User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By King's Of Roy

      12 Apr 2012 06:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবি ও কবিতা দুটো শব্দের মাঝে সাদৃশ্য থাকলেও কবি ও কবিতা এক নয়। কবি ও কবিতা ভিন্ন দুটি জিনিস। কবি শব্দ গেঁথেই রচনা করেন কবিতা, আর কবির হাত থেকেই জন্ম হয় কবিতার। সেটা ভিন্ন ভিন্ন রুপ ও মাত্রা নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে। কালের আবর্তনে কবি ও কবিতার ভাব ক্রমাগত ভাবে পরিনত হয়ে এসেছে। বদলে গেছে কবিতার পূর্বরূপ এসেছে নতুন ধারা। বর্তমানে যে কবিতার ধারা চলছে তাকে শূন্য দশকের কবিতা বা সম-সাময়িক কবিতা বলা যায়। শূন্য দশকের কবিতা বহু বর্ণিল ও বহুরূপ নিয়ে পাঠকের চোখে ধরা দিয়েছে ৫০ থেকে ৭০ দশকের কবিতা থেকেও কবিতায় নতুন মাত্রা প্রকাশ পেয়েছে যদিও অনেক অতীত কবিরা মনে করেন শূন্য দশকের অনেক লেখকরা কবিতাকে অতি মাত্রায় রঞ্জিত করে ফেলেন সেটা কিছুটা সত্যি হলেও পুরোপুরি যে নয় সেটা বর্তমান সময়ের কবিতা পড়লেই বুঝতে পারি। সম-সাময়িক কবিতাগুলোর বেশির ভাগই অক্ষরবৃত্ত মাত্রায় লেখা হয় এবং অনেক নতুন লেখকরাই তাদের লেখনিতে উপমা আর নতুন শব্দপ্রয়োগ করে বর্তমান কাব্য ভূমিতে নতুন নতুন চারা রোপন করে চলেছেন। দুর্বোধ্য শব্দরা আজও। আছে শূন্য দশকের কবিতার মাঝে তাদের উপস্থিতি বিরাজমান আর এ জন্যই কতিপয় কবি বা পাঠক সমাজ ব্যাতিত এখনো অনেকেই কবিতা এড়িয়ে চলে। সহজ কবিতা হলো বন্ধুর মতো। আজ আলোচনায় থাকছে সেই রকম সরল ভাষায়, সরল আঙ্গিকে মুখরোচক কিংবা আবৃত্তি করবার মতো কবিতার বই “মেঘ হয়ে যাই”। এবারের বইমেলায় নন্দিতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাবরিনা সিরাজী তিতিরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ মেঘ হয়ে যাই। বইটির প্রকাশক ভবো রঞ্জর বেপারী। লেখিকার এটিই প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। যদিও কাব্য ভুবনে তিনি নতুন লেখিকা তবে বর্তমান সময়ের বাংলা ব্লগগুলিতে তার পদচারনা শুরু হয়েছে অনেক আগে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটিতে নির্বাচিত কবিতা গুলোর বেশির ভাগই অক্ষরবৃত্ত পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্য যে কবিতা গুলো আছে তা হলোঃ মেঘ হয়ে যাই, বায়োস্কাপ, ডাকো প্রিয় নামে, সম্পর্ক, ফিরে যাওয়া, স্পর্শের আকাঙ্খা, একটা গোপন কথা, আড়াল, মন-বাড়ি, ইচ্ছে তোমার, তোমার আকাশে তোমায় ছুঁই, ছায়ামেঘ, ফ্রেম, এক প্রহরের বেনীমাধব হবে, দুঃখ যাবে সুখের নিমন্ত্রণ ইত্যাদি। প্রায় প্রত্যেকটি কবিতাতেই রয়েছে আন্তরিকাতর ছোয়া। যারা সরল কবিতায় চোখ অর্পন করতে চান কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ এড়িয়ে কবিতা পাঠে আনন্দ লাভ করতে চান তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে একটি উত্তম কাব্যগ্রন্থ। শুধু বর্তমান সময় নয় আশি কিংবা নব্বই দশক থেকে কিংবা তারও পূর্বে লক্ষ করা যায় পাঠক ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কবিতা পাঠ কিংবা আবৃত্তি করতে আগ্রহী সেরকম কিছু কবিতা সহ এই বইটিতে রয়েছে, প্রেম, শৈশব,স্মৃতিচারণ, বন্ধুকথন বা ভাবের মহিমায় নিয়ে বেশ কিছু কবিতা। লেখিকার কাব্য রচনায় সুনিপুণ প্রচেষ্টা ছিল। নিম্নে সেইরকম একটি কবিতাংশ উল্লেখ করা হলো। তুমি আমায় একটা শব্দ দেবে কিংম্বা একটা অক্ষর তোমায় একটা উপন্যাস দেবো। কপালে টিপ পড়তে ইচ্ছে করছে তোমার পাঞ্জাবির একটা ভাঙা বোতাম দেবে? তুমি আমায় একটা নিঃশ্বাস দেবে কিম্বা একটা পায়ের ছাপ? তুমি আমায় একবার নীরা ডাকবে? কথা দিচ্ছি সুনীলকে ভুলে যাবো তুমি চাইলে জীবনানন্দকেও আর ভালোবাসবো না। (এক প্রহরের বেনীমাধব হবে?) কবিতায় লক্ষ করা যায় লেখিকা স্বতন্ত্র কাব্যভূমি নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। কিছুটা নতুনত্ব আনতেই পাঠকে সচকিত করে তুলেছেন। কবি তার কবিতায় কখনোবা নিজস্ব আবেগ বা অনুভূতির এক দৃশ্যকল্প সৃষ্টি করেছেন তাই তিনি লিখেছেন আকাশ তোমায় ছুঁয়ে থাকার তৃষ্ণায় এক দুপুরে সবার চোখ এড়িয়ে আমি মেঘ হয়ে গেলাম। বক সাদা, ধূসর বা আঁধার কালো সাজে, তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে আমি মেঘ হয়ে যাই। (মেঘ হয়ে যাই) জীবন পথের এই আঁকা বাকা নদীতে আমাদের পথচলা। আমাদের কথা জমে থাকে স্মৃতির পুকুরে আর সেই পুকুর থেকেই নেড়েচেড়ে শব্দ দিয়ে কবিতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাক্যের খেলা। কবিতাগুলো মনে রাখার মতো। এই বইয়ের কিছু লাইন পাঠককে খুব সহজেই দৃশ্যকল্পে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। সেরকম একটি কবিতা তুলে দিচ্ছি মুগ্ধ হয়ে থাকতাম, পুরুষের প্রথম স্পর্শের শিহরণে কীর্তনখোলার কালো শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতো। একসময় আমি পরাজিত হলাম, নদীটা আমায় ভুলে ভালোবাসলো সাগরকে বছর যায়; প্রেম এড়িয়ে চলে আমায়, কিংম্বা আমি প্রেমকে। কলেজে ফেরার পথে একদিন তোমায় দেখি, পায়ের চটি ছিড়ে কি বিব্রত তুমি! (বায়োস্কোপ) কবিতায় ফুটে উঠে জীবন, যৌবন, প্রেম দুঃখ কষ্ট ও স্মৃতি। কবিতা অনেকটা জীবন আয়না যেখানে সবকিছুরই ছবি ভাসে জীবনের প্রতিবিম্ব হয়ে আর তাই বিভিন্ন সময়ের উঠে আসে ভিন্ন ভিন্ন দিক। প্রতিষ্ঠিত কবিদের সব কবিতাই কি আমাদের ভালো লাগে? ভালো লাগে না হয়তো! যেসব কবিতা ভালো লাগে সেসব ভালোলাগা অনেকের সাথেই মিলে যায়। লক্ষ করা যায় সেসব কবিতার বেশির ভাগই কিন্তু সহজ-সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় রচনা করা। তাই সকলেরই কাছে সুবোধ ভাবে ধরা দিতে পারে তাই বলে আমি বলছি না দুর্বোধ্য ভাষায় কবিতা রচনায় পাঠক প্রিয়তা হয়না হয়, তবে সেটা লেখক বা কবি গোত্রেই লেগে থাকে গায়ে গায়ে। সহজ কবিতা পাঠকের মুখে মুখে ফেরে। যেমন কবি আবুল হাসানের নিঃসঙ্গতা কবিতার কথাই বলি – অতটুকু চায়নি বালিকা/ অত শোভা অত স্বাধীনতা/ চেয়েছিল আরো কিছু কম, আয়নার দাড়ে দেহ মেলে দিয়ে/বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল/ মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক এই কবিতাটি অনেকরই প্রিয় কিন্তু যদি এই কবিতাটি এইভাবে লেখা হতো- বালিকা চেয়েছিল আকাশ মতন স্বপন/যেমনটা বিস্তৃত হয়ে পড়ে থাকে নিদ্রামগ্ন অজগর/যার চোখে ভাসে স্থলনের দৃশ্যকল্প/ জাপটে ধরা মানব কিংবা মানবী তাকে সহবাসের পূর্নাঙ্গ প্রয়াস দিতে প্রস্তুত/ তাহলে হয়তো এই কবিতা শুধু পাঠই করা হতো মনে রাখা আর হতো না। তাই বলে এই নয় যে এটা কাব্য রচনা হলোনা, হলো তবে সেটা পাঠকের হৃদয়ে গেল না। পাঠকের কথা ভেবেই যে কবিরা কবিতা লিখেন তা কিন্তু নয়। অনেকে নিজের মেধা ফুটিয়ে তুলতে কিংবা নিজের ভেতরকার কল্পদৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে কিংবা বইয়ে পড়া কোন পশ্চিমা কবিতা অনুকরণ করেও লিখে থাকেন। যেসব কিছু কিছু কবিতায় কঠিন বাক্য বিশিষ্ট ঘোর লাগানো থাকে অনেকেই আবার সেটাকে রুপক ধর্মী কবিতা বলে অভিহিত করেন। এই রকম কবিতাকে অনেক পাঠকই সরীসৃপ ভেবে এড়িয়ে যান কিন্তু এই কাব্যগ্রন্থে লেখিকা সেই ভয় দুর করতেই সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন জমানো কথামালা স্বপ্ন কিনবে? আমি স্বপ্নের ফেরিওলা অনেক রকম স্বপ্ন আছে যার যেমন খুশি নিতে পার (মনবাড়ি) কাব্যগ্রন্থে বিভিন্ন রকমের কবিতা দিয়েই যে সাজানো সেটা প্রথমেই বলা হয়েছে। তাই লেখিকা তার শৈশব ,কৈশর আর যৌবনের রোদ মাখানো কিছু কবিতাও এই কাব্যগ্রন্থে রেখেছেন যেমন ছেলেবেলায় স্বপ্নগুলো কতোই না ছোট ছিল ফেরিওয়ালা হওয়ার খুব ইচ্ছে হতো, কখনো বাদামওয়ালা কিম্বা কুলফিওয়ালা। একটা ঠেলা গাড়ির কি যে শখ ছিল। (ফিরে যাওয়া) অবাক বিষয় এক চৈত্রমাসেই তোমার চোখ আমার সর্বনাশ দেখেছিলাম। ন্যায় অন্যায় ভুলে ওই চোখে হারিয়ে গিয়েছিলাম যে চোখ তোমার মনের আয়না ছিল। (চোখের মায়া) মেঘ হয়ে যাই কাব্যগ্রন্থে লেখিকার বিভিন্ন অনুভুতি গুলোই আমরা কবিতায় দেখতে পাই। স্মৃতি কবিতা লেখার একটা সহায়ক, সেটা শৈশব হোক আর বার্ধক্যেই হোক। কবিতায় জীবনের আশা কিংবা ব্যর্থতা ফুটিয়ে তোলা হয়। কবিতায় গেঁথে দেয়া হয় মুখে না বলতে পারা কথাটি; যেমন করে একান্ত কষ্ট গুলো মিশে যায় জীবনের অপ্রাপ্তির মাঝে। কবিতায় মিশেল খায় অনেক কিছু। কেউ কেউ হয়তো মন খারাপের দিনে ভেবে বসেন যদি এক আকাশ বিষণ্নতাকে শীতল কোন সমুদ্রে স্নান করানো যেত তাহলে কেমন হতো? এই কাব্যগ্রন্থে লেখিকা হয়তো সেরকম কিছু ভেবেই লিখেছেন, দু’চোখে বৃষ্টি নিয়ে অরণ্যে একা আমি, চট করে মুভটা লুকোই। আকাশকেও ভয় ও যদি জেনে যায়। আজ আকাশ যেন কেমন অচেনা সুদূর- মেঘেরা কি নিলো আড়ি? (স্পর্শের আকাঙ্খা) আরো একটি কবিতার নাম করা যেতে পারে, কবিতাটি হলো “ছায়ামেঘ” -ছায়ামেঘ শব্দটা শুনেছি অনেকবার/ ভাবিনি তেমন করে/ মনে পড়ে একদিন বলেছিলে/ ভালোবেসে ছায়ামেঘ হয়ে ছুঁয়ে থাকবে দুর থেকে/ হাজার কবিতার চরণে চরণে জমে আছে বিভিন্ন কবি ভিন্ন ভিন্ন রকমের অনুভূতি। পুরোনো সেসব অনুভূতিকেই ঘসে মেজে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় পরস্পর কবিরা তাদের রচনায়। সমকালীন লেখায় তেমনি ফুটে উঠেছে পূর্ব কাব্যভূমি আলপনা, হয়তো বিষয়বস্তু অনেকাংশে সেরকম থাকলেও কবিতায় ভাষা বা শব্দের ব্যবহার বদল হয়। হয়তো কেউ কেউ সেখানে নতুন বাক্য যুক্ত করে বিস্তৃত করেন কিংবা কেউ দীর্ঘায়িত বিষয় বস্তু সংক্ষেপিত করেন। সেই রকম বেশকটি কবিতা এই কাব্যগ্রন্থে দেখা যায়। এই প্রথম সুখের কাছ থেকে নিমন্ত্রণ পেলো দুঃখ প্রিয় দুঃখের আমার কাছেই বায়না-সাজিয়ে দিতে হবে। কি দিয়ে সাজাই? কিসে সুন্দর লাগবে দুঃখকে? বন্ধূদের মাঝে কিছু উপহার পেয়েছিলাম, কিছু পাওনাও ছিল সব দিয়েই সাজাবো তোমার মেয়ে। (দুঃখ যাবে সুখের নিমন্ত্রণে) সমকালীন কবিতায় যে জটিলতা থাকে তা অনেকেই বুঝতে চাননা কিংবা উপলব্ধিতে যান না। যারা লিখেন তারা বলেন যে এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে কবিতাটি দেখলে জটিলতা থাকে না। প্রত্যেক লেখককই আলাদা আলাদা মাত্রায় কবিতা উপস্থাপন করে থাকেন। যে কবিতা আমার কাছে ভালো লাগে সেটা অন্য কারও কাছে নাও লাগতে পারে! তাছাড়া আমি ভালো কবিতা বলতে আসলে কি বুঝি? ভালো কবিতা আমার দৃষ্টিতে কোনগুলো? কবিতায় ভাবার্থ ঠিক থাকা, সরল উপস্থাপন, অযথা শব্দের প্রয়োগ না করা, একটি বিষয়বস্তুতে শুরু করে বিভিন্ন সমীকরণে কবিতা শেষ করা, কবিতার মাঝ পথে খেই হারিয়ে যাওয়া কিংবা শব্দজটে কবিতার ভাবার্থ গুলিয়ে ফেলা নাকি রুপক কবিতার নামে গরু ঘাস খেতে আকাশে চলে যাওয়াটা মানতে না পারা? কোনটা? পূর্ব কবিগন হয়তো বলবেন বর্তমানে বইমেলায় সম্পাদনা বিহীন কবিতার বই প্রকাশ করা হচ্ছে দেদারসে। আর এটা নতুন কবিদের জন্য কতাটা সুফলদায়ক হবে সেটা বলা মুস্কিল অনেকে আবার বলেছেন বর্তমানে নব্য লেখকরা এক রকম কাব্য প্রলাপে আগ্রহী হয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থে লেখিকা প্রলাপমুক্ত বা সহজ চিন্তায় কিছু কবিতা রচনা করেছেন তারই নমুনা: জড় পদার্থের মতো ফ্রেমে বন্দি জীবন আমার। নিখুঁত কারুকাব্যময় একটা ফ্রেম, মনে আছে এক সন্ধায় অনেক ঘুরে ফ্রেমটা কিনেছিলাম। কিছুতেই তোমার মনের মতো হচ্ছিলো না। (ফ্রেম) কবিতা হতে পারে সাধারণ পাঠকের জন্য বন্ধুর মতো। কবিতা হতে পারে মুখরোচক কোন ডায়লগ কিংবা কবিতা হতে পারে সরল আবৃত্তি করা কোন এক উপাখ্যান। কবি যদি নিজস্ব স্বকীয়তায় শব্দভান্ডার নিয়ে কবিতা সাজিয়ে তুলেন তাহলে পাঠক জয় করা অসম্ভব কিছু না। এবার এই কাব্যগ্রন্থের অন্যরকম কিছু দিকের কথা বলি। এখানে প্রকাশিত সবগুলো কবিতাই যে আপাত দৃষ্টিতে পরিপক্ক তা কিন্তু নয় কিছু অপরিপক্বতার ছাপও রয়েছে যেমন লক্ষ করা যায় নিচের কবিতায় মরে গেলে মানুষ নাকি তারা হয়ে যায়?/ আমি দূর আকাশের তারা হয়ে যাবো,/ তারপর কেমন করে লুকাবে তোমায়? খুব তো পারছো বীর পুরুষ আমার। লেখিকা হয়তো আরেকটু মনযোগ দিয়ে কিছু উপমা প্রয়োগ করে এই কথামালা দিয়েই রচনা করতে পারতেন আরো সুন্দর কবিতা। তো যাই হোক পরবর্তী সময় হয়তো আরো সুস্পষ্ট পরিপক্কতা কিংবা কবিতায় নতুনত্ব আমরা দেখতে পাবে। মেঘ হয়ে যাই কাব্য গ্রন্থটিতে পাঠক ভালো লাগা খুজে পেতে পারে সহজেই তবে প্রতিথযশা কবিবৃন্দ স্বার্থক কাব্যগ্রন্থ বলে ভাবনার আকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আলতো করে বলবেন চির সত্যিও সেই কথাটি আরো কবিতা পড়ো কবিতা ভাঙ্গো কবিতা গড়, তাহলে বিভিন্ন দিক থেকে কবিতা পড়ে নিজেই নিজের কবিতার ভুলগুলো দেখতে পাবে। কবিতায় শব্দপ্রয়োগে পাঠককে সচকিত করে তুলতে পারলে কিংবা কবিতায় নিজস্ব একটা স্টাইল বা রীতি প্রয়োগ করে সফল হতে পারলে কাব্য নগরে কাব্যিক বাসিন্দা হয়ে থাকা সম্ভব। এই কাব্যগ্রন্থে কবিতার পাশাপাশি একটা সংলাপ ধর্মী কবিতাও আছে এছাড়া রুপক, মাত্রাবৃত্ত, ও গদ্য ধর্মী কবিতাও বিদ্যমান। পরিশেষে বলা যায় লেখিকা প্রথম কবিতার বইয়ে যতখানি অনুভবনীয় কাব্য উপহার দিতে পেরেছেন আশাকরি ভবিষ্যতে আরো পক্ক বিম্ব হৃদয় ছোঁয়া লেখা দিতে সক্ষম হবেন। বইটির সফলতা কামনা করি ও সেই সাথে কবি প্রেমী বা যারা নতুন কবিতা লিখতে শুরু করেছেন তাদেরকে আহবান জানাই মেঘ হয়ে যাই বইটির মতো আসুন এই কাব্যগ্রন্থে একটিবার ডুব মেরে মেঘে হয়ে যাই।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!