User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই : অহনা। লেখক : মোহিত কামাল। মূল্য : ৩০০ টাক। পৃষ্ঠা : ১৮০। প্রকাশনী : বিদ্যাপ্রকাশ। প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ। #কাহিনী_সংক্ষেপ : বিয়ের প্রথম মাস যেতেই নিজের ভেতর এক নতুন আলোড়ন টের পায় অহনা। আনন্দঘন সেই খুশির খবর জানায় বর পাভেলকে। কিন্তু অহনার উচ্ছলতা আর উচ্ছ্বাস ছুঁতে পারেনা পাভেলকে। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে একবারো পিরিয়ড হয়নি অহনার। এই খবর মা কিভাবে নেবে তা ভেবেই দিশেহারা পাভেল। আর শাশুড়ি খবরটা শুনেই আচমকা প্রশ্ন করেন, "নতুন মুখ আসছে, নিশ্চিত তুমি? পিরিয়ড তো নানা কারণে বন্ধ থাকতে পারে। তাছাড়া শ্বশুরবাড়িতে এসে একবার হলেও তোমার পিরিয়ড হয়েছে, বুঝিনি তো!" অহনার বুঝতে বাকি থাকে না, যে মা ছেলে উভয়ের মনেই দানা বেঁধেছে সন্দেহের বীজ। তবুও অহনা হাল না ছেড়ে বোঝাতে চায়," শ্বশুরবাড়িতে এসে পিরিয়ড না হলে কি কনসিভ করা বউয়ের অপরাধ? " তবে মা ছেলে নিশ্চয়তা চায়। অহনার শাশুড়ি প্রশ্ন প্রায় করেই ফেলেছিলেন, "অনাগত সন্তান টি কি আমার ছেলের?" প্রশ্ন না করলেও তার মুখের অভিব্যক্তি দেখেই অহনা বুঝে যায়, অন্তরে গেড়ে বসেছে সন্দেহের বীজ। মা ছেলের বিষবাক্য আর চাউনিতেই অহনার হৃদয়ে ছোবল বসিয়েছে যেনো বিষাক্ত সাপ। সেই বিষ ছড়িয়ে পরেছে সারা দেহে, যন্ত্রণায় কাতর অহনাকে কেউ লক্ষ্যই করেনি। সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলা থেকে আরও ঘোলাটে হতে থাকে। অহনা পাভেলকে কল দিয়ে জানায়, "অভিনন্দন! তুমি বাবা হতে যাচ্ছো"। কিন্তু পাভেল বলে বসে, "তোমার পেটের সন্তান যে আমার, প্রমাণ দিতে হবে আমাদের কাছে!" কি করবে অহনা? অবিশ্বাস্যের চোরাবালিতে আটকে যাওয়া অহনা কি পারবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে? সমাজ-সংসারের বিষচক্ষু উপেক্ষা করে অনাগত সন্তানের জন্য পথচলা সুগম করতে পারবে কি অহনা? স্বামী ও শাশুড়ির অবিশ্বাসী আর নোংরা চিন্তার শিকড় উপড়ে ফেলে অহনা কি পারবে তার সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে? #পাঠপ্রতিক্রিয়া: "বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" হে বিদ্রোহী কবি, তুমি কি শুধু তোমার কবিতার শোভাবর্ধন করার জন্যেই রচিছিলে চরণদ্বয়? নাকি তুমি সত্য উপলব্ধি করেই লিখেছো এই বাণী!? "বিশ্বে যা কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর অর্ধেক তার নারী।" হে সাম্যবাদী কবি, তুমি কি সত্যিই স্পর্শ করতে পেরেছিলে এই চিরন্তন সত্যকে? নাকি তোমার কবিতাকে মহিমান্বিত করে তুলতেই, তোমার এই সাম্যবাদের বোধোদয় ? নরক কুন্ড বলিয়া তোমা’ করে নারী হেয় জ্ঞান? তারে বল, আদি-পাপ নারী নহে, সে যে নর শয়তান। ওহে কাণ্ডারি, তুমি যে সত্য অনুভব করেছো, করেছো সত্যজ্ঞান!তোমা পাঠক কেনে মানে না সে সত্য, করে নারীরে হেয় তুচ্ছজ্ঞান!? হে প্রিয় বিদ্রোহী তোমার সাথেই এখন আমার অখণ্ড অভিমান! আসলে বলার মত সন্তোষজনক কোনো ভাষাইই আমার জানা নেই। মানুষ এত্তটা নীচ আর হীন হতে পারে! ভাবলেও ভয় লাগে। কথায় বলে "চোরে মনে করে দুনিয়াই চোর।" যে যেমন সে অন্যকেও নিজের মত তেমন মনে করে। এই সত্যটাই ফুটে উঠেছে গল্পটাতে। তবে লেখক এত কঠিন একটা বিষয়কে এত সহজ আর সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে ; বিষয়টা নিয়ে ভাবার আছে, জানার আছে, শেখার আছে অনেক। আমার যা বলার আমি বিদ্রোহী কবিকেই বলে দিয়েছি। সকল পাঠককে বইটা পড়ার আমন্ত্রণ রইল। কেননা সমাজের নোংরা আর কুৎসিত দিকগুলা সকলেরই জানা থাকা প্রয়োজন। বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
মনোচিকিৎসক ও কথাশিল্পী ডা. মোহিত কামালের ভিন্ন রকম উপন্যাস ‘মন’। সাহিত্যের শব্দ গাঁথুনিতে তিনি ব্যবহার করেছেন মনস্তাত্ত্বিক উপদান। মনোবিজ্ঞানের কলকব্জায় চড়ে উপন্যাসের জীবনধারা বিস্তৃত হয়েছে, মনে সাহিত্য রচিত হয়েছে। ভালোবাসায় পূর্ণ জীবন ফাটল তৈরি হয়। বদলে যায় মনের গতি-প্রকৃতি। বিপর্যয় নেমে আসে, সুখি পরিবারের ভিত ভেঙ্গে যেতে থাক। ভুল বোঝাবুঝি, সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং ক্রোধের আগুনে পুড়তে থাক মন। পুড়তে থাক দেহ। ঝলছে যায় সামাজিক সমৃদ্ধি। বিয়ের একমাসের মাথায় অহনা আবিস্কার করে সে মা হতে চলেছে । কিভাবে বলবে এই খুশীর খবর পাভেল কে । অহনার যেন আর খুশী ধরে না । সকালে পাভেলের ঘুম ভাঙতেই অনেক আসা নিয়ে কথাটা সে বলেছিল । ভেবেছিল পাভেলও হয়তো তার মতো খুশী হবে । কিন্তু পাভেল যখন বলল এখন কাউকে বলার দরকার নেই এমনকি মাকেও না । কেন সমস্যা কি ? পাভেল বলল , সবাই ভাববে বিয়ের আগে তুমি গর্ভবতী ছিলে । এই কথাটা শুনার পর অহনা পৃথিবীটা যেন এক ঝটকায় আলাদা হয়ে গেল ।পাভেলের মা মানে অহনার শাশুড়ী ওকে তো নিজের মেয়ের মতো আদর করেন । এই একটা খুশির সংবাদ অহনা কে কঠিন বাস্তবতার মাঝে ঠেলে দিল । শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হয় মায়ের বাসায় । মায়ের কাছে ফিরে আসার পর যখন জীবনের কোন দিশা পাচ্ছিল না তখন আবার সে আবার ভার্সিটি তে ভর্তি হয় । নিজেকে কঠিন পরিস্থিতির জন্য তৈরি করে । অহনার মাকে ফোন করেন তার শাশুড়ি । জিজ্ঞেস করলেন , “ বিয়ের পূর্বে কি অন্য কার সাথে সম্পর্ক ছিল অহনার “। অহনা মা এই প্রশ্ন শুনে অনেক কষ্ট পান । তার মেয়ে তো কোন অপরাধ করে নি তাহলে কেন এই সাজা পাচ্ছে । তার সাফ জবাব ডিভোর্স দিতে চাইলে তারা দিবে । আমি দিব না । অনেকবার অহনার মা অহনাকে বুঝিয়েছেন এই বাচ্চা রাখার দরকার নেই ।দোষ করলে পাভেল করেছে , বাচ্চার তো কোন দোষ নেই । পাভেলের বিয়ের আগে একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সেটা তার মাও জানতেন । অহনা নিজের বাসায় চলে যাওয়ার পর সেই মেয়েটা আবার আসে ।পাভেলের ব্যাডরুমে তার সাথে কয়েকঘন্টা কাটায় । এই সব দেখেও পাভেলের মা চুপ । কিছু বলেন না । ভার্সিটিতে পড়ার সময় জয়ী নামের একাট মেয়ের সাথে অহনা বন্ধুত্ব হয় । জয়ী নিঃসঙ্গ একটা মেয়ে । বাবা- মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে তাই সে নানা – নানীর সাথেই থাকে । এই মেয়েটা কে অহনা অনেক পছন্দ করে । একজন আরেকজনের খবর রাখা । জয়ী প্রায় সময় অহনার বাসায় এসে তার কোলে মাথা রেখে ঘুমায় । তবে জয়ী নেশা করে আজেবাজে মানুষের সাথে উঠাবসা তার । এটা নিয়ে পাভেল জয়ী আর অহনা কে নিয়ে বাজে কিছু কথা ভার্সিটিতে ছড়ায় । এসব নিয়ে অহনার মাকে অনেকে অনেক কথা শুনিয়ে যায় । একটা মেয়ের নিজের সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাহিনী নিয়ে রচিত “অহনা” ।
Was this review helpful to you?
or
এই লেখকের লেখার ধারা টা অন্যরকম । মনে হয় যেন লেখক পাঠকের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন লেখার মাধ্যমে । বিয়ের একমাসের মাথায় অহনা আবিস্কার করে সে মা হতে চলেছে । কিভাবে বলবে এই খুশীর খবর পাভেল কে । অহনার যেন আর খুশী ধরে না । সকালে পাভেলের ঘুম ভাঙতেই অনেক আসা নিয়ে কথাটা সে বলেছিল । ভেবেছিল পাভেলও হয়তো তার মতো খুশী হবে । কিন্তু পাভেল যখন বলল এখন কাউকে বলার দরকার নেই এমনকি মাকেও না । কেন সমস্যা কি ? পাভেল বলল , সবাই ভাববে বিয়ের আগে তুমি গর্ভবতী ছিলে । এই কথাটা শুনার পর অহনা পৃথিবীটা যেন এক ঝটকায় আলাদা হয়ে গেল ।পাভেলের মা মানে অহনার শাশুড়ী ওকে তো নিজের মেয়ের মতো আদর করেন । এই একটা খুশির সংবাদ অহনা কে কঠিন বাস্তবতার মাঝে ঠেলে দিল । শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হয় মায়ের বাসায় । মায়ের কাছে ফিরে আসার পর যখন জীবনের কোন দিশা পাচ্ছিল না তখন আবার সে আবার ভার্সিটি তে ভর্তি হয় । নিজেকে কঠিন পরিস্থিতির জন্য তৈরি করে । অহনার মাকে ফোন করেন তার শাশুড়ি । জিজ্ঞেস করলেন , “ বিয়ের পূর্বে কি অন্য কার সাথে সম্পর্ক ছিল অহনার “। অহনা মা এই প্রশ্ন শুনে অনেক কষ্ট পান । তার মেয়ে তো কোন অপরাধ করে নি তাহলে কেন এই সাজা পাচ্ছে । তার সাফ জবাব ডিভোর্স দিতে চাইলে তারা দিবে । আমি দিব না । অনেকবার অহনার মা অহনাকে বুঝিয়েছেন এই বাচ্চা রাখার দরকার নেই ।দোষ করলে পাভেল করেছে , বাচ্চার তো কোন দোষ নেই । পাভেলের বিয়ের আগে একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সেটা তার মাও জানতেন । অহনা নিজের বাসায় চলে যাওয়ার পর সেই মেয়েটা আবার আসে ।পাভেলের ব্যাডরুমে তার সাথে কয়েকঘন্টা কাটায় । এই সব দেখেও পাভেলের মা চুপ । কিছু বলেন না । ভার্সিটিতে পড়ার সময় জয়ী নামের একাট মেয়ের সাথে অহনা বন্ধুত্ব হয় । জয়ী নিঃসঙ্গ একটা মেয়ে । বাবা- মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে তাই সে নানা – নানীর সাথেই থাকে । এই মেয়েটা কে অহনা অনেক পছন্দ করে । একজন আরেকজনের খবর রাখা । জয়ী
Was this review helpful to you?
or
এই লেখকের লেখার ধারা টা অন্যরকম । মনে হয় যেন লেখক পাঠকের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন লেখার মাধ্যমে । বিয়ের একমাসের মাথায় অহনা আবিস্কার করে সে মা হতে চলেছে । কিভাবে বলবে এই খুশীর খবর পাভেল কে । অহনার যেন আর খুশী ধরে না । সকালে পাভেলের ঘুম ভাঙতেই অনেক আসা নিয়ে কথাটা সে বলেছিল । ভেবেছিল পাভেলও হয়তো তার মতো খুশী হবে । কিন্তু পাভেল যখন বলল এখন কাউকে বলার দরকার নেই এমনকি মাকেও না । কেন সমস্যা কি ? পাভেল বলল , সবাই ভাববে বিয়ের আগে তুমি গর্ভবতী ছিলে । এই কথাটা শুনার পর অহনা পৃথিবীটা যেন এক ঝটকায় আলাদা হয়ে গেল ।পাভেলের মা মানে অহনার শাশুড়ী ওকে তো নিজের মেয়ের মতো আদর করেন । এই একটা খুশির সংবাদ অহনা কে কঠিন বাস্তবতার মাঝে ঠেলে দিল । শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হয় মায়ের বাসায় । মায়ের কাছে ফিরে আসার পর যখন জীবনের কোন দিশা পাচ্ছিল না তখন আবার সে আবার ভার্সিটি তে ভর্তি হয় । নিজেকে কঠিন পরিস্থিতির জন্য তৈরি করে । অহনার মাকে ফোন করেন তার শাশুড়ি । জিজ্ঞেস করলেন , “ বিয়ের পূর্বে কি অন্য কার সাথে সম্পর্ক ছিল অহনার “। অহনা মা এই প্রশ্ন শুনে অনেক কষ্ট পান । তার মেয়ে তো কোন অপরাধ করে নি তাহলে কেন এই সাজা পাচ্ছে । তার সাফ জবাব ডিভোর্স দিতে চাইলে তারা দিবে । আমি দিব না । অনেকবার অহনার মা অহনাকে বুঝিয়েছেন এই বাচ্চা রাখার দরকার নেই ।দোষ করলে পাভেল করেছে , বাচ্চার তো কোন দোষ নেই । পাভেলের বিয়ের আগে একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সেটা তার মাও জানতেন । অহনা নিজের বাসায় চলে যাওয়ার পর সেই মেয়েটা আবার আসে ।পাভেলের ব্যাডরুমে তার সাথে কয়েকঘন্টা কাটায় । এই সব দেখেও পাভেলের মা চুপ । কিছু বলেন না । ভার্সিটিতে পড়ার সময় জয়ী নামের একাট মেয়ের সাথে অহনা বন্ধুত্ব হয় । জয়ী নিঃসঙ্গ একটা মেয়ে । বাবা- মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে তাই সে নানা – নানীর সাথেই থাকে । এই মেয়েটা কে অহনা অনেক পছন্দ করে । একজন আরেকজনের খবর রাখা এগুলো তাদের রোজকার কাজ হয়ে দাড়ায় । জয়ী প্রায় সময় অহনার বাসায় এসে তার কোলে মাথা রেখে ঘুমায় । তবে জয়ী নেশা করে আজেবাজে মানুষের সাথে উঠাবসা তার । এটা নিয়ে পাভেল জয়ী আর অহনা কে নিয়ে বাজে কিছু কথা ভার্সিটিতে ছড়ায় । এসব নিয়ে অহনার মাকে অনেকে অনেক কথা শুনিয়ে যায় । একটা মেয়ের নিজের সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাহিনী নিয়ে রচিত “অহনা” ।