User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা।। # মাসঃ জানুয়ারী বইঃ দি বুক থিফ লেখকঃ মার্ক জুসাক ধরনঃ উপন্যাস রকমারি মূল্যঃ ৯০০ পৃষ্ঠাঃ৫৬০ সংক্ষিপ্ত রিভিউঃ গল্পের শুরু লিজেল নামের এক বালিকাকে দিয়ে। তাদের মা ঠিকমত তাদের দেখাশোনা করতে না পারার কারনে লিজেল আর তার ছোট ভাইকে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোজ আর হান্স হুবারমানের কাছে। গল্পের চমকটা হল গল্পের ভাস্যকর মৃত্যু যে নিজেই এখানে একটা চরিত্র হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। মৃত্যুর মুখে গল্পের বর্ণনা শুনতে শুনতে আপনি কখনও তার জন্য গভীর শ্রদ্ধা আবার কখনও বা করুনা অনুভব করবেন। মৃত্যুর মুখে গল্পের বর্ণনা গল্পে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। দি বুক থিফের পটভূমি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ জার্মানির নাজি অধ্যুষিত এলাকা। ট্রেনে করে পালক পিতা মাতার কাছে আসার পথেয় লিজেলের ছোট ভাইটা পথিমধ্যেয় মারা যায় আর সে তার জীবনের প্রথম বই চুরি করে। “দ্বি গ্রেভ ডিগার হ্যান্ডবুক” চুরি করা লিজেলের প্রথম বই। ধীরে ধীরে লিজেল হিমেল স্ট্রীটের তার নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে থাকে। খুব দ্রুতই তার পালক বাবার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে কিন্ত রোজা তার পালক মাকে সে ঠিক বুঝতে পারে না। আবার মরার ঊপড় খাড়ার ঘা হয়ে ওঠে স্কুল। পড়তে না পারার কারনে সবার হাসির পাত্র হয়ে যায় লিজেল। সহানুভূতি আর বন্ধুত্বের হাত নিয়ে এগিয়ে আসে রুডি স্টেইনার। এদিকে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর দুঃস্বপ্ন থেকে বাঁচতে সে আশ্রয় নেই বইয়ের এতে তাকে সাহায্য করে তার পালক বাবা। বইয়ের প্রতি তার আগ্রহ দেখে তিনি তাকে পড়তে শেখান। হিটলারের জন্মদিন উপলক্ষে কমিউনিস্ট আর ইহুদী লেখকদের সব বই পোড়ান আর তাদের মৃত্যু কামনা করা দেখে হিটলারের বিরুদ্ধে রাগে আর ক্ষোভে ভরে ওঠে বই অনুরাগী লিজেলের মন। পুড়ে যাওয়া বইয়ের স্তুপের মধ্যে থেকে সে উদ্ধার করে “শোল্ডার শ্রাগ” নামের বইটি। দ্বিতীয় চুরি করা বই এটি। রোজার কল্যাণে লিজেল মেয়রের বাড়ীর লাইব্রেরি ঘুরে দেখার সুযোগ পায় কিন্ত বই নেড়েচেড়ে দেখা আর মেয়রের স্ত্রী এলসাকে বই পড়ে শোনানতেই তার কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ থাকল না এখানেও সে বিরত থাকল না চুরি থেকে। মেয়রের বাড়ী থেকে চুরি করা তৃতীয় বইটি “ দি হুসলার”। এভাবেই সমৃদ্ধ হতে থাকে লিজেলের জ্ঞানের ভান্ডার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের উপর যত বই আছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেয় দেখা যায় বিভিন্ন দেশে জার্মান নাজিদের অত্যাচারের কথা কিন্ত যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে জার্মানরা নিজেরাও রেহায় পায়নি। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মান সৈনিক থাকাকালে একবন্ধুর সহায়তায় প্রানে বেঁচে যায় হান্স তারই কৃতঙ্গটা স্বরূপ যুদ্ধের এই ডামাডোল অবস্থায় নিজের বাড়ীতে ম্যাক্স ভেনডেনবারগ নামক ইহুদী এক যুবককে নিজের বাড়ীর বেসমেন্টে লুকিয়ে রাখে হান্স হুবারমান। প্রথম দিকে হান্স আর ম্যাক্স ভেনডেনবারগ, আর পরবর্তীতে লিজেল আর ম্যাক্স ভেনডেনবারগের বন্ধুত্ব গল্পের মূল প্রতিপাদ্য হয়ে ওঠে। দি বুক থিফ বইটি শিশুর মত কিছু নির্ভীক সারল্য দিয়ে লেখা। শিশুরা যেমন তাদের সহজ সরল ভঙ্গিতে সত্যটা অকপটে বলে ফেলে তেমনি ভাবেয় মার্ক জুসাক এই বইয়ের কাহিনীটাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এটা কোন হাস্যরসের বই না লিজেলের ভাগ্য দেকেহ করুণায় ভরে উঠবে মন নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলবেন। সবশেষে কি ঘটেছিল ম্যাক্স লিজেল আর হিমেল স্ট্রীটের মানুষগুলোর ভাগ্যে? আর মৃত্যুকে কতবার ফাকি দিতে পেরছিল লিজেল ?? সব জানতে এখুনি পড়ে ফেলুন মার্ক জুসাকের “দি বুক থিফ” বইটি। https://www.rokomari.com/book/91098
Was this review helpful to you?
or
enjoyed it ?