User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
One of the best thriller I have read
Was this review helpful to you?
or
দীর্ঘ দিনের (৬বছর) বিরতির পর নতুন করে বই পড়া শুরু এই বই দিয়ে। অনেক প্রাঞ্জল অনুবাদ, অনুবাদক কে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
sera
Was this review helpful to you?
or
মাস্ট রিড বুক ফর অ্যাডভেঞ্চার লাভার
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ পোস্ট সংখ্যা -০২ ? প্রারম্ভিকা পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজনের গহীন অরণ্যের রহস্যে মেতে থাকা এই গ্রহের প্রাণীরা এখনো পুরোপুরি রহস্য ভেদ করে উঠতে পারেনি সেই বিশালতার, যে বিশালতার সূচনাই আছে, সমাপ্তি রেখা নেই । আমাজন-ই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট,জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আমাজনের বিশাল আকুলতা , বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগৎ ও উদ্ভিদজগৎ এবং আদিবাসী জীবনের এক মেলবন্ধনের সরলরেখা টেনেছেন লেখক জেমস রোলিন্স তার এই বইতে । এই বইটি আমাজন জঙ্গলের জটিল রহস্য আর মিথোলজি নিয়ে অনেক তথ্য আপনাকে দিবে যা ফুটে উঠেছে বইয়ের পাতায় লেখকের রিসার্চ ওয়ার্কের নৈপুণ্যতায় । অভিযাত্রীরা যে উদ্দেশ্যে আমাজনে পা রাখছে তা কী শেষ পর্যন্ত তারা পূর্ণ করে জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছিলো সভ্য সমাজে ? এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে আমার এই লেখাটি আপনাদের পড়তে হবে শেষ পর্যন্ত । ? চরিত্র পরিচিতি (১) জেরাল্ড ক্লার্ক (২) নাথান র্যান্ড (৩) কেলি ওব্রেইন (৪) ফ্রান্সিস কে. ওব্রেইন (৫) ম্যানুয়েল অ্যাজভেদো (৬) প্রফেসর রেশ কাউয়ি (৭) রিচার্ড জেন (৮) আনা ফঙ (৯) অলিন পাস্তারনায়েক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিরেক্টরেট, সিআই ৫ মিলিটারি সাপোর্ট হিসেবে আর্মি রেঞ্জারের একটি স্বশস্ত্র দল এবং অপ্রধান চরিত্রে আরও অনেকে । ? কাহিনী সংক্ষেপ রহস্য যে জঙ্গলের প্রতিটি পৃষ্ঠায় সায়ানাইডের মতো মিশে থাকে সেই বিপজ্জনক গহীন জঙ্গলে এক সমুদ্র সাহস নিয়ে CIA এর একটি অভিযাত্রী দল মিশন নিয়ে আমাজনের গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন চার বছর পূর্বে । গহীন সেই অরণ্যে তাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছিল প্রতিকূলতা, সেই স্রোতে তারা স্মৃতির গহ্বরে হারিয়ে যেতে থাকে । নিঁখোজ একটা অভিযাত্রী দলের সাথে কী এমন হয়েছিল? এই প্রশ্ন বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের । কিন্তু এর ঠিক চার বছর পরে সেই মিশনে পাঠানো CIA এর স্পেশাল ফোর্সের সৈনিক এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক অস্বাভাবিক দৈহিক পরিবর্তন নিয়ে মূমুর্ষূ অবস্থায় ফিরে আসে আমাজনের একটি মিশনারি গ্রামে । না ফেরা পাখি হঠাৎ ফিরে এসে আবার মৃত্যুর কালো রেখায় প্রাণ বলি দিয়ে বেশ ব্যথিত ও চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো ওয়াশিংটনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের । শুধু এখানেই এই গল্পের সমাপ্তি নয়, এই এজেন্ট যখন আমাজনে গিয়েছিলো তখন তার হাত ছিলো মাত্র একটি, কিন্তু মৃতদেহ পর্যবেক্ষণের সময় দেখা গেলো তার হাত দুইটি । আরেকটি হাত কীভাবে এলো? এই অমোঘ প্রশ্ন বাণ জর্জরিত করছিল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্রেনের টিস্যুকে । আমাজনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নাথান র্যান্ডের নেতৃত্বে রেঞ্জার্সদের একটি দল আবার পাঠানো হলো এই ঘটনাটির রহস্যের শেষটা সকলের সামনে আনতে । মায়াবী চোখের অধিকারীর বয়স বেশি নয়, লম্বা আর কোঁকড়া,বাদামি রঙের চুলে আবৃত নাথান র্যান্ড পেশায় ব্রাজিলের একজন বোটানিস্ট। চার বছর আগে,যে দলটি আমাজনের গহীন অরণ্যে হারিয়ে গিয়েছিলো তার টিম লিডার ছিলেন তারই বাবা । অপারেশন আমাজনিয়ায় সিভিলিয়ান ইউনিটে ৫ জন, স্থানীয় রিক্রুটে ৩ জন এবং পর্যাপ্ত মিলিটারি সাপোর্ট নিয়ে তৈরি করা হলো অভিযানের টিমটি । প্রায় একই সময়ে একটি অজানা মরণব্যাধি ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় । সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা । কোন প্রতিকার না পেয়ে সারা দেশে ঘোষণা করা হয়েছে রেড এলার্ট । অভিযাত্রী দল কী পারবে সেই ভাইরাস এবং আমাজনের প্রতিকূলতাকে নাগপাশ করে রহস্যের মুকুট ছিনিয়ে আনতে ? এই এতো বিক্ষিপ্ত প্রশ্নকে পায়ে পিষে অভিযাত্রী দলটি আমাজনে পৌঁছায় । এতো এতো প্রতিকূলতার ভিতরে তাদের পিছু নেয় একের পর এক শত্রুপক্ষ । এখানে উল্লেখ্য যে, আমাজনে প্রাচীনকাল থেকেই অভিযাত্রীরা যাত্রা করতো মূলত গুপ্তধনের সন্ধানে । অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করতো, গহীন এই জঙ্গলের ভিতরেই কোথাও লুকিয়ে আছে "এলডোরাডো" (Eldorado) নামক সোনা দিয়ে তৈরি এক গুপ্ত শহর । এই ধারণাটি তারা পেয়েছিলো গ্রীক পৌরাণিক গল্প থেকে যেখানে বলা হয়েছে যে "এলডোরাডো" নামক সোনায় মোড়ানো শহরটি পাহারা দেয় এক শ্রেণির বিশেষ নারী যোদ্ধারা । শত্রুপক্ষের উদ্দেশ্য কী গুপ্তধন হাতিয়ে নেয়া? নাকি তারা আমাজনের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব জারি রেখে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদের সাম্রাজ্য । এদিকে অভিযাত্রী দলের সদস্যরা আমাজনের গহীনে এগিয়ে অদ্ভুত আকৃতির পিরানহার আক্রমণে প্রাণ যায় সদস্যের । এরই ধারাবাহিকতায় অভিযাত্রী দল পঙ্গপাল এবং বৃহৎ কুমিরের মুখোমুখি হয়, তাদের বেঁচে থাকা কঠিন সমীকরণে রুপ নেয় প্রতিটি দিনের আবর্তেই । এক সময় তারা জানতে পারে তাদের গোপণ আক্রমণের প্রস্তুতিতে আছে কোন এক গোত্র । তারা কী ব্যান আলির চিহ্ন রেখে যাচ্ছে? আমাজনের ভিতরে সেই রহস্যময় ভুতুড়ে গোত্র ব্যান আলির অস্তিত্ব কি সত্যিই আছে? এই ব্যান আলির উদ্দেশ্য কী? তারাই বা কারা? অভিযাত্রী দল ষড়ভূজ সমস্যা নিয়ে জর্জরিত, একে তো আমাজনের ভয়ঙ্কর প্রাণীর আক্রমণ অন্যদিকে শত্রুদলের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছিলো । মস্তিস্ক শত্রু ? ব্যান আলি ? ভয়ঙ্কর প্রাণীর আক্রমণ ? গুপ্তচর শত্রু ? অচেনা ভাইরাসের আক্রমণ ? না কি প্রতিশোধের কালো রেখায় প্রাণ যাবে সকলের ? এদিকে অদেখা সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কেলি ওব্রেইন এর একমাত্র মেয়ে, এতো মৃত্যুর মিছিলে কী তারা খুঁজে পাবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচার কোন প্রতিষেধক? বইয়ের শেষাংশে, কেলির গর্ভে যে সন্তান এলো তার বাবা কে? আপনাদের জানতে আগ্রহ হচ্ছেনা, এতো এতো প্রশ্নের সমাপ্তি রেখা কী টানতে পারবে নাথান র্যান্ডের অভিযাত্রী সেই দল? তারা কী বের হতে পারবে জঙ্গলের এই জটিল ধাঁধার ব্রাকেট ভেঙ্গে? না কি তারাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তাদের পূর্বসূরী অভিযাত্রীদের মতো । তারা কী উদঘাটন করতে পারবে এই কালো মেঘের পিছনে লুকিয়ে থাকা জটিল রহস্যের গোপন সূর্যকে ? সেই উত্তেজনার পারদ পুরোটা অনুভব করার জন্য এক নিঃশ্বাসে ধৈর্য্য ধরে পড়ে ফেলতে হবে এই থ্রিলার বইটি । ? পাঠ প্রতিক্রিয়া (ক) পজেটিভ দিক প্রথম পয়েন্ট : সবুজ প্রকৃতি হলো চোখের শান্তি, এই বইয়ে লেখক আমাজনের ভিতরের যে রুপ, বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় । বই পড়ার সময় পাঠক কল্পনায় সেই দুর্গম পথের যাত্রায় অবচেতন মনে কখন যে যুক্ত হয়ে যাবেন তা হয়তো বই পড়তে পড়তে ভুলেই যাবেন পাঠক । খুব কম বইয়ের সাথেই এই যোগসূত্রটা স্থাপন করা যায়, যা লেখক করে দেখিয়েছেন তার লেখার জাদুকরী হাতে । জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আমাজনের বিশাল আকুলতা , বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগৎ ও উদ্ভিদজগৎ এর এই মেলবন্ধনের সমন্বয় ছিলো যথোপযুক্ত । দ্বিতীয় পয়েন্ট : জঙ্গলের গহীন বালুচরে পথ চিনে গন্তব্য পৌঁছানোই যেখানে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে প্রতি পদে পদে থ্রিল, ভয়, আতঙ্ক এবং বেঁচে ফিরে আসার এই ভ্রমণে পাঠক হিসেবে আমি ছিলাম উন্মাদনার তুঙ্গে । পাঠক হিসেবে আমাকে টুইস্ট আমার খুবই পছন্দের মেন্যু, আর এই বইটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে টুইস্ট ও টার্নিং পয়েন্ট আছে । একজন থ্রিলার প্রেমী পাঠক হিসেবে তাই বইটি আমাকে চুম্বকের মতো টেনে ধরে রাখতে পেরেছে, যার ক্রেডিট পুরোটাই এই টান টান থ্রিলার বইটির লেখকের । তৃতীয় পয়েন্ট : এটি লেখকের অনেক গবেষণালব্ধ একটি সৃষ্টি, বইটির জন্য লেখকের রিসার্চ ওয়ার্ক অনবদ্য । চমকে যাওয়ার মতো অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেই লেখক এই বইটির এই রুপ দিয়েছেন । বইয়ে আছে প্রাচীন মিথোলজির দুর্দান্ত প্রয়োগ , যা বইয়ের প্লটকে এনে দিয়েছে একটি সতন্ত্র স্বত্বা । পুরো পৃথিবী স্থবির করে দেয়া প্রাণঘাতী ‘ করোনা ’ ভাইরাসের তান্ডব দেখা এই পৃথিবী এই ভাইরাসের সাথে বারবার বইয়ের সেই উল্লেখিত ভাইরাসের মিল খোঁজার চেষ্টায় রত হয়ে যাবে । লেখক কী রীতিমত একটা ভবিষ্যত বাণীই করে গিয়েছিলেন যে ভবিষ্যতে এমন ভাইরাস পৃথিবীতে আসবে? সেই দিক বিবেচনা করলে লেখককে ক্ষণজন্মা গবেষক বলাও ভুল হবেনা । চতুর্থ পয়েন্ট : প্রধান বা অপ্রধান দুই ধরণের চরিত্রই সব উপন্যাসে থাকে, এই বইয়েও লেখক প্রধান চরিত্রগুলোকে সময় নিয়ে লিখেছেন, প্রধান চরিত্রগুলো যথাযোগ্য মেলে ধরার সময় পেয়েছে উপন্যাসে । চরিত্রের ভিতরে দুঃসাহসী মনোভাব এবং অদম্য এক শক্তির স্ফুরণ লেখক বেশ সুন্দর করে মাধুরী মিশিয়ে এঁকেছেন, প্রতিটি চরিত্রেরই সতন্ত্র একটা বৈচিত্র্য ছিলো, ছিলো একটা নিজস্ব মনোভাবও । কোন একটা চরিত্রের যন্ত্রণা পাঠককে অনুভব করাতে পারা লেখকের বড় সাফল্য । পঞ্চম পয়েন্ট : রহস্যের পর্দা ভেদ করার আগ্রহ যেন প্রতিটি মানবদেহের জিনেই কম বেশি আছে । কীভাবে একজন এজেন্টের একটি হাত থেকে দুটি হাত হয়ে গেলো? কীভাবে অচেনা এক ভাইরাস এতো মানুষের প্রাণ নিয়ে মৃত্যুক্ষুধায় মেতেছিলো? জঙ্গলে ভিতরে এতো এতো বিরোধী পক্ষের সাথে কী শেষ পর্যন্ত পেরে উঠবে অভিযাত্রী দল? এই রহস্য গুলোর মেঘে বসবাস করতে করতে পাঠক নিজেকেও অভিযাত্রী দলের একজন ভেবে সেই প্রতিকূলতার মোকাবিলা করবে । এই যে আকর্ষণ এই যাত্রার প্রতি এই আকর্ষণের মোহে পাঠক জড়িয়ে যাবে । উপন্যাসের শেষাংশের প্রতিটি পৃষ্ঠা উত্তেজনার পাশাপাশি অজানা তথ্য ও টুইস্ট দিয়ে চমকপ্রদ করে যাবে পাঠককে । পাঠকের হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে, উন্মাদনার চরম শিখরে থাকবে পাঠকের মন, এবং দুর্দান্ত এক সমাপ্তিতে শেষ করবে এই উপন্যাস । (খ) নেগেটিভ দিক প্রথম পয়েন্ট : অজস্র চরিত্রের ছড়াছড়ি হয়েছে এই উপন্যাসে ! এতো এতো চরিত্রকে মাথায় রেখে পূর্বের পৃষ্ঠার সাথে সম্পর্ক গড়ে পড়তে পাঠককে বেশ কৌশলী হতে হবে । অনেক অপ্রধান চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে উপন্যাসে সেই চরিত্রগুলোর সাথে সম্পর্ক সেভাবে গড়ে উঠবে না পাঠকের মনে । দ্বিতীয় পয়েন্ট : ইমোশনাল এ্যাটাচমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, চরিত্রগুলোর সাথে ইমোশনালি এ্যাটাচ না হতে পারলে ইমোশন যেভাবে তুলে ধরা হয় বইয়ে তা পাঠকের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনা । মা ও মেয়ের মধ্যে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্ক, কেলি ওব্রেইন ও তার মেয়ের মধ্যে সম্পর্কের টান যেমন অনুভূত হয়েছে, তেমনি ভাবে অন্য সম্পর্কগুলো ইমোশনালি এটাচ করতে পারেনি । এটাই এটাচমেন্টটা আরেকটু গভীর হলে হয়তো আরও উপভোগ্য হতে পারতো । তৃতীয় পয়েন্ট : উপন্যাসের শুরুতে প্রধান অ্যান্টাগোনিস্ট ( প্রতিপক্ষ ) কে যেমন আগ্রাসীভাবে দেখানো হয়েছে, পাঠক বইয়ের শেষে তার ভিতরে আরও আগ্রাসনের আশা করে থাকলে একটু হতাশ হতেও পারে । চতুর্থ পয়েন্ট : ব্যতিক্রম কিছু সব সময়ই পাঠকের চোখকে আকৃষ্ট করে, আর গতানুগতিক কিছু ঘটলে চোখের সামনে সেটা কখনো কখনো বিরক্তির রেখাও টেনে ধরে । উপন্যাসের কিছু ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্য একটু কমন প্রসেসে দেখানো হয়েছে । মাঝে মাঝে মনে হতে পারে সিনেমাটিক ওয়েতে শেষ করে, দুইয়ে দুইয়ে চার শেষে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে । ? বইটি কেন আপনি পড়বেন? জঙ্গল যার চোখে জ্যামিতিক হারে আকর্ষণের জাল বিস্তার করেনা তার চোখেই সমস্যা—বাণীটা হয়তো বিখ্যাত কারও নয় এই ক্ষুদ্র আমারই লেখা । এই বই পড়তে পড়তে একসময় জঙ্গলের প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন আপনি এতটুকু বলতে পারি । জীবনে প্রচুর জঙ্গল নিয়ে মুভি ও ডকুমেন্টারি দেখেছি, জঙ্গল এর দৃশ্য দেখা যেন চোখের শান্তি হয়ে গেছে আমার । এই বই পড়েও পাঠক কল্পনায় আমাজনের সেই গহীন অরণ্যে ডুব দিয়ে বইয়ের প্রতি পৃষ্ঠাতে উত্তেজনার আবহ, অজানা তথ্য ও টুইস্টের জন্য প্রহর গুণে যাবে । আমাজনের শান্ত এবং হিংস্র দুই ধরণের সৌন্দর্যই বইয়ের পাতায় পাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক । বইটির শুরু থেকে শেষ অবধি রহস্যের চাদরে ঘেরা,তাই যারা টুইস্ট পেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি মাস্ট রীড একটি বই । ? সম্পাদনা, প্রচ্ছদ, বাঁধাই ও অনুবাদ সম্পাদনা বা বাঁধাই নিয়ে আমার কোন দ্বিধাই নেই এই বইয়ে , সম্পাদনা বেশ ভালো এবং বাঁধাইও ছিলো মানসম্মত । তবে যে প্রচ্ছদটি আছে এখনো বইয়ে সেটা খারাপ বলবো না আরও ভালো এবং জলজ্যান্ত একটা আপডেট ভার্সনের প্রচ্ছদ আমরা আশা করতেই পারি ডিলান স্যারের থেকে । যেহেতু ইংরেজি ভার্সনের বইটা আমি আগেই পড়েছিলাম তাই একটা শঙ্কা ছিলো, অনুবাদ কেমন হয়! ভালো না মন্দ? রাকিব হাসানের অনুবাদ পড়ে কখনো মনে হয়নি যে অনুবাদ করা বই পড়ছি, অনুবাদের ভাষা ছিলো যথোপযুক্ত, তার শব্দ চয়ন ও লেখনশৈলী ছিল অনবদ্য । ? ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৬/৫ ? লেখক পরিচিতি একাধিক বেস্টসেলার অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলারের লেখক জেমস রোলিন্সের জন্ম ১৯৬১ সালে আমেরিকার শিকাগোতে। ইউনিভার্সিটি অব মিশৌরি থেকে ভেটেনারি মেডিসিনের উপর পড়াশুনা করলেও পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ লেখক হবার জন্যে ত্যাগ করেন সেই পেশা। ছোটোবেলা থেকেই বই আর অ্যাডভেঞ্চার লেখার প্রতি দারুণ আগ্রহী রোলিন্স, ফারাও রাজা তুতেন খামেনের কবর আবিষ্কারক হাওয়ার্ড কার্টারের জীবনকাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেন লেখালেখি । রোলিন্স ব্যক্তিগত জীবনে একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ, তার প্রায় প্রতিটি রচনাতেই দেখা যায় অ্যাডভেঞ্চারের ছাপ । জেমস রোলিন্স বর্তমানে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন । ? বই পরিচিতি বইয়ের নাম : আমাজনিয়া মূল লেখকঃ জেমস রোলিন্স জনরাঃ থ্রিলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ডিলান মুদ্রিত মূল্যঃ পাঁচশত আশি টাকা মাত্র প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪১৫ অনুবাদক : রাকিব হাসান ? বই ফটোগ্রাফি রুদ্র রহমান
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ জঙ্গল যতটা সুন্দর ঠিক ততটাই ভয়াবহ! হারিয়ে যেতে চান দূর্গম জঙ্গলের অপরূপ সৌন্দর্যে? সাক্ষী হতে চান ভয়ংকর কিছু বিপদের? তাহলে জেমস রোলিন্স এর “আমাজনিয়া” আপনার জন্য। আমাজনিয়ার পৃষ্ঠায় চোখ রাখুন আর নিজেকে আবিষ্কার করুন আমাজনিয়া অরণ্যে। ◼️পাঠ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা— “আমাজনিয়া” বইটি জেমস রোলিন্স এর অমর সৃষ্টি। আমাজনিয়ার প্রশংসা করতে গিয়ে শুধু ‘সুন্দর’ বিশেষণটি লিখলে কেন যেন ভুল ঠেকে আমার কাছে। তাই সুধরে নিয়ে লিখতে হয় ‘ভয়ংকর সুন্দর’। হ্যাঁ, আমাজনিয়া ভয়ংকর সুন্দর, যার সৌন্দর্যের কোণায় কোণায় ওতপেতে আছে অজানা, ভয়ংকর বিপদ। যে বিপদ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় আমাজনিয়ার গভীর থেকে গভীরে। বুকের ঢিপঢিপ আওয়াজকে সঙ্গী করে ছুটে চলতে হয় আমাজনিয়ার রহস্যের পিছনে। একবার প্রবেশ করলে ফেরার পথ বন্ধ! এডভেঞ্চার পিপাসু পাঠকেরা তো এরকমই কিছু চায়। নয় কি? আমিও একজন এডভেঞ্চার পিপাসু। কখনো কখনো খুউব ইচ্ছে করে এডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়তে। কিন্তু বিভিন্ন পিছুটানে তা আর হয়ে ওঠে না। তবে বইপ্রেমী হিসেবে ঘরে বসে এডভেঞ্চারের স্বাদ গ্রহন করার সুযোগ তো রয়েছেই। তাই হাতে তুলে নেই “আমাজনিয়া” বইটি আর নাথান র্যান্ডের দলে অদৃশ্য সদস্য হিসেবে যোগ দেই এডভেঞ্চারে, ছুটে চলি রহস্যের পিছনে। কী সেই রহস্য? পৃথিবীর সবচাইতে বিপদসংকুল অরণ্যে সিআই এর এক অপারেটিভ এবং সাবেক স্পেশাল ফোর্সের সৈনিক এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক মৃত্যুরদ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়ে হাজির হয়েছে এক মিশনারী গ্রামে। এজেন্টের মৃত্যুতে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হতবুদ্ধিকর অবস্থা। জেরাল্ড ক্লার্ক যখন আমাজনে গিয়েছিল তখন তার হাত ছিল একটি কিন্তু মৃত্যুর সময় দেখা গেল তার দুটি হাত! চার বছর থেকে নিখোঁজ এজেন্ট ক্লার্ক ফিরে আসায় রহস্য শেষ হওয়ার কথা। আসলেই কী শেষ হবে? সবেমাত্র শুরু........ আমাজনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নাথান র্যান্ড এর নেতৃত্বে রেঞ্জার্সদের একটি দল পাঠানো হলো রহস্যময় ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য। এজেন্ট ক্লার্ক এর ফেলে আসা পথ আর রেখে যাওয়া চিহ্ন অনুসরণ করতে করতে এগিয়ে চলে দলটি, সেই সাথে এগিয়ে চলে উপন্যাসের কাহিনি। তবে এখানে বলে রাখা ভালো, বইটির প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা একটু বন্ধুর। প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা পাড়ি দিতে হয়েছে ভালো না লাগা নিয়ে। এরপরেই আমাজনিয়া আমাকে কব্জা করে ফেলে। টেনে নিয়ে যায় তার গভীরে, আর আমি বিনাবাক্যে যেতে বাধ্য হয়েছি! একে একে পরিচিত হয়েছি বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় প্রাণী, লতাগুল্ম, গাছগাছালির সাথে; জানতে পেরেছি এসবের কার্যকারিতা। বারবার সাক্ষী হতে হয়েছে ভয়াবহ সব বিপদের, বুকের ঢিপঢিপ আওয়াজ বেড়ে হৃৎপিণ্ড লাফিয়ে বের হয়ে আসার মতো অবস্থা। ব্যান আলি গোত্রের প্রতিনিধিত্বকারী ওতপেতে থাকা শিকারী প্রাণীগুলো তাদের শিকার সংগ্রহ করে নিতে শুরু করে নিষ্ঠুরভাবে। ধীরে ধীরে দলটির সদস্য কমতে থাকে। এতসব বিপদের দেখা পেয়ে নিজের অজান্তে মনে উদয় হয়, দলটি পৌঁছাতে পারবে তো? বেশকিছু চরিত্র আছে বইটিতে। নামগুলো মনে রাখা কিছুটা কঠিন। তবে পড়তে পড়তে আয়ত্তে এসে যায়। জটিল জটিল চরিত্রগুলো সম্পর্কে জেনে অবাক হওয়ার দশা। কোনো কোনো চরিত্রের সাহসীকতা, কর্মদক্ষতা আর জ্ঞানের পরিধি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আবার কিছু চরিত্রের প্রতিশোধের স্পৃহা, পাশবিকতা, নিষ্ঠুরতা দেখে শিউরে উঠেছি। প্রিয় চরিত্রের তালিকায় রয়েছে নাথান র্যান্ড, ম্যানুয়েল অ্যাজভেদো, প্রফেসর কাউয়ি এবং কেলি ওব্রেইন। তবে মনে দাগ কেটেছে যে চরিত্রটি সে হচ্ছে নাথান র্যান্ড। বাবাকে খুঁজতে গিয়ে সবকিছু বিসর্জন দিয়ে চষে বেড়িয়েছে পুরো আমাজন বন। আমাজনে বসবাসকারী ক্ষুদ্র পতঙ্গ থেকে শুরু করে বৃহৎ প্রাণী, লতাগুল্ম, শেওলা সবই তার নখদর্পনে। শুধু কী জ্ঞানী! সাথে আছে বুকভরা সাহস— এক ইন্ডিয়ান মেয়ের জীবন বাঁচাতে নেমে পড়ে যমদূত সমতুল্য বিশাল দানব আকৃতির এনাকোন্ডার সাথে কুস্তি লড়তে, দলের লোকদের বিপদে বারবার ঝাপিয়ে পড়েছে সে'ই আগে। অপ্রিয়, ঘৃণিত চরিত্রের তালিকায় জায়গায় পেয়েছে লুই ফ্যাভ্রি, সুই এবং জেন। পাষাণ, নির্মম, নিষ্ঠুর উপাধিগুলো এদের নামের পাশেই মানায়। একটা মানুষ কতটা হিংস্র হলে জীবন্ত মানুষের মুখমণ্ডলসহ পুরো মাথার চামড়া তুলে নিতে পারে! বইটি পড়ার সময় এদের নাম চোখে পড়া মাত্রই ঘৃণা বৃদ্ধি পেয়েছে চক্রবৃদ্ধিহারে। উপন্যাসের ভিলেন হিসেবে দারুণ খেল দেখিয়েছে। “আমাজনিয়া” জেমস রোলিন্স এর দুর্দান্ত রহস্যময়, লোমহর্ষক, টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এক এডভেঞ্চারের নাম। এডভেঞ্চার কিংবা থ্রিলার দুই শ্রেণির পাঠকের কাছেই ভালো লাগার মতো একটি বই। বইটির ভিতরে একবার প্রবেশ করলে বের হওয়া মুশকিল। রোলিন্স সাহেবের দেয়া অপ্রত্যাশিত টুইস্ট মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো অবস্থা। রাকিব হাসানের অনুবাদ প্রথমদিকে একটু খাপছাড়া লেগেছিল বটে তবে কিছুদূর পর সাবলীলতায় রূপ নিয়েছে। এরপর আর অনুবাদ নিয়ে কোনো প্রশ্ন উদয় হয়নি। বানান ভুল পড়ার গতিতে ভিলেন সেজে বাধা দিতে আসেনি তবে টাইপিং মিস্টেক এর সংখ্যাটা বেশি ছিল। পড়ার গতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি বারবার। আশাকরি পরবর্তী মুদ্রণে সংশোধন করা হবে। বাতিঘরের প্রোডাকশন নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছে কিন্তু আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদটিও মানানসই। এডভেঞ্চার কিংবা থ্রিলার পাঠক হয়েও যদি এই সেরা উপন্যাসটি না পড়ে থাকেন তাহলে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। রেটিং:- ৮.৫/১০ ◼️বই: আমাজনিয়া ◼️মূল: জেমস রোলিন্স ◼️অনুবাদ: রাকিব হাসান ◼️প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী ◼️মুদ্রিত মূল্য: ৫৮০ টাকা ✍️ মাসুদ রানা।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ একটি বই!!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা এডভেঞ্চার থ্রিলার। একবার বই নিয়ে বসলে শেষ না করে উঠতে মন চায় না।
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি কাহিনী। থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার ও বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয় 'আমাজনিয়া'।
Was this review helpful to you?
or
Great story telling beside amazing characters. After all great book for adventure lovers....
Was this review helpful to you?
or
Fine
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা এডভেঞ্চার থ্রিলার বই। ক্লাইম্যাক্সটা জাস্ট অসাধারণ ??
Was this review helpful to you?
or
আমাজনিয়া শ্বাসরুদ্ধকর একটি থ্রিলার বই।ইন্ডিয়ানা জোন্স এর ভক্তদের জন্য লুপে নেওয়ার মতো একটি বই।পরিচয় করিয়ে দিবে আমদজনের ভয়ংকর সব পরিবেশের সাথে।বিভিন্ন গোত্র ও তাদের জীবনের সাথে।বইটি পড়ার
Was this review helpful to you?
or
Valo legeche....
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই! বইটি পড়ে জেমস রোলিন্স এর ফ্যান হয়ে গেলাম! এক মুহূর্তের জন্য বই থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না
Was this review helpful to you?
or
vhalo
Was this review helpful to you?
or
অনেক জোস বই বাট অনুবাদ টা আরো সাবলীল হলে ভালো হত বাট খারাপ নাহ।
Was this review helpful to you?
or
Amazing ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ বই❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
exciting
Was this review helpful to you?
or
Such a nice book anyone can read. An adventure will take you to the Amazon while reading this book. Highly recommended to those who like adventure and thriller.
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ, অনবদ্য বই ড্যান ব্রাউনের। ধন্যবাদ রকমারি কে ?
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Awesome Book 3 3
Was this review helpful to you?
or
Currently reading Amazonia!!!!! It's amazing!!! REALLY I feel like I'm in Amazon!
Was this review helpful to you?
or
This books were very good. I like it. ????
Was this review helpful to you?
or
??????
Was this review helpful to you?
or
10
Was this review helpful to you?
or
Service is good.
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভাল বই তবে আমার আরও প্রত্যাশা ছিল।
Was this review helpful to you?
or
অতুলনীয়
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Best of the ever.
Was this review helpful to you?
or
শ্বাসরুদ্ধকর একটা থ্রিলার!প্রতি মূহুর্তে নতুন চমক হাজির করবে আপনার সামনে!দম আটকে যাবে সাসপেন্সে!এক কথায় অসাধারণ! হ্যাপি রিডিং!?
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
BEST....PRO MAX
Was this review helpful to you?
or
দারুন, এককথায়। পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম মনে মনে অামি এমন একটা বইই খুজতেছিলাম, যেখানে রোমাঞ্চকর প্রতিটা কাহিনী অামাকে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
Excellent book
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনের সেরা আ্যডভেঞ্চার বইগুলোর মধ্যে একটা। খুবই ভালো লেগেছে বইটা।
Was this review helpful to you?
or
Best books ever
Was this review helpful to you?
or
অনেক অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
good Book
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
Good, very good
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
কাল রান্ড নামের একজন ডাক্তার ইকো-টেক নামের এক পরিকল্পনা হাতে নেন।আমাজন জঙ্গলের হাজারো উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের পারস্পারিক জীবনধারনের রহস্য খুঁজে বাহির করা এবং আমাজনীয় স্থানীয় সব গোত্র যারা আমাজনের সকল প্রতিকূলতা জয় করে হাজারও বছর ধরে টিকে আছে তাদের সেসব গোপন রহস্য উদ্ধার করে নতুন কোনো প্রতিষেধক তৈরী করায় ছিল কাল রান্ডের উদ্দ্যেশ্য। এই উদ্দ্যেশ্যে স্পেশ্যাল টিম নিয়ে আদমশুমারী এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য যাত্রা করেন আমাজনের গহীনে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ডাঃ রান্ডের দলটি হারিয়ে যায় আমাজনের গহীনে।দলটির সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।তারই দু-সপ্তাহ পরে নিখোঁজ টিমের কাছ থেকে উদ্বেগকারী সর্বশেষ মেসেজটি পাওয়া যায় : "সাহায্য পাঠাও...বেশি সময় টিকতে পারছি না। ওহ ঈশ্বর! ওরা আমাদের চারপাশে ঘিরে আছে। এরপরই টিমটি গভীর জঙ্গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া শিল্পপতি ডাঃ রান্ড তার ত্রিশ সদস্যের আন্তজার্তিক গবেষণা দল ও গাইডদের খোঁজার জন্য দীর্ঘ তিনমাস ধরে গভীর তল্লাশী চালানোর পর অনুসন্ধানকারী দলটিকে তাদের অনুসন্ধান স্থগিত করতে বলা হয়।।অনুসন্ধানকারী দলকতৃক সকল খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য,প্রতিবছরই গবেষক,আবিস্কারক,ভ্রমণবিদ ও মিশনারি লোকজন আমাজনে হারিয়ে যায়,যাদেরকে কখনও খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক তার চার বছর পরেই সিআইএ'র এক অপারেটিভ এবং সাবেক স্পেশ্যাল ফোর্সের সৈনিক এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক মৃত্যুরদ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে হাজির হলো এক মিশনারি গ্রামে।সেই এজেন্ট ছিল চার বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া দলের একজন। এবং অবিশ্বাস্য ব্যাপার এই এজেন্ট যখন আমাজনে গিয়েছিল তার হাত ছিল একটি কিন্তু মৃত্যুর সময় দেখা গেলো তার দুটি হাত। তারমানে মৃত্যুপথযাত্রী ক্লার্কের আরেকটি হাত আমাজন থেকে গজিয়েছে? কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব? পুরো দলটা যেখানে নিখোঁজ সেখানে ক্লার্ক তার গজানো হাত নিয়ে কিভাবে ফিরে এলো? প্রশ্ন থেকেই যায়, নেই কোনো উত্তর... চার বছর পরে ক্লার্কের আর্বিভাব এবং তার নতুন হাত সৃষ্টির অনুসন্ধানের জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রেঞ্জার্সদের আরও একটি টিমকে আমাজনে পাঠানো হলো। ঠিক যেনো চার বছরের অতীত পুনরাবৃত্তি। অচিরেই দলটি টের পেলো তাদের পেছনে কেউ অনুসরণ করে আছে।বুঝতে তাদের বাকি রইলো না জঙ্গলের প্রতিটা পদক্ষেপে একটু ভুল হলেই যেনো নিশ্চিত মৃত্যু।জঙ্গলটা যেনো জীবন্ত এক হিংস্র প্রাণীর স্বরুপ। আমাজনের অব্যাখ্যাত রহস্য,অজানাশত্রু ও আক্রমণ,অজ্ঞাত রোগব্যাধি সব মিলিয়ে কঠিন এক সত্যের মুখোমুখি দলটি কিন্তু এখান থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে যাওয়াটা তাদের পক্ষে অসম্ভব। ব্যাক্তিগত মতামত : রহস্য মানে এক অন্যরকম অনুভূতি আবার সেখানে যদি আমাজনের মতও আ্যডভেঞ্চার থাকে তাহলে তো বলার অবকাশই থাকে না।আমাজনিয়া দিয়েই রোলিন্স সাহেবের সাথে পরিচয়।নিঃসন্দেহের এটি আমার পছন্দের সেরা বই।রোলিন্স সাহেবের ভক্তও হয়ে গেছি বলা যেতে পারে।ইচ্ছে আছে সিগমা ফোর্স,আইস হান্টার,সাবটেরেনিয়ান,এক্সক্যাভেশন শেষ করার। আমাজনিয়া নিয়ে বলতে গেলে এই বইয়ে টুইস্টের শেষ নেই।ব্যাক্তিগতভাবে এই বইয়ের কোনো খারাপ দিক আমার কাছে ফুটে ওঠে নি। মাঝে মাঝে পড়তে যেয়ে নিজেকে এমন জায়গায় আবিষ্কার করবেন যেনো মনে হবে হাড়হীম করা ভয়ের মাঝে আপনি বইটি উপভোগ করছেন।কখনও রেঞ্জার্সদের সাথে আপনিও আছেন মনে হতে পারে। ৪১৫ পৃষ্ঠার বইটা পড়তে একটুও বিরক্তি আসে নি বরং একের পর এক পেইজ খুঁটিয়ে পড়েছি,রহস্য,আ্যডভেঞ্চারের জায়গাগুলো দুইবার করে পড়েছি যেনো একটা শব্দ বাদ না পড়ে।বাকিটা আপনিই বুঝে নিন। এই বই নিয়ে বলার শেষ নেই।থ্রিলার,আ্যডভেঞ্চার পড়া এমন পাঠক নেই যারা আমাজনিয়া সর্ম্পকে জানে না। এটা বই না,এটা আমাজনে প্রবেশের কোনো সুড়ুঙ্গ,যেখান দিয়ে ঢুকে আপনি আমাজনে যেতে পারবেন।বইটা হাতে নিয়ে বসে যান,কিছুপরে নিজেকে আমাজনের মাঝে আবিস্কার করবেনই পাক্কা। সর্বোপরি প্রকাশক এবং অনুবাদককে ধন্যবাদ জানায় এত চমৎকার একটি বই পাঠককে উপহার দেওয়ার জন্য। দুয়েক জায়গায় বানানের ত্রুটি থাকলেও পাঠকদের এটা বোঝার মতও সাধ্য থাকার কথা।তাই কোনো অভিযোগ নেই। তাছাড়া এত সুন্দর একটা বই পাঠকরা উপভোগ করেছে এটাই অনেক বলে মনে করি।কারণ অনুবাদক আর প্রকাশনী ছাড়া তা অসম্ভব ছিল। ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদ বরাবরের মতই দারুণ। কভার টা এতটাই সুন্দর যে বইটা সেল্ফে সব বইয়ের সামনে রাখতেই ইচ্ছে করবে। বই : আমাজনিয়া লেখক : জেমস রোলিন্স অনুবাদক : রাকিব হাসান প্রকাশনী : বাতিঘর প্রচ্ছদ : ডিলান পৃষ্ঠা : ৪১৫ মুদ্রিত মূল্য : ৪০০৳ ব্যাক্তিগত রেটিং : ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
পুরাটা বই মাঝ পর্যন্ত ভালই ছিল। কিন্তু মাঝের দিকে গল্পের নাইকা; যার মেয়ে এক মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছিল, সেই মা নেজের অসুস্থ মেয়ের কথা ভুলে এক অপিরিচিত লোকের সাথে বিছানায় জাওাটা পুরাটা কাহিনিকে নোংরা করে দিয়েছে। এই ধরনের বই বাঙালিদের মোটেও পড়া উচিত নয়।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
WOO!
Was this review helpful to you?
or
অস্থির অস্থির। খুব তারাতারি বইটা কিনবো।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি সত্যিই এককথায় অসাধারণ! বইটি পুরোপুরি ভাবে না পড়লে এর আসল মজা উপলব্ধ করতে পারবেন না ; এক কথায় বইটির কোনো স্পয়লার নেই কারণ প্রতিটি পাতায় লুকিয়ে আছে চরম রোমান্ঞ্চ । বইটি পরার সাথে যদি কল্পনা করতে পারেন তাহলেই এর স্বাদ অনুভব করতে পারবেন! আমার কথা বলতে গেলে জেমস রলিন্স এর লেখার প্রেমে পরে গেছি
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপ:- এক রাতে ব্রাজিলে আমাজনের এক ছোট গ্রামে হঠাৎ করেই উপস্থিত হল এক অসুস্থ ব্যক্তি জেরাল্ড ক্লার্ক। গ্রামের পাদ্রীর একান্ত চিকিৎসার পরেও সেই রাতেই মারা গেল ক্লার্ক। অনুসন্ধানে জানা গেল ক্লার্ক হচ্ছে স্পেশাল ফোর্স এর একজন সাবেক সৈনিক এবং সিআইএ এজেন্ট।তার মৃত্যু সংবাদে নড়েচড়ে বসতে হলো অনেক হোমরাচোমরা ব্যক্তিকে। প্রথম কারন, চার বছর আগে একদল অভিযাত্রী আমাজনে যাওয়ার একমাসের মাথায় গায়েব হয়ে যায়। অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাদের কারো হদিস।জেরাল্ড ক্লার্ক ছিল সেই অভিযাত্রী দলের সদস্য। এতো দিন পর কোথা থেকে উদয় হলো সে? বাকি সদস্য রা কোথায়? তারাও কী বেঁচে আছে?কী পরিনতি বরন করতে হয়েছে তাদের?? দ্বিতীয় কারণ,চার বছর আগে যখন ক্লার্ক অভিযানে যায় তখন তার হাত ছিল একটা। কিন্তু আট বছর পর ফিরে এসে তার হাত দেখা যাচ্ছে দুটো। জী হ্যা, একদম আসল হাত।যেন টিকটিকির লেজের মত করে গজিয়ে গেছে তার কেটে ফেলা হাত। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করে দেখা গেল এটা সত্যি তারই হাত।এটা কিভাবে সম্ভব? তাহলে কি আমাজনের গহিন অরণ্যে এমন কোন ঔষুধি গাছ আছে যা দিয়ে গজাবে মানুষের হারিয়ে যাওয়া অঙ্গ প্রত্যঙ্গ?? তৃতীয় কারন, ক্লার্ক এর লাশ পোস্টমর্টেম করে দেখা গেল তার শরীরের ভেতর অচেনা সব ক্যান্সার এর জিবানু তে ভর্তি। তারচেয়েও ভয়াবহ হচ্ছে তার লাশ যেসব জায়গা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সেসব জায়গা সহ পুরো আমারিকাতে ছড়িয়ে পড়েছে অচেনা এক ভাইরাস। আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা।আর দুই দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে চিকিৎসা করার পড়েও।সারা দেশে ঘোষণা করা হয়েছে রেড এলার্ট। কোথায় থেকে আসলো এই অচেনা ভাইরাস?এই ভাইরাস এর ওষুধ কী পাওয়া যাবে আমাজনে?? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নতুন করে অভিযান শুরু করার জন্য তৈরি করা হলো টিম। ভয়ঙ্কর এই জঙ্গলে দুর্বলের কোন জায়গা নেই। দলের অন্যতম সদস্য এবং গল্পের নায়ক ড. নাথান র্যান্ড,যে চার বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া দলের প্রধান ড. কার্ল র্যান্ড এর একমাত্র ছেলে। দলের প্রধান ফ্রাঙ্ক ওব্রেইন একজন সিআইএ এজেন্ট,তার জমজ বোন ডা. কেলি ওব্রেইন একজন আমেরিকান ডাক্তার এবং গল্পের নায়িকাও। প্রফেসর কাউই একজন রেড ইন্ডিয়ান শামান(ওঝা) এবং নাথান এর বন্ধু। ম্যানুয়েল একজন বায়োলজিস্ট এবং নাথান এর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, আর আছে তার পোষা জাগুয়ার টরটর।দলে এছাড়াও আছে আরো কিছু সিভিলিয়ান সদস্য এবং আটজন আর্মি রেঞ্জারের একটি স্বশস্ত্র দল। শুরু হলো যাত্রা, কিন্তু যতটা সহজ মনে হচ্ছিল ততটা সহজ নয় আমাজন।প্রতি পদক্ষেপেই নতুন নতুন বাঁধা আসছে। অদ্ভুত আকৃতির পিরানহার আক্রমণে মারা যাচ্ছে সদস্যরা। জীবন হাতে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে সবাইকে। এতদিন জানতাম পিরানহা মাছ পানিতে থাকে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ডাঙ্গাতেও আক্রমণ করছে এরা ব্যাঙ এর মতো লাফিয়ে লাফিয়ে। কি অদ্ভুত!!! যতোই সামনে যাচ্ছে দল, ততই বাড়ছে বিপদ। আবার হলো আক্রমণ, এবার অস্বাভাবিক বড় বড় পঙ্গপালে ছেয়ে গেল আকাশ। অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল এক রেঞ্জার।লেক পার হওয়ার সময় আক্রমণ করে বসল একশো ফুট লম্বা দানব আকৃতির কুমির।কুমির এর আকৃতি কি এতো বড় হতে পারে? হতে পারে যদি জায়গা টা হয় আমাজন বন!!! জানা গেল এইসব আক্রমণ এর পেছনে হাত আছে ব্লাড জাগুয়ার নামের এক গোত্রের।যেই গোত্রের গ্রাম পাহাড়া দেয় বিশাল বিশাল আকৃতির একদল জাগুয়ার। তাঁরা এঁকে দিয়ে যাচ্ছে ব্যান অ্যালির চিহৃ,যা ডেকে আনছে মৃত্যু। কী এই ব্যান অ্যালি?যার জন্য মারা যাচ্ছে সবাই?? শত্রু শুধু ব্যান অ্যালি বা অদ্ভুত প্রাণী গুলো না, পিছনে শত্রু আছে আরো। ড. লুই ফ্যাভ্রি ও তার দল বল। তাদের উদ্দেশ্য এরা যা আবিষ্কার করবে তা ছিনিয়ে নেওয়া এবং এদের খতম করে দেওয়া।এর আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিশোধ।লুই ফ্যাভ্রির সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল কার্ল রেন্ড। সে তার ছেলে নাথান রেন্ড কে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে চায়। এদিকে আমাজনে যখন অভিযাত্রীদের উপর চলছে একেক পর এক হামলা তখন অন্য দিকে জেরাল্ড ক্লার্ক এর লাশ থেকে ছড়ানো অচেনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক মানুষ। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোন ভাবেই বাঁচানো যাচ্ছে না কাউকেই। আক্রান্ত হয়েছে কেলি ওব্রেইন এর একমাত্র মেয়ে। এদের বাঁচাতে হলে আগে বাঁচতে হবে নিজেদের। খুঁজে পেতে হবে ভাইরাস এর ওষুধ। কিসের প্রয়োগে জেরাল্ড ক্লার্ক এর কাঁটা হাত গজিয়ে গেল পেতে হবে তাও। সামনে মুখোমুখি হতে হবে আরো অনেক অজানা রহস্যের।পারি দিতে হবে আরো অনেক দুর্গম জঙ্গল।তারা কি খুঁজে পাবে ভাইরাস এর প্রতিষেধক?পারবে বেঁচে থেকে সেটা দেশে নিয়ে আসতে??পারবে এতো গুলো মানুষের জীবন বাঁচাতে?? জানতে হলে আপনাকেও যোগ দিতে হবে আমাজনের এই দুর্গম অভিযানে।পারি দিতে হবে বিপদে ভড়া নদী, জঙ্গল।লড়াই করতে হবে অজানা সব শত্রুর সাথে। তাহলে দেরি না করে চলে আসুন আমাজনের এই আমাজনিয়া তে,,,,,!! ❣️আমার কাছে সেরা হওয়ার কারণ:- থ্রিলার উপন্যাস বরাবরই আমার কাছে ভালো লাগে।আর টানটান উত্তেজনার সাথে বইয়ে যদি অজানা তথ্যের ভাণ্ডার থাকে তাহলে সেই বই যে যেকোনো বই প্রেমীর হৃদয়ে জায়গা করে নেবে সেটা তো সহজেই অনুমেয়।বইটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টুইস্ট টার্ন আছে,আছে অজানা সব রহস্য আর আমাজনের সৌন্দর্য।আছে কিছু সৎ মানুষের মনুষ্যত্ব রক্ষার লড়াই। খারাপের সাথে যুদ্ধ করে, নিজের জীবন উৎসর্গ করে মানুষ কে বাঁচানোর লড়াই,,,,
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক সুন্দর গল্পে সবসময় টান টান উত্তেজনা থাকে
Was this review helpful to you?
or
It's a best adventure book. I read the book within 15 days and I will suggest you guys to read the book (Amazonia).It is full of mystery and adventure. Thanks to Rokomari .
Was this review helpful to you?
or
একটা ভালো শ্বাসরোধী মুভির থেকে কোন অংশে কম উপভোগ্য নয় আমাজনিয়ার কাহিনী বিন্যাস। ভালো লাগতে বাধ্য,,,?
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের রিভিও দেওয়ার ভাষা আমার নাই। পড়ার সময় মনে হইতাছিল আমি নিজেই আমাজনে আছি তাদের সাথে, পাশে। বিপদ মনে হচ্ছিল আমার ই চারপাশে। বুক খালি ঢিপ ঢিপ করত। আহা! কি দারুন এক বই। একের ভিতর সব। জেমস রলিন্স এর ফ্যান হইয়া গেছি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। খুবই সুন্দর এবং সহজ ভাবে সব বিষয় উপস্থাপন করেছেন।বইটা পড়ে অনেক কিছু বুঝতে ও শিখতে পারলাম। তাই লেখককে অনেক ধন্যবাদ। এমন সুন্দর একটা বই লেখার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
" তোমার কাছে যতোই গোলা- বারুদ থাকুক না কেন! জঙ্গল যদি তোমাকে চায়,,তাহলে সে তোমাকে নেবেই! এখন কিংবা পড়ে!" "তুমি সব্বোচ্চ যেটা করতে পারো তা হচ্ছে প্রার্থনা! তবে সেটা বাঁচার জন্য নয়! দ্বিতীয় স্বীকারে পরিণত না হওয়ার জন্য!!! উপরের উদ্ধৃত জেমস রোলিন্স রচিত "আমাজনিয়া" বই থেকে!এর মাধ্যমেই বুঝতে পারছেন,,কতটা এডভেন্চার অপেক্ষা করছে আপনার জন্য! যারা জঙ্গল ভালবাসেন! এডভেনচার টাইপের বই পড়তে ভাল বাসেন! তাঁদের জন্য অসাধারণ একটি বই! প্রতিটা লাইনে লাইনে রহস্য আর এডভেন্চার লুকিয়ে আছে! বইটি এক দিকে আপনাকে যেমন রহস্যে নিয়ে যাবে! তেমনি আমাজনের গহিণ বন,,ঝোপঝাড়,,গাছপালা,,পশুপাখি,,প্রাণি,,পোকামাকড়,, আদিম জনগোষ্টির সম্পর্কে জানাবে! স্বার-সংক্ষেপঃআমাজন বনে হঠাৎ রহস্যজনক ভাবে একদল অনুসন্ধাণী হারিয়ে যায়! সবাই যখন তাদের মৃত্য ভেবে তল্লাশি বন্ধ করে দেয়।ঠিক ৪ বছর পর,,হারিয়ে যাওয়া অনুসন্ধানী দল থেকে একজন রহস্য জনক ভাবে ফিরে আসে! যে ফিরে আসে,,অভিযানে যাওয়ার আগে তার হাত ছিল একটা! কিন্তু,,সে যখন ফিরে আসে তখন তার হাত ছিল দুটি! ফ্রিঙ্গারপ্রিন্টও হুবহু মিলে যায়! আর এই রহস্যের অনুসন্ধাণ করতেই পাঠানো হয় নতুন আরেকটি দল!আসলেই কি যে গিয়েছিল, সে ফিরে এসেছে? নাকি অন্য কেউ! হঠাৎ হারিয়ে গিয়ে ৪ বছর পর কিভাবে সে ফেরে হল!কোথায় ছিলেন এই ৪ বছর! তাদের সাথে কি ঘটেছিল! কিই বা লুকিয়ে আছে ওই গহিণ জঙ্গলে! জানতে হলে বইটা আপনার পড়তে হবে।যারা রহস্য,,এডভেন্চার,গোয়েন্দা কাহিনী পছন্দ করেন তাদেঁর জন্য অসাধারণ একটি বই! তবে হ্যাঁ,, আপনি যদি কবিতা বা রোমান্টিক উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন,,তাহলে আপনার কাছে ভাল নাও লাগতে পারে! তবে,,এতটুকু বলতে পারি,আপনার সময় নষ্ট হবে না!
Was this review helpful to you?
or
" তোমার কাছে যতোই গোলা- বারুদ থাকুক না কেন! জঙ্গল যদি তোমাকে চায়,,তাহলে সে তোমাকে নেবেই! এখন কিংবা পড়ে!" "তুমি সব্বোচ্চ যেটা করতে পারো তা হচ্ছে প্রার্থনা! তবে সেটা বাঁচার জন্য নয়! দ্বিতীয় স্বীকারে পরিণত না হওয়ার জন্য!!! উপরের উদ্ধৃত জেমস রোলিন্স রচিত "আমাজনিয়া" বই থেকে!এর মাধ্যমেই বুঝতে পারছেন,,কতটা এডভেন্চার অপেক্ষা করছে আপনার জন্য! যারা জঙ্গল ভালবাসেন! এডভেনচার টাইপের বই পড়তে ভাল বাসেন! তাঁদের জন্য অসাধারণ একটি বই! প্রতিটা লাইনে লাইনে রহস্য আর এডভেন্চার লুকিয়ে আছে! বইটি এক দিকে আপনাকে যেমন রহস্যে নিয়ে যাবে! তেমনি আমাজনের গহিণ বন,,ঝোপঝাড়,,গাছপালা,,পশুপাখি,,প্রাণি,,পোকামাকড়,, আদিম জনগোষ্টির সম্পর্কে জানাবে! স্বার-সংক্ষেপঃআমাজন বনে হঠাৎ রহস্যজনক ভাবে একদল অনুসন্ধাণী হারিয়ে যায়! সবাই যখন তাদের মৃত্য ভেবে তল্লাশি বন্ধ করে দেয়।ঠিক ৪ বছর পর,,হারিয়ে যাওয়া অনুসন্ধানী দল থেকে একজন রহস্য জনক ভাবে ফিরে আসে! যে ফিরে আসে,,অভিযানে যাওয়ার আগে তার হাত ছিল একটা! কিন্তু,,সে যখন ফিরে আসে তখন তার হাত ছিল দুটি! ফ্রিঙ্গারপ্রিন্টও হুবহু মিলে যায়! আর এই রহস্যের অনুসন্ধাণ করতেই পাঠানো হয় নতুন আরেকটি দল!আসলেই কি যে গিয়েছিল, সে ফিরে এসেছে? নাকি অন্য কেউ! হঠাৎ হারিয়ে গিয়ে ৪ বছর পর কিভাবে সে ফেরে হল!কোথায় ছিলেন এই ৪ বছর! তাদের সাথে কি ঘটেছিল! কিই বা লুকিয়ে আছে ওই গহিণ জঙ্গলে! জানতে হলে বইটা আপনার পড়তে হবে।যারা রহস্য,,এডভেন্চার,গোয়েন্দা কাহিনী পছন্দ করেন তাদেঁর জন্য অসাধারণ একটি বই! তবে হ্যাঁ,, আপনি যদি কবিতা বা রোমান্টিক উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন,,তাহলে আপনার কাছে ভাল নাও লাগতে পারে! তবে,,এতটুকু বলতে পারি,আপনার সময় নষ্ট জবে না! "One of the best adventure book "
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
আমাজন এর দূর্ভেদ্য অরণ্য থেকে ফিরে এলো এক এজেন্ট।দেখা গেলো এক হাত কাটা সেই এজেন্টের সেই হাত দিব্যি গজিয়ে গেছে!কিন্তু কিভাবে? সেই রহস্য মিমাংসা হওয়ার আগেই অজানা এক রোগে মারা গেলো সেই এজেন্ট।আর সেই রোগ ধারণ করলো মারাত্মক ছোঁয়াচে রূপ।সেই রোগ গ্রাস করতে লাগলো গ্রামের পর গ্রাম।সব আদিবাসী গোষ্ঠীর মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মালো এ নিশ্চয়ই গভীর অরণ্যের রহস্যময় গোষ্ঠীর অভিশাপ।যা বয়ে নিয়ে এসেছে সেই এজেন্ট। সেই এজেন্টের খোঁজে সেই গভীর অরণ্যে পাড়ি জমালো স্পেশাল সিগমা ফোর্স।আর তাদের সাথে ছায়ার মতো চলতে লাগলো দূধর্ষ এক রক্তপিপাসুর দল। আর আমাজনের সেই দূর্ভেদ্য অরণ্যের নানা রহস্য।যার অনেকটাই সাধারণ ব্যাখার বাইরে! তবে বইটা জাস্ট অনবদ্য।বেস্ট ইন ইটস ক্লাস ? কাহিনী আর তার উপস্থাপন প্রচন্ডরকম ভালো আর থ্রিলিং ?
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি অসাধারণ।এই বই দিয়েই মূলত আমার জেমস রলিন্স জগত প্রবেশ করা। ১ম বই পড়া হিসেবে আমি বেশ উপভোগ করেছি।পুরোটা বই এ রয়েছে টান টান উত্তেজনা।শুধু মনে হয়েছে এরপর কি হবে এরপর কি হবে!দিন-রাত এক করে বইটি পড়ে শেষ করেছি
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ যথেষ্ট ভালো হয়েছে। কিছু জায়গাতে টাইপিং হালকা ভুল ছিলো। এইরকম একটা বইয়ের অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক এবং বাতিঘর প্রকাশনীকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মাধ্যমে বইটা হাতে পেয়েছি সেইজন্য বিস্তর ধন্যবাদ দিলাম। ?
Was this review helpful to you?
or
One of the best book ever.
Was this review helpful to you?
or
এক অভিযাত্রী দল আমাজন জঙ্গলের গভীরে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে আর ফিরে আসে না । অনেক বছর পর হারিয়ে যাওয়া সেই দলের একজন গভীর জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে বিস্ময়কর দৈহিক পরিবর্তন নিয়ে ! এই রহস্য উন্মেচন করা, পাশাপাশি অজ্ঞাত এক রোগের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্যে মার্কিন সরকার আরেকটি দল পাঠায় আমাজনের গভীরে, যেখানে প্রবেশ করার দুঃসাহস অনেক আমাজনবাসীই দেখায় না । অনুসন্ধান দলটি বনের ভেতরে প্রবেশ করতেই নেমে আসে অভাবনীয় সব বিপদ। অদ্ভুত সব পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয় তাদেরকে । অবশেষে সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা যখন পৌছে যায় অজ্ঞাত আর কল্পনাতীত এক জগতে তখন সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় ফিরে যাওয়াটাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ।
Was this review helpful to you?
or
আমাজন জঙ্গল ও প্রাচীন ধর্মীয় রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে দারুণ একটা বই। যতক্ষন পড়েছি ততক্ষণ হারিয়ে গিয়েছিলাম আমাজন বনের গহীন অরণ্যে। আমার পড়া বেস্ট বইগুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা যদি আরও সুন্দর করে শব্দ গুলো লেখা হত তাহলে পড়তে খুব ভাল হত....আমি বলতে চায় প্রকৃতিতে কে না হারাতে চায় তাও যদি হয় আমাজন. This is one of most natural beauty of the world. যা মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাজন এ আছে সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণিজগৎ। যা আমাজন কে করেছে খুবই ভয়ানক।
Was this review helpful to you?
or
জেমস রোলিন্স তার এই বিখ্যাত থ্রিলারটি লিখেছিলেন ২০০২ সালে। বাংলায় বইটি অনূদিত হয় পরে।২০১৪ সালে রাকিব হাসান বইটি অনুবাদ করেন। প্রকাশ করে বাতিঘর প্রকাশনী৷ মূল রস নষ্ট না করে এত ভালো অনুবাদ সেবা ব্যতীত অন্য প্রকাশনীর কেউ করতে পারে বলে জানতাম না। রাকিব হাসান অনেক ভালো ভাবে এই থ্রিলারকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। রোলিন্স মানেই ফাটাফাটি কিছু। আমাজনের কাহিনি নিয়ে আমাজনিয়াও কম যায় না৷ দুর্দান্ত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর সবচাইতে বিপদসঙ্কুল অরণ্যে সিআইএ'র এক অপারেটিভ এবং সাবেক স্পেশাল ফোর্সের সৈনিক এজেন্ট জেরাল্ড ক্লাক মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে হাজির হলো এক মিশনারি গ্রামে। এজেন্টের মৃত্যুতে ওয়াশিংটনে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হতবুদ্ধিকর হয়ে পড়লো। এই এজেন্ট যখন আমাজনে গিয়েছিলো তখন তার হাত ছিলো একটি কিন্তু মৃত্যুর সময় দেখা গেল তার হাত দুটি। আমাজনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নাথান রান্ডের নেতৃত্বে রেঞ্জাসদের একটি দল পাঠানো হলো রহস্যময় ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য। অচিরেই সেই দলটি টের পেল তাদের পেছনে কেউ লেগেছে। আমাজনের অব্যাখ্যাত রহস্য, অজানাশত্রু, অজ্ঞাত রোগব্যাধি- সব মিলিয়ে কঠিন এক সত্যের মুখোমুখি তারা কিন্তু প্রাণ নিয়ে ফিরে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব । জেমস রোলিন্সের আমাজনিয়া অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পাঠককে নিয়ে যাবে রহস্যময় আর কৌতুহলে ভরপুর এক জগতে।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ আমাজনিয়া লেখকঃ জেমস রলিন্স। ভৌতিক, গোয়েন্দা আর রহস্যের মিশেলে অসাধারণ একটি বই। বইটি পড়তে পড়তে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম আমাজনের গহীন জঙ্গলে। যেখানে প্রতি পদে পদে বিপদের হাতছানি। জেরাল্ড ক্লার্কের ঘটনাটা পড়তে গিয়ে গা ছমছম করে ওঠে। তিনি মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সাবেক সদস্য ছিলেন। অসাধারণ একটি অ্যাডভেঞ্চার ধর্মী বই। অনুবাদটাও ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!!!!!One Of Best!!!!
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় বইগুলোর একটি????
Was this review helpful to you?
or
#Book_Review বইঃ আমাজনিয়া ধরনঃ রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক ও থ্রিলার লেখকঃ জেমস রোলিন্স অনুবাদঃ রাকিব হাসান রহস্যময় আমাজানের গহীনে নিখোঁজ হয়ে যায় ৩০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম। সভ্য জগতে পাঠানো তাদের শেষ বার্তা- "বেশিক্ষণ থাকতে পারছিনা....হায় ঈশ্বর! ওরা আমাদের চারপাশে ঘিরে আছে।" এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর তাদের কোন হদিস পায়নি সভ্য জগত। কেটে গেল চারটি বছর।? চার বছর পর সেই অরণ্যে খোঁজ পাওয়া গেলো নিখোঁজ হওয়া অনুসন্ধানী টিমের সদস্য সিআই-এর এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক কে। আমাজন তার সব কেড়ে নিয়েছে এমনকি তার কথা বলার ক্ষমতাও।কিন্তু একটা অদ্ভূত ও আশ্চর্যজনক ঘটনা জেরাল্ড ক্লার্ক যখন আমাজনে আসে তখন তার হাত ছিলো একটি, কিন্তু এখন পোস্টমর্টেম টেবিলে দুটো হাত সহ জেরাল্ড ক্লার্ক শুয়ে আছে! রহস্যময় আমাজানে এমন কি হয়েছিল যা কেটে ফেলা হাত পুনরায় গজাতে সাহায্য করে ! ক্লার্কের টিমের বাকি সদস্যরাও কি বেঁচে আছে ?? তাদের খুঁজতে নতুন একটি দল আমাজনে প্রবেশ করলো। সেই টিমে নাথান নামে একজন এথনো বোটানিস্ট যোগ দিলেন যার বাবাও ওই হারিয়ে যাওয়া অভিযাত্রী দলের সদস্য ছিলেন। অভিযাত্রী দলটি একের পর এক সদস্য হারাতে লাগলো কুমির আর পিরনহার আক্রমনে, তবে এই কুমির আর পিরানহা কোন সাধারন প্রজাতির নয়, তবে এরা কি গোপন গোত্র ব্যান-আলির তৈরি জীন গত বিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি কোন শঙ্কর প্রজাতি ?? এদিকে তাঁদের পিছু নিলো এক গোপন শত্রু, ছায়ার মতন অনুসরন করে যাচ্ছে দলটিকে। কি সেই গোপন হাত গজানোর রহস্য? কি পারবে সেই অভিযাত্রী দলটির ভাগ্যে কি ঘটেছিলো সেটি জানতে..? লোমহর্ষক এসব কাহিনী রয়েছে "আমাজনিয়া" বইটিতে । ♥️?
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারন ❤
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ আমাজনিয়া লেখকঃ জেমস রোলিন্স ভাষান্তরঃ রাকিব হাসান প্রকাশকালঃ ২০১৪ প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদঃ ডিলান পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪১৫ মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৪০ রেটিংঃ ৪.৮/৫ আমাজান অরণ্যের ভিতর অবস্থিত একটি মিশনারি গ্রামে হঠাৎই এক মৃতপায় আগন্তকের আগমন ঘটে। যার গায়ে আমাজানের অভিশপ্ত এক গোত্র ব্যান- আলিদের চিহ্ন আঁকা। ব্যান -আলিদের নিয়ে পুরো আমাজনেই অনেক গুলো কল্পিত কাহিনী চালু আছে। যার একটি হলো, 'ব্যান - আলি গোত্রের মেয়েরা জাগুয়া নামক এক প্রাণীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। আর এমন এক ধরণের মানুষ জন্ম দেয় যারা ছায়ার মতো চলাফেরা করতে পারে।' আমাজনের অন্যান্য গোত্রীয়রা এইটাও বিশ্বাস করে যে ব্যান - আলির চিহ্ন আঁকা এমন কোনো মানুষ যেই গ্রাম দিয়ে যাবে সেই গ্রামেও অভিশাপ লেগে যাবে। সে গ্রামের মানুষের মৃত্যু অবধারিত। ব্যান আলির এই চিহ্নের ভয়ে সেই মিশনারি গ্রামের কেউই সেই মৃতপ্রায় লোকটিকে সাহায্য করতে নারাজ। কিন্তু সেই গ্রামের চার্চের ফাদার এসব কুসংস্কার বলে দূরে সরিয়ে দিয়ে মানবতা বোধ থেকে লোকটিকে ধরে চার্চে নিয়ে আসে। এবং সেবা শুশ্রূষা করে ভালো করে তুলতে চায়। কিন্তু তিনি লোকটিকে বাঁচাতে ব্যার্থ হয়। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে ইঙ্গিতে সে চার্চের ফাদার কে তার পোশাকের একটা জায়গা দেখিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকেই জানতে পারা যায় মৃতপ্রায় সেই লোকটির নাম জেরাল্ড ক্লার্ক। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একজন সদস্য তিনি। সেই ফাদারই সেই লাশটিকে কুসংস্কারে ভরপুর সেসব মানুষ দের হাত থেকে পুড়িয়ে ফেলা থেকে বাঁচিয়ে আমেরিকা পাঠিয়ে দেয়। কার্যতই সেখান থেকে জানা যায় জেরাল্ড ক্লার্ক, কার্ল যান্ড সহ আরো কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে একটা জরিপ এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আমাজনে অভিযানে গিয়েছিল। কিন্তু এর কিছুদিনের মধ্যেই দলটি আমাজনে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি র পরও যখন তাদের পাওয়া যাচ্ছিল না তখন তাদের মৃত বলেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই সেই দলের একজন মৃতপ্রায় হয়ে ফিরে আসাটা সবার কাছে অবাক লাগে। তারচেয়েও অবাক করা বিষয় হলো জেরাল্ড ক্লার্কের এক হাত ইরাক যুদ্ধে উড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সে যখন ফিরে আসে তার হাত দুটোই ছিলো! অদ্ভুত ভাবে দুটো হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাঝেও মিল আছে। জেরাল্ড ক্লার্কের নতুন হাত গজানোর ব্যাপারটা সবার টনক নারিয়ে দেয়। পাশাপাশি সেই গবেষণা দলের আরো কেউ বেঁচে আছে নাকি সেটা সবাইকে ভাবিয়ে তুলে। তৎক্ষনাৎ আমেরিকান সরকার সেই টিমটার সাথে কি হয়েছিলো তা জানার জন্য এক সার্চ টিম গঠন করে আমাজনে পাঠিয়ে দেয়। যার মধ্যে আছে ডাক্তার, বোটানিস্ট ও আর্মি রেঞ্জার। এই সার্চ টিমের মাঝে সেই হারিয়ে যাওয়া গবেষণা দলটির প্রধান কার্ল যান্ডের ছেলে নাথান যান্ড ও আছে। সে মনে মনে বিশ্বাস করে তার বাবা জীবিত আছে। হন্যে হয়ে আমাজনের মাঝে খুঁজে বেড়াতো বাবাকে সবসময়। অন্যদিকে আমেরিকা, কানাডা, ব্রাজিল সহো আরো অনেক গুলো দেশে ছড়িয়ে পরেছে এক বিরল রোগ। বলতে গেলে জেরাল্ড ক্লার্ক এর রোগই ছড়িয়ে পরেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেটা সেই সেই দেশেই ঘটছে যে দেশগুলোর উপর দিয়ে জেরাল্ড ক্লার্কের লাশ আনা হয়েছে। আর এই রোগের কারনে মানুষও মারা যাচ্ছে অহরহ। তার পরিমাণটা দিনকে দিন দ্বিগুণ হচ্ছে। আর এই বিরল রোগের ঔষধ আবিষ্কারের দায়িত্বও পরেছে সেই অনুসন্ধান কারী দলটির উপর। তারা কি পারবে আমাজনের মতো এক ভয়াল রহস্যময় অরণ্যের মাঝে সব রহস্য উদঘাটন করতে? তারা কি পারবে আমাজনের সেইসব রহস্যময় বন্যপ্রাণীদের সাথে মোকাবেলা করতে? তারা কি পারবে সেই বিরল রোগের ঔষধ আবিষ্কার করতে? পাঠ পতিক্রিয়াঃ আমাজন! আমার স্বপ্নের একটি জায়গা। মাঝে মাঝেই এই জায়গাটিতে একটি বার ঘুরে না আসলে ঠিক ভালো লাগে না। তাই মাঝে মাঝেই ঘুরে আসি যায়গাটি থেকে। কখনো তিন গোয়েন্দার সাথে তো কখনো শঙ্করের সাথে।আবার কখনো মাসুদ রানার সাথে। তবে এইবার গিয়েছিলাম নাথানের সাথে,প্রফেসর কাউয়ির মতো বিচক্ষণ মানুষের সাথে। আমাজনিয়া বইটা নিয়ে অনেক শুনেছি। পড়ার ইচ্ছাও ছিলো অনেক দিন ধরে। কিন্তু কোনো ভাবেই বইটা সংগ্রহ করতে পারছিলাম না। তাই একটু বাধ্য হয়েই পিডিএফ ডাউনলোড করলাম। আর মাত্র দুদিনেই ৪১৫ পেইজের এই বইটি শেষ করে ফেললাম। বইটি পড়ে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছি যে বলে বোঝানো যাবে না। কি ছিলো না বইটিতে? আধুনিক বিজ্ঞান, মিথ, আমাজনের ভয়ংকর সুন্দর বর্ননা, আমাজনের ভয়াবহতা, হালকা প্রেম,বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা আর আর্মি রেঞ্জারদের নিঃস্বার্থ দায়িত্বশীলতা।সব ছিলো, সব! আমাজনিয়ার অনুবাদ নিয়েও কিছু বলা দরকার। রাকিব হাসানের অনুবাদ প্রথম দিকটায় ভালো লাগছিলো না। কোনোভাবেই মন বসাতে পারছিলাম না। কিন্তু এইটা আমাজন বন! এখানে একবার ঢুকলে অভিযান শেষ না করে বাহির হয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। তাই আর কি ভালো না লাগলেও ঝুলে রইলাম। আর ভালো না লাগাটা আস্তে আস্তে কেটে গেলো। পরবর্তীতে যথেষ্ট সুখ পাঠ্যই ছিলো অনুবাদটা। যাইহোক, সবশেষে বলবো অসাধারন একটি বই। আপনি এডভেঞ্চার থ্রিলার পছন্দ করেন অথচ বইটি পড়েন নি তাহলে আপনাকে বলবো অনেক বড় মিস করে ফেলছেন। আজই শুরু করে দিন আমাজনিয়া। আর ঘুরে আসুন রহস্যে ভরপুর সেই ভয়াল অরণ্য আমাজন হতে। হ্যাপি রিডিং ❤
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ চতুর্থ পর্বঃ ২ বইঃ আমাজনিয়া লেখকঃ জেমস রোলিন্স অনুবাদঃ রাকিব হাসান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ প্রচ্ছদঃ ডিলান ধরন- এডভেঞ্চার,থ্রিলার পৃষ্ঠাঃ ৪১৪ মূল্যঃ ৩৪০ টাকা . "আমাজনিয়া" কী অদ্ভুত নাম তাইনা! নামটা শুনতেই বোঝা যাচ্ছে এর ভিতরে রয়েছে অনেক রহস্য। আমাজন জঙ্গলে প্রাত্যহিক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই হচ্ছে 'আমাজনিয়া'। বইটির কাহিনী আমাজন সম্পর্কিত। আমাজন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদসঙ্কুল একটি অরন্য। এই বিশাল অরণ্যে বিপদ যেমনি আছে ঠিক তেমনি উপকারী জিনিসের তালিকা নিতান্ত কম নয়। ♦লেখক পরিচিতিঃ জেমস রোলিন্স।মূল নাম- জেমস পল সিজাকোয়াস্কি। জন্ম- আগষ্ট ২০, ১৯৬১।জন্মস্থান- শিকাগো, আমেরিকা। জেমস রোলিন্স বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রীয় লেখক। তার লেখার ধরন মূলত অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, থ্রিলার, রহস্য ও টেকনো- থ্রিলার। প্রথম জীবনে তিনি একজন পশু চিকিৎসক ছিলেন। তার বাবা একটি বৃক্ষ পরিচর্যা কেন্দ্রে কাজ করতেন ও মা ছিলেন গৃহিনী। ছোটবেলা থেকেই বায়োলজীর ওপর তার আগ্রহ ছিলো বেশী এবং সে থেকেই এ লাইনের পড়াশোনা ও পেশায় তিনি চলে আসেন। লেখালেখি ছিলো তার শখ। তার লেখালেখির স্পেশালিটিই হলো তিনি প্রাচীন বিজ্ঞান ও ইতিহাসের সাথে বর্তমানের সুন্দরতম এক মিশ্রণ সৃষ্টি করতে পারেন। সেই সাথে রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার, থ্রিলার ও টেকনো থ্রিলারের চমৎকার সন্নিবেশ ঘটান। তবে সেসবের জন্য মানবীয় ব্যাপারগুলোও বাদ যায় না। সেসবও ঠিকই রয়ে যায় তার বইতে। তার বইগুলো রিতীমতো ড্যান ব্রাউনের বইয়ের সাথে টেক্কা নেওয়ার মতো। তবে তিনি সুকৌশলে বির্তক এড়িয়ে যান যা তার আরেক অনবদ্য গুনাবলী। তিনি যে প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী তা তার বই পড়লেই বোঝা যায়। তার প্রথম উপন্যাস উইচ ফায়ার বের হয় ১৯৯৯সালে। একই বছর সাবটেরেনিয়ান নামক তার আরেকটি বই প্রকাশ পায়। তার উল্লেখ্যযোগ্য বইসমূহের মধ্যে হচ্ছে এক্সকেভেশন, ডিপ ফ্যান্টম, আমাজনিয়া, আইস হান্ট, ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিষ্টাল স্কাল ও অল্টার অব ইডেন। এছাড়া সিগমা ফোর্স সিরিজে তিনি ১৫টি বই লিখেছেন। এছাড়া গডস্লেয়ার সিরিজ নামে তার আরো একটি সিরিজ আছে। এলেনা নামে তার একটি বই নিষিদ্ধ হয়েছে। তার প্রতিটা বই বেষ্টসেলার হচ্ছে। এবং তাকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রীয় লেখক বলা চলে। ♦অনুবাদক পরিচিতি- মোঃ রাকিব হাসান। জন্ম ২৯ অক্টোবর, খুলনা জেলার গিলাতলা গ্রামে। "আমাজনিয়া" তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। পড়াশোনা করছেন অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি- এর আওতাধীন গ্লোবাল CA বিষয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিলান্স শিক্ষকতা করছেন, যুক্ত আছেন Khulna English Language Club এর কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে। বই পড়া ও সত্যের বানী প্রচার করা প্রধান শখ। ♦পাঠ_সংক্ষেপঃ 'আমাজনিয়া' বইয়ের কাহিনী শুরু হয় মূলত একজন মৃত প্রায় লোকে দিয়ে। কোন এক সময় ব্রাজিলের গহীন অরন্যে খ্রিস্টান মিশনারিতে লোকটি এসে উপস্থিত হলো, যার সম্পুর্ন শরীর ক্ষতবিক্ষত। একজন ফাদার সেই লোকটিকে গির্জার ভিতরে নিয়ে ঔষধ লাগিয়ে দিলেন, তার শরীরে বিভিন্ন ট্যাটু আঁকা,স্থানীয় এক জাদুকর বললো এই ট্যাটু নিষিদ্ধ গোত্র ' ব্যান আলির' এবং বললেন এই লোক মারা গেলে তাকে পুড়িয়ে ফেলতে । ফাদার ঐ লোকের পকেট হতে একটি কয়েন পান, যেটাতে লেখা জেরাল্ড ক্লার্ক। যিনি আমেরিকার সি.আই.এ- এর একজন সদস্য। আজব! সি.আই.এ-এর একজন সদস্য আমাজন বনে কী করছে? ফাদার ঐ জাদুকরের কথা শুনলেন না। বরং তিনি জেরাল্ড ক্লার্ক মারা গেলে তার লাশ শহরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, ফাদারের এই ভূল সিদ্ধান্তের মাশুল গুনতে হল পুরো বিশ্ববাসীকে । কিন্তু কেন এবং কিভাবে? পুরো ঘটনা আমাদের জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ৪ বছর আগে। কার্ল র্যান্ড নামের একজন ডাক্তার ইকো-টেক নামের এক পরিকল্পনা হাতে নেন। আমাজন জঙ্গলের হাজারো উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক জীবনধারণের রহস্য খুঁজে বের করা এবং আমাজনের স্থানীয় সব গোত্র যারা আমাজনের সব প্রতিকূলতা জয় করে আমাজনের সৃষ্টির মাধ্যমেই এবং তারা টিকে আছে হাজার বছর ধরে তাদের সেসব গোপন রহস্য উদ্ধার করে নতুন কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করাই ছিলো ডাঃ কার্ল র্যান্ডের উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যেই একটা স্পেশাল টিম নিয়ে আদমশুমারি ও তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে যাত্রা করেন আমাজনের গভীরে। ডাঃ র্যান্ডের এই দলের একজন সদস্য ছিলেন এই জেরাল্ড ক্লার্ক।। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ডাঃ র্যান্ডের এই দলটি চার বছর আগেই আমাজনের গভীরে হারিয়ে যায়। অনেক খুঁজেও তাদের একজনকেও পাওয়া যায় নি। ঠিক যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে দলের প্রতিটি সদস্য। কিন্তু হঠাৎ করে ক্লার্কের আগমন ঘটল। তার ফিরে আসার রহস্য জানার জন্য আমেরিকা থেকে পাঠানো হলো নতুন টিম। তারা জেরাল্ড ক্লার্কের ট্রেইল ধরে খুঁজে বের করবে সে কোথায় ছিল এতদিন। এদিকে জেরাল্ড ক্লার্কের লাশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল আমেরিকায়, পোস্টমর্টেম এর জন্য। লাশের সাথে সাথে মারাত্মক এক সংক্রামক ক্যান্সারও যায় আমেরিকায়।এই রোগটা এতই ছোঁয়াচে যে প্রতিমুহূর্তে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। কেন এই রোগ হচ্ছে, আর এর থেকে পরিত্রানের উপায়ই বা কি? উপায় একটা আছে, জেরাল্ড ক্লার্ক যেখান থেকে এসেছে সেখানেই আছে এর উত্তর। অতএব খুঁজে বের করতেই হবে নাথানের বাবার(ক্লার্কের) টিমের পরিণতি। জেরাল্ড ক্লার্ক যখন স্থানীয় চার্চে এসে মারা যায় তখন তার গায়ে ছিল ব্যান-আলি গোত্রের চিহ্ন। ডি এন এ এর গঠনের মত দেখতে সিম্বলের সাথে একটা নিল হাতের ছাপ। জেরাল্ড ক্লার্কের ব্যাপারে একটা বিস্ময়কর তথ্য হলো, এক্সপিডিশনে যাওয়ার সময় তার হাত ছিল একটা, ইরাক যুদ্ধে এক হাত উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে যখন চার্চে এসে মারা যায় তখন তার দুটা হাতই ছিল। ইরাক যুদ্ধের আগে তার হাতের আঙুলের ছাপ বর্তমান হাতের আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলে যায়। অবাক করা ব্যাপার তো। নতুন করে হাত গজিয়েছে ।এটা কি কখনো সম্ভব হবে! তাহলে কিভাবে সম্ভব হলো ক্লারকের বেলায়! নিশ্চয়ই আপনি জানতে চান এই রহস্য! সব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে খুঁজে বের করতে হবে ব্যান-আলি গোত্রকে। ব্যান-আলি সম্পর্কে নানান রকম কুসংস্কার শোনা যায়। ব্যান-আলি গোত্রের মেয়েরা নাকি ব্ল্যাক জাগুয়ারের সাথে দৈহিকভাবে মিলিত হয়ে এমন মানুষের জন্ম দেয় যারা নাকি ছায়ায় ছায়ায় ঘুরে বেড়াতে পারে। যখন যা খুশি তার রূপ ধরতে পারে। এসব কুসংস্কার নাথান বিশ্বাস না করলেও এটুকু জানে, ব্যান-আলিরাই আমাজনের সবথেকে হিংস্র আর ভয়ঙ্কর গোত্র। তার প্রমাণও তারা পেয়েছে এরই মধ্যে। নাথানরা যাচ্ছে ব্যান-আলিদের খুঁজে বের করতে, সাথে আছে আর্মি রেঞ্জারের একটা দল। আমাজনের গভীর রহস্যে ছেয়ে থাকা ভয়ানক সব বিপদে পড়তে হয় তাদের । কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল তারা । খোঁজ পেতে হবে হারানো দলটির । জানতে হবে এর সাথে আমাজনের লুকিয়ে থাকা গোত্র 'ব্যান আলী'র কি সর্ম্পক? কিন্তু তাদের পেছনেও শত্রু লেগেছে। ব্যান-আলি ছাড়াও এক শয়তান তাদের ছায়ায় ছায়ায় এগোচ্ছে। সুযোগ পেলেই নাথানদের শেষ করে দিবে। রহস্য উন্মোচনকারী দল কি পারবে সফল হতে? নাকি তারাও হারিয়ে যাবে ডাঃ র্যান্ডের দলের মতোই? কি আশ্চর্য অপেক্ষা করছে ব্যান আলী গোত্রে? কেন তারা সারা পৃথিবী থেকে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে? ভাইরাসের প্রতিষেধক কি খুজে পাবে সার্চ টিম নাকি নাকি পৃথিবী জুড়ে শুরু হওয়া মাহামারিতে হারিয়ে যাবে এই পৃথিবীর লোকজন? উপরের সকল রহস্যর সমাধান রয়েছপ 'আমাজেনিয়া' বইটিতে। জানতে হলে পড়তে হবে জেমস রোলিন্স এর থ্রিলার এবং এডভেঞ্চার এই বই ”আমাজনিয়া” ♦পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ 'আমাজনিয়া' বইটা এক কথায় অনন্য। জেমস রোলিন্স এর অনবদ্য সৃষ্টি এই 'আমাজনিয়া' বইটি। 'আমজনিয়া' বইটিতে ফুটে উঠেছে পুরো আমাজন সর্ম্পকে অনেক ধারণা ও তার সাথে কাল্পনিকতাও ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। আমাজনের রহস্য জানার জন্য প্রতিটি লাইন উল্লেখযোগ্য। জেমস রোলিন্স অসাধারণ একটি প্লটে একাধিক কাহিনী সূত্রকে গেঁথে ফেলেছেন 'আমাজনিয়া' তে।ৃ রাকিব হাসানের এটি প্রথম অনুবাদ হলেও যথেষ্ট ভালো করেছেন তিনি। প্রচ্ছদটাও দারুণ লেগেছে। খারাপ লেগেছে বানানের দিকটি। থ্রিলার বইগুলি পড়লে আমি সব সময় একটা ঘোরের মাঝে চলে যাই। অসাধারণ এই বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো আমিও এই অ্যাডভেঞ্চার দলের একজন। মনে হচ্ছিলো সব কিছু যেন চোখের সামনে ঘটছে,অন্যরকম এক অদ্ভুত অনুভূতি। গল্পের শেষে এমন এক চমক অপেক্ষা করছে পাঠকদের জন্য, যেটাতে সত্যিকারের সার্থক মনে হয়েছে বইটা পড়া। এক কথায় অসাধারণ আর দারুন একটা বই। যারা এখনো পড়েন নি তারা তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন। #রেটিং-৫/৫ রিভিউ লিখেছেনঃ রেহেনা বেগম
Was this review helpful to you?
or
এত ভালো বই, বলার অপেক্ষা রাখে না
Was this review helpful to you?
or
এডভেঞ্চার প্রেমিদের জন্য অসাধারণ একটি লুফে নেবার মতো বই
Was this review helpful to you?
or
অতিমাত্রায় অসাধারণ একটি বই ৷ আমাজনের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম ৷?
Was this review helpful to you?
or
outstanding.
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অতুলনীয়। শেষ না করে উঠতে পারিনি। তবে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত চরিত্রের জন্য বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তারপরও বেস্ট।
Was this review helpful to you?
or
৪ বছর আগের কথা। ড.কার্ল র্যান্ড ও ৩০ সদস্যের গবেষনা দল গভীর আমাজনে রেইনফরেস্টে নিখোঁজ। তাদের সাথে সিকিউরিটি এজেন্ট হিসেবে ছিলো CIA ও Brazilian Army এর কয়েকজন সদস্য। CIA এর কাজ ছিলো ড্রাগস ব্যাবসায়ীদের পথ চিহ্নিত করা। হঠাৎ ই দলটি হারিয়ে যায়,অনেক চেষ্টার পর ও খুজে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে CIA সিকিউরিটি এজেন্ট Geruld Clerk ফিরে আসে। তার সাথে ঘটে অদ্ভুত এক ঘটনা।সভ্য জগতে পা দিয়েই মারা যায় সে।নিয়ে আসে এক মহামারি। CIA এর Environment Dept. ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে ফ্রাঙ্ক ও কেলির নেতৃত্ত্বে একটা দল পাঠায়। মিশন আমাজনিয়া তে তাদের সাথি হয় কার্লের ছেলে নাথান ও আরো কয়েকজন। অভিযানে শুরু থেকে আমাজনের প্রাকৃতিক বিপদ এর মুখে পড়ে তারা।তার উপর তাদের পিছু নিয়েছে ভয়ঙ্কর এক অপরাধী দল। বইটিতে ফুটে উঠেছে আমাজনের জীববৈচিত্র্য, ইন্ডিয়ানাদের জীবন,রহস্যময় আমাজনের গল্প। বইয়ের প্রতিটা পাতা থ্রিলে ভরপুর। বই: Amazonia Author: James Rollins Rating:8/10
Was this review helpful to you?
or
marveloos
Was this review helpful to you?
or
শুরুটা হয় আমাজনের আমেরেন্ডিয়ানের একটি মিশনারি গ্রামে। পাদ্রি গার্সিয়া লুইয়ের মিশনারিতে হঠাৎ একদিন একজন আগন্তুকের আগমন ঘটে। পাদ্রি গার্সিয়া লুই বুঝতে পারেন আগন্তুকের হাতে বেশী সময় নেই। শরীরের অসংখ্য ক্ষত থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছিল। পাদ্রি বিভিন্ন ভাষায় লোকটাকে প্রশ্ন করছিল তার সম্পর্কে জানার জন্য। কিন্তু লোকটা কোনো কথা বলছিল না, পাদ্রি তখন লক্ষ্য করেন লোকটার জিহ্বা গোড়া থেকে কাটা। লোকটার ক্ষত স্থানের চিকিৎসা করার জন্য জামাকাপড় খুলতেই এক অদ্ভুত ট্যাটু দেখে আঁতকে ওঠে মিশনের এক সেবক। তার ভাষ্যমতে ট্যাটুটি ব্যান-আলি নামক এক ব্লাড জাগুয়ার গোত্রের। যাদের শরীরে বইছে জাগুয়ারের রক্ত এবং তারা চোখের পলকে নিমিষেই বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারে। আর ব্যান-আলি মানেই অশুভ আত্মা যারা কিনা বয়ে আনে অভিশাপ। সেদিন রাতেই আগন্তুকটি মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে পাদ্রির হাতে একটি কয়েন দিয়ে যায়। কয়েনের দিকে তাকাতেই পাদ্রির মুখের রক্ত সরে যায়। কারণ সেখানে ব্যক্তিটির নামের সাথে উল্লেখিত ছিল ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি স্পেশাল ফোর্স। জেরাল্ড ক্লার্ক ছিলেন আমেরিকার সি আই এ' র একজন অপারেটিভ এবং স্পেশাল ফোর্সের এজেন্ট। চার বছর আগে ডা: কার্ল র্যান্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি দলের সাথে একটি মিশনের জন্য আমাজনে যান। সেই থেকে দলটি নিরুদ্দেশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের সন্ধান না মিললে সবাই ধরে নেয় তারা সবাই মৃত। তাহলে এতবছর পরে জেরাল্ড ক্লার্ক কোথা হতে উদয় হলেন এবং তার সঙ্গীদের কি হয়েছিল। উনার লাশ সি আই এর কাছে পাঠানো হলে তারা হতভম্ব হয়ে যায়। কারণ জেরাল্ড ক্লার্ক যখন আমাজনে যায় তখন তার হাত একটা ছিল। ইরাকের একক যুদ্ধে তিনি তার হাতটা হারিয়েছিলেন। কিন্তু যখন উনার লাশ উদ্ধার করা হয় তখন উনার দিব্যি দুটো হাত ছিল। জেরাল্ড ক্লার্কের লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হলে ডাঃ লরেন ওব্রেইন আবিষ্কার করেন পৃথিবীতে যতরকম ক্যান্সার আছে প্রায় সবগুলোই জেরাল্ড ক্লার্ক এর শরীরে বিরাজমান। তাহলে কি ক্যান্সারের ফলেই তার হাত নতুন করে গজিয়েছিল? ডাঃ কার্ল র্যান্ডের দল কি এমন কিছু আবিষ্কার করেছিলেন যেটার ফলে ক্যান্সার মানবজীবনে আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে উঠবে? কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখনই যখন ডাক্তাররা দেখলেন জেরাল্ড ক্লার্কের রোগটি মহামারী আকারে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পরতে লাগল। এই রোগের থেকে পরিত্রাণের উপায় একমাত্র মৃত্যু। আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে থাকে একের পর এক মানুষ। তাহলে কি ব্যান-আলির অভিশাপ পৃথিবীর বুকে নেমে আসছে? দিশেহারা সি.আই.এ তখন সেই অজানা রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাজন বিশেষজ্ঞ নাথান র্যান্ডের নেতৃত্বে আমজনে একটি স্পেশাল ফোর্স পাঠায়। দলটির মধ্যে ছিল নাথান র্যান্ড হল ৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া টিমের কার্ল র্যান্ডের ছেলে। নানারকম বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে নাথান র্যান্ডের দল। কিন্তু তারা বুঝতে পারে তাদের পেছনে লেগে রয়েছে এক অজানা শত্রু। একের পর এক দলের সদস্য হারিয়ে যেতে থাকে। আমাজনে অভিযান চলাকালীন সময়ে তারা একটি গ্রাম আবিষ্কার করে। কিন্তু গ্রামের সকল মানুষ ছিল মৃত। যেন তারা সবেমাত্র মারা গেছে। সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া এক বৃদ্ধের বক্তব্য ব্যান আলির অভিশাপ তাদের গ্রামের উপর নেমে আসে। সেদিন রাতের অন্ধকারে তারা ব্যান-আলির হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য সবাই পালাতে চেয়েছিল কিন্তু নদী থেকে জঙ্গল উঠে এসে তার ধ্বংসলীলা শুরু করে দেয়। প্রথমে বৃদ্ধের কথা অবিশ্বাস্য লাগলেও নাথান র্যান্ডের দল বুঝতে পারে রাত্রিবেলা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠে এই জঙ্গল। নদী এবং আকাশের নিষ্ঠুরতা কতটা ভয়ংকর এবং বিপজ্জনক পদে পদে টের পায় তারা। আমাজনের অব্যাখ্যাত রহস্য উদঘাটন করে যখন তারা এক কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয় তখন সেখান থেকে বেঁচে ফেরাটা প্রায় অসম্ভব.........
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক জঙ্গল আমাজনের একটি গ্রামে সিআইএ অপারেটিভ ও সাবেক স্পেশাল ফোর্সের সৈনিক এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক এসে হাজির হলেন। গ্রামটা একটা মিশনারি গ্রাম। মৃত্যুর সাথে লড়তে লড়তে গ্রামে এসে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়লো এজেন্ট ক্লার্ক। এজেন্ট ক্লার্কের মৃত্যুতে হইচই পড়ে গেলো ওয়াশিংটনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে। কেন? সেটা জানতে হলে একটু পেছনে গিয়ে আপনাকে জানতে হবে এজেন্ট ক্লার্ক কে? এবং আমাজনে কি করছে? ইকো-টেক নামের একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন "পিস কো" এর মেডিকেল ডাক্তার কার্ল র্যান্ড। আমাজনে বসবাসরত গোত্রের শামান অর্থাৎ চিকিৎসকদের প্রজ্ঞাকে সংগ্রহ করে সেগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন ভেষজ ঔষধ আবিষ্কারের জন্য উপযুক্ত ফার্মাসিউটিক্যালস ছিলো এই ইকো-টেক। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিআইএর একটি টিম নিয়ে আমাজনে আদমশুমারী এবং তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চার বছর আগে কার্ল র্যান্ড ও তার টিমের সবাই আমাজনের ভিতরে গায়েব হয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করেও তাদের কারো জীবিত বা মৃত খুজে পাওয়া যায় নি। সকলেই ধরে নিয়েছিলো টিমের সবাই মারা গেছে। এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক ছিলো কার্লের টিমে। চার বছর পরে হঠাৎ করে জেরাল্ডের আবির্ভাবে নড়েচড়ে বসলো ওয়াশিংটন। তাহলে কি টিমের অন্য সদস্যরাও বেঁচে আছে? এতক্ষন যা বললাম তা আসল ঘটনা নয়। এবার বলছি ঘটনা! জেরাল্ড ক্লার্ক যখন ইকো-টেকের সাথে অভিজানে যায় তখন তার এক হাত ছিলো না। ইরাকের যুদ্ধে বুলেটের আঘাতে হাতটা হারায় সে। কিন্তু চার বছর পরে যখন তাকে পাওয়া গেলো তখন তার সম্পূর্ণ সুস্থ দুটি হাত আছে। এও কি সম্ভব!! হাত কিভাবে গজালো? মৃত্যুর আগে দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের প্রতিটা অঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন নতুন প্রকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় জেরাল্ড। এটাও কি করে সম্ভব? এত কম সময়ে এত প্রকার ক্যান্সার? এবার তদন্তের জন্য আরও একটি টিম পাঠানো হলো জঙ্গলে। অভিযানের নাম "অপারেশন আমাজনিয়া"। এই অভিজ্ঞদের মধ্যে আছে স্বয়ং কার্ল র্যান্ডের ছেলে নাথান র্যান্ড। চারবছর আগে বাপকে খোজা বন্ধ করেছিলো নাথান। কিন্তু তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিলো জানতে পারে নি। আবারও পুরোনো ক্ষত নিয়ে অভিযানে নামলো নাথান। অভিযানে নেমেই জানতে পারলো এক বিশেষ গোত্রের নাম "ব্যান-আলি"। কারা এই ব্যান-আলি? কেউ জানে না। কিন্তু পুরো আমাজন নিয়ন্ত্রণ করে এই ব্লাড জাগুয়ার গোত্র। কেউ কখন দেখেনি এদের। কিন্তু আমাজনের প্রতিটা গোত্র ভয় পায় এই "ব্যান-আলি"কে। যাদের উপরে ব্যান-আলির নজর পড়বে তাদের ধ্বংস নিশ্চিত। এ যেন পৌরাণিক কোনো প্রেতাত্মা। জেরাল্ডে ক্লার্কের শরীরে পাওয়া গেলো ব্যান-আলির সিম্বল। সেখান থেকেই চড়িয়ে পড়া শুরু করলো ব্যান-আলির অভিশাপ। যেখান থেকেই জেরাল্ডের বডি নেওয়া হলো সেখানেই মহামারী শুরু হলো। দলে দলে মানুষ মড়তে শুরু করলো আমাজনের বিভিন্ন গোত্রে। এটা যে মহামারী সেটা যখন জানা গেলো ততক্ষণে ডেডবডি আমেরিকায় পৌছে গেলো। মহামারী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো আমেরিকার চারটি অঙ্গরাজ্য জুড়ে। কোনো ভাইরাসের কারনে রোগ ছড়াচ্ছে সেটাও জানা যাচ্ছে না। অপারেশন আমাজনিয়ায় ওদেরকে খুজতে হবে পূর্বের হারিয়া যাওয়া টিমের পরিনতি। একই সাথে এই অদ্ভুত মহামারীর উৎস ও প্রতিষেধক। কিন্তু জায়গাটা যখন আমাজন তখন কাজটা যে প্রায় অসম্ভবের মত কঠিন! একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হতে লাগলো নাথানদের টিম। প্রথম দিন থেকেই কেউ যেন ওদের অনুসরণ করছে। এদিকে একের পর এক বিপদে মারা যাচ্ছে একে একে টিমের সদস্যরা। কিসের বিপদ সেটা অবশ্যই বলবো না! ওটা আপনাকে পড়ে নিতে হবে। তবেই না উত্তেজনা! বইটা এমনই যে, প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই আপনাকে চুম্বকের মত টেনে ধরবে। শেষ না করে থাকতে পারবেন না। যতই পড়বেন ততই উত্তেজনার পারদ উপরে উঠবে। নিজের পড়ার সময় ঠিক এমনটা হয়েছে। যখনই মনে করেছি 'বিপদ বোধহয় এবাে কাটলো'। তখনই দেখি সামনে দ্বিগুণ বিপদ। বইটাতে একই সাথে ভালোবাসা, ঘৃণা, বন্ধুত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রকৃতি, বিপদ, এডভেঞ্চার, নৃশংসতা সব পাবেন। অনুবাদে কিছু জায়গায় হয়ত একটু ভুল ছিলো। কিন্তু খটকা লাগলে গল্পের উত্তেজনায় খেয়াল করি নাই। এডভেঞ্চার প্রিয় পাঠকদের জন্য এটা একটা মাস্টারপিস।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- আমাজনিয়া। লেখক- জেমস রোলিন্স। অনুবাদ- রাকিব হাসান। ধরন- অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ৪১৫। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- নাথান র্যান্ড, কেলি ওব্রেইন, ম্যানুয়েল অ্যাজভেদো, প্রফেসর কাউয়ি, ড.লুই প্যাভ্রি, রির্চাড জেন। জেরাল্ড ক্লার্ক নামক চারবছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক প্রাক্তন আমেরিকান সৈনিককে মৃত অবস্থায় খুজে পাওয়া যায় আমাজনের একটি মিশনারী গ্রামে। তবে হারিয়ে যাবার আগে তার ছিলো একহাত। কিন্তু এবারে যখন তাকে খুজে পাওয়া গেলো তখন দেখা গেলো তার দুটো হাত ঠিকই আছে। এছাড়া তার শরীরে রয়েছে অদ্ভুতুরে কিছু চিহ্ন। জেরাল্ড ক্লার্কের মৃতদেহ নতুন এক বার্তা এনেদিলো নাথান র্যান্ডের মনে। কারন চারবছর আগে জেরাল্ড ক্লার্কসহ যে এক্সপিডিশন টীমটা হারিয়ে গিয়েছিলো তার দলনেতা ছিলেন নাথানের বাবা কার্ল র্যান্ড। নাথানের জানতে হবে কি হয়েছে তার বাবার। টেলাক্স ফার্মাসিউটিকালস থেকে আবার একটি টীম পাঠানো হয় যা সিআইএ থেকে ফ্র্যাঙ্ক ওব্রেইন এবং কেলি ওব্রেইন এবং পাশাপাশি নাথানও নেতৃত্ব দিচ্ছে। নাথানের সাথে রওনা দেয় তার বন্ধু প্রফেসর কাউয়ি এবং ম্যানুয়েল। পরতে পরতে গভীর রহস্যে ছেয়ে থাকা আমাজনে ভয়ানক সব বিপদে পড়তে হয় তাদের। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল তারা। খোজ পেতে হবে হারানো দলটির। জানতে হবে এর সাথে আমাজনের লুকিয়ে থাকা গোত্র ব্যান আলীর কি সর্ম্পক। জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকে মারাত্মক সব বিপদ। মিউট্যান্ট পিরানহা, জাগুয়ার কিংবা জায়ান্ট কেইমান কুমীর। কিন্তু নাথান জানেনা ওর পিছনে লেগে আছে আরেক রহস্যময় দস্যু ড. লুই প্যাভ্রি যে কিছু পুরোনো হিসেব মেটাতে চায় ওর সাথে। অথচ নাথানের ধারনাই নেই কি সেই পুরোনো হিসেব? সে তো চেনেইনা লুই কে? তাহলে লুইয়ের সাথে তার কিসের শত্রুতা? সামনে ব্যান আলী এবং পিছনে লুই। নাথানদের সংখ্যা একটু একটু করে কমছে এবং ওদের পালাবার রাস্তাও নেই। নাথান জানেনা ব্যান আলীরা কি বিশাল চমক প্রস্তুত করে রেখেছে ওর জন্য। অনেকদিন পর আবার পড়লাম আমাজনিয়া। জেমস রোলিন্সের অনবদ্য মাষ্টারপীস। জেমস রোলিন্সের প্রথম উপন্যাস এক্সকেভেশন হলেও বাংলায় আমাজনিয়াই প্রথম রুপান্তর হয়। এই একটি বই বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে জেমস রোলিন্সকে বিপুল জনপ্রীয় করে তোলে। এর ফলশ্রুতিতে আজ তার প্রায় সব বই অনুবাদ হয়ে যাচ্ছে। এরজন্য অনুবাদক রাকিব হাসান বেশ বড় একটা ক্রেডিট পান। কারন তারজন্যই এই অসাধারন লেখকের খোজ পাওয়া গেছে। আমাজনিয়ার বিষয়বস্তু উদ্ভিদ ও প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে। রোলিন্স নিজে একজন পশুচিকিৎসক হওয়াতে বৈজ্ঞানিক ব্যাপারগুলো দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে দুটো যায়গা ঠিক খাপে খাপ খায়নি। প্রথমটি শুরুর দিকে একটি অ্যানাকোন্ডার প্রসঙ্গ। লেখকের মতে যা ছিলো চল্লিশ ফুট। যদিও চল্লিশফুট কোনো অ্যানাকোন্ডা এখনও পাওয়া যায়নি। সর্বোচ্চ ত্রিশ গিয়েছে বোধহয়। দক্ষিন আমেরিকায় সবচেয়ে বড় সাপের যে ফসিল পাওয়া গেছে তা পয়তাল্লিশ ফুট লম্বা, বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন টাইটানোবোয়া। অপর বেখাপ্পা বিষয়টি হচ্ছে কেইমান কুমীরের আকৃতির প্রসঙ্গে। লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী এরা মিউট্যান্ট কুমীর তাই আকৃতিতে ১২০ফুট বড়। কুমীর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সরিসৃপ। সবচেয়ে বড়টাই এখন পর্যন্ত পাওয়া একুশ ফুট ফিলিপাইনি কুমীর ললং। ১২০ফুট হলে এটা আর কুমীর থাকেনা, গডজিলা হয়ে যায়। ১২০ফুট লম্বা কোনো প্রাণী দেখতে চাইলে আপনারা র্স্পাম তিমির দিকে তাকাতে পারেন। এখন একটা কুমীর যদি তিমির সমান হয় তাহলে তা প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে চলে যায়। আর প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী এরা অতো বড় হতে পারেনা। এমনকি জুরাসিক যুগেও অতো বড় কুমীরের ফসিল পাওয়া যায়নি। যাইহোক, এসব বিষয় উপন্যাসের সৌর্ন্দয্যকে নষ্ট করতে পারেনি। উপন্যাস তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে। সবাইকে পড়ার আহব্বান রইলো। রেটিং- ৫.০০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
‘আমাজনিয়া’ অসাধারন একটি টান টান উত্তেজনাকর থ্রিলার উপন্যাসের নাম । উপন্যাস টির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা ঢেলে দিয়েছেন লেখক জেমস রোলিন্স । তার লেখা একাধিক বই বেস্টসেলার যার সবগুলোই এডভেঞ্চার থ্রিলার । তার জন্ম ১৯৬১ সালে আমেরিকার শিকাগো তে । ইউনিভার্সিটি অব মিশৌরি থেকে ভেটেনারি মেডিসিন এর উপর পড়াশোনা করলেও পরবর্তী তে লেখক হয়ে যান পুরাদস্তুর । নিজেও এডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ তাই তার প্রিয় বিষয় এর উপর বই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন । তার লেখা আমাজনিয়া বইটি বাংলা তে অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে । বইটি অনুবাদ করেছেন রাকিব হাসান । বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে । প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান । সিআইএ-এর এক প্রাক্তন এজেন্ট- জেরাল্ড ক্লার্ক । তাঁকে উদ্ধার করে একজন পাদ্রি। উদ্ধারের কিছুক্ষন পরই মারা যায় সে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে আলোড়ন সৃষ্টি হয় উঁচু মহলে। কারণ প্রধানত তিনটি- প্রথমত, সে চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক অভিযাত্রী দলের সদস্য। দ্বিতীয়ত, চার বছর আগে তাঁর হাত ছিল একটি, কিন্তু এখন তাঁর দুটি হাত দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, তাঁর সারা শরীরে গিজগিজ করছে ক্যান্সার এবং সারা আমেরিকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এক অজানা ঘাতক ব্যাধি, যার বাহক জেরাল্ড ক্লার্ক নিজে। সবাই প্রায় নিশ্চিত- জেরাল্ড ক্লার্কের দ্বিতীয় হাতের রহস্যের চাবিকাঠি এবং এই অজানা রোগের প্রতিষেধকের সম্পর্ক রয়েছে চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া দলটির সাথে। প্রতিষেধক অনুসন্ধান এবং রহস্যভেদের জন্য নতুন একটি অভিযাত্রী দল গঠন করা হয়। তাতে রয়েছে ১০ জন রেঞ্জার এবং প্রায় ৭-৮ জন সিভিলিয়ান ।বইটির কাহিনী এরপরে কোনদিকে যাবে ? কি কি অপেক্ষা করছে জানতে হলে পড়তে হবে বইটি । অসাধারন এই এডভেঞ্চার থ্রিলার টি প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠক কে ডুবিয়ে রাখবে রোমাঞ্চকর অনুভুতি তে ।
Was this review helpful to you?
or
দাপটের সাথে বেচে থাকা মানুষগুলোকে আমরা সমীহ করি।যতদিন তারা বেচে থাকে।মৃত্যুর পরে কোনো খোজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা কেউই ।এমনকি যে জন্ম থেকে তার নুন খেয়ে বেচে ছিল সেও না।লাশ দাফন করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ।কেননা প্রান হীন দেও মুল্যহীন।এরা কোনো কাজে আসেনা।এটাই পৃথিবীর নিয়ম।কিন্তু ব্যতিক্রম বলে একটা শব্দ আছে।আর তেমনি ব্যতিক্রমী এক চিত্র উঠে এসেছে আমাজনিয়া'য়।যেখা নে মৃতদেহ কাল হয়ে দাড়ায় পুরো পৃথিবীর জন্য। রহস্য ছড়িয়ে দিতে থাকে শাখা প্রশাখায়, চার বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর হঠাত এতদিন পরে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে।ডেকে নিয়ে আসে মহামারি রোগ।যা সপ্তাহে দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলে।তাজ্জব বানিয়ে দেয় তার দলের লোকদের,ক্ষয়ে যাওয়া হাত আবার ফিরে পেয়ে। এর রহস্যভেদ করতে বেরিয়ে পরে অনুসন্ধানকারী দল...চোখের সামনে আমাজন মেলে ধরে তার রূপ।অসংখ্য ঘটনা বিন্দু বিন্দু করে তৈরি করে বৃত্ত,যার কেন্দ্রে থাকে আমাজন।কুসংস্কারে বেড়াজালের আড়ালে অদ্ভুত এক গোত্র'র চোখ ফাকি দিয়ে,ভয়ঙ্কর সব প্রানী ডিঙ্গিয়ে, পদে পদে নিজেদের বলি দিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। আর সব কিছু'র পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ে ব্যান- আলি।পিলে চমকে যাওয়া আমাজনের এমনই প্রত্যহ সব চিত্র নিয়ে আমাজনিয়া। এডভেঞ্চার প্রেমিদের জন্য লুফে নেবার মতো এক উপন্যাস। প্রথম পেজ থেকেই দৌড়ের উপরে রেখে দিয়েছেন জেমস রোলিন্স।মাঝেমাঝে কাহিনীকার গল্প থামিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন। সেকারনে গল্পটা সামান্য স্লো মনে হতে পারে।তবুও বলব অবশ্য পাঠ্য এক বই। কাহিনী-সংক্ষেপঃ পাদ্রী লুই বাতিস্তা বাগানে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ আগন্তুককে খুঁজে পায়।এরপরে সে রোগীর সেবা করতে গিয়ে তার সহযোগী থমকে যায়, আগন্তুকের গায়ে ব্যান-আলির চিহ্ন দেখে। বলা হয়ে থাকে ব্যান-আলি এমন গোত্র যাদের কেউ দেখেনি।অদৃশ্য থেকে তারা যেকারো মৃত্যু ডেকে আনে। যেকোনো কিছুর আকার ধারন করতে পারে তারা। অবশেষে আগন্তুক মারা গেলে শামান আদেশ দেয় মৃত্যুদেহ পুরিয়ে ফেলতে।কিন্তু কুসংস্কার এ কান না দিয়ে লাশ শহরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।আর সেটাই কাল হয়ে দাড়ায়... জানা যায় আগন্তুক জেরাল্ড ক্লার্ক, শিল্পপতি ডঃ কার্ল র্যান্ডের সহযোগী ছিল।যারা গত চার বছর আগে অভিযান চলাকালীন সময় নিখোঁজ হয়ে যায়।এরপরে মৃতদেহ পাবার আগে পযন্ত তাদের কোনো চিহ্ন মেলেনি। জেরাল্ড ক্লার্ক ফিরে আসে রহস্যাবৃত হয়ে।যুদ্ধে তার এক হাত কেটে ফেলা হয়েছিল।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার হাত পুনরায় ফিরে পেয়েছে।কি এমন ছিল সেখানে যার জন্য ক্ষয়ে যাওয়া অঙ্গ আবার জন্ম নিতে পারে? ক্লার্কের সাথে যে মহামারি রোগ নিয়ে আসে।তা বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে যায়।এবং বুঝে ওঠার আগে তারা মারা যেতে থাকে।এই রোগের কাছে আধুনিক বিজ্ঞান ও দমে যায়।একসময় বুঝে উঠতে পারে ক্লার্ক এর পরিণতি বের করতে পারলে পাওয়া যাবে এর প্রতিষেধক। অবশেষে আবার নতুন এক দল এই রহস্যভেদ করতে বেরিয়ে পরে।সাথে যোগ দেয় নাথান র্যান্ড।তার বাবার শেষ পরিণতি কি হয়েছিল সেটা জানার উদ্দেশ্য নিয়েই তার আসা।আমাজনের মাঝপথে গল্প পা বাড়ায় ভিন্ন দিকে। ওৎ পেতে থাকা মৃত্যু আলিঙ্গন করতে থাকে একেএকে। তাদের পথের আরেক কাটা হয়ে দাড়ায় লুই ফ্যাভ্রি। টাকা আর প্রতিশোধের নেশা দুটাই পেয়েছে তাকে। নাথানের বাবার জন্য তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়ে জেল খাটছে হয়েছে।তাই পুত্রকে হত্যা করেই এই ক্ষোভ মেটাতে চায়।অন্যদিকে পুরো দলটাকে শেষ করে দিয়ে সব কিছু হাতিয়ে নিতে পারলে সে পাবে অগণিত টাকা। তার সাথে আছে মিস্ট্রেস সু।অন্য এক গোত্রের এই মেয়ে বিঘিনির মতো হিংস্র আর খিপ্র গতির।কাউকে মেরে তার মাথা কুঁচকিয়ে সাজিয়ে রাখে।অবশ্য লুই এ ব্যাপারে বরাবর মুগ্ধ, তার কাছে এটা এক ধরনের শিল্প। অন্যদিকে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যুদুত ব্যান- আলি।তাদের আটকাবে কিভাবে? আবার পুরো দলের হাতে নির্ভর করছে কোটিকোটি মানুষের প্রাণ, নাথানের বাবার পরিণতির উত্তর। তারা পারবে তো শেষ পর্যন্ত নিজেদের টিকিয়ে রাখতে? পাঠ- প্রতিক্রিয়াঃ এখন পর্যন্ত যত এডভেঞ্চার বই পড়েছি সবছিল আফ্রিকা বা জল আর দ্বীপ নিয়ে।এই প্রথম আমাজন ভ্রমণ। অনুবাদ হিসেবে এমন একটা বই পেয়ে আসলেই ভালো লাগছে।নাহলে থ্রি কি ফোরের বইয়ে 'মহাবন আমাজন' এ পড়া আটকে থাকতো। কাহিনী একটু স্লো হলেও মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পুরোটা পড়েছি। সব থেকে খারাপ লেগেছে বেশ জায়গায় বানান ভুল। বইয়ের আকারের তুলনায় নগণ্য হলেও ব্যাপারটা খারাপ লেগেছে। প্রচ্ছদ নিঃসন্দেহে অসাধারণ। কিন্তু আমার মনে হয়েছে বই অনুসারে একেবারে অপুর্ন ছিল।পুরো বই জুড়ে ব্যান- আলি গোত্রের চিহ্ন। কিন্তু সেটাই ব্যবহার করা হয়নি। অন্তত কোনো একজায়গাতে ছোট বড় যেভাবেই হোক সেটা দেয়া উচিত ছিল।উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে বাতিঘরের ভিঞ্চিকোডের প্রচ্ছদ। ওই বইয়ে মৃত ব্যক্তি কি অবস্থায় নিজেকে সাজিয়ে ছিল তার চিত্র পিছনে দেয়া ছিল।এতে পাঠক সহজেই চিহ্নটার সাথে নিজে পরিচিত হতে পেরেছে। কিন্তু আমাজনিয়া'য় সেটা পাইনি। অনুবাদ ভালো লেগেছে।প্র
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ আমাজনিয়া লেখকঃ জেমস রোলিন্স অনুবাদঃ রাকিব হাসান প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রচ্ছদঃ ডিলান প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২০১৪ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪১৬ মূল্যঃ ৩৪০ * এক বাক্যেঃ চমৎকার গতিশীল প্লট সেই সাথে দুর্দান্ত এডভেঞ্চার ও একশনে ভরপুর শ্বাসরুদ্ধকর একটি বই; পড়া শেষে মনে হবে সম্পূর্ণ বইটি এক নিশ্বাসে শেষ করেছেন। * ঘটনা সংক্ষেপঃ চার বছর পূর্বে আমাজন জঙ্গল থেকে গবেষকদের একটি দল হারিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে সেই গবেষকদলটির হারিয়ে যাবার পেছনে কি এমন কারণ রয়েছে, কিম্বা তাদের সাথে কি ঘটেছিল তা ঐ দলটির সদস্যদের বাইরে অন্যান্যদের একেবারেই অজানা। হারিয়ে যাওয়া গবেষকদলটির কথা যখন সংশ্লিষ্ট সকলে ভুলে গেছে, ঠিক তখনই আবির্ভূত হয় এজেন্ট জেরাল্ড ক্লার্ক- হারিয়ে যাওয়া গবেষকদলটির অন্যতম একজন সদস্য। চারবছর পর একদিন আমাজনের একটি মিশনারি গ্রামের গির্জার পাদ্রি গার্সিয়া লুই বাতিস্তা তাকে খুঁজে পান। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় জেরাল্ড ক্লার্ককে সে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার গির্জায়। দূর্ভাগ্যবশত জেরাল্ড ক্লার্ক সেই রাতে মারা যান। ক্লার্কের প্যান্টের পকেটে থাকা একটি বিশেষ মুদ্রা থেকে পাদ্রি তার পরিচয় জানতে পারে। অন্যদিকে ক্লার্কের আগমনে মিশনারি গ্রামটির বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পরতে শুরু করে একটি আতঙ্ক, যার নাম "ব্যান আলি।" তাদের বিশ্বাস জেরাল্ড ক্লার্ক তাদের গ্রামে একা আসেন নি, সাথে নিয়ে এসেছেন ব্যান আলি'র অভিশাপ। অন্যদিকে সিআইএ চিন্তিত জেরাল্ড ক্লার্ককে নিয়ে। তার ফিরে আসা নিয়ে যতটা কৌতুহল নেই তাদের মধ্যে, এরচেয়ে বেশি কৌতুহল তার হাত নিয়ে, শরীরে আঁকা আঁকিবুঁকি নিয়ে। ইরাক যুদ্ধে এক হাত হারানো লোকটি কি করে ফিরে পেল তার হারানো হাত? নতুন হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট কি করে মিলে গেল পুরনো হাতের ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে? ভুলে যাওয়া গবেষক দলটির কথা আবার আলোচনার টেবিলে উঠে আসে। কি ঘটেছিল সেই গবেষকদলের সাথে, কি ঘটেছিল জেরাল্ড ক্লার্কের সাথে, চার বছর কোথায় ছিলেন তিনি? শুরু হয় মিশন "আমাজনিয়া।" * পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ দুর্দান্ত একশন ও এডভেঞ্চারের সমন্বয়ে চমৎকার এ বইটির প্রতিটা চ্যাপ্টার আপনাকে চমকে দেবে আমাজান সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য দিয়ে। সামান্য ধারণা দেবে রহস্যাবৃত আমাজন জঙ্গলের অদ্ভুত পরিবেশের। পরিচয় করিয়ে দেবে এখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের সাথে। উপন্যাসে বর্ণিত ইলেকট্রিক ইল মাছ, টুথফিক ফিশ, দৈত্যকার কুমীর, ক্ষুদে মাছি, পঙ্গপাল, মানুষ খেকো পিরানহা মাছ, পিঁপড়ার গাছ (যে গাছের ফাঁপা কাণ্ডের মধ্যে পিঁপড়া বাসা বাঁধে) সহ প্রভৃতি অদ্ভুত সব প্রাণী প্রতিনিধিত্ব করছে পুরো আমাজন জঙ্গলের, যা পাঠককে সামান্য পরিচয় দেবে রহস্যের আরেক নাম আমাজন রেইন ফরেস্টের; একটা ধারণার জন্ম দেবে। সংক্ষিপ্তাকারে আংশিক পরিচয় করিয়ে দেবে আমাজনের আদিবাসীদের সাথে, তাদের জীবনপ্রনালীর সাথে, তাদের বিশ্বাস, শত শত বছর ধরে নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রাখা সব সংস্কৃতির সাথে। বেচে থাকার লড়াই, মৃত্যু, কতৃত্বের লড়াই, বিশ্বাসঘাতকতা, বন্ধুত্ব, আত্মত্যাগের খণ্ডচিত্রগুলোও উল্লেখ করার মত উপন্যাসটির আরও একটা দিক। উপন্যাসটি পাঠককে খুব সহজেই নিজের ভেতরে টেনে নিবে। রহস্যে ঘেরা আমাজনের মতই উপন্যাসটির আদ্যোপান্তও কম রহস্য আর নাটকিয়তায় ঘেরা নয়। উপন্যাসে শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার প্রবাহে আপনি হারিয়ে যাবেন নিশ্চিত। এডভেঞ্চার, একশন, থ্রিল, উপন্যাসের রোলার কোস্টার গতি- সবটা মিলিয়ে এক অসাধারণ সৃষ্টি। মিশন আমাজনিয়ার দুর্দান্ত এই অভিযানের পরিসমাপ্তিটিও কম দুর্দান্ত নয়। শ্বাসরুদ্ধকর এসব ঘটনার চক্রাকারে আবর্তন আপনার শ্বাসরোধ করে দিবে, কিন্তু আপনি একেবারে মরবেন না। মিশন আমাজনিয়ার সদস্য হয়ে বইয়ের পাতা থেকে নিজেই নেমে যাবেন রহস্য উদ্ঘাটনে নিয়োজিত দলটির সাথে। অনুবাদ যথেষ্ট ভালো এবং সুখপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
দারুন সুন্দর একটা বই। পড়তে গিয়ে বইটির চরিত্রগুলোর সাথে আমাজনের গহীন বনে বারবার হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ছোট থেকেই আমাজন নিয়ে অতি উৎসাহের কারণে হয়তো আমার বেশিই ভালো লেগেছে। শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চে ভরপুর বইটি পড়লে থ্রিলারপ্রেমীরা অবশ্যই নিরাশ হবে না। Happy Reading :)
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে থ্রিলার লাভারদের মন কেড়ে নেওয়ার মত একটি বই। প্রথমদিকে একটু এলোমেলো লাগবে খুব একটা পড়ার আগ্রহ পাবেন না, তবে আস্তে আস্তে পাতার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে আগ্রহ ও বাড়বে এবং এক পর্যায়ে একদম বই এর ভিতর ডুবে যেতে বাধ্য হবেন ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ গল্প। তবে বেশ কিছু জায়গায় অনুবাদকের শব্দ নির্বাচন পড়ার ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া নাম গুলিয়ে ফেলা (লু, লুই, সু, সুই) এটা সবচেয়ে বেশি বিরক্তি উদ্রেগ করেছে। তাছাড়া মূল গল্পে চরিত্রের আধিক্য ও একটা বড় সমস্যা তৈরি করেছে। এছাড়া বাকি সব একদম পারফেক্ট। (অনেকে দেখলাম রিভিউ দিতে গিয়ে পুরো গল্পটাই বলে দিলেন। এটা করবেন না প্লিজ।)
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের গ্রুপগুলিতে আমার নজরে পড়া সর্বাধিক পরিচিত বইগুলির মাঝে অন্যতম এক বই এই "আমাজনিয়া"। ২০১৪ সালে অনুবাদিত এই বইটি আমার সংগ্রহে আসে বছর খানেক আগে। এতদিনেও বইটি না পড়ার পেছনের কারণ খুব হাস্যকর। আমি বইটি জমিয়ে রেখেছিলাম। বেশ কিছু বই আছে যেগুলোর ক্ষেত্রে আমার এই অনুভূতি হয়,পড়লেই তো ফুরিয়ে যাবে! এত্ত এত্ত রিভিউ আর পোস্ট দেখে এই বইটির ব্যাপারেও আমার এই অনুভূতি হয়েছে। এবং সত্যি সত্যি পড়ার পর আফসোস হয়েছে, আহা! রহস্য জানা হয়ে গেলো! চলে আসি বইয়ের কাহিনীতে। "আমাজন" এর জীবন নিয়ে উপাখ্যান তারই নাম "আমাজনিয়া"। আমাজনের স্থানীয় মিশনারি গ্রামের এক চার্চে এসে উপস্থিত হলো মৃতপ্রায় এক ব্যক্তি। চার্চের পাদ্রি তাঁর সাধ্য অনুযায়ী লোকটার সেবা এবং চিকিৎসা দেয়ার পরেও প্রাণ ত্যাগ করেন এই ব্যক্তিটি। কিন্তু কে এই লোক? ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় তার পরিচয়। মৃত ব্যক্তির নাম জেরাল্ড ক্লার্ক এবং তিনি আমেরিকার সি.আই.এ- এর একজন সদস্য। আজব কথা তো! সি.আই.এ-এর একজন সদস্য আমাজন বনে কী করছে? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে অতীত। ঘটনাটি চার বছর আগের। কার্ল র্যান্ড নামের একজন ডাক্তার ইকো-টেক নামের এক পরিকল্পনা হাতে নেন। আমাজন জঙ্গলের হাজারো উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক জীবনধারণের রহস্য খুঁজে বের করা এবং আমাজনের স্থানীয় সব গোত্র যারা আমাজনের সব প্রতিকূলতা জয় করে আমাজনের সৃষ্টির মাধ্যমেই (ঠিক যেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা!) এবং তারা টিকে আছে হাজার বছর ধরে - তাদের সেসব গোপন রহস্য উদ্ধার করে নতুন কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করাই ছিলো ডাঃ কার্ল র্যান্ডের উদ্দেশ্য। এবং এই উদ্দেশ্যেই একটা স্পেশাল টিম নিয়ে আদমশুমারি ও তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে যাত্রা করেন আমাজনের গভীরে। ডাঃ র্যান্ডের এই দলের একজন সদস্য ছিলেন এই জেরাল্ড ক্লার্ক নামের ব্যক্তিটি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! ডাঃ র্যান্ডের এই দলটি চার বছর আগেই আমাজনের গভীরে হারিয়ে যায়। অনেক খুঁজেও কোন হদিস মেলেনি তাদের একজনেরও। ঠিক যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে দলের প্রতিটি সদস্য। কিন্তু চার বছর আগের কঠোর অনুসন্ধানের শূণ্য ফলাফলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফিরে এলো জেরাল্ড ক্লার্ক। কিন্তু এতেও ডাঃ র্যান্ডের দলের হারানো রহস্য যেই লাউ সেই কদুই রয়ে গেলো। কোন রকম সূত্র বা তথ্য না দিয়েই মারা গেলো এই এজেন্ট।ইস!! আফসোস হচ্ছে তো? ডাঃ র্যান্ডের দলের কী এমন হয়েছিলো তা বুঝি আর জানা হলোনা! তীরে এসেও তরী ডুবলো! দাঁড়ান দাঁড়ান! রহস্য আরো বাকি! জেরাল্ড ক্লার্ক চার বছর আগে যখন অভিযানে যান তখন তার হাত ছিলো একটি। একটি যুদ্ধে ক্লার্কের একটি হাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে তা কেটে বাদ দিতে হয়েছিলো পূর্বেই। কিন্তু এই একহাতী ক্লার্ক যখন চার বছর পর ফিরে এলো তখন তার দু'টি হাতই দিব্যি দৃষ্টিগোচর হলো! তারমানে মৃত্যুপথ যাত্রী ক্লার্কের আরেকটি হাত গজিয়েছিলো? তা কীভাবে সম্ভব? নাহ! এসব রহস্য হজম করা যায়না! চার বছর পর ক্লার্কের আবির্ভাব এবং তার নতুন হাত সৃষ্টির রহস্য অনুসন্ধানে নতুন করে টিম গঠন করা হলো। দীর্ঘ চার বছর পর পুনরাবৃত্তি ঘটলো অতীতের। আবার এক দল যাত্রা শুরু করলো আমাজনের গভীরে। যেখানে সর্বদা ওত পেতে থাকে মৃত্য।এই টানটান উত্তেজনা আপনার নার্ভ সিস্টেমকে উত্তপ্ত করতে সক্ষম। সত্যি কথা বলতে বেশ অনেকদিন পর এত বেশি আকর্ষণের একটি বই পড়লাম। জেমস রোলিন্স এর জাদুকরী লেখার সাথে এটাই আমার প্রথম পরিচয়। স্বাভাবিক ভাবেই পছন্দের লিস্টে উনার নামটা উঠে গেলো। চুম্বক আকর্ষণে বইটি পড়ে শেষ করেছি। অনেকের কাছেই শুনেছিলাম যে, কাহিনী ধীর গতির। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে এভাবে না এগুলে সব ব্যাপারে পাঠক পরিষ্কার ধারণা পেতেন না। আমাজনের রহস্য জানার জন্য প্রতিটি লাইন উল্লেখযোগ্য। রাকিব হাসানের এটি প্রথম অনুবাদ হলেও যথেষ্ট ভালো করেছেন তিনি। অন্তত আমার কাছে তো বটেই। অল্প কিছু জায়গায় অসামঞ্জস্যতা থাকলেও কাহিনীর বেগের জন্য তা গণনায় আনা যায়না। সর্বোপরি প্রকাশক এবং অনুবাদক কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো এত চমৎকার এক বইয়ের সাথে পরিচয় এর সুযোগ করে দেয়ার জন্য। ডিলান সাহেব এর করা প্রচ্ছদটা দারুণ লেগেছে। খারাপ দিক হচ্ছে বানানের ব্যাপারটি। আ-কার,ই-কার এর ভুল, পাশাপাশি দু'টো শব্দ জোড়া লেগে যাওয়া এই জিনিস গুলি এখনকার অধিকাংশ বইয়েই দেখা যাচ্ছে। পাঠক এর প্রতি দয়াবশত হলেও এসব দিকে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নজর দেয়া উচিত। বাধ্য হয়ে একটা কলম নিয়ে বই পড়তে বসি ইদানীং। অর্থাৎ প্রকাশিত বইয়ের প্রুফ রিডিং এর কাজটা সেরে ফেলি। ভালো লেগেছে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
its a really good book. you need to read this.
Was this review helpful to you?
or
'চমৎকার একটা এডভেঞ্চার গল্প। পাঠককে আমাজনের ভীতিকর পরিবেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে রোলিন্স। একশনে ভরপুর' -ক্লাইভ কাসলার হ্যাগার্ড আর ক্রাইচটনের মতোই এটা চিরায়ত এডভেঞ্চার গল্ল......চমকপ্রদ কাহিনী - পাবলিশার্স উইকলি আমাজনিয়া শ্বাসরুদ্ধকর একটা থ্রিলার। ইন্ডিয়ানা জোন্স-এর ভক্তদের জন্য লুফে নেবার মত একটা বই! -টের গেরিটসেন প্রথম পৃষ্ঠা থেকেই আমাজনিয়া আপনাকে কব্জা করে ফেলবে....শেষ পৃষ্ঠার আগে মুক্তি নেই -লিংকন চাইল্ড রোলিন্স তার উপন্যাসে বাস্তব জগতের সত্যিকারের ঘটনা র বিস্তয়ক্র প্রযুক্তির যে বর্ণনা দেন পাঠকের জন্য সে সব হয়ে উঠে দারুন লোভনীয়..... ২০০৮ সালে মাইকেল ক্রাইচটন মারা যাবার পর নিশ্চিতভাবেইই তার ব্যাটনটি রোলিন্সের হাতে দিয়ে গেছেন! -বুক ওয়ার্ল্ড কাহিনীর শুরু হয় ইয়ানোমামো আদিবাসীদের একটি গ্রামে, যেখানে আবির্ভাব ঘটে সিআইএ-এর এক প্রাক্তন এজেন্ট- জেরাল্ড ক্লার্কের। তাঁকে উদ্ধার করে একজন পাদ্রি। উদ্ধারের কিছুক্ষন পরই মারা যায় সে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে আলোড়ন সৃষ্টি হয় উঁচু মহলে। কারণ প্রধানত তিনটি- প্রথমত, সে চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক অভিযাত্রী দলের সদস্য। দ্বিতীয়ত, চার বছর আগে তাঁর হাত ছিল একটি, কিন্তু এখন তাঁর দুটি হাত দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, তাঁর সারা শরীরে গিজগিজ করছে ক্যান্সার এবং সারা আমেরিকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এক অজানা ঘাতক ব্যাধি, যার বাহক জেরাল্ড ক্লার্ক নিজে। সবাই প্রায় নিশ্চিত- জেরাল্ড ক্লার্কের দ্বিতীয় হাতের রহস্যের চাবিকাঠি এবং এই অজানা রোগের প্রতিষেধকের সম্পর্ক রয়েছে চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া দলটির সাথে। প্রতিষেধক অনুসন্ধান এবং রহস্যভেদের জন্য নতুন একটি অভিযাত্রী দল গঠন করা হয়। তাতে রয়েছে ১০ জন রেঞ্জার এবং প্রায় ৭-৮ জন সিভিলিয়ান। সিভিলিয়ানদের মাঝে রয়েছে- নাথান , যার বাবা ছিল হারিয়ে যাওয়া দলটির নেতা, প্রফেসর কাউই, ইন্ডিয়ান শামান; কেলি ও ফ্রাঙ্ক, সি আই এ-এর সদস্য, জমজ ভাই-বোন কেলি আর ফ্রাংক ; ম্যনুয়েল ও তাঁর পোষা জাগুয়ার টর টর। কিন্তু তাদের পিছু পিছু রওনা হয় আরও একটি দল, নাথান ও তাঁর বাবা কার্ল রেন্ডের শত্রু- ড. লুই ফ্যাভ্রি । এদের উদ্দেশ্য- নতুন দলটির অভিযান পন্ড করা ও তাদের আবিষ্কার হাতিয়ে নেয়া। এভাবেই শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস এক কাহিনীর... এখানে পাওয়া যাবে আমাজনের গহীন অরন্যের ভেতর জমাট বাধা রহস্য,অজ্ঞাত রোগব্যাধির ছোঁয়া আর অজানা অভিযানে নিজেকে সামিল করে নেয়ার সুযোগ।বইয়ের চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচে ভালো লেগেছে প্রফেসর কাউইকে। দারুন একটা মানুষ। আর সবচে দুর্বল মনে হয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ও’ব্রেইনকে। তাছাড়া টর টর কেও খুব ভালো লেগেছে- যদিও এ কাহিনীর নায়ক হচ্ছে নাথান র্যান্ড । বইটা কেমন? এক কথায় অসাধারণ। সিগমা ফোর্স এর দ্বিতীয় বই ম্যাপ অব বোনস পড়ে হয়েছিলাম জেমস রোলিন্স স্যার এর ফ্যান । আর এটা পড়ে হয়ে গেলাম অন্ধ ভক্ত। আমার প্রিয় লেখকদের লিস্টে ক্লাইভ কাসলার,ফ্রেডরিক ফরসাইথ এবং ম্যাথিউ রাইলি এদের সাথে যুক্ত হল আরেকটা নাম জেমস রোলিন্স আমাজনের রহস্যময় অথচ সুন্দর জীববৈচিত্র, নানারকম ঔষধি উদ্ভিদ, ইয়ানোমামো জাতির চিত্তাকর্ষক সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে চাইলে বইটি পাঠ্য হিসেবে পড়তেই হবে। বিভিন্নরকম চিন্তার খোরাক যোগানোর জন্য আমাজনিয়ার কোন তুলনা নেই। অনুবাদক রাকিব হাসানের এটি প্রথম অনুবাদকর্ম। প্রথম হিসেবে রাকিব ভাইয়ের কাজ যথেষ্ট ভালো হয়েছে । ভবিষ্যতেও তাঁর কাছে এমন মানসম্মত অনুবাদ আশা করবো।
Was this review helpful to you?
or
(এরকম একটা বেস্ট-সেলার বই পড়তে আমার প্রায় ২ মাস সময় লাগলো। এটা খুবই বাজে ব্যাপার। বানানের দিকে খেয়াল রাখলে আরও ভালো লাগতো) বইটা পড়া আরম্ভ করার পর থেকে পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলছিলাম। আগ্রহ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বারবার হাত থেকে নামিয়ে রাখছিলাম। কিন্তু ধৈর্য ধরে কিছুদূর পড়ার পরেই পাওয়া গেলো আসল মজা। রহস্যের আভাস! জঙ্গল আমাদের মারে আবার সেই জঙ্গলেই পাওয়া যায় বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় রসদ। শুধু থাকতে হবে পর্যাপ্ত জ্ঞান। আমাজন এমনিতেই শ্বাপদসঙ্কুল জায়গা। এক পা ফেলতেও অনেক ভেবে ফেলতে হয়। অজানা বিপদ কোথায় ওঁত পেতে আছে কে জানে? দারুণ এক অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে এই বই। সেই সাথে আছে প্রতিশোধ, পালটা প্রতিশোধ, লোভ, আত্মত্যাগ আর পৃথিবীর জন্য ভালোবাসার এক অমূল্য নিদর্শন। এই কাহিনীই আমাদের বুঝিয়ে দেয়, তথ্য-প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা যতই এগিয়ে যাই না কেন, আমাদেরকে প্রকৃতির কাছে মাথা নত করতেই হবে। কারণ, দিনশেষে প্রকৃতিই সর্বেসর্বা। এই পুরো বিশ্বটাই এক বিশাল ল্যাবরেটরি, যেখানে হরদম আলাদা আর নতুন কিছু ঘটে চলেছে। বইটা সিরিয়াস রকমের বই, হয়ত রহস্য আছে কিন্তু হাস্যরস অনুপস্থিত। নিরীহ ইন্ডিয়ানদের মৃত্যু, অভিজানে অংশ নেওয়া সহযাত্রীদের একে একে খোয়ানো আর কিছু আলাদা রকম জিনিশ আবেগে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। “আমাজনিয়া” দারুণ এক বই।
Was this review helpful to you?
or
এত বড় রিভিউ আমি কখনো লিখিনা কারণ রিভিউ হওয়া উচিত অল্প কথায় পাঠকের আসলে কেমন লেগেছে। কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে দেখলাম অনেক বিশদ বর্ণনা দেওয়া। তার মধ্যে অনেক বেশি চরিত্র আর তাদের ছেড়া ছেড়া পরিচয়। ইংরেজী রিভিউতেও কোথাও পুরো বর্ণনা পেলাম না তাই ভাবলাম আমিই দেই। তাই রিভিউ একটু বড় হয়ে গেলো। জেমস রোলিন্স মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন মনে হয়েছে এই লেখার পিছে। এটি ২০০২ এ প্রথম বার হয়। আর ২০১৪তে অনুবাদক রাকিব হাসানের সাবলীল অনুবাদ আমাদের বাঙালিদেরও পুরো মাত্রায় বইটির আনন্দ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন এই জন্য প্রথমেই তাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। জঙ্গল এমনিতেই কিছুটা রহস্যময় জায়গা সেখানে গল্পের প্লট যদি হয় আমাজন তাহলেতো কথাই নেই। কি নেই এই গল্পে পড়া শেষ করে ভাবছিলাম। সুখ, দুঃখ, ঘৃনা, ভালবাসা, সাসপেন্স, থ্রিল, ভৌতিক, একশন সব কিছু দিয়ে ভরপুর। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়েছে কারণ ঘটনার মোড় এত বেশি যে খেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই যাদের মাঝে বা শেষে পড়ার অভ্যাস আছে তাদের ফাঁকিবাজি এই বইতে চলবে না। পড়তে পড়তে ঢুকে যেতে হবে আমাজনের গহীন জঙ্গলে যেখানে জানার চাইতে অজানা বিপদের সংখ্যা বেশি। ঘটনার শুরু হয়েছে যদিও জেরাল্ড ক্লার্ক নামের আমেরিকান আর্মির এক সাবেক স্পেশাল ফোর্সের সৈনিকের অদ্ভুত লাশের নতুন করে গজানো হাত দিয়ে যা নাকি সে ইরাকের যুদ্ধের সময় হারিয়েছিল। নাহ, নকল নয় একেবারে রক্ত মাংসের আসল হাত। এও কি সম্ভব নাকি!!! বিস্ময় শুধু সেখানে গিয়ে থেমে থাকেনি এই লাশের। ময়না তদন্তে যা বেরোলো অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা ২ সপ্তাহের লাশের সারা শরীর জুড়ে নাম না জানা ক্যান্সার। যা পরবর্তীতে কিছুটা মহামারী আকারে ভাইরাসের রূপ নিয়ে আশে পাশের সুস্থ দেহের মানুষ বিশেষ করে শিশুদের আক্রমন করে আর মানুষ চিকিত্সা স্বত্তেও মারা যেতে শুরু করে। কিন্তু মূল ব্যাপার তা নয়, জেরাল্ড ক্লার্ক গায়েব হবার আগে ডঃ কার্ল র্যান্ডের একটি গবেষক দলের সাথে আমাজনে গিয়েছিল। আসল ব্যাপার হলো সেই পুরো দলই নিখোজ। তাহলে ক্লার্ক এতদিন পর কোত্থেকে উদয় হলো আর বাকিরা কোথায় ? একদল আমেরিকান সিআইএ আর এনভায়রমেন্ট সেন্টারের লোক নিয়ে কার্ল র্যান্ডের ভূতপূর্ব নিয়োগকর্তা টেলাক্স ফার্মাসিউটিকালস অপারেশন আমাজনিয়া গঠন করে হারিয়ে যাওয়া কার্লের গবেষনার শেষ ফলাফল খুঁজে বার করতে। আমাজনের মত জঙ্গলে অনভিজ্ঞের কোনো স্থান নেই তাই তারা সিদ্ধান্তে আসে কার্লের ছেলে নাথান র্যান্ডের সাহায্য নিতে। যদিও এই টেলাক্সই ৪ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া শিল্পপতি এবং গবেষক কার্লের খোজ করতে নাথানের প্রস্তাবে তখন সাড়া দেয়নি কারণ তারা ধরেই নিয়েছিল তিন মাস পর পুরো দলটিই আর জীবিত নেই। তারা গিয়েছিল মূলত সব ইন্ডিয়ানদের সঠিক আদমশুমারির কাজে। কিন্তু তার আগেই পুরো দলই গায়েব হয়ে যায়। কিন্তু সেই দলের সদস্য জেরাল্ড ক্লার্কের মৃতদেহ ৮ বছর পর তাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে একরকম বাধ্য করে। এই গল্পের প্রতিবন্ধকতা আমার কাছে একটিই মনে হয়েছে আর সেটি হলো চরিত্রের আধিক্য। ডঃ নাথান র্যান্ড মূলত একজন বটানিস্ট এবং নিরুদ্দেশ গবেষক ডঃ কার্ল র্যান্ডের একমাত্র ছেলে। অপারেশন আমাজনিয়া শুরু হবার এক মাস আগেই নাথান তার নিরুদ্দেশ পিতার খোঁজে ঐ এলাকায় এসে ইন্ডিয়ানদের সাথে থাকা শুরু করে, যেই গবেষণা তার বাবা শুরু করেছিল সেটাই সে করে শেষ করতে চায়। গল্পে ম্যানুয়েল খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কারণ সে নাথান র্যান্ডের সব চেয়ে কাছের বন্ধু। এই আমাজনের উত্তরাঞ্চলের সাও গাব্রিয়েলে বসবাসকারী অনাথ তরুনটি বায়োলজিতে ডিগ্রী নেওয়া শিক্ষিত তরুণ কিন্তু স্থানীয় ভাবেই সে কাজ করে আমাজনের অর্থাৎ নিজেদের জন্য। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তার একটি পালিত জাগুয়ার টরটর। যার পরবর্তীতে অনেক অবদান আছে এই অভিযানে।কেলি ওব্রেইন একজন আমেরিকান ডাক্তার অপারেশন আমাজনিয়ার একজন মেম্বার। ফ্রাঙ্ক ওব্রেইন কেলির জমজ ভাই সিআইএর প্রতিনিধিত্বকারী, অপারেশন লিডার মিলিটারী ফোর্স ক্যাপ্টেন। মার্শাল ওব্রেইন কেলি এবং ফ্রাঙ্কের পিতা এনভায়রনমেন্টাল সেন্টারের ডিরেক্টর, মূলত তার হাতেই প্রথম ক্লার্কের মৃত দেহটি আসে। প্রফেসর কাউয়ী মূলত একজন ইন্ডিয়ান এবং কার্ল র্যান্ডের বন্ধু। সে ছিল ভেনিজুয়েলায় শামান অর্থাৎ ইন্ডিয়ানদের চিকিত্সক কিন্তু পরবর্তীতে কার্লের সহায়তায় সে অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে এবং বর্তমানে ব্রাজিলের একজন সেরা উদ্ভিদ বিজ্ঞানী। ডঃ আনা ফঙ একজন এশিয়ান আন্থ্রপলোজিস্ট এবং ভাষাবিদ। ডঃ লুই ফ্যাভ্রি হলো এই পুরো গল্পের একজন বড় মাত্রার ভীলেন। কথায় বলে বুদ্ধিমান মানুষ যদি কুকর্ম করতে শুরু করে তাহলে তার ফলাফল সাধারণের চেয়ে দ্বিগুন মারাত্মক হয়। ফ্যাভ্রি মূলত ছিলেন একজন ফরাসী বায়োলজিস্ট কিন্তু তার ছিল টাকার লোভ আর যশের বাসনা। কার্ল র্যান্ডের সাথে বিরোধ হয়েছিল তার কালোবাজারী টাকা আয়ের ক্ষেত্র আমাজনের মূল্যবান জন্তু বা তাদের অংশ পাচার, মাদক, লুটপাটের ব্যাপার নিয়ে। তাকে মূলত এই অপারেশন আমাজনিয়ার বিপরীত দলে নিয়োগ দেয় টেলাক্সের শত্রু পক্ষ। কিন্তু ফ্যাভ্রি মূলত তার ব্যক্তিগত ইচ্ছায়ই এতে অংশ নেয়। সুই এই গল্পের বোধয় সব চেয়ে মারাত্মক চরিত্র। জাতে আমাজনিয়ান ইন্ডিয়ান কিন্তু বর্তমানে ফ্যাভ্রির সহযোগী। সুইকে মূলত তার গোত্র থেকে তার স্বামীকে খুন করা আর কালো জাদুতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ডাইনী আখ্যা দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। প্রচন্ড হিংস্র এবং মায়া দয়াহীন এই নারী পরবর্তীতে গল্পে বহু লোকের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। মূলত সুই হচ্ছে একজন ঠান্ডা মাথার ভয়ংকর খুনি। আর তার খুনের পদ্ধতিও অন্যদের থেকে অনেক বেশি হিংস্র। অলিন পাস্তারনায়েক একজন সিআইএ ডিরেক্টর। রিচার্ড জেন একজন রিসার্চ হেড টেলাক্সের তরফ থেকে। এছাড়া আর্মিরেন্জার্দের ৮ জনের একটা ইউনিট দেওয়া হয় সুরক্ষার জন্য যার মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে মৃত্যু বরণ করে, আর তাদের জায়গায় নতুন লোকও নেওয়া হয়। ক্লার্কের শরীরে কিছু ট্যাটু আঁকা ছিলো যার মধ্যে একটি প্রফেসর কাউয়ী চিহ্নিত করেন ব্লাড জাগুয়ার নামের এক ভয়ঙ্কর হিংস্র এবং শক্তিশালী গোত্রের ইন্ডিয়ানদের আঁকা তাদের ব্যান-আলির চিহ্ন হিসাবে। এই আমাজনিয়ান গোত্র যুগ যুগ ধরে কিছুটা পৌরানিক গল্পের মত বিভিন্ন গোত্রের কাছে পরিচিত কিন্তু কেউ কখনো এদের কাছে বা এদের এলাকার কাছেও যাওয়ার চেষ্টা করেনা। দলটা যাত্রা শুরু করা থেকে প্রতিটা পদে পদে বাধার সৃষ্টি করেছে ফ্যাভ্রি তাতে দলের অনেকেই মারা পরে। কখনো দিনের আলোয় কুমীরের মত কখনো রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা করে নাথানদের জীবন অতিষ্ঠ করে ফেললেও কেউ বুঝতে পারেনি কাজগুলো আসলে করছে কে। যদিও কারো পিছু নেওয়া বা স্যাবোটাজের ব্যাপারটা কাউয়ীর অভিজ্ঞ চোখে আগেই ধরা পরেছিল কিন্তু সুইয়ের সুচারু কাজ আর দলের ভিতরে বেইমান থাকার কারণে আগে কেউ ধরতে পারেনি। সব কিছু হারিয়ে যখন নাথান কিছু লোকের সাথে কেলিকে ফেরৎ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল তখনই হঠাত তাদের রেডিও জ্যাম করে দেওয়া হয়। কেলির একমাত্র মেয়ে জেরাল্ড ক্লার্কের মৃত দেহ থেকে ছড়ানো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল আসে পাশের অন্যান্য মানুষের মতই। তাই সন্তানকে শেষ বারের মত কেলি দেখতে চাইছিলো। নাথানও প্রায় বিশ্বাস করে ফেলেছিল এই দুর্গম জঙ্গলে কারো পক্ষে বাঁচা সম্ভব না। তাই তারা সাহায্যের জন্য একটি জায়গায় অপেক্ষা করতেই অস্বাভাবিক বড় রাক্ষুসে জাগুয়ারের দ্বারা দলটি আক্রান্ত হয় তাতে তাদের মনে হতে থাকে সম্ভবত তারা ব্যান আলির খুব কাছে চলে এসেছে। কিছু কিছু আক্রমন যে ফ্যাভ্রি করেনি তা তারা পিছে থেকে দেখে অবাক হচ্ছিল যেমন অস্বাভাবিক দুপেয়ে পিরানহা মাছের ডাঙায় উঠে আক্রমন করা বা তিনগুন বড় জাগুয়ারের আক্রমন। তাই ফ্যাভ্রি নাথানদের দলকে আগে যেতে দিল আর পিছে থেকে নজর রাখল। অবশেষে নাথানরা সেই দুর্লভ গোত্রের মানুষের দেখা পেলো এবং এই প্রমানও পেল যে তার বাবা জীবিত অবস্থায় এখানে এসেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা যেটা হয় তা হলো ফ্র্যাঙ্কের পা দুটো রাক্ষুসে জাগুয়ার এক কামড়ে কেটে নেয়। কিন্তু অপারেশন আমাজনিয়া এই ব্যান আলির ইন্ডিয়ানদের কাছে এসে বড় সর একটা ধাক্কা খায় যখন দেখে স্রেফ একটি প্রাচীন বৃক্ষের আঠায় ফ্র্যাঙ্কের রক্তপাত বন্ধ হয়ে রীতিমত নতুন চামড়া হয়ে গেছে। এই গাছের আঠা যেমন উপকার করছে তেমন পরিবেশ বৈরী অনেক কিছুর সৃষ্টি করছে। কেন এই গাছের গুনাগুন এরকম এর উত্তর জানা হয়তো সম্ভব না কারণ গাছের শেকড় বলে দিচ্ছে এটি বহু প্রাচীন। প্রাচীন বহু উদ্ভিদই বৈরী পরিবেশে বেচে থাকে কিন্তু গুনাগুন বা ফুল ফলের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়। এই ইয়াগা নামের গাছের বেলায় হয়তো তাই হয়েছে। এর যা ঔষধি গুন ছিল ততো আছেই কিন্তু কালের বিবর্তনে কিছু কেমিক্যাল রিয়াকশন হয়ে যায় প্রাণীর দেহে। পরবর্তীতে তারা আরো খুঁজে পায় যে জন্তু জানোয়ারের অস্বাভাবিক বড় এবং বিকৃত হয়ে যাওয়ার পেছনেও এই গাছের রসই দায়ী। কিন্তু সমস্যা দাড়ায় দুরকম এক এই ব্যান আলিরা যারাই তাদের এলাকায় ঢুকে, তাদের দাস হতে বাধ্য করে আর দুই ফ্যাভ্রি বাইরে থেকে আক্রমন করে কেলিকে আর ফ্র্যান্ককে ধরে নিয়ে যায়। মূলত এই গল্পের ক্লাইম্যাক্স একটু বেশি নাটকীয় হয়ে গেছে। এই গল্পে বিস্ময়ের যেন শেষ নেই, সর্বশেষ টুইস্ট যেটা থাকে তা হলো কার্ল র্যান্ডকে জীবিত ফেরৎ পাওয়া। ফ্যাভ্রির দলকে হারিয়ে নাথানদের আমেরিকায় ফেরৎ যাওয়া আর কেলির মৃতপ্রায় মেয়েরও বেচে যাওয়া। সর্বশেষ দুটো বাড়াবাড়ি রকমের ব্যাপার বইতে ছিল যা একেবারে হিন্দি সিনেমা হয়ে গেছে। এক কেলির একটা শারীরিক সমস্যায় দিব্তীয়বার মা হবার ক্ষমতা হারিয়েছিল যা ঐ ইয়াগা গাছের রস খেয়ে সেরে যায় এবং কিছুদিন পর সে টের পায় সে অন্তস্বত্তা আর তার ভাই ফ্র্যাঙ্কের কয়েকমাসেই স্বাভাবিক ভাবে ক্লার্কের মত নতুন পা গজিয়ে যায়। মোট কথা গল্পে প্রচুর মোড় আছে যা কেউকে সুস্থির হতে দেবেনা। আমার কাছে শুরুটা যতটা আকর্ষনীয় লেগেছিলো শেষের দিকে ততটা লাগেনি।এমনিতে খুব উপভোগ্য বই।