User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছোট বেলায় পড়েছিলাম। আবার নতুন করে পড়লাম। অসম্ভব ভাল লাগল।
Was this review helpful to you?
or
This Novel is just amazing!
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ সুন্দর,শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় ......অসাধারণ !
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটা সায়েন্স ফিকশন
Was this review helpful to you?
or
ছোটবেলায় পড়া বইটি এখনো হৃদয়ে ফুটে আছে। তাই সংগ্রহের জন্য রকমারিকে বেছে নিলাম।
Was this review helpful to you?
or
কিশোর কিশোরীদের জন্য খুব ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
উভচর মানুষ বইটি আলেক্সান্দর বেলায়েভের লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। লেখকের ধারণা ছিল, মানুষের রূপান্তরিত হওয়ার প্রথম দিকে জলে-ডাঙায় উভয় জায়গাতেই অবাধে বিচরণ করত। উপন্যাসে ড. সালভেতর যেন লেখকের একজন প্রতিনিধি, যে তাঁর নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এক অবিশ্বাস্য দুর্দান্ত তরুণকে সৃষ্টি করেন। যে জলে স্থলে উভয় পরিবেশে বেঁচে থাকতে সম্ভব। অন্যদিকে দেখা যায়, দরিয়ার দানো নামে ডাঙায় খ্যাতি অর্জন করা ইখতিয়ান্ডরের একাকী জীবন। ইখতিয়ান্ডের পরিণতি আসলে কী? তার রোমাঞ্চকর কিন্ত ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এবং নানা ছলনা ও প্রতারণায় ভরপুর জীবন। সবকিছুর মিশেলে এক অসাধারণ উপন্যাস হলো উভচর মানুষ। উপন্যাস প্রেমী পাঠক হলে পড়তে পারেন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পটা এত অসাধারণ যে বলে বোঝাতে পারব না। খুবই অসাধারণ একটা বই, বইটি যে কত বার পড়েছি!!!
Was this review helpful to you?
or
Awesome!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ অনুবাদ। ফেন হয়ে গেলাম।
Was this review helpful to you?
or
রুশ কল্পবিজ্ঞান লেখক আলেক্সান্ডার বেলায়েভ তার এই কল্পকাহিনির মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আলেকজান্ডার বেলায়েভকে বিখ্যাত ফরাসি লেখক জুল ভার্নের সাথে তুলনা করা হয়। তিনি মুলত জুল ভার্নের কল্পবিজ্ঞান কাহিনী পরে অনুপ্রাণিত হয়। ইকথিয়ান্ডর বা দরিয়া দানো যার মাধ্যমে মুক্তো ব্যবসায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে ধণী হতে চেয়েছিল। ডক্টর সালভাদরের গবেষণার ফল ইকথিয়ান্ডর। অন্যদিকে বালতাজার মনে করে ইকথিয়ান্ডর তার ছেলে। রুশ চিরায়ত সাহিত্যের সার্থক এক উপন্যাস এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
'প্রফেসর ডয়েল'স হেড' ছিলাে আলেক্সান্দর বেলায়েভের প্রথম উপন্যাস/প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি৷ নতুন ধরণের এই উপন্যাস একদম লুফে নিলাে রুশ সাহিত্যপ্রেমীরা। কিন্তু তিন বছর বাদেই ১৯২৮ সালে প্রকাশিত হলাে ‘চেলােভেক অ্যামফিবিয়া'/উভচর মানুষ। সায়েন্স ফিকশন আর অ্যাডভেঞ্চারের অভূতপূর্ব এক সংমিশ্রণ। এই উপন্যাসের মাধ্যমেই বিশ্বসাহিত্য নিজের নাম পাকাপােক্ত করেন আলেক্সান্দর বেলায়েভ। তখন তিনি পরিচিতি লাভ করেন। রাশিয়ান জুল ভার্ন হিসাবে! সঠিক সময়ে এই বই হাতে পেলে দ্বিগুণ মজা নিয়ে পড়তে পারতাম৷ আফসােস! উপযুক্ত অভিভাবকের বড্ড বেশি অভাব৷ যাই হােক, একদম না পড়া থেকে দেরি করে পড়া শ্রেয়! বেশ উৎসাহে নিয়েই একটানা পড়ে শেষ করেছি৷ লেখকের বর্ণনা পড়তে গিয়ে ডলফিনের পিঠে চেপে সমুদ্রের অতলে ঘুরে বেড়ানাের ইচ্ছা জেগেছে বেশ কয়েকবার। অনুবাদ ছিলাে বেশ সাবলীল। সায়েন্স ফিকশন-অ্যাডভেঞ্চারের সাথে যৎসামান্য রােমান্সে বইয়ের পরিপূর্ণতা। সারাজীবন মনে থাকবে 'উভচর মানুষ' এর অন্যান্য স্বাদ!
Was this review helpful to you?
or
জাস্ট অসাম
Was this review helpful to you?
or
really interesting
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃউভচর মানুষ লেখকঃআলেক্সান্দর বেলায়েভ অনুবাদকঃননী ভৌমিক প্রকাশনীঃবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ধরনঃসায়েন্স ফিকশন মূল্যঃ১৫০ টাকা .br অন্য রকম এক মানুষ ছিল ইকথিয়ান্ডির।স্থলে তার চলাফেরা সল্প সময়ের জন্য হলেও জলে সে দীর্ঘ সময় কাটাতে পারত। #ইকথিয়ান্ডরের_ গল্পঃ ইকথিয়ান্ডরকে কেউ স্পষ্ট করে দেখে নি, দূর থেকে ঝাপসাভাবে দেখেছে হয়তো কিংবা কেউ শুনেছে ঢেউয়ের পাহাড়ে চেপে তার শাঁখ বাজানোর শব্দ । এমনকি জেলেরা তার আসল নামটাও জানে না, ডাকে
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি সংক্ষেপ বইয়ে কোন কাহিনি সংক্ষেপ দেওয়া নাই। তাই আমি নিজের মত করে সংক্ষেপে লিখছি। আলেক্সান্ডার বেলায়েভকে বলা হয় রাশিয়ার কল্প বিজ্ঞানের জনক। উভচর মানব সেরকমই একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। সাধারণ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলতে আমরা বুঝি - মহাকাশযান, খটমটে নাম ওয়ালা কিছু মানুষরূপী এলিয়েন, প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন। বেলায়েভ এসবের কোন শর্তই মেনে চলেননি। তিনি তৈরি করেছেন অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এক মানুষ। . লোকে তাকে দরিয়ার দানো হিসেবে চেনে। নিজের পোষা ডলফিনের পিঠে চড়ে শঙ্খ বাজিয়ে সমুদ্রে চরে বেড়ায়। উভচর বলে পানি আর ডাঙা - দুই জায়গাতেই থাকতে পারে। কিন্তু সমুদ্রে সে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। মনের খুশিতে যা ইচ্ছে তাইই করে বেড়ায়। সমুদ্রের অতলের গভীর রহস্য উন্মোচন করতে পারে সহজেই। ভয়াবহ সব জলজ প্রাণীর সাথে যুদ্ধ করে জিতে যায় অনায়াসেই। সমুদ্রের দামী রত্ন খুঁজে নেয় সহজেই। কেউ তাকে ঘাটায় না। দানব ভেবে সবাই দূরে দূরে থাকে। . তার এই নির্ভার জীবন বদলে যায় হঠাৎ করেই। সমুদ্রের বেলাভূমিতে একদিন সে দেখতে পায় নীল চোখের অপূর্ব সুন্দরী এক মানবীকে। যে কিনা আবার তারই জন্মদাতা বাবা বালতাজারের পালিতা কন্যা। . এদিকে দরিয়ার দানো যে মোটেও দরিয়ার দানো নয়, সেটা এক লোভী ক্যাপ্টেন জুরিতা জেনে যায়। সে বুঝতে পারে একে দিয়ে সে সাগরের রত্ন উদ্ধার করে খুব সহজেই ধনী হতে পারবে। তাই তার ভালোবাসার মেয়ে গুত্তিয়েরেকে জোর করে ধরে নিয়ে বিয়ে করে ক্যাপ্টেন জুরিতা। যেই ডাঙায় থাকতে তার শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়, নিজের ভালোবাসাকে উদ্ধার করতে সেই ডাঙাতেই উঠে আসে উভচর মানব। বন্দি হয় জুরিতার ফাঁদে। নিজের হাতে সৃষ্ট এই উভচর মানবকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন ডাক্তার সালভাদর। . ওদিকে বালতাজার জানতে পারে, এই উভচর মানব তারই সন্তান। সন্তানের টানে জুরিতার কুট পরামর্শে ডাক্তার সালভাদর এর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয় বালতাজার। গ্রেপ্তার হয় ডাক্তার সালভাদর আর উভচর মানব। এদিকে স্থানীয় গির্জার বিশপ এর দাবি উভচর মানব হলো গির্জা, ঈশ্বর ও স্বর্গের প্রতি চ্যালেঞ্জ। তাই ধর্মের সম্মান রক্ষার্থে মেরে ফেলতে হবে ডাক্তার সালভাদর ও তাঁর কুকীর্তি উভচর মানবকে। অনেক বলে ফেলেছি। এরপর আরো বললে স্পয়লার হয়ে যাবে। . পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রায় একশ বছর আগেকার লেখা বই। মেরী শেলির ফ্রাঙ্কেস্টাইন পড়ে হতাশ হয়েছিলাম, কারণ আমি জানতামই না ওটা ঠিক কত বছর আগের লেখা। উভচর মানব পড়ার আগেই সূচনা পড়ে নিয়েছিলাম। তাই ভাবনাকে ওভাবেই সেট করে নিয়েছি যে এটা আজকালকার লেখা উপন্যাস নয়। এখনকার লেখকদের লেখা বইয়ের সাথে একে মিলিয়ে পড়লে চলবে না। . সত্যি বলতে কি, প্রথম দিকের কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়তে খুব আগ্রহ লাগলেও, তার ঠিক পরের কয়েকটা চ্যাপ্টার খুব একঘেয়ে লেগেছে। এটা কি অনুবাদের দোষ, নাকি আমি নিজেই বিক্ষিপ্ত ছিলাম বলে, বলতে পারছি না। বুঝতেই পারছিলাম না ইকথিয়ান্ডর আসলে কী। . এরপর খুব টেনে পড়েছি। সত্যিই খুব চমৎকার লেগেছে। একশ বছর আগে এইরকম চিন্তা সত্যিই খুব অভূতপূর্ব ছিল। নরমালি সায়েন্স ফিকশন পড়তে আমার ভালো লাগে না। কিন্তু এটা পড়তে বেশ ভালো লেগেছে। বেলায়েভ সাহেব চিরাচরিত সায়েন্স ফিকশনের সংঙ্গা বদলে ছেড়েছেন। সায়েন্স ফিকশন মানেই খটমটে কিছু নয়। মায়া ভালোবাসা আবেগকে জড়িয়েও যে সায়েন্স ফিকশন লেখা যায়, সেটা তিনি একশ বছর আগেই দেখিয়েছেন। . শেষ টা চমৎকার লেগেছে। প্রথমে তো ভয়ই পাচ্ছিলাম, না জানি সব শেষ হয়ে যায়! এমনকি ভুলক্রমে শেষ পৃষ্ঠায় পড়া বালতাজারের আহাজারিটুকু মাথায় থাকায়, রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ করে খুব স্বস্তি লেগেছে। পরিপূর্ণ তৃপ্তি পেয়েছি বইটা পড়ে। আমার পড়া সেরা সায়েন্স ফিকশন উভচর মানব। . বই পরিচিতিঃ বইঃ উভচর মানব লেখকঃ আলেক্সান্ডার বেলায়েভ অনুবাদকঃ ননী ভৌমিক মূল্যঃ ২০০ টাকা (মলাট মুল্য) প্রকাশনীঃ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
Was this review helpful to you?
or
This is a memorable book I have read at my early ages. :)
Was this review helpful to you?
or
ভাল লাগেনি গল্পটা। হয়তো আমার রুচি অন্যরকম। গল্পের প্রথম কিছু পৃষ্ঠা পড়ে মনে হল রূপকথা পড়ছি। এরপরে মনে হল সায়েন্স ফিকশন পড়ছি। আগ্রহ বেড়ে গেল। এরপর শুরু হল রোমান্টিসিজম। রোমান্টিসিজম আমার ভাল লাগে না। গল্পটা শেষ হল নাটক দিয়ে। তবে গল্পের শেষটা যৌক্তিক ছিল।
Was this review helpful to you?
or
এই বই পড়ে কল্পনার রাজ্যে হারায়নি এমন শিক্ষার্থী পাওয়া মুশকিল। সেই ৭ম শ্রেনীতে থাকাকালীন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কল্যাণে পড়া, আজো বিমোহিতো হই।। এখন ছোট বোনের জন্য নিলাম।।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ যদি ভালো না হয় তাহলে সত্যিতে সেই অনুবাদ না পড়াই ভালো। কিন্তু ননী ভৌমিকের ‘উভচর মানুষ’-এর অনুবাদ পড়ে আমি বলতে বাধ্য অনুবাদটি অনেক ভালো, পড়ে মনেই হয়নি এটা অনুবাদ, মনে হয়েছিল এটাই আসল বই। কাহিনীটা মূলত ইকথিয়ান্ডর নামক এক যুবকের। সমুদ্রের নাবিকরা তাকে ডাকে - ‘দরিয়ার দানো’ নামে। ’দরিয়ার দানো’ ওরফে ইকথিয়ান্ডর আসলে একজন উভচর মানুষ। প্রফেসর সালভাতর তাকে উভচর মানুষে পরিণত করেছে। সে মাটির চেয়ে পানিতে থাকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। কিন্তু একদিন সে গুত্তিয়েরে নামক এক মেয়ের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার রূপ দেখে প্রেমে পড়ে যায়। এরপর গুত্তিয়েরের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। কিন্তু একদিন সে জানতে পারে জুরিতার সাথে গুত্তিয়েরের বিয়ে হয়ে গেছে। এদিকে জুরিতাও ইকথিয়ান্ডরকে ধরতে চায় যেন সে পানির নিচ থেকে মুক্তা এনে দেয়। গুত্তিয়েরেকে জুরিতার কাছ থেকে বাঁচাতে গিয়ে সে জুরিতার কাছে ধরা পড়ে। তবে শেষে সালভাতর তাকে বাঁচায়। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সবাই জেনে যায় ইকথিয়ান্ডরের কথা। তার জীবনে তখন এক নতুন মোড় নেয়।
Was this review helpful to you?
or
ননী ভৌমিকের অনুবাদটি মূল বইয়ের মতই সুখ পাঠ্য হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ। বইটি আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে থাকবে। আমার বিশ্বাস আপনার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটবে।
Was this review helpful to you?
or
জেলেদের মুখে কেবলই দরিয়ার দানোর কথা! দরিয়ার দানো দেখা দিয়েছে সমুদ্রর খাড়িতে!ডলফিনের পিঠে চড়ে সে ছোটে!শঙ্খা বাজিয়ে তার আগমন ঘোষণা করে!কখনো জাল টেনমে নিয়ে যায়;ছেড়ে দেয় জাহাজ ভর্তি মাছ!কখনো কখনো উদ্ধার করে ডুবন্তদের!........কি সেই বিস্ময়কর জন্তু দারিয়ার দানো জলে আর স্থলে যে সহজেই দাপিয়ে বেড়ায়! এই রহস্যেভরা প্রানী মানুষ নাকি মাছ?? আর্জেন্টিনার সমুদ্রতীর বর্তী এলাকায় মুক্ত সন্ধানী আর মাছ ধরা জাহাজ গুলো দেখতে লাগলো এক অদ্ভুত দরিয়ার দানো!যে কিনা ডলফিনের উপর বসে ছুটে,শঙ্খ বাজিয়ে তার আগমন ঘোষণা করে আবার বিশুদ্ধ স্পানীশে কথাও বলে! রেড ইন্ডিয়ান ডুবুিরি বালথাযার এবং লোভী ক্যাপ্টেন জুড়িতা দরিয়ার দানোকে ধরার জন্য!গল্পে অসামান্য প্রতিভাবান ডাক্তার সালভাদর! যে কিনা যেকোনো ক্ষত সুস্থ করে দিতে পারেন,সাড়িয়ে দিতে পারেন কঠিন থেকে কঠিনতর অসুখ! যার কারণে স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের কাছে উনি স্বয়ং ভগবান!তারই সেরা সৃষ্টি ইকথিয়ান্ডার অর্থাৎ সেই দরিয়ার দানো!লোভী ক্যাপ্টেন জুড়িতা তার ভাই ক্রিস্টি এবং ডুবুরী বালথযার কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ইকথিয়ান্ডার কে ছিনিয়ে নেবার জন্য! কিন্তু নিয়তির খেলায় ইকথিয়ান্ডার ভালোবেসে ফেলে বালাথজারের পালিত নীল চোখা কন্যা গুত্তিয়ের কে!তারপর পরই শুরু হয় মূল কাহিনী !জানতে হলে পড়তে হবে অনন্য এই সাইন্স ফিকশনটি!
Was this review helpful to you?
or
এটা কোন রিভিউ নয়, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। তাই কাগজ ও অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো। উপন্যাসটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। একজন মানুষকে একজন বিজ্ঞানী এমনভাবে তৈরি করেছেন যে, সে জলে ও স্থলে সমানভাবে বাস করতে সক্ষম। উপন্যাস যারা ভালোবাসে তারাই পড়তে মজা পাবে।
Was this review helpful to you?
or
যদি কখনো সমুদ্র তীরে বেড়াতে যান পাঠক লক্ষ্য করবেন, সাগরের বুকে সূর্য অস্ত যাবার পর থেকে রাত একটু ঘন হয়ে আসবার আগ পর্যন্ত অনেক অপূর্ব দৃশ্যই চোখে পড়ে এই সময়টায়- সাগরের তীর ঢেউয়ের প্রান্তে প্রান্তে পা ভিজিয়ে হেঁটে চললে। কিন্তু দেখবেন না পুত্র হারানোর বেদনায় নুয়ে পড়া এক বৃদ্ধ লোককে; শুনবেন না সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে তাঁর ক্রমাগত ডেকে চলা- ‘ইকথিয়ান্ডর! ইকথিয়ান্ডর! পুত্র আমার!’ যদি আপনি দেখতে চান এই বৃদ্ধকে, শুনতে চান ছেলেকে কাছে পাবার জন্য তাঁর প্রবল আকুতি তাহলে সমুদ্র ভ্রমণে যাবার আগে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে একটি বই-- নাম "উভচর মানুষ"। রুশ কল্প বিজ্ঞানের পথিকৃৎ লেখক আলেক্সান্দর বেলায়েভ আমাদের জন্য শুনিয়েছেন নিজের অনিচ্ছায় হয়ে ওঠা এক উভচর মানুষের কথা, তাঁর হাসি-আনন্দ-বেদনার গাঁথা। বইটি বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছেন অনুবাদের জগতের কিংবদন্তী লেখক ননী ভৌমিক। প্রকাশ করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। আমার জানা মতে আরেক সুলেখক ও অনুবাদক কাজী মায়মুর হোসেনের করা এই বইটির আর একটি অনুবাদ প্রকাশ পেয়েছে সেবা প্রকাশনী থেকে; সেটার নাম-- “দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান”। বইয়ের মূল চরিত্র ইকথিয়ান্ডর বছর কুড়ির এক উভচর মানুষ; জলে এবং স্থলে তার অবাধ বিচরণ। আর্জেন্টিনার সমুদ্র উপকুলের তলদেশ জুড়ে তার রাজত্ব। কখনো জেলেদের জাল কেটে মুক্ত করে দেয় বন্দি মাছের ঝাক আবার কখনো দয়া পরবশ হয়ে বড় কোনো মাছ ধরে ছুড়ে দেয় জেলেদের নৌকায়-এমনি খেয়ালী সে। রাতের আঁধারে সমুদ্র তীর থেকে ছাগল ছানা ধরে সাগরের বুকে থাকা জেলেদের নৌকায় রেখে আসবার মতো মজাও সে করে। এই সব কীর্তির জন্য উপকূলের মানুষের কাছে সে পরিচিত “দরিয়ার দানো” হিসেবে। তার এ সকল কর্মকান্ডে সহায়তা করে বন্ধু ডলফিন লিডিঙ। লিডিঙয়ের পিঠে চড়ে শাঁখ বাজাতে বাজাতে ছুটে চলে ইকথিয়ান্ডর দিগন্তের পানে। জলের মধ্যে ইকথিয়ান্ডর আর লিডিঙয়ের দিন আনন্দেই কাটছিলো। কিন্তু সমস্যা বাধালো লোভী এক মানুষ; নাম তার পেদ্রো জুরিতা। ডুবুরির মাধ্যমে মুক্তো সংগ্রহ করা তার কাজ। খুব কম খরচে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় সে ইকথিয়ান্ডরকে বন্দি করবার জন্য ব্যস্ত হলো। সঙ্গী হিসেবে এই কাজে তার সাথে যোগ দিল বালতাজার এবং তার ভাই ক্রিস্টো। এই তিনজনের ছলচাতুরীতে বন্দি হবে ইকথিয়ান্ডর। কিন্তু তারো আগে ঘটবে আরো কিছু ঘটনা। একে একে পাঠকদের সামনে এসে উপস্থিত হবেন ইকথিয়ান্ডরকে ইকথিয়ান্ডর করে তোলার কারিগর অসম্ভব প্রতিভাবান শল্য চিকিৎসক ও গবেষক ডাক্তার সালভাতর, তাঁর গবেষণাগার এবং গবেষণার ফলে সৃষ্ঠ আজব সব প্রানী। আসবে ইকথিয়ান্ডরের চোখ দিয়ে দেখা সমুদ্রতলের অপুরূপ বর্ণনা এবং অক্টোপাসের সাথে লড়াইয়ের বিবরণ। আসবে বন্ধুরূপী অলসেনের কথা। কিন্তু তারও আগে ইকথিয়ান্ডরের দেখা হবে অপুরূপ রুপসী গুত্তিয়েরির সাথে; প্রেমে পড়বে তারা এক অন্যের। কী হবে এই উভচর ও স্থলচর মানব-মানবীর প্রেমের পরিণতি? ডাক্তার সালভাতর ইকথিয়ান্ডরের আসল বাবা নন। তাহলে সমুদ্রে ঝড়ের আভাস দেখা দিলে আকুল হয়ে কে ডাকবে তাকে ‘ইকথিয়ান্ডর! ইকথিয়ান্ডর! পুত্র আমার’ বলে? জানতে হলে উপায় একটাই- বইটা পড়া। সমুদ্রতলের সাথে উপরের পৃথিবীর একটি অমিল ইকথিয়ান্ডরের দৃষ্টি দিয়ে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক এভাবে-- ‘পাথরের দেয়ালের ওপর দিয়ে পাকা ফল ভরা পীচ আর কমলালেবু গাছের ডাল দেখা যাচ্ছিল। কিছুই এখানে সমুদ্রের মতো নয়। সবই অন্য কারো সম্পত্তি, সবই এখানে বাটোয়ারা করা, বেড়া ঘেরা, পাহারা বসানো। শুধু আকাশের পাখিগুলোর মালিক নেই কেউ, উড়ছে তারা, কলরব করছে পথ জুড়ে। কিন্তু ধরা ওদের অসম্ভব। তাছাড়া আদৌ ধরা চলবে কি? হয়ত কারো না কারো সম্পত্তি।’ এই বইয়ের আরেকটি দিক হলো, যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানকে প্রতিহত করবার উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে দিয়ে চলা ধর্ম ব্যবসায়ীদের যুক্তি এবং তার উত্তরে ডাক্তার সালভাতরের জবানীতে বিজ্ঞানের জবাব। একবার বইটা পড়ুন পাঠক-- তারপর আপনি যখনি সমুদ্র তীরে বেড়াতে যান না কেন অবশ্যই আপনার দৃষ্টি চলে যাবে দূর সাগরে, সে দৃষ্টি ব্যাকুল হয়ে খুঁজবে ডলফিনের পিঠে বসে শাঁখ বাজাতে বাজাতে ছুটে চলা এক দুঃখী উভচর মানবকে; ইকথিয়ান্ডরকে।
Was this review helpful to you?
or
রাত নামলে আগুন জ্বেলে চারপাশে গোল হয়ে বসে তার গল্প করে বুড়ো জেলেরা । গল্প ... ইকথিয়ান্ডরের গল্প । ইকথিয়ান্ডরকে কেউ স্পষ্ট করে দেখে নি, দূর থেকে ঝাপসাভাবে দেখেছে হয়তো কিংবা কেউ শুনেছে ঢেউয়ের পাহাড়ে চেপে তার শাঁখ বাজানোর শব্দ । এমনকি জেলেরা তার আসল নামটাও জানে না, ডাকে ' দরিয়ার দানো '। ডলফিনের ঝাঁকের সাথে এক সমুদ্র থেকে আরেক সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায় জলমানব ইকথিয়ান্ডর, সাঁতার কাটে পাল্লা দিয়ে । কখনো বা গভীর সমুদ্রের কোন দ্বীপের পাথরের উপর বসে বিষন্ন মনে বাজায় শাঁখ । অন্য রকম তার শরীর - জল আর ডাঙ্গায় দু’জায়গাতেই তার বিচরণ । ডাঙ্গায় সে নিঃশ্বাস নেয় মানুষেরই মতো করে, আর নোনা জলে ডুব দেয়ার পর শরীরে জেগে ওঠে মাছের মতো কানকো । সে উভচর; মানুষ হয়েও মাছ, মাছ হয়েও মানুষ । অদ্ভুত এক নিঃসঙ্গতায় ভরা তার জীবন । কারণ মাছেদের রাজত্বে সে প্রথম মানুষ, আর মানুষের রাজত্বে সে প্রথম মাছ । বাসিন্দা সে দু'জগতেরই, আবার দু'জগতেই সে আগন্তুক । তবে নিজের জীবনকে সে তার মতো করে ভালোও বাসতে শিখেছে । গভীর সমুদ্রে ডুব দিয়ে সে তুলে আনে মুক্তো, বিপন্ন জেলেদের উদ্ধার করে পৌছে দেয় তীরে, ঝড়ের সময় উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে লড়ে যায় সমানতালে, আবার কখনো বা শান্ত সমুদ্রের তলদেশের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে একা একা ভাসতে ভাসতে চলে যায় বহু দূর । প্রবাল দ্বীপের নির্মলতায় বড় হয়েছে বলে ডাঙ্গায় সে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না, দূষিত বাতাসে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায় । কিন্তু ইকথিয়ান্ডরের ভালো লাগে মাটির উপর থাকা গুত্তিয়েরেকে যে জলমানবী নয় । ইকথিয়ান্ডর জানে তারা কখনো থাকতে পারবে না একসাথে, তবুও কত তীব্রভাবেই না সে ভালোবাসে গুত্তিয়েরেকে! ... মুখ খুলে তা প্রকাশের সুযোগ সে পায় না, করে না । কেবল চুপিচুপি সৈকতের পাথরের আড়াল থেকে তৃষিতের মতো তাকিয়ে থাকে তার দিকে, কখনো কখনো দূর থেকে পিছু নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় লোকালয়ে । তারপর যখন বাতাসের সীসা, ধোঁয়ায় জ্বলতে শুরু করে বুক, সে ছুটে এসে ঝাপিয়ে পড়ে নীল সমুদ্রে, এক ডুবে চলে যায় নিঃস্তব্ধ নীলের গভীরে । সেখানে তার আরেক জগত - নিজস্ব, নিঃসঙ্গ । সময়ও কেটে যায় অবলীলায়, আবার যেন থেমেও থাকে স্থবিরতায় । পরিবার বলতে আছেন কেবল ডাক্তার সালভাতর, ইকথিইয়ান্ডর যাকে বাবা বলে ডাকে । কিন্তু তিনি ইকথিয়ান্ডরের বাবা নন । কেউ জানে না কে ইকথিয়ান্ডরের বাবা, কিভাবে তার জন্ম, কোথা থেকে এসেছে সে । কিন্তু ইকথিয়ান্ডর কে তার মতো থাকতে দেওয়া হলো না । লোভী মুক্তো ব্যবসায়ীরা একসময় হন্যে হয়ে উঠলো তাকে পাওয়ার জন্য । গুতিয়েরের বিয়ে হয়ে গেলো ‘ জেলি ফিশ ‘ জাহাজের মালিক পেদ্রো জুরিতার সাথে । পেদ্রো জুরিতা উভচর মানব কে বন্দি করতে তারের জাল পাতলো বিস্তৃত সমুদ্রে । একদিন ধরেও ফেলল তাকে । তারপর? গল্প শেষ ?? মোটেও না, বলতে গেলে শুরু কেবল । চিরায়ত রুশ সাহিত্য নিয়ে আসলে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না । আর প্রগতি, রাদুর্গা প্রকাশনীগুলো মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যর ঐ অমূল্য রত্ন – ভাণ্ডারের যতটুকু পাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে তার অন্যতম সেরা প্রাপ্তি এই পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় এ কল্পবিজ্ঞান “ উভচর মানুষ “ ।
Was this review helpful to you?
or
সাইন্স ফিকশন বলতে প্রথমে মাথায় আসে দূর ভবিষ্যৎ অথবা স্পেস বা টাইম ট্রাভেল অথবা এলিয়েন এর কথা। মজার বিষয় হল এর সবকটাই আলেক্সান্দর বেলায়েভ এর উভচর মানুষ এ অনুপস্থিত। এর পটভূমি ১৯২৮ (রচনা কাল) এর আর্জেন্টিনার বুয়েনাস-আইরেসের উপকূলবর্তী মহাসাগর। হঠাৎ করেই এই এলাকার মুক্তো-সন্ধানি জাহাজী আর জেলেরা দেখতে লাগলো এক অদ্ভুত ‘দরিয়ার দানো’। সে ডলফিনের পিঠে চরে ঘুরে বেরায়, শাঁখ বাজায়, কথা বলে বিশুদ্ধ স্প্যানিশ ভাষায়। ঘাগু রেড-ইন্ডিয়ান ডুবুরি বালথাযার আর লোভী ক্যাপ্টেন জুরিতা ফাঁদ পাতল দরিয়ার দানো ধরার জন্য। কাহিনীর এই পর্যায়ে আসে অসামান্য প্রতিভাবান সার্জন ডাক্তার সালভাদর। স্থানীয় রেড-ইন্ডিয়ানদের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান, সারাতে পারেন যে কোন রোগ বা ক্ষত, এমন কি মরাকেও বাঁচিয়ে তোলেন। তারই সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি ইকথিয়ান্ডর-উভচর মানুষ, যে জলে ডাঙায় একসাথে শ্বাস নিতে সক্ষম, আমাদের দরিয়ার দানো। লোভী ক্যাপ্টেন জুরিতা, বালথাযার আর তাঁর কূট বুদ্ধির ভাই ক্রিস্টো মিলে চক্রান্ত করে ইকথিয়ান্ডর কে ছিনিয়ে নেয়ার। আর ইকথিয়ান্ডর ঘটনাক্রমে ভালবেসে ফেলে বালথাযারএর পালক মেয়ে নীল নয়না গুত্তিয়েরেকে। তারপর অনেক ঘটনা। গুত্তিয়েরেকে জোর করে ধরে নিয়ে বিয়ে করে ক্যাপ্টেন জুরিতা, তাকে উদ্ধার করতে ডাঙায় উঠে আসে ইকথিয়ান্ডর। বন্দি হয় জুরিতার ফাঁদে। উদ্ধার করতে ছুটে আসেন ডাক্তার সালভাদর । বালথাযার এর মামলায় গ্রেপ্তার হয় ডাক্তার সালভাদর আর ইকথিয়ান্ডর। কিন্তু ইকথিয়ান্ডর তো সাগরের পানি ছাড়া বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। এদিকে স্থানীয় গির্জার আচার্য, বিশপ এর দাবি হত্যা করতে হবে ডাক্তার সালভাদর ও তাঁর কুকীর্তি ইকথিয়ান্ডর কারন এ হল গির্জা, ঈশ্বর ও স্বর্গের প্রতি এক ধৃষ্ট চ্যালেঞ্জ। তারপর কি হল ইকথিয়ান্ডরের, সে কি সাগরের কাছে পৌছতে পেরেছিল? ডাক্তার সালভাদরের কি ফাঁসি হল? গুত্তিয়েরে আর ইকথিয়ান্ডরের ভালবাসারই বা কি হল? জানতে হলে পরতে হবে অন্যরকম এক সাইন্স ফিকশন -উভচর মানুষ।
Was this review helpful to you?
or
অন্যরকম এক মানুষ ইকথিয়ান্ডর। স্থলে সে তার চলাফেরা সল্প সময়ের জন্য হলেও জলে সে দীর্ঘ সময় কাটাতে পারে। জলের জীবদের নানাভাবে সাহায্য করে।পার্থিব নিষ্ঠুরতা থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে। লিডিং নামের ডলফিনটাও এমনি উপকার করেছিল,তারপর পোষ মেনে ইকথিয়ান্ডর সাথেই ছিল। ডঃ সালভাতর কে বাবা হিসেবেই জেনেছে সে।দুজনের ভালোবাসাও কম ছিল না। ক্রিস্ট কোন পরিকল্পনাকে ফল দিতে ইকথিয়ান্ড্র কাছাকাছি আসলেও সামান্য হলেও সে ইকথিয়ান্ড্রকে ভালোবেসে ছিলো। ২০ বছর আগে বালতাজারে ছেলেকে সালভাতরের কাছে চিকিৎসার জন্য এনেছিল সে... কিন্তু ডঃ বলেছিল তার ভাইপো আর বেঁচে নেই। কিন্তু ইকথিয়ান্ডরকে দেখার পর ক্রিস্টের মনে হয়েছে এই তার ভাইপো। আধা মানুষ ছিল ইকথিয়ান্ডর আর তাই হয়তো গুত্তিয়েরের প্রতি ভালোবাসাটাও মানুষের মত অনুভব করে। কিন্তু লোভী জুরিতার লোভ আর নিষ্ঠুরতার কাছে হেরে যায় সে। গুত্তিয়েরেকে হারিয়ে ফেলে অচিরে, হয়তো ভুলে গিয়েছিল যে ও সাভাবিক মানুষ না। বালতাজারকে সে চিনতই না আর তাই বাবা বলে ডাকেনি কখনো,কিন্তু বালতাজার তার ছেলেকে ফিরে পেতে উম্মাদ হয়ে ছিলো। বিশপ ইকথিয়ান্ড্রকে অন্যায়ভাবে মেরে তাকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলো কিন্তু এতো অন্যায় ছিলো। সালভাতরের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ছিল ইকথিয়ান্ডর,তার অপ্র নিজের ছেলের মত বড় করেছে ওকে আর তাকে এতো সহজে মরতে দেয় কি করে আর তাই তাই জেলার এর সহযোগিতায় ইকথিয়ান্ডর পালিয়ে যাওয়ার সাহায্য করে... কয়েক বছর পর সবাই এই "দরিয়ার দানো"-র কথা ভুলে যায়। কিন্তু বালতাজার এখনো ঝড় উঠলে সমুদ্রের পাড়ে ছুটে যায়...কিন্তু সমুদ্র তার রহস্য ফাঁস করে...
Was this review helpful to you?
or
রুশ কল্প বিজ্ঞানের জনক পথিক্রিত আলেক্সান্দর বেলায়েভ এর এক অপরূপ সৃষ্টি দুর্দান্ত তরুণ ইকথিয়ান্ডর বা মতসকুমার। সমুদ্র তলের অফুরান জগতকে জানার এবং মানুষকে বাস করার স্বপ্ন দেখেছেন লেখক ।উপ্ন্যাসে লেখক ডঃ সালভাদর কে দিয়ে তা অনেকটা বাস্তবায়নের চেস্টাও করেছেন। জেলেদের মুখে মুখে কেবল দরিয়ার দানোর কথা। দরিয়ার দানো দেখা দিয়েছে সমুদ্রের খাঁড়িতে । ডলফিনের পিঠে চেপে সে ছোটে , শঙ্খ বাজিয়ে নিজের আগমন জানায় ।জাল টেনে নিয়ে যায় ,জাহাজ ভর্তি মাছ ছেড়ে দেয়। কখোন কখোণো উদ্ধার করে ডুবন্তদের। কি সেই বিস্ময়ের জন্তু দরিয়ার দানো , যে জলে আর ডাঙ্গায় খুব সহজেই চরে বেরায় সে দরিয়া দানো হল ডঃ সালভাদর এর এক অপরূপ সৃষ্টি দুর্দান্ত তরুণ ইকথিয়ান্ডর। যে একি সাথে মাটী তে এবং জলে বাস করতে পারে। মাটির দুনিয়ার থেকে সে জলের দুনিয়াকেই বেশি পছন্দ করে।কারন তার মাটীর জীবনে বেসিক্ষন থাকতে কস্ট হয়। কিন্তু নিয়তির খেলায় সে একদিন প্রেম এ পড়ে যায় মাটির এক মেয়ের। নাম গুত্তিয়ের। জাকে ছাড়া এক তরুণ ইকথিয়ান্ডর এর মনে হয় জীবন বৃথা। কিন্তু তার উভচর জীবনের রহস্য সে গুত্তিয়ের এর কাছে প্রকাশ করতে পারেনা।এদিকে মুক্ত ব্যবসায়ী জুরিতা একি সাথে চায় ইকথিয়ান্ডর কে অপহরণ করে নিজের কজ্জবায় রাখতে বড়লোক হয়ার জন্যে রাতারাতি। সেই সাথে জুরিতা গুত্তিয়ের এর বাপ কে চাপ দিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে জোড় করে বিয়ে করত চায়... গুত্তিয়ের কে জোড় করে বিয়েও করে ফেলে জুরিতা।এক অপরূপ সৃষ্টি দুর্দান্ত তরুণ ইকথিয়ান্ডর মনের কস্টে জলে ঝাপ দেয়। গুতিয়ের ভাবে সে মারা গেছে... জীবনের প্রতি সেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু ইকথিয়ান্ডর জানতে পারে জুরিতা জোর করে বিয়ে করেছে গুত্তিয়ের কে। সে খুজতে বের হয় ত্গুতিয়ের কে... সবাই জেনে যায় ইকথিয়ান্ডর অ সালভাতর এর কথা। আদালতে বিচার দেয়া হয় ধর্ম অবমাননার দায়...এরপর সেই দুঃখী উভচর মানব এর কি হ্ল জানতে সেশ করতে হবে এই অপরূপ কাহিনি...