User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বন্ধু দিয়েছিলো, দারুণ একটা বই। প্রথমবার কোন একটা বই এক বসায় শেষ করলাম♥️।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় লেখকের বই।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
সত্যি অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
? যদিও সন্ধ্যা ? শওকত অতি দ্রুত পেন্সিল টানছে। কোনোদিকেই তাকাচ্ছে না। অন্যদিকে তাকানোর সময় তার নেই। অনেক অনেক দিন পর তার মাথায় পুরোনো ঝড় উঠেছে।কী ভয়ঙ্কর অথচ কী মধুর সেই ঝড়! ইমন একগাদা পেন্সিল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। বাবার হাতের পেন্সিল ভেঙে যেতেই সে পেন্সিল এগিয়ে দিচ্ছে।তার খুব ইচ্ছা করছে পোট্রেটটা কেমন হচ্ছে উঁকি দিয়ে দেখতে।সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে না দেখেও ইমন বুঝতে পারছে বাবা অসাধারণ একটা পোট্রেট আঁকছেন। নিয়ন্ত্রিত অতিথিরা সবাই শওকতকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের চোখে কৌতুহল এবং বিস্ময়। একটু দূরে আনিকা দাঁড়িয়ে।সে ক্রমাগত কাঁদছে। আনিকার পাশে জামাল বিব্রত মুখে দাঁড়িয়ে। আনিকা তার দিকে তাকিয়ে বলল, এইভাবে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমি কাঁদছি দেখছ না? আমার হাত ধর। নাকি হাত ধরতে লজ্জা লাগছে? জামাল হাত ধরল।নিচু গলায় বলল,এত কাঁদছ কেন?.....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ যদিও সন্ধ্যা লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২ প্রকাশনঃ অন্যপ্রকাশ . শওকত একজন পেইন্টার। এই পেইন্টিং এর মাধ্যমেই পরিচয় হয় রেবেকার সাথে শওকতের। পেইন্টিং এর মাধ্যমেই রেবেকা আর শওকতের ভালবাসা আর ভালবাসা থেকে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কাহিনীটা এরকম- এক্সিবিশন চলছে। রেবেকা যায় এক্সিবিশন দেখতে, সেখানে সে দেখে এক শিল্পির আঁকা অবাক ছবি! একটি জঙ্গলে একটি তরুণী মেয়ের ছবি। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আলো এসে পড়ছে সেই মেয়েটির মুখে.... রহস্যের বিষয় হচ্ছে, সেই ছবির মেয়েটার সাথে রেবেকার চেহারার অবাক মিল! অবাক মুগ্ধ হয়ে রেবেকা ছুটে এই ছবির আর্টিস্টের খোঁজে। শওকতের আঁকা ছবিই এটি! সে নাকি কল্পনায় এঁকেছে এই মেয়েটির ছবি! ব্যস! ভাল লাগার প্রথম পর্যায় শুরু... তারপর বিয়ে... অতঃপর সেই রহস্যময় ছবিকে কেন্দ্র করেই ডিভোর্স হয়ে যায় রেবেকা-শওকতের! কিন্তু তাদের এই সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের ভালবাসার ফল সরূপ জন্ম নেয় ইমন! তারপর রেবেকা বিয়ে করে আমেরিকান এক ভদ্রলোক মিস্টার অ্যান্ডারসনকে। যাইহোক, রেবেকা একসময় ছেলে ইমনকে নিয়ে আসে দেশে, কারণ ইমনের এবারের জন্মদিনটা ইমন তার পেইন্টার বাবা শওকতের সাথে করবে। ইমনকে নিয়ে যায় শওকত নিজের কাছে। বেশ কাটে ইমন আর শওকতের ক'টা দিন। শওকতের বন্ধু, মনজু। বাবার ওপর তীব্র অভিমানে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে.... যাইহোক, এই বন্ধুর বোন আনিকা। আনিকা ছোটবেলা থেকেই ভালবাসত শওকতকে। কিন্তু শওকত কেন জানি ভালবাসতনা আনিকাকে। অথচ আনিকা নামের এই মেয়েটিকে এত ভাল লাগে বইয়ে যে কি বলব! দারুণ মায়াবতী একটি মেয়ে আনিকা। শওকতের ছেলে ইমনও পছন্দ করতে শুরু করে আনিকাকে। অবশ্য শওকত চরিত্রটাকেও অসাধারণ লাগে! সমস্যা দাঁড়ায়, পেইন্টার শওকত হঠাৎ করেই ভুলে যায় পেইন্টিং! কেন?? যার জীবনের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মূলেই ছিল পেইন্টিং সে কেমন করে ভুলে যেতে পারে তার সাধের পেইন্টিং!! ....... তারপর কি হয় শওকতের? আনিকারই বা বিয়ে হয় কার সাথে? সে কি সুখী হয়? শওকত কি পারে ভুলে যাওয়া অসুখ থেকে বের হয়ে আসতে? . #হুমায়ূন_আহমেদ এর বই নিয়ে কোন কথা হবেনা! অসাধারণ বই একটা!! #নতুন_ব্যাপার_শেখাঃ "যদিও সন্ধ্যা" বইটায় দুইটা নতুন জিনিষ শিখছি, ১. মোমবাতি দিয়ে নকল মুক্তো বানানো ২. রঙিন কাগজ দিয়ে চাইনিজ লন্ঠন বানানো ( এইটা কষ্টের :( ) যাইহোক, #যদিও_সন্ধ্যা যারা পড়েননি পড়তে পারেন, ভাল লাগবে :) হ্যাপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
পুরো গল্পে সব কিছু ছাপিয়ে ফুটে উঠেছে বাবা-ছেলের মোহনীয় ভালবাসা। শওকত, পেশায় একজন পেইন্টার। নামকরা কোন পেইন্টার না, লাখ লাখ টাকায় যাদের ছবি বিক্রি হয় তেমন কেউ না। খুব সাধারণ গা ছাড়া পেইন্টার। তার ছেলে ইমন অনেকদিন পর বাংলাদেশে আসে বাবার সাথে জন্মদিন পালন করবে বলে। ইমনের মা রেবেকার সাথে ভালবেসেই বিয়ে হয় শওকতের। কিন্তু আজ তারা বিচ্ছিন্ন। এতদীর্ঘ সময়েও ইমন তার বাবাকে ভুলে নি। বাবাকে নিয়ে নিজের মাঝে আলাদা একটা চরিত্র এঁকে রেখেছিল সে। কিন্তু ইমন আবিষ্কার করল তার বাবা তার কল্পনা থেকেও ভাল। বাবার স্পষ্টতা, হেয়ালিপণা সবই ভাল লাগে তার। বাবাকে তাই ছোট ছোট গিফটও দেয়, কখনও মোমের পার্ল কখনও চায়নিজ লন্ঠন। শওকতের হেয়ালিপণায় মুগ্ধ আরো একজন, আনিকা। সুকণ্ঠী আনিকার মতে সে ভালবাসে বয়স্ক শওকতকে। ইমনও খুব পছন্দ করে আনিকাকে। আনিকার বাবা চায় আনিকার বিয়ে হোক জামাল নামে এক গ্রামের ছেলের সাথে......... শওকত একদিন ছেলের কথামত ছবি আঁকতে গিয়ে আবিষ্কার করে সে আঁকতে ভুলে গেছে। গল্পে একেক করে আসে আরো নানা চরিত্র...মতিউর রহমান, মনজু, মনোয়ারা, আন্ডারসন, মিতু, টেক্সড্রাইভার এমনকি মিসির আলীও। কিন্তু শেষটা কি হয়?? ইমন কি থেকে যায় তার বাবার সাথে?? আনিকা.... তার কি হয়??? সে কি শওকতকেই বিয়ে করবে নাকি ওই গ্রামের সহজ-সরল ছেলেটাকে??? আর শওকত????? সে কি পারবে আবার ছবি আঁকতে?? পারবে তার নিজের ছেলের পোট্রেট করতে???? পড়ে আসুন গল্পটি। ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
'যদিও সন্ধ্যা' উপন্যাসটি আমার খুবই পছন্দের একটা উপন্যাস। এই উপন্যাস পড়তে পড়তে যে ভালো লাগা আমার মনে সৃষ্টি হয়েছিল, তার পরিমাণ অসীম। হুমায়ুন আহমেদ যে অতি সাবলীল ভঙ্গিমায় গদ্য রচনা করেন এবং তাঁর গদ্য খুবই সুখপাঠ্য হয়, সেটা আমাদের কারোই অজানা না। কিন্তু তারপরও যখন দেখি গভীর ভাবাবেগের জায়গাগুলোতেও একই রকম সরল ভাষার ব্যবহারে তিনি পরিপূর্ণভাবে সিচুয়েশনটাকে নিজের লেখনীর মধ্যে ক্যাপচার করতে পারছেন, তখন অবাক না হয়ে উপায় নেই। তখন বারবার মনে হয়, একটা লোক কিভাবে এত সহজ করে বুক হু হু করা কিছু কথা লেখে ফেলেছেন? অন্যদের পক্ষে এই কাজটা একেবারেই অসম্ভব। সম্ভব শুধু একজনের কাছেই। তিনি হুমায়ুন আহমেদ। মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রা, সম্পর্ক আর মানবিক আবেগ তাঁর মত করে কখনো কোন বাঙালি লেখক ফুটিয়ে তুলতে পারেন নাই। ভবিষ্যতেও কেউ পারবে কিনা সন্দেহ! উপন্যাসের শুরু হয়েছিল শওকত কোন এক বড়লোকের ড্রইং রুমে বসে একটা ওয়াল পেইন্টিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে এমন দৃশ্যের মাধ্যমে। যে ওয়াল পেইন্টিংয়ের দিকে সে তাকিয়ে ছিল, সেটা তারই আঁকা। এই চিত্রকর শওকতই হল এই উপন্যাসের নায়ক, যদি আদৌ এই উপন্যাসে কোন নায়ক থাকে। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে তাকে উল্লেখ করা অসম্ভব। হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মত এই উপন্যাসেরও কেন্দ্রীয় চরিত্র হল 'সম্পর্ক'। এই উপন্যাসেও কিছু বিচিত্র সম্পর্কের দেখা মিলেছে। প্রথমত শওকতের সাথে তার সাবেক স্ত্রী রেবেকার সম্পর্ক। শওকতের সাথে তার ছেলে ইমনের সম্পর্ক। রেবেকা আর ইমনের সম্পর্ক। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল শওকতের সাথে আনিকার সম্পর্ক। এছাড়াও আরও অনেক সম্পর্কের উল্লেখ আছে। কখনো লেখক আলোকপাত করেছেন আনিকার সাথে তার মা-বাবার সম্পর্কের প্রতি, কখনো আনিকার সাথে ইমনের আবার কখনো আনিকার সাথে এক ক্যাব চালকের। এই প্রতিটি সম্পর্ককেই সমানভাবে উপন্যাসের পাতায় চিত্রায়িত করেছেন লেখক। এই উপন্যাসে বেশ কিছু অসাধারণ ট্রিকস করেছেন লেখক। বাংলা উপন্যাসে এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। যেমন ইমন তার বাবা সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করে সেটা দেখাতে লেখক তুলে ধরেছেন বাবাকে নিয়ে স্কুলের পরীক্ষায় লেখা ইমনের রচনা। আনিকার সাথে শওকতের সম্পর্কের ভিত্তি আসলে কি তা বোঝাতে আনিকার অবচেতন মনে নিয়ে এসেছেন মিসির আলীকে আর মিসির আলীর সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে বেরিয়ে এসে আনিকার জীবনের সম্পর্কের এক অজানা অধ্যায়। এছাড়া 'চিঠি' জিনিসটা হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের কাহিনীকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। এই উপন্যাসেও বেশ কিছু চিঠির দেখা মিলেছে যেগুলোর মাধ্যমে ক্ষণে ক্ষণে বাঁক বদল ঘটেছে কাহিনীর। নিঃসন্দেহে পাঠকের মনে সেই প্রতিটি চিঠিই বড় রকমের প্রভাব ফেলেছে কাহিনীর মূল সুরটাকে ধরতে। হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে যে হুমায়ুন আহমেদ কত বেশি ভাবতেন তার প্রমাণ মিলেছে দুই জায়গায়। সরাসরি সেই দুই জায়গার কথা বলতে চাচ্ছি না। শুধু ইঙ্গিত দিচ্ছি, পাঠকের দায়িত্ব নিজেদেরই সেই দুইটি বিশেষ জায়গা খুঁজে নেয়া। প্রথমটা, যখন ইমনের বাবা বলে তার বানানো চা খুব বেশি ভালো হয়নি আর তখন ইমন অপেক্ষা করতে থাকে আবার কখন বাবা তাকে চা বানাতে বলবে। দ্বিতীয়টা, যখন ইমনকে গান শোনাতে গিয়ে আনিকার চোখে জল চলে এলে নিজের মনেই আনিকা হঠাৎ করে 'তুরস্ক' প্রসংগ টেনে আনে। হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের সমাপ্তি দুই রকমের হয়। হয় সেখানে অপ্রাপ্তির হাহাকার থাকে না হয় সেখানে প্রাপ্তির প্রাণোচ্ছ্বাস থাকে। 'যদিও সন্ধ্যা' উপন্যাস শেষ হয়েছে দ্বিতীয় মেথডে। আর তাই উপন্যাসের শেষেও পাঠকের মনে ভালো লাগার জায়গাটা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আমার মনে হয়।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় একটা বই। বইয়ের আকার খুব একটা বড় না, ঘটনার ব্যাপকতাও খুব বেশিদূর বিস্তৃত না। সাদামাটা গল্প কতটা অসাধারণ করে বলা যেতে পারে এই উপন্যাস তারই প্রমাণ। লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ নিজেকে অন্যতম উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আসলে ঠিক এভাবেই। লেখকের মুকুটে আরেকটি পালক হিসেবে থেকে যাবে এই বইটাও। অবশ্যই পড়ার মত একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
যদিও সন্ধ্যা বুক মিভিউঃ কলেজে থাকাবস্থায় যেমন নানা বিষয় নিয়ে লিখতে পারতাম, এখন তেমন লিখতে পারিনা। লিখলেও কমেন্ট লাইকে তেমন ভরে উঠে না। কারন আশেপাশে কোন বিষয়বস্তু নেই। স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা গল্প আমি লিখলেও তা ছুয়ে যেত অনেককেই। এটাকে লেখক ব্লক বলেনা। বলে ফেসবুকিয় বিষয়বস্তু ব্লক। চট করে চানাচুরের মত না হলে ফেসবুকের লেখা চলে না। শওকত সেরকম মনে হয় বিষয়বস্তু পাচ্ছিল না। হতে পারে। মনের সকল গরল, সকল কথা পাতায় ঢেলে হন কবি। আর চোখের সকল স্বপ্ন বাষ্পে তুলিতে ঢেলে হন আর্টিস্ট। হুমায়ুন আহমেদ মধ্যবিত্তের গল্প লিখেন সেই অভিযোগ অনেক আগেরই। কিন্তু দিনশেষে আমরা সবাই মধ্যবিত্ত। বিল গেটস ছাড়া। ১২০০টাকার শার্ট কিনে ভাবি ইশ টাকা থাকলে আরেকটা ৩০০০ টাকার শার্ট কিনা যেত। ইশ আমি মধ্যবিত্ত। সেই মধ্যবিত্ত লেখক কে আমি সম্মান করি। তুলির সেই শিল্পীর আচড়ের সন্ধ্যা যখন কেটে যাবে-তখনি তো চোখের অশ্রু মুক্তার মত মনে হবে। ছোট শিশু ইমনের হাতে সেই মুক্তার মালা –কি অদ্ভুত, কি অদ্ভুত। দিনশেষে কোথাও মিল হল না-আনিকা থাকল না, ইমন থাকবে না। রেবেকা তো গেছেই। কিন্তু ফিরে এল সেই মনের সত্ত্বা। যাই হোক উপন্যাসটি ভালো লেগেছে। বাচ্চাটার চিঠির অংশে আমি জ্বলজ্বল চক্ষু হয়েছি। যা কিনা ইমনের ভাষায়-glittering eyes না watering eye. সেটা থাক। ট্যাবে বসে যদি পড়তে হয়-তবে লোটা কম্বল না পড়ে যদিও সন্ধ্যা পড়া যেতেই পারে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ, যিনি বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অনেক গল্প, উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর লিখা উপন্যাসের মধ্যে "যদিও সন্ধ্যা" একটি। এই উপন্যাসের যে অংশটা আমার ভালো লেগেছে, সেটা লিখলাম- "বাবা আর ছেলের অনেকদিন পর সাক্ষাৎ হলো। অনেকদিন পর সাক্ষাৎ হওয়ার কারন তারা দুজন আলাদা থাকে। ছেলে থাকে তার মায়ের সাথে আর ছেলের বাবা থাকে পরিবার ছাড়া। মা তার ছেলেকে নিয়ে অনেকদিন পর দেশে আসার কারনে বাবা আর ছেলের সাক্ষাৎ হয়েছে। যে কয়েকটাদিন ছেলে দেশে থাকবে ততদিন সে তার বাবার সাথে থাকবে। ইমন ভেবেছিল প্রথম যখন সে তার বাবাকে দেখবে, চিন্তে পারবে না। কিন্তু, বাবাকে প্রথম দেখে সে ছোটখাটো একটা চমক খেয়েছে। নিজের উপর খানিকটা তার রাগও লেগেছে। সে ভেবেছিল সে তার বাবার চেহারা ভুলে গেছে! কিন্তু, সে তার বাবার চেহারা একদম ভোলেনি। তা না হলে সে দেখা মাত্রই কিভাবে চিনলো !!" এমন আরো কিছু ঘটনা আছে এই উপন্যাসে। যা আমি লিখতে চাই না। কারন, আগে পড়ে ফেললে পরে পড়তে আর ভালো লাগবে না। তাই,ঘটনাগুলো পড়তে চাইলে আপনি 'রকমারি' থেকে অর্ডার করে বাসায় এনে পড়তে পারেন।