User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
?ফ্ল্যাপ থেকে: প্রিয়ন্তীর সঙ্গে সুশান্তর বিয়ে হয়েছে তিনবার। একই বর-কনে তিনবার বিয়ের বিষয়টি অনেকের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করলো, কারো অবিশ্বাস্য মনে হলো, কারো কারো মনে হাস্য রসের সৃষ্টি করলো, কারো কারো হৃদয়কে আহত করলো। কিন্তু একই বর-কনের মধ্যে তিনবার বিয়ে হবে কেনো? এই কেনো-এর উত্তর দিতে গেলে সমাজের যে অসঙ্গতি ফুটে উঠবে তা অনেকের বিবেককে দংশন করবে আর পরের ঘটনাগুলো মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে..... ?কাহিনী সংক্ষেপ: নিজের বংশের চেয়ে নিম্ন বংশের ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়ায় প্রিয়ন্তী। যার নাম সুশান্ত, আর নামের সাথে সম্পূর্ণ মিল পাওয়া যায় পুরো উপন্যাস জুড়ে। উপন্যাসের নায়ক নায়িকা সুশান্ত ও প্রিয়ন্তী সমবয়সী কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। শহরে মেসে থেকে পড়াশোনা করে। পুজোয় একে অপরের বাসায় বেড়াতে যায় ওরা আর এতেই ঘটে বিপত্তি। বজ ঠাকুর নামে এক ধর্মীয় গোঁড়া লোক ওদের জাত সম্পর্কিত বিষয়টা রটিয়ে দিয়ে প্রিয়ন্তীর বাবার মন বিষিয়ে দেয়। এতে করে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক খারাপ হয়। এমনকি তিনি জোর করে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিতে চান। আর এটা জানতে পেরে ওরা কোর্টে গিয়ে অ্যাফিডেভিড করে বিয়ে করে নেয়। কিন্তু দু পক্ষের কেউই বিয়েটা মেনে নেয় না। ওরা পরে যায় অকূল পাথারে। ?চরিত্রায়ন: ♦️প্রিয়ন্তী: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রিয়ন্তী চক্রবর্তী। যাকে পুরো উপন্যাস জুড়ে দেখা যায় আত্মসম্মানে ভরপুর, অকুতোভয়, সাহসী ও প্রতিবাদী নারী হিসেবে। ♦️সুশান্ত: শান্তশিষ্ট আর নরম স্বভাবের ছেলে হলেও সে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাহসিকতা ও সিদ্ধান্তগ্রহণে সক্ষমতা দেখিয়েছে প্রিয়ন্তীর পাশে থেকে। ♦️দীপক চক্রবর্তী: প্রিয়ন্তী ও অঞ্জনা চক্রবর্তীর বাবা, ইনি মেয়েদের ভীষণ ভালোবাসেন। ছেলে অরুণ বেশিদূর পড়াশোনা না করায় তিনি তার দুমেয়েকেই লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছিলেন। ♦️কৃষাণ দত্ত ও মহামায়া: এনারা সুশান্তর বাবা-মা। শিক্ষিত সুদর্শন ছেলে সুশান্তর পণ ছাড়া বিয়ে করায় তিনি কোনোভাবেই মেনে নেননি বিয়েটা। ♦️অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে একবাসায় সাবলেট থাকা দিলিপ ও তিথি অনেক হেল্পফুল চরিত্র। ওরা এক বাসায় থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয় প্রিয়ন্তীদের। ?পাঠ প্রতিক্রিয়া: বাবা-মায়ের কথা না শুনে জাত-পাত এক সাইডে রেখে প্রিয়ন্তী-সুশান্ত বিয়ে করেছিল। তবে বিয়েটা পারিবারিকভাবে কখনওই সম্ভব হতোনা। দুজন একই ধর্মের হলেও আলাদা গোত্রের ছিল। আমরা হিন্দু ধর্মের বিয়ে সম্পর্কিত রীতি-নীতি পালনের বিষয়টি দেখতে পাই বইটিতে। ভালবাসাটাকে মুখ্য করে সুখী হতে চেয়েছিল এই দম্পতি। কিন্তু বাস্তবতা তাদের পক্ষে ছিলনা খুব বেশিদিন। বইটির চরিত্রায়ন শব্দচয়ন আমার বেশ ভালো লেগেছে। ?বইয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য লাইন: ★প্রিয়ন্তী ইংরেজি সাহিত্য, বাংলা উপন্যাস, কবিতা, ছোটগল্প এমনকি যে কোনো একটা বই হাতের কাছে পেলেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে। ★আমার বাবা যেমন আমাকে ভালোবাসে সবার বাবা কি তাদের মেয়েদের এত ভালোবাসে? ★সমাজে মানুষের অধিকারের চেয়ে সমাজের সংস্কারের মূল্য অনেক বেশি। ★আমি তোকে ভালোবাসি, তুই কার চেয়ে কম সুন্দর সেটা আমার কাছে কোনো বিষয় না, তুই আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে আপন। ★মাতৃস্নেহ অতুলনীয় এ কথা অস্বীকার করার কেউ নেই, এ নিয়ে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এবং সাহিত্য কত যে উপদেশ, নির্দেশ এবং গল্প রচিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। প্রিয়ন্তীর প্রায়ই মনে হয় পৃথিবীতে কোনো ধর্মগ্রন্থ এবং সাহিত্যে মাতৃস্নেহের পাশাপাশি পিতৃস্নেহের কথাটা এমনভাবে এড়িয়ে যাওয়ায় পুরুষদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। ?খুচরা আলাপ: উপরোক্ত রিভিউটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। কোনো ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবার অনুরোধ রইলো। আর ভুলগুলি অবশ্যই জানাবেন যেন পরবর্তীতে একই ভুল আর না হয়। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার লেখাটি পড়বার জন্য। ?সংক্ষিপ্ত বই পরিচিতি: বই: প্রিয়ন্তী লেখক: জিল্লুর রহমান জনরা: সামাজিক উপন্যাস প্রকাশক: ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ পৃষ্ঠা: ১১০ লেখা: উম্মে হাবিবা কনা