User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
faltu boi... onek dhoijjo lage porte
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর চ্যালেন্জিং উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
One of my top favorites as a kid!
Was this review helpful to you?
or
অনেক মজার এবং হাসির একটা বই, বইটা রিপ্রিন্ট করা উচিত
Was this review helpful to you?
or
This was a great book from my review (nice story , famous writers ,good cover ,famous novel
Was this review helpful to you?
or
Very nice story for children.
Was this review helpful to you?
or
If you are interested in both comedy and sci-fi genre .. this is the one.
Was this review helpful to you?
or
বাচ্চাদের উপহার দেয়ার জন্য অসাধারণ একটা বই!
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর।এমন কৌতুকপূর্ণ সায়েন্স ফিকশন গুলো দারুণ।কটমট ও গোরা সায়েন্স ফিকশন কেমন অনুবাদের মতো হয়।স্যারকে অনেক ধন্যবাদ।মজার বই উপহার দেওয়ার জন্যে।
Was this review helpful to you?
or
is it newsprint?
Was this review helpful to you?
or
Classic Zafar Iqbal writing, thoroughly entertaining fun sci-fi story. Loved reading as a kid, now sending this book as a gift to little brother.
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই..???
Was this review helpful to you?
or
my favourite list in this book ?.?love it
Was this review helpful to you?
or
টুকি ও ঝাঁয়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান- বইটির কোনো তুলনা নেই। যদিও সায়েন্স ফিকশন তবুও খুব মজার বই। বইটিতে টুকি ও ঝাঁ দুইজন দুধর্ষ চোর। প্রত্যেকবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দুইজনই পার পেয়ে যান। চোর বলে যে দুজনের মধ্যে মিল থাকবে তাও নয়। একজন মোটা তো আরেকজন চিকন। এরকম তফাত। তো একবার হিরা চুরি করতে গিয়ে তারা চলে আসে এক অদ্ভুত বিল্ডিংয়ের কাছে। বিল্ডিং তো নয় যেন এলিয়েনের ঘর। সেখানে যাওয়ার পর অর্থাৎ ভিতরে ঢোকার পর তারা আবিষ্কার করল, এটা আসলে একটা মহাকাশযান। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। মহাকাশযানটা মহাকাশেে রওনা দিয়ে দিয়েছে। মহাকাশেে গিয়ে ঘটতে লাগল অদ্ভুত আর মজার সব ঘটনা। কী ছিল সেই ঘটনা? তারা কি পরে পৃথিবীতে আসতে পেরেছিল? জানতে হলে এই বইটা পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
কিছুটা রম্য ধাঁচের সায়েন্স ফিকশন। একাধিকবার পড়া বই, এবং কৈশোরের সেই অদ্ভুত সময়ে বেশ আনন্দ নিয়েই পড়েছি এটা। টুকি এবং ঝা নামে ভবঘুরে দুই তরুণ চুরির মিশনে বের হয়েছিল এক রাতে, ঘটনাচক্রে সেখান থেকে তাদের গন্তব্য হয় অজানা মহাশূন্যে। গল্পের শুরু এভাবেই। এবং টুকি এবং ঝাঁ সেই মহাকাশযানে করে একেক গ্রহে নেমে একেক অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হয়, কখনো বিপদের মুখেও পড়ে। কিন্তু বেশ মজাদার উপায়েই তারা মোকাবেলা করে সেসবের। কখনো আবার পরিত্রাণ পায় নিতান্তই ভাগ্যচক্রে। হালকা ঘরানার লেখা, এক-দুই বসায় পড়ে ফেলার মত। তবে সময় কাটানোর জন্য বেশ উপভোগ্য কিশোর-সায়েন্স ফিকশন বলা চলে।
Was this review helpful to you?
or
Tuki o ja er ovijan Zafar Iqbal er ekti comidy science fiction. Ei golpe Zafor sir onek sundor vabe tule doresen tuki o ja er ek ovijan. ekhane tuki abong ja kivabe vibinno somoshey pore abong ta domadan kore. Er ending onek majadar ja onno kono boi e kora hoi nai.
Was this review helpful to you?
or
vinno dhoroner lekha khub vlo legeche.
Was this review helpful to you?
or
লেখক জাফর ইকবার স্যারের হাস্যরসাত্মক একটি সায়েন্স ফিকশন।অসম্ভব মজা পেয়েছি বইটি পড়ে।জায়গায় জায়গায় খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছি টুকি এবং ঝাঁ এর উল্টাপাল্টা কাজকর্ম দেখে।এই দুইজন আসলে চোর।অদ্ভুতভাবে তারা দুইজন একবার ফ্লাইং সসারে চড়ে অন্য গ্রহে চলে যায়।বিভিন্ন অদ্ভুত গ্রহে ঘুরে বেড়ায়।তবে সবচেয়ে বেশি মজা লেগেছে যখন টুকি এবং ঝাঁকে একটা গ্রহের বাসিন্দারা সেখানকার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস উপহার দেয়,,টুকি এবং ঝাঁ সেগুলোকে সোনাদান ভাবতে থাকে কিন্তু শেষমেষ দেখে সেগুলো হচ্ছে গোবর!!!
Was this review helpful to you?
or
Tuki and Za are bandits. In spite of the difference of look and behavior between them, they are really good friends. Accidently they got on a rocket spaceship and initiates the travel through space. Their different funny adventures and experienced gives the story a different hight. A very funny and enjoyable novel. Liked it very much.
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমার প্রথম দিকে পড়া বই গুলোর একটি। তখন মাত্র বই পড়া শুরু করেছি। সেই সময় শুধু রম্য বই গুলো খুজতাম। একদিন এই বইটির কথা জানতে পারি আর অদ্ভুত নামের কারণে বইটি না কিনে পারিনি। বইটি কিনতে গিয়ে আমার বাবার বেশ মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। থাক সেই সব কথা। আজ দ্বিতীয় বারের মতো বইটি পড়ে প্রথম বারের মতোই আনন্দ পেয়েছি। বইটি সম্পর্কে লেখকের বলেছেন বলেছেন,' আমার মাঝে মাঝেই সায়েন্স ফিকশন নিয়ে কৌতুক করে কিছু একটা লেখার ইচ্ছে করে, এই বইটি সেরকম একটা ইচ্ছে থেকে লেখা।' তাহলে বুঝতেই পারছেন কেমন হতে যাচ্ছে বইটি। গল্পটি টুকি ও ঝা নামের দুই চোর কে নিয়ে লেখা। ছোটখাট ছিচ্ কে চোর নয় রীতিমতো চোরের বিশেষ কলেজ থেকে পাস করা ডিপ্লোমাধারী পেশাদার চোর। দুইশ চব্বিশ ক্যারেটের হীরা চুরি করে পালানোর সময় তারা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে এক উচু ভবনে আশ্রয় নেয়। আসলে সেটা ছিল একটা রকেট! যতক্ষণে তারা বুঝতে পারলো এটা রকেট ততক্ষণে সেটা আকাশে উড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গেল টুকি ও ঝায়ের দুঃসাহসিক অভিযান। না কথাটা ঠিক মতো হলো না বলতে হ প্রায় দুঃসাহসিক অভিযান। এই অভিযানে তাদের সাথে ছিল রোবি নামে এক রোবট। এই রোবটের যন্ত্রণায় তাদের জীবণ বিষময় হয়ে উঠেছিল। রোবটের যন্ত্রণায় তারা ঠিক মতো ঝগড়া ও করতে পারছিল না। প্রত্যেকবার তারা একে অপরের উপর রেগে উঠতেই রোবি গলায় তার যান্ত্রিক ধরনের আনন্দ ঢেলে,"কী চমৎকার! কী চমৎকার! আপনারা নিশ্চয়ই রাগ করছেন। আমি শুনেছি মানুষের রাগের প্রথম পর্যায়ে নাকি একে অন্যের সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য করে। সেগুলো নাকি শুনতে খুব ভালো লাগে।রাগারাগির দ্বিতীয় পর্যায়ে নাকি একজন অন্যজনের নাকে হাত দিয়ে আঘাত করে। সেটি দেখলে নাকি অনেক আনন্দ হয়। কখন আপনার একে অন্যকে আঘাত করবেন?" এইভাবেই গল্প চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বলা যায় তারা কি ফিরতে পারবে পৃথিবীতে? জানতে হলে দ্বিতীয় বার পড়তে হতে পারে বইটি। গল্পের একটি অংশ বেশ মজা লেগেছে আমার মনে হয় এই অংশটি মেয়েদের খুব ভালো লাগবে। টুকি ও ঝা একটি গ্রহে নামে সেখানে পুরুষরা ঘর সংসার করে। রান্নাবান্না করে সন্তান লালনপালন করে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো পুরুষরা বোরকা আড়ালে থাকে। আমাদের নিয়ম উল্টো হয়ে গেছে সেখানে। সেখানে বখে যাওয়া মেয়েরা ছেলেদের ইভটিজিং ও করে। আরো অনেক মজার কিছু পাবেন বইতে। তো আর দেরি করে পড়া শুরু করুন। «‹‹পড়া হোক সুখময়››»
Was this review helpful to you?
or
বই : টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান। লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল। মূল্য : ১০০ টাকা। পৃষ্ঠা : ৮০। প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ। প্রকাশনী : অনুপম প্রকাশনী। কাহিনী সংক্ষেপ : তোমরা কী কখনও পিএইচডিধারী চোরের কথা শুনেছো? কি বিশ্বাস হচ্ছে না! তবে আসো পরিচিত হই টুকি ও ঝায়ের সাথে। তারা চোরের স্কুল থেকে রীতিমতো ডিপ্লোমা করা চোর। একেবারে পুলিশের টপ লিস্টেড চোর দুজনে। যদিও তাদের চুরির ধরন কিছুটা ভিন্ন, মানে তারা ডকুমেন্টস, সফটওয়্যারের মত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। কিন্তু হঠাৎ তারা সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২২৪ ক্যারোটের হীরা চুরি করে বসে। পুলিশের হাত ধরা পড়তে পড়তেও শেষ পর্যন্ত পালিয়ে জংলা মতন এক জায়গায় চলে যায় ওরা। জংগলের মাঝখানের রহস্যময় এক দালান দেখে সেই বাড়িতে প্রবেশ করে দুজন বয়স্ক লোক কে দেখতে পায় ওরা। টুকির কথামত ঝা ওদের দালানের বাইরে রেখে আসতেই মৃদু গর্জন শুনতে পায় ওরা। কিছুক্ষণ পর ওরা যখন টের পেল, দালানটি আসলে একটি মহাকাশযান, তখন ওদের আর কিছুই করার ছিলনা। মহাকাশযানে ওদের অপর সংগী একটা রোবি নামের এক রোবট। এরপর শুরু হলো ওদের মহাশূণ্যের পথে যাত্রা। নানান নক্ষত্রপুঞ্জের নানান গ্রহে ওরা ঘুরতে লাগল। আর একেক গ্রহে একেকরকম মজার মজার কাহিনী ঘটতে থাকে। কোথাও ওদেরকে রোবোটদের হাসতে শেখাতে হলো, আবার কোথায় গিয়ে দেখতে পেলো মেয়েরা বাইরের কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে, আর পুরুষেরা ঘরে বসে পর্দা করছে। হীরার গ্রহে পৌঁছালে গ্রহবাসী যখন জানতে পারলো তারা হীরা চুরি করছে, তখন তো তারা বিশ্বাসই করতে পারছিলো না। এমনই মজার মজার ঘটনার মধ্য দিয়েই চলতে লাগলো। আচ্ছা তোমাদের কী জানতে ইচ্ছে হয় না, শেষ পর্যন্ত ওরা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পেরেছিল কী না? কী ঘটলো দুই ডিগ্রীধারি পেশাদার চোর টুকি এবং ঝায়ের সাথে? জানতে চাও? তবে তো পড়ে ফেলতে হবে অতন্ত মজার এই কিশোর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটি। পাঠ আলোচনা : মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন মানেই দারুণ কিছু! কী তাই না? যারা সায়েন্স ফিকশন পড়তে পছন্দ করে তাদের কাছে তো অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতন অবস্থা! কিশোর উপন্যাস হলেও সব বয়সীদেরই পড়ার উপযোগী। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশনের সবচাইতে ভাল দিকটি হলো সহজ ভাষায় লিখনি। কল্পকাহিনী হলেও বইতে অনেক ধরণের বিজ্ঞানের জ্ঞান বিদ্যমান থাকে। টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান বইয়ের প্রায় প্রতিটি পাতাতেই পাঠকের হাসির উদ্রেক ঘটবে। তাহলে আর দেরি কেনো? চাইলে আজই পড়ে ফেলতে পারো টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান নামের এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
বইঃটুকি ও ঝায়ের(প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। প্রকাশনী - অনুপম প্রকাশনী। ধরন- সায়েন্স ফিকশন। দাম - ৯০/ অনেকটা হাস্যরসাত্মক সায়েন্স ফিকশন। সাধারণ সায়েন্স ফিকশনের শুরুই যখন হয় বিশাল এক ল্যাবে পড়ে থাকা বিজ্ঞানী নিয়ে সেখানে এই লেখার শুরু সিনটেথিক বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা দুজন ডিপ্লোমাধারী চোরকে দিয়ে। টুকি এবং ঝা। দুজন চোর।সায়েন্স ফিকশন এমন মজার ও হতে পারে।এটি লেখকের একটি লঘু সায়েন্স ফিকশন। টুকি ও ঝা দুই ছিচকে চোর।টুকি বদরাগী,হঠাৎ ই ক্ষেপে যায়।কিন্তু তার শরীর শুকনো কাঠির মতো।গায়ে মাংসের বালাই নেই।অপরদিকে ঝা ছোটখাটো পাহাড়। জাফর ইকবাল স্যারের ভাষায় তাদের দুজনকে যোগ করে গড় করা হলে দুটো পূর্ণাঙ্গ মানুষ পাওয়া যাবে। বিশাল এক অপারেশন শেষে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দুজন আশ্রয় নেয় ১৮০ তলার বিল্ডিংএ। আর বিল্ডিং থেকে বের করে দেয় দুজন মানুষ রিচি এবং ফ্রাউলকে। যারা ছিলেন অস্ত্রবিজ্ঞানী। বিপত্তির শুরু যখন তারা জানতে পারে এই বিল্ডিংটার টয়লেট উল্টো করে ঝুলানো। তারা তাদের মাথা খাটিয়ে বের করে এটা মহাকাশযান। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি করে ফেলেছে তারা। এক অপারেশন শেষে পালাতে গিয়ে তারা নেমে যায় আরেকটি (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযানে। যেখানে তাদের সঙ্গী হাবাগোবা রোবট 'রোবো' .. বিভিন্ন গ্রহ আর বিভিন্ন অভিযান। কখনো রোবটদের হাসাতে শেখা, কখনো রিচি ও ফ্রাউলের বেশে যুদ্ধ করা, কখনো নারীবাদী সমাজে আশ্রিত হওয়া সবশেষে একদিন তারা পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু তখনই তাদের সামনে চলে আসে বিটকেলে একটা তথ্য। কি হয়েছিল টুকি এবং ঝা এর সাথে? জানার জন্য নিশ্চয় বইটা সংগ্রহ করা লাগবে। পাঠ প্রতিক্রিয়া - প্রচলিত অর্থে যে সায়েন্স ফিকশন তার থেকে খানিক সরে এসেই বইটা লিখেছেন ড.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। রম্য এবং সায়েন্স ফিকশন দুটো মোটামুটি দু'মাথার বিষয় হলেও তাদের নিয়ে মালা গাঁথবার সাহস দেখিয়েছেন স্যার। আর সেক্ষেত্রে স্যারের মার্ক অবশ্যই দশে বার। বইয়ের প্রতিটা পাতায় যেমন হাসি ছিল, ছিল উৎকন্ঠাও। এরপর কি হবে, এরপর কি হবে এমন একটা ভাব জাগিয়েছিলেন প্রথম লাইনে। যার শেষ কখনোই হয়নি। আমার নিজের কাছে বইটা অনেক কিছুই। মন খারাপের বিকেল বলুন বা বিরক্তিকর অপেক্ষা কিংবা ইনসোমনিয়ার রাত 'টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান' সবসময় আপনার পাশে থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
বই: টুকি এবং ঝায়ের(প্রায়) দু:সাহসিক অভিযান লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: 120 টাকা ধরন: সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনা: অনুপম প্রকাশনী সায়েন্স ফিকশন মানেই গুরুগম্ভীর কাঠখোট্টা বই,কঠিন কঠিন নাম, রোবট ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু টুকি এবং ঝায়ের(প্রায়) দু:সাহসিক অভিযান সম্পুর্ন রূপে আলাদা ...। টুকি এবং ঝা, ডিপ্লোমাধারী চোর, চোরের কলেজ থেকে পাস করা, আহারে চোরের কলেজ! টুকি শুকনো কাঠির মত, মেদ-চর্বিহীন। অন্যদিকে ঝা টুকির মেদ চর্বি নিজের শরীরে নিয়ে নিয়েছে, পাহাড়ের মত বিশাল আর ঝাঁটার মত গোঁফ , আবার বুদ্ধির অংশে টুকির বলতে গেলে একছত্র আধিপত্ত... কি অবস্থা... টুকি বেশ রাশভারি মানুষ, সন্দেহপ্রবন, অন্যদিকে ঝা, যেকোনো ব্যাপারে বিশাল বপু দুলিয়ে হাসে্ হাহাহ করে। তো আমাদের এই চোর বাবাজিরা বেশ নামিদামি চোর, ইন্টার গ্যালাক্টিক বুলেটিন বোর্ডে তাদের নাম পরিচয় প্রায় ছাপা হয়, পুলিশের তাড়া খেয়ে তারা রোজ এদিকে সেদিক পালিয়ে বেড়ায়। চুরির সাহায্যে জন্য এদের নানা কায়দা, নানা সরঞ্জাম...। তো একদিন এরক্ম চুরি করতে গিয়ে ২৯৪ তলা বিল্ডিং ১৮২ তলায় এসে ঝা এর বাথরুম পেয়ে গেল, ইস কি বিপদ!! তো বাথরুম খুঁজতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত দুজন আশ্রয় নেয় ১৮০ তলার বিল্ডিংএ। আর বিল্ডিং থেকে বের করে দেয় দুজন মানুষ রিচি এবং ফ্রাউলকে। কারা ছিলেন এই দুইজন?? কিন্তু তাদের মহাবিপত্তির শুরু যখন তারা জানতে পারে এই বিল্ডিংটার টয়লেট উল্টো করে ঝুলানো। অনেক্ষন পড়ে তারা মাথা খাটিয়ে বের করে এটা মহাকাশযান। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে, পালাতে গিয়ে তারা নেমে যায় আরেকটি (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযানে। এই মহাকাশ জানে তাদের সঙ্গে হাবাগোবা যেখানে তাদের রোবট 'রোবো' . শুরু হয় তাদের অভিযান , দুঃখিত (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান। প্রথমে এম সেভেন্টি ওয়ান এর মতো দুধর্ষ গ্রহ,এরপর রোবটদের উপগ্রহ যেখানে তারা রোবটদের হাসতে শেখায় তাদের ।এরপর অন্য একটি গ্রহ যেখানে পুরুষরা পর্দা করে চলে আর নারী তার ঠিক উলটো ।এরপর নানা গ্রহ ঘুরে ফিরে, নিজের গ্রহে কি ফিরতে পারবে আমাদের টুকি এবং ঝা।। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া ঃ সাধারণ অর্থের সাইফাই এর বাইরের একটি বই, প্রতিটা লাইন বেশ মজার,হাসির। মন খারাপ থাকলে মুহূর্তে মন ভালো হয়ে যাবে, তবে টুকি এবং ঝা যে ধরণের খাবার কথা বলে শুনলে হাসব না কাঁদব বুঝিনি।। বইটি সাধারণ ধারার বাইরে বলে সাইফাই লাভার দের ভাল লাগবে, কিন্তু এটা অনেকের কাছে নাকি পছন্দের না, ফ্লাপের কথাগুলো পড়লেই বইটা পড়ার ইচ্ছা হবে, এরকম আলাদা সাইফাই আরো দরকার, মাথা বই পড়তে পড়তে ভার হয়ে গেলে, কিংবা রিডার্স ব্লকে পড়লে মুক্তির জন্য এই বইটা পড়তে পারেন। প্রিয় বইয়ের তালিকা তে আছে। রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান লেখক:মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ :সায়েন্স ফিকশন মুল্য:১২০ টাকা প্রকাশক:অনুপম প্রকাশনী কাহিনী সংক্ষেপে:সায়েন্স ফিকশন মানেই যে কাঠখোট্টা হতে হবে তা নয়।সায়েন্স ফিকশন এমন মজার ও হতে পারে।এটি লেখকের একটি লঘু সায়েন্স ফিকশন। টুকি ও ঝা দুই ছিচকে চোর।টুকি বদরাগী,হঠাৎ ই ক্ষেপে যায়।কিন্তু তার শরীর শুকনো কাঠির মতো।গায়ে মাংসের বালাই নেই।অপরদিকে ঝা ছোটখাটো পাহাড়। কিন্তু সে মোটেও টুকির মতো কাঠখোট্টা নয় যেকোনো দৃশ্যে সে গা দুলিয়ে হাসতে থাকে।শৈশবে তারা উত্তেজক জিনিসপাতি চুরি করেছে।কিন্তু এখন তারা একটি বড় দাও মেরে চুরি ছেড়ে দিয়ে বাকি জীবন অন্য একটি গ্রহে কাটিয়ে দিতে চায়।তাই তারা পরিকল্পনা করে হীরা চুরি করতে যায়।সব ঠিকই চলছিল কিন্তু হঠাৎ পালানোর সময় ঝায়ের বাথরুম পেয়ে যায়।ততক্ষণ এ সিকিউরিটি সিস্টেম খবর পেয়ে যায়।পালাতে পালাতে তারা একটি জংলা স্থানে এসে পড়ে।হঠাৎ সেখানে অদ্ভুত এক দালান দেখতে পায় তারা।ভেতরে ঢুকে তারা ভেতরের মানুষ দুটিকে বাইরে ফেলে দেয়।আসলে এই অদ্ভুত দালান আসলে মহাকাশযান কিন্তু টুকি ও ঝা যখন বুঝতে পারল ততক্ষণ এ দেরি হয়ে গেছে।মহাকাশযান চালু হয়ে গেছে।মহাকাশযান এ তিনজন টুকি,ঝা এবং রোবট রোবি।এরপর প্রথমে এম সেভেন্টি ওয়ান এর মতো দুধর্ষ গ্রহ,এরপর রোবটদের উপগ্রহ যেখানে তারা রোবটদের রসিকতা শেখায়।এরপর অন্য একটি গ্রহ যেখানে পুরুষরা পর্দা করে চলে আর নারী তার ঠিক উলটো।এরপর আরেকটি।কিভাবে নিজের গ্রহে ফিরে আসবে টুকি ও ঝা।জানতে পড়ে ফেলুন এই মজাদার সাই-ফাই পাঠ প্রতিক্রিয়া:অসম্ভব মজার একটি সায়েন্স ফিকশন। গুরুগম্ভীর পাঠকরা পছন্দ নাও করতে পারেন।কিন্তু আমার কাছে বেশ মজাদার লেগছে।আমার রেটিং ৪/৫ রকমারি লিংক:https://www.rokomari.com/book/8404/টুকি-এবং-ঝায়ের-(প্রায়)-দুঃসাহসিক-অভিযান
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই: টুকি এবং ঝায়ের(প্রায়) দু:সাহসিক অভিযান লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: 120 টাকা ধরন: সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনা: অনুপম প্রকাশনী সায়েন্স ফিকশন মানেই গুরুগম্ভীর কাঠখোট্টা বই, যদি এধরনের ধারণা পাঠকের হৃদয়ে গেথে থাকে, তাহলে এই বই আপনার সেই ধারণা সমূলে উৎপাটন করে দিবে। লেখক এই বইয়ে ঠাট্টা, রস-রসিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। এ বইয়ের রিভিউ: এ উপন্যাসের মুল নায়ক টুকি এবং ঝা পেশাদার চোর।তারা চুরি করে অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে, অনেক টেকনলোজির মাধ্যমে। একবার চুরি করতে গিয়ে ধরা পরার উপক্রম হলে, তারা পালিয়ে যায়। তারা লুকিয়ে লুকিয়ে এসে একটি মহাকাশযানে ঢুকে পরে। মহাকাশযান টি মহাকাশে যাওয়ার আগ মুহুর্তে তারা সেখানকার মহাকাশচারীকে অজ্ঞান করে বের করে দেয়। তারা বুঝতেই পারে নি এটা একটা মহাকাশযান। এরপর মহাকাশযান মহাকাশে রওয়ানা দেবার পরেই তারা বুঝতে পারে, তারা কী ভুলটাই না করে ফেলেছে। এর পরেই কাহিনী এগিয়ে ছে নানান ঘটনাকে কেন্দ্র করে। টুকি এবং ঝা কী পারবে পৃথিবীতে ফিরে আসতে? পাঠপ্রতিক্রিয়া: লেখকের এ উপন্যাস নানান ধরনের মজার মজার রসিকতায় পুর্ণ থাকলেও এটা কোনোভাবেই ভাড়ামো নয়, যাই হোক পড়তে বেশ আরাম পাওয়া গিয়েছে। আমার কাছে এর রেটিং 3.5/৫
Was this review helpful to you?
or
'কিলিয়ে ভর্তা বানানো মানে হল আদর যত্নে রাখা' লাইনটা একটা সাই-ফাই থেকে নেয়া। বিশ্বাস করা একটু কঠিনই বটে। সাধারণ সায়েন্স ফিকশনের শুরুই যখন হয় বিশাল এক ল্যাবে পড়ে থাকা বিজ্ঞানী নিয়ে সেখানে এই লেখার শুরু সিনটেথিক বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা দুজন ডিপ্লোমাধারী চোরকে দিয়ে। টুকি এবং ঝা। দুজন চোর। জাফর ইকবাল স্যারের ভাষায় তাদের দুজনকে যোগ করে গড় করা হলে দুটো পূর্ণাঙ্গ মানুষ পাওয়া যাবে। বিশাল এক অপারেশন শেষে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দুজন আশ্রয় নেয় ১৮০ তলার বিল্ডিংএ। আর বিল্ডিং থেকে বের করে দেয় দুজন মানুষ রিচি এবং ফ্রাউলকে। যারা ছিলেন অস্ত্রবিজ্ঞানী। বিপত্তির শুরু যখন তারা জানতে পারে এই বিল্ডিংটার টয়লেট উল্টো করে ঝুলানো। তারা তাদের মাথা খাটিয়ে বের করে এটা মহাকাশযান। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি করে ফেলেছে তারা। এক অপারেশন শেষে পালাতে গিয়ে তারা নেমে যায় আরেকটি (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযানে। যেখানে তাদের সঙ্গী হাবাগোবা রোবট 'রোবো' .. বিভিন্ন গ্রহ আর বিভিন্ন অভিযান। কখনো রোবটদের হাসাতে শেখা, কখনো রিচি ও ফ্রাউলের বেশে যুদ্ধ করা, কখনো নারীবাদী সমাজে আশ্রিত হওয়া সবশেষে একদিন তারা পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু তখনই তাদের সামনে চলে আসে বিটকেলে একটা তথ্য। কি হয়েছিল টুকি এবং ঝা এর সাথে? জানার জন্য নিশ্চয় বইটা সংগ্রহ করা লাগবে। . পাঠ প্রতিক্রিয়া - প্রচলিত অর্থে যে সায়েন্স ফিকশন তার থেকে খানিক সরে এসেই বইটা লিখেছেন ড.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। রম্য এবং সায়েন্স ফিকশন দুটো মোটামুটি দু'মাথার বিষয় হলেও তাদের নিয়ে মালা গাঁথবার সাহস দেখিয়েছেন স্যার। আর সেক্ষেত্রে স্যারের মার্ক অবশ্যই দশে বার। বইয়ের প্রতিটা পাতায় যেমন হাসি ছিল, ছিল উৎকন্ঠাও। এরপর কি হবে, এরপর কি হবে এমন একটা ভাব জাগিয়েছিলেন প্রথম লাইনে। যার শেষ কখনোই হয়নি। আমার নিজের কাছে বইটা অনেক কিছুই। মন খারাপের বিকেল বলুন বা বিরক্তিকর অপেক্ষা কিংবা ইনসোমনিয়ার রাত 'টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান' সবসময় আপনার পাশে থাকবে। এক নজরে - বই - টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান। লেখক - মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। প্রকাশ - অনুপম প্রকাশনী। জনরা - সায়েন্স ফিকশন। দাম - ৯০/- (রকমারি ডট কম) রেটিং - ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
best book
Was this review helpful to you?
or
দারুন বই
Was this review helpful to you?
or
Simply awesome......
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বই:টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান লেখক:মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশন:অনুপম প্রকাশনী মূল্য:১২০ টাকা রিভিউ:টুকি এবং ঝা দুজনকে মিলিয়ে মোটামুটি একটা মানুষ বানানো যায়!টুকি কাঠির মত চিকন শরীরে কোন মাংস নেই আর ঝা হল ছোটখাটো একটা পাহাড়! এরা দুজনেই চোর!যেই সেই চোর নয়,চোরের বিশেষ কলেজ থেকে পাশ করা ডিপ্লোমাধারী পেশাদার চোর!!!যাই হোক মূল কথায় আসি; টুকি এবং ঝা সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে হীরা চুরি করে পালাতে গিয়ে দালান মনে করে ভুলে একটা মহাকাশযানে ঢুকে পড়ে,মহাকাশযানে ঢুকার সময় তারা ওই মহাকাশযানে করে যেই দুজন বিজ্ঞানীর যাওয়ার কথা ছিল অস্ত্রবিজ্ঞানী রিচি এবং ফ্রাউল তাদের কাছে ধরা পরে যায় তখন তারা ট্রাঙ্কুয়ালাইজার গান দিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়। তারপরে শুরু হয় আসল ইতিহাস। ওই মহাকাশযানটা তখন টেক অফ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিকে মহাকাশযানে থাকা রোবট 'রোবি' টুকি এবং ঝাকে নিয়ে রওনা দেয় সৌরজজগতের পাশেরই গ্যালাক্সি এম সেভেন্টিওয়ানে মানুষের তৃতীয় কলোনীতে ভ্রমণের জন্য। সৌরজগত থেকে হাইপার ডাইভ দেবার দুই সপ্তাহ পর এম সেভেন্টিওয়ান নক্ষত্রপুঞ্জের সবচেয়ে বিদ্রোহি এবং যুদ্ধবাজ দলটি তাদের মহাকাশযানটি একটা বিচিত্র গ্রহে নামিয়ে ফেলে। দলটির নেতা যেখন তাদের অস্ত্রবিজ্ঞানী রিচি এবং ফ্রাউল মনে করে অভিবাদন জানাল তখন টুকি এবং ঝা অসম্মতি জানিয়ে বলে আমরা বিজ্ঞানী রিচি এবং ফ্রাউল নই আমাদের নাম টুকি এবং ঝা। এরপর বিদ্রোহী দলের নেতা তাদের নাকের লোম ছেড়ার হুমকি দিলে টুকি এবং ঝা উপায় না দেখে তাদের চুরি করে আনা হীরা দলপতিকে দেখায়। দলপতি তাদের জানায় যেই গ্রহ পুরোপুরি হীরে দিয়ে তৈরি সেই গ্রহে চুরি করা হীরে দেখিয়ে লাভ নেই! দলপতি তখন তাদের বলে তাহলে তোমাদের কোন প্রয়োজন নেই তোমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো যুদ্ধে আহত সৈনিকদের শরীরে প্রতিস্থাপন করি। তারা ভয়ে স্বীকার করে যে তারা রিচি এবং ফ্রাউল তখন দলপতি তাদের ফেডারেশনের যুদ্ধে লাগিয়ে দেয়। তারা অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিটা ধাপে সফল হয়ে যুদ্ধে জয়ী হয়! বিদ্রোহী দলের দলপতি খুশি হয়ে টুকি এবং ঝায়ের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে তাদের সকল বিদ্যা বুদ্ধি তার দলের সকল সদস্যের মাথায় বসিয়ে দিয়ে টুকি এবং ঝাকে বিদায় জানায়। এদিকে বিদ্রোহী দলের দলপতি কখনো রহস্যভেদ করতে পারল না যে কেন তার দলের সকল সদস্য কেন ছিচকে চোর হয়ে গেল...! এভাবে বিভিন্ন গ্রহে গিয়ে তারা বিভিন্ন কান্ডকারখানা করতে থাকে। এক গ্রহে যায় তারা যেই গ্রহের রোবট বাসিন্দারা রাগ করতে জানে না-দুঃখ পেতে জানে না-আনন্দ পেতে জানে না-ঘৃণা করতে জানে না-ভালোবাসতে জানে না-হাসতে জানে না-কাদতে জানে না অর্থাৎ কোন অনুভূতিই নেই তাদের মধ্যে কিন্তু তারা এসব অনুভূতি রোবটদের মাঝে দিতে বেশ অনেকটা সফলই হয়েছে শুধু হাসার অনুভূতি নিয়ে ভেজাল হচ্ছে। টূকি ও ঝা তাদের অনেক কষ্ট করে হাসতে শেখায়। তারপর তারা মহাকাশযানের রোবট রোবির কপোট্রনে বিভিন্ন অনুভূতি ঢুকিয়ে দিয়ে বিদায় জানায়। এরপর তারা অন্য একটি গ্রহে যায় যেখানে মেয়েরা বাইরে ঘোরাঘুরি করে আর ছেলেরা ঘরে বসে পর্দা করে!!সেখানে দুজন মধ্য বয়স্ক মহিলা তাদের বিয়ে করতে চায়। তারা টুকির গোঁফ কেটে দেয় এবং ঝায়ের চুল কেটে দেয়। তখন কোনমতে দুজনে ওই গ্রহে ছেড়ে পালিয়ে আসে। এই গ্রহ থেকে ফিরে আসার সময় তারা মহাকাশ দস্যুদের ফাদে ধরা পরে যায়। মহাকাশ দস্যুরা ঝাকে ধরে তাদের গ্রহে নিয়ে যায়। ওই গ্রহে আবার সবার নাকের জায়গায় শুঁড়। ঝায়ের যেহেতু শুড় নেই তাই তারা ঝাকে চিড়িয়াখানায় বন্দি করল। চিড়িয়াখানায় তাকে যারা দেখতে আসে তাদের ঝায়ের প্রতি মায়া হয়। তারা ঝাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে। এরপর তাদের বিচার বিভাগ আইন অনুযায়ী ঝাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু ওই গ্রহের বাসিন্দারা ঝাকে একটা শুঁড় লাগিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে। ঝায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা ঝাকে জোর করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সায়। তখন ঝাকে বাচানোর জন্য টুকি এবং রোবি নার্স ও ডাক্তার সেজে ঝায়ের শুঁড় লাগানোর জায়গায় প্লাস্টিকের শুঁড় আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা বিদায় সম্ভাষণ জানিয়ে ওই গ্রহ থেকে ফিরে আসে। এই গ্রহ থেকে ফিরে আসার সময় তারা মানুষের শেষ কলোনিতে যায়। যেই গ্রহে কোন চোর নেই ডাকাত নেই পুলিশ নেই শান্তিপূর্ণ একটি গ্রহ। প্রথমে টুকি এবং ঝা যেতে চায় না কিন্তু যখন রোবির কাছে শুনল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে অমূল্য ঐশ্বর্যগুলো রয়েছে এই গ্রহে তখন টুকি ও ঝা ডাকাতি করার পরিকল্পনা করল। কাজেই কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা স্কাউটশীপ নিয়ে ওই গ্রহে রওনা করল। তারা আবিষ্কার করল এই গ্রহের উপরে কোন মানুষ বসবাস করে না সবাই গ্রহের ভেতরে বসবাস করে কেননা গ্রহটি এত ছোট যে এর কোন বায়ুমণ্ডল নেই আর মধ্যাকর্ষণ বলতে গেলে নেই তাই গ্রহের ভেতরে থাকলে সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের কারণে কিছুটা মধ্যাকর্ষণ অনুভব হতে পারে! আর গ্রহটা ঘুটঘুটে অন্ধকার কিছুই দেখতে পাচ্ছে না টুকি ও ঝা। রোবি তার ইনফ্রারেড রে দেখতে পাওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা গ্রহের ভেতরে ঢুকার জন্য সুরঙ্গ পেয়ে যায়। টুকি এবং ঝা সুরঙ্গ দিয়ে রওনা দেয় মাথায় হেড লাইট লাগিয়ে। ভেতরে হাটতে হাটতে তারা গোলক ধাধায় পরে হারিয়ে যায় এদিকে আস্তে আস্তে তাদের মাথার হেড লাইটও নিস্তেজ হয়ে গেল। তারা বিপদে পরে গেল। টুকি বলল-''চিন্তার বিষয় হল'' তখন হঠাৎ কে যেন বলে উঠল-''চিন্তার কোন ব্যাপার নেই। আমরা আছি না?'' তখন টুকি ও ঝা ওই গ্রহের বাসিন্দাদের সাথে পরিচিত হল। তারা জানতে পারল এই গ্রহের বাসিন্দারা আলোতে কিছু দেখতে পায় না। তারা ইনফ্রারেড আলো দেখতে পায়। তারা টুকি ও ঝাকে খুবই যত্নের সাথে অতিথিয়েতা করে। তারা টুকি এবং ঝাকের তাদের গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখায়। ফিরে আসার সময় তারা টুকি ও ঝাকে তাদের গ্রহের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ দশ কেজি উপহার দেয়। টুকি ও ঝা যেহেতু চোর তাই তাদের কাছে সোনা-দানার চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। তারা মনে করল তাদের নিশ্চই দশ কেজি সোনা-দানা দিয়েছে! তারা খুশি হয়ে গেল এই ভেবে যে তাদের ডাকাতি করার পরিকল্পনা একেবারে বৃথা যায় নি! উপহার নিয়ে তারা যখন মহাকাশযানে ফিরে আসল তখন তারা রোবিকে জানাল এই গ্রহের মানুষেরা তাদের গ্রহের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তাদের দশ কেজি উপহার দিয়েছে। রোবি জানাল যে সে এই গ্রহের উপর পড়াশোনা করে জানতে পেরেছে এই গ্রহের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল গরু নামক চতুষ্পদ প্রাণীর বিষ্ঠা অর্থাৎ গোবর! টুকি ও ঝা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাক্সটা খুলে অবাক হয়ে গেল। তারা এই গ্রহ থেকে ঘারে করে দশ কেজি গোবর নিয়ে এসেছে! এরপর তারা এম সেভেন্টিওয়ান থেকে হাইপার ডাইভ দেয় সৌরজগতের উদ্দেশ্যে। সৌরজগতে পৌছে রোবি আবিষ্কার করল গ্রহগুলোর অবস্থান যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই। তারা রোবির কাছে আজকের তারিখটা জানতে চাইল। রোবি তারিখটা বলতেই ঝা চমকে উঠল বলল- ''অসম্ভব'' ''ঐ তারিখে আমরা পৃথিবীতে ছিলাম চুরি করতে গিয়েছিলাম সেন্ট্রাল ব্যাংকে'' অর্থাৎ তারা অতীতে চলে এসেছে! তখন হঠাৎ করে মহাকাশযানটা প্রচণ্ডভাবে কাপতে শুরু করল। মহাকাশযানটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোথাও বিধ্বস্ত হল। এর যা হয় তা হল গল্পটা আবার অতীত থেকে শুরু হয় অর্থাৎ গল্পটা আবার গোড়া থেকে শুরু হয়! তাই লেখক বইয়ের শেষে লিখে দেয় যে- ''(উৎসাহী পাঠকেরা ইচ্ছে করলে আবার বইয়ের গোড়া থেকে শুরু করতে পারেন!)''। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এই সায়েন্স ফিকশন টা খুব মজার এবং হাস্যকর একটা সায়েন্স ফিকশন যেটা টুকি এবং ঝা নামের দুজন বোকা চোরের একটা (প্রায়) দঃসাহসিক অভিযান নিয়ে লেখা।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ- টুকি এবং ঝা, ডিপ্লোমাধারী পেশাদার চোর, চোরের বিশেষ কলেজ থেকে পাস করা চোর। ইন্টার গ্যালাক্টিক বুলেটিন বোর্ডের খুব পরিচিত ব্যক্তি তারা। পুলিশ সব সময় তাদের হন্যে হয়ে খোঁঁজাখুঁজি করলেও তারা পুলিশের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থেকে নিজেদের সবসময় রক্ষা করে চলেছে। টুকি এবং ঝা দুইজনকে মিলিয়ে মোটামুটিভাবে একজন পুরো মানুষ তৈরী করা যায়। টুকি শুকনো কাঠির মত, মেদ-চর্বিহীন। অন্যদিকে ঝা দেখতে ছোটখাট পাহাড়ের মতন। সে টুকির মেদ চর্বি নিজের শরীরে নিয়ে নিয়েছে। এমনকি গোঁফ, বুদ্ধি শুদ্ধির ব্যাপারগুলোও দুইজনের মাঝে ঠিক করে ভাগাভাগি করা হয় নি, দুটোই ঝায়ের বেশ কম পড়েছে আর সেটুকু টুকি সুন্দরভাবে পুষিয়ে নিয়েছে। শৈশবে টুকি ও ঝা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের প্লুটোনিয়াম বা প্রতিরক্ষা দফতরের সফটওয়্যার চুরি করে হাত পাকিয়েছে। যৌবনে আন্তঃগ্যালাক্টিক সন্ত্রাসী দলের জন্য পারমাণবিক বোমা চুরি করেছে। এখন দুই জনই মধ্যবয়স্ক। ইদানিং মূল্যবান রত্নের দিকে তাদের বেশি ঝোঁক। এবার তারা ঠিক করলো একটা বড় ধরনের চুরি করে চুরি ছেড়ে দিয়ে বাকি জীবন মঙ্গল গ্রহে কাটিয়ে দিবে। তাই তারা পরিকল্পনা করে হীরা চুরি করার। যেই পরিকল্পনা সেই কাজ। কিন্তু ২৯৪ তলা বিল্ডিং-এ ১৮২ তলায় চুরি করতে গিয়ে পালানোর সময় হঠাৎ ঝায়ের বাথরুম পেয়ে যায়। ঝা হন্যে হয়ে বাথরুমের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। পালাতে পালাতে তারা একটি ছোটখাটো জঙ্গলে এসে পড়ে। হঠাৎ সেখানে অদ্ভুত এক বাড়ি দেখতে পায় তারা। বাঁচার জন্য বাড়ির ভেতর ঢুকে তারা ভেতরের মানুষদের বাইরে ফেলে দেয়। তার পর হঠাৎ কাপতে থাকে বাড়িটা। আর তারা বুঝতে পারে যে এটা আসলে বাড়ি না, একটা মহাকাশযান!!!!! মহাকাশযান চালু হয়ে গেছে। মহাকাশযানে টুকি ঝা আটকা পড়ে যায়। তাদের সাহায্য করার জন্য ছিলো রোবট রোবি। এরপর শুরু হয় তাদের দুঃসাহসিক অভিযান। প্রথমে এম সেভেন্টি ওয়ান এর মতো দুধর্ষ সন্ত্রাসী গ্রহ তারপর রোবটদের উপগ্রহ যেখানে তারা রোবটদের হাসাহাসি শেখায়। এরপর অন্য একটি গ্রহ যেখানে পুরুষরা পর্দা করে চলে আর নারীরা বাহিরে কাজ করে। এরপর আরেকটা গ্রহ। এভাবেই চলতে থাকে তাদের অভিযান। কিন্তু তারা ফিরে আসতে চায় তাদের গ্রহে! পৃথিবীতে!! তারা কি পারবে ফিরে আসতে? নাকি আরো বড় কোনো বিপদ তাদের জন্য অপেক্ষা করছে? ব্যক্তিগত মতামতঃ জাফর ইকবাল স্যারের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী গুলো আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে। কিন্তু এবার তার একটা ব্যতিক্রমী গল্প পড়ে তার লেখার আরো ভক্ত হয়ে গেছি। অসাধারণ ছিলো গল্পটা। সেই সাথে অনেক মজার এবং হাসির। ছিলো প্রত্যেকটা গ্রহের আলাদা আলাদা মজার ঘটনা। অনেক সুন্দর একটা বই। পড়ে খুব ভালো লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
Boiti pore pathok harie jaben, kokhono mohakashe, kokhono ochena grohe. Aei biotite "Jafar Iqbal", sir notun Kichu lekhar cheshta korechen.
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি আমার পড়া সবচাইতে মজার বই ।বইটিতে সাইন্স ফিকশনের আদলে অনেক মজার একটি কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ।আমার কাছে বইটি এত ভালো লেগেছে যে মনে হচ্ছে বইটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি ।কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয় ।তাই সারমর্মটুকু আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম ।এটা পড়ে আপনি ঠিক বইটির মজা পাবেন না ।তাই একেবারে বইটি পড়া সবচেয়ে ভালো ।তবুও একটু জেনে নিন বইটি কাহিনীটা কি রকম । এ গল্পে টুকি ও ঝা দুইজন চোর ।তবে যেমন তেমন চোর নয়, রীতিমত পাস করা ডিগ্রী ধারী চোর ।তাই তাদের চুরির ধরন গরনও হয়তো একটু ভিন্ন । তারা চুরি করে মূল্যবান সফটওয়ার ডকুমেন্ট, গুরত্বপূর্ণ নথিপত্র ।কিন্তু তারা একবার এক টুকরো হিরা চুরি করে পালাতে গিয়ে ভুলে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে ।সেখানে একটা বাড়ি দেখে ভিতরে যায় এবং দেখে দুই বুড়ো ।তাদেরকে তারা বাড়ির বাইরে বের করে দেয় ।তারপর বাড়িটি কেমন যেন নড়তে থাকে,তারা বুঝতে পারে এটা আসলে একটা মহাকাশযান এর ভেতর ।এর পর তাদের মহাকাশ যান উড়তে শুরু করে তাদের নিয়ে ।দুইজনের সঙ্গি হয় রোবি নামের রোবট ।টুকি ও ঝা মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে ভ্রমন করে আর মজার মজার ঘটনা ঘটায় ।কখনো তারা পৌঁছে যায় হীরার তৈরি গ্রহে ।যেখানে তাদের হীরা চুরির কথা শুনে কেও বিশ্বাস ই করে না ।কখনো তারা পৌঁছে যায় বিচিত্র গ্রহে যেখানে পুরুষ রা ঘরে থাকে আর মেয়েরা বাইরে কাজ করে ।কখনো তাদের নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বুদ্ধি ট্রান্সফার করতে ।যা করতে গিয়ে একটা গ্রহের সবাই চোর হয়ে যায় ।কখনো বা তাদের কাজ দেয়া হয় রোবটদের হাসানোর জন্য ।একবার আবার হয় কি তাদেরকে বিজ্ঞানী ভেবে বন্দী করে নিয়ে যায় এক গ্রহের রোবট ।তারা তাদের এক যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেয় ।কিন্তু তারা তো এসবের কিছুই জানে না ।তা সত্ত্বেও প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তারা নানা উল্টা পাল্টা কাহিনী শুরু করে দেয় ।অদ্ভুতভাবে জিতেও যায় তারা ।এইভাবে চলতে থাকে তাদের অভিযান ।শেষে তারা পৃথিবীতে আসার জন্য রওনা দেয় ।এজন্য তাদেরকে কয়েকটি হাইপারড্রাইভ দিতে হয় ।ফলে তারা সময়ের আগে চলে আসে মানে তারা অতীতে ফিরে যায় । যারা সাইন্স ফিকশন ভালোবাসেন এবং যারা বইয়ের মাঝে মজার খোঁজ করেন তারা এই বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে একটা বই কতটা মজার হতে পারে ।তাই দেরি না করে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি ।