User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একটি মাত্র রাতের কাহিনী। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা মানে ভিন্ন কিছু। সামান্য লেখাটিকেও খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
useful
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি একটু ভিন্ন। একজন মানুষের মৃত্যু শয্যায় আশপাশের মানুষগুলোর কার কেমন মন মানুষিকতা বা তাদের আচরনগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। গল্প অনেক বেশি ভাল না লাগলেও আমার কাছে মোটামুটি ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
???
Was this review helpful to you?
or
টগর নামের এক যুবকের জবানিতে কাহিনি বর্ণিত হয়েছে 'একা একা' উপন্যাসে। স্রেফ এক রাত্রির ঘটনা। টগরের দাদা মৃত্যুশয্যায়। বাড়িতে স্বভাবতই লোকজনের অনেক ভিড়। ঠিক এমনই এক পরিবেশে টগর বলে চলেছে একেরপর এক ঘটনা। তাতে আনন্দ-বেদনা আছে, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মানসিক দ্বন্দ্ব আছে। একজনের প্রতি অপরের টান এমনকি শত্রুভাব পোষণের মনোভাবও আছে। কাহিনি সরল নয়, আবার এই উপন্যাসের কাহিনি আহামরি গোছেরও নয়। অবসরে পড়তে পারেন। সময়টা কেটে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
পুরো উপ্যনাসটি ঘিরে রয়েছে 'দাদা'র মৃত্যু নিয়ে। 'দাদা'র অবস্থা খুব একটা ভাল না। যেকোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাই, জলদি ডাক্তার ডাকা হচ্ছে। আর, এই ফাঁকেই লেখক প্রতিটি চরিত্রের বর্ননা দিয়েছেন। মানুষটার (দাদা) মুসিবত শুরু হয়েছিলো অনেক দিন আগে থেকেই। তিনি যখন ভাত খেতে বসতেন তখন তিনি নাকি দেখতে পেতেন একটা কালো রঙের বিড়াল থাবা দিয়ে তাঁর সঙ্গে ভাত খাচ্ছে। এছাড়াও আরও অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে। টগর'র বিল্ডিং'এ আরেকটি পরিবার থাকে। রমিজ রাজা। কোনো ছেলে নেই। চারজন মেয়ে রয়েছে। তাদের সবার চেহারার ধরণ প্রায় একইরকম। এর মধ্যে নীলু-কে টগর'র বেশ ভালো লাগে। যদিও সে নীলু-কে প্রায়শই 'তুই' করে সম্বোধন করে। তবে, 'দাদা'র এই অবস্থা দেখে টগরের বাসায় ফুপু (মগবাজারের) এলেন। তিনি সারাক্ষণই তার ছেলে (ফরিদ) - এর জন্যে মেয়ে খুজঁতে অস্থির। নীলু-কে তার নিজের ছেলের জন্যে পছন্দ হয়। এছাড়া, শাহানা নামের এক মেয়ে যে কিনা, দুই বিয়ে করে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যভাবে জামিল মুক্তিযুদ্ধ'র কালে বই আনতে টিকাটুলি-তে গিয়ে হুট্ করব হারিয়ে যায়। দ্বিতীয় ছেলেটি ছিল বইপড়ুয়া। কিন্তু, সে শাহানা-কে পচ্ছন্দ করতো না। এদিকে 'বাবু' আবার শাহানাকে পচ্ছন্দ করে। এইভাবেই উপ্যনাসের বিভিন্ন চরিত্র বর্ণনার মাধ্যমে উঠে এসেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ অতুলনীয় অসামান্য একটি উপন্যাস যাতে চরম বাস্তবতার সাথে চরিত্রের বৈচিত্র্য কিংবা হাস্যরস - সবই আছে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস 'একা একা' পড়লাম। আমি ভেবেছিলাম হুমায়ুন আহমেদের সব বই-ই আমার পড়া। এই ভুল ধারণার বশবর্তি হয়ে ছিলাম অনেকদিন। কিন্তু এই বইটা নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়ে খেয়াল হল, বইটা তো আমি আগে পড়ি নাই! যেহেতু আগে পড়ি নাই, তাই বসে পড়লাম বইটা নিয়ে। কেমন লাগল, সেটা বলি। হুমায়ুন আহমেদের অপরাপর সাহিত্যকর্মের তুলনায় এই বইটিকে অসাধারণের কাতারে ফেলা যাবে না। খুব বেশি কিছুও বইটা আপনাকে অফার করবে না। কিন্তু তবু হুমায়ুন সাহিত্যের কিছু মূল উপাদান তথা ভালবাসা, মানবীয় সম্পর্ক আর সংলাপের মাধ্যমে বিচিত্র সব চরিত্রের সুস্পষ্ট বা ক্ষেত্রবিশেষে ধোঁয়াশা চিত্রায়ন, তার সবই আছে ছোট্ট পরিসরের এই উপন্যাসে। স্রেফ একটা রাতের কাহিনী। কাহিনী উত্তমপুরুষের বর্ণনায় রচিত। টগর নামের এক যুবক কাহিনীটি নিজের মত করে বলে চলেছে। বিভিন্ন দৃশ্য ও চরিত্রের সম্মুখীন হওয়ার পর সে নানা পূর্বঘটিত ঘটনার স্মৃতি মনে করছে। মূলত এই উপন্যাসের শুরু রাতের যেসময়ে, তখন তার দাদা প্রায় মরনাপন্ন। স্বাভাবিকভাবেই আত্মীয়-স্বজন এসে বাসায় ভিড় করছে তাকে শেষ দেখা দেখতে। এরকম এক পরিস্থিতিতে বিচিত্র সব চরিত্রের বৈচিত্র্যময় ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মনোভাব লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের কথাবার্তা আর কাজকর্মের মাধ্যমে। আর সেসবের মাধ্যমে প্রত্যেকটি চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করতে বিশেষ ভূমিকা রেগেছে টগর নামক যুবকের নানা স্মৃতিচারনাও। আর এই জায়গাটিতেই হুমায়ুন আহমেদ যথারীতি তার মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। সাবলীল গদ্যের মাধ্যমে বলা একেকটি গল্প স্তরে স্তরে উপন্যাসের ভিত মজবুত করেছে। আর সেসব গল্প আর দৃশ্যের সম্মিলনে সামগ্রিক দৃশ্যপট একটি নিজস্ব ছাঁচে বন্দি হয়েছে। সবমিলিয়ে উপন্যাসটি থেকে একটা পূর্নাংগ গল্পের স্বাদ আস্বাদন করতে না পারলেও, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একেকটি গল্প পাঠককে সাহায্য করবে মানুষকে আরও ভালভাবে চিনতে। উপন্যাসের শেষটা হয়তবা অনেককে সন্তুষ্ট করবে না। রাত কেটে হঠাৎ করে দিনের আলোর আগমনের সমান্তরালেই এক রাতের এই গল্প শেষ হবে। নতুন দিনের নতুন গল্প বলার প্রয়োজনীয়তা লেখক বোধ করেননি। কিন্তু চাইলেই পাঠকের পক্ষে সম্ভব এই একরাতের কাহিনী থেকেও অনেক অন্তর্নিহিত ভাব অনুধাবন করা। তা যদি সম্ভব নাও হয়, তবু পাঠককে খুব বেশি হতাশ হতে হবে না। সুখপাঠ্য এই লেখা কিছুটা সময়ের জন্য পাঠককে ঠিকই কাহিনীর জালে ধরে রাখতে পারবে। আরও একটা ব্যাপার এই যে, উপন্যাসের বিভিন্ন অংশ থেকে লেখক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু ও ধর্ম সংক্রান্ত গভীর উপলব্ধি সম্পর্কেও জানার সুযোগ ঘটবে পাঠকের।