Our User Product Reviews

Rating:8/10

রাশিয়ার বড় বড় খ্যাত লেখকেরা জন্ম নিয়েছে গোগোলের ওভারকোট থেকে, এই কথা আমার না বরং দস্তয়ভস্কির নিজের। কসাকদের নীতি বা জীবন অথবা এর সাথে জড়িত সংগ্রামের এক বিশদ বর্ণনা আছে এই বইটিতে। তাদের মধ্যে নাছোড়বান্দা তারাসকে নিয়েই এই গল্পের শুরু এবং শেষ। গল্পটি খুবই প্রোগ্রেসিভ যার কারণে কোন পাঠকই একঘেয়ে বোধ করবে না। বইয়ের মুদ্রণ এবং পৃষ্ঠার মান বেশ ভালো।

I heard about this book from one of my friends. After knowing the story line I couldn't resist myself from buying this book . But I didn't find it in any library nearby. That's why i decided to order this on Rokomari as I knew it gives the best service and satisfaction to the customers. And I got the parcel and I'm really happy after getting the book in my hand now.

তারাস বুলবা উপন্যাসের পটভূমি ঐতিহাসিক ঘটনা। কাহিনি ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের। আগ্রাসী পোল সম্ভ্রান্তরা বিপুলভাবে ইউক্রেনের জমি দখল করতে শুরু করেছিল তখন। ইউক্রেনিয় ভাষায় শিক্ষাদান পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। চাপিয়ে দিতে চাইলো ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্ম। চলতে লাগলো অসহনীয় অত্যাচার। পোলদের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনীয়দের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতিকে মুছে দিয়ে মানসিক দাসত্বে পরিণত করা। কসাক সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে বৃদ্ধ কসাক নেতাকে নিয়ে। দুই তরুণ ছেলে তার--অস্তাপ ও আন্দ্রেই। তিনজন মিলে যুদ্ধ করতে যায় পোলদের বিপক্ষে। কিন্তু যুদ্ধের মাঝপথে ঝামেলা। আন্দ্রেই বিপক্ষ দলের শাসনকর্তার মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়! ভালোবাসার জন্য ভুলে যায় নিজ সম্প্রদায়কে। কিছুদিন পর পিতাই কৌশলে নিজ হাতে গুলি করে বিশ্বাসঘাতক পুত্রকে। কিন্তু আবার বিপদ! পোলদের হাতে ধরা পড়ে অপর পুত্র বীর অস্তাপ। পিতা একই সাথে মূর্ত হয়ে ওঠে ঘৃণা, বীর ও ভালোবাসায়। পুত্রকে দেখার জন্য পিতার হা-হুতাশ শৈল্পিকভাবে আঁকতে পেরেছেন লেখক। পুত্রকে যেখানে আটকে রাখা হয় অনেক দেন-দরবার করে পিতা সেখানে হাজির হয়। উদ্দেশ্য যে করে হোক পুত্রকে বাঁচিয়ে আনা। বৃদ্ধ পিতা সেখানে পৌঁছান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে পুত্রের হত্যা নিজ চোখে দেখতে হয়। বৃদ্ধ পিতা এখন একা। নেতা নিজেই বিমর্ষ। স্বাধীনতা আনবেন কী করে? আত্মবিসর্জনই কসাকের সত্যিকারের গৌরব। আত্মবিসর্জন কি কাজে লেগেছিল, নাকি তা হাল ছেড়ে দেওয়ার বহি:প্রকাশ, জানতে হলে পড়তে বসে যান। পড়ুন রুশ কথাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিকোলাস গোগোল রচিত দীর্ঘ নয় বছর ধরে লেখা উপন্যাস 'তারাস বুলবা'।

ষোলশ শতকে যখন পোলদের অত্যাচার চলত তখন নির্ভীক কসাকরা তার প্রতিবাদ করত। সম্ভব হলেই কক্ষনো তারা আক্রমণ করত পোলদের উপর কখনো তাতার দের উপর। তারাস বুলবা উপন্যাসের ঘটনা সেই ঐতিহাসিক পটভূমি। এর মধ্যে যুগপৎ ফুটে উথেছে যুদ্ধ ,রোমান্স ,কসাক রনোমদ্দনা আর তাঁদের স্বভাবজাত নির্মম নিষ্ঠুরতা এই নিষ্ঠুরতার রুপকে কসাক নিষ্ঠুরতাই বলা যুক্তি সঙ্গত। তারাস বুলবা উপন্যাস এর কাহিনী গড়ে উথেচজে জাপোরোজীয় সেচ এর এক বৃদ্ধ কসাক নেতাকে নিয়ে। বৃদ্ধ ক্সাক তারাস এর দুই তরুণ ছেলে এক জনের নাম অস্তাপ, অন্যজনের নাম আন্দ্রেই। কিয়েভ সেমিনারিতে রেখে তাঁদের শিক্ষিত করে তুলেছে তারাস। দুঃসাহসী পিতার যোগ্য পুত্র হয়ে উঠছে তারা ।তখন যুদ্ধ চলছিল না। কিন্তু খাটি কসাক রা তো তাই বলে বসে থাকতে পারেনা। তাঁদের একটি দল ছুটে জাচ্ছিল পোলদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ।তারাস বুলবা তাঁদের অগ্রগামী পুত্রদের নিয়ে। অভিযানে পোলদের একটা প্রধান শহর অব্রুদ্ধ হয়। এক রাতে ছোট ছেলে আন্দ্রেইকে এক দুতী গোপন সুরঙ্গ পথে নিয়ে যায় রাজ প্রসাদে। কিয়েভ এর শাসনকর্তার মেয়ে ডেকে পাঠিয়েছে আন্দ্রেইকে। তার কাছে প্রার্থনা করেছে খাদ্য। আন্দ্রেই সাড়া দেয় কিয়েভ শাসন কর্তার মেয়ের ডাকে । খাদ্য পৌছে দিয়ে আর ফিরে আসেনা সে। সুন্দরীর প্রেমে ধরা পড়ে আন্দ্রেই। ভালোবাসার জন্যে ভুলে যায় কসাকত্ব ।কিন্তু কসাক দের কাছে কসাকত্ব সবার উপ্রে। তারাস বুলবা সেই খাঁটি কসাক। কিছুদিন পর যুদ্ধের মাঠে আন্দ্রেইকে কৌশলে সামনে এনে তারাস নিজ হাতে গুলি করে বিশ্বাস ঘতক পুত্রকে। এর কিছুদিন পর পোলদের হাতে ধরা পড়ে ওপর পুত্র বীর অস্তাপ। নিষ্ঠুর অত্যাচার চালানো হয় তার উপর। কিন্তু মাথা নোয়ান না সে তবুও। পোলরা জখন তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করছে তখন গোপ্নে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। আর অনুভব করছে পুত্রের সাচ্চা কসাকত্ব। বীর তারাস বুলবা নিজেও আত্মাহুতি দেয় যাতে কসাকরা নদীপথে পালাতে পারে। আত্ম বিস্রজনেই একজন কসাকের সত্যিকারের গৌরব ।তারাস বুলবা সেই কসাকেরই প্রতীক। গোগল তারাস বুলবা উপন্যাসে যে ছবি একছেন তা সত্যেরই মূর্তরূপ