User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
▪️বই:গুড আর্থ। লেখক:পার্ল এস বাক। অনুবাদক: আবদুল হাফিজ। পৃষ্ঠা:২৪০ প্রকাশনী: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। পাঠ প্রতিক্রিয়া: যেকোনো বই পড়ার আগে আপনারা কি ভাবেন? কেউ কেউ প্রচ্ছদ সুন্দর হলে পড়েন,আবার কেউ কেউ প্লট ভালো লাগলে।আমি আজকে এমন একটা বইয়ের রিভিউ লিখছি যেটার প্রচ্ছদ খুব আহামরি না, খুবই সাধারণ।অনেকে হয়ত প্রচ্ছদ দেখেই বইটি এড়িয়ে যাবেন, কিন্তু যাদের সামাজিক জীবনব্যবস্থার ওপর লেখা উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই অনুবাদ উপন্যাস টি মাষ্ট রিড একটা বই। এখন আসি বইটার সম্পর্কে;বইটিতে কৃষিভিত্তিক, সামন্ততান্ত্রিক চীনের জনজীবনের সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।যা থেকে সমসাময়িক চীনের সামাজিক জীবনযাপন ব্যবস্থা, সামাজিক মূল্যবােধ,বিভিন্ন শ্রেণীর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।বইয়ের শুরুতে দেখা যায় ওয়াঙ লাঙ নামের একজন যুবককে যে কিনা এতটাই হতদরিদ্র যে তার বাবাকে সকালে গরম পানিতে একটু চায়ের পাতা পর্যন্ত পরিবেশন করতে অক্ষম।তাদের গ্রামের অবস্থা এমন ছিল যে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সেখানে পানির সংকট দেখা দিত।তখন একবেলা গোসল করার মতো পানি জোগাড় করাও অসম্ভব ব্যাপার ছিল।ওয়াঙ লাঙের বিয়ের দিন ও সে ওতটা আনুষ্ঠিকতা পালনের মতো সক্ষমতা দেখাতে পারে নি। কিন্তু হঠাৎ এক ক্ষরায় তাদের ভাগ্যে বদলায়।ওয়াঙ যে কিনা ছিল তার ভিটেমাটি আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিল তাকেও অবশেষে তার পেটের দায়ে শহরে মাথা গুজার ঠাঁই খুঁজতে হয়। গ্রামের সাধারণ একজন কৃষক হয়ে উঠে রিক্সাচালক।এর কিছুসময় পর ভাগ্য ওয়াঙের প্রতি সদয় হয়।একটা সময় ওয়াঙ জমিদার বাড়ির মালিক হয়ে উঠে। কিন্তু এমন কি হয়েছিল ওয়াঙের সাথে যে সে রাতারাতি হোয়াঙ মন্জিলের'মালিক হয়ে গিয়েছিল?একটা দুর্ভিক্ষ কিভাবে বদলে দিল একজন সাধারণ কৃষকের জীবন? অন্যদিকে ওয়াঙের স্ত্রী ওলান কিন্তু সে কোনো বনেদি ঘরের মেয়ে নয়,সে ছিল হোয়াঙ মন্জিলের'ই একজন দাসী। কিন্তু দেখতে অতটা রূপসী না হওয়ায় জমিদার বাড়ির বড় গিন্নি তাকে বিয়ে দিয়ে পূন্য কামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওলান শান্তশিষ্ট প্রতিকী হলেও তার মাঝে ছিল আত্মসম্মানবোধ।যখন ওলান প্রতিবিত্তিতে অন্ধ হয়ে অন্য নারীতে আসক্ত হয় ওলান তখনও শান্তভাবে সবটা মেনে নিয়েছে।যখন ওলান মৃত্যু শয্যায় কাতর তখন কোকিলাকে ডেকে বলেছিল,“বেশ, তুমি বুড়ো জমিদারের মহলে বাস করতে পারো। তার আদর-সোহাগ পেতে পারো। কারণ, রূপসী বলে তোমাকে ধরা হত; কিন্তু আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছি, আমি আমার স্বামীর সন্তান গর্ভে ধরে মাতৃত্বের সম্মান পেয়েছি। আর তুমি দাসীই রয়ে গেলে, তোমার দাসীত্ব আর ঘুচল না।“ ওলানের এই কথাটুকু তে লেখক তাকে শক্তিশালী একটা রূপ দিয়েছে।ওলানের মৃত্যুর পর ওয়াঙ কি তার ভুল বুঝতে পেরেছিল?নাকি নিজের গোঁড়া কে ভুলে জমিদারি জীবনে সুখী হয়েছিল?সবটা জানতে পড়তে হবে 'গুড আর্থ'।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
অরিজিনাল বই। খুব ভাল। দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত এই বইটা কতটা ভয়াবহ যদি জানতে চান তাহলে খুবই গভীর মনযোগ দিয়ে ধৈর্য সহকারে পড়তে পারেন। গুড আর্থ মনে গেথে আছে ?বাস্তবতা কতটা ভয়াবহ হতে পারে বুঝতে পারবেন সুখ দুঃখের উজান ভাটি।এই বইটি খুবই ভয়াবহ আমি এইটা পড়ে ভাত পর্যন্ত খেতে পারি এতটাই বমি বমি আসছিলো এবং বমিও করছিলাম। ২০১৬ সালে ক্লাসের পড়া বাদ দিয়ে নেশার মতো বই পড়তাম। এতবেশী গভীরে মনযোগ দিয়ে পড়ছি আমার বই পড়ার ক্ষুদায় ভাত খেতে ঘৃণা লাগতো। এই বই নিয়ে আর কিছু বলার নাই। সময় সময় বই পড়লে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। আমি নিঃস্বঙ্গতা কাটাতেই প্রচুর বই পড়ি?আবারো একাকী আমি।আমার এখনো মনে হয় না আমার কোনো বন্ধু বান্ধব আছে যাদের সাথে আমি কথা বলতে পারি নির্দ্বিধায় তারা আমার কথা গুলোই শুধু শুনবে। আমার আর কারো সাথে কথা বলা হয়নি। মাঝে মধ্যে কারো সাথে কথা না বলতে পেরেই অনলাইনে প্রচুর একটিভ + আমার অনেক পোস্ট। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। বইটা খুবই চেনা অনেক দিন আগে খুব যত্ন করে পড়া। হঠাৎ বই খুঁজতে খুজতে চোখের সামনে পড়লো তাই কথা গুলো শেয়ার করা। ধন্যবাদ ?
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটা কাহিনি
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো লাগা একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন আগে একটা বই পড়েছিলাম, পোকায় খাওয়া বই, লেখকের নামটাও পোকা খেয়েছিলো, বইটার নাম ‘A House Divided’, বইটা আমাকে প্রচন্ড আকর্ষণ করেছিল, পরে জানতে পেরেছিলাম বইটি পার্ল এস বার্ক এর লেখা, ‘The Good Earth’ পড়ে বুঝতে পারলাম লেখিকার আসলে লেখার একটা আকর্ষণী ক্ষমতা আছে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ওয়াং লাং নামক একজন কঠোর পরিশ্রমী কৃষক আর তার স্ত্রী ওলান। উপন্যাসটিতে আছে একজন পরিশ্রমী মানুষের গরিব কৃষক থেকে জমিদার বনে যাওয়ার এক অবিশ্বাস্য কাহিনী, আছে জমিদারি প্রথার কথা, দাস প্রথার কথা, আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের চরমতম অবস্থার কথা, আছে শ্রেণী বৈষম্যের কথা। এত আনন্দের মাঝে এত কষ্টের মাঝে এত উত্থান পতনের মাঝে একজন নারী যিনি শুধুই নীরবে সকলের দাসত্ব করে গেছেন, যেন তিনি সকল অসহায় নারী জাতির প্রতীক যার কাজ হলো শুধু নিরবে সকলের দাসত্ব করা আর বছরের পর বছর শুধু সন্তান প্রসব করা, বিষয়টি লেখিকা সূক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন। একদিকে লেখিকার আকর্ষণী লেখা আর অনুবাদকের প্রায় নিখুঁত অনুবাদ বইটিকে এনে দিয়েছে এক অসাধারণত্ব্ যার কারণে বইটি সম্পূর্ণ না পড়ে ওঠা কঠিন। এছাড়া বলে রাখা ভালো এটি একটি ট্রিলোজি বই, এর পরের দুইটি বই হলো ‘Sons(1932)’ এবং ‘A House Divided(1935)’ পুনশ্চ - বইটি ১৯৩২ সালে পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্ত এবং পার্ল এস বাক ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান এবং এতে আলোচ্য বইটির প্রভাবশালী ভূমিকা আছে।
Was this review helpful to you?
or
বইপোকাদের জন্য 'গুড আর্থ' হতে পারে বিরিয়ানির মত সুস্বাদু খাবার! আপনি যে ধরণের লেখারই ভক্ত হন না কেন, এই বইটি আপনাকে তীব্র আকর্ষণে ধরে রাখবে। রগরগে থ্রিলার কিংবা গা হিম করা ভৌতিক লেখার পাঠকরাও এটি পড়ে বাড়াবাড়ি রকমের আনন্দ পাবেন। শুধু একটাই কথা মনে হবে, কেন শেষ হল বইটি! একজন থ্রিলার ভক্ত হিসেবে চিন্তা করলে আমি বলবো, 'গুড আর্থ' একদম সাধারণ একজন গেঁয়ো চাষা পরিবারের কাহিনী। কিন্তু এর উপস্থাপন কায়দা আর লেখকের কলমের শক্তি অভাবনীয়, যা পাঠককে নির্মল আনন্দ দেয়। ড্রামা ধাঁচের যেকোনো বই কিংবা সিনেমা থেকে আমি বরাবরই দূরে রাখি নিজেকে, কিন্তু 'গুড আর্থ' পড়ে আমার মনে হয়েছে এটা প্রত্যেক বইপ্রেমির পড়া উচিত। সবশেষে অবশ্যই ধন্যবাদ দিবো অনুবাদক আবদুল হাফিজকে। এতো অসাধারণ অনুবাদ করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
Was this review helpful to you?
or
সম্প্রতী পড়লাম আমেরিকান লেখিকা পার্ল এস. বাক এর “দি গুড আর্থ”। নোবেল পুরস্কার পাওয়া এই উপন্যাসটিকে চিরায়ত গ্রন্থ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কেননা এই লেখাটি কালের গন্ডি পেরিয়ে মহাকালের গন্ডিতে প্রবেশ করেছে। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে চীনের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটির কেন্দ্রে রয়েছে ওয়াঙ লাঙ নামের একজন চাষী এবং তার স্ত্রী ওলান। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি যেন তারা। অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ কিংবা অতিবৃষ্টি-এসকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে জীবনের ছন্দ-পতন। প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে জমিদার প্রথা, কৃতদাস প্রথা, শ্রেণী বৈষম্য। নিরলস পরিশ্রমের ফলে একদিন ওয়াঙ লাঙ একজন সাধারণ কৃষক থেকে হয়ে ওঠে জমিদার। আর তার এই উত্থানের সাথে সাথে বদলে যায় তার জীবন ধারা। এই উত্থানে সমান ভাবে অংশগ্রহনকারী যে স্ত্রী, যার অক্লান্ত কঠোর শ্রমই ওয়াঙ লাঙ কে একজন সাধারণ চাষী থেকে তুলে আনে ধনীব্যক্তিতে তাকেই করে অবজ্ঞা-অবহেলা। একজন নারী বলতে যে সমাজে কেবলই গৃহস্থলীর কাজ আর সন্তান উৎতপাদনের প্রাণী মনে করে, যে সমাজে নারী গৃহপালিত পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট সেই সমাজে ওলান এমন এক নারীর মূর্ত প্রতিচ্ছবি যে কিনা স্বল্পবাক কিন্তু তার স্বপ্ন সীমাহীন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সদা প্রস্তুত, সদা পরিশ্রমী একজন মানুষ। তীক্ষ্ণ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্না একজন নারী। “বেশ, তুমি বুড়ো জমিদারের মহলে বাস করতে পারো। তার আদর-সোহাগ পেতে পারো। কারণ, রূপসী বলে তোমাকে ধরা হত; কিন্তু আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছি, আমি আমার স্বামীর সন্তান গর্ভে ধরে মাতৃত্বের সম্মান পেয়েছি। আর তুমি দাসীই রয়ে গেলে, তোমার দাসীত্ব আর ঘুচল না।“ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার এই উক্তিটিই তার ব্যক্তিত্বের প্রখরতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। কিন্তু মাটির টান ভোলা যায় না। যে রুক্ষ মাটির বুকে একদিন স্বপ্নের বীজ বুনে বুনে কেটে গেছে ওয়াঙ লাঙের সারাটি বেলা সে মাটির টানে জীবন সায়াহ্নে সে ফিরে আসে। মাটি কখনো বেঈমানি করে না… “মাটি তার জীবনে একমাত্র সত্য। তার সত্তার সাথে মাটি মিশে এক হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে একমুঠো মাটি হাতে নিয়ে বসে থাকে, নিষ্প্রাণ মাটি তার হাতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে; একমুঠো্ মাটির সম্পদে তার বুক তৃপ্তিতে ভরে যায়। মাটি আর কফিনের ধ্যানে সে এখন আত্মসমাহিত। শক্ত সুন্দর কফিন আর দাক্ষিণ্য-সম্পদ-দাত্রী ধরণীর ধূলি তাকে কোলে তুলে নেবে বলে অসীম ধৈর্যে প্রতীক্ষা করছে।”