User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Muntahi Hasan Akhiar

      29 Nov 2021 02:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অতুলনীয় অভাবনীয় থ্রিলার। এতোটা ভালো হবে আশা করি নি । Must read বাংলা থ্রিলার।

      By mehrab masayeed habib

      07 Aug 2021 12:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে।

      By Kamruzzaman Ansari

      04 Apr 2021 11:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Safwan Mishad

      07 Aug 2020 10:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It was good.

      By M S Khokon

      07 Mar 2020 11:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২৫ শে মার্চ – রবিন জামান খান। প্রকাশনী- বাতিঘর বইটি আগে পড়া হলেও রিভিউ দেয়া হয়নি, ইচ্ছা করেই দেয়া হয়নি। আমরা আজকাল যেহেতু বইমেলা কেন্দ্রিক বই পড়ি, তাই মনে হলো এই সময় রিভিউ দিলেই বেশি করে কেনা এবং পড়া হবে। রবিন ভাই এর এটি প্রথম ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার হলেও, আমার সাথে তার লেখালেখির পরিচয় সপ্তরিপু দিয়ে। এই একটি বই যথেষ্ট ছিল তার চমৎকার লেখনী এবং থ্রিলার এর রাজ্যে আমাকে পুনরায় প্রবেশ করানোর জন্য। বাস্তবিকভাবে তিন গোয়েন্দার পর আর কোন থ্রিলার ভাল লাগেনি এবং সেবার লেখার মান পরে যাওয়ায় অনেকদিন পড়াও হয়নি। কিন্তু রবিন ভাই যেন আবার এই থ্রিলার রাজ্যে ত্রাতা হিসেবে এসে এক নবজাগরণ তৈরি করেন আমার মতো সহস্র পাঠকের মনে। কিন্তু রবিন ভাই এর ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার যে কোন জনরা থেকে ভিন্ন,এরকম ভাবে একই সাথে অতীত এবং বর্তমান ঘটনা নিয়ে কেউ লিখতে পারে আমার কখনই জানা ছিল না। দুই সময়ের দুই ঘটনা একই সাথে এসে মিলে যেতে পারে, তা পড়ার আগে চিন্তাও করতে পারিনি। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ এর সময়ের ঘটনা এবং ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ঘটনা শেষে গিয়ে এক বিন্দুতে পরিণত হয়। এই বই পড়ার সাথে সাথে সে সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিগলিও ঘোরা হয়ে যাবে। Must Read বই এটি। ২৫শে মার্চ: কাহিনী সংক্ষেপ: মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে দেশে ফিরে অদ্ভুত এক রহস্যময় ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে অরনী। মৃত্যুর আগে তার মা রেখে গেছে অদ্ভুত এক ধাঁধা আর ধোঁয়াশা মেশানো অতীত। মায়ের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত করতে হলে তাকে সমাধান করতে হবে এই ধাঁধার এবং ডুব দিতে হবে অতীতে। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে তাকে সাহায্য নিতে হয় খুনের সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া মানুষটির কাছ থেকেই। ঘটনার পরিক্রমায় নিজেও সে নাম লেখায় পলাতক আসামির খাতায়। অদ্ভুত এই রহস্য সমাধান করতে গিয়ে একদিকে পুলিশের তাড়া, অন্যদিকে অদৃশ্যভাবে তাদেরকে সাহায্য করতে থাকে অচেনা একদল লোক। ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতে সে জানতে পারে সমস্ত রহস্যের বীজ রোপিত আছে ইতিহাসের বিশেষ একটি দিনে, ২৫শে মার্চ, ১৯৭১।

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      15 Dec 2019 05:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের প্রতি একটা অনুযোগ: কাল্ট অফ ব্রোকেন হর্স সত্যি কিনা জানিনা। তবে সেই সংক্রান্ত তথ্য পড়ার পর মনে একটাই কথা আসে যেটা বিদ্যাসাগর মশাইয়ের লেখাকে উদ্ধৃতি করে বোঝানো যায়: "অতি অল্প হইল"। আরও জানতে চাই এই বিষয়ে।

      By Samanta shuchismita

      09 Dec 2019 01:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রবিন জামান খানের থ্রিলার উপন্যাস "২৫ শে মার্চ"। অত্যন্ত উপাদেয় লেখা। মিস্ট্রি, একশন, থ্রিল সবই আছে বইটিতে পরিমাণ মত। বইটিতে ২টি আলাদা সময়ের ঘটনা বর্ণণা করে গেছেন লেখক। একটি হচ্ছে অতীত, ১৯৭১ এর মার্চের ঘটনা; অন্যটি বর্তমান, ২০১৪.। একটি সিক্রেট কাল্ট ও তাদের রেখে যাওয়া অতি মুল্যবান কিছু প্রতিক ও চিহ্ন নিয়েই মূলত আবৃত হয়েছে পুরো বইটি। আমি মুগ্ধ। লেখক পাঠক কে ভাবনার সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার মত বেশ ভাল ব্যবস্থাই করে রেখেছেন বইটিতে। অনেক গুলো চমকপ্রদ টুইস্ট আছে বইটায় । সবচাইতে ভাল লেগেছে যে টুইস্টটি সেটা বললে আসলে স্পয়লার হয়ে যাবে। কিন্তু ওইটুকু পড়ে আমি ১ মিনিট পড়া থামিয়ে থ মেরে বসে ছিলাম। আর এম্নিতে কিছু ব্যাপার একটু বেশি নাটকীয় লেগেছে। তবে ঐটা তেমন কোন ব্যাপার না। সর্বোপরি চমৎকার একটি থ্রিলার.... ওহ অারেকটি কথা না বললেই নয়। লেখক ভয়াল ২৫ শে মার্চ রাতের নৃশংস গণহত্যার যে বর্ণণা বইটিতে দিয়েছেন সেগুলো পড়ে ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছিল। মানুষের রক্ত না স্রেফ কুকুরের রক্ত ছিল হানাদারগুলার শরীরে।

      By Tasfia Promy

      11 Dec 2018 03:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মা মারা যাবার খবর শোনার সাথে সাথেই দেশে আসে মায়ের অরো। অরনী। অন্যদিকে প্রিয় ম্যাডামের অকস্মাৎ খুনের দায়ে দোষী হিসেবে গন্য হয় হাসান, পেশায় সাংবাদিক। প্লেন থেকে নামবার পর থেকেই একের পর এক ঘটনা অরনীকে ঘিরে ধরে। ছিনতাইকারী, কিংবা পুলিশ কিংবা মর্গের লোকজন কিংবা কাস্টমস এ নানা ধরণের ঝামেলা। এক সময় সে তার এক হাত আলা ক্যাব ড্রাইভার এর সাহায্য নিয়ে হাসান কে উদ্ধারে নামে। বৃদ্ধ ক্যাব চালক নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করে হাসান আর অরনী কে সাহায্য করে। এদিকে হাসান আর অরনীর শুরু হয় একসাথে এক দুর্ধর্ষ অভিযান। মারা যাবার আগে অরনীর মা আফরোজা, মেয়ের জন্য রেখে গেছেন এক পুরোনো ডায়েরী, একটা কয়েন আর একটা বাক্য। “ট্রথ ইজ অলওয়েজ ইনফ্রন্ট অফ ইউ” কি সেই সত্য? কোন সত্য? অন্যদিকে একের পর এক ঝঞ্ঝা আসতেই থাকে অরনী আর হাসান এর অভিযানে। একসময় এদের গল্পে আসে আহমেদ বশির। কে তিনি? কেন অরনীর মা তাঁর কাছে পাঠালো বশিরের কাছে? যখনকার কথা বলছি, সেটা ২০১৪ সালের জুলাই মাস। এবার ফিরে যাব ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। যেদিন আমাদের এই দেশ এর বুকে নেমে এসেছিল এক অন্ধকার। সেদিন বিকেলে হাফিজ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আত্মহত্যা করেন। মারা যাবার আগে প্রিয় বন্ধু মনিরুজ্জামান কে দিয়ে যান কিছু উপহার। এর মধ্যে আছে এক পা ভাঙ্গা ঘোড়া। আর আছে এক টা কয়েন আর একটা বাক্য “ট্রথ ইজ অলওয়েজ ইনফ্রন্ট অফ ইউ” এই ঘোড়ার নাকি আছে এক অজানা রহস্য। এই মনিরুজ্জামান এর জীবনের উপর দিয়ে সেদিন সাইক্লোন বয়ে যায়। সারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ সেই ভয়ঙ্কর রাতে ঘুরে বাড়ানো, কিছু গোপন তথ্যকে গোপন রাখার জন্য। সাথে ছিল দুই ছাত্র কবির আর আবু। অন্যদিকে একদল হাফিজের মৃত্যুর পর থেকে মনিরুজ্জামানের পেছনে লেগেছে, সেই গোপন রহস্য উদঘাটনের জন্য। এদিকে মনিরুজ্জামানের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী কে পাঠিয়ে দিলেন গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের রাজবাড়িতে । ভাগ্যের ফেরে কয়েকবার পালাতে পেরেও একবার পাকিস্তানী মিলিটারির কাছে ধরা পড়েও পালিয়ে জেতে পারে। অন্যদিকে এক মিলিটারীর সহায়তায় পালিয়ে জেতে পারে মনিরুজ্জামান। দুই ছাত্রকেই নিয়ে গাজীপুরে চলে যায় মনিরুজ্জামান। এদিকে এদের পিছু নেয় পাকির দল। উদ্দেশ্য সেই গোপন বস্তু উদ্ধার করা। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ঠিক সেই রাতে মনিরুজ্জামান জানতে পারে আর দুই ছাত্র আবু আর কবিরের মধ্যে একজন বিশ্বাসঘাতক আর ছিলেন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যার কারণেই মারা গেছেন হাফিজ। মনিরুজ্জামান আর অরনী-হাসান দুই সময়ের এই মানুষেরা ছুটেছেন সেই সত্য কি তা জানতে আর সেই সত্য রক্ষা করতে। কি সেই সত্য? কেন সেই সত্যের পেছনে ছোটা? অরনী-হাসান কে কারা গোপনে সাহায্য করল? বেশ কয়েকটি খুন। কি আছে এর পেছনে? পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ থ্রিলারপ্রেমী মানুষ বলে বইটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। কাহিনী ঠিক দুই সময়ের। কিন্তু সমান্তরাল্ভাবে লেখক যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সেটা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তবে গল্পে “দ্য ভিঞ্চি কোড” গল্পের একটা ছায়া আমি পেয়েছি। জানিনা এটা কতটা সত্য কিংবা আসলেই মিল আছে কিনা, তবে আমার কাছে বেশ মিল আছে বলে মনে হয়েছে। আর বাতিঘর প্রকাশনীর অন্যান্য বই এর মত কিছু বানান ভুল আর কিছু বাক্য সাজানো ভুল হয়েছে বলে মনে হয়েছে।

      By Al Mamun

      05 Oct 2018 12:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Shahrul Islam Sayem‎ #রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট বইঃ ২৫শে মার্চ #কাহিনী_সংক্ষেপঃ ২০১৪ সালের ৯ জুলাই। নিজের মা আফরোজার মৃত্যু সংবাদ শুনে বিদেশ থেকে দেশে আসে অরনী। মর্গে লাশ দেখতে গিয়ে সেখান থেকে পায় তার মায়ের রেখে যাওয়া কিছু সূত্র। ১৯৭১ সালের ডায়রি, পা ভাঙা ঘোড়ার ছবি যার উপরে লেখা ‘ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অব ইউ’ এবং বিশেষ প্রতীক বিশিষ্ট একটা কয়েন। সেই সাথে আরো জানতে পারে তার মায়ের খুনি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে আফরোজার প্রিয় ছাত্র হাসানকে। কারাগারে গিয়ে হাসানের সাথে কথা বলে অরনী বুঝতে পারে হাসান নির্দোষ। এরপরে ড্রাইভার আমির চাচার সাহায্যে অভিনব উপায়ে হাসানকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় অরনী। এবং এগোতে থাকে সেই সূত্র ধরে রহস্য সমাধানের উদ্দেশ্যে। আর তাদের বিভিন্ন সমস্যায় সাহায্য করছিলো তৃতীয় পক্ষ। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ। নিজের বন্ধু হাফিজের আত্মহত্যার খবর শুনে মর্গে তাকে দেখতে আসে মনিরুজ্জামান। সেখানে তিনি পান হাফিজের রেখে যাওয়া কিছু সূত্র। একটা কয়েন এবং পা ভাঙা ঘোড়ার ছবি যার উপরে লেখা ‘ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অব ইউ’। সেই সূত্র ধরে নিজের দুই ছাত্র আবু ও কবিরকে নিয়ে এগোতে থাকে মনিরুজ্জামান। কিন্তু তাদের পিছনে অজর রাখতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কারণ সেই সূত্রের সমাধান চাইছিলো তারাও। অনেক কষ্ট করেও, অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে যায় মনিরুজ্জামান, আবু এবং কবির। কি ছিলো সেই সূত্রে? মনিরুজ্জামান কি সবকিছু বলে দিয়েছিলো পাকিস্তানিদের? কে খুন করেছিলো আফরোজাকে? কেনো অরনী আর হাসানকে সাহায্য করছিলো তৃতীয় পক্ষ? আর ২০১৪ সালের খুনের সাথে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কিভাবে সম্পর্কিত? তবে অত্যন্ত অদ্ভুত হলেও সত্যিই এই ঘটনার শুরু হয় ১৮৫৭ সালে, সিপাহী বিদ্রোহের সময়। কিন্তু কিভাবে? উত্তর রয়েছে ‘২৫শে মার্চ’ বইয়ে। #ব্যক্তিগত_মতামতঃ হিস্টোরিক্যাল থ্রিলারের ক্ষেত্রে যে যে উপাদান থাকা দরকার, তার সবকিছুই ছিলো ‘২৫শে মার্চ’ বইটিতে। চমৎকার উপস্থাপন এবং সাবলীল বর্ণনার মাধ্যমে লেখক কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিটি অধ্যায়ই ছিলো আকর্ষণীয়। একটা অধ্যায় ছিলো ২০১৪ সালের ৯ জুলাইয়ের বর্ণনা আবার তার পরের অধ্যায়েই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের বর্ণনা। এভাবেই শেশ করা হয়েছে পুরো বইটি। আর প্রতিটি অধ্যায়য়ের শেষে ছিলো বিভিন্ন রকম রহস্য এবং টুইস্ট, যেগুলো পাঠকের উত্তেজনা ধরে রাখতে সক্ষম। সেই সাথে এই বইতে রয়েছে প্রাচীন বিভিন্ন মিথ এর বর্ণনা, প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন কাল্ট অর্থাৎ গুপ্ত সংঘের ব্যাপারে তথ্য। আর সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের বরবরতার বিভিন্ন বর্ণনা তো রয়েছেই। প্রাচীন ইতিহাসের বিভিন্ন মিথ, প্রাচীন বিভিন্ন গুপ্ত সংঘ, বর্বরতা, অত্যাচার, বিচক্ষণতা, দেশপ্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদির সমন্বয়ে বেশ উপভোগ্য বই ‘২৫শে মার্চ’। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮/৫

      By Md. Saiful Islam Sohel

      26 Aug 2018 06:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      যদি এক কথায় এই বইটা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই, তাহলে সেটা হলো বইটি একটি মাস্টারপিস। বইটির মূল আকর্ষণ বা মূল টুইস্টটি হলো ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চকে ঘিরে। আর ইতিহাসের এই দিনের বিভিন্ন বিষয়ের খুটিনাটি বিষয় খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বইটিতে। আবার সেই সাথে তিনি একই সুতায় গেঁথেছেন ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহকে। এ যেনো এক অদ্ভুত কিন্তু চমৎকার মিশেল। চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও লেখকের বেশ দক্ষতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। চরিত্রের আধিক্য থাকা সত্বেও সকল চরিত্রের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার কারণে এই আধিক্য ব্যপারটায় কোনো সমস্যাই হয়নি। প্রতিটি অধ্যায়ই বেশ চমৎকার ছিলো। কোনো অধ্যায়ই অযথা বাড়ানোর জন্য লেখা হয়নি। একটি অধ্যায় ১৯৭১ সাল আবার পরের অধ্যাটি ২০১৪ সাল, এইভাবেই পুরো বইটা শেষ করা হয়েছে। আর প্রতিটা অধ্যায়ের শেষে রেখে যাওয়া হয়েছে ছোটো ছোটো কিছু রহস্য যা পরবর্তী অধ্যায়ের দিকে টেনে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। চরিত্রগুলোও বেশ সাবলীল লেগেছে। মনিরুজ্জামানের সাহসিকতা, অন্যায়ের সাথে আপোস না করা, দৃঢ় মনোভাব এবং বন্ধুর রেখে যাওয়া বিভিন্ন সূত্রের জট খোলার পদ্ধতি বেশ ভালো লেগেছে। সেই সাথে হাসানের বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখার অভ্যাস এবং হাসান-অরনীর বিভিন্ন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতাও ছিলো চমৎকার। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, নিরীহ মানুষের সেই রাতের অবস্থা ইত্যাদি বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। আর শেষের যে আসল টুইস্টটি ছিলো সেটি ছিলো প্রকৃতপক্ষেই পিলে চমকে দেওয়ার মতো। শেষের টুইস্টটি পড়ার পরে এতোটাই চমকে গিয়েছিলাম, কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতে হয়েছে। ইতিহাস প্রতি ভালোবাসা এবং ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করার আগ্রহ থাকার কারণেই নিজের প্রথম মৌলিক থ্রিলারের প্লট হিসেবে বেছে নেন ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ এবং ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চকে। এই বইটি লিখতে লেখককে যে অনেক বইপত্র ঘাঁটতে হয়েছে, গবেষণা করতে হয়েছে, বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে এবং যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটার প্রমাণ খুব ভালো ভাবেই পাওয়া যায় বইটিতে। তবে সবশেষে বলতে পারি ইতিহাস, খুন, বিশ্বাসঘাতকতা, অ্যাডভেঞ্চার, অ্যাকশন, বিচক্ষণতা, বর্বরতা ইত্যাদির সংমিশ্রণে বেশ উপভোগ্য বই ‘২৫শে মার্চ’। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮/৫ শাহরুল ইসলাম সায়েম

      By mostafizur rahman

      07 May 2017 07:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ৫ বছর পর বিদেশে থাকে মায়ের কাছে আসছে অরনী। যদিও একটা বিশেষ ঘটনার পর মায়ের সাথে রাগ করে চলে যায় তারপরেও সবসময় চাইতো মায়ের সাথে দেখা করতে। কিন্তু মায়ের সাথে আর কখনো দেখা হবেনা কারন মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনেই সে এসেছে। আর অবাক করা বিষয় মাকে খুন করেছে এমন একজন যে মায়ের খুব প্রিয় এবং সন্তানের মত। তাহলে কি এমন হলো যার কারনে হাসান মাকে খুন করলো? প্রচন্ড রাগে প্রশ্নের জবাব নিতে গিয়ে অরুনী জানতো পারলে হাসান মাকে খুন করেনি। সম্পূর্ণ ভূল ব্যাখ্যা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অরুনী তার কথা বিশ্বাস করে বুদ্ধি আটে তাকে কিভাবে পালতে সাহায্য করবে এবং কিভাবে তার মায়ের খুনীকে বের করবে।কিন্তু অরুনী জানতো না তার জন্য অপেক্ষা করছে কতটা দুঃসহ জীবন এবং অপ্রত্যাশিত সত্য ... আমি আপনাদের সামনে যে প্লট তুলে ধরেছি সেটা বর্তমানের। কিন্তু ঘটনার প্লট শুরু হয়েছে সেই ১৮৫৭ সালেে তখন থেকেই ঘুরে ফিরে যে বিষয়টা সামনে আসছে তা হল ডাইরী, কয়েন ইত্যাদি। আপাততঃ দৃষ্টিতে আপনি যখন প্রথম বইটা পড়া শুরু করবেন তখন দেখতে পাবেন এসব জিনিস যার কাছেই যাচ্ছে তারই অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মৃত্যু হয় অরুনীর মায়ের। বইটির নাম যেহেতু ২৫ শে মার্চ তারমানে এটা ধরে নেয়া যায় যে এসব মৃত্যু আর ডায়রী কয়েনের সাথে তার বিশেষ একটা সম্পর্ক আছে। প্রশ্ন হচ্ছে কি সেই সম্পর্ক? নিঃসন্দেহে ২৫ মার্চ সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চমৎকার একটা প্লট। তবে আমাকে যে বিষয়টা সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে তা হল বর্তমান এবং অতিতকে একই সংগে বয়ে নিয়ে চলা। এই বিষয়টা সত্যিই আমাকে দারুণ ভাবে আপ্লুত করেছে। আপনি যদি চান আগে অরুনী অধ্যায় টা পড়বেন তাহলে একটা অধ্যায় বাদ দিয়ে পড়বেন তাতে কোন সমস্যা হবেনা আবার অতিত পড়তে চাইলেও একই কথা। তবে যেসব বিষয় অতিত আর বর্তমানে মিল আছে সেগুলো আরো দারুণ লেগেছে। সত্যিই দারুন একটা বই।পাতার, মান, বাধাই সবকিছুই ভালো লেগেছে। বানান যে ভূল ছিলনা তা কিন্তু না, কিন্তু বানান আমার কাছে মুখ্য না। আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

      By susmoy bhattacharjee

      26 Jan 2017 02:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      this books is awesome...full of thrill expect another one like this from writer

      By Nahid Farhana

      19 Dec 2016 01:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই গল্পের শুরু ১৮৫৭ সালে; হয়তোবা তারও আগে, কিন্তু পটভূমি রচিত হয়েছে ১৮৫৭ সাল থেকে, যখন ইংরেজদের কামানের গোলায় কেঁপে উঠলো লালবাগ দুর্গ, প্রাণ হারালো বহু নিরীহ মানুষ। আর এরইমধ্যে ইতিহাসের এক মহামূল্যবান বস্তুকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করতে বুড়িগঙ্গা নদী সাতরে পাড়ি দিল একটি মানুষ, সাথে এক পা ভাঙ্গা পাথরের ঘোড়ার ভিতরে রক্ষিত সেই মহার্ঘ্য বস্তু, প্রাচীন এক কাল্টের নিদর্শন। এরপর থেকে সমান্তরালভাবে এগিয়ে গেছে কালের দুই অধ্যায়, একটি অতীত কাল, সময়টা তখন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ; আর অপরটি বর্তমান কাল, ২০১৪ সালের জুলাই মাস। অতীতের দৃশ্যপটের প্রধান নায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক কামরুজ্জামান, যিনি জীবন বাজি রেখে রক্ষা করতে চান ইতিহাসের এক মহামূল্যবান সম্পদ, সাথে থাকে তার দুই ছাত্র কবির আর আবু। ১৯৭১ সালের সেই ভয়াল রাত্রিতে, কর্নেল হাবিবের চোখে বারবার ধুলো দিয়ে তারা মোকাবিলা করতে থাকে একের পর এক বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি। এবার একটু তাকাই বর্তমানের দিকে, অর্থাৎ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে, যখন নিজবাড়িতে খুন হন আফরোজা নামের এক নারী। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ইউ এস থেকে বাংলাদেশের মাটিতে আবার পা রাখে অরনী, যে কিনা পাঁচ বছর আগে মায়ের উপর রাগ করে পাড়ি জমিয়েছিল সুদূর আমেরিকায়। তার আশা ছিল কোন একদিন মা তাকে ফোন করবে, অবসান হবে সব ভুল বোঝাবুঝির। কিন্তু অদৃষ্টের খেলায় মায়ের আহবানের পরিবর্তে এল তার মৃত্যুসংবাদ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অরনী আরো বেশি বিপন্ন বোধ করল যখন দেখলো তার মায়ের খুনী হিসেবে অভিযুক্ত ছেলেটি (হাসান) তার জীবনের প্রথম ক্রাশ। তবে মৃত্যুর আগে মেয়ের উদ্দেশ্যে একটি নোট রেখে যান আফরোজা আক্তার, যেখানে তিনি বলে গেছেন হাসানকে বিশ্বাস করতে, সেই হাসান, যার গাড়ির বুটে পাওয়া গেছে আফরোজা আক্তারের ডেডবডি। অরনী থানায় গিয়ে দেখা করে হাসানের সাথে। হাসান খুনের দায় অস্বীকার করলে কেন জানি তাকে অবিশ্বাস করতে পারেনা অরনী, তাই এক বুড়ো ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাহায্যে কৌশলে হাসানকে মুক্ত করে সে। তারপর সত্যের সন্ধানে শুরু হয় দুজনের পথ চলা। যে রহস্যের কারনে খুন হতে হল আফরোজাকে, সেই রহস্য সমাধানের প্রত্যয়ে দিনরাত এক করে ছুটে চলে এই দুই নবীন প্রাণ। আর পুলিশের থাবা থেকে বারবার তাদেরকে রক্ষা করতে থাকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। কিন্তু কে সেই সাহায্যকারী, কিইবা তার উদ্দেশ্য?? কিসের স্বার্থে সে ছায়ার মত অনুসরণ করছে তাদের??? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর লুকিয়ে আছে বইটির শেষের দিকের কয়েকটি পৃষ্ঠায়। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমার পড়া রবিন জামান খানের প্রথম বই ২৫শে মার্চ। প্রথমদিকে কিছুটা বোরিং লাগছিল, ভেবেছিলাম রেখে দেই; ভাগ্যিস রাখিনি, নাইলে দারুণ একটা বই মিস হয়ে যেত আমার পড়ার তালিকা থেকে। ভিন্ন ভিন্ন দুই সময়ের দুটি দিনের ঘটনাগুলো এত সুন্দর আর সাবলীলভাবে এগিয়ে গেছে যে বইটি শেষ না করা পর্যন্ত যেন অন্য কোন কাজে মনই দিতে পারছিলাম না। তবে অনেক ঘটনাই আগে থেকে আন্দাজ করে ফেলতে পারছিলাম। আর বইয়ের প্রধান বেইমান লোকটি, অতীত ও বর্তমান দুই জায়গায়ই আমার সন্দেহের তালিকায় ছিল। যাইহোক, সর্বোপরি ভাল লেগেছে বইটি।

      By Sawon Ahmed

      23 Jul 2016 11:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঢাকায় খুন হল অরনীর মা। মায়ের মৃত্যু সে ইউ এস এথেকে ছুটে এল মাকে দেখবে বলে। দেশে আসার পর থেকেই অদ্ভুত সব রহস্যময় এক ঘটনায় জড়িয়ে পরে ও। মৃত্যুর আগে তার মা রেখে গেছে দুর্বোধ্য এক ধাঁধা আর ধোঁয়াশা মেশানো অতীত। মায়ের মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত করতে হলে তাকে সমাধান করতে হবে ধাঁধা আর ডুব দিতে হবে সুদুর অতীতে। পরিস্থিতির চাপে পরে হাত মেলাতে হয় ওরই মায়ের হত্যাকারী হিসেবে অ্যারেস্ট হওয়া আসামি হাসানের সাথে। অরনীর মা রেখে গেছেন এর দুর্বোধ্য ধাধা, যার শুরু সেই ১৮৫৭ সাল, ব্রিটিশ আমল থেকে। রহস্যের সমাধান করতে অরনী আর হাসান ছুটে চলছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। ঘটনার পরিক্রমায় পলাতক আসামির খাতায় নাম উঠে গেছে অরনীর। একদিকে পুলিশের তাড়া আর অন্যদিকে নিজেদের বাঁচানোর তাগিদ। আশ্চর্যের ব্যাপার হল কেউ একদল লোক গোপনে ওদের সাহায্য করছে যাদেরকে ওরা চিনেনা। মায়ের দেওয়া সূত্র ধরে ওরা এগোতে থাকে, কিন্তু প্রচুর প্রতিঘাতের সম্মুখীন হয়। ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতে ওরা জানতে পারে সমস্ত রহস্যের বীজ রোপিত আছে ইতিহাসের বিশেষ একটি দিনে ২৫ শে মার্চ, ১৯৭১ এ। আর অরনীর মায়ের খুনি? কে সে? বইয়ের শেষে আছে দারুন এক টুইস্ট জানতে হলে পড়ে ফেলুন এই বইটি। ব্যক্তিগত মতামতঃ এটি রবিন জামান খানের প্রথম থ্রিলার। এক কথায় অসাধারণ একটি বই। অত্যন্ত সুন্দর একটি থিম নিয়ে বইটি লেখা। সেই ব্রিটিশদের সময় থেকে বর্তমান সময় লেখক অত্যন্ত যত্নের সাথে প্রতিটি লেখা ফুটিয়ে তুলেছেন। বইয়ের নিখুঁত বর্ননা পাঠক কে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পর্যন্ত। বইটি পড়তে পড়তে পাঠক যখন ভাববেন মুল কালপ্রিট কে ধরে ফেলেছেন কিন্তু যখন শেষ পর্যন্ত পড়বেন তখন অবাক হয়ে ভাববেন কাহিনী এত জটিল। এই তাহলে সকল অপরাধের মুল। পাঠক বইটি পড়ে পরিপুর্ন তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন।

      By Shahriar Nafis

      27 Jun 2021 02:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্প শুরু এবং শেষ হয়েছে ১৮৫৭ সালের কাহিনী দিয়ে।মূল গল্প রয়েছে এর মধ্যে।অসাধারণ প্লট,অসাধারণ গল্প,লেখনি সব পুরাই জুস লেগেছে।আপনি পড়ে বুঝতে পারবেন না যে এটা লেখকের প্রথম মৌলিক বই। ১৯৭১ সালের ও বর্তমান সময় হিসেবে ২০১৪ সালের কাহিনী নিয়ে গল্প এগিয়েছে।দুসময়ের কাহিনীই আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং শেষে এসে গল্প দুটোর কানেকশন বুঝতে পারবেন।আমার কাছে বর্তমান সময়ের প্রধান চরিত্রের থেকে অতীত সময় মানে ১৯৭১ এর প্রধান চরিত্র কে বেশি ভালো লেগেছে। গল্পে টুইস্ট গুলো ও অসাধারণ লেগেছে।এককথায় একটা পরিপূর্ণ থ্রিলার এর শতভাগ মজা আপ্নারা এই বইয়ে পাবেন।⚡

      By Abdullah Numan

      18 Jan 2020 10:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্য ইতিহাস এবং কল্পনার এক অপূর্ব মিশেল হচ্ছে এই বইটি। প্রতিটি ঘটনার ধারাবাহিক বর্ণনা এতো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে মনে হবে পাঠক নিজেই সেখানে উপস্থি। অসংখ্য ধন্যবাদ লিখককে, এতো সুন্দর একটি রচনা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।

      By Md. Shahrul Islam sayem

      26 Nov 2018 02:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জাস্ট অসাধারন

      By robel

      22 Jun 2021 02:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অনবদ্য।। আমাদের দেশের লেখকেরা এধরনের বই লিখতে পারেন কল্পনায়ও ছিল না।।

      By Farhina Jannat

      26 Dec 2017 11:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভেবেছিলাম আর রিভিউ লেখবোনা, কিন্তু বইটা পড়ার পর থ্রিলারপ্রেমীদের বইটা সম্পর্কে না জানানো ঠিক মনে হলনা। গল্পের শুরুটা কবে জানেন, সেই সিপাহি বিদ্রোহের সময়, ১৮৫৭ সালের ২২শে নভেম্বর। ২৫শে মার্চ,১৯৭১। বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মর্গে ছুটলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থবিজ্ঞান এর প্রফেসর মনিরুজ্জামান। সেখানে পুলিশের কাছে পেলেন এক প্যাকেট, আর প্যাকেটের মধ্যে কিছু রহস্য। একটা ঘোড়ার ছবি, ছবিতে লেখা 'ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অফ ইউ'; আর একটা কয়েন,যার একপাশে একটা পা ভাঙা ঘোড়ার প্রতিকৃতি, অন্যপাশে একটা অদ্ভুত সিম্বল। সেই রহস্যের সন্ধানে ছুটলেন তিনি প্রিয় দুই ছাত্র কে নিয়ে। এর মধ্যে শুরু হয়ে গেল বাঙালীর জীবনের সেই ভয়াবহ কালরাত্রি। পাকিস্তানি মিলিটারিদের 'অপারেশন সার্চলাইট'। চারিদিকে গোলাগুলি, কামান দাগার আওয়াজ। এর মধ্যেই ছুটে চলেছেন মনিরুজ্জামান। কারণ, আজ রাতে সমাধান না হলে হয়তো চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে একশো বছরেরও পুরনো এই রহস্য। ও হ্যাঁ, তার পেছনেও লেগেছে পাকিস্তান আর্মির এক বিশেষ টিম, ইয়াহিয়ার নির্দেশ, পেতে হবে ওই ভাঙা ঘোড়া। ৯ই জুলাই, ২০১৪। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ইউএসএ থেকে এক কাপড়ে দেশে ফিরেছে অরনী। বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সাথে রাগ করে দেশ ছেড় চলে গিয়েছিল সে। পাঁচ বছরের মধ্যে মা মেয়ে কেউই একজন আরেকজনের অভিমান ভাঙাতে ফোন দেয়নি। আর আজ যখন ফোন পেল, পেল মায়ের মৃত্যু সংবাদ। দেশে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকেই ঝামেলা শুরু হয়ে গেল। এরপর মর্গে লাশ দেখতে গিয়ে উকিলের কাছ থেকে পেল একটা কুরিয়ারের প্যাকেট। তার ভেতরে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭১ সালের একটা ডায়েরি, একটা বহু পুরনো ঘোড়ার ছবি, আর একটা কয়েন। অরনীর মাও লিখে গেছেন, 'ট্রুথ ইজ অলওয়েজ ইন ফ্রন্ট অফ ইউ'। আর তারপর! অরনী ছুটছে মায়ের রেখে যাওয়া ক্লু ধরে মায়ের মৃত্যুর রহস্য খুঁজতে। সাথে আছে মায়ের খুনী সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া মায়েরই প্রিয় ছাত্র হাসান আর ট্যাক্সি ড্রাইভার আমির চাচা। পুলিশের তাড়া খেয়েও চালিয়ে যাচ্ছে রহস্যভেদ অভিযান, কিন্তু কতক্ষণ! কি, দুইটা দৃশ্যপট একই তো? এখন এই দুই দৃশ্যপটের মধ্যের কানেকশন কি? কি রহস্য খুঁজছে তারা? ভাঙা ঘোড়াতেই বা কি এমন আছে যার জন্য ছুটছে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে? অরনীর মার সাথেই বা ওর কি নিয়ে অভিমান হয়েছিল? এলোপাথাড়ি গোলাগুলি আর বেশ কয়েকটা খুন দিয়ে জালের সুতো খুলেছেন লেখক। এরপর সুচারুভাবে সেই জাল ছড়িয়ে দিয়েছেন দুই সময়ে। লেখক আমাকে রোলার কোস্টারের মত চল্লিশ বছর আগে পরে ঘোরাচ্ছিলেন। আর আমিও পাতার পর পাতা উল্টে যাচ্ছি, ছুটছি, কখনো অরনীর সাথে, আবার কখনো মনিরুজ্জামানের সাথে। দারুণ ছিল অভিযানটা, তবে আমি বেশি থ্রিল পেয়েছি মনিরুজ্জামানের সাথে। মনে হচ্ছিল, এই কেউ দেখে ফেলল, এই বুঝি কেউ গুলি খেল, মানে ভয়ংকর অবস্থা। শেষে আবার লেখক সুনিপুণ হাতে জালটা গুটিয়ে এনেছেন, দিয়েছেন আমার সব প্রশ্নের উত্তর। কল্পনাও করা যায়না, এটা লেখকের প্রথম মৌলিক। অনবদ্য লিখেছেন। আমার কাছে সার্থক থ্রিলার মানেই শেষে থাকবে দারুণ একটা টুইস্ট। এটাতে অবশ্যই সেটা ছিল। মাত্র চারদিনের ঘটনা দিয়ে পুরো বই শেষ। থ্রিলারপ্রেমী হলেও বাঙলা মৌলিক থ্রিলার এখন পর্যন্ত শুধু নাজিমুদ্দিন এরই কয়েকটা পড়া হয়েছে। এরপর রবিন জামান খানের পড়লাম। বলাই বাহুল্য, এরপর এই লেখকের কোন মৌলিক মিস হবেনা, ফোর্টি এইট আওয়ার্স নামেও একটা বের হয়েছে, ওইটাও খুব তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলব। লেখক দা লাস্ট টেম্পলার, ম্যাপ অফ বোনস সহ আরো কিছু অনুবাদও করেছেন এর পূর্বে, যদিও সেগুলো পড়া হয়নি। বইটাতে বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে, যেটা প্রকাশনীর দোষ।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!