User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা গল্পের মূল চরিত্র মোবারক হোসেন। তিনি পেশায় শিক্ষক। "একদিন চুরি করলে কেউ চোর হয় না। কিন্তু একদিন পড়ালেই সে শিক্ষক হয়ে যায়"। মোবারক সাহেবের ঘটনাও অনেকটা এরকম। বর্তমানে তিনি বেকার। একটি মেসে থাকে । গ্রামে আছে একমাত্র বুড়ো দাদি আকলিমা বেগম। দাদিকে দেখাশোনা করে সরূফা। দাদির ইচ্ছা এই মেয়েটিকে তার নাতবউ বানানোর। মোবারক হোসেনের প্রিয় বন্ধু জহির আর বজলু। তাদের আড্ডার প্রিয় জায়গা মদিনা রেস্টুরেন্ট। এই গুন্ডির মধ্যেই আবর্তিত হয় মোবারকের জীবন। একটি কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে কিডনী বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় মোবারক। তার দৃষ্টিতে এটি একটি বানিজ্য। কিডনী বিক্রির টাকা দিয়ে কি কি করবে সব ঠিক করে রেখেছে মোবারক। মোবারক কি পারবে তার স্বপ্ন পূরণ করতে??? সে কি পারবে দাদির ইচ্ছা পূরণ করতে??? নাকি বন্ধুদের নিয়ে মদিনা রেস্টুরেন্টই কাটিয়ে দিবে জীবনের বাকিটা সময়? #পাঠ_পতিক্রিয়া:- স্বাধীনতা পরবর্তি শ্রেষ্ট লেখক হুমায়ূন স্যার। তার সবজ সাবলিল বর্ননা এবং অতি সাধারন একটি প্লটকে অসাধারন ভাবে বর্ননা করতে পারবে এমন ২য় একজন পাওয়া দূষ্কর। মোবারক সাহেবের চচরিত্রে উঠে এসেছে জীবন দর্শন, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যসহ সমাজের বিভিন্ন অসংগতিপূর্ণ দিক। বাস্তবতার পেক্ষাপটে রেখা উপন্যাস রূপার পালঙ্ক। বই:- রূপার পালঙ্ক লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী:- অন্যপ্রকাশ ঘরানা:- সমকালীন উপন্যাস। রকমারি মূল্য:- ১৭৬ টাকা #মজার_বিষয়:- মোবারক যখন আয়নায় নিজেকে দেখেন ততখন তার মমনে হয় "সে নিজেকে না, তার জমজ ভাইকে দেখছে। যে ভাই কলেজে অধ্যাপনা করে। যার কলাবাগান টাইপ জায়গায় একটা বাড়ি আছে। যে বাড়ির সামনের বাগানে সে তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে বিকালে চা নাস্তা খায়"। #সতর্কতা:- একদিন চুরি করলে কেউ চোর হয় না। (দয়াকরে কেউ এটা বিশ্বাস করে বই চুরি করবেন না। মালিককে না বলে নিবেনও না।) #প্রিয়_উক্তি:- অল্প বয়সিরা সন্দেহ প্রবোণ হয় না। বুড়ো গুলো হয়।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : রূপার পালঙ্ক
Was this review helpful to you?
or
আয়নাকে নিজেকে দেখলে আপনার কি মনে হয়? অনেক কিছুই মনে হতে পারে। এই গল্পের নায়ক মোবারকের কি মনে হয় জানেন? মনে হয় - নিজেকে না, তার জমজ ভাইকে দেখছে। যে ভাই কলেজে অধ্যাপনা করে। যার কলাবাগান টাইপ জায়গায় একটা বাড়ি আছে। যে বাড়ির সামনের বাগানে সে তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে বিকালে চা নাস্তা খায়। মোবারক হোসেন। বয়স প্রায় চল্লিশ বছর। পেশায় কিছুই করে না। মেসে থাকে একাই। সংসারে শুধু বুড়ো দাদি আকলিমা বেগম আর দাদিকে দেখাশোনা করা মেয়েটা-সরূফা । আর প্রিয় বন্ধু জহির আর বজলুকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে মোবারকের জীবন। এই মূহুর্তে কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে কিডনী বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে সে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে বানিজ্যটা মনে হয় হয়েই যাবে। কিডনী বিক্রির টাকা দিয়ে কি কি করবে সব ভেবে রেখেছে মোবারক। আদৌ কি তার ইচ্ছা পূরণ হবে? নাকি ছাতিম গাছের নিচেই কেটে যাবে তিন বন্ধুর জীবন? আমার কথা : আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা রূপার পালঙ্ক। সেই ছোট্ট বয়সে অসম্ভব আলোড়িত হয়েছিলাম আমি এই লেখে পড়ে। সেই বয়সে অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি, কিন্তু মনকে অসম্ভব দোলা দিয়েছিল। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। আজ হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। যার শুরু হয়েছিল এই লেখার হাত ধরে। জীবনের যে গভীর দর্শন, ন্যায়-অন্যায়ের যে বিভেধ, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি এই লেখনির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে তা ব্যক্তি মাত্রই অনুধাবন করতে পারেন। আর শেষটা তো আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে এই লেখায়। হুমায়ূন আহমেদের লেখনি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয় জীবনটা পদ্মপাতার পানিও না, সিনেমার গল্পও না।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ রুপার পালঙ্ক লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্যপ্রকাশ ধরনঃসমকানীন উপন্যাস মূল্যঃ২০০ টাকা ( রকমারি মূল্যঃ১৫০ টাকা) . আয়নায় নিজেকে দেখে ছেলেরা সাধারণত মুগ্ধ হয় না। অতি বুদ্ধিমান ছেলেকেও আয়নায় খানিকটা বোকা লাগে।কিন্ত মোবারক মুগ্ধ হয়েছে।তার মনে হচ্ছে সে নিজেকে দেখছে না,অন্য কাউকে দেখছে। #মোবারক এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র, বয়স চল্লিশ। কোন চাকরি সে করছে না বেকার বলা যায়।একটি মেসে থাকে যেখানে তার ছয় মাসের মেস ভাড়া বাকি পরে আছে। এনজিও ওয়ালাদের এক স্কুলে মোবারক ১১ দিন পড়িয়েছিল। বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র। তাই সে মাঝে মাঝে নিজেকে শিক্ষক বলে পরিচয় দেয়। মোবারক এর মা,বাবা বেছে নেই তার একমাত্র আপনজন তার দাদী, এছাড়া তার খুব ভাল দুজন বন্ধু আছে একজনের নাম #বজলু আরেক জনের নাম #জহির। . #কাহিনী সংক্ষেপঃমোবারক আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখছে আর মুগ্ধ হচ্ছে।আচড়ানো চুলের উপর সে আবার চিরুনি চালাচ্ছে।নিজেকে এভাবে 'উত্তম'করার জন্য থাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।বেশ কিছু জটিল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম যে জটিল কাজটি তাকে করতে হয়েছে তা হল শীতের সকালে তাকে হিমালয়ের বরফগোলা পানি দিয়ে গোসল করতে হয়েছে।মেসের বয় মনু মিয়াকে দু টাকা দিয়েছিল। কথা ছিল, দু টাকার বিনিময়ে মনু মিয়া এক কেতলি গরম পানি বালতিতে ছেড়ে দেবে।কিন্ত সে দেয়নি। এর পরের বিপদ টা সহনীয় পর্যায়ের না। সে এক প্যাকেট লেমন শাম্পু কিনেছিল।প্যাকেটে চা চামুচের বেশি শাম্পু হবে না। শাম্পু দেওয়ায় তার চোখ জ্বালা করছে এর জন্য তাকে মাথায় আরো আধা বালতি বরফগোলা পানি বেশি ঢালতে হয়েছে। মোবারক গায়ে ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবী আর ইস্ত্রী করা প্যান্ট পরে ভদ্রলোক সেজে মেস থেকে বের হল।তবে সান্ডেলজোড়া তার ইজ্জত মেরে দিয়েছে।তার ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবী আর প্যান্ট এর সাথে একদমই যাচ্ছে না। মোবারক এর আজ সকাল সাড়ে ন'টায় এ্যাপয়েন্টমেন্ট।মুখোমুখি দেখা।এর জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। টেলিফোন করতে হয়েছে পাঁচবার। ফার্মেসি থেকে কল করেছে প্রতি মিনিট পাঁচ টাকা পত্রিকায় কিডনী বেচার এক বিজ্ঞাপন দেখে, টেলিফোনে কথা বলে ঠিক করেছে।মোবারক ফোন করে জানতে পারল যে কিডনি বেচার জন্য নাকি আরও লোক যোগাযোগ করছে।মোবারক তখন কল্পনা করল যে, একটা হলঘরে সে বসে আছে তার সঙ্গে মেয়ে পুরুষ মিলিয়ে আরো ত্রিশজনের মতো আছে।সবার হাতে নম্বর ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।নম্বর অনুসারে ডাক পড়ছে। চাকরির ইন্টারভ্যুয়ের মত ইন্টারভ্যু হচ্ছে। মোবারক সেখানে যাবার পর কিন্তু তার কল্পনার সাথে কিছুই মিলল না। ম্যানেজার সাহেবের সাথে তার কথা হলো।ম্যানেজার সাহেবের নাম জগলু। ফোনের কন্ঠের সাথে এ লোকের কোন মিল নেই। একটু তোতলামী আছে।ম্যানেজার সাহেব তাকে জানালেন কিডনি দরকার তার স্যারের জন্য তার দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।এরপর মোবারক এর ডাক পরে বড় স্যার এর কাছে।বড় স্যারকে মোবারক এর খুব পছন্দ হয়েছে সে মনে মনে ভাবল যে লোকটার শরীরে তার একটা শরীরের অংশ থাকবে তাকে পছন্দ না হলেতো মুশকিল। এদিকে মোবারক এর দাদীজান তার বিয়ের জন্য একটি মেয়ে ঠিক করেন যাকে মোবারকের ও খুব পছন্দ হয়।তার দাদীজান এর ইচ্ছা তাদের বিয়ের পর তিনি যে পালঙ্কে জীবন শুরু করেছিলেন যার নাম তিনি দিয়েছেন রুপার পালঙ্ক তাতে মোবারক ও তার জীবন শুরু করবে। . এভাবেই চলতে থাকে গল্পের কাহিনী। শেষ পর্যন্ত মোবারক কি কিডনি দেওয়ায় নির্বাচিত হবে? নাকি সে বাতিল পরে যাবে তা নাহয় পড়ার পরই জানবেন।আর কেনই বা মোবারক তার কিডনি বিক্রি করতে চায় সেও এক কাহিনী পড়লেই বুঝবেন। . পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃবিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ অন্যতম।তার জনপ্রিয় উপন্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপন্যাস হল "রুপার পালঙ্ক" মানুষের বাস্তব জীবনের সুখ দুঃখের কাহিনীগুলো তিনি তার উপন্যাসে এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেন যা যেকোন পাঠকেরই মন মাতানো কাহিনীতে পরিনত হয়।অসম্ভব সুন্দর তার রচনার গাঁথা।তিনি সব সময় সাধারন একটা কাহিনী থেকে যে কোন উপন্যাসকে নিয়ে যান অসাধারন কাহিনীর দিকে।মানুষের বাস্তব জীবনের চরিত্র গুলো তিনি তার উপন্যাসে অনেক অর্থবহ করে তুলেন।তার তেমনি একটি উপন্যাস "রুপার পালঙ্ক" পড়ে দেখুন আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-রূপার পালঙ্ক লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৮৮ মূল্য-২০০ অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী ছেলেরা সাধারনত আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে মুগ্ধ হয় না। অতি বুদ্ধিমান ছেলেকেও আয়নায় খানিকটা বোকা লাগে। কিন্তু এই গল্পের চরিত্র মোবারক আয়নায় নিজেকে দেখে মুগ্ধ হয়। তার বয়স ৪০। সে এক মেসে থাকে। পেশা কিছুনা। তবে কতোদিন আগে সে শিক্ষকতা করতো। এক এনজিও এর আন্ডারে। বয়স্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ১১ দিন পড়িয়েছে । সে আয়নায় তাকিয়ে থাকে। তার মনে হয়, এটা সে নয় তার কোন জমজ ভাই। যে কলেজে অধ্যাপনা করে। কলাবাগান টাইপ একটা জায়গায় তার বাড়ি আছে। আরো কত কি! কাজ না থাকলেও সে আয়নার সামনে দাড়াবে। চুল আচড়ানো থাকলেও আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখবে আর কিছু করবে কিনা। সব ভেবে মনে হবে যা আছে তাই ভালো। এক কথায় উত্তম। মোবারক নিজেকে উত্তম করার জন্য কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য পরিচালনা করে। তার মধ্যে সকাল সাতটায় গোসল করা হলো প্রধান। শীতের মধ্যেও সে একই কাজ করবে। সে মনু মিয়াকে দুইটাকা করে দেয় গরম পানি করে দেবার জন্য। মনু বলে ঠিকই কিন্তু গরম পানি দেয় না। পানি ঢেলে সে শিউরে উঠে। এই ঠান্ডাজল দিয়েই সে গোসল সাড়ে। আর মনু কে বকে। মোবারক তৈরি হচ্ছে। গায়ে ইস্ত্রী করা পঞ্জাবী। পাজামা নাই তাই পেন্ট দিয়ে পরল। তবে তার জুতা জোড়া তার পোশাক নষ্ট করে দিছে। যাই হোক বড় লোকেরা এত তাকায় না।আজ সকালে মোবারকের এ্যাপয়েন্টমেন্ট। কয়েক দিন আগে সে পত্রিকায় কিডনী বেচার এক বিজ্ঞাপন দেখে, টেলিফোনে কথা বলে ঠিক করেছে। এই কাজেও তাকে অনেক বার টেলিফোন করতে হয়েছে। সে জানল তার মতো আরো অনেকেই নাকি এর জন্য যোগাযোগ করেছে।। সেখানে যাবার আগে কল্পনায় দেখল, তার মতো আরো ত্রিশ জন নর নারী। মোবারক অবাক হলো কিডনি দিতেও এত মানুষ! এখানে আবার চাকরির মতে ইন্টারভ্যু হচ্ছে। এভাবে কি কেউ কিডনী কেনা বেচা হয় নাকি। কল্পনা ছেড়ে বাস্তবে ফিরে এসে, মোবারক সেখানে পৌছাল। তার কল্পনাকে মিথ্যা করে দিয়ে দেখল, সেখানে সে একা। ম্যানেজার সাহেবের সাথে তার কথা হলো। ফোনের কন্ঠের সাথে এ লোকের কোন মিল নেই। একটু তোতলামী আছে। ম্যানেজার তাকে জানাল কিডনি দরকার তার স্যারের। উনার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি মোবারক কে অপেক্ষা করতে বললেন। এভাবে পরিচয় হয় অফিসারের বড় স্যারের সাথে। গল্পও এগুতে থাকল। কিডনি কি নির্বাচন হয়েছিল নাকি, মোবারক বাতিল হয়েছিলো তা পাঠকই জানবেন। কেনই বা মোবারক কিডনী বিক্রি করতে চেয়েছে তাও এক কাহিনী। চরিত্র হিসেবে আরো আছে বজলু, জহির, সরুফা, বৃদ্ধা আকলিমা বেগম। হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্ট চরিত্র গুলো হয় একটু অদ্ভুত টাইপের। মোবারক তার বিপরীত নয়। বড় সাহেবকেও অদ্ভুত লাগল। ম্যানেজার জগলু তো আছেই। অন্য বইগুলোর মতই এই বইয়ের চরিত্র গুলোও পাঠককে আকর্ষন করে। এমন কি সে আকর্ষন শেষ হয় না যতোক্ষন না বই টা শেষ হবে। মোবারক দেখে রূপার পালঙ্ক। ততদূর যেতে যেতে পাঠককেও সে রূপার পালঙ্ক দেখাতে বাধ্য করে। রেটিং৪ রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/898/রূপার-পালঙ্ক
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর -হ্যালো -জী -চিনতে পারেন নি? -জী, পেরেছি। -কেমন আছেন? -ভালো -মৃন্ময়ী বইটা পড়েছিলেন? -হু -সুন্দর না? -হু -আমি না গতকাল আরেকটা বই শেষ করেছি! -ও আচ্ছা! -এই বইটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে। -ও আচ্ছা! -মানুষ বড়ই আজব জিনিস বুঝলেন! অতি সফল মানুষও মনের ভেতর দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ায়। আবার অতি ব্যর্থ মানুষও মনের আনন্দে সময় কাঁটায়। সবই মনের ব্যাপার! -বাঃ বাঃ মনবিজ্ঞানের বই পড়লেন নাকি? -না... না... হুমায়ুন স্যারেরই বই। রূপার পালঙ্ক! -হু। কেমন বই? -ভালোই। অন্য টাইপ কাহিনী। গল্পের নায়কের নাম মোবারক। -মোবারক? চাচা টাইপ কেউ নাকি? -আরে নাহ! ব্যাটা ছেলে। মোবারক অতি ব্যর্থ একজন মানুষ। চাকরী বাকরি কিছুই করে না। পুরো দমে বেকার। আরে থাকে না আমাদের চারপাশে? ওই যে মোড়ের চায়ের দোকানে বসে থাকে, বন্ধু বান্ধব নিয়ে থাকে। কোন কাজ কাম করে না। নেশা ভাং করে, ঐ টাইপ! -মোবারকও কি নেশা করে? -হু। ওর সাথে ওর দুজন বন্ধুও আছে। জহির আর বজলু। -ও আচ্ছা! -এই মোবারক একবার পেপারে বিজ্ঞাপন পড়ে যে খুব বড়লোক কেউ একজন কিডনি কিনতে চায়। বিক্রেতাকে ভালো দাম দেওয়া হবে! -বাহ! তারপর? -মোবারক সেটা দেখে কিডনি বিক্রির ইন্টারভিউতে যায়। -কিডনি বিক্রির ইন্টারভিউ? -হু -তারপর? -তারপর সে চান্স পায়। -তারপর? -তারপর বলা যাবে না। -কেন? -বিল্লি মে কাট দিয়া! -মানে? -মানে কিছু না! শোনেন, বইটা পড়ে দেইখেন। মজা পাবেন। -খুব মজার বই? -না। ইমোশনাল বই। -তাহলে? -তাহলেও আপনি মজা পাবেন। খুব আহামরি যে লেখা, তা না। তবে কি, এই দেশে আমরা চারপাশেই অনেক মোবারক দেখতে পাই। যাদের সুযোগ নেই চাকরী পাওয়ার আর সামর্থ্য নেই ব্যবসা করার। তারপরো তারা বেঁচে থাকে। একরকম ভাবে জীবন কাঁটায়। বন্ধুদের সাথে মদের আড্ডায় মজা করে, হাসে। কষ্ট পেলে কাঁদে। আবার রাতে চুপচাপ আনমনেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে। স্বপ্ন দেখে এক পালঙ্কের। যে পালঙ্কে শুইলে কোন কষ্ট থাকে না। সেই পালঙ্ক রূপার পালঙ্ক! - ও বাবা! কি সাহিত্যিক কথা! -সাহিত্য না। বইটা পড়লে আপনারও একই ফিল হবে। -ও আচ্ছা। -পড়ে দেইখেন। আমি ৫ এর মধ্যে ৪ দেবো বইটাকে। -আচ্ছা পড়বো। দাম কত বইয়ের? -২০০ টাকা গায়ের দাম। রকমারি থেকে কিনলে আসবে ১৭৬ টাকা! -বাহ! কমই তো দাম! -হু। ছোট বই। মাত্র ৮৭ পৃষ্ঠা! এই নিন লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/898/rupar-palonko?ref=নুল্ল -আচ্ছা! -প্রচ্ছদও সুন্দর! -কোন প্রকাশনীর বই? -অন্য প্রকাশ! ১৯৯৯ সালে প্রথম বের হয়। একুশে বইমেলায়! -ও আচ্ছা! ঠিক আছে। পড়বো, যদি আপনি গিফট করেন! -হি...হি...হি... আচ্ছা ঠিক আছে। আমি এখনই রকমারি থেকে অর্ডার করে দিচ্ছি। -হা...হা...হা... আচ্ছা! :D