User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Farhana Ferdous

      06 Dec 2021 10:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book

      By Hridita Tabassum

      17 Jan 2020 02:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Suvro pore ami onek beshi obak hoi, karon kahini guloi onek obak kora, tar ma Jhanara Begum suvro ke onek beshi valonashe, shob somoe voye thaken oke niye, ei bujhi se jene gelo shob, ei bujhi suvro chole jabe. Kintu kiser eto vou, ki jene jabe? Jante hole porte hobe

      By Marjiya

      05 Nov 2019 04:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ: "শুভ্র" বইটির কিছু সুন্দর লাইন। "একজন মানুষকে এই পৃথিবীতে নানান ভূমিকায় অভিনয় করতে হয়, পিতার ভূমিকায়, স্বামীর ভূমিকায়, বন্ধুর ভূমিকায়.....। সবাই সব অভিনয় পারেনা। যে পিতার ভূমিকায় চমৎকার অভিনয় করে দেখা যায় স্বামীর ভূমিকায় তার অভিনয় খুব খারাপ হচ্ছে। অভিনয় এতই খারাপ যে তাকে অভিনয় করতে দেয়া হয় না। স্টেজ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়" আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।

      By Khaled Ahmed Tamim

      27 Oct 2019 10:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পৃথিবীর শুদ্ধ তম মানুষ বলতে কেমন? যারা নিজে নিজে শুদ্ধ হয়। যারা নিজেকে শুদ্ধ মানুষ করার সাথেসাথে সমাজের সবাইকেও শুদ্ধ বানানোর জন্য জীবন বাজী রেখো কাজ করে আসলে তারাই পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। যাদের সর্ব বিষয়ে কৌতুহল বেশি, যারা পৃথিবীর যত জটিল সমস্যা হোক তারা তা দেখতে চায়। এবং তার সমাধান করতে চায়, পরিবর্তন করতে চায়। তারাই পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ। শুভ্র এরকমই একজন মানুষ। যার বাবা একটি পতিতালয়ের মালিক ছিলেন। এবং তার মা-ও একসময় এই পতিতালয়ের কর্মী ছিলেন। অথচ শুভ্র ছিল ক্যাম্পাসের প্রখর মেধাবী ছাত্র

      By Tasnim Ara Mim

      19 Nov 2018 01:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ বইঃশুভ্র লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনঃঅন্যপ্রকাশ ধরনঃসমকালীন মুল্যঃ ৪০০ টাকা হুমায়ুন আহমেদ যে বইগুলো লিখেছেন তার মধ্যে হিমু,মিসির আলী সিরিজের মতো শুভ্র সিরিজ ও অনেক জনপ্রিয় একটি চরিত্র, আমি যতবারই এই সিরিজের বইগুলো পড়ি আমার মুগ্ধতা ততই বাড়তে থাকে শুভ্রের প্রতি। :) :) :) শুভ্র তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার বাবা মোতাহার হোসেন সমাজের একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি। কি নেই তার??? ক্ষমতা, সম্পত্তি, প্রাচুর্য,সম্মান সবকিছু দিয়ে পরিপূর্ণ।।। আর শুভ্রর মা তিনি সাধারন মহিলা হলেও, শুভ্রের ব্যাপারে একজন মা হিসেবে যতোটুকু সতর্ক হওয়া যায় তার সবটুকুই তার মধ্যে বিদ্যমান। এবার আসি শুভ্রকে বর্না করতে।। আমরা যারা হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো পড়ি তারা সবাই জানি ওনার সব চরিত্রের মাঝে শুভ্র হলো পবিত্রতার প্রতীক। এতো ধনী ব্যাক্তির সন্তান হয়েও তার মধ্যে কোন অহংকার বোধ নেই, একদমই ছিমছাম সাধারন একটা ছেলে যে শুধু নিজের পড়াশোনা আর মানুষের উপকার বাদে দুনিয়ার কোন খবর সম্পর্কে অবগত নয় সে। কিন্তু এই বইতে আমরা শুভ্রকে পায় নতুন ভাবে। গল্পের শুরুতে শুভ্রের বাবা কে নিয়ে বিশদ আলোচনা থাকলেও একসময় গল্পের প্রায় মাঝামাঝি এসে তিনি মারা যান হঠাৎ করে। এরপর???? কি হবে তাহলে?? একমাত্র ছেলে হিসেবে শুভ্র কি পারবে সকল দ্বায়িত্ব বুঝে নিতে?? নাকি মানুষকে চিনতে ভুল করে সে সবকিছু হারাবে??? এদিকে দ্বায়িত্ব গ্রহনের পরপর যখন কোন সন্তান তার বাবার আয়ের উৎস দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়, তখন আসলেই মনে প্রশ্ন জাগে কি এমন উৎস?? আর এরকম একটা ব্যাপার জানার পরেও শুভ্র কি তাদের আয়ের উৎস কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ বোধ করবে??? শুভ্র যত সামনে আাগাতে থাকে একটার পর একটা বাস্তবতার ঝড় যেন শুভ্রকে দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলতে চায়।।। এই বাস্তবতার ঝড়ে শুভ্র কি তাহলে পরাজয় স্বীকার করে নিবে?? নাকি মোকাবেলা করে সবকিছু থেকে নিজের পরিবার কে রক্ষা করবে?? সব প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য পড়তে হবে শুভ্র সিরিজের বই "শুভ্র"। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ুন আহমেদের সবগুলো লেখার মধ্যে এই চরিত্রটা কেন জানি আমাকে খুব বেশীই টানে।সিরিজের সবগুলো বই এর মধ্যে এই বইটা অন্যরকম ছিলো একটু তাই অনেক ভালো লেগেছে। আফসোস থাকবে এই সিরিজের মাত্র ৬ টা বই লিখে লেখক পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।।।

      By Sabiha Binte Rois

      31 Oct 2017 12:15 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ২৪ বই : শুভ্র লেখক : হুমায়ূন আহমেদ ধরণ : সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ মূল্য : ৩৭৫ টাকা   শুভ্র বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তার বাবা মোতাহার হোসেন সাহেব বিশাল শিল্পপতি। সে সকল বিষয় সম্পর্কে শুভ্রর কোন ধারনা নেই। সে তার নিজস্ব পৃথিবীতেই আবদ্ধ। তার দিনরাত কাটে বইয়ের পাতায় চোখ রেখে। কিন্তু সে চোখ নিয়েই বড় বিপত্তি। তার চোখের কর্ণিয়া ক্রমাগত শুকিয়ে যাচ্ছে। চশমা ছাড়া সে চোখে কিছুই দেখতে পায় না। এই সুবাদে বন্ধুমহলে সে কানাবাবা নামে পরিচিত। তবে এ নিয়ে তার মনে কোনো অভিযোগ নেই। বরং বন্ধুদের থেকে এমন ডাক পেয়ে সে বেশ খুশী।   শুভ্রর এই নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে হঠাৎ বিশাল এক ঘটনা ঘটে। আচমকা এই ঘটনা শুভ্রর জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। তার বাবা এক রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা যায়। বাবার মৃত্যু তাকে অন্যরকম অনুভূতির দিকে ধাবিত করে। সে অনুভূতি দুঃখ বা বিষাদের নয়। শুভ্র ধীরে ধীরে তার বাবার ব্যবসা-বানিজ্যের খোজ পেতে থাকে। ঠিক তখনই বিস্মিত হয়ে সে আবিষ্কার করে তার বাবার একটি পতিতালয় আছে। এই বিষয়টি শুভ্রকে মানসিকভাবে বড় আঘাত করে। সবসময় বইতে মুখ গুঁজে থাকা শুভ্র ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। পতিতালয়ের আসমানি নামক এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। জীবন সম্পর্কে অদ্ভুত কৌতুহলী শুভ্রর সাথে তার পরিচয় এগুতে থাকে সম্পর্কের দিকে। এর মধ্যেই তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বিণু নামক শুভ্রদের গ্রামের বাড়ির এক মেয়ে। বিনু শুভ্রর দুরসর্ম্পকের আত্মীয়। শুভ্র বিনুর প্রতি কিছুটা দুর্বলতা হয়ে যায়। গল্পের মীরা নামক শুভ্রর একজন বন্ধুকেও দেখা যায়, শুভ্রর চারিত্রিক পরিবর্তন নিয়ে ভিষন দুশ্চিন্তায় পড়ে মীরা। এমনই এক অসামঞ্জস্যতার এবড়োথেবড়ো পথে এগুতে গিয়ে কিছু রুঢ় বাস্তব শুভ্র আবিষ্কার করে যা তার মনকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। কি সেই বাস্তবতা যা শুভ্রর সাজানো জগতটাকে এলোমেলো করে দেয়? শুভ্র কি পারবে আবার তার স্বাভাবিক পৃথিবীতে ফিরে আসতে? তার হাতটা শক্ত করে ধরার মত কাউকে পাশে কি পাবে? পাঠ প্রতিক্রিয়া : জীবনে সর্বপ্রথম যে চরিত্রের প্রেমে পড়েছিলাম, তা হলো শুভ্র। ক্লাস সেভেনে থাকতে এই বই পড়ে ছোট মন উথালপাতাল হয়েছিল। সে সময় কোকড়া চুলের, গোল গোল চশমা পরা কাউকে দেখলেই তার মধ্যে শুভ্রর গুনাগুন খোঁজা শুরু করে দিতাম। শুভ্রর আচরণ, তার সাজানো জীবন সব কিছুই প্রচণ্ড ভাল লেগেছিল। বইটি মনের মধ্যে অন্যরকম এক উপলব্ধি সৃষ্টি করে। শুভ্র চরিত্রের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এটি আমার কাছে সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ মনে হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ কথার জাদুকর। তাই তার লেখা অনন্য, অনবদ্য হবে এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার বেশ কয়েক স্থানে ভিষণ খারাপ লাগে। তার মধ্যে একটি শুভ্রর বাবার মৃত্যুর সময় তার মা এবং শুভ্রর পুরোপুরিভাবে অনুভূতিহীন আচরন। কেন যেন মনে হয়, একটি সাধারণ মনুষ্য জীবন কাহিনীর বিস্তৃত বর্ণনা দিতে গিয়ে অলক্ষ্যেই লেখক অবাস্তব কিংবা অসুস্থ মানসিকতা লব্ধ চরিত্রের অভ্যন্তরে ঢুকে গেছে। যদিও সেই স্থানটির পর শুভ্র আবার আগের মতই বিকশিত। শুভ সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এই বইতে ধারাবাহিতা বেশি। হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ বই ই আসলে উপন্যাসিকা। অর্থাৎ অকৃতি তে ছোট। কিন্তু প্রায় পৌনে ৩০০ পৃষ্টার এই বইটিতে বিশাল ক্যানভাসে আরো সুস্পষ্ট ভাবে চরিত্র গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। যারা পড়েননি, পড়ে ফেলতে পারেন। ভাল লাগবে আশা করি

      By Tasfia Promy

      10 Jul 2017 07:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সমকালীন উপন্যাস/ শুভ্র সমগ্রের একমাত্র পরিপূর্ণ উপন্যাস পৃষ্ঠা : ২৪০ মূল্য: ৩৭০৳ কাহিনী: জুঁই ফুলের মত শুভ্র, মাথা ভর্তি কোঁকড়া চুল। হালকা গোলাপি ঠোট। অদ্ভুত সুন্দর সে, সবাই অবাক চোখে তাকে দেখে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শুভ্রের বাবা মোতাহের হোসেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। বাবা অনেক ধন সম্পদ,টাকা-পয়সার মালিক। পড়ুয়া শুভ্র সেসব ব্যাপার নিয়ে নিরুত্তাপ। পদার্থবিদ্যা তার প্রিয়, পড়ার মাঝেই ডুবে আছে সে। শুভ্র এক অদ্ভুত রোগে ভুগছে, ঠিক রাত তিন্টায় তার ঘুম ভাঙে। পাক্কা তিন ঘন্টা জেগে থেকে তারপর ঘুমায়। একদিন বাবার ডাকে ঘুম ভাঙে, বাবার ডাক?? নাহ, ২৩ তম জন্মদিনে বাবার দেয়া ময়না পাখির ডাক। অবিকল বাবার কন্ঠে তিন বার করে ডাক। "শুভ্র ভাত খাইস?" ময়নাটা কোত্থেকে এল??শুভ্র ময়না কে মানুষের হাসি শেখাতে চায়। এইদিন শুভ্রর ঘুম ভাঙে ১২ টার একটু পরেই। বিনু, শুভ্র দের বাড়িতে থাকা গ্রাম্য এক আত্মীয়ের মেয়ে। জাহানারা অর্থাৎ শুভ্রের মা বিনু কে শুভ্র থেকে দূরে রাখতে চাইলেও শুভ্র-বিনু র মধ্যে আছে একটা সম্পর্ক। সহপাঠী মীরার সাথেও তার কোথাও একটা সুতো জুড়ে আছে। মোতাহার হোসেন এর অকস্মাৎ মৃত্যু শুভ্র কে দায়িত্ববান করে। কিন্তু বের হয়ে আসে এক কঠোর সত্য। শুভ্রর বাবার আছে এক ব্রথেল বা পতিতালয়। শুভ্রর যে পরিবর্তন তার পেছনে এই পতিতালয়। এইখানের সবুজ রঙা শাড়ির আসমানি, তার সাথেও শুভ্র মিশে আছে, কোন এক টানে। কিন্তু শুদ্ধ শুভ্র, শুদ্ধতম মানুষ হতে কার হাত কে আঁকড়ে ধরবে??? পাঠ-প্রতিক্রিয়া:দ্বারুচিনি দ্বীপে শুভ্রের বাবার নাম ছিল ইয়াজউদ্দিন, এই গল্পে মোতাহার, সেই দ্বীপে যাওয়া বন্ধুদের কেউ নেই, এটা একটু কেমন লেগেছিল। এরপরে কাহিনী নিয়ে কিছু বলার নাই, আসমানি চরিত্র চরম বিরক্তিকর। মীরা কে কেমন যেন লেগেছে না ভালো না খারাপ। বিনু নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মত। মোতাহার হোসেন চরিত্র টা আসলে ভাল না খারাপ জানিনা। অভারওল ভালই। রেটিং: ৫/৫। https://www.rokomari.com/book/914/%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0

      By Mahbuba Supti

      21 Jun 2017 10:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শুভ্র এই উপন্যাসের নায়ক। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শুভ্রের বাবা মোতাহের হোসেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। বাবা অনেক টাকা-পয়সার মালিক হলেও শুভ্রের সেসব ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই শুভ্রের এমনকি তার কোন ধারণাও নেই বাবার এসব অর্থ-সম্পত্তি নিয়ে। সে সব সময় তার নিজেকে নিয়েই ব্যস্তত। নিজেকে সারাক্ষণ পড়াশোনার ভিতর ডুবে থাকতেই বেশি পচ্ছন্দ শুভ্রের। শুভ্র দেখতে খুব সুন্দর। মাথায় কোকড়াঁ চুল, পাতলা লালচে ঠোটঁ। শুভ্রের মা জাহানারা বেগমের খুব ইচ্ছা তার ছেলেকে বিয়ে দিবেন। শুভ্রের বাবার সাথেও এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেসময় তাদের বাড়িতে মোতাহের হোসেনের এক বন্ধুর মেয়ে এসে আশ্রয় নেয়। মেয়েটির নাম বেণু। জাহানারা বেগম সবসময় বেণুকে শুভ্রের থেকে দূরে থাকতে বলেন। তবুও শুভ্র একসময় দূর্বল হয়ে পড়ে বেণুর উপর। তবুও সবকিছুই সুন্দরভাবে চলছিলো। ঝামেলাহীন জীবন। কিন্তু এরই মধ্যে শুভ্রের বাবা মারা যায়। শুভ্রের চারপাশ বদলে যায় তখন। সবচেয়ে বেশি অবাক হয় যখন সে তার বাবার সমস্ত সম্পত্তি বুঝে নেয়। কারণ এসব সম্পত্তির ভিতর ছিলো একটা পতিতালয়। আর সেই পতিতালয়ই বদলে দেয় শুভ্রের জীবন। আস্তে আস্তে বদলাতে থাকে শুভ্র। পতিতালয়ের আসমানি নামের এক মেয়ের সাথেও ভালো সম্পর্ক হয় শুভ্রের। আবার মিরা নামে শুভ্রের এক সহপাঠীও শুভ্রের প্রতি দূর্বল। এখন কাকে বেছে নিবে শুভ্র? কার হাত ধরে এগিয়ে যাবে সামনে? কে তাকে একজন শুদ্ধ মানুষ করে তুলবে? কারণ সে তো একজন শুদ্ধ মানুষ হতে চায়।

      By Hosneara Yeasmin Ami

      11 Jun 2017 04:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রতি রাত তিনটায় শুভ্রর ঘুম ভেঙ্গে যায়। আবার ঘুম আসতে আসতে সকাল ছয়টা। তাই এই তিনঘন্টার জন্য শুভ্র একটা রুটিন বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে রাত বারোটায় ঘুম ভেঙ্গে গেল শুভ্রর। ঘুম ভাঙতেই অবিকল বাবার গলায় কে যেন বলে উঠল- শুভ্র ভাত খাইছ? শুভ্র ভাত খাইছ? তীব্র আতংক যেন একটা পরশ বুলিয়ে গেল শুভ্রর উপর। শেষে জানা গেল শুভ্রর বাবা মোতাহার সাহেব কলমাকান্দা থেকে তিনমাস আগে এটা ময়না পাখি আনিয়েছিলেন। সেটাকে অফিসে রেখে এতদিন কথা শিখিয়েছেন। আর আজ তার জন্মদিনে তার মা জাহানারা সেই ময়নার কথা শুনিয়ে শুভ্রর ঘুম ভাঙিয়েছেন। শুভ্র - সুন্দর একটা ছেলে। মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো চুল। পাতলা ঠোঁট লালচে হয়ে থাকে। তার মায়ের প্রায়ই মনে হয় ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে অতি রূপবতী এক তরূনীর মা হতেন তিনি। মা জাহানারার খুব ইচ্ছে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বৌ আনবেন তিনি। মাথায় একহাত ঘোমটা দিয়ে বালিকা বউ পায়ে নূপুর পায়ে পুরো ঘর ঘুরবে দিনরাত। এর কিছুদিন পরেই ভয়ংকর একটা ব্যাপার ঘটে যায় শুভ্রর জীবনে। শুভ্রর বাবা মারা যান হঠাৎ করেই। বাবার মৃত্যুর পর শুভ্র জানতে পারে শহরের সবচেয়ে বড় পতিতালয়ের একটা বড় অংশের মালিক এখন সে। তিনটা বাড়িতে বায়ান্নটা মেয়ে আছে। মেয়েদের আয়ের অর্ধেকের মত পায় তারা। এই ভয়ংকর সত্যিটা এতদিন সবাই লুকিয়ে রেখেছিল শুভ্রর কাছ থেকে। বাবার বন্ধুর মেয়ে বিনু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী মীরা, পতিতালয়ের বাসিন্দা আসমানী প্রত্যেকে প্রভাবিত করতে থাকে শুভ্রকে। শুভ্র এখন কি করবে? সেতো বেশি কিছু চায়নি। শুধু চেয়েছে শুদ্ধতম মানুষ হতে। তার আশা কি পূরণ হবে? কে তাকে বানাবে শুদ্ধতম মানুষ? আমার কথা : এই উপন্যাসটা মোটামুটি বিশাল আকৃতির, 240 পৃষ্ঠার। হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ লেখাই 80-100 পাতার হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ তাকে এই জন্য বাজারি লেখক বলে থাকেন। আমি বলি বাজারি লেখক হতেও এলেম লাগে। বাজারে তো কতজনের লেখা পাওয়া যায়। তার কতজনের লেখা এভাবে মুড়ি-মুড়কির মত বিক্রি হয় কেউ বলতে পারবে? যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি। শুভ্র যখন পড়া শুরু করি তখন ঠিক জানতাম না এর গভীরতা কতটুকু। পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম আমি এই উপন্যাসের পাতায় পাতায়।।। মা জাহানারা, বাবার বন্ধু হাবীবুর রহমান, তার মেয়ে বিনু, এই চরিত্রগুলা ভাল লেগেছে। অন্যদিকে ম্যানেজার সাহেব, মীরা, আসমানী চরিত্রগুলো শক্তিশালী হলেও ভাল লাগে নাই। বিশেষ করে আসমানীকে খুবই বিরক্তিকর লেগেছে।।। সবাই স্বাগতম।।। হ্যাপি রিডিং।।।

      By Muhammad Tanjim Farhat

      28 Dec 2023 06:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ : শুভ্র

      By Rashel

      12 Aug 2017 08:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- শুভ্র। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- জীবনধর্মী, রোমান্টিক। পৃষ্ঠা- ২৪০। প্রকাশনী- অন্যদিন। প্রধান চরিত্র- শুভ্র, বিণু, মীরা, আসমানী, মোতাহার হোসেন, জাহানারা। শুভ্র বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তার বাবা মোতাহার হোসেন সাহেব বিরাট বড়লোক। তবে বাবার অর্থসম্পদ সর্ম্পকে শুভ্রর তেমন কোনো ধারনা নেই। সে তার ছোট্ট পৃথিবীতেই ব্যস্ত থাকে। তার বেশীরভাগ ব্যস্ততার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পড়াশোনা। তার একটি বিরাট দুর্বলতা আছে। তার চোখের কর্ণিয়া শুকিয়ে যাচ্ছে। চশমা ছাড়া সে চোখে দেখতে পারেনা এবং একটা সময় চশমারও প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে। তবে শুভ্রর চোখের এই মারাত্মক অবস্থার কথা ওর বাবা মা ছাড়া আর কেউ জানেনা। অসম্ভব ভালো ছাত্র ও চোখে কম দেখার সুবাদে ক্লাশে বন্ধুমহলে সে কানাবাবা নামে পরিচিত। তবে এ নিয়ে তার মনে কোনো অভিযোগ নেই। বরং এমন পদবী পেয়ে সে যেনো অনেকটা খুশি। শুভ্রর সবই ভালো চলছিলো। কিন্তু আচমকা একটি ঘটনায় ওর ছোট্ট জগতটা এলোমেলো হয়ে যায়। ওর বাবা এক রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা যায়। তবে বাবার মৃত্যুর চেয়েও যেটা ওকে বেশী নাড়া দেয় সেটা হচ্ছে ওর বাবা মারা যাবার আগে যে বিশাল সম্পত্তি রেখে গেছেন তারমধ্যে আছে বেশ বড় পতিতালয়ও। এই একটি বিষয় শুভ্রকে মানসিকভাবে বড় ধাক্কা দেয়। ধীরে ধীরে শুভ্র বদলাতে থাকে। সেসময় তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বিণু নামক শুভ্রের বাবার গ্রামের বাড়ির এক মেয়ে। ওরা শুভ্রদের দুরসর্ম্পকের আত্মীয়। এদের একের অপরের প্রতি কিছুটা দুর্বলতা দেখা যায়। আবার পতিতালয়ে শুভ্র কাছাকাছি হয় সেখানেই বসবাসরত আরেক মেয়ে আসমানির সাথে। শুভ্রর মা ছেলের এই বদল নিয়ে ভীষন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দুশ্চিন্তায় পড়ে শুভ্রর ক্লাশের বন্ধু মীরাও। কিন্তু শুভ্র কারো সাহায্য না নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। এবং এগিয়ে যেতে যেতে এমন কিছু রুঢ় বাস্তব সে আবিষ্কার করে যা তার মনকে দুমড়ে দেয়। কিন্তু সে শুভ্র। তাকে যে সামনে এগিয়ে যেতেই হবে। কোনদিকে যাচ্ছে শুভ্র? কি সেই বাস্তবতা ও অতীত যা শুভ্রর ছোট্ট জগতটাকে এলোমেলো করে দিলো? মীরা, আসমানি ও বিণুর মধ্যে কে ভালোবাসা নিয়ে শুভ্রর পাশে দাড়াবে? শুভ্র কি পারবে আবার তার স্বাভাবিক পৃথিবীতে ফিরে আসতে? বইটা দারুন। মনের ভিতর বেশকিছু উপলব্ধি সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে এই বই। শুভ্রর মাধ্যমে যেনো ফুটে উঠেছে সংগ্রামরত আরো বহু ছেলের কাহিনী। বইটা মুর্হুতে মনকে খারাপ করে আবার মুর্হুতে মনকে উজ্জীবিত করে। কঠিন সব বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। হুবহু এমন না হলেও কম বেশী এরকম কঠিনতার ভিতর দিয়ে সবাই যায়। যারা জীবনে সংগ্রামরত অবস্থায় আছেন তাদের জন্য বইটা হবে অনুপ্রেরণামূলক। কিছু ব্যাপার একটু অসংগতিপূর্ণ ঠেকেছে বইতে। যেমন শুভ্রর বাবা মারা যাওয়ার পরও ওর হাসি হাসি মুখে চা খাওয়া। কোনো ছেলেই সাধারনত এমনটা পারেনা। এছাড়া ওর রাগের বহিঃপ্রকাশ। তবে ঘোর লাগানো বইটা পাঠককে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। যেখানে রয়েছে বাধাকে ডিঙিয়ে সাফল্যকে জয় করার অদম্য প্রেরণা। আশা করি সবাই পড়ে ফেলেছেন। যারা পড়েননি তাদের পড়ার আহবান রইলো। রেটিং- ৪.৯০/৫.০০

    • Was this review helpful to you?

      or

      পড়লাম। ভালো ছিল।

      By Zahid Shuvo

      11 Dec 2021 03:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best book that i ever read

      By maruf morshed

      20 Nov 2016 09:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই প্রথম মনে হল শুভ্র আর শুভ্র নাই। সেই বড় চশমা ভাব নেই। আগের দুইটা বই মানে রুপালি, দারুচিনি থেকে আলাদা। তবে এই বইটার বেশ গভীরতা আছে। গভীরতার জন্যই পড়তে বেশি দিন লাগছে। আগের দুটা পড়ছি এক দিনে। আর সগুভ্র আপাতত তিন সিটিং এও শেষ করতে পারি নাই। কোন নায়িকা খুজে পাচ্ছিনা। প্রথম দুইটাতে জরি ছিল। আপাতত বেনু, আসমানি, মীরা। কিন্তু একটাকেও ভালো লাগছেনা। দিনশেষে হুমায়ুনিয় লেখা না। একটু এক্সপেরিমেন্ট। কাহিনী হুড় হুড় করে যায় নি। বুঝা যাচ্ছে শুভ্র কে নিয়ে লেখকের বড় কোন প্ল্যান আছে। তবে হিমুর মত মনে হয়না শুভ্র এক থাকবে। এরা বাবাকে বদলে দিল। শেষ মেষ বেনু?? জরী কই? মীরা ত ভাল ছিল। হ্যারি পটারের মত। পরিচালক যদি জানতো জিনির সাথে হ্যারির মিল হবে, তাহলে ইমা ওয়াটসনকে আর হারমোইনি বানাতেন না। কিছু কিছু সুন্দর জিনিস আছে যার প্রতি বেশিক্ষন তাকায় থাকা যায় না। হারমোইনি সেরকম।

      By Wasifa Zannat

      23 Jul 2016 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘শুভ্র’ উপন্যাসে সে রেকর্ড নাম্বার পেয়ে কালি নারায়ণ স্কলার পায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেদিন পাশ করে সেদিনই সেখানে শিক্ষক হওয়ার দূর্লভ সুযোগ পায়। কিন্তু সে এ সব সুযোগ গ্রহণ না-করে পৈত্রিক ব্যবসার হাল ধরে। উল্লেখ্য তার পিতার ব্যবসা খুব শোভন কিছু ছিলো না। হুমায়ুন আহমেদ এই বইয়ের প্রস্তাবনায় লিখেছেন- ”শুদ্ধতম মানুষ কেমন হবে?অনেক প্রশ্নের মতো এই প্রশ্নটা আমার প্রায়ই আসে। আমি আমার চারপাশের মানুষজন খুব মত দিয়ে দেখি। এক ধরনের গোপন অনুন্ধান চলতে থাকে-যদি কোনো শুদ্ধ মানুষের দেখা পেয়ে যাই। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিযেতো আমি শুদ্ধতম মানুষ খুঁজে বের করতে পারব না। আমাকে খুঁজতে হবে আমার পরিচিতজনদের মধ্যে।দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধানে কোনো লাভ হয় নি। শুদ্ধ মানুষ আমাকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। কল্পনায়। শুভ্র সে রকম একজন। বেচারার চোখ মুখ খুব খারাপ। চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ। তার ক্লাসের বন্ধূরা তাকে ডাকে কানাবাবা! শুদ্ধ মানুষের চোখ খারাপ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাকে চোখ খারাপ দেখানোর পেছনের প্রধান যুক্তি সম্ভবত আমি, আমার নিজের চোখও ভয়ঙ্কর খারাপ (পাঠকরা দয়া করে ভাববেন না যে আমি নিজেকে খুব সূক্ষ্মভাবে শুদ্ধতম মানুষ বলার চেষ্টা করছি। কোনো শুদ্ধ মানুষের একশ’গজের ভেতর যাবার যোগ্যতা আমার নেই) যাই হোক, শুভ্র চরিত্রটি তেরি হলো। বেশ কিছু উপন্যাস লিখলাম শুভ্রকে নিয়ে, যেমন রূপালী রাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ। তারপর হঠাৎ করেই শুভ্রকে নিয়ে লেখা বন্ধ করে দিলাম। আমার কাছে মনে হলো আমি ভুল করছি, শুদ্ধতম, মানুষ বলে কিছু নেই। শুভ্র চরিত্রটি নতুন করে লিখতে হবে। বর্তমান উপন্যাসটি ‘শ্রভ্র’ নামে পাক্ষিক ‘অন্যদিন’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। খুবই অনিয়মিতভাবে লিখেছে। এক সংখ্যায় লিখলাম, পরের দু’সংখ্যায় লিখলাম না-এ রকম। শেষের দিকে এসে কোনো রকম ঘোষণা ছড়াই লেখা বন্ধ করে দিলাম। ‘অন্যদিন’-এর পাঠক-পাঠিকা এবং বিশেষ করে পত্রিকা সম্পদকের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মানুষ মাত্রই ক্ষমা করতে পছন্দ করে। তাঁরা আমাকে ক্ষমা করবেন বা ইতিমধ্যেই ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”

      By Shanaj Pervin

      09 Mar 2022 05:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      awesome

      By Mutasim Uddin

      24 Apr 2014 04:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘শুভ্র’ বইটি হুমায়ূন আহমেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় শুভ্র সিরিজের সবচেয়ে দীর্ঘতম উপন্যাস। আসলে মূলত এই সিরিজের ‘শুভ্র’ বইটিকেই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস বলা যায়। এই শুভ্র সিরিজের বাকি বইগুলো ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘রূপালী দ্বীপ’, ‘শুভ্র গেছে বনে’, ‘এই শুভ্র! এই’ মূলত উপন্যাসিকা। ‘শুভ্র’ বইটিকে সম্পূর্ণ উপন্যাস বলার পিছনের কারণ শুধুমাত্র এর কাহিনীর বড় পরিসরই নয়, বরং এখানে প্রতিটি চরিত্র এত বিশাল ক্যানভাসে বিকাশ লাভ করেছে যা একে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উপন্যাসের মর্যাদা দিয়েছে। ‘শুভ্র’ বইটির শুরুর দিকে শুভ্রর বাবার চরিত্রকে খুব সময় নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উপন্যাসের শুরুতে শুভ্রর বাবা অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন। আসলে এটা লেখক সচেতনভাবেই করেছেন। কারণ, উপন্যাস কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আমরা দেখতে পাই শুভ্রর বাবা বলতে গেলে প্রায় হঠাৎ করেই এক সন্ধ্যায় নিজের ঘরে নিজের বিছানায় মারা যান। শুভ্রর মা ব্যাপারটা তখন বুঝতে পারেন নি। তিনি না জেনে তার মরা স্বামীর পাশেই শুয়ে রাত কাটান। শুভ্রর বাবা যে মারা গেছেন এটা প্রথম বুঝতে পারে কাজের মেয়ে সকালে চা দিতে এসে। এরপর কাহিনী বেশ দ্রুত এগোতে থাকে। শুভ্র বাবাকে দাফন করার পর শুভ্র তার বাবার ব্যবসাপত্র বুঝে নেয়। তখন শুভ্র অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে দেখে যে তার বাবার অনেক ব্যবসার সাথে বেশ্যা পাড়ায় একটা ঘরও আছে। তখন শুভ্র কৌতূহলী হয়ে বেশ্যা পাড়ায় তাদের মালিকানাধীন ঘরটি দেখতে যায়। এবং সেখানে গিয়ে আসমানী নামের এক নষ্ট মেয়ের সাথে তার এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত এই সম্পর্কের বা শুভ্রর কী হয় তা জানার জন্যে পাঠককে ‘শুভ্র’ উপন্যাসটি পড়তে হবে। ‘শুভ্র’ উপন্যাসটি বেশ দীর্ঘ, তাই পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে একটু বিরক্তি লাগতে পারে। তবে একবার উপন্যাসের কাহিনীর মধ্যে ডুব দিতে পারলে বইটি শেষ না করে উঠে পড়া কঠিন।

      By Maruf Ahmed

      31 Dec 2019 03:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোতাহার সাহেব তার ছেলে শুভ্রর জন্মদিনে তাকে একটা ময়না পাখি দিয়েছে যেটা দিনে তিন বেলা করে বলে, 'শুভ্র ভাত খাইছো'। শুভ পাখিকে দিয়ে মীরার হাসি রেকর্ড করে সেই হাসি শেখানোর চেষ্টা করে। মীরা শুভ্রর ক্লাসমেট, সুন্দরী, হাসিটা আরও বেশি সুন্দর। মীরা শুভ্রকে ভালোবাসলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে আর্কিটেক্ট আখলাক সাহেবকে কারন শুভ্র নরমাল মানুষ না। পৃথিবীতে সবাই সুখি হতে চায়, জেনেশুনে কেও ঝামেলা গ্রহণ করতে চায় না। মীরাও চায় নাই সেটা। মোতাহার সাহেব মারা যায়। শুভ্ররও মাস্টার্সের রেজাল্ট হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস এন্ড ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান তাকে রেজাল্টের দিনই জয়েন করতে বলেন তাছাড়া সে এক্টা স্কলারশিপও পায় কিন্তু শুভ্র সবকিছু বাদ দিয়ে তার বাবার ব্যাবসায় যোগ দেয়। সে এখন পৈতৃক সূত্রে একটা ব্রোথেলের মালিক। তার বাবার বেশির ভাগ ব্যাবসায় খারাপ কিছুর। এতোদিন সে কিছুই জানতো না। শুভ্র তার মা জাহানারা বেগমকে সব কিছু বলে। সে আগেই সবকিছু জানতো কিন্তু কখনো শুভ্রকে কিছু বলে নাই। বিনু গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সাম দেবার জন্য ঢাকায় এসে শুভ্রদের বাসায় থাকে। জাহানারা বেগম তাকে দুচোখে দেখতে পারে না,বাড়ি থেকে বের করার জন্য অনেক কিছু করে। বিনু চলেও যায় কিন্তু তার বিয়ে ভেংগে গেলে আবারও চলে আসে। শুভ্রর টেপরেকর্ডারে এখন তিন জনের হাসি। মীরা, বিনু আর আসমানীর। সে এখন প্রায়শই ব্রোথেলে যায়, এমনকি সেখানে গিয়ে রাতও কাটায়, আসমানীর সাথে গল্প করে, ঘুরতে যায়। তার উদ্দেশ্য সৎ। সে তাদের কষ্ট বোঝার জন্য তাদের সাথে মিশে। সে ব্রোথেল্টা বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সবাইকে এক্টি করে সেলাই মেশিন দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে বলে। শুভ্র অবশেষে জান্তে পারে যে জাহানারা বেগম তাকে গর্ভে ধরে না, তার জন্ম ব্রোথেলে। কিন্তু তার কাছে জাহানারা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ, সেই তার মা। জাহানারার বুক থেকে আজ অদৃশ্য পাথর নেমে যায়। শুভ্র জাহানারাকে বলে, 'সত্যিকারের ভালোবাসা মানুষকে পবিত্র করে ' তুমি আমাকে পবিত্র করেছো কিন্তু বাবাকে করো নাই। শুভ্র এখন আর দেখতে পায় না।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!