User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
khub sundor ? Amar Bhalo legeche . আমার পড়া সেরা ভৌতিক বই
Was this review helpful to you?
or
জঘন্য বই।রুচির অভাব।টাকাটাই নষ্ট
Was this review helpful to you?
or
রকমারি থেকে প্রথম অরডার
Was this review helpful to you?
or
Joss
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিল। স্যারের লিখা বেস্ট একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক ভালো। ভৌতিক জনরার এই বইটি সকলের পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে অসাধারণ একটি বই। রেকমেন্ডেড
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর ??
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বইয়ের নামঃ প্রেত লেখকঃ জাফর ইকবাল ধরনঃ ভৌতিক উপন্যাস প্রকাশনীঃ জ্ঞানকোষ প্রকাশনী মূল্যঃ ১৫০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ ১৩২ টাকা) কাহিনী সংক্ষেপেঃ রুমী বহুদিন হলো শানুকে দেখে নি। সেই কবে শানুর বিয়ে হয়ে গেছে তারপর মাত্র একবার দেখা হয়েছে। কদিন আগে শানুর স্বামী ঢাকা এসেছিলেন গুড়ের একটা চালান নিয়ে। ছোটখাটো মানুষ, মুখে সব সময়ই ভালো মানুষের মতো একটা হাসি। সদরঘাটের কাছে কি একটা ঘিঞ্জি হোটেলে ছিলেন সপ্তাহখানেক। রুমীকে খুব যত্ন করে হোটেলে নিয়ে শিককাবাব খাইয়েছিলেন। যাবার সময় খুব করে বলেছেন যেতে। রুমী কথা দিয়েছিল পরীক্ষা শেষ হলে যাবে। তখন ভদ্রলোককে শান্ত করার জন্যেই বলেছিল, কিন্তু পরীক্ষা শেষ হবার পর ও সত্যিই ঠিক করল যাবে। হকার্স মার্কেট ঘুরে ঘুরে সে শানুর জন্যে একটা শাড়ি কিনল, শানুর বাচ্চার জন্যে একটা খেলনা গাড়ি। শানুর স্বামীর জন্যে একটা দামি সিগারেট লাইটার, ভদ্রলোক শৌখিন মানুষ কিন্তু প্রাণে ধরে বিলাসিতার জিনিস পয়সা খরচ করে কিনতে পারেন না। ঘড়িটা আস্তে আস্তে দুলছে জোয়ারদারের হাতে, ডান থেকে বামে, বাম থেকে ডানে। তাকিয়ে থেকে থেকে রুমীর কেমন যেন মাথা গুলিয়ে আসে, চোখ সরাতে পারে না সে ঘড়ি থেকে। ভয় পেয়ে যায় হঠাৎ। লাফিয়ে উঠে বসতে চায় সে, কিন্তু আবিষ্কার করে ওর কোনো শক্তি নেই, ওর চোখ ভেঙে ঘুম নেমে আসছে।ঘুমাও তুমি, ঘুমাও─ কে যেন ওকে বলছে অনেক দূর থেকে।না, না, না, রুমী প্রাণপণ চেষ্টা করে জেগে থাকতে, ভয়ের একটা শীতল স্রোত ওর চেতনাকে জাগিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু পারে না। আর তারপর?? জানতে হলে পড়ুন বইটি। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ ভেবেছিলাম প্রেতসাধকদের কাজকারবার দিয়েই শেষ হবে কিন্তু না শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। খুব বেশি আশা নিয়ে বইটা শুরু করিনি তাই আশাভঙ্গেরও কোন কারন নেই। একটা ব্যাপার বেশ লক্ষণীয়, এই প্রেতসাধনার গল্প বলতে গিয়ে লেখক আমাদের দেশের কিছু নির্মম সত্যকে এতো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন তা আসলেই প্রশংসনীয়! তাছাড়া স্যারের হরর বইগুলো কোন এক বিশেষ কারণে আমার খুবই পছন্দ। এর আগে ছায়লীন, অন্যজীবন আর পিশাচিনী পড়ে বেশ ভালোই ভয় পেয়েছিলাম। এই বইটা ঠিক ভয়ের না, কিন্তু ভালো।হরর গল্পের প্রতি কেমন যেন একটা দুর্বলতা কাজ করে আমার আগে থেকেই। কারন এখনো জানা হয়ে ওঠেনি। তবে হরর বলতে ব্লাডি হরর না, ছোট ছোট গল্পের হরর, ঐ যে যেগুলো আড্ডার মাঝে উঠে আসে না? সবাই নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে, এমন হরর। জাফর ইকবালের পিশাচিনী ঠিক তেমন একটা বই। হরর হিসেবে সব সময়ের পছন্দ দেশী, কথায় খাটি গ্রাম বাংলার হরর। এই বই এর সব কয়টি গল্প দেশী না হলেও লেখক উত্তম পুরুষে বই লিখায় বইটি অনেক বিশ্বাস যোগ্য লাগে। এই কারনেই কিনা লেখক বই এর শেষে লিখে দিয়েছেন বই এর সব কয়টি গল্প কাল্পনিক। পরিশেষে ভাল একটা বই। লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ প্রেত লেখকঃ জাফর ইকবাল ধরনঃ ভৌতিক উপন্যাস প্রকাশনীঃ জ্ঞানকোষ প্রকাশনী মূল্যঃ ১৫০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ ১৩২ টাকা) . #রুমিbr উপন্যাসের কেন্দীয় চরিত্র তাকে ঘিরেই গল্পের শুরু এবং শেষ। br রুমি অত্যন্ত সাধারণ ঘরের ছেলে কিংবা বলা যায় সাধারণেরও নিচে। রুমির জীবনটা খুব সহজ ছিলো যতদিন না সে ঢাকায় এসেছিল। সহজ বলতে গোলমেলে ছিল না। তবে কষ্টের ছিল। রুমি বলতে গেলে অনাথ ছিলো। বাবা খুন হয়ে যায় ছোটবেলায় সেই থেকে মা অপ্রকিতস্থ হয়ে নিজের বাপের বাড়ি ফিরে যেয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর সংসার করে। রুমি আর রুমির ছোট বোন্ শানুকে তাদের ফুপু এনে তোলে তার নিজের সংসারে ঢাকাতে। মূলত এই খানেই রুমির মূল যাত্রার শুরু। ফুপুর সংসারে কাজের ছেলে হয়েই থেকে যেতো যদি ফুপা তাকে পড়ার সুযোগ না দিতেন। অভাগা রুমি ছাত্র ভালো ছিলো।br br .br রুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ছিল চুপচাপ স্বভাবের ছেলে ছিল সে তেমন বন্ধুবান্ধব ও ছিল না তার। ক্লাস আর টিউশনি এই নিয়েই তার সময় কাটছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু বিদ্বেশী উদ্ভট অসহ্যকর চরিত্রের কিবরিয়া ভাইয়ের সাথে হঠাৎই পরিচয় হয়।br কিবরিয়া ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই রুমির জীবন পাল্টে যেতে থাকে। তার পরিবর্তন হয় খুব তারাতারি। কিবরিয়া ভাঈ তাকে প্রচুর বই জোগার করে দেন যা পড়ে পৃথিবী সম্পর্কে রুমির ধারনা পাল্টে যায়।br .br এর মধ্যেই একদিন অবসর সময় কাটানোর জন্য তার এক বন্ধুর কথায় এক জ্যোতিষী কাছে হাত দেখাতে গিয়েই রুমি "বিখ্যাত জ্যোতিষী জোয়ারদার" চক্রান্তকারী দলের ফাঁদে পড়ে।br তাকে হিপনোটাইজড করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের ডেরায়, যেখানে এক প্রেতসভায় তাকে ব্যবহার করা হবে লুসিফারের মিডিয়াম হিসেবে। মিডিয়াম রুমির ওপর ভর করেই শয়তান এসে হাজির হয় পার্থিব জগতে।শয়তানের উপাসকরা তাদের কাজ শেষে তাকে প্রায় খুন করে ফেলেছিলো যদি সে পালাতে সফল না হত। . কুড়ি দিন পর রুমি জ্ঞান ফিরে।যখন হাসপাতালে চোখ খুলে প্রথম এই কিবরিয়া ভাইকেই দেখতে পায়।মস্তিষ্কের অপারেশনের কারনে রুমি এখন অনেক ঘটনাই মনে করতে পারে না।br এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল কিন্ত হঠাৎই রুমি নিজের ভিতর পরিবর্তন ঘটতে শুরু করল রুমি মানুষের মনের কথা শুনতে পারত। অলৌকিক এক ক্ষমতা সে তার ভিতর লক্ষ্য করল। ভড়কে যায় রুমি। এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে ভেবে ভেবে হয়রান হয়ে একরকম মানুষের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। সে টের পায় লুসিফার তার ভেতর থেকে একেবারে মুছে যায়নি সে আতঙ্কিত হয়ে নিজেকে প্রায় গৃহবন্দী করে ফেলে। ঠিক তখনই কয়েকটি দুর্ঘটনার পর কিবরিয়া ভাই তাকে মানসিক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যায়। খুব একটা কাজ হয়না স্রেফ ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানো। এর মধ্যে এক বার মত লোকের সাথে রুমি যখন দিশেহারা তখন রাস্তায় দেখা হয়। বৃদ্ধ তাকে শান্ত হবার পরামর্শ দেয় এবং এও বলে যে তার মাঝে যেই শক্তি আছে তাতে ভয় পাবার কিছু নেই। সে যদি ভয় পায় তাহলে এই শক্তিকে সে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে না। তারপর রুমিকে একটি কাজ দিয়ে এক জায়গায় পাঠায় যেখানে তার আসা যাওয়াতে কয়েদিন সময় লাগে কিন্তু ফেরত আসার পর রুমি নিজেকে অনেক সুস্থ হিসেবে ফিরে পায়।br .br এরপর তিন বছর কেটে যায় এর মধ্যে রুমি একটি মেয়ের প্রেমে পরে। ভালোবেসে ফেলে কিন্তু তা প্রকাশের আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। সাংঘাতিক কষ্ট পায় রুমি। এর পর আসল ঘটনার শুরু। প্রথমে শহরে শিশুদের মৃত দেহ পাওয়াটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই কিন্তু এর পর যখন একের পর এক শিশু অপহরণ তারপর কিছুদিনের মধ্যে তাদের নৃসংশ ভাবে খুন করা লাশ পাওয়া যাচ্ছিল তখন পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও সতর্ক হয়ে গেল এই সিরিয়াল কিলারের ব্যাপারে।কে এই খুনি? কেনইবা সে এই নিরিহ শিশুদের হত্যা করছে?? খুনি যখন শিকারের খোজে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন রুমির সাথে ৩ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় হাজতবাসের ঘটনায় পরিচিত এক পুলিশ অফিসার তার কাছে ধর্না দিল এই খুনিকে ধরতে তাদের সাহায্যের জন্য। রুমি যদিও ভয় পাচ্ছিল আবার সেই অন্ধকারের জগতের সাথে যোগাযোগের কিন্তু এবার কতগুলো অসহায় শিশুর জীবন তার হাতে।রুমি কি ফিরে যাবে তার পেলে আসা অন্ধকারময় জগতে?? br এই নৃশংস খুনিকে কি সে খুজে বের করতে পারবে?? বাঁচাতে পারবে তো অসহায় এই শিশুদের?? br এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়ে নিতে হবে জাফর ইকবাল স্যার এর প্রেত বইখানা। br br .br #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃbr স্বল্প পরিসরে কিন্তু কোন রকম বাড়তি মেদবিহীন ঝরঝরে আর দারুণ টানটান উত্তেজনার গল্প "প্রেত"। একাধিক বিদেশী কাহিনীর ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে এই একটা গল্পেই।সবমিলিয়ে 'প্রেত' অবশ্যই অসাধারণ একটি হরর উপন্যাস। স্যারের আপামর ভক্ত ও পাঠক সমাজ তো বটেই, হরর কাহিনীতে যাদের আগ্রহ আছে তারাও এই উপন্যাস পড়ে দেখতে পারেন। এক কথায় বেশ ভালো লেগেছে এই আধিভৌতিক গল্পটি। হাপি রিডিং.....
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
রুমি অত্যন্ত সাধারণ ঘরের ছেলে কিংবা বলা যায় সাধারণেরও নিচে। রুমির জীবনটা খুব সহজ ছিলো যতদিন না সে ঢাকায় এসেছিল। সহজ বলতে গোলমেলে ছিল না। তবে কষ্টের ছিল। রুমি বলতে গেলে অনাথ ছিলো। বাবা খুন হয়ে যায় ছোটবেলায় সেই থেকে মা অপ্রকিতস্থ হয়ে নিজের বাপের বাড়ি ফিরে যেয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর সংসার করে। রুমি আর রুমির ছোট বোন্ শানুকে তাদের ফুপু এনে তোলে তার নিজের সংসারে ঢাকাতে। মূলত এই খানেই রুমির মূল যাত্রার শুরু। ফুপুর সংসারে কাজের ছেলে হয়েই থেকে যেতো যদি ফুপা তাকে পড়ার সুযোগ না দিতেন। অভাগা রুমি ছাত্র ভালো ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু বিদ্বেশী উদ্ভট অসহ্যকর চরিত্রের কিবরিয়া ভাইয়ের সাথে হঠাৎই পরিচয় হয়। ঘনিষ্টতা বাড়ে তাকে যখন বলির পাঠার মত ধরে নিয়ে যেয়ে কতগুলো শয়তানের উপাসকরা তাদের কাজ শেষে তাকে প্রায় খুন করে ফেলেছিলো যদি সে পালাতে সফল না হতো তখন সেখান থেকে যখন হাসপাতালে চোখ খুলে প্রথম এই কিবরিয়া ভাইকেই দেখতে পায়। জ্যোতিষী জোয়ারদারের কবলে নেহাৎ কৌতুহল মেটাতে যেয়ে পরেছিল। সেখান থেকে ইভার মত কালনাগিনীর রূপের খপ্পরে পরে প্রায় মরতে বসেছিল। কিন্তু মানুষ মরিয়া হয়ে গেলে অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করে। রুমির সেই কালো রাতে পালিয়ে বেচে আসাটাই অস্বাভাবিক ছিলো। বিভিন্ন ড্রাগের প্রয়োগের কারণে তার মস্তিস্কের সার্জারী প্রয়োজন হয়। সাময়িক ভাবে সে কিছু স্মৃতি হারায়। কিন্তু এর পরেই সে তের পাওয়া শুরু করে যে সে আর আগের মত নেই। সে মানুষের মনের কথা শুনতে পাচ্ছে। ভড়কে যায় রুমি। এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে ভেবে ভেবে হয়রান হয়ে একরকম মানুষের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। সে টের পায় লুসিফার তার ভেতর থেকে একেবারে মুছে যায়নি সে আতঙ্কিত হয়ে নিজেকে প্রায় গৃহবন্দী করে ফেলে। ঠিক তখনই কয়েকটি দুর্ঘটনার পর কিবরিয়া ভাই তাকে মানসিক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যায়। খুব একটা কাজ হয়না স্রেফ ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানো। এর মধ্যে এক বার মত লোকের সাথে রুমি যখন দিশেহারা তখন রাস্তায় দেখা হয়। বৃদ্ধ তাকে শান্ত হবার পরামর্শ দেয় এবং এও বলে যে তার মাঝে যেই শক্তি আছে তাতে ভয় পাবার কিছু নেই। সে যদি ভয় পায় তাহলে এই শক্তিকে সে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে না। তারপর রুমিকে একটি কাজ দিয়ে এক জায়গায় পাঠায় যেখানে তার আসা যাওয়াতে কয়েদিন সময় লাগে কিন্তু ফেরত আসার পর রুমি নিজেকে অনেক সুস্থ হিসেবে ফিরে পায়। একবার সে ইভার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে জীবনের মত গোলমাল হয়ে যায় তাই এসব থেকে দুরেই ছিল কিন্তু জীবনে আবার ভালবাসা উকি দেয় রুমির। ক্লাসের একটি মেয়েকে হঠাৎই ভালোবেসে ফেলে কিন্তু তা প্রকাশের আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। সাংঘাতিক কষ্ট পায় রুমি। এর পর আসল ঘটনার শুরু। প্রথমে শহরে শিশুদের মৃত দেহ পাওয়াটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই কিন্তু এর পর যখন একের পর এক শিশু অপহরণ তারপর কিছুদিনের মধ্যে তাদের নৃসংশ ভাবে খুন করা লাশ পাওয়া যাচ্ছিল তখন পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও সতর্ক হয়ে গেল এই সিরিয়াল কিলারের ব্যাপারে। খুনি যখন শিকারের খোজে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন রুমির সাথে ৩ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় হাজতবাসের ঘটনায় পরিচিত এক পুলিস অফিসার তার কাছে ধর্না দিল এই খুনিকে ধরতে তাদের সাহায্যের জন্য। রুমি যদিও ভয় পাচ্ছিল আবার সেই অন্ধকারের জগতের সাথে যোগাযোগের কিন্তু এবার কতগুলো অসহায় শিশুর জীবন তার হাতে। সপে দিল নিজেকে ভাগ্যের হাতে। শেষ পর্যন্ত বিজয় হলো রুমির কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক স্ট্রেনের কারণে দ্বিতীয় অস্ত্রপচার প্রয়োজন হয়। আর শেষ পর্যন্ত তার মস্তিষ্কের এক অংশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সে সব কিছু ভুলে যায়। পড়া শেষে আমার মনে হয়েছে অভাগা রুমির জন্য হয়তো এইই ভালো, সব কিছু নতুন ভাবে শুরু করা। এক কথায় বেশ ভালো লেগেছে এই আধিভৌতিক গল্পটি।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর বই নিঃসন্দেহে অসাধারণ। প্রেত বই টি মুলত প্রেতচর্চা এবং স্যাটানিজম নিয়ে লেখা৷ বইটির শুরুতে একটু একঘেয়েমি লাগবে। কিন্তু পৃষ্ঠা ৪০ এর পর থেকে আসল স্বাদ পাবেন। এবং পড়া শেষ করে উঠতে মন চাইবে না। যারা অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা অন্যরকম স্বাদ পাবেন। এক কথায় অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
Nice books.?? Loved it.
Was this review helpful to you?
or
Not bad,,,??
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
this is freakin' awesome. so horror and thrilling,,..
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি ধারাবাহিক নাটকও নির্মিত হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় বই। আমার মতে মুহম্মদ জাফর ইকবালের সেরা বইয়ের তালিকায় প্রথমে থাকার মত। Satanism নিয়ে লেখা বই। টিপিকাল ভূতের উপন্যাস না, satanism এর রিচুয়ালগুলোসহ যথেষ্ট বাস্তবিক বর্ণনা দেয়া উপন্যাস। একটা ধারাবাহিক নাটকও করা হয়েছিল পরবর্তিতে এটা নিয়ে। রুমী চরিত্রটি যথেষ্ট সাবলীলভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, সাদামাটা হলেও প্রধান চরিত্র হিসেবে যেমনটা হওয়া দরকার, তেমনটিই মনে হয়েছে। পার্শ্ববর্তী চরিত্রগুলোও গল্পের কাহিনীর সাথে খাপ খেয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে গা ছমছমে করা ভৌতিক উপন্যাস বলা যেতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবালের হরর উপন্যাস 'প্রেত'। প্রেতসাধনা তথা ব্ল্যাক আর্টের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। বলা হয়েছে রুমি নামে এক যুবকের কথা, যে ব্ল্যাক আর্টের সাথে যুক্ত এক বিরাট চক্রান্তকারী দলের ফাঁদে পড়ে। তাকে হিপনোটাইজড করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের ডেরায়, যেখানে এক প্রেতসভায় তাকে ব্যবহার করা হবে লুসিফারের মিডিয়াম হিসেবে। মিডিয়াম রুমির ওপর ভর করেই শয়তান এসে হাজির হয় পার্থিব জগতে। আর তখনই চূড়ান্তভাবে তছনছ হয়ে যায় রুমির জীবন। কোনোমতে হয়ত পালিয়ে আসতে পারে সে সেই ভয়ংকর জায়গা থেকে, কিন্তু মস্তিষ্কে বড় ধরণের আঘাত পায় সে। হয়ত সেই কারণেই, অলৌকিক কিছু শক্তির অধিকারী হয়ে ওঠে রুমি। আশেপাশের মানুষের মনের বিচিত্র চিন্তাভাবনা সম্পর্কে টের পেতে থাকে রুমি, থট রিডিং বলে আরকি যাকে। এছাড়াও হঠাৎ হঠাৎ স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পায় কোথাও কোন ভয়ানক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। পরে দেখা যায় রুমির দেখা স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এজন্য একবার খুনি সন্দেহে রুমির নিজেরও হাজতবাস করতে হয়েছে। মোটামুটি এই স্বপ্ন ক্রমাগত তাকে তাড়া করে বেড়াতে থাকে আর জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এক পর্যায়ে এক অচেনা বৃদ্ধের সহায়তায় এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের পথ খুঁজে পায় রুমি। কিন্তু বছর তিনেক বাদে ঢাকা শহরে এক অদ্ভুত ধরণের অপরাধ হতে শুরু করে। দরিদ্র শিশুদের জীবন পড়ে হুমকির মুখে। পুলিস আর কোন উপায় না দেখে শরনাপন্ন হয় রুমির, যাতে সে তার ক্ষমতাবলে খুঁজে বের করতে পারে অপরাধীকে। আবারো রুমি ফিরিয়ে আনে তার পুরনো ক্ষমতাকে। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে হাতেনাতে ধরে ফেলে দেশের এক স্বনামধন্য সৃষ্টিশীল ব্যক্তিকে, যে তার সৃষ্টিকর্মের স্বার্থে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। স্বল্প পরিসরে কিন্তু কোন রকম বাড়তি মেদবিহীন ঝরঝরে আর দারুণ টানটান উত্তেজনার গল্প 'প্রেত'। একাধিক বিদেশী কাহিনীর ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে এই একটা গল্পেই। ব্ল্যাক আর্টের মত ব্যাপার যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা মোটামুটি অবিশ্বাস্য। তবু জাফর ইকবাল স্যারের পরিবেশন গুণে তা পাঠকের নিকট যথেষ্ট যুক্তিবাহী বলেই মনে হবে। এই উপন্যাসের আরেকটা দিক, অতি সুক্ষ্মভাবে হলেও দেশপ্রেমের চেতনা তুলে ধরেছেন লেখক। বর্তমান সমাজে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ও তাদেরকে নির্বিচারে গ্রহণের মাধ্যমে যে মানুষ ক্রমশ সত্যের অবস্থান থেকে দূরে সরে আসছে, পাঠকদের কাছে এই বার্তাটাও বেশ স্পষ্টভাবেই পৌঁছে দিয়েছেন লেখক। সবমিলিয়ে 'প্রেত' অবশ্যই অসাধারণ একটি হরর উপন্যাস। স্যারের আপামর ভক্ত ও পাঠক সমাজ তো বটেই, হরর কাহিনীতে যাদের আগ্রহ আছে তারাও এই উপন্যাস পড়ে দেখতে পারেন।