User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী
Was this review helpful to you?
or
Muhammad bin kasen is the best
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ বিন কাসিম is tha best
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটি আশ্রিত উপন্যাস। এনায়েতুল্লাহ আলতামাশের অন্যান্য উপন্যাসের ন্যায় এটিও ইতিহাস কেন্দ্রিক। উপন্যাসটিতে খলিফা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের শাসনামলের সময়কালের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। সিন্ধু উপকূলের কাছে একটি আরব জাহাজ লুট হওয়ার মধ্যদিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
Was this review helpful to you?
or
সিন্ধু উপকূলের নৌডাকাতরা আরবদের সর্বস্ব লুটে নিল। নারী শিশুসহ বন্দি করল সবাইকে। নির্যাতিতা এক আরব কন্যার আর্তনাদ ও উদ্ধারের আবেদন নিয়ে হাজ্জাজের কাছে রওয়ানা হলো এক অভিযাত্রী। লুটেরাদের ধৃষ্টতায় আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে ওঠলেন জাত্যাভিমানী হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। শপথ নিলেন তিনি, যে করেই হোক নিরাপরাধ মুসলিম নারী, শিশু ও অমুসলিম পর্যটকদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচারের জন্যে রাজা দাহিরকে উচিত শিক্ষা দেবেন। এক স্বজাতি কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা আর নির্যাতিতাদের উদ্ধারে হাজ্জাজের সহযোগী হলো বসরা, বাগদাদ তথা ইরাকের হাজার হাজার যুবক, কিন্তু বাধ সাধলেন আয়েশী খলিফা। অথৈ সাগর, বিস্তর দুরত্ব,দূর্গম অচেনা, অজানা পথ আর খলিফা ওয়ালিদ বিন মালিকের বিরোধিতা সত্ত্বেও অত্যাচারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে শুরু হলো লোমহর্ষক অভিযান........। কিন্তু অপরিচিত সিন্ধু উপকূল ও ভারতের বিশাল শক্তির কাছে পরপর ব্যর্থ হলো দু’টি অভিযান। শাহাদাত বরণ করলেন সেনাপতিসহ শতশত মুজাহিদ। অবশেষে মাত্র সতের বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসিমকে অপরাজেয় সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে পাঠালেন হাজ্জাজ। বিপুল শক্তির অধিকারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে এক কিশোর সেনাপতি.....। নির্ভীক চিত্তে ও দৃঢ়পদে, বিজয়ের কঠিন সংকল্প নিয়ে শুরু হলো বিন কাসিমের ভারত অভিযান.....কিন্তু কিভাবে? আসুন! এই শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যানের ভিতরে প্রবেশ করি....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07-045 হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। কেউ বলে ইতিহাসের কুখ্যাত নায়ক, কেউ বলে কলঙ্কিত শাসক। তার শাসনামলে অন্যায়ের ফিরিস্তি পড়লে পাথরের হয়তো কান্না আসবে। পান থেকে চুন খসলেই ঝরে যেত প্রাণ। গাছের পাতার মতো। তার সামান্য রাগের ঝাঁকুনিতে তরতর করে মানুষের মাথা পড়ে যেত দেহ থেকে। সেসব শাস্তির নিত্যনতুন পথ ও পন্থা আজকের এত বছর পরও গা ছমছম করে। কিন্তু আধারের বুকেই তো উঠে চাঁদ, জ্বলজ্বল করে তারকারাজি.... সিংহল হতে দামেশক যাচ্ছিল জাহাজটা। যাত্রীরা কয়েকজন আরব বনিকের এতিম পরিবার-পরিজন। সাথে সিংহলের রাজার পক্ষ হতে কিছু মূল্যবান উপহার সামগ্রীও ছিল, যা শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে যাচ্ছে দামেশক; খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিকের দরবারে। রসদ নিতে জাহাজটাকে পথে থামতে হল দেবল বন্দরে। দেবল সিন্ধুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। সিন্ধু অববাহিকার অসহায় মানুষ সে সময় শাসিত এবং শোষিত হচ্ছিল অত্যাচারী রাজা দাহিরের হাতে। উপহারসামগ্রীতে পূর্ণ ঐ জাহাজ দাহিরের লোকদের দৃষ্টি এড়ালো না। জাহাজের মালামাল লুট করে অসহায় যাত্রীদের বন্দী করা হলো। পার্শ্ববর্তী মাকরান তখন মুসলমানদের অধীনে। মাকরানের শাসনকর্তার দূত সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে দাহিরের দরবার হতে অপমানিত হয়ে ফিরে এল। এমনি সময় দাহিরের বন্দীশালা হতে কেমন করে যেন এক যুবক পালাতে সক্ষম হল। সাথে নিয়ে গেল এক চিঠি। অন্য এক বন্দিনী নিজের রক্ত দিয়ে লিখেছে সেটি। কী ছিল সেই চিঠিতে? অসহায়ত্বের বর্ণনা আর আহাজারি? সাহায্যের আকূল আহবান? আর প্রাপক ইরাকের প্রবল প্রতাপশালী শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ! সেই চিঠি এমনি সময় হাজ্জাজের হাতে এল। দাহিরের হাতে আরবীয় নারী-শিশুর বন্দীত্বের কথা লেখা সে চিঠি আগুন ধরিয়ে দিল তার মনে। দুই দশক পূর্বে আবুবকরের(রা) নাতির খন্ডিত মস্তক নিয়ে উল্লাস করতে যে হাজ্জাজের হৃদয় কাঁপে নি, সেই হাজ্জাজের চোখে আজ অশ্রুর বন্যা নেমে এল! খোদার খেলা বোঝা ভার! খলিফা ওয়ালিদের কাছ হতে জিহাদের অনুমতি নিতে দেরী হল না হাজ্জাজের। দলে দলে স্বেচ্ছাসেবকেরা যোগ দিতে লাগল। ভাবতে অবাক লাগে, কী উঁচুমানের আদর্শ আর কর্তব্যবোধের অধিকারী ছিলেন সে সময়ের জনগণ! পরিবার-পরিজনের অনেকেই হয়তো হাজ্জাজের নির্যাতনের শিকার , কেউ কেউ হয়তো তখনো বন্দীশালায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে! তা সত্ত্বেও আফ্রিকা-তূর্কিস্তানে যেমনি করে তাঁরা সব ভুলে দলে দলে যোগ দিয়েছেন, তেমনি করে সিন্ধু অভিযানেও পিছ পা হলেন না। হাজ্জাজের ভ্রাতুষ্পুত্র ও একইসাথে জামাতা সতের বছরের মুহাম্মাদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে অনুর্ধ্ব দশ হাজারের বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দাহিরের লক্ষাধিক সৈন্যের মোকাবিলায়..... তারপর??? তারপরের সেই অবিস্মরণীয় কাহিনী জানতে পড়ে ফেলুন বইটি... পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ যতোক্ষণ বইটি পড়ছিলাম একটু এদিক সেদিক তাকাবার ফুসরৎ পাইনি। আমি যেনো ফিরে গিয়েছিলাম সেই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের যুগে...। এক স্বজাতি কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা আর নির্যাতিতাদের উদ্ধারে হাজ্জাজ যা করেছেন তাতে কিছুক্ষণের জন্য তার সকল নিষ্ঠুরতা যেনো ভুলে গিয়েছিলাম। এমন একটা জীবন্ত কাহিনী উপহার দেবার জন্য লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
Was this review helpful to you?
or
সিন্ধু উপকূলের নৌডাকাতরা আরবদের সর্বস্ব লুটে নিল। নারী শিশুসহ বন্দি করল সবাইকে। নির্যাতিতা এক আরব কন্যার আর্তনাদ ও উদ্ধারের আবেদন নিয়ে হাজ্জাজের কাছে রওয়ানা হলো এক অভিযাত্রী। লুটেরাদের ধৃষ্টতায় আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে ওঠলেন জাত্যাভিমানী হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। শপথ নিলেন তিনি, যে করেই হোক নিরাপরাধ মুসলিম নারী, শিশু ও অমুসলিম পর্যটকদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচারের জন্যে রাজা দাহিরকে উচিত শিক্ষা দেবেন। এক স্বজাতি কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা আর নির্যাতিতাদের উদ্ধারে হাজ্জাজের সহযোগী হলো বসরা, বাগদাদ তথা ইরাকের হাজার হাজার যুবক, কিন্তু বাধ সাধলেন আয়েশী খলিফা। অথৈ সাগর, বিস্তর দুরত্ব,দূর্গম অচেনা, অজানা পথ আর খলিফা ওয়ালিদ বিন মালিকের বিরোধিতা সত্ত্বেও অত্যাচারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে শুরু হলো লোমহর্ষক অভিযান........। কিন্তু অপরিচিত সিন্ধু উপকূল ও ভারতের বিশাল শক্তির কাছে পরপর ব্যর্থ হলো দু’টি অভিযান। শাহাদাত বরণ করলেন সেনাপতিসহ শতশত মুজাহিদ। অবশেষে মাত্র সতের বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসিমকে অপরাজেয় সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে পাঠালেন হাজ্জাজ। বিপুল শক্তির অধিকারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে এক কিশোর সেনাপতি.....। নির্ভীক চিত্তে ও দৃঢ়পদে, বিজয়ের কঠিন সংকল্প নিয়ে শুরু হলো বিন কাসিমের ভারত অভিযান.....কিন্তু কিভাবে? আসুন! এই শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যানের ভিতরে প্রবেশ করি....।