User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Suchana Chowdhury

      21 Sep 2022 12:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসলে কতটা ভালো বই এটা বলে বুঝানো সম্ভব না

      By Antara Aziz Afrida

      14 Jul 2022 02:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটি পড়ে প্রথমেই যেই কথাটি আমার মাথায় এসেছে তা হচ্ছে: “এই বইটি অসাধারণ! অসাধারণ” জাদুর মতো চমৎকার ও রহস্যময় একটি বই।।

      By MITA Debnath

      28 Apr 2022 08:03 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই,,, হিউম্যান সাইকোলজি কে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই বই টিতে,, একবার পড়তে শুরু করলে না শেষ করে ওঠা যাবে না,,,, থ্রিলার উপভোগ করতে পড়ে ফেলুন এই বইটি

      By Jannatul Firdous

      04 Feb 2020 05:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব প্রিয় একটা ব‌ই।

      By সান্তা রিকি

      16 Nov 2016 03:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি...নামটা শুনে কেমন যেন প্রেমের উপন্যাস মনে হচ্ছে না? প্রেম প্রেম মনে হলেও এখানে প্রেমের সেই আদর্শ ভাব নেই...আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতির প্রেম স্বাভাবিক দেখতে অস্বাভাবিক মানুষের খেয়ালি প্রেম বলতে পারেন। বইটাকে অনেকেই সাইকো থ্রিলার বলেছেন, সেই আগ্রহ থেকেই মূলত পড়া। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাইকো থ্রিলার পড়ার মজাটা চিন্তা করেই এই বই হাতে তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বলতে হচ্ছে যে, এটা সাইকো থ্রিলার না...বরং বিশুদ্ধ প্রকারের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এখন বলবেন দুটোর পার্থক্য কী? পার্থক্য আছে...অনেক। প্রধান পার্থক্য...প্লটিং এবং চরিত্র। এখানে বীভৎস সব খুনের বর্ণনা নেই বরং এখানে একজন মানুষের মনের জটিল দিকগুলো আছে এবং এর মাধ্যমেই পাঠক মনে শক্তপোক্ত প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয় আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি...পাঠককে ভাবাবে “আচ্ছা চরিত্রটা ঠিক কী করতে চলেছে বা কী চাইছে সে”। কেমন যেন একটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর ছান্দিক ভাব আছে। এখানে গৎবাঁধা ‘হু ডান ইট’ থ্রিলারের কোন প্লট নেই। পাঠক সব জানবে, দেখবে, বুঝবেও, কিন্তু তারপরেও কেমন যেন একটা চুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে যাবে। আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতির প্লট কেন্দ্রিভূত হয়েছে ফখরুদ্দিন চৌধুরী নামের এক ধনাঢ্য ব্যাক্তির উপরে এবং তার জবানিতেই পুরো উপন্যাসটি লেখা। অদ্ভুত ধরনের মানুষ সে, নিজেকে তার পাগল হিসেবে উপস্থাপনের ভঙ্গিমা দেখে পাঠক কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন ‘হচ্ছেটা কী’! জাদুকর হুমায়ুনের কারিশমা কিন্তু এটাই। উত্তম পুরুষে বলা তার প্রতিটি কথা শুনে মনে হবে, এই লোকটা বদ্ধ উন্মাদ...কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়লেই একমাত্র বোঝা সম্ভব আসলে ব্যাপার কী ছিল! হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের মূল থিমের মধ্যে একটি মানুষের জটিল মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা। লেখকের এই বইয়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। জটিল মনস্তত্ত্ব, জটিল প্লট, জটিল চরিত্র...গল্পটা কীভাবে সরল হবে বলুন? বইটাতে মূল চরিত্র এমন কিছু কাজ করে বা এমন কিছু জিনিস বলে, যাতে আপনি সহজেই ম্যানিপুলেটেড হয়ে পড়বেন। আর ঐ যে বললাম, উত্তম পুরুষে লেখার কারণে প্রতিনিয়ত মনে হবে মূল চরিত্র মনে হয় আমার সাথেই কথা বলছে। বইটা অক্টোপাসের মতো এর কর্ষিকাগুলো দিয়ে পাঠক মনকে সহজেই জড়িয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এটা পড়ার পর সত্যিই মনে হবে, লেখক হুমায়ুন সার্থক...শুধু কিছু শব্দের মাধ্যমে তিনি পাঠক মনকে কত সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলেন, যেটা অনেকেই পারেন না। সবশেষে বইয়ের এরকম অদ্ভুত নামকরণের ব্যাপারে বলব, আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি একটি মেটাফোরিক পাজল। অনেক দারুণ টাইপের কোন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পড়তে চাইলে এর বিকল্প হতে পারে না...জাদুকর হুমায়ুনের জাদুকরি লেখার আরেকটি বলিষ্ঠ নমুনা আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি।

      By আরিয়ান শুভ

      07 Mar 2021 09:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই : আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি লেখা : হুমায়ূন আহমেদ জনরা : সাইকো থ্রিলার প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ পার্সোনাল রেটিং : ৫/৫ মন্তব্য : পারফেকশন! এই বইয়ের তূল্য কিছু নেই । ● একজন মানুষ গল্প বলবে ; জীবনের গল্প। পাঠক নড়েচড়ে বসুন। কেননা গল্পটা আপনার জন্য মোটেই সুখকর হবেনা। এই গল্পটাও তেমনই অস্বস্তিকর একটা গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র ফখরুদ্দিন। একজন মানসিক রোগী। ইনি ই একটা গল্প বলবেন। গল্পটা এগিয়েছে উত্তম পুরুষে । তাই একটা সময় পরে বইটার সাথে একাত্মা হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল সত্যিই ফখরুদ্দিন আর আমি সামনাসামনি বসে আছি, আর তিনি আমার সাথেই গল্প করছেন। মানব চরিত্রের অন্ধকার দিকটা এই বইতে লেখক তুলে ধরেছেন। ঠাণ্ডা মাথায় একজন স্কিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত মানুষ কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সেটা এই বইটা পড়লে বুঝবেন। প্লট সম্পর্কে আর কিছুই বলবো না। শুধু বইটা পড়া শুরু করবেন একজন মানুষ আপনার এক ঘণ্টা সময় নষ্ট করে জীবনের গল্প শোনাচ্ছে - এটা ভেবে। আর তারপর? তারপর কী হবে সেটা আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন। পাঠ প্রতিক্রিয়া ----------------------------- আমি নির্বাক! এই বইটা শেষ করে আমি একরকম থ মেরে গিয়েছি। বাংলা সাহিত্যে এরকম মৌলিক কাজ কেউ কখনো করতে পারবে তা কল্পনাও করিনি। অথচ বইটা আন্ডাররেটেড। হুমায়ূন আহমেদের করা সেরা কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বইটা। পড়ে বারবার মনে হয়েছে যেন বিদেশী কোনো লেখকের বই পড়ছি। এত সুন্দর বর্ণনাশৈলী আগে কোনো বইতে পাইনি। এই বইটা বাংলাদেশের সাহিত্যকে রিপ্রেজেন্ট করে অচিরেই ইংরেজিতে অনুবাদ হবার যোগ্যতা রাখে। হুমায়ূন আহমেদের পুরো লেখকজীবনে যদি কোনো মাস্টারপিস বইয়ের লিস্ট থেকে থাকে তবে তার মধ্যে এই বইটা অন্তর্ভূক্ত থাকতে বাধ্য। এই বইটির তুলনা নেই। যারা সাইকো থ্রিলার বোঝেন - তাদের দারুণ সময় কাটবে এই বইটার সাথে নিঃসন্দেহে । আমার তরফ থেকে মাস্ট রিড রিকমেন্ডেড বই এটা।

      By Ahsan ANik

      26 Jan 2020 03:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কোন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের একটু এদিক সেদিক হলেই আমরা ভেবে নিই এই মানুষটার মাথায় গল্ডোগল আছে! “আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি” সেরকমই সাইকোথ্রিল গল্প! বইটি পড়ে আপনার ভাবনা চিন্তাগুলোকে একটু ভাবাতে বাধ্যে করবে! মনে হতে থাকবে জীবন টা এমন হলে মন্দ হতো না!! ফখরুদ্দিন চৌধুরি গল্পে উত্তম চরিত্রে আছেন! তার সাথে বসবাস করা মানুষ গুলো ধরেই নিয়েছেন তিনি পাগল! তার স্ত্রী রূপা ধীরে ধীরে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি পাগল! নানান সব অদ্ভদ কান্ড দেখে এমন টা ভাবাই স্বাভাবিক! এই যেমন বাঁদরের সাথে কথা বলা, গাছে পানির বদলে বিষ আর রক্ত দেয়া, ছাদে নাকডুবে পানিতে শুয়ে থাকা! এখানে গল্পে খুন হয়, এখন খুনটা কেমন কী ভাবে? পাঠক গন পড়ে তা বের করুন, সেটা বুঝতে পারলে বেশ মজাই পাবেন! বইটি তাদের জন্য খুব আরামদায়ক, যারা থ্রিল খুব ভালোবাসেন!!

      By Jannatul Naym Pieal

      01 May 2014 08:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রথমেই বলে রাখি, 'আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি' উপন্যাসের কাহিনি মৌলিক কিনা আমি জানি না। তবে যদি এই উপন্যাস কোন বিদেশী উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে রচিত হত, তাহলে তো হুমায়ুন আহমেদ নিশ্চয়ই তা জানাতেন, তাই না? শুরুতেই উপন্যাসের মৌলিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করার পেছনে বেশ বড়সড় একটা কারণ আছে। উপন্যাসটি পড়তে গেলে বারবার আমার মনে যে চিন্তাটা আসে তা হলঃ আচ্ছা, এই বইয়ের কাহিনি যদি সম্পূর্ণভাবে হুমায়ুন আহমেদের নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত হয়ে থাকে তা হলে এই উপন্যাস নিয়ে বাংলাদেশে তেমন বড় ধরণের কোন আলোড়ন তৈরি হয়নি কেন? হ্যাঁ, সত্যিই আলোড়ন সৃষ্টি হওয়া উচিৎ ছিল। 'আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি' এমনই টানটান উত্তেজনা আর রহস্যে মোড়া একটা সাইকোলজিকাল থ্রিলার যে এই বই বিদেশে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস মাতামাতি অব্যহত থাকত। অথচ আমাদের দেশে সেরকম কিছুই হয়নি। হায় রে কপাল! আমাদের দেশের মানুষ হয়ত এই বইটি পড়ে এর সত্যিকারের স্বাদই আস্বাদন করতে পারেনি। হ্যাঁ, আমি জানি হুমায়ুন আহমেদ মধ্যবিত্ত সমাজের জীবনঘনিষ্ঠ রচনার জন্য অধিক সমাদৃত যেখানে প্রেম ভালোবাসা এবং অন্যান্য মানবীয় সম্পর্ক ও সূক্ষ্ম আবেগকে খুব বেশি হাইলাইট করা হয়। এই বইতেও তা ঠিকই হয়েছে। তবে আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের কাছেই হুমায়ুন আহমেদের লেখা মানে হল একটা প্রেমের কাহিনি। কিন্তু সরাসরিভাবে সেই প্রেম ভালোবাসাটাকে এই বইয়ে লেখক প্রাধান্য দেন নাই যে কারণে হয়ত 'আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি'র মত রোমান্টিক নাম দেখে যারা বইটি কিনেছিল, পড়তে গিয়ে তারা যারপরনাই হতাশ হয়েছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আলোচ্য উপন্যাসটি লেখকের এক অসাধারণ সৃষ্টি। ঠিকঠাক উৎসাহ পেলে হয়ত সাইকোলজি নির্ভর এই ধরণের একক উপন্যাস তিনি নিয়মিতভাবে লিখে যেতেন। হুমায়ুন আহমেদের লেখার যে প্রধান বৈশিষ্ট্য তা হল তিনি অতি সাধারণ ঘরোয়া ভঙ্গিতে একটা গল্প পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেন। এই বইতেও তিনি তার ব্যতিক্রম কিছু করেন নাই। কিন্তু তবু এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু শুরু থেকেই এত রহস্যাবৃত, ঘটনাপ্রবাহে এত বেশি ধোঁয়াশা আর মুখ্য চরিত্রটি এতটাই জটিল যে যথাযথভাবেই উপন্যাসটির মধ্যে সাইকো থ্রিলার টাইপের আবহ বিদ্যমান ছিল। অতি সাদামাটা বর্ণনার মাধ্যমেও যে কোন লেখক অনায়াসে সেই আবহটা রচনায় নিয়ে আসতে পারেন, এই উপন্যাস পড়ার আগে তা কখনো আমার কল্পনায়ও আসেনি। এই উপন্যাসের কাহিনি ঠিক বলে বুঝানোর মত না। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফখরুদ্দীন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি যার নিজের জবানিতে উক্ত হয়েছে কাহিনি। ফখরুদ্দিন চৌধুরীকে শুরুতেই দেখা যাবে এক সাইক্রিয়াটিস্টের সাথে দেখা করতে যেতে। এ থেকেই মোটামুটি পাঠক বুঝতে পারবেন যে লোকটার মধ্যে কিছুটা হলেও অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে। এরপর কিছুটা অগোছালোভাবে লোকটা বলে যেতে থাকবে তার জীবনের কাহিনী, তার অস্বাভাবিকত্বের বিভিন্ন নমুনা আর তার বিয়ের কাহিনি। বিয়েটা ঠিক কি কারণে সে করে তার বর্ণনা যেমন থাকবে তেমনি বিয়েকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কিছু নাটকীয়তারও অবতারণা ঘটবে। একই সমান্তরালে তার মানসিক যে অস্বাভাবিকত্ব, সেটাও ক্রমশ প্রকাশ পেতে থাকবে যার ফলশ্রুতিতে গল্পে পরপর তিনটি মৃত্যু ঘটবে। এই তিনটি মৃত্যুর অন্তত দুটিতে লোকটার প্রত্যক্ষ সংযোগ ছিল। কিভাবে এই মৃত্যুগুলো হল তা নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনীর মূল অংশটুকু পাশাপাশি কাহিনীর ক্লাইম্যাক্সে ঐ মৃত্যুসমূহের পরের কিছু পরিণতিও তুলে ধরা হয়েছে। সবমিলিয়ে এক হাফ সাইকো এবং অত্যন্ত শিক্ষিত এক ব্যক্তির জীবনের বিচিত্র সব ঘটনার রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা রয়েছে গোটা উপন্যাস জুড়ে। কেন্দ্রীয় চরিত্র যেভাবে লজিক আর অ্যানটি লজিক নিয়ে খেলা করতে থাকবে সেটা সাইকোলজি বিষয়ে আগ্রহীরা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবে। যে মৃত্যু দুটির সাথে লোকটার সরাসরি যোগাযোগ ছিল, সেই মৃত্যু তিনটির আগেপরের যে বর্ণনা আছে উপন্যাসে তা পড়ে পাঠক যেমন শিউরে উঠবে তেমনি তাদের মধ্যে বিচিত্র কারণে অদ্ভূত ভালো লাগারও সৃষ্টি হতে পারে। আর সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি তা হল, উপন্যাসটি পড়ার সময় এর বিচিত্র সব ঘটনাপ্রবাহের জন্য পাঠকের মনে এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের প্রতি তীব্র ঘৃণা জন্মানোর কথা। অথচ একটা পর্যায়ে উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠক অনুভব করবে, লোকটার প্রতি তাদের মোটেই ঘৃণাবোধ জন্মাচ্ছে না। বরং কখনো তার প্রতি ভক্তি জাগছে আবার কখনো বা সহানুভূতি জন্মাচ্ছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রের ব্যাপারে পাঠক নিজেও যাতে এক রকম ঘোরের মধ্যে চলে যায় সেক্ষেত্রে লেখক দারুণ একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তিনি উত্তম পুরুষে, স্বয়ং মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকটার নিজের জবানিতে গল্পটি তুলে ধরেছেন। এবং মানতেই হবে, লেখকের এই বিশেষ স্ট্র্যাটেজিটা পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে চমৎকারভাবে কাজে লেগেছে। পরিশেষে একটা কথাই বলব, 'আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি' হুমায়ুন আহমেদের একটি অনবদ্য সাইকো থ্রিলার যেখানে তিনি আরও একবার চেষ্টা চালিয়েছেন মানুষের মনোজগতের বৈচিত্র্য ও অস্বাভাবিকত্বকে গল্পের আঙ্গিকে তুলে ধরতে এবং বলাই বাহুল্য যে লেখকের এই প্রচেষ্টা সর্বাঙ্গীনভাবে সফল হয়েছে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      প্রথমেই বলে রাখি এটি একটি সাইকো থ্রিলার। গল্পের প্রধান চরিত্র ফখরুদ্দিন চৌধুরী। বইটি উত্তমপুরুষে লেখা। ফখরুদ্দিনের নিজের জবানিতে কাহিনী বর্ণনা করা।পড়ার সময় মনে হয় সে আপনাকেই গল্পটা বলছে। ফখরুদ্দিন সাহেবের বিয়ে নিয়ে একটা ঘটনা আছে। সে তার দূরসম্পর্কের মামার সাথে কনে দেখতে যায়। কনে পছন্দ হওয়াতে সেরাতেই তারা বিয়ের কাজ সমাধা করে রাখে। উল্লেখ্য যে ফখরুদ্দিনের মামা ইফতেখার সাহেব একজন সরকারী কাজি । বিয়ের পরদিন তার স্ত্রী তার সাথে থাকতে রাজি হন না।বিয়ে ভেঙ্গে দিতে সে কান্নাকাটি শুরু করে। এই ঘটনায় ফখরুদ্দিন বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর তার সাবেক স্ত্রীর ছোট বোনের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার বিয়ে হয়।তার স্ত্রী রুপা বিয়ের কদিনের মাথায় মনে করে তার স্বামী মানসিক রুগী। সে ভুলিয়ে ভালিয়ে তাকে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছেও নিয়ে যায়। অবশ্য রুপার ওকে মানসিকভাবে অসুস্থ ভাবার অনেক কারন আছে। তারমধ্যে থেকে দুইটা ঘটনা বলি। ১. ফখরুদ্দিন সাহেবের একটা বদভ্যাশ হচ্ছে রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ছাদে শুয়ে থাকা। একদিন বৃষ্টির সময় রুপার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ছাদে গিয়ে দেখে ফখরুদ্দিন বৃষ্টির মধ্যেই শুয়ে আছে। ছাদে পানি জমে গেছে, সে তার মধ্যেই শুয়ে আছে। ২. ফখরুদ্দিন একবার এক্সপেরিমেন্টের জন্য ১০ ব্যাগ রক্ত নিয়ে আসে। সে রক্ত সে পেয়ারা গাছের গুঁড়িতে দিয়ে দেখতে চাচ্ছে ফলাফল কি হয়। এই দুইটা ঘটনাই ফখরুদ্দিন কে মানসিক রুগী ভাবতে যথেষ্ট।আরও নানান ঘটনা আছে। ফখরুদ্দিন দুইটা খুন করে ঠান্ডা মাথায়। অবশ্য সে ফিজিক্যালি খুন টা করেনা। সাইকোলজিক্যাল ভাবে খুন করে। অবশ্য এগুলাও তার এক্সপেরিমেন্টের অংশ। ব্যক্তিগত মতামতঃ বিদেশে এরকম একটা সাইকো থ্রিলার বেরুলে হইচই পড়ে যেত। অথচ এই বই নিয়ে আমি কোনও হইচই দেখিনি। আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। যারা সাইকো থ্রিলার পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করি।

      By Sawon Ahmed

      26 Jul 2016 11:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রথমেই বলে রাখি এটি একটি সাইকো থ্রিলার। গল্পের প্রধান চরিত্র ফখরুদ্দিন চৌধুরী। বইটি উত্তমপুরুষে লেখা। ফখরুদ্দিনের নিজের জবানিতে কাহিনী বর্ণনা করা।পড়ার সময় মনে হয় সে আপনাকেই গল্পটা বলছে। ফখরুদ্দিন সাহেবের বিয়ে নিয়ে একটা ঘটনা আছে। সে তার দূরসম্পর্কের মামার সাথে কনে দেখতে যায়। কনে পছন্দ হওয়াতে সেরাতেই তারা বিয়ের কাজ সমাধা করে রাখে। উল্লেখ্য যে ফখরুদ্দিনের মামা ইফতেখার সাহেব একজন সরকারী কাজি । বিয়ের পরদিন তার স্ত্রী তার সাথে থাকতে রাজি হন না।বিয়ে ভেঙ্গে দিতে সে কান্নাকাটি শুরু করে। এই ঘটনায় ফখরুদ্দিন বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর তার সাবেক স্ত্রীর ছোট বোনের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার বিয়ে হয়।তার স্ত্রী রুপা বিয়ের কদিনের মাথায় মনে করে তার স্বামী মানসিক রুগী। সে ভুলিয়ে ভালিয়ে তাকে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছেও নিয়ে যায়। অবশ্য রুপার ওকে মানসিকভাবে অসুস্থ ভাবার অনেক কারন আছে। তারমধ্যে থেকে দুইটা ঘটনা বলি। ১. ফখরুদ্দিন সাহেবের একটা বদভ্যাশ হচ্ছে রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ছাদে শুয়ে থাকা। একদিন বৃষ্টির সময় রুপার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ছাদে গিয়ে দেখে ফখরুদ্দিন বৃষ্টির মধ্যেই শুয়ে আছে। ছাদে পানি জমে গেছে, সে তার মধ্যেই শুয়ে আছে। ২. ফখরুদ্দিন একবার এক্সপেরিমেন্টের জন্য ১০ ব্যাগ রক্ত নিয়ে আসে। সে রক্ত সে পেয়ারা গাছের গুঁড়িতে দিয়ে দেখতে চাচ্ছে ফলাফল কি হয়। এই দুইটা ঘটনাই ফখরুদ্দিন কে মানসিক রুগী ভাবতে যথেষ্ট।আরও নানান ঘটনা আছে। ফখরুদ্দিন দুইটা খুন করে ঠান্ডা মাথায়। অবশ্য সে ফিজিক্যালি খুন টা করেনা। সাইকোলজিক্যাল ভাবে খুন করে। অবশ্য এগুলাও তার এক্সপেরিমেন্টের অংশ। ব্যক্তিগত মতামতঃ বিদেশে এরকম একটা সাইকো থ্রিলার বেরুলে হইচই পড়ে যেত। অথচ এই বই নিয়ে আমি কোনও হইচই দেখিনি। আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। যারা সাইকো থ্রিলার পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগবে আশা করি।

      By Wasifa Zannat

      20 Jun 2016 03:53 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ” আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি” উপন্যাসটি জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের অনবদ্য সাইকো থ্রিলার। উপন্যাসের মূল চরিত্র ফখরুদ্দীন চৌধুরী উত্তম পুরুষে পুরো কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন।। ফখরুদ্দিন চৌধুরী এক জন সাইক্রিয়াটিস্টের সাথে দেখা করতে যান। এরপর নিস্পৃহভাবে তিনি তার জীবনের কাহিনী বলে যেতে থাকেন, সবকিছুর মধ্যেও চমকপ্রদ তার বিয়ের কাহিনী। বিয়েটা ঠিক কি কারণে সে করে তার বর্ণনা দেন। বিয়েকে কেন্দ্র করে নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছিলো তার বর্ণনা দেন।। এই গল্পে তিনটি মৃত্যু কাহিনী আছে। এই তিনটি মৃত্যুর অন্তত দুটিতে ফখরুদ্দিন চৌধুরীর প্রত্যক্ষ সংযোগ ছিল। কিভাবে এই মৃত্যুগুলো হল তা নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনীর মূল অংশটুকু আবর্তিত হয় এমনকি ঐ মৃত্যুসমূহের পরবর্তী কিছু পরিণতিও তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রের মধ্যে পরস্পরবিরোধীতা দেখা যায়, তার লজিক আর অ্যান্টিলজিক নিয়ে খেলাটা পাঠক উপভোগ করবেন। যে মৃত্যু দুটির সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল, সেই মৃত্যু তিনটির আগে ও পরের যে বর্ণনা তা আসলেই অনবদ্য। পুরো বইয়ে যাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করার কথা ছিলো, লেখকের এক অদ্ভুত সফলতায় সেই চরিত্রটির প্রতিই সবচেয়ে বেশি মায়া জাগে। অবশ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পছন্দ করেন তা বলাই বাহুল্য।/লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!