User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহম্মেদ সাধারণত ইন্ডিং দেন না। আমি নিশ্চিত এই ব্যপারটা হুমায়ূন ভক্তরা দারুণ উপভোগ করেন। "তেতুল বনে জোছনা " বইটার ইন্ডিং টা অসাধারণ ছিলো৷ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাটা পড়ার আগ পর্যন্তও খুনাক্ষরেও ভাবতে পারি নাই শেষটা এতোটা সুন্দর হবে৷ একদম শেষে গিয়ে টুইষ্টটা মনে গেঁথে যাবার মতো। ভেবেই রেখেছিলাম নবনী আনিসকে ছেড়ে চলে যাবে, এরকম একটা হার্ডব্রেকিং শেষের জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখনই গল্পের টুইষ্ট হয়ে নবনীর চিঠিটা পড়া শুরু করেন আনিস। . চিঠিটার ক্ষুদ্রাংশ..... "আমি ঢাকায় আসার সময় ট্রেনে উঠেছি, দেখলাম তুমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছো। একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছো না, আমি প্রথমে ভাবলাম রাগ করে তাকাচ্ছো না.! তারপর হঠাৎ দেখি তোমার চোখ ভর্তি পানি ; আমার কি যে আনন্দ হলো! তখন ভাবলাম কিছুদিন তোমাকে কষ্ট দিয়ে দেখি৷ আনন্দকে তীব্র করার জন্য কষ্টের প্রয়োজন আছে.. তাই না? ডাক্তার সাহেব তুমি আমার জন্য দু’ফোটা চোখের জল ফেলছো, তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিবো " বই দিবসে অসাধারণ একটা বই পড়ার আনন্দ উপলব্ধি করছি ? ?পার্সোনাল রেটিং - ৫/৫?
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ "ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্যে দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি ‘জনম জনম কাঁদিব।" তেঁতুল বনে জোছনা ঘনিয়ে এসেছে নাকি নিরব রাতেরা মনকে স্বান্তনা দিচ্ছে, ভালো কিছু ভাবাচ্ছে? গল্পটা কিছু ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের। তাঁরা এক হয়ে মিশেছে এক গ্ৰামে। আছে এক ডাক্তার, যাকে সবাই সাইকেল ডাক্তার নামেই চেনে। আর আছে সুযোগ সন্ধানী, নেশাখোর মানুষ যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজেই আছে। গ্ৰামের চেয়ারম্যানের কথাও আছে। আছেন এক ধর্মপ্রাণ ইমাম সাহেব। গ্ৰামের প্রকৃতির সান্নিধ্যে এখানে অনুভব করা যাবে কিছু জীবনের গল্প। থাকবে কিছু অন্যায়ের চরিত্র, কিছু করুন কথা। সব মিলেমিশে একাকার হয়ে তেঁতুল বনে জোছনা নামে। দূর আকাশের তারাগুলো রাতের বেলায় জ্বলতে থাকে নিভৃতেই। এখানে জীবনটা শহরের মতো আধুনিক নয় তবুও সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত রকমের ভালো লাগা কাজ করবে। তাহলে শুরু করা যাক গল্পটা। মতির বয়স ত্ৰিশ। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াশোনা। বিরাটনগরে তার একটা চালাঘর আছে। তবু রাতে সে ঘুমায় নান্দাইল রোড ইষ্টিশনে। একই সঙ্গে সে নানান কাজকর্ম করে, আবার কিছুই করে না। মাঝে মধ্যে কুলির কাজ করে। যাত্রীদের মালামাল নামায়। কিছুদিন গ্রামে এসে থাকে। ঘরামীর কাজ করে। শীতের সিজনে মুড়ি নাড়ু বানিয়ে ট্রেনে করে বিক্রি করতে চলে যায়–গৌরীপুর,মোহনগঞ্জ। কিছুদিন হলো–সে জ্বরের একটা বড়ি বানানোর চেষ্টা করছে। লালু ফকিরের কাছ থেকে ফর্মুলা জোগাড় হয়েছে। ফর্মুলা মতো বড়ি বানিয়ে রোদে শুকাতে দেবার সময় গণ্ডগোলটা হচ্ছে। একটু শুকালেই বড়ি পাউডারের মতো হয়ে যাচ্ছে। নান্দাইল রোড ৰাজারের একটা মেয়ে মানুষের কাছে তার যাতায়াত আছে। মেয়ে মানুষটার নাম মর্জিনা। এই মেয়ের খাওয়া খাদ্য খুব পছন্দ। সবসময় তার মুখে কিছু না কিছু আছে। মতি ঝড়ে মরে যাওয়া একটা পাখি তাঁর জন্য রান্না করে নিয়ে আসে। মর্জিনা জানতে পেরেছে খাবার পরে।বারান্দা থেকে গজগজ করছে তুই তোকারি করছে। হারামজাদি মরা পাখি শুধু দেখল। মরা পাখির পিছনের ভালোবাসাটা দেখল না? মতি চলে যায়। বিরাটনগর কমিউনিটি হেলথ কমপ্লেক্সের ডাক্তার সাহেব অতি ভালো মানুষ। অতি সজ্জন। নিজ থেকে আগবাড়িয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তার হিসেবে এক নম্বরেরও ওপরে। কোনো রোগীর বাড়িতে গিয়ে একবার শুধু যদি সাইকেলের ঘণ্টা দেয় তাহলেই ঘটনা ঘটে যায়। ঘন্টার শব্দ শুনে রুগি বিছানায় উঠে বসে বলে, মুরগির সালুন দিয়ে ভাত খাব। আগের যে দু’জন ডাক্তার ছিল তারা দু’জনই ছিল খচ্চর ধরনের। বর্তমান ডাক্তার সাহেবের নাম আনিসুর রহমান ঠাকুর। মুসলমানের নামের শেষে ঠাকুর থাকবে কেন কে জানে! মাগড়া খালের পাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা আছে। জনৈক বিধুভুষণ চক্রবর্তীর বানানো গোলাকৃতি ঘর। যে ঘরের মেঝে, শ্বেতপাথরে বাঁধানো। ডাক্তারকে প্রায়শই সেখানে বসে থাকতে দেখা যায়। গ্ৰামের লোক মাঝে মাঝে দেখে ডাক্তারকে পাগলাও ভেবে বসে। স্ত্রী নবনী থাকে ঢাকায়। ইউনিভার্সিটির ছুটি থাকলে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসে এখানে। নবনীর কথা আনিসের প্রায়শই মনে পড়ে ওর চিঠি পড়লে। গ্ৰামের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন খাঁ মানুষটা তেমন সুবিধার নয়। অন্যায় করতে তাঁর তেমন কষ্ট হয় না। তিনি অনায়েসেই করে ফেলতে পারেন। গলা অবধি মদ খেয়ে মাতাল হয়ে থাকেন প্রায় সময়। আনিসকে অবশ্য খাতির করেন। নিজের এক ভাগ্নীর জন্য আনিসকে পাত্র খোঁজার ভার দেন। নবনীর খোঁজখবর ও নেন আনিসের থেকে। জুম্মাঘরের ইমাম সাহেব মানুষটা বেশ ভালো। আনিসের সাথে দেখা হলেই মিষ্টি করে সালাম দিয়ে কথা বলেন। মানুষটাকে দেখলেই শ্রদ্ধা আসে মনে। এই লোকের মত দু চারটে ভালো মানুষ থাকলে মন্দ নয় আসলেই। যেখানে চেয়ারম্যানের মতো বদ লোক আছে, ইমাম সাহেবদের দরকার সেখানে। নবনী থাকে ঢাকায়। আনিসের কাছে কালেভদ্রে বেড়াতে যায়। আনিস বিরাটনগর গ্ৰামে ডাক্তার হিসেবে কতটা সম্মান কুড়িয়েছে নবনী বোঝে। নিজের মধ্যে একটা সমস্যা আছে ওঁর। প্রায়শই ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখে। ভীষণ রকম নিজের ইচ্ছায় চলা মেয়ে। কারো মতামত খুব একটা আমলে নেয় না। মাঝে মাঝে তাঁর মনে হয় আনিসকে কী আসলেই সে ভালোবাসে? নবনী এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। আনিসের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা এই চরিত্রগুলো সাথে তাঁর বিরাটনগরের কাজ। জীবনের এই সময়গুলো মন্দ যাচ্ছে না। মতির সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয়, সে চোরের মত পালায়। চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন খাঁ ইমাম সাহেবের এক ভয়ানক অপরাধ খুঁজে পেয়েছেন, শাস্তিও ভেবেছেন তার চেয়েও ভয়ানক। বেচারা ইমাম সাহেবের কী হবে ভেবে আনিসের মন খারাপ হয়। নবনী এসেও কেমন যেন ব্যবহার করছে এবার। সে কী এই সম্পর্কের থেকে মুক্তি চায়? আনিস কী নবনীকে ভালো রাখতে পারেনি? তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে নাকি আদৌ ভালোবাসা আছে আনিস বুঝতে পারছে না কী হবে শেষ পরিণতি। //পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন আহমেদের "তেঁতুল বনে জোছনা" বইয়ের নাম যদি আনিস রাখা হয় তাহলেও কিন্তু একদিক থেকে ভুল হবে না। কারণ আনিসের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা চরিত্রগুলো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ যেভাবে কাহিনী এগিয়েছেন তাতে আসলেই মুগ্ধ হতে হয়। আনিসকে কেন্দ্র করে তাঁর আশেপাশের মানুষগুলোর কথা, বিরাটনগরের কথা তুলে ধরেছেন সাথে আছে নবনীর সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন। কাহিনী বিন্যাস এবং চরিত্রায়ন এই উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। প্রতিটি চরিত্র আলাদা আলাদা ভাবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যেমন নেশাখোর, চোর মতিকেও কিছুদিক থেকে পাঠকের পছন্দ হবে তেমনি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন খাঁ এর অন্যায় তাঁর প্রতি ঘৃণার উদ্রেক ঘটাবে। নবনী এবং আনিসের কথা ভালো লাগবে অন্যরকম ভাবে। একদিকে শঙ্কা থাকবে, অন্যদিকে পাঠকের মন কামনা করবে তাঁদের মিষ্টি মধুর প্রণয়। গল্পটা ঠিক কোনদিকে যাবে জানতে হলে পড়তে হবে একদম শেষ পর্যন্ত। হুমায়ূন আহমেদের সাবলীল লেখনী স্বস্তি দেয় বরাবর এবং তাই যেন কোনো চেনা গল্পের মতো তরতর করে এগিয়ে চলেছিলাম গল্পে। এবং প্রতিবারের মতো হতাশ হতে হয়নি এই চমৎকার বইটির সাথে। বইটি আমি বলা যায় দুই থেকে তিনবার পড়েছি। মাঝে মাঝে মন খারাপে কাজে দেয় পরিচিত বইয়ের পাতা। ▪️বই : তেতুল বনে জোছনা ▪️লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ▪️প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ ▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৩৬ ▪️মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০ টাকা ▪️ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৭/৫
Was this review helpful to you?
or
সেরা গুলোর একটা ?
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে ভালো লাগা বই হুমায়ন স্যারের এইটা
Was this review helpful to you?
or
It was too good
Was this review helpful to you?
or
আমরা সাধারণত ভালোবাসাকে বুঝি প্রিয় মানুষের উপস্থিতি নিয়ে বসবাস কিন্তু আমরা ভুলে যাই এই উপস্থিতির মাঝে সম্পর্কের টানা পোরনের বসবাসে ভালোবাসা প্রসফুটিত হয় না। কিছু ভালোবাসা প্রিয় মানুষটা ভালো থাকার মাঝে ভালোবাসা মনের মধ্যে আন্দোলিত হয়ে থাকে।।।।নবনী শেষ বাক্যে বলেছিল, সিদ্ধান্ত টা নেওয়ার পর দুঃস্বপ্ন টা বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্যই তুমি এমন টা চাও না। তোমার সাথে থেকে আমি সারা জীবন দুঃস্বপ্ন দেখে কেটে যায়।।।
Was this review helpful to you?
or
তুমি আমার জন্য দু' ফোটা চোখের জল ফেলেছ— তার প্রতিদানে আমি "জনম জনম কাঁদিব"। -তেতুল বনে জোছনা
Was this review helpful to you?
or
সবচাইতে পছন্দের একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
best book
Was this review helpful to you?
or
Nothing to say
Was this review helpful to you?
or
গ্রামের নাম বিরাটনগর। বিরাটনগর আসলে এমন একটা অঞ্চল যেখানে চোর-বাটপার ছাড়া ভালো মানুষ বেশীদিন টিকে না।তবে এই এলাকার বর্তমান ডাক্তার সাহেব অতিরিক্ত ভালো মানুষ।গ্রামের চোর থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত প্রায় সবাই তাকে খুব ভালোবাসে,স্নেহ করে।ডাক্তার সাহেবের নাম আনিসুর রহমান ঠাকুর হলেও সবাই তাকে সাইকেল ডাক্তার নামেই সম্বোধন করে।গ্রামের সবার ধারণা সে সাইকেল চালিয়ে যে বাড়ির রোগী দেখতে যায় তার সাইকেলের শব্দে আজরাইল বিরক্ত হয় বলে সেই মানুষের জান-কবজ করে না।তবে সাইকেল ডাক্তার ডাকার একটা যুক্তিযুক্ত কারণ থাকলেও মুসলমানের নামের পাশে ঠাকুর থাকার যুক্তিযুক্ত কোনো কারন পাওয়া যায়নি। বিরাটনগর অঞ্চলের চেয়ারম্যান জহির খাঁ ইমাম সাহেবকে একটি দোষের জন্য শাস্তি দিলেও ইমাম সাহেব ছিলো একেবারেই নির্দোষ আর সে অকারণ অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে আর এই বিষয়ে বিভিন্ন ঘটনা নিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে গল্প। অন্যদিকে ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী নবনীর সঙ্গে খুবই আকস্মিক ঘটনা থেকে দুজনের পরিচয়।আর আনিসের মায়ের আগ্রহেই শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয় তাই তাদের বিয়েটা প্রেমের বিয়ে এটা বলা চলে না।তবে দুজনের জীবনধারায় কোনো প্রকার মিল না থাকায় এবং সম্পর্কের রসায়নে খুব সূক্ষ্ম কিছু সমস্যার কারনে তাদের দুজনের সম্পর্ক তেমন একটা জমাট বাঁধেনি।এজন্য নবনী তাদের সম্পর্ক নিয়ে হুট করেই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বলে আনিসকে জানায়।তাহলে ডাক্তার সাহেব তুমি আমার জন্যে দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছ।তার প্রতিদানে আমি "জনম জনম কাঁদিব" -নবনী এই কথা কেন বলে?? আর কি হয় শেষ পরিণতি?? জানতে চাইলে এখুনি পড়ে ফেলুন কথার জাদুকরের লেখা অসম্ভব সুন্দর এই বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ গ্রাম অঞ্চলের বর্ননা নিয়ে বিস্তারিতভাবে লেখা দারুন চমকপ্রদ একটা বই।চমকপ্রদ বলার কারণ শেষটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।প্রথম দিকে কিছুটা বিরক্ত লাগলেও শেষটা পড়ে এক অসাধারণ তৃপ্তি অনুভব করবেন।তাই তৃপ্তিকর বইটি পড়ার জন্য আহবান রইলো।পুরো বইটাই বেশ ভালো লাগার তার মাঝে প্রিয় কিছু লাইনঃ **ভালোবাসার মানুষকে আদর করে তুই তোকারি করা যায় তাতে দোষ হয় না,কিন্তু গালাগালি করে তুই তোকারি করা যায় না। **মন ভালো থাকা অবস্থায় ছোটখাটো কিছু অপ্রিয় কাজ করে ফেলা যায়।তেমন খারাপ লাগে না। **মানুষের সঙ্গ মাঝেমাঝে ওষুধের চেয়েও অনেক বেশী কার্যকর। **আল্লাহপাক এত সহজে রাগ করেন না।কিন্তু মানুষ রাগ করে।আমরা এমন যে মানুষের রাগটাকেই বেশী ভয় পাই। **মৃত্যু এক দিক দিয়ে ভালো -যাবতীয় যন্ত্রণার অবসান। **মাঝেমাঝে মিথ্যা বলাটা অপরাধ না। **কুকুর এবং কাক মানুষের খুব কাছাকাছি বাস করে।এরা মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে চায়। **প্রাণী হিসেবে মানুষ খুবই অদ্ভুত।কোনো প্রানীই তার স্বজাতিকে হত্যা করে না।শুধু মানুষ করে। **আনন্দকে তীব্র করার জন্য কষ্টের প্রয়োজন আছে। **যখন আমি কোনো গান বা কবিতা লিখি তখন সেটা থাকে আমার। শুধুই আমার।যখন তুমি সেটা পড় বা গুনগুন করে গানটা গাও তখন সেটা সম্পূর্ণই তোমার।সন্তান জন্ম দেই আমি কিন্তু দত্তক দিয়ে দেওয়া হয় তোমাদের।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা বই!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ তেতুল বনে জোছনা। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ "ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দুফোঁটা চোখের জল ফেলেছো, তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিব।" "প্রাণী হিসেবে মানুষ খুবই অদ্ভুত। কোনো প্রাণীই, তার স্বজাতিকে হত্যা করে না। শুধু মানুষ করে।" "আনিস, পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি বিবাহিত হলেও, কর্মস্থানের জন্য বিরাটনগরে থাকেন। বিরাটনগর গ্রামে সাইকেল নিয়ে রোগী দেখতে যায় বলে, গ্রামবাসীদের কাছে সাইকেল ডাক্তার নামেই পরিচিত। ডাক্তারের সাইকেলের শব্দ শোনার সাথে সাথেই, রোগী বিছানায় উঠে বসে বলে, মুরগির সালুন দিয়ে ভাত খামু। গ্রামের সবার কাছেই তিনি প্রিয় ব্যক্তি। নবনী, আনিসের স্ত্রী। ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, কাকতালীয় ভাবেই তাদের পরিচয় এরপর বিয়ে। ইদানীং সে প্রায় রাতেই দুঃস্বপ্ন দেখে। নবনী সিদ্ধান্ত নিলো সাইকিয়াট্রিস্ট কাছে যাবে, এবং নবনী সব কিছু খুলে বলবে। পরে সাইকিয়াট্রিস্ট ধারণা হলো আনিসকে নবনী মেনে নিতে পারছে না, তাই জন্যেই দুঃস্বপ্ন দেখছে। ইয়াকুব মোল্লা, পেশায় একজন ইমাম। তিনি কোনো অপরাধ না করা স্বত্বেও মিথ্যা অপবাদে চেয়ারম্যান সাহেব উলঙ্গ করে মাঠে চক্কর দেয়া হয়। এই অপমান সহ্য না করে সেই রাতেই তেতুল গাছে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জহির খাঁ, বিরাটনগরের চেয়ারম্যান, তিনি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেন না তার সমতুল্য কেউ হোক। আজিজ মিয়ার ছেলে কুয়েত পাঠিয়ে, বিভিন্ন ব্যবসা করে ভালোই টাকা আয় করেছেন। এটা দেখে তার হিংসা হতো। মতি, মতি মিয়া মাঝে মাঝে চুরি করে। তিনি আনিস ডাক্তারের এপিএস হিসাবেও থাকেন, মতির যখন টাকা প্রয়োজন হয়, তখনই চুরি করেন, সে মাঝে মাঝে ইস্টিশন পাশে থাকা মর্জিনার কাছেও রাত কাটায়। সে মর্জিনার নাকফুল চুরি করে কুড়ি টাকা বিক্রয় করে উপহার নিয়ে আসেন। এমন কি ডাক্তারের সাইকেলও চুরি করেন। "তেতুল বনে জোছনা" এমন একটি উপন্যাস যা আপনাকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরবে, শেষ না করা পযন্ত ছাড়বে না। বিশ্বাস না হলে পড়ে দেখতে পারেন?
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের লেখা মানে এককথায় মারাত্মক। তেতুল বনে জোছনা ঠিক একই খুবই ভালো একটি বই!সকলকে পড়ার অনুরোধ রইলো
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ মাঝে মাঝে আমার খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছা করে। তখন কাগজ কলম নিয়ে বসি এবং খুব আয়োজন করে কবিতার একটা নাম ঠিক করি। ব্যাগ এই পর্যন্তই। কবিতার শিরোনাম লেখা হয় কবিতা আর লেখা হয় না। বুদ্ধিমান পাঠক আশা করি এর মধ্যেই ধরে ফেলেছেন যে “তেতুল বনে জোছনা” আসলে আমার একটা কবিতার নাম। যে কবিতা লেখা হয় নি, এবং কখনো লেখা হবে না। কেউ যদি প্রশ্ন করেন-“এই নামের অর্থ কি? তেতুল বনে জোছনা কি আলাদা কিছু?” তাহলে আমি বিপদে পড়ে যাব। আসলেইতো এর কোনো অর্থ কি আছে? প্রশ্নটাকে এখন আলোর অর্থ কি? বর্ষার মেঘমালার অর্থ কি ? যে অনন্ত নক্ষত্র বীথি আমাদের ঘিরে রেখেছে তার অর্থ কি আচ্ছা আমরা কি অর্থহীন একটা জগতে বাস করে জীবনে অর্থ অনুসন্ধান করছি না? কেন করছি? সার-সংক্ষেপঃ গ্রামের নাম বিরাটনগর। নামের মত এই গ্রামে ঘটে যাওয়া যে কোন ছোট ঘটনাও বেশ বড় আকারে রটায়। গল্পের মূল চরিত্র বলতে আছেন একজন ডাক্তার। নাম আনিস। গ্রামের যেকোন মানুষের রোগে শোকে সে এগিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ তাই তাকে বিশ্বাসও করে খুব। অন্যদিকে এই ডাক্তারের কিছু একনিষ্ট ভক্তদের মধ্যে থাকে চোর মতি মিয়া। পেশায় চোর হলেও সে ডাক্তারকে খুব ভালোবাসে। গল্পে আরও একজন চরিত্র আছে। তিনি পেশায় ইমাম। একদিন একটি অদ্ভুত কারণে ইমাম তার বাড়ির পাশের তেতুল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তিতে এই আত্মহত্যাকে নিয়েই ঘটে যায় কিছু অদ্ভুত ঘটনা। গুজব রটে, ইমামের আত্মা নাকি রাতে রাস্তা ঘাটে বিচরণ করে আর মানুষদের ভয় দেখায়। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জহির খাঁ’র কাছে সুবিচারের জন্য আসে ইমামের মেয়ে। চেয়ারম্যান তাকে আশ্বস্ত করেন। ঢাকা থেকে ডাক্তার আনিসের বৌ নবনী আসে তার একটি কঠিন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে। কিন্তু কোনভাবেই যেন সে বলতে পারে না তার মনের কথা। এভাবেই বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এগিয়ে চলে উপন্যাসের গল্প.
Was this review helpful to you?
or
তেতুল বনের জোছনা হুমায়ুন আহমেদ তেতুল বনের জোছনা আমার পড়া প্রিয় বইগুলোর মধ্যে একটি। উপন্যাস টিতে সমাজের বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠেছে।
Was this review helpful to you?
or
"তুমি আমার জন্য দু ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ, আমি তোমার জন্য জনম জনম কাঁদিব" এক কথায় অসাধারণ বই। ডাক্তারের জন্য অসম্ভব খারাপ লাগা থেকে এত সুন্দরর একটা বই শেষ করলাম! ♥
Was this review helpful to you?
or
এক সহজ সরল গ্রাম্য ডাক্তারের বৌ শহরের এক অপরূপা তরুণী, যার প্রতি নায়কের ভালোবাসার কমতি নেই । কিন্তু বাস্তবতা নির্মম, লেখকের মতে তাদের বিয়ের কেমিস্ট্রি ঠিকঠাক ভাবে মেলেনি...!! কি হবে তাদের...?? টিকবে কি তাদের সংসার..??? হুমায়ূন আহমেদের এই অনবদ্য সৃষ্টি অবশ্যই পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
''তেতুল বনে জোছনা'' নামে একটা কবিতা লিখতে গিয়ে উপন্যাস রচনা করে পাঠকের মন জয় করে নিল হুমায়ুন আহাম্মেদ। আমিও সেই পরাজয়স্থ একজন পাঠক। সমগ্র উপন্যাসটা রোমান্টিক এবং রুচি সম্পন্ন যা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে উপন্যাসের ইমাম সাহেবের লাঞ্চনিয় চরিত্রটা আমার ভাল লাগেনি। যাই হোক সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
মনে ধরার মত বই
Was this review helpful to you?
or
"তুমি আমার জন্য দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলেছ,,তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিব।" - বিখ্যাত এই লাইনটি আপনারা পাবেন এই গল্পের শেষ পর্যায়ে।এই লাইনটি এই গল্পের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ।গল্পের নায়িকা নবনী তার স্বামী আনিসকে চিঠিতে এই লাইনটি লিখে যায়।তাদের সম্পর্কটা কেমন যেনো।নবনীর স্বামী আনিস খুব ভালো মানুষ।বিরাটনগর গ্রামের ডাক্তার সে।অস্বাভাবিকতার আড়ালে আনিস এবং নবনীর প্ররস্পরের প্রতি চাপা গভীর ভালোবাসা টের পাওয়া যাবে বইটিতে।সাথে আছে বিরাটনগর গ্রামে ঘটে যাওয়া নানা কাহিনী।
Was this review helpful to you?
or
""ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছো- তার প্রতিদানে আমি "জনম জনম কাঁদিবো"! -হুমায়ুন আহমেদ (তেঁতুল বনে জোছনা) বইটা তেমন আহামরি না হলেও শেষ অংশে নবনীর চিঠিটা পুরা বইটাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে.. বইটা পড়তে পড়তে প্রত্যেকটা চরিত্রের প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মে... প্রত্যেকটা চরিত্র আলাদা বৈশিষ্ট্য আলাদা স্বকীয়তা... বইটা এক আশার গল্প,বিশ্বাসের গল্প,এক অনবদ্য গ্রামীণ গল্প আর মানুষে মানুষে ভালোবাসার গল্প... অপূর্ব আর অসাধারণ এক বই?
Was this review helpful to you?
or
আমি তো রেটিং ৫ ই দিবো। আনিসের মত একটা ডাক্তার পেতাম! আহা!
Was this review helpful to you?
or
আমার বাবু রাখির বই টা পড়ে খুবই ভালো লাগছে
Was this review helpful to you?
or
#বই_রিভিউ_২৩ #তেতুল বনে জোছনা #লেখক: হুমায়ুন আহমেদ #বইয়ের_ধরণ: সমকালীন উপন্যাস #প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ #পৃষ্ঠা: ১৩৬ #মুদ্রিত_মূল্য: ২২৫ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৮/১০ . . "ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছ - তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাদিব।" এই উপন্যাসটির বিখ্যাত এই লাইনটি পড়ে শুধু ডাক্তারসাহেব না, যে কেউ ই কাদবে। . অনেক চেস্টা করলাম বইটা নিয়ে রিভিউ লেখার কিন্তু আগাতে পারলাম না...হুমায়ুনের কোনো বইয়েরই রিভিউ লেখার ক্ষমতা হয়তো আমার নেই...যারা এই বইটি এখনো পড়েন নি তাদের বলব পড়ে নিন..বড় কিছু মিস হবে নাহলে। . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
আমি ঢাকায় আসার সময় ট্রেনে উঠেছি---- দেখলাম তুমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছো। একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছো না। আমি প্রথম ভাবলাম রাগ করে তাকাচ্ছো না। তারপর হঠাৎ দেখি তোমার চোখ ভর্তি পানি। আমার কী যে আনন্দ হলো। তখন ভাবলাম, কিছুদিন তোমাকে কষ্ট দিয়ে দেখি। আনন্দকে তীব্র করার জন্য কষ্টের প্রয়োজন আছে, তাই না? ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্যে দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছো ----- তার প্রতিদানে আমি "জনম জনম কাঁদিবো।" বিরাটনগর গ্রামের কমুনিটি হেলথ কমপ্লেক্স এর ডাক্তার আনিস। তবে সাইকেল নিয়ে গ্রামে রুগী দেখতে যায় বলে গ্রামবাসীদের কাছে সে সাইকেল ডাক্তার নামেই পরিচিত। কথিত আছে, ডাক্তারের সাইকেলের ঘণ্টার শব্দ শুনে রুগী সুস্থ হয়ে বিছানায় উঠে বসে বলে, মুরগির সালুন দিয়ে ভাত খাব। গ্রামের ভালো-খারাপ সব মানুষের মধ্যমনি হলো ডাক্তার আনিস । ডাক্তার নিজেও বুঝতে পারেনা কখন সে এই গ্রামের মানুষগুলোর সাথে মিশে গেছে। আনিসের স্ত্রী নবনী ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। তার আর আনিসের বিয়েটাকে প্রেমের বিয়ে বলা যায়না। কাকতালীয় ভাবেই তাদের পরিচয় এরপর বিয়ে। ইদানীং সে প্রায় রাতেই দুঃস্বপ্ন দেখে। সাইকিয়াট্রিস্ট এর কথামতো সে একটি খাতা বানিয়েছে, যাতে দুঃস্বপ্নের কথা লিখা হয়। নবনী এবং সাইকিয়াট্রিস্টের ধারণা নবনী আর আনিসের বিয়েটাই দুঃস্বপ্ন দেখার কারণ। তাই নবনী বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার বিরাটনগর ঘুরতে গিয়ে এই নিয়ে সে আনিসের সাথে কথা বলবে বলে ঠিক করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি সে এই সিদ্ধান্তের কথা আনিসকে বলে উঠতে পেরেছে? আনিস-নবনী ছাড়াও উপন্যাসে আরও কিছু চরিত্র রয়েছে। জহির খা এর মতো দুষ্ট চেয়ারম্যান, হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে যাওয়া আজিজ মিয়া। ইমাম সাহেব, কোনো অপরাধ না করেও পেতে হয়েছে লজ্জাজনক শাস্তি। গ্রামবাসীদের মতে ইমাম সাহেবের মৃত্যুর পর তিনি ভুত হয়ে তাদের ভয় দেখাচ্ছেন। এছাড়াও রয়েছে আনিসের বাবা-মা, যারা কিনা সারাক্ষণই ঝগড়া করেন, আবার দিনশেষে কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারেন না। এই উপন্যাসের একটি ইন্টারেস্টিং চরিত্র হচ্ছে ছিচকা চোর মতি। যে কিনা মর্জিনার নাকের ফুল চুরি করে কুড়ি টাকায় বিক্রি করে মর্জিনার জন্যই জিলিপি কিনে আনে। একদিকে সে ডাক্তারের জামা-কাপড়, সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় আবার সাইকেল ছাড়া ডাক্তারের হেটে রোগী দেখতে যেতে কষ্ট হবে এই ভেবে সাইকেল ফেরত দিয়ে যায়। ইমাম সাহেবের মৃত্যুর পর সবাই যখন লাশ একা ফেলে চলে যায়, কিন্তু সে যায়নি যদি লাশ টা শিয়াল-কুকুর খেয়ে ফেলে এই ভেবে। চোর হলেও তার মধ্যে একটা ভালো সত্তাও বসবাস করে। বাজারের মেয়ে মর্জিনাকে সে ভালোবাসে। দুজনে মিলে সংসার করারও স্বপ্ন দেখে। তেতুল বনে জোছনা উপন্যাস মূলত গ্রাম নির্ভর একটি কাহিনী। উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্রই নিজের জায়গা থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যেকারণে প্রথমদিকে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কে তা বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। প্রথম থেকে কাহিনী লেখকের আর পাঁচটা উপন্যাসের মতো করেই এগিয়েছে। আমার কাছে আর পাঁচটা বইয়ের মতোই মনে হয়েছে । কিন্তু শেষ পৃষ্ঠায় নবনীর লেখা চিঠি পড়ে আমার চিন্তার জগতে বিরাট ধাক্কা লেগেছে । শেষের দুটি লাইন "ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছো, তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাদিবো।" কত সহজ কথা! কিন্তু এই দুটি লাইনে যে কত আবেগ, কত ভালোবাসা,কত সুখ, কত না বলা কথা লুকিয়ে আছে তা বলে বোঝানো সম্ভব না। পুরো বইয়ে আনিস আর নবনীর একজনের প্রতি আরেকজনের অব্যক্ত ভালোবাসা যেনো এখানে গভীর অনুভূতি নিয়ে ভাষা পেয়েছে। এই দুটি লাইনের জন্য এই বইটা আমার কাছে প্রিয় বইগুলোর মধ্যে একটি। পড়া শেষ করার পর মনে হলো 'তেতুল বনে জোছনা ' আর পাঁচটা সাধারণ বইয়ের চেয়ে অনেক আলাদা, একদম অন্যরকম ভালোলাগার বই।
Was this review helpful to you?
or
“ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলছ, তার প্রতিদানে আমি তোমার জন্য 'জনম জনম ধরে কাঁদিব’।”
Was this review helpful to you?
or
গ্রামের নাম বিরাটনগর। এখানে কোনো ছোটখাটো ঘটনা ঘটে না। যা ঘটে তাই বিরাট আকার ধারন করে।নাহলে সামান্য ঝড়ের ঘটনা এত বিরাট হবে কেন? জি হ্যা, বিরাটনগরের উপর দিয়ে আজব ঝড় বয়ে গেলো। শতবর্ষী বটগাছ মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো অথচ তার পাশে থাকা ছোট্ট কুটিরের কিছু হলো না। গল্পের পটভূমি এই গ্রামকে ঘিরেই। ডাক্তার আনিস, নবনী, মতি মিঞা, জহির উদ্দিন চেয়ারম্যান আর জুম্মাঘরের ইমামকে নিয়েই এগিয়ে গেছে গল্প। ঢাকার কলাবাগানের বাসিন্দা আনিস বিরাটনগরে ডাক্তারি করে। সাইকেল নিয়ে চলাফেরা করে বলে গ্রামে সবাই ডাকে সাইকেল ডাক্তার নামে। গ্রামে তার প্রচুর জনপ্রিয়তা তার সাইকেলের ঘন্টার আওয়াজ শুনেই রোগি শয্যা ছেড়ে উঠে বসে। মুরগির সালুন দিয়ে ভাত খেতে চায়।আনিস শঙ্কায় আছে তার নাম হয়ত ঘন্টা ডাক্তার হয়ে যাবে। আনিসের স্ত্রী নবনী ঢাকায় থাকে লেখাপড়া করার জন্য। চিঠিই তাদের যোগাযোগের মাধ্যম। তবে রহস্যময় চরিত্র মতি মিঞা। সে আনিসকে ভালোবাসে আবার আনিসের সাইকেলও চুরি করে। পুরো গল্প জুড়েই মতির কর্মকান্ড অব্যাহত ছিলো। গ্রামের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন জুম্মাঘরের ইমামকে একটি ভয়াবহ অপরাধের কারনে শাস্তি দেন। যদিও ইমাম ছিলো নির্দোষ। মসজিদের পাশে তেতুল গাছে গলায় দড়ি দেয় ইমাম সাহেব। এটাই মূলত গল্পের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরে গ্রামে সবাই ইমামকে দেখা শুরু করলো। রাতে আর কেউ ঘর থেকে বের হতে পারে না। নবনী এসেছে বিরাটনগরে আনিসের সাথে দেখা করতে। শুধু দেখা করবে না, একটা কঠিন কথাও বলতে চায়। কি বলবে সেটা হয়ত অনেকে বুঝে গেছেন! ইমাম সাহেবের শেষ পর্যন্ত কি হলো! আর আনিস নবনীরই বা কি হলো? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের রিভিউ লেখা খুবই কঠিন একটা কাজ। আমি তার অনেক বই পড়লেও রিভিউ লিখেছি হাতে গোনা কয়েকটা বইয়ের। কারন এই লেখকের সাহিত্যমান অন্য লেবেলের। তেতুল বনে জোছনা বইটা অনেকেই পড়েছেন। বিশেষ করে যারা হুমায়ূন আহমেদের ফ্যান। আমি হয়ত দেরি করে ফেলছি। গল্পের পটভুমই সেই সময়ের গ্রামের যখন মোবাইল ফোন কারো হাতে ছিলো না। হয়ত শহরে দুই একজনের হাতে ছিলো। বাকিরা মোবাইল ফোন চিনতো না। সেই সমাজে ছিলো আত্মিক সম্পর্ক, ছিলো কুসংস্কার। এই সকল গ্রামিণ প্রেক্ষাপট নিয়েই “তেতুল বনে জোছনা”। সেই সাথে ছিলো ডাক্তার আনিস আর নবনীর প্রেম। কেউ একবারও বললো না ‘ভালোবাসি’। অথচ সেই না বলার মধ্যে কত কথা! এই কাজটা লেখক খুব চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলেন তার প্রায় সব চরিত্রে। আর সবশেষে আছে সেই বিখ্যাত লাইন। যা অমর হয়ে থাকবে বাংলা সাহিত্যে, - “ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলছ, তার প্রতিদানে আমি তোমার জন্য 'জনম জনম ধরে কাঁদিব’।”
Was this review helpful to you?
or
পড়া শুরু করার পর শেষ না করে উঠা কঠিন।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই । সবার ই উচিত বইটি পড়া
Was this review helpful to you?
or
“তেতুল বনে জোসনা'' নামে একটা কবিতা লিখতে গিয়ে উপন্যাস রচনা করে পাঠকের মন জয় করে নিল হুমায়ুন আহাম্মেদ স্যার...আমিও সেই পরাজয়স্থ একজন পাঠক!!” " জিদের পুরুষ হয় বাদশাহ জিদের নারী হয় বেশ্যা” ভাবা যায় কালজ্বয়ী একটি উপন্যাস বলা যেতে পারে!! স্যারের লেখা সব চেয়ে ভালো লাগা ১০ টার মধ্যে একটি!! উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র আনিস, সে MBBS ডাক্তার- সাইকেলে করে গ্রামে ঘুরে ঘুরে রোগী দেখেন, তাই তাকে সাইকেল ডাক্তার বলে! সাইকেলের বেল শুনে রোগী অনেক টা মানসিক স্বস্থির অনুভব করে!আনিস সহজ সলর নিরব প্রকৃতির মানুষ!কারো সাথে কোনো বিরোধ নেই! নেই কোনো অভিমান! গ্রামের সবাই তাকে বিষণ পছন্দ করে! এমন কি চোরেরাও! গ্রামের চোর মতি! সে আনিসের সাইকেল চুরি করে নেয়, পরে আনিসের সলরতার কাছে হারমেনে পুনরায় সাইকেল ফেরত দিয়ে যায়! আনিসের স্ত্রী নবনী, সে ঢাকায় থাকে! গ্রামের পরিবেশ তার পছন্দ না! দু- এক দিন গ্রামে কাটিয়ে অধৈর্য হয়ে আবার ঢাকা শহরে ফিলে যায়!! গ্রামের চেয়ারম্যান জহির খা! সে তার আশে পাশে ক্ষমতাবান মানুষ পছন্দ করে না! তার ধারণা গ্রামে সে একাই খারাপ মানুষ! আর কোনো খারাপ মানুষ থাকবে না! একদা গ্রামের ইমাম সাহেব কে যৌনাচারের অভিযোগে ন্যাংটা করে চক্কর দেওয়ায়! এতে ইমাম সাহেব চরম অপমানিত বোধ করে এবং তেতুল গাছে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে! ইমামের আত্মহত্যা পেছনে যারা দায়ী তাদেরকে মতি ইমামের ছদ্মবেশ ধরে ভূত সেজে ভয় দেখায়! পরে অনেকেই তাদের ভুল বুঝে এবং পুনরায় ইমামের জানাযা দেয় এবং ইমাম সাহেবের জন্য নিখিল জাহানের নিরাকার সৃষ্টার কাছে দোয়া দুরুদ করে! অপর দিকে আনিস এবং নবনীর মধ্যে পছন্দের আকাশ পাতাল অমিল থাকলেও ভালবাসা ছিল অফুরান্ত! আনিস নবনীর চিঠি গুলো শ্মশানঘাটে জনশূন্য নির্জন স্থানে একা একা পড়ে! স্ব যত্নে রেখে দিত, নবনীর চলে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের দিকে চেয়ে নয়ন জলে ভেসে যেত আনিস! নবনী আনিসের চিঠি পড়ে কোথায় ফেলে দিত তার অনুসন্ধ্যান করা যেত না! প্রেমিক-প্রেমিকার অনেক অমিলের মধ্যেও একটি রোমান্টিক কাহিনী তুলে ধরেছেন প্রিয় লেখক! উপন্যাসের অনেক অংশে ধাঁধাঁ ব্যবহার করেছে যা পাঠকে অতিরিক্ত আনন্দ দিবে!! ধাঁধাঁ গুলো এমন ছিল,,,,, " মাইয়া লোকের হাতে নাচে সাত শত মুখ কার আছে?" উত্তর টা ভাবেন দেখি ... পারেন কিনা?? “জলেতে জন্ম তাহার জলে ঘর বাড়ি,ফকির নহে ওজা নহে মুখে আছে দাড়ি।" উত্তর এটাও ভাবতে থাকেন!! এমন সব ধাঁধাঁ আর বাজারের মেয়েদের চরিত্র সব মিলিয়ে উপন্যসটিতে একটি রোমান্টিক গল্প উপহার দিয়েছেন!!
Was this review helpful to you?
or
অমীমাংসিত প্রেমকথা হুমায়ন আহমেদ,বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।যার লেখনীর ছোঁয়া দ্বারা তিনি মাতিয়ে রেখেছেন বাংলার পাঠকবৃন্দদের।তার লেখা উপন্যাসগুলো সবসময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে থাকে।অসাধারন সব কাহিনী নিয়ে গড়ে তুলেন এক একটা উপন্যাস।প্রতিটা উপন্যাসেই থাকে বাস্তব জীবনের ছোঁয়া।“তেতুল বনে জোছনা” ঠিক তেমনি একটি উপন্যাস।বইটি প্রথম থেকেই যখন পড়া শুরু করি আমার মনে অদ্ভুত এক টান অনুভব করি বইটির প্রতি।এত সুন্দর কাহিনী হুমায়ন আহমেদ কেমন করে তৈরি করেন?ভাবতেই অবাক লাগে।উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র হল আনিস যিনি পেশায় একজন ডাক্তার।চাকরি করেন বিরাটনগর নামে এক অজপাড়া গ্রামে।ভাল চিকিৎসা ও অসাধারন বেক্তিত্বের জন্য অল্পতেই তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে গ্রামটিতে।পুরো উপন্যাসটিতে রয়েছে বিরাটনগরে ঘটে যাওয়া অনেকগুলো ঘটনা যা হুমায়ন আহমেদ অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।আনিসের স্ত্রী নবনী,ঢাকায় বড় হওয়া এই মেয়ের সাথে আনিসের পরিচয় সেখান থেকে পরিনয়ে পরিনত হয় তাদের ঘটনার ধারায় তাদের বিয়েটা হয়ে যায়।তবে বিয়েটা একটু অস্বাভাবিকই ছিল যার দরুন কিছুদিন পড়েই ভেঙ্গে যায় তাদের সংসার।নবনী চলে যায় তার বাবার কাছে।এই বইটিতে ডাঃ আনিসকে একজন উত্তম প্রেমিক হিসেবে লেখক তুলে ধরেছে।প্রেম আর সেই প্রেমের বিচ্ছেদ নিয়ে রচিত উপন্যাসটি এক কথায় অসাধারন লেগেছে পড়তে।হুমায়ন আহ্মেদের ভক্ত যারা আছেন তারা অবশ্যইতো মিস করবেনই না যারা মননশীল উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন তাদেরকেও বলব এই উপন্যাসটি পড়েন অবশ্যই ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
আমি ঢাকায় আসার সময় ট্রেনে উঠেছি-দেখলাম তুমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছ।একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছ না।আমি প্রথম ভাবলাম রাগ করে তাকাচ্ছ না।তারপর দেখি হঠাৎ তোমার চোখ ভর্তি পানি। আমার কী যে আনন্দ হলো।তখন ভাবলাম, কিছুদিন তোমায় কষ্ট দিয়ে দেখি।আনন্দকে তীব্র করার জন্য কষ্টের প্রয়োজন আছে,তাই না? ডাক্তার সাহেব,তুৃমি আমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছ-তার প্রতিদানে আমি "জনম জনম কাঁদিব।" তেতুল বনে জোছনা হুমায়ূন আহমেদ
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হল ডাক্তার আনিস। বিরাটনগর গ্রামে চাকরি করে। গ্রামে চিকিত্সা করতে করতে পুরো গ্রামজুড়ে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। আনিসের স্ত্রী নবনী ঢাকায় বাবার বাড়িতে থাকে। পুরো উপন্যাসজুড়েই বিরাটনগরে ঘটে যাওয়া কাহিনি। আনিস আর নবনীর পরিচয় পর্ব এবং সেখান থেকে তাদের বিয়ে হওয়াটা আমার কাছে অতটা স্বাভাবিক মনে হয় নি। কে জানে, সেইজন্যেই হয়তো ওদের বিয়েটা টিকল না! ভাল লেগেছে নবনী আর আনিসের মায়ের কথোপকথনের অংশটা। হুমায়ুন আহমেদের বেশিরভাগ লেখায় বাবা-মেয়ের সম্পর্কগুলো খুব মধুর হয় এখানেও তাই। ঐ অংশটা পড়লে মেয়ে হিসেব মাঝে মাঝে হিংসে হয়, কারণ কোনো এক বিচিত্র কারণে বাস্তবে আমাদের দেশের বাবা-মেয়ের সম্পর্ক ঠিক অতটা মধুর হয় না।
Was this review helpful to you?
or
অনেক দিন পর একটা বই শেষ করলাম। ১২৯ পেজের যে বই শুরু শুরু করলে শেষ না করে উঠা সম্ভব না, আমি সেই বই নিজের গাফিলতিতে ৩ দিনে শেষ করলাম। এটা এমন একটা বই যে বই পড়ে আপনাকে প্রচন্ড পরিমান ভালো মানুষ হয়ে উঠতে, আর কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে দুফোটা চোখের জল ফেলতে মন চাইবে। হ্যা, তেমনি একটা বই তেঁতুল বলে জোছনা এই উপন্যাসে কয়েকটি চরিত্রের দেখা পেলেও ডাক্তার সাহেব আনিস, নবনী, চেয়ারম্যান সাহেব এবং মতির মাধ্যমেই মুল ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। একটা টর্নেডো বিরাটনগরের উপর দিয়ে যাওয়া এবং প্রচুর ক্ষতির বিবরণ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অসম্ভব ভাললাগার, আবেগী করে দেওয়ার মত উপন্যাস “তেঁতুল বনে জোছনা”। ঢাকার কলাবাগানে বড় হওয়া ডাক্তার ছোট্ট গ্রাম বিরাটনগরে গিয়ে ডাক্তারি করা এবং সেই পেশায় অসম্ভব সুনাম অর্জনের কথা পুরোটা উপন্যাসেই একটা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরই বোঝা যাবে ডাক্তার আনিসের স্ত্রী নবনী এবং অনুভব করতে পারা যাবে চিঠি লিখে যোগাযোগের, অনুভূতি প্রকাশের সেই দিনগুলি আর নবনীর প্রতি আনিসের অপরিসীম ভালবাসা। গল্পের বুনুনিতে দেখা যাবে আনিস খুবই পরিষ্কার মনের মানুষ এবং এই যোগ্যতাই তাকে মতি চোর এবং দুষ্টু চেয়ারম্যানের হৃদয়ে স্থান করিয়ে দেয়। চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন খার প্রোরোচনায় ইমাম ইয়াকুব আলীকে স্কুল মাঠে নেংটা করে ঘুরানো এবং এই অপমান সহ্য করতে না পারায় ইমাম সাহেবের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা গল্পের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা যায়। নবনীর অনেকদিন পর বিরাটনগরে ঘুরতে যাওয়া, অনেক জ্বরের ঘোরে আনিসের সাথে সম্পর্ক না রাখার কথা বলা এবং এরপর আনিসের বিদেশে স্কলারশীপ নিয়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত পাঠকে ধাঁধার মধ্যে রাখে। শুনেছি কেউ যদি কোন মেয়েকে অনেক দূর থেকেও দ্যাখে তাহলেও সেই মেয়ে বুঝতে পারে আর এই উপন্যাসে লেখক নায়কের চিন্তা ভাবনায়, কাজে অনেক কিছু প্রকাশ করেছেন। না বলেও বলিয়েছেন ভালবাসি। বুদ্ধিমতি নায়িকা নবনীও সেই ভালবাসা, অনুভূতি বুঝতে ভূল করেননি। গল্পেও নায়িকা নবনীও নায়ক আনিস কে বলেননি ভালবাসি কিন্তু ভালবাসি কথাটার বদলে “ডাক্তার সাহের, তুমি আমার জন্য দুফোটা চোখের জল ফেলেছো-তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাদিব” এই কথাটা বলে বূঝিয়েছেন অনেক কিছু। নিশ্চিতভাবে ভাললাগার একটার বই। বইটি পড়ে মনে হতেই পারে নিঃস্বার্থ ভালবাসা পেতে আর নিঃস্বার্থ ভালবাসা দিতে দুফোটা চোখের জল ঝরলে মন্দ কি???
Was this review helpful to you?
or
"তেতুল বনে জোছনা" হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর অনেক জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। এই উপন্যাস এ আছে আনিস,নবনি, মতি আর চেয়ারম্যান এর মত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র। আনিস শহর ছেড়ে পেশার টানে গ্রামে চলে আসা একজন ডাক্তার যার খ্যাতি সমগ্র গ্রাম বিস্তৃত। নবনী খুব রহস্যময়ী একটা চরিত্র আর কেন তা পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ছিল মতি মিয়া,উপন্যাস টি পড়ার সময় মতি মিয়ার চরিত্র টি বার বার হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর "আজ রবিবার" নাটক এর মতি মিয়া কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ তেতুল বনে জোছনা বইয়ের ধরণঃ সামাজিক উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ প্রকাশকালঃ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০০১ প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ১৩৬ মূদ্রিত মূল্যঃ ২২৫ টাকা লেখক পরিচিতিঃ বইটির লেখক হুমায়ুন আহমেদ। এর বেশি আর কিছু লিখছি না। কারণ কিছু কিছু মানুষের পরিচয় তুলে ধরার জন্যে শুধু তাদের নামটাই যথেষ্ঠ! বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ মাঝে মাঝে আমার খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছা করে। তখন কাগজ কলম নিয়ে বসি এবং খুব আয়োজন করে কবিতার একটা নাম ঠিক করি। ব্যাগ এই পর্যন্তই। কবিতার শিরোনাম লেখা হয় কবিতা আর লেখা হয় না। বুদ্ধিমান পাঠক আশা করি এর মধ্যেই ধরে ফেলেছেন যে “তেতুল বনে জোছনা” আসলে আমার একটা কবিতার নাম। যে কবিতা লেখা হয় নি, এবং কখনো লেখা হবে না। কেউ যদি প্রশ্ন করেন-“এই নামের অর্থ কি? তেতুল বনে জোছনা কি আলাদা কিছু?” তাহলে আমি বিপদে পড়ে যাব। আসলেইতো এর কোনো অর্থ কি আছে? প্রশ্নটাকে এখন আলোর অর্থ কি? বর্ষার মেঘমালার অর্থ কি ? যে অনন্ত নক্ষত্র বীথি আমাদের ঘিরে রেখেছে তার অর্থ কি আচ্ছা আমরা কি অর্থহীন একটা জগতে বাস করে জীবনে অর্থ অনুসন্ধান করছি না? কেন করছি? সার-সংক্ষেপঃ গ্রামের নাম বিরাটনগর। নামের মত এই গ্রামে ঘটে যাওয়া যে কোন ছোট ঘটনাও বেশ বড় আকারে রটায়। গল্পের মূল চরিত্র বলতে আছেন একজন ডাক্তার। নাম আনিস। গ্রামের যেকোন মানুষের রোগে শোকে সে এগিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ তাই তাকে বিশ্বাসও করে খুব। অন্যদিকে এই ডাক্তারের কিছু একনিষ্ট ভক্তদের মধ্যে থাকে চোর মতি মিয়া। পেশায় চোর হলেও সে ডাক্তারকে খুব ভালোবাসে। গল্পে আরও একজন চরিত্র আছে। তিনি পেশায় ইমাম। একদিন একটি অদ্ভুত কারণে ইমাম তার বাড়ির পাশের তেতুল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তিতে এই আত্মহত্যাকে নিয়েই ঘটে যায় কিছু অদ্ভুত ঘটনা। গুজব রটে, ইমামের আত্মা নাকি রাতে রাস্তা ঘাটে বিচরণ করে আর মানুষদের ভয় দেখায়। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জহির খাঁ’র কাছে সুবিচারের জন্য আসে ইমামের মেয়ে। চেয়ারম্যান তাকে আশ্বস্ত করেন। ঢাকা থেকে ডাক্তার আনিসের বৌ নবনী আসে তার একটি কঠিন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে। কিন্তু কোনভাবেই যেন সে বলতে পারে না তার মনের কথা। এভাবেই বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এগিয়ে চলে উপন্যাসের গল্প... পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের রিভিউ লেখা বরাবরই আমার কাছে দুঃসাহসের কাজ বলে মনে হয়। নিজে এখনও অতটা বড় হইনি যে তাঁর সাহিত্যমান নিয়ে কথা বলতে পারি। তবে একজন পাঠক হিসেবে তাঁর লেখা একটি অসাধারণ বই অন্য পাঠকদের নিকট তুলে ধরার একটি ব্যর্থ প্রয়াস করতে তো ক্ষতি নেই! মূলত গ্রামীন পটভূমীর গল্প হলেও গল্পে চরিত্র খুব সীমিত। এই সীমিত চরিত্রদের নিয়েই তৈরী হয়েছে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের অন্যতম সেরা সৃষ্টি “তেতুল বনে জোছনা” উপন্যাস। ২০০১ সালে বের হওয়া বইটিতে তৎকালীন গ্রামীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। সেই সমাজে যেমন ছিল মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ক, তেমনি ছিল কিছু কুসংষ্কারও। সেই সমাজের মানুষ খুব সরল মনের ছিল। খুব সহজেই অনেক কিছু বিশ্বাস করে ফেলতো। সেই সমাজে ছিল বাল্যবিবাহ, যা তখনও পুরোপুরি বিলীন হয়নি! আর এই সকল দিকই উঠে এসেছে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের আলোচ্য উপন্যাসে। আমরা সকলেই জানি, হুমায়ুন স্যারের লেখার স্টাইল সবসময়ই অন্যদের থেকে একটু আলাদা। তাঁর লেখায় থাকে যেমন শুক্ষ্ম রসিকতা আবার থাকে খুব সহজভাষায় অল্পকথায় কঠিন সমালোচনা। আলোচ্য উপন্যাসেও লেখক তৎকালীন কুসংস্কারগুলো নিয়ে বেশ সূক্ষ্ম সমালোচনা করেছেন যা বইটি পড়লে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও বইটির সবথেকে বড় চমকের জায়গা হলো বইটির ভেতরের ভালোবাসার গল্প। হুমায়ুন স্যার তাঁর নিজস্ব স্টাইলে গ্রামীন গল্পের পাশাপাশি চমৎকার একটি প্রেমের গল্পও তুলে এনেছেন যা পাঠককে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এছাড়া আরো কিছু “হুমায়ুনীয় হিউমার”এ ভরা বইটি নিঃসন্দেহে পাঠকের পড়া অন্যতম সেরা বই হয়ে থাকবে। বইয়ের বাহ্যিক দিকটিও বেশ সুন্দর। ধ্রুব এষের অসাধারণ প্রচ্ছদ বইটির সৌন্দর্যতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বরাবরের মত বইটির গায়ের মূল্য আবারো আমাকে হতাশ করেছে। ১৩৫ পৃষ্টার বইয়ের দাম ২২৫ টাকা। যা কমিশন দিয়ে ২০০ টাকার কম আসে না। ছাত্রসমাজের অনেকের পক্ষেই যা ব্যয় করা বেশ কঠিন। তবে সর্বোপরি বইটি অসাধারণ। কথা দিচ্ছি, মুখে একটি পরিতৃপ্তির হাসি ফুটে উঠবে যখন গোটা বই শেষে পাঠক পড়বেন সেই বিখ্যাত লাইন দুটি... “ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলছ, তার প্রতিদানে আমি তোমার জন্য 'জনম জনম ধরে কাঁদিব’।” রেটিংঃ দুঃখিত! হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের রেটিং দেবার ক্ষমতা আমার নেই!
Was this review helpful to you?
or
একটা ডাক্তারের গল্প, একটা চোরের গল্প এবং একজন নবনীর গল্প। একটা গ্রামের গল্প। আনিস ডাক্তারি পাশ করে বিরাটনগর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে পোস্টিং পায়। অল্পকিছুদিনের মধ্যেই গ্রামের সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠে নিজের ব্যবহার এবং চিকিৎসা দিয়ে। সাইকেল চালিয়ে রোগীর বাড়ি বাড়ি যায় বলে লোকে তাকে সাইকেল ডাক্তার বলে। গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে, সাইকেল ডাক্তারের সাইকেলের ঘন্টা শুনলেই রোগী অর্ধেক সেড়ে উঠে। আনিস ব্যাপারটা নিয়ে কিঞ্চিত চিন্তিত। সাইকেল ডাক্তার থেকে না আবার ঘন্টা ডাক্তার নাম হয়ে যায়। ডাক্তারের ভক্তদের মাঝে মতি মিয়া একজন। এই চরিত্রটা একটু অদ্ভুত টাইপের। এক দু কথায় বোঝানো যাবে না। পেশায় চোর। আনিসকে খুবই পছন্দ করে, আবার নিজেই আনিসের সাইকেল চুরি করে। পুরো বই জুড়েই মতি মিয়া বিদ্যমান। চেয়ারম্যান সাহেব খুবই ক্ষমতাবান। গ্রামের সবাই তাকে মেনে চলে। কেউ তার থেকে উপরে উঠার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে আর দেখতে পারেন না। নিয়ম করে মদ খাওয়া তার সখ। নবনী। এই চরিত্রটা খুবই রহস্যময়। হয়তো এজন্যেই আমার খুব ভালো লাগে। আনিসের সাথে একটা অদ্ভুত উপায়ে তার পরিচয় হয়। তারপর বিয়ে। নবনী ঢাকায় বাবার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করে। প্রতি সপ্তাহে আনিসকে চিঠি পাঠায়। আনিসের সাথে তার সম্পর্কটাও একটু যেন রহস্যময়। নবনীর একটা কথা বা ডায়লগ খুবই বিখ্যাত। যারা বইটি পড়েননি তারাও ডায়লগটা শুনেছেন অথবা বিভিন্ন জায়গায় দেখেছেন। "ডাক্তার সাহেব, তুমি আমার জন্য দুফোটা চোখের জল ফেলেছো, তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিব" এক লাইনের একটা ডায়লগ, কিন্তু এর ব্যাপ্তি বিশাল। একেক রকম মানুষ একেক রকম ভাবে ভালোভাসা প্রকাশ করে। ভালোবাসা প্রকাশ করতে সারাদিন ভালোবাসি ভালোবাসি বলা লাগেনা, দুয়েকটা ছোট্ট কাজেও বোঝানো যায়। আবার কেউ কেউ ভালোবাসা প্রকাশই করেনা, কিন্তু আজীবন ভালোবেসে যায়। নবনী এরকম মেয়ে। বিরাটনগর গ্রামের বিরাট একটা ঘটনা দিয়ে বইয়ের শুরু। গ্রামের উপর দিয়ে একটা টর্নেডো বয়ে যায়। গ্রামের সবথেকে বড় বটগাছটা উপড়ে উড়িয়ে নিয়ে চলে অথচ তার পাশেই একটা টিনের ঘরের কিছুই হয়নি। একটা গ্রামের জন্য এটা কতবড় ঘটনা চিন্তা করুন একবার। বেশ কয়েকদিন ধরেই এটা নিয়ে গল্পগুজব চলতেই থাকে। বইটি পড়া শুরু করেছিলাম ছোটভাই আদনের অনুরোধে। ও একদিন রাতে আমাকে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করছে, ভাইয়া পড়েছেন? আমি বললাম, না ভাইয়া সময় পাচ্ছিনা। ও বলল আজকে রাতের মধ্যেই পড়বেন। আমি পড়লাম। পরদিন ওর সাথে দেখা হল, জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া বইটি কেমন লেগেছে? আমি জবাব দিলাম, হুমায়ূন আহমেদের আর দশটা বইয়ের মতই, আহামরি কিছু না। উত্তরটা শুনে ওর মুখটা চুপসে গেল :D আমি আসলে এটাই দেখতে চেয়েছিলাম। ও জিজ্ঞেস করল, একটুও আলাদা মনে হয়নি? আবার জবাব দিলাম, নাহ গতানুগতিক মনে হয়েছে। আমি আসলে জবাবগুলো দিয়েছিলাম মজা দেখার জন্য। দেখেছি। যখন বলেছি, আহামরি কিছু নয় তখন ওর মুখটা দেখলে বুঝতে পারতেন কথাটা ওকে কতটা আঘাত করেছে। আর, একটা বই কতটা প্রিয় হলে সেই বইয়ের সম্পর্কে এমন মন্তব্য শুনলে মন খারাপ হয়। আমি আদনকে মিথ্যে বলেছিলাম। বইটি গ্রাম্যজীবন নিয়ে লেখা হুমায়ূন আহমেদের আর দশটা বইয়ের মত শুরু হলেও ভেতরে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বইটির নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। পড়া শেষে বেশ অনেকদিন রেশ থেকে যাবে। ইচ্ছা করবে প্রিয় মানুষদের জানাই বইটি সম্পর্কে। গল্পের মূল চরিত্র কে এটা বুঝতে প্রথমে একটু বেগ পেতে হতে পারে। মতি মিয়াকে ঘৃণা করার চেষ্টা করেও পারবেন না। আনিসকে ভালো লাগবেয ভালো লাগবে নবনীকেও। মোটকথা বইয়ের প্রতিটি চরিত্র ঢুকে যাবে আপনার মাথায়। ঠিক যেভাবে আদনের মাথায় ঢুকে গেছে। ও আমাকে বলছিল, যদি কোনোদিন টাকা হয় এবং অনুমতি পাওয়া যায় তবে ও এই বই নিয়ে সিনেমা বানাবে। অনেকদিন রিভিউ লিখিনা, কী লিখতে কী লিখেছি আল্লাহ্ জানে। ভালো লাগলে জানাবেন, খারাপ লাগলেও জানাবেন।