User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নীহাররঞ্জন গুপ্ত এর এক অনন্য সৃষ্টি নূপুর। গল্পের গাঁথুনিতে অতীত আর বর্তমান সময়কে লেখক সুনিপুণভাবে সংযোজিত করেছেন। নূপুর কে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি চরিত্র আবর্তিত হয়েছে আর তার সাথে রচিত হয়েছে রহস্যের ঘনঘটা।
Was this review helpful to you?
or
ব্রজেন পেশায় একজন কেরানী। স্বল্প আয়ের সংসারটিতে যখন-তখন যাচ্ছেতাই করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তার সংসার টুকুও ছোট। স্ত্রী মণি, একটি ভৃত্য ও দাসী এবং সে - এই চার প্রাণী মিলেমিশেই তার সংসার। স্ত্রী মণির অনেকদিনের শখ একটি আলমারি তাদের ঘরে সাজানোর। কিন্তু পুরো সংসার সামলিয়ে মণির এই সাধ টুকু কিছুতেই পূরণ হয় না । কখনোবা সামর্থ্যের মাঝে আলমারির সন্ধান মিলে তো তা মন মতো হয় না। আবার যখন মনের মতো হয় তখন সাধ্যে কুলোয় না। এক বিতিকিচ্ছিরি দোটানা অবস্থা। ঠিক এমনি সময়ে হুট করেই মনে হয় বিধাতার কৃপা হলো। এক জমিদার বংশের শেষ উত্তরাধিকারী তাদের সমস্ত পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেখানে এক আলমারিও আছে। অফিসের এক পরিচিত জনের মাধ্যমে খবরটুকু পেয়েই সেখানে ছুটে যান কেরানী ব্রজেন। খুব চমৎকার এক আলমারি একেবারে পানির দামে পেয়ে যান তিনি। আলমারি পেয়ে স্ত্রী মণি খুব খুশি। যেন এতদিনে আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। অতি যত্নে আলমারিটা সাজিয়ে রাখলেন গৃহকোণে। কিন্তু তারপর? হায়! এ যেন খাল কেটে ঘরে কুমির আনা। প্রতি রাতে নূপুর এর রুম ঝুম ঝুমা ঝুম শব্দ কানে আসা শুরু হলো। মনুষ্য স্বভাব কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে এই শব্দ উৎসের সন্ধানে গিয়ে স্বামী স্ত্রী মুখোমুখি হলো নিষ্ঠুর ভাগ্যদেবীর। বেরিয়ে আসলো ভয়ানক সব সত্য। যে সত্য বছর বছর পূর্বের অসহায় নারীর বর্বরতার আর অত্যাচার এর শিকার হবার গল্প। নীহাররঞ্জন বাবুর আমার পড়া প্রথম বই ছিলো মুখোশ। মুখোশ পড়ে মুখোশের আড়ালের রূপ দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলাম। অসংখ্য চরিত্রের কারসাজিতে সাজানো সে উপন্যাস ভীষণ ভালো লেগেছিলো।" নূপুর " পড়ার সময়ে তাই প্রত্যাশা ছিলো বেশি। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে। সাদামাটা এক কাহিনী। নেই কোন সাসপেন্স। পাঠক এমনিতেই বুঝে ফেলবে গল্পে কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। মুখোশ যদিও রহস্য উপন্যাস ছিলো তবুও প্রথম দিকে কিছুটা ভৌতিক পরিবেশ বিরাজ করছিলো। এই বইয়েও সেই ধারা অব্যাহত ছিলো। অবশ্য নূপুর পুরোটাই ব্যাখ্যার অতীত কাহিনী। বইটির নামকরণ কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নূপুর পড়ে আকাঙ্খার অপূর্ণতা দূর করতে লেখকের আরেকটি বই পড়া জরুরী। আমার একটি জিনিস মনে হয়, মৃত্যুর পর যদি সত্যি সত্যি আত্মাদের সক্রিয়তা বজায় থাকতো তবে বেশ হতো! দেশের নামেমাত্র আইন - কানুনের কোন প্রয়োজন ছিলো না। ধর্ষণ আর হত্যার বিচারের জন্য রাস্তায় রাস্তায় মিটিং মিছিল এর দরকার হতো না। তনুরা নিজেরাই ঐ পশুদের পাওনা বুঝিয়ে দিতো। কে জানে! হয়তোবা আমাদের চক্ষুর আড়ালে এমন কিছু কখনো ঘটেও থাকতে পারে। সমস্ত কিছু তো আর প্রত্যক্ষিত হয় না! কত টুকুই বা আমরা দেখি?