User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মাত্র ৪৮ পৃষ্টার বই হলেও প্রতিটা পৃষ্টা জুড়েই থ্রিলিং ব্যাপারটা ছিলো। সমাজে একটি আগাছা সাফ করার জন্য এতো আয়োজন,এতো প্ল্যানিং। যদি ১৮+ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বইটা পড়া উচিত বলে মনে করছিনা কিন্ত বই সত্যি ভালো ছিলো। মাঝেমাঝে সমাজের এমন নোংরা প্রকৃতির মানুষের সাথে যেনো এমনটাই হওয়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
#priyomukh_rokomari_book_club_review_2021 "রাতের রাণী।" কি, চমকে উঠলেন শব্দ দুটি শুনে? উঠারই কথা। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে এই শব্দ দুটি নিয়ে। সম্প্রতি পড়ে শেষ করেছি কথাসাহিত্যিক আহমেদ ফারুকের “খুন” বইটি। এই বইটিতেও সমসাময়িক কিছু বিষয়ের সাথে উঠে এসেছে এই রাতের রাণীদের কথা। লেখক চেষ্টা করেছেন বাস্তবতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার। তবে তা করতে গিয়ে দু-এক জায়গায় একটু বাড়াবাড়িও করে ফেলেছেন। সেই কথায় পড়ে আসছি। তার আগে চলুন বইয়ের গল্পটা একটু জানার চেষ্টা করি। গল্পটা শুরু হয়েছে মনোজিত কুমার গুপ্ত নামক একজন মন্ত্রীর বাসা থেকে। নম্বরের দিক থেকে বাসাটা মন্ত্রী সাহেবের আট নম্বর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এটা হাতে গোণা দুই-একজন ছাড়া আর কেউ জানে না। জানার কথাও নয়। কারণ, শেষ বয়সে আয়েশ করে পায়েস খাওয়ার জন্যই বাড়ীটা তিনি কিনেছেন। স্যরি, প্যাঁচ মেরে দখল করেছেন। সেই বাড়িতে ভয়ানকভাবে পায়চারী করছে গল্পের প্রধান চরিত্র শিহাব। শেষ বারের মতো দেখে নিচ্ছে সব ঠিক আছে কী না। একটু এদিক-ওদিক হলেই যে তার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা জলে যেতে পারে। অবশ্য সেই সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, মনোজিত কুমার গুপ্তকে খুনের এই প্ল্যানটা শিহাব খুব চিন্তাভাবনা করেই করেছে। বহু বছর গুপ্ত সাহেবের সাথে থেকেছে। বিশ্বাস কামিয়েছে। অনেক পাপ কাজের সহকারী হয়ে পাপও কামিয়েছে। এই বাড়িতে একজন মালী, দুইজন দারোয়ান আর একজন কেয়ারটেকার ছিল। তাদের সবাইকে শিহাব বিদায় করিয়েছে। গফরগাঁও, ফরিদপুর আর বাগেরহাট থেকে তিন জাতের তিনটা কুকুর আনিয়েছে। দেশি কুকুর কিন্তু মারাত্মক। এসবই শিহাব করেছে প্ল্যানের অংশ হিসেবে। আরো একটা টোপ ফেলেছে শিহাব। মন্ত্রী সাহেব নারীলোভী মানুষ। এক দুর্ধর্ষ চাওয়া পাওয়া তার মধ্যে। বুড়ি বউ তার বাসনার শেষ বিন্দুতে পৌঁছতে পারে না। তাই বলে এত ক্ষমতা, এত জৌলুশ নিয়ে তিনি কি অতৃপ্ত থাকবেন? একটি ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠানে গুপ্ত সাহেবের দেখা হয় হালের সেনসেশন নায়িকা মনির সাথে। সেখানেই পরিচয়, কিছু কথাবার্তা। গাড়িতে করে ফেরার সময় শিহাবকে জানায়, “মেয়েটা বেশ সুন্দর। দেখ তো, ব্যবস্থা করা যায় নাকি!” শিহাব এটাকেই বড় টোপ হিসেবে বেছে নিয়েছে। চুক্তি করেছে এক রাতের রাণীর সাথে। তার নাম রিমি। শিহাব রাতের অন্ধকারে রিমিকেই নায়িকা মনি রূপে হাজির করবে মনোজিত গুপ্তের কাছে। সময় যত গড়াচ্ছে শিহাবের পায়চারী ততই বাড়ছে। এক অদ্ভুত উত্তেজনায় কাঁপছে শিহাবের শরীর। ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই তার প্ল্যানের চূড়ান্ত পরিণতি হবে। কী হয়েছিল শেষে? শিহাব কি পেরেছিল তার প্ল্যানটা সফল করতে? শত হলেও মনোজিত কুমার গুপ্ত একজন মন্ত্রী। তাকে কাবু করা কি এতই সহজ ছিল? আহমেদ ফারুকের “খুন” মূলত একটি থ্রিলারধর্মী সমকালীন উপন্যাস। তবে অবশ্যই এটা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। এতে আমাদের সমাজের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণের গল্প একটা অ্যাডাল্ট থ্রিলারের মোড়কে ফুটে উঠেছে। লেখক সমাজের অস্থির ও অসহিষ্ণু কিছু রূপকে সাহিত্যিক তুলির আঁচড়ে ভাষারূপ দিয়েছেন। লেখক যে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লিখেন তার প্রমাণ লেখাতেই পাওয়া গেছে। সমাজের ছোট বড় অসঙ্গতিগুলোকে তিনি সুক্ষ্মভাবে তুলে এনেছেন। এখানে আছে ভোগবাদ, লোভ-লালসা, সম্পদের প্রতি মানুষের অগাধ মোহ, নারীর ভালোবাসা ও প্রতারণা। লেখক দেখিয়েছেন, কতোটা বীভৎসভাবে কলুষতার আবর্তের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের পাত্র হয়ে হাজারো রিমি কেমন করে রাতের রাণীতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। লেখকের গল্প বলার ধারাবাহিকতা ভালো ছিল। পাঠককে ধরে রাখতে পারবে। তবে কাহিনী বিন্যাস আরেকটু মনোমুগ্ধকর হলে মন্দ হতো না। পরিপক্ক উপস্থাপন আর সুন্দর শব্দচয়ন একটি লেখাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারে। উপস্থাপন ঠিক থাকলেও শব্দচয়নে লেখক একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। যতই বলি না কেন, এটি একটি ১৮ বই তবু লেখক চাইলে এগুলো এড়িয়ে যেতে পারতেন কিংবা আরেকটু সংযত হতে পারতেন। শব্দচয়ন, কথোপকথন অ্যাডাল্ট জনরা হিসেবে ঠিকই ছিল। বরং এতে গল্পটাকে আরো বেশি বাস্তবধর্মী মনে হয়েছে। তবে পাঠকের রুচিশীলতা বলে একটা কথা আছে। অনেকেই এই বইকে চটি গল্পের সাথে তুলনা করে ফেলতে পারে। একটি গল্পকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন পড়ে ছোট বড় কিছু চরিত্রের। উপন্যাসের দৈর্ঘ্য যেহেতু সীমিত। তাই খুব বেশি চরিত্রেরও প্রয়োজন পড়েনি। চরিত্রায়নে লেখক মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকটা চরিত্র একমাত্রিক এবং বাস্তবতার সাথে কিছুটা বেমানান। এই চরিত্রগুলোকে আরো খোলাসা করা উচিত ছিল। উপন্যাস হিসেবে তাদের স্থান, কাল, বয়স ও পারিপার্শ্বিক বর্ণনার প্রয়োজন ছিল। ত্রিলারধর্মী কাহিনী রচনাতে একজন লেখককে যে জায়গাটাতে সবচেয়ে বেশি মেধার পরিচয় দিতে হয় তা হচ্ছে কাহিনীটির একটা আবহ তৈরী করা। কেউ যখন সেই কাহিনী পড়েন তখন তিনি যেন এই আবহে আটকা পড়েন। রহস্যকে কেন্দ্র করে তৈরী সেই আবহে পাঠক বারবার ঘুরপাক খেতে থাকেন। চূড়ান্ত পরিণতি না হওয়া পর্যন্ত উৎকন্ঠায় থেকে পাঠে নিবিষ্ট থাকেন। “খুন” রচনায় আহমেদ ফারুক এদিক থেকে স্বার্থক। গল্পটাকে এক লেয়ারেই শেষ করেছেন। গল্পের টোন ধরতে পাঠকের খুব একটা অসুবিধা হবে না। তবে শিহাব কেন মনোজিত গুপ্তকে খুন করবে এই ব্যাপারটাও ক্লিয়ার করা হয়নি। অবশ্য শিহাবের ধর্মীয় বই পড়া থেকে ধারণা করা যায়, সে সমাজকে কলুষতা মুক্ত করতে চায়। আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ানো ক্ষমতাবান এইসব জঞ্জালকে সমাজ থেকে সরাতে চায়। এছাড়া বাকি সব ঠিকই আছে। সাবলীল লিখনশৈলী, টানটান উত্তেজনা, রহস্যঘেরা প্লট, দারুণ সাসপেন্স পাঠককে বুঁদ করে রাখতে যা মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আর বই তো কোনো আসমানি কিতাব নয়। তাতে দুই একটি ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকবেই। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে মূল নির্যাসটুকু গ্রহণ করাই একজন সত্যিকারের পাঠকের কাজ। “খুন” তেমনই একটি বই। ছোটখাটো কিছু অসঙ্গতিকে দুপাশে ঠেলে সামনে এগিয়ে গেলেই পাঠক অনেককিছু পাবেন। বইঃ খুন লেখকঃ আহমেদ ফারুক রিভিউকারীঃ মোঃ জামাল উদ্দিন
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
priyomukh_rokomari_book_club_review_2021 বইয়ের নামঃ- খুন লেখকঃ-আহমেদ ফারুক টাকা-৪৮ (প্রথমেই বলে রাখি বইটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাই যারা আঠারো বছরের নিচে তাদের জন্য এই বইটি নয়) কাহিনী একজন যুবক যার নাম শিহাব। তিনি একজন দুর্নীতিবাজ নেতাকে খুন করার চেষ্টায় থাকে। যেই নেতার দুর্বলতা হলো একজন নারীর শরীর।তাই শিহাব রিমি নামের একজন বেশ্যাকে ব্যবহার করে যাতে সে নেতাকে খুন করতে পারে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটার প্রথমে তিন পৃষ্ঠা পড়ে পরের পেইজ উলটানোর ইচ্ছে মরে গিয়েছিলো। এই বইটা পড়ে শুধু একটা জিনিস শেখা যাবে সেটা হলো নারী মানেই যৌন উত্তেজনার বস্তু। একজন নারীর জীবনের মূল লক্ষ্য হলো শারীরিক চাহিদা মেটানো। গল্পে কিছু অযৌক্তিক প্লট তৈরি করা হয়েছে যেগুলোর আদৌ কোনো মানে নেই। যেমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো (১) এক জায়গায় বলা আছে তিনটা পুরুষ কুকুরকে শান্ত রাখার জন্য একজন মহিলা কুকুরকে আনা হয়েছে। সেইখানে একটা লাইন ব্যবহার করা হয়েছিলো। "তিনটা কুকুরকে বেধে রাখা যাচ্ছিলো না। একটা মেয়ে কুকুর আনায় রক্ষা। বিরাট খেলোয়াড়"। আদৌ এটার লজিক কি জানা নেই আমার।তিনটি পুরুষ কুকুরকে শান্ত করার জন্য একটি মহিলা কুকুর আনাই লাগবে অন্য কোনভাবেই শান্ত করা যাবে না বিষয়টা হাস্যকর। এবং সেখানে এটাও ছিলো কুকুদের খাবার দাওয়া হয়নি তারা ভীষণ ক্ষুধার্ত এবং এক পর্যায় তারা দুর্বল হয়ে পরে। তাহলে এখানে মহিলা কুকুর কি প্রয়োজন। দুর্বল কুকুরদের অনায়াসে বেঁধে রাখা যায়। ২) বইটিতে উল্লেখ ছিলো যে, শিহাব খুন করার পরে একটা ডেকচিতে লাশকে রান্না করে। এবং সেটা লুকানোর জন্য সেই ডেকচিতে করে গরীব দুঃখীদের খাবার পরিবেশন করে। গরীব লোকদের কি তাহলে সে ঘৃণা করছে? যদি গরীব লোকদের সে ভালোবেসেই খাবার দিয়ে থাকে সেই ডেকচিতে কেনো খাবার দেবে? শিহাব ডেকচিটা অন্য যেকোনোভাবে লুকাতে পারত। ৩) এই গল্পে যত গুলো নারীর উল্লেখ ছিলো তাদের সবাইকে নিম্নভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। তাদের একটাই চাহিদা সেটা হলো যৌন চাহিদা। গল্পে একবারো বলা হয়নি শিহাবের ব্যাকগ্রান্ড কি? সে কেনো নির্দিষ্ট একজন নেতাকেই মারতে চায়? এর আগে কি শিহাব কাউকে খুন করেছিলো কি না বা নেতাকে মারার কারণ কি? কারণ সেই নেতা দুর্নীতি করে কিন্তু তাহলে তো দেশের সকল নেতাকেই মারতে হয়। একজনকেই কেনো শিহাব মারবে। খুনের উদ্দেশ্য কি? ৪)এখানে আরো একটা বিষয় উল্লেখ ছিলো ভারতে ধর্ষণের পর প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্ষনের খবর পত্রিকার এক কোণায় পরে রইল। বিষয়টা এরকম নয়। একটা বিষয় থাকে যে পাবলিসিটি ট্রেন্ড। যখন একটা নিউজ অনেক বেশি পাবলিসিটি পায় তখন সেই বিষয়টা নিয়ে সবাই কথা বলে মন্ত্রীরাও বলে। কিন্তু রোজ ভারতে অহরহ ধর্ষণের ঘটনা হয়ে থাকে প্রতিটি নিউজ নিয়েই কিন্তু অহরহ পাবলিসিটি হয় না। আমাদের দেশে তনু হত্যা নিয়ে যথেষ্ট পাবলিসিটি হয়ে ছিলো। তখন আমাদের দেশের মন্ত্রীরাও অনেক কিছু বলেছিলো।বাংলাদেশের সাথে ভারতের তুলনা করা উচিতই নয় । যেখানে ধর্ষনের দিক থেকে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান নেই শীর্ষ দশ দেশের তালিকায়। (৫) রিমি ক্যারেক্টরটা খুবই কনফিউজিং তার প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে গেছে এজন্য সে বেশ্যা হয়ে গেছে। যদি গল্পে বলা হত রিমি দরিদ্র কিংবা অন্য কোনো লজিক হতে পারত তার বেশ্যা হওয়ার। শিহাব মন্ত্রীকে মারার জন্য একজন বেশ্যাকে কেনো ব্যবহার করবে? সে মন্ত্রীকে যেকোনো ট্র্যাপে ফেলে মারতে পারত। কিন্তু আগে সে একজন মেয়ের সাথে নেতার শারীরিক সম্পর্ক করিয়েছে তারপর তাকে মার্ডার করেছে।কোনো লজিক নেই। (৬) যদি এটা যৌন উত্তেজক বই হয় কিংবা লেখকের উদ্দেশ্য হয় যে এটার মাধ্যমে শারীরিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তাহলে এখানে দুর্নীতিবাজ নেতাকে কেনো হত্যা করবে? ইসলামের এবং পুরাণের শাস্তির কথা কেনো বলা হবে মানে মানুষকে কেনো সোশ্যাল ম্যসেজ দেয়া হবে? গল্পের পজিটিভ দিক (১) খুন করে লাশ লুকিয়ে ফেলার ব্যপারটা ইন্টারেস্টিং মন্তব্যঃ বইটিতে কোনো ভালো ম্যাসেজ নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় পুরুষদেরকে নিঁচু করা হয়েছে।কিন্তু যখন শিহাব রিমির কাছে যায় তখন ভালো লাগে। তখন এটা বলা যায় যে,সব পুরুষরা যৌন চাহিদা চায় না। তারা ভালোবাসাও চায়। এই জায়গায় মূলত পুরুষদের সম্মান করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
#Priyomukh_rokomari_book_club_review_2021 বই : খুন লেখক:আহমেদ ফারুক ধরন: সমকালীন উপন্যাস,অ্যাডাল্ট থ্রিলার প্রকাশনী: প্রিয়মুখ প্রকাশনী সংস্করণ: দ্বিতীয়, ২০১৩ ISBN: 9879849025373 পৃষ্ঠা: ৪৮ মুদ্রিত মূল্য: ৮০ টাকা রিভিউকারী : মো: রোকনুজ্জামান রনি পটভূমি: অন্যায় যে করে আর আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃনা যেনো তারে তৃণসম দাহে। মনে পড়ে যায় কবি গুরুর অমর এই উক্তিটি। সমাজে অন্যায়কারী যেমন অপরাধী তেমনি অন্যায় কাজে সহায়তাকারী, উদ্বুদ্ধকারী, এমনকি অন্যায় দেখে চুপ থাকা নীরব দর্শক সবাই সমান দোষে দোষী। কিন্তু এই সমাজের চোখে অপরাধের তীর গিয়ে কেবল একপাক্ষিকভাবেই বিদ্ধ হয়। অন্যদিকে বিত্তশালী, ক্ষমতাবান রাঘব বোয়ালরা আড়ালে থেকে নাড়েন কলকাঠি, সমাজ যায় গাঢ় অন্ধকারের কড়াল গ্রাসে। তেমনি এক সীমালঙ্ঘনকারী, দুর্নীতিপরায়ণ মন্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা নিয়ে সমাজকে কলুষতা মুক্ত করার অভিপ্রায় এবং সাথে উপরি হিসাবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জর্জরিত এক নারীকে নবজীবন প্রদানের পরিসমাপ্তি ধরে এগিয়ে চলে স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক আহমেদ ফারুকের অ্যাডাল্ট থ্রিলার উপন্যাস "খুন" । অ্যাডাল্ট ঘরানার উপন্যাস হিসেবে যথোপযুক্ত শব্দচয়ন, কথোপকথন, অলঙ্কার উপমার সন্নিবেশ গল্পটিকে বাস্তব ও এক প্রাকৃতিক আবহ প্রদান করেছে। ছোট্ট এই অ্যাডাল্ট উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক ফারুক আহমেদ সমকালীন সমাজের এক করুন চিত্র মঞ্চস্থ করেছেন । লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে এক চূড়ান্ত নষ্ট সময়ের মধ্য দিয়ে একটি শিক্ষিত, ভদ্র , বিত্তশালী সমাজ আবর্তন করে বলে আশা করি। গল্পের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ: এবার চলে যাই সরাসরি মূল গল্পে। শুরুতেই বইয়ের প্রথম দুইটা লাইন ধরেই শুরু করা যাক। "খুন। আর ঘণ্টা চারের মধ্যে একটা খুন হবে।তবে খুনটা একটা মানুষের হবে না একটা পশুর হবে শিহাব তা বুঝতে পারছে না।" এখানে বলা হচ্ছে গল্পের ভিলেন মানুষরূপী পশু , দুর্নীতিপরায়ণ মন্ত্রী মনোজিত কুমার গুপ্তের কথা। মন্ত্রী হয়ে জনসেবার পরিবর্তে দুর্নীতি ও পাপাচারে লিপ্ত থাকেন সর্বদা। একদা এক টিভি প্রোগ্রামে সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন মন্ত্রী মনোজিত।সেই অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা মনি কে দেখে তার প্রতি লালসায় অধীর হন মন্ত্রী।লালসা চরিতার্থের সকল দায়িত্বভার পড়ে মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত অ্যাসিস্ট্যান্ট তথা আমাদের গল্পের নায়ক শিহাবের উপর। এদিকে মন্ত্রীর বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম, দুর্নীতির প্রত্যক্ষদর্শী ও সহযোগী শিহাবের মনে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়। প্রায়শ্চিত্তের অংশ হিসেবে সে সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রীকে খুন করে সমাজের সাধারণ মানুষকে জঞ্জাল থেকে মুক্ত করবে। খুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিহাব যোগাযোগ করে শহরের বিখ্যাত সুন্দরী কলগার্ল রিমির সাথে। কাহিনী কিন্তু এখানেই শেষ নয় বরং নতুন এক ক্লাইম্যাক্স এর সূচনা ঘটে এইখানে। রিমিকে নিয়ে চমৎকার এক উপলব্ধি ঘটে শিহাবের মাঝে। গল্পটি পড়লে পাঠক ও নিশ্চয় রিমির প্রতি গভীর মমতা ও সহানুভূতি উপলব্ধি করবেন । রিমির মত কলগার্লদের সমাজ ভোগ্যপণ্য কিংবা আগাছা বা কীট বিবেচনা করলেও গল্পের পরতে পরতে শিহাবের ন্যায় পাঠক ও অনুভব করবেন সমবেদনা। তাই গল্পের শেষ দিকে শিহাব ভাগ্যবিড়ম্বিত রিমির দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে নবজীবন প্রদানের মাধ্যমে অ্যাডভেঞ্চারের সার্থক পরিসমাপ্তি টানে । মূলত এই উপন্যাসটিতে লেখক আহমেদ ফারুক কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচিত করে দেখিয়েছেন পাঠকদেরকে। একটা মেয়ে কিভাবে সাজানো , গুছানো জীবন ছেড়ে অন্ধকার জগতে পা বাড়াতে বাধ্য হয়, কিভাবে অন্ধকার বৃত্তে জীবন আবদ্ধ হয়ে পড়ে সে বিষয়টি ও আবিষ্কার করতে পারবেন পাঠক গল্পটির মাধ্যমে। কৈশোরে রিমি রাব্বি নামের এক ছেলেকে খুব ভালোবাসত, বিশ্বাস করতো। কিন্ত রাব্বি তাকে প্রেম ভালোবাসার মিষ্টি বাক্য শুনিয়ে তাকে কেবল উপভোগ করে চলে।এক সময় রাব্বি রিমিকে ধোঁকা দিয়ে লন্ডন প্রবাসী মেয়েকে বিয়ে করে বিলাত গমন করে। ভাগ্য বিড়ম্বনায় রিমি জড়িয়ে পড়ে অন্ধকার জগতে। আজকে মন্ত্রী - এমপি থেকে শুরু করে বিত্তশালী, বিবাহিত, অবিবাহিত অনেকেই রিমির কাছে সুখ খুঁজে, শান্তি খুঁজে। বড়ো বড়ো সাহিত্যিকরা রাতের অন্ধকারে রিমির মত মেয়ের নগ্ন মেয়ের উন্মত্ত শরীর অবলোকন করে নগ্ন সাহিত্য রচনা করে পদক হতে প্রশংসা কুড়ান কিন্তু দিনের আলোয় রিমিদের সাথে দেখা হলে না চেনার এক মেকি ভনিতা করে এড়িয়ে যান। কাস্টমার , দালাল থেকে শুরু করে রাস্তার পুলিশ, হোটেল ম্যানেজার সবাই কেবল রিমিদের সুবিধাভুগী কেও তাদের জন্য এতটুকু সহমর্মী নয়। গল্পে লেখক দেখিয়েছেন একজন পুরুষের কারনে একজন নারী যেমন নষ্ট হতে পারে তেমনি একজন দায়িত্বশীল পুরুষের হাত ই পারে একজন নারীকে সম্মানের সাথে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। গল্পে আরো একটি বিষয়ে লেখক ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কেও যেমন পেটের দায়ে পড়ে আজকাল অন্ধকার জগতে পা বাড়ায় তেমনি বর্তমানে শিক্ষিত, বিত্তশালী ঘরের কিছু মেয়েরাও আধুনিকতা বা স্মার্টনেস, ফুর্তিবশত কিংবা দুশ্চরিত্র স্বভাবের কারনে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার মনে করে সমাজে ভদ্রতার মুখোশ পরিধান করে চলে। নেতিবাচকতা: অ্যাডাল্ট ঘরানার ছোট্ট উপন্যাস বা উপন্যাসিকা হিসেবে কিছুটা বিতর্ক সবসময় থেকেই যায়। প্রচুর অ্যাডাল্ট শব্দচয়নের কারনে উপন্যাসটি পাঠক সমাজে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বইটির পড়ার ক্ষেত্রে শিশু, কিশোর, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, কাওকে উপহার দেওয়ার আগে ভাবতে হবে দুইবার। তাছাড়া চরিত্রগুলোর বয়স, স্থান, পারিবারিক বিবরণ, পরিবেশ পরিস্থিতির বর্ণনা লেখক প্রদান করেন নি। প্রচ্ছদ নিয়েও হতে পারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে দিন শেষে এমন অ্যাডাল্ট ঘরানার গল্পের সার্থকতা নির্ভর করবে পাঠকের রুচিশীলতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও গভীর চিন্তাশক্তির উপর তা না হলে একে নেহায়েত চটি গল্প ভেবে ভুল করে বসতে পারেন পাঠক। তাই বিতর্কের অবসান ঘটাতে পাঠক নিজের পড়ে বিচার করতে পারেন বইটি। পরিশেষে প্রিয়মুখ - রকমারি কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ছড়িয়ে পড়ুক বইয়ের কথা।ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
Priyomukh_rokomari_book_club_review_2021 রিভিউ লেখকঃ শাহনীন রহমান রিভিউ ক্রমঃ ১ প্রিয়মুখ রকমারি বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজকে আলোচনা করব লেখক আহমেদ ফারুকের লেখা“ খুন”বইটি নিয়ে। বইটিকে ঠিক উপন্যাস বলা যায় না উপন্যাসিকা বা নোভেলা খুব জোর বড় গল্প বলা যায়। “খুন”গল্পের নাম শুনেই পাঠক বুঝতে পারছেন গল্পের উপজিব্য কি হতে পারে? তবে এটা থ্রিলার নাকি সামাজিক গল্প? তা বলার জন্য গল্পটা বিশ্লেষণ করা যাক। গল্পটা শিহাব নামের একজন ব্যক্তির। যিনি একজন দুর্নীতি পরায়ণ মন্ত্রীকে খুন করে দেশ ও সমাজ কে এ ধরনের মানুষের হাত থেকে রক্ষা করতে চান। সাথে বোনাস হিসেবে আছে একজন ভাগ্য বিড়ম্বিত নারীর ত্রাতা হয়ে এ্যাভেঞ্জারের স্থান পাকা করে ফেলা। এখন নায়ক তার পরিকল্পনায় সফল হতে পারলো কি না তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এবার বলি বইটি পড়ে আমার কেমন লেগেছে সে কথা। বইটি পড়ে আমি হতাশ,রাগান্বিত এবং লজ্জিত। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমার এমন ভাবার কারণ কি? একটু ব্যাখ্যা করলেই বুঝতে পারবেনঃ পটভূমির অভাবঃ গল্প শুরু হয়েছে একদম আকস্মিকভাবে যার সাথে গল্পের সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দুর্বল কাহিনীঃ গল্পে খুন করার পেছনে ব্যাখ্যা অত্যন্ত খেলো। খুন একটা গুরুতর অপরাধ এবং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এ ধরনের অপরাধ শুধু মাত্র সাইকোপ্যাথ কিলারের পক্ষেই সম্ভব। শিহাবের ক্ষেত্রে মোটিভ টা কি তার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিল। দুর্বল উপস্থাপনঃ গল্পে কয়েকটি চরিত্র এনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু কে কেন কি করছে বা করবে তার সঠিক কোন ব্যাখা নেয়। একজন দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী রূপী ভিলেন আর দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নামক কোন বস্তু নেই তাই এ্যাভেঞ্জারের ভূমিকায় নামতে হলো তারই ডান হাতকে। তিনি আবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাহায্য নিলেন এক পতিতা যার কোন প্রয়োজন নেই। তার উপর তার শরীর দেখে প্রেমে পড়ে যাওয়া এমন উদ্ভট গল্প হজম করা মুস্কিল। দুর্বল চরিত্র চিত্রণঃ গল্পতে মূল চরিত্র ধরতে গেলে গোটা তিনেক কিন্তু কোন চরিত্রই পাঠকের মনে দাগ কাটতে পারে না। কারণ লেখক কোন চরিত্রই ঠিক মতো বর্ণনা করেননি। শিহাব কে যদি হিরো ধরা হয় তবে সে দেখতে কেমন ফর্সা না কালো,লম্বা না বেঁটে বয়স ত্রিশ না তেপান্ন কিছুই লেখা হয়নি। মন্ত্রী মনোজিত কুমার গুপ্ত ভিলেন বোঝা গেল কিন্তু এ ক্ষেত্রেও তার চারিত্রিক দোষ ছাড়া আর কোন বৈশিষ্ঠের উল্লেখ নেই। রিমির ঢলঢলে যৌবন আর তার শরীরের বিশেষ অঙ্গ বাদেও আরও কিছু লাগে একটা চরিত্র বর্ণনার ক্ষেত্রে এটা লেখক ভুলে গেছেন। ভাষার ব্যবহারঃ গল্পে ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত নিম্নমানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ। বর্ণনার গুনে রমণের বর্ণনাও শৈল্পিক হতে পরে কিন্তু এক্ষেত্রে তা নিচুমানের চটিতে পরিণত হয়েছে। পরিশেষে বলতে হয় মুরাদ টাকলা ভাষা দিয়ে যেমন সাহিত্য চর্চা সম্ভব না তেমনি এ ধরনের কোন লেখাকে সাহিত্যের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা বাংলা সাহিত্যের অবমাননা ছাড়া আর কিছু নয়। এক নজরে বইটিঃ বইয়ের নামঃ খুন লেখকঃ আহমেদ ফারুক প্রকাশনীঃ প্রিয়মুখ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৬
Was this review helpful to you?
or
ভালো এডাল্ট থ্রিলার
Was this review helpful to you?
or
চরিত্রহীন একটা গল্পে, নষ্ট মেয়ের মাঝের ভালোবাসা কে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। আর যেই পুরুষ জাতি তাকে নষ্ট করেছে তার দমন কে দেখানো হয়েছে। পরিশেষে সুন্দর একটা সমাপ্তির জন্য লেখকে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
#Priyomukh_rokomari_book_club_review_2021 বইয়ের নাম : খুন লেখক:আহমেদ ফারুক ধরন: সমকালীন উপন্যাস, থ্রিলার। প্রকাশনী: প্রিয়মুখ প্রকাশনী রিভিউয়ারঃ শরিফ হাসান খান পৃষ্ঠা: ৪৮ মুদ্রিত মূল্য: ৮০ টাকা মন্ত্রী মনোজিত কুমার গুপ্তের আট নাম্বার বাড়ি।আয়েশ করে শেষ বয়সে বাড়িটা করেছে পায়েস খেতে। অবশ্য তার নিজের টাকায় করেনি।কোনটা জোড় করে দখল করেছে, কোনটা প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে। শিহাব মন্ত্রীর খুব কাছের লোক।একবার মন্ত্রী সাহেব একটা ডিজে পার্টিতে যায়।সেখানে মনি নামের এক রাতের রানী নায়িকা দেখে তার খুব খায়েশ জাগে।তাকে বিছানায় যেকোনো মূল্যে পেতে চায় মন্ত্রী। শিহাবকে তলব করলো এব্যাপারে যেন থাকে ম্যানেজ করে।শিহাব একপায়ে খাড়া মন্ত্রীর অর্ডার পালন করতে কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? নায়িকার সাথে যে সে কোন যোগাযোগই করতে পারেনি।তাই সোলাইমান নামের একজনের সাথে কনটাক্ট করে গুপ্তের সহযোগী। সে রিমি নামের এক সুন্দরী কলগার্লের সন্ধান দেয়।এইদিকে মন্ত্রীসাহেবের সেই নায়িকা মনিকে বিছানায় লাগবেই যত টাকায় লাগুক। তাই শিহাব বুদ্ধি খাটিয়ে মাতাল গাঁজাখোর মন্ত্রীকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানায়। ফ্লাটের সব লাইট নিভিয়ে অন্ধকারের রাজ্য তৈরি করে রিমিকে বানায় মনি।মনোজিত কুমারও এ চাল বুঝতে পারেনি।রিমির সরলতার সুযোগ নিয়ে রাতের রানী বানায় তার বয়ফ্রেন্ড রাব্বি। সে প্রথমে রিমিকে ভোগ করে নষ্ট করে ছেড়ে দেয়।তারপর লন্ডনী মেয়েকে বিয়ে করে পাড়ি জমান বিদেশে। আর শিহাবেরও কুলসুম নামের একজনকে পছন্দ ছিলো। মন্ত্রীর মনোরঞ্জনের জন্য রিনিকে খুব সাজগোজ করে আসতে হয়ছে অনেক আগেবাগেই।মেয়েটা শিহাবকে দেখে তার রাব্বির প্রতিচ্ছবি দেখতে পায় আর তাকে ইমোশনাললি দুর্বল করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে টলাতে পারেনি মেয়েটা।কিছুক্ষণ পরে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মন্ত্রীর কামড়ে রিমির শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়।এ আর নতুন কি এটা তার হরহামেশাই হয়।তার কিছুক্ষণ পর শিহাবের সাথে রিমির বেশ ভালোই জমে যায়।শিহাবকে সে অফার করে...! রিমি চলে গেলে মন্ত্রীকে তার সহযোগি শিহাবই খুন করে পরপারে পাঠিয়ে দেয়।আর পরের দিন রিমির বাসায় গিয়ে সে রিমিকে নতুন করে বাঁচতে নতুন স্বপ্ন দেখায়। উপন্যাসটা কাদের জন্য কার্যকরী? এককথায় অ্যাডাল্টদের জন্য বেশি উপযোগী। কারণ কেন্দ্রীয় চরিত্রের মধ্যে যারা ছিলো তাদের কথাবার্তার ধরন পুরোটায় অ্যাডাল্ট।এক্ষেত্রে ছোটদের বইটা পড়লে মাথা বিগড়ে যেতে পারে! . লেখক মূলত একটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছেন খুন উপন্যাসের মাধ্যমে। মন্ত্রী পর্যায়ের রাঘববোয়ালদের দিনের আলোতে চেহারা একরকম আর রাতের আঁধারে অন্যরকম। এক্ষেত্রে লেখক খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন বিষয়টাকে। . আমার কাছে যেদিকটা ভালোলাগেনি তাহলো বইটার বাচনভঙ্গি। শব্দগুলো আরো সাহিত্যমনা হতে পারতো।যেসব অ্যাডাল্ট শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে সেসব দেখে পাঠক মনে করবে এইটা নিছক কোন চটি বই। অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ যেসব শব্দ বোমা পাটানো হয়েছে তা আর মার্জিত, সাবলীল হতে পারতো। বই মনের পরিধি বাড়ায়, পড়িলে বই আলোকিত হই।
Was this review helpful to you?
or
fully adult book. but awesome story... i think its a great six book and reality adult thinking of human. its real story of our social life. thanks author for this book.
Was this review helpful to you?
or
এই লেখাটা লেখার আগে চারটা নষ্ট নারীর সাথে আমার কথা হয়েছে। একটা একবারে নিম্ন শ্রেণির। সে তার নাম বলেনি। তার জীবনের কোনো গোপন গল্প নেই। থাকলেও আমার জানা হয়ে ওঠেনি। দ্বিতীয়টা অতি আধুনিক। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে পড়ছে। এটা এই পুরো ব্যাপারটাকে আধুনিকতা ভাবে। যৌন সম্পর্ককে সে ভালোবাসার অংশ মনে করে। এমনকি যৌনতার ছোটখাটো ব্যাপাগুলো তার কাছে একেবারে ওপেন। চুমু দেয়া কিংবা শরীর দেখানো তার কাছে অতি নগণ্য ব্যাপার। সে ভালো ঘরের সন্তান। আমার এক কোটিপতি ব্যবসায়ী বন্ধুর সাথে প্রায়ই সিলেট-কক্সবাজার যায়। দু-তিন দিন পর ফিরে আসে। আমি ভেবে পাই না এই মেয়ের বাবা-মা মেয়ের বাইরে থাকা মেনে নেয় কিভাবে? তৃতীয়টা প্রফেশনাল বেশ্যা। হোটেলে থাকে। তবে সবাইকে পরিচয় দেয় এয়ার হোস্টেজ। তার প্রোফাইলও বেশ হাই। এটা রাতের কাজ ছাড়াও আরো কিছু অদ্ভুত কাজ করতে পারে। যেমন কাউকে ফাঁসিয়ে দেয়া বা অন্য কোনো কাজ হাসিল করা। বিশেষ করে কাস্টমার ধরার বিজনেসে এর জুড়ি নেই। শেষটার সত্যি সত্যিই চরিত্র খারাপ। এটা সম্ভবত সেক্স ছাড়া চলতে পারে না। বহুগামী পুরুষের মতো বহুগামী মেয়ে। একাধিক পুরুষের আদর নেয়াই তার স্বভাব। ক’দিন আগে বিয়ে হয়েছে, তার পরও এই কাজ বাদ দিতে পারেনি। একবার ভয়াবহ বিপদেও পড়েছিল। এমআর করে কোনো রকমে জান বেঁচেছে। আমি তো ভাবলাম যাক উচিত শিক্ষা হয়েছে। এবার আর যাই হোক চরিত্রটা ভালো হবে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। অদ্ভুত ব্যাপার হলো মেয়েটা বোরকা পরে। সবাই ভাবে খুবই ধার্মিক মেয়ে। এরা ধর্মটাকেও ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করে। প্রথমজন ছাড়া বাকি তিন বেশ্যার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আমার কোটিপতি বন্ধু। সে বেশ গর্ব করে বলে, এই তিনটাই আমি বলতে পাগল। তিনটারই টেস্ট নিয়েছি। আমিও বেশ খুশি হয়ে বললাম, সবচেয়ে মজার কোনটা? সে অবশ্য উত্তর দেয়নি। শুধু হেসেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেঞ্চুরি মানিকের গল্প আমরা সবাই জানি। সে বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন মানিকের যেমন অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই আধুনিক এই বিজনেস ম্যাগনেট বেশ্যারও। এ এক অদ্ভুত মুখোশ। আমি শেষ তিনটাকে দেখার পর হালকা শক হয়েছিলাম। এত সুন্দর, স্মার্ট, সমাজের উঁচু শ্রেণির মেয়ে এরা, সামাজিক স্টাটাসও বেশ হাই। কেউ কোনো দিন ভাবতেই পারবে না এরা আসলে কী? আমরা কি তবে চূড়ান্ত নষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশ করেছি। নাকি ‘বেশ্যা’ শব্দটার নতুন করে আধুনিক সংজ্ঞা দিতে হবে। আমার জানা নেই।