User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর বই
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Fine
Was this review helpful to you?
or
it was tremendous
Was this review helpful to you?
or
টুনটুনি হলিক্রস স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছে। খলিলুল্লাহ। দেখতে সে আমাদের। মতােই সাধারণ মানুষ। তবে সে পানিতে ডুবে থাকতে পারে ঘণ্টার পর ঘন্টা, নষ্ট কলকবজা ঠিক করতে পারে। সে। প্রকৃতপক্ষে বড়ই রহস্যময়। তাকে নিয়ে অনেক কৌতুহল টুনটুনির। সে খলিলুল্লাহর কাজকারবার দেখে বেশ মজা। পায়। তবে তার বাবা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী মােটেই মজা পান না। তিনি আতঙ্কে অস্থির। তবে তিনিও জানতে চান রহস্যটা কী। কে এই খলিলুল্লাহ? সে কি সুপারম্যান বা স্পাইডারম্যানের দলের। সদস্য? নাকি সে এলিয়েন? অথবা সে। ভূত বা জিন নয়তাে? সে কি এরকমই থাকবে না হয়ে উঠবে অন্য সবার মতােই? কী হবে তার শেষ খলিলুল্লাহর। শেষ পরিণাম? এসব জানতে চাও? যদি জানতে চাও তবে তােমাদের পড়তেই হবে হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় মানব বইটি। কে জানে সেটি পড়ে যদি তুমি সেই রহস্যভেদও করতে পারাে কিংবা তুমিও হয়ে যেতে পারাে তার মতােই একজন!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বইটা ?..একদিনে পড়ে শেষ করেছি ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ মানেই ভালোবাসা ?
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
সাইন্স ফিকশন কখনো বাস্তবতার সাথে মিলে যায় না। কিন্তু এই বইটি এমনভাবে গুছিয়ে লিখা হয়েছে, যে সাইন্স ফিকশনকে বাস্তবেই খুজে পাবেন। বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় গেলে অনুভব করবেন এক প্রকার অস্তিরতা কেন এত তারাতারি গল্পটা শেষ হলো আর বইটি পড়া শেষ হলে নিজের অজান্তেই ২/৩ টা প্রশ্নের উত্তর খুজতে থাকবেন।
Was this review helpful to you?
or
বইটি হুমায়ুন আহমেদের অসাধারণ একটা বই। বইটি সায়েন্স ফিকশন হলেও মনে হবে নাহ আপনি সায়েন্সের জটিলতায় পরেছেন। খুবই ছোট একটি বই কিন্তু বইটি শেষ করে অনেকক্ষন বইটি নিয়ে ভাবা যায়। মনে গেঁথে যাবার মত বই। বিজ্ঞানের অপার সম্ভাবনার কথা জানবেন, ডারউইনের মতবাদ জানবেন কিন্তু মনেই হবে নাহ যে এগুলো বিজ্ঞানের জটিল কিছু। মূলত গ্রাম্য মাটিকাটা এক শ্রমিক থাকে কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে কিন্তু মানুষ হিসেবে তার অসাভাবিক ক্ষমতা মানুষকে মোহিত করে। তাকে ঘিরেই ঘটনা প্রবাহিত হতে থাকে। অন্য একটি চলে যাওয়া যায় বইটি পড়ে যা কিনা দ্বিতীয় মানবদের।
Was this review helpful to you?
or
বই টা পরলাম অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু আমি আর্ডার এই করতে পারতেছি না যদি কেউ আমাকে হেল্প করতো তাহলে অনেক ভালো হতো
Was this review helpful to you?
or
It,s an awesome book
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ দ্বিতীয় মানব লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্য প্রকাশনী ধরনঃসায়েন্স ফিকশন মূল্যঃ১২০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ৯০ টাকা) . #প্রধান_চরিত্রঃখলিলুল্লাহ যার আরেক নাম অরণ্য, মাহতাব হোসেন ও তার মেয়ে টুনটুনি এছাড়া ও আরও কিছু পার্শ্বচরিত্র জালাল খাঁ, হেডমাস্টার হাবিবুর রহমান, বারেক। . গল্পের শুরুতে দেখা যায় খলিলুল্লাহ গ্রাম্য থেকে আসা এক যুবক। যাকে হেডমাস্টার হাবিবুর রহমান নেত্রকোনা থেকে ঢাকাতে মাহতাব হোসেন এর নিকট পাঠিয়েছে। তিনি খলিলুল্লাহ এর কাছে মাহতাব হোসেনের জন্য একটি চিঠিও দেন। ওই চিঠির মাধ্যমে মাহতাব হোসেন খলিলুল্লাহ এর বিস্ময়কর কিছু ক্ষমতার কথা জানতে পারেন। . মাহতাব উদ্দীন সাহেব অনেক বড় ব্যাবসায়ী। রোড এক্সিডেন্টে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন দূর্ভাগ্য হলেও সত্য তার দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা যায়।তারপর আর বিয়ে করেনি তিনি।তার একমাত্র মেয়ে টুনটুনি। টুনটুনি ক্লাস নাইনে পড়ে।অসম্ভব সুন্দর একটি মেয়ে।টুনটুনি মধ্যে আছে অনেক গুন তারপর ও তার কোন বন্ধুবান্ধব নেই। টুনটুনি তার বাবার কাছে খলিলুল্লাহর কথা শুনে তার সাথে কথা বলতে চায়।খলিলুল্লাহরর সাথে কথা বলার পর তার বিস্ময়কর ক্ষমতার কথা যানে।খলিলুল্লাহর বিস্ময়কর ক্ষমতা গুলো হলঃ . #পানির_নিচে_নিঃশ্বাস_না_নিয়েই_খলিলুল্লাহ ঘন্টার_পর_ঘন্টা_থাকতে_পারে,_কোন_রকম ইলেক্ট্রনিক্স_সম্পর্কে_জ্ঞান_না_থাকার_পরও খলিলুল্লাহ_যে কোন_ইলেক্ট্রনিক্সের_যন্ত্রপাতি ঠিক_করতে_পারে। . টুনটুনি খলিলুল্লাহর বিস্ময়কর ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়, টুনটুনির বাবা ও তার ক্ষমতায় অবাক হন। খলিলুল্লাহকে তিনি বাসাতে রাখেন আরো ভাল ভাবে থাকে পরিক্ষা করার জন্য মাহতাব তার বন্ধু জালাল খাঁ কে ডেকে আনেন। . এদিকে টুনটুনির খলিলুল্লাহকে খুব ভাল লাগে সে তার আরেক নাম দেয় অরণ্য, এবং তাকে পড়াশোনা শিখাতে থাকে। . মাহতাব হোসেন ও তার বন্ধু জালাল খাঁ খলিলুল্লাহের এসব ক্ষমতার ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা।জালাল খাঁ খলিলুল্লাহকে নতুন একটি যন্ত্র বানাতে বলে। খলিলুল্লাহ তাদের বলে যে সে টুনটুনির জন্য নতুন একটি যন্ত্র বানাবে। . এক পর্যায়ে মাহতাব হোসেন টুনটুনির সাথে খলিলুল্লাহর মেলামেশায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।তাই একদিন রাতে তিনি তার সহকারী বারেককে ডেকে খলিলুল্লাহকে মেরে ফেলার আদেশ দেন। মাহতাব হোসেন এর কথামত বারেক খলিলুল্লাহকে হাত পা বেঁধে ইটের ভাটায় ফেলে দেয়। . খলিলুল্লাহকে যেদিন হত্যা করা হয় সেদিন রাতে টুনটুনির প্রচন্ড জ্বর আসে এবং অবাক করার বিষয় হল টুনটুনি ও খলিলুল্লাহর মতো পানির নিচে নিশ্বাস না নিয়ে থাকতে পারছে!! . খলিলুল্লাহ কে ছিল? আর সে টুনটুনির জন্য কি এমন যন্ত্র তৈরি করতে চেয়েছিল? যার জন্য মাহতাব হোসেন তাকে মেরে ফেলেন।আর টুনটুনি তার কি হল সে কেমন করে খলিলুল্লাহর মতো হয়ে গেল? প্রশ্ন গুলার উত্তর জানতে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদ এর দ্বিতীয় মানব বই খানা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ন আহমেদ এর লেখা গল্পগুলোর মাঝে অন্যরকম এক ধরণের আকর্ষণ থাকে। দ্বিতীয় মানব গল্পটিও তার ব্যাতিক্রম নয়। উনি গল্পটাকে বেশ রহস্যময়তা আর উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন।যা আমার কাছে ভালো লেগেছে।ফ্যান্টাসি, কল্পবিজ্ঞান, আর একটু রহস্য মিশিয়ে লেখা এই অদ্ভূত সুন্দর একটি বই। পড়ে দেখুন ভাল লাগবে আশা করি। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
পাপ জিনিসটা অদ্ভুত। ভুলে থাকতে চাওয়া কিংবা চেপে রাখতে চাওয়া পাপ কখনো যদি বেরিয়ে যায় কিংবা বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, তখন তা যেকোন মূল্যে চেপে রাখার জন্য মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। বিষয়টাকে অনেকটা অস্তিত্ববাদ চেতনার সাথে সম্পৃক্ত বলা যায়! মাহতাব উদ্দিন বদমেজাজি প্রকৃতির মানুষ। তবে শুধুমাত্র নিজের একমাত্র মেয়ের ক্ষেত্রে তিনি সর্বদা নমনীয়তা বজায় রাখেন। বর্তমানে খলিলুল্লাহ নামক জনৈক এক ব্যক্তির উপর তিনি চরম লেভেলের বিরক্ত। কিন্তু মেয়েকে দেওয়া কথা "আগামী এক সপ্তাহ কারো সাথে রাগ করবেন না" রাখতে গিয়ে তিনি তার বিরক্তি কোনোভাবেই প্রকাশ করতে পারছেন না। খলিলুল্লাহ গ্রাম থেকে আসা এক যুবক। মাহতাব সাহেবের কাছে তার আসার কারন সে নিজেও জানে না। নীলগঞ্জ স্কুলের হেডমাস্টার হাবিবুর রহমানের পরামর্শে সে মাহতাব সাহেবের কাছে এসেছে। তার অদ্ভুত কিছু ক্ষমতা রয়েছে। সে যত সময় ইচ্ছা পানির নিচে থাকতে পারে। যেকোন যন্ত্র সে অনায়াসেই 'ফইড়' করতে পারে। টুনটুনি মাহতাব সাহেবের একমাত্র কন্যা। একজন পিতার আদর্শ কন্যার যে যে গুন দরকার সবই তার মধ্যে রয়েছে। যদিও তার বন্ধুর সংখ্যা একেবারে নাই বললেই চলে। বর্তমানে সে খলিলুল্লাহ নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যস্ত। খলিলুল্লাহ নামটা তার পছন্দ হয়নি বিধায় সে লোকটির নতুন নাম রেখেছে অরণ্য। জালাল খাঁ মাহতাব উদ্দিনের বন্ধু। ভীষন বইপড়ুয়া এই ব্যক্তি বই পড়ার বাইরে একটু সময়ও নষ্ট করতে রাজি নন। অথচ সেই ব্যক্তি বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে আছেন খলিলুল্লাহ নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে। খলিলুল্লাহ ওরফে অরণ্য নামের ব-কলম এই ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারন অবশ্য সে যেকোন যন্ত্রের ফইড়ের পাশাপাশি নতুন যন্ত্র তৈরীও করতে পারে। সে বর্তমানে 'Past Recorder' নামের একটা যন্ত্র বানাচ্ছে যাতে তিনি সহযোগিতা করছেন। কে এই খলিলুল্লাহ? সে কি রোবট? নাকি Homo Superior? নাকি জ্বিন? তার বুড়ো আঙুলের রহস্যইবা কি? আচ্ছা, 'ফইড়' কি? খলিলুল্লাহকে নিয়ে মাহতাব উদ্দিন সাহেবের এত চিন্তার কারন কি? কেনইবা তিনি খলিলুল্লাহকে বন্দি করে রাখছেন? কেন তিনি টুনটুনিকে খলিলুল্লাহর কাছে যেতে দিচ্ছেন না? তিনি কাকে ভয় পাচ্ছেন? খলিলুল্লাহকে? নাকি তার তৈরীকৃত যন্ত্রকে? খলিলুল্লাহকে যে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে ঐ ঘরে কি আগেও কাউকে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো? শেষের দিকে পানি দ্বারা মৃত্যু দিয়ে তিনি কিসের ইঙ্গিত দিলেন? মাহতাব সাহেব কি তবে..? আচ্ছা, খলিলুল্লাহ কি তবে দ্বিতীয় মানব?? মাহতাব সাহেবের অজ্ঞাতসারে কি নতুন কোনো দ্বিতীয় মানবের জন্ম হচ্ছে? এতসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে "দ্বিতীয় মানব" বইটি। দ্বিতীয় মানব কি ধরনের বই সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। এটি কি সাইকোলোজিক্যাল নাকি অতিপ্রাকৃত? নাকি সায়েন্স ফিকশন? আসলে আমি এই বইয়ের ধরন বের করতে ব্যর্থ! তবে.. ভালো লেগেছে বইটি। বিশেষ করে জালালা খাঁ'র চরিত্রটি। যেন একেকজন বইপড়ুয়ার আকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যত প্রতিচ্ছবি!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ১৭ বই : দ্বিতীয় মানব লেখক : হুমায়ূন আহমেদ ধরন : অতিলৌকিক মূল্য : ১২০ টাকা ফ্ল্যাপ থেকে : টুনটুনি হলিক্রজ স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। সায়েন্স গ্রুপ। সে জনৈক খলিলুল্লাহর উপর মোটামুটি গবেষণাধর্মী একটা প্রবন্ধ লিখছে। প্রবন্ধের নাম- ‘সে কে?’ খলিলুল্লাহ নামের লোকটির কর্মকান্ডে সে খুবই মজা পাচ্ছে। টুনটুনির বাবার নাম মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি মোটেই মজা পাচ্ছেন না। তিনি আতঙ্কে অস্থির হয়ে আছেন। খলিলুল্লাহ আসলে কে? সে কি দ্বিতীয় মানব? কাহিনী : খলিলুল্লাহ গ্রাম্য থেকে আসা এক যুবক। যাকে হেডমাস্টার হাবিবুর রহমান নেত্রকোনা থেকে ঢাকাতে মাহতাব সাহেবের এর নিকট পাঠিয়েছেন। তিনি খলিলুল্লাহ এর কাছে মাহতাব সাহেবের জন্য একটি চিঠিও দেন। ওই চিঠির মাধ্যমে মাহতাব, খলিলুল্লাহ এর বিস্ময়কর কিছু ক্ষমতার কথা জানতে পারেন। মাহতাব সাহেব শিল্পপতি। রোড এক্সিডেন্টে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর, তিনি আবার বিয়ে করেন। এবং দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা যায়। তারপর আর বিয়ে করেনি তিনি। তার একমাত্র মেয়ে টুনটুনি ক্লাস নাইনে পড়ে। অসম্ভব সুন্দর ও গুণবতী হওয়ার পর ও তার কোন বন্ধুবান্ধব নেই। টুনটুনি তার বাবার কাছে খলিলুল্লাহর কথা শুনে তার সাথে কথা বলতে চায়। খলিলুল্লাহর সাথে কথা বলার পর সে জানতে পারে সে ঘন্টার পর ঘন্টা পানির নিচে থাকতে পারে। আবার কোন রকম ইলেক্ট্রনিক্স সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার পরও সে যে কোন ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি ঠিক করতে পারে। ট খলিলুল্লাহর বিস্ময়কর ক্ষমতা দেখে টুনটুনি ও তার বাবা অবাক হন। মাহতাব সাহেব তার বন্ধু জালাল খাঁ কে ডেকে পাঠান। বন্ধু জালাল খাঁ খলিলুল্লাহর এসব ক্ষমতার ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা। তিনি খলিলুল্লাহ কে নতুন একটি যন্ত্র বানাতে বলে। খলিলুল্লাহ এই যন্ত্র তৈরি করে টুনটুনির জন্য। আর তারপরই ঘটে যায় পর পর কয়েকটি ঘটনা। পাঠ প্রতিক্রিয়া : প্রতিক্রিয়া বলার আগে, অতিরিক্ত কিছু কথা বলি।আমার জীবনে প্রথম বই পড়ার সূচনা ঘটেছিল হাজার বছর ধরে উপন্যাসের মাধ্যমে। দীর্ঘ ১১দিন লেগেছিল সেই উপন্যাস শেষ করতে। তখন আমি ক্লাস থ্রি। সেই বছরই আপু তার বান্ধবীর কাছে থেকে জন্মদিনে এই বইটি উপহার পায়। জীবনে সর্ব প্রথম যে বই দেখে আমি ভয় পেয়ে থাকি, সেটি হল এই বই। রক্তাভ বর্ণের কিম্ভুতকিমাকার মানুষটির ছবিওয়ালা এই বই বাড়ির সবচেয়ে গভীর তম স্থানে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, যেন কখনো আমার চোখে না পড়ে। ক্লাস ফোরে বার্ষিক পরীক্ষার পর আমি প্রথম এই বইটি পড়তে বসি। বলাই বাহুল্য, আগেই আপুর থেকে খানিকটা কাহিনী শুনে নিয়েছিলাম। নয়ত ক্লাস ফোরে পড়ুয়া কারো এই ধরনের উপন্যাসে হাত দেয়ার সাহস হয়ত হত না। যাই হোক, পড়তে শুরু করলাম, এবং জীবনে প্রথমবারের মত আবিষ্কার করলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজ হল বই পড়া। বইটি শেষ করে একটু ভয়ও পেয়েছিলাম। ইট ভাটা ব্যাপারটির প্রতি আমার কিছুটা ভয় শুরু হয় এই বইটি পড়ার পর থেকেই। সাথে সাথে এই বইয়ের মাধ্যমেই আমি হুমায়ূন আহমেদের লেখার সাথে পরিচিত হই। তাই দ্বিতীয় মানব সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ বই হিসেবে বিবেচিত। আপনারা যারা পড়েননি, দ্রুত পড়ে ফেলুন। অবশ্য আমার ধারনা, খুব কম মানুষই আছে, যারা বইটি পড়েননি।
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক আগে পড়েছিলাম, তারপরও আজ হঠাৎ কেন পড়লাম বুঝতে পারছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি কাহীনি আমার অসাধারণ লেগেছে। তো রিভিউয়ে চলে যাই..... মাহতাব উদ্দীন সাহেব অনেক বড় ব্যাবসায়ী। রোড এক্সিডেন্টে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন দূর্ভাগ্য হলেও সত্য তার দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা যায়। এরপর তিনি আর বিয়ে করেন নি। একাই কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে আমাদের আজকের গল্পের নায়িকা #টুনটুনিকে। টুনটুনি অসম্ভব সুন্দর একটি মেয়ে পড়ে ক্লাস নাইনে পড়ে। টুনির অনেক গুন আছে সে গান গেয়ে স্বর্ন পদক পেয়েছে। ম্যাজিকেও রয়েছে পারদর্শিতা। কিন্তু টুনির কোন ভাল বন্ধু নেই। ক্লাসের সবাই টুনিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। টুনিকে এড়িয়ে চলা নিয়ে একটা ঘটনা আছে, লিখছি না কিন্তু ভাল লাগবে। এভাবেই চলছিল টুনিদের জীবন, তবে হঠাতই একজন অপরিচিত লোক এসে উলটাপালট করে দেয় টুনিদের জীবন। লোকটা আসে গ্রাম থেকে। নাম খলিলুল্লাহ। গ্রামে মাটি কাটার কাজ করতো। গ্রাম থেকে নিজের ইচ্ছায় সে শহরে আসেনি একজন তাকে পাঠিয়েছে। যে পাঠিয়েছে তাকে নিয়ে মজার কিছু ঘটনা আছে যেটা পড়ে আমি বেশ মজা পেয়েছি। কাজেই ঘটনা উল্লেখ করছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি খলিলুল্লাহর অনেক গুন আছে। যেমন সে পড়াশোনা কিচ্ছু জানেনা অথচ টিভি, ফ্রিজ ভালো করতে পারে। শুধু তাই নয় ঘন্টার পর ঘন্টা পানিতে ডুবে থাকতে তার কোন সমস্যা হয়না এমনি শুন্যেও ভাসতে পারে খলিলুল্লাহ। খলিল্লাহর এসব গুন দেখে মুগ্ধ টুনি। কিন্তু তার বাবা সহজে এসব বিশ্বাস করতে চায় না। তাই বিভিন্ন পরীক্ষার লুখোমুখি হতে হয় খলিলুল্লালকে। ভয়ঙ্কর সব পরীক্ষা সেসব পরীক্ষায় কি উর্ত্তীণ হতে পারবে খলিলুল্লাহ??? উর্ত্তীণ হওয়ার বিষয়টা পড়েই জানতে পারবেন কিন্তু আমি এখন বলবো যেটা সেটা হল খলিলুল্লাহর এই সব অদ্ভুত ক্ষতমার মধ্যে আরো একটি বিষেশ ক্ষমতা আছে যার কারনে টুনটুনির বাবা অতিথ জীবনের পুরোনো এক অধ্যায় উঠে আসে। প্রকাশ পায় ভয়ঙ্কর সত্য। আর তাই টুনটুনিরর বাবা মাহতাব সাহেব করেন ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা কিন্তু তিনি তখনো জানতেন না তিনি খলিলুল্লার সাথে যা করতে চাইছেন তার মারাত্নক একটা প্রভাব এসে পড়বে তার মেয়ের জীবনে। আমার যেহেতু ভাল লেগেছে কাজেই আপনাদেরও ভালো লাগতে পারে বলে আমি আশাবাদী। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ যে কতটা কল্পনাপটু ব্যাক্তি আর কতটা রচনাশৈলী তা প্রকাশ পায় এই উপন্যাস এ। অতিপ্রাকৃত এই উপন্যাস এ তিনি অদ্ভুত ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করেছেন।যেখানে কোনো জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ঠিক করা,পানির নিচে অনেক্ষন ডুবে থাকা,শূণ্যে ভাসা ইত্যাদি ক্ষমতাসম্পন্ন মানকবের কথা কল্পনা করা হয়েছে যাদের তিনি দ্বিতীয় মানব বলে আক্ষা করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ন আহমেদ এর লেখা গল্পগুলোর মাঝে অন্যরকম এক ধরণের আকর্ষণ থাকে। দ্বিতীয় মানব গল্পটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।এই গল্পের মূল চরিত্র হিসেবে খলিলুল্লাহকে দেখা যায়। যার আরেক নাম অরণ্য। তবে অন্যান্য চরিত্রসমূহের গুরুত্বও ভালোভাবে ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। গল্পের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো হচ্ছে, মাহতাব হোসেন এবং তার মেয়ে টুনটুনি। এছাড়াও আরও কিছু পার্শ্বচরিত্র জালাল খাঁ, হেডমাস্টার হাবিবুর রহমান, বারেক। এদেরও গল্পে বেশ ভালো ভূমিকাও রয়েছে।গল্পের শুরুতে দেখা যায় খলিলুল্লাহ গ্রাম্য থেকে আসা এক যুবক। যাকে হেডমাস্টার হাবিবুর রহমান নেত্রকোনা থেকে ঢাকাতে মাহতাব হোসেন এর নিকট পাঠিয়েছে। তিনি খলিলুল্লাহ এর কাছে মাহতাব হোসেনের জন্য একটি চিঠিও দেন। ওই চিঠির মাধ্যমে মাহতাব হোসেন খলিলুল্লাহ এর বিস্ময়কর কিছু ক্ষমতার কথা জানতে পারেন। যেমনঃ পানির নিচে নিঃশ্বাস না নিয়েই খলিলুল্লাহ ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে পারে, কোন রকম ইলেক্ট্রনিক্স সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার পরও খলিলুল্লাহ যে কোন ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি ঠিক করতে পারে। মাহতাব হোসেন এবং তার মেয়ে কৌতুহল বশত খলিলুল্লাহ এর কিছু পরীক্ষা নেয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে তারা তার ক্ষমতার বাস্তব কিছু প্রমাণ পায়।খলিলুল্লাহকে নিয়ে আরও বিশদভাবে পরীক্ষা করার জন্য মাহতাব হোসেন তার বইপাগল বন্ধু জালাল খাঁ কে ডেকে আনে। তারা খলিলুল্লাহকে নষ্ট টিভি, ভয়েস রেকর্ডার ঠিক করতে দেয় খলিলুল্লাহও কোনরকম পূর্ব জ্ঞান ছাড়াই সেগুলো ঠিক করে দেয়।এদিকে মাহতাব হোসেন এর মেয়ে টুনটুনির সাথে খলিলুল্লাহ এর বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। টুনটুনি খলিলুল্লাহর নতুন নাম দেয় অরণ্য। সে খলিলুল্লাহকে পড়াশোনা শিখানো শুরু করে। এক্ষেত্রেও দেখা যায় খলিলুল্লাহের মেধা বিস্ময়কর। মাহতাব হোসেন ও তার বন্ধু জালাল খাঁ খলিলুল্লাহের এসব ক্ষমতার ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা করে। জালাল খাঁ এর মতে খলিলুল্লাহ ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষের পরবর্তী পর্যায়। Homo Superior। জালাল খাঁ খলিলুল্লাহকে একটা নতুন যন্ত্র বানাতে বলে। খলিলুল্লাহ তাতে সম্মতি দিয়ে বলে সে টুনটুনির জন্য একটি যন্ত্র বানাবে যে যন্ত্র মানুষের অতীতের কথা রেকর্ড করতে পারবে। জালাল খাঁ এর উৎসাহ ও সহযোগিতায় খলিলুল্লাহ তার কাজ শুরু করে।কিন্তু মাহতাব হোসেন খলিলুল্লাহকে নিয়ে প্রচন্ড চিন্তিত ছিলেন। একদিন রাতে তিনি তার সহকারী বারেককে ডেকে খলিলুল্লাহকে মেরে ফেলার আদেশ দেন। মাহতাব হোসেন এর কথামত বারেক খলিলুল্লাহকে হাত পা বেঁধে ইটের ভাটায় ফেলে দেয়।যেদিন রাতে খলিলুল্লাহকে মেরে ফেলা হয় সেদিনই টুনটুনির প্রচন্ড জ্বর আসে। সে গোসল করতে বাথটাবে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করে সেও খলিলুল্লাহর মত নিঃশ্বাস না নিয়েই পানির মধ্যে থাকতে পারছে!!খলিলুল্লাহ আসলে কে ছিল? সে কি যন্ত্র তৈরী করতে চেয়েছিল যার ফলে মাহতাব হোসেন তাকে মেরে ফেলার হুকুম দেয়? তাকে কেন মাহতাব হোসেন ভয় পেত? আর, টুনটুনি? তার কি হল? সেও কি খলিলুল্লাহ এর মত হয়ে গেল?জানতে চান এসব প্রশ্নের উত্তর? তবে, দেরি না করে জলদি পড়ে ফেলুন বইটি।