User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ...!!
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ আমার একজন অত্যন্ত প্রিয় লেখক। তার লেখা সকল মিসির আলীর ব ই আমার কাছে আছে। মিসির আলীর এই বইটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি বই। বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
My favorite one
Was this review helpful to you?
or
more than good ☺️
Was this review helpful to you?
or
Stunning
Was this review helpful to you?
or
Amazing storyline ! Totally recommended ?
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে পড়া প্রথম হুমায়ুন আহমেদ এর বই। এই বইটা পড়ে আমি হুমায়ুন আহমেদ এর ফ্যান হয়ে যাই। পড়েছিলাম ২০০২ এ।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
যুক্তিদিয়ে বোঝানো মানুষ মিসির আলীর ঘটনাক্রমে পরিচয় হয়ে যায় তিন্নি নামক ছোট বালিকার সাথে, কিন্তু তিন্নি স্বাভাবিক কেউ নয়। কারন মা মারা,যাওয়ার পর থেকে সে কারোও সাথে কথা বলে না, আবার তিন্নি অন্ধকারে সবকিছু দেখতে পায়। সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার তিন্নি ইচ্ছে করলেই যে কোন মানুষের মাথায় যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। তিন্নির বড়লোক বাবা মিসির আলীকে নিয়ে আসলেন মেয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য। শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে তাহলে?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: অন্যভুবন লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: অনন্যা প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মূল্য: ১২৫ সারকথা ময়মনসিংহের এক ধনাঢ্য সফল ব্যবসায়ী, বরকতুল্লাহ সাহেব হঠাৎ মিসির আলি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। কুশল বিনিময়ের পর বরকত সাহেব তার সমস্যার কথা মিসির আলি কে জানায়। অনেক খুঁটিয়ে খাটিয়ে দেখার পর মিসির আলি ব্যপারটি নিয়ে কাজ করবে বলে জানান। বরকতুল্লাহ্ সাহেবের স্ত্রী মারা যান তার সন্তান জন্মের পরেই। উনার মেয়ে তিন্নি। ছোটবেলা থেকে নিজের হাতে মানুষ করার চেষ্টা করেছেন। মা ছাড়া মেয়েটির কোন অযত্ন হতে দেননি বরকত সাহেব। তিন্নি সবার মতো কথা বলতে পারতো না। ছয় বছর বয়সে তিন্নি প্রথম কথা বলে। ছোট বেলা থেকেই মেয়ের মধ্যে কিছু বিচিত্র স্বভাব লক্ষ করেন। আর সেটাই ধীরে ধীরে মারাত্মক রুপ ধারণ করে। নয় বছর বয়সের তিন্নি অন্যান্য সাধারণ শিশুর থেকে পুরোপুরি আলাদা। সে অন্ধকারে দেখতে পায়। এবং মানুষের মনের কথা বলতে পারে। এমন আরো আশ্চর্য রকমের কিছু ক্ষমতা তার আছে। একদিন বরকতুল্লাহ্ সাহেব রাতে বাসায় ফিরলে তিন্নি বলে, আব্বু তুমি অমুক আংকেলের সাথে দেখা করে এসেছ তাই না! বরকতুল্লাহ্ সাহেব হতবম্ভ হয়ে গেলেন। তিন্নির আচরণ কোন ভাবেই অন্য শিশুদের মতো মনে হয় না। এটুকুন মেয়ে বলছে বাবা তুমি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস কর তো! দেখ আমি পারি কি না? বরকত সাহেব বললো; বলতো ষোল এর বর্গমূল কতো? তিন্নি হুট করে বলে দিল চার। অথচ এই বাচ্চা মেয়ে কখনো কোন রকম পড়াশোনা করেনি। তিন্নি কেমন উদ্ভট উদ্ভট ছবি আকতো! গাছের সাথে কথা বলতো। এবং মানুষকে কষ্ট দেওয়ার এক অন্য রকম ক্ষমতা ছিল মেয়েটার। এমন সব জটিল সমস্যার কথা বরকতুল্লাহ্ সাহেব মিসির আলিকে জানালেন। মিসির আলিও সেদিন ই বেড়িয়ে পড়লেন ময়মনসিংহের দিকে। বরকতুল্লাহ্ সাহেবের বাড়ীতে মিসির আলির সাথে ঘটে যায় খুব ভয়ংকর এবং অনেক বিচিত্র কিছু বিষয়। উনি কোন কিছুতেই এর কোন সমাধান করতে পারছিলেন না। সব কিছু ধীরে ধীরে গাঢ় হতে থাকে। এবং তিন্নির আশ্চর্য আশ্চর্য ক্ষমতা যেন মিসির আলিকেও কাবু করে বসে। কিন্তু মিসির আলি হাল ছাড়ার লোক না। তবে কি হয় শেষে? মিসির সাহেব কি তিন্নির এসব জটিল সমস্যার কোন কুল কিনারা বের করতে পেরেছিলেন। পেরেছিলেন মেয়েটিকে এমন উদ্ভট জীবন থেকে বের করে সাধারণ একটা শিশুর মতো বাচতে দিতে? নাকি তিনিও আর সবার মতো কাবু হয়ে যান তিন্নির আশ্চর্য ক্ষমতার জালে। (জানতে হলে পড়ে ফেলুন বইটি) পাঠ প্রতিক্রিয়া গল্পটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। মিসির আলি সিরিজের এটি আমার দ্বিতীয় বই। প্রথম বইটি ছিল আমিই মিসির আলি, সেখানে একটা আলিশান বাড়ীর বর্ণনা দেয়া হয়েছিল। অন্যভুবনে ও ঠিক তেমন একটা বাড়ীর কথা বলা হয়েছে। এই বইয়ে তিন্নির রূপের বর্ণনা অতটা না করলেও অল্প কথায় মেয়েটিকে খুব অসাধারণ ভাবনার রুপ দিয়েছে। মিসির আলির বুদ্ধির একটা কুল এ গল্পে বলা হয়েছে। যেহেতু মিসির আলি থেকে আরো অনেক গুন আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তিন্নির, তাই মিসির আলি বার বার কেমন চুপসে যাচ্ছিলেন। তবে উনি রহস্য উদ্বঘাটন করেই ছাড়বেন এটা জানা কথা। আর এই উত্তেজনা নিয়েই বইটা শেষ করা। সব সময়ের মতো কিছু হাসি, তামশা এবং অনেক অজানা কিছু জানা হয়েছে এই বই থেকেও। আমার কাছে ভালো লেগেছে খুব। কারণ সমস্যা যত জটিল তার সমাধান ও তত কঠিন। এই বইয়ে মিসির আলিও খুব কঠিন ভাবে কাজটা হাতে নিয়েছিলেন। কারণ যতই দিন গড়াচ্ছিল রোগটা ততই প্রবল হতে চলছিল।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বইয়ের নামঃঅন্যভুবন লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅনন্যা প্রকাশন ধরনঃসমকালীন উপন্যাস মূল্যঃ১০০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ৭৫ টাকা) লেখক পরিচিতিঃ হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। বই আলোচনাঃ দুপুরবেলা কাজের মেয়েটি মিসির আলিকে ডেকে তুলল। কে নাকি দেখা করতে এসেছে। খুব জরুরি দরকার।মিসির আলির রাগে গা কাঁপতে লাগল; কাজের মেয়েটিকে বলে দেয়া ছিল কিছুতেই যেন তাঁকে তিনটার আগে ডেকে তোলা না হয়। এখন ঘড়িতে বাজছে দুটা দশ! যত জরুরি কোজই থাকুক, এই সময় তাঁকে ডেকে তোলার কথা নয়। মিসির আলি রাগ কমাবার জন্যে উন্টো দিকে দশ থেকে এক পর্যন্ত গুনলেন। গুন-গুন করে মনে-মনে গাইলেন–আজ এ বুসন্তে এত ফুল ফোটে এত পাখি গায়—। এই গানটি গাইলে তাঁর রাগ আপনাতেই কিছুটা নেমে যায়। কিন্তু আজ নামছে না। কাজের মেয়েটির ভাবলেশহীন মুখ দেখে তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। তিনি গম্ভীর গলায় ডাকলেন, রেবা।জ্বি। আর কোনো দিন তুমি আমাকে তিনটার আগে ডেকে তুলবে না।জ্বি আইচ্ছা। দুটো থেকে তিনটা এই এক ঘন্টা আমি প্রতি দিন দুপুরে ঘুমিয়ে থাকি। এর নাম হচ্ছে সিয়াস্তা। বুঝলে? জ্বি।ঘড়ি দেখতে জান?জ্বি-না। মিসির আলির রাগ দপ করে নিভে গেল। যে-মেয়ে ঘড়ি দেখতে জানে না, সে তাকে তিনটার সময় ডেকে তুলবে কীভাবে? রেবা মেয়েটি নতুন কাজে এসেছে। তাকে শিখিয়ে-পড়িয়ে নিতে হবে। ঘুম ভাঙল সন্ধ্যার আগে—আগে আধার হয়ে আসছে। চারদিকে সুনসান নীরবতা। দোতলায় কেউ নেই। কেউ থাকে না কখনো। এ-বাড়ির সব মানুষজন থাকে একতলায়। তিনি যখন কাউকে ডাকে, তখনি সে আসে, তার আগে কেউ আসে না। তিন্নির কাউকে ডাকতে ইচ্ছা করছে না। সে জানালার পাশে গিয়ে বসল। এখান থেকে রাস্তা দেখা যায়। রাস্তা দিয়ে লোকজন যাওয়া-আসা করছে, নানান ধরনের মানুষ। কারোর সঙ্গে কারোর কোনো মিল নেই। কত মজার মজার কথা একেক জন ভাবছে। কিন্তু ওরা কেউ জানে না, তিন্নি সব বুঝতে পারছে। এই তো এক জন মোটা লোক যাচ্ছে। তার হাতে একটা ছাতা। শীতের সময় কেউ ছাতা নিয়ে বের হয়? ছাতাটা কেমন অদ্ভুতভাবে দোলাচ্ছে লোকটা, এবং মনে মনে ভাবছে বাড়ি পৌঁছেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে ঘুমূবে। শীতের দিনের সন্ধ্যাবেলায় কেউ ঘুমায়? লোকটার মনে খুব আনন্দ। কারণ সে হঠাৎ করে অনেক টাকা পেয়েছে। কেউ দিয়েছে তাকে। যে দিয়েছে তার নাম রহমত মিয়া। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় রহস্যময় চরিত্র। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং প্রচন্ড যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে। চারিত্রিক দিক দিয়ে মিসির আলি চরিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের আরেক অনবদ্য সৃষ্টি হিমু চরিত্রটির পুরোপুরি বিপরীত। তরুণ হিমু চলে প্রতি-যুক্তির তাড়নায়, অপরপক্ষে বয়োজ্যেষ্ঠ মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদঘাটনে সাহায্য করে। সেসব কাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে মিসির আলি সম্পর্কিত প্রতিটি উপন্যাসে। তাই প্রতিটি গল্প অসাধারণ এক কথায়।
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃঅন্যভুবন লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅনন্যা প্রকাশন ধরনঃসমকানীন উপন্যাস মূল্যঃ১০০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ৭৫ টাকা) . এই উপন্যাসটা মিসির আলিকে নিয়ে।বরকতউল্লাহ নামের একজন উনার সাথে দেখা করতে আসে তার কিশোরী বয়সের একটা মেয়ের সমস্যার ব্যাপারে সাহায্য চাইতে।যে কিনা একটু আদ্ভুত টাইপের এবং যার কিছু আস্বাভাবিক ক্ষমতা আছে।মেয়েটির নাম তিন্নী থাকে বাবার সাথে বিশাল এক বাড়িতে। ছোট বেলায় মা মারা গেলেও বাবা সে অভাবটা বুঝতে দেয় নি তাকে। ছোটবেলা থেকেই তিন্নী বড় হয়েছে বাবার আদরে। তাই হয়ত তার চরিত্রের অস্বাভাবিক ব্যাপারগুলো ধরা পড়ে নি কারো চোখে। . কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরই তার মাঝে বেড়ে উঠা অস্বাভাবিকতাটুকু স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। বয়স মাত্র নয় বছর হলেও অস্বাভাবিক গম্ভীর হয়ে থাকে সে। বিশাল বাড়ির এককোনায় ছোট্ট একটা রুমেই সারাদিন কাটিয়ে দেয় সে। তার বাবা ছাড়া বাড়ির কেউই ডাক সা পড়লে যায় না সেদিকে। সবাই প্রচন্ড ভয় পায় তিন্নীকে। কারন সে ইচ্ছা করলেই যেকারো মস্তিষ্কে ভয়ঙ্কর যন্ত্রনা দিতে পারে। সেটা অসহ্য একটা ব্যাপার। যারা এই যন্ত্রনা ভোগ করেছে কেবল তারাই বুঝতে পারে এর ভয়াবহতা। . এছাড়াও মাঝে মধ্যে সারাদিন সে রোদের মধ্যে বসে থাকে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পাথরের মত বসে থাকে। নড়েনা একচুলও। সারাদিন খাওয়া দাওয়া বন্ধ রাখে সে। সূর্য থেকেই নাকি খাবার পায় ঐদিনটায়। তারপর সূর্য ডুবে গেলেই নিজের ঘরে ফিরে এসে ছবি আকতে শুরু করে তিন্নী। অন্ধকারে বসেই ছবি আকে সে। সেটাও সাধারন কোন ছবি না। প্যাচানো লতার মত সবুজ আর হলুদ রঙয়ের এক ধরনের গাছের ছবি। . মাঝেমাঝে সে ঘুমের মধ্যে গাছগুলোর সাথে কথা বলে সে। গাছেরা নাকি তিন্নীকে নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে চায়। ইদানিং বাগানের কিছু কিছু গাছের কথা বুঝতে পারে সে। সারাদিন তাদের কথা শুনে তিন্নী। . তিন্নীর বাবা শেষপর্যন্ত তিন্নীর সমস্যাটা নিয়ে আসে মিসির অালীর কাছে। মিসির আলী দিনরাত মাথা ঘামিয়েও কোন সুষ্ঠু ব্যাখ্যা খুজে পান না এই ব্যাপারটার। তবে কি এটা আরেকটা অমিমাংসিত রহস্য হিসেবে বাধা পড়ে যাবে মিসির আলীর অমিমাংসিত রহস্যের খাতায়? নাকি মিসির আলী সমাধান করতে পারবেন কঠোর এই সমস্যার? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন মিসির অালী সিরিজের অসাধারন এই বইটি। আরেকটা চমক অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য অন্যভূবন বইটাতে। চমকটা মিসির আলীর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে।সেটা নাহয় পড়ার পরই জানবেন। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ মিসির আলি , বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। মিসির আলী কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা ক্রাইম ফিকশন,বা থ্রিলার,-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া- পাল্টা-ধাওয়া নয়, কিংবা বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং প্রচন্ড যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা।এখানে ও তিনি যুক্তিনির্ভর হয়ে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন কিন্ত কেমন করে যেন তিনি মিসির আলীর মত বাস্তব যুক্তিবাদী মানুষ, সম্পুর্ণভাবে পরাবাস্তবতার জগতে ঢুকে যায় এ উপন্যাসে।চমৎকার একটি বই।পড়ে দেখুন আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: অন্যভুবন লেখক: হুমায়ূন আহমেদ মুল্য: 100 টাকা ধরন সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনা: অনন্যা রিভিউ: মিসির আলীর পেশেন্ট হয় ৯ বছরের তিন্নি। তিন্নি অন্য সাধারণ বাচ্চা থেকে ভিন্ন। যাকে চিকিৎসা করতে গিয়ে মিসির আলীকে গলদঘর্ম হয়ে যেতে হয়। মিসির আলী মনোবিজ্ঞানের বই বাদ দিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়া শুরু করেন। একটি ছোট বাচ্চা তার কী এমন কী সমস্যা থাকতে পারে, যার জন্য বাড়ির সবাই আতঙ্কে থাকে, কিন্তু কেন এমনটা হয়? মিসির আলী কি পারবেন এ রহস্যের সমাধান করতে? পাঠপ্রতিক্রিয়া: হুমায়ুনের অকাল প্রয়াণ বাস্তবিকভাবেই মিসির আলীর ও মৃত্যু ঘটিয়েছে। তবুও হিমু-রুপার মিলন হবে কি না এই প্রশ্নের তুলনায় এই উপন্যাসে উল্লেখিত মিসির আলী পুত্রের কী হত, এই প্রশ্নটাই আমাকে আলোড়িত করে বেশি। মিসির আলীর মত বাস্তব যুক্তিবাদী মানুষ, সম্পুর্ণভাবে পরাবাস্তবতার জগতে ঢুকে যায় এ উপন্যাসে। যতক্ষণ পড়েছিলাম, ততক্ষণ বেশ ভালো লাগলেও উপন্যাস শেষে এক রাশ জিজ্ঞাসা, মাথার ভিতর উকি দিয়ে গেছে। যা হয়তো কখনোই আর আমাদের জানা হবে না। আমার কাছে এর রেটিং ৪/৫ প্রসঙ্গত এ উপন্যাসের এক জায়গায় উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষক বলেন, জীবন কি আমরা আজো জানি না। হুমায়ুন এ উপন্যাস লিখার সময় হয়ত বিজ্ঞানীরা জানতেন না, কিন্তু এখন তারা জানেন। বিজ্ঞানিরা এখন ল্যাবে সিন্থেটিক লাইফ তৈরী করতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
Not that much horror, but this one's a sci-fi, concerning on the environmental degradation on earth and involving plant species as a higher intelligence form. The flow is very very simple and reads beautifully. The characterization are as usual, top notch and very good. This one could be a re-read for me. . . . A very good one indeed! © Soumyabrata Sarkar
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পের শেষ আমি আজও বুঝতে পারলাম না । তবে অনেকে বুঝতে পারেন । তার জন্য পড়ে দেখতে হবে ।
Was this review helpful to you?
or
অন্যভুবন বুক মিভিউ মিসির আলী সিরিজের চতুর্থ পর্ব। আগের বইটি ছিল প্যারালাল ইউনিভার্সের উপর। আর এই বই অন্য ডাইমেনশনের, যে জগত বৃক্ষের। যদিও আগের মত রহস্য অনুদঘাটিত। আগে উনি হ্যালুসিনেশন, টেলিপ্যাথি, ইএমএস ইত্যাদি নানান তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের চেষ্টা করে আসলেও এই পর্বে তিনি প্রকৃতির রহস্যের কাছে উদার আত্মসমর্পন করেছেন। টেলিপ্যাথি ক্ষমতা আসলে লোভনীয় বিষয়। এই বইয়ে আপনি তা অনেক ক্ষেত্রে মিস করবেন। কে না চায় এই টেলিপ্যাথি। মোটামুটি তাকে বিশ্বের শক্তিধর ব্যাক্তিতে পরিনর করতে সক্ষম। দেখে ফেলা যায় মনের সত্য। অপরাধীরা কত সহজে পার পেয়ে যায়, অটোপসি রিপোর্ট পালটে হয়ে যায় সুইসাইড কেস। অথচ সবাই দেখে সবাই জানে-কিন্তু কাগজই আলাদা। এত অসহায়, এত অসহায়। হয় টাইম মেশিন দিয়ে সেই সময়ে যাও নাইলে টেলিপ্যাথি। তবে টেলিপ্যাথি মনের সৌন্দর্য টা মিস করে ফেলে। মানুষকে রহস্যকে ভয় পাবে, ভালোওবাসবে। কাউকে ভালোবাসি বলার পর সেই রহস্যময় হাসি, সেই চোখের চাহনি, বা ঘুরে চলে যাওয়া!!! বলেন টেলিপ্যাথি আগেই উত্তর দিলে সে আনন্দটা, সেই অপেক্ষার রোমাঞ্চটা কী পেতেন? মিসির আলীর বই ভাবায়, পর্যবেক্ষনে সম্মোহিত করে। নখ খুটা থেকে পরনের কাপড়। তাই মিসির আলী পড়ে পাত্র পাত্রী দেখতে যাওয়া বারন। কি থেকে কি বলে ফেললাম। আপনার মিসির সুন্দর হউক এই কামনায়।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসটা মিসির আলিকে নিয়ে।বরকতউল্লাহ নামের একজন উনার সাথে দেখা করতে আসে তার কিশোরী বয়সের একটা মেয়ের সমস্যার ব্যাপারে সাহায্য চাইতে।যে কিনা একটু আদ্ভুত টাইপের এবং যার কিছু আস্বাভাবিক ক্ষমতা আছে।মিসির আলি তাদের ওখানে যায় এবং দীর্ঘদিন ওদের সাথে থাকে।তিনি মেয়েটার ব্যাপার ধরতে পারলেও সমস্যার সমাধান করতে পারছিলেন না।একসময় তিনি লক্ষ করলেন মেয়েটার সাথে গাছ-গাছালির একটা অদ্ভুত সম্পর্ক আছে।ঘটনার একপর্যায়ে তিনি প্রচন্ড অসুখে পড়েন।অবশেষে কি হয়?ওই মেয়েটা কি আর দশটা মেয়ের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে?তার বাবার ই বা কি পরিণতি হয় শেষ পর্যন্ত?কাহিনী আর যাই হোক সবাইকে এতোটুকু আশ্বাস দিতে পারব,বইটা একবার শুরু করলে কেউ শেষ না করে আর উঠতে পারবেন না।কিছু কিছু বই থাকে না যে শেষ হওয়ার পরও এর রেশ বেশ কিছক্ষণ থাকে?এই বইটার রেশ দীর্ঘদিন থেকে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ অন্যভুবন লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅন্যান্য প্রকাশনী মূল্যঃ১১০ টাকা মাত্র হুমায়ূন আহমেদ এর এই বইটিতে অদ্ভুততার পরিমাণ ছিল অধিক। অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এ বইটিতে ছিল আরো বেশি যাদু-বাস্তববাদ এবং বিজ্ঞান-ফাইয়ের মিশ্রণ।গল্পটির তাত্পর্য বা তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতি ছিল না, মূল চরিত্রটি তৈরি করতে, ঘটনাগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিশ্ব-নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়াটির উপর জোর দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় নিয়েছিল। পুরো গল্প জুড়ে লেখক যেভাবে অবিচ্ছিন্নভাবে উত্তেজনা পেলেন তা আশ্চর্যকর। , পাঠকদের একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে অ্যাড্রেনালাইন ভিড় দেওয়ার পরিবর্তে।তার আগের কোনো বইয়ের মতো নয়, লেখক হঠাৎ করে গল্পটি শেষ করেননি, যদিও দেখে মনে হচ্ছে শেষের অংশে তিনি ছুটে এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি যে সমাপ্তিটি একটি ক্লিফ-হ্যাঙ্গারের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হয়েছিল, তবে এটি একটি কিশোর বিট ব্লেন্ড হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।গল্পটি অতিপ্রাকৃত শক্তির অধিকারী একটি ছোট্ট মেয়েটির সাথে যার প্রকৃতির সাথে একটি অদ্ভুত এবং প্রায় দুর্ভেদ্য সংযোগ রয়েছে। গল্পটি মিসির আলি সম্পর্কে এই সন্তানের সাথে প্রকৃতির সংযোগটি সন্ধান করার চেষ্টা করা সম্পর্কে। সমস্ত লতা এবং শাওয়ার দেওয়া সত্ত্বেও এই আখ্যানটি মূল চরিত্রের গভীর আবেগকে একটি উজ্জ্বল অন্তর্দৃষ্টি দেয়।যা এক ভিন্ন অনুভূতি।
Was this review helpful to you?
or
আমরা হিমুকে খুব ভাল করে চিনি, জানি হিমু কেমন,তার চাল চলন কেমন আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা জানি হিমু বিয়ে করেছে কিনা। কিন্তু আমরা কি এটা জানি মিসির আলী বিয়ে করেছেন কিনা? যদি বিয়ে করে থাকেন তাহলে কাকে বিয়ে করেছেন সে কেমন এসব প্রশ্নের উওর বইটি পড়লে জানতে যেমন পারবেন সেইসঙ্গে জানতে পারবেন তিন্নি নামের একটি ছোট্ট সুন্দরী মেয়ের কথা। মেয়েটির অদ্ভুত এক রোগ আছে। তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সেটাকে রোগ বলবোনা বরং তিন্নির সেই রোগ যদি আমার হতো তাহলে সেটা হত আমার জীবনে অনেক বড় পাওয়া। অনেক ধনী পরিবারের মেয়ে তিন্নি, জন্মের পরপরই মা মারা যায়। জন্মের পর থেকে তিন্নি কথা বলতো না। এমনাটা নয় যে তিন্নি কালা কিংবা বোবা। সব ঠিক থাকার পরও তিন্নি কেন কথা বলে না এটা জানেন না তার বাবা। তবে ব্যাপারটায় যখন তিনি অভস্ত হতে লাগলেন ঠিক তখন থেকে তিন্নি কথা বলতে শুরু করলো। সেইসঙ্গে পৃথিবীর সব প্রশ্নের উওর তিন্নি জানে। অন্ধকারে স্পষ্ট দেখতে পায় তিন্নি। অনায়াসে অন্যের মাথার ভেতর ঢুকে মনের কথা যেমন বের করে আনতে পারে তেমনি অন্যের মাথায় যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। এর কম আরো অনেক ক্ষমতা আছে তিন্নির। হয়তো সেইসব ক্ষমতার কারনে তিন্নি চায় বর্তমান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। নয়তো একদিন সে গাছে রুপান্তরিত হবে। গাছরাই তিন্নিকে সেকথা বলছে, তিন্নি গাছের কথাও বুঝতে পারে। তিন্নির এতসব সমস্যা কি মেটাতে পারবে মিসির আলী? কিন্তু মিসির আলীকে এই সমস্যার সমাধান যে করতেই হবে। একটা বাচ্চা মেয়ের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তাই শুরু করে দিলেন পড়াশোনা, যোগাযোগ করতে লাগলেন পৃথিবীর বিখ্যাত সব মানুষদের সাথে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া মিসির আলি'র প্রথম উপন্যাস ছিলো এটি। এর পরেই শুরু হয়েছিলো মিসির আলি'র প্রতি তীব্র আকর্ষণ। তার পর একে একে মিসির আলি শেষ। এমনই বই ছিলো এটি, যা মিসির আলি'র প্রতি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলো!!