User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good.
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যকের এই বইটি পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
Best quality
Was this review helpful to you?
or
Extra ordinary!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন বই
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ে পশ্চিমাদের ইসলাম দৃষ্টিভঙ্গী, খৃষ্টান পাদ্রীদের লুকায়িত ত্রুটি, বাইবেল এর অসংখ্য যৌক্তিক ভূল যা বর্তমান বিজ্ঞানের সাথে সামনয্যস্যা নয় এবং কোরআন ও ইসলামের ত্রুটিপূর্ণ মাহাত্ম্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Excellent book
Was this review helpful to you?
or
বাইবেল কুরআনও বিজ্ঞান বইটি আমি রকমারি.কম থেকে আজকে সংংগ্রহ করি। বইটি বুকাইবলি স্যারের লেখা জনপ্রিয় বইগুলির মধ্যে অন্যতম। উন্নত লেখন শৈলির সাথে বইয়ের পৃষ্টা গুলি অত্যন্ত উন্নত ধরণের যা পাঠকদের পড়তে মোটেও বিরক্ত সৃষ্টি করবে না বলেই আমার ধারণা। আমি ব্যক্তিগতভাবে বইটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি সেজন্য আমি সবাইকে হাইলি সাজেস্ট করবো বইটি ক্রয় করার জন্য।ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর বিখ্যাত একটি গ্রন্থের নাম বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান | মূল গ্রন্থটি রচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রখ্যাত সার্জন, বৈজ্ঞানিক ও গবেষক ডাঃ মরিস বুকাইলি। ফরাসী ভাষায় রচিত তার”লা বাইবেল, লা কুরআন য়েট লা সাইন্স” নামক বই খানি সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালের মে মাসে পেরিসে প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ইংরাজী ও আরবী সহ পৃথিবীর বহু ভাষায় বইটি অনুদিত হয়। মহাগ্রন্থ আল কোরআন এক মাত্র নির্ভুল আসমানী কিতাব যা মানবতার ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণের চাবিকাঠি। যুগ যুগ ধরে এই সত্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এ অপচেষ্টা এখনও চালাচ্ছে ইহুদী ও খ্রিষ্টান পন্ডিতদের দ্বারা এবং বৈজ্ঞানিকগণ কর্তৃক। বইটিতে তিনি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে পাওয়া জ্ঞানের সঙ্গে বাইবেলের বর্ণনার সঙ্গতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বিজ্ঞানের এ চরম উৎকর্ষতার যুগে প্রকৃত সত্যকে যারা আবিষ্কার করতে চান বইটি তাদের প্রভূত উপকারে আসছে বিধায় দুনিয়া জোড়া বইটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ও নন্দিত হচ্ছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট জনাব ওসমান গনি এ অসাধারণ গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করে বাংলা ভাষা বাসিদের দারুন উপকার করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বাইবেল বাংলা, কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অর্থ সহ , কোরআন বাংলা অনুবাদ ইসলামিক এপ্স / islamicapps এর অন্যতম একটি এপ্স নিয়ে তৈরি করা হল কোরআন বাইবেল ও বিজ্ঞান । আল কোরআনের আলোকে কোরআনের বিস্তারিত আলোচনা , বাইবেল এর আলোকে বাইবেল এর বিস্তারিত আলোচনা এবং বিজ্ঞান এর আলোকে বিজ্ঞান সম্পর্কিয় আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত বিববরন দেওয়া হয়েছে । কোরআনের সত্যতা , বাইবেলের সত্যত্য, বিজ্ঞানের সত্যতা গ্রহণযোগ্য কোন বিষয় রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কোরআন বাইবেল ও বিজ্ঞান এই এপ্সটিতে । ইসলামিক কোরআন হাদিসের আলোচনা , কোরআনের গল্প, হাদিসের গল্প, সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া হয়েছে । কোরআনের সত্যতা , কোরআনের আমরা কেন বিশ্বাস করব , আল কোরআনের বিশ্বাসের কারণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
Was this review helpful to you?
or
boita sober pora dorkar
Was this review helpful to you?
or
এটির মূল অনুবাদক প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম আখতার-উল-আলমের। ৮০'র দশকের মাঝামাঝি এর ধারাবাহিক অনুবাদ ছাপা হয়েছিল সাপ্তাহিক রোববারে। পরে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে। প্রথম ও প্রকৃত অনুবাদক ফ্রান্সের মূল প্রকাশকের কাছ থেকে অনুবাদের কপিরাইট চুক্তিমূলে পেয়েছিলেন। বইটিতে তার আইনি সতর্কবার্তাও ছিল। ব্যাপক সমাদৃত এবং প্রায় সর্বাধিক বিক্রিত এই বইটির অনেক অনুবাদক পরে আবির্ভুত হন যাদের কারোরই এই অনুবাদের ফ্রান্সের মূল প্রকাশকের আইনসম্মত অনুমতি ছিল না । মরহুম আখতার উল আলম তাঁর জীবদ্দশায় চেষ্টা করেও বিষয়টির সুরাহা করে যেতে পারেন নি। বাজারে এখন এই বইটির অনেক অনুবাদ। গবেষণা করলে দেখা যাবে মূল অনুবাদকের অনেক কিছুই কাট এন্ড পেস্ট করে বা মাঝখানে কিছু সূরার আরবি অংশ জুড়ে দিয়ে প্রকৃত অনুবাদক সেজে বসে আছেন। বাংলাদেশে নৈতিকতা এখন যে পর্যায়ে, সেখানে অনুবাদ নিয়ে ছলচাতুরি ঘটবে না, এটা দুরাশা মাত্র।
Was this review helpful to you?
or
''যেটি পড়তে গিয়ে ভাবনার জগতে 'ডুবি' দিতে হয়।'' শিরোনাম দেখে অনেকে আপত্তি করতে পারেন যে, এই বইয়ে আবার ভাবনার জগতে ডুব দেওয়ার বা কি আছে। জ্বী আমি একমত, এটি কোনো ভাবনার জগতে ডুব দেওয়ার বই নয়, বরং বাইবেল, কুরআন আর সাইন্স কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে উক্ত বইটি। কিন্তু এই বইয়ের পাতায় পাতায় পেয়েছি এমন কিছু ইনফরমেশন যা আমাকে বারংবার ভাবনার জগতে ডুবতে বাধ্য করেছে। বইয়ের অবয়ব আর টাইটেল দেখে পড়ারই ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু পরক্ষণে ভাবলাম এটি তো সেই বই যা পড়ে মুসলমান হয়েছিলেন "আল কুরআনের অলৌকিকতা" বইয়ের জনক- আলী এবং এমন ঈমান এনেছিলেন; এমন পরশ পাথর হয়েছিলেন যে, তাকে যতভাবেই চেষ্টা করা হয়েছে পূর্বের সেই খৃষ্ট ধর্মে ফিরিয়ে দিতে কিন্তু তিনি উলটা তাদের কে মুসলমান করেছেন। কোন বইয়ের উছিলায়? জ্বী এই হল সেই বই যাকে কেন্দ্র করে আলির জীবনে এসেছিল প্রানের সঞ্চার। (আমি আল-কোরআনের অলৌকিকতা বইয়ের রিভিউ আগেই উল্লেখ করেছি, আগ্রহী পাঠক তা দেখে নিবেন) কিন্তু কিবা ছিল এই বইতে? জ্বী সেই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য এই বইয়ের পথিক হয়ে গেলাম, সংগ্রহ করলাম, পড়তে থাকলাম, আর আফসোস করতে থাকলাম যে আহঃ আগে কেনো এই বইটির মূল্যায়ন করলাম না।যাক তাহলে আসুন এবার জেনে নেই এই বইটার ছোট্ট একটা রিভিউ। ফিরাউনের লাশ যে পানি থেকে বের করে এনে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, ১৮৯৮ সালের পূর্বে বিজ্ঞান সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। ইহুদিরা মনে করত তার মৃত্যু সাধারণ মানুষের মত হয়েছে। কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর পূর্বে এ ভুল ধারণা দূর করে করেছে। আল্লাহ তার মরাদেহ হেফাজতের ওয়াদা করেছেন তাই তার মরাদেহ আজও আছে,কালও থাকবে এবং চিরদিনই থাকবে। এই মমিগুলোর স্টাডিগ্রুপের চীফ সার্জন ছিলেন ড. মরিস বুকাইলী, যিনি পেশায় একজন ডাক্তার এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট। ড. মরিস বুকাইলি, একজন ফারাওর (ফিরাউনের) মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘পানিতে ডুবে’ মরার প্রমাণ পেলেন এবং মৃতদেহে থাকা লবণের রেমনেন্টস থেকে এটাও নিশ্চিত হলেন যে, এই ফারাও এর মৃত্যু সমুদ্রের পানিতে ডুবে হয়েছে। এবং তিনি দেখলেন এই পানিতে ডুবে মরা ফারাও এর মৃতদেহ অন্যদের তুলনায় অধিক সজীব রয়েছে। এই নতুন ডিসকভারী তিনি সমগ্র দুনিয়াকে জানাতে চাইলেন তার রিপোর্ট এর মাধ্যমে। কিন্তু তার কলিগদের কেউ তাকে এই তথ্য মুসলিমদের কাছে প্রকাশ করতে বাধা দিলেন- কারণ এটা মুসলিমদের নিকট কুরআনকে ঐশীগ্রন্থ হিসেবে প্রমাণ করিয়ে দিবে। [উল্লেখ্য কুরআনে মূসার সময়ের ফারাও এর মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে এবং ফারাওরদেহ সংরক্ষিত আছে বলে উল্লেখ আছে।] কিন্তু ড. বুকাইলীর মন এত বড় আর্কিওলজিকাল ডিসকভারীকে গোপন রাখতে সায় দিলো না। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে মুসলিম স্কলারদের নিকট কথা বললেন। মুসলিম স্কলাররা তাকে কুরআনের এই আয়াতগুলো ধরিয়ে দিলেন – সূরা ইউনুস (১০), আয়াত ৯০-৯২। '(৯০. আর বনী-ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি সমুদ্র। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোন মাবুদ নেই তাঁকে ছাড়া যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।৯১. এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। ৯২. অতএব আজকের দিনে সংরক্ষণ করছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।)' তার মানে কুরআনে ফেরাউন (ফারাও) এর দেহ যে আল্লাহ সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছেন তা বলে দেয়া হয়েছে। বিস্ময়ে বিমূর্ত হয়ে গেলেন ড. মরিস বুকাইলী। তিনি যে ফারাওর দেহটি নিয়ে রিসার্চ করেছেন, তা সংরক্ষণের কথা আল্লাহ আগেই কুরআনে ঘোষণা করে রেখেছেন। এই ঘটনা ড. বুকাইলীর মনে গভীর দাগ ফেললো এবং তিনি কুরআন নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। দশ বছর গবেষণা করার পর তিনি প্রকাশ করলেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ, ‘কুরআন, বাইবেল এবং বিজ্ঞান।’ তিনি তার রিসার্চে দেখালেন, যে বর্তমান বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টগুলোর বিবেচনায় বাইবেলে ‘মনুমেন্টাল এরর'(ভয়ঙ্কর ভুল) আছে। কিন্তু কুরআন সম্পূর্ণ ভুলমুক্ত। উপরোক্ত, কুরআনে এমন অনেক বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট আছে, যা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কোন মানুষের পক্ষে লিখা সম্ভব না। একারণে কুরআন নিশ্চিতভাবে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে আসা কিতাব। শেষমেশ ইসলাম গ্রহণ করেছেন ড. মরিস বুকাইলী। তার রিসার্চ সারা দুনিয়ায় বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক মানুষের ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়েছে। তো এটি ছিলো এক দীর্ঘ আলোচনা যা অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার তা উল্লেখ্য করতে হলো। পাঠক মহলের সময় আমি আর কেড়ে নিতে চাচ্ছি না! তো এই বইয়ের আমি কিছু দিক আলোচনা করে আজকের মতো ইতি টেনে ফেলছি ইনশাআল্লাহ। ▪এই বইয়ের সিংহভাগে আলোচনা হয়েছে বাইবেলের কিছু 'নাজানা' ইতিহাস নিয়ে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু বিরল পরিভাষা। পাঠকের যদি এসব বিষয়ে আগে থেকে ধারণা না থাকে তাহলে বইটি পড়ে আপনি বোধহয়, তেমন কিছু 'ফীল' করবেন না। ▪এই বইয়ে শুধু সাইন্স নয়, গভীর কিছু "সায়েন্টিফিক সায়েন্স" নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাই আপনার এই বিষয়েও ব্যাসিক জ্ঞান থাকা লাগবে। ▪উপরের দুটি কথা বাদে এই বইতে তেমন কোনো জটিলতা নাই বলে মনে করি। ▪আর একটি বিষয় হলোঃ- এই বই পড়ে সবাই আনন্দ অনুভব করতে পারবেন না, বরং যাদের মাঝে ধার্মিক চেতনা, অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্যমতা, জাগতিক জ্ঞানমালা বিরাজ করছে কেবল তারাই পারে এই বইয়ের পথিক হয়ে গন্তব্যের দিকে পারি দিতে। ▪প্রিয় পাঠক...আমার কথায় আবার, আমি যেন ধরা খেয়ে না বসি তাই বলছি - আমি আলহামদুলিল্লাহ বইটি পড়েছি এবং উপরের কিছু বিষয়ে আমি নিজেও জ্ঞানশূন্যতা অনুভব করেছি, তারপরও সাধারণ জ্ঞান নিয়ে যতটুকু পড়েছি..... সেটাই অনুভব করেছি......!
Was this review helpful to you?
or
রিভিউয়ের প্রথমেই একটা কথা। অতীতে স্রষ্টার অস্তিত্ব, স্রষ্টার প্রেরিত গ্রন্থের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে অনেক লেখকই বই লিখেছেন। তারা দেশী লেখক বলে, কেউবা আবার বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়ে বিজ্ঞান সম্পর্কিত রেফারেন্স প্রদানের ফলে হাজার হাজার মানুষ সেসব বইয়ে ভুল খুজে পেয়েছেন। এতে করে সেসব বই সমাদৃত যেমন হয়েছে, তেমনি লেখকরাও অপমানিত হয়েছেন! আমি বলছিনা তারা সঠিক লিখেছেন। হয়তো তারা তাদের সীমাবদ্ধতার ভেতরে থেকে লিখেছেন বিধায় কিছু কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। তাদের লেখায় ত্রুটি খুঁজে পেয়ে যারা স্রষ্টার অস্তিত্ব কিংবা কোরান আর বিজ্ঞানের সামঞ্জস্যতা নিয়ে হাসাহাসি করেছেন, বইটি তাদের জন্য। উহু, বইটি সবার জন্য, বিশেষ করে তাদের জন্য। লেখক "মরিস বুকাইলি" কিন্তু বইটি হুট করে লিখে দেননি। আগে আটঘাট বেঁধেছেন, এরপর লিখেছেন। তাই সংশয়ে থাকা সেইসব মানুষদের প্রতি অনুরোধ, বইটি পড়ুন এবং ভুল খুঁজুন। হয়তো আবারো ভুল খুঁজে পাবেন। আরেকটা বার ভুল খোঁজার জন্য হলেও বইটা পড়বেন! #বইয়ের নাম: বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান #ঘরানা: দর্শন #লেখক: মরিস বুকাইলি #অনুবাদক: ওসমান গনি #পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩৪ #রকমারি মূল্য: ১৪০ টাকা "আমি প্রথমে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মন নিয়ে এবং কোনোরুপ পূর্ব ধারনা না নিয়েই কুরআন পরীক্ষা করি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের সাথে কুরআনের বর্ণনার সামঞ্জস্যের দিকে নজর রাখি। কুরআনের তরজমা পড়ে আমি জানতে পেরেছিলাম যে, ঐ গ্রন্থে নানা প্রকার প্রাকৃতিক ঘটনা ও বিষয়বস্তুর উল্লেখ আছে। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার তখন কোনো বিস্তারিত জ্ঞান ছিলোনা। এরপর আমি যখন মূল আরবী ভাষায় কুরআন পড়তে ও পরীক্ষা করতে শুরু করি, তখন ঐ সকল ঘটনা ও বিষয়বস্তুর একটা তালিকা প্রস্তুত করতে থাকি। এভাবে তালিকা প্রস্তুত করার পর স্বাক্ষ্য প্রমান দেখে আমি আমি স্বীকার করতে বাধ্য হই যে, কুরআনে এমন একটি বর্ণনাও নেই, আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে যার বিরোধিতা করা যেতে পারে" লেখকের এই বর্ণনা থেকেই বোঝা যায় এই বই লিখার আগে তিনি গভেষনা করেছেন। শুধু কুরআন নিয়ে গভেষনা করেননি, একইভাবে তিনি গভেষনা করেছেন বাইবেল নিয়েও। তার ভাষ্যমতে, বাইবেলে তিনি এমন অনেক ব্যাপার পেয়েছেন যা বাস্তবতার বিরোধিতা করে। বইয়ে শুধু কুরআন নিয়ে আলোচনা করেননি। বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের মতের সামঞ্জস্যতা আর বাইবেলের অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। আসুন দেখি,, বইটি তিনটা অধ্যায়ে বিভক্ত। বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে লেখক বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থের উৎপত্তি এবং মানুষ কতৃক সেসব ধর্মগ্রন্থ কিরুপ পরিবর্তন করা হয়েছে সে সম্পর্কে।বলেছেন। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী দুনিয়া সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। জানিয়েছেন পৃথিবীর বয়স সম্পর্কেও! আদম (আ:) থেকে ঈসা (আ:) এর সময় কাল সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, ঈসা (আ:) থেকে ইব্রাহীম (আ:) এবং পরিশেষে মহাপ্লাবন এবং বাইবেলের ভ্রান্তি সম্পর্কে খৃষ্টান ভাষ্যকারদের মতামত তুলে ধরেছেন! সর্বোপরি এই অধ্যায়ে বাইবেলের ভুলত্রুটি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন লেখক। বাইবেল যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তাহলে দেখা যাবে এতে প্রচুর ভুল এখনো বিদ্যমান। আর ভুল অনুচ্ছেদগুলো যতোদিন ভুল থাকছে ততোদিন এগুলো আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত বলে মানা যায়না, অথচ ভুল সংশোধন হচ্ছেনা আর এটাও মানা হচ্ছে এগুলো স্রষ্টা প্রেরিত। দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুতেই লেখক আলোচনা করেছেন গসপেল নিয়ে। যারা গসপেল সম্পর্কে অবহিত না তাদের গসপেল কি সেটা একটু বলে নেই। যীশুর মৃত্যুর পর তার যে বানী চারজন শিষ্য কতৃক লিখিত হয়েছে তাকেই গসপেল বলে। এই অধ্যায়ের শুরুতেই লেখক সে সমস্ত গসপেল নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপর আলোচনা করেছেন চার গসপেলের বর্ননা। এই চার গসপেল হচ্ছে,, ম্যাথুর গসপেল, জনের গসপেল, লুক এবং মার্কের গসপেল। এই অধ্যায়ে লেখক গসপেল উৎপত্তি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু সুনিপুণ বর্ণনা দিয়েছেন! গসপেল সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার পরপরই লেখক আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে গসপেলের সামঞ্জস্যতা, অসামঞ্জ্যতা তুলে ধরেছেন। গসপেল কোন অংশটি বিজ্ঞানের নিয়ম কানুন কে কাউন্টার করে সেটা সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। অধ্যায়ের শেষ অংশে তিনি যীশুর স্বর্গে আরোহন এবং মৃত্যুর পর পুনরায় তার আগমন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন। যীশুর শেষ কথোপকথন এবং আধুনিক বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য এবং মন্তব্য তুলে ধরেছেন এই অধ্যায়ে। সর্বোপরি,,,বইয়ে নাম যেহেতু কুরআন বাইবেল এবং আধুনিক বিজ্ঞানকে নিয়ে সেহেতু এই অধ্যায়ে লেখক বাইবেলের কথাই বলেছেন। একেনারে উৎপত্তি থেকে শুরু করে বাইবেল এর সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্যতার কথা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন তিনি! তৃতীয় অধ্যায়, মানে সর্বশেষ অধ্যায়। এটাই এই গ্রন্থের সবচাইতে বৃহৎ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়ে লেখক কুরআনের কথা বলেছেন। জানিয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞান এবং কুরআনের সামঞ্জস্যতার কথা। প্রথমেই জানিয়েছেন কুরআনের সাথে বাইবেলের সামঞ্জস্য এবং অসামঞ্জস্যতার কথা। কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই আকাশ এবং পৃথিবী? এই সম্পর্কে বাইবেল কি বলে আর কুরআন কি বলে? আধুনিক বিজ্ঞান কি বলে গ্রহ, উপগ্রহ এবং তারকারাজি সম্পর্কে? কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে তারা! এই অধ্যায়ে তিনি কুরআনের তথ্যের মুকাবেলায় অনেকগুলা আপত্তির জবাব দিয়েছেন। জৌতিষ্কমন্ডলের পরিচিতি চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, উপগ্রহ,তারকারাজি,দিনরাত্রির ক্রমিকতা, আকাশমন্ডলীর ক্রমবিকাশ, বিশ্বজগতের সম্প্রসারক, মহাশূন্য বিজয় সহ আরো অনেক কিছুর বর্ণনা দিয়েছেন কুরআনের আলোকে। পৃথিবী, সাগর, মহাসাগর, গাছপালা, পশুপাখি, জীবের বিস্তার, প্রাণীজগৎ কিছুউ বাদ রাখা হয়নি। মানুষের বংশবিস্তার, একটা মানুষ কিভাবে জন্মগ্রহন করে এ সম্পর্কে কুরআন কি বলে? কুরআন যা বলে আধুনি বিজ্ঞান কি সেটা সাপোর্ট করে? এ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন লেখক। এই অধ্যায়ের শেষে আলোচনা করেছেন মিশরের দূর্যোগ, নুহ (আ:) এর আমলের প্লাবন, এবং ফেরাউনের পরিনতি নিয়ে। মোট কথা, বইয়ের সবচাউতে গুরুত্বপূর্ণ অংশই হচ্ছে অধ্যায় তিন। এই অধ্যায় পাঠ করলেই বুঝতে পারবেন কেন কুরআন সমস্ত গ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। কুরআন আর আধুনিক বিজ্ঞানের এতো এতো সামঞ্জস্যতা দেখে এই গ্রন্থ সম্পর্কে দ্বিমতপোষনকারী মানুষজনেরা একটু হলেও হয়তো চিন্তার খোরাক পাবে। একটু হলেও ভাববে,,এতো মিল কিভাবে সম্ভব!!! বই নিয়ে আলোচনা এখানেই শেষ, এবার একটা কথা বলি,,,, একদম প্রথমেই যা লিখেছি তা পড়ে অনেকেই হয়তো ধারনা করেছেন,,,লেখক এখানে যুক্তিতর্কের পসরা সাজিয়েছেন। যুক্তি দিয়ে হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে,,,কুরআন স্রষ্ঠা প্রদত্ত, স্রষ্টা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এমন কিছুই না। লেখক এখানে কোনো যুক্তি দেখাননি, তিনি দেখিয়েছেন রেফারেন্স। লজিকের এন্টিলজিক আপনি দেখাতে পারবেন কিন্তু রেফারেন্সের এন্টি রেফারেন্স নিয়ে কি বলবেন, পারবেন দেখাতে? বাংলায় যারা স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমানের খাতিরে বই লিখেছেন তাদের প্রধান অস্ত্র ছিলো "যুক্তি"। যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন স্রষ্টা আছে, কুরআন স্রষ্টা প্রদত্ত গ্রন্থ। আর সেইসব যুক্তির এন্টি যুক্তি দেখিয়ে কেউ কেউ হিরো বনে গিয়েছেন। মরিস বুকাইলি সেই ভুল করেননি, যুক্তি না সাজিয়ে রেফারেন্স খুজে বেড়িয়েছেন আর এতেই তিনি সফল। এই বই অনূদিত হয়েছে পনেরোটি ভিন্ন ভাষায়, প্রচুর মানুষ এই বই পড়ে ইসলাম গ্রহন করেছে। বিক্রি হয়েছে লক্ষ লক্ষ কপি! এজন্যই প্রথমেই বলেছি,,,আগে পড়ুন এরপর ভুল খুঁজুন। হয়তো আবার ভুল পাবেন, কারন বুকাইলি সাহেব ও ভুলের উর্দ্ধে না। সেই ভুল ও কেউনা না কেউ হয়তো সংশোধন করেছেন কিংবা করবেন! তবে এটুক বলতে পারি, এই বই স্রষ্টার বিশ্বাস নিয়ে দোটানায় থাকা মানুষদের চিন্তায় একটু হলেও পরিবর্তন আনবে!! একটা তথ্য: কুরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান এই বইটি খন্দকার মাশহুদ-উল-হাছান নামক এক লেখক রুপান্তর করেছেন। সেখানে তিনি অনেক ব্যাপার তুলে এনেছেন যা মূল বইয়ে নেই। সুতরাং মূল বই পড়ার জন্য অবশ্যই ওসমান গনী সাহেবেরটা পড়ুন আর রুপান্তর পড়তে চাইলে মাশহুদ-উল-হাছান সাহেবেরটা। আমি রুপান্তর করাটা পড়িনি, তবে শুনেছি দুটোতেই নাকি বিস্তর ফারাক। তাই পড়ার সময় বুঝে পইড়েন! #ব্যক্তিগত মতামত: দর্শনের বই আর ব্যক্তিগত মতামতে আমি আবারো বলবো অসাধারন! একবার অসাধারন বললে খুব সম্ভব কম হয়ে হয়ে যাবে। হাজার হাজারবার অসাধারন। বইটার নাম আমি জানতাম না, যে মানুষটা আমাকে নাম জানিয়েছেন তাকে লাখ লাখ ধন্যবাদ। বই সম্পর্কে য বলার সব উপরেই বিশদভাবে বলেছি, এখানে বলার মতো কিছুই নেই। পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি, বইটা পড়ে ফেলুন। আর বলার মতো তেমন কিছুই নেই। হ্যাপি রিডিং,,,,,,,,,