User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সদ্য স্নাতক পাশ করা পরিবারের বড় সন্তানের কথা দিয়েই বইটির প্রধান লেখা শুরু ।ছেলেটির আবেগ,ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখার তীব্র প্রতিযোগিতা,জীবনযুদ্ধ জয় এর নেশায় জার্মানি পাড়ি জমানোর সময়কার কথাই সেখানে আছে।প্রথম দিককার এই গল্পগুলো পড়বার সময় কেনো জানি "নিকোলা ইউন" এর একটি উক্তিই বার বার মনের গহীন থেকে ভেসে আসছিলো, "Everything,Everything is about the crazy risks we take for love"। এরপরের ঘটনাগুলো পাঠকদের জন্যই লিখা।হাজার তরুণ-তরূণীর শুধু জার্মানি না পৃথিবীর যেকোনো দেশে টিকে থাকার অনুপ্রেরণা ছাড়া কিছুই নয় বৈকি।কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জার্মানির বন্যা নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাওয়া আমাদের ভাত্রৃত্ব বন্ধন এর শিক্ষাই দেয়।এছাড়াও সম্পূর্ণ নতুন দেশ,নতুন সংস্কৃতিতে নিজেকে মানিয়ে ভাইয়ার এগিয়ে যাওয়া আমাদের হার না মানারই পথ দেখায়। আমরা অনেকেই আছি এখনো কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই ভয়,টেনশনকে সঙ্গী করে বসে আছি।তাদের জন্য এই অংশের গল্পগুলো ঐতিহাসিক দলিলের সমতূল্যই বটে। এছাড়াও বইটিতে ভাইয়ার খেলা প্রীতির বর্ণনা পাওয়া যায়।ভাইয়ার নিজ হাতে গড়া "স্টুটগার্ড ক্রিকেট ইগলস",প্রথম বাংলাদেশি এবং প্রবাসী হিসেবে জার্মান ক্রিকেট ফেডারেশনের "প্রেস সেক্রেটারি" নির্বাচিত হওয়ার গল্পগুলো পাঠকরা বইটিতে খুঁজে পাবেন। অনেক অনেক ঘটনাই আছে যা বলে শেষ করা যাবে না।তবে সবারই পছন্দের কিছু অংশ রয়েছে।পুরো বইটিতে তেমনি একটি গল্প আমার মনের ভিতরের ছোট্ট কোণায় জায়গা করে নিয়েছে।গল্পটি আমাদের আদনান ভাইয়ার কলিজার টুকরা ইহা,রিহা,ফিহা ৩ বোনের মধ্যে আদরের রিহাকে নিয়ে তার জন্মদিনে লিখা,"বাবা, ড্রাগন কি সত্যি সত্যিই আছে?" গল্পটির শেষাংশ টুকু লিখে দিলে মজা নষ্ট হবে তবুও দিলাম, "আজ ২২শে নভেম্নর। আমার আদরের মেয়েটার জন্মদিন। রিহার জন্ম মুহুর্তে নার্স প্রথমেই রিহাকে আমার কোলে তুলে দিল। জন্মদাত্রী তখনো প্রবল বেদনায় আচ্ছন্ন। নবজাতককে কোলে নেবার শক্তিটূকু নেই। নার্সের কথামতো আমি আমার শার্ট খুলে ফেললাম। রিহাকে আমার বুকে নিলাম। শরীরের উষ্ণতা দিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরলাম। রিহাকে বলা হয়নি যে পৃথিবীতে আসলেই সত্যিকার ড্রাগন আছে। এই ড্রাগনরা জন্মলগ্ন থেকে রিহাদের আগলে রাখে। তাদের অসুখ বিসুখে রাত জেগে পাহারা দেয়। বিপদের দিনে তাদের সাহস দেয়। আকাশ ছাড়িয়ে বড় হবার স্বপ্ন দেখায়। প্রতিটি জন্মদিনের সময় অবাক হয়ে ভাবে, এতো বড় হয়ে গেল মেয়েটা! এই ড্রাগনদের কাঁধে চড়ে রিহা দুর্বল শরীর নিয়েই আজকে স্কুলে গেছে। ক্লাসে ঢুকতে ক্লাস টিচার জিজ্ঞেস করলেন, রিহা, তুমি একদিনেই ভাল হয়ে গেছ? রিহা হাসিমুখে মাথা নাড়ল। চারদিক থেকে ক্লাসের অনেকগুলো বাচ্চা এসে রিহাকে জড়িয়ে ধরল। দূর থেকে রিহার আনন্দময় মুখ দেখে আমি বিড়বিড় করে বললাম, শুভ জন্মদিন মাগো!" ভাইয়ার লিখার হাত নিয়ে বলার মত যোগ্যতা হয়ত আমার হয়ও নি।ভাইয়ার প্রিয়তমা মানুষটাই নাকি ভাইয়ার লেখা চিঠি পড়ে প্রেমে পড়েছিলেন। সব শেষে বলবো,"You are never too old to set another goal or to dream a new dream" এহা,রিহা,ফিহার জন্য ভালোবাসা রইলো।