User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুব একটা ভালো লাগেনি। উনার অন্য বইগুলা বেশি সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
"আমি পথ হারিয়ে খুঁজে ফিরি তাদের , বল তো জীবন কোথায় কড়া নাড়ি?" শুধুমাত্র এই ২ টি লাইন এর গভীরতা দিয়ে উপন্যাস এর গভীরতা খুঁজে পাবেন একজন পাঠক ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা অক্টোবর রিভিউ-১৫ পৃথিবীর যেসব প্রেমকাহিনী কালজয়ী হয়েছে, তার প্রায় সবই প্রেমের অতৃপ্তি, না পাওয়ার বেদনার কারণে। হরিশংকর জলদাসের ' এখন তুমি কেমন আছ' ঠিক সেই রকমই প্রেম- বিরহের একটি উপন্যাস। তমোনাশ- বহ্নি ৩৪ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সহপাঠী ছিল। তারুণ্যের টানে প্রেম- ভালোবাসায় জড়িয়েছে তারা। ভুল- বোঝাবুঝি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হতে দেয় নি। এখন তারা ৬০ এর কোঠায়। হঠাৎ তমোনাশের একটা ফোনকল নিবিড়ভাবে সংসারধর্ম পালনকারী বহ্নিকে নিয়ে চলে যায় ৩৪ বছর আগেকার স্মৃতির সাগরে। তমোনাশের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা, কষ্ট - কোনোটিই লুকোরে পারেনি বড়লোক স্বামী, সুখী সংসার ও মেধাবী সন্তানের জননী বহ্নি। কিন্তু তমোনাশ ততোটাই স্থিতধী। এমনকি কথা কচলিয়ে ভুল ভাঙাতে সক্ষম হয় যে, সে বহ্নির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নি। বাবার হঠাৎ মৃত্যু, সংসারের পুরো দায়ভার কাঁধে পড়া, এমএ পরীক্ষা দিতে না পারাই ছিল বহ্নির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারন। আর বহ্নি আবিষ্কার করে, স্বামী - সংসারে সুখ- সমৃদ্ধি, আর্থিক প্রতিপত্তি কোন কিছুরই অভাব না থাকলেও সে এত দিন শুধু অভিনয় করে গেছে স্বামী বীরেন্দ্রের সঙ্গে! আসলে তমোনাশককে ভুলে থাকা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সন্দেহ নেই, তমোনাশ - বহ্নিই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। তাদের অচরিতার্থ প্রেমকাহিনীই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য বিষয়। তবুও উপন্যাসের অন্য পিঠে বর্তমান সময়ের নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার কারণে অভিভাবকদের সান্নিধ্য না পেয়ে বালক- বালিকারা কীভাবে বখে যায়, তা চিত্রিত হয়েছে তিন্নি- গৌরাঙ্গ আর আফরোজা - মার্শালের প্রেমের স্বরূপ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। উপন্যাসে প্রেম রূপায়ণের মধ্য দিয়ে যে সমাজবাস্তবতার চিত্র উঠে এসেছে, তা উপন্যাসকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে। লেখকের নির্মিত চরিত্রে সাবলীল সংলাপ, আত্মকথন, ভাষার সারল্য পাঠককে নির্বিঘ্নে নিয়ে যায় উপন্যাসের শেষ প্রান্তে। তবে ভাষার ব্যবহার কখনো কখনো শালীনতাকে ছাড়িয়ে গেছে বললে অতুক্তি হবে না। এ ধরনের কিছু ছোটখাটো সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও হরিশংকর জলদাসের ' এখন তুমি কেমন আছ' উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে সুখপাঠ্য। #বইয়ের_নাম : এখন তুমি কেমন আছ লেখক : হরিশংকর জলদাস দাম :২২০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
প্রেমের আড়ালে দেহভোগ, ভালবাসার সাথে সমাজের বাস্তবতা,অসহায়ত্ব, অবিশ্বাস, ত্যাগ সবকিছুই লেখক তুলে ধরেছেন উপন্যাসটিতে। তিনি সমাজের বাস্তব রূপকল্পই অঙ্কন করেছেন।উপন্যাসের কেন্দ্রীয় দুই মানব মানবী বহ্নি ও তমোনাশের প্রথম পরিচয় হয় তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে । সেই পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা ও প্রেমের সূচনা। কিন্তু সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতার সামনে অসহায় তমোনাশ কে ভুল বুঝে বিয়ের পিড়িতে বসে বহ্নি। হয় সন্তানের জননী। বহ্নির স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনের চৌত্রিশ বছর পর হটাত একদিন ফোন করে তমোনাশ। তমোনাশের ফোনে ঝড় তোলে বহ্নির মনে। যে তমোনাশ কে এতগুলো বছর সে ভুল বুঝে ঘৃণা করে এসেছে যাকে সে অভিশাপ দিয়েছিল দাম্পত্য জীবনে সুখি না হওয়ার সে তমোনাশের সাথে কথা বলার বাসনা প্রবল হয়ে উঠে বহ্নির মনে। উপন্যাসটিতে ভুল প্রেমের সম্ভাব্য পরিণতি তুলে ধরেছেন বহ্নির মেয়ে দিপা ও তার প্রেমিক দীপঙ্করের মাধ্যমে। এছাড়া কৈশোরের প্রেম-দেহ খেলার ভুল দিক নিয়েও দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণও অসাধারণ। অপ্রিয় সত্যগুলো খুব স্বাভাবিক ভাবে সুনিপনরূপে উপস্থাপন করেছেন তিনি। তাঁর শক্তিশালী লেখনী শক্তি দিয়ে তুলে ধরেছেন সমাজের প্রেমজ সম্পর্কগুলো। এক বসাতে পড়ার মতো উপন্যাস এটি। উপন্যাসটি পাঠককে দিবে এক নিবিড় প্রেমজ সম্পর্কের আস্বাদ।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের নতুন উপন্যাস ‘এখন তুমি কেমন আছ’। তিনি শুধু কাহিনি লেখেন না, সমাজকেও লেখেন। উপন্যাস দিয়ে যেমন, গল্প দিয়েও তেমনি পাঠকের ভেতরটা নাড়িয়ে দেন। ‘এখন তুমি কেমন আছ’ উপন্যাসের কাহিনি এগিয়েছে বহ্নি ও তমোনাশের প্রেমের গল্পে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তাদের প্রথম পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা, কিন’ শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায় না। তমোনাশকে ভুল বোঝে বহ্নি। তারপর তার বিয়ের পিঁড়িতে বসা। চলতে থাকে তার দাম্পত্য জীবন। সন্তানের জননী হয় সে। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। চৌত্রিশ বছর পর সাবেক প্রেমিকা বহ্নির কাছে ফোন করেছে প্রেমিক তমোনাশ। তমোনাশের ফোনে ঝড় তোলে মনে। এতগুলো বছর পর সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার বাসনা প্রবল হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তমোনাশ ও বহ্নির সাক্ষাৎ হয়েছিল কি? এক বসাতে পড়ার মতো উপন্যাস এটি। একবার শুরু করলে এর বিষয়বস’ টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত। মানব-মানবীর প্রেমজ সম্পর্কে এক নিবিড় পাঠের আস্বাদ দেবে এই উপন্যাস। সুত্রঃ সুপ্রভাত বাংলাদেশ