User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। "মৃন্ময়ী" চরিত্রটা বেশ ইন্টারেস্টিং। মৃন্ময়ী ও টগর দুভাইবোন একই মায়ের পেটের না হলে ও অসম্ভব পরিমাণ ভালোবাসা তাদের দুজনের মধ্যে। তবে শেষটায় একটা রহস্য রয়ে গেলো। টুনু কেন খুন করলো আজহার চাচাকে? এটা কি মৃন্ময়ীর বাবার প্ল্যান ছিলো না টগরের কোনো প্ল্যান?
Was this review helpful to you?
or
অনেক বার করে পড়া হয়েছে এই বইটা.... অনেক গুলা ভালো বিষয় এই বইতে বুঝানো হয়েছে... বিশেষ করে নিয়তিবাদী বিষয়টা...
Was this review helpful to you?
or
Its very interesting book
Was this review helpful to you?
or
Khub ee shundor ekti uponnash. Ek bare shesh kore uthar moto. Mrinmoyir bhai Togor ke khub ee vlo legeche
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমিও পড়েছি। চমৎকার বই!
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের নায়িকা মৃন্ময়ী। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। তার বাবার নাম মইনু মিয়া। মৃন্ময়ীর দাদা একসময় দর্জি ছিলেন। তাই ভেবেছিলেন তার ছেলেও দর্জিই হবেন। তাই ছেলের নাম নিজের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলেন।কিন্তু মৃন্ময়ীর বাবা সবাইকে চমকে দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে। পড়াশুনা চলাকালী সময় নাম এফিডেভিট করে মইনু মিয়া থেকে মইন খান হয়ে যান..... কিন্তু বাবা একসময় দর্জি ছিলেন সেই নাড়ীর টানেই মইন খান অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় শুরু করেন এবং গার্মেন্টসের নাম 'মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস'। গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ীর নামে হওয়ায় মৃন্ময়ী সারাক্ষণ তার নামে ঘামের গন্ধ পায়। তাই সে ঠিক করে তার নাম ও সে বদলিয়ে ফেলবে........ গল্পে দেখা যায় যে মইন খানের আজহার নামের একজন বন্ধু আছে যাকে তিনি ভয় পান। মাঝে মাঝে অতি চালাক মানুষ অতি বোকা লোকের হাতের মুঠোয়য় চলে আসে মইন খানকেও এইরকম একটা সিচ্যুয়েশনে দেখানো হয়েছে.....মৃন্ময়ী ছাড়াও মইন খানের আরেকটা পুত্রসন্তান আছে যার নাম টগর সে মৃন্ময়ীর সৎ ভাই, তবে মৃন্ময়ীকে অনেক ভালোবাসে। টগরকে ঘিরে এই উপন্যাসে কিছু রহস্য আছে....টগরের এক বন্ধু টুনু সে একজন ভয়ংঙ্কর খুনী সে মৃন্ময়ীদের বাসায় লুকিয়ে থাকতে আসে সেসময় মৃন্ময়ী তাকে যত্ন করে খেতে দেয় এই দেখে টুনুর মৃন্ময়ীর প্রতি ভালোলাগা জাগে। অপরদিকে মৃন্ময়ীর একজন স্যার ও মৃন্ময়ীকে ভালবাসে আবার অন্যদিকে আজহার সাহেবের ছেলের সাথে মৃন্ময়ীর বিয়ে ঠিক হয়ে থাকে..... ঠিক কি হয়েছিল উপন্যাসের শেষে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে বই থেকে প্রিয় কিছু লাইনঃ ১. প্রকৃতি রূপবান পুরুষ পছন্দ করে না। তাদের মধ্যে বড় ধরনের কিছু সমস্যা দিয়ে দেয়। ২. যে মানুষটার মন খারাপ, সে তার মন খারাপটা ছড়িয়ে দিতে চায় অন্যদের ভিতর। যার মন উৎফুল্ল সে চায় তার উৎফুল্লভাব ছড়িয়ে দিতে। ৩. মানুষ স্বাধীন না, সে তার মস্তিষ্কের অধীনে বাস করে। ৪. মানুষ নিজেকে Conditioned করে নিতে পছন্দ করে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়া: 'মৃন্ময়ী' বইটা কিছুটা ব্যতিক্রম হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বাকি বইগুলোর তুলনায়। কারণ বইয়ের সবটাই রহস্যজনক। এই রহস্যের পরিসমাপ্তি ঘটে বইয়ের শেষে। শুরুর দিকে মৃন্ময়ীর বাবাকে একজন বোকাসোকা লোক মনে হলেও বইয়ের শেষে তিনিই হয়ে উঠেন গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র। যাই হোক, 'মৃন্ময়ী' বইটা পড়ে খুব ভালো লেগেছিল.... চমৎকার এই বইটি কারো পড়া না থাকলে পড়ে নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের নায়িকা মৃন্ময়ী। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। তার বাবার নাম মইনু মিয়া। মৃন্ময়ীর দাদা একসময় দর্জি ছিলেন। তাই ভেবেছিলেন তার ছেলেও দর্জিই হবেন। তাই ছেলের নাম নিজের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলেন।কিন্তু মৃন্ময়ীর বাবা সবাইকে চমকে দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে। পড়াশুনা চলাকালী সময় নাম এফিডেভিট করে মইনু মিয়া থেকে মইন খান হয়ে যান..... কিন্তু বাবা একসময় দর্জি ছিলেন সেই নাড়ীর টানেই মইন খান অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় শুরু করেন এবং গার্মেন্টসের নাম 'মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস'। গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ীর নামে হওয়ায় মৃন্ময়ী সারাক্ষণ তার নামে ঘামের গন্ধ পায়। তাই সে ঠিক করে তার নাম ও সে বদলিয়ে ফেলবে........ গল্পে দেখা যায় যে মইন খানের আজহার নামের একজন বন্ধু আছে যাকে তিনি ভয় পান। মাঝে মাঝে অতি চালাক মানুষ অতি বোকা লোকের হাতের মুঠোয়য় চলে আসে মইন খানকেও এইরকম একটা সিচ্যুয়েশনে দেখানো হয়েছে.....মৃন্ময়ী ছাড়াও মইন খানের আরেকটা পুত্রসন্তান আছে যার নাম টগর সে মৃন্ময়ীর সৎ ভাই, তবে মৃন্ময়ীকে অনেক ভালোবাসে। টগরকে ঘিরে এই উপন্যাসে কিছু রহস্য আছে....টগরের এক বন্ধু টুনু সে একজন ভয়ংঙ্কর খুনী সে মৃন্ময়ীদের বাসায় লুকিয়ে থাকতে আসে সেসময় মৃন্ময়ী তাকে যত্ন করে খেতে দেয় এই দেখে টুনুর মৃন্ময়ীর প্রতি ভালোলাগা জাগে। অপরদিকে মৃন্ময়ীর একজন স্যার ও মৃন্ময়ীকে ভালবাসে আবার অন্যদিকে আজহার সাহেবের ছেলের সাথে মৃন্ময়ীর বিয়ে ঠিক হয়ে থাকে..... ঠিক কি হয়েছিল উপন্যাসের শেষে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে পাঠ্য প্রতিক্রিয়া: 'মৃন্ময়ী' বইটা কিছুটা ব্যতিক্রম হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বাকি বইগুলোর তুলনায়। কারণ বইয়ের সবটাই রহস্যজনক। এই রহস্যের পরিসমাপ্তি ঘটে বইয়ের শেষে। শুরুর দিকে মৃন্ময়ীর বাবাকে একজন বোকাসোকা লোক মনে হলেও বইয়ের শেষে তিনিই হয়ে উঠেন গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র। যাই হোক, 'মৃন্ময়ী' বইটা পড়ে খুব ভালো লেগেছিল.... চমৎকার এই বইটি কারো পড়া না থাকলে পড়ে নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা। বই:- মৃন্ময়ী লেখক:- হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনী:- অন্যপ্রকাশ ঘরানা:- সমকালীন উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ১১২ মূল্য:- ৮০ টাকা মৃন্ময়ীর বাবার নাম মইনু মিয়া। তিনি কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা দিয়ে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়েই এফিডেভিট করে নিজের নাম পাল্টে রেখেছিলেন মাইন খান। নাম পাল্টালেও বাপদাদার পেশা ছাড়তে পারেন না। তাই অধ্যাপনা ছেড়ে এখন গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস। বিদেশিদের ঘাড়ের ঘামের সাথে তাঁর নিজের নাম ঘসাঘসি খাবেন।এই বেপারটা মৃন্ময়ীর ভালোলাগে না। বিদেশি লোকজন কলারে মৃন্ময়ীর নাম থাকবে। মৃন্ময়ীর ইচ্ছা হয় বাবার মত এফিডেভিট করে নাম বদলে ফেলতে। "আজাহার" মৃন্ময়ীর বাবার ঘনিষ্ট বন্ধু। মৃন্ময়ীর বাবা যখনই কোন গাড্ডায় পরেন তখন আজাহার সাহের এসে তাকে সেই গাড্ডা থেকে উদ্ধার করেন। তাকে মৃন্ময়ী খুব পছন্দ করে। মৃন্ময়ী মনে করেন তার বাবা আজাহার চাচাকে ভয় পায়। আজাহার সাহেব বিভিন্ন দুই নম্বরি ব্যবসা করেন। একবার তিনি উমরা হজ্জ করে ফিরার সময় সবার জন্য উপহার আনেন। এবং মৃন্ময়ীর বাবার জন্য আনেন কাফনের কাপড়। এই উপহার অন্য কেউ দিলে ওর বাবা রাগারাগি করতেন কিন্তু আজাহার চাচা দেয়াতে তিনি কিছু বলতে পারেন নি। আজাহার চাচার একমাত্র ছেলে শুভ। ছোট বেলায় যখন তাকে বলা হতো কাকে বিয়ে করবে সে তখন মৃন্ময়ীর নামটাই বলতো। এখনও সে চায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে। মৃন্ময়ীর বাবা ছাত্র থাকাকালীন প্রথম বিয়ে করেছিলেন। সেই ঘরে একটি ছেলে হয়। তার নাম টগর। এরপর মৃন্ময়ীর বাবা বিদেশে চলে যান এবং সেখান থেকেই প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। তারপর দেশে ফিরে তিনি মৃন্ময়ীর মাকে বিয়ে করেন। মৃন্ময়ীর বয়স যখন ৫ বছর তখন থেকে টগর মৃন্ময়ীদদের সাথে থাকে। মৃন্ময়ীর চোখে টগর হচ্ছে ঢাকা শহরের সবথেকে সুন্দর তিনজন যুবকের মধ্যে একজন। টগরকে অনেক ভালবাসে মৃন্ময়ী। অবশ্য এমন ভাইকে সব বোনই ভালোবাসবে। একদিন গভীর রাতে সে টগরকে বলেছে, সজনে এনে দিতে। সে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই এনে দিয়েছে। টগরের কাছে কিছুদিন যাবত একটা ছেলে আসে। ওর নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারনা টুনু পুলিশের ভয়ে রাত কাটাতে আসে টগরের কাছে। টুনু মাঝরাতে লুকিয়ে টগরের ঘরে যায়। বাবার সন্দেহ যাচাই করতে আড়ালে দাঁড়িয়ে টগর এবং টুনুর কথা শোনে মৃন্ময়ী। টুনুর খুদা পায় কিন্তু টগর তাকে ভাত খাওয়াতে পারে না। কিন্তু মৃন্ময়ী টুনুকে মাঝরাতে তার প্রিয় পাটশাক এবং ভাত রান্না করে খওয়াায়। মৃন্ময়ীদের কলেজে নতুন একজন টিচার এসেছে যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা মনে করেন। একারনে উনার উপর রেগে আছে মৃন্ময়ী। অবশ্য রাগার আরেকটা গুরুতর কারন আছে। তিনি মৃন্ময়ীকে আলাদা করে তার সাথে দেখা করতে বলেন। কিছু সময় কথা বলার পরে কখনো চা অফার করেন আবার কখনো মটর বাইকে চরার কথা বলেন। তখন স্যার ওকে বলেন, মোটর সাইকেলের বেপারটায় তুমি হুট করে রাজি হয়েছো তাইনা? আসলে তুমি মোটর সাইকেলে চড়তে পছন্দ করোনা? তখন মৃন্ময়ী বলে হ্যা। তখন তিনি তার টেবিল থেকে একটা কাগজ তুলে মৃন্ময়ীকে দেন। সেটাতে লেখা ছিল, মৃন্ময়ী প্রথমে মোটর সাইকেলে চড়তে রাজি হবে এবং পরে চড়তে চাইবেনা। একারনেই মৃন্ময়ী উনার উপর রেগে আছে। শেষ পর্যন্ত মৃন্ময়ী কি তার রাগ ধরে রাখতে পারবেন??? নাকি এই স্যারের প্রেমে পড়ে যাবে? এমনও হতে পারে যে টগরের বন্ধু টুনুর প্রেমেও পড়তে পারে। নাকি আজাহার চাচার ছেলে শুভর প্রেমে পড়বে? মৃন্ময়ীর অবচেতন মন কাকে গ্রহন করবে????? নারীর মন আর আকাশের রং পাল্টাতে সময় লাগে না। মৃন্ময়ীর সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে???? জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন স্যারের মৃন্ময়ী উপন্যাসটি। পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- হুমায়ূন সৃষ্ট নারী চরিত্র কতটা আকর্ষণ করে তা মৃন্ময়ীকে দিয়ে বুঝতে পারছি। মৃন্ময়ী হুমায়ূন সৃষ্ট চরিত্র না হয়ে রিয়েল লািফের কোন চরিত্র হলে ভালো হতো। বইটিতে বর্ণনা করা আছে কিভাবে পাটশাক সংরক্ষন করতে হয়। পাটশাক আমার প্রিয় তাই ভেবে রেখেছি আমিও এই পন্থা অবলম্বন করবো। একমাত্র হুমায়ূন স্যারই পারেন পরিবারের প্রতিটা মানুষের চরিত্র নিখুত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে। সব মিলিয়ে অসাধারন একটি বই। এক বাসায় না শেষ করে উঠতেই পারলাম না। অনেক ভালো একটা বই। টগর এবং মৃন্ময়ী দুই ভাই-বোনের চরিত্র দুই ররকম। কিন্তু একে অপরকে অসম্ভব পরিমান ভালোবাসে। প্রথমে ভেবেছিলাম আজহার সাহেব মৃন্ময়ীর বাবাকে কাফনের কাপড় উপহার দিয়ে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে ধার্মিক হতে বলছেন। কিন্তু এখন অন্য কিছু ইঙ্গিত করছেন তিনি। এটা একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। তবে মৃন্ময়ীর মায়ের উপরে বিরক্ত হয়েছি। মহিলাকে হাবা-গোবার দেশে পাঠানো দরকার।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের নায়িকা মৃন্ময়ী। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। তার বাবার নাম মইনু মিয়া। আসলে মৃন্ময়ীর দাদা একসময় দর্জি ছিলেন। তাই ভেবেছিলেন তার ছেলেও হয়তো দর্জিই হবেন। তাই হয়তো ছেলের নাম মজনু মিয়া রেখেছিলেন। কিন্তু না মৃন্ময়ীর বাবার কর্মজীবনের শুরুই হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে। হ্যাঁ মইন খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। ও হ্যাঁ, মইনু মিয়া সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় নাম এফিডেভিট করে মইনু মিয়া থেকে মইন খান রেখেছেন। কিন্তু বাবা একসময় দর্জি ছিলেন সেই নাড়ীর টানেই হয়তো মইন খান অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় শুরু করেন। তার গার্মেন্টসের নাম 'মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস'। গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ীর নামে হওয়ায় মৃন্ময়ী সারাক্ষণ তার নামে ঘামের গন্ধ পায়। তাই সে ঠিক করেছে বাবার মতো এফিডেভিট করে সেও তার নাম বদলাবে। মৃন্ময়ীর একজন ভাই আছে। তার নাম টগর। সে কিন্তু মৃন্ময়ীর আপন ভাই না। মৃন্ময়ীর বাবা যুবক বয়সে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর পড়াশোনার কাজে বিদেশ চলে যান এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই পক্ষের ছেলে টগর। টগর খুব শান্ত-শিষ্ট একটি ছেলে। মৃন্ময়ীর যখন পাচঁ বছর বয়স তখন টগর এই বাড়িতে এসে উঠে। টগরকে মৃন্ময়ী খুব ভালবাসে। মৃন্ময়ীর বাবার একজন বন্ধু আছেন। আজহার সাহেব। মৃন্ময়ীর ধারণা আজহার সাহেবকে তার বাবা খুব ভয় পান। কিন্তু কেন তা মৃন্ময়ী জানে না। আজহার চাচাকে মৃন্ময়ী খুব পচ্ছন্দ করে। ব্যবসায়ের কাজে মৃন্ময়ীর বাবাকে আজহার সাহেবই বুদ্ধি-পরামর্শ দেন। আজহার চাচা একবার ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন। হজ্ব থেকে আসার পর মৃন্ময়ীকে আকিক পাথর আর মিষ্টি তেতু্ঁল দেন। আর মৃন্ময়ীর বাবাকে কাফনের কাপড় দেন। এই কাফনের কাপড় আজহার চাচা না হয়ে অন্য কেউ দিলে খবর ছিলো। কিন্তু আজহার চাচা বলেই মৃন্ময়ীর বাবা কিছু বলেন নি। এই থেকে মৃন্ময়ীর ধারণা আরো শক্তপোক্ত হলো, যে তার বাবা আজহার চাচাকে ভয় পায়। এদিকে আজহার চাচার এক ছেলে আছে শুভ। যে ছোটবেলাই থেকেই মৃন্ময়ীকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে রেখেছে। এদিকে মৃন্ময়ীদের ভার্সিটিতে এক নতুন স্যার এসেছেন। প্রথম দিন থেকেই মৃন্ময়ী তার উপর বিরক্ত। কারণ মৃন্ময়ীকে তার স্যার একটু বেশিই কেয়ার করছেন অন্যদের তুলনায়। ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর স্যারের রুমে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন, এমনকি স্যারের রুমে কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর স্যারের মোটরসাইকেলে চড়তে বলেন এবং তিনি মৃন্ময়ীকে বাসার সামনে নামিয়ে দিতে চান। আবার মৃন্ময়ীর ভাই টগরের কাছে কিছুদিন যাবৎ একটি ছেলে এসে থাকে। তার নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারণা, হয়তো টুনুকে পুলিশ খুজঁছে তাই টগরের কাছে আশ্রয় নিয়েছে টুনু। এই টুনুকেই একদিন রাতে ভাত খাইয়েছিল মৃন্ময়ী। একটা সময় টগরের কাছে টুনুর ঠিকানাও জানতে চায়। তবে কি মৃন্ময়ী টুনুর প্রেমে পড়ল? নাকি ভার্সিটির সেই স্যার যিনি মৃন্ময়ীকে বাসার সামনে নামিয়ে দিতে চাইতেন তার প্রেমে পড়ল? নাকি আজহার চাচার ছেলে শুভ যে ছোটবেলা থেকেই মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চাইতো? শেষ পর্যন্ত কি হয় তবে মৃন্ময়ীর?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ মৃন্ময়ী লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২ . মৃন্ময়ীর বাবা মইনু মিয়া, নিজের নাম হাস্যকর মনে হওয়ার কারণে মইনু মিয়া ইউনিভার্সিটিতে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে এফিডেভিট করে নাম বদলে নতুন নাম লিখান "মাইন খান" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন তিনি, তারপর, অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টসের কারখানা দেন, গার্মেন্টসের নাম #মৃন্ময়ী_এ্যপারেলস মৃন্ময়ী কেমন একটা আজব ধরণের মেয়ে। বইয়ে যার প্রতিটা কার্যকলাপই আমার বেশ আজব লাগে। জটিল ব্যাপার গুলা সহজ ভাবে নেয়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা থাকে এই মেয়েটার। মূলত মৃন্ময়ীই গল্পের প্রধান চরিত্র। মৃন্ময়ীকে কেন্দ্র করেই গল্প রহস্যময় দিকে এগুতে থাকে...... টুনু হচ্ছে মৃন্ময়ীর ভাই। সৎ ভাই। তবে এরা যে সৎ ভাইবোন তা তাদের ভালবাসার ধরণ আর কথাবার্তায় বুঝাই যায়না! টুনু ছেলেটা একটু অদ্ভুত ধরণের। বি.এ পড়ছে। ঘর থেকে খুব একটা বের হতে দেখা যায়না। খুব শান্ত ধরণের। অবশ্য টুনুর কাছে তার ভয়ংকর ধরণের বন্ধুর আনাগোনা থাকে। যে বন্ধু প্রফেশনাল কিলার। টুনুর মত শান্ত ছেলের সাথে এই রকম ভয়ংকর ছেলের যোগসূত্র কেমন করে? টুনুর মধ্যে কি কোন ব্যাপার থাকে? যে ছেলেটা সারাদিন ঘরে দরজা লাগিয়ে বসে থেকেও ঘরের এমনকি বাইরের প্রতিটি খবর জানে??? মৃন্ময়ীর বাবার বন্ধু আজহার উদ্দিন। বেশ বোকা ধরণের মানুষ ইনি। যেমন- বন্ধুর জন্য উপহার সরুপ তিনি নিয়ে আসেন মক্কা শরীফ থেকে কাফনের কাপড়! এমনকি এক সময় বোকা ধরণের এই মানুষটি আজিমপুর কবরস্থানে কবরের জায়গা কেনার জন্য দারুণ ভাবে ঝেঁকে ধরেন মৃন্ময়ীর বাবাকে! এইসব ব্যাপার কি শুধুই সারল্য? মৃন্ময়ীর বাবার মত বুদ্ধিমান লোক কেন আজহার উদ্দিনের মত বোকা মানুষের কথা মেনে চলেন বা তাকে চলতে হয়?? অবশ্য এই বোকা মানুষটি বেশ ভালবাসেন, স্নেহ করেন মৃন্ময়ীকে। যেন একটু মাত্রাধিক ভালবাসাই... কেন? রহস্য কী? কাহিনীর এক পর্যায়ে আসেন মৃন্ময়ীর ইউনিভার্সিটির টিচার #কাওসার। বেশ মুক্তমনা একজন মানুষ। মৃন্ময়ীকে প্রথম দেখাতেই যে তার ভাল লেগে যায় এই কথাটা প্রথম দিনই জানাতে তার তেমন বাঁধেনা! কিছুটা বিরক্তি কাজ করলেও ধীরে ধীরে অন্যরকম এক অনুভূতি জন্মে এই টিচারের জন্য মৃন্ময়ীর! মৃন্ময়ী চাইলে এই টিচারকেই বিয়ে করতে পারে বলে জানিয়ে দেয় টুনু তার আদরের বোন মৃন্ময়ীকে.... বিয়ে!! এই বিয়ে নিয়েই ধীরে ধীরে কাহিনী নেয় এক রহস্যময় মোড়! হঠাৎ করেই এক রাতে মৃন্ময়ীদের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ! কেন?? কোন কারণে? হঠাৎ করেই জানতে পারে মৃন্ময়ী তার ছোটবেলাকার এক অদ্ভুত কথা!..... গল্পে একটা খুনও হয়ে যায়... কে হয় খুন? কেইবা করে খুন?..... কেন হঠাৎ করে মৃন্ময়ী এতটা বিমর্ষ হয়ে পড়ে..... যখন আকাশ জোড়া মেঘমালা!... বৃষ্টি নামার অপেক্ষায় মৃন্ময়ী....... . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে পছন্দের লেখক। উনার বইয়ের মত আগ্রহ আর ভালবাসা নিয়ে আমি অন্য কারো বই হাতে নেইনা। #মৃন্ময়ী গল্পটা পড়ার সময় আমি মোটামুটি রিডার্স-ব্লকে ছিলাম, আশ্চর্যের বিষয়, আমার পছন্দের লেখকের এই বইটা আমি আমি মোটামুটি অনাগ্রহের সাথে পড়তে শুরু করি....এবং রিডার্স-ব্লকের মতো জঘন্য অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি :) বইয়ের মাঝখানটায় এসেই আবার পুরো উদ্দামতা চলে আসে বই পড়ার! খুবই জজমজমাট এই বইয়ের শেষটা! মৃন্ময়ীর ভাই "টুনু" চরিত্রটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে! প্রতিটি চরিত্রই ভাল লেগেছে আমার। কার কেমন লেগেছে জানিনা, আমার কাছে #মৃন্ময়ী বইটা এক কথায় চমৎকার!....... :) পড়ে নিতে পারেন, যাদের পড়া বাকি.... হ্যাপি রিডিং.... :)
Was this review helpful to you?
or
মৃন্ময়ীর বাবার নাম মইনু মিয়া।উনার বাবা দরজি ছিলেন তাই তিনি তার মতো করেই ছেলে নাম রেখেছেন।কিন্তু মইনু মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদারররথবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে জীবন শুরু করেন।আজাহার নামে উনার এক বন্ধু আছেন।ব্যবসার বিভিন্ন কাজে তিনি তার সহায়তা নিয়ে থাকেন।একবার তিনি উমরা হজ্জ থেকে আসার সময় মৃন্ময়ীর জন্য মিস্টি তেতুল ও আকিক পাথরের তসবিহ নিয়ে আসেন আর তার বাবার জন্য নিয়ে আসেন কাফনের কাপড়।এই উপহার অন্য কেউ দিলে রাগ করতেন কিন্তু আজাহার দেওয়ায় করেন নি।আজাহার সাহেবের এক লাজুক ছেলে আছে নাম শুভ।যে ছোটবেলায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো।মৃন্ময়ীর এক সৎ ভাইও আছে,নাম টগর।যাকে সে খুবই ভালোবাসে।টগরের কাছে কিছুদিন ধরে তার একবন্ধু আসে।পুলিশের ভয়ে,আশ্রয় নিতে।অন্যদিকে মৃন্ময়ীর কলেজে একজন নতুন টিচার এসেছে।যে কিনা ক্লাস শেষ হবার পর তার সাথে আলাদাভাবে দেখা করতে বলে।তাকে তার বাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে চড়তেও বলে।পরিশেষে কি হয়?তার বাবা,আজহার চাচা কিংবা শুভর?টগর আর তার বন্ধুর সাথেই বা কি ঘটে?আর মৃন্ময়ীরই বা কি হয়?রহস্যময় এই চরিত্রগুলোর সাথে পরিচিত হতে চাইলে পড়তে হবে অসাধারণ এই বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।প্রতিটি চরিত্র সম্পর্কে একদম ক্লিয়ারলি ধারণা পাওয়া যায়।যদিও রহস্যগুলো খোলাসা করেন নি।কিছু কিছু জিনিস পাঠকের নিজেরই বুঝতে হবে।
Was this review helpful to you?
or
মৃন্ময়ীর বাবার আসল নাম মইনু মিয়া। তার বাবা ছিলেন দর্জি, তাই ছেলেও দর্জি হবে ভেবে এই নাম রেখেছেন। কিন্তু মইনু মিয়া বাপ দাদার পেশায় না গিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়েই অবশ্য তিনি এফিডেভিট করে নিজের নাম বদলে রেখেছেন মাইন খান।বাপ দাদার রক্ত শরিরে আছে বলে দর্জি বেপারটা রক্তে মিশে আছে। তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে এখন গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস। এই বেপারটা মৃন্ময়ীর ভাল্লাগেনা। বিদেশি লোকজন কলারে মৃন্ময়ী লেখা শার্ট পরবে।মানুষের ঘাড়ের ঘামের সাথে বসবাস। ওর মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে বাবার মত এফিডেভিট করে নাম বদলে ফেলবে। মৃন্ময়ীর বাবার এক বন্ধু আছেন আজাহার নামে। উনাকে মৃন্ময়ী খুব পছন্দ করে।ওর কেন জানি মনে হয় ওর বাবা আজাহার চাচাকে ভয় পান। ব্যবসার বিভিন্ন কাজে যদিও আজাহার চাচার সাহায্য ওর বাবা নিয়ে থাকেন। আজাহার সাহেব বিভিন্ন দুই নম্বরি ব্যবসা করেন। একবার তিনি উমরা হজ্জ করে আসার সময় মৃন্ময়ীর জন্য মিষ্টি তেতুল ও আকিক পাথরের তসবিহ নিয়ে আসেন। আর ওর বাবার জন্য আনেন অদ্ভুত এক উপহার। কাফনের কাপর। এই উপহার অন্য কেউ দিলে ওর বাবা রাগারাগি করার কথা কিন্তু আজাহার চাচা দেয়াতে তিনি কিছু বলতে পারেননি।আজাহার চাচার এক লাজুক ছেলে আছে, শুভ। যে ছোটবেলায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চেয়েছে। মৃন্ময়ীর এক ভাই আছে।যদিও সে মৃন্ময়ীর আপন ভাই না। মৃন্ময়ীর বাবা যুবক বয়সে বিয়ে করেছিলেন, সেখানে এই ছেলে হয়। এরপর তিনি বিদেশে চলে যান এবং সেখান থেকেই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।তারপর তিনি মৃন্ময়ীর মাকে বিয়ে করেন। মৃন্ময়ীর যখন ৫ বছর বয়স তখন টগর ওদের বাড়িতে থাকতে আসে টগর। মৃন্ময়ীর চোখে টগর হচ্ছে ঢাকা শহরের সবথেকে সুন্দর তিনজন যুবকের মধ্যে একজন। টগরকে অনেক ভালবাসে মৃন্ময়ী। অবশ্য এমন ভাইকে সব বোনই ভালোবাসবে। রাত দুটার সময়ও মৃন্ময়ী যদি ওর ভাইকে বলে দুটা দেশি মুরগির ডিম এনে দাও। সে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই এনে দিবে।টগরের কাছে কিছুদিন যাবত একটা ছেলে আসে।ওর নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারনা সে পুলিশের ভয়ে এবাড়িতে রাত কাটাতে আসে। মৃন্ময়ীদের কলেজে নতুন একজন টিচার এসেছে যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা প্রমান করতে চায়। একারনে উনার উপর রেগে আছে মৃন্ময়ী। অবশ্য রাগার আরেকটা গুরুতর কারন আছে। তিনি মৃন্ময়ীকে আলাদা করে তার সাথে দেখা করতে বলেন। নানা কথার পর বলেন চলো তোমাকে তোমার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি।তিনি জিজ্ঞেস করেন মটর সাইকেলে চড়তে তোমার সমস্যা নেই তো? তখন ও ঝোকের মাথায় বলে ফেলে সমস্যা নেই। তারপর চিন্তা করতে থাকে এটা বলা ঠিক হয়নাই। তখন স্যার ওকে বলেন, মোটর সাইকেলের বেপারটায় তুমি হুট করে রাজি হয়েছো তাইনা? আসলে তুমি মোটর সাইকেলে চড়তে পছন্দ করোনা? তখন মৃন্ময়ী বলে হ্যা। তখন তিনি তার টেবিল থেকে একটা কাগজ তুলে মৃন্ময়ীকে দেন। সেটাতে লেখা ছিল, মৃন্ময়ী প্রথমে মোটর সাইকেলে চড়তে রাজি হবে এবং পরে চড়তে চাইবেনা। একারনেই মৃন্ময়ী উনার উপর রেগে আছে। আচ্ছা মৃন্ময়ী কি এই স্যারের প্রেমে পড়ে যাবে? নাকি আজাহার চাচার ছেলে শুভর প্রেমে পড়বে? কিজানি। এমনও হতে পারে যে ওর ভাই টগরের কাছে টুনু নামে যে ছেলেটা আসে, যে কিনা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় তার প্রেমেও পড়তে পারে। জগৎ বড়ই রহস্যময়।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর -আচ্ছা, কল্পনা কি? -জানিনা -স্বপ্ন? -তাও জানিনা। -আচ্ছা, স্বপ্ন আর কল্পনা কি একই জিনিস? -তাও জানিনা। -তাহলে আপনি জানেন টা কি? -কিছুই না। -আচ্ছা বাদ দেন। একটু আগে একটা বই পড়ছিলাম জানেন? -কি বই? -মৃন্ময়ী। হুমায়ুন আহমেদের! -ও আচ্ছা! -খুব ভালো লাগলো। -ও আচ্ছা! -কাহিনী শুনবেন বইয়ের? -বলুন। -বইয়ের কাহিনী খুব আহামরি না। একটা মেয়ের গল্প। লেখাও হয়েছে একটা মেয়ের পারসপেক্টিভে। -মেয়ের নাম কি মৃন্ময়ী? -জী। মেয়েটা দেখতে কেমন তা লেখা নেই। তবে আমার ধারণা রূপবতী। গল্পটা মেয়েটাকে ঘিরেই। বড়লোকের মেয়ে। বাবা আগে শিক্ষক ছিলেন, পরে ব্যবসায়ী হয়েছেন। বেশ বুদ্ধিমান লোক। তাঁর একটা বন্ধু আছে আজহার সাহেব। বোকা লোক। উনি মেয়েটির বাবার সাথে খুব ঘনিষ্ট হবার চেষ্টা করেন, কিন্তু মেয়েটির বাবা তাকে পছন্দ করেন না। -কেন? -কারণ আছে। বই পড়লে বুঝবেন। এখন স্পয়লার দিতে চাই না। -ও আচ্ছা। -মেয়েটির মা টা খুব ইন্টারেস্টিং! উনি অনেক বোকা। চুপচাপ। ঘরোয়া মহিলা। তবে উনি কিছু বুদ্ধি রাখেন। আর কিছুটা 'নিয়তিবাদী' মানুষ। -নিয়তিবাদী কি? -নিয়তিবাদী হলো যিনি সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবে নেন। কোন কিছুতেই কিছু হয়না তাঁর। যা হচ্ছে, যা হবে সবকিছুই তিনি নিয়তি হিসেবে মেনে নেন। -ও আচ্ছা। -মেয়েটির একটা ভাই ও আছে। -বারবার মেয়েটি মেয়েটি করছেন কেন? ক্যারেক্টারের নাম নেই? -সরি। মৃন্ময়ীর একটা ভাইও আছে। -বড় ভাই? -জী। ভাইটা সৎ। মানে মৃন্ময়ীর বাবার ১ম ঘরের ছেলে। ছেলেটা ভালো। চুপচাপ। তবে রহস্যময়। এবং বেশ ইন্টারেস্টিং ও। -বইটা কি ফ্যামিলি ড্রামায় ভরা? -না না... ফ্যামিলি ড্রামা না। সিম্পল উপন্যাস বলা যায়। হাল্কা প্রেমের এঙ্গেলও আছে। -যেমন? -উপন্যাসে মৃন্ময়ীকে ৩ টা ছেলে পছন্দ করে। -বাহ! তাই নাকি? -হু। কিন্তু শেষে কার সাথে মিল হয় সেটা বলবো না। স্পয়লার হয়ে যাবে। -বইটার বিশেষত্ব কি? -বইটার বিশেষত্ব হলো গল্প বলার ধরণ। মানে আমার কাছে অন্তত যেটা মনে হলো। মৃন্ময়ী ক্যারেক্টারটাও খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজের মেয়েরা অনেক কিছুই বলতে পারে না। আসলে আমরা কেউই পারি না আমাদের মনের কথা বুঝতে। সরি বলতে। মানুষ প্রজাতিটাই ভিন্ন। সে ভেতরে এক রকম। বাইরে আরেক রকম। তাদের বোঝা অনেক কঠিন। যার মনে যত কথা, তাঁর মন বোঝা তত কঠিন। এই গল্পে মৃন্ময়ীও একই রকম। আমি গল্পের সব চরিত্রকে বুঝবার চেষ্টা করেছি। হাল্কা পেরেছিও। শুধু এই প্রধান চরিত্রটিকেই বুঝতে পারলাম না। আরেকটা মজার জিনিস কি জানেন? এই বুঝতে না পারাটাই হুমায়ুনীয় স্টাইল। উনি পাঠককে গল্প শোনান। গল্প বোঝান না। বুঝবার বা ভাববার জায়গাটা পাঠকদের উপরই ছেড়ে দেন। -হু। ভালো। কয় পৃষ্ঠার বই? -১১১ -দাম? -গায়ের দাম ২৫০/-। কমিশন এর পর আরেকটু কম আসবে। -কোথা থেকে কিনব? - রকমারি ডট কম থেকে নিতে পারেন। দাম কম পড়বে। সার্ভিস ও অসাধারণ। একেবারে বাসায় এসে বই দিয়ে যাবে। - রকমারি থেকে নিলে দাম কত পড়বে? - ২১৩ টাকা মাত্র। - কমই তো! - হু -কবেকার বই? -২০০১ সালের বইমেলায় বেরিয়েছিল, অন্যপ্রকাশ থেকে! -ও আচ্ছা। বইটা ভালো তো? -হ্যাঁ। আমি ৫ এর ভেতর ৪ দেবো। আপনি চাইলে পড়ে দেখতে পারেন! -হু। বইয়ের চেহারা ভালো? -হ্যাঁ। ছাপা, কাগজের মান বেশ ভালই। প্রচ্ছদটাও সুন্দর। ধ্রু এষ এর করা। -ও আচ্ছা। ধন্যবাদ। পড়ে দেখবো। - আপনাকে রকমারি লিংক পাঠিয়ে দিচ্ছি। - আচ্ছা, দিন! - https://www.rokomari.com/book/916/mrinmoye?ref=null - ধন্যবাদ!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের অন্য বই এর তুলনায় ‘মৃন্ময়ী' বইটা কিছুটা ব্যতিক্রম বই!! কারণ বইয়ের সবটাই রহস্যজনক-ধোঁয়াধোঁয়া! ‘মৃন্ময়ী' বইটা পড়ে খুব ভালো লাগবে সবধরনের পাঠকের.... চমৎকার এই বইটি আপনার পড়া উচিত! উপন্যাসের নায়িকা মৃন্ময়ী, বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে! তার বাবার নাম মইনু মিয়া! মৃন্ময়ীর দাদা একসময় দর্জি ছিলেন! তাই ভেবেছিলেন তার ছেলেও দর্জিই হবেন! তাই ছেলের নাম নিজের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলেন! কিন্তু মৃন্ময়ীর বাবা সবাইকে চমকে দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে! পড়াশুনা চলাকালী সময় নাম এফিডেভিট করে মইনু মিয়া থেকে মইন খান হয়ে যান! কিন্তু বাবা একসময় দর্জি ছিলেন সেই নাড়ীর টানেই মইন খান অধ্যাপনা ছেড়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় শুরু করেন এবং গার্মেন্টসের নাম 'মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস’ গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ীর নামে হওয়ায় মৃন্ময়ী সারাক্ষণ তার নামে ঘামের গন্ধ পায়! তাই সে ঠিক করে তার নাম ও সে বদলিয়ে ফেলবে! গল্পে দেখা যায় যে মইন খানের আজহার নামের একজন বন্ধু আছে যাকে তিনি ভয় পান! মাঝে মাঝে অতি চালাক মানুষ অতি বোকা লোকের হাতের মুঠোয়য় চলে আসে মইন খানকেও এইরকম একটা সিচ্যুয়েশনে দেখানো হয়েছে! মৃন্ময়ী ছাড়াও মইন খানের আরেকটা পুত্রসন্তান আছে যার নাম টগর সে মৃন্ময়ীর সৎ ভাই, তবে মৃন্ময়ীকে অনেক ভালোবাসে! টগরকে ঘিরে এই উপন্যাসে কিছু রহস্য আছে....টগরের এক বন্ধু টুনু সে একজন ভয়ংঙ্কর খুনী সে মৃন্ময়ীদের বাসায় লুকিয়ে থাকতে আসে সেসময় মৃন্ময়ী তাকে যত্ন করে খেতে দেয় এই দেখে টুনুর মৃন্ময়ীর প্রতি ভালোলাগা জাগে! অপরদিকে মৃন্ময়ীর একজন স্যার ও মৃন্ময়ীকে ভালবাসে আবার অন্যদিকে আজহার সাহেবের ছেলের সাথে মৃন্ময়ীর বিয়ে ঠিক হয়ে থাকে!! রহস্যের পরিসমাপ্তি ঘটে বইয়ের শেষের দিকে ! শুরুর দিকে মৃন্ময়ীর বাবাকে একজন বোকাসোকা লোক মনে হলেও বইয়ের শেষে তিনিই হয়ে উঠেন গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র ঠিক কী হয়েছিল উপন্যাসের শেষে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে!! আমি বলে দিলে বই পড়ার আরামটা আর পাবেন না!!♥️
Was this review helpful to you?
or
মৃন্ময়ীর বাবার আসল নাম মইনু মিয়া। তার বাবা ছিলেন দর্জি, তাই ছেলেও দর্জি হবে ভেবে এই নাম রেখেছেন। কিন্তু মইনু মিয়া বাপ দাদার পেশায় না গিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়েই অবশ্য তিনি এফিডেভিট করে নিজের নাম বদলে রেখেছেন মাইন খান।বাপ দাদার রক্ত শরিরে আছে বলে দর্জি বেপারটা রক্তে মিশে আছে। তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে এখন গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস। এই বেপারটা মৃন্ময়ীর ভাল্লাগেনা। বিদেশি লোকজন কলারে মৃন্ময়ী লেখা শার্ট পরবে।মানুষের ঘাড়ের ঘামের সাথে বসবাস। ওর মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে বাবার মত এফিডেভিট করে নাম বদলে ফেলবে। মৃন্ময়ীর বাবার এক বন্ধু আছেন আজাহার নামে। উনাকে মৃন্ময়ী খুব পছন্দ করে।ওর কেন জানি মনে হয় ওর বাবা আজাহার চাচাকে ভয় পান। ব্যবসার বিভিন্ন কাজে যদিও আজাহার চাচার সাহায্য ওর বাবা নিয়ে থাকেন। আজাহার সাহেব বিভিন্ন দুই নম্বরি ব্যবসা করেন। একবার তিনি উমরা হজ্জ করে আসার সময় মৃন্ময়ীর জন্য মিষ্টি তেতুল ও আকিক পাথরের তসবিহ নিয়ে আসেন। আর ওর বাবার জন্য আনেন অদ্ভুত এক উপহার। কাফনের কাপর। এই উপহার অন্য কেউ দিলে ওর বাবা রাগারাগি করার কথা কিন্তু আজাহার চাচা দেয়াতে তিনি কিছু বলতে পারেননি।আজাহার চাচার এক লাজুক ছেলে আছে, শুভ। যে ছোটবেলায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চেয়েছে। মৃন্ময়ীর এক ভাই আছে।যদিও সে মৃন্ময়ীর আপন ভাই না। মৃন্ময়ীর বাবা যুবক বয়সে বিয়ে করেছিলেন, সেখানে এই ছেলে হয়। এরপর তিনি বিদেশে চলে যান এবং সেখান থেকেই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।তারপর তিনি মৃন্ময়ীর মাকে বিয়ে করেন। মৃন্ময়ীর যখন ৫ বছর বয়স তখন টগর ওদের বাড়িতে থাকতে আসে টগর। মৃন্ময়ীর চোখে টগর হচ্ছে ঢাকা শহরের সবথেকে সুন্দর তিনজন যুবকের মধ্যে একজন। টগরকে অনেক ভালবাসে মৃন্ময়ী। অবশ্য এমন ভাইকে সব বোনই ভালোবাসবে। রাত দুটার সময়ও মৃন্ময়ী যদি ওর ভাইকে বলে দুটা দেশি মুরগির ডিম এনে দাও। সে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই এনে দিবে।টগরের কাছে কিছুদিন যাবত একটা ছেলে আসে।ওর নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারনা সে পুলিশের ভয়ে এবাড়িতে রাত কাটাতে আসে। মৃন্ময়ীদের কলেজে নতুন একজন টিচার এসেছে যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা প্রমান করতে চায়। একারনে উনার উপর রেগে আছে মৃন্ময়ী। অবশ্য রাগার আরেকটা গুরুতর কারন আছে। তিনি মৃন্ময়ীকে আলাদা করে তার সাথে দেখা করতে বলেন। নানা কথার পর বলেন চলো তোমাকে তোমার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি।তিনি জিজ্ঞেস করেন মটর সাইকেলে চড়তে তোমার সমস্যা নেই তো? তখন ও ঝোকের মাথায় বলে ফেলে সমস্যা নেই। তারপর চিন্তা করতে থাকে এটা বলা ঠিক হয়নাই। তখন স্যার ওকে বলেন, মোটর সাইকেলের বেপারটায় তুমি হুট করে রাজি হয়েছো তাইনা? আসলে তুমি মোটর সাইকেলে চড়তে পছন্দ করোনা? তখন মৃন্ময়ী বলে হ্যা। তখন তিনি তার টেবিল থেকে একটা কাগজ তুলে মৃন্ময়ীকে দেন। সেটাতে লেখা ছিল, মৃন্ময়ী প্রথমে মোটর সাইকেলে চড়তে রাজি হবে এবং পরে চড়তে চাইবেনা। একারনেই মৃন্ময়ী উনার উপর রেগে আছে। আচ্ছা মৃন্ময়ী কি এই স্যারের প্রেমে পড়ে যাবে? নাকি আজাহার চাচার ছেলে শুভর প্রেমে পড়বে? কিজানি। এমনও হতে পারে যে ওর ভাই টগরের কাছে টুনু নামে যে ছেলেটা আসে, যে কিনা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় তার প্রেমেও পড়তে পারে। জগৎ বড়ই রহস্যময় :p ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটি এক নিশ্বাসে শেষ করেছি। অনেক মজার একটা বই। আপনারাও এক নিশ্বাসে পড়তে পারবেন। ধ্রুব এষ এর করা সব প্রচ্ছদই আমার ভালো লাগে। এইটা একটু বেশি ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
একজন লেখকের সবচেয়ে বড় সার্থকতা, যেকোন উপন্যাসের একদম শুরু থেকেই সেই লেখার পাঠককে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা। এই কাজটি সবাই পারেন না। বাংলা সাহিত্যে এই বিশেষ গুণসম্পন্ন লেখক নেই বললেই চলে। আমার চেনা একজনই আছেন। তিনি হুমায়ুন আহমেদ। তবে সব উপন্যাসে যে তার এই বিশেষ দিকটি ফুটে ওঠে, তা কিন্তু না। অনেক উপন্যাসেই তিনি এই কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু 'মৃন্ময়ী' হল সেই উপন্যাস যার একদম প্রথম লাইন থেকেই পাঠকের আবেগ, চাওয়া পাওয়া সবকিছুকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে যেতে পারেছেন। সেটা কেমন সেই ব্যাখ্যাটা একটু করি। এই উপন্যাসের প্রথমেই চরিত্রের ভিত গঠনের জন্য লেখক কিছু ফ্ল্যাশব্যাক ব্যাবহার করেছেন। এরপর যখন কাহিনী বাস্তবে নেমে এল, তখন থেকেই লেখকের খেলাটা শুরু হল। পূর্বোক্ত ফ্ল্যাশব্যাকের কারণে পাঠক আগে থেকেই প্রথম দৃশ্যে উপস্থিত তিন সদস্যের দুইজনকে চিনছে। সেই দুইজন হল মৃন্ময়ী আর তার বাবা। মাইন খান। অন্যজন মাইন খানের বন্ধু আজহার সাহেব। যাইহোক, প্রথম দৃশ্যেই দেখা যাবে মাইন খানের সাথে আজহার সাহেবের একটা মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে। মৃন্ময়ীকে দেখা যাবে সে তার বাবার পক্ষ না নিয়ে আজহার সাহেবের পক্ষ নিচ্ছে। তখন পাঠকও কেন যেন কাজটা ভুল হচ্ছে জেনেও চাইতে থাকবে যাতে মাইন খান জব্দ হয়! এই তো গেল একটা উদাহরণ। আবার মৃন্ময়ীয়ের সাথে তার ভাইয়ের কথোপকথনের দৃশ্য আছে পরের দৃশ্যেই। সেই আলাপচারিতার আগেও ভাই সম্পর্কে কিছু কথা বলবে মৃন্ময়ী এবং পরে ভাইয়ের সাথে তার কিছু কথাও হবে। প্রথম দেখায় সেগুলো নিতান্তই সাধারণ ও বিশেষত্বহীন মনে হবে। কিন্তু এর ঠিক পরেই যখন জানানো হবে যে এই ভাই মৃন্ময়ীয়ের আপন ভাই না, সৎ ভাই - তখনই কিন্তু পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যাবে। আগের প্রতিটি কথা ও বর্ণনাই তখন তাদের কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হবে! আর তৃতীয় যেই উদাহরণটা দেব সেটা মোটামুটি হুমায়ুন আহমেদের সব উপন্যাসেই দেখা যায়। একটা চরিত্র যখন বিপরীত লিঙ্গের আরেকটি চরিত্রের সাথে মজার কোন কনভার্সেশনে যোগ দেয় তখনই পাঠকের মনে হতে থাকে, এই দুইটি চরিত্রের মধ্যে যেন প্রেম হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেখক পাঠককে হতাশ করেন। যেমন এই উপন্যাসেও মৃন্ময়ী যতবার তার ভাইয়ের বন্ধু টুনু, তার প্রফেসর কাওসার সাহেব বা আজহার সাহেবের ছেলে শুভর সাথে কথা বলেছে, তখনই সেটাকে আমার মৃন্ময়ীর সাথে তাদের প্রাথমিক প্রেমালাপ বলে মনে হয়েছে। লেখক মৃন্ময়ীয়ের সাথে অন্য যুবক চরিত্রদের সাথে সাক্ষাতের সময়ই এমন একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছেন যে কারণে এমনটা হয়েছে। নতুবা একই চরিত্র তিনটি আলাদা আলাদা চরিত্রের সাথে প্রেম করতে থাকুক, এমনটা তো হার্ডকোর প্রেমের উপন্যাসপ্রেমীদেরও চাওয়ার কথা না। এবার অন্য একটা বিষয়ে কথা বলি। সেটা মোটামুটি ভয়ংকর। একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, এক লেখকের লেখায় এলএসডি'র বর্ণনা পড়ে একটা ছেলে এলএসডি'তে আসক্ত হয়েছে। তখন সেই ব্যাপারটাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কিন্তু এই বই পড়ার পর হয়েছে। কারণ এই উপন্যাসের এক জায়গায় বিস্তারিতভাবে এলএসডি ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়া আছে। আর সেটা এতই বাস্তবসম্মতভাবে করা হয়েছে যা পড়ার পর যেকোন পাঠকেরই কয়েক মুহুর্তের জন্য মনে হবে, আমিও একবার এলএসডি নিয়ে দেখি না! নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রন আছে এমন পাঠকরা কিছুক্ষণ পরেই এমন পাগলামি চিন্তা থেকে সরে আসতে পারবে। কিন্তু অতিরিক্ত উৎসাহী বা আবেগপ্রবণ পাঠকের পক্ষে তা অসম্ভবও হতে পারে! এবার বলা যাক এই উপন্যাসের কাহিনী সম্পর্কে। এটাকে কিন্তু সাধারণ কোন প্রেম বা মানবিক সম্পর্কভিত্তিক উপন্যাস বলা যাবে না। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন এই উপন্যাসের জনরা কি, তাহলে আমার উত্তর হবে - সাইকোলজিকাল ড্রামা। অনেক ভেবেচিন্তেই ব্যক্তিগতভাবে আমি এই উপন্যাসটিকে সাইকোলজিকাল জনরার আওতাভুক্ত করলাম। কারণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই উপন্যাসে একটা পর একটা নাটকীয়তা রয়েছে। এবং সেই নাটকীয়তাকে জমিয়ে তুলতে চরিত্রদের বিচিত্র রকমের সাইকোলজি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রতিটা দৃশ্যেই মনে হচ্ছে, একটা চরিত্র হয়ত অন্য চরিত্রের সাথে সাইকোলজিকাল গেম খেলতে চাচ্ছে। কিন্তু কে যে কাকে খেলাচ্ছে তা বোঝার উপায় নেই। একেকবার একেক জনের হাতে ঘুড়ির লাটাই চলে এসেছে। আসল খেলোয়াড়টার হদিস একবারও পাইনি আমি। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, লেখক শুধু উপন্যাসের চরিত্রদের মধ্যেই খেলাটাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান নাই, নিজেও তাঁর পাঠকদের সাথে এই খেলাটা খেলতে চেয়েছেন। যাইহোক, এই উপন্যাসে শেষ পর্যন্ত মনস্তাত্বিক খেলায় কে জিতল, সেটা পাঠককে বইটি পড়েই জানতে হবে। আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি, শুরুতে যে চরিত্রটিকে লেখক সবচেয়ে হেলাফেলা করে গড়ে তুলেছেন, উপন্যাসের শেষ দিকে এসে সেই চরিত্রটাকেই আমার মনস্তাত্বিক খেলার সবচেয়ে পাকা খেলোয়াড় এবং উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র বলে মনে হয়েছে। পরিশেষে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, আমি ব্যক্তিগতভাবে 'মৃন্ময়ী' উপন্যাসটি পড়ে দারুণ অভিভূত হয়েছি। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, অধিকাংশ পাঠকের কাছেই উপন্যাসটি ভাল লাগবে না বা মোটামুটি লাগবে। কারণ এই উপন্যাসের প্রতিটি রহস্য ও তাঁর পেছনের লজিককে লেখক মিসির আলীর ভাষায় বুঝিয়ে দেন নাই। পাঠকের নিজেরও অনেক কিছু অনুধাবনের ব্যাপার আছে। তারা যদি ঠিকভাবে গোটা ব্যাপারটা অনুধাবন করতে না পারে তাহলে এই উপন্যাসের মূল রস খুঁজে পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই তাদের নেই।