User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছোটদের উপযোগী খুব সুন্দর একটা বই।আমার ১০ বছরের বাচ্চার জন্য নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, খুব পছন্দ করেছে।
Was this review helpful to you?
or
cool
Was this review helpful to you?
or
৬ টি ‘শিশুতোষ’ গল্প দিয়ে ‘মজার ভূত’ বইটি সাজানো। হাসি, ভালো লাগা, খারাপ লাগা আর ভালো-খারাপ লাগার মিশেল এই গল্পগুলোতে। ‘মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ’ গল্পটি পড়ে খুব হেসেছি। যেখানে মামা তার ভাগ্নিকে একটি ভূতের গল্প শুনান। আসলে ভূতের নয় টূতের গল্প। ‘রুঁরুঁর গল্প’ গল্পটি পড়ে প্রথমে কিছুটা হাসি পেলেও শেষে মন খারাপ করে শেষ হয়ে গেল। ‘মোবারক হোসেনের মহাবিপদ’ এই গল্পটিও আগেরটির মতো প্রথমে কিছুটা হাসি পেলেও শেষে মন খারাপ করে শেষ হয়ে গেল। ‘একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প’ এই গল্পটি ভূতের নয়। মশার। এই বইয়ে এই গল্পটি মানানসই মনে হয়নি। তবে গল্পটি খুব ভালো। ভালোলাগার গল্প। ‘ভূত মন্ত্র’ গল্পটি মোটামুটি ধরণের। ‘পানি রহস্য’ সবথেকে এই গল্পটি ভালো লেগেছে। জগতে কত ধরণের অদ্ভুত মানুষ আছে। কত ভালো মানুষ আছে। সচ্ছ মনে মানুষ। গল্পটি পড়ে ভালো এবং খারাপ ভালা দুটিই একসাথে ঘিরে ধরেছে। কী অদ্ভুত! হুমায়ূন আহমেদের শিশুদের জন্য লেখা খুবই কম। তা না হলে কত ভালো লেখা পাওয়া যেত! ‘যারা ভূত বিশ্বাস করে না কিন্তু ভূতের গল্প বিশ্বাস করে, এই বই তাদের জন্য।’
Was this review helpful to you?
or
ছোটদের সেরা গল্পের দুইটা গল্প এই বইয়ে রাখা হয়েছে। কাজটা ঠিক হয় নাই। কন্যা বিরক্ত হয়েছে। একই গল্প দুইটা বইয়ে থাকতে পারে না।
Was this review helpful to you?
or
বই: মজার ভূত লেখক: হুমায়ুন আহমেদ ছোটদের জন্য হুমায়ুন আহমেদের লেখা খুব বেশি না। ছোটদের উপযোগি ভূত বিষয়ক রচনাও হাতেগোনা।কিন্তু তার মধ্য থেকে সেরা ৬টি গল্প সংকলিত সয়েছে মজার ভূত নাকম বইটিতে।নাম দেখেই অনুমান করা যায় যে, শরীর শিউরে ওঠা কোনো গল্প এতে লেখেন নি তিনি।বরং ভূতের গল্পগুলোকে শিশুদের উপযোগী করে এবং শিশুরা যাতে পড়ে মজা পায় ,বইটিতে সেরকম করে গল্পগুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে।পাশাপাশি লেখকের এই ভূতের গল্প লেখার উদ্দেশ্য ছিল শাশুদেরকে ভূত নামক ভ্রান্ত ধারনা থেকে বের করে আনা।এই বিষয়টি তখনই প্রমাণিত হবে যখন খেয়াল করা হবে যে,৬টি গল্পের একটিতেও সরাসরি ভূত আছে বলে সে রকম কোনো দাবি করা হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
বাচ্চাদের জন্য চমৎকার সংগ্রহ
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো। এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে অনেক তর্ক আছে। যারা দিনের বেলায় ভূত বিশ্বাস করে না তারাও রাতের বেলায় ভূতের ভয় পায়। ভূত থাক আর না থাক ভূতের গল্প কিন্তু আছে। ভূতের গল্প পড়োনি বা শোনোনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমাদের পড়া গল্পগুলো বেশিরভাগই ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প। আমি এমন একটি বইয়ের কথা বলব যেখানকার ভূতের গল্প ভয়ের চেয়ে মজাই বেশি। কখনও কখনও ভুতের জন্য মায়াও লাগবে। বইটির নাম মজার ভূত। লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্ববাণী। বইটিতে চমৎকার ছয়টি গল্প রয়েছে। পড়ে দেখুন অবশ্যই ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
ভুত নিয়ে বাচ্চাদের ভাবনার শেষ নাই। ভুত নিয়ে যে যার মতো চিন্তার জগত তৈরী করে নেয়। হুমায়ুনআহমেদ ভুতের সঙ্গা টাই পাল্টে দিয়েছেন তার 'মজার ভুত' বইটিতে। ভুত যে মজার ও হতে পারে তাই এই না পড়লে বোঝা যাবে না। 'মজার ভুত' বইটি শিশুদের জন্য লেখা। ছোট বাচ্চারা বইটি পড়ে আনন্দই পাবে। বইটি পড়লে মনে হয় যেন হুমায়ুনআহমেদ নিজে গল্প শোনাচ্ছেন। বইটিতে মোট ছয়টি গল্প রয়েছে। প্রত্যেকটা গল্পই মজার। সব গল্পই মজাদার ভুতে ভরপুর। মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ বইয়ের প্রথম গল্প। নীতু সত্যি ভুতের গল্প শোনার জন্য বায়না করে তসর মামার কাছে। তার মামা তাকে ভুতের বাচ্চা টুতের গল্প শোনায়। একদিন নাকি নীতুর মামা ভুতেরবাচ্চা টুতের সন্ধান পায়। আসলে সে নাকি কাঁদছিল। নীতুর মামা তাকে জিজ্ঞেসকরে কেন কাদছে? তখন টুত বলে সে নাকি পরীক্ষায় ফেল করছে। মুলত এটা নিয়ে ই লেখা মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ গল্পটি। দ্বীতিয় গল্পের নাম রুরুর গল্প। রুরু এমন একটা ভুত যার প্রমাণ লোকটি দিতে পারেনা। কিন্তু লোকটি বলে রুরু নামক ভুত তার কাছে আছে। তাহলে সত্য কি? তৃতীয় গল্পের নাম মোবারক হোসেন এর মহা বিপদ। মোবারক হোসেন পার্কে পরীর ছেলের দেখা পান। যখন তার এই অভিজ্ঞতার গল্প সবাইকে বলেন তখন তাকে সবাই পাগল বলে। আসলেই কি তিনি পরীর ছেলের দেখা পেয়েছিলেন? চতুর্থ গল্পের নাম একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প। ভীষণ ভয়ংকর অভিযান এটা তবে সেটা মশাদের অভিযান। মশাদের অভিযান তাই বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মা মশা তার এক ছেলে আর তিন মেয়েকে নিয়ে রক্ত খাওয়ার অভিযানে বের হয়। তবে শর্ত একটা এক চুমুকের বেশি রক্ত খাওয়াযাবে না। কিন্তু মশার ছেলে বেশিরক্ত খেয়ে ফেলে। তাহলে এখন কি হবে? পঞ্চম গল্প আর আমার পারসোনালি ফেবারিট গল্প ভুত মন্ত্র। এই গল্প টা পড়ে কতো বার যে দুধের গ্লাস সামনে নিয়ে পেপসি বানাতে চেয়েছি তার হিসেব নেই। একটা নিসঃঙ্গ ছেলে যার বাবা মার কাছে তার জন্য কোন সময় নেই। সে একদিন দেখা পায় এক বাচ্চা ভুতের। যে কিনা অনেক রকম মন্ত্র জানে। সে এক অন্য রকম মজার গল্প। বইটির অসাধারণ লেখনী শিশু মনে জায়গা করে নেবে অচিরেই। মাত্র ১৩২ টাকার বইটি আপনারশিশুকে আনন্দ দিতে যথে।
Was this review helpful to you?
or
ছোট বেলায় ভুত ভীষণ ভয় পেতাম। কিন্তু বাবা একদিন আমাকে হুমায়ুণ আহমেদ এর 'মজার ভুত ' বইটি কিনে দিলেন। আর আমি বইটি পড়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম ভুতের। কারণ হুমায়ুণ আহমেদ স্যার এর ভুত দুধকে পেপসি বানানোর মন্ত্র জানে। 'মজার ভুত' বইটিতে গল্প আছে মোট ছয়টি। ছয়টি গল্প মোটেও বেশি বড় না। ছোট ছোট গল্প। ভীষণ মজাদার সব গুলো গল্প। বাচ্চাদের জন্য অসাধারণ একটা বই। এই বইয়ের প্রথম গল্পের নাম মীরখাইয়ের অটোগ্রাফ। নীতু মোটেও কাল্পনিক ভুতের গল্প শুনতে পছন্দ করে না। তাই নীতুর মামা ভুতের বাচ্চার সত্যি কারের গল্প শোনান। দ্বিতীয় গল্পের নাম রুরুর গল্প। এই গল্পটা একটু আলাদা। লোকটি রুরু নামক ভুতের গল্প সবাইকে শোনায়। কিন্তু রুরুর প্রমাণ দেখাতে পারে না । তাহলে কি রুরু নামক কোন ভুত নেই? মোবারক হোসেনের মহাবিপদ এই গল্পটিতে মোবারক হোসেন একবার পার্কে গিয়ে পরীর ছেলের দেখা পেয়েছিল বলে সবাইকে বলতে শুরু করলো। কিন্তু সবাই তাকে পাগল মনে করলো। কিন্তু সে পরীর ছেলেকে দেখা পেয়েছিল বলে দাবি করে। আসলে কি সে সত্য বলছে? একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প। আসলেই খুব ভয়ংকর! মশাদের অভিযান বলে কথা ভয়ংকর তো হবেই। ভুতের মন্ত্র গল্পটা আমার নিজের ভীষণ প্রিয়। ছোট বেলায় এক গ্লাস দুধ দেখলে তা পেপসি বানানোর খুব ইচ্ছেহতো। ইশ! আমারো যদি একটা ভুত বন্ধু থাকতো। সব মিলিয়ে বইটি অসাধারণ। সাধারণ ভুত কে অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েচে বাচ্চাদের জন্য। তাই মাত্র ১৩২ টাকা দিয়ে কিনে ফেলুন 'মজার ভুত'।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃমজার ভূত লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃঅনন্যা মূল্যঃ১৩২টাকা ভূতের সাথে কথা বলার ব্যাপারটা সবসময় ই মজার ব্যাপার সাথে সাথে ভয়ঙ্করও বটে এ দিক থেকে এ ভৌতিকস্বাদ গ্রহনের জন্য হুমায়ূন আহমেদ এর অসাধারণ একটি বই। ভূতের বাচ্চার পরীক্ষায় পাশ করানো , মশাদের রক্ত খাবার অভিযান , ভূত মন্ত্র গুলা বেশ দারুণ। সবচেয়ে বেশি অসাধারণ ভূত বাচ্চার লালন পালন এর কাহিনী।সব মিলিয়ে বেশ ভালো, সবচেয়ে ভালো লেগেছে সূচিপত্রের পরের পেইজের এই লাইন দুইটা।" এই ভূত ভূত না আরও ভূত আছে এই ভূতেরে নিবে তোমরা সেই ভূতেরো কাছে।" মজার ভুত বেশ মজার ছিল।প্রতিটা গল্প বেশ ভাল লেগেছে।বিশেষ করে ভুত মন্ত্র টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে। পুরো বইটা আমি উপভোগ পড়ার সময় আমি উপভোগ করেছি। হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার ভৌতিক স্বাদ নিতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে বলব আমি।
Was this review helpful to you?
or
বইটির মূল গল্প শুরু করার আগেই হাসতে হাসতে কাহিল হয়ে গেলাম! হাসলাম লেখক যাদেরকে উৎসর্গ করেছেন তাদের জন্য। উৎসর্গে দিয়ে লেখক বললেন, "যারা ভূত বিশ্বাস করে না কিন্তু ভূতের গল্প বিশ্বাস করে, এই বই তাদের জন্যে।" এই উৎসর্গের লাইনটা পড়েই পাঠক বুঝতে পারবেন যে, বইটি কোন ধরনের! ছয়টি গল্প আছে যার মধ্যে চারটি ভূতের গল্প! বাকি দুইটিকে কোন ভাবেই ভূতের গল্প বলে চালিয়ে দেওয়া যায় না! শুরুতেই অটোগ্রাফ! নীতু নামক এক সত্য গল্প অনুসন্ধানী তিন বছর বয়সী মেয়ের গল্প। নীতুর মামার আবিস্কার করা টুতের নাম মিরখাই। কিন্তু টুত আবার কি? উত্তর বইয়ের পাতায় স্পষ্ট করে দেওয়া আছে! সেই টুত জাতির মিরখাইয়ের গল্প বলার পর নীতুর মামা নীতুকে তার অর্থাৎ মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ এনে দিল! কিন্তু টুতরা কি অটোগ্রাফ দিতে পারে? সত্যিই অদ্ভুত! রুঁরুঁর গল্প শুনলে তো না হেসে পারা যায় না! মা বাবা এক ঝামেলার দাবানলে পরেই রুঁরুঁকে ঝুলিয়ে দিল এক লোকের গলায়! সে আবার তাকে অদৃশ্য ভাবেই লালন পালন করে! এখন সে খুজছে ভূতের মা বাবা কে, রুঁরুঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য! লোকটা কি আসলেই পাগল? নাকি সত্যিই সে ভূতের বাচ্চা পালন করে? মোবারক সাহেব বেঞ্চে শুয়ে এক ছেলেকে দেখে ডাক দিলেন। ছেলেটি কাছে আসার পর নাম জিগ্গেস করতেই সে আশ্চর্যজনক এক নাম বলল! আবার নাম রেখেছে বাবা! তার সাথে পরক্ষণেই ঘটল এক অস্বাভাবিক ঘটনা! এই অস্বাভাবিক ঘটনা বাড়িতে বলার পর মোবারক সাহেব পেল উচিত শিক্ষা! ঘটনা কি সত্যি? নাকি দেখার ভুল? ভয়ংকর অভিযান চালানোর কায়দা পড়েই হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা! আর পিঁ, পিঁপিঁ, পিঁপিঁপিঁ'র কাহিনী শুনলেই তো আপনি হাসার চোটে আর সামনে এগুতে পারবেন না! এইসব কি নাম? আর ছেলের গ্লাসের দুধ পেপসি হওয়ার ঘটনা শুনলে আশ্চর্য হওয়ার তুলনায় হাসিটা আসবে অনেক কম! পানি রহস্যটা অত্যন্ত আবেগীয় একটি গল্প বললেই চলে! কুকুরকে রুটি ছিড়ে খাওয়ানো, কাকদের দল ডেকে এনে খাওয়ানো এসব দৃশ্য যখন চোখের সামনে ভেসে উঠবে তখন আর বইটির নামের সাথে গল্পটিকে মেলাতে পারবেন না! #পাঠ_প্রতিক্রিয়া বইটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে। তবে তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে গল্পের ফাক ফোকর কিভাবে ধরে? এটা ঠিক স্বাভাবিক মনে হয়নি। আর বাকিটা খুব চমৎকার! সবচেয়ে বেশি মজা অভিযান চালানোর কায়দা পড়েই! চাইলে মোবারক সাহেবের গল্প থেকে কিছু শিখতে পারবেন! আর শেষের গল্পটা পড়ে আগের সব হাসি আপনার মুখ থেকে উধাও হয়ে যাবে! এই তো! এটা পড়ে গল্প গুলো আপনার ছেলে মেয়ে, ভাগনে, ছোট বোন, নাতি নাতনীদেরকে খুব সহজেই শুনিয়ে নিজের বসে আনতে পারবেন। আর দেরি না করে অর্ডার করুন রকমারি-তে! আসার সাথে সাথেই শুরু করুন এক মুখ ফাটা হাসি! আশে পাশে কাউকে রাখবেন না! কারণ, কেউ থাকলে আপনার হাসির যন্ত্রনায়.......
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই মন ভালো হয়ে যাওয়া ছোট্ট ছোট্ট কিছু ভূতের গল্প নিয়ে বইটি রচিত। বইটিতে মোট গল্প আছে ৬ টি। আগেও বলেছি আবারো বলছি গল্পগুলো অসাধারণ। প্রথম গল্প মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ। এখানে একটা বাচ্চা ভূতের কথা বলা আছে যে ভয় দেখানোর পরীক্ষায় সবসময় ফেল করে। ভূত সমাজের সে এক কথায় কলংক। এর আগে আরো অনেক কে সে ভয় দেখিয়েছে কিন্তু কেউই ভয় পায়নি তবে এবার সে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে করলো এক মজার প্লান। প্লান সাকসেস হলেই ভয় দেখানোর পরীক্ষায় পাশ নিশ্চিত। দ্বীতিয় গল্প রুরু নামের বাচ্চা একটা ভূতকে নিয়ে। শহরে বেড়াতে এসে বাবা মাকে হারিয়ে ফেলেছে। পরিবার কে হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে মানুষের কাছে। এখন মানুষটার দায়িত্ব ভূতের খোজ করে রুরুকে তার বাবা মাকে পৌছে দেয়া। ৪র্থ গল্প মশাদের নিয়ে। মশার মা তার বাচ্চাদের শেখান কিভাবে মানুষের রক্ত খেতে হয়। তিন মেয়ে এবং ১ ছেলে মিলে তৈরী হয়ে নেয় রক্ত খাওয়া অভিযানে। তবে রক্ত খেতে গিয়ে ছোট মেয়ের জীবনে আসে ভয়ঙ্কর এক বিপদ..... ভূত মন্ত্র গল্পটা একটু ছোট কিন্তু বেশ মজার। আমারো যদি এরকম একটা বন্ধু থাকতো তাহলে কি যে মজা হত....কিন্তু গল্পের নায়ক তার বন্ধুকে চিনলো না বরং অবিশ্বাস করে তাড়িয়ে দিল.... পানি রহস্য গল্পটা আমার খুব একটা ভাল লাগেনি। তবে বাকি সব গল্প পড়ে আমার ভিষন আনন্দ হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি আমার মন খারাপ হয় তাহলে এই বই খুলে পড়তে বসব। আশাকরি আপনাদেরও ভীষন ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ২৫ বই : মজার ভূত লেখক : হুমায়ূন আহমেদ ধরন : ভৌতিক মূল্য : ১২৫ টাকা কাহিনী : এই বইতে মোট গল্প আছে ছয়টি। সেগুলো হলো, ১. মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ ২. রুঁরুঁর গল্প ৩. মোবারক হোসেনের মহাবিপদ ৪. একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প ৫. ভূত মন্ত্র ৬. পানি রহস্য যদিও ছোট গল্পের রিভিউ দেয়া আমার কাছে খুব কঠিন বলে মনে হয়, তবুও নিজের পছন্দের কয়েকটি গল্পের কথা বলছি। এই বইয়ের প্রথম গল্প 'মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ'। নীতু কাল্পনিক গল্প পছন্দ করে না। সে সবসময় সত্যি গল্প শুনতে চায়। নীতুর বড় মামা তাই নীতুকে সত্যিকারের ভুতের গল্প শোনাতে শুরু করে। ঠিক ভুতের গল্প নয়, আসলে ভূতের বাচ্চা টুতের গল্প এটি। একদিন এক রাতে নীতুর বড় মামা বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কান্নার আওয়াজ শুনে থমকে দাঁড়ালেন। কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখতে পেলেন। কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে নিজেই নিজেকে ধমক দিলেন তিনি। আর তখন জোরে কেঁদে উঠল ভুতের বাচ্চা টুত। বড় মামা কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই সে বলল, সে নাকি পরীক্ষায় ফেল করেছে! ভাবা যায়!! ভুতের বাচ্চা টুতের পরীক্ষায় পাশের অভিযান নিয়েই এই গল্প। জানতে চান, কি হলো তারপর? মোবারক হোসেনের মহাবিপদ : মোবারক হোসেন মহা বিপদে পড়েছেন। ভূতের সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও পরীর সাথে তার যোগাযোগ আছে। একবার পার্কে এক পরীর ছেলের সাথে তার দেখা গেল। পরী পুত্রের দেখা পাওয়ার কথা সে সবাইকে বলতে শুরু করলে সবাই ভাবল সে পাগল হয়ে গেছে। কিন্তু মোবারক হোসেন পরীর বাচ্চার দেখা পেয়েছিলেন। তবে সেটা বাস্তব নাকি কল্পনা তা জানতে পড়তে হবে বইটি। একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প : এ এক রোমাঞ্চকর অভিযানের গল্প। তবে অভিযানটি মানুষের নয়, মশার। মা মশা একদিন তার তিন কন্যা পি,পিপি,পিপিপি ও এক পুত্র পে কে নিয়ে রক্ত খাওয়ার অভিযানে বের হয়। শর্ত একটাই, এক চুমুকের বেশি রক্ত খাওয়া যাবে না। কিন্তু পিপিপি খেয়ে ফেলল এক গাদা রক্ত। আর তার পেটটি ফুলে ঢোল হয়ে গেল। এইবার উপায়? ভূত মন্ত্র : আমার ভিষণ প্রিয় একটা গল্প। বাবলু তার সৎবাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার মা ও সৎ বাবা যখন বেড়াতে যায়, তখনই তাকে বাসায় রেখে যাওয়া হয় পড়াশোনা করতে। এমনই একদিনে তার বাসায় আসে অচেনা এক ছেলে। সে বলে সে নাকি মন্ত্র পড়ে দুধ কে পেপসি বানিয়ে ফেলতে পারে। কি আশ্চর্য না? পাঠ প্রতিক্রিয়া : ভুতের প্রতি অদ্ভুত একটা ভয় ছোটবেলায় সবার মধ্যেই দেখা যায়। আমারও তেমনই ছিল। এমনই একদিন "মজার ভূত" নামক এই বইটি পড়েছিলাম। পড়ার পরে কিছুদিনের জন্য ভুত সম্পর্কে ধারনায় পালটে গিয়েছিল। আমার আশেপাশে মশা দেখলেই মনে হত এই বোধহয় পি,পিপি,পিপিপি চলে এল। গ্লাস ভর্তি দুধ দেখলে তাকে হুসফুস লেবেনচুস মন্ত্র পড়ে পেপসি বানিয়ে দেয়ার চেষ্টাও কম করিনি। সবমিলিয়ে একটাই কথা বলব, এই বইয়ের ভূতের গল্পগুলো সাধারণ ভূতের গল্পের চাইতে অনেক আলাদা। ছোটদের কে আনন্দ দিতে এই বইটির জুড়ি নেই। হুমায়ূন আহমেদ যেমন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য লিখেছেন, ঠিক তেমনই এই বইটিতে ছোটদের জন্য পারমাঙ্গতা দেখিয়েছেন। তবে শুধু ছোটদের জন্য নয়, বড় বড় বই পড়ে যখন আপনি রিডার্স ব্লকে ভুগবেন, তখন নতুন করে পড়ার উন্মাদনা যোগাতে এই বইটির জুড়ি নেই। পড়া না থাকলে আজই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
খুব ছোটবেলায় এক বন্ধুর কাছে থেকে আমি জন্মদিনের উপহার হিসেবে ‘মজার ভূত’ বইটি পেয়েছিলাম। এই বইটি আমি ক্লাস ওয়ানে থাকাকালীন পড়েছি। এই বই দিয়েই আমি হুমায়ূন আহমেদের লেখার সাথে প্রথম পরিচিত হই। আর যে বয়সে ‘মজার ভূত’ বইটি পড়েছিলাম এই বইটি ছিল একেবারে সেই বয়সের উপযুক্ত একটি বই। সেই কারণেই বোধহয় বইটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আমার সারাজীবনে পড়া সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর খুব ছোট একটি তালিকা তৈরি করলেও সেখানে ‘মজার ভূত’ বইটি নিঃসন্দেহে স্থান পাবে। ব্যক্তিগত স্মৃতি দিয়ে আলোচনা শুরু করলাম। এইবার বইয়ের প্রসঙ্গে আসি। হুমায়ূন আহমেদ যে কী বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সে সম্পর্কে আসলে কিছু বলাই বাহুল্য। গদ্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে স্যারের অবাধ বিচরণ ছিল না। বাংলাভাষায় মানসম্মত ভূতের গল্প যে একেবারেই নেই তা বলব না। রবীন্দ্রনাথ, সুনীল, শীর্ষেন্দু এমনকি হুমায়ূন আহমেদের অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবালও কিছু অসাধারণ ভূতের গল্প লিখেছেন। তারপরও বলতে হয় বাংলা ভাষায় এই জনারের লেখা তুলনামূলক ভাবে কম। আবার আঙ্গিকের দিক থেকে বিবেচনা করলে ভূতের গল্পকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হল, গা শিউরে উঠা ভয়ের গল্প। আর দ্বিতীয়টি হল, ভূতকে গল্পে এমনভাবে উপস্থাপন করা যে গল্পটি পড়লে ভয় লাগে না বরং ভূতের কাণ্ডকারখানা দেখে এক ধরনের মজা পাওয়া যায়। এই ধরনের বই সাধারণত শিশুদের জন্যে লেখা হয়ে থাকে। হুমায়ূন আহমেদের ‘মজার ভূত’ বইটি নিঃসন্দেহে এই দ্বিতীয় ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই। ‘মজার ভূত’ বইটি একটি ছোটগল্পের সংকলন। এখানে ছয়টি ছোটগল্প সংকলিত হয়েছে। গল্পগুলো হল ‘মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ’, ‘রুঁরুঁর গল্প’, ‘মোবারক হোসেনের মহাবিপদ’, ‘একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প’, ‘ভূত মন্ত্র’, ‘পানি রহস্য’। এই গল্পগুলোর কাহিনী সংক্ষেপ আমি আর আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তবে এতটুকু বলতে পানি এই বইয়ের নামকরণ পুরোপুরি সার্থক হয়েছে। প্রতিটি গল্পেই ভূতকে বা রহস্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে সেটা পড়ে মোটেও ভয় লাগে না বরং মজা লাগে। আর ছোটরা যখন বইটি পড়বে, তখন তোমাদের মনে হবে ভূতগুলো যেন তোমাদের বন্ধু। এইভাবে ভূতকে উপস্থাপনের জন্যে হুমায়ূন আহমেদ যে কৌশলটি একাধিক গল্পে ব্যবহার করেছেন তা হল, তিনি বারবার ভূতকে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলেছেন। আর মানুষেরা যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এভাবে উপস্থাপনের ফলে ভূতকে আর ভয় লাগে না। বরং তাদের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি তৈরি হয়। আর তার মাধ্যমেই ভূতের গল্পগুলো হয়ে ওঠে মজার গল্প। মূলত শিশুদের জন্যে বইটি লেখা হলেও আমার বিশ্বাস হুমায়ূন আহেদের অসাধারণ লেখনীর জাদুর কারণে বইটি সবারই ভালো লাগবে। সবাইকে ভূতদের মজার রাজ্যে ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ থাকলো।
Was this review helpful to you?
or
দুধটাকে পেপসি বানিয়ে তারপর খা পেপসি কি করে বানাব? মন্ত্র পড়লেই হয় এর মন্ত্র আছে। মন্ত্র জানিস না? উপরে হুমায়ুন আহমেদ এর মজার ভুত বইয়ের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। ভুতকে ছোটবেলায় ভয় পায় নি এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়। এই বইতে লেখক ভুতকে এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে ভুতকে ভয় পাবার চাইতে বন্ধু হিসেবে ভাবা অনেক মজাদার। বুইটি পড়ার পর অনেকে বলবে ইস আমারো যদি একটা ভুত বন্ধু থাকতো। ছোটদের জন্য উপযোগী, চাইলে নির্মল আনন্দ পেতে বড়রাও পড়তে পারেন। বইয়ের প্রচ্ছদ আকর্ষনীয় বইয়ের পাতায় পাতায় ছবি অনেক মজার ও হাস্যরসাত্মক। প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ৯৪
Was this review helpful to you?
or
ছোটদের জন্য হুমায়ুন আহমেদের লেখার পরিমাণ খুব বেশি না। ছোটদের উপযোগি ভূত বিষয়ক রচনার সংখ্যাও হাতেগোনা। কিন্তু তার ভেতর থেকেই অন্যতম সেরা ৬টি গল্প সংকলিত হয়েছে 'মজার ভূত' শীর্ষক বইতে। নাম দেখেই অনুমান করে নেয়া যায়, গা শিউরে ওঠা ভৌতিক গল্প এখানে লেখেন নাই হুমায়ুন আহমেদ বরং ভূতের গল্পগুলোকে শিশুতোষ হিউমারের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন যাতে সেগুলো পড়ে বাচ্চারা মজা পায়। পাশাপাশি লেখকের ভূত বিষয়ক এই রচনাগুলোর উদ্দেশ্য ছিল যতটা না ছোটদের ভূতে বিশ্বাস করানো তার চেয়ে বেশি তাদেরকে ভূত সংক্রান্ত ভুল ধারণাগুলো থেকে বের করে আনা। এই ব্যাপারটা প্রমাণিত হবে তখনই যখন খেয়াল করলে দেখা যাবে এই বইয়ের ৬টি গল্পের একটিতেও সরাসরি ভূত আছে সেধরণের কোন দাবি করা হয়নি। বরং ভূত থাকলেও থাকতে পারে আবার ভূত কেবল মানব মনের কল্পনাও হতে পারে সেটাই বলতে চেয়েছেন লেখক। আবার ভৌতিক যেসব গল্পসমূহ সমাজে প্রচলিত, সেগুলোর বক্তা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হতে পারে কিংবা স্রেফ মিথা বলে অন্যদের তারা ধোঁকা দিতে চায় সেটিও তুলে ধরেছেন লেখক। এই বইয়ের প্রথম গল্প 'মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ'। এই গল্পটি পড়লে শিশুদের কাছে ভূতের যে চিরাচরিত রূপ তা এক নিমিষে পালটে যাবে। ভুতদেরও যে মাঝেসাঝে বিপদে পড়তে হয় এবং সে অবস্থায় তারাও যে মানুষের মতই অনন্যোপায় হয়ে কাঁদতে শুরু করে, এই ঘটনার উল্লেখ যখন শিশুরা গল্পের মধ্যে পাবে তখন তারা যেমন বিনোদিত হবে তেমনি ভূতের ব্যাপারে ভয়ের স্থলে সহানুভূতিও জায়গা করে নিতে পারে। লেখকের সবচেয়ে বড় মুনশিয়ানা হল যে এই গল্পটি তিনি বলিয়েছেন গল্পেরই এক চরিত্র 'নীতুর বড়মামা'কে দিয়ে এবং তাঁর গল্পের মধ্যে এত বেশি অসামাঞ্জস্যতা আরোপ করেছেন যে শেষ পর্যন্ত পাঠককে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকতে হবে, আসলেই মিরখাইয়ের গল্পটা সত্যি ছিল না মিথ্যে ছিল। বুদ্ধিমান শিশুরা নিজেরাই সুযোগ পাবে এই গল্পটা পড়ে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের এবং আশা করি তারা এই গল্পের পেছনের আসল মজাটাও ধরতে সক্ষম হবে। 'রুঁরুঁর গল্প' পড়ার পরও শিশুরা আবারো চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পাবে যে এই গল্পে যে রুঁরুঁর উল্লেখ রয়েছে আসলেই তার কোন অস্তিত্ব আছে কিনা। এক ব্যক্তি জোর দিয়ে বলতে চাইবে যে তার কাছে আসলেই রুঁরুঁ নামে একটা ভূত আছে কিন্তু সেই ভূতের কোন প্রমাণ সে দেখাতে পারবে না। প্রমাণ না দেখানোর যে যুক্তিগুলো সে দিয়েছে তা নিয়ে শিশু পাঠকরা একটু চিন্তা ভাবনা করতে পারবে এবং চিন্তা ভাবনা করলে রুঁরুঁকে নিয়ে বলা ঐ ব্যক্তির গল্পের ফাঁক ফোকরগুলো তারা চিহ্নিত করতে পারবে। এ ব্যাপারে তাদেরকে আরেকটু সাহায্য করতে পারে এই তথ্যটা যে রুঁরুঁর আছে বলে দাবি করা ব্যক্তিটি মানসিকভাবে অসুস্থ! 'মোবারক হোসেনের মহাবিপদ' গল্পে এমন একটা কারণে মোবারক হোসেন মহাবিপদে পড়বেন যার সাথে ভূতের সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও পরীর যোগাযোগ ঠিকই আছে। পার্কে এক পরীর ছেলের দেখা পাওয়ার কথা সে সবাইকে বলতে শুরু করলে সবাই তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ আখ্যা দিতে শুরু করে। বুদ্ধিমান শিশু পাঠকরা এই গল্পটা নিয়েও একটু ভেবে দেখতে পারে। তাদের ভাবনা সুদূরপ্রসারী হলে তারা অবশ্যই ধরতে সমর্থ হবে যে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মোবারক হোসেন পরীর বাচ্চার দেখা পেয়েছিলেন এবং সেটা বাস্তবিকই ঘটেছিল নাকি তা কেবলই ছিল তাঁর কল্পনা। 'একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প' আসলে ভূতের গল্প না। এক মা মশার তার বাচ্চাদের নিয়ে রক্ত খাওয়ার অভিযানের বর্ণনা রয়েছে এই গল্পে। এই গল্পের দুটি বিশেষত্ব রয়েছে। ক) লেখক ও তাঁর গোটা পরিবারকে এই গল্পের চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখা যাবে। খ) প্রাণিদের প্রতি মানবিকতার বিষয়টি এই গল্পে বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। 'ভূত মন্ত্র' আমার খুব প্রিয় একটা গল্প। তবে এখানেও কিন্তু সরাসরি ভূতের অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়নি। শিশুরা এই গল্পটি পড়েও নিজ সিদ্ধান্তে আসার সুযোগ পাবে। এই গল্পে বাবলুর কথা বলা হয়েছে যে তার সৎবাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার মা ও সৎ বাবা যখন বেড়াতে গেল, তাকে বাসায় রেখে যাওয়া হল পড়াশোনা করতে। সঙ্গীহীন অবস্থায় যে দেখা পেল একটা ছেলের যে তার দুধকে পেপ্সিতে রূপান্তরিত করে দেয় এবং তারপর বাবলু মেনে নেয় যে ছেলেটার আসলেই কোন অলৌকিক শক্তি আছে। কিন্তু পরবর্তিতে সে আর ছেলেটাকে খুঁজে পায় না। এখন বিবেচ্য বিষয় হল, আদৌ কি কোন ছেলে বাবলুর কাছে আসে এবং তার দুধকে পেপসি বানিয়ে দেয় নাকি গোটা ব্যাপারটাই ছিল পরিস্থিতির চাপে বাবলুর অবচেতন মনের সৃষ্ট কল্পনা? 'পানি রহস্য' গল্পটা আমার মনে হয় ঠিক ছোটদের উপযোগি না। এই গল্প পড়ে সবটা বোঝা তাদের জন্য দুরূহ ব্যাপার হবে। কারণ এই গল্পের কাহিনীটা একটু জটিল। জয়নাল নামে এক চরিত্রকে দেখা যাবে যে মবিন সাহেবের কাছে বারবার টলস্টয়ের একটা গল্প শুনতে চায় যেই গল্পে এক সাধুর কথা রয়েছে যে সাধু পানির উপর দিয়ে হাঁটতে পারে। বাস্তব জীবনে জয়নালের স্বভাব চরিত্র অনেকটা সাধুর মতই এবং পানি সংক্রান্ত তার একটা গোপন কথা আছে যা সে মবিন সাহেবকে বলে। সেই গল্প শোনার পর মবিন সাহেবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে (পাঠকরাও নিজ নিজ সিদ্ধান্তে আসতে পারে) যে জয়নাল নিজেও আসলেই কোন সাধু ছিল কিনা। সবমিলিয়ে একটাই কথা বলব, এই বইয়ের ভূতের গল্পগুলো সাধারণ ভূতের গল্পের চাইতে অনেক আলাদা। লেখক একবারও শিশুমনে এই ধারণা চাপিয়ে দিতে চান নাই যে আসলেই ভূত বলে কিছু আছে। বরং খুব সহজ করে, গল্পের ভিতর বিভিন্ন হিউমারের অবতারণা করে তিনি কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন যা থেকে পরবর্তিতে শিশু পাঠকদেরই নিজস্ব সিদ্ধান্তে আসতে হবে তারা আসলেই ভূতের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেবে নাকি যুক্তি-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ভূতের অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে। অভিভাবকদের উচিৎ এই বইটি তাদের বাচ্চাদের কিনে দেয়া। কেননা এই বইটি নিঃসন্দেহে শিশুদের যৌক্তিক মানসিকতা ধারণের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেবে। তাছাড়া যেকোন বাঙালি পাঠকেরই জীবনের একটা বড় অংশ কাটে হুমায়ুন আহমেদের সাথে। যেই ব্যক্তির লেখনী তাদেরকে জীবনের একটা বড় সময় বিমোহিত করে রাখবে, সেই লেখকের সাথে বাচ্চাদের অল্প বয়স থেকেই তো পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিৎ। আর সেক্ষেত্রে লেখকের শিশুতোষ রচনার বিকল্প তো আর কিছু হতে পারে না!