User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক কিছু জানতে পেরেছি বইটি পড়ে। জ্ঞানপিপাসুদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
বই পড়তে পড়তে আমার মধ্যে বিভিন্ন রকমের অনুভূতি হয়-কখনো নিজের মনেই হাসি, কখনো চশমার কাঁচ মুছি। ভাবি, একটু গুছিয়ে পরে লিখবো। সেই পরেটা আর হয়ে ওঠে না;অলসতায়, সংসার-চাকরি বহুবিধ নিয়ামকের খপ্পরে পড়ে সে হারিয়ে যায়। তাই আজ ঠিক করেছি যখন যা পড়বো, তার প্রতিক্রিয়া চট করে লিখে ফেলবো। চমৎকার সেই অনুভূতিগুলো পরে আর খুঁজে পাই না, কিছু একটা হারানোর অব্যক্ত বেদনায় মনটা ভার হয়ে যায়। তাই আর নয় কাল, আজ, এখনই শুরু হোক লেখালেখি। 'বিপুলা পৃথিবী' অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লেখা বিশাল স্মৃতিচারণমূলক আত্মজীবনী । ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী থেকে শুরু করে ২০০০ সালে এসে শেষ করেছেন। ৫৭১ পৃষ্ঠার এই বিশাল পুস্তকটি আমার ছেলে গতবছর মেলা থেকে আমাকে উপহার দেয়। আমি ভীষন লজ্জিত; ছাত্র হয়েও ৮০০ টাকা দিয়ে কিনে দেওয়া ছেলের বইটি আমি এখনো শেষ করতে পারিনি। ২৮৩ পৃষ্ঠায় এসে আটকে আছি। আনিসুজ্জামান স্বাধীনতা উত্তর এই সময়টাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন: ১। নতুন যুগের গুরু ২। অস্তাচলের পানে ৩। হননের কাল ৪। কাছে-দূরে ৫। হালখাতা আমি হননের কালে এসে পড়েছি। লেখক আমার সত্ত্বাকে হনন করে নিয়েছেন তাঁর সহজ-সরল ভাষার ব্যবহার ও রসবোধ দিয়ে। ২৮৩ পাতায় উনি লিখেছেন, 'তেল-ভাইস-চ্যান্সেলরকে দিতে যাচ্ছি।' - এই কথাটা পড়ে না হেসে পারলাম না। কুয়েতে আরবদের একটা সিম্পেজিয়ামে উনি গিয়েছেন ১৯৮১ সালের মার্চে। কুয়েতের অবস্থানকালীন তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। কুয়েতে যাওয়ার আগে উপাচার্য আবদুল করিম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ) বলেছিলেন, তাঁর জন্য সেখান থেকে এক বোতল জয়তুনের তেল আনার জন্য। লেখক তাঁর দোভাষী ছাত্রটিকে তা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন। সে প্রায় আধা-গ্যালনের এক প্ল্যাস্টিক-কন্টেইনারে বিদেশী অলিভ অয়েল নিয়ে আসে। সেটা সুটকেসে নেওয়া সম্ভব নয় বলে উনি কুয়েতে থেকে আবুধাবি, আবুধাবি থেকে ঢাকা, এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সেটা হাতে করে নিয়ে আসেন। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে কৌতূহলীদের জবাবে বলতেন, 'তেল-ভাইস-চ্যান্সেলরকে দিতে যাচ্ছি।' সেই আশির দশকে যেমন তেলের কদর ছিল, বর্তমানে ২০২০ সালে এসেও তার কদর কিছুমাত্র কমেনি-বরং বেড়েছে। উনি বিখ্যাত ব্যক্তি। তাই অনেক বিখ্যাত বক্তির কথা তার এই লেখায় ওঠে এসেছে; সেই সাথে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতিও তুলে ধরেছেন। আন্তরিক, বন্ধু-বৎসল, অপরকে সহজেই আপন করে নেওয়া আনিসুজ্জামানকে যতই পড়ছি, ততোই মুগ্ধ হচ্ছি। আবার ফিরবো 'বিপুলা পৃথিবী' নিয়ে, যখনই মনকে নাড়া দিয়ে যাবে লেখক।
Was this review helpful to you?
or
নবীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মুহুর্তে আনিসুজ্জামানের এ আত্মজীবনীর সূচনা। এর পর তা ছড়িয়ে পড়েছে এদেশের ইতিহাসের তিনটি দশকের বিস্তৃত পটভূমি জুড়ে। গবেষক আনিসুজ্জামান একদিকে বিদ্যায়তনের অন্বেষণে নিবিষ্ট । অন্যদিকে এই উত্থান-পতনময় সময়ের নানা কর্তব্যের আহবানে নাগরিক আনিসুজ্জামানের জীবন মুখর। তার অন্তরঙ্গ স্মৃতিকথা এগিয়ে চলেছে সমান্তরাল এ দুই ধারার ভেদ ঘুচিয়ে দিয়ে। ইতিহাসের বহু ঘটনা তিনি দেখেছেন ভেতর থেকে। বহু উদ্যোগে সক্রিয় থেকেছেন তিনি নিজে । দেশে ও বৃহত্তর বাংলা ভূখণ্ডের রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে এ সময়ের ইতিহাসের যারা নায়ক, তিনি তাদের সংস্পর্শে এসেছেন। নিবিড় সান্নিধ্য ও বন্ধুত্ব পেয়েছেন অনেকের। এ আত্মস্মৃতি তাই শুধু আনিসুজ্জামানের নিজেরই উন্মোচন নয়, এ আত্মস্মৃতি নবীন এক রাষ্ট্রের অন্তরঙ্গ সামাজিক উন্মোচন। আনিসুজ্জামানের কৌতুকপ্রিয় দৃষ্টি, ভারসাম্যপূর্ণ মন ও প্রাঞ্জল গদ্য এ আত্মস্মৃতিকে সুষমা দিয়েছে নামের সঙ্গে বইয়ের মিল এই যে, কেবল দেশ নয়, বিদেশের কথাও আছে। অর্থাৎ পুরো পৃথিবীর যে অংশগুলোকে লেখক নিজে দেখেছেন, তার কথা লিখেছেন। বইয়ের শুরু ১৯৭২ থেকে এবং ২০০০ সালে সমাপ্তি। এর মাঝে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহ লেখক যেভাবে যেটুকু দেখেছেন, তা নিয়ে এই বই। তবে একথা ভাবা ভুল হবে যে লেখক এই সময়ের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করেছেন, কিংবা প্রচলিত অনেক ভ্রমের সংশোধন করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের শুরু ১৯৭২ থেকে এবং ২০০০ সালে সমাপ্তি। এর মাঝে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহ লেখক যেভাবে যেটুকু দেখেছেন, তা নিয়ে এই বই। তবে একথা ভাবা ভুল হবে যে লেখক এই সময়ের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করেছেন, কিংবা প্রচলিত অনেক ভ্রমের সংশোধন করেছেন। ড. আনিসুজ্জামান দীর্ঘকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাহচর্যে এসেছেন এমন অনেক মানুষের যাদের আজ আমরা একনামে চিনি। তারা কেউ তার সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এমনকি প্রতিপক্ষও। সে সব মানুষের সাথে তার সম্পর্ক, স্মৃতি তুলে ধরেছেন। কর্মসূত্রে ভ্রমণ করেছেন অনেক দেশ। সেসব ভ্রমণের কথা লিখেছেন। স্মৃতিকথা হিসেবে সুখপাঠ্য বলা চলে। কিন্তু যেন এই বই পাঠককে খুব একটা ভাবায় না। লেখক নিজেই কোন ঘটনার খুব গভীরে যাননি। দুটো রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, স্বৈরাচার পতন নিয়ে কেবল উল্লেখ করেছেন, এর বেশি কিছু না। হয়তো তিনি চাননি। তবে পাঠকের চাওয়া থাকা স্বাভাবিক। বইটা কোন মাস্টারপিস না। অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলে আশাহত হতে হবে। তবে জানা যাবে কালক্রমিক বহু ঘটনা। বাংলাদেশের সূচনার রাজনীতির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের দুটো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কথা।