Our User Product Reviews

good

Nice

চমৎকার বই

আলহামদুলিল্লাহ্‌------- অসাধারন একটি উপন্নাস - পরে খুবই ভাল লাগসে ইসলামি শাসনের ইতিহাস

its an awsome book...

অসাধারণ একটি বই, একবার পড়া শুরু করে শেষ না করা পর্যন্ত উঠতে পারিনি

আলতামাসের সেরা একটি সিরিজ

আখ্যানটি তখনকার সময়ের যখন দেশ-জাতির ভিত্তিতে নয় বরং যুদ্ধ হতো ধর্মের ভিত্তিতে। যখন একপক্ষ ক্রুশ ছুঁয়ে আর অন্যপক্ষ কুরআন হাতে নিয়ে শপথ করত আমরণ যুদ্ধ করার, যত বেশি সংখ্যক সম্ভব বিধর্মীকে মারার। সেই উত্তপ্ত ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের মুসলমান পক্ষের সেনানায়ক মিশরের গভর্নর সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবীর বীরত্ব গাঁথা নিয়ে রচিত হয়েছে ৮ পর্বের এই বিশাল উপন্যাস যার অনেকটা ইতিহাসসিদ্ধ বয়ান আর অনেকটা লেখকের কল্পনার সমন্বয়ে গড়া। সালাহুদ্দীন যখন বাগদাদের খেলাফত কর্তৃক মিশরের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন তখন ইসলামী খেলাফতের অবস্থা বেশ দূর্বল, তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে খেলাফত। অর্থ, বিত্ত আর মদের নেশায় মাতাল তখন বেশিরভাগ আমির। সেই সময় মিশরের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আরেক ঈমানদার শাসক নুরুদ্দীন জঙ্গীর সহায়তায় দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর যুদ্ধ শুরু হয় একদিকে খ্রিস্টান রাজাদের সাথে অন্যদিকে তাদের আঁতাতে বেড়ে ওঠা গাদ্দার মুসলিমদের সাথে। মদ, নারী, গুপ্তঘাতক, গাদ্দার, গোয়েন্দাদের এড়িয়ে নিজ ঈমানে বলীয়ান হয়ে প্রতিটা যুদ্ধে জয়ী হতে থাকেন তিনি। যেহেতু এটা একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস তাই এতে ইতিহাসের পাশাপাশি লেখকের কল্পনার ছাপ থাকা স্বাভাবিক, আর এটা বইয়ে স্পষ্ট। আবার যেহেতু ইতিহাসও সবসময় বিজয়ীদের কথাই বলে তাই বইয়েও পক্ষপাতিত্বও প্রকট। যেহেতু ইতিহাস হিসেবে সালাহুদ্দীনকে আমার পাঠ করার সুযোগ হয় নি কিন্তু বইয়ে যেভাবে ফেরেশতাতুল্য মানুষ হিসেবে তাঁকে উপস্থাপন করা হয়েছে তা বিস্ময়কর। আবার লেখক যে অবাধ স্বাধীনতা নিয়েছেন তা স্পষ্ট হয় আলী ইবনে সুফিয়ান চরিত্রটি দ্বারা যাঁকে লেখক সুলতানের ডান হাত হিসেবে এঁকেছেন অথচ যে চরিত্রটির ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে যোদ্ধা সালাহুদ্দীন চরিত্র চিত্রণে লেখক অবশ্যই সফল, আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের পথিকৃৎ ঠান্ডা মাথার এক নির্ভূক যোদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায় বইয়ের প্রতিটা পাতায়। তাইতো ইতিহাসের অংশ হয়েও বইটা থ্রিলার উপন্যাসের মতো যার প্রতিটা পাতায় যুদ্ধ, গুপ্তহত্যা, ষড়যন্ত্র আর টান টান উত্তেজনা।

প্রতেক মুসলিম কে এই বই পড়া উচিত। বতমান সময়ে ইমান বাচার জন্য এই বইটি অনেক বড় ভূমিকা রাখে। মুসলমানদের ঈমানি চেতনা জাগাতে গুরুত্বপূন আবদান পালন করে।

এটা একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস তাই এতে ইতিহাসের পাশাপাশি লেখকের কল্পনার ছাপ থাকা স্বাভাবিক, আর এটা বইয়ে স্পষ্ট। আবার যেহেতু ইতিহাসও সবসময় বিজয়ীদের কথাই বলে তাই বইয়েও পক্ষপাতিত্বও প্রকট। শেষে এতটুকুই বলতে পারি হালকা ইতিহাসের সাথে অনেকখানি থ্রিল পেতে আমার মতো আপনিও শুরু করতে পারেন এই সিরিজটি।

দুনিয়া থেকে ইসলামের নাম-চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে খৃষ্টানরা। অর্থ,মদ আর রূপসী নারীর ফাঁদে ফেলে ঈমান ক্রয় করতে শুরু করে মুসলিম আমীর ও শাসকদের। একদল গাদ্দার তৈরী করে নিতে সক্ষম হয় তারা সুলতান আইউবীর হাই কমান্ড ও প্রশাসনের উচ্চতরে। সেই স্বজাতীয় গাদ্দার ও বিজাতীয় ক্রুসেডারদের মোকাবেলায় অরিরাম জিহাদ চালিয়ে যান ইতিহাসশ্রেষ্ঠ বিজয়ী বীর মুজাহিদ সুলতান সালাউদ্দীন আইউবী। তাঁর সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবিরাম জিহাদের নিখুঁত শব্দ চিত্রায়ন “ঈমানদীপ্ত দাস্তান”। আট খন্ডের বইটি শুরু করার পর শেষ না করে স্বস্তি নেই।

ইমানদীপ্ত দাস্তান... সত্যিই অসাধারণ একটি উপন্যাস। ঐতিহাসিক উপন্যাস সবসময়ই সুখপাঠ্য। ইমানদীপ্ত দাস্তান উপন্যাসটি দ্বাদশ শতাব্দীর ইতিহাসকে তুলে ধরেছে।খ্রিস্টানরা বরাবরই মুসলমানদের চির শত্রু। সেই সময়ের ক্রুশের বিরুদ্ধে লড়াই করেন মর্দে মুজাহিদ সালাউদ্দিন আয়ুবী। খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে তার নিপুণ রণকৌশল সত্যিই অভাবনীয়। ইতিহাসে চির অমর হয়ে থাকবেন এই সাহসী বীর মুজাহিদ। প্রত্যেক মুসলমানের এই ইতিহাসগুলো জানা অতীব জরুরী। উপন্যাসটি পড়ে শেখার আছে অনেক কিছু।