User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
বইটি মন জুড়ে আছে
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর উপন্যাসঃ কাজল লেখকঃতারাদাস বন্দোপাধ্যায় ধরনঃ পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস প্রকাশনীঃমিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স মুল্যঃ ৯৫ টাকা (রকমারি মুল্য) কাহিনী সংক্ষেপঃ বিভুতিভুষন বন্দোপাধ্যায় এর "পথের পাঁচালী" বইটি কতো আলোচিত তা আমাদের বইপোকাদের কারো অজানা নয়। সেই বই এর রেশ ধরেই বইটির ২য় অংশ "অপরাজিত" প্রকাশের পর লেখক মারা যায় কিন্তু গল্প আসলে সেই বইটাতেও শেষ হয়নি। তাই পরবর্তীতে লেখকের ছেলে তারাদাস বন্দোপাধ্যায় বইটির আরো ২ টি অংশ লেখেন।। তাদের মধ্যেই ৩য় অংশ টি হলো "কাজল" কে এই কাজল?? হুম কাজল হচ্ছে অপুর ছেলে... অপুর কার সাথে বিবাহ হয় সেটা আমরা অপরাজিত তেই দেখেছি এখন আমরা জানবো কাজল সম্পর্কে।। অপু তার ছেলে কাজলকে গ্রামের বাড়িতে রানুদিদির কাছে রেখে বাইরের দেশে চলে যায়। সেখানে সে কর্ম করে জিবীকা অর্জন করে। এদিকে কাজল বাবাকে ছাড়া থাকে কিন্তু সে তার বাবা কে অনেক মনে করে। সাথে অভিমান ও হয়। কেন তার বাবা তাকে এভাবে ফেলে রেখে বাইরের দেশে থাকে। তাহলে কি বাবার তাকে মনে পড়েনা?? সে অনেক অভিমান মনে পুষে নিয়ে বসে থাকে। এর ভেতরেই একদিন অপুর চিঠি আসে রানু দিদির কাছে এবং তার কিছুদিন পরেই অপু গ্রামে ফেরে ছেলের সাথে পাকাপোক্ত ভাবে থাকার জন্য। ছেলে রানু দিদির কাছে থাকলেও এতোটুকু অযত্ন হয়না কাজলের। আপন ছেলে মনে করেই সে নিজের কাছে রাখে। এখানে কিছুদিন কাটানোর পরেই অপুর মনে হয় কাজলের পড়াশোনার তাগিদেই কলকাতার কাছাকাছি কোন মফস্বল এলাকায় সে বাসা ভাড়া করে থাকবে। এখন তো তার আর টাকার অভাব নেই। তাই ভাবা মাত্রই রানুদিদীর সাথে আলোচনা করে সে চলে যায় কাজল কে নিয়ে। কাজল ছিলো অন্যরকম। অনেক টা অপুর মতোন ই। এই বয়সে কারো সাথে মেশার থেকে তার বেশী আগ্রহ আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য। তার উপরে অপু তাকে বিভিন্ন দেশ বিদেশের গল্প শুনিয়ে এমনিতেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চায়। সে তার বাবার মতোই হয়ে উঠেছে অনেকটা। এরই মধ্যে অপুর প্রথম লেখা উপন্যাস টা সাহিত্য সমাজে আলোচনায় চলে আসে যার জন্য অপুকে মোটামোটি লেখালেখি নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হয়। তার উপন্যাসের জন্য আশেপাশের মানুষ ও বিশেষ করে তরুণ লেখকদের যাওয়া আসা টা বেড়ে যায় তার ভাড়া বাড়িতে। এবং একটার পর একটা লেখা প্রকাশ হতে থাকে বিভিন্ন নামকরা পত্রিকাতে। খুব কম সময়ে তার পরিচিতি হয় লেখক সমাজে। হঠাৎ একদিন দুইটি মেয়ে আলাপ করতে আসে অপুর সাথে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে গিয়ে অনুরোধ করে অপুকে তাদের বাসায় নেমন্তন্ন রক্ষার জন্য। অবশেষে অপু সেখানে যায় কাজলকে সাথে নিয়ে। ধীরে ধীরে এই বাড়ির সাথে অপুর ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে। কিন্তু ভালো সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত প্রনয়ে রুপ নেয় না তো?? যদি নেয় তাহলে কাজলের জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে?? তাহলে কাজলের জীবন কি এখানেই থেমে যাবে?? অপু কি পারবেনা তাহলে সবাইকে প্রীতীডোরে বেধে রাখতো?? সবকিছু জানতে পড়তে হবে "কাজল" পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ সত্যি কথা বলতে পথের পাঁচালী অনেক আলোচিত বই সেটা পড়েছি, অপরাজিত এখনো পড়া হয়নি, তার আগেই কাজল পড়ে ফেললাম। কিন্তু এই ২ টার মধ্যে তুলনা দিতে গেলে আমি বলবো কাজল আমার পড়া অনেক ভালো একটা বইছিলো। বইটা পড়ে পুরো কাহিনী টা আমার মনে এমন ভাবে গেঁথেছে যে আমি কয়দিন শুধু বইটা নিয়েই চিন্তা করেছি। মাথা থেকে সরাতে পারিনি সংলাপ গুলো এক মিনিটের জন্যেও। তাই আশা করি যারা পথের পাঁচালী পড়েছেন তারা পড়বেন এই বইটাও।।।
Was this review helpful to you?
or
খুব প্রিয় একটা বই। মৃত্যুতে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, সেই আম আঁটির ভেপু থেকে আমরা অপু-দুর্গা কে দেখি,আমরা পেয়েছি ছোট্ট অপুকে, অপরাজিত উপন্যাসে অপু বড় হয়েছে এবং আমরা কাজলকে পেয়েছি উপন্যাস এর শেষে, কাজল (অপুর ছেলে) তাকে পায় পূর্ণরূপে কাজল উপন্যাসে, এর নিশচিন্দিপুর এ ফিরে আসা,আর এর মধ্য দিয়ে ফিরে পেয়েছি আমাদের সেই দিদিপাগল ছোট্ট অপুকে, যে তার সেই কাশফুল ঢাকা গ্রাম ছেড়ে গিয়েছিল অভাবের তাড়নায়। অপু ট্রিলজির শেষ বই কাজল, বিভূতিভূষণের 'কাজল' লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান, এর পরেই বিভূতিভূষণের সুযোগ্য পুত্র তারাদাস কাজল উপন্যাস লিখে পিতার সেই শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন। এ গল্প কাজলের, কাজলের অপু হয়ে ওঠা, কাজলের মাঝে অপুকে ফিরে পাওয়া । আমার কাজল গল্পের ভুমিকা আর উপন্যাসটি পড়ে মনে হয়েছে,এখানে অপু বিভূতিভূষণ এর রুপ আর কাজল তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর।তবে বাবা ছেলের লেখনীর পার্থক্য নাই, নাম না থাকলে কেউই ধরতে পারত না কাজল কার লেখা।
Was this review helpful to you?
or
বিভূতি বাবুর অমর সৃষ্টি 'পথের পাঁচালী' আর 'অপরাজিত'। অপুর গল্প। নিশ্চিন্দিপুর থেকে অপুর যাত্রা শুরু হয়। বহু পথ,গলি,মানুষ দেখে সে আবার ফিরে আসে নিশ্চিন্দিপুরে। একা নয়,সাথে থাকে কাজল-অপুর একমাত্র পুত্র... এর পরের গল্পটা শুধু অপুর নয়,কাজলেরও। বাবার সব গুণ নিয়ে ছেলেটি পৃথিবীর পথে হাঁটে। ছেলেবেলায় অপু যেমন বনে ঘুরে বেড়াতো,কাজলও তেমনি পিঁপড়ের হেঁটে যাওয়া দেখে। অপু ততদিনে বিখ্যাত। বই লিখে সে পেয়েছে পরিচিতি। নতুন সংসার পেতেছে। এর মাঝে কাজলের বেড়ে ওঠা। মৌপাহাড়ি-তে নতুন বাড়িতে উঠে যায় অপু,পেছনে পড়ে থাকে নিশ্চিন্দিপুর। অপু মারা যায়,কাজল নিতান্ত শিশু। বাবাকে অনুভব করে শিরায় শিরায়। কাজল বেড়ে ওঠে,জীবনের মানে খোঁজে। রামদাস বৈষ্ণব এর গান শোনে। নতুন মা হৈমন্তী-কে নিয়ে নিশ্চিন্দিপুরে আবার ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে... 'কাজল'-উপন্যাসটি লিখেছেন বিভূতি-তনয় তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতার সঙ্গে তাঁর তুলনা করতে যাওয়া অবান্তর। পাঠক হিসেবে তাঁর রচনায় আমি সন্তুষ্ট। পড়তে পড়তে বারবার মনে হয়েছে বিভূতিভূষণের জীবনটা চোখের সামনে দেখছি। অপু তো আসলে তিনি নিজে
Was this review helpful to you?
or
Kajol made me emotional. He taught me, life is only sound and fury and nothing else.
Was this review helpful to you?
or
খুব প্রিয় একটা বই, বেশ কয়েকবার পড়েছি............ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় “পথের পাঁচালি”, সেই অপু-দুর্গা। দুর্গার মৃত্যুতে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, সেই আম আঁটির ভেপু থেকে আমরা অপু-দুর্গা কে দেখি,আমরা পেয়েছি ছোট্ট অপুকে, অপরাজিত উপন্যাসে অপু বড় হয়েছে এবং আমরা কাজলকে পেয়েছি উপন্যাস এর শেষে, কাজল (অপুর ছেলে) তাকে পায় পূর্ণরূপে কাজল উপন্যাসে, এর নিশচিন্দিপুর এ ফিরে আসা,আর এর মধ্য দিয়ে ফিরে পেয়েছি আমাদের সেই দিদিপাগল ছোট্ট অপুকে, যে তার সেই কাশফুল ঢাকা গ্রাম ছেড়ে গিয়েছিল অভাবের তাড়নায়। অপু ট্রিলজির শেষ বই কাজল, বিভূতিভূষণের 'কাজল' লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান, এর পরেই বিভূতিভূষণের সুযোগ্য পুত্র তারাদাস কাজল উপন্যাস লিখে পিতার সেই শেষ ইচ্ছা পূরণ করেন। এ গল্প কাজলের, কাজলের অপু হয়ে ওঠা, কাজলের মাঝে অপুকে ফিরে পাওয়া । আমার কাজল গল্পের ভুমিকা আর উপন্যাসটি পড়ে মনে হয়েছে,এখানে অপু বিভূতিভূষণ এর রুপ আর কাজল তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর।তবে বাবা ছেলের লেখনীর পার্থক্য নাই, নাম না থাকলে কেউই ধরতে পারত না কাজল কার লেখা।
Was this review helpful to you?
or
:::রিভিউ::: কাজল বইটির ভূমিকা লিখেছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাতা রমা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার-পাঁচ পৃষ্ঠার এই ভূমিকাতে তিনি পাঠককে জানিয়েছেন লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লেখালিখি ছিল আরাধনা। তিনি কাজল লেখার ব্যাপারে খুব উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও তিনি ইছামতীর দ্বিতীয় ভাগ লিখতে চেয়েছিলেন, লিখতে চেয়েছিলেন অথৈ জলেরও দ্বিতীয় খন্ড। কিন্তু হলো না। কিন্তু কাজল শুরু করার ঠিক আগ মূহুর্তে এই অমিত শক্তির অধিকারী লেখক বিদায় নেন। তার পর উনার সুযোগ্য পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাবার অপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করেন। বইয়ের নামঃ কাজল (পথের পাঁচালী #৩) লেখকঃ তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১৪ প্রকাশনাঃ মিত্র ও ঘোষ কাজল খুব ছোট একটা বই। পড়তে গেলেই ফুরিয়ে গেল। তাই সেখানে প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত লেখার সুযোগও তেমন নেই। অপরাজিত বইটিতে অপু কাজলে নিশ্চিন্দপুর গ্রামে রাণুদির কাছে রেখে চলে যায় ফিজিতে। সেই নিশ্চিন্দপুর গ্রামে যেন আবার নতুন করে নতুন রূপে ফিরে আসে শৈশবের অপু। কিন্তু তারপর? বিভূতিভূষণ বেঁচে থাকলে হয়তো লেখাটা অন্যরকম হতো কিন্তু উনার পুত্রের হাতে লেখাটি পেয়েছে আলাদা স্বতন্ত্রটা। পড়তে গিয়ে কোথায় যেন মনে হয়েছে অপুর মাঝে যেন স্বয়ং পিতাকে স্থাপন করতে চেয়েছিলেন লেখক তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে অপুর মৃত্যুর মাঝে পিতার মৃত্যুকে যেন অংকন করেছেন লেখক। রাণুপিসির কাছে বেশ কাটছিলো কাজলের। একদিন অপু ফিরে আসে কাজলের কাছে। রক্তের টান অস্বীকার করা যায় না। পালিয়ে বাঁচা যায় না। ফিরতে হয়। তারপর নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে অপু কাজলের জন্য। উত্তারিকার সূত্রে মানুষ কি পায়? অর্থ, সম্পদ খুব বেশি হলে কিছু মূল্যবোধ। কিন্তু বাবার কাছ থেকে কাজল পেয়েছে আলাদা একটা স্বত্ত্বা, যার অনুভূতির ক্ষমতা পার্থিবের মাঝেও অপার্থিব, এই পৃথিবী থেকে বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ডের শেষ গ্রহটি পর্যন্ত বিস্তৃত, সীমাহীন। সুখ-দুঃখ, চাওয়া পাওয়া, না পাওয়ার হিসাব করতে করতেই মানুষের জীবন কেটে যায়। হিসাবের অংক মেলে না। শেষ খাতায় পরে থাকে মৃত্যু নামের একটি শূণ্য। কাজল আক্ষেপ করে ভেবেছে একটু ভাল ব্যবহার একটু ভালোবাসার জন্য সারাটা জীবন আক্ষেপ করতে করতে কত মানুষ চলে গেছে এই পৃথিবী ছেড়ে। খুব কম মানুষই আসছে যারা সুখ আর দুঃখকে জীবন নামের দাড়িপাল্লায় ভারসাম্য করে সত্যিটা জানতে পেরেছে। জেনেছে জীবনের পিছনে ছুটে লাভ নেই, মৃত্যুর জন্য আয়োজন করে লাভ নেই। জীবন আর মৃত্যু, আলো আর অন্ধকার আলাদা নয় শুধু একের প্রকাশে অন্যের অনুপস্থিতি মাত্র। সেই টুকরো টুকরো চিন্তাগুলো যেন লেখক এবং দার্শনিক Khalil Gibran বলেছেন এই দুটি লাইনে, “For life and death are one, even as the sea and the river are one.” ব্যক্তিমত মতামতঃ আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে বইটি পড়ার সময় কোন পাঠক যদি লেখক পিতা পুত্রের প্রতিভার তুলনা করতে যান সেটা হবে অনেক বড় মাপের ভুল। প্রতিটি মানুষ তার স্বাতন্ত্র শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আসে। অপরাজিতের কিশোর অপু ছিল অনেকটা জীবনের বাস্তবতার কাছে অপরাজিত আবার কাজলের বাবা অপুকে আমরা পেয়েছি অনেকটা সংযত। তবুও দুই লেখকের দুই অপুকেই ভাল লেগেছে কারণ তাঁদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্য থাকলেও দর্শনের স্বাতন্ত্রতা ছিল অনেক কম। আর এখানেই লেখক তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার সফল মনে হয়েছে। উনি পিতার ছায়ার বাইরে এসে লিখেও পিতার সৃষ্ট চরিত্রকে তিনি পুনরায় জীবনদান দিয়েছেন।