User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বিখ্যাত একটি উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত রূপ সবাই পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
দারুণ কাহিনী। সাথে বইয়ের ছবিগুলো কাহিনীকে করেছে জীবন্ত।
Was this review helpful to you?
or
Amar pora jul verner onnotomo sera Adventure golpo. Ami suggest korbo Around the World in 80 Days- (2004) movie ta dekhar jonno. Jackie Chan er sera movie amar mone hoy eita .
Was this review helpful to you?
or
আসলে কী বলব , মারাত্মক অ্যাডভেঞ্চারের বই এটি!
Was this review helpful to you?
or
কিশোরদের জন্য নহে,,,ছোটদের জন্য,,,,বড়রা কিনলে ঠকবেন।
Was this review helpful to you?
or
বই ঃ আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ লেখক ঃ জুলভার্ণ জুলভার্ণের রচনা মানেই অন্যরকম অণুভুতি, চ্যালেন্জিং রোমান্স আর দৃঢ় মনোবল সৃষ্টিকারী চরিত্র। এই গল্পটিও তার ব্যাতিক্রম নয়। পাঠককে আকর্ষন করার সবরকম মসলা তার গল্পে রয়েছে, বিশেষ করে যারা রোমান্স প্রেমী। গল্পের নায়ক ফিলিসাস ফগ , অঢেল ধনসম্পদের মালিক, সৌখিন তবে বিলাসী নন, রিফর্ম ক্লাবের সদস্য হিসেবেই তাকে সবাই জানে। ব্যাক্তি হিসেবে খুবই কম কথা বলেন তিনি, খরচের খেত্রে মিতব্যায়ী, আর যথেষ্ট সংযমী একজন মানুষ। কিন্তু তার ধনসম্পদের উৎস সম্পর্কে সকলেই অজ্ঞ। একা মানুষ, রিফর্ম ক্লাবে সারাক্ষন হুইষ্ট খেলেন আর বাড়িতেও থাকেন একা, ঘড়ির কাটা দেখে কাজকর্ম করা তার অভ্যাস। জোয়ায় হারার রেকর্ড নেই তার, রিষ্ক নেওয়াটা তার রক্তের সাথে মিশে আছে যেন। পাসোপার্তো তার সদ্য নিয়োগ দেওয়া কাজের লোক। সেও খুব সাহসী , বুদ্ধিমান আর প্রভুভক্ত । রিফর্ম ক্লাবের সদস্যদের সাথে আড্ডা আর হুইষ্ট খেলতে খেলতে এক অদ্ভুত বাজি ধরে ফেলেন তিনি। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের জের ধরে তিনি আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমন করার বাজি ধরেন। এবং তিনি তা ঐদিনই শুরু করার ঘোষণা দেন। কাজের লোক পাসোপার্তোকে নিয়ে রওনা হন বিশ্বভ্রমনে। খবরের কাগজে এ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। অন্যদিকে গোয়েন্দা ফক্স ধারণা করেন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ব্যাঙ্কচুরির ঘটনায় ফগ জড়িত, তাই তিনি বিশ্বভ্রমনের নাম করে আসলে পালাতে চাচ্ছেন। তিনিও লেগে যান তার পেছনে। গ্রেপ্তার করার আদেশের অপেক্ষায় ঘুরতে থাকেন। পথে ঘটে যায় নানান ঘটনা। অতিক্রম করেন হাজারও প্রতিকুলতা, জড়িয়ে যান বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনায়, ভারতে এসে তারসাথে যোগ হয় আরেকজন তিনি রাণী আউদা, যাকে সতিদাহের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন তিনি। ওদিকে গোয়েন্দা ফক্স তার পিছু লেগেই রয়েছেন। শেষপর্যন্ত গ্রেফতারও করে ফেলেন একসময় ততদিনে পৃথিবী ভ্রমন প্রায় শেষ। কী ঘটবে অবশেষে? ফিলিসাস ফগ কি পারবেন বাজিতে জিততে? নাকি গ্রেফতার হয়ে জেলে যাবেন? রাণী আউদার পরিণতিই বা কি হবে? এর উত্তর রয়েছে জুলভার্ণের আশিদিনে বিশ্বভ্রমনে।
Was this review helpful to you?
or
ফিলিয়াস ফগ!কি অসাধারণ লোক!কাজ কাম তেমন করতে দেখা যায় না ফগকে।শধুমাত্র ক্লাবেই থাকে বেশি সময়।একদম টাইম টু টাইম কাজ করে।একটু ১৯/২০ হওয়ার সুযোগ নেই! তো ফগের ভিত্ত হচ্ছে জেমস।একদিন শেভ করার জন্য পানি গরম করার কথা ছিল ছিয়াশি ডিগ্রি কিন্তু ভুল ক্রমে চৌরাশি ডিগ্রি হয়ে যায়! আর তাতেই জেমসের চাকরী বাদ!!রিফর্ম ক্লাবের সদস্য হিসেবে ক্লাবেই তার বেশি সময় কাটে।সেইদিন ইংল্যান্ডের একটা ব্যাংক থেকে অনেক টাকা কুড়ি হারানো যায়!সেটা নিয়েই আলোচনা চলছিল। কেউ বলল চোর যাবে কই পৃথিবীত আর এখন বড় নেই!আবার কেউ বলল পালানোর জয়াগার অভাব নেই।সেই তর্কাতর্কিতেই ফগ বলল পৃথিবী এখন আর বড় নাই!একবারে ছোট হয়ে গেছে! প্রায় সবাই তার কথা শুনে অবাক হয়!সে বলে মাত্র ৮০ দিনেই পুরো পৃথিবী একবার চক্কর দেয়া সম্ভব!তার কথা শুনে সবাই তাকে পাগল বলতে লাগল।আর ফগের সাথে এটা নিয়ে বাজি ধরল।ফগ তো এক কথার মানুষ বাজিতে রাজি হয়ে গেল।আর সেই রাতেই ফগ বিশ্ব ভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়ল।আর ব্যাংকের টাকা চোরের সাথে ফগের ব্যক্তিত্বে অনেক মিল থাকায় একটা গোয়েন্দাও তার পিছু নিল।এই বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে ভারত বর্ষে ফগ কিভাবে সতিদাহ প্রথায় আবদ্ধ রানী আউধা কে উদ্ধার করলো ।ফগের পিছে তো সবসময় বিপদ লেগেই ছিল!এক হলো গোয়েন্দা আর এক সতীদাহ প্রথার ঝামেলা!সব কিছু থেকে ফগ কিভাবে বেচে আঁশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করলো তা এক অসাধারণ রোমাঞ্চকর কাহিনী। এখানে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ফিলিয়াস ফগের এডিটিউড।আপনিও অবাক হবেন তার এডিটিউড দেখে।
Was this review helpful to you?
or
#রহসসময়_বিজ্ঞান_জগত ও #রকমারি_ডট_কম আয়োজিত বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা ব্যক্তিগত মূল্যায়ন : বইটিতে মূলত কিশরো জীবনে অজানাকে জানা এবং অদেখাকে দেখার অদম্য বাসনাকে চমৎকার ভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে, বিদ্রোহী কবি নজরুল বলেছিলেন- " থাকব না 'কো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগতটাকে, কেমন করে ঘুরছে মানুষ, যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।। " আঙ্গিক বিশ্লেষণ : চিন্তাজগতের বিস্তৃতি ও গভীরতায় ব্রিটিশ'রা যে কোনো জাতিসত্তার মানুষকেই বলে - কয়ে হারিয়ে দিতে পারেন। হৃদয়ের তীব্র ইচ্ছাশক্তি এবং তীক্ষ্ম যুক্তিযুক্ত মনোবল ই এব্যাপারে তাঁদেরকে ঢের এগিয়ে রাখে। মূল ঘটনা প্রবাহ ও চরিত্র বিশ্লেষণ : ফিলিয়াস ফগ নামক ইংরেজ কিশোরের ক্লাবের একজন সদস্য মতামত পোষণ করেন যে- ৮০ দিনের মধ্যে, সমগ্র বিশ্বকে ঘুরে দেখা অসম্ভব প্রায়। তাৎক্ষনিকভাবে, ফগ এই চ্যালেঞ্জটিকে গ্রহণ করার মন স্থির করেন। এবং বেরিয়ে পরেন। ভ্রমণ সহযাত্রী এবং সহচর ছিলেন- ফগের, ফরাসি পরিচারক পাসপারতু। ভ্রমণের ব্যয় বহনের জন্যে, পাসপারতুর ব্যাগে ছিল প্রচুর অর্থবিত্ত। চারদিকে বিষয়টি ছড়িয়ে পরলো। অনেকে যেভাবে বিষয়টিকে সাহসিকতা হিসেবে চিহ্নিত করলেন, আবার কেউ কেউ এটাকে নিছক বোকামি হিসেবেও আখ্যা দিলেন। মূলত ভ্রমণের পেছনে ছিল আরেকটা রহস্য। অজানাকে জানার প্রচেষ্টার পাশাপাশি ছিল- টাকার ব্যাগ ডাকাতির সম্ভাবতা যাচাই। ডাকাত, ব্যাগটি চুরি করে; অন্য দেশে গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে বাঁচতে পারবে কিনা- যাচাই করা। ঘটনাক্রমে, এবিষয়টিও চারদিকে ছড়িয়ে পরে । এরই ধারাবাহিকতায়, স্কটল্যান্ডের একজন গোয়েন্দা দাবি করেন- ফগ ই সেই ডাকাত। দেশভ্রমের ছুতোয়, পালিয়ে বাঁচার চেষ্টারত। তিনিও এদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টায়। এদিকে, পাসপারতুর সাথে এক পর্যায়ে তার দেখা। পাসপারতু তাদের বিপদের কথা জানালেন উনাকে। বিভিন্ন ঘটনার কালিক পর্যায়ক্রমে দেখা গেল- আস্থাহীনতার কারণে, ফগ এবং পাসপারতু, উভয়েই বন্দী হলেন। মূল কথা : সঙ্গীর ওপর আস্থা হারাতে নেই। চরম মূল্য দিতে হয়। যার ওপর আস্থা নেই, সে কখনো ভালো সহচর হতে পারে না। এজন্যেই বলা হয়- ভক্তিতে রত্ন। অভক্তিতে সর্বনাশ।। By Md.Tareque Rahaman
Was this review helpful to you?
or
ফিলিয়াস ফগ : রহস্যময় এক ইংরেজ। প্রচুর ধনসম্পদের মালিক । কেউ জানে না তার আয়ের উৎস কী। প্রতিদিন সে আড্ডা মারতে আর তাস খেলতে যান রিফর্ম ক্লাবে। একদিন তাস খেলতে খেলতে রিফর্ম ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, কীভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে পঞ্চান্ন হাজার পাউন্ড চুরি হলো। চুরির কারণ হিসেবে একেকজন একেক কথা বলছেন। হঠাৎ ফগ বলে ওঠেন, দুনিয়া আকারে ছোট হয়ে গেছে, তাই চোরকে ধরা খুব একটা কঠিন হবে না। তিনি আরও যোগ করেন, মাত্র আশি দিনে এখন পৃথিবী ঘুরে আসা সম্ভব। এ কথার সত্যতা প্রমাণে দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনাতে থাকেন। খবরটি প্রথমে বিশ্বাস করতে চায়নি ক্লাবের কেউ; উল্টো ফগ সাহেবকে আশি দিনে পৃথিবী ঘুরে আসার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল একজন—স্টুয়ার্ট। সে রাতেই নিজের অর্ধেক সম্পদ অর্থাৎ বিশ হাজার পাউন্ড বাজি রেখে ফগ বেরিয়ে পড়লেন বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশে। সঙ্গে নিলেন গৃহভৃত্য প্যাসপারতুকে। ওদিকে ফগের পিছু নিয়েছে এক গোয়েন্দা—ফক্স। কারণ তার ধারণা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে যে পঞ্চান্ন হাজার পাউন্ড চুরি হয়েছে সেই চোরের সঙ্গে ফিলিয়াস ফগের মুখাবয়বের অনেক মিল রয়েছে। আশি দিনের এই সফরে গোয়েন্দা ফক্স যত বেশি বাধার সৃষ্টি করেছে, তা প্রকৃতিসৃষ্ট বাধাকেও হার মানায়। যদিও শেষ নাগাদ নির্দোষ ফগকে দোষী প্রমাণে ব্যর্থ হয় ফক্স। যা হোক, পাঠকদের অনেকেই জানেন, ফগ সাহেবের এই সফর মোটেই সহজ কোনো বিষয় ছিল না। ভ্রমণের ঠিক দশ দিনের মাথায় সুয়েজ থেকে বোম্বে যাওয়ার পথে এলাহাবাদের কাছাকাছি বুন্দেলখন্ড নামের একটি জায়গায় একটু বেশি সময়ই খরচ করতে হলো তাঁকে। সতীদাহের মতো বর্বর প্রথা চালু ছিল ভারতের এই অঞ্চলটিতে। সতীদাহের নিষ্ঠুর শিকার হতে যাচ্ছিল এমন একজন তরুণীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ফিলিয়াস ফগ। নিজের জীবনকে বাজি রেখে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে আউদা নামের সুন্দরী নারীকে। এ পর্বতসম কঠিন কাজে সফল হতে প্যাসপারতুর বুদ্ধিমত্তা শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছিল তাঁকে। আবার আমেরিকা যাওয়ার পথে রেড ইন্ডিয়ানরা যখন ট্রেনে হামলা করে প্যাসপারতুসহ আরও দুজনকে বন্দী করে রাখে, তখন সবাইকে বীরত্বের সঙ্গে উদ্ধার করেন ফগ। নানা নাটকীয় ঘটনা আর ভয়ংকর সব অভিজ্ঞতা পার হয়ে ফিরে আসতে পেরেছিলেন কি ফগ? আর ফিরে আসলেও নির্ধারিত সময়ে আসতে পেরেছিলেন কি? এই জানার পিপাসা মেটাতে আপনাকে বইটি পড়তেই হবে।
Was this review helpful to you?
or
ছোট বোনের জন্মদিনের জন্য কিনেছিলাম। সত্যিই ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
golpota matro pore ses korlam asolei onk vlo bolte gele. prottek ta muhurto jeno uttejonar moddhe dia jbe.aktur jonno bifolota,hotasa,chute jaoa jinis guloke ak onno rup deoa hoyeche qpnara chaile pore dekhte paren onk sundor golpo miss korben na. POINT IS 4.7 OUT OF 5
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ১১ বইঃ আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমন লেখকঃ জুল ভার্ন, ক্যাটাগরিঃ অনুবাদ:রহস্য গোয়েন্দা ভৌতিক ও থ্রিলার মূল্যঃ৯০ টাকা ( রকমারি মুল্য) প্রকাশনীঃ পান্ঞ্জেরী লেখক পরিচিতিঃ একজন ফরাসি লেখক ও অসামান্য সব বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনার জন্য বিখ্যাত। উড়োজাহাজ, রকেট কিংবা সাবমেরিনের বাস্তবিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের অনেক পূর্বেই তিনি মহাকাশ ভ্রমণ ও সমুদ্রের তলদেশে ভ্রমণের কল্পকাহিনী লিখেছিলেন। পৃথিবীতে আগাথা ক্রিস্টির পরেই তাঁর লেখা সবচেয়ে বেশী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর লেখা বেশ কিছু কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র ও নাটকও নির্মিত হয়েছে। কাহিনী সংক্ষেপেঃ এ বইয়ের কাহিনী উনিশ শতকের। যখন দূরপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো জাহাজ। বাষ্পীয় ইঞ্জিন সবে মাত্র জায়গা নিতে শুরু করেছে। এই সময়ে লন্ডনে বাস করতেন ফিলিয়াস ফগ নামের এক ধনী ব্যক্তি। তার সবকাজ ছিলো নিয়মমাফিক ঘড়ি ধরা। কথাও বলতেন কম। বাড়ির বাইরে বলতে রিফর্ম ক্লাব নামের জায়গাটি ছাড়া আর কোথাও যেতে দেখেননি তাকে কেউ খুব একটা। একদিন রিফর্ম ক্লাবের আড্ডাতে 'মর্নিং ক্রনিকল' পত্রিকার এক প্রতিবেদনের বিষয়ে কথা হচ্ছিলো। যাতে লেখা হয়েছিল মাত্র আশি দিনে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসা সম্ভব। সেইদিনের আড্ডা পরিনত হলো তর্কে। ফিলিয়াস ফগের মতে আশি দিনে পৃথিবী ঘুরে আসা সম্ভব। কিন্তু অন্যরা এর বিরোধিতা করলেন। এক পর্যায়ে তারা বাজিও ধরে ফেললেন তিন লক্ষ পাউন্ডের! সেইদিনি কোনোকিছু না ভেবেই ফগ তার ফরাসী চাকর পাসোপার্তুকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। শুরু হলো এক দুঃসাহসিক অভিযানের। কখনও জাহাজে, কখনও রেলে এমনকি কখনোবা হাতির পিঠে চেপেও চলতে হয়েছে পথ। ভারতবর্ষে এসে জড়িয়ে পরেন আরেক অভিযানে। সেখানে সতীদাহ প্রথার এক আক্রান্ত তরুনীকে উদ্ধার করেন তিনি। রানী আউদা নামের সেই তরুনীও তাদের সঙ্গি হন। পথে সময়মত সবখানে পৌঁছাতে এমনিতেই অনেক ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছিলো, তার ওপর পেছনে লেগে ছিলো ফিক্স নামের এক গোয়েন্দা। যে কিনা ফিলিয়াস ফগকে ধরে নিয়েছিলেন এক ব্যাংক ডাকাত হিসেবে।উপন্যাসটিতে ফিক্স নামে একটি গোয়েন্দা চরিত্রও রয়েছে, যিনি মনে করেন ফগ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে ডাকাতি করতে পারে। বইয়ের প্রথম অংশটি আবর্তিত হয়েছে এই ঘটনা চক্রে। দ্বিতীয় অংশটি ফগের ইংল্যান্ডে ফিরে আসার ঘটনার জের ধরে। ভারতে আসার একটি ঘটনায় দেখা যায়, অউদা নামের এক রাজকন্যাকে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর ফগ তৎকালীন সময়ে সতী প্রথা থেকে বাঁচায়। এ প্রথায় স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকেও তার জীবন বিসর্জন দিতে হত। এরপর শেষ পর্যন্ত সমুদ্র যাত্রায় ফগের সঙ্গী হিসেবে অউদাও থাকেন। ফগ ও অউদার একে অপরের প্রতি অনুরক্ততা ও প্রনয়ের পরিণতি বইটির চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। পুরো বইটি রোমাঞ্চকর দুঃসাহসিক অভিযান, ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রতিকূল পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপহরণের ঘটনায় পরিপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত ফগ লন্ডনে আশি দিনে পৌঁছুলেন ঠিকই। কিন্তু ঘড়িতে বাজির সময় তখন শেষ তার হিসেব অনুযায়ী। তাই আর রিফর্ম ক্লাব গেলেন না। নিজের বাড়িতে ফিলে এলেন। কিন্তু আসল চমক তখনও বাকি ছিলো। যেহেতু তিনি পশ্চিম থেকে পুবে রওনা দিয়েছিলেন। তাই প্রতি দ্রাঘিমা পার হতেই একটু একটু করে সময় জমছিল তার হাতে। সময় শেষ হওয়ার পুরো আগেই তিনি কি লন্ডন পৌঁছে গিয়েছিলেন? এবং শেষ পর্যন্ত সেই বাজিকি আদৌ জিতে যান? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ার সময় প্রতি পাতায় পাতায় এক অনিশ্চিত যাত্রার বর্ননায় এগিয়ে যায় কাহিনী। ফিলিয়াস ফগের অভিযানের সঙ্গি হিসেবে নিজেকে ভাবতে ভাবতে পৃথিবীটাও যেনো ঘুরে আসা গেলো এই আশি দিনে। ফিলিয়াস ফগের জেদ এবং সময়ানুবর্তীতাই এনে দিয়েছিলো এই অভিযানের সাফল্য। মজার এই বইটি যাদের পড়া হয়নি এখনো, পড়ে দেখতে পারেন। হয়তোবা আশি দিনে আপনারও বিশ্বভ্রমণটা হয়ে যেতে পারে জুলভার্নের নিখুঁত বর্ণনায়।
Was this review helpful to you?
or
পাঞ্জেরি পাব্লিকেশন্স থেকে প্রকাশিত এই বইটি সব বয়সের মানুষই পড়ে আনন্দ পাবেন।আগে বিটিভিতে "Around the world in 80 days" নামে একটি অনুষ্ঠান দেখাতো বলে আমার মনে পড়ে,সিরিজ না টেলিফিল্ম তা মনে নেই,কিন্তু এই বইটি দেখার পর আমার সেই প্রোগ্রামটির কথা মনে পরে যায়,বইটি আমার ভালো লাগার কারণ বইটিতে লেখার পাশাপাশি ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে যার ফলে পরেও আনন্দ পাবেন,মনোযোগ ও হারাবেন না।আর অনুবাদ করার দায়িত্যও ভালো ভাবে শেষ করেছেন লেখক।গল্প নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণের যে রোমান্চ তার থেকে আরো বেশি মজাই রয়েছে গল্পটিতে।আর পাঞ্জেরি পাব্লিকেশন্সকে ধন্যবাদ জানাই পাঠ্য বই এর পাশাপাশি এমন আসাধারণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।পড়ে দেখবেন বইটি,সবচেয়ে ভালো হয় যদি উপহার হিসেবে দেন নিজের ছোট ভাই বোনকে। ধন্যবাদ।