম না, পরমাণুর ইতিহাস আর মহাবিশ্বের বিষ্ময় তুলে ধরা হয়েছে চমকপ্রদ ভাবে। লেখক বারবার জটিল ম্যাথ এর বদলে চিন্তা করাকে প্রাধান্য দিয়েছেন এই বইয়ে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবুও "ভুলের ঊর্ধ্বে নয় কোনোকিছু" কথাটা এই বইয়েও খাটে। টাইপিং মিস্টেক তো আছে। পাশাপাশি লেখক সহজভাবে বলতে গিয়ে কিছু জায়গায় জটিল করে ফেলেছেন। তবে আমি বলবো বইটি পপ সাইন্স নয়, এতে শুধু চিন্তাশক্তির দিকে ফোকাস করা হয়েছে। A book which is worth reading for people who wants to be amazed and drown in imagination....❤️
Was this review helpful to you?
or
আমি বইটার কোনো রিভিউ দিব না,শুধু বলব একবার পড়েই দেখুন না, এরকম খুব কমই বই আছে যেখানে আনন্দের সহিত এত কঠিন একটা বিষয় লেখন তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় এই প্রথম। এতোটা সুন্দর কোয়ান্টামের বই ইংরেজিতেও হয়তো বা নেই
Was this review helpful to you?
or
আমাকে যদি আপনি ফিজিক্স এর কোনো বিষয় শেখাতে চান তাহলে আমি তখনি পার্ফেক্টলি আপনার কাছ থেকে ফিজিক্স শিখবো, যখন আপনি আমাকে- প্রথমে যে বিষয়টি বুঝাবেন তা প্রথমে Intuition (অন্তর্দৃষ্টি) এর মাধ্যমে ফিল করাবেন। তারপর সেই Intuition (অন্তর্দৃষ্টি)এর আঙ্গিকে বিষয়টিকে সংজ্ঞায়ন করেন। এবং সব শেষে বিষয়টিকে ম্যাথম্যাটিকালি এক্সপ্রেস করেন। যখন শুধু Intuition (অন্তর্দৃষ্টি) দিয়ে বুঝাবেন, তখন তাকে বলা হয় পপ-সায়েন্স যা আমাকে বিষয়টিকে ফিল করতে সাহায্য করে। শেষে যখন বিষয়টি ম্যাথম্যাটিক্যালি প্রকাশ করবেন, তখন তা আমি পূর্ণাঙ্গ ভাবে বুঝতে পারবো। কারণ ম্যাথম্যাটিকস হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। আর শুধু কিছু ম্যাথ পারাটা ফিজিক্স বুঝা নয়। ম্যাথ অনেকেই পারে, কিন্তু বিষয়টি কেনো হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, এভাবে কেনো! অন্যভাবে নয় কেনো! তা যদি না বুঝেন তাহলে আপনি ফিজিক্স এর ফ-ও বুঝবেন না। তাই ফিজিক্স বুঝতে এই দুই এর সুপার কম্বিনেশন প্রয়োজন। ◾আমাদের একাডেমিক বই পুস্তক এর ধারে কাছেও নেই। যার কারণে আমরা বেশির ভাগই ম্যাথ পেরে পাশ করি, কিন্তু বিষয়টা যখন ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, তা পারি না। আবার কিছু অতিরঞ্জিত পপ টাইপ বই আছে, যা আপনাকে ক্যালকুলাসের ক পারেন না অথচ ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা শুরু করে বিজ্ঞানী হয়ে গিয়েছেন এমন ভাব তৈরী করাবে। এই উভয়ের সুপার কম্বিনেশন যে প্রয়োজন তা আমি এই 'চা-কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স' বইটি না পড়লে বুঝতাম না। "এই বইটা যেহেতু পপ সায়েন্সের বই, আমরা প্রায়ই এটা ওটা গল্প করবো, আড্ডা দিবো। আবার একই সাথে এটা পপ সায়েন্সের বই না। এখানে মাঝে মাঝেই অংক শেখানো হবে।" বই থেকে একটা উদাহরণ টানা যাক। ◾ বক্কর ভাই তখন একেবারেই ছোট। ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড হতে অনেক দেরি আছে। ছোট বক্কর ভাই পুকুরে ঢিল ছুঁড়ছেন। ঢিল মেরে কি ব্যাঙ শিকারের চেষ্টা করছেন? ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুকুরের মাঝ বরাবর ঢিল মারলে পানিতে ঢেউ হচ্ছে। সেই ঢেউ দুইটা কাজ করছে- এক জায়গায় উঠছে নামছে চারপাশে ছড়াচ্ছে ঢেউ কিভাবে উঠে নামে? জিনিসটা বাঙ্গালিদের মতো। ঢিলের পাশের জায়গাটাই ধরো। সেখানে উপরে উপরে অনেকগুলো পানির কণা ছিলো। ঢিলের ধাক্কায় সবচেয়ে উপরের পানির কণাটা উপরে উঠা শুরু করলো। সে তারপর টেনে তুললো তাঁর পেছনের কণাকে, তারপর তার পেছনের কণাকে। যত বেশি শক্তি থাকবে ঢিলের, তত উঁচু হবে পানির কণার ঢেউ। কিন্তু এভাবে আর কতক্ষণ বলো? একটা কণা উপরে উঠলে তাঁর নিচের কণাদের হিংসে হয়। তারা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে। মনে করি, তরঙ্গের মধ্যে প্রতিটি কণা একঘর উঁচু। তার মধ্যে একটা কণার নাম হচ্ছে জসিম। এই জসিম নামের কণাটিকে আমরা একটু কাছ থেকে দেখে আসি। জসিম প্রথমে ছিলো সাম্যবস্থায়। মধ্যবিত্তের জীবন। সে একঘর উপরে উঠলো। তার পেছনে একটা কণা লাগলো। জেলাস ফ্রেন্ড জসিম দুই ঘর উপরে উঠলো। তার পেছনে লাগলো দুইটা কণা। পাড়ার মাস্তান পিছে লাগলো। জসিম ৩ঘর উপরে উঠলো। বাড়ি-গাড়ি করলো। এবার পিছে লাগলো এলাকার পাতি নেতা। এক সময় জসীম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি দিলো। অনেকের কাজ জুটলো সেখানে। পিছে লাগলো রাজ্য জোড়া লোক। জসিমকে টেনে নামালো উপর থেকে। জসিম গার্মেন্টস হারালো, বাড়ি হারালো, গাড়ি হারালো, শেষ পর্যন্ত পথে নামলো। শেষে সে শুরু করলো রিকশা চালানো। তারপর জসিম আবার উঠা শুরু করলো। রিকশা থেকে সিএনজি ধরলো, তারপর উবার চালানো শুরু করলো, তারপর টার্কির খামার, দেখতে দেখতে সে আবার আগের মতো গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করলো। কিংবা এবার বিসিএস দিয়ে লাল হয়ে গেলো। তারপর আবার পতন শুরু হলো। ফর্মাল কথায় আসি। অনেক গল্প হয়েছে, ঢেউ এর কথা হচ্ছিলো, জসিমের না। প্রথমে ভাবি ছোট খাটো একটা ঢেউ। সময় যখন শূণ্য তখন ঢেউ-এর উচ্চতা হচ্ছে ০।একটু পর হয়তো .5, তারপর 0.7 এক সময় হয়তো 1। আবার সে নামতে নামতে শুণ্য হবে। একসময় উল্টোদিকে নেমে 1 হবে, আবার ব্যাক করবে শুণ্যতে। আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের ঢেউয়ের উচ্চতা মাপলাম। t=0 হলে, উচ্চতা 0 t=30 হলে,উচ্চতা 1/2 t=45 হলে, উচ্চতা 1/√2 t=60 হলে, উচ্চতা √3/2 t=90 হলে, উচ্চতা 1। মানগুলো চেনা চেনা লাগছে? এগুলো হচ্ছে সাইন (থিটা)-এর মান। আমরা লিখতে পারি,তরঙ্গের উচ্চতা y হলে, y=sint। ঠিক যেন কেউ কোন কিছুকে গোল করে ঘুরাচ্ছে, আর সেটার সাইনের মান নিচ্ছে। এভাবে লেখক একটু একটু করে জসিম, বক্কর ভাই,আক্কাস আলীর গল্পে গল্পে তরঙ্গের সাধারণ সমীকরণ y=Asin(wt-kx Ø) থেকে শুরু করে বর্তমান কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর সবচেয়ে সুন্দর সমীকরণ “শ্রোডিঙ্গারের ইকুয়েশন” প্রমাণ পর্যন্ত পাঠককে ঘুরিয়ে এনেছেন। মনের মধ্যে তৈরি করেছে কিউরিওসিটি, কি এই ইলেক্ট্রন? এটা কি সলিড কোন কিছু? নাকি তরঙ্গ? কিভাবে ইলেক্ট্রন কণা হয়ে ব্যতিচার-এর মাধ্যমে পর্দায় তুলে ঢেউ এর ছবি? লেখক ভার্নার হাইজেনবার্গ-এর মাধ্যমে তুলেছেন রক্তে শিহরণ। এটা ফিল করিয়েছে যে, যে রিয়েলিটিকে আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি সেটা রিয়েলিটি না। ◾ বই যে কি পরিমাণ বন্ধুসুলভ শিক্ষক হতে পারে তা আমি 'চা-কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স ' না পড়লে বুঝতে পারতাম না। এখানে লেখক প্রতিটা বিষয় এমন ভাবে বুঝিয়েছেন, যেনো শিক্ষক একটা একটা চলচ্চিত্র পাঠক-কে দেখিয়ে চলেছেন। ফিল করাচ্ছেন প্রতিটা বিষয়। তিনি শুধুই বুঝিয়ে যান নি পাঠক-কে ভাবতে দিয়েছেন। কেনো তরঙ্গ সাইন-এর সূত্র ফলো করে? ত্রিভুজ-চতুর্ভূজ কেনো নয়? শুধু তাই-ই নয়, তিনি পাঠকের জন্য দিয়েছেন হোম-ওয়ার্ক! ◾ ম্যাথ কষতে কষতে বোরিং হয়ে গিয়েছেন? লেখক আপনার জন্য দিয়েছেন চা পানের বিরতি। চা পান করতে করতে ঘুরিয়ে আনবেন লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার,মাল্টিভার্সে আইনস্টাইন এর মতো রহস্যময় জগত থেকে! ◾ লেখকের অফুরন্ত চেষ্টার জন্য লেখককে স্বাগতম। তবে এক্ষেত্রেও কিছু ফাঁক ফোকর থেকে গেছে হয়তো। মাঝে মধ্যে Intuition (অন্তর্দৃষ্টি)থেকে এর আঙ্গিকে সংজ্ঞায়ন করা হয়ে উঠেনি। যার কারণে কয়েকটা টপিক ক্লিয়ার ছিলো না। কনফিউশনের সৃষ্টি করেছে। যেমন ৪৭ পৃষ্ঠায় তরঙ্গ বুঝাতে গিয়ে বলেছেন, "পরপর দুইটা একই দিক থেকে আসা শূণ্যের মাঝখানে কণা আছে কয়টা? ১৬টা। এর তরঙ্গের দৈর্ঘ ১৬।" এখানে আসলেই কি ১৬টা কণা থাকে? তরঙ্গ দৈর্ঘ কি এর কণার সংখ্যার উপর নির্ভর করে? যা তরঙ্গ দৈর্ঘের আসল সংজ্ঞার সাথে যায় নি মনে হলো। তবে পরে তা অন্যভাবে ক্লিয়ার কিরা হয়েছে। এরকম ছোট খাটো কয়েকটা বিষয় আমার নিজের ই বুঝতে অসুবিধে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
ভাইয়ের বইটি পড়ে দেখলাম। ভালো লেগেছে যে তিনি এই জ্ঞানেই বই লিখে ফেলার সাহস দেখিয়েছেন। ফিজিক্স পড়ে না কিন্তু গল্পের ভংগিমা ভালোবাসেন , এমন আমজনতার জন্য বইটি মোটামুটি এন্টারটেইনিং। লেখক নিজেই ফিজিক্স পড়েননি যদিও, কাজেই তার অতটা দোষও দেয়া যায় না। তবে ফ্যাক্টচেক এর ব্যবস্থা থাকলে ভালো হত। যেমন ডিরাক নিয়ে গল্প ফাঁদার সময় বেশ ভুল তথ্য দিয়েছেন। বইটি বাংলা পপ সায়েন্স হিসেবে মন্দ নয়, আজকাল এমনিতেই পপ সায়েন্সের কোয়ালিটি বেশ খারাপ। বাচ্চাকাচ্চাদের এই বই পড়ার আগে একটু সতর্ক হতে হবে, না হলে এখানে ফিজিক্স সম্পর্কে এমন লেখা দেখে পটেনশিয়ালি অনেকে পড়ার আগ্রহ চলে যেতে পারে। তবে সত্যিকার অর্থে সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে চাইলে গ্রিফিথসের বইটি পড়তে পারেন। আরো কঠিন বই পড়তে চাইলে বলবো শংকর পড়ুন। ৩০০ টাকার কমেই এগুলো পাওয়া যেতে পারে। বইগুলো অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা। ইংরেজি না বুঝলে ইংরেজি শিখুন, মানহীন চটি বই পড়ে সত্যিকার পদার্থবিজ্ঞানকে অবমাননা করবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বেস্টসেলার লিস্ট এ এটা থাকা উচিত। এই বইয়ে আপনি সব পাবেন।কখনো থ্রিলার বা কমিডি কখনো কমিকস অথবা কখনো হারিয়ে যাবেন অনিশ্চয়তার রাজ্যে।লেখক আবার সেখান থেকে আপনাকে টেনে এনে দেখাবেন আপনার চারপাশের রহস্যময় গল্প।এই সব থ্রিলার কমিডি ইনজয় করতে করতে দেখবেন যে আপনি পদার্থবিজ্ঞানের সবচাইতে কঠিন এ বিষয়টি যে আপনি কখন বুঝে গিয়েছেন তা নিজেই টের পাবেন না। সতর্কবার্তাঃ বইটা পড়ার সময় আর বই পড়া শেষ করার পরে আপনি কিছুক্ষন বা কিছুদিন পর্যন্ত পাগল থাকবেন।বইটা একটা মাস্ট রিড!মাস্টারপিস!!!
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বই সমন্ধে রিভিউ দেয়ার যোগ্য নিজেকে মনে করি না । তবে , একজন beginner হিসেবে আমার কাছে বইটি ভালো লাগেনি । যে কোন টপিক বেসিক থেকে শুরু করা উচিৎ ছিলো সহজ উদাহরণ দিয়ে । যদি আপনার ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রি উপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকে তাহলে পড়তে পারেন । বইয়ে খামাখাই লেখা হয়েছে যে ৯-১০ম শ্রেনির ফিজিক্স,কেমিষ্ট্রি, ম্যাথ জানলেই বই এর টপিক বুঝা যাবে !
Was this review helpful to you?
or
অনেক দিন পর মনের মতো একটা বই কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের বই খুঁজে পেলাম। তাই লোভ সামলাতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে এক বসাতেই বইটা শেষ করলাম। লেখক নাইম হোসেন ফারুকী কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের মতো দুর্বোধ্য বিষয়কে খুবই চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করেছেন। মাধ্যমিক লেভেলের ফিজিক্সের ধরা বাধা সিলেবাসের বাইরে চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স ফিজিক্স পিপাসুদের জন্য একটি অসাধারণ বই। আমি মনে করি এটা নবম দশম শ্রেণীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের পড়া উচিৎ। এই বইটা পড়লে তাদের বেসিক অনেক মজবুত হবে। লেখক বইয়ের প্রথমেই সমীকরণের বন্যা বয়ে দেন নি। শুরুতে অ্যাটম,পার্টিকেই,বোরের বর্ণালী এবং স্পিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করেছেন। তরঙ্গ বলবিদ্যার প্রতিটি বিষয়, অনিশ্চিয়তার নীতি লেখক গল্পের ছলে তুলে ধরেছেন। শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ নিয়েও রয়েছে একটি অসাধারণ অংশ। আলোকপাত করা হয়েছে স্ট্রিং থিওরি নিয়েও। পরিশেষে লেখক কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের অবিচ্ছেদ্য কিছু সমীকরণ ও তার প্রতিপাদন দিয়েছেন। অনেক প্রচলিত একটা কথা আছে । গণিত খুব ভালোভাবে না বুঝলে নাকি ফিজিক্স বোঝা সম্ভব না। গণিতের সাথে ফিজিক্সের সম্পর্ক আছে ও বটে। তবে আমি গণিতে খুব একটা পাকা না হলেও চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে ও বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি। তাই আমি বলবো যারা গণিতে কাঁচা কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে চায়, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হবে বইটি কিনে পড়তে ফেলতে। আশা করি বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত হবে। লেখকের কাছ থেকে এমন আরো চমৎকার বইয়ের আশায় থাকলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।।
Was this review helpful to you?
or
#bcb_book_review বই- চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক- নাঈম হোসেন ফারুকী প্রকাশন- প্রান্ত প্রকাশন পৃষ্ঠা- ৩৩৬ ব্যক্তিগত রেটিং- ৮.১/১০ (দুঃখিত বইটা পড়ে আমার ১০/১০ দিতে ইচ্ছা করছিল। বাট কিছু কারণে দিতে পারছি না। কেন পারছি না তা না হয় একেবারে শেষেই বলি) সত্যি কথা বলতে কি আমি প্রথমে কোয়ান্টাম বলতে শুধু ধ্যানকেই বুঝতাম। এটা অবশ্য দুইটা কারণ ছিল- এক. আমার স্কুলের এক স্যার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য। দুই. আমার স্কুলের কাছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর একটা শাখা আছে। (বিশ্বাস না হলে map এ দেখতে পারেন। লিংক- https://maps.app.goo.gl/hT1xhhTP7rnHRzDo9 ))) ) স্কুলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয়, ধ্যান-ধারণা এসব নিয়ে লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করত, দেওয়ালে লাগাত আবার সেই স্যারের বকবকানির (কোয়ান্টাম এই, কোয়ান্টাম সেই, ধ্যান করলেই হয়, সেই হয়... আরো কত কি) ফলেই বোধহয় আমার মাঝে এই ভুল ধারণা জন্মে। তবে সব ভুল ধারণা বিশ্বাসে যেমন একটা অন্ত থাকে তেমনি আমারও এই ভুল ধারণা অন্ত ঘটায় আমার এক বন্ধু। মনে পড়ে গত বছর যখন নবম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমার সেই বন্ধু একদিন স্কুলের রেজা এলিয়েনের লেখা কণা তরঙ্গ বইটা আনে। টাইটেল আর লেখকের নামটা ইন্টারেস্টিং ছিল দেখে সাতপাঁচ না ভেবে তাকে গুতাগুতির করতে শুরু করি বইটা পড়তে দেওয়ার জন্য। পরে অবশ্য তিন-চারদিন পর আমার গুতাগুতির ঠেলায় হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক সে আমাকে বইটা পড়তে দেয়। বইটা পড়া শুরু করি। সত্যি কথা বলতে কি বইটা পড়ে জানি না আমি কি বুঝতে পারেছি বা কতটুকু বুঝতে পারাছি তবে আমি এইটা বলতে পারি যে এই বইটা পড়েই আমি কোয়ান্টাম নিয়ে মোটামুটি একটা সঠিক ধারণা পাই। ''ধরণী দ্বিধা হও। যেখানে সারা বিশ্ব কোয়ান্টাম বলতে বুঝে কণার কথা। আর আমরা বুঝি মেডিকেশন ধ্যানের কথা।" এরপর অবশ্য এই সম্পর্কে তেমন কোনো বই পড়িনি। এই বছর ফেব্রুয়ারী মাসে বের হয় 'চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' নামক বইটা। ব্যক্তিগত কিছু কারণে বইটা অবশ্য তখন কিনতে পারিনি। এরপর এপ্রিল মাসে বইটা অর্ডার দেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে হাতে পৌঁছায় দীর্ঘ দুই মাস পর জুন মাসে। শুনেছি অপেক্ষার ফল ভালো হয় আসলেই কি তাই?... ও মাই গড লিখতে বসছি বইয়ের রিভিউ আর লেখা শুরু লেখছি নিজের কেচ্ছা কাহিনি। যাইহোক এবার আসল কথায় আসি। চল ঘুরে আসি এক অদ্ভুত জগতের অতি অদ্ভুত বইয়ের দুনিয়ায়। "চারপাশে অন্ধকার পর্দা, মাঝখানে অসহায় মানুষ ছটফট করছে, তার কাছে একটা মাত্র হাতিয়ার: ছিয়াছি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি অদ্ভুত রহস্যময় এক ভয়াবহ পাওয়ারফুল মস্তিষ্ক। ইচ্ছা করে না তাকে ব্যবহার করতে?" লাইনগুলো আমার অত্যন্ত প্রিয়। কেন প্রিয় তা বলব না পুরোটা পড়ে আপনিই বুঝে নিন। জগতটা আসলেই ভারী অদ্ভুত। কিন্তু তার থেকেও অদ্ভুত সেই জগত যে জগত মানুষের চিন্তা ভাবনার সীমাকে হারিয়ে দেয়। এই অদ্ভুত রহস্যময় ভাবনা চিন্তাগুলোকে বুঝতে সাহায্য করেছে তার দেড় কেজি ভরের ছিয়াছি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্ক দিয়ে মানুষ কত না কি করেছে! কিন্তু ভাবতেই অবাক লাগে যে এই চিন্তা ভাবনা শুধুই কিছু ইলেকট্রনিকেল সিগনালের সমষ্টি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এই যে আমরা দেখি তা তো কোনো কিছু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখের রড কোনে গিয়ে আয়োডিনজনিত বিক্রিয়া করে আয়ন বের হয়ে ইলেকট্রনিকেল সিগনাল হিসেবে সেই মস্তিষ্কে যায় ফলে আমরা দেখি। শুনার ক্ষেত্রে, অনুভব করার ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। এই সিগনাল তো কৃত্রিমভাবেও তৈরি করা যায়। পার্থক্য কিছুই বুঝব না। সবই যদি সিগানালের খেলা হয় তাহলে আমি বা কে তুমিই বা কে? কি মাথা ঘুরাচ্ছে শুনে? আরে এতো মাথা ঘুরানোর মতো কিছুই না আসল মাথা ঘুরানো তো এখনও বাকি। ওই যে কিছুক্ষণ আগে একটা অদ্ভুত জগতের কথা বললাম না, তার নাম কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগত। সেই জগত আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, অনুভব করি। কিন্তু জগত এতই ক্ষুদ্র যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখতে কষ্ট হয়ে যায়। এমনকি অনেক কিছু দেখাও যায় না সে যন্ত্র দিয়ে। জান সেই জগতের কোনোকিছুই আমাদের জগতের মতো নয়। সেই জগতের নিয়মকানুন এতই অদ্ভুত যে কথিত আছে যে আমি বা আমরা নাকি আমাদের একেকটা কাজের জন্য একটা পুরো নিজস্ব জগত তৈরি করে ফেলি(!)। অদ্ভুত না...! তবে তাই বলে সে জগতের সব যে এক হব তা নয়। একটা জগত আর একটা জগত থেকে একেবারেই আলাদা। এই জগতে যেমন আমি এই লেখাটা লিখছি হতে পারে আমি অন্য জগতে এই লেখা লিখছি না আবার হতে পারে আর একটা জগতে পুরো অন্যকিছুই লিখছি এভাবেই চলতে থাকবে। আবার সে জগত নিয়ম অনুযায়ী এই যে আমরা আলো দিয়ে দেখি এগুলো নাকি তরঙ্গ আর কণা ছাড়া কিছুই না। তরঙ্গের ব্যাপার বুঝা সহজ বাট কণা! কণা কেমনে কি? তাহলে কি আমাদের চোখে কি প্রতিনিয়ত কণা আঘাত করে? হ্যাঁ কথাটা অনেকটা এরকমই। তুমি জানতেও পারবে না তা। আবার রংধনুর যে সাতটা রং আমরা দেখি সেগুলো আসলে তরঙ্গ আর মানব মস্তিষ্কের খেলা ছাড়া কিছুই না। কেননা সবই যে আসলে এক। সব রঙেরই উৎপত্তি তরঙ্গ থেকে। কিন্তু সেই সব রঙের একেকটা ভিন্ন ভিন্ন দৈর্ঘ্যের তরঙ্গের সমষ্টি। এই যেমন ধরলাম একটা রঙের দৈর্ঘ্য 400nm (বেগুনি)। যদি এর সাথে 350nm এর তরঙ্গ যুক্ত হয় তবে আর একটা রঙ তৈরি হবে(লাল)। আবার যদি ঐ 400nm দৈর্ঘ্যের তরঙ্গের সাথে অন্য দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ না যোগ করে সরাসরি 750nm দৈর্ঘ্যে নিয়ে যাই তবে তা ওই একই রঙের (লালে) পরিনত হবে। ওই যে আলোর কণার কথা বললাম না, জান এই কণার ভর শূন্য। অদ্ভুত লাগছে নাকি অবাক লাগছে? তা অবশ্য অবাক লাগারই কথা কেননা ভরহীন কিছু থাকতে পারে নাকি!? হ্যাঁ থাকতে পারেনা। কিন্তু এই যে অদ্ভুত জগত কোয়ান্টামের জগতে তাও সম্ভব। এমনকি একটা কণা আলোর থেকে দ্রুত গতিতে একাধিক আলোকবর্ষ দূরের অন্য একটা কণার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যা আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটির সূত্রকে লঙ্ঘন করে। কিন্তু ওই যে বললাম কোয়ান্টামের জগতে কথা সেখানে সেটাও সম্ভব। কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে এই অদ্ভুতুরে জগতের কথা শুনে শুনে??? যদি হয় তাহলে তা অত্যন্ত স্বাভাবিক কথা হবে। কেননা এই অদ্ভুতুরে জগতের কাণ্ড কারখানা জেনারেল রিলেটিভিটির প্রর্বতক ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন অন্যতম প্রর্বতক আইনস্টাইনেরও মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, "ঈশ্বর পাশা খেলা খেলে না।" হয়তো এসব দেখার পর বলবেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এই অদ্ভুতুরে জগত সম্পর্কে জানা আমার কর্মের নয়। কিন্তু এই জগত যে কতটা মজার তা অত্যন্ত সুন্দর করে মজা করে লেখক নাঈম হোসেন ফারুকী ওরফে নাইম্বাই অত্যন্ত সহজ করে বুঝিয়েছেন। বুঝানোর জন্য তিনি কখনো টেনে এনেছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একেকজন জনককে। যখনই কোনো কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তখনই তিনি তখনই তাদের উদাহরণ টেনে আনেন। কখনো টেনে এনেছেন বোরকে, কখনো রাদারফোর্ডকে, কখনো সামারভিলকে, কখনো বা আইনস্টাইনসহ অন্যান্য জনকদের নিয়ে উদাহরণ। কখনো বা তুলে এনেছেন তাদের থেকে নেওয়া ইন্টারভিউ, কখনো বা তাদের স্বপ্নের কথা, তাদের লেখা ব্যক্তিগত ডায়েরির একেকটা পাতার কথা(অবশ্য কাল্পনিক)। আবার কখনো বা টেনে এনেছেন আক্কাস আলী,বক্কর আলী ও তাদের গার্লফ্রেন্ডের নিয়ে উদাহরণ। লেখক এতটাই ...(কি বলতাম বুঝে পারছি না) যে তিনি শুধু বুঝিয়েই শান্ত হননি তিনি কোথাও কোথাও পাঠকের জন্য ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রশ্ন। তিনি এতটাই অদ্ভুত যে, এই প্রশ্নগুলোকে আবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। তার মতে, "বাঁচতে হলে ভাবতে হবে।" কেননা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে হলে অবশ্যই ভাবতে হবে চিন্তা করতে হবে। আবার তিনি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যতম শাখা তরঙ্গ নিয়ে বুঝতে গিয়ে টেনে এনেছেন বিভিন্ন ধরনের গ্রাফকে। তবে তিনি এখানেও শুধু গ্রাফ দিয়েই ক্ষ্যন্ত হয়নি দিয়েছেন আবার সে সব নিয়ে বাড়ির কাজ ও। এই সব বৈশিষ্ট্য সাধারণ বাংলায় লেখা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বইগুলোতে তেমন দেখা যায় না। আবার আর এই বইগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি ভাষার লেখা বইগুলোর অনুবাদ। যার কারণে অনেকসময় কিছু কিছু আভিধানিক শব্দ বা ভাষা ব্যবহার করে যা সাধারণত বর্তমান প্রজন্মের কাছে কিছুটা হলেও দূরবোর্ধ্য। লেখক কিন্তু প্রচলিত সেই দিকে না গিয়ে তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে তার বইয়ে যতটা সম্ভব পেরেছেন সেই অভাব পূরণ করেছেন। শুরু করেছেন একেবারে মাইক্রোস্কোপিক লেভেলের পরমাণুর কথা দিয়ে আর শেষ করেছে এক বৃহৎ স্কেলের মহাবিশ্বকে নিয়ে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত জগত সম্পর্কে জানতে বই একবার পড়েই ফেলুন না একবার। আমি চোখ বন্ধ বলতে পারি যে আপনি বইটা পড়ে নিরাশ হবেন না। আমি তো অপেক্ষা করছি জেনারেল রিলেটিভিটি নিয়ে তার নেক্সট বই জন্য। একেবারে প্রথমে মনে হয় বলেছিলাম যে কেন আমি ১০/১০ দিতে ইচ্ছা করার পরও ৮.১ দিয়েছিলাম। এখন তা খোলাসা করছি- ১) আমার মনে হয় বইতে লেখক কোথাও কোথাও গল্পাকারে লেখা উচিত হয় নি। গল্প ফাঁদিয়ে আরো জটিল করে ফেলেছেন।(-০.৫) ২) বইটায় কোথাও কোথাও মনে হয়েছে তিনি সহজ জিনিসকে কঠিন করে ফেলেছেন (ডিপে গেছেন)। হতে পারে আমি তুলনামুলক ভাবে নিচু শ্রেণীতে পড়ার কারণে হয়ত সেই সহজ জিনিসগুলো (যা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে) আমার বোধগম্য হয়নি। তাই (-০.৪)। প্লিজ নাইম্বাই মাইন্ড করিয়েন না। ৩) বইয়ে অনেক ভুল। বানান সংশোধনে আর একটু জোর দেওয়া উচিত ছিল। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। তাই (-১.০০)। [অবশ্য এটা প্রথম এডিশনে সম্পর্কে বলেছি, দ্বিতীয় এডিশনের কথা জানি না।] যাইহোক ওভারঅল জোস একটা বই। স্বপ্নীল জয়ধর ১৮/০৬/২০২০ ইং নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর এত সুন্দর বই এযাবৎকালে কেউ লিখেছে কিনা তা আমার জানা নেই। বই-এর প্রত্যেকটি পাতার পরতে পরতে গ্রাফ আর ব্যাখ্যার সমাহার। আসলে বইটার নাম দেওয়া দরকার ছিলো ভিজিউয়াল কোয়ান্টাম মেকানিক্স। নবম-দশম বা তার উপরের যে কেউ বইটা স্বাচ্ছন্দে পড়তে পারবে। তাই, ততোক্ষণ পর্যন্ত হ্যাপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে বইটি। বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞান বই বললে খুব একটা ভুল হয় না।
Was this review helpful to you?
or
I think I can safely say that nobody understands quantum mechanics." - Richard Feynman কোয়ান্টাম মেকানিক্স জিনিসটা ঠিক কী? "কেউ বোঝেনা" বলতে ফাইনম্যান ঠিক কী বোঝাচ্ছেন? কিছুই বোঝার নাই কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর? পুরাটাই মুখস্থ? ফাইনম্যান আসলে "কেউ বোঝেনা" বলতে এটা বোঝাননি যে একেবারে কিছুই বোঝা যায়না, সম্পূর্ণটাই মুখস্থের। উনি বলতে চেয়েছেন, কোয়ান্টাম জগতটা আমাদের আশেপাশের জগতের এক্সপেরিয়েন্সের থেকে একেবারে আলাদা। অন্যরকম রুলস দিয়ে চলে। কিন্তু তার মানে তো এই না যে এই রুলগুলোতে বোঝার কিছু নাই! কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর অনেক বিখ্যাত টেক্সটবুক নিলে আপনার মনে হবে, আসলেই বোঝার কিছুই নাই, সম্পূর্ণ আকাশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জিনিসগুলো! অঙ্কের হাজারটা জিলাপির প্যাঁচের মধ্যে ফিজিক্স হারিয়ে ফেলে নিজের সত্তাকে। কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে জানার বদলে আমরা কিছু দুর্বোধ্য সমীকরণ গলাধঃকরণ করে নিই। "অমুক সমীকরণের জন্য তমুক জিনিস ঘটে।" কিন্তু "অমুক সমীকরণ" টা আসলো কোত্থেকে? এটা কেন, কীভাবে কাজ করে? এসব প্রশ্ন হয়ত এক-দুই সেমিস্টারের "ছোট" কোর্সে কাভার করা সম্ভব হয়না। আবার শুধু কী কেন কীভাবে হচ্ছে সেটা বুঝে বসে থাকলেও চলবেনা। ক্যালকুলেশন করা তো লাগবেই! নাহলে তো থিওরী কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ঘটনা একেবারে নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করা যাবেনা! যেমন ধরেন, আমি মহাকর্ষের তত্ত্ব দিলাম - মহাকর্ষ বল দূরত্ব বাড়লে কমে, দূরত্ব কমলে বাড়ে। কিন্তু কত বাড়ে কমে না জানলে আমি বুঝব কীভাবে যে পৃথিবী থেকে ঠিক কত বেগে রকেট মারলে সেটা আর গ্র্যাভিটির টানে মাটিতে ধপাস করে পড়ে যাবেনা? ফিজিক্স ভালভাবে শেখার জন্য তাই যেমন দরকার নিখাদ ক্যালকুলেশন, তেমনি অঙ্কের মারপ্যাঁচের আড়ালের কী কলকাঠি নড়ছে, সে কাহিনীও জানা দরকার - তাহলেই নলেজটা হবে পাক্কা। আগেই বলেছি, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ওপর এরকম বই হয়ত কমই আছে। গত বছর পাঁচেক ধরে বহু টেক্সট আর পপ-সায়েন্স বই পড়েও এরকম একটা বই পাইনি যেটায় অংক করে নিখাদ নিখুঁত হিসেবও দেখাচ্ছে, আবার পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে সেটাও বলছে। আর বলাই বাহুল্য, বাংলায় তো নেইই! তার ওপর প্রায় সব বই এক্কেবারে (রসালো)^-1! অপূর্ব সুন্দরী রমনীকে চুল ছেঁটে দিয়ে সারা গায়ে কাদা মেখে পাত্রপক্ষের বাসায় নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা! এই বইটায় নাঈম ভাই তাঁর সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন গল্পে গল্পে কোয়ান্টাম মেকানিক্স শেখানোর। পর্দার সামনের গণিতের কারুকার্যও যেমন আছে, তেমনি পর্দার পেছনের গল্পও আছে। প্ল্যাংকের আলুর বস্তার গল্প দিয়ে শুরু করে, রাদারফোর্ডের নোবেল জিতার কোচিং সেন্টার, ফাইনম্যানের টাইম মেশিন, শ্রোডিঙ্গারের পার্ভার্শন থুক্কু ইকুয়েশন ইত্যাদি আরও অনেক গল্প। আর একেবারে গরম গরম হট নিউজের মধ্যে পাচ্ছেন (ম্যাক্সিমাম কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইতেই থাকেনা আরকি :p), যেমন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বেল'স ইনইকুয়ালিটি, ইপিআর প্যারাডক্স, কোয়ান্টাম মাল্টিভার্স, সুপারডিটারমিনিজম ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাইয়ার ট্রেডমার্ক সাহিত্যিক ঢঙে রসের হাঁড়িটাও প্রায় জমে উঠেছে। আর সাথে আছে বেরঙের (রঙ নাই :p ) শত শত, স্যরি দশক দশক ছবি :p পড়তে পড়তে যে বোরড হবে সে হয় সন্ন্যাসী, নাহয় ভূত ;)
Was this review helpful to you?
or
আমার মতে বাংলায় বিজ্ঞানের সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
নাঈম ভাইয়ার "চা,কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" বইটা যে কারোর সারাজীবন সংগ্রহে রাখার মতোন একটা বই। আশা করছি এর ইন্টারন্যাশনাল কপি বেরোবে। নীতি, থিউরী সমস্তকিছু ভাইয়া উপমা,গল্প,রসাত্মক ছবি দিয়ে সাজিয়েছেন। কোয়ান্টাম ফিজিক্সের প্রতিটা পর্যায়ে টাচ করে করে যাওয়া হয়েছে। কণা হয়েছে কামানের গোলা। প্রথমতো "চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" একটা প্রচন্ড রকমের ইনফরমেটিভ, অ্যাক্সপেন্সিভ বই। বই সম্পূর্ণ শেষ করার পরেও গত দুদিনে আমি তিনবার করে পড়েছি! যতোবার শেষ হয়েছে, সূচিপত্রে একবার চোখ গেলেই মনে হয়েছে কোনটা যেনো আমি স্কিপ করেছি। আবার পড়েছি। বই পড়তে গিয়ে একসময় মাথা ব্লার্ডও হয়ে যেতে পারে, ইনফরমেশনের দিক দিয়ে টপ মোস্ট রিচ। বই এক বসায় পড়ে ফেলার দরকার নেই। ভাইয়া চা পানের বিরতি রেখেছেন। সেটা জরুরী। সবচে জরুরী এসএসসি লেভেলের বাচ্চাদের দিয়ে এই বই পড়ানো। বেইজ টা মজবুত হোক। তবে প্রিকশোনারী কথা হচ্ছে, ওদের অবশ্যই খাতা-কলম নিয়ে বসাটা প্রেফারেবল। নতুন কিছু শিখতে হলে তাই করতে হয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনেক স্পাইসি খাবার। সবার খাওয়া হতে হলে যা করতে হয়, ভাইয়া সেটাই করেছেন। এমন বইয়ের কোটা ফাঁকা ছিলো, সেই শূন্যস্থানটা চোখে পড়াতেই ভাইয়ার এটা নিয়ে লেখা। বইতে শুরুতেই ভাইয়া এক ধাক্কায় সমীকরণ/থিউরী নিয়ে বসেন নি। শুরু হতেই মনে হয়েছে এর পর কী এর পর কী। আমার পুরোটা সময় কিছুতে ডুবে আছি মনে হয়েছে। কখনো বোঝা যায়নি এই গল্প দিয়ে এই টপিক বোঝানো সম্ভব, গল্প পড়তে গেলে খেয়াল থাকেনা কি পড়ছি, কি নিয়ে পড়ছি কিন্তু একেকটা গল্প শেষ হতেই টপিকও শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাইয়া শুরু থেকে শেষ ধরে ধরে এগিয়েছেন। খুব সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও টাচ করেছেন, যেমন, কম্পাঙ্ক, মহাকর্ষ, ইলেকট্রন-পজিট্রন হোল, তরঙ্গের নোড-অ্যান্টিনোড। সমস্ত কিছুতে বোঝাতেগিয়ে ভাইয়া গল্প টেনে এনেছেন। ধরে ধরে সাইন কার্ভ রেডী করা হয়েছে। আস্তে আস্তে তরঙ্গের সমীকরণ সাজানো হয়েছে সবাইকে নিয়ে বসে। একবার পড়ে রেখে দেয়ার মতোন বই তো না ই, বইয়ের একটা গল্প আবার একটা পাতায় কিংবা একটা চা পানের বিরতিতে শেষ হয়ে যায়নি। বারবার ঘুরে ঘুরে এসেছে, যেভাবে বিজ্ঞান আমাদের জীবনে আষ্টেপৃষ্ঠে ফিরেফিরে রয়েছে। এমনটা নয় যে শুধু বিজ্ঞান নিয়ে পড়া কেউ ই এই বই পড়বে। পপ সায়েন্স নয় আবার সমীকরণ আর তত্ত্ব দিয়ে ঢালাই করে দেয়া কোনো বইও নয়। সায়েন্স ফিকশনও যে নেই, সেটাও বা কেনো বলছি! পার্টিকেল পার্ট টা আমার পুরোটা থ্রিলার অর্থাৎ রমাঞ্চের (বাংলায় বলতে মন চাইছে) মতো কেটেছে। বইয়ের একটা দেখার মতোন টুইস্ট হচ্ছে, একইসাথে কেউ একাডেমিক এবং ন্যাচর্যাল ফিজিক্সের জন্য বইটা পড়তে পারে। তবে সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে, শুধু ফিজিক্সের জন্যই বা কেনো পড়বে। বিজ্ঞান রহস্য। কি, কেন, কিভাবে ছাড়া বাস্তবিক জীবনতো সম্ভব নয়। . তাপমাত্রা বাড়ালে ওই ম্যাক্সিমামটার মান আরো বাড়ে, হয়তো আরো বেশি কম্পাঙ্কের জন্য শক্তি ম্যাক্সিমাম হয়, কিন্তু একটু পর কমতে থাকে। ঠিক যেন, কোন এক আশ্চর্য কারণে, তুমি ১০০ টাকার নোটে মোট যত টাকা নিতে পারছ, ৫০০ টাকার নোটে সেটা পারছ না। কি হতে পারে কারণটা? . যে চোর দুই ফুট পুরু টাইটেনিয়ামের দেওয়াল ভেদ করতে পারে সে বস্তার ভেতর ঢুকে কেন আলু বের করতে পারলো না, এই চিন্তা দুই একবার মাথায় এসেছিল আক্কাস আলীর, কিন্তু চিন্তা করে খুব একটা লাভ হলো না। .বিজ্ঞানী অটো স্টার্ন বোরের মডেলের ঘোর বিরোধী। তিনি খুবই সিরিয়াস টাইপের নো ননসেন্স বিজ্ঞানী। তাঁর সাথে সমসময় একটা হাতুড়ি থাকে। যন্ত্রপাতি কথা না শুনলে হাতুড়ি দিয়ে ভয় দেখান। স্টার্ন এবার রেডি হলেন বোরের মডেলকে ব্রেক করার জন্য। সাথে তাঁর সহকারী গার্ল্যাক। অটো স্টার্ন হাতুড়ির বাড়ি মারলেন। ভেঙ্গে গেলো প্যান্ডোরার বাক্স। বের হয়ে আসলো দানব! . অটো স্টার্ন এখন মহাকাশচারী, তাকে পাঠানো হয়েছে নতুন এক সৌরজগতে। উদ্ভট কিছু একটা হয়েছে এখানে, কেউ ঠিকমত ধরতে পারছে না। স্টার্ন ঘুরে ঘুরে দেখলেন। এই ওই গ্রহে নামলেন। খটকা লাগাটা আরো বারলো। কি এক অদ্ভুদ কারণে সবগুলো গ্রহ একই রকম দেখতে। হুবহু একই রকম। তাঁর চেয়ে বড় কথা, কি কারণে জানি সবগুলো একই অক্ষ বরাবর ঘুরছে। Z অক্ষ বরাবর। . ইনফ্লেশানের ফলে জন্ম একেকটা শিশু মহাবিশ্বে একেক রকম নিয়ম। তাদের কারো কারো নিয়ম কানুন হয়তো আমাদের মত। এই শিশু মহাবিশ্বগুলোর কেউ কেউ অনেকদিন বেঁচে থাকে। তারা বড় হয়। তাদের গর্ভে নক্ষত্রের জন্ম হয়। সেই নক্ষত্রের চারপাশে কখনও হয়তো কোন অনুজ্জ্বল নীল সবুজ গ্রহতে প্রাণেরও আবির্ভাব ঘটে। ইনফ্লেশান যদি চিরদিন চলতে থাকে, তাহলে, আরও একদিন, অন্য কোন মহাবিশ্বে, হুবহু তোমার মতো একজনের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... চা-কফির কোয়ান্টাম মেকানিক্সে আমার হারিয়ে যাওয়া কয়েকটা জায়গা তুলে ধরেছিলাম। চা-কফিতে আইন্সটাইনের জেনারেল রিলেটিভিটির "বিস্তারিত" আলোচনাটা শুধু রাখা হয়নি, ওটা ভাইয়ার গত মেলার "বিজ্ঞানে অজ্ঞান" বইতে রয়েছে। অনেকে বলবেন বইতে ইন্টারমিডিয়েটের অনেক টপিক রাখা হয়েছে। একটু বুঝে শুনে বলা উচিত! এটাতো সত্যিই যে ইন্টারমিডিয়েটে প্রায় অধিকাংশ জিনিসই টাচ করানো হয়, সেটা হোক এক লাইনে কিংবা এক সমীকরনে :”( শেষ করবো ভাইয়ার একটা কথা দিয়ে, "যখন বুঝতে পারবা তোমাকে হেল্প করার কেউ নেই, একটা আশ্চর্য সুন্দর জানালা তোমার সামনে ওপেন হবে।" বই শেষ হয়েছে। এতোবার পড়েও আমার শেষ হয়নি। আসলেই কি কোয়ান্টাম মেকানিক্স সবার জন্য নাহ? ব ই টা প ড়ে আ সি