User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মায়া' বইয়ের অন্যতম চরিত্র নিশান। নিশান রেখা নামের একটি মেয়েকে ভালোবেসে ছিল। কিন্তু রেখা ভয়াবহ দুঘর্টনায় মারা যায়। নিশান রেখাকে হারিয়ে, তার মায়ার বাধা পড়ে অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারেনি। হটাৎ তার কাছে রেখা র ফোন নাম্বার থেকে ফোন আসতে থাকে। আর তার নাম থাকে 'রে'। কাকতালীয় ভাবে নিশান রেখা কে 'রে' ডাকত। রেখার মত সেই একই কণ্ঠ, রেখার সাথে কথা বলার একই সময় এসব খুঁজে পেয়ে ছিল রে নামের মেয়েটির মাঝে। হয়তো রেখার অনুপস্থিতি কারণে নিশান 'রে' প্রতি মায়ার জড়িয়ে পড়ে। এভাবেই চলে নিশানের জীবন। অন্যদিকে গল্পে আরেকটি চরিত্র মিতু। যার মাধ্যমে লেখক ফুটিয়ে তুলেছে সমাজের অন্যতম একটি বাস্তব চিত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিতু এবং জিসান অনেক সুখী দম্পতি কিন্তু তাদের ভিতরের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সকলের সামনে সুখের অভিনয় করা সেই মিতু বাস্তব জীবনে অসুখী। সমাজের হাজারও মেয়ের প্রতিচ্ছবি হল মিতু চরিত্রটি। যারা অনেক সময় সমাজের কথা ভেবে সুখের অভিনয় করে যায় সবসময়। লেখক তার বইয়ে সহজ সাবলীলভাবে তুলে ধরেছে কিছু সমসাময়িক চিত্র। তবে বইয়ের সমাপ্তি খুব ভালো লেগেছে। তুলে ধরেছে সাধারণ কিছু কথার অসাধারণ অর্থ।
Was this review helpful to you?
or
'রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ' পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ মানুষের প্রতি মানুষের অনেকরকম আবেগের একটি নাম মায়া। মানুষের অনুভূতির মতো ব্যক্তিবিশেষে এই বিশেষ আবেগটিও পরিবর্তিত হয়। লেখক আসিফ মেহদীর 'মায়া' উপন্যাসটিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নি। গাণিতিক যুক্তি কিংবা বিজ্ঞানের ছোট্ট উদাহরণ জীবনের সাথে মিলিয়ে উদাহরণের চমৎকার সমন্বয়। সেখানে মায়ার স্থান কেমন ও শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে এর পরিণতি কী সেই ব্যাখ্যা দিতেই এই উপন্যাসের জবর দখল। অনেক কঠিন বাস্তবতাকে সহজে ও সুকৌশলে উপস্থাপনের দক্ষতা চোখে পড়ার মতন। মায়ার রাজত্ব আর দখলদারি এই হৃদয়ে। এক একটি মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে তা আলাদা, এবং সেটি তার কাছে যুক্তিযুক্ত। আঁখি ও নিশানের চরিত্রটি ভালো লেগেছে। লেখকের গোছানো কথামালা প্রত্যেকটি চরিত্রকে বাস্তব চিত্রণ না দিতে পারলেও সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনেকগুলো জীবনের খন্ডচিত্র দাড় করতে সক্ষম। ন্যানো কবি নিশান, যে প্রকৃতি ও জীবনের নানা গল্প ও সত্য ছন্দোবদ্ধ করে। হঠাৎ-ই অদ্ভুতুড়ে এক রহস্যের জালে আটকে যায় তার জীবন! সেই মায়াজাল ছিন্ন করতে উন্মুখ হয়ে ওঠে সে। পাঠকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ন্যানো কবির জীবনালেখ্য ‘মায়া’ বারবার উঠে এসেছে বেস্ট সেলার উপন্যাসের তালিকায়। কবিতা ও ছোট্ট গানের সম্ভারে বইটিকে আলাদা মাত্রায় এনে দিয়েছে। বাক্যগঠন ও শব্দচয়নের বিশেষ স্টাইল এর ভিন্ন চমক লক্ষ্যণীয়। মায়াময় জীবনের পরিসমাপ্তিও মায়াময়। সংসার জীবনে, পরিণয়ের সূচনায়, হৃদয়ের গহীনে মায়া খুব লুকায়িত একটি বিষয়। মনের খোরাক কিংবা হাসিমুখ জিয়িয়ে রাখতেই এই মায়ার বসবাস।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি_সংক্ষেপে: ক্লাসমেট রেখাকে অসম্ভব ভালোবাসতো নিশান। অথচ এক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে রেখা কে। জীবনে কখনো কিছুই চাইনি রেখা তার কাছে,হয়তো এতোটুকুই চেয়েছে নিশান বার বার ফিরে আসুক তার কাছে। তার চাওয়াকে পূরণ করতেই হয়তো দুর্ঘটনার জায়গায় বার বার ফিরে আসে নিশান। বাইরে থেকে দেখতে খুব সুখি দম্পতি মিতু আর জিসান। অথচ ভিতরের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক গভীর বেদনার সাথে দিন কাটে মিতুর । অতীত আর বর্তমানের টানাপোড়ন তাকে প্রতিনিয়ত যন্ত্রণায় দগ্ধ করে। বয়ে চলা সময়ে নিশানের জীবনে আসে আঁখি। কিন্তু ফোন কলের ওপাশে না দেখা না জানা একজনের মায়ায় জড়িয়ে পড়েছে নিশান। তার টানে আঁখিকে উপেক্ষা করে সে ছুটে চলে যায় দেশের অন্য প্রান্তে। তার পর.....! বয়ে চলা এই জীবনে,মায়ায় ঘেরা পৃথিবীতে কি অপেক্ষা করছে,জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। পাঠপ্রতিক্রিয়া : মায়ায় ঘেরা এই পৃথিবীতে,মায়ার টানেই ছুটে চলে মানুষ। মায়াতেই বেঁধে রাখে সব কিছু। বইটি পড়ে মায়া শব্দটার সাথে মনে হলো নতুন করে পরিচয় হলো। অসম্ভব এক মায়া জড়ানো ছিলো বইটিতে। খুব সাধারণ কিন্তু চমৎকার প্লটে সাজানো বইটি আপনাকে পরিচয় করাবে বন্ধুত্বের সাথে,বাস্তবতার সাথে, ভালোবাসা হারানোর বেদনার সাথে,পরিচয় করাবে মায়ার সাথে। লেখকের সাবলিল বর্ণনা,দক্ষতার সাথে পরিবেশ চিত্রায়ন,শব্দ বুননে মুন্সিয়ানা সহজেই বইটি যে কারোর কাছে সুখপাঠ্য করে তুলেবে। অদ্ভুত এক মায়ায় ডুবিয়ে রাখবে। মায়ার জগতে আপনাকে স্বাগতম। বই: মায়া লেখক: আসিফ মেহ্দী প্রকাশনী : জাগৃতি প্রকাশনী মূল্য : ১৬০ ( মুদ্রিত ) পৃষ্ঠা : ৭৯ রেটিং : 4/5
Was this review helpful to you?
or
অতুলনীয় এক বই পড়লাম,যে বইয়ের বিবরণী মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।লেখকের লেখনীতে অপার মাধুরি মিশে আছে।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: মায়া; লেখক: আসিফ মেহ্দী; "মায়া" এক সংজ্ঞা হীন অনুভূতি,ইহ জগতের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এক বস্তু। আমাদের এই জীবনটা এক মায়ার বৃত্তে আবদ্ধ। মায়া হঠাৎ জন্ম নেয় হৃদয়ের গহীন থেকে কিন্তু আমাদের আবদ্ধ করে ফেলে মায়ার বেড়াজালে। উপন্যাসটিতে যে "রেখা"র জন্য "নিশানে"র মায়া ছিল মুখে অপ্রকাশ্য, সেই রেখা এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় আজ ঐ দুর আকাশের তারা। কিন্তু নিশান মায়ার টানে ফিরে যায় বারে বার সেই জায়গায়,যেখানে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে তার মায়া বৃত্ত,রেখা। পরবর্তীতে নিশান রেখার মতো দেখতে অন্য একজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু নিশানের পক্ষে কি রেখার মায়া কাটিয়ে ওঠা সম্ভব? এ যে মায়ার বাঁধন। মাত্র ৭৯ পৃষ্ঠার ছোট্ট এক বই অথচ কত কিছুই না ধারণ করে রেখেছে। অল্প অল্প কথার বুননে লেখক আসিফ মেহ্দী ভাইয়ের লেখনিতে উঠে এসেছে সব চরিত্র যেন সবই জীবন্ত। সেসব চরিত্রের মাঝেই আমরা মিশে আছি এক গভীর মায়ায়।
Was this review helpful to you?
or
ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগিতা বই আলোচনাঃ সামাজিক জীবনে আমরা অনেক মায়ার বাঁধনে বাঁধা থাকি। "মায়া" আমাদের আগলে রাখে যেকোনো সম্পর্কে। আসিফ মেহ্দী রচিত, "মায়া" এরকমই এক উপন্যাস। উপন্যাসটির আপনি যতো গভীরে প্রবেশ করবেন, এর প্রত্যেকটা চরিত্রের মায়ায়, খুব গভীরভাবেই ঘায়েল হবেন এবং বইটি শেষ করবেন খুব তৃপ্তিসহকারে। নিশান একজন বেকার মানুষ। টিউশন করে দিন চলে। নিশানের একমাত্র ভরসার জায়গা "রেখা"। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি নিশানের সাথে রেখার ভালবাসার সম্পর্কটা বেশিদিন স্থায়ী হলোনা। হঠাৎ এক এক্সিডেন্টে রেখার মৃত্যুতে সবকিছু যেন, বদলে যেতে শুরু করলো। আচমকা একটি ফোনকল আসা শুরু করলো নিশানের কাছে, নিয়মিত কথা হচ্ছে কিন্তু পরিচয় জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি "রে" নামে নিজেকে পরিচয় দেয়। কে এই "রে"? এই মানুষটির সত্যিই কোন অস্তিত্ব আছে? নাকি কল্পনার জগতে নিজের কোন সঙ্গী করে নিলো নিশান?? মিতু, বিবাহিত হলেও মন থেকে কখনো সুখী হতে পারিনি জিসানের সাথে। এই সাংসারিক জীবনটা হতে পারে আজকের দিনের উদাহরন। সোশিয়াল মিডিয়াতে আমরা কতো কাপলের হাসিখুশি ছবি দেখে মনে মনে ধারনা করে নেই তাদের সুখী জীবন, কিন্তু ব্যাক্তিগত জীবনে এরা কতোটুকু সুখী থাকে? মিতুর জীবনটা এররকমই। কি হবে তাহলে এই সংসারের শেষ পরিনতি? সম্পর্ক যেমন মায়ার জন্য কেউ ছেড়ে আসতে পারেনা, পাঠকও তেমন বইটি পড়ার সময়,প্রতিটি চরিত্র ও প্রত্যেক গল্পের মায়া শেষ না করে ফেরত আসতে পারবেনা। হ্যাপি রিডিং।
Was this review helpful to you?
or
পড়ে শেষ করলাম লেখক আসিফ মেহদীর বই "মায়া"। আমি সাধারণত যেধরনের বই পড়ি, " মায়া" বইটি সেদিক থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম। এটি মূলত একটি রহস্য উপন্যাস। রহস্য উপন্যাস হলেও প্রেম-ভালোবাসা-জীবনবোধের এক অবিমিশ্র সমন্বয় আছে এই উপন্যাসে। সেকারণেই এই উপন্যাস পড়াটা অনেকটা সার্থক হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিশান, যে তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করে।অদ্ভুত সব ঘটনাগুলো একে একে নিশানের সাথেই ঘটতে থাকে। একদিন নিশানের ফোন বেজে উঠে। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ডিসপ্লের দিকে তাকাতেই সে ভীষণ অবাক হয়। ফোন রিসিভ করে আরও চমকে উঠে নিশান। ওপাশ রেখে রেখার কন্ঠস্বর। রেখাই ছিল নিশানের ভালোবাসার মানুষ। নিশান ভাবতেই পারেনা, এটা কিভাবে সম্ভব? মৃত মানুষের কন্ঠ ভেসে আসে ফোনের ওপাশ থেকে। এক ধরনের ঘোরের মধ্য দিয়ে যেতে থাকে নিশান। নিশানের সাথে শেষপর্যন্ত কি ঘটে পাঠক সেটা উপন্যাসটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। এই উপন্যাসে যে চরিত্রটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, তিনি হলেন মিতু। যে মেয়েটা প্রকৃত ভালবাসার মানুষটির ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজের বুকের মধ্যে গড়ে তুলেছে এক ব্যথার পাহাড়।বিষাদের তীব্র দংশনে প্রতি মুহুর্তে জ্বলেপুড়ে ছাড়খার হয়ে গিয়েও এই পৃথিবীর সকল মানুষের সামনে সে নিজেকে হাসিখুশি রাখে। মায়াহীন এক সংসারে পড়ে থেকে ফেকনেস এর ধোঁয়া তুলে মিতু নিজের মধ্যে ভাললাগার বোধ আনতে চায়। অশ্রু নাকি মানুষের পরম বন্ধু, কান্নায় নাকি শোক মন্দীভূত হয়;এর চেয়ে ভালো নাকি আর কোন ঔষধ নেই। অথচ একসময় লাফিয়ে লাফিয়ে চলা প্রাণবন্ত মিতু তো তার বেডরুমটিকে ক্রাইং চেম্বার বানিয়ে ফেলেছে, তবুও তার শোক কমেনি। আমি পড়ি আর ভাবি, এরকম কতো শত মিতু আমাদের চারপাশেই বাস করছে, আমরা হয়তো সে খবরও রাখিনা। এছাড়াও এই উপন্যাসে আরও আরও চরিত্রের মাঝে দারুণ ক্ল্যাইমেক্স তৈরী করেছিলো আঁখি চরিত্রটি।আঁখিকে নিয়ে কিছু লিখার সাহস নেই, এই মেয়েটার জন্য আমার খুব বেশি মায়া লেগেছে।হৃদয় দিয়ে সে একজনকে সত্যিকারভাবেই ভালবেসেছ অথচ ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে পায়নি কিছুই। উপন্যাসের নিজাম উদ্দিন কিংবা জিসান, প্রতিটি চরিত্রই ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। উপন্যাস পড়া শেষ হয়ে গেলেও নিজের মধ্যে একধরনের অপ্রাপ্তিবোধ কাজ করে, সেটাও এক মায়া। মায়া ছোট একটি শব্দ। অথচ কি অদ্ভুতভাবেই না মায়া আমাদের সবার জীবনে লেপ্টে আছে।মায়াহীন এই পৃথিবীতে সম্পর্কগুলো শেষ হয়ে গেলেও কোন এক অদ্ভুত শক্তির মাঝে আমরা আটকে থাকি, সেটা হচ্ছে মায়া। জীবন কখনো কখনো আমাদের এমন পরিস্থিতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, যখন আমরা আটকে যাই মায়ার বাঁধনে। এই বাঁধন বড় কঠিন;যেটা অতিক্রম করা খুব দুরুহ কাজ। "মায়া" সেরকম ই এক উপন্যাস।রবি ঠাকুরের ছোট গল্পের মতোই বলতে ইচ্ছে করে, "যেন শেষ হয়েও হইলো না শেষ। " উপন্যাসের প্রচ্ছদটি দারুণ দৃষ্টিনন্দন। সবমিলিয়ে "মায়া" পাঠককের মনের খোড়াক জোগানের জন্য অনন্যসাধারণ এক উপন্যাস। ধন্যবাদ লেখককে, এমন সুন্দর একটি উপন্যাস উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বইটা যেনো একটা আয়না!আমাদের এই মানব মনের একটি আয়না!মায়া!মিতুর মতো অনেক মিতুই ঘর করে একজনের সাথে তবে অন্তরে ঘর বাধে আরেকজনের জন্য,আবার নিশানের প্রেমের নিশানা রেখাকে যেনো ওই ভবনের নিচ থেকে ফিরিয়ে আনবে,।আমাদের কার মন কার জন্য ব্যাকুল নিশানআবার নিজামের মতো কেই বা কার ক্ষতি করে! মায়া
Was this review helpful to you?
or
নতুন প্রজন্মের জন্য একজন লেখক আসিফ মেহদী ভাইয়া। তার বই সুখ দুঃখ সব কিছুর অনুভূতি দেয়। মানুষের প্রতি মানুষের মায়া যে কত টা হতে পারে। এই বই টি পরলে বুঝা যাবে।
Was this review helpful to you?
or
মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে কিছু উদ্দেশ্য,আর সেই উদ্দেশ্যই কারো কারো জীবনের হয়ে উঠে সম্ভাবনার সোপান।ঠিক তেমনই লেখক/কবি যারা তাদের লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে তাদের লেখা সম্ভাবনাময় মনের ভাব,হোক সেটা প্রবন্ধ,সাহিত্য..ইত্যাদি যেটাই হোক না কেন তা থেকে কিছু পাঠকগণ খুঁজে পায় জীবনের মূল অর্থ।এরই পরিক্রমায় আসিফ মেহ্দী তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।লেখার পিছনে দিয়েছেন অক্লান্ত পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি।ঠিক এমনই এক বই 'মায়া' সেখানে ফুটে উঠেছে এক বিস্ময়কর মায়া।সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত যে স্মৃতিশক্তি মানুষের মধ্যে বিরাজমান,তারই সমষ্টিতে রয়েছে মায়া নামক এক বিস্ময়।প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সুপ্তভাবে রয়েছে মায়া।আর যদি হয় কাউকে ভালোবাসা তাহলে তো কোন কথাই নেই। নিশান একটা মেয়েকে ভালোবাসত,যার নাম ছিল রেখা।একদিন হটাৎ করে নিশান জানতে পারল রেখা আর পৃথিবীতে নেই,রেখা মারা গেছেন দূর্ঘটনায়।যার ফলে নিশানের জীবনে নেমে আসে এক কালক্ষেপন।নিশান ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে,প্রায়ই খুঁজতে যায় সেই দূর্ঘটনার জাগায়।চেষ্টা করে তাকে ভূলে থাকতে,কিন্তু সেটা কি সম্ভব?তা জানতে হলে পড়তে হবে আপনাকে এই বই,যার থেকে পেতে পারেন জীবনের এক নতুন সম্ভাবনা।
Was this review helpful to you?
or
লেখক আসিফ মেহেদী। বই প্রতিযোগিতা রিবিউ; মায়া প্রকাশনী ; জাগৃতি প্রকাশনী মূদ্রিত নিশান একজন বেকার যুবক। টিউশনি করে তার খরচ চলে। প্রচন্ড ভালবাসতো রেখা নামের একটি মেয়েকে। কিন্তু সবার সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। নিশানেরও হলো না। একটা দুর্ঘটনায় মারা গেলো রেখা। রেখা মারা গেলেও নিশানের ভালবাসা জীবিত। সে প্রায়ই দুর্ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে থাকে। চেষ্টা করে কষ্টকে ভুলে থাকতে। মিতু একটি বিবাহিত মেয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে দেখলে যেকোনো মানুষ জেলাস হতে পারে। তার মত এত সুখে কেউ নেই। কিন্তু বাস্তব জীবনে? তার মত কষ্টে খুব কম মানুষ আছে। জিসানের সাথে বিয়ে হলেও তার প্রতি কোনো ভালবাসা নেই মিতুর। তার মনের অবস্থা জিসান ও জিসানের পরিবারের বাইরে কেউ জানে না। আখি অতি রূপবতী একটি মেয়ে। নিশানের ছাত্রী আখি। মনেমনে নিশানকে পছন্দ করে। বিভিন্ন উদ্ভট প্রশ্ন করে নিশানকে বিব্রত করে দেয়। মাসুদ নিশানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। বন্ধু মহলে সে পিরীতআলি নামে পরিচিত। সে ঘনঘন ব্রেকাপ করে আর রিলেশন করে। এই ছিলো মোটামুটি চরিত্র পরিচিতি আর তাদের কিছু কর্মকান্ড। এবার একটু নিশানের কথা বলি। হঠাৎ একদিন নিশানের কাছে ফোন আসে। এক মেয়ে ফোন দেয়। নাম 'রে'। নিশান তার ভালবাসার মানুষ রেখাকেও সংক্ষেপে 'রে' বলে ডাকত। এই মেয়েটার কথা বলার ধরনও রেখার মত। অথচ দাবী করছে সে রেখার বন্ধু। নিশান ভাবলো তার হেলুসিনেশন হচ্ছে। কিন্তু রে তাকে নিয়মিত ফোন করে। আস্তে আস্তে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। কি হবে নিশান আর রে'র সম্পর্ক? আদৌ কি রে কোনো জীবিত মানুষ নাকি নিশানের কল্পনা? কি হবে মিতু আর জিসানের জীবনে? এভাবেই কি মিতু অসুখি থাকবে নাকি তার জীবনে সুখ আসবে? আখি আর মাসুদেরই বা কি হবে। জানতে চাইলে বইটি পড়ে ফেলুন। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গ্রুপে এই বইয়ের উপর একটা ছোট্ট রিভিউ দেখে পড়তে খুব বেশি ইচ্ছা করছিলো না। কিন্তু যতই পড়েছি ততই আগ্রহ বেড়েছে। প্রায় প্রত্যেকটা চরিত্রের জন্য মায়া হইছে। লেখক এখানে শুধু একজনের কাহিনীই লিখেন নাই বরং পার্শ চরিত্রগুলোও মন ছুয়েছে। তবে মিতু নামক মেয়েটার উপর একটু রাগ হইছে। কিছুটা তার মত চরিত্রের একজন মানুষের সাথে বাস্তব জীবনে পরিচয় আছে। সেটা অবশ্য কাকতালীয়। এই বইতে অনেকগুলো ডায়লগ ছিলো যেগুলো খুব ভাল লাগছে। একটা মজার আইডিয়া আছে যেটা পড়ে অনেক্ষন হাসছি। বলা হচ্ছিল, 'লোকাল বাসে মহিলা সিট পিছনে দেওয়া উচিত। তাহলে বাসের গেটে ভিড় লাগবে না।' পুরোটা বইটা পড়ার পড়ে ফিনিশিং ছিলো অসাধারন। ফিনিশিং এর জন্য পুরো গল্পের স্বাদটাই বদলে গেছে। ২০১৫ সালের বেস্ট সেলার বই। পড়ে দেখতে পারেন। আশাকরি সময়টা খারাপ কাটবে না।
Was this review helpful to you?
or
মায়া এক অদ্ভুত অনুভুতি।এর কোনো সঠিক ডেফিনিশন নেই। জাগতিক কোনো নিয়মনীতি দ্বারাও মায়া নিয়ন্ত্রিত নয়। মায়ার কোনো সীমা পরিসীমাও নেই । কোনো বিশেষ সম্পর্কের মধ্যে এটা শৃংখলাবদ্ধ নয়। তবে এর প্রভাব যে কত ব্যাপক তা বের করার জন্য কোনো সুপার কম্পিউটার আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। আসিফ মেহদীর "মায়া" উপন্যাস এর প্রতিটি চরিত্রই যেনো মায়ার তৈরি সুক্ষ এক জালে ঘিরা। এর প্রতিটা চরিত্রই যেনো বাস্তব। নিশান,মিতু,রে,আঁখি,মাসুম সবার জীবনই এক অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে বাঁধা। এর প্রতিটা পাতায় পাতায় আছে ভালোবাসা,কষ্ট,মান অভিমানের প্রহর। মায়াময় পৃথিবীর মায়ার গল্পই "মায়া"। এই উপন্যাসের প্রায় সকল চরিত্রই যেনো কোনো না কোনো ভাবে মায়ার বাঁধনে বাঁধা। গল্পের নায়ক নিশান! যে তার প্রথম ভালোবাসা রেখার মৃত্যুর পরও তার প্রতি মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেনা! হঠাৎ একজনের প্রতি আচ্ছন্ন হলেও রেখার মায়া কাটিয়ে উঠতে পারে না সে। নিশানকে সর্বক্ষণ প্রেমের সংজ্ঞা শিখাতে চাওয়া মাসুদ। প্রেম ভালোবাসা নিয়া মজা করা সেই মাসুদও একসময় ভালোবাসা নামক আরেক মায়ার জগতে আটকে যায়। মিতু! যে কিনা একজনকে ভালোবেসে আরেকজনের সাথে সংসার করে। জিসানকে ভালোবাসার অনেক চেষ্টা করলেও সে যে রিয়াজের মায়া কাটিয়ে উঠতে পারে না সে। এই গল্পের নায়ক 'নিশান' থেকে শুরু করে বাসার দারোয়ান 'সাইদুল' পর্যন্ত সবাই মায়ার তৈরি বেড়াজালে আবদ্ধ।এই উপন্যাসটির প্রতিটা পাতার মধ্যে ছড়িয়ে আছে এই মায়াময় পৃথিবীর মায়ার এক অসাধারণ গল্প। বইঃ মায়া লেখকঃ আসিফ মেহদী। প্রকাশনীঃ জাগৃতি প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্যঃ ১৬০/- পৃষ্ঠাঃ ৭৯
Was this review helpful to you?
or
আসিফ ভাইয়ার মায়া উপন্যাসটি পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো। এর কাহিনীপট বাস্তবতার সাথে এতটাই আচ্ছন্ন যে জীবনের বিচিত্রতা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট জানতে পারা যায়।উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে নিশানকে ঘিরেই ঘটনা প্রবাহ এগিয়ে যায়। সে নিজেও কিছুটা অদ্ভূত রকমের কান্ডকীর্তি করে। প্রথমদিকটায় আমরা দেখতে পাই মৃত্যুর পরও তার প্রথম ভালোবাসা রেখার মায়া সে হাজার চেষ্টা করেও ভূলতে পারছে না। পরবর্তীতে রে-নামের একজনের সাথে যতটুকু সখ্যতা গড়ে উঠেছিল না, তবুও ঘুরেফিরে রেখার চিন্তাটাই নিশানের মনেতে গেঁথে থাকে। এদিকটায় তার বন্ধু মাসুদ প্রেমের সংজ্ঞা শেখাতে ব্রেক-আপের তত্বজ্ঞান দিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলো না। মাসুদ নিজেও একজনের গভীর মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ডুবে যেতে থাকে। নিশানের ভাবী মিতুর অবস্থাটা আরও বেগতিক। পরিবারের চাপে বিয়ে করে জীবনটা তছনছ হয়ে যায় তার।পূর্বেকার মায়া সে যেন ভূলতেই পারে না! আরেকটি বিষয় আমরা লক্ষ্য করি বাড়ির কেয়ারটেকার সাইদুল সম্পর্কে। সেও অজানা এক মায়ায় হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়।এরকম আরও ছোটখাটো বিষয় যা সবই মায়ার সূক্ষ্ম জালে জড়ানো।আসিফ ভাইয়ার এই উপন্যাসের ভাষা ও ভঙ্গির সারল্য অন্তরঙ্গতা মুগ্ধ করবে যে কাউকে।
Was this review helpful to you?
or
আসিফ মেহেদীর 'মায়া' বইটি নিয়ে বড় ইচ্ছে হল কিছু লিখতে। উপন্যাস বা গল্পের বই বলতে পারছিনা, কারন বইটির সব চরিত্র গুলো আমাদের নিজেদের। মিতুর মত হাজার মিতু ঘরে ঘরে, যে জীবন কাটায় একজনের সাথে, আর স্বপ্নের বীজ বোনে রিয়াজের জন্য। অথচ রিয়াজ হয়ত তা জানেনা। নিশানের ফুল হাতে মৃত রেখার জন্য প্রতিনিয়ত অপেক্ষা আর হটাৎ 'রে' শব্দটি শুনে পাগলের মত খুঁজে ফেরা এসবই তো মায়ায় ঘেরা জীবনের অংশ ।আঁখির নিশানের প্রতি আবেগ কারো কাছে পাগলামি মনে হতে পারে।এখানেও সেই মায়ারই খেলা। ভালবাসার মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে মাসুদের মত ছেলেরা হয়ে যায় বদ্ধ উন্মাদ। আমাদের চারপাশে আছে নিজাম উদ্দিনের মত বিকৃত মস্তিষ্কের লোক । যার বহিরঙ্গে একরূপ আর ভিতরে বসবাস বিকৃত লাম্পট্যে ।পাওয়া না পাওয়ায় গভীর ভালবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে মিতু জিসানের বিশ্বাস ঘাতকতাকে না মেনে চলে যায় অজানা, অচেনা, ঠিকানাহীন পথে।।এদের মাঝেই তো রয়েছি আমরা সবাই, গভীর ভালোবাসায় , গভীর মায়ায় ।। ধন্যবাদ আসিফ মেহেদী ।
Was this review helpful to you?
or
আসিফ মেহ্দীর বইগুলোর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল একেকটা বই আরেকটাকে ছাড়িয়ে যায়। যেমন "মায়া"ছাড়িয়ে গেছে আগের সবকটি বইকে। মায়ার পাতায় পাতায় কতগুলো জীবনের গল্প যেন একই সুতোয় গাঁথা। তাতে আছে ভালবাসা,আছে কষ্ট,মান অভিমানের প্রহর,জীবনের পাওয়া না পাওয়ার জটিল কিছু হিসাব আর এক অধরা মরীচিকার পেছনে ছুটে চলার গল্প। জীবনধর্মী এ উপন্যাসে উপজীব্য হচ্ছে-একটা চরিত্রকে ঘিরে বহমান এক "অনিন্দ্য সুন্দরের" নিপূণ আর সফল সমাপ্তি। একটা মানুষ,তার ভালবাসা আর সেই ভালবাসার রঙে রাঙানো এক ক্যানভাসে কিছু মানুষের এলোমেলো ছুটোছুটি। যেন সবাই মায়ার বাঁধনে বাঁধা,আবার যেন সবাই মায়াহীন সংসারের খেলার পুতুল। বইটা পড়তে পড়তে যখন শেষদিকে চলে এসেছি তখন বারবার মনে হয়েছে আমাকে হয়তো কোন এক রঙ্গমঞ্চের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে আর সেই রঙ্গমঞ্চের অভিনেতারা নিজেদের জীবনের ছুটে চলার প্রতিটি গল্প বলে যাচ্ছে নিজমুখে,আপন ভঙ্গিমায় ! কখনো লেখকের চিরচেনা ন্যানোকাব্য কিংবা লাইনে লাইনে হালকাধাঁচের ছন্দের তাল-এসবে ফুটে উঠেছে মায়াময় এ পৃথিবীর মায়াভরা সব গল্প। তবে আমি বলব,সবকিছু ছাপিয়ে বিমূর্ত হয়ে উঠেছে একটিই শব্দ - "ভালবাসা"! মানব মনের বিচিত্র ভালবাসা-তা কখনো মানুষকে হতাশায় ডোবায়,কখনো তাকে বাঁধে নিবির কোন এক মায়ার আলিঙ্গনে! নিশান,রেখা,রে,আঁখি,মিতু- আহা! জীবনের এক অদৃশ্য মায়ার বাঁধনে কতইনা যত্নে বইয়ের পাতার এ মানুষগুলোকে একসাথে বেঁধেছেন ন্যানো কবি আসিফ মেহ্দী! সাথে পাঠককে তো বটেই!
Was this review helpful to you?
or
আসিফ মেহ্দী মায়া বইটি পড়ে মায়া জাল সম্পকে ভাল জানতে পাইলাম । তাছাড়া তার বই লেখার ধরণ আমাদের হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সাথে আনেকটাই মিল আমার কাছে মনে হয়েছে । “মায়াচ্ছন্ন পৃথিবীতে যারা মায়াহীনতার পথে হাঁটতে চায়, প্রকৃতি তাদের মায়াজাল থেকে বাঁচিয়ে রাখে ঠিকই, কিন্ত তারা জীবনেয়া রূপ-রস থেকেও বঞ্চিত হয়।’’ – আসিফ মেহ্দী
Was this review helpful to you?
or
আমি সাধারণত বই পড়িনা। তবে এক বন্ধুর কথায় rokomari থেকে এই মায়া বইটা সংগ্রহ করে পড়ি। ভাবিনি কোন বই পড়ে এতটা ভাল লাগার অনুভূতি হতে পারে। এখানে ভালোলাগা বলতে আনন্দ বা কষ্ট কে বুঝাইনি। ভালোলাগা মানে তৃপ্ত হওয়া। সমাজে মেয়েরা যে ঘরে ঘরে স্বামীদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে যেটি সমাজ বলে বিয়ে সেটি এখানে ফুটে উঠেছে। বাবা মা এর কাছেও মেয়েটি কিছু বলতে পারে না। এ যেন উভয় সংকট। ভালবাসা না থাকলেও সমাজের ভয়ে একটি মেয়েকে কিভাবে সকল কিছু মেনে নিয়ে তার সংসার নামক বস্তুটিকে সারা জীবন টে চলতে হয় তা এখানে ফুটে উঠেছে। আমি লেখকের এই বইটা পরে সত্যি মুগ্ধ হলাম। আগেই বলেছি অসাধারণ একটি বই। আশা করি এই বইটা পড়ে সবাই সন্তুষ্ট হবেন। আমি লেখকের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেছি।
Was this review helpful to you?
or
Not as a my friend of the writer, I would say this book is a good. Anyone can buy, if you want to laugh yourself.
Was this review helpful to you?
or
"রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ" ‘তুমি চাইয়া দেখ আমার কাছে কী দেই তোমায়, ফুল চাইলে ঘুম পাড়াবো ফুলের বিছানায়।’ নিশানের এই গান যার জন্য; সেই রেখা আর কোনদিন কিছুই চাইবে না। কারণ ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় সে পাড়ি জমিয়েছে পরকালে। কিন্তু নিশান রেখার মায়া কাটিয়ে উঠতে পারে না। তাই বারবার ফিরে যায় সেই জায়গায়, যেখানে ঘুমিয়ে আছে ভালোবাসার মানুষটি। পরবর্তীতে রেখার মতো দেখতে অন্য একজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু রেখার মায়া কি কাটিয়ে উঠা সম্ভব? মায়া এক সংজ্ঞাহীন অনুভূতি। ইহজগতের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এক বস্তু। এই মায়ার বেড়াজালেই আবদ্ধ আমরা সবাই। মিতুর মতো হাজার মিতু আজ ঘরে ঘরে। যে পরিবারের চাপে বিয়ে করে নিজের জীবনকে নিয়ে গেছে বিপথে। যে ঘর করে একজনের সাথে অথচ আঁটকে আছে অন্যের মায়ায়। বন্ধু মহলে পিরিত আলী নামে পরিচিত মাসুদ যে কিনা প্রেমের সংজ্ঞা আর ব্রেকআপের জ্ঞানতত্ত্ব বলে বেড়ায়, সে নিজেও এক মায়ায় আচ্ছন্ন। এমনিভাবে আঁখি, রে, মাসুম, এমনকি বাসার দারোয়ান সাইদুল। প্রতিটি চরিত্রই নিবিড়ভাবে আঁটকে আছে তাদের মায়াজালে। ছোট্ট একটি বই, অথচ কত কিছুই না ধারণ করে রেখেছে। অল্প অল্প কথায় নিপুণ বুননে উঠে এসেছে মায়াময় এই পৃথিবীর মায়াভরা সব গল্প। যেন সবই জীবন্ত। লেখক দক্ষতার সাথে পরম মমতায় চরিত্রগুলো এঁকেছেন। পড়লে মনে হবে গল্পগুলো যেন আমাদের। সেসব চরিত্রের মাঝেই আমরা মিশে আছি এক গভীর মায়ায়।
Was this review helpful to you?
or
প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে লিখে পাঠকগণকে প্রভাবিত করবে এটাই তো স্বাভাবিক,এরই নেপথ্যে আসিফ মেহেদী এক অনন্য তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।আসিফ মেহেদীর বই যারা এখনও পড়েনি তারা অবশ্যই বিস্ময়বোধকারী,আর যারা পড়ছে তারা তো নতুন সম্ভাবনার দাঁড় প্রান্তে।
Was this review helpful to you?
or
আসাধারন একটা বই । সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা বইটা । পড়ে দেখতে পারেন, ভাল লাগবেই । :)