User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্রিন্ট আরেকটু ভালো হওয়া দরকার
Was this review helpful to you?
or
A very nice book. Love Mogli and the jungle.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর উপন্যাসঃ দ্য জাংগল বুক লেখকঃরুডিয়ার্ড কিপলিং অনুবাদঃ রিয়াজুল ইসলাম ধরনঃ শিশু কিশোর প্রকাশনীঃ পান্ঞ্জেরী মুল্যঃ৮৫ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ এটি ভারতের সিওনী পাহাড়ের এক সন্ধ্যার গল্প। যেখানে বাবা নেকড়ে ঘুম থেকে উঠেই প্রস্তুতি নেয় শিকারে যাওয়ার। নেকড়ের স্ত্রী তাদের সন্তানের সাথে খেলতে থাকে এবং একটি দুষ্টু বাঘ সম্পর্কে কথা বলতে থাকে। দুষ্টু বাঘটির নাম হলো শের খান। সে এতোটাই বদ ছিলো যে বেশীরভাগ সময় তার এলাকায় না থেকে সীমানার বাইরে চলে এসে শিকার করতো যার ফলশ্রুতিতে বকা খেতে হতো এই পাড়ের বাবা নেকড়ে এবং মা নেকড়ে কে। এই দুই নেকড়ে কে তখন জংগলের বাকি সদস্য রা ভুল বুঝতো। এরকম করে দিন যেতে যেতে একদিন ঘটলো আজব কান্ড। বনের মধ্যে হঠাৎ ঝুপঝাপ শব্দ হচ্ছিলো। তা দেখে নেকড়ে সবাইকে সাবধান হতে বলে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা দেখতে পারে যে সেখানে একটি মনুষ্য শিশু হাটতে হাটতে চলে এসেছে, তা দেখে তারা একটু অবাক হয় যে এই শিশু এখানে কিভাবে আসে। কিছুক্ষণ পরেই তারা জানতো পারে যে শের খা লোকালয় থেকে মানব শিশু কে ধরে এনেছে শিকার করে খাওয়ার জন্য। বাচ্চাকে দেখে নেকড়ে বাঘের অনেক মায়া হয় এবং বাচ্চাটিকে সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করার দ্বায়িত্ব নেয় সে। এবং শেষ পর্যন্ত বাচ্চার নাম রাখা হয় মোগলি। মোগলি দিনে দিনে বড় হয় জংগলেই, তাকে রাখার জন্য অবশ্য শের খান কে দিতে হয় একটা ষাড় খাবার হিসেবে। মোগলি বন্ধু হিসেবে পাই ভালু কে।। যে কিনা তাকে জংগলের নিয়ম শেখাতে ব্যাস্ত থাকে এবং মোগলি কড়া শাসনে রাখে। প্রথম প্রথম ভালুকে অপছন্দ করলেও পরে মোগলি বুঝতে পারে ভালু যা করে তার ভালোর জন্যেই। কিন্তু মানবশিশু হওয়ার কারনে সে জংগলে সবার চোখে পড়ে। দুষ্টু বানর, হিংস্র পশুপাখি সবাই মোগলিকে হিংসা করা শুরু করে। এমন কি একদিন ছোট্ট মোগলিকে বানরের দল নিজেদের বাসস্থানে নিয়ে আসার জন্য উঠে পড়ে লাগে। মোগলি বানরের চলাফেরা দেখে মনে করে সে যদি ওদের দলে চলে যায় তাহলে ভালুর কড়া নিয়মকানুন থেকে বাঁচবে তাই সে বানর দলের সাথে চলে গেলেও পরে বুঝতে পারে তারা কতো বদ স্বভাবের। এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার বন্ধুরা। এরপর থেকে সে সাবধান হতে থাকে। দিনে দিনে যখন সে বড় হয়ে যায় তখন জংগলের পশুপাখিগুলো তাকে আর থাকতে দিতে চায়না।। তারা চাই মোগলি যেন তার নিজের আবাসস্থল লোকালয়ে ফিরে যায়। তাই মোগলি শেষ পর্যন্ত যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই মোগলি দেখে তার জাতির মানুষ গুলো তাকে সেখানে রাখতে চায়না ঐ দিকে জংগলে শের খান তো আছেই।। তাহলে মোগলি এখন কি করবে?? কোন পরিবেশ কে সে নিজের সাথে মানিয় নিবে?? আর তার বাবা মা?? তাদের খুজে পাবে তো মোগলি?? টিকে থাকতে পারবে তো শেষ পর্যন্ত?? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য পড়ুন "দ্য জাংগল বুক" পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ার সময় আমার বারবার জনপ্রিয় কার্টুন "মোগলি" কথা মনে হয়েছে। নিজ জাতি যখন কোন মানুষকে অস্বীকার করে তখন একটা মানুষের জীবন কতোটা ভয়াবহ হয়ে যায় এটা আমি এই বইটি পড়ে বুঝেছি। আর স্নেহ মমতা একটা মানুষকে কতো আগলিয় রাখে তারও নিদর্শন পায় আমরা বইটিতে। বইটি জংগল বুক নাম হলেও সেখানকার পরিস্থিতি ও আমাদের মনুষ্য সমাজের মতো এটা বোঝা যাই সহজে। কোন জায়গায় সম্পুর্ণ ভালো কিছু দিয়ে পরিপুর্ন না। আবার কোন জায়গাতেও শুধু খারাপের বসবাস না। এটাই বইটির বড় শিক্ষা।।
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য জাংগল বুক’ বইটি সাহিত্যিক রুডিয়ার্ড কিপলিং এর লেখা শিশুতোষ সাহিত্য । সাহিত্যিক রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর জন্ম ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে। শৈশব কৈশোর কেটেছে ভারতের মুম্বই শহরে, তখনকার নাম বম্বে। ইংরেজরা, সেকালে যেমন হত, নিজেদের চারদিকে পাঁচিল তুলে নিজস্ব ছোট সমাজব্যবস্থায় বসবাস করতেন। তারই মধ্যে বড় হয়েছেন কিপলিং। ছেলেবেলা থেকেই কিপলিং সচেতন যে, তাঁরা শাসক, সাম্রাজ্যবাদ তাঁদের কাছে গর্বের ব্যাপার। দৃঢ় বিশ্বাস, ঈশ্বর তাঁদের এক উচ্চশ্রেণির জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অন্যান্যদের উপর প্রভুত্ব করা বা তাদের ভালমন্দ দেখার ভার এঁদের যেন জন্মগত। রুডিয়ার্ড কিপলিং একজন অসাধারণ গল্পকার। দ্য জাংগল বুক অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি গ্রন্থ । এই গ্রন্থ নিয়ে অনেক চলচিত্র ও তৈরী হয়েছে । পৃথিবীর অনেক দেশে বইটি শিশুদের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় বই হিসেবে এটি বহুদিন যাবত স্থান করে রেখেছে । এই গ্রন্থের গল্পমালায় ভারতবর্ষের বনাঞ্চল তার সকল মোহনীয়তা, রহস্য ও আতঙ্ক নিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে। অরণ্যের গাছপালা, পাহাড়পর্বত, নদী-নালা ও পশুপাখির জগতকে লেখক যেভাবে পরিবেশন করেছেন তা পাঠককে মুগ্ধ করে। বাঘ, নেকড়ে, হাতি, সাপ, হরিণ, মহিষ, বানর, চিল, ময়ূর, শিয়াল, মৌমাছিসহ অরণ্যের নানা প্রাণী পাঠকের সামনে এসে হাজির হয়। আর এদের মধ্যে স্থান করে নেয় মানবশিশু মৌগলি। ল্যাংড়া বাঘ শেরখান অরণ্যের নিকটবর্তী এক গ্রাম্য কুটির থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল মৌগলিকে, কিন্তু তাকে হত্যা করার আগেই মৌগলি আশ্রয় পায় এক নেকড়ে- পরিবার। সেখানেই সে বেড়ে উঠে, অরণ্যেরই এক সন্তানরূপে। মোগলি কে নিয়েই গল্পটি চলতে থাকে এবং সম্পুর্ন গল্পই অত্যান্ত রোমাঞ্চকর । অসাধারন বইটি যে কোন পাঠক এর নিকটই ভাল লাগতে বাধ্য ।
Was this review helpful to you?
or
সদ্য হাটতে শেখা এক মানবশিশুকে কুড়িয়ে পেল এক নেকড়ে পরিবার। মোগলি নামের এ-ই ছেলেটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো জংগলের আর সব পশুদের মতোই। বন্ধু হিসেবে সে পেয়েছিল ভালুক বালু আর কালো রঙের চিতা বাঘেরাকে। জংগলে তো শত্রুর অভাব নেই। আছে ধূর্ত বানরের দল আর হিংস্র বাঘ শের খান। কিন্তু মোগলির সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাড়াল তার নিজের প্রজাতি মানুষ। রিয়াজুল ইসলাম অনেক সুন্দর করে এ-ই বইয়ের অনুবাদ করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর জন্ম ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে। শৈশব কৈশোর কেটেছে ভারতের মুম্বই শহরে, তখনকার নাম বম্বে। ইংরেজরা, সেকালে যেমন হত, নিজেদের চারদিকে পাঁচিল তুলে নিজস্ব ছোট সমাজব্যবস্থায় বসবাস করতেন। তারই মধ্যে বড় হয়েছেন কিপলিং। বাইরে ভারতীয় বৃহত্তর সমাজে মানুষজনের অদ্ভুত আচারব্যবহার, বিচিত্র ভাষা। তাদের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে বাস করেন ইংরেজ প্রভুরা। ছেলেবেলা থেকেই কিপলিং সচেতন যে, তাঁরা শাসক, সাম্রাজ্যবাদ তাঁদের কাছে গর্বের ব্যাপার। দৃঢ় বিশ্বাস, ঈশ্বর তাঁদের এক উচ্চশ্রেণির জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অন্যান্যদের উপর প্রভুত্ব করা বা তাদের ভালমন্দ দেখার ভার এঁদের যেন জন্মগত। রুডিয়ার্ড কিপলিং একজন অসাধারণ গল্পকার। তাঁর দি জাঙ্গল বুক একটি বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থ। এই গ্রন্থের গল্পমালায় ভারতবর্ষের বনাঞ্চল তার সকল মোহনীয়তা, রহস্য ও আতঙ্ক নিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে। অরণ্যের গাছপালা, পাহাড়পর্বত, নদী-নালা ও পশুপাখির জগতকে লেখক যেভাবে পরিবেশন করেছেন তা পাঠককে মুগ্ধ করে। বাঘ, নেকড়ে, হাতি, সাপ, হরিণ, মহিষ, বানর, চিল, ময়ূর, শিয়াল, মৌমাছিসহ অরণ্যের নানা প্রাণী পাঠকের সামনে এসে হাজির হয়। আর এদের মধ্যে স্থান করে নেয় মানবশিশু মৌগলি। ল্যাংড়া বাঘ শেরখান অরণ্যের নিকটবর্তী এক গ্রাম্য কুটির থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল মৌগলিকে, কিন্তু তাকে হত্যা করার আগেই মৌগলি আশ্রয় পায় এক নেকড়ে- পরিবার। সেখানেই সে বেড়ে উঠে, অরণ্যেরই এক সন্তানরূপে। সাহিত্যসমালোচকেরা স্বীকার করেন ‘দ্য জাঙ্গল বুক’ একটি ক্লাসিক, এর স্থান সাহিত্যে চিরকালীন। আমাদের ছেলেবেলায় এই বইয়ের চরিত্ররা আমাদের জীবনযাপনের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। আমি নিশ্চিত এখনো প্রায়ই অনেকেরই কানে ভেসে আসে- “জঙ্গল জঙ্গল পাতা চালা... ...”