Our User Product Reviews

ভালো একটা বই

ভাল লেগেছে।

quiet good

?

Chomotkar boi. Really I mean it. Jara bangla golpo porte posondo koren but ei boi ekhono poren ni tader jobon er ek ana holeo britha :). Humayun Ahmed Sir mara jabar por kar o lekha pore eto valo lage ni. Ekhono boita pora ses hoy ni. But Ashir vai proti kritoggota janate deri kora uchit hobena, tai tori ghori kore review diye dilam. Marjito, porishilito, shohojboddho, mojadar, totthobohul. Ashir vair jonno ek buk valobasha

খুবই অসাধারণ একটা বই। জাপান নিয়ে আগ্রহী পাঠকদের কাছে বইটি খুবই ভালো লাগবে।

একদম অসাধারণ

ছোটো ছোটো ঘটনার সংকলন। বিভিন্ন জাপানী বিষয়ক ঘটনাবলী এবং সেসব সম্পর্কে লেখকের ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির বর্ননা রয়েছে এই বইয়ে। পড়তে খারাপ লাগার কথা না

Excellent short stories as well as writing! It helps to learn different things

Good read

??

Knew Japan in amazing way...

উনার জাপান কাহিনি নিয়ে লেখাগুলো পড়ি প্রথম ফেসবুকে। অনেক বড় বড় লেখা হলেও সেসব পড়তে খুব ভাল লাগত। এরপর যখন লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশিত হয় তখন সবগুলো খন্ডই কিনে ফেলি এবং বলাই বাহুল্য যে এই বইয়ের লেখাগুলো আমি গোগ্রাসে গিলেছি ??

amar pora one of the best book,salute japan and ashir ahmed boss.

Being a Japan enthusiast (thanks to lots of anime-watching and manga-reading), I was very interested in this book. However, I must admit that I was not expecting this. This is not just a book, this is a bundle of experience! The writer had versatile experiences in Japan and he converted them into text. His great command over Bangla made the reading very enjoyable. The book itself is well-made, the pages of great quality and good to the touch. I only wish the cover were prettier! (Yes, I literally have no other lackings to report about this book 3 )

দারুন একটা বই l মাস্টরিড ফর ট্রাভেল বুক লাভারস l তবে বলবো, ট্রাভেল বুকের চেয়েও বেশি কিছু l ধন্যবাদ আশির আহমেদ স্যার কে আমাদের এইরকম অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয়ার জন্য l

#জাপান কাহিনি ঐতিহ্য প্রকাশন জাপানীরা বাংলাদেশের তুলনায় ১০০ গুন আধুনিক।আমরা চাইলে জাপানীদের মত আধুনিক হতে পারি না,একটি দেশ আধুনিক হতে চাইলে সরকারী মন্ত্রী দের সৎ থাকতে হয়, দূর্নীতি মুক্ত হতে হয়,যা আমাদের নেই। তবে আমরা চাইলে জাপানী দের কিছু ফরমূলা অনুসরণ করতে পারি,যা আমাদের অনেকাংশ আধুনিক ও সভ্য করে তুলবে,যে কাজ গুলো করতে আমাদের ১ টাকা ও খরচ হবে না। ১. জাপানীরা সামাজিক শিক্ষা শুরু করে কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে,,, পরিচিত মানুষকে হ্যালো বলা, কেউ উপকার করলে ধন্যবাদ বলা, ভুল হলে দুঃখিত বলা,......etc এসব চাইলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের ও ট্রেনিং দিতে পারি ২. কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেয়া হয়,,, ট্রাফিক আইন মেনে চলা, বাস ট্রেনে চড়ার নিয়ম, নিজে নিজে স্কুলে যাওয়া, নিজের কাজ নিজে করা, এসব চাইলে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের ও শিখাতে পারি নিজ প্রচেষ্টায়। জাপানীরা ১৮ বছরে অলরাউন্ডার হয়ে যায়,বইটি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

অসাধারণ লেখনী। জাপানে না গিয়েও যেন জাপান ঘুরে আসলাম। এতটাই প্রাঞ্জল লেখা একটানে পড়ে শেষ করতে বাধ্য হলাম।

অসাধারণ একটা বই। আমি আশায় আছি ২য় খণ্ডের আশায় !!

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ জাপান কাহিনী-১ লেখকঃ আশির আহমেদ প্রকাশনীঃ ঐতিহ্য প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পৃষ্ঠাঃ ৯৬ মূল্যঃ ২০০ টাকা লেখক বহুবছর জাপানে ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে তার জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা, উপঘটনা, দুর্ঘটনাকে তিনি এ বইয়ে তুলে এনেছেন। মূলত, এগুলো প্রথমে ফেসবুকের পাঠকদের জন্যেই লিখেছিলেন তিনি। পরে ভাবলেন, এগুলোকে দুই মলাটে বন্দী করে প্রকাশ করবেন। সেভাবেই মূলত এ বইয়ের জন্মলাভ। লেখকের "সেন্স অব হিউমার" দারুণ, সেসাথে রসিয়ে রসিয়ে জাপানের বিভিন্ন খুঁটিনাটির বর্ণনা তিনি দিয়েছেন দক্ষতার সাথেই। বইও যথেষ্ট পাতলা, বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোও সুন্দর। বই পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি। জাপান, নানাকারণেই আমার প্রিয় একটা দেশ। ওদের প্রযুক্তিগত সাফল্য, জাপানের মানুষদের নিরলস পরিশ্রম...আমাকে নানাভাবেই অনুপ্রাণিত করে। লেখককেও যে করে, তার লেখাতেই তা প্রমাণিত। তাছাড়া, ওদের কিছু মজার কুসংস্কার,কিছু অদ্ভুত সংস্কার আছে। সেগুলোও লেখক সরস ভঙ্গীতে বইয়ে উপস্থাপন করেছেন। জাপানের নানা খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি "জাপান কাহিনি-১" পড়ে। আরেকটা জিনিশ ভালো লেগেছে, লেখক অহেতুক জ্ঞান জাহির করতে চাননি। ভ্রমণকাহিনী পড়তে গেলেই দেখি, কোনো কোনো লেখক একগাদা অপ্রয়োজনীয় তথ্য লিখে বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়িয়ে ফেলেন। এ বইতে সে ধরণের কোনো সমস্যা ছিলোনা। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য বই "জাপান কাহিনী।" বি.দ্রঃ এ বইয়ের দ্বিতীয় খন্ডও আছে। জাপান কাহিনী-২। সেটাও রকমারিতে পাবেন। দ্বিতীয় বইটাও সুন্দর। আর, এই যে বইয়ের দ্বিতীয় খন্ডের কথা বললাম শেষে, একেই এক ঢিলে দুই রিভিউ বলে :p রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/96007/জাপান-কাহিনি

I really liked this book... Fascinating......

ছোট ছোট গল্প দিয়ে যে জাপানকে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায়, বইটি না পড়লে জানতে পারতাম না।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে জাপান-কাহিনী লেখার শুরু। বন্ধুদের পাঠকদের কমেন্টস গুলো আরো লিখতে উৎসাহিত করলো। ছোট ভাই তানভির ইমন চমৎকার একটা লোগো বানিয়ে দিল। লেখার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ পেতে শুরু করলাম। কাহিনী এগিয়ে গেল। অনেকেই উপদেশ দিলেন বই আকারে প্রকাশ করার জন্য। এই লেখা ফেসবুকে মানায়, কিন্তু বই? ছাপবে কে? পড়বে কে? আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কে দুটো কাহিনী দিলাম। চোখের সামনেই পড়লেন। বানান ভুল ধরলেন, ব্যাকরণের ভুল ধরলেন। পরিশেষে বললেন, “বাহ, লেখা তো চমৎকার”। আমি সাহস পেলাম। একুশে টেলিভিশনের এনাম ভাই প্রকাশক খোঁজার দায়িত্ব নিলেন। বইয়ের ২০ টা কাহিনী প্রিন্ট করে সায়ীদ স্যার কে দিয়ে এলেন। স্যার সবগুলো কাহিনী পড়লেন, পড়ে একটা লিখিত মন্তব্য পাঠালেন। স্যারের মন্তব্য টি সরাসরি বইয়ের মুখবন্ধ হিসাবে যাচ্ছে। ফেসবুকের যে কমেন্টস গুলোর জন্য পরবর্তী কাহিনী লেখার জন্য হাত নিশপিশ করতো তার একাংশ বইয়ের শেষ দিকে জুড়ে দিলাম।

চমৎকার একটি বই। একটি গল্প পড়ার পর বাকি সব গল্প পড়তে ইচ্ছা করবেই।

Good book. Enjoy the Book very much. :D

(রিভিউ নয়। সেটা লিখতে পারিনা। সেটা লিখতে শব্দভান্ডারে যথেষ্ট দখল থাকা চাই। সেখানেই আমি দেউলিয়া। একটু আলোচনা...) অনন্তপুর: বিমান ধর জনরা: সায়েন্স ফিকশন পৃষ্টা: ১৩৬ বিঃদ্রঃ এটা লেখকের প্রথম পাণ্ডুলিপি কিন্তু প্রকাশিত দ্বিতীয় বই। একটি নভোযান গ্রহ-নক্ষত্র ভেদ করে ছুটে চলেছে অজানা অচেনা গ্রহ 'অনন্তপুর'কে লক্ষ্য করে... অল্প কয়েকজন কুশীলবকে নিয়ে এবং বর্ননা বৈচিত্র্যের ঘাটতি না রেখেই কি চমৎকার ভাবেই না লেখক মহাকাশযানে চেপে গ্রহ, নক্ষত্র পরিভ্রমণ শেষ করে ফেলেছেন দুর্দান্ত হাস্যরসসহ রম্য উপাদানযোগে হিউমারের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে। হিউমারকে তিনি এমনভাবে ঢেলে দিয়েছেন তার ফিকশনে যে, পাঠক কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি পাঠ করতেছে, নাকি সাধারণ কোন রম্যকাহিনি পাঠ করতেছে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়বে। ছোট কলেবর কিন্তু এত এত মূল্যবান তথ্যের সমাহার অথচ আপনাকে বিন্দুমাত্র বিরুক্তির উদ্রেক করবে না। এত দ্রুত এর মঞ্চায়ন পরিসমাপ্তি হয়ে যায় যে, ক্ষনিকের তরে ভাবনায় আসবে এটা রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের ন্যায়, শেষ হয়েও যেন হইলো না শেষ। কুশিলবদের পরিচয়: ♦কল্প- রহস্যময় এক চরিত্র। তার কার্যকলাপ পাঠক কে বিভ্রান্ত করবে। কখনও কল্প কে মনে হয় প্রবল আলস্য, হেয়ালিপূর্ণ, বেকার এবং খুঁতখুঁতে কঠিন এক চরিত্র, আবার ক্ষনে ক্ষনে তাঁর যুক্তিবাদী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং কিটি রোবট কে বিভিন্ন তথ্য ও কথার বানে পর্যুদস্ত করাতে কোন উন্নত ফোর্সের নিয়োগকৃত গোপন গোয়েন্দা সদস্য বলে ভ্রম হবে। ♦ মৃন্ময়ী - অতি সাদা-সিদা কিন্তু জাঁদরেল একজন বিজ্ঞানী। প্যাঁচগোছহীন এক প্রেমময় স্ত্রী, প্রেমিকা। কথার পিঠে তর্কের টেবিলে তাঁর কথা আসে না বা তর্ক পাশ কাটিয়ে চলা ভিন্নগোত্রের এক যুবতী। ♦ কিটি(মৃন্ময়ীর গবেষনায় তৈরিকৃত রোবট)- দুর্দান্ত একখান মাল(লেখক এবং পাঠকের দাবি) ! কিটির দারুন আকর্ষন, আচরন, কিটি-কল্পের দ্ধন্ধ-সমালোচনা-হাস্যরসের উপাদানদাতা ফিকশনটাকে খুব দ্রুত কিন্তু ভাবনায়, ভালোবাসায় মন রাঙিয়ে পাঠককূলকে ফিকশনের শেষটায় টেনে নিতে বাধ্য। কিটি রোবট হয়েও কল্পের বুদ্ধির নিকট বার বার ধরা খেয়ে নাস্তানাবোধ হয়, আমার খারাপ লাগে কেন, কে জানে। মানুষ অনুভূতিপ্রবণ, আবেগবেষ্টিত, ক্যালকুলেশনে পারদর্শী এবং কবিতাবিলাসি। অপরদিকে আবেগ-বাস্তবতা বিবর্জিত কিটি আবেগের জন্য, প্রেম-ভালোবাসার জন্য, কবিতা বিলাসের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে, ভাবতে চায়, কবিতায় ভাসতে চায়। মৃন্ময়ী তাঁরই সৃষ্ট কিটি কে হাহাকার থেকে মুক্ত করতে কিটির হরমোনে আবেগের বান এনে দেয়! হঠাৎ আবেগের তোড়ে কিটি কবিতার গবেষণাগার খুলে বসে, রোবট নিরিনের প্রেমে হাবুডুবু খায়, ঠিক যেন দিশেহারা, কূলহারা নৌকার কান্ডারি। আর কল্প পেয়ে যায় রঙ্গ-রশিকতায় কিটিকে গোল খাওয়ানোর নতুন নতুন রম্য উপাদান। মধ্যাংশ উপস্থাপন: ♦ লেখক তর্কের খাতিরে কখনও প্লটে নিয়ে আসেন পদ্মা নদীর মাঝির মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায় কে, গবেষনার তাত্ত্বিকতা বুঝাতে কখনও-বা হাজির করেন নিউটন-সক্রেটিস-প্লেটো কে, কিংবা শব্দই যে কখনও কখনও সাহিত্য হয়ে উঠে তার তাগিদ বুঝাতে হাজির করেছেন ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লা কে, অথবা জ্ঞানের ধারক-বাহক বুঝাতে হাজির করেছেন যশোরের বিদ্যাসাগর কে, অথবা পন্ডিত নয় ভাবুকতায় যে মহান সেরা- সেটা পাঠক কে বুঝাতে ভাবুক ভানু শেখ কে অনন্তপুরের প্লটে আসন পেতে দেন। যুগান্তকারী ব্যাখ্যার বয়ানে আরও জ্ঞানী-গুণীর পদচারনে এক অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন 'অনন্তপুর'কে। ♦ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন পাঠকমাত্রই মনের অজান্তে বলে বসবে আরে এটা তো খুব সহজ সাবলীল সুন্দর বিজ্ঞান। আর কিটি রোবট আর কল্পের দুষ্টমিষ্টি, তর্ক, কিংবা যুক্তিবাদী ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া বক্তব্য প্রচন্ড হাস্যরসের সংমিশ্রণে এবং হিউমারের উপস্থিতি মনের খোরাক মেটাতে বদ্ধ পরিকর যেন গভীর ভাবনার, বিশ্লেষণের, তীব্র সত্য ব্যবহৃত গুটিকয়েক স্বরচিত পঙক্তিসমূহ: ♦ কবিতা থেকে এক বিয়োগ করলে হয় নায়িকা! ♦ কোকা থেকে এক বিয়োগ করলে হয় বোকা ♦ভালোবাসাকে গবেষণার টেবিলে তোলা উচিৎ নয়। ♦মানুষ খুব অনুভূতিশীল প্রাণী। এবং সে প্রচুর নিয়ম ভাঙে। এগুলো হয় হরমোনের কারনে। ♦কল্প একটু অভিমান নিয়ে আগায়। অজান্তে জেনে গেছে অভিমান সংসারের প্রাণ। ♦ সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, কিটি সঙ্গে বুদ্ধিনাশ(বউয়ের তৈরি করা রোবট কিটিকে কটাক্ষ করে কল্পের উসকানি ক্রিটিক!) ♦ রোবট কিটি উদ্ভাবনের কারন ব্যাখায় গিয়ে মৃন্ময়ীর বক্তব্য- যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের আবেগ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর প্রাণভয় থাকে।রাগ, হিংসা, জেদ ইত্যাদি অনুভূতির কারনে সে মাথা রাখতে পারে না। এটাই তার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।(চমৎকার চিত্তাকর্ষক বিশ্লেষণ) ♦ কল্প আর মৃন্ময়ীর প্রেম-ভালোবাসার মাঝে হঠাৎ হঠাৎ দুষ্টমিষ্টি বাগড়া হয়ে দাঁড়ায় মৃন্ময়ীর তৈরিকৃত কৃত্রিম রোবট কিটি, তাই কল্প বিরক্ত হয়ে সেই ঝাল মৃন্ময়ীর উপরই ঝারে এ কথা বলে- এই ব্যাটাকে মায়া দয়া না দিয়ে এমন নিষ্টুর বানালে কেন। 'পাথরও মানুষের চাওয়া বুঝতে পারে না। কিন্তু তার পিঠে বসে প্রেম করা দু'টো ব্যাঙকে কখনও তাড়া করে না। ♦ কিটি রোবটের আক্ষেপমালা-'এতো বাস্তববাদী হয়ে কী লাভ হলো বলোতো। আমি সাধারণ কল্পের কাছেও হেরে যাচ্ছি।(যখন কল্পের যুক্তি-তর্কে নাস্তানাবুদ কিটি! ♦ভাবনার ব্যাখ্যা- বুঝতে না পারাটাই ভাবনা। ♦প্রেম-প্রবলেম-পয়েম পরস্পরের সমানুপাতিক।

জাপান কাহিনি- আশির আহমেদ ফেসবুকে বোধহয় অনেকেই বেশ কয়েকটি 'জাপান কাহিনি' পড়েছেন। অতঃপর ফেসবুকে পাঠকদের উৎসাহেই নাকি লেখকের বই লেখার উদ্যোগ। আমার কখনো তাঁর কাহিনি পড়া হয়নি ফেসবুকে। বেটার লেট দ্যান নেভার! পড়ে ফেললাম জাপান কাহিনি ১ম খণ্ড। খুবই সরল সরেস লেখনী। সুন্দর উপস্থাপন। লেখা পড়েই কেন যেন মনে হচ্ছিল স্টাইলটা অনেকটাই হুমায়ুন লেখনীর মত। যতই এগুলাম বুঝতে পারলাম এর কারণ। লেখক আশির আহমেদ নিঃসন্দেহে একজন হুমায়ুন ফ্যান। তাঁর লেখায় পাওয়া যায় অসংখ্য হুমায়ুনী রেফারেন্স। তা যাই হোক। জাপান নিয়ে অনেক কিছু জানলাম। আক্ষরিক অর্থে ‘অনেক কিছু’। লেখক তাঁর ২৫ বছরের জাপানি জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প (সত্য ঘটনা) গেঁথেছেন। দুই মলাটে আবদ্ধ ২১ টা চ্যাপ্টারে উঠে এসেছে জাপানের আত্মহত্যা, ফিউনারেল পার্লার, জাপানের সামাজিক শিক্ষা, মিডিয়া, টয়লেট, হট স্প্রিং এবং আরও। আমার প্রিয় দুটি চ্যাপ্টার ছিল জাপানের সামাজিক শিক্ষা ও জাপানিজ মিডিয়া। জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমি বরাবরই ফ্যাসিনেটেড। আহারে কত কিছু যে শেখা যায় এই জাতিটা থাকে। ভালোর উল্টো পিঠে থাকে ভালোর উল্টোটা :p জাপানেও আছে কাস্ট সমস্যা, কুসংস্কার আর বৃদ্ধাশ্রমের একাকীত্ব। বছরে ৩৩০০০ তরুণ আত্মহত্যা করেন সেখানে। জানলাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ টয়লেট ম্যানুফ্যাকচারার জাপানিজ ‘টো-টো’ কোম্পানি সম্পর্কে। লেখক কথা প্রসঙ্গে কিছু জায়গায় এঁকেছেন বাংলাদেশের তুলনামূলক চিত্র। সেসব জায়গায় বুক চিরে বেরিয়ে এসেছে একটাই আওয়াজ, ‘আহারে! আমার দেশটা’। একদিন নিশ্চয়ই আমরা শিখবো। দেখে হোক, ঠেকে হোক, শিখবো ইন শা আল্লাহ্‌। ভালো বই। পাঁচে দিলাম চার। বাকি ৪ খণ্ড হাতে আছে...এগোই :D

ছোট ছোট গল্প দিয়ে সাজানো একটি চমৎকার বই। যারা জাপান নিয়ে জানতে আগ্রহী তারা এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। সময় ভালই কাটবে।

I enjoyed the book very much & Mr. Ashir Ahmed, you did a great job.

বইটি খুব সুন্দর এবং আমি বইটি পড়ার সময় মনে হয়েছিল যে আমি জাপানে আছি। এই বইয়ে জাপানের আনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে....

প্রতিটি কাহিনীই অনেক তথ্য ও শিক্ষা মূলক। এবং সূচনা আমাকে সবচাইতে বেশি আকৃষ্ট করেছে গল্প গুলো পড়ার জন্য।

উনি জাপানি নন আবার জাপানে বিদেশিও নন পুরোপুরি। এতগুলি বছর জাপানে কাটালে ওখানকারই একজন হয়ে যায় হয়ত। তবুও বাংলাদেশী রয়ে গেছেন অনেকখানি। তাই এই লেখায় দেখতে পেয়েছি একটু অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি - খুব কাছের থেকে দেখা আবার একটু দূরে দাড়িয়ে - নিজের দেশের স্মৃতি বিজড়িত হয়ে ভাবা আর দুটি মিলিয়ে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন জাপান জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি। লেখা সাবলীল, নিজের অজান্তেই কোথাও কোথাও হেসেছি আবার চোখের পানিও চলে এসেছে অনেক ঘটনা পড়ে। লেখকের সাফল্য কামনা করছি।

জাপান বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়, অনেকে গুগল ঘাটাঘাটি করে বা অনেকের কাছে প্রশ্ন করে জাপান বিষয়ে অল্পকিছু জানতে পারছে। জাপানের বিষয়ে জানার অনেকের আগ্রহ থাকলেও জাপানিজ ভাষাটাই এখানে একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু একজন খুব সুন্দর করে বাংলা ভাষাতেই আপনাদের জন্য জাপান বিষয় নিয়ে একটা বই বের করেছে। যেই বইটাতে তিনি তার জাপান এর দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা কথা লিখেছেন। আবার জাপান এর অনেক রীতিনীতি কথাও লিখেছেন। যা যেকোনো পাঠকের বা জাপান বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক মানুষের মনের খোঁড়াক মিটাবে বলে আশা করি। এই বইতা একবার পরতে বসলে মনে হয়না কোন পাঠক শেষ না করে উঠতে চাইবে। উনি এমনিতেই যখন সাধারণ কথা বলেন তখন অসাধারণ হয়ে উঠে। আর অসাধারণ কিছু বললে ত গিলে খাওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। আশা করি যারা পরবেন আমার সাথে একমত হবেন। উনার আর এইরকম তথ্যবহুল লিখার আশায় আছি, আসলে উনার এই অসাধারণ লেখাই আশায় রাখতে বাধ্য করেছে।

আশির যখন জাপানে পড়তে গিয়েছিল ও তখন ছাত্র। পুরো আলাদা একটা সংস্কৃতি থেকে সেখানে গিয়ে সে দেশের নানা কিছু দেখে ও স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছে। বিচিত্র বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত ঢঙে লেখা এই বইয়ের ছোট ছোট রচনাগুলো ওর সেই অবাক হওয়ার গল্প। জাপানি জীবনের নানা ব্যাপার দেখে ও একাই শুধু অবাক হয়েছে তা নয়, ওর স্বাদু চিত্তাকর্ষক আর আমেজি লেখার মৌতাতে পাঠক হিসাবে আমরাও যেমন কিছুটা অবাক হয়েছি। লেখাগুলো ছোট মজাদার বুদ্দিদীপ্ত ও গতিশীল। বিচিত্র তথ্যে ভরা। লেখার এই প্রসাদগুণ দিয়ে আশির ছোট ছোট বেশকিছু মানবিক গল্পের পাশাপাশি জাপানী জীবনের নানা পরিচয়- ওখানকার মানুষের আত্মহত্যা, তাদের ভুতে বিশ্বাস, ফিউনারেলের পরিপাটি ব্যবস্থা, স্মশান, কাস্ট সমস্যা, কুসংস্কার, সামাজিক শিক্ষা, ভাষা, মিডিয়া-এমনি হরেক বিষয়কে রমণীয় করে তুলেছে। দেশটিকে ও টুরিস্টদের মতো বাইরে থেকে দেখেনি -দেখেছে একজন বিদেশি হিসেবে যে বহুদিন সে দেশে থাকতে থাকতে নানা বাস্তব ও মানবিক অভিজ্ঞতায় ভরে উঠেছে। এ বই তারই উষ্ণ সজীব বিবরণ। এজন্যে বইটিতে জাপানের অন্তর্জীবনের খবর মেলে। বছর আট-দশ আগে জাপানে বেড়াতে গিয়ে আমি ওদেশের ওপর একটা ভাল বই নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বইটি পড়ে জাপান সম্বন্ধে আমি যতটুকু জেনেছিলাম, আশিরের জাপান কাহিনি পড়ে জাপান কে যেন জেনেছি তার চেয়ে বেশি। এর কারণ এ গল্প জাপানের একেবারে ভেতরের গল্প। লেখকের ব্যক্তিগত রসবোধ, চাউনি, বর্ননাভঙ্গি একে প্রাণবন্ত করেছে। বইটি আমাকে জাপানের বাসিন্দা করে তুলেছে। পড়ার সময় মনে হয়েছে আমি নিজেই দেশটিতে আছি। সব পাঠকের হয়তো তাই মনে হবে।