User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: অলিভার টুইস্ট লেখক:চার্লস ডিকেন্স প্রকাশন: ঝিনুক প্রকাশনী ধরণ: শিশুতোষ/জীবন ভিত্তিক প্রথম প্রকাশকাল: ১৮৩৮ সাল মূল্য: ১০২৳ পৃষ্ঠা: ৮০ কাহিনী :এক দরিদ্র অনাথ বালক।জন্ম দিয়েই না এর মা মারা যান। এহল সেই বালক যার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা অনাথাশ্রমে। অবর্ণনীয় কষ্টে দিন পার করেছে সে। না খাওয়া, নাএত টুকু শান্তি। সেই ছেলেটির শৈশবের একটা ভাগ কাটলো নিষ্ঠুর, নির্দয় মহিলা, মিসেস মান নামে এক প্রৌঢ়ার কাছে। যে কজন শিশুদের রাখতেন নিজের কাছে কিন্তু কি অসীম কষ্টের মধ্যে যে রাখতেন তার বর্ণনা দেয়া যাবেনা!ওদের বয়সের তুলনায় খাবার খুব নগণ্য। মাস দুয়েক বয়স থেকে সেই।বাচ্চা ছেলেটি আর কজন শিশুর মতই এইখানে। ন'বছর পূর্ণ হওয়ার পর মিসেস মানের কাছ থেকে অনাথ আশ্রমের লোক মি. বাম্বল, অত্যাচারের আরেক মাস্টার পিস, এসে নিয়ে যায় ছেলেটিকে এক দোযখ থেকে আরেক দোযখ। নানা ঘটনার পর, ছেলেটি গিয়ে পড়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফ্যাগিন এর খপ্পরে। এর পর আরেক জন।সাইকস, বিল সাইকস নমুনা একটা শয়তানের। সবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বালক, জীবনের শেষ আশা নিশ্চিহ্ন প্রায়।এমনি মি. ব্রাউন নামের এক দয়ালু লোক, মরণাপন্ন অসুস্থ বালক কে পেয়ে যান। নিয়ে যান নিজ বাড়িতে। সেই বাড়ির এক ছবির এক মহিলাকে দেখে চমকে ওঠে ছেলেট। কার ছবি?? চমকালো কেন?? আবার ভাগ্যের খেলায় হেরে বালক ফিরে যায় দুঃসহ জীবনে। সে কি পারবে সুস্থ জীবনে ফিরতে? এই বালক স্যালি বুড়ি আর হাতুড়ে ডাক্তারের সেবার গুনে বেচে ওঠা, অলিভার, অলিভার টুইস্ট। পাঠ-প্রতিক্রিয়া: পাঠ প্রতিক্রিয়া বলার আগে একটা কথা বলি, তা হল এই অলিভার কিন্তু লেখক চার্লস ডিকেন্স এরর নিজের জীবনের উপর ভিত্তি করেই লেখা। আসলে লেখা পড়লে খুব খারাপ লাগবে আপনার নিজের কাছেই। প্রশ্ন জাগবেই কি করে মানুষ এত নির্মম হতে পারে?? আমাদের আশেপাশে হআজআজারো অলিভার আছে, আবার সাইকস, ফ্যাগিনের মত খারাপ মানুষ ও আছে। আর কোনো অলিভারের যেন এত কষ্ট করতে না হয় একটা সুন্দর শৈশব পাক। অনুবাদ বেশ সাবলীল লেগেছে,যেহেতু আমি পিডিএফ পড়েছি, সেটার প্রকাশন ছিল না বলে রকমারি সার্চে আসা একটা বই এর লিংক এইখানে দিলাম। রেটিং :৫/৫ রকমারি : https://www.rokomari.com/book/99087/অলিভার-টুইস্ট
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ অলিভার টুইস্ট লেখকঃ চার্লস ডিকেন্স ধরনঃ শিশু কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ ঝিনুক প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ১৮৩৮ পৃষ্ঠাঃ ৯৫ রকমারি মুল্যঃ ৯১টা সারা বিশ্বে সাড়া জাগানো একটি কিশোর উপন্যাস অলিভার টুইস্ট । চার্লস ডিকেন্সের প্রায় সব উপন্যাস পাঠক মহলে দারুন সমাদৃত। তবে অলিভার টুইস্টের কথা সম্পুর্ন আলাদা। কেননা তাতে তার বাল্য জীবনে চাপ আছে। চির দুঃখী বালক অলিভারের দুঃখ গাথা পড়ে চোখের পানি ফেলেছেন সব বয়সের পাঠক। সমাজের এমন এক চিত্র বইতে ফুটে উঠেছে যা আমরা প্রতি নিয়ত দেখছি আর অবজ্ঞায় অবহেলায় এড়িয়ে যাচ্ছি। তাই সচরাচর ঘটমান এই করুন দৃশ্যগুলো পাঠকের মনে দাগ কেঁটে যেতে বাধ্য । #কাহিনী_সংক্ষেপঃ একশো বছর আগের ইংল্যান্ড। এক নিশুতি রাতে লন্ডন শহরের সত্তর মাইল দূরে জনমানবহীন রাস্তার উপর সঙ্গীহীন এক তরুণী দৃশ্যায়িত হয়। যাবে হয়তো কাছাকাছি কোনো বড় শহরে। কিন্তু পায়ে হেঁটে অনেক পথ অতিক্রম করে আসাতে হঠাৎ মাঝ রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পরে যায়। তখন কোনো একজন তাকে তুলে নিয়ে কাছের এক এতিমখানায় রাখে এবং সেখানে এক ছেলে শিশুর জন্ম দিয়ে মারা যায় তরুণীটি। তরুণীটির মৃত্যুর সাথে সাথে শিশুটি তার জন্ম পরিচয় হারিয়ে অলিভার টুইস্ট নাম ধারন করে এতিমখানাতেই অযত্নে আর অবহেলায় বড় হতো থাকে। অলিভারের বয়স যখন নয় বছর তখন তাকে মিঃ বাম্বল নিয়ে যায় এতিমখানার প্রধান কেন্দ্রে। সেখানের অবস্থা ছিল আরো শোচনীয়। বেশি পরিমাণ খাবার দিলে এতিম বাচ্ছারা নাকি অলস আর বেয়ারা হয়ে উঠে তার জন্য প্রতিদিন এক হাতা লপসি দিত। একটু বেশি চেয়ে খাওয়ার সাহস ছিল না কারো, যাতে করে প্রতিটা অনাথশিশু কঙ্কালসার হয়ে উঠেছিল পেঠের ক্ষুধার তাড়নায়। ফলে একদিন অলিভার সাহস করে এক হাতা বেশি লপসি চাইলে তাকে বেদম প্রহার করা হয় এবং এক কফিন ব্যবসায়ী মিঃ সোয়াবেরির হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সেখানেও অলিভারের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো না। মিসেস সোয়াবেরির তাকে একেবারে সহ্য করতে পারতো না বললেই চলে। ফলে সেখান থেকেও তাকে বেদম প্রহার খেয়ে বিতাড়িত হতে হলো। এক নাগাদ সাতদিন পায়ে হেঁটে শেষে অলিভার পৌঁছায় লন্ডনের শহরের কাছে । সেখানে গিয়ে কিশোর অলিভার অজ্ঞানতা বশত এক অসৎ চোরাকারবারি দলে প্রধান ফ্যাগিনের খপ্পরে পড়েন। এতে করে তার অারেক অঘটন ঘঠে। এক পর্যায়ে কিশোর অলিভার এক দয়াশীলা ব্যাক্তি মিঃ ব্রাউনলোর কাছে পোষ্য পুত্র রূপে আশ্রিত হয়। এবং সেখানে দেয়ালে টানানো একটা ছবি দেখে হতবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন.... এতেও অলিভারের ভাগ্যের বিড়ম্বনা দূর হয়নি....মুল কাহিনীতো ঘঠে তখনেই। তাহলে কি কিশোর অলিভারের জীবনে কখনো সুখের দেখা পাবে না?? আর মিঃ ব্রাউনলোর বাড়িতে সেই ছবিটাতে কি এমন ছিল যাতে কিশোর অলিভার বিস্মৃত হয়েছিলো? সহল প্রশ্নের জবাব আর মুল কাহিনীটা জানতে হলে তো আপনাকেই পড়ে ফেলতে হবে অলিভার টুইস্ট উপন্যাসটি। #পাঠপতিক্রিয়াঃ চার্লস ডিকেন্সের বই হিসেবে এটাই আমার প্রথম পড়া তার বই । আমি রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি ডিকেন্সের গল্প বলার ফাঁদ দেখে। কত সহজ সাবলীল ভাষায় যে একটা মানুষ একসাথে দুঃখ, ভালোবাসা আর রহস্যের বিস্তার ঘঠাতে পারে তা হয়তো এই ডিকেন্সের বই না পড়লে বুঝতেই পারতাম না। একটা অনাথ, অসহায় কিশোর ছেলের চরিত্রে যে কি কি বিপর্যয় ঘঠতে পারে তা অলিভার টুইস্ট পড়লে স্পষ্টত চোখের সামনে ভাসবে এবং নিজের মনের অজান্তে চোখের পাতা ভারি হয়ে যাবে তার আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি । উপন্যাসটি শুরু করার আগে ডিকেন্স কতগুলো কথা বলে গেছেন যা সকল স্তরের লোকের মাঝে সাড়া জাগিয়েছিলো তৎকালীন ইংল্যান্ডে। যার ফলে ইংল্যান্ডের লোকজনের অন্তদৃষ্টি খোলে গিয়েছিলো। চারদিক থেকে লোকজন অসহায়, অনাথ আর গরীব দুখী শিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছিলো এবং তৎকালীন ইংল্যান্ড সরকার অাইন করে শিশুদের উপর নির্যাতন বন্ধের ঘোষণা দেন। বইটাতে অনেক যুক্তিনিষ্ঠ উক্তি আছে যা প্রতিটা পাঠককে শিহরিত করবে। আমার ভালো লাগার কিছু উক্তিঃ ★ "রোজ বাড়তি আরেক হাতা লপসি না পেলে একদিন হয়তো পাশোর ঘুমন্ত ছেলেটাকে চিবিয়ে খাবো ।" ★ "যতদিন একটা অনাথ শিশু রাস্তায় উপোস হয়ে দিন কাটাবে, তত দিন জানবে তোমাদের জাতী, তোমার দেশ, তোমার রাষ্ট্র সত্যিকারের সভ্য হয়নি। "_ (পাঠকদের উদ্দেশ্যে চার্লস ডিকেন্সের উক্তি) #ব্যাক্তিগত_রেটিংঃ ১০/১০