User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন আগেই এটা কিনেছিলাম।আমার পড়ার তালিকায় অন্যতম পছন্দের একটি বই।লেখক কেনো যে ৩য় খন্ড বের করছেন না জানি না।কিন্তু আমি এটার ৩য় খন্ডের জন্য আসলে অধীর আগ্রহে বসে আছি
Was this review helpful to you?
or
Nothing but recommended this masterpiece.
Was this review helpful to you?
or
Great one!
Was this review helpful to you?
or
mind blowing
Was this review helpful to you?
or
valo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
very nice story...... i loved it ❤️
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় আধুনিক ধাঁচের থ্রিলার লেখক এখন তেমন নেই বললেই চলে। সেই দিক বিবেচনায় লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের প্রচেষ্টা বেশ প্রশংসনীয়। এই বইটির প্লট ছিল বেশ ব্যতিক্রম ইন্টারেস্টিং, লেখায় ছিল বুদ্ধিমত্তার ছাপ। কিন্তু শেষের দিকে এসে বইয়ের প্লট কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে একদম প্রধান প্লট টুইস্টটা যেন অনেকটাই জোর করে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে কারোর লেখাতেই ভাল দিক খারাপ দিক থাকবেই। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে, বাংলা থ্রিলার লেখায় লেখক যেই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটাকে সাধুবাদ জানাই।
Was this review helpful to you?
or
বহুদিন পর থ্রিলার উপন্যাস পড়লাম। প্রথমেই বলে রাখি, আমি বাঘা কোনো পাঠক নই। হাতে গোনা কিছু উপন্যাস পড়েছি মাত্র। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে পরিমানে হাইপ আছে, পড়ে আমি সেটা মেলাতে পারিনি। একটা কারন অবশ্য আমার ব্যাক্তিগত। দেশীয় পটভূমিতে লেখা গল্প আমি খুব বেশি এনজয় করতে পারিনা। এর কারন আমার থ্রিলার পড়া শুরুই হয়েছিল বিখ্যাত দ্য দা ভিঞ্চি কোড দিয়ে। তখন থেকেই বিদেশী থ্রিলারের প্রতি টান অনুভব করি। যাহোক, হাইপ ছিলো বলেই একসাথে দুইটা বই-ই কিনে ফেলি। ফেলে রেখেছিলাম বহুদিন। হঠাৎ কী মনে করে একদিনেই পড়ে শেষ করে ফেললাম! আসলে আমার জন্য একদিনের মধ্যে তিনশো পৃষ্ঠার একটা বই পড়ে ফেলা চরম রেকর্ড। এ থেকে দুটো বিষয় নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, উপন্যাসের বর্ণনা বেশ সাবলীল আর সহজ ছিলো। আর মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, পাঠককে বইয়ের সাথে আটকে রাখার যেই জাদুকরী বিদ্যা, তার যথাযথ ব্যবহার লেখক এই বইতে করতে পেরেছেন। শুরুর দিকের চ্যাপ্টারগুলো পড়ে আমি বেশ বিরক্ত হচ্ছিলাম। বিশেষ ভালো লাগছিলো না। তারপরেও পড়া চালিয়ে গিয়েছি এবং কিছু পরেই আগ্রহ তৈরী হতে শুরু করেছে। আদতে আতর আলীর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের ব্যাপারে প্রশংসা না করে পারছি না। তবে নুরে সফার ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট নই। তার চরিত্র আর লেখকের বর্ণনা ঠিক মেলাতে পারিনি, বইয়ের কোনো অংশেই না। মুশকান জুবেরির চরিত্রটা বেশ রহস্যময়তার সাথেই তুলে ধরেছেন। যেই ব্যাপারটা সবচেয়ে অসংগতিপূর্ণ লেগেছে, সেটা হলো একজন বোবা, কালা মানুষ দারোয়ানের দায়িত্ব পালন করছে, বিপদে দ্রুত সতর্ক করায় যে অক্ষম। অন্যান্য চরিত্র নিয়ে বিশেষ অভিযোগ নেই। আর তাদের ব্যাপারে বলতে চাচ্ছি না স্পয়লার এড়ানোর জন্য। যাইহোক, অনেক জায়গায় ভাল্গারনেস খুবই কটু লেগেছে। সেগুলোর প্রয়োজনীয়তাও খুব বুঝে আসেনি। এবার আসি সিন বর্ণনার কথায়। লেখক এ ব্যাপারে যে খুবই পারদর্শী তা স্বীকার করতেই হবে। পুরো বই জুড়ে প্রত্যেকটা ঘটনা এমনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যেন ব্যাপারগুলো আমার চোখের সামনে ঘটে চলেছে। তবে একটা কথা, এ ধরনের থ্রিলার উপন্যাসে যেই চাপা ভাবটা কাজ করে সেটা আমি বিশেষ টের পাইনি। এ কারনটাও আমার ব্যক্তিগত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে খেয়াল করছি, বেশ কিছু অনুভূতি ম্লান হয়ে এসেছে। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটতেই পারে, তাছাড়া, থ্রিলার বই পড়ে মজা পাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ডিপেন্ড করে। একজন দিনের বেলায় জানালা দরজা খুলে বাচ্চার চিল্লাপাল্লা শুনতে শুনতে পড়লে সে মজা টের পাবে না। আমি অবশ্য বেশিরভাগ অংশ রাতেই পড়েছিলাম। যাইহোক, গল্পের থ্রিল বা রহস্যের কথা যদি বলি, সেটা মিশ্র। এককেন্দ্রিক নয়। বেশ কিছু মেজর ব্যাপার খুব বেশি প্রেডিক্টেবল। আবার কিছুক্ষেত্রে সেগুলোর বর্ণনা এতটাই সাদামাটা, যে মনেই হয়নি, সিরিয়াস কিছু ঘটে গেছে। তবে হ্যাঁ, কিছু অংশে ডার্কনেস আছে। বেশ গভীর। ব্যাপারগুলো নিয়ে চিন্তা করলে থ্রিল অবশ্যই পাওয়া যায়, ভালো রকমের থ্রিল! তবে সমস্যা হলো সেই চিন্তা করার তাগিদটা অনুভব করা কষ্ট! বইয়ের শেষে রহস্যভেদের পরে আরো কিছুটা পার্ট আছে, যেটা আমি এনজয় করিনি একদমই। তবে অনেকেই এ ধরনের এন্ডিং এনজয় করে। এবার প্রোডাকশন নিয়ে কিছু বলি, বইয়ের কাগজের মান তেমন ভালো লাগেনি, মূল্য অনুপাতে আরো ভালো হতে পারতো। প্রিন্টিং নিয়ে অভিযোগ নেই। হাতে গোনা দু-এক জায়গায় মাত্র টাইপো আছে। বাধাই ভালো মনে হলো, দু-তিনবার পড়ার পরে টিকবে কিনা বলতে পারছি না। সব মিলিয়ে যদি বইয়ের মূল্যের কথা বলি, খুব বেশি মনে হয়নি। আবার কিছু কম হলে ভালো হতো, এটাও মনে হয়েছে। যাইহোক, শেষ করি। বাঙালি উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু জিনিসকে ওভারেস্টিমেট আর কিছু জিনিসকে পা দিয়ে ডলতে শেখে। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে, আমার মনে হয়, বইটা খুবই ওভাররেটেড। তার মানে এই না যে খারাপ বলছি। এতখানি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমার মিশ্র প্রতিক্রীয়া। আমি বলবো, থ্রিলার পড়া সবে শুরু করতে চায়, তাদের জন্য ভালো চয়েস হতে পারে এটা। ভাল্গারনেসের কমতি না থাকায় মানসিক অবস্থাটা এক্ষেত্রে আমলে নিতে হবে অবশ্যই। তবে মারাত্মক লেভেলের ব্রেইনস্টর্মিং, বাক্যে বাক্যে থ্রিল পাওয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ নয়। এটা বরং হালকা বই বলা চলে, যেটার জন্য লেখক অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন, কিন্তু পাঠকের ভাগে কিছু রাখেননি বললেই চলে!
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। সত্যি কথা বলতে বইটির প্রতি যতটুকু এক্সপেকটেশন ছিলো বইটা তা পূরণ করতে পারেনি। আমি আগে কখনো নিজাম উদ্দিন এর লেখা পড়ি নি এটাই ছিল তার প্রথম বই যেটি আমি পড়েছি। আমার যতদূর মনে হয়েছে উনি খুব স্লোলি লেখে। আমার মতো অনেক পাঠক এর ই এমন স্লো বার্ন ভাল্লাগে না। প্রথম ১০০ পৃঃ আমার কাছে যাচ্ছে তাই মনে হয়েছিলো । মানুষের মাংস খাওয়ার সিনটা কেন জানি আমার কাছে বড্ড নাটকীয় লেগেছে। মনে হয়েছে কোনো মুভি থেকে নেয়া হয়েছে।যারা আমার মতো হুমায়ূন আহমেদ বা আরিফ আজাদের বই পড়ে অভ্যস্ত তাদের বই এ ব্যাবহৃত শব্দ পড়তে একটু বিব্রত বোধ হতে পারে। এমনি তে মুসকান জুবেরির পালানোর ঘটনা ছাড়াও এন্ডিং এ চমক রেখে শেষ করার যে ব্যাপারটা আমার অন্যরকম ভালো লেগেছে । অভার অল ০৭/১০ দেয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা সুন্দর রহস্যজনক, বাকিটা দ্বিতীয় পর্ব আসলে বুঝা যাবে।
Was this review helpful to you?
or
this book is full of trill and suspense. I have completed reading this book only in 4 days
Was this review helpful to you?
or
Recommend
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।।
Was this review helpful to you?
or
become fan of Nazim Uddin after reading these book ?
Was this review helpful to you?
or
very good book
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশেও যে এত সুন্দর থ্রিলার হয় তা এই বই না পড়লে বুঝতে পারতাম না,,,,,,,,আর হ্যাঁ বইটার নামটাও কিন্তু একদম ব্যতিক্রম
Was this review helpful to you?
or
excellent ?
Was this review helpful to you?
or
রূদ্ধশ্বাস একটি থ্রিলার বই। যারা এখনো বইটি পড়েননি তাদের জন্য আমার একটি উপদেশঃ বইটি না পড়লে থ্রিলারের কোন মজা পাবেন না....
Was this review helpful to you?
or
এককথায় এটি একটি দুর্দান্ত বই।
Was this review helpful to you?
or
Waiting for the next part
Was this review helpful to you?
or
One of best best bengali books in recent years!
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ। টান টান উত্তেজনায় ভরপুর থ্রিলার। এই বইটি পড়তে গিয়ে মুশকান জুবেরির রহস্যের জালে আটকা পড়ে বইটি শেষ না করে উঠতে মন চাইবে না। আশা করছি,এই বইটি পড়লে ভাল লাগবে। ?Happy Reading
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়া শুরু করি এক ছোটভাইয়ের সাজেশনে।লেখক পূর্বপরিচিত ড্যান ব্রাউনের অনুবাদের কল্যাণে।ধারনা ছিল অনুবাদকেরা ভালো মৌলিক গল্প লিখতে পারেন না। লেখক সেই ধারনায় চপেটাঘাত করেছেন সার্বিক ভাবে গল্পের নাম, কাঠামো,চরিত্র গঠন,আবহ আর ক্রমান্বয়ে ঘটনা ঘটার পরিবর্তনে।কুসংস্কার ভাঙ্গা সেই সাথে অস্বস্তিকর ভয়ংকর পরিবেশ তৈরী করা, এক কথায় অসাধারণ শুধু ডিবি অফিসারের নিম্নমানের নির্বুদ্ধিতা ছাড়া।থ্রিলার যারা পছন্দ করেন তাদের তালিকায় এই বই উপরের দিকেই থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই, থ্রিল এর কমতি নেই, আছে রহস্য, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা...বইটি পড়ে আপনার সময় নষ্ট হবে না, নিশ্চিন্তে নিতে পারেন
Was this review helpful to you?
or
মারাত্মক সুন্দর। পড়তে পড়তে কখনো ভয় পেয়েছি, মজা পেয়েছি, চিন্তায় পড়েছি। মাস্টারপিস থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
বহু বছর আগে,সুন্দরপুরে রবীন্দ্রনাথ আসবে বলে আয়োজনে চলছিল কয়েকদিন ধরে, দেশ-বিদেশ থেকে আনা নামকরা রন্ধনশিল্পি দিয়ে তৈরি হয়েছিল সব মুখরোচক খাবার,কিন্তু আদরের কন্যা বিয়োগের কারনে সেবার রবি-ঠাকুর আসতে পারেননি!!! আবারো বহুবছর পর রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্লানচ্যাটের মাধ্যমে তাকে আবার আমন্ত্রন করা হয়েছিল সুন্দরপুরে,তবে এবার রন্ধনশিল্পি হিসেবে দেশ-বিদেশ থেকে কোনো নামকরা রন্ধনশিল্পি তার জন্য রান্না করেননি,রবিন্দ্রনাথের একজন নারীভক্ত তার জন্য রান্না করেন,রান্না করেন নানান পদের আমিষ/নিরামিষ! তবে এবারাও রবীন্দ্রনাথ খেতে আসতে পারেন নি, কারন মৃত্যুর আগে তিনি নিরামিষ ভোজী হয়ে গিয়েছিলেন!!!সেই থেকে এই রেস্টুরেন্টের নাম "রবিন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" "মুসকান জুবেরির প্রেসার কুকারে রান্নার ব্যাপারটা একদমই পচ্ছন্দ না,রান্না তার কাছে একটা শিল্প, আর সেই শিল্পকে চাপের মধ্যে ফেলে দেয়াটা অনুচিত...তবে যারা শুধুমাত্র উদরপূর্তির জন্য রান্নাটা করে তাদের ক্ষেত্রে যুক্তি অন্যরকম..."
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
boi wow
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ উপন্যাস। খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এক কাহিনি ???
Was this review helpful to you?
or
রকমারি টিম কে ধন্যবাদ আমাদের কাছে এত ভাল বইগুলো Affordable price এ পৌঁছে দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
The Plot was Great and Interesting. Recommended!
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি। তেমন কোনো আকর্ষণ বোধ করিনি পড়া শেষে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই, যতক্ষণ পড়েছি ততক্ষনে বইয়ে বুঁদ হয়ে ছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
it's good...
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Good One
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
A full of thrill story specially with both parts
Was this review helpful to you?
or
boita jokhon porechi..purota shomoy rohossher jale atke chilam..seriously arokom plot-thrill-ending really unexpected! No doubt it is the best book of MNU.
Was this review helpful to you?
or
One of a kind Bangla thriller I have ever read!
Was this review helpful to you?
or
quite a good thriller
Was this review helpful to you?
or
Its nice novel
Was this review helpful to you?
or
সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
ভাল লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
darun
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ থ্রিলে ভরপুর একটি বই....নাজিম উদ্দিনের লেখা প্রতিটি পাতায় যেনো এক নতুন অ্যাডভেঞ্চার এর স্বাদ দেবে পাঠককে.....
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
A first-class experience.
Was this review helpful to you?
or
ভালো ই তবে 2য় অংশটা একটু বেশি কাহিনি দেওয়া হয়েছে...
Was this review helpful to you?
or
far better then I expected. you just have to read this book it will blow your mind. the way of writing from author. it will never disappointe you. muskan juberry is a character with so much unanswerd question. just read this book. you don't have to read any reviews just buy the book and read it.. totally recommended for adults and they would love it.
Was this review helpful to you?
or
marattok
Was this review helpful to you?
or
Very much trilling
Was this review helpful to you?
or
বাংলায় এত টান টান উত্তেজনার বই খুব কমই আছে। বাংলা সাহিত্যে থ্রিলারে এই বইটি একটি নতুন ধারার সূচনা করেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
গন্ধটা যেনো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো তাকে। ট্যাক্সিক্যাবের দরজা খুলে মাটিতে পা রাখার সাথে সাথে টের পেলো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে অদ্ভুত একটি গন্ধ। এ জীবনে নেয়া যতো গন্ধ আছে তার মধ্যে এটি একেবারেই অজ্ঞাত। এর মধ্যে যে সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে সেটাও টের পেলো খুব দ্রুত। টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্যাবে করে ভ্রমণ করার পর এমনিতেই খিদেয়। পেট চৌ চৌ করছিলো, প্রলুব্ধকর গন্ধে সেটা যেনো বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়লো এবার। তার থেকে মাত্র বিশ গজ দূরে, রাস্তার পাশে রেস্টুরেন্টটি দেখতে পেয়ে সানগ্লাস খুলে ভালো করে তাকালো। সাইনবোর্ডে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে অদ্ভুত আর অপ্রচলিত নামটি। দুই ঠোঁটে চেপে রাখা জ্বলন্ত সিগারেটে জোরে টান দিলো সে। পা বাড়ানোর আগে ট্যাক্সি ক্যাবের দিকে ফিরে তাকালো। ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেখেছে। তার সাথে চোখে চোখ পড়তেই মাথা নেড়ে সায় দিলো লোকটি। তাকে চলে যাবার ইশারা করতেই হুস করে শব্দ তুলে ট্যাক্সিক্যাবটি চলে গেলো। তার চোখের সামনে যে রেস্টুরেন্টটি দাঁড়িয়ে আছে সেটা গর্বসহকারেই জানান দিচ্ছে : "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি!" .......................................................................|
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
na porle miss.
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বললেও কম বলা হবে।।।
Was this review helpful to you?
or
It's really a mesmerizing book❤
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
Osadharon
Was this review helpful to you?
or
average...!!
Was this review helpful to you?
or
অসাধরণ একটা থ্রিলার উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
Osomvob valo
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
It's really nice book to read.
Was this review helpful to you?
or
Great thriller
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
এককথায় অসাধারণ একটি থ্রিলার বই!
Was this review helpful to you?
or
Nice book!
Was this review helpful to you?
or
marattok ekta book...onek valo lagche
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লেগেছে।কাহিনি খুব ইন্টেরেস্টিং ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
jossss
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
নুরে ছফার মতো এরকম গাধা গোয়েন্দা আমি আবার জীবনে দ্বিতীয় কোনো বইতে দেখিনি। প্লট সুন্দর তবে লেখক অপ্রয়োজনে প্রচুর বর্ণনা দিয়েছেন যেটা প্রচুর বিরক্তিকর।
Was this review helpful to you?
or
Really nice thriller book.
Was this review helpful to you?
or
দারুন
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। লেখক নাজিমউদ্দীনেকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এই বইয়ের জন্য।।
Was this review helpful to you?
or
heavy
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Sottii ee darun duita boii❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
বইটি যেটি দেওয়া হয়েছে সেটার কভার অনেক পুরনো। স্ক্র্যাচ ও আছে। রকমারি থেকে একটু ভালো বই আশা করেছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
too much thrillin' and awesome book
Was this review helpful to you?
or
লেখক কাহিনী বড়ো করা জন্য কিছু কিছু জায়গায় ছাড় দিয়ে দিয়েছেন...যায় কারণে বইটা পড়ার সময় অনেক জায়গায় বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম...এমনি বইয়ের থিমটা সুন্দর ছিল... কিন্তু মুশকান জুবেরির চরিত্রটা যেমন কঠিন একটা ব্যাক্তিত্ব ছিলো...ডিবি অফিসার হিসেবে নুরে ছপার চরিত্র ওই রকম মনে হয়নি.. আমার...কাহিনি লম্বা করতে গিয়ে কিছু কিছু অনেক বেশি বর্ণনা করেছেন।আর নুরে ছফার কিছু কাজ৷ একদম বোকামির মতো লেগেছে কারণ এ রকম গল্পের প্রধান চরিত্র হিসেবে তাকে অনেক বেশি দুর্বল মনে হয়েছে আমার..যাইহোক বইটা মোটামুটি ভালো... আপনাদের কাছে হয়তো ভালো লাগতে পারে??
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
Wonderful
Was this review helpful to you?
or
জম্পেশ একটা থ্রিলার সিরিজ। তৃতীয় খণ্ড পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ থ্রিলার
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রিয় একটি বই
Was this review helpful to you?
or
কি দারুণ গল্প
Was this review helpful to you?
or
awosome
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
Good to read and also lot of suspense.
Was this review helpful to you?
or
Good books are available easily from here, in good price. Happy with the service
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ। সুন্দরপুর গ্রামের মধ্যে এক অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট রয়েছেন। যার মালিক মুশকান জুবেরি নামের এক মহিলা। এখনকার খাবার খাওয়ার জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। তেমনি একদিন নূরে ছফা নামক এক ভদ্রলোক এলেন এই হোটেলে। এর পর তার সাথে পরিচয় হয় গ্রামের এক স্থানীয় বাসিন্দা আতর আলীর সাথে। নূরে ছফা আতর আলীর কাছ থেকে মুশকান জুবেরির খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন। এরপরের কাহিনী জানতে হবে পড়তে হবে রবীন্দ্রনাথ “এখানে কখনো খেতে আসেননি”
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার। স্তরে স্তরে থ্রিলার বিদ্যমান।
Was this review helpful to you?
or
medium
Was this review helpful to you?
or
রহস্যে ঘেরা খুবই মজার একটি প্লট। আচমকা টুইস্ট আর লেখকের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা সত্যিই কল্পনার জগতে হাওয়া দিতে বাধ্য!
Was this review helpful to you?
or
Good Book.
Was this review helpful to you?
or
খুবই দ্রুত ডেলিভারী পেয়েছিলাম। এত সুন্দর প্যাকিং এ বই দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।বাসায় বসে এত ভালো ভালো বই পড়তে পারাটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। শুভ কামনা রইল রকমারী এর জন্যে।
Was this review helpful to you?
or
Enjoyable. A good reading experience. The action-packed storyline with few nice twists. Though sometimes the story gets predictable because of too much information.
Was this review helpful to you?
or
Valo
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ এবং পছন্দের একটি থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
আগাগোড়া গল্পের বুনন ছিল নিটুট, চরিত্র গঠনে লেখক ছিলেন সচেতন; টার্ন এবং টুইস্টে ভরপুর একটি সুখপাঠ্য থ্রিলার। দেশীয় পটভূমিতে এমন একটি অন্যবদ্য থ্রিলার লেখায় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন সাহেবকে সাধুবাদ দিতেই হয়। তবে কিছু কিছু যায়গায় ছোট বিবরণী লেখক একটু বিশদ করে ফেলেছেন, আর বাতিঘর প্রকাশনীর এতগুলো সংস্করণ বের হবার পরও বানান ভুল গেল না: এটা একটু বিরক্তির কারণ।
Was this review helpful to you?
or
"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" টাইটেল পড়ে হয়তো বইটি পড়ার আগ্রহ তৈরি হওয়া বা না হওয়া দুইটাই মাথায় আসতে পারে। তবে টাইটেল এর সাথে ভিতরের গল্পের যেমন মিল আছে তেমন তুমুল কনট্রাস্ট ও আছে। *** নো স্পয়লার পার্ট *** "রবীন্দ্রনাথ" (সংক্ষেপে) অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা। আর মৌলিক গল্প হিসাবে আমার কাছে খুব ই দারুন লেগেছে। শুরুটা ভালোই আগ্রহ তৈরি করাতে সক্ষম। মাঝ খানের কিছু জায়গায় হয়তো কিছুটা স্লো নেস ছিল। তবে ক্লাইম্যাক্স টা অসাধারন ছিল। টুইস্ট আর টার্ন অত্যধিক প্যাঁচানো হয় নাই দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। অর্থাৎ, বেশি একটা মাথা ঘামাতে হবে না। তবে, "ওওও, তাহলে এই কাহিনী" বলার মতন ভালো স্কোপ আছে। ক্যারেকটার গুলা ভালো ভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্যারেকটার এ একটু বেশি কাজ হলে আরেকটু ভালো লাগতো আমার কাছে। ওভারঅল, ভালই ছিল বলতে গেলে।। আর "শকিং" এলিমেন্ট টা আসলেই ধারণার বাইরে।। দেশীয় থ্রিলার বলে কথা। পার্ট ১ পর্যন্ত পড়া হয়েছে। এখনও কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। পার্ট ২ আর ৩ পড়া না হলে বাকিটা বলতে পারছি না। আরেকটা জিনিস, সেটা হলো,, নূরে ছফা কে আরেকটু স্ট্রং করা যেতে পারতো!!! রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি: ভারডিক্ট ⭐⭐⭐⭐/5
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
boi ti order krechi. hate paowar opekkhai achi..asha kri vlo hbe
Was this review helpful to you?
or
darun
Was this review helpful to you?
or
Late delivery
Was this review helpful to you?
or
It was a very compelling read, except for a few loopholes. I would have enlisted the loopholes, but those would be spoilers for you guys. Anyway, it definitely had a unique storyline, and hence rating it 4.0/5 Yet I don't want to draw any abrupt conclusion since I haven't yet read the other two parts.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ থ্রিলার! !!!!
Was this review helpful to you?
or
একটি রোমহর্ষক কাহিনী, প্রতি পাতায় পাতায় রহস্যময় ঘটনা আপনাকে বাধ্য করবে পরবর্তী ঘটনা জানার জন্য। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি থ্রিলার বই, বইটি পড়বেন আর নুরে ছফা, মুসকান যুবেরীকে আপনার ভালো লাগবেনা এটা হতেই পারে না, আতরআলী চরিত্রটাও আপনাকে বেশ আনন্দ দিবে
Was this review helpful to you?
or
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা বই লেখার জন্য
Was this review helpful to you?
or
Sir apnake thank you so much for book .
Was this review helpful to you?
or
ভালোই কিন্তু একেবারে খুবি আনকমন না৷
Was this review helpful to you?
or
আসলে ঠিক কি বলবো বুঝতে পারছি না। বইটা পড়ে একেবারেই বাজে লেগেছিল মনে হচ্ছিল যেন পুরো টাকাটাই পানিতে গেছে যার জন্যে আর রিভিউ করিনি। কিন্তু গতকাল এই বই নিয়ে যখন ওয়েব সিরিজটা দেখলাম তখন মনে হলো এর চেয়ে না দেখাই ভালো ছিলো। পুরো খাজা একটা বই সেসাথে সিরিজটাও। Just a waste of time for both!
Was this review helpful to you?
or
২য়টা আরও ভালো হতে পারতো
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা আসলেই দারুন
Was this review helpful to you?
or
দ্রুত ডেলিভারি পেয়েছি। রকমারীকে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল একটা বই...?
Was this review helpful to you?
or
One of the finest thrillers out there
Was this review helpful to you?
or
সার-সংক্ষেপ: 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' নামে খাবার জায়গায় সবাই খেতে আসলেও এটার মালিক এটাকে রেস্টুরেন্ট বলতে নারাজ। এটা তার অতিথিশালা। অদ্ভুত নামের পিছনে মালিক ও এক অদ্ভুত রহস্যময় নারী- মুশকান জুবেরী। সুন্দরপুরে আসা সাংবাদিক নূরে ছফা ই বা কেন ব্যস্ত হয়ে পড়লো এই নারীর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য? সে কি জানেনা কেঁচো খোঁড়তে গিয়ে সাপ বের হবে? সেই রহস্য আদৌ কি কাওকে উন্মোচন করতে দিবে? পাঠ-প্রতিক্রিয়া: শুরুতেই যে এই অতিথিশালার খাবারের বর্ণনা দেয়া আছে তা পড়েই শুধু খিদা লেগে যেত আমার। কি যন্ত্রনা! কাহিনী আগাতে আগাতে এক সময় মনে হয় হচ্ছে টা কি? মাঝ পথে একটু ধীর স্থির হলেও শেষাংশে থাকে টান টান উত্তেজনা। কাহিনীটা শুরু হয় সাধারণ গল্পের মতো, অসাধারণ খাবারের পিছনে কৌতূহল নিয়ে। মূল প্লটে লেখক ধীরেই সময় নিয়ে এগিয়েছেন। আর শেষাংশ এগিয়েছে দ্রুত, পড়ে তো আমি থ! আর যাই ই হোক এটা আশা করিনি! অসাধারণ একটি থ্রিলার! যদিও এটি একটি সিরিজ, বইটি শেষ হয়েছিল অসমাপ্তি ছাড়া। কিছুটা অসমাপ্তি নিয়ে শেষ হলে হয়তো ভালো হতো। বইটি পড়ার পর মনে হয়েছে এমন বাংলা থ্রিলার এর অনুবাদ করা উচিত ইংলিশে অন্যান্য দেশের বইপোকাদের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বেশ ইন্টারেস্টিং এবং ইউনিক একটা থ্রিলার। পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাথায় কাহীনিটা ঘুরতে থাকবে। বাংলাদেশি থ্রিলার লেখকদের মান ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
Josh
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি ?নামটা একটা হোটেলের নাম?।নামটা শুনতে অদ্ভুত ? তাইনা!!হ্যাঁ মনে হতে পারে এ আবার কেমন নাম ? ঠিক তাই? নামটা যেমন অদ্ভুত তেমনি এটার মালিক (মুসকান জুবেরি)? ও কোন দিক থেকে কম নয়। তার মালিক কে ঘিরেই এ পুরো উপন্যাস টি। উপন্যাস টি একটি থ্রিলার উপন্যাস। লেখক গ্রাম বাংলার পরিবেশেও যেন একটা বিদেশি লেখকদের মত থ্রিলিং ভাব নিয়ে এসেছে। আর তা রিতীমত উত্তেজনায় ভরপুর ?।তবে আর বক বক না করে ছোট্ট করে বই এর রিভিউ টা নিচে দিয়ে ফেলিঃ গল্পটি সুন্দরপুরের 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' নামের একটি অদ্ভুত হোটেল কে ঘিরে যার মালকিন মুসকান জুবেরি। এই মুসকান জুবেরি এক রহস্যময়ী নারী এখানে, যাকে ঘিরেই পুরো গল্পটি তৈরি হয়েছে। প্রধান চরিত্রে আছেন ডিবি এর অফিসার নুরে ছফা, যিনি কিছু মিসিং কেস এর তদন্তের জন্য চলে আসেন সুন্দরপুরে। আরও কিছু চরিত্র গল্পটিতে আছে। তার মধ্যে আতর আলী যে কিনা লোকাল বিবিসি নামে পরিচিত। মূলত পুরো গল্পে সে নুরে সফাকে সাহায্য করে। বলাবাহুল্য আতর আলী শেষ পর্যন্ত ইনফরমেশন যোগার করতে গিয়ে জীবন ও খোয়াতে বসে এক গোরখোদক(ফলু) এর হাতে যেকিনা কঙ্কাল বিক্রির ব্যাবসা করত।শেষ পযর্ন্ত আসামি কে চিহ্নিত করার পড়েও তারা তাকে ধরতে অক্ষম হয়। তার নাকের ডগা দিয়ে পার পেয়ে যায় সে। পরে ঢাকাতে গিয়েও এলাকার এমপিকে খুন করে। তবে সেটাও রহস্যজনক ভাবে। প্রত্যেকটি চরিত্রকে এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পে যে গল্পটি খুব ফাস্ট পেস এবং ঔৎসুকতা সৃষ্টি করে। প্রথম ৭০ পাতায় তেমন কোনো থ্রিল সৃষ্টি করেনা, তবে তার পর থেকেই রহস্যের উদঘাটন হতে শুরু করে। দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয় পড়ার গতি। গল্পটিতে আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞান এর কিছু রোমহর্ষকর আবিস্কারের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। এক কথায় কেউ যদি গ্রাম বাংলার প্রকিতিতেও থ্রিলিং এর ফিলিংস পেতে চান নিরদ্বিধায় বইটি পড়তে পারেন আশা করি ভালো লাগবে ? টুটুল?
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লেগেছে। আসলে নিজাম স্যারের হাতে জাদু আছে। যার ফলে কেমন যে বইটি পড়তে বসলে হারিয়ে যেতে হয়।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় আমার পড়া সেরা থ্রিলার উপন্যাস। দুর্দান্ত!
Was this review helpful to you?
or
The book is awesome. full of thriller and mystery. also has a touch of horror. there are so many twist. The story turned in a different way many time. definitely a worth of time.
Was this review helpful to you?
or
Fantastic!
Was this review helpful to you?
or
it's amazing
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
it's really good book... love this books..??
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভাল।
Was this review helpful to you?
or
Each part of this book will give a great thrilling experience. However the end can be done even better. Overall that is worth to read
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার থ্রিলার!
Was this review helpful to you?
or
A very good thriller book
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা মৌলিক থ্রিলার এটি
Was this review helpful to you?
or
Ending hotasa purno
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধরন। নাজিম উদ্দিন স্যারের এটাই প্রথম বই ছিলো আমার আর এখন একদম পাকাপোক্ত ফ্যান যে সব সময় উনার নতুন বইয়ের অপেক্ষায় থাকে।
Was this review helpful to you?
or
৪.৫ একচুয়ালি! মাত্র দুই বসায় শেষ-মাঝে লাঞ্চের বিরতি নিয়েছিলাম শুধু! শেষ দিকে এসে তাই বলে এতকিছু ঘটে যাবে- তা পুরোটা আঁচ করতে পারিনি! সত্যি বলতে একদম শেষের দিকে বেশ চমৎকৃত করেছে, যদিও ভেবেছিলাম শেষেই আসল থ্রিল পাব-কিন্তু এভাবে, এমন দিক দিয়ে তা ভাবিনি। অদ্ভুত নামের সাইনবোর্ডটার সামনে এসে দাঁড়ালো আগন্তুক, যোগ দিল স্থানীয় বিবিসি(!)। প্রথমে ঈর্ষা আর শ্যেনচক্ষুতে বাকিরা দেখলেও ঘটনাক্রমে বুঝে যায় কে এই আগন্তুক, কিন্তু তার কাজ? অনেক কাজ, আনসলভড মিস্ট্রি শুড বি সলভড বাই কেএসকে এন্ড এনএস!! নামটা যদিও বিকর্ষিত করেছিল(এমনকি ২০২০ এ প্রথম এর প্রচ্ছদ দেখেও রকমারিতে ক্লিক করে দেখিনি), কিন্তু বন্ধুর হস্তক্ষেপে আর রিভিউ এ চমৎকারিত্ব -এর আধিক্য দেখে বইটা কিনব বলে স্থির করি! আর এটা যে একদমই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না, সেটা রেটিং দেখে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। রবীন্দ্রনাথ এর রচিত চরণ নিয়েও অদ্ভুতভাবে পরিস্থিতির মিল ঘটিয়েছেন লেখক! "ঘরছাড়া এই পাগলটাকে এমন ক'রে কে গো ডাকে করুণ গুঞ্জরি," মাই গুডনেস! রিকমেন্ডেড বাট অবশ্যই অতো রিভিউ দেখে গেলে ইন্টারেস্ট কম লাগতে পারে পড়তে গিয়ে, তাই সাবধান!
Was this review helpful to you?
or
An excellent thriller novel!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের এক অসাধারণ সৃষ্টি এই উপন্যাস। একবার শুরু করলে পাঠককে তা চুম্বকের মত আকর্ষিত করে রাখে। কাহিনীর গতিময়তা, প্রতিটি চরিত্রের সুনিপুণ উপস্থাপন আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
পড়ে ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
masterpiece
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষাতেই বিশ্বমানের থ্রিলার রচনা স্বপ্ন নিয়ে কলম হাতে তুলে নিয়েছিলেন একজন স্বাপ্নিক লেখক। বাতিঘর প্রকাশনীর সাথে তার এই পথচলা। ক্রমেই তিনি হয়ে উঠেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় থ্রিলার উপন্যাস লেখক। তিনি আর কেউ নন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। একে একে তিনি উপহার দিয়েছেন নেমেসিস কন্ট্রাক্ট নেক্সাস কনফেশন জাল পেন্ডুলামের মত উপন্যাস। এরপর তিনি রচনা করেন একটি ট্রিলজি যার দুটি খন্ড ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। প্রথম খন্ড "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি", দ্বিতীয় খন্ড "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি"। এই ট্রিলজির তৃতীয় খন্ড "রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন" সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরেই প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। তার এই ট্রিলজির প্রথম বই সম্পর্কে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" ১৯৭২ সাল। লাতিন আমেরিকা ভ্রমণে চলেছে আমেরিকার মেডিকেল পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী। নব তারুণ্যের উত্তেজনা তাদের ভেতর। সেই দলে আছে বাংলাদেশের একজন। ডাক্তার মুশকান জুবেরী। প্রাণচঞ্চল সেই দলের যাত্রা পথে হঠাৎই দুর্যোগের ঘনঘটা। আন্দিজ পর্বতমালায় বিমান বিধ্বস্ত। অধিকাংশ যাত্রী দুর্ঘটনার সময়েই নিহত। যারাওবা বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুটিকয়েক বিমানযাত্রী রহস্যজনকভাবে বেশ অক্ষত অবস্থাতেই বেঁচে রইলেন। তাদের মধ্যে একজন সেই ডাক্তার মুশকান জুবেরী। 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে শুরু হলো তাদের বেঁচে থাকার লড়াই।নেই কোনো অতিরিক্ত উষ্ণ পোশাক, নেই কোন খাবার। সাহায্য দল আসবে এই আশা নিয়ে বেঁচে আছে সেই দলটি। কিন্তু সপ্তাহ চলে যায় কোন সাহায্য দলের নিশানা নেই। ক্ষুধার জ্বালায় একেক জনের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এ সময় তারা সিদ্ধান্ত নিলো মৃত যাত্রীদের শরীরের ভক্ষণযোগ্য অংশ খেয়ে জীবন বাঁচাতে হবে। মানব শরীরের কোন কোন অংশ খাওয়ার যোগ্য তা জানার জন্য ডাক পড়লো সেই মুশকান জুবেরির। এরপর শুরু হল বিভীষিকাময় মানুষ ভক্ষণ! প্রায় ত্রিশ চল্লিশ বছর পরের ঘটনা… সুন্দরপুর। গ্রাম এবং মফস্বল শহরের মাঝামাঝি কিছু একটা। প্রাকৃতিক শোভায় পরিপূর্ণ তবে তার সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে যেন রহস্যময়তা। সেই মফস্বলের হাইওয়ের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট। নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি"। নামটি যেমন বিস্ময়কর তারচেয়েও বিস্ময়কর এর খাবার, এবং আরো বিস্ময়কর এর মালিক। মালিক না বলে মালকিন বললেই বোধহয় বেশি উপযুক্ত হবে। সেই রহস্যময় সুস্বাদু খাবারের আবেদনে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ। একবার সেই রেস্টুরেন্টে খেলে নাকি বারবার সেখানকার খাবার তাকে টানে এতটাই সুস্বাদু। হঠাৎ একদিন এই মফস্বলে আগমন ঘটল ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ এর চৌকস কর্মকর্তা নুরে ছফার। উদ্দেশ্য কয়েকটি নিখোঁজের ঘটনার তদন্ত করা। সর্বশেষ যে যুবকটি নিহত হয়েছে সে আবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিএস আশিক রহমানের ভাগ্নে। সে কারণেই জোরেশোরে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ এর সবচেয়ে চৌকস কর্মকর্তা এবং এখন পর্যন্ত কোন কেসে না হারা নুরে ছফাকে।গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রীর পিএস এর সেই ভাগ্নে ছাড়াও আরো চারজনের মত যুবক নিখোঁজ হয়েছে এবং সবার শেষ গন্তব্য ছিল একটাই।"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি"। এটা থেকেই এই রেস্টুরেন্টের মালকিন নুরে ছফার সন্দেহের তালিকায় সবার উপরে। যতোটুকু রহস্যের গন্ধ নিয়ে এই মফস্বলে চৌকস গোয়েন্দা কর্মকর্তার আগমন , সেই রহস্য যেন শতগুণ বেড়ে যায় রেস্টুরেন্টের এই মালিকের রহস্যজনক আচরণ এবং তাকে নিয়ে প্রচলিত নানান রহস্যজনক কাহিনীর কারণে। এই তদন্ত অভিযানে নুরে ছফার প্রধান অনুচর ছিল গ্রামের এক গোয়েন্দার ধরনের লোক, যাকে সবাই 'বিবিচি' নামে ডাকে, স্থানীয় পুলিশের ইনফর্মার আতর আলী। গ্রামের এমন কোনো মানুষ নেই যার সম্পর্কে এই লোকটির কাছে কোন তথ্য নেই। শুধু একজন লোক সম্পর্কে তার কাছে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। সেটি কে জানেন? ওই হোটেলের মালকিন! এই মফস্বলের আরও দুটি চরিত্র বেশ রহস্যজনক। গ্রামের কবরের গোরখোদক ফালু এবং স্কুল মাস্টার রমাকান্তকামার। আর ব্যক্তিত্বহীন এক চরিত্র মোড়ের চায়ের দোকানের গুড়ের চা এবং সিগারেট বিক্রেতা। এই মফস্বলেই চলতে থাকে নুরে ছফার তদন্ত এবং সেই তদন্ত ক্রমেই নিতে থাকে নতুন মোড় এবং বের হয়ে আসতে থাকে রহস্যজনক এবং লোমহর্ষক সব তথ্য। এমন সব তথ্য যা জনসম্মুখে বলতে গেলে নিজেই পাগল প্রতিপন্ন হতে হবে। তদন্ত করতে গিয়ে নানা জটিলতার সম্মুখীন হলে নুরে ছফা সাহায্য গ্রহণ করে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ এর আর এক অবসরপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তা কে এস খানের। কে এস খান এবং তার কাজের ছেলে অ্যারিস্টটল উপন্যাসের ইতিবাচক চরিত্র। এবার আসি সেই মালকিনের কথায়। তিনি আগে ছিলেন ঢাকার একটি স্বনামধন্য হাসপাতালের ডাক্তার। কিন্তু ডাক্তারদের প্রতি এদেশের মানুষের আচরণে তিনি নাকি বীতশ্রদ্ধ। তাই সেই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন এবং রান্না নিয়ে নানারকম গবেষণায় তার আসক্তি জন্মে গেছে বলেই তার ভাষ্য।সেই মালকিন উঠেছে সুন্দরপুর এর জমিদার বাড়িতে এবং নিজেকে দাবি করেছে জমিদারের নাতবৌ। জমিদারের দৌহিত্র রাশেদের স্ত্রী। রাশেদ মৃত্যুশয্যায় যখন তার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন তার চিকিৎসার দায়িত্বে তিনি ছিলেন। সেখান থেকেই প্রণয় এবং বিবাহ। যদিও সত্যিকার অর্থেই তাদের বিবাহ হয়েছিল নাকি রাজবাড়ীর বিপুল সম্পত্তির লোভে মিথ্যা দাবি তিনি করছেন সেটা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ। যাইহোক কিছুদিন পর রাশেদ এর মৃত্যু হয় এবং তিনি চলে আসেন সুন্দরপুরে জমিদার বাড়িতে। তারপর গড়ে তোলেন এই রেস্টুরেন্ট।"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি"। সেই মালকিনকে নিয়ে গ্রামে নানারকম মুখোরোচক কথা প্রচলিত আছে। তিনি নাকি রক্ত পান করেন, তার চোখ দিয়ে নাকি অতি মানবীয় আলো বের হয়, মানুষকে তিনি নাকি তার খাবার দিয়ে জাদু মন্ত্র করেন। গ্রামের লোকদের কাছে তিনি পরিচিত ডাইনি হিসেবে। সেজন্য ভয় থেকে গ্রামের লোকজন তাকে এড়িয়ে চলে এবং তার সম্পর্কে কারো কাছেই তেমন কোনো তথ্য নেই। এই রহস্যজনক চরিত্রকে নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা বের করে আনেন লোমহর্ষক সব তথ্য। তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আরও একটি সূত্র কাজ করেছে। সে হলো ডাক্তার আসকার ইবনে সাইদ। এই মালকিন ডাক্তার থাকা অবস্থায় তার সহকর্মী এবং বেশ কাছের মানুষ এই সাইদ । কেএস খানের কাছে প্রাক্তন এই ডাক্তার বর্তমানে রবীন্দ্রনাথের মালকিন সর্ম্পকে তিনি যে তথ্য দেন তা উপন্যাসের সবচেয়ে রহস্যজনক অধ্যায়। পরবর্তীতে মালকিনের সাথে একক কথোপকথনে নুরে ছফার কাছে মালকিন নিজেই সেই লোমহর্ষক তথ্যগুলো স্বীকার করে নেন এবং তার অপরাধ প্রমাণিত হয়। তারপর নুরে ছফা বেরিয়ে যাবার আগেই সমগ্র জমিদার বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে সকলকে ধোকা দিয়ে তিনি পালিয়ে যান এবং গা-ঢাকা দেন। নুরে ছফা জীবন নিয়ে সেই জমিদারবাড়ির অগ্নিকুণ্ড থেকে ফিরে আসার পর কয়েক বছর তার সন্ধান করেও আর কোনো খোঁজ পাননি।এটাই নুরে ছফার প্রথম কেস যেটাতে তিনি সফলতার মুখ দেখেন নি। সেই মালকিন যেন গা ঢাকা দিয়েছেন অনন্তকালের উদ্দেশ্যে। জানেন সেই মালকিন কে? সেই মালকিন আর কেউ নন আন্দিজে মৃত মানুষ ভক্ষণ করে জীবন নিয়ে ফিরে আসা গুটিকয়েক সৌভাগ্যবানদের একজন। মুশকান জুবেরী। কিন্তু সবচেয়ে রহস্যজনক যে বিষয় তা হলো তিনি কিন্তু মোটেও বৃদ্ধ নন! আন্দিজের ঘটনার ত্রিশ চল্লিশ বছর পরেও তিনি পরিপূর্ণ এক যুবতী ।তার এই যৌবন ধরে রাখার সাথে যোগসূত্র আছে আন্দিজ এর সেই ঘটনার। তার বয়স স্থির হওয়ার পেছনে কী রহস্য? কি ঘটেছিল নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই যুবকদের সাথে? সেই রোমহর্ষক ঘটনা জানতে হলে পড়তে হবে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি"
Was this review helpful to you?
or
বইটি কেনা হয়েছিল ২ বছর আগে। কিন্তু চাকরী জনিত কারণে নতুন জায়গায় বদলি হওয়ায় পঠিত অপঠিত অনেকগুলো বইয়ের সাথে এই বইটিও বাড়িতে রেখে দিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে ছুটিতে বাসায় গিয়ে বইটি নিয়ে আসি। গতকালকে বইটি পড়তে বসে বেশ আফসোস হয় এই ভেবে যে এত চমৎকার একটি ক্রাইম থ্রিলার আমি না পড়ে এতদিন ফেলে রেখে ছিলাম। বইটি এত চমৎকার পড়তে বসলে না শেষ করে ওঠা যাবে না। গল্পে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" এটি একটি রেস্টুরেন্টের নাম। রেস্টুরেন্টের নাম হিসেবে নামটি যতখানি না অদ্ভুত তার চেয়ে বেশি অদ্ভুত এই রেষ্টুরেন্টের খাবার। রেস্টুরেন্টের রহস্যময়ী মালিকের সিক্রেট রেসিপির গুনে রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ অনেক আলাদা। দূরদূরান্ত থেকে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ নেয়ার জন্য মানুষ ছুটে আসে। এভাবেই একদিন আগমন ঘটে এক ব্যক্তির। অন্য সবার মত তার উদ্দেশ্য খাবারের অপূর্ব স্বাদ আস্বাদন করা নয়, বরং অন্য কিছুতে তার আগ্রহ। গল্পের একেক সময় কাহিনী একেক দিকে বাঁক নেয়। প্রতিমুহূর্তে গল্পের পরিনতি সম্পর্কে পাঠক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে নিশ্চিত।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় সেরা!!
Was this review helpful to you?
or
Very good one.Ending was good.Also love how the writer synchronised the story
Was this review helpful to you?
or
joss
Was this review helpful to you?
or
One of the best bangla thriller
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় বই।
Was this review helpful to you?
or
Great!!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া বেস্ট থ্রিলার!
Was this review helpful to you?
or
বইটা হাতে নেওয়া পর এই কথাটা মাথায় আসে রবীন্দ্রনাথ এর অাদৌ কি এখানে আসার কথা ছিল?যদি কথা ছিল তাহলে আসে নাই কেন?এই প্রশ্ন টা মাথায় ঘুড়তে থাকে বইটা পড়তে পড়তে এর উত্তর পেয়ে যাই। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি তা রবীন্দ্রনাথ ভক্ত রহস্যময়ী একজন মহিলীর দেওয়া রেস্টুরেন্ট এর নাম।উপন্যাসটি শুরু হয় একজন নিখোঁজ মানুষ কে খুঁজতে নেওয়া থেকে,খুঁজতে খুঁজতে চলে আসে সুন্দুরপুরে রবীন্দ্রনাথ নামক রেস্টুরেন্ট এর সামনে যার মালিক রহস্যময়ী এক মহিলা মুসকান জুবেরি।বেরিয়ে আসে পুরোনো দিনের অনেক স্মৃতি অনেক তত্ব শুরু হয় নতুন রহস্য।ডিবির অফিসার নুরে ছফা একে একে রহস্যের উদঘাটন করতে থাকে একসময় জানা যাই এক জন না একে একে ৩ জন নিখোঁজ হয় সুন্দুরপুরে রবীন্দ্রনাথে এসে।আর সন্দেহের তালিকায় রেস্টুরেন্ট এর মালিক মুসকান জুবেরি। আদৌ কি মুসকান জুবেরি অপরাধী? নুরে ছফা কি পেরেছিল এই রহস্যের সমাধান করতে?জানতে হলে পড়তে হবে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি উপন্যাসটি। লেখক নাজিম উদ্দীন এর লেখা রবীন্দ্রনাথ এখানো কখনো খেতে আসেননি এই উপন্যাস টি আমার পড়া তার প্রথম উপন্যাস ।থ্রিলার পড়তে সকলের ভালো লাগে আমার তা কোন অংশে কম না। বইটা পড়ে আমার সত্যি দারুন লেগেছে। পড়তে পড়তে নেশার সৃষ্টি হয়ে গেছে একটানা শেষ না করে যেন শান্তি ছিল না। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র যেন জীবন্ত।অনেক পুরনো তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে পারলাম।বইটা সত্যি তৃপ্তি পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
The best thriller I've ever read
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
The plot of this thriller story is so amazing
Was this review helpful to you?
or
পাতায় পাতায় উত্তেজনা ছিল
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার উপন্যাস হিসেবে বেশ ভালই। লেখক কে বেশ সফল বলা যায়
Was this review helpful to you?
or
A good start
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
osadharon ekta thriller
Was this review helpful to you?
or
After a long period of time, I have enjoyed reading this Bangla book. Nice one indeed! Definitely recommended!
Was this review helpful to you?
or
Great quality. Pristine condition. Excellent. Plot.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা থ্রিলার। উনার এই বইটা পড়ার পর আবারো বই পড়ার নেশা জেগে বসেছে,
Was this review helpful to you?
or
দেশীয় প্লটের থ্রীলার হিসেবে দারুন।তবে আহামরি থ্রীলার বলে চালানো যায়না।
Was this review helpful to you?
or
My current favourite of all time
Was this review helpful to you?
or
সাইলেন্স অব দি ল্যাম্বস, আংশিক কপি বলে মনে হল?
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার থ্রিলার বই। অধুনা লেখকদের মধ্যে এই লেখকের লেখা দারূণ লেগেছে। প্রচলিত ঘরানার কিছুটা বাইরে গিয়ে লেখক লিখতে চেয়েছেন। যদিও শেষের দিকে "The Scilence of the Lambs" উপন্যাসের ছায়া পাওয়া যায়। তবে সেটাকে কাকতালীয় ভেবে নিলে উপন্যাসটি পড়ার আনন্দ মাটি হবে না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে বইটা। শুরু করার পর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুম্বকের মতো আকর্ষণকরে।
Was this review helpful to you?
or
মফস্বল শহর সুন্দরপুর। ছবির মতই সুন্দর। প্রকৃতির শোভা ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কিছু নেই বললেই চলে, কিন্তু সবাই জানে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি! কেন আসেননি, তারচেয়েও বড় কথা কেন অনেকেই সেখানে ছুটে আসে! এক আগন্তুক এসে হাজির হল সেই সুন্দরপুরে। তার গতিবিধি অস্পষ্ট আর রহস্যময়। সে যেটা জানতে চায় সেটা ওখানকার খুব কম লোকেই জানে। আর যখন সেটা জানা গেল তখন বেরিয়ে এল রোমহর্ষক এক কাহিনী। পরিহাসের ব্যাপার হল সেই রোমহর্ষক কাহিনী কাউকে বলার মত সুযোগ সত্যি কঠিন। বইয়ের এরকম নাম দেয়ার পিছনে হয়তো একটাই যুক্তি যে অদ্ভুত নাম কিছুটা হলেও পাবলিক হাইপ তৈরি করে। যাই হোক বেশ ভালোই গতি ছিলো কাহিনীতে। সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছিলো যদিও শেষে গিয়ে একটু হতাশ হইলাম অনুমান মিলে যাওয়াতে। বাট পুরোটা সময়ে একটুও বোর হইনি। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো। মুশকান জুবেরীর রহস্যময় দুনিয়াতে স্বাগতম?
Was this review helpful to you?
or
Great Book
Was this review helpful to you?
or
আসাধারন থৃলার,আমার পছন্দ হয়েছে। ৪.৬/৫
Was this review helpful to you?
or
Unique
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতো বই।
Was this review helpful to you?
or
আজই হাতে পেলাম, অনেক ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
বইটি অভারওল মোটামুটি ভালো বলা চলে। একটু অভাররেটেড মনে হয়েছে আমার কাছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক রহস্যময়, এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
pleasant to read
Was this review helpful to you?
or
নাম দেখে বইয়ের কনটেন্ট সম্পর্কে অনুমান করাটা একটু কঠিন। মৌলিক থ্রিলার হিসেবে খুবই ভালো লেগেছে। পরের খণ্ড অর্ডার করেছি ইতিমধ্যে। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা আগে কখনো পড়া হয়নি, তবে প্রথমবার পরেই ৫ এ ৫ রিভিউ দিতে বাধ্য হলাম।
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে এটা একটা হরর থ্রিলার এর মত লাগসে
Was this review helpful to you?
or
সুন্দরপুর শহরের হাইওয়ের পাশে ছোট একটি ছোট রেষ্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নামের মতই অদ্ভুদ এই রেষ্টুরেন্ট, এর রেসিপিও অদ্ভুদ। মুশকান জুবেরির সুস্বাদু রেসিপির রহস্য খুজতে সুন্দরপুরে আসেন নুরে ছফা। ধীরে ধীরে সামনে চলে আসতে থাকে মুশকান জুবেরির রহস্য। অসাধারন একটি থৃলার বই যা পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে।
Was this review helpful to you?
or
মোঃ নিজাম উদ্দিন ভাই মানেই অস্থির অস্থির সব থ্রিলার উপন্যাস। তার বইয়ের আরেকটা ব্যাপার যেটা সবারই অনেক ভালো লাগে সেটা হলো তার বইগুলোর নাম। যারা তার সম্পর্কে জানেন না তারা তার বইয়ের নাম শুনলে অন্যরকম কিছু ভাবতে পারেন। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" বইটি অসাধারণ থ্রিলারে ভরপুর একটি বই। সব মিলিয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
“রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি” কোনো থ্রিলার উপন্যাসের নামটাই যদি এরকম হয় মানুষ স্বভাবতই আকর্ষন অনুভব করবে! বেশিরভাগ মানুষই প্রথমে এটাকে রোমান্টিক উপন্যাস ভেবে ভুল করেছেন কিন্তু যখন শুনেছেন এটা থ্রিলার উপন্যাস তখন চোখ বড় করে তাকিয়েছেন! “সুন্দর একটি মফস্বল শহর সুন্দরপুর, প্রকৃতির শোভা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু নেই বলা চলে, কিন্তু সবাই জানে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি! অথচ, মজার ব্যাপার হলো এই শহরের হাইওয়ের পাশেই সুন্দর ছোট্ট একটি রেষ্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" এই রেষ্টুরেন্টর মালিক মুসকান জুবেরি, খাবারের সুনাম শুনে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এইখানে খেতে! খাবারের স্বাদ এমন অসাধারণ যে একবার খেলে বারবার শুধু খেতেই ইচ্ছে করে! কি এমন রহস্য এই খাবারের? অন্যদিকে মালিক মুসকান জুবেরি সম্পর্কেও শুনা যায় নানান রকম গুজব! গ্রামে সে ডাইনি নামে পরিচিত, কেউ তার সম্পর্কে বিশেষ কিচ্ছু জানে না, কারো সাথেই তিনি মেশেন না, কে এই মুসকান জুবেরি??কেনই বা সে এমন অদ্ভুত নাম দিল রেষ্টুরেন্টের?? আবার গল্পের- অন্যদিকে পুলিশের নামকরা অফিসার নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে সুন্দরপুর আসেন নিখোঁজ এক ব্যক্তির তদন্ত করতে! তদন্তে জানা নিখোঁজ ব্যক্তি "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" রেষ্টুরেন্টে গিয়েছিল! এছাড়াও আরও কিছু নিখোঁজ যুবকের কথা জানা যায় যাদের শেষ গন্তব্য ছিল সুন্দরপুরের এই রেষ্টুরেন্টে! এতগুলো মানুষ নিখোঁজ হওয়ার পিছনে কার হাত আছে?নুরে ছফা কি পারবে এই রহস্যের উন্মোচন করতে?জানতে হলে পড়তে হবে এই বইটি!! গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য! এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে ছফা! পাঠক ও ছফার কোনো ধারনাই নেই কোন্ সত্যটি জানতে পারবে শেষে! এতোদিন এই রহস্যময়ি নারী কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তা শিহরিত হবে তা আর বলার অবকাশ রাখে না!!♥️
Was this review helpful to you?
or
টান টান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ একটি বই। সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লিখিত। প্রতিটি প্রতিটি লাইন ভালো লাগার মতো করে লিখা।
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার তেমন একটা পড়া না হলেও বইটার পাঠকপ্রিয়তার কারনে বইটা পড়া শুরু করি।তারপর বলতে গেলে পুরোই থ হয়ে গেছি।২৭২ পৃষ্ঠার প্রতিটা পৃষ্ঠাই রহস্যে ঘেরা।প্রতিটা চরিত্রই যেন এক একটা রহস্য।প্রায় এক বসাতেই(মাঝখানে অবশ্য গোসল,খাওয়ার জন্য বিরতি ছিল) শেষ করেছি।তো অসাধারণ এক থ্রিলার পড়তে চাইলে শুরু করতে পারেন অদ্ভূত নামের অদ্ভূত প্লটের অসাধারণ এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' পড়ি ২০১৭ তে। বেশ ভালো লেগেছিল এবং সেকেন্ড পার্টের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম, ১৯ এর বইমেলায় বইটি বের হলে সংগ্রহও করি, তবে পড়তে ধরা হচ্ছিলনা। শুনেছিলাম সেকেন্ড পার্ট পড়ে নাকি কেউ কেউ হতাশ হয়েছে। তবে আমার কাছে ভালো লেগেছে, যদিও এন্ডিং এ খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। শুনেছি এটা ট্রিলজি হবে, তৃতীয় পার্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
Was this review helpful to you?
or
লেখাগুলো প্রাঞ্জল। খুব ভালো লেগেছে পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি অনেক ভাল লাগল। বই পড়ার সময় রেষ্টুরেন্ট এর খাবার এর সাদের বর্ননা পড়ে জিভে পানি চলে আসার মতো অবস্তা হয়েছিল। মুশকান জুবেরির এই জাদুকরি খাবারে যেন আকৃষ্ট হচ্ছিলাম। বই এর মধ্যে নিজেকে ডুবিয়েছিলাম। খুব খুব ভাল লাগল থৃলারটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
I was a little skeptic when I started reading this book, a result of previous experience of promising Bangla thrillers that were ultimately a letdown. But this one was not! The story was well made, spontaneous dialogues, the words fit quite well, and it was sooo easy to read. This one is a page-turner. I am really looking forward to reading the sequel!
Was this review helpful to you?
or
প্রায় মাস খানেক আগে বইটি কেনা সত্বেও কেন পড়িনি, তা নিয়েই একটা আলাদা লেখা লিখতে হয়। যা হোক, বাংলাদেশের মফস্বল শহর সুন্দরপুর। সুন্দরপুরের হাইওয়ের পাশেই বিখ্যাত এক রেস্টুরেন্ট৷ রেস্টুরেন্টের অদ্ভুত নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। রেস্টুরেন্টের যেমন রহস্যময় নাম তেমনি রেস্টুরেন্টের খাবারগুলোও রহস্যময় এবং লোভনীয়। বইয়ের শুরুতে এত লোভনীয় সব খাবারের কথা পড়তে পড়তে জিভে জল চলে আসছিল৷ কিন্তু শেষদিকে সেই খাবারগুলোর কথা ভাবতেই কেমন জানি গাঁ গুলিয়ে উঠছিলো। শেষাংশে মাংস নিয়ে এতটা বীভৎস লেখা পড়েছি যে মনে হচ্ছিলো জীবনে হয়তো আর কখনও মাংস খাওয়া হবে না৷ কিন্তু অবশেষে সমস্ত বীভৎসতা কাটিয়ে ঈদের দিন মাংস খেয়েছি। ?? সব মিলিয়ে চমৎকার থ্রিলার, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একেবারে টান টান উত্তেজনার সাথে শেষ হয়েছে। মুসকান জুবেরির রহস্য প্রকাশের সময়টা বেশ রোমাঞ্চকর ও আর্কষিত ছিলো। এক কথায় অসাধারণ। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় part পড়তে হবে। :)
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউঃ বইয়ের নামঃরবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি লেখকঃনাজিম উদ্দীন জনরাঃথ্রিলার ব্যক্তিগত রেটিংঃ৭.২/১০ কাহিনী সংক্ষেপঃ "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" যারা পড়েছেন তাদের নিশ্চয় মুশকান জুবেরির কথা মনে আছে? সেই রহস্যময়ী নরখাদক। ডিবি অফিসার ছফাকে যার কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে সুন্দরপুর ছাড়তে হয়েছিলো। এবারের ঘটনা আরও তিন বছর পরের। ঢাকা-সুন্দরপুর-কলকাতা মিলিয়ে এবারের ঘটনা। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মুশকান জুবেরিকে দেখে ছফা। পরবর্তীতে মুশকানের এক শিকার হাসিবের মামার বিশেষ অনুরোধে পুনরায় তদন্ত শুরু করে। প্রথমে সুন্দরপুর পরে কলকাতা। তারপর আবার ঢাকা। মরীচিকার মতো মুশকান জুবেরির পিছনে ধাওয়া করছে কিন্তু সত্যিই কি তার দেখা পাবে? সুন্দরপুরের সেই গানের শিক্ষিকার মধ্যে মুশকানের ছায়া কেন দেখতে পাওয়া যায়? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। ব্যক্তিগত মতামতঃ প্রথমেই বেশ চমক ছিলো। কিন্তু মাঝ পর্যায়ে কাহিনীটি খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে বলে মনে হয়েছে। বিশেষত সুন্দরপুরের অংশটি। এবং একই সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণাও দেখা গিয়েছে। পাঠক যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রহস্যের কূলকিনারার, তখন সুন্দরপুরের কোনো পকেটমারের জীবনী বা কারো যৌন জীবন নিয়ে অতিরিক্ত কথা বিরক্তি লাগতেই পারে। তবে, শেষের অধ্যায়টা বেশ ভালো ছিলো, উত্তেজনাপূর্ণ। আর বইয়ের একদম শেষ লাইন- "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি "- এটার জন্যই আরও আকর্ষণীয় সমাপ্তি হয়েছে বলে মনে হয়েছে। যে একবার পড়া শুরু করেছেন এই সিরিজ তাকে মুশকানের প্রহেলিকার জগতে হারিয়ে যেতেই হবে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামটা দেখে প্রথমে ভেবছিলাম এটা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত কোনো গল্প হবে। যাইহোক বইটির নামকরণ করা হয়েছে উপন্যাসে উল্লেখিত একটা রেস্টুরেন্ট এর নামে। রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরী এই উপন্যাসের ভিলেন। সে তার অসামান্য রন্ধন শিল্পের মাধ্যমে যুবকদের কে আকৃষ্ট করে এবং শিকারকে হত্যা করে তার শরীরের বিশেষ একটা অংশ খেয়ে নিজের যৌবণ ধরে রাখে। একটা পর্যায়ে মুষকান জুবেরী র শিকারে পরিনত হয় প্রধানমন্ত্রীর পি এস এর ভাগ্নে। আর এই কেসটার ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পড়ে ডিবির এক জাঁদরেল অফিসার নূরে ছফার কাছে। সেই সূত্রে তিনি সুন্দরপুর যান এবং মুষ্কান জুবেরী র উপর ইনভেস্টিগেশন শুরু করেন। একটা পর্যায়ে মূষকান জুবেরী নূরের ছফাকে শিকারে পরিনত করতে যাই কিন্তু ব্যর্থ হয়। এবং শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সফল হয়। উপন্যাসের বাকী অংশ দ্বিতীয় উপাখ্যানে দেওয়া আছে।?
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া কয়েকটা পছন্দের থ্রিলারের মধ্যে একটা ❤❤
Was this review helpful to you?
or
Special thanks for writer Muhammad Nazim Uddin for this awesome thriller. I could not believe how writer made a story plot in a normal village location. The description and twist of the story is really fantastic. Nure Sofa is an stranger who come at Sundorpur to search and investigate a mystery which he don't even know. Sometimes behaviour of Mushkan Juberi seems to be kind, sometimes horrible, mysterious. Those who love suspense and thriller, they should read this book.
Was this review helpful to you?
or
শুক্রবার সকাল! ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে ঝুম বৃষ্টি। মনটা একটু খারাপ হলো, একটামাত্র ছুটির দিন, বাইরে যাওয়াটা হবেনা। ডুবে গেলাম নতুন মলাটের সদ্য কেনা বইটাতে! বহুদিন পর একদিনে গোটা বই টা পড়ে শেষ করলাম। টানটান উত্তেজনায় গভীর রাত পর্যন্ত জাগতে বাধ্য হলাম। কোথায় মোবাইল, কোথায় ল্যাপটপ, সব বাদ! খুব বেশি ভালো লাগলো বইটা। অপেক্ষা এখন সময় বের করে দ্বিতীয় খণ্ড টা পড়ার ? ধন্যবাদ রকমারি.কম কে। স্টক আউট বইটি মাত্র দুইদিনের মধ্যে ডেলিভারি করার জন্যে।
Was this review helpful to you?
or
Fantastic, awesome thriller. When I first purchased that book, I thought it was just a normal thriller. But, the story was very exciting. Those who love mysterious thriller must read this book. Twist, mystery, suspense are in every step of the story. Writer Muhammad Nazim Uddin shows us that how a very simple, village related story plot turning into exciting thriller. The intelligence of Nure Sofa, puzzling of Mushkan Juberi and the mystery of her super tasty food were very successfully blended in the story.
Was this review helpful to you?
or
অবশেষে একটা মৌলিক থ্রিলার বই যা পড়ার পর বলতে বাধ্য হয়েছি নিজেকে, ফ্যান হয়ে গেলাম নাজিম ভাই এর। সুন্দর নামের একটি গ্রাম। গ্রামের হাইওয়ে এর পাশে একটি খাবার হোটেল "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নাম টাই কেমন জানি একটা রহস্যের তীব্র আভাস এনে দেয় যেটার খাবার একবার কেউ খেলে আবার ফিরে আসতে হয় শুধু সেই অসাধারণ খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য। এই হোটেল মাল্কিন প্লাস মেইন শেফ মুস্কান জুবেরী। আর তাকে নিয়েই বোনা হয়েছে সমস্ত রহস্য এই হোটেল এর আড়ালে। স্পইলারের ভয়ে এর বেশি আগাব না। কিছু টা আরো আগানো যায়। কিন্তু আমার মতে আগালে গল্পীর পুর স্পয়লার না পেলেউ কিছু জায়গায় উত্তেজনা কম কাজ করবে। তাই আর আগাব না। পুরোটা উপন্যাস জুরে ছিল টান টান উত্তেজনা। কিছু জায়গায় ঘটনাপ্রবাহে পরে কি ঘটতে পারে অনুমান করা মুশকিল হয়ে গেছিল। ক্লাইমেক্সটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল যেন তীরে এসে তরী না দুবে। কিন্তু হতাশ করেননি মোহাম্মদ নাজিম ভাই। অসাধারনভাবে সাজিয়েছেন ক্লাইমেক্সটা। ব্যক্তিগতভাবে খামতি লেগেছে নূরে ছফার কেরেক্টার ডেভেলপমেন্ট এ। হয়ত আরো ভাল ভাবে করা যেত এটা। এছাড়া বাকি ঘাটতি গুলো উপেক্ষা করার মতো। তাই কোনো থ্রিলার প্রেমঈ যদি বই টি না পড়ে থাকেন তাহলে হাইলি রেকমেন্ড করব বইটি। বিশ্বাস করেন, ঠগবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক সুন্দর। পড়ে মজা পেলাম।।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন প্রকাশনীঃ বাতিঘর মুদ্রিতমূল্যঃ ৩০০ টাকা (প্রথমেই বলে রাখি বাতি ঘর প্রকাশনীর বই মানেই সুন্দর পালিশ করা ঝকঝকে কাভার এর নিখুত বাইন্ডিং এর বই। যেটা হাতে নিলেই পড়ার আগ্রহ চলে আসবেই) রিভিউঃ আসলে রিভিউ বললে ভুল হবে আর রিভিউও দিচ্ছি না। বই এর নাম টা দেখেই খটকা লাগতে পারে৷ এবং তাই লাগার ই কথা। কি অঅদ্ভুত নাম তাই। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোথায় খেতে যান নি রবীন্দ্রনাথ?? কোন জায়গা, কোন স্থান ? আসলেই কি রবীন্দ্রনাথ খেতে জাননি ? যা হোক এই প্রশ্নের উত্তর এবং আপনার কৌতুহল কে জানানোর জন্য হলেও পড়তে পারেন বই টি। মূলত থ্রিলার ঘরনার বই। পড়তে বসলে কখন শেষ হয়ে যাবে টের পাবেন না। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা থ্রিলার,মাস্ট রিড একটা বই লেখক যেভাবে ঘটনাটা উপস্থাপন করেছে তা এক কথায় সত্যিই অসাধারন। তবে কিছু কিছু জায়গা টেনে লম্বা করার কারনে একটু বোরিং লেগেছে সুন্দর পুরের বর্ননা আরো একটু দিলে ভাল লাগত ওভারঅল ভাল একটা বই লেখককে ধন্যবাদ এমন একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য
Was this review helpful to you?
or
বইটা ভালো লেগেছে। গল্পের কাহিনি চমৎকার। বর্ণনাভঙ্গি বেশ গুছানো। শুরু থেকেই রহস্যের ছাপ স্পষ্ট ছিল। নূরে ছফার সুন্দরপুরে আগমন থেকে শুরু করে রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। বেশকিছু চরিত্র সেই রহস্যকে আরো ঘনীভূত করেছে। মুশকান জুবেরী আর নূরে ছফা প্রধান চরিত্র হলেই উপন্যাসের কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্যদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। মুশকান জুবেরির রহস্য উন্মোচনটা ছিল চমৎকার। তবে শেষ ট্রিক্সটা আরেকটু অন্য রকম হলে আরো ভালো হতো।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি বইটি আমার পড়া বই গুলোর মধ্যে অন্যতম সুন্দর বই। যেখানে রয়েছে অসাধারন থ্রিলার। লেখককে আমার সালাম।আশা করব তিনি আমাদের আরো ভাল বই উপহার দিবেন।
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন গল্প ভালো লিখেন। কিন্তু এখানে রবীন্দ্রনাথকে কেনো টেনে আনলেন সেটা আমার বুঝে আসেনি। রবীন্দ্র পছন্দ বলে রেস্তোরার নাম হতেই পারে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি, তাই বলে উপন্যাসের নামও সেটাই! ২য় পর্বটা পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো। হয়তো সেখানে উত্তর পাওয়া যেতে পারে! সুখপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
থ্রীলার হিসেবে মোটামুটি ভাল লেখেছে বইটি। নামটা অনেক সুন্দর। শুধুমাত্র নামটার কারনেই বইটা কিনেছিলাম। লেখকের লেখার ধরণ মোটামুটি ভালই। তবে সর্বত্র যতটা প্রশংসা শুনেছি তেমন আহামরি কিছু পাইনি। যার ফলে দ্বিতীয় পর্ব আর নেইনি। মূলত থ্রীলারের গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে পারেননি লেখক। তারপরও যারা নতুন পাঠক তাদের ভাল লাগতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দরপুর। উত্তরবঙ্গের ছোট একটি শহর। সেখানে আছে এক রহস্যময় হোটেল। নাম- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি। একজন তথাকথিত সাংবাদিক এই হোটেলটিতে এসে এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেন। দেখেন যে হোটেলটির মালিক একজন নারী এবং যিনি কীনা আরো বেশী রহস্যময়ী। ধীরেধীরে জানা যায় সেই তথাকথিত সাংবাদিক ডিবির এক জাঁদরেল কর্মকর্তা। শুধু তাইই নয়, এখন পর্যন্ত সকল কেসে সফল হয়েছেন। এখানে এসেছেন নিখোঁজ কিছু মানুষ খুঁজতে। হোটেল মালিক মুশকান জুবেরিকে তার সন্দেহ কিন্তু এই মহিলার সাথে দেখা হওয়ার পরই সব বদলে গেল। কূলকিনারা করতে পারছিলেন না কিছুরই। তাহলে কি তিনি ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাবেন? নাকি পারবেন রহস্যের জাল ভেদ করতে?
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের নতুন লেখকদের মধ্যে অসামান্য এক থ্রিলার লেখক যার লেখার সাথে ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলারগুলোর তুলনা চোখ বন্ধ করেই করা যায়। একটা কারণ অবশ্য তিনি দীর্ঘদিন অনুবাদ করেছেন। থ্রিল তার মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে।? রিভিউ: গল্পের শুরুটা একটা রেস্টুরেন্টে। যেটার নাম খুবই অদ্ভুত। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" সংক্ষেপে রেস্টুরেন্টটাকে রবীন্দ্রনাথ বলেই সম্বোধন করা হয়েছে। এর কারণ রেস্টুরেন্টের মালিক একজন রবীন্দ্রভক্ত। তার রেস্টুরেন্টে রবীন্দ্রনাথ খেতে আসেননি এই আফসোসই সম্ভবত তাকে এমন নামকরণে সাহায্য করেছে। মুশকান জুবেরি! রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি আক্ষরিক অর্থেই একজন রহস্যমানবী। পুরো বইটা শেষ করার পরেও মুশকান জুবেরি যেন তার রান্না করা সুস্বাদু খাবারের মতোই জিভে লেগে রইলো! মিলিয়ে গেলো না। পরপর পাঁচজন মানুষ মুশকান জুবেরির রেস্টুরেন্টে এসে আর ফিরে গেল না। পাওয়া গেল না তাদের কোন খোঁজ। কি এমন হলো তাদের সাথে? আর এমন কিইবা সিক্রেট রেসিপি এই মহিলা ব্যবহার করেন যাতে করে তার রেস্টুরেন্টে কেউ একবার খেতে এলে বারবারই ফিরে আসে? সেই রেস্টুরেন্ট যেখানে রবীন্দ্রনাথ কখনো আসেননি। রবীন্দ্রভক্ত এই মহিলা সারাজীবনই তার সৃষ্টি করা অসাধারণ রহস্যময় এক রেসিপি ব্যবহার করে গেলেন খাবার বানাতে যা তার বাবুর্চিরাও জানতে পারলো না,ততটাই রহস্য দিয়ে ঘিরে রাখলেন নিজেকেও। একজন বোবা কালা দারোয়ান,রাতকানা কাজের মেয়ে আর বাড়ির পেছনের জলাশয়ে চাষ করা কিছু কুমিরের বাচ্চা সম্বল করে ওতো বড় জমিদারবাড়িতে একা বসবাস করতে থাকেন। কেউ কৌতুহলী হয়ে উঁকি মারলেই জ্বলজ্বলে চোখে তাকে ভয় দেখান, কিন্তু কিছুই বলেন না। সেই রহস্য সমাধান করতে নামেন নূরে ছফা। সমাধান করতে গিয়ে আরো অনেক রহস্যে জড়িয়ে পড়েন নূরে ছফা আর তার ইনফর্মার আতর। তারা একজন গোরখাদকের সন্ধান পান যে কেউ মারা যাবার আগেই কবর খুঁড়ে ফেলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদৌ কি নূরে ছফা সমাধান করতে পারলেন? করলেও কতটা সফল হলেন? সেই পাঁচজনেরই বা কি হলো? লেখক নাজিমুদ্দিনের তারিফ না করে পারবো না যিনি এরকম কতগুলো ভিন্ন ভিন্ন রহস্য তৈরি করে সবগুলো একই সুতায় গেঁথেছেন। শুরুর দিকে বোর লেগে গেলেও শেষে এসে শ্বাসরোধ হয়ে গেছে। বই শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তার আবেশ সহজে শেষ হবেনা।❤️ সেইসাথে গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের বাংলাদেশী লেখকেরাও থ্রিলার লেখায় পিছিয়ে নেই।
Was this review helpful to you?
or
Thrill loving people this one's for you
Was this review helpful to you?
or
"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি " মূলত একটি হোটেলের নাম। অবশ্য এর মালিক মুশকান জুবেরি একে হোটেল বলতে নারাজ। তিনি এটাকে বলেন অতিথিশালা। এখানকার খাবার একবার যে খেয়েছে পরর্বতীতে বারবার সে ছুটে এসেছে। কেন এখানকার খাবার এত সুস্বাদু সে রহস্য ভেদ করতে পারে নি কেউ। এলাকার মানুষ মুশকান জুবেরি সম্পর্কে খুব কম জানলেও এটা জানে যে সে এটার সাথে কিছু একটা মিশিয়ে দেয়! ভালই চলছিল মুশকান জুবেরির দিন। কিন্তু হঠাৎ এক আগুন্তক এসে হাজির হল সেখানে। নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিলেও পরে দেখা গেল তা মিথ্যা! সে যা জানতে চায় তা খুব কম মানুষই জানে৷ মুশকান জুবেরি বুঝল তার দিন শেষ। আগুন্তককে নিজের বাসায় আমন্ত্রণ দিয়ে বলল এক লোমহর্ষক কাহিনি। পরিহাসের বিষয়, আগুন্তক সেই কাহিনি কাউকে বলতে পারবে কিনা তার কোন নতুন নিশ্চয়তা নেই! বাংলা ভাষায় অন্যতম মৌলিক থৃলার এটি। পাঠক যেমন হারিয়ে যাবে রোমাঞ্চের জগতে ঠিক তেমনি গর্ব করতে পারবে বাংলা সাহিত্য নিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
*_______{রিভিউ}_______* বই: রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জনরা : থৃলার প্রকাশকাল: বইমেলা ২০১৫ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭১ রিভিউ...... সুন্দরপুর একটি মফশ্বল শহর যেখানে রবীন্দ্রনাথ কখনই খেতে আসেন নি ! কেন আসেন নি তার থেকেও রহস্যময় ব্যাপার সেখানে অনেকেই ছুটে যায় ! রহস্যজনক ভাবেই কয়েকজন সেখানে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি ! কিন্তু কেন? কি ঘটেছিল তাদের সাথে ??? একদিন হঠাৎ "নুরে ছফা" নামে এক ব্যক্তির আগমন হলো সুন্দরপুরে । তার গতিবিধি অত্যন্ত রহস্যময়। সে এমন কিছু জানতে চায় যা সুন্দরপুরের অনেক লোকেরই অজানা । তবে যখন সেটা জানা গেলো তখন বেরিয়ে এলো এক রোমহর্ষক কাহিনী ! কি সেটা? আরও রয়েছে এক গোর খোদক এর কথা । স্থানীয় লোকেরা যা কে কামেল ব্যক্তি হিসেবে মানে। কারন অদ্ভূত ভাবেই সে জেনে যেত যে, গ্রামের কেউ মারা যাবে । আর তাই অ্যাডভান্স কবর খুদে রাখতো এই গোর খোদক "ফালু" । তার মাঝে কি সত্যিই রয়েছে কোন অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা ? না কি এর পেছেন অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে? জানতে হলে পড়ুন----- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন রচিত "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" । বইটা আমার খুবই ভাল লেগেছে। সামান্য সময়ের জন্যেও বোরিং মনে হয় নি । দারূন সুখ পাঠ্য একটি বই ;)
Was this review helpful to you?
or
মফস্বলের এক শহর সুন্দরপুর। মোটামুটি বেমানানভাবেই এখানে রয়েছে অদ্ভুত নামের একটি সুবিখ্যাত রেস্তোরাঁ। সে রেস্তোরাঁর নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি"! নামের পেছনে আছে লুক্কায়িত রহস্য। এই শহরটিতে, কিংবা বলতে গেলে, রেস্তোরাঁটিতে আগমন ঘটে এক আগন্তুকের। রেস্তোরাঁ ও তার মালিককে নিয়ে তার আগ্রহ কিংবা প্রশ্নগুলো অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা ধরণের, গতিবিধিও রহস্যজনক। উদ্দেশ্য কি তার?? আর রেস্তোরাঁটিই বা এমন কেন? কি লুকানো কাহিনী রয়েছে এটিকে ঘিরে? পরামর্শ হিসেবে বলছি, এই বইয়ের মেইন থিমটা মিথোলজি ও সাইকোলজিক্যাল কিছু ডিস-অর্ডার বেইসড। যারা ফিকশন এর মধ্যে "যুক্তিভিত্তিক ধ্রুব সত্য" খুঁজতে অভ্যস্ত তারা এই বই পড়বেন না। আপনাদের জন্য থরে থরে সাজানো রয়েছে নন-ফিকশন। কথাটা একারণেই বলা, "বাস্তবতার সাথে এ টু জেড মিল খুঁজতে গিয়ে" অনেকে এ বই পড়ে হতাশ হয়েছেন, পরে অন্যরা তাদের মতামত শুনে বইটা পড়ার চিন্তা বাদ দিয়েছেন। "অন্যের মুখে খাবেন না" - অর্থাৎ কিনা, অন্যের মতামতের ভিত্তিতে বইটা পড়ার চিন্তা বাদ দেবেন না। আপনার নন-ফিকশন, থ্রিল, সাথে ডার্ক কনসেপ্ট এর সাথে পরিচয় থাকলে অবশ্যই অবশ্যই বইটা পড়ুন। বইয়ের মধ্যে আমি সাইকোলজিক্যাল থ্রিল বা শুধু থ্রিল পড়ে অনেক বেশি অভ্যস্ত। সেকারণে অনেক সময় অনেক বইয়ের "টুইস্ট" গুলো খুব সাধারণ আর প্রেডিক্টেবল মনে হয়। সেদিক থেকে এ বইটা সম্পূর্ণ সফল। টুইস্টগুলো ভীষণভাবে চমকে দেয়ার মতো ছিল, লেখককে বাহবা দেওয়ার মতোও ছিল। গল্পের উপস্থাপন ভালো লেগেছে। প্রথম ৫০ পৃষ্ঠা আমি ঢিমেতালে পড়েছি। কাহিনীটা প্রতিষ্ঠা হবার পর আর থামি নি। একবসায় শেষ করা বই। সত্যি বলতে, যতোটা আশা করেছিলাম, তারচেয়েও ভালো লেগেছে। মুশকান জুবেরী চরিত্রটা অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। কাহিনীর প্রয়োজনে কিছু সত্য ঘটনার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা স্বাভাবিক। এবং বেমানান লাগে নি। বরং এরকম একটা কাহিনী সৃষ্টি করা অসাধারণ ছিল।
Was this review helpful to you?
or
যদি লেখক কে সামনে পেতাম তার একটা একটা করে চুল ছিড়তাম। এত ভালো খাবারের বর্ণনা কেউ দেয় নাকি! রাগে আমার মাথায় চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। এমনি আমি ইকটু ইয়ে ধরণের খাবারের নাম শুনলেই জিবে পানি চলে আসে আর যদি হয় খাবারের এত সুন্দর বর্ণনা তাহলে তো পাগল হয়ে যেতে হবে। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি যদি আসত তাহলে রবীবাবু পাগল হয়ে যেত। . রিডিং.... রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি - মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন...? . বইটি শুরু করেই আবিষ্কার করি আমি এক আগুন্তুক দাড়িয়ে আছি মহাসড়ক পাশে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে। রেস্টুরেন্টের নামটা বেশ অদ্ভুত 'রবিন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি!'রেস্টুরেন্ট থেকে আসছে অদ্ভুত একটি গন্ধ। এ জীবনে নেয়া যতো গন্ধ আছে তার মধ্যে এটি একেবারেই অজ্ঞাত। এর মধ্যে যে সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে সেটাও টের পাওয়া যায় খুব দ্রুত। একটু পর আবিষ্কার করি রেস্টুরেন্ট বসে আমি আর আগুন্তুক বেশ আয়েশ করে খাচ্ছি অদ্ভুত নামের কিছু খাবার। খাবার গুলো এতই অসাধারণ যে প্রতিবার মুখে দেওয়ার পর আপনা আপনি চুখ বন্ধ হয়ে যায়। খাওয়া শেষে জানতে পারি রেস্টুরেন্টটির মালিক এক নারী। রেস্টুরেন্ট টি থেকে একটু দূরে আমাদের সাথে পরিচয় হয় আতর আলী নামে এক ইনফর্মার এর সাথে। সে জানায় এই সুন্দরপুর গ্রামের সব খবরই সে রাখে এমন কি ঘরের চিপায় দাড়িয়ে যদি কেউ পাদ দেয় সেই খবরও জানা। একটু পরে আবিষ্কার করি আগুন্তুক আর আতর আলীর সাথে বেরিয়ে পরেছি রেস্টুরেন্ট এর মালিক সম্পর্কে তথ্য জানতে। তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যেতে হয় কবরস্থানে এমন কি দেয়ালও টপকাতে। কিন্তু কেন একজন সাধারণ রেস্টুরেন্ট মালিকের পিছনে পড়লাম আমরা? আর এই আগুন্তুকই বা কে? বইটি আমাকে রক্ত চুষা জোক এর মতো কামড়ে ধরে রেখেছিল। শরীরে জোক বসে থাকলে যেমন ঘিনঘিন করে উঠে শরীর তেমন বইটি শেষে আমার শরীর ও ঘিনঘিন করে উঠেছিল। যাইহোক অসাধারণ একটা মৌলিক থ্রিলার বই পড়লাম এখনো মুখে লেগে আছে বইটির স্বাদ যে স্বাদ সহজে ভুলার নয়....!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা থ্রিলার জগতে অনন্য এক সংযোজন এই বই। অসাধারন লেখনি, গল্পের বুনটও চমৎকার। থ্রিলার যারা পছন্দ করেন তাদের সকলেরই পড়া উচিৎ। এমনিতেই বাংলা ভাষায় থ্রিলার খুবই কম তার উপর মান সম্মত থ্রিলারের সংখ্যা আর কম। নাজিমুদ্দিন সাহেবকে ধন্যবাদ এমন অসাধারন উপন্যাস উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দরপুর। ছবির মতোই সুন্দর মফস্বল শহর। একমাত্র প্রকৃতির শোভা ছাড়া দেখার মতো অথবা বলার মতো উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। একদমই যে কিছু নেই তা কিন্তু নয়; অদ্ভুত আর অপ্রচলিত নামের পাশাপাশি অদ্ভুতুড়ে এক রেস্টুরেন্টও আছে এই মফস্বলে। বড় রাস্তার পাশেই একতলা একটি বাংলোতে গড়ে উঠেছে এই রেস্তোরাঁ। রেস্টুরেন্টের সামনের লম্বা বারান্দার উপরে সবুজ রঙের টিনের ছাউনি; সাথে বড় বড় ফ্রেঞ্চ জানালা এবং নক্সা করা বিশাল কাঠের দরজা– সত্যিই মনোমুগ্ধকর। সাধারণত বড় রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্টগুলো এরকম হয় না। সন্ধার পরই বিশাল সাইনবোর্ডটা জ্বলে ওঠে। ভেতরের সাজসজ্জায় প্রকাশ পায় যে, শুধুমাত্র টাকা কামানোই মালিকের মূল উদ্দেশ্য নয়। অদ্ভুতুড়ে নামের এই রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশ আর সার্বক্ষণিক রবীন্দ্রসঙ্গীতের বাজনা সত্যিকার অর্থেই এক অদ্ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি করে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে লোক এখানে খাওয়া-দাওয়া করতে আসে। এমনকি এটাও শোনা যায়, এই রেস্টুরেন্টে যে একবার খাওয়া-দাওয়া করে সে নাকি এই রেস্টুরেন্টের খাবার ছাড়া থাকতে পারে না। অন্যান্য দিনের মতোই রেস্টুরেন্টের অপর দিকে থাকা চা-সিগারেটের টঙ দোকান খোলেন রহমান মিয়া। সুন্দরপুর থানার সাবেক ইনফর্মার আতর আলী প্রতিদিনের মতো সেদিনও রহমান মিয়ার সাথে আড্ডা দিতে আসে। যদিও রহমান মিয়া আতর আলীকে মোটেই পছন্দ করে না, কিন্তু পুলিশের ইনফর্মারের কাজ করে বিধায় মুখে তা কখনো স্বীকার করে না। সেদিনই অপরিচিত এক লোক আসে রহমান মিয়ার দোকানে। সাধারণত প্রতিদিন অনেক অপরিচিত লোক এলেও এই অপরিচিতের আচরণ অদ্ভুত আর অস্বাভাবিক লাগে। কথায় কথায় অপরিচিত লোকটি আতর আলীকে জানায়, সে শহরের বেশ নামকরা একটা পত্রিকার সাংবাদিক। এখানে এসেছে এই রেস্টুরেন্ট এবং রেস্টুরেন্টের মালিকের উপর গবেষণাধর্মী একটি আর্টিকেলের কাজে। সাথে আতর আলীকে এটাও জানায় যে, তথ্য সংগ্রহ করে দিলে আতর আলীর পকেটও সে গরম করে দেবে। পুলিশের ইনফর্মার কাজ ছুটে গেছে বেশ কয়েকদিন (যদিও সুন্দরপুরের কেউ তা জানে না)। তাই টাকার লোভে আতর আলীও রাজি হয়ে যায় এই কাজে। প্রাথমিক আলোচনায় লোকটি আতর আলীর কাছ থেকে জানতে পারে, এই রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম মুসকান জুবেরী এবং তিনি থাকেন সুন্দরপুরের জোড়পুকুর জমিদার বাড়িতে, তা-ও শুধুমাত্র দুজন কাজের লোককে নিয়ে। সেদিন রাতেই আতর আলী সেই অপরিচিত লোককে নিয়ে যায় সুন্দরপুরের স্কুল মাস্টারের কাছে, যার নাম রমাকান্তকামার। সবকিছু শুনে হোটেলে ফিরে যায় দুজন, কিন্তু আতর আলী চলে যাওয়া মাত্রই লোকটা চলে যায় জমিদারবাড়িতে। রাতের নিগূঢ় অন্ধকারে পাঁচিল টপকে ভেতরে চলে যায় লোকটি। বাড়ির ভেতরে ঢুকে বেশ কিছু অদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার হয়, যার মধ্যে মুসকান জুবেরী এবং সুন্দরপুরের গোরখোদক ফালু কর্তৃক কোনো কিছু দাফন করা, বাড়ির পেছন দিকের ডোবায় কুমিরের চাষসহ আরো বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর ঘটনা মনের কোনে খটকার সৃষ্টি করে। কোনোমতে সেই রাতে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও পরের দিন সুন্দরপুরের পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় লোকটি। নুরে ছফা। ডিবির ইনভেস্টিগেটর। এখন অবধি তার হাতে যেসব কেস এসেছে সেগুলোর কোনোটিই বিফলে যায়নি। তাই ডিপার্টমেন্টসহ দেশে তার নাম আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুরোধে সুন্দরপুরে আসে একটি কেসের তদন্তে। মাস তিনেক আগে একে একে পাঁচজন যুবক এক অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিল, কিন্তু আর ফিরে যায়নি। একদমই লাপাত্তা। এই পাঁচজনের একজন ঐ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয়, তাই নুরে ছফাকে এই কেসের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং যত ধরনের সাহায্য দরকার তা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। শুধু কি নুরে ছফা? ডিবির সাবেক ইনভেস্টিগেটর কে. এস খান বা খোদাদাদ শাহবাজ খানের কাছেও সাহায্য চাওয়া এই কেসের তদন্তে। মুসকান জুবেরী। রবীন্দ্রনাথ নামের সেই অদ্ভুত রেস্টুরেন্টটির মালিক। অসম্ভব সুন্দরী এবং পাকা রাঁধুনি। জোড়পুকুর জমিদারবাড়িতে একাই থাকেন। একদিন আতর আলী কৌতূহলবশত জমিদারবাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকেছিল কী হয় তা জানার জন্যে। পরমুহুর্তেই আতর দেখেছিল মুসকান জুবেরী রক্তের মতো লাল কিছু একটা পান করছে এবং চোখ দুটো আগুনের মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। এই অস্বাভাবিক ঘটনা সুন্দরপুরের সবার কাছে ছড়ালেও ঘটনাটা আরো বেশি ঘনীভূত হয় সুন্দরপুরের এমপি, এসপি থেকে শুরু করে সকল ক্ষমতাবান হর্তাকর্তাই এই মুসকান জুবেরীর কথায় উঠে বসে। এরপর থেকেই সুন্দরপুরের লোকেরা মুসকান জুবেরীকে ডাইনী আখ্যাতেই চিনে। মুসকান জুবেরী আগে ডাক্তার ছিলেন, কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ডাক্তারি ছেড়ে এই মফস্বলে এসে কেন খাবারের রেস্টুরেন্ট দিলেন তাই বুঝতে পারেন না ডিবির প্রধান ইনভেস্টিগেটররা। গোরখোদক ফালু। সুন্দরপুর কবরস্থানে একমাত্র গোরখোদক। তবে ফালু এই এলাকায় কামেল হিসেবেই পরিচিত। এই এলাকার সবাই জানে যে, কেউ মারা যাওয়ার পূর্বেই ফালু টের পেয়ে যায় এবং কবর খোঁড়া শুরু করে দেয়। তাই যাদের অনেক বেশি অসুখ থাকে তারা এসে ফালুর কাছে মিনতি করে যায়, ফালুকে ভালোমন্দ খাইয়্যে খুশি করে দিয়ে যায়। একদিন রাতের আঁধারে ফালুর ঘরে ঢোকে আতর আলী। খাটের নীচে খুঁজে পায় কঙ্কালের বস্তা। সুন্দরপুরে আদতে কী হচ্ছে? অদ্ভুতুড়ে ঐ রেস্টুরেন্টে এমন কী আছে যে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এভাবে ছুটে আসে? রমাকান্তকামার জমিদার বাড়ি সম্পর্কে এমন কী জানে? জমিদারবাড়ির ভেতরে কী দাফন করা হচ্ছিল সেই রাতে? কিংবা কেনই বা কুমিরের চাষ করা হয় সেখানে? ডিবির জাঁদরেল অফিসার নুরে ছফা কিংবা কে. এস খান কি এই তদন্তে সফল হতে পারেন, নাকি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ব্যর্থ হয় তারা? মুসকান জুবেরী সেদিন রাতে কী পান করছিল, আর কেনই বা চোখ দুটো অমন জ্বলজ্বল করছিল? ডাক্তারি ছেড়ে কেন এখানে এসে রবীন্দ্রনাথ খুলে বসলেন? কী এমন রহস্য আছে এখানে? ফালু কী করে মানুষের মৃত্যুর খবর আগে থেকেই জেনে যায়? ফালু কি তবে সত্যিই ভবিষ্যতদ্রষ্টা? কিন্তু তাহলে ফালুর ঘরে কঙ্কালের বস্তা কেন? আর ঐ পাঁচজন যুবক কী করে একেবারে গায়েব হয়ে গেল? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন রচিত 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি' এবং " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি" পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরণ: থ্রিলার প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ মুদ্রিত মূল্য: তিনশত টাকা পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২৭১ রিভিউ লেখকের রেটিং: ৪.৯/৫ পাঠ প্রতিক্রিয়া: যারা নিয়মিত থ্রিলার পড়েন, নাজিম উদ্দিন ভাইকে তাদের একনামে চেনার কথা। রকিব হাসান, শামসুদ্দিন নওয়াব প্রমুখের অনুদিত সেবা প্রকাশনীর ওয়েস্টার্ন থ্রিলার যখন বাংলার ঘরে ঘরে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় শোভা পাচ্ছে, ঠিক সেসময়টিতেই বাংলায় মৌলিক থ্রিলার লিখে থ্রিলারপ্রেমীদের নিজেদের দলে ভিড়ানোর চেষ্টা যারা করেছেন, তাদের মধ্যে এই নাজিম উদ্দিন অন্যতম। নাজিম ভাই এক্ষেত্রে অনেকটাই সফল। যদিও তার লেখালেখির শুরুটা জনপ্রিয় বিদেশি থ্রিলারগুলোর অনুবাদ দিয়েই। ড্যান ব্রাউনের ইনফার্নো, অরিজিন, দ্য লস্ট সিম্বলের মতো বইগুলোর অনুবাদ করতে করতে নাজিম উদ্দিন নিজের ভেতরের মৌলিক সত্তাকে যেভাবে তৈরি করেছেন, এবং পরবর্তীতে নিজের মৌলিক থ্রিলারগুলোতে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেছেন, তাতে দুই বাংলার থ্রিলার পাঠকসমাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে আর বেশি বেগ পেতে হয়নি তাকে। “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি” নাজিম উদ্দিনের অন্যতম একটি মাস্টারপিস, তার নিয়মিত পাঠকগণ অন্তত এব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করবেন না আশা করি। প্লটের অভিনবত্ব, মোহনীয় শব্দচয়ন আর কাহিনীর সাবলীল গতিপ্রকৃতি- সবমিলিয়ে একটি সার্থক থ্রিলার হয়ে উঠতে এটিকে বেগ পেতে হয়নি। গল্পের সূত্রপাত মফস্বল শহর সুন্দরপুরের “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি” নামক একটি রেস্টুরেন্টকে ঘিরে, যার নাম এবং খাবারের মেন্যু দুই-ই অভিনব। যে একবার এখানে খেতে আসে, তাকে বারবার আসতেই হয় অভিনব সব খাবারের জাদুকরী স্বাদ নিতে। এই রেস্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরি, যিনি নিজেই সব মোহনীয় রেসিপির আবিষ্কারক, মূলত তাকে ঘিরেই গল্পের মূল ধারাটি আবর্তিত হয়েছে। নুরে ছফা নামক জনৈক আগন্তুকের এই রেস্টুরেন্টকে ঘিরে তৈরি হওয়া কৌতূহল যে কোথায় গিয়ে ঠেকে, সেটি জানতে হলে বইটি পড়তে হবে শেষ পর্যন্ত। আমার রিভিউতে আমি সবসময় পাঠকের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বই সাজেস্ট করার চেষ্টা করি। এই বইটির ক্ষেত্রে আমি বলব, প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সব ক্যাটাগরির পাঠকই বইটি পড়ে মজা পাবেন, কারণ বইয়ের সাবলীল মার্জিত গতিপ্রকৃতি খুঁতখুঁতে, অধৈর্য বা মন্থরগতির পাঠকদেরকেও সমানতালে ধরে রাখবে। প্রাপ্তবয়স্ক কথাটি উল্লেখ করার কারণ- গল্পে মার্জিত পরিমাণে কিছু যৌনউত্তেজক বিষয় রয়েছে। পাশাপাশি বীভৎসতাও রয়েছে। আর খাবারের ব্যাপারে যাদের স্নায়ুপীড়া আছে, তারা বইটি শেষ করে কিছুদিন খাবার গ্রহণে অরুচিজনিত সমস্যায় পড়তে পারেন। এর বেশিকিছু বললে রিভিউটি স্পয়লারের কাতারে চলে যাবে। তবে কাহিনীর কিছু কিছু বিষয় খুব বেশি কাকতালীয় লেগেছে আমার কাছে। শেষটা কিছুটা অতৃপ্তিকর, মানে শেষ হওয়ার বেশ কিছুটা আগেই মূল কাহিনীর বাঁক-বদল থেমে যাওয়ায় আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি। তবে এই অতৃপ্তির সংগত কারণ আছে, মুশকান জুবেরির পরিণতি এই বইটিতেই শেষ হয়নি, এর দ্বিতীয় সিকুয়্যাল “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি”-তে হয়তো শেষ হবে। দ্বিতীয় বইটিও ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, শীঘ্রই সেটি নিয়েও কথা বলব। আরেকটি বিষয় নিয়ে না বললেই নয়, সেটি হল বইটির প্রচ্ছদ। সিরাজুল ইসলাম নিউটনের করা প্রচ্ছদটি রীতিমতো হাইপ তুলে দেয়ার মত একটি বিষয়। বিশেষ করে প্রচ্ছদের একদম ওপরের অংশের নারীমুখটি পাঠকের মনে গল্পের আবহ তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। সর্বোপরি নাম, প্রচ্ছদ আর প্লটের অভিনবত্বের অভিনব সম্মিলন পাঠককে নাজিম ভাইয়ের ভক্তদের তালিকায় নাম লেখাতে বাধ্য করবে নিঃসন্দেহে। (সৈয়দ আসির হা-মীম বৃন্ত)
Was this review helpful to you?
or
একটা রেস্টুরেন্ট, যেখানকার মালকিন এবং রাধুনী মুশকান জুবেরির জীবনে একটাই দুঃখ, যেই রবি ঠাকুরের তিনি এত বড় ভক্ত, সেই রবি ঠাকুরকে তিনি তার নিজের হাতে রান্না করা অসাধারণ সব খাবার খাওয়াতে পারেন নি। কিন্তু মুশকান তো নাছোড়বান্দা! তিনি যে করেই হোক, রবীন্দ্রনাথকে তার রান্না খাওয়াবেন-ই! আর তাই তিনি প্ল্যানচেট করে রবীন্দ্রনাথকে ডাকলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তবুও এলেন না! সেই দুঃখ থেকেই তিনি তার রেস্টুরেন্টের নাম রেখে ফেললেন "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"! তবে এখানেই কিন্তু শেষ না! মানে আমি বলতে চাচ্ছি, এই রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত এসেই কাহিনী শেষ হয়ে যায় নি(যদি হত তাহলে রবীন্দ্রনাথের আসা কিংবা না আসা দিয়ে কি আর এত কিছু আসত যেত?! রবীন্দ্রনাথ তো এই জীবনে কত জায়গায়ই যান নি!)। এমনকি কাহিনীর শুরুও এখানে না। বরং এই কাহিনীর শুরু হয়েছে আজ থেকে চুয়াল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর আগে আন্দিজ পর্বতে। কীসের কাহিনী? সে এক রোমহষর্ক কাহিনী, যা সেই আন্দিজ পর্বত থেকে গড়াতে গড়াতে এসে ঠেকেছে সুন্দরপুরের এই রেস্টুরেন্টে! "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" রেস্টুরেন্টের অধ্যায় শেষ হয়ে গেলেও কাহিনীর গড়িয়ে যাওয়া কিন্তু শেষ হয় না! কাহিনী গড়াতে গড়াতে এরপর এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠেকে, যেখানে যাবার পর আপনি জেনে অবাক হবেন যে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি"! হ্যা, রবীন্দ্রনাথের সেখানে অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি সেখানে যান নি। কেন যান নি, তা হয়ত তিনিই ভালো বলতে পারতেন! তবে রবীন্দ্রনাথ সেখানে না যাওয়া নিয়ে যতটা আফসোস মুশকান জুবেরির, তার চাইতে বেশি আফসোস আমাদের নূরে ছফার সেখানে পৌঁছাতে না পারাটা! জাদরেল ডিবি অফিসার নূরে ছফা, যে কিনা "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" রেস্টুরেন্টটি বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে বিগত তিন বছর ধরে মুশকানকে খুজে বেড়াচ্ছে, সে তার গুরু খোদাদাদ শাহবাজ খানের পরামর্শে "যেই মাটিতে আছাড় খাইছে সেই মাটি থিকাই উইঠা দাড়াইতে" তিন বছর পর আবার ফিরে যায় সুন্দরপুরে। এবং তারপর এই কেস তাকে যেই পথে নিয়ে যায় সেই পথেই হাটতে হাটতে সে দেশের সীমানাও ছাড়িয়ে যায়! তারপর? তারপর কী হল জানতে হলে প্রথমে পড়তে হবে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" এবং তারপর পড়তে হবে "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি".... :) প্রথমটা পড়ার পর দ্বিতীয় বইটা হাতে পাওয়ার জন্যে আমার পক্ষে একদিন অপেক্ষা করাও দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিলো! এবং দ্বিতীয়টা হাতে পাওয়ার পর শেষ না করে কোনো ভাবেই উঠতে পারছিলাম না(যদিও কিছু কিছু জায়গায় পড়তে পড়তে আটকে যাচ্ছিলাম ? )। এবং এটা পড়ে শেষ করার পর এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি এই সিরিজের তৃতীয় বইটির জন্য! :) এই সিরিজে একই সঙ্গে নায়িকা এবং খলনায়িকা মুশকান জুবেরি। অনেকেই হয়ত প্রশ্ন করবেন এটা কী করে সম্ভব? আমি বলব, সম্ভব। অন্তত এই রবীন্দ্রনাথ সিরিজে সম্ভব হয়েছে! আর তার পারসোনালিটিই এমন যে বইয়ে যতবারই তার কথা বলা হচ্ছে, ততবারই যেন কানে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর ভেসে আসছে! ? আর নায়ক নূরে ছফা। সে একজন চৌকস গোয়েন্দা। তার ক্যারিয়ারে কোনো ব্যর্থ কেস নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই কেসটাতে সে বারবার ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছে। ব্যর্থতার একটাই কারণ, এই কেসটাতে তার বারবার ভুল হচ্ছে! কিন্তু বারবার ভুল করা একজন গোয়েন্দা হলেও এই নূরে ছফা চরিত্রটাকে যেকোন পাঠকের কাছে ভালো লাগতে বাধ্য। :) বই দু'টো পড়তে পড়তে একটা ব্যাপার আন্দাজ করলাম, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভাই মনে হয় আহমদ ছফা এবং জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের অনেক বড় ভক্ত। তার কারণ, নূরে ছফা এবং তার গুরু খোদাদাদ শাহবাজ খান ওরফে কেএস খানের ভেতরে আমি যথাক্রমে আহমদ ছফা এবং তার গুরু জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ছায়া দেখতে পেয়েছি(যদিও এই বিষয়টা কাহিনীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়, তাও বললাম আর কি)। এমনকি এখানে কেএস খানের বাচনভঙ্গি যেরকম দেখানো হয়েছে, জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকও ঠিক সেভাবেই কথা বলতেন! ? রেটিং........ ভাবছি এই সিরিজের তৃতীয় বইটা পড়ার পর একবারেই দেব। কী বলেন সবাই?? ? যাই হোক, অনেকদিন পর ভিন্ন ধাঁচের দু'টো থ্রিলার পড়লাম। অসংখ্য ধন্যবাদ নাজিম ভাইকে তার অসাধারণ লেখার জন্য। :) রইলাম এই সিরিজের তৃতীয় বইটির অপেক্ষায়.... (Y)
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি " এমন অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জাবেরি। ছবির মত সুন্দর এক মফস্বল টাউন "সুন্দরপুরে" এই রেস্টুরেন্ট অবস্থিত। রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জাবেরি নিজ হাতে রান্না করে রেস্টুরেন্টের সকল খাবার। আর সেই খাবারের স্বাদের জন্য এই রেস্টুরেন্টে রবীন্দ্রনাথ না এলেও দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসে। মুশকান জাবেরিকে নিয়ে এলাকার রয়েছে নানা মতামত। তাকে নিয়েও রয়েছে সবার কৌতুহল। পুলিশের এসপি, ওসি আর এলাকার এমপি তার বন্ধু মানুষ হওয়ায় কেউ তাঁকে বেশি ঘাটতে যায় না। সেই সুন্দরপুরে একদিন হাজির হয় নুরে ছফা নামের এক লোক। যে কিনা, নিজেকে পরিচয় দেয় সাংবাদিক হিসেবে। রহস্যময় আর অস্পষ্ট গতিবিধির এই লোক "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি " রেস্টুরেন্টের উপর ফিচার লেখার জন্যই এখানে এসেছে বলে জানায়। সেই রেস্টুরেন্টের খবরাখবর জানার জন্য ঘুরে বেড়ায় সুন্দরপুর এলাকায় বিবিচি (বিবিসি) নামে খ্যাত আতর আলীর সাথে। এই আতর আলী হল পুলিশের ইনফর্মার। বলা হয়ে থাকে, তাঁর চোখ ফাঁকি দিয়ে একটা পাদ দেয়ার ক্ষমতাও নেই সুন্দরপুরের মানুষের। আতর আলীর কাছে আগন্তুক নুরে ছফা যা জানতে চায়, সেটা এলাকার খুব কম মানুষেই জানে। কে এই নুরে ছফা? তাঁর আসল পরিচয় বা কি? কেন সে মুশকান জাবেরির পিছনে লেগেছে? রহস্যময় এই মুশকান জাবেরি আসলে কে? কি করে এত সুন্দর খাবার বানায় সে? কেন-ইবা সে নিজেকে এত রহস্যের মধ্য দিয়ে ঘিরে রেখেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য পড়ে ফেলুন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন রচিত "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি " বইটি। রিভিউ : বইয়ের কাহিনী এক কথায় অসাধারণ ছিল। বইয়ের লেখার ধরণ ভাল লেগেছে আমার। নাজিম উদ্দীন সবসময় রহস্যের ভাবটা ধরে রাখতে পেরেছেন এই বইয়ে। কেএসকে সিরিজের বই হওয়া সত্বেও খোশদাদ আহমেদ শাহবাজ খানকে পাওয়া যায় এই বইয়ে। নুরে ছফার মেন্টর হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সবসময় রোগে ভোগা এই মানুষটি। নুরে ছফা আর মুশকান জাবেরির চরিত্র দুইটি এককথায় অসাধারণ ছিল। এই বই পড়ার সময় নিজেকে আপনি কখন যে নুরে ছফা অথবা মুশকান জাবেরি হিসেবে কল্পনা করবেন জানতে পারবেন না। বইটি পড়ার শেষে আপনি জানতে পারবেন এক রোমহষর্ক কাহিনী। যা আপনাকে নিয়ে যাবে এক অদ্ভুত আর ভয়ংকর সত্যের দিকে। তবে, বইয়ের বানানে বেশ কিছু ভুল আছে। আর আছে কিছু দৃষ্টিকটু গালাগালি। যার মাধ্যমে সেইসব গালাগাল প্রকাশ করা হয়েছে, তা স্বাভাবিক হিসেবেই মনে হবে আপনার। তাই আর দেরি কেন আজই নুরে ছফার সাথে ভ্রমণ করে ফেলুন সুন্দরপুর গ্রামে। পড়ে ফেলুন, "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" বইটি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটু বই । আস্তে আস্তে রহস্য তৈরি করেছেন লেখক। প্রথমে গোয়েন্দা ও তার সহযোগী থানার ইনফরমারের খোঁজাখুঁজিতে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়। এছাড়া প্রধান চরিত্র মুশকান জুবেরির কর্মকাণ্ড আস্তে আস্তে পুরো ঘটনায় একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির জন্ম হয়। শেষে কিছু ভয়ংকর সত্য উন্মোচিত হয়। যদিও শেষটা আরও একটু যত্ন নিয়ে লিখতে পারতেন লেখক তবুও পুরো বইটি থ্রিলার হিসেবে অনেক ভালো হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
অভারঅল ভালোই বইটা। তবে লেখক কিছু অংশ টেনে লম্বা করেছেন;যেগুলো পুরোপুরি বিরক্তিকর। ওসব বাদ দিলে কাহিনী টা বেশ ভালো! ?
Was this review helpful to you?
or
মারাত্নক থ্রিলার।প্রত্যেক মূহুর্তে চমক ছিল।মুশকান চরিত্রটি ছিল অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
একটা জাতের থ্রিলার পড়লাম বহুদিন পর
Was this review helpful to you?
or
নাজিম উদ্দিন এর কাছে এমন কিছুই আশা করেছিলাম
Was this review helpful to you?
or
ইন্টারেস্টিং ?
Was this review helpful to you?
or
মহাসড়কের পাশে ছবির মতো সুন্দর আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মফস্বল শহর সুন্দরপুর। শহর বললে ভুল হবে, আদতে গ্রাম। সেই গ্রামে একটি রেষ্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি"। নামের মতোই অদ্ভুত এখানকার কর্মচারীরা। অসম্ভব সুস্বাদু এখানকার খাবার। মালিক একজন রহস্যময়ী নারী, নাম " মুশকান জুবেরি"। অদ্ভুত নামের রেষ্টুরেন্টের মতোই অদ্ভুত তার গতিবিধি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার ভাগ্নে নিখোঁজ হওয়ার অনেকদিন পরেও পুলিশ সুরাহা করতে না পারায় সিআইডির হাত ঘুরে ডিবি অফিসার নুরে ছফার হাতে কেসটি আসে, যার ক্যারিয়ারে ১টিও ব্যর্থতার রেকর্ড নেই। কিন্তু জাঁদরেল অফিসার হওয়া স্বত্বেও দেড় মাসেও ক্লুহীন কেসটির কোন সুরাহা করতে পারেন নি তিনি। সামান্য একটা সুত্র পেয়েই উটেপড়ে লেগে যান সমাধানে। সুন্দরপুরে ভুতুড়ে আগন্তুকের মতোই হঠাৎ করে হাজির হন। একটু একটু করে এগুতে থাকেন কেসের গভীরে। বেরিয়ে আসতে থাকে জটিল সব রহস্যের সমাধান। কেনইবা রেষ্টুরেন্টের এমন অদ্ভুত নাম? কে এই মুশকান জুবেরি? কী তার পরিচয়? কেউ তার অতীত জানে না কেন? দুর্গের মতো জমিদার বাড়িতে একা একা কী নিয়ে মগ্ন থাকেন? ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে এমন লোমহর্ষক সব সত্য যা জানলে পাঠকরাও শিউরে উঠবে। তবে আশার কথা হলো ছফা'র গুরু কেসকে'র তত্ত্বাবধানে কেসের সমাপ্তি হলেও শেষ পর্যন্ত নুরে ছফাকে অজ্ঞান আর জমিদার বাড়ি পুড়িয়ে অভিনব পদ্ধতিতে পুলিশকে বোকা বানিয়ে আসামি পালিয়ে যায়। রেটিং ৪.৮/৫
Was this review helpful to you?
or
১০/১০
Was this review helpful to you?
or
chorom. magnetic kahini.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইয়ের নামঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৭০ মূল্যঃ ২৭০ টাকা। প্রাকবচনঃ অদ্ভুত নামের বই 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' পড়া শুরু করার আগে আমি আমার এক সুহৃদ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি এই বইটি পড়েছেন কিনা? তিনি বললেন তাকে কে যেনো বলেছে এই বই পড়ার পর মাংস খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, এজন্য তিনি পড়েননি। আমি একথা শুনে কিছুটা সংশয়ে থাকলেও পড়া শুরু করি এবং রীতিমত বিমোহিত হয়েছি। ওহ্ হ্যাঁ, পড়ার পর আমার মাংস খেতে কোনরূপ অনীহা জন্মায়নি। কাহিনী সংক্ষেপেঃ ছবির মত সুন্দর মফস্বল শহর সুন্দরপুর। আশেপাশের প্রকৃতি যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মনমুগ্ধকর প্রকৃতি ছাড়া এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই যা মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে সুন্দরপুরের হাইওয়ের ধারে এক অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট আছে যেটা মানুষকে আকৃষ্ট নয় নেশার মত কাছে টানে তার আতিথেয়তা গ্রহন করতে। শান্ত শহর সুন্দরপুরে হঠাৎ এক অপরিচিত আগন্তকের আগমন ঘটে। তাকে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' রেস্টুরেন্টে কয়েকবার খেতে দেখা গেছে। এলাকার বিবিসি খ্যাত পুলিশের ইনফর্মার আতর আলীও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আতর আলীকে সাথে নিয়ে রাতবিরাতে সেই আগন্তক এলাকার কবরস্থান থেকে শুরু করে পুরনো জমিদার বাড়ির আশেপাশে যাতায়াত শুরু করেছে। অপরিচিত আগন্তক বিভিন্ন জনের মাধ্যমে অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্যে? তিনি কে? 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' রেস্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরি। তাকে ঘিরেও রহস্যের কমতি নেই। কোথা থেকে এসেছে কেউ এসম্পর্কে বলতে পারেনা। তার রেস্টুরেন্টে একবার কেউ খেলে এতই বিমোহিত হয় যে বারবার খেতে আসে। তার কি বিশেষ কোন রেসিপি আছে? এই রেস্টুরেন্টে খেতে এসে পাঁচজন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের কোন খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়া এই মানুষ গুলোর সাথে অপরিচিত আগন্তকের কি কোন যোগসূত্র আছে? রহস্যের মায়াজাল ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সাড়া জাগানো রহস্য উপন্যাস 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি'। বইয়ের নাম দ্বারা পাঠককে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন। নামের পাশাপাশি লেখা দ্বারাও। চলুন রহস্য উপন্যাসটির ভালোমন্দ জেনে নেওয়া যাক। দেশীয় প্রেক্ষাপটে থ্রিলার লেখা একটু কঠিন হলেও লেখক বেশ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। চমৎকারভাবে গল্পের প্লট এবং চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। উপন্যাসে শক্তিশালী কিছু চরিত্র থাকা চাই, এক্ষেত্রে মুসকান জুবেরির মত নারী চরিত্র সত্যি প্রশংসার দাবীদার। যাকে ঘিরে আবৃত হয়েছে রহস্য। রহস্য ভেদ করতে পাঠক শেষ পর্যন্ত মুখিয়ে থাকবে। ভুল বানান চোখে পড়ার মত। প্রথম অর্ধেক গল্প আস্তে আস্তে এগিয়েছে। তখন মনে হতে পারে এটা কি থ্রিলার? কিন্তু ছোটছোট টুইস্ট ছিল বলে বিরক্তি আসবেনা। শেষে পাঠকের মনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকবে। বলে রাখা ভালো সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে বইটির ২য় পার্ট বের হচ্ছে। খুব সম্ভবত এবছরেই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাস : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেনি লেখক:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ধরনঃ থৃলার ও আ্যাডভেন্ঞ্চার প্রকাশনঃবাতিঘর মুল্যঃ ৩০০টাকা গ্রামের নাম সুন্দরপুর, ঠিক গ্রাম বলা চলেনা আবার শহর ও না। মফস্বল এলাকার মতো।।। এই এলাকার হাইওয়ের পাশেই রয়েছে একটি হোটেল, হোটেল বললে অবশ্য ভুল হবে, একটা রেস্তোরাঁ বলা চলে। সেখানে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে শ শ মানুষ শুধুমাত্র খাবারের লোভে। সাধারনত এরকম হাইওয়ের পাশের খাবারের দোকান গুলোতে খাবারের স্বাদ হয়ে থাকে নিম্নমানের, তাহলে এমন তৃপ্তি করা খাবারের পেছনে কি অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে??? রেস্তোরাঁ টির মালিক হলো মুশকান জুবেরী, এই উপন্যাসের রহস্যময়ী নারী চরিত্র। তার সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু জানেনা, মুশকান জুবেরীর পরিচয় এতোটুকুই যে সে ঐ মফস্বলের জমিদারের নাত বউ। কোনকিছু না জানলেও তার সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন মতামত রয়েছে... কি সেই মতামত গুলো?? সেগুলো কি আসলেই সত্যি ছিলো?? হঠাৎ আগমন ঘটে নুরে ছফা নামক এক ব্যাক্তির। ঐ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর থেকে তাকে এলাকার আাশেপাশেই দেখা যাচ্ছে।। কে এই নুরে ছফা?? আর কি ই বা তার পরিচয়?? আর কেনই বা সে এরকম আচরন করছে?? অন্যদিকে মুশকান জুবেরী, যার কাছে প্রতিনিয়ত আাসা যাওয়া করছে সমাজের সবথেকে সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ। সবাইকে যেন এক সুতোয় গেথে রেখেছে তিনি। কিন্তু এত বেশী মুশকানের কাছে আসার কারন টা অবৈধ কোন উদ্দেশ্য নয়তো?? নাকি এর মাঝেও কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?? এই উপন্যাসে আরও ২ টি রহস্যময় চরিত্র হলো গোর খোদক ফালু এবং ইনফর্মার আতর। আতর কে সবাই বিবিসি বলেই ডাকে। কিন্তু কোথা থেকে সংগ্রহ করে আতর এই তথ্যগুলো?? কি ই বা করে তথ্য দিয়ে?? অন্যদিকে গোর খোদক ফালু কিভাবে অগ্রীম কবর খুড়ে রাখে?? সে কিভাবে বোঝে গ্রামে কারো অন্তীম যাত্রার বিষয় টা?? নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য তার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে?? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পুড়োটাই টুইস্টে পরিপূর্ণ ছিলো। আমাদের দেশের লেখক রাও এখন তাদের লেখায় কত টুকু উন্নতি আনতে পেরেছে সেটা বোঝার জন্য উপন্যাস টা কে আমি বলবো মাস্টারপিস। তাই উপরের সব উত্তর বের করার জন্য পড়ে ফেলুন এই উপন্যাস টি।
Was this review helpful to you?
or
অনেক দিন পর চরম একটা বই পরলাম
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ ৪ পর্বঃ ২ বইয়ের নামঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৭০ মূল্যঃ ২৭০ টাকা। প্রাকবচনঃ অদ্ভুত নামের বই 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' পড়া শুরু করার আগে আমি আমার এক সুহৃদ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি এই বইটি পড়েছেন কিনা? তিনি বললেন তাকে কে যেনো বলেছে এই বই পড়ার পর মাংস খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, এজন্য তিনি পড়েননি। আমি একথা শুনে কিছুটা সংশয়ে থাকলেও পড়া শুরু করি এবং রীতিমত বিমোহিত হয়েছি। ওহ্ হ্যাঁ, পড়ার পর আমার মাংস খেতে কোনরূপ অনীহা জন্মায়নি। কাহিনী সংক্ষেপেঃ ছবির মত সুন্দর মফস্বল শহর সুন্দরপুর। আশেপাশের প্রকৃতি যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মনমুগ্ধকর প্রকৃতি ছাড়া এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই যা মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে সুন্দরপুরের হাইওয়ের ধারে এক অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট আছে যেটা মানুষকে আকৃষ্ট নয় নেশার মত কাছে টানে তার আতিথেয়তা গ্রহন করতে। শান্ত শহর সুন্দরপুরে হঠাৎ এক অপরিচিত আগন্তকের আগমন ঘটে। তাকে 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' রেস্টুরেন্টে কয়েকবার খেতে দেখা গেছে। এলাকার বিবিসি খ্যাত পুলিশের ইনফর্মার আতর আলীও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আতর আলীকে সাথে নিয়ে রাতবিরাতে সেই আগন্তক এলাকার কবরস্থান থেকে শুরু করে পুরনো জমিদার বাড়ির আশেপাশে যাতায়াত শুরু করেছে। অপরিচিত আগন্তক বিভিন্ন জনের মাধ্যমে অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্যে? তিনি কে? 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি' রেস্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরি। তাকে ঘিরেও রহস্যের কমতি নেই। কোথা থেকে এসেছে কেউ এসম্পর্কে বলতে পারেনা। তার রেস্টুরেন্টে একবার কেউ খেলে এতই বিমোহিত হয় যে বারবার খেতে আসে। তার কি বিশেষ কোন রেসিপি আছে? এই রেস্টুরেন্টে খেতে এসে পাঁচজন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের কোন খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হওয়া এই মানুষ গুলোর সাথে অপরিচিত আগন্তকের কি কোন যোগসূত্র আছে? রহস্যের মায়াজাল ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সাড়া জাগানো রহস্য উপন্যাস 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি'। বইয়ের নাম দ্বারা পাঠককে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন। নামের পাশাপাশি লেখা দ্বারাও। চলুন রহস্য উপন্যাসটির ভালোমন্দ জেনে নেওয়া যাক। দেশীয় প্রেক্ষাপটে থ্রিলার লেখা একটু কঠিন হলেও লেখক বেশ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। চমৎকারভাবে গল্পের প্লট এবং চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। উপন্যাসে শক্তিশালী কিছু চরিত্র থাকা চাই, এক্ষেত্রে মুসকান জুবেরির মত নারী চরিত্র সত্যি প্রশংসার দাবীদার। যাকে ঘিরে আবৃত হয়েছে রহস্য। রহস্য ভেদ করতে পাঠক শেষ পর্যন্ত মুখিয়ে থাকবে। ভুল বানান চোখে পড়ার মত। প্রথম অর্ধেক গল্প আস্তে আস্তে এগিয়েছে। তখন মনে হতে পারে এটা কি থ্রিলার? কিন্তু ছোটছোট টুইস্ট ছিল বলে বিরক্তি আসবেনা। শেষে পাঠকের মনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকবে। বলে রাখা ভালো সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে বইটির ২য় পার্ট বের হচ্ছে। খুব সম্ভবত এবছরেই। ব্যক্তিগত রেটিং ৪/৫ রিভিউ লিখেছেনঃ বেখেয়ালি হিমু
Was this review helpful to you?
or
সুন্দরপুর গ্রামের মধ্য থেকে চলে গেছে হাইওয়ে। হাইওয়ের পাশে দুরপাল্লার যাত্রীদের জন্য গড়ে উঠেছে একটা রেস্টুরেন্ট। তবে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা একে রেস্টুরেন্ট না বলে অতিথিশালা বলেন। নামটা সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে। অতিথিশালার নাম "রবিন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি" নামটা যেমন অদ্ভুত তেমনি অতিথিশালার পরিবেশটাও রহস্যময়। এখানকার খাবার যে একবার খায় সে স্বাদ ভুলতে পারে না। বারবার ছুটে আসে। স্থানীয় লোকেরা বলে খাবার যাদু আছে। অতিথিশালার শেফ মুসকান জুবেরী। তাকে ঘিরেও চলে বিভিন্ন কথাবার্তা। কেউ কেউ বলে মহিলা ডাইনি, খাবারের মাধ্যমে মানুষকে যাদু করে। অনেকে অনেক কথা বললেও এই রহস্যময় অতিথিশালা এবং মুসকান জুবেরী সম্পর্কে ঘাটাবার চেষ্টা করে সফল হয় নি। অবশেষে সুন্দরপুরে একজন বিশেষ ব্যাক্তি এলেন। তিনিও জানতে চান এই রহস্যের মূল। এবার ধীরেধীরে চমকানোর পালা। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অসাধারন একটা গল্প। প্রচুর প্রশংসা শুনেছি বইটার। পড়ার পরে বুঝলাম প্রশংসা করার মতই বই। ক্ষনেক্ষনে টুইস্ট। সবচেয়ে যেটা ভাল লাগছে সেটা হলো লেখক খুটিনাটি ব্যাপারগুলো চমৎকার বর্ণনা করেছেন। যেমন উৎসাহ নিয়ে শুরু করা, সেই উৎসাহ নিয়েই শেষ করছি। গল্পের মূল ভিত্তিটা একটু কমন হলেও ঘটনাপ্রবাহে উৎরে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা থ্রীলার জগতে এটি একটি মাইলফলক। সচরাচর থ্রীলার সিনেমা দেখে থাকি কিন্তু এরকম ফিকশন কখনো পাইনি। অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। ভালোবাসা রইলো লেখক ভাইয়া ?
Was this review helpful to you?
or
Nice storyline, kept me hooked till the end. Would recommend it to everyone looking for a realistic thriller with a hint of supernatural stuff.
Was this review helpful to you?
or
প্রথম দিকে ঢিমে তালে শুরু হলেও কিছুক্ষন পরেই কাহিনী গতি পায়। কাহিনীর পরম্পরা বেশ গুছানো, আর শেষের দিকের প্লট টুইস্টে লেখক বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো থ্রিলার এবং সাথে কিছুটা ভৌতিক ভাব আছে। সালাম নাজিম উদ্দিন স্যারকে
Was this review helpful to you?
or
One of the best bangla thriller books I've ever read! Specially the twists, relatable to real life have made the book more enjoyable! No one can think of what will happen next and what will be the circumstances. Though many questions have arrived after finishing the books! Just waiting to read it's next part to have all the answers. We really need more novels like this!
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার হিসেবে বইটি নিঃসন্দেহে চমৎকার | এই বইটি লেখকের অন্যতম ভালো কাজগুলোর একটি | মুশকান জুবেরী এবং নূরে ছফা কে নিয়ে মূলত এই কাহিনী গড়ে উঠেছে | শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন লেখক | আমার বইটি বেশ ভালো লেগেছে | পার্সোনাল রেটিং :৮/১০
Was this review helpful to you?
or
নাম : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জনারা : থ্রিলার প্রকাশনী : বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন মূল্য : ২৪০ টাকা রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি! অদ্ভুত নামের এই রেস্টুরেন্টটি সুন্দরপুরে অবস্থিত। এখানে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে খায়। একবার যারা এখানে খাবার খায় তখন কেউ দ্বিতীয়বার না এসে থাকতে পারে না, এমন অসাধারণ খাবার এখানের খাবার! এই রেস্টুরেন্ট এর মালিকিন মুসকান জুবেরিকে নিয়েই এ উপন্যাসটি। কে এই মুসকান জুবেরি, এখানকার মানুষ তেমন জানেনা! সুন্দরপুরে তার আগমন হঠাৎ করেই এবং এখানে এসে সে তাঁকে জমিদার বাড়ির বৌ হিসেবেই পরিচয় দেয়। এর বাহিরে কেউ কিচ্ছু জানেনা। কেন কিসের জন্য এখানে সে আছে কি তার আসল পরিচয় আর কেনই বা এত বড় একটা জমিদার বাড়িতে সে একা, একজন দারোয়ান আর এক কাজের মেয়েকে নিয়ে থাকে তা কেউ ই জানেনা। তবে এখানের অনেকেই তাঁকে ডাইনি বলে ডাকে, বেশ কিছু মিথও মুসকানের নামে প্রচলিত। হঠাৎই সুন্দরপুরে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি তে একজন আগন্তুকের আগমন। তাঁর নাম নূরে ছফা। সে এখানে শুধু খেতে আসেনি, এসেছে অন্যকিছুর জন্য। এখানে এসে জানতে পারে এই রেস্টুরেন্টটির মালিকিনের কথা। খাবারের সময় একবার দেখতে পারে মুসকানকে। প্রায় ৩০ বছরের মুসকানকে দেখে বেশ মোহিত হয়েছিল নূরে ছফা ।.... এরপর একের পর এক রহস্যের জন্ম হয়। একসময় জানা যায় জানা যায় মুসকানের বয়স ষাটোর্ধ !অথচ দেখতে কখনো বয়স তিরিশের বেশি হবে না! কী এমন কারণ যার জন্য তাঁকে এমন দেখায়! কী এমন কারণ কারণ যার জন্য মুসকান সুন্দরপুরের মতো জায়গায় পড়ে আছেন? কেনইবা এমন অদ্ভুত নামের অদ্ভুতরকমের সুস্বাদু খাবারের রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন? কেন এখানে এসে এক এক করে পাঁচ পাঁচজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন? এসব আরো অনেক কেন এর উত্তর জানতে পড়তে হবে “ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি “। আশাকরি বাংলাদেশের মৌলিক থ্রিলারের জগতের জনপ্রিয় লেখক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিনের এই থ্রিলারটাও খুব ভালো লাগবে। আমার নিজেরও বইটা অনেক ভালো লাগছে। ব্যক্তিগত রেটিং : ৭/১০
Was this review helpful to you?
or
বই : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী মূল্য: ২১০ টাকা উত্তরবঙ্গের এক ছোট্ট মফস্বল শহর সুন্দরপুর। নামের মতোই সুন্দর নিস্তরঙ্গ গ্রামটিতে তরঙ্গের ঢেউ খেলে যায় যখন বাইরে থেকে এক রহস্যময়ী সুন্দরী এসে নিজেকে জমিদারের নাতবৌ দাবি করে, আর অদ্ভুত নামের এক রেস্টুরেন্ট খুলে বসে। এই রহস্য আরো জমাট বাঁধে যখন নূরে ছফা নামের এক লোক এসে সব কিছুতে নাক গলাতে শুরু করে। কে এই রহস্যময়ী নারী, কে এই নূরে ছফা? ওই রেস্টুরেন্টের নাম এমন অদ্ভুত কেন? আর ওটা কি শুধুই রেস্টুরেন্ট? সব রহস্যের উত্তর পেতে হলে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। ব্যক্তিগত মতামত: থ্রিলার বইয়ের আসল সাফল্য হলো পাঠককে শেষ অব্দি সাসপেন্স এর মধ্যে রাখা। কাহিনী বোধগম্য হয়ে গেলে যেমন আর পড়তে ভালো লাগে না, তেমনি অহেতুক বড় করলেও পড়ার আবেশ নষ্ট হয়ে যায়। সেদিক থেকে এই বইটি খুব সহজেই লেটার মার্ক পেয়ে যাবে। শুরু থেকে শেষ অব্দি এক অমোঘ আকর্ষণে পাঠককে ধরে রাখতে পেরেছেন লেখক। কাহিনী খুব বড় বাক খায়নি তবে পাঠকের কাছে কাহিনীর পরিণতি আগেই উন্মোচিত হয়নি। আর চরিত্র গুলো যথেষ্ট আকর্ষণীয়। কোন চরিত্রকেই দূর্বল মনে হয়নি। সব মিলিয়ে একটানে পড়ে ফেলার মতো বই। সার্থক থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
মফশ্বল শহর সুন্দরপুরে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই নেই শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি ছাড়া । এটি একটি রেস্টুরেন্ট যদিও এর মালিক এটিকে রেস্টুরেন্ট বলতে আপস করেন । এখানে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ খেতে আসে এবং তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে যায় । তেমনই একদিন এক আগন্তুক এসে হাজির সুন্দরপুরে । তার চাহনি খুজে বেড়ায় রহস্য । কৌতুহলী নামের রেস্টুরেন্ট এবং এর মালিক সম্পর্কে সে যা জানতে চায় তা কেউই জানে না । তখন সে দেখা পায় স্হানীয় বিবিসি নামক এক ইনফরমারের । খুলতে থাকে রোমহর্ষক ঘটনা । শেষ পর্যন্ত কি সে জঠ খুলতে পারবে রহস্যের ? নিজস্ব মতামত : থৃলার হিসেবে ভালই উপভোগ করলাম । তবে মাঝেমধ্যে বিরক্তি চেপে বসে লেখকের অতিরিক্ত লাইন যোগ করার জন্যে । অল্প কথায় যা বুঝানো যায় তা তিনি রচনার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ৫ . বইয়ের নাম: রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রচ্ছদ:সিরাজুল ইসলাম নিউটন জনরা: থ্রিলার প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ২৭১ মূল্যঃমুদ্রিত মূল্য২৪০ টাকা প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫ অনলাইন পরিবেশক :রকমারি.কম . প্রারম্ভিকা: বইটির অনেক নাম ডাক শুনে পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। ২৬৯ পৃষ্ঠার বই দুই বসাতে শেষ করেছি। বলাই বাহুল্য যে, বইটি আমাকে টেনে ধরে রেখেছে বলেই শেষ করতে পেরেছি দ্রুত। পড়া শেষে মনে হলো বইটির একটি রিভিউ লিখা উচিত। সবাই বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমি বইটির প্রশংসার পাশাপাশি যতটুকু ত্রুটি আছে, সেটাও তুলে ধরবো। . লেখক পরিচিতি: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ঢাকাতে জন্মগ্রহন করেছেন। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা নিয়ে একবছর পড়াশুনা করলেও পরে গণযোগাযোগ ও সাংবিদকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি একাধারে মৌলিক থ্রিলার লেখক ও অনুবাদক। প্রথমে অবশ্য অনুবাদ দিয়েই তার লিখালিখির ক্যারিয়ার শুরু। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় লেখকের থ্রিলার অনুবাদ করেছেন তিনি। উনার অন্যান্য মৌলিক থ্রিলার বইগুলো হচ্ছে, নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্মাস, কনফেশন, করাচি, জাল,১৯৫২, পেন্ডুলাম প্রভৃতি। তিনি থ্রিলার ছাড়াও সমকালীন উপন্যাস লিখেছেন। . নামকরণ: একটি বইকে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলবার জন্য যতটুকু আকর্ষণীয় নাম প্রয়োজন, লেখক ততটুকু আকর্ষনীয় নামই দিয়েছেন। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" নামের এক হোটেল ও তার মালিকই এই উপন্যাসের মূল আকর্ষণ। এই দুই কে ঘিরেই উপন্যাসের অন্য সব চরিত্ররা ব্যস্ত রয়েছে পুরো বইতে। সুতরাং নামকরণ স্বার্থক বলা যায়। . কাহিনী সংক্ষেপ :ঢাকা থেকে নুরে ছফা নামের এক ব্যক্তি সুন্দরপুর গ্রামে এসে ক্ষুধার্ত অবস্থায়য় রাস্তার পাশে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পায়। রেস্টুরেন্টের নাম দেখে কিছুটা অবাক হয় নুরে ছফা। রেস্টুরেন্টের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"। নুরে ছফা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, এখানের খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। রেস্টুরেন্টের কাছেই রহমান মিয়ার চায়ের দোকান। গুঁড়ের চা বিক্রি করে সে। নুরে ছফা প্রথমে ওখান থেকেই জানতে পারে যে, রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরী এক অদ্ভুত চরিত্র। তারপর এই মহিলার সম্পর্কে আরও অদ্ভুত তথ্য সে জানে সুন্দরপুর গ্রামের বিবিসি খ্যাত দালাল প্রকৃতির লোক আতর আলীর কাছ থেকে। বড়ই অদ্ভুত আর ছলনাময়ী নারী এই মুশকান জুবেরী। তার সম্পর্কে গ্রামের সবাই নানান নেতিবাচক ধারণা পোষন করলেও কেউ তার সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানে না । মুশকান জুবেরী কোথা থেকে এসেছে সেটা জানতে নুরে ছফা যায় এলাকার বয়স্ক লোক রমাকান্ত মাস্টারের কাছে। সেখান থেকেই জানতে পারে যে, মহিলা এই গ্রামের পুরাতন জমিদার অলোকনাথ বসু'র নাতবৌ। প্রথমে নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রামে ঢুকলেও, একসময় সে যে ডিবির কর্মকর্তা সেটা ফাঁস করে দিতে বাধ্য হয়। এর ফলে তার সম্মান অনেক বেড়ে যায় সুন্দরপুরের আতর আলী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত এক লোকের ভাগ্নের নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে সুন্দরপুর আসে নুরে ছফা। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নুরে ছফা মোট পাঁচ জন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মামলার সংশ্লিষ্টতা খোঁজে পায় উক্ত মামলাটির সাথে। উপন্যাসের আরেক চরিত্র গোরখোদক ফালু। গ্রামের মানুষের মতে সে কেউ মারা যাবার আগে অগ্রিম আভাস পেয়ে গোর খুঁড়ে রাখে। তারা ভাবে ফালু কামেল ব্যক্তি। কিন্তু এই ফালু যে কি ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যে গোর খুঁড়ে, সেটা অনেক পরে আতর আলী টের পায়। উপন্যাসের প্রধান এবং রহস্যময়ী চরিত্র মুশকান জুবেরির সাথে কথা বলতে গিয়ে একদিন নুরে ছফা এক ভয়ঙ্কর প্লেন ক্র্যাশের কথা জানতে পারে। যে প্লেনটি আটকে গিয়েছিলো একটি বরফের উপত্যকায়। উপন্যাসের সবচেয়ে গা ঘিনঘিন আর শিউরে উঠার গল্পটিই এই প্লেন ক্রাশের গল্প। জটিল এই মামলার তদন্ত করতে এসে বিপদে পড়ে যায় নুরে ছফা। মরতে মরতে বেঁচে উঠে সে। আসামী ধরতে না পারলেও কেসের জটলা খুলার জন্য বাহবা পায় সে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ অমায়িক স্বাদের "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসে নি" বন্ধ হয়ে যায় একদিন। নুরে ছফার তদন্তের জন্য পাল্টে যায় সুন্দরপুরের জমিদার বাড়ি আর "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"রেস্টুরেন্টের চেহারা। প্রায় মরতে মরতে আতর আলী আর নুরে ছফা বেঁচে উঠলেও বেঁচে উঠতে পারেনি আর দূর দূরান্ত পর্যন্ত মানুষের মন কেড়ে নেয়া হোটেল রবীন্দ্রনাথ। রমাকান্ত মাস্টার হয়তো রবীন্দ্রনাথে আবারও মানুষের সমাগম ঘটাতে পারবে মুশকান জুবেরির মতো। তবে মানুষ আর মুশকান জুবেরীর হাতের সেই জাদুমাখা খাবার খেতে আসবে না। যে খাবার খেতে আসবে সেটা খেয়ে মানুষের পেট ভরবে না, ভরবে মন। . ব্যক্তিগত মতামত: বইয়ের কাহিনী ভালো। পাঠক আকর্ষিত হয়ে পড়বে ঠিকই কিন্তু একটা থ্রিলার বইয়ে যে পরিমাণ টুইস্ট দিলে বইটি পরিপূর্ণ থ্রিলার হয়ে উঠে সেই পরিমাণ টুইস্ট বইয়ে ছিল না। আর বেশীরভাগ টুইস্ট আমি আগে থেকেই বুঝে ফেলেছিলাম। যে কারণে পড়ার মজা হারিয়েছি কিছুটা। ঘটনার বর্ণনা গ্রামে হওয়াতে লেখক গ্রাম্য অশুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করেছে, কিন্তু আতর আলীর মুখ দিয়ে বের হওয়া কয়েকটি অশালীন শব্দ পড়তে গিয়ে বিরক্ত হয়েছি। ঢাকা থেকে ট্রান্সফার হয়ে কোন পুলিশ গ্রামে এলেই কি অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে শুরু করবে? কিন্তু 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি' বইয়ে পুলিশ সেটাই করেছে। নুরে ছফার জমিদার বাড়িতে রাতে ঢুকার পরের ঘটনাগুলোর বর্ণনা এবং মুশকান জুবেরির বাড়িতে আগুন লাগার পর সেই বাড়ির সামনে সবার নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাগুলো পড়তে বিরক্ত লেগেছে। এই বর্ননা দুটো আরও ছোট পরিসরে হলে অধৈর্য হতাম না। ব্যক্তিগত রেটিং ৪/৫। . ভালো লাগার দুটি উক্তি: ১.দরকারের সময় অপ্রয়োজনীয় কথা ভালো লাগে না। ২.খিদের কাছে সব পরাজিত হয়। সবার আগে পরাজিত হয় স্বাদ-রুচি। তারপর যুক্তি-বুদ্ধি, সভ্যতা, মানবিকতা। . বইয়ের আকর্ষণীয় একটি অংশ: "আমরা সবাই উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়লাম। সবাই সবাইকে সন্দেহ করতে লাগলাম। যে কেউ যে কাউকে খুন করে খেয়ে ফেলতে পারে। . পাঠ প্রতিক্রিয়া: পুরো বইয়ের কোন চরিত্র আমার খুব বেশী ভালো না লাগলেও, মুশকান জুবেরি আর নুরে ছফা নাম দুটো আমার খুব ভালো লেগেছে। গল্পটা খুবই ভালো ছিল। এই গল্পটি যে কোন পাঠককে বইয়ের শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করবে। আমাকেও করেছে। একজন মহিলাকে খুবই আকর্ষণীয় আর রহস্যে ঘেরা রুপে পড়তে গিয়ে সত্যিই বিমোহিত হয়েছি। মুশকান জুবেরি'র রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদের বর্ণনা এত সুন্দর করে দিয়েছেন লেখক যে, সত্যি সত্যি এমন কোন খাবার হোটেল থাকলে আমি খেতে যেতাম অথবা আমার আত্নীয় স্বজন কেউ হোটেল ব্যবসা করতে চাইলে আমি হোটেলের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি" রাখার পরামর্শ দিতাম। বোবা, কাজের মেয়ে, কে এস খান, ওসি মনোয়ার, রমাকান্ত মাস্টার সহ উপন্যাসের সবগুলো চরিত্রের বৈশিষ্ট্যই মোটামুটি স্পষ্ট লেগেছে। বইটি পড়ে লেখকের আরও অন্যান্য বই পড়ার সাধ জেগেছে। . রিভিউ লেখক :তানজিনা তানিয়া
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি। লেখকের নামঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ঘরনারঃ থ্রিলার রিভিউঃ মফস্বল শহর সুন্দরপুর। ছবির মতই সুন্দর। প্রকৃতির শোভা ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কিছু নেই বললেই চলে, কিন্তু সবাই জানে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি! কেন আসেননি, তারচেয়েও বড় কথা কেন অনেকেই সেখানে ছুটে আসে! এক আগন্তুক এসে হাজির হল সেই সুন্দরপুরে। তার গতিবিধি অস্পষ্ট আর রহস্যময়। এভাবে গল্পের শুরু হয়। ধীরে ধীরে তার গল্পে প্রবেশ এবং পাঠকও। সে কিছু অনুসন্ধানে এসেছে। কি সেটা! সে যেটা জানতে চায় সেটা ওখানকার খুব কম লোকেই জানে। শুরু হলো অনুসন্ধান। আর যখন সেটা জানা গেল তখন বেরিয়ে এল রোমহর্ষক এক কাহিনী! পরিহাসের ব্যাপার হল সেই রোমহর্ষক কাহিনী কাউকে বলার মত সুযোগ সত্যি কঠিন! কি এমন হয়েছিলো সেখানেই। গল্পের শেষ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে তখন। পৃষ্ঠাঃ২৭১ মূল্যঃ২৭০ প্রকাশনীঃবাতিঘর প্রকাশকালঃ২০১৫ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের অসংখ্য জনপ্রিয় থ্রিলার অনুবাদ করার পর অবশেষে তার মৌলিক থ্রিলার প্রকাশিত হয়েছে অনেক গুলো। ব্যক্তিগত মতামতঃ গল্পের কাহিনীটা বেশ ভালো লেগেছে। এতে কিছুটা ভিন্নতা ছিলো। সবসময়ই এর মতো লেখকের লেখনী বেশ ভালো । গল্পের গতি খুব বেশি ছিলো না মূলত থ্রিলার প্রেমীরা যা চাই আর কি। সহজ ভাবে শুরু হয়েছে প্রথম দিকেই। স্বাভাবিক ভাবেই এগিয়ে গিয়েছে কাহিনী কেমন জানি টেনে নিয়েছেন তিনি। সব কিছু ছাড় দিলে কাহিনী বেশ ইন্টারেসটিং ছিলো। এবং শেষের দিকের পাতাগুলো পড়ার সময় কোন থামাথামি নেই। একটানে পড়ে গেছি। লেখকের বই গুলোতে প্রায় নারী চরিত্রের মাঝে তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু এই বইয়ে নারী চরিত্রটিকেই তিনি প্রধান করে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাছাড়া গোয়েন্দা হিসেবে তিনি যাকে পাঠিয়েছেন তিনিও বেশ কর্মের দেখানো হলেও বলবো ত্রুটি মুক্ত নন তিনি। আরেকটি অবাক করা চরিত্র হলো যে মানুষের জন্য কবর খোড়ে রাখে। এই লোকের রহস্য ততটা ধরতে পারলাম না। তবে সব মিলিয়ে নামটা বেশ অন্য রকম। পড়ার আকর্ষণটা এ কারনে বৃদ্ধি পায় বলা যায়। কিছু খাবারের বিবরণ দেওয়া আছে প্রথম দিকে এমন ভাবে, বই শেষ করার পর কেমন জানি অনুভূত হয়েছে। যাক সব মিলিয়ে মিশ্র একটা অনুভূতি। ধীর লয়ের থ্রিলার। https://www.rokomari.com/book/97647/রবীন্দ্রনাথ-এখানে-কখনও-খেতে-আসেন-নি?ref=srbr_pg0_p0
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন পৃষ্ঠাঃ ২৭১ মলাট মুল্যঃ ২৭০ প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী গ্রামের নাম সুন্দরপুর । ছবির মত সুন্দর না হলেও সুন্দর । ছিমছাম আর গোছাল গ্রাম । গ্রাম না বলে মফস্বল শহর বলা ভালো । ভিতর দিয়ে চলে গেছে মহাসড়ক ।এখানে দেখার মত আছে শুধ জমিদার বাড়ি আর মহাসড়ক এর পাশে অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট । যার নাম " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি "। সব ই ঠিক চলছে ঘড়ির কাটার মত । কিন্তু নিয়তি অমোঘ নিয়ম এর মত কোন কিছুই বদলানো সম্ভব নয় । আতর আলী পুলিশ এর ইনফর্মার । সে পুলিশ না শুধু সব কিছুর ই ইনফর্মার । সবাই তাকে বিবিসি নামেই চেনে । এমন কোন খবর নেই যে তার কাছে নেই । যদিও বুদ্ধি একটু মোটা কিন্তু কাজের বেলায় পটু । ঘটনা চক্রে পরে যায় এক লুকানো সত্যের । জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষন এ পৌছে যায় সে । নিখোজ হয়েছে ক্ষমতাশালী এক লোকের ভাগ্নে । তাকে খুজে বের করতেই হবে কিন্তু কোথাও কোন ক্লু নেই । কিভাবে এই লোকের সন্ধান করবে । শেষ পর্যন্ত ডিবির শরনাপন্ন হতে হয় । কেস এসে পরে চৌকশ নুরে ছফার হাতে । যদিও ভাগ্নের ক্লু খুজে পাওয়া কষ্ট হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেয়েছিল । তবে সত্য মেনে নেয়া সব সময় কঠিন । মুসকান জুবেরি মালিক এবং ওনার " রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি " । যিনি থাকেন সেই জমিদার বাড়িতে । বাড়িটি দুর্গের মত সাজিয়েছেন । তিনি এখানের সবার কাছেই রহস্যময়ী এক নারী । তার রান্না করা খাবারের প্রশংসা সবাই করে । কিন্তু কেউ জানে এসব খাবার কিভাবে তৈরি হয় । কিন্তু একবার খেলে বার বার খেএ হবে । ফিরে আসতেই হবে খাবারের টানে । কিন্তু এখানেই রহস্য কোথায় রান্না হয় । কিভাবে আসে এমন ভুবন ভোলানো স্বাদ । প্রতিটি ধাপে ধাপে রহস্য । যা এক অচেনা এডভেঞ্চার এর হাত ছানি দেবে সবাইকে । কি হবে এরপর ভাবনায় বই ছেড়ে উঠতে পারবেন না । প্রতিটি রহস্যের শেষ আছে তবে এই বইতে শেষ হয়নি । যেন এখন দ্বিতীয় বইয়ের অপেক্ষা । সেটা আসবে কিনা জানি না । তবে টুইষ্ট আছে শেষ পর্যন্ত । হারিয়ে যাবেন পুরোটা সময় । থ্রিলার পড়ার সময় এক্সপেক্ট করি যেন আমার মাথা ব্যবহার করা যায় । নিজেকেই ডিটেকটিভ মনে হয় । নিজের মাথা ব্যবহার এর সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাই । তবে কেন যেন শেষ এ এসে একটু ড্রামাটিক মনে হয়েছে । তবে সর্বোপরি সংগ্রহে রাখার মত বই । আর থ্রিলার হিসেবে অসাধারণ ।
Was this review helpful to you?
or
মফস্বল এলাকা সুন্দরপুর। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও তাদের আছে গর্ব করার মত একটা ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি।।। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে সুন্দরপুরে। প্রতিদিন সেখানে নানান সুখাদ্যের মন মাতানো সুবাস পাওয়া যায়। যার লোভে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসে এখানে খেতে। যেমন রেস্টুরেন্টের নাম তেমনি রহস্যময় এর মালিক মুশকান জুবেরি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলাকার হোমরাচোমরা ব্যক্তিদের সাথে দহরম মহরম থাকায় কেউ তাকে ঘাটায় না। কিন্তু আড়ালে সবাই নিন্দা করে। একদিন এই সুন্দরপুরে নুরে ছফা নামে এক ব্যক্তির আগমন ঘটে। এসেই প্রথমে সে দুপুরের খাবার খেতে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢোকে। সুস্বাদু আর মনোমুগ্ধকর সেই সুবাস তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় ভেতরে। খাবার অর্ডার করে চারপাশে নজর বোলায় সে। আশেপাশের সবার অবস্থা দেখে মনে হয় এমন স্বর্গীয় খাবার আগে কখনো খায়নি তারা। খাবার খেতে বসে নুরে ছফারও একই অনুভূতি হয়। হাতের আঙুলগুলো পর্যন্ত চেটে খেয়ে ফেলে সে। খাবার শেষে বেড়িয়ে যায় স্বর্গীয় এক অনুভূতি নিয়ে। বেড়িয়ে সামনেই রাস্তার উল্টোপাশের চা দোকানে এক কাপ গুড়ের চা আর এক প্যাকেট সিগারেটের বিনিময়ে রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে নানা কথা জিজ্ঞেস করে। সেখানে পুলিশের ইনফর্মার আতরের সাথে কথা হয়, পরে তার কাজ থেকে সাহায্য চায় সে। তার সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে সাহায্য করতে রাজি হয় আতর। শুরু হয় দুজনে মিলে তথ্য সংগ্রহ। একপর্যায়ে এলাকার প্রাচীন এক ব্যক্তির থেকে মুশকান জুবেরির অতিত সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু অদ্ভুত নামের সেই ব্যক্তি মানে রমাকান্ত কামারও ঠিকঠাক বলতে পারেন না। তবে জমিদার বাড়ির ইতিহাস বলেন নুরে ছফাকে। পরবর্তীতে জানা যায় নুরে ছফা আসলে সাংবাদিক না।।। কে এই নুরে ছফা? কেন সে মুশকার জুবেরি সম্পর্কে এত কিছু জানতে চায়? কি উদ্দেশ্য তার? আর মুশকানের গোপন রহস্য কি? কেন সে এমন অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্ট দিয়েছে? আর এত সুস্বাদু খাবারের রহস্যটা কি? জানতে হলে আপনাকেও যে একবেলা খেতে এখানে।।। কি??? খাবেন তো??? আমার কথা : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি।।। কি অদ্ভুত না নামটা? যেখানে এই নামটা সবাইকে আকর্ষণ করেছে। সেখানে আমাকে ঠিক ততটাই বিকর্ষণ করেছিল। শুধুমাত্র এই নামের জন্য আমি ছয় সাতমাস বইটার কাছেই যাইনি যদিও সংগ্রহ করা ছিল। একদিন হঠাৎ মনে হল, নামটা এমন অদ্ভুত কেন? নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে? তাই কারণ জানার জন্যই বইটা নিয়ে বসা।।। আমি এতদিন ধরে কি মিস করেছি তাই ভেবে ভেবে আফসোস করলাম কিছুক্ষণ বইটা শেষ করে। এটাতো থ্রিলার না, থ্রিলারের বাপ। একদম চিলার।।। শুধু থ্রিল দেই নাই একদম চিল করে দিয়েছে। কাহিনী প্রথমদিকে একটু বোরিং ছিল, মাঝে মাঝে একটু বাহুল্য লেগেছে কোথাও কোথাও। বাকি পুরোটা ঠিক ঠাক আছে। আর একদম শেষটায় অপরাধী ধরা না পড়ায় একটু মেজাজ খারাপ হয়েছে। আর মনে একটা সূক্ষ্ম আশার উদয় হয়েছে যদি একটা সিকুয়েল আসে।।। লেখক অবশ্য আশা দিয়ে রেখেছেন। "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেন নি" আসছে। তাই আমিও আসায় আছি।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
বই টা এক্কারে মাশাল্লাহ।পুরাই থ্রিল্। ??
Was this review helpful to you?
or
প্রকৃতির মায়ায় ঘেরা ছোট্ট মফস্বল শহর সুন্দরপুর। হঠাৎই এখানে হাজির হলেন এক আগন্তুক। ডিবির নামকরা অফিসার তিনি। ওনার গতিবিধি তেমন সুবিধের মনে হয় না। পরিচয় লুকিয়ে এই গ্রাম এলাকায় এসে লোকটা চাচ্ছেটা কী? আতর আলী - সুন্দরপুরের মানুষ তাকে 'বিবিচি' নামে ডাকে। এটা শুনে তার সবসময়ই গর্ব হয়। পুলিশ থেকে পতিতা - সব জায়গার খবর ই তার নখদর্পনে। তাকেও ইদানিং দেখা যাচ্ছে সেই আগন্তুকের সাথে ঘুরঘুর করতে। ব্যাপারটা রহস্যজনক নয় কী? 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' - দেখতে ছবির মতো সুন্দর মহাসড়কের পাশেই চমৎকার এই বাংলো বাড়ির মতো একতলার এই রেস্টুরেন্টটি যেন রবীন্দ্রনাথের ওপর একরকম ক্ষোভ মিটাতেই দাঁড়িয়ে আছে যেন। রবীন্দ্রনাথ না এলেও অনেকেই আসেন এখানে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধুমাত্র এই রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার জন্য। কেন? কী এমন বিশেষত্ব আছে খাবারে? আর এই অমৃততূল্য খাবারের কারিগর ই বা কে? মুশকান জুবেরি - সুন্দরপুরে জমিদার বাড়িতে উঠে বসা রহস্যময়ী এক নারী। রেস্টুরেন্টের মালিক এবং শেফও তিনি ই বটে। নিজের চারদিকে রহস্যের জাল তৈরি করে রাখতেই যেন পছন্দ কযে এই নারী। এলাকার পুলিশ, এমপি সকলেই তার কথায় এক রকম ওঠে বসে। শহরের লোক তাকে খুব একটা ঘাটায় না। কেন ই বা বিরক্ত করবে! সকলে ভাবে সে ডায়নি। সত্যিই কী তাই? আতর আলী নিজের চোখে দেখেছে ঐ মহিলাকে রক্ত পান করতে । চোখ দুটো কী টকটকে লাল তার! প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রনালয় হতে নির্দেশ আসে একটি আনসলভড কেসের কুলকিনারা করতে। যার দায়িত্ব পান ডিবির জাদরেল অফিসার নূরে ছফা। এরই কুলকিনারা করতে গিয়ে একের পর এক রহস্যের সম্মুখীন হতে হয় ছফাকে। সঙ্গী হয় এলাকার বিবিচি আতর আলী। দুজনে মিলে রহস্যের সমাধানে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। ক্রমেই প্রতিটি রহস্যের সমাধান আরো রহস্যের জন্ম দেয়। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে স্নায়বিক উত্তেজনা। একটা সময় পরে বেরিয়ে আসে এক নির্মম ঐতিহাসিক সত্য। বইয়ের প্রতিটি পাতায় নূরে ছফার সাথে পাঠক ধীরে ধীরে রহস্যের জাল খুলতে আরম্ভ করে। কিন্তু রহস্যময়ী প্রতিদ্বন্দী মুশকান জুবেরির সাথে স্নায়ুযুদ্ধে শেষমেষ সফল হতে পারবে নূরে ছফা? নাকি শেষ হাসিটা হাসবে রহস্যময়ী মুশকান জুবেরি? গল্পের ভালো মন্দ -------------------------------- প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রকাশিত বইটি এখনো পাঠকনন্দিত। আমি পড়েছি প্রায় তিন বছর আগে। আজ আবার পড়লাম। সেই প্রথম দিনের মত স্নায়বিক উত্তেজনা অনুভব করলাম বইটা পড়ে। বাংলা সাহিত্যে মৌলিক থ্রিলারের স্রষ্টা মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন তার এই বইয়ের মাধ্যমে নিজের জাত চিনিয়েছেন। বাংলা ভাষায়ও যে এত সুন্দর মৌলিক থ্রিলার লেখা সম্ভব তা বুঝিয়েছেন। গল্পে বাহুল্য ছিল না। ঠিক যতটুকু দরকার লেখক ততটুকু ই লিখেছেন। অযথা পৃষ্ঠা বাড়ানোর চেষ্টা করেননি। গল্প কিছুটি স্লো হলেও পাঠক পড়ে আনন্দ পাবেন নিঃসন্দেহে । কেননা প্লট টা বেশ ইন্টারেস্টিং। সব মিলিয়ে স্টোরি ডেভেলপ কে আমি দশে দশ দেবো। টুইস্টটাও দূর্দান্ত ছিল। মন্দ দিক বলতে হলে পৃষ্ঠার মান ভালো না। বাইন্ডিং মোটামুটি। কিছু টাইপিং মিসটেক ছিল। শেষ কথা -------------------- এডভেঞ্চার ও থ্রিলারপ্রেমীদের জন্য এটা মাস্ট রিড একটা বই। এটা ট্রিলজি। অর্থাৎ তিন পর্বের ধারাবাহিক। এই বইয়ের সেকেন্ড পার্ট গতবছর বইমেলায় এসেছে। নাম 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি' সেটার রিভিউও দেবো শীঘ্রই। পাঠকদের জন্য সুখবর । নাজিমউদ্দিন ভাই ইতিমধ্যেই এই সিরিজের তৃতীয় বইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। যা এবছরের শেষে বা পরের বছর বইমেলায় আসবে। নামও কিন্তু ঘোষণা করেছেন তিনি। এই ট্রিলজির তৃতীয় বা শেষ বইয়ের নাম কী হবে জানেন? "রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন" এক নজরে, বই : রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি লেখক : মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন প্রকাশনী : বাতিঘর প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন মলাট মূল্য : তিনশত টাকা পৃষ্ঠা : ২৭১ পার্সোনাল রেটিং : ৮.৫/১০
Was this review helpful to you?
or
ডিবি পুলিশের সদস্য নূরএ ছফা এর কাছে প্রধানমন্ত্রীর পিস তার ভাগ্নেকে ফিরিয়ে আনতে বলে। তার ভাগ্নীকে খুজতে গিয়ে সে ঢাকা থেকে যায় সুন্দুরপুর গ্রামে। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় মুস্কান জুবেরি নামের এক মহিলার সাথে। সে সেখানে একটি রেস্তোরাঁর মালিক যার নাম রবিন্দ্রনাথ এখানে খেতে আসে। পরে জানতে পারে সে আসলে একটা মানুশ রূপি ডাইনি যে মানুষ মেরে তাদের মাংস খায়। পিস এর ভাগ্নে ও তার হাতেই খুন হয়। সে কি দরতে পারে মুস্কান জুবেরিকে?
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি বইটি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর মৌলিক রচনা। যা মূলত রহস্য গল্প । গল্পটি মূলত মুশকান জুবেরি নামের এক নারীকে নিয়ে যে কিনা কোনো একভাবে বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়ার পর রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা শুরু করে। যার রান্নার অতুলনীয় স্বাদ মানুষকে দূর দূরান্ত থেকে তার রেস্তরাঁয় টেনে আনে। কিন্তু ডিবি কর্মকর্তা নূরে ছফার কাছে কিছু রহস্যময় নিখোঁজ কেস আসে । যা তাকে সুন্দরপুরের মুশকান অবধি টেনে নিয়ে যায় । আদো কি এই নিখোঁজ কেসের সাথে মুশকান জুবেরির কোনো সংযোগ ছিল নাকি মুশকান জুবেরি নির্দোষ তা জনার জন্য নূরে ছফা ছুটে বেড়ায় । আর তার ফলেই সে জানতে পারে অবিশ্বাস্য এক সত্য যা পাঠকের ও কল্পনার বাইরে । আর তাই রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে বইটি অতুলনীয় ।
Was this review helpful to you?
or
#রবীন্দ্রনাথ_এখানে_কখনও_খেতে_আসেন_নি ২০১৮ সালের একমাত্র বই (রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি) যেটা একই সাথে কলকাতা এবং বাংলাদেশে প্রকাশিত হয় এবং এই বইয়ের দ্বিতীয় অংশ (রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি) ২০১৯ সালের বইমেলায় কলকাতা এবং বাংলাদেশ- এ একই সাথে,একই দিনে প্রকাশিত হয় এবং দুই দেশেরই সেরা বিশ বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। একটাই গল্প কে ছোট ছোট অনেক গুলো অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শেষে রহস্য!!! মনে হয় যেন এক বসায় বইটা পড়ে শেষ করে দেই। আরেকটা মজার বিষয় হলো- নুরে ছফা , মুসকান জুবেরী, আতর আলী, গোর খোদক এবং বোবা দারোয়ান এসকল জটিল চরিত্রের মাঝে রহমান মিয়া নামক মজার চরিত্র লেখক মাঝে মাঝে টেনে আনছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলেও সত্য যে আমাদের দেশের থ্রিলার রাইটার খুব কম বা যারা আছে সবার বই পড়ে থ্রিলার ফিলিংসটা আসে না, কিন্তু এই বইটার লেখক স্যার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন অতিদক্ষতার সাথে এবং সুনিপুণভাবে গল্পটাকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করছে। মাঝে মাঝে পড়তে গিয়ে মাথা কিছুটা জগাখিচুড়ী টাইপ হয়ে যাবে যে, কি হচ্ছে এসব?? শেষ দিকটা তো অবশ্যই একটা বড় রহস্য। এরপর কি ??? এরপর কি - জানতে এই বইয়ের দ্বিতীয় অংশ (রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি) এর মধ্যেই অর্ডার করে ফেলছি। আশাকরি শনিবার হাতে পাব। তবে দুঃখজনক ব্যাপার কি, আমাদের দেশের রাইটার কিন্তু আমাদের দেশের বইমেলায় সেরা বিশ এর তালিকায় তার বইটার সিরিয়াল ছিল ১৪ কিন্তু কলকাতায় এই নাম্বারটা ছিলো প্রায় অর্ধেক (৯)। হয়তো কলকাতা বইমেলায় বান্ধobi বা মস্তিষ্কের ক্যান্সার নামক বইগুলো নেই, এজন্য সত্তিকারের মানসম্পন্ন বই গুলো উপরের দিকে থাকে। আর যাদের বাংলাদেশের থ্রিলার বই গুলো নিয়ে একটু এলার্জি আছে তাদের কাছে অনুরোধ একটু সময় করে বই দুটো পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ কে নিমন্ত্রিত করা হয়েছিল... তিনি আসেন নি!! অনেক বছর পর তার আত্মা কে নিমন্ত্রিত করা হয়েছিল তাও তিনি আসেননি।। রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও এখানে আরো একজনের কাহীনি আছে- অন্যভাবে বেচে থাকার কাহিনী,, টিকে থাকার কাহিনী।।।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনিঃ ঢাকার কাছেই হাইওয়ের পাশে ছোট্ট একটি মফস্বল শহর সুন্দরপুর, যদিও নামেই শহর,এখনও সব ই গ্রাম এর মতন এইখানে।সেই হাইওয়ের পাশে ছোট্ট একটি রেষ্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি"। কেন এই নামকরন? রেষ্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি, রহস্যময় এক নারী। এই রেষ্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হলো এর খাবার এতটায় সুস্বাদু যে একটা নেশার মত কাজ করে এখানকার খাবার,একবার কেউ এখানে খেলে সে বার বার ফিরে আসে খেতে।কিন্তু কি আছে এই খাবার এ?রেষ্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি এক রহস্য, কে সে, কি আছে তাঁর খাবারে??? গ্রামের লোক শুধু জানে যে মুশকান জুবেরি এখানকার জমিদারের নাতবউ।এখানে জোড়পুকুর জমিদার বাড়ি সংস্কার করে সে থাকে। এলাকার মান্যগণ্য ব্যাক্তি, লোকাল থানার ওসি, এসপি ও এমপির সাথে মুশকানের ভাল সম্পর্কের দরুন বলে কেউ আর তাকে নাড়ে না, বা চাই না নাড়াতে, ঘাটাতেও যায়না।নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি কে খুঁজতে, ডিবি পুলিশের নামকরা অফিসার নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে সুন্দরপুর আসেন তদন্ত করতে। নিখোঁজ ব্যাক্তি টি যে ট্যাক্সি করে সে এইখানে আসে তার কাছে খবর নিয়ে জানা যায় সে “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি রেস্টুরেন্ট” এ গিয়েছিল। তদন্তে যুক্ত হওয়ার পর আরও কিছু নিখোঁজ যুবকের কথা জানতে পারে যাদের শেষ গন্তব্য ছিল সুন্দরপুরের এই রেষ্টুরেন্ট।ঘটনাক্রমে লোকাল থানার ইনফর্মার আতর আলী(বিবিসি, আতর এর কাছে সুন্দরপুরের সব খবর থাক্ বলে লোকেরা ওকে বিবিসি বলে ডাকে) কে নিয়ে কাজে নেমে পরে নুরে ছফা।, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকদের সাথে কি মুশকান জুবেরির কি সম্পর্ক? সিক্রেট রেসিপিই ব কি মুশকান জুবেরির? কি মেশায় সে? কিসের নেশায় সবাই মেতে ওঠে ? নুরে ছফা জীবনের ঝুকি নিয়ে,কাঠ-খড় পুড়িয়ে তদন্ত নেমে এমন সব ভয়ঙ্কর-রোমহর্ষক-চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় যে সবার গা শিউরে উঠবে। ডিবির প্রাক্তন এক অফিসার কে.এস খান, মুশকান এর আগের জীবনের সাথে যুক্ত কিছু মানুষ এর সাহায্যে সকল রহস্য উদ্ধার হয়,পুরা রহস্যে নুরে ছফার, আতর আলী ছাড়াও কিছু মানুষ, গোরখদক ফালু, মাস্টার রমাকান্তকামার এদের বেশ সক্রিয় ভুমিকা আছে, গল্পের শেষে এমনকিছু সত্য বেরিয়ে আসে যে পাঠক শিউরে উঠবেন এ, আমি ও শেষ পর্যন্ত বেশ ভয়ই পেয়েছিলাম।সব ই সুন্দর কিন্তু শেষ অংশে অপরাধীর উপজুক্ত শাস্তি হলে ভাল হত বলে মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি। লেখক- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। ধরন- ক্রাইম ও সাসপেন্স থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ২৭১। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- মুশকান জুবেরী, নুরে ছফা, কেএস খান, আতর আলী, রহমান মিয়া, ফালু। চমৎকার মফস্বল শহর সুন্দরপুর। এই চমৎকার মফস্বলেই তৈরী হয়েছে অত্যন্ত দারুন এক রেষ্টুরেন্ট যার নাম ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। অদ্ভুত এই নাম প্রথমত গ্রাহককে ভেতরে টেনে আনে। এরপর গ্রাহক বারবার ফিরে আসে এই রেষ্টুরেন্টে খাবারের অর্পূব স্বাদের জন্য। রেষ্টুরেন্টের মালিক মুসকান জুবেরী এক রহস্যময় মহিলা। প্রভাবশালীদের সাথে রয়েছে তার বেশ সখ্যতা। কিন্তু এলাকার সাধারন মানুষ তাকে পছন্দ করেনা। আড়ালে সবাই তাকে ডাইনি বলে ডাকে। তবে এতে তার রেষ্টুরেন্টে কখনো বিরুপ প্রভাব পড়েনি। একদিন এই রেষ্টুরেন্টে আগমন ঘটে এক রহস্যময় ব্যাক্তির। ব্যাক্তিটির আচরন ও গতিবিধি অস্পষ্ট। রেষ্টুরেন্ট ও তার মালিকের সর্ম্পকে তার প্রচুর আগ্রহ। এই আগ্রহের বশে সে ঢু মারে মুসকান জুবেরীর জমিদার বাড়িতে। কিছু একটা জানতে চায় সে? কি সেই রহস্য? স্থানীয় কবরখোদক ফালু আগেই জেনে যায় এলাকার কেউ একজন যে মারা যাবে। এ কারনে সে আগেই কবর খুদে রাখে। কিভাবে সে মৃতের ব্যাপার জেনে যায়? কি সেই তার অলৌকিক ক্ষমতা? এদিকে ঢাকা থেকে কয়েকজন লোক হুট করেই নিখোজ হয়ে গেছে। খোজ নিয়ে জানা গেলো তাদের শেষ গন্তব্য ছিলো এই রেষ্টুরেন্ট। কিন্তু এরপর তারা কোথায় গেলো তা কেউ বলতে পারেনা। রহস্যময় আগন্তুক স্থানীয় এক লোক আতর আলীর সাহায্যে খোজ চালিয়ে বেশ অদ্ভুত কিছু তথ্য জানতে পারলো মুসকান জুবেরী সর্ম্পকে। এদিকে রহস্যময় নিখোজ কেসের দায়িত্ব পেয়েছে ডিবির এক ত্যাদড় অফিসার। তার তদন্তে বের হলো মুসকান জুবেরীর ভয়ঙ্কর এক অতীত যার সাথে জুড়ে আছে হাজার হাজার মাইল দুরের আন্দিজ পর্বতমালায় ঘটে যাওয়া এক ভয়ঙ্কর র্দুঘটনা। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মূলত অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করলেও এটি দিয়ে তার মৌলিক গ্রন্থে সবলভাবে পদচারণ ঘটে। এবং বলাবাহুল্য অসাধারন একটি মৌলিক গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। চমৎকারভাবে রহস্যের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সাহিত্য জগতে আগমন ঘটে অনুবাদ গ্রন্থের মাধ্যমে। দা দ্য ভিঞ্চি কোড, এন্জেলস এন্ড ডেমনস, দ্য লষ্ট সিম্বল, ইনর্ফানো, দা ডে অব দি জেকেল, নো ইজি ডের মতো বিখ্যাত সব বই তিনি অনুবাদ করেছেন। পাশাপাশি এই বইটির মতো আরো কিছু মৌলিক বই যেমন নেক্সাস, ১৯৫২ নিছক কোনো সংখ্যা নয়, জাল, করাচী ইত্যাদির মতো আকর্ষনীয় কিছু মৌলিক থ্রিলার লিখেছেন। সম্প্রতি তার আরেকটি মৌলিক থ্রিলার পেন্ডুলাম সফলভাবে পাঠকদের মন জয় করেছে। এছাড়া তিনি বিখ্যাত প্রকাশনী বাতিঘরেরও কর্ণধার। এই বই তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই। আশা করি যারা পড়েননি পড়ে নিবেন দ্রুত। রেটিং- ৪.৮০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
সবুরে মেওয়া ফলে...। কথাটির সত্যতা এই বই পড়ার পর বুঝছি...। প্রথম দিকে খাপছাড়া কাহীনির জন্য বেশ বিরক্ত লাগলেও শেষমেশ দম আটকানো ক্লাইম্যাক্স আর চমক লাগানো টুইস্ট পুরো পয়সা উসুল অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে...। নাজিম ভাই আবারো একটি তাক লাগানো গল্প উপহার দিলেন...। ধন্যবাদ তাকে...। এই কাহীনিটারই একটি সিক্যুয়েল আশা করছি...।
Was this review helpful to you?
or
ছবির মতোই সুন্দর একটি গ্রাম সুন্দরপুর। গ্রাম বললে ভুল হবে মূলতঃ এটি একটি মফশ্বল শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে থাকলে বলে শেষ করা যাবে না। কারণ মফশ্বল শহরটি আসলেই ভয়ানক রকমের সুন্দর। প্রতিদিন এখানে অনেক লোকের আগমন ঘটে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকেও আসে। কেন? এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে? নাহ্। তারা আসে মূলতঃ "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি"- এই রেস্টুরেন্টের জন্য। হ্যাঁ, এটা একটা রেস্টুরেন্টেরর নাম। নামটা যেমন অদ্ভূত তেমনি অদ্ভূত এই রেস্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি। তিনিই এই গল্পের মূল চরিত্র। সুন্দরপুর শহরে এই মুশকান জুবেরি ডাইনি নামে পরিচিত। কেউ তার সম্পর্কে কিচ্ছু জানে না। কারো সাথে তিনি মেশেন না। এক দূর্গের মতো বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতে আছে আরেকজন কাজের মেয়ে সাফিনা আর দারোয়ান ইউসুফ। ইউসুফ ছেলেটি বোবা এবং কালা। এই সুন্দরপুরে একদিন এক আগন্তুক এসে হাজির হন। তার কাজকর্ম খুব রহস্যজনক। কাউকে তার পরিচয়টুকুও দেন নি। সে এমন কিছু জানতে চায় যা সুন্দরপুরের বাসিন্দারাও জানে না। সেই আগন্তুক ধীরে ধীরে সমস্ত ঘটনার উন্মোচন করে দিলো সবার সামনে। বেড়িয়ে এলো এক রোমহর্ষক কাহিনী....!!!!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশকাল: অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৫ প্রচ্ছদঃ ডিলান মূল্য: ২৫০ টাকা এখানে লেখক প্রথমেই একটা চালাকি করেছেন। বইয়ের নামটাই এরকম দিয়েছেন, যাতে লোকজন অন্তত একবার হলেও বইটা হাতে ধরে নেড়েচেড়ে দেখবে। বইয়ের ওপরের প্রচ্ছদ আরেকধাপ এগিয়ে। প্রচ্ছদ দেখলে আকৃষ্ট হবেন আরো কয়েকজন। বইয়ের শিরোনাম, বইয়ের প্রচ্ছদ দর্শককে আকৃষ্ট করার জন্যে যথেষ্ট ছিলো। দশে দশ, ফুলমার্কস। কাহিনীর প্রেক্ষাপট সুন্দরপুর নামের এক অজ্ঞাতকুলশীল গ্রাম। এখানের এক খাবার রেস্টুরেন্টের নাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।" প্রশ্ন জাগতেই পারে, রবীন্দ্রনাথ কেন আসেননি? কবিগুরুর কী এই হোটেলে সত্যিই আসার কথা ছিলো? উত্তর মেলেনা প্রশ্নগুলোর। তাছাড়া, হোটেলটা কী নিছকই একটা নির্বিষ খাবারের হোটেল? নাকি এর চারপাশে বিস্তার করছে রহস্যের ডালপালা? উত্তর আবারো মেলেনা। এখানের খাবারের স্বাদ এরকম অদ্ভুত রকমের সুস্বাদু কেন? কাহিনীর শুরুই হয় দর্শককে একরকম ধন্ধে ফেলে। থ্রিলারের শুরুতেই দর্শককে ধাঁধাঁয় ফেলার বিষয়টিতে লেখক সফল। এবার আসি, বইয়ের অন্যতম মুখ্য চরিত্র মুশকান জুবেরির বিষয়ে। লেখক খুব যত্ন করেই এই চরিত্রটিকে তৈরী করেছেন। স্ট্রং পার্সোনালিটি, কিছুটা রহস্যময় এ চরিত্রটিই "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" হোটেলের সর্বেসর্বা। কিন্তু, সুন্দরপুরের লোকজন তাকে একটু সন্দেহের চোখে দেখে? কেন? তিনি নিজেও গ্রামবাসীর সাথে খুব একটা মেশেন না, নিজেকে রহস্যাবৃত করে রাখেন? কেন? এরকম অজস্র "কেন"র খোঁজে সুন্দরপুর আসতে বাধ্য হন ডিবি পুলিশের ডাকসাইটে অফিসার, নুরে ছফা। এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের বিল্ডআপ আমার কাছে এতটা ভালো লাগেনি। ডিটেইলস এর অভাব ছিলো প্রকট। যাক গে, নুরে ছফা সুন্দরপুরে এসেই আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়লেন ভয়ংকর কিছু ঘটনার সাথে। একসময়ে জানতে পারলেন, হোটেলটি নিয়ে অবিশ্বাস্য, ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য। কিন্তু, ততক্ষণে বড্ড দেরী হয়ে গেছে। কাহিনীতে এসে গেছে টুইস্ট। কী সেই টুইস্ট? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। আমার কাছে দারুণ লেগেছিলো বইটি। আমি থ্রিলার সাহিত্যের ভক্ত। আর লেখক মুহম্মদ নাজিম উদ্দীন এ বিষয়ে যে বেশ সিদ্ধহস্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। লেখকের কেউ কেউ কথা রাখে, জাল, নেক্সাস, কনফেশন... বইগুলোই তার প্রমাণ। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত কাহিনী কোথাও ঝুলে যেতে দেননি লেখক। আর, কাহিনীর মাঝেমধ্যেই টুইস্ট, সাসপেন্স দিয়ে পাঠকের প্রত্যাশার পারদ চড়িয়ে রেখেছেন শেষতক। এখানেই হয়তো লেখকের সাফল্য, দর্শকের তৃপ্তি। তবে, শেষটা পড়ে যেটা মনে হলো, এ বইয়ের একটা সিক্যুয়াল আসতেই পারে। বইয়ের অনেকগুলো প্লটহোলই এখনো আমার কাছে ক্লিয়ার না। সবমিলিয়ে, দারুণ উপভোগ্য বই "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।" সময় কাটাবার জন্যে আদর্শ বই। একটা পরামর্শ, লাস্টের ৪০ পৃষ্ঠা রাতে পড়বেন। রাত ১২টার পরে, মজা পাবেন, গ্যারান্টেড ;) বইয়ের রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/97647/রবীন্দ্রনাথ-এখানে-কখনও-খেতে-আসেন-নি-
Was this review helpful to you?
or
ছবির মতোই সুন্দর মফস্বল শহর সুন্দরপুর। সেখানেই একটি রেস্টুরেন্টের নাম 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি'। কেন আসেননি রবীন্দ্রনাথ? কি সম্পর্ক এই রেস্টুরেন্টের সাথে রবীন্দ্রনাথের? তারচেয়েও বড় প্রশ্ন কিসে বিমোহিত হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এখানে ছুটে আসে? এই হোটেলের মালকিন 'মুশকান জুবেরি' কে ঘিরেই বোনা হয়েছে হোটেলের অন্তরালের সমস্ত রহস্য। হঠাৎ-ই সেই সুন্দরপুরে এক আগন্তুকের প্রবেশ। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ও উদ্দেশ্য অস্পষ্ট। অবশেষে সেই আগন্তুক রোমহর্ষক এক সত্য জানতে পারলো। কিন্তু সে কথা বলে যাবার সুয়োগ কি সে পাবে? কিছু কিছু বই থাকে, যেগুলোর বর্ণনা পড়লে মনে হয়; আপনি হয়তো কোন বই পড়ছেন না। মনে হবে, আপনি কোন সিনেমা বা সিরিজ চোখের সামনে দেখছেন। ' রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি ' মূলত সেরকমই একটি বই। ২০২১ সালের ১৩ই আগস্ট যদিও এই বই অবলম্বনে ওয়েব সিরিজ ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে; আমি সিরিজটি দেখি নি! তবে এই বইটি যদি আপনি পড়ে থাকেন; আমি হলপ করে বলতে পারি এটার স্টোরি টেলিং-এর স্বার্থকতার জন্য আপনার মনে হবে আপনি কোন থ্রিলার সিনেমায় ডুবে আছেন। চরিত্র সাজানো, গল্প বলার ধরণ, ধীরে ধীরে রহস্যের দিকে এগিয়ে নেওয়া, খুবই শান্ত ও ধীর পদক্ষেপ সর্বক্ষেত্রেই লেখকের শক্তিশালী চিন্তাশক্তি এবং লিখনী ফুটে উঠেছে। কাহিনী বর্ণনায় লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। অতিপ্রাকৃত ঘটনাসমূহকে বাস্তবিক, বিশ্বাসযোগ্য এবং ব্যখ্যামূলকভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি প্রশংসার দাবিদার। প্রতি পদক্ষেপে তৈরি করেছেন সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম সাসপেন্স। যেটা মায়াজালের মতো বারবার রহস্যের আরও গভীরে ঢুকতে আপনাকে বাধ্য করবেই করবে। থ্রিলার কোন বইয়ের রিভিউ লিখা আমার জন্য খুব বিপজ্জনক। স্পয়লারের ভয়ে আমি কাহিনী এবং অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনা থেকে নিজেকে বিরত রাখছি। তবে এই বইয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যপার ছিল প্রতিটি পদক্ষেপে রহস্যের সৃষ্টি। লেখক তার লিখনীতে রহস্যের গোলকধাঁধা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে তৈরি করেছেন এবং খুব ধীরে ধীরে ড্রাগের মতো পাঠককে নিয়ে গিয়েছেন রহস্যের অন্তরালে। সুনিপুণভাবে এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে একটু একটু করে উন্মোচিত রহস্যের জাল বরাবরই শরীরকে শিহরিত করেছে এবং তারই মধ্য দিয়ে 'মুসকান জুবেরি' চরিত্রটি প্রোটাগনিস্ট রূপে উঠে এসেছে। মুসকান জুবেরি প্রোটাগনিস্ট রূপে উঠে এলেও লেখক কিন্তু শুধু একটি চরিত্রকে সর্বোচ্চ ফোকাসে রাখেননি। সকল চরিত্রকে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন এবং তৈরি করেছেন রহস্যের ঘাঁটি। চরিত্রগুলো খুব ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে এবং সকলেই কোন না কোনভাবে রহস্যকে শেষ অবধি আঁকড়ে রাখতে সম্ভব হয়েছে। এই বইয়ে রবীন্দ্রনাথের সময়কাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী অতি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থা এবং ক্ষমতার নিচের ধাপের লোকের প্রতি ক্ষমতাবানদের দৃষ্টিভঙ্গি পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওঠে এসেছে। বইটিতে লেখকের ভাষার ব্যবহার ছিল অতি চমৎকার। চরিত্রভেদে ভাষাকে তিনি পরিবর্তন করেছেন বিভিন্নরূপে। যেখানে আঞ্চলিকতা প্রয়োজন সেখানে সেটি এনেছেন সিদ্ধহস্তে। কোথাও কোথাও ইংরেজীর ব্যবহারও আছে। প্রমিত ভাষার ব্যবহারও হয়েছে দারুণভাবে। কাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু অশ্রাব্য গালিগালাজও উঠে এসেছে। তবে আমি বলব সেটা নিতান্তই কাহিনীর প্রয়োজনে। এ বইটিকে রেটিং করলে আমি ৯/১০ দেব। ১ না দেবার কারণও আমি বলছি। এই বইটি যেভাবে সাসপেন্স নিয়ে আগাচ্ছিল, সেই তূলনায় একদম শেষের দিকটা একটু কম আশানুরূপ হয়েছে। একজন ডিবির জাঁদরেল অফিসারের এতো বেশি অসতর্কতা ( আমি আবারও বলছি 'এতো বেশি অসতর্কতা') আসলে তার বুদ্ধিমান চরিত্রের সাথে যায় না। আর এরজন্যই যারা হার্ট এন্ড কোর থ্রিলার পাঠক তারা কিছু কিছু বিষয় আগে থেকেই বুঝে যাবে বা উপলব্বধি করে নেবে। তবে এই বইয়ের শেষের দিকে গুগল ম্যাপ, সিসি ক্যামেরা, অপ্রাকৃত ঘটনা সবকিছু মিলে মনে হবে এটা যেনো একটা ডকুমেন্টারি ইমেজ। 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি'- এই নামের রহস্য কি? রবীন্দ্রনাথের সাথে কি আসলেই মুশকান জুবেরির কোন সম্পর্ক আছে নাকি এটা নিন্তান্তই মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি? রহস্যময় হাসির উৎস কি? আন্দিজ দূর্গমের সাথে রবীন্দ্রনাথের কি সম্পর্ক? যৌবন-সৌন্দর্য-বয়স-স্বাদ-গন্ধ-নেশা এ সবকিছু কিভাবে ঘিরে রেখেছে রবীন্দ্রনাথকে? জানতে চাইলে পড়তে পারুন এই বইটি। বইটির সাসপেন্স আপনাকে একটানা বইটির সামনে বসিয়ে রখতে বাধ্য। পুনশ্চ, একটা কথা বলে যাই। 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি'- বইয়ের এই নামটি নিজেই একটা মিস্ট্রি বা রহস্য সৃষ্টি করে বলে আমার ধারণা। কেননা, এই বইটির পড়ার/কেনার/বই সম্পর্কে জানার আগেই যদি কেউ নামটি দেখে/শুনে; নামটি অটোমেটিক তাকে অল্প হলেও আকৃষ্ট করে বসে! পুনশ্চ, এই বইটির আরেকটি সিকুয়েল আছে। সেটির নাম-' রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি'। এই সিকুয়েলটি আমার পড়া হয়নি এখনও। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে নিছক গল্প বা উপন্যাস মনে হয়েছে। এটাকে থ্রিলার বলা মারত্নক ভুল হবে, মূলত থ্রিলার গুলাতো পাঠক চিন্তা করার অনেক কিছু খুঁজে পায়, মাথা ঘুরতে থাকে, শেষে রোমহষর্ক কিছু আবিষ্কার করে। আফসোসের বিষয় নাজিমুদ্দিন স্যার সব কিছুর ব্যাখ্যা সাথে সাথে করে দিয়েছেন। আমি শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি, যার ব্যাখা দরকার তা অগোচরেই রয়ে গেছে। বই টা একবারেই সময় নষ্ট না, তবে মন তৃপ্ত নয়।।।।। রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় উপ্যাখান ও কিনে নিছে। জানিনা সেটিও সময় নষ্টের মত কিছু হবে নাকি! মূলত, বই এর নাম টি দেখেই বই দুটি কেনা, আসলে এটি মাকাল ফল ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনোও খেতে আসেন নি। লেখক-মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ধরন-থ্রিলার পৃষ্ঠা-২৭১ মূল্য-২৭০ প্রকাশনী-বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি; এটা বইয়ের নাম হলেও গল্পে এটা একটা রেস্টুরেন্টের নাম। এটা অবস্থিত সুন্দরপুর নামক মফস্বল শহরের রাস্তার পাশেই। শহর বললেও আদতে একে ছবির মতো সুন্দর গ্রাম বলাটাই বোধহয় ভালো । রবীন্দ্রনাথ যে এখানে কখনোই খেতে আসেন নি, আর আসবেন না এটা সবাই জানে। কিন্তু এখানে এই জায়গাটার আছে প্রবল একটা আকর্ষণ। অনেকটা মোহগ্রস্ত করে দেয়। যাই হোক, এখানে এসেছেন একজন সাংবাদিক । তিনি এ জায়গায় পা ফেলার সাথে সাথেই টের পান, এখান কার বাতাসের গন্ধটাও কেমন রহস্যময়। কেমন জানি টেনে রাখে। তিনি আরো অবাক হন রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে, এখানকার ওয়েটার থেকে সবকিছুই আরো বেশি রহস্যময়, কেমন জানি! এরপর আবারো বিব্রত হন, খাবারে লিস্ট দেখে! এসব কি খাবার! এত কিছুর পরও কিছু অর্ডার দেওয়া হলো। কিন্তু এবার তাকে, আরো একবার বেশ করে চমকে যেতে হলো । কেননা খাবারের মান বেশ উচ্চ। এমনকি এতোটাই সুস্বাদু যে আঙুল চেটেও আশ মেটানো দায়! এটাই কি মূল রহস্য! এটাই কি এখানকার আকর্ষণ! এর জন্যই কি ছুটে আসা! এবার তো তিনি, আরো বেশি মোহগ্রস্ত। জানা দরকার এই রেস্টুরেন্টের মালিক কে! কি তার পরিচয়? কি তার এই রেসিপি! কিসের গুনে এতো টেস্ট! কেন মানুষ একবার এখানে পা রাখলে, বার বার ফিরে আসতে চায়! আসলে সুন্দরপুর শহর যতোটা না সুন্দর, তার থেকে বেশি রহস্যময়। হয়তো এ রহস্য উদ্ধারেই এসেছেন তিনি। নয়তো নয়। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার ভাগ্নে। যে ট্যাক্সি করে সে যায়, তার কাছে খোজ পাওয়া গেছে, শেষ সময়ে সে এই "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি "রেস্টুরেন্ট এ এসেছিল। এরপরের খবরে জানা গেছে, সে একমাত্র লোক নয়। আরো কয়েক জন এরকম লোক নিখোঁজ হয়েছে, যাদের শেষ গন্তব্য ছিলো, এই রহস্যময় রেস্টুরেন্ট। আর এখান থেকেই তারা হাওয়া। সাংবাদিকের বেশ আগ্রহ এই রেস্টুরেন্ট আর তার মালিক সম্পর্কে। তিনি খোঁজ নিতে শুরু করেন বিভিন্ন উপায়ে। খোঁজ নিতে গিয়ে সে জানতে পারে অনেক কিছুই। এ ব্যপারে সাহায্যের জন্য সে হাত করে লোকাল থানার ইনফর্মার আতর আলীকে। তাকে লোকে বিছিবি ডাকে। সে ই মূলত সাহায্য করে সাংবাদিক কে অনেক কিছু জানতে। কিন্তু কথা হলো এই লোকের এত জানার দরকার কি? ইনিই বা কে? কেনই বা এখানে পা ফেলেছেন? এর উত্তর কিছু দূর গেলেই হয়ত পাঠক পেয়ে যাবেন। যেমন রহস্যময় নাম রেস্টুরেন্টের তেমনি রহস্যময় খবর জানাতে থাকেন আমাদের লেখক। এমনকি এক সময় সুন্দরপুর টপকিয়ে, এ দেশ টপকিয়ে, কাহিনীর খাতিরে তিনি নিয়ে যান। হাজার হাজার মাইল দূরে আন্দিজ পর্বতমালায়! কেমনে কি! এত কিছুর পর বের হয়ে আসে এমন কিছু, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। গ্রামে একজন গোর খোদক আছে, কেউ মারা গেলেই সে কিভাবে জানি টের পেয়ে যায়। আর নিজ থেকে কবর খুঁড়ে রাখে! কাহিনীর কথা কি বলব! গল্পের নাম আর বইয়ের প্রচ্ছদ কেমন জানি ঘোর সৃষ্টি করে দিয়েছে আগেই। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, রহস্যটা ঠিক কোন জায়গায়। পুরো গল্পের শুরুতে আমার শুধুই গুলিয়ে যাচ্ছিলো, একটা সময় অধৈর্য হয়ে যাচ্ছিলাম। ব্যপারটা এমন, লেখক প্রথম পাতাতেই কাহিনীর বর্ণনাটা এমন ভাবে করেছেন, সেখানেই কিছু একটা উদ্ধার করে ফেলবো এমন ভাব। কিন্তু তখনি যখন কিছু ঘটলো না, এমনকি কিছু দূর গিয়েও যখন কিছু হলো না তখন আমাকে ধৈর্য ঠিকি ধরতে হয়েছিলো। এবং সেটা বেশ খানিকটা সময়। আর যখন প্রথম রহস্যময় চরিত্রের হদীস পেলাম এরপর আর মোটেও একগেয়ে লাগেনি। তারপর থেকে শুধুই ছিলো মূল রহস্য জানার পালা। এমনকি খুব দ্রুতই আমি পাতা উল্টে যাচ্ছিলাম, কাজটা কতটা ঠিক ছিলো জানি না। সত্যিই আমি অনেক বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম, কি হচ্ছে এসব? এর শেষ কোথায়, এটা জানার জন্য। কিন্তু কাহিনীর শেষটা এমন হবে বা রহস্যটা ঠিক এখানে দাড়াবে, তা আমি ঘুনাক্ষুরেও চিন্তা করি নি। এতটাই চমকে গেছি। আমি এটাকে ভয় বলবো নাকি হতভম্ব বলব, মাথায় কাজ করছিলোনা। সত্যিই একেবারে শিউরে উঠেছিলাম। গল্পের প্লট অসম্ভব সুন্দর। লেখক চরিত্র গুলো সাজিয়েছেন ঠিক ততটাই সুন্দর করে। রেস্টুরেন্ট মালিক, সাংবাদিক, আতর আলী ছাড়াও গ্রামের কিছু চরিত্র একেবারে অসাধারণ করে চিত্রায়িত করেছেন।সত্যি বলতে রেস্টুরেন্টের বর্ণনা, গ্রামের বর্ণনা, এমনকি কাহিনীর বর্ণনাও সত্যিই আমি যেন দেখছিলাম। কাহিনীতে টুইস্ট, সাসপেন্স যাই বলি না কেন সবই ছিলো শুরু থেকে শেষপর্যন্ত। লেখক কাহিনী বেশ রগড়ে নিয়েছেন এতে করে চিত্র গুলো আরো বেশি করে ধরা পড়েছে। রেটিং৪.৫/৫ রকমারি লিংক - https://www.rokomari.com/book/97647/রবীন্দ্রনাথ-এখানে-কখনও-খেতে-আসেন-নি
Was this review helpful to you?
or
A very good thriller which keeps the reader on their toes till the very end.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন থ্রিলার , নাজিমুদ্দিন স্যার কে আমার সালাম
Was this review helpful to you?
or
- ঘটনার সূত্রপাত সুন্দরপুর গ্রামের প্রধান সড়কের পাশে গড়ে উঠা অদ্ভুত নাম বিশিষ্ট একটি রেস্টুরেন্ট নিয়ে, যার নাম " রবিন্দ্রনাথা এখানে কখনও খেতে আসেন নি " , এই রেস্টুরেন্টে একদিন খেতে আসেন ঢাকা থেকে আগত ভদ্রলোক " নুরে ছপা " , এই রেস্টুরেন্টের খাবার সার্ভ করা থেকে ওয়েটার সকলেই অদ্ভুত রকমের, কিন্তু খাবার এত উচু মানের যেটি নুরে ছপা নামক মানুষটিকে আঙ্গুল চেটে খেতে বাধ্য করেছিলো, যদিও তিনি এভাবে খান না, তার ভাষায় মানুষ সম্মোহিত হয়ে যায় এই খাবারে, তাহলে কি আছে এই খাবারের পেছনের গোপন রহস্য?? - রেস্টুরেন্টের অপর পাশে রহমান মিয়ার গুড়ের চায়ের দোকান, ছপা সেই দোকানে যায় সিগারেট খেতে, তার কাছ থেকেই জানতে পারে এই রেস্টুরেন্টের মালিক যাকে গ্রামের সকলে ডাইনি বলে, যার সাথে থানার সব উচ্চ পর্যায়ের লোক এবং এই এলাকার এম পি এর উঠা বসা, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেও এই মহিলার আসল পরিচয় কেন কি জন্য কোথা থেকে এসেছেন কেও জানেনা। - সেই দোকানেই ছপার সাথে পরিচয় পুলিশের ইনফরমার আতর আলির সাথে, যাকে সকলে বিবিছি ( বিবিসি ) বলে ডাকে, কারন এই গ্রামের সকল খবর তার নখদর্পণে, এক পর্যায়ে ছপার সাথে কাজ করতে রাজি হয় আতর, ছপা তার পরিচয় দেয় মহাকাল পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে। - আতর ছপাকে নিয়ে যায় এই গ্রামের বুড়ো এক মাষ্টারের কাছে, কারন তিনি এখানের পুরনো সব জানেন, তার কাছ থেকে জানতে পারেন এই মহিলা এক জমিদারের নাত বউ, জমিদারের সেই নাতি কিছুকাল আগে ঢাকায় ক্যানসার রোগে মারা পড়ে, প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে সে বিয়ে করলো কবে?? আর এই ক্যানসার রোগিকে কেনই বা বিয়ে করলেন এই মহিলা?? থাকেন এখন জমিদার বাড়িতে, যেই বাড়িটি যুদ্ধের সময় মিলিটারি ক্যাম্প ছিল, জমিদার পরিবারের সকলেই মারা পড়ে সেই সময়, সব সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যায়, শেষে এই মহিলা এসে কিভাবে যেন সব উদ্ধার করে। - আতরের ভাষ্যমতে মহিলা একটা ডাইনি, অলৌকিক ক্ষমতা আছে, একদিন দেয়াল টপকে মহিলাকে রক্ত খেতে দেখেছে আর চোখ দুটি জলছিল, মহিলা দেখেও আতরকে কিছু বলেনি। - ফালু নামে এক গোর খোদক আছে এই গ্রামে, সে নাকি আগেই টের পায় কেও মারা যাবে, তাই আগেই কবর খুঁড়ে রাখে, গ্রামে তাকে সকলেই কামেল লোক ভাবে, তবে এই গোর খোদকের সাথে ওই মহিলার কি সম্পর্ক?? কেন রাতের বেলা ওই বাড়ি যায়?? - ছপা একদিন রাতের বেলা সেই জমিদার বাড়ি চুপি চুপি ঢুকে পড়ে, সেই বাড়িতে একজন বোবা দারোয়ান আর একজন রাত কানা কাজের মেয়ে, আর ওই মহিলা থাকেন, ফালু কে নিয়ে বাড়ির পেছনে এই রাতের বেলা কিছু একটা পুতে রাখছেন সে মহিলা, দেখে ফেলে ছপা, ছপাকেও তারা দেখে ফেলে, কি পুতে রেখেছে?? ছপাকে দেখেও কেন কিছু করলো না?? - এদিকে বাড়ির পেছনে কুমির পালেন সেই মহিলা। - ছপাকে থানায় ডেকে আনা হয়, বের হয় তার আসল পরিচয়, সে আসলে সাংবাদিক নয়, তাহলে কে সে?? - এইদিকে ঢাকা থেকে খবর আসে এই মহিলা আগে ডাক্তার ছিল, থাকতো এমেরিকা, আরও কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য, এইদিকে ঢাকা থেকে মোট ৫জন ৩০ বছরের যুবক নিখোঁজ, তদন্তে জানা গেছে তারা সকলেই এই রেস্টুরেন্টে খেতে এসে হারিয়েছে, তার মধ্যে সর্বশেষ ভিক্টিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার ভাগ্নে, শুরু হয় তদন্ত। - কে এই মুশকান জুবেরি? কেনইবা এই গ্রামে এসেছেন?? তার এত রেসিপির রহস্য কি?? আমারিকায় প্লেন দুর্ঘটনায় কি তাহলে এই মুশকান জুবেরি আড়াই মাস বেচে ছিল বরফের দেশে?? কেনইবা দেশে ফেরত আসলো?? কেনইবা ছপা তার পেছনে লাগলো?? কেনইবা এক সন্ধ্যায় মুশকান ছপাকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলো?? কেনইবা পুলিশ মুশকানের ছদ্মবেশ ধরতে পারলো না?? । জানতে হলে পড়তে হবে, ঘোর লেগে আছে আমার মাথায়, বিদেশি থ্রিলার গুলো সাধারনত সেই দেশের রাস্তাঘাট বাড়ি নিয়ে বানানো, কিন্তু একদম নিজের পাড়া গায়ে এমন থ্রিলার কল্পনা করা যায়?? প্রতিটা মুহূর্ত আপনার স্নায়ুর পরীক্ষা নিবে লেখক, এক কথায় অসাধারন, তবে প্রথম দিকে কিছুটা এলোমেলো মনে হবে বইটা, তবে যতই পড়বেন ততই আপনার সেল গুলো উত্তেজিত হতে থাকবে। যিনি রিভিউ করেছেন: Foysal Khan
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ হাইওয়ের পাশে ছোট্ট একটি মফস্বল শহর সুন্দরপুর। নামের মতই সুন্দর এই শহর। আসলে শহর বলা হলেও একটা গ্রাম ছাড়া কিছুই নয়। এই শহরেই হাইওয়ের পাশে সুন্দর ছোট্ট একটি রেষ্টুরেন্ট "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি"। যদিও এই রেষ্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি এটাকে রেষ্টুরেন্ট বলতে নারাজ। এই রেষ্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হলো এর খাবার এত সুস্বাদু যে একবার কেউ এখানে খেলে সে বার বার ফিরে আসে খেতে। কেমন যেন একটা নেশার মত কাজ করে এখানকার খাবার। রেষ্টুরেন্টের মালিক মুশকান জুবেরি সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু জানেনা। শুধু এটুকু তারা জানে যে মুশকান জুবেরি এখানকার জমিদারের নাতবউ। এখানে জোড়পুকুর জমিদার বাডিতেই সে থাকে। লোকাল থানার ওসি, এসপি ও এমপির সাথে মুশকানের খুব ভাব বলে কেউ আর তাকে ঘাটাতে যায়না। কেমন যেন রহস্যময় এক চরিত্র এই মুশকান জুবেরি। ডিবি পুলিশের নামকরা অফিসার নুরে ছফা সাংবাদিক পরিচয়ে সুন্দরপুর আসেন তদন্ত করতে। ঢাকা থেকে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার ভাগ্নে নিখোজ হয়ে যায়। যে ট্যাক্সি করে সে যায় তার কাছে খোজ নিয়ে জানা যায় সে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি রেস্টুরেন্ট এ গিয়েছিল। তদন্তে নেমে সে আরও কিছু নিখোজ যুবকের কথা জানতে পারে যাদের শেষ গন্তব্য ছিল সুন্দরপুরের এই রেষ্টুরেন্ট। তাই লোকাল থানার ইনফর্মার আতর কে নিয়ে কাজে নেমে পরে নুরে ছফা। আতর এমন একজন মানুষ যার কাছে সুন্দরপুরের সব খবর থাকে, যেকারনে লোকেরা ওকে বিবিসি বলে ডাকে। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকদের সাথে কি মুশকান জুবেরির কোনও সংযোগ আছে? তাছাড়া কি এমন সিক্রেট রেসিপি আছে মুশকান জুবেরির যে তার বানানো খাবার খেলে সবাই আবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়? তদন্ত নেমে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় নুরে ছফা যে আপনারও গা শিউরে উঠবে। ডিবির প্রাক্তন এক অফিসার কে.এস খান। তার রেকর্ডে কোনও অমিমাংশিত কেস নেই। শেষ পর্যন্ত তার সাহায্য নিয়ে কেসটা সুরাহা করে নুরে ছফা। এবং শেষে এমনকিছু সত্য বেরিয়ে আসে যে পাঠক পড়তে গেলে নির্ঘাত ভয় পাবেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ অসম্ভব সুন্দর একটা প্লট নিয়ে লেখা অসম্ভব সুন্দর একটা থ্রিলার। কিন্তু লেখকের বাহুল্য দোষে মাঝে মাঝেই বিরক্ত হয়েছি। যে কথাটা এক লাইনে বোঝানো যায় সেটা বই বড় করার জন্য পাঁচ লাইনে বুঝিয়েছেন। এমন কিছু গালাগালি ব্যবহার করেছেন তিনি যেটা আমার কাছে বাহুল্য মনে হয়েছে। তাছাড়া প্রচুর ভুল রয়েছে বইয়ে। আমার কাছে মনে হয়েছে বইমেলা চলে আসায় খুব তাড়াহুড়া করে বইটি লিখেছেন তিনি। একটু যত্ন নিয়ে লিখলে হয়তো একটি মাষ্টারপিস হতে পারতো তার।