User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
on of the best by Humaun
Was this review helpful to you?
or
আসমানী,জামদানী এবং পয়সা এই তিন বোনকে নিয়ে এই গল্পের বইটির কাহিনি চক্র। মূলত এই তিন বোন বাঙালির চিরচেনা দুঃস্থ অসহায় ভিখিরির মেয়ে। ঘটনা চক্রে বাবা এবং মা থেকে খুব ছোটবেলায়ই তারা আলাদা হয়ে পড়ে। তারপর তাদের স্থান হয় এক সার্কাসে। এই সার্কাসকে ঘিরে ঘটতে থাকে একইসাথে আবেগপূর্ণ, আনন্দময় এবং ভয়ংকর কিছু ঘটনা। এক কথায় অসাধারণ কাহিনি প্লট, যা পাঠককে নিরাশ করবে না। সবশেষে খুব সুন্দর একটি মিলনের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে,যা পাঠক হৃদয়কে পুলকিত করবে নিঃসন্দেহে! ❤
Was this review helpful to you?
or
The book starts with the struggle of a father whose wife left him and his children for no reason. The guy, a beggar, heard somewhere that his wife is in India. So he tries to pass through the border illegally and gets caught. Later for some sort of prison riot makes him stay there for years. Asmani along with her sisters join a circus and the story continues.
Was this review helpful to you?
or
বই: আসমানীরা তিন বোন লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অন্য প্রকাশ মুল্য:১০০৳ পৃষ্ঠা:৯৪ "একটা পয়সা দেনগো" বাবা বলে ভিক্ষারত আসমানী-জামদানীর বাবা জমির আলীর কাছে যখন খবর আসে তার আর একটা কন্যা সন্তান হয়েছে তখন পয়সা কথাটা মুখে ছিল বলে কন্যার নাম রাখে সে পয়সা । আসমানী, জামদানী এবং পয়সা তিন বোন। তিন বোনই বাবার অতি আদরের। অতি দার্শনিক ভাবধারার অলস ভিক্ষুক স্বামীর সংসার এবং তিন কন্যাকে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় আসমানীদের মা আছিয়া। আছিয়া বর্ডার পার হয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছে এই সংবাদের ভিত্তিতে সেও ইন্ডিয়া যেতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । নিখোঁজ হয় জমীর আলীও। এরপরের কাহিনী শুরু পনের বছর পর। তিন বোন একটা সার্কাস দলে দড়ির উপর খেলা দেখায়। সার্কাস দলের মালিক হারুন সরকারের জবানিতে জানা যায় ছোট মেয়ে অর্থাৎ পয়সার বয়স যখন তিন তখন তারা এখানে এসেছে এবং সে নিজের হাতে তাদের খেলা শিখিয়েছে। সার্কাস দলের প্রফেসর মতিন যে ঘোড়া নিয়ে খেলা দেখায় তারপর পাখি খসরু, ম্যানেজার তৈয়ব সর্বোপরি হারুন সরকার , তিন বোন এবং সার্কাসের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার জীবনযাপনের ভালো একটা ধারণা পাওয়া যায়। এই উপন্যাসের আরেক চরিত্র বশীর মোল্লা। ভাটি অঞ্চলের অতি ধুরন্ধর টাকার কুমির এই বশীর মোল্লা তিন বোনকে পছন্দ হয়েছে তাই পুরো সার্কাস দলই কিনে নিতে চায়। বাবার আদরে মেয়ে তিনটেকে মানুষ করা এবং সব রকম ক্লেদ থেকে বাঁচিয়ে রাখা হারুন সরকার তাদের বিপদ আঁচ করতে পেরে পুরো সার্কাস দলের মালিকানা দিয়ে যায় তিন বোনকে। মনু নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য আসা বিদেশি ইন্জিনিয়ার নি পোর্টার, যে বাংলা খুব ভালো বলে। সার্কাসের সুত্রে তিন বোনের সাথে পরিচয়। পয়সা একসময় তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভালো লাগার মানুষের সাথে সব কথা বলার অদম্য ইচ্ছা থেকেই পয়সা একসময় বলে তারা তিন বোন দড়ি খেলা দেখানোর সময়ে ঠিক দড়ির মাঝখানে দাড়িয়ে একসাথে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে "তাদের বাবা যেন ফিরে আসে"। হারুন সরকার মারা গেছে কিন্তু রাতে শো। অনেক মন খারাপ নিয়ে তিন বোন পারফর্ম করছে,নি পোর্টার ভিডিও করছে। ঠিক তার পাশে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধ খেলা দেখে ভয়ে চোখ ঢেকে ফেলেছে আর তাদের নেমে আসার অনুরোধ করছে।নি পোর্টারের কৌতুহলের জবাবে বলছে এই তিনজন আমার অতি আদরের মেয়ে। এই হলো কাহিনী। বাচ্চা ফেলে মায়ের চলে যাওয়াটা আমার কাছে একটু অস্বাভাবিক লেগেছে। বাকি চরিত্র মোটামুটি উৎরে গেছে।নি পোর্টারের সাথে পয়সার একটা শুভ পরিণয় ঘটলে মন্দ হয়না। খুব ভালো আমি বলবো না। তবে মাঝেমধ্যে আমরা যে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়, ফুসকা খায় ভালো মন্দ ভুলে খানিক মনের নির্মল আনন্দের জন্য ।তেমনি করে বইটা আমি পড়েছি বলে আমার খারাপ লাগেনি। বেঁচে থাকার জন্য মনের আনন্দই সার কথা!!!!!!! রেটিং আমি ৫ এর মধ্যে ৩ দিব।তাই বা খারাপ কি। ৬০%।মানে তো ফাস্ট ডিভিশন!!!!!
Was this review helpful to you?
or
বই-আসমানিরা তিন বোন লেখক- হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশক -অন্যপ্রকাশ মূল্য- ১০০টাকা প্রকাশকাল -২০০২ কাহিনি- জমির আলী, পেশায় ভিক্ষুক, শক্ত সমর্থ হবার পর ও কোনকাজ করার ইচ্ছা তার নাই। আসমানি, জামদানি আর পয়সা তার তিন কন্যা। ছোট মেয়ে পয়সা কে জন্মদেবার পর স্ত্রী নিরুদ্দেশ। স্ত্রী কে খুঁজতে জমির বর্ডার পার। হারুনের সার্কাস দল স্বাধীন বাংলা সার্কাস, ম্যানেজার তৈয়ব সব দেখাশোনা করেন। বশির আলি বেশ টাকাকড়ি আলা মানুষ, এবং ধুরন্ধর। নারীসংগ যার সদা কাম্য। খুব সুক্ষ্ম চাল চেলে যাচ্ছে সার্থের কাজে। নি পর্টার এক জন ইঞ্জিনিয়ার। ব্রিজ তৈরির কাজে এখানে। কি পরিণতি এদের? পাঠ-প্রতিক্রিয়া -সাধারণ একটা চিত্র,বেশ গুছিয়ে তুলে ধরা। কিন্তু শেষ টা সুন্দর হলেও একটু অসম্পূর্ণ। আর এক /দুই পাতা লিখে লেখক পারলে পারতেন শেষ করতে। হারুন, তৈয়ব এদের উপস্থিতি কিন্তু গল্পের মূল ঘটনার জন্য অনেক বড়। গল্প পড়ে পাঠকের ভাল লাগবে। তবে আরো অন্যরকম হলেও হতে পারত কিন্তু। রেটিং -৪/৫ রকমারি-https://www.rokomari.com/book/933/আসমানীরা-তিন-বোন
Was this review helpful to you?
or
"আসমানীরা তিন বোন" হুমায়ুন আহমেদের একটি সমকালীন উপন্যাস। এ উপন্যাস দ্বারা সমাজের অবহেলিত নারীদের উপর রচনা করেছেন। এই উপন্যাসের কাহিনীতে দেখা যায়; আসমানি, জামদানি এবং পয়সা নামে তিন বোন। এদের কেন্দ্র করে রচিত হয় এ উপন্যাস। অতি দার্শনিক ভাবধারার অলস ভিক্ষুক স্বামীর সংসার এবং তিন কন্যাকে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় আসমানীদের মা আছিয়া। আছিয়া বর্ডার পার হয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছে এই সংবাদের ভিত্তিতে ওদের বাবা ইন্ডিয়া যেতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে । নিখোঁজ হয় জমীর আলীও। এরপরের কাহিনী শুরু পনের বছর পর। তিন বোন একটা সার্কাস দলে দড়ির উপর খেলা দেখায়। সার্কাস দলের মালিক হারুন সরকারের জবানিতে জানা যায় ছোট মেয়ে অর্থাৎ পয়সার বয়স যখন তিন তখন তারা এখানে এসেছে এবং সে নিজের হাতে তাদের খেলা শিখিয়েছে। এখানেই ঘটতে থাকে তাদের জীবনের নানান ঘটনা। একসময় তারা খুঁজে পায় তাদের ভালোবাসার মানুষকে। এখানে যেমন আছে দরিদ্র পরিবারের দুঃখকষ্টের কথা, তেমনিভাবে আছে তিনবোনের একে অন্যের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসার উদাহরণও। এই তিন বোন হল সমাজেরই অসংখ্য নারীর প্রতিচ্ছবি, যারা জীবনের তাগিদে সমাজের রক্তচক্ষুর উস্কানি উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত করে যাচ্ছে তাদের প্রতিভাগুলো। আশা করি সকলের বইটি ভালো লাগবে। শুভ কমনা রইল।