Our User Product Reviews

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-এপিটাফ জনরা-উপন্যাস ঔপন্যাসিক-হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা-১১৯ মূল্য-২০০ দিলশাদ আর সাজ্জাদ, দুজনে স্বামী স্ত্রী। তাদের একটা মেয়ে আছে নাতাশা। একসময় দিলশাদ সুখী একটা পরিবারের স্বপ্ন দেখতো, তবুও সে তার পরিবারে সুখের হাওয়া বয়ে দিতে পারেনি। কোন একটা কারনে, স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা হওয়ায় তারা আলাদা হয়ে যায়। নাতাশা থাকে তার মায়ের কাছে। এটা দিলশাদের জীবনে ঝড় বয়ে না আনলেও তার থেকে বড় ঝড় তার জন্য অপেক্ষা করছিলো। তাহলো তার চোখের মনি নাতাশার ভয়ানক অসুস্থ হওয়া। যার কারনে নাতাশা একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মা হিসেবে তার পক্ষে কখনই এই দৃশ্য চোখের সামনে ঘটতে দেখা মোটেও সম্ভব নয়। নাতাশা জানে সে অসুস্থ। খুব বেশিদিন তার হাতে নেই। সে হয়ত আর কদিন বাঁচবে বোধহয়। তবুও সে ভালো থাকার অভিনয় করে। মাকে বুঝাতে চায়, সে ভালো হয়ে উঠছে। দিলশাদ অনেক চেষ্টা করছে মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে । সাজ্জাদের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলে, সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ ব্যপারে সাজ্জাদকে সে জানাবে না। তার মেয়ে সে নিজেই সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব? কেন না এ যে অনেক টাকার ব্যপার। দিলশাদ কোথায় পাবে সে টাকা? সে কি পারবে নাতাশা কে সুস্থ করে তুলতে? নাকি নাতাশা পায়ে পায়ে এগিয়ে যাবে মৃত্যুর দিকে? নতুন করে গাথুনি হবে আবারো এক নতুন এপিটাফ! ব্যক্তিগত মতামতঃ এপিটাফ হলো মৃত ব্যক্তির কবরের পাশে থাকা নামফলক। মৃত্যু ব্যপারটাই কষ্টের। আমরা কেউ প্রিয়জন হারাতে চাই না। সেদিক থেকে দিলশাদও বেশ চেষ্টাকরতে থাকে তার চোখের মনি যেন না হারিয়ে যায়। গল্পটা বিষাদের। কষ্ট মেশানো। একজন মায়ের সংগ্রাম, তার মেয়েকে সুস্থ করে তোলার অক্লান্ত চেষ্টা। একটা বাচ্চা মেয়ে আত্মকাহিনী। বইয়ের প্রথম থেকেই মন খারাপ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক আর হয়েও যায়। মন খারাপের মাঝেও কোথাও একটা ভালো লাগা কাজ করে। নাতাশাকে ভালো লাগে, তার লেখা ভালো লাগে, দিলশাদকেও ভালো লাগে। আর এই ভালোলাগাটাই আরো বেশি মন খারাপ করে দেয়। https://www.rokomari.com/book/8956/এপিটাফ?ref=srbr_pg0_p1

ছোট একটি মেয়ে নাম নাতাশা । তার ছোট জীবনের অনেক স্বপ্ন । সে বড় হবে তার স্বপ্নের আকাশে ভেসে বেড়াবে । কিন্তু এ সব ই থমকে যায় , কারন এক মরন ব্যাধি তার ছোট শরীরে বাসা বাধে । তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে । নাতাশা থাকে তার মা এর সাথে । তার বাবার সাথে মার বনে না । নাতাশার মা দিলশাদ তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠাতে চান । কিন্তু তাদের মধবিত্ত সংসারে বাধা হয়ে দাড়ায় টাকা । টাকার জন্য দিলশাদ হন্য হয়ে ঘুরেন । অনেক অপমান, নির্লজ্জ প্রস্তাব শুনতে হয় তাকে । কিন্তু তিনি পিছু হটেন না তাতে । তিনি টাকা যোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যান । তিনি কি পারেন নাতাশার স্বপ্ন গুলকে আলো দেখাতে ? নাতাশা কি বাচতে পারে ? উপন্যাস টিতে রয়েছে মেয়ের প্রতি মায়ের অকৃত্রিম ও অতুলনীয় ভালবাসার গল্প । একটি ছোট জীবনের মর্মস্পর্শী গল্প নিয়ে সাজানো উপন্যাসটি । আশা করি সবার ভাল লাগবে ।