User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচে বাজে বইয়ের মধ্যে এটা একটা। রিভিউ দিবেন সৎ ভাবে দিন না। ১৪৪ পৃষ্টা লিখলেই হয় না, কাহিনীর একটা জাঁকজমক ইন্ডিং দরকার।কিছু দূর যাওয়ার পর ই আসল মূল হোতা কে বুঝে গেছি। ফালতু সময় নষ্ট করার মত একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
❛সপ্তশ❜ ??সালেহ তিয়াস ❝প্যারেন্টিং নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা খুব ই কম|| বাচ্চাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিৎ , তাদের সামনে কোন ধরণের ব্যবহার করা উচিৎ , তাদের সাথে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া উচিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি||এগুলো আমরা জাতি হিসেবেই সচেতন নয়||অকথ্য ভাষার ফুলঝুরি নিয়ে পশরা সাজিয়ে ফেলি তাদের সামনে|| নিজেদের অজান্তেই নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে কুয়ায় ফেলে দেই আমরা|| তার উপর যদি সন্তান প্রতিবন্ধী হয় তবে ত কথায় নেই,অভিশাপ ভেবে জীবন টাই কাটিয়ে দেই|| প্রতিবন্ধীত্ব কোনো অভিশাপ নয় - এই কন্সেপ্ট টা আর ও বহুল পরিচিত করা উচিৎ || ❞ সপ্তশ বই এর মূল বিষয়বস্তু হল- একজন রাগী পিতার কৃতকর্ম আর তার অনুশোচনা || সাধারণ একজন মানুষ ট্রমাটাইজড হয়ে কত ভয়ংকর অস্ত্রে পরিণত হতে পারে এমন কি নিজের সন্তানের বিপরীতেও যেতে পারে ; তার ফলাফল নিয়েই এই বই এর যাত্রা|| ⚫️আখ্যান— "বিশ্ববিদ্যালয় এর পূণর্মিলনীতে এসে কথায় কথায় আরিফ কে তার বাসার একটি অদ্ভুত ঘটনা জানায় নাহিদ|| আরিফ প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর হওয়ার সুবাধে তাকে এই অদ্ভুত ঘটনার তদন্ত করতে বলে আরিফ|| তদন্ত করতে করতে আরিফ খোজ পাই ঢাকার অনেক ধনী ব্যক্তিদের বাসায় এমন ঘটনা ঘটছে|| তদন্তে সে জানতে পারে এইসব ঘটনার সাথে প্রত্যেক বাড়ির বাচ্চা রা জড়িত যারা ইন্টারনেটের কল্যাণে কোনো না কোনো ভাবে পরিচিত|| গল্প এরপর নিজের গতিতেই আগাতে থাকে!! ⚫️পাঠ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা— ❛সপ্তশ❜ এভারেজ একটি বই। উত্তেজনাকর পরিপূর্ণ থ্রিলার ছিল প্রায় 85 ভাগ সময় কিন্তু শেষে এসে খেই হারিয়ে গেছে|| গল্প ছিল সাবলীল আর আকর্ষণীয়।কিন্তু কেন যেন পরিণতি ভাল না হওয়ায় একটা প্লটের অকাল পতন ঘটালো|| সুন্দর রোমাঞ্চকর একটা প্লট ছিল,মনে মনে গল্পের শাখা প্রশাখা বিস্তৃত করে এমন এক জায়গায় গিয়ে ধাক্কা খেলাম যে,দুনিয়া ওলট পালট হয়ে গেলো :3 ভাল লাগেনি একেবারে|| তবে শেষে যে টুইস্ট ছিল তা ভাল লেগেছে|| ⚫️সূত্রপাত— নাহিদ এবিং আরিফ দুই ভার্সিটি জীবনের বন্ধু || পূণর্মিলনী তে এসে কথায় কথায় নাহিদ আরিফ কে জানায় হুট করে তার বাসার এসি নষ্ট হয়ে যাই এবং এসির কাস্টোমার কেয়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়,এই ত্রুটি কোনো ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া হওয়া সম্ভব নয়||কোনো মানুষ এর ইচ্ছাকৃত ভাবে করা এই ত্রুটি কিন্তু বাসায় বাইরের কেও প্রবেশ করেনি এমন কি নাহিদের স্ত্রী পুরোটা সময় রুমেই ছিল|| এই অদ্ভুত ঘটনা ইনভেস্টিগেট করতে গিয়ে আরিফ জানতে পারে শুধু তাত বন্ধু নাহিদ না, ব্রং ঢাকার আর ও অনেক ধনী পরিবারের সাথেও এক ই ঘটনা ঘটেছে|| আর সকল ঘটনার একমাত্র যোগসাজশ হল - প্রত্যেক এর বাসায় একজন করে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা আছে,যারা প্রত্যেকেয় এক জন আরেকজনের সংগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত ইন্টারনেটের মাধ্যমে|| তদন্তে আরিফ জানতে পারে www.makeusproud.com নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা এসব কাজ করছে আর তাদের উদ্দেশ্য হল : নিজের বিলাসিতা ত্যাগ করা || কিন্তু তদন্তের এক পর্যায়ে জানতে পারে এবার খুন হবে একজন||ভিক্টিম কে বাচাতে আরিফের দৌড়াদৌড়ি নিয়েই এগিয়েছ এই গল্প|| ⚫️চরিত্রায়ন— চরিত্রায়নের সফলতা তখন ই আসে,যখন আপনি কোনো চরিত্রের প্রতি বায়াসড হতে পারবেন|| বই এর কোনো চরিত্র ই আমার কাছে আহামরি মনে হয়নি একমাত্র মোতালেব সাহেব;অসাধারণ একটা চরিত্র|| তাকে ইমাজিন করছিলাম আমি শুধু|| ⚫️খুচরা আলাপ— আমার কাছে মনে হল এই বই এ বেশ কিছু ইংগিত রয়েছে|| যেমন: -প্যারেন্টিং,আজকাল বাবা মা'রা নিজেরাই অনেক বেশি ডিভাইস কেন্দ্রিক||বাচ্চাদের সাথে তাদের কমিউনিকেশন খুব ই কম||পাশাপাশি তাদের কে মোরালিটি শিখানোর ব্যাপারে বাবা মা অনেক অনাগ্রহী||পাশাপাশি বাচ্চাদের সামনে আমাদের ব্যবহার,শব্দচয়ন সবকিছুই অনেক ভেবে চিন্তে করা উচিৎ || এই বয়সে তারা যা শিখবে তা মাথায় গেথে যাবে|| তাই তাদের সামনে আমাদের ব্যবহার আর শব্দচয়নে অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরী || -প্রতিবন্ধীত্ব এখন আ অনেকে অভিশাপ স্বরূপ নিয়ে থাকেন||যেটা উচিৎ নয়||কারো ত্রুটির কারণে এমন হয়না||এখন ও গ্রামে গঞ্জে প্রতিবন্ধীত্ব এর জন্য মা'কে দায়ী করা হয়|| -ইন্টারনেটের ব্যাপকতা || ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজলভ্যতা খেলার মাঠ কমার সাথে ব্যস্তানুপাতিক হারে বাড়ে||যার ভয়াবহতা এখন ও উল্লেখযোগ্য হার নজরে না পড়লেও খুব শীঘ্রই তা পরিলক্ষিত হবে|| অনেক মোবাইলেই কিডস মুড আছে||অনেক গার্জিয়ান এখন ও সচেতন নয় তাদের সন্তানের ইন্টারনেট ইউজ সম্পর্কে||সচেতনতায় নিরাপত্তা মনে রাখতে হবে|| -অর্থের লোভ মানুষ কে কত নিচুতে নামাতে পারে তার একটা যথার্থ উদাহরণ|| রেটিং:5/10
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
Good Book
Was this review helpful to you?
or
An excellent thriller novel with a mind-blowing twist. Simply marvelous.
Was this review helpful to you?
or
Good book. But ekta problem ache , jokhon ami "Shoptosh" porar jonno eikhane boi ta review kori tokhon Tanjim Rahman er "Arkon" boi review hoi. Mane ami "Arkon" pore tarpor "Shoptosh" order korechi. Eita apnara correction kore nin , other wise onno onek manush hoito porbe "Arkon" r shei boi ke mone korbe "Shoptosh"
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ৬ . বইয়ের নাম: সপ্তশ লেখক: সালেহ তিয়াস প্রচ্ছদ:ডিলান জনরা: থ্রিলার প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা : ১৪৪ মূল্য:মুদ্রিত মূল্য১৩০ টাকা প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ব্যক্তিগত রেটিং :৪.৯/৫ অনলাইন পরিবেশক :রকমারি.কম . ভূমিকা : অনলাইনে প্রথম যখন সালেহ তিয়াসের লেখা পড়ি, তখন স্রেফ মুগ্ধ হয়ে যাই। একটানা কয়েকদিন পর্যন্ত তার লেখায় বুঁদ হয়ে ছিলাম। হঠাত করে যখন জানতে পারলাম যে সালেহ তিয়াস একটি বইও বের করেছে, তখন আর বইটি সংগ্রহ করতে বিলম্ব করিনি। প্রথম প্রথম বইয়ের ঘটনা তেমন বুঝতে পারছিলাম না। কেবল বর্তমান-অতীত, বর্তমান-অতীত বারবার আসছিলো । কিন্তু যখন বইয়ের গভীরে ঢুকে গেলাম, তখন সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জাস্ট অসাধারণ একটি বই. . লেখক পরিচিতি : লেখন সালেহ তিয়াস বোধহয় নিজেকে আড়াল করে রাখতেই ভালোবাসে। ফেবুতে তার একটি আইডি তো অবশ্যই আছে, কিন্তু তাকে খুঁজে পাইনি আমি । বইয়ের মধ্যেও যেখানে অন্যান্য লেখকেরা লেখক পরিচিতিতে হরেক রকম কিছু লিখে, সালেহ তিয়াস তা করেনি। খুব সিম্পল কয়েক লাইনে বলেছে যে, নাম সালেহ মোহাম্মদ শোয়াইব তিয়াস। লেখালেখির জহতে সালেহ তিয়াস নামে পরিচিত। পড়াশুনা ঢাকা মেডিকেল কলেজে। . প্রচ্ছদ : প্রচ্ছদের কালারটা দারুণ লেগেছে আমার। একটা মানুষের তিনটা ছায়ামূর্তি একটি আকর্ষণীয় প্রচ্ছদের নমুনা। . ফন্ট বাঁধাই পৃষ্ঠা: আমার জীবনে বই খুব একটা পড়িনি। যে কয়টা পড়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফন্টের অক্ষর ছিল এই বইটিতে। খুবই রিলেক্সে ও চোখকে আরাম দিয়ে পড়তে পেরেছি। বাতিঘর স্বনামধন্য প্রকাশনী। বাতিঘরের বইয়ের বাঁধাই ও পৃষ্ঠা কোয়ালিটি নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। . কাহিনী সংক্ষেপ : একটি ওয়েবসাইট, Demadam নামে কেউ এই ওয়েবসাইটটি চালায়। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ধনী পরিবারের সব স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের দিয়ে অদ্ভুত সব কাজ করিয়ে নেয় Demadam। একদিনে হঠাত করেই শহরের কমপক্ষে পঁচিশজনের এসি নষ্ট হয়ে যায়। মেকার এসেও সারাতে পারে না সেই এসি। তারপর যেসব বাসায় একাধিক ফ্রিজ রয়েছে, সেইসব বাসার একটি বাদে বাকি ফ্রিজগুলো নষ্ট হয়ে যায় একদিনে। তারপর মাইক্রোওয়েভ ওভেন। কি অদ্ভুত! একইদিনে একসাথে এতগুলো একই ধরণের জিনিস কেন নষ্ট হবে? ছাত্রজীবনের মিথ্যা বলা বন্ধু নাহিদের বাসার নষ্ট হয়ে যাওয়া এসির হাস্যরসাত্নক এক কেস দিয়ে প্রাইভেট ইসভেস্টিগেটর আরিফ হাসানের তদন্তটির শুরু হলেও পরে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত এই ওয়েবসাইটটি আর এর অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড। সাদিয়া, যার একমাত্র সন্তান বেটা থ্যালাসোমিয়া মেজরের রোগী। সাদিয়া নিজের সন্তানকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। কিন্তু যে সন্তানকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত দিতে হবে, তার বয়সের তুলনায় শরীর বৃদ্ধি পাবে না এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর তার আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসবে, সেই সন্তানকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি আরিফ হাসান। দুইবার নিজের সন্তানকে হত্যার চেষ্টা চালায় সে। সাদিয়া সায়েমকে নিয়ে চলে যায় আরিফের কাছ থেকে। একটা স্কুলে শিক্ষকতা নেয় সে। সেখানে সেলিম সহ নানান মানুষের কুনজর পরে তার উপর। কিন্তু স্কুলের এক শিক্ষক মনির সত্যি সত্যি ভালোবাসে তাকে। নিশ্চিত জেতা বাইক রেসও ইচ্ছে করে হেরে যায় সাদিয়ার জন্য। মনির বিয়ে করতে চায় তাকে। সাদিয়া সাড়া দিতে চেয়েও কী ভেবে যেন সাড়া দিতে পারে না। মোতালেব হোসেন নামে একজন ছাপোষা টাইপিস্ট, যার শখ মানুষকে নিয়ে নানান ধরণের এক্সপেরিমেন্ট করা। তারর অফিসের সাত্তার সব-সময় তাকে কটাক্ষ করে চলে। একটা লটারির টিকেটের লোভ দেখিয়ে সে লোভী সাত্তারকে ডাস্টবিন ঘাটিয়ে আনে। একটা বারো-তেরো বছরের বাচ্চা ছেলে মরার মতো পরে থাকে রাস্তায়। কেন পরে থাকে? কিছু পথচারী তার কাছে এগুতে চেয়েও এগুয় না। কেন এগুয় না? . স্কুলে সবার বাবা আসে, সায়েমের বাবা আসে না বলে তার খুব কষ্ট। লোকে তাকে নানান কথা শুনায়। তার মাকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। একটা সময় আরিফ ফিরে যায় স্ত্রী-সন্তানের কাছে। সায়েম খুব খুশি হয়। তবুও মন থেকে সায়েমকে মানতে পারে না আরিফ। রহস্যভরা ওয়েবসাইটটির ঘটনাটার রহস্য ক্রমশ জটিল হতে থাকে আরিফের কাছে। সে সব ধরণের চেষ্টা করে ফেলেছে কেসটটার সমাধানে। কিন্তু ব্যার্থ হয়ে নিজের ছেলেকে ব্যবহার করে সে এই কেইসে। শেষে এই ওয়েবসাইটের মালিকDemadam বাচ্চাদের একটা খুন করতে বলে। আরিফ মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে খুনটা আটকাতে। কিন্তু খুনটা কে হবে, কোথায় হবে, কিভাবে হবে সেগুলো অজানা থেকে যায় আরিফের কাছে। সে অদ্ভুত কোডেড মেসেজটা ব্রেক করার অনেক চেষ্টা করে শেষের দিকে গিয়ে সফল হয়। কিন্তু সে খুনটা আটকাতে কার বাসায় এসেছে এটা? ভিকটিমই বি কে? আর খুনী? তিনটি প্রশ্নই আঁতকে দিবে পাঠককে। . পাঠ-প্রতিক্রিয়া : সবার পছন্দ এক নয়। এই বইটির ভাষা যত সহজ-সাবলীল, এত সহজ-সাবলীল ভাষায় খুব কম থ্রিলার লেখকেই লিখতে দেখেছি আমি। আমার মনে হয়েছে বইটিতে কোনো একটি ঘটনা নয়। অনেকগুলো ঘটনা, অনেকগুলো জীবন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আসলেই তো এখানে একটি জীবন নয়, অনেকগুলো জীবনের ঘটনা জুড়ে আছে। বর্তমান-অতীত , বর্তমান-অতীত পড়তে গিয়ে কিছুটা বিরক্ত হলেও যখন চরিত্রগুলোকে আমি বুঝে ফেলেছি ঠিক করে, তখন থেকেই আমি উপন্যাসটার সাথে মিশে গেছি একদম। সায়েমের মৃত্যুর সময় সায়েমের জন্য আমার খারাপ লেগেছে। সাদিয়া চরিত্র যখন আর উপন্যাসে আসবে না বলে লেখক জানিয়ে দিলো, তখন একটা শূন্যতা অনুভব করেছি। বইটির মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে মনে হয়েছিল, যদি বইটা কোনোদিন না শেষ হতো!এটা তো বই না, যেন অমৃত! সবশেষে লেখক ফুটনোট দিয়ে জটিল কোডেড মেসেজগুলো ব্রেক করে পাঠকমনকে পূর্ণ তৃপ্তি দিয়েছে । ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৯/৫ । . প্রিয়/অপ্রিয় চরিত্র : মোতালেব, সাদিয়া, মনির চরিত্র আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। লেখক মনিরের মত নিখুঁত চরিত্রটিকে খুব দ্রুত থামিয়ে দিয়েছে বলে রাগ হয়েছিল খুব। সবচেয়ে বাজে লেগেছে সাত্তার আর সেলিম চরিত্র। আরিফ হাসানকে আমার কাছে বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র মনে হলেও আরিফকে আমি ভালো বা খারাপ কোনোটি বলেই অভিহিত করতে পারিনি। শান্ত, একটা পিচ্চি ছেলের মেধা থেকে আমি মুগ্ধ। . বইয়ে থাকা রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত লাইনগুলো: যাহার লাগি চক্ষু বুজে বহিয়ে দিলাম অশ্রুসাগর। তাহারে বাদ দিয়েও দেখি বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর। মনেরে তাই কহ যে ভালোমন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে। . রিভিউ লেখক :তানজিনা তানিয়া
Was this review helpful to you?
or
একই অক্ষরেখায় ঘূর্ণায়মান চারটি প্লটকে লেখক এক অভিনব ভঙ্গিমায় একই কেন্দ্রবিন্দুতে এনে মিলন ঘটিয়েছেন। সত্যিই আমি অভিভূত! কিছু থৃল, কিছু রহস্য আর সমাজের এক বাস্তব উপখ্যানকে সামনে এনে আধুনিক সব থিউরি ব্যবহার করে লেখক এক অভিনব মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো একটানে পড়ে ফেলার মতো একটি গল্প ছিল এটি। ইদানিং সব লেখকগণই গল্পের প্লট সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে অনেক অপ্রাসঙ্গিক চিত্রের সৃষ্টি করেন। কিন্তু এ বইটিতে লেখক একটি বাক্যও অনর্থক ব্যবহার করেন নি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল টাইপিস্ট মোতালেব মিয়ার চরিত্রটি। যিনি টাইপিস্টের অন্তরালের পুরো গল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন অত্যন্ত সিদ্ধহস্তে। আর বাতিঘর থেকে প্রকাশিত এ বইটির বাইন্ডিং, প্রিন্টিং ভালো থাকলেও অসংখ্য ভুল বানান নিজ চক্ষুদ্বয়কে ফাঁকি দিতে পারে নি। প্রচ্ছদটিও ছিল দারুণ আকর্ষণীয়। স্বাগতম সবাইকে, ক্ষুদে এলিয়েনদের কোডিং রাজ্যে।
Was this review helpful to you?
or
সম্পূর্ণ অন্য রকম কাহীনির একটি বই...। অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে এই বইটি...। অনভিজ্ঞ লোকদের রিভিউ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না...। এটিকে একটি সাইকো-থ্রিলার বলা যায়...। বই এর শেষ চমক টা সত্যিই হতবুদ্ধিকর...। হজম করতে পাঠকের বেশ কিছুটা সময় লাগবে...। তিনটি গল্পের কথা বলা হলেও ..., মূলত একটি প্রধান গল্প যার দুইটি প্রধান চরিত্র কে নিয়ে গল্পটি দুইটি উপশাখায় ভাগ হয়ে গেছে , আর সাথে এক সোশিওপ্যাথ এর কাহীনি মূল গল্পটির সাথে ক্রস কানেক্ট করেছে...। সব মিলিয়ে অন্য রকম একটি প্লট ...। এবং চমৎকার উপভোগ্য একটি কাহীনি...।
Was this review helpful to you?
or
থ্যালাসেমিয়ার রোগী একমাত্র সন্তান সায়েমকে নিয়ে সাদিয়ার ছোট্ট একটা সংসার । সাদিয়া স্কুল টিচার । সায়েমের বাবা প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর কিন্তু একটা বিশেষ কারণে স্ত্রী-সন্তান থেকে দূরে থাকেন। অন্য দিকে মোতালেব সাহেব একজন টাইপিস্ট । মানুষকে নিয়ে সাইকোলজিকাল এক্সপেরিমেন্ট করেন । এই বইয়ে এমন অনেক এক্সপেরিমেন্ট এর উল্লেখ আছে যা মোতালেব সাহেব উনার পরিচিত মানুষের সাথে করেছেন । নাহিদ আসে তার বন্ধুর কাছে একটা রহস্যের সমাধান করার জন্য তার বাসায় এসি নস্ট হয়ে গেছে । শুনে মনে হচ্ছে এটা একটা সাধারণ ঘটনা , কিন্তু না এর ভেতরে লুকিয়ে আছে রহস্য । সে রহস্যের সন্ধান করতে গিয়ে অদ্ভুত কিছু তথ্য বের হয়ে আসে । তিনটা গল্পকে কেন্দ্র করে একটা গল্প রচিত হয়েছে। আর সবশেষে পাঠকের জন্য টুইস্ট আছে । বইটা একবার হাতে নিলে এক বসায় শেষ করে উঠতে পারবেন ।আবার শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবেন না । খুব একটা বড় নয় আবার পাঠককে বইয়ের মাঝে আটকে রাখার ক্ষমতা রাখেন এই লেখক । অনেকদিন পর এমন একটা লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ । আমার রেটিং ৫ /৫
Was this review helpful to you?
or
ফালতু একটা বই কেউ কিনে সময় নষ্ট করবেন না।