User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই,, কোয়ালিটি অনেক ভালো ????
Was this review helpful to you?
or
'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল' নামটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিলো। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম পড়বো। কিন্তু পড়া হয়ে উঠছিলো না কেন যেনো। অন্যান্য বই টই পড়ে ফেলছি এটি আর পড়ে হচ্ছে না। তো আজকে পড়েই ফেললাম। আমার অত্যন্ত প্রিয় উপন্যাস তেতুল বনে জোছনার মতো গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা। অনেকদিন পর এরকম একটা বই পড়লাম মনে হলো। বেশ ভালো লাগলো আমার। বিরাটনগরের মতো একটা পল্লি গ্রাম। গ্রামের চেয়ারম্যান বিত্তবান টাইম মানুষদের বাড়িতে দাওয়াত টাওয়াতও আছে। খানাপিনার প্রচুর আয়োজন। উপন্যাসটা একটা স্কুলকে এবং স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রদের কেন্দ্র করে সেটা নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। জীবনকৃষ্ণ নামে এক সজ্জন ব্যক্তি স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাই তার নামেই নাম। একসময় স্কুলটি ধ্বংস হতে নেয়। পাশাপাশি একটা নামি দামি স্কুলও খোলে। জীবনকৃষ স্কুলের অনেক শিক্ষকই সেই স্কুলে চলে যেতে থাকে। অনেক ছাত্রও চলে যায়। কিন্তু জীবনকৃষ্ণ স্কুলের হেডস্যার ফজলুল করিমের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত স্কুলটি আবার উঠে দাঁড়ায়। আবার আগের মতো নামডাক হতে থাকে। এসব নিয়েই গল্প। এক ধরনের পড়তে পড়তে অনেক সময় বোরিং লাগে। তখন 'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল' উপন্যাসটা পড়ে ফেলতে পারেন। আশা করছি খারাপ লাগবে না।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুল হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী : অনন্যা পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৭৯ মলাট মূল্য : ১৫০/= অল্প আয়তনের বইটি একবসাতেই পড়ে শেষ করা যায়।গল্পটি নীলগঞ্জ নামক ছোট্ট একটি গ্রামের বহুবছরের পুরোনো একটি স্কুলকে নিয়ে। এই স্কুল বিগত বছরগুলোতে একাধিক কৃতি ছাত্র তৈরি করেছে।বর্তমানে স্কুলটির অবস্থা ঢাল তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সরকারের মতোন।এই স্কুলের অল্প ক'জন শিক্ষক আছেন যারা ঠিকমতো বেতন অবধি পান না।তবুও কেনো যেনো তারা রয়ে গেছেন।এমনকি ভালো কোনো শিক্ষকও স্কুলটিতে বেশিদিন টেকেন না। স্কুলের একমাত্র দপ্তরি হরিপদ। ধুকে ধুকে স্কুলটি যা-ও চলছিলো এলাকার প্রতিপত্তিসম্পন্ন মন্ত্রী মহাশয় নিজের মায়ের মৃত্যুদিবসে নতুন একটি স্কুল স্থাপনের পর নতুন ঝা-চকচকে দালান এবং সুন্দর স্কুলে দলে দলে চলে যেতে থাকে ছাত্র আর সাথে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষকেরা। পড়ে থাকে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের কঙ্কাল এবং স্কুলঅন্তপ্রাণ হেডমাস্টার ফজলুল করিম সাহেব।নিয়তির বিরুদ্ধে স্বপ্নকে বাচাতে লড়ে যাওয়া একা সৈনিকের গল্প 'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল'। হুমায়ূন আহমেদ স্যার বইএর শেষে কোন এক অদ্ভূত কারণে পাঠককে হ্যাপি এন্ডিং এর মুখ দেখান না।দুরুদুরু বুকে বইটা পড়ছিলাম কেননা বারবার মনে হচ্ছিলো প্রয়োজনে গল্প মাঝপথে শেষ হয়ে যাক তবু যেনো ফজলুল করিমের পরাজিত মুখ দেখতে না হয়। শুরু থেকেই মনে হচ্ছিলো অথবা খুব করে চাইছিলাম কোনো এক সুন্দর ভোরে নীলগঞ্জের পোস্টম্যান জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের হেডমাস্টারের জন্য একখাম আনন্দ নিয়ে আসুক আর স্কুলটি আবার প্রাণ ফিরে পাক। ভালো লাগার মতো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
sob boier moto aitao akta nisshondehe oshadharon boi dhonnobad humayun sir
Was this review helpful to you?
or
খুব আবেগময় একটা অতুলনীয় বই যা আপনাকে নাড়িয়ে দিতে পারে। ??
Was this review helpful to you?
or
সে অনেকদিন আগে নীলগঞ্জ গ্রামে বাবু জীবনকৃষ্ণ রায় তার সারা জীবনের অর্জিত লাখ লাখ টাকা শেষ জীবনে এসে সৎ কাজে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে তৈরি করেন জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল। স্কুল তৈরির পর মানুষ শিক্ষার আলো দেখে।সে আলোয় নীলগঞ্জ থেকে তৈরি হয় আলোকিত মুখ।কাল পরিক্রমায় স্কুল পুরোনো হয়।দেয়ালের আস্তরণ খসে পড়ে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে টিকে থাকার আকুতি জানান দেয়।আলোকিত মুখগুলোও আলো নিয়ে হারিয়ে যায়।আলোর উৎসকে ভুলে যায়। প্রতিষ্ঠান কখনো বড় হয় না। যদি প্রতিষ্ঠানের পিছনে থাকে বড় মনের, বড় স্বপ্ন ধারণের কোন মানুষ , তবেই ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টি করা যায় বিস্ময়কে। তেমন একজন মানুষ ফজলুল করিম।যিনি জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের হেডমাস্টার।তার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সময় স্রোতে স্কুলের হারিয়ে যাওয়া সুনাম, খ্যাতি ফিরিয়ে আনা। নানা প্রতিকূলতা,ঝড়,দুঃসময়ের মাঝেও হালকা আশার আলো দেখেও থেমে না যাওয়া হেডমাস্টার ফজলুল করিম কে নিয়ে লেখা হুমায়ুন আহমেদ এর বই -“ জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল” বইটি। বইটির প্রতিটি চরিত্রকে অতি সাধারণভাবে তুলে ধরা হলেও সবাই গুরুত্ব বহন করে।তাই বইটিকে পড়তে হবে। বইটিতে একটা অসাধারণ শিক্ষা হলো নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা, কর্তব্যবোধ এবং নিজের পরাজয় হবে ভেবে ভেঙে না পড়ে নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করা।
Was this review helpful to you?
or
'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল' লেখক- হুমায়ূন আহমেদ . 'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল', হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি অসাধারণ সংগ্রামী উপন্যাস, একজন শিক্ষক ও একটি স্কুলের গল্প। ময়মনসিংহ অঞ্চলের একজন বৈষয়িক লোক জীবনকৃষ্ণবাবু তার মনের উশখুশের জন্য হুটহাট সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি মানবকল্যাণে ব্যয় করবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে নীলগঞ্জ নামক একটি গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন এই জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল।
Was this review helpful to you?
or
খুব ছোট একটি উপন্যাস।নামটাও অসাধারণ। অথচ উপন্যাসের প্রতিটি পাতা জুড়ে আছে বিস্ময় আর ভালোলাগা। যদি ব্যস্ত জীবনে মন পরিশ্রান্ত হয়ে উঠে তাহলে উপন্যাসটি পড়ে মন ভালো করে নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
খুব ছোট একটি উপন্যাস।নামটাও অসাধারণ। অথচ উপন্যাসের প্রতিটি পাতা জুড়ে আছে বিস্ময় আর ভালোলাগা।কেন জানি খুব ইচ্ছে হলো এই উপন্যাসটি নিয়ে সামান্য কিছু লিখতে। ফজলুল করিম এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।স্কুল ই যাঁর ধ্যানজ্ঞান।একজন সাধারণ স্কুল শিক্ষক যিনি একটা স্কুল টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। একজন শিক্ষক যাঁর চোখে স্বপ্ন আর অন্তরের অগাধ বিশ্বাস, যিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে, "স্কুলের দালানকোঠা নয়,ছাত্ররাই স্কুলের প্রাণ।" ছাত্ররা রেজাল্ট ভালো করলে স্কুলের সুনাম এমনিতেই বাড়বে, দূরদূরান্ত থেকে ছাত্ররা এসে পড়বে।আপাতভাবে অনেকেই উনার স্বপ্নকে নিরুৎসাহিত করলেও স্বপ্ন তিনি ঠিক ই দেখেছেন। শিক্ষক ফজলুল করিমের একটি কথা মনে পড়ছে, তিনি বলেছেন, "শিক্ষক হবার সবচেয়ে বড় লাভ হচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ ছাত্র পাওয়া যায়। কৃতী ছাত্র। এদের দেখলেও আনন্দ হয়। কৃতী ছাত্র দেখলে এতো ভালো লাগে। একটা কথা আছে -জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে জয় আশা করিবে শুধু ছাত্রের এবং পুত্রের নিকট পরাজয়কেই আনন্দের সাথে গ্রহণ করিবে।" কি অসাধারণ কথাই না বলেছিলেন। আমরা যদি কিছু সময়ের জন্য হলেও ফজলুল করিমের জায়গায় নিজেদের অবস্থানের কথা ভাবি, ঠিক ই তো একজন পুত্র আর ছাত্রের কাছে নিজেকে পরাজিত দেখার চাইতে আনন্দ হয়তো আর কিছুতেই নেই। এই উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্রগুলোর কথা যদি ধরি, মাওলানা ইরতাজউদ্দি, বিনয় বাবু আর মামুন;উনাদের অবদানও তো কোন অংশে কম নয়।কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে অনেকে হয়তো অন্যজায়গায় চাকরি নিয়েছেন কিন্তু জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের অবদানও তো অস্বীকার করা যায়না। উপন্যাস পড়া শেষে শুধু এইটুকুই মনে হয়েছে, জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়ালের মতো এমন আরো অনেক স্কুল হয়তো বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে আছে।বিনয়বাবুর মতো অত্যন্ত তুখোড় অংক শিক্ষক আছেন, আছেন মামুন স্যারের মতো এমএসসি তে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ছাত্র, ইরতাজউদ্দিনের মতো সরল মনের শিক্ষকও আছেন।হয়তো অজপারাগাঁয়ের নিভৃত কোন পল্লীতে আছেন ফজলুল করিমের মতো অসহায় এক প্রধান শিক্ষক যিনি শত প্রতিকূলতার মাঝেও চেষ্টা করছেন স্কুল টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু যে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ঠিক নেই,ভালো শিক্ষকের অভাব কিংবা ভালো ছাত্রের অভাব সে স্কুল টিকবে কিভাবে? এই উপন্যাসের অন্তরালে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ভংগুর অবস্থা।বিশেষ করে পাঁড়াগায়ের স্কুলগুলোর দিকে খেয়াল করলে তা আরো ভালো ভাবেই বোঝা যায়। শিক্ষকতা হচ্ছে সবচেয়ে মহান পেশা, একইসাথে সবচেয়ে কঠিন কাজও হচ্ছে কাউকে কিছু শেখানো।পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দেয়া হলেও আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র। এদেশে শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হয়।আমাদের দেশের সরকারের উচিত, শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়া, তাঁরা যাতে উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে সেদিকে নজর দেয়া, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে শিক্ষকদের মতামত গ্রহণ করা। একইসাথে শহুরে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি গ্রামের স্কুলগুলোকেও সঠিকভাবে নজরদারি করা। একজন ছাত্রের প্রধান ফাউন্ডেশন গড়ে উঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে।সেই স্কুলগুলোর দিকে যদি সরকার ভালোভাবে নজর দেয় তাহলে দেশের ভবিষ্যত অনেক সুন্দর হবে। জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের শিক্ষক মামুন স্যার প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিমকে লিখা তাঁর শেষ চিঠিতে লিখেছেন, "মানুষ কঠিন পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে চায়।ব্যাপারটা সবসময় আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। আপনাকে দেখার পর আর মনে হচ্ছে না। আপনাকে দেখার পর মনে হচ্ছে সব মানুষকেই তার ব্যক্তিগত এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে হয়। এই হচ্ছে আমাদের নিয়তি।" আমিও বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থারও একদিন আমূল পরিবর্তন হবে। শিক্ষিত, মেধাবী,দক্ষ এক জনশক্তি সৃষ্টি হবে। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্নটা দেখতে হবে, আর সেই স্বপ্নটা অবশ্যই এভারেস্ট জয় করার মতো স্বপ্ন হতে হবে। "জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল" খুব সুন্দর এক উপন্যাস। পড়ে মনে খুব শান্তি লাগে অনেকটা এমনই। উপন্যাসটি পড়ে মন ভালো করে নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
খুব একটা ভালো লাগেনি।
Was this review helpful to you?
or
গল্প টা একটু অন্যরকম। গ্রামের খুব সাধারণ একটি স্কুল 'জীবনকৃষ্ণ মেমােরিয়াল হাইস্কুল' যার প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম এম. এ. (ডাবল) বিটি (প্রথম শ্রেণি)। স্কুলের অবস্থা খুব করুণ অবস্থা এমন যে এত বছরের পুরাতন স্কুল হয়ত আর থাকবে না। আর মধ্যে আবার মন্ত্রী সাহেব গ্রামে নতুন স্কুল দিয়েছেন। ফজলুল করিম সাহেবে নিজের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করছেন। যেভাবেই হােক। স্কুলকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তার সব স্বপ্ন এই স্কুলকে ঘিরে। তিনি কি পারবেন স্কুলকে টিকিয়ে রাখতে?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাbr বইয়ের নামঃ জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হইস্কুলbr লেখকঃহুমায়ূন আহমেদbr ধরনঃসমকালীন উপন্যাসbr প্রকাশনীঃঅনন্যাbr মূল্যঃএকশত টাকাbr এই বইটি মুলত অজপাড়া গায়ের একটি স্কুল এবং ওই স্কুলের হে
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এক জাদুকরের নাম।যিনি সরল বাক্যে পাঠকের নিকট অসংখ্য তথ্য পৌঁছে দেন।পাঠক তৈরির পিছনে এই ব্যক্তিটির বড় অবদান রয়েছে।তিনি তাঁর সুন্দর লিখার মধ্য দিয়ে আগেও এবং এখন পর্যন্ত অসংখ্য পাঠক তৈরি করেছেন।তাঁর কষ্ট সত্যিই সার্থক! তাঁর গল্প উপন্যাসের ছোট ছোট বাক্যগুলোর ভার যে কতটা এটা না পড়লে বোঝা যায়না।যেমন জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল বইটিতে তিনি একটি জায়গায় লিখেছেন একজন ভাল শিক্ষক ১০০ হাতির সমান।কথাটা চিন্তা করে দেখুন আসলেই তাই।একটি ভাল, শিক্ষিত শিক্ষকের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষিত মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব।ভাল শিক্ষক কী, তার স্বার্থ কিসে জানতে হলে পড়তে হবে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল।একটি বিদ্যালয়কে ঘিরে ফজলুল করিমের স্বপ্ন, মান সম্মান এর কথা চিন্তা না করে বিদ্যালয়ের জন্য তার ভালবাসার প্রকাশ কীভাবে হয়েছিল এটি জানার জন্য হলেও সবার জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল পড়া উচিৎ। গল্পের শেষ পর্যায়ে এতো কেঁদেছি যে মনে হয়েছে আমি ফজলুল করিম।জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুলকে নিয়ে স্বপ্ন আমি দেখেছি এবং এখন স্বপ্ন পূরণ হতেও দেখছি....... এরকম হাজারটা ফজলুল করিম এর মত শিক্ষক হলে আমাদের দেশ একদিন উন্নতি লাভ করতে বাধ্য :) :) এই বইটি থেকে কয়েকটি শিক্ষা পেয়েছি ১। শিক্ষক হলে কেমন হতে হবে।। ২।পেশাকে ভালবেসে সেটির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্যেই জীবনের স্বার্থকতা রয়েছে। ৩।উদ্দেশ্য যদি সৎ হয় তবে যত বিপদ সামনে আসুক না কেন সেটি থেকে পিছনে যেন না ফিরি :)
Was this review helpful to you?
or
বইটার শুরু থেকেই একধরেন দুঃখ কষ্ট বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেটা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কিছু বই থাকে যেটার দুঃখের অধ্যায়ে মানুষের চোখ দিয়ে পানি পড়ে। কিন্তু এব বইটি আর সব বইয়ের থেকে আলাদা কারন এই বইয়ের শেষটা পড়ে আনন্দে আপনার চোখে পানি আসবে।তবে একেবারে শেষটায় থমকে যাবে পাঠক। একজন শিক্ষক একটি স্কুলকে নিজের সন্তানের মত কতটা ভালবাসতে পারে তার দৃষ্টান্ত হেড মাস্টার ফজলুল করিম। অথচ এই এই স্কুল তিনি তৈরী করেন নি। এই স্কুল তৈরী হওয়া নিয়ে বিশাল এক কাহীনি বর্নিত আছে বইয়ে। সেইসঙ্গে যিনি স্কুল তৈরী করেছেন তিনি একজন হিন্দু ছিলেন ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নামে স্কুল হওয়ায় মিলিটারীরা নাম পরিবর্তন করতে গেলে বাধ সাধে ফজলুল করিম। এই বাধসাধার ফলটাও ছিল মারাত্বক । একটা স্কুলকে এত ভালবাসার পরও সময়টা এমন আসলো তিনি আর তার স্কুলকে রক্ষা করতে পারছেন না। শিক্ষক দের বেতন দিতে পারছেন না। বৃষ্টি হলে ক্লাসে পানি আসছে সেটা ঠেকাতে পারছেন না। সেইসঙ্গে একই গ্রামে মন্ত্রীসাহেব আর একটা স্কুল তৈরী করছেন। সবাই দলে দলে সেই স্কুলে যোগ দিচ্ছে। স্কুল চালু রাখার সব আশাই যখন অস্তমিত ঠিক তখন উষার আলোর ন্যায় উদ্ভাসিত হল বাদল। বাদল এ স্কুলের ছাত্র। এ বছর সে ssc পরীক্ষা দিবে। যথেষ্ট ভালো ছাত্র হওয়ার কারনে হেড স্যারের আশা সে যদি দেশের মধ্যে প্রথম হয় তাহলেই একমাত্র স্কুলকে বাচানো যাবে। কিন্তু পরীক্ষার মাঝে বাদলের হলো ১০৩ ডিগ্রি জ্বর। এই একটি স্বপ্ন কি পূরন হবে ফজলুল করিমের? বাদল কি পারবে ভালো রেজাল্ট উপহার দিয়ে স্কুলের প্রান প্রতিষ্ঠা করতে? বইটাতে আরো খন্ড খন্ড অনেক কাহীনি আছে, অনেক চরিত্র আছে। সব চরিত্র সুন্দর ভাবে বর্ননা করা হয়েছে। আশাকরি আপনাদের দারুন লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
A marvelous creation from the best writer of our country.This book really teaches us what is needed to make a good story.The book is outstanding in brief.
Was this review helpful to you?
or
‘জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল’ উপন্যাসটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একটি গ্রামীণ স্কুলকে কেন্দ্র করে। যেই স্কুলের প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িয়ে আছে এক প্রাচীন কিংবদন্তি। উপন্যাসের কাহিনীর বিস্তৃত বিবরণে যাওয়ার আগে এতটুকু বলাই যায়, এই বইটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা আর দশটা গতানুগতিক উপন্যাসের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ‘জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফজলুল করিম। তিনি জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের হেডমাস্টার। ফজলুল করিমের মত ন্যায়-নিষ্ঠ শিক্ষক বর্তমান সময়ে খুব কমই দেখা যায়। তার চিন্তা-ভাবনা জুড়ে সবসময়ই স্কুল। কীভাবে স্কুলের উন্নতি করা যায়, কীভাবে ফলাফল আরও ভালো করা যায় এসব ভেবেই তার দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে। লেখক এই গল্প নিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার সময় হঠাৎ করেই আবার ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যান। সেখানে আমরা দেখতে পাই, চল্লিশের দশকে জীবনকৃষ্ণ নামে এক ধনী ব্যক্তি এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্কুল প্রতিষ্ঠার পিছনের কাহিনীও বেশ চমকপ্রদ। জীবনকৃষ্ণ বাবু হঠাৎ এক সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি জনকল্যাণমূলক কাজে তার সম্পদ ব্যয় করবেন। তারপর তিনি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর আবার উঠে আসে যুদ্ধের সময়ের কথা। আমরা দেখতে পাই, পাকিস্তানী আর্মিরা হিন্দুর নামে স্কুলের নাম দেখে খুব বিরক্ত হয়। তারা এই স্কুলের নাম বদলাতে চায়। কিন্তু তরুণ ফজলুল করিম তাদের বাধা দেন। ফলাফলস্বরূপ তাকে নগ্ন করে স্কুলের মাঠের চারিদিকে ঘোরানো হয়। এই ঘটনায় ব্যথিত হয়ে ফজলুল করিমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পরের দিন মারা যান। এই পর্যায়ে এসে লেখক ফ্ল্যাশব্যাক থেকে আবার বর্তমান সময়ে ফিরে আসেন। আমরা দেখতে পাই, স্কুলের অবস্থা খুব ভালো না হলেও মোটামুটি চলছিল। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন স্থানীয় মন্ত্রী নীলগঞ্জ হাইস্কুল নামে আরেকটি স্কুল সেই এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন। নতুন স্কুলের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। তাই ছাত্ররা দলে দলে সেই স্কুলে চলে যেতে শুরু করে। আবার সেই স্কুলে শিক্ষকদের বেতনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধাদি বেশি থাকায় কিছু শিক্ষকও সেখানে চলে যান। এদিকে ফজলুল করিমের ব্যক্তিগত জীবনেও একটা সমস্যা দেখা দেয়। ফজলুল করিমের মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা বাহিরে থাকতো। তার বাড়িতে মানুষ বলতে তিনি আর টুকটাক কাজ করার জন্যে রেশমী নামে ২৩-২৪ বছরের একটি মেয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে ফজলুল করিমের সাথে রেশমীকে জড়িয়ে নানা রটনা ওঠে। ফজলুল করিম ব্যক্তিগতভাবে বিপর্যস্ত এবং স্কুলের অবস্থাও মোটামুটি বিধ্বস্ত এমন সময় এসএসসি পরীক্ষা সামনে চলে আসে। দীর্ঘদিনের ইতিহাসের সাক্ষী জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের টিকে থাকার তখন একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায় এসএসসিতে অসাধারণ ফলাফল করা। সে বার বদরুল নামে এক অসাধারণ ছাত্রও পেয়ে যান ফজলুল করিম, যাকে নিয়ে আশা করা যায়। শেষ পর্যন্ত কী হবে ফলাফল? দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটি কি টিকে থাকতে পারবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার জন্যে পাঠককে এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে হবে। হুমায়ূন আহমেদ ‘জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল’ উপন্যাসে অসাধারণ দক্ষতায় ফজলুল করিমের চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন। ফজলুল করিমের প্রতিটি আচরণ এবং কাজের মধ্যে লেখক আদর্শ শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এছাড়া, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্কুল বিভিন্ন কারণে আজ ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে; সেই চিত্রটিও লেখক এই উপন্যাসে অসাধারণ সার্থকতার সাথে তুলে ধরেছেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখা ভিন্ন স্বাদের এই উপন্যাসটি শিক্ষানুরাগী সকল পাঠকের কাছেই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
শ্রাবন মাসের শেষ। বৃষ্টি হয়না অনেক দিন। চারিদিকে সাপের অনেক বেশি উপদ্রব। গত কয়েক দিনে দুইজন সাপের কামরে আক্রান্ত হয়েছে।জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছে তার পরেও সব শিক্ষকেরা অফিস কক্ষে বসে আছে। কারন হেড স্যার ফজলুল করিম সাহেব ছুটির পরে সবাইকে বসতে বলেছেন কিন্তু তিনি সবাইকে বসতে বলে নিজেরই কোন খবর নেই। ইংরেজি স্যার মাহবুব সাহেব গত কাল সাপের কামর খাওয়া থেকে গতকাল কিভাবে বেঁচে ফিরলেন সেই গল্প সবাইকে শুনাচ্ছেন কিন্তু কেও সেটা মনযোগ দিয়ে শুনছে বলে মনে হচ্ছেনা কেননা গল্প বলাতে তিনি মোটেও ভাল না।অবশেষে হে'দ স্যার এর দেখা তিনি আজকে একটু খুসি খুসি থাকার কারনটা সবাইকে খুব আগ্রহের সাথে বলছেন। স্কুলের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা হয়েছে সাত লাখ! এবার মনে হয় স্কুলটার একটু পরিবর্তন হবে পাঁকা দালান হবে হোস্টেল হবে আরো কত কি। মাহাবুব সাহেব লক্ষ্য করলেন তার নিজের গল্প কেও না শোনলেও হেড স্যার এর টাকার গল্প ঠিকই সবাই মনযোগ দিয়ে শুনছে যেটা তার নিজের কাছে মোটেও ভাল লাগেনি কারন হেড স্যার এর সাথে তার ঠান্ডা যোদ্ধ চলছে। তাই তিনি গল্পের মাঝে বললেন তিন বছর আগেও তো খবর এসেছিল ৫০ বস্তা গম অনুদান পাবে এই স্কুল কই তার তো আর কোন খবর নেই.....। সকলে বাড়ি ফেরার পর ফজলুল করিম আর হুজুর স্যার এক সাথে বাড়ির পথ ধরলে। হুজুর স্যারকে বাজারে পৌছে দিয়ে তিনি বাড়ি যাবেন। কারন এরই মধ্যে বৃষ্টি পরতে সুরু করেছে আর ছাতা মাএ একটা। হুজুর স্যার বাজারের মজিদ মিয়ার কাপর দোকানে রাতে থাকেন। এর ফাকে ফজলুল করিম রেশমীর জন্য একটা কাপর কিনলেন মজিদ মিয়ার দোকান থেকে অনেক দিন ধরে রেশমীকে একটা কাপর দেয়া দরকার বলে ভাবছেন তিনি আর আজকে যখন সুযোগ পাওয়া গেল....। বাড়ি পৌছে দূর থেকে দেখলেন উঠানে হারিকেন জ্বালিয়ে রেখেছে রেশমী আর সে দাড়িয়ে আছে বারান্দায়।রেশমীর বয়স তেইশ কি চব্বিশ কিন্তু শ্যামলা বর্ন আর ছিমছাম শরীর হওয়ার কারনে তা আরো কম দেখায়। যা দেখে ফজলুল করিমের বড়ই লাগে। একাত্তরে মিলিটারিরা ক্যাম্প করল জীবনকৃষ্ণ স্কুলে। আর তারা চায় এই স্কুলের নাক কোন হিন্দু ব্যক্তির নামে না রাখতে। কিন্তু ফজলুল করিম এতে আপত্তি করেন তাই মিলিটারি ক্যাপ্টেন একটা সভার আয়োজন করেন আর তাতে স্কুল এর না পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ফজলুল করিম কে উলঙ্গ করে স্কুলের চার পাশে ঘুরানো হয়। এই খবর শুনে তার স্ত্রী মাথা ঘুরে উঠোনে পরে যায়। এর পরের দিন সকালে ফজলুল করিমের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। হুজুর স্যার ফজলুল রহমান কে বলল স্যার আপনার বাসায় যে মেয়েটা থাকে তার কি বিয়ে দেয়া দরকার না? আপনি একলা মানুষ আর সাথে থাকে একটা প্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়ে। কত লোকে তো কত কথা বলে বুঝয়েই পারছেন স্যার। এর জবাবে ফজলুল রহমানের মাথায় কোন কিছু আসছেনা তারপরেও তিনি বললেন দেখুন রেশমী আমার স্ত্রীর দেশের মেয়ে সে আমাকে খলু ডাকে। তার পরেও দেখা যাক কি করা যায়। বিয়ে দেয়া দরকার। নাকি? সিরাজ সাহেব এমপি মানুষ তার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সেখানে সিরাজ সাহেব ঘোষনা দিলেন নীলগঞ্জে(জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল যে গ্রামে) আরো একটি স্কুল করা হবে। কিন্তু তাতে ফজলুল রহমান কিছুটা আপত্তি করলে উল্টো তাকে আরো ভাল ভাবে বোঝিয়ে দেয়া হল। স্কুল বারলে শিক্ষাও বারবে। এদিকে জীবনকৃষ্ণ স্কুলে সায়েন্স টিচার গত এক বছরে তিন জন বদলানো হয়েছে তার উপর আজকে একজন এসেছেন শহর থেকে তিনি স্কুলের নতুন সায়েন্স টিচার হিসেবে যোগ দিবেন। কিন্তু তিনিও হয়তো বেশি দিন থাকবেন না। তার কথাতে এমন একটা আভাসই পাওয়া যায়। নীলগঞ্জের নতুন স্কুল চালু হয়েছে যার কারনে জীবনকৃষ্ণ স্কুলেরছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে আসছে সবাই গিয়ে নীলগঞ্জ স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। এদিকে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের কোন স্যারকে গত মাসে বেতন দেয়া হয়নি যার জন্য সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। অন্য দিকে স্কুলের অঙ্ক স্যার বিনয় বাবু জীবনকৃষ্ণ স্কুল ছেড়ে নীলগঞ্জ স্কুলে চাকরি নিয়েছে। যদিও সেটা ছিল তার পেটের দায়ে। তারপরেও সে জীবনকৃষ্ণ স্কুলকে মনে প্রানে ভালবাসে সাথে ফজলুল রহমানকেও অনেক বেশি শ্রদ্ধা করে। অবশেষে সকল স্যারদের বেতন দেয়া হল আর সেটা করা হল স্কুলের জরুরি ফান্ড থেকে।সরকার থেকেও একটা চিঠি এসেছে যেখানে বলা হয়েছে অনুদানের সাত লাখ টাকা দেয়া হবেনা তবে এ নিয়ে বিবেচনা করা হবে। এখন ফজলুল করিমের শেষ আশা একটাই। সামনে এস এস সি পরিক্ষা এতে যদি কেও খুব ভাল করে তাহলে হয়তো স্কুলের নাম আবার ফুটবে। আবার হয়তো সেই ছাত্রকে নিয়ে ফজলুল রহমানে কুলে করে সারা স্কুল দৌড়াবে। যেভাবে একাত্তুতে মিলেটেরিরা তাকে উলঙ্গ হয়ে দৌড়াতে বাধ্য করেছিল। নাকি ফজলুল করিমের এই আশা, আশাই থেকে যাবে আর জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল হারিয়ে যাবে। নীলগঞ্জ স্কুলের গৌরবে?
Was this review helpful to you?
or
সে অনেকদিন আগের কথা। এক সকালে ময়মনসিংহের ঘোর বৈষয়িক মানুষ বাবু জীবনকৃষ্ণ রায়ের মনে একটা আকস্মিক পরিবর্তন দেখা দিল। তিনি তার সারাজীবনের অর্জিত সম্পদ সৎ কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন, আর তারই একটি নমুনা জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল। এই স্কুলের হেডমাস্টার ফজলুল করিম নির্ভেজাল মানুষ। তাঁর জীবনের সমস্ত চিন্তাভাবনার কেন্দ্র একটাই - জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল। এই স্কুলপ্রাঙ্গনে জড়িয়ে আছে তাঁর জীবনের একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক স্মৃতি। সেই দুঃসহ ঘটনার ভার সহ্য করতে না পেরে ফজলুল করিমের পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। আজ, এত বছর পরও সেই গ্লানিময় অতীত মাঝ রাতে এসে তাড়া করে এই নিঃসঙ্গ প্রৌঢ়কে। স্কুল নিয়ে ফজলুল করিমের অনেক স্বপ্ন থাকলে তা বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন। সম্প্রতি গ্রামে আরেকটি নতুন স্কুল হওয়ায় সেই কঠিন কাজটা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকদের মাঝেও নতুন স্কুলে যোগদান করার প্রবণতা লক্ষণীয়। এমতাবস্থায় ফজলুল করিম একাই স্কুলটাকে টিকিয়ে রাখার প্রাণপণ যুদ্ধে নেমেছেন। ঠিক এরকম সময়ে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলে সায়েন্স টিচার হিসেবে যোগদান করে মামুন নামের এক পরিশ্রমী তরুণ। ফজলুল করিমের যুদ্ধে সে নেয় এক সক্রিয় সৈনিকের ভূমিকা, আর তাঁর সাথে থাকেন আরবী শিক্ষক মওলানা ইরতাজ উদ্দিন। ব্যক্তিগত মতামতঃ অনেক আগের পড়া এই বইটি আবার পড়ে নিলাম। আমার খুব ভাল লাগার একটি বই। হেডমাস্টার ফজলুল করিমের পাশাপাশি মামুন আর ইরতাজ উদ্দিনও ছিল আমার প্রিয় চরিত্র। পুরো উপন্যাসে মওলানা ইরতাজ উদ্দিনের তেমন কোন ভূমিকা না থাকলেও শেষ পৃষ্ঠায় তাঁর বিচক্ষণতা জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের জন্য অবশ্যই একটি মঙ্গলজনক সিদ্ধান্ত।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর প্রায় শতাধিক বই পড়েছি। তার মধ্যে 'জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল' ভাল লাগার একটা বই। এত ভাল ভাল বই থাকতে এইটা কেন, ভাল লাগার একটা বই? বলছি। কারণ এই বইটার শেষ দিকে আমার চোখ ভিজে যায়। পানি পরে যাবে অইরকম অবস্থা?. কেন এত ভাল লাগল? কারণ ছিল একজন শিক্ষক। ওনার নাম ফজলুল করিম। এই বইটা পড়ার পর কিছু শিক্ষক এর উপর মায়া পড়ে যায় (আমার শিক্ষকদের উপর)। কারণ একটা শিক্ষক যে, একটা স্কুলের জন্য কত কিছু করতে পারে তা আমি জানতাম না (বই টা পড়ার আগে)। শুরুটা ছিল অনেকটা বিনোদন দিয়ে। আমি ভেবেছিলাম ফানি বুক। বইটা এতই ভাল লেগেছিল যে, আমি এক বসাতে বইটা শেষ করেছিলাম। যখন স্টেপ বাই স্টেপ এগোচ্ছিলাম, আর বুকের ভেতর হাহাকার করছিল?. ফজলুল করিম সাহেব, জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক। তিনি অই স্কুলটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করছেন। তার মাঝে গ্রামে আরেকটা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ধারা নিয়ন্ত্রত। আর লিখছি না। তারপরেও ধাবা খেলার একজন মন্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, যিনি হলেন মামুন সাহেব। সম্প্রতি বিজ্ঞান টিচার হিসেবে নিযোক্ত হয়েছেন। তিনিও স্কুল টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। ওনারও এক কলেজে চাকরী হয়ে যায়?. আমার কেন চোখে জল এসেছিল তা লিখছি না। তা পড়ার জন্য পাঠকদের কাছে অনুরোধ রইল। আর আপনার তা 'রকমারি' থেকে কিনতে পারেন। গ্রাম বা টাউন গুলাতে এই বইটা পাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই সহজ পদ্ধতি হিসেবে 'রকমারি' কে বেছে নিতে পারেন?.