User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অবসর সময় পড়ার মত ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
ভালো।ছিল।
Was this review helpful to you?
or
খোদ কিশোর বয়সে বাড়ি থেকে পালানো লেখক নিজ অভিজ্ঞতা থেকে শিশুতোষ এই বইটি লিখেছেন । বইটি শেষ করে যে কথাটি মনে হলো তা হলো :'অল্প কথায় অনেক ভাবনা' ।ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ত্রিশ-চল্লিশ দশকের প্রেক্ষাপটে লেখা বইটি এতই অনবদ্য যে একেক পাঠক একেক অনুভূতি পাবে । আমি নিজেই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চিন্তা করে ভিন্ন কিছু অনুভব করেছি এবং চমৎকৃত হয়েছি । বাড়িতে বসে বইটি পড়ে সবাই অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করি ।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা কিশোর উপন্যাসের মধ্যে এটি একটি। সবাইকে পড়ার জন্য সাজেস্ট করা হলো। ভালো লাগবে আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
তোরো-চৌদ্দ বছরের কাঞ্চনটা খুব পাজি। সব্বাইকে জ্বালিয়ে মারে। তো এই দুষ্টুমির কথা বাবার কানে গেলে তো ভারী রেগে যাবেন বাবা। প্রহার মিস হবে না। একবার পূজারি বামুনের ছেলেকে আচ্ছামতো শায়েস্তা করলো কাঞ্চন। সে খবর পৌঁছে গেল পিতার কানে। পুত্র কাঞ্চনকে পিতা ডাকলেন শাস্তি দিতে। কাঞ্চন বাড়ি থেকে পালালো কলকাতা। পিতার ভয়ে পুত্র কাঞ্চনের গৃহত্যাগী হয়ে কলকাতায় আগমন এবং আজব শহর কলকাতা দর্শন শেষে ফিরে যাওয়ার ঘটনাই হলো 'বাড়ি থেকে পালিয়ে'। সাদাচোখে দেখলে এটি কিশোর উপন্যাস। কিন্তু এর ভেতর পুরো সমাজব্যবস্থা, শহুরে লোভী ও মনুষ্যত্ব নিহত হওয়া জীবনের বাস্তব চিত্রের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন প্রাতঃস্মরণীয় শিবরাম চক্রবর্তী। গান্ধিজির স্বরাজের অঙ্গীকার, দেশবন্ধুর ভলান্টিয়ার বাহিনী এবং ইংরেজ জুলুমশাহি শাসনকেও চিত্রিত করেছেন শিবরাম চক্রবর্তী। কিশোর কাঞ্চনের সারল্যের সাথে সাথে সত্যিকার জগতের কদর্যরূপকেও ধারণ করেছেন চক্কত্তি মশাই। ভারী ভারী বই পড়ে মগজে যানজট লেগে গেলে কিংবা একটু স্বস্তি পেতে পড়তেই পারেন 'বাড়ি থেকে পালিয়ে'। যেখানে একটি সুখপাঠ্য কিশোর উপন্যাস পড়ার সাথে সাথে চমৎকার একটি জীবনদর্শনের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। মোটকথা একটি কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পড়ুন 'বাড়ি থেকে পালিয়ে '।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন শিবরাম চক্রবর্তী। ১৯৩৭ সালে তার প্রথম উপন্যাস "বাড়ি থেকে পালিয়ে" প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে লেখক গ্রামীণ জীবন আর শহুরে জীবনের পার্থক্য দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর সেই পার্থক্য তুলে ধরতেই এই উপন্যাসে আবর্তন হয়েছে এক গ্রামীণ কিশোরের। ১৩/১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বাড়ি থেকে পালানোর গল্প নিয়েই লেখা "বাড়ি থেকে পালিয়ে"! সেই কিশোর বালকটির নাম কাঞ্চন। ভীষণ দুষ্টু, বদরাগী আর গোয়াড় ধরনের ছেলে কাঞ্চন। ভয়ডরহীন এই কিশোর তার নিজের অধিকারের ব্যাপারে খুব সচেতন। বাবাকে ছাড়া পৃথিবীর আর কাউকে ভয় পায়না কাঞ্চন। এই কাঞ্চন একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসে কলকাতায়। গ্রামের পুরোহিতের ছেলের নাম বিনোদের সাথে ঝামেলা করে কাঞ্চন। বাবার শাস্তির ভয়ে সেদিনই বাড়ি থেকে পালায় ছেলেটি। ট্রেনে চেপে পাড়ি দেয় অজানার উদ্দেশ্যে। কাঞ্চন জানে না সে কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে। সেই ট্রেনে করে কাঞ্চনের প্রবেশ হয় কলকাতায়। কলকাতায় এসে অবাক কাঞ্চন। এতো উচুঁ দালানকোঠা, এতো গাড়ি আর এতো মানুষ এখানে! চারিধারে এতো খাবারের হোটেল আর এতো এতো নাম না জানা খাবার। কাঞ্চন ছোট হলেও বুঝতে পারে এই শহরে থাকতে হলে টাকা দরকার, পয়সা দরকার। এ শহর গরীবদের জন্যে না। কিন্তু অচেনা এ শহরে কে তাকে টাকা দিবে? বা কাঞ্চন নিজেই কিভাবে কাজের সন্ধান করবে? কাঞ্চনের সেই গল্প নিয়েই লেখা শিবরাম চক্রবর্তীর "বাড়ি থেকে পালিয়ে"!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসের স্রষ্টা শিবরাম চক্রবর্তীর প্রথম উপন্যাস 'বাড়ি থেকে পালিয়ে' প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে। একটি শিশুর বিস্ময়ভরা চোখ দিয়ে এই উপন্যাসে গ্রাম,শহর ও জীবনকে দেখেছেন শিবরাম। গ্রামের সরল প্রকৃতির মাঝে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠতে থাকা একটি জীবনকে উপলক্ষ করে গড়ে উঠেছে উপন্যাসটি। "বাড়ি থেকে পালিয়ে" উপন্যাসটি এক কিশোর এর বাড়ি পালানোর কাহিনী। কিশোর এর নাম কাঞ্চন। ১৩/১৪ বছর বয়সের কাঞ্চন ভারী দুষ্টু। কোন কিছুতেই কোন ব্যাপারে সামান্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি নয় কাঞ্চন। ভারী একগুঁয়ে, নিজের অধিকার আদায়ে সদা সচেতন। কোন কিছুতেই সে ভয় পায়না। পৃথিবীতে তার একমাত্র ভয় তার বাবাকে। পুরুতের ছেলে বিনোদের সাথে এক ক্যাচালের শাস্তি হিসেবে বাবার মুখোমুখি হওয়ার বিড়ম্বনা এড়াতে ট্রেনে চেপে কাঞ্চন অজান্তে চলে আসে কলকাতায়। কলকাতা শহর যেন এক নতুন বিস্ময় হয়ে উপস্থিত হয় কাঞ্চনের চোখে। এত বড় জাহাজ,মটরগাড়ি,হরেক রকম খাবার এর হোটেল,রঙবেরঙ এর জিনিস,বিশাল সব দালান এতসব কিছু দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় কাঞ্চন। সবকিছু যেন আলাদীনের মায়াপুরীর মতো লাগে তার কাছে। কিন্তু এত বড় শহরে অচেনা রাস্তাঘাটে কপর্দকহীন কাঞ্চন একাকী কীভাবে টিকে থাকবে? অনেক টাকা রোজগার করে মা'য়ের জন্য হরেকরকম জিনিস কেনার যে স্বপ্ন বালকটি দেখে,তা কি আদৌ পূরণ হওয়া সম্ভব? কাঞ্চন শেষ অবধি বাড়ি ফিরে যেতে পেরেছিলো কি? শিবরাম বাবুর এই বইটির নাম আমি প্রথম জেনেছিলাম হুমায়ূন স্যার এর বইয়ে। তখন থেকেই পড়ার ইচ্ছে থাকলেও বইটি সংগ্রহ করতে পেরেছি মাত্র কিছুদিন আগে। মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। কাঞ্চনের কলকাতা ভ্রমণের কাহিনীতে যেন আমি ফিরে যাচ্ছিলাম আমার ছেলেবেলাতে,যখন আমি মফস্বল থেকে প্রথম ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম বাবা মা'য়ের সাথে। কাঞ্চনের চোখ যেন আমার সেই সময়ের বিস্ময়ভরা চোখ! আর লেখক এর কী দারুণ বর্ণনা! হাস্যরস্যে ভরা উপন্যাসটি অল্প সময়ের জন্য পাঠকের বয়স কমিয়ে দিতে সক্ষম! কিন্তু হাসির মাঝেও জীবনবোধ তুলে আনা হয়েছে সুনিপুণ দক্ষতায়। মা'য়ের প্রতি কাঞ্চন এর ভক্তি আর ভালবাসা অদ্ভুত ভাললাগার এক আবেশ ছড়ায় মনে। তৎকালীন কলকাতার রাজনৈতিক ঘটনার আভাস দেয়া হয়েছে রম্যের আড়ালে। জনৈক ব্যক্তির এই কথাটুকু "শিক্ষিত না হলে যতোই কমরেড হও মুক্তি মিলবেনা" গভীর অর্থ বহন করে। কাঞ্চন অবাক হয়ে দেখে এখানে এই কলকাতাতে মানুষ আর কুকুরে খাবার নিয়ে যুদ্ধ লাগায়। উপন্যাসের এই অংশটুকু উল্লেখযোগ্য, "এত বড় শহর,এখানে এত বড়লোক,লোকের এত টাকা,এমন ভোজ,এমন শোভাযাত্রা আর এখানেই কিনা মানুষকে কুকুরের সাথে কাড়াকাড়ি করে খেতে হয়!" উপরের অংশটুকু এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার বিরুদ্ধে আক্ষেপ। কাঞ্চন ভাবে সে বড়লোক হয়ে শহরের সমস্ত ফকিরকে ভালো ভালো খাওয়াবে। কেও গরীব থাকবেনা। এর মাধ্যমে শিশু মনের পবিত্রতাই প্রমাণিত হয়।এক কিশোর এর চোখে সব কিছু দেখার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পড়তে হবে "বাড়ি থেকে পালিয়ে"।
Was this review helpful to you?
or
এটা মূলত আমরা বাচ্চাদের উপন্যাস।তবে বড়রাও পড়তে পারো।একটা ছোট শিশুর চোখে পৃথিবী দেখতে চাইলে, একটা অসাধারণ এডভেঞ্চার চাইলে এই বই আদর্শ।পৃথিবীর কদর্যতাকে এভাবে সহজে ছোটশিশুরচোখে ফুটিয়ে তোলা সত্যিবলতে অসাধারণ।এটাকে কিশোর উপন্যাস থেকে শিশু উপন্যাস বলা উচিত।শিশুদের উপন্যাস,সাধারণ নয় নিশ্চয়, তো শিশুরা হারিয়ে যাও কান্ঞনের সাথে।
Was this review helpful to you?
or
একটি শিশুর বিস্ময় ভরা চোখ দিয়ে এই উপন্যাসে গ্রাম ও শহর জীবনকে দেখেছেন শিবরাম। গ্রামের সরল প্রকৃতির মধ্যে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠতে থাকা একটি শিশুর জীবনকে উপলক্ষ করে গড়ে উঠেছে উপন্যাসটি। প্টভুমিতে রয়েছে বিশ শতকের তিরিশের দশকের কলকাতা নগর।শহর কলকাতা তখনি একটি সম্পন্ন নগরের রূপ পেয়ে গেছে। জীবন আক্রান্ত হতে শুরু করেছে নাগ্রিক জটিলতায়। গ্রাম ও নগরে জীবন যাপন এর বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই মানসিকতারই পরিচয় পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। বাড়ি থেকে পালিয়ে উপন্যাসে নাগরিক এই জটীলতাকে দেখা হয়েছে যেন পাশ থেকে। উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র কাঞ্চন খুব ডানপিটে একটা ছেলে। কলকাতা তার কাছে নতুন একটি জায়গা।গ্রামের সরল দৃষ্টিতে নগর জীবন তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন ঠেকেছিল। নগরীর অনেক কিছুই তার কাছে জাগিয়েছিল বিস্ময়। দুস্টূমি ও বিস্ময় ভরা চোখে তার দেখা গ্রাম জীবন এর সঙ্গে নগর জীবন এর সুন্দর ও কুৎসিত কে মিলিয়ে নিতে পেরেছিল। এরই মধ্যে দিয়ে রসঘন হয়ে উঠতে পেরেছে উপন্যাসটি ।শিশুর বিস্ময় ভরা চোখে দেখা জীবন হয়তো বাংলা সাহিত্যে আরো পাওয়া যাবে। কিন্তু গ্রাম ও শহর জীবনকে এমন কৌতুকরসপ্রবাহী সমালোচক সত্তার দৃষ্টিতে দেখা উপন্যাসে সম্ভবত আর পাওয়া যাবেনা। সে কারনে হয়তো এ কথাও বলা চলে যে বাংলা সাহিত্যে এই উপন্যাসে এর কোন ও পূর্বসূরি যেমন নেই তেমন নেই উত্তরসুরী। এই উপন্যাসের ঘটনাবলীতে রয়েছে অনেক আক্সমকিতার ছড়াছড়ি । এইসব আক্সমকিতাকে হয়তো কেউ সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। তাদের কাছে মনে হতে পারে অতি কল্পনা । কিন্তু একটু ভালোভাবে লক্ষ করলেই অনুভব করা যাবে যে ছোটদের জন্য রচিত সাহিত্যে এই ধরনের আকস্মিকতা থাকাই স্বাভাবিক । জীবনের নিষ্ঠুরতা গূলোকে সাধারণত শিশুসাহিত্যে খুব বেশি রকম বীভৎস ভাবে দেখানো হয়না। সঙ্গত কারনেই শিবরাম ও কলকাতা শহরে উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র কাঞ্চনকে সহজেই সক্টাপ্নন অবস্থা থেকে বের করেছেন। মিলনাত্মক ভাবেই শেষ হয়েছে কাহিনী।