User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভয়ংকর বড়লোক সালেহ ইমরান সাহেবের বাড়ির ড্রয়িংরুমে বসে আছে মতিন উদ্দিন (নাকি নদ্দিউ নতিম?)। মতিন কিছুটা হিমু টাইপের, কিন্তু হিমু না। হিমুর চরিত্রে যা যা বর্তমান সেসবই আছে তার মধ্যে। মতিনের কথাগুলো খুবই হাস্যকর। গল্পের শেষ দিকে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনায় হঠাৎ ধাক্কার মত খেয়েছি। আমার মনে হয় এসবের জন্য মতিনই দায়ী। গল্পটা খুব সাদামাটা। কিছু এলোমেলো চরিত্র আর বিষয়গুলো বাদ দিলে গল্পটা একদম সমান্তরাল রেখায় চলেছে। ভালো থেকো তৌহিদা, ভালো থেকো নিশু, ভালো থেকো কমল।
Was this review helpful to you?
or
অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে বাংলা ভাষায় এতো সুন্দর উপন্যাস এর আগে পড়িনি।
Was this review helpful to you?
or
জানি না এই বইয়ের রেটিং এত বেশি কেন। একজন অটিজমে আক্রান্ত শিশুর জীবন আরো অনেকটা কমপ্লিকেটেড হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা কথাই বলতে পারে না ঠিকমতো। তাদের নিয়ে না লিখে লেখক সামান্য সিম্পটম আছে এমন একটা অটিস্টিক চাইল্ডের আশপাশ দিয়ে গল্পটা টেনে নিয়ে গেছেন। আশপাশ শব্দটা ব্যবহার করলাম এই কারণে যে, গল্পটাকে আমি অটিস্টিক চাইল্ডকেন্দ্রিক মনে করলেও গল্পটা ঠিক ওই কেন্দিক নয়। একটা অটিস্টিক শিশুর জীবনের জটিলতা এখানে খুব কমই প্রকাশ পেয়েছে। আমার মনে হয় না এই গল্প অটিস্টিক শিশুদের জন্য মানুষের সহানুভূতি উদ্রেক করতে পারবে। আর মতিন চরিত্রটার ব্যাপারে আমার ঘোরতর অভিযোগ আছে। তার স্বপ্নে এমন সব মেয়েদের আনাগোনা যারা তার স্বপ্নে চড়ার যোগ্যতা রাখে না। এদিকে তার স্বপ্নের আকাশজুড়ে যার বিচরণ করার কথা, সে ওই আকাশে দু পা রেখে দাঁড়াতেই পারে না। সবচেয়ে বিচ্ছিরি লেগেছে মতিনের দুলাভাইয়ের সাথে মেয়েটার বিয়ের ব্যাপারটা, যাকে তার দুলাভাই নিজের বোন বলে জানে। তাও আবার বউ নিজে নাকি স্বামীর সাথে স্বামীর বোনের বিয়ে দেয়। ছেঃ! একটা উপন্যাসের একটা চরিত্র উদ্ভট হতে পারে। সবগুলো চরিত্র উদ্ভট হয় কেমনে? সবার মাথাই নষ্ট! যাকগে, ক্ষমা করবেন আমাকে। আমার মনে হয়েছে, আমার টাকাগুলো নষ্ট হয়েছে; তাই একটু রাগ উগ্রে দিতে এলাম। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Humayun Ahmed has written many outstanding books so far. I have read this book 4/5 times. All I know is that by far personally I would rank this as his number one work. But I know there are many more better books. Still it's my personal favourite one.
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
Autistic দের নিয়ে আমাদের অনেকের ভুল ধারনা আছে। বাস্তবিক হল, autistic দের ও অনেক প্রকারভেদ আছে। শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, অনেক প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহোরনের জন্যও বইটি পড়া উচিত। আমার কাছে সবচেয়ে দারুণ লেগেছে পিছন থেকে বা উল্টো করে কথা বলাটা। উপন্যাসের মতিন চরিত্রটিও বড়ই অদ্ভুত। Autistic শিশু কিশোরদের জীবন বদলে দিতে পারে মতিনের মত অদ্ভুত মানুষ।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমবার একুশে বইমেলায় যাওয়ার কথা মনে আছে? কিংবা যদি প্রশ্ন করি প্রিয় লেখকের কোন বইটা প্রথম কিনেছেন? আমার জন্য সেই বইটি হলো 'কে কথা কয়'। প্রিয় লেখকের অন্যান্য বই পূর্বে পাঠ করা হলেও আমার সংগ্রহের তালিকায় এই বইটাই প্রথম যুক্ত হয়েছিলো। • বই: 'কে কথা কয়' • লেখক: হুমায়ূন আহমেদ • জনরা: সমকালীন উপন্যাস • প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ • প্রচ্ছদ মূল্য: ৫০০ টাকা (বর্তমান প্রচ্ছদ মূল্য আরও বেশি হতে পারে) • প্রচ্ছদ: মাসুম রহমান • প্লট: আমাদের সমাজে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকে অবহেলার চোখেই দেখা হয়। কমল তেমনই একজন শিশু। অটিজমে আক্রান্ত হলেও ভীষণ বুদ্ধিমান সে। তাকে দেখাশোনা করার জন্যে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মতিনকে। কমল শুরুতে মতিনের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে না নিলেও, পরবর্তীতে মতিনকেই সে তার কাছের বন্ধু করে নেয়। মতিনও পরিচিত হয় কমলের নিজস্ব জগতের সাথে। • চরিত্র পরিচিতি: কমল: উপন্যাসের শুরু ও একইসাথে শেষটা যাকে নিয়ে সে কমল। অটিস্টিক শব্দটা শোনার পর মতিনের মনে এক প্রকার নোংরা পরিবেশে অপরিষ্কার ভাবে থাকা একটা পাগলাটে ছেলের চিত্র তৈরি হয়েছিলো। তবে কমলকে দেখার পর মতিনের এ ভুল ধারণা ভেঙে যায়। মতিন: গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বলা যায়। মতিনের জীবন চালনার পদ্ধতি কিছুটা অসচ্ছল ও অগোছালো। ছদ্মনামে সে বিভিন্ন বই ছাপায়। তার জীবনকে গুছিয়ে দিতে বড় বোন সালেহা তার বিয়ে তৌহিদার সাথে ঠিক করেছেন। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সালেহা মৃত্যুর আগে মতিনের বিয়ে দেখে যেতে চান। তবে মতিন পছন্দ করে বান্ধবী নিশুকে। তৌহিদা: ত্রিভুবনে তৌহিদার আপন বলতে দুঃসম্পর্কের ভাই হাবিবুর রহমান। ভাই-ভাবির সাথেই তার বসবাস। ভাবী সালেহা তার ভাই মতিনের সাথে তাকে বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছেন। মতিনকে তৌহিদার খুব পছন্দ। সালেহ ইমরান: কমলের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তার বাবা সালেহ ইমরান। ছেলের প্রতি তিনি ভীষণ যত্নশীল ও একই সাথে উপন্যাসের সবচেয়ে গম্ভীর চরিত্র বলা যায় তাকে। এছাড়াও পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে আছেন কমলের মা মুনা, আহমেদ ফারুক, হাবিবুর রহমান, সালেহা, নিশু, নিশুর বাবা আজিজ সাহেব ও মতিনের এক 'কঠিন গাধা' বন্ধু যার সাথে মতিনের চিঠির মাধ্যমে বার্তালাপ করতে দেখা যাবে উপন্যাসে। • পাঠ প্রতিক্রিয়া: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকে আমাদের দেশে যেমন তীক্ষ্ণ চোখে দেখা হয়, তারই প্রতি লেখকের নীরব প্রতিবাদ উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। এমন শিশুরাও যে সম্ভাবনাময় হতে পারে সে কথা তিনি উপন্যাসে তুলে ধরেছেন ভিন্ন ধাঁচের লিখন শৈলীর মাধ্যমে। এখানে মতিন চরিত্রকে কিছুটা হিমুর সাথে মিল আছে বলেও মনে হতে পারে। অন্যসব উপন্যাসের মতো এতেও লেখক হাস্যরসের পাশাপাশি বাস্তব জীবনের সংগ্রামকে তুলে ধরেছেন। "Life is not a bed of roses." ইংরেজি এ প্রবাদের সত্যটা লেখক তার প্রায় প্রতিটি উপন্যাসেই কোনো না কোনোভাবে জাহির করেছেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম নয়। আর তার চিত্রই ফুটিয়ে তুলেছেন উপন্যাসের নিশু ও তৌহিদা চরিত্রের মাধ্যমে। বিশেষ করে তৌহিদা চরিত্রের পারিপার্শিক অবস্থা,অবস্থান ও পরিণতি বাস্তব জীবনের চেয়ে কোনো অংশে কম নাটকীয় নয়। যারা লেখকের 'অপেক্ষা' উপন্যাসটি পড়েছেন, তাদের কাছে তৌহিদার চরিত্রটি কিছুটা সুপ্রভার মতোই অভাগী মনে হবে। তাছাড়া নিশু চরিত্রের জীবনটাও খুব সুখকর ছিলো না। একইসাথে, পার্শ্ব চরিত্রদের প্রত্যেকের জীবনের গল্পেরই একাংশ পাওয়া যাবে উপন্যাসে। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস আমরা যারা পড়েছি, তারা সবাই জানি লেখকের লেখা কিভাবে পাঠক মনে ছাপ রেখে যায়। এ উপন্যাসটি বাকিদের কাছে লেখকের গতানুগতিক লেখার মতো মনে হবে কিনা জানি না, তবে পড়া শেষ করে মনে হবে ভিন্ন কিছু ছিলো। দেশসেরা কথাসাহিত্যিক ও আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী আজ।লেখকের সল্প আলোচ্য উপন্যাসের একটি নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিলো এই দিনটাতে। আর তার জন্য এই উপন্যাসটিকেই উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে। • ব্যাক্তিগত রেটিং: ৪/৫ ~ ইয়াসির আল সাইফ
Was this review helpful to you?
or
my favourite book of all time such a masterpiece ❤️
Was this review helpful to you?
or
গা ছাড়া স্বভাবের লোক মতিন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ব্যারিস্টার ইমরানের বাড়িতে ইন্টারভিউ দিতে যায়। গিয়ে জানতে পারে যে বাচ্চার জন্য তাকে নিযুক্ত করা হবে সে কমল নামের একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। অটিজমে আক্রান্ত। বিজ্ঞাপনে গৃহ শিক্ষক চাওয়া হলেও আদতে তার খুঁজছিল একজন সার্বক্ষণিক সঙ্গী। ইন্টারভিউ পর্বে মতিনের খাপছাড়া কথাবার্তায় তাকে প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হলেও পরবর্তীতে আবার ডেকে পাঠানো হয়। ছেলেটি এমনিতে ভীষণ মেধাবী। তবে সে কৌশল করা পছন্দ করে না। প্রথম দিকে মতিনের সাথেও এই ব্যাপার নিয়ে ঝামেলা হয়। তবে ধীরে ধীরে মতিন তার বন্ধু হয়ে যায়। মতিনের জীবনের নানা অলিগলি। একদিনে নিশু অন্যদিকে তৌহিদা। মতিন পছন্দ করে নিশুকে। আবার তৌহিদা ভালবাসে মতিনকে। সে পত্রিকায় নদ্দিউ নতিম ছদ্মনামে লেখে। তার বন্ধু আশরাফ তার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে তা ছাপানোর ব্যবস্থা করে। সেটা সে আবার উৎসর্গ করে কমলের মা মুনাকে। কমলের এপিলেপটিক সিজার এবং ফোবিয়া আছে। এমনিতে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুব ভাল। সে স্বাভাবিক বিষয়গুলোও সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করে। গণিতে অসম্ভব ভালো। বেশিরভাগ সময় শব্দ উল্টো করে বলে। নাম ধরে ডাকতে পছন্দ করে। একসময় সে আবিষ্কার করে ইমরান তার বাবা নয়। মতিনকে ক্লু দেয় কে তার বাবা সেটা বের করতে। এরা ছাড়াও বইয়ে আরো অনেক পার্শ্বচরিত্র চরিত্র রয়েছে। #পাঠ_প্রতিক্রয়া হুমায়ূন আহমেদের গতানুগতিক বই থেকে একটু ব্যতিক্রম। মূলত অটিস্টিক বাচ্চাদের উপর ভিত্তি করে লেখা। উপন্যাস হলেও তথ্যবহুল। অটিস্টিকদের আচরণ, তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের ধারণা, তাদের প্রতিভা, ভীতি, সম্ভাবনা অনেক কিছুই তুলে ধরা হয়েছে। আমরা তাদের সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা পোষণ করে থাকি। তারাও অসম্ভব প্রতিভাবান হতে পারে। বিষয়গুলো খুবই সাবলীলভাবে বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া লেখকের নিজস্ব বলার ভঙ্গি এবং হাস্যরস থেকেও পাঠক বঞ্চিত হবেন না। তবে বইয়ে চরিত্র সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং বারবার দৃশ্যপট বদল হওয়ায় পড়তে গিয়ে একটু দ্বন্দ্বে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে চরিত্রগুলোর নাম মনে রাখার ক্ষেত্রে। আর কিছু জায়গা নাটকীয় লেগেছে। বিশেষ করে তৌহিদার বিয়ের অংশটা। এ জায়গাটা আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। তবে সব ছাপিয়ে সবচেয়ে যেটা ভাল লেগেছে সেটা হচ্ছে এত সব পার্শ্বচরিত্র এবং ঘটনার ভিড়ে মূল উপজীব্য অংশ এবং চরিত্ররা আবেদন হারায় নি।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "কে কথা কয়" অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প। আমি মনে করি এই গল্পের প্রধান চরিত্র মতিন উদ্দিন যে তারা নাম বারংবার উল্টো করে লিখে থাকে 'নদ্দিউ নতিম"। আচ্ছা মতিন ছেলেটা নিশুর চেয়ে বেশি ওই মুনার কাছে কি দেখলো। এ অসম্ভব রকমের সুন্দর বইটিতে আমার পছন্দের চরিত্র মুনার হাসবেন্ড। মুনার ফালতু খারাপ মেয়ের হাসবেন্ড কি করে এত্ত ভালো ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ মানুষ হয় আমি বুঝতে পারি না উনি যে শুধু একজন ভালো মানুষ তা না একজন ভালো ব্যারিস্টারও। গল্প টায় অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে সবার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের বাজে গল্প এই প্রথম পড়লাম ,এই না যে আমি তার গল্প কম পড়েছি। তার রহস্য গল্প আমি খুব পছন্দ করি। এইটাও সেই ধরনের ভাবছিলাম। বড় ঝাকি খাইছি। খুব ভাল না গল্প টা।
Was this review helpful to you?
or
Its a good one but not among the best of Humayun Ahmed.
Was this review helpful to you?
or
অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে দারুন একটা উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
This is a must read book of Humayun Ahmed.
Was this review helpful to you?
or
Autistic মানে জানেন?এই শব্দটা এসেছে autism থেকে এর অর্থ এক ধরণের মানসিক ব্যাধি।এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা সবার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। এদের নিজেদের আলাদা একটা জগৎ থাকে।এরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হলেও এরা খুব মেধাবী হয় এবং বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হয়। 'কে কথা কয়' উপন্যাসটি তেমন'ই এক শিশু কমল কে নিয়ে।গল্পের প্রধান চরিত্র হচ্ছে মতিন উদ্দিন খান পাঠান।ডাক নাম মতি।সে অনার্স পাশ করা এক বেকার যুবক।মেসে একা থাকে। সে এক কবিকে নিয়ে গবেষণা করে এবং তার লিখাই অনুবাদ করে আর ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়ায়।গল্পের শুরুটা হয় তার পেপারে এক বিজ্ঞাপন দেখে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া দিয়ে।Autistic শব্দের মানে যে জানে না সে যায় এমন এক শিশুর সঙ্গী হিসেবে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ দিতে! মতিনের পরিবার বলতে একটা বোন আছে সালেহা।সালেহা চিররুগ্ন। তার স্বামী হাবিবুর রহমান সালেহা ফার্মেসির মালিক।তিনি এই রুগ্ন স্ত্রী কেই নিয়ে সুখী।হামিদুর রহমানের ফুফাতো বোন তৌহিদা তাদের সাথেই থাকে,পড়াশুনা করে এবং সালেহার দেখাশোনা করে।হামিদুর রহমানের ইচ্ছা মতিনের সাথে তৌহিদার বিয়ে দিবে।মতিন তৌহিদা কে তৌ বলে ডাকে।তার সাথে বিয়ে ঠিক ঠাক ও হয়ে যায় কিন্তু এই তৌ'ই একদিন হারিয়ে যায় হঠাৎ করে কিন্তু কেন? অন্যদিকে মতিনের বান্ধবী নিশু অনেক ব্রিলিয়ান্ট সে পিএইচডি করতে দেশের বাইরে যাবে, মতিনও তার জন্যই পাশ করতে পেরেছে বলা যায়।নিশুর বাবা আজিজ আহমেদের সাথে মতিনের খুব ই ভালো সম্পর্ক।তিনি ভাবেন নিশু মতিন কে বিয়ে করবে নিশু সেই প্রস্তাব ও মতিন কে দেয়।কিন্তু ঝামেলার শুরু হয় নিশুর বাবা মারা যাবার পর!এমন কিছু ঘটে যার জন্য নিশুকে মতিনের দুলাভাইয়ের বাসায় থাকতে হয়। আর গল্পের দেবশিশু কমল হচ্ছে মুনা এবং ব্যারিস্টার সালেহ ইমরানের সন্তান।কমল প্রচন্ড মেধাবী সে একা থাকতে পছন্দ করে এবং এক কথা বার বার বলে কিন্তু উলটা করে বলে!সহজে কাওকে পছন্দ করে না।সালেহ ইমরান এবং মুনা অনেক ধনী হলেও ব্যক্তিগত জীবনে তারা সুখী নন।একমাত্র ছেলের এমন অবস্থা দেখে তারা কোনো দিকেই মন দিতে পারেন না।সালেহ ইমরান ছেলেকে খুব ভালোবাসে।প্রচণ্ড রূপবতী মুনা সালেহ ইমরানের স্ত্রী হলেও তার অনৈতিক সম্পর্ক থাকে তাদের অফিসের আহমেদ ফারুকের সাথে! ঘটনাক্রমে মতিন তাদের মধ্যে জড়িয়ে যায়।মতিন জানতে পারে কমল সালেহ ইমরানের ছেলে নয়।তাহলে কমল কার ছেলে? মতিন যায় কমলের দেখাশোনা করতে।কিন্তু প্রথম দিনেই কমল এমন কিছু করে যার জন্য মতিন আর চাকরিটা করার সাহস পায় না।কি করেছিলো কমল?সে কি মতিন কে পছন্দ করেছিলো নাকি না?আবার এই মতিনের জন্যই কমল বেঁচে যায় কিন্তু কিভাবে?গল্পের শেষে সবাই শ্বাসরুদ্ধকর এক ভোরের অপেক্ষায়.....সূর্যোদয়ের অপেক্ষা কেন করছিলো সবাই? কি ঘটেছিলো বা কি ঘটতে যাচ্ছিলো? গল্পে এক কবির নাম বার বার এসেছে ইনি হচ্ছেন উজবেক কবি নদ্দিউ নতিম।কে এই কবি?মতিন নিজেই এই কবি নাকি অন্য কেও যার সাথে মতিনের পরিচয় আছে?থাকলেই বা সেটা কি? মতিনের পরিণতিই বা কি হলো?সে ভবঘুরে হয়ে থেকে যায় নাকি কমলের চাকরিটা করে?আর তার বিয়ে হয় কার সাথে নাকি হয়'ই না? সব প্রশ্নের উওর পেতে হলে পড়তে হবে এই চমৎকার উপন্যাস টি! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃআমি হুমায়ূন স্যারের ভক্ত বলেই হয়তো তার সব লিখাই আমার কাছে ভালো লাগে! এই উপন্যাসটি প্যাঁচালো হলেও প্রচণ্ড রকমের এক ভালো লাগা কাজ করেছে পড়ার সময়।কিন্তু শেষটা কেমন লেগেছে আমি বলবো না আপনারা পড়ে আমাকে জানাবেন। আর হ্যাঁ উজবেক কবি নদ্দিউ নতিমের একটা কবিতা পড়েই বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মে। কবিতার নামেই বইয়ের নাম, 'কে কথা কয়'।কবিতাটি দিয়ে দিলাম ক্লান্ত দুপুর,মধ্য রজনীতে প্রথম সকাল প্রথম সন্ধ্যারাতে কে কথা কয় ফিসফিসিয়ে আমার কথার সাথে? তাকে চিনি সত্যি চিনি না-কি? তাকে চেনার কতটুকু বাকি? নাকি সে স্বপ্নময় ফাঁকি? হ্যাপি রিডিং