User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি বেশ কয়েকটা জায়গায় দেখেছি, রবীন্দ্রনাথের কাছে কাদম্বরী দেবীর শেষ চিঠি বা এই টাইপের কিছু একটা। কিন্তু আমি সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই আসলে কাদম্বরী দেবী,রবীন্দ্রনাথকে কোন চিঠি লিখেন নি মৃত্যুর আগে তিনি তার স্বামী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই চিঠি লিখে গিয়েছিলেন। তবু যদি কেউ সন্দেহ করে তবে আমি তাদেরকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম আলো উপন্যাসটা পড়তে বলবো।
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ Book:Kadambiri Debit suicide note Writer: Ranjan Bandopaddhay Publication: Nabajug First edition:Book fair 2013 I have always been fascinated by the untold,mysterious story of Rabindranath Thakur and his sister in law.Did they have an affair?Was it an emotional affair?Was she unhappy in her marital life?Did she even have a conjugal life with her aloof husband?Or were their beds separated?So many questions.When I picked up this book,I was hoping to get some answers.Instead,I got a whole new set . Let's break this down,okay?//In this book it has been explicitly stated that yes,they had an affair and yes,they consumated their relationship.It has also been said that her sister in law didn't approve of her because of her low socio economic status.These two misfits found each other and created their own world.She was his muse.He was her companion.The others soon found about this affair and decided to keep it hush hush.It was decided that Rabindranath will be sent to London in the pretext of studying law whereas it was just a ploy to keep these two star crossed lovers apart.He declined the offer first time but was made to go the second time.After returning,they continued their dalliance like no time had passed in the between.But everything that has a beginning,has an end.After the marriage of Rabindranath,he pulled away from Kadambari.Whether it was out of loyalty,love for his wife or just because he lost interest,we would never know.On top of this,Kadambari found a love letter in her husband's pocket.That was the last nail to the coffin.After that,her decision was made.The lonely lady took her own life.Her suicide note was destroyed 127 years ago.The writer created this book using his own imagination.We can't say it is historically accurate.However,we can't also say it's historically inaccurate.I guess some truths are better left unknown.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই! কাদম্বরী দেবীর প্রেম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে অমর করে রাখল।
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথের মেজ'দা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্ত্রী কাদম্বরী দেবী, যিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। মূলত সেই আত্মহত্যার সময় তিনি সুইসাইড নোট লিখেন কিন্ত এটি আবার সুইসাইড নোট নয় এটিকে বলা হয় সুদীর্ঘ চিঠি, যেই চিঠি লিখেছিলেন কাদম্বরীদেবী। তিনি পরিবারের সবার কাছ থেকে অবহেলার শিকার হয়েছিলেন কিন্ত একজন ব্যাক্তি বাদে যিনি ছিলেন আমাদের "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"। কিন্ত রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হবার পরে তিনিও তার থেকে দূরে সরে যান যার ফলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। রবীন্দ্রনাথ তাকে নতুন বোঠান বলে ডাকতো। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের যেকোনো লিখা কবিতা বা গানের প্রথম শ্রোতা। বইটি আমার কাছে যদিও ভালো লাগেনি তবে আপনাদের কাছে ভালো লাগতে পারে আর বইটি পড়লে জানতে পারবেন যে রবীন্দ্রনাথ কতো রোমান্টিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাদম্বরী দেবীর সম্পর্কের কথা কারোই বোধয় অবিদিত নয়। কিন্তু,তার স্বরূপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা খুব কম পাঠকেরই আছে। ঠিক এই সুযোগটাই কুক্ষিগত করে একখানা বই লিখে ফেললেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের মনগড়া গল্প,তার মাঝে যৌন সুড়সুড়ি। আর শুধু রবীন্দ্রনাথ না,রঞ্জনবাবু বিহারিলাল চক্রবর্তীকেও এমনভাবে দেখিয়েছেন যাতে একটা ত্রিভুজ-প্রেম সৃষ্টি হয়েছে। পাঠক টানতে আর কি লাগে...!! এমনিতেই রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমাদের প্রবল আগ্রহ। তার উপর নারী-ঘটিত বিষয়। ৪০ সংস্করণ হওয়ার জন্য এইতো যথেষ্ট
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
বইটির লেখকের নাম হচ্ছে 'রঞ্জন', বইটি পড়তে পড়তে মনে হলো "অতিরঞ্জিত" করেই বইটি লিখা। একটু বেশি বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে আমার কাছে। সাধারণত রিভিও লিখার সময় সেই বই থেকে আমি পছন্দের কয়েকটি লাইন লিখি যেন অন্য পাঠকরা বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহী হোন কিন্ত এই বইয়ে আসলে সেইরকম কোনো লাইন পেলাম না তাই আর লিখা হলো না।
Was this review helpful to you?
or
কাদম্বরী দেবী - ইতিহাসের অতল গহ্বর হারিয়ে যাওয়া এক নারী ; যিনি ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম অনুপ্রেরণাদাত্রী। প্রবল বিলাসিতা উপেক্ষা করে মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন রবীন্দ্রনাথের বৌদি কাদম্বরী দেবী। তিনি লিখে গিয়েছিলেন এক চিঠি, যার প্রতিটি শব্দ লেখা ছিল কাদম্বরী দেবী মনোকষ্ট দিয়ে। এ গ্রন্থ কৌতূহলী বাঙালিকে জানাবে রবীন্দ্রনাথের সাথে তাঁঁর বৌদির সম্পর্ক বিষয়ে এবং কাদম্বরী দেবীর আত্মহত্যা বিষয়ে।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ বই : কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড-নোট লেখক : রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশনায় : নবযুগ প্রকাশনী প্রচ্ছদ : সুদীপ্ত দত্ত পৃষ্টা সংখ্যা : ৮০ মুদ্রিত মূল্য : ১৮০ টাকা রেটিং : ৪/৫ নশ্বর এই পৃথিবীটা বড়ই বৈচিত্র্যময়। বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবী ক্রমেই রহস্যময় হয়ে উঠছে আঠারো হাজার মাখলুতের মধ্যে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ নামক সুন্দর জীবটির বৈচিত্র্যময় পদচারণায়। এখানে একই আকাশের নিচে বাস করলেও কেউ চরমানন্দে হাসে, আবার কেউবা জীবন নামক নির্মম মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে ডুকরে কেঁদে বুক ভাসায়, মনের অজান্তেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে কষ্টের নোনাজলে। আর এটাই বোধহয় ধরণী সৃষ্টির আদি প্রথা। যে প্রথা লংঘন করা তো বহুদূরের কথা, এর সীমানা প্রাচীরও ছোঁয়ে দেখার ক্ষমতাটুকু কারো নেই। আদি প্রথার এই সীমানা প্রাচীরের চারদেয়ালে বন্দি থেকেই ভালোবাসার পিপাসায় চোখের জলে বুক ভাসিয়েছিলো রবিঠাকুরের নতুন বউঠান কাদম্বরীদেবী। নয় বছর বয়সে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সাথে কাদম্বরীদেবীর বিয়ের সময় দেবর রবি তখন ছয় বছরের ছোট্ট বালক। ঠাকুরবাড়ির সাধারণ একজন কর্মচারীর মেয়ে অল্প বয়সী কাদম্বরীদেবীর পুতুল খেলার সখা ছিল রবিঠাকুর। বিয়ের পর থেকেই রুচিশীল এই নারীকে নানাভাবে লাঞ্ছিত, অপমানিত হতে হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির পরিশীলিত সাংস্কৃতিক আবহ ও বিনয় বচনের মধ্যেও তাকে সইতে হয়েছে নিন্দা-বিদ্বেষ আর কুৎসার তীব্র আঘাত। এত লাঞ্ছণা, এত আঘাত, এত জ্বালা-যন্ত্রণার মধ্যেও তিনি বেঁচে থাকতে চেয়েছিলে। কারণ রবীন্দ্রনাথকে যিনি সখা হিসেবে পেয়েছেন, তিনি কি আর মরতে চান! রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তার প্রাণের সখা, প্রাণের রবি। ঠাকুরবাড়ির সব দুঃখ, সব বেদনা, সব অপমানের মাঝে কেবল রবীন্দ্রনাথই ছিলেন তার পরম ধন, একমাত্র পাওয়া। ন’ বছর বয়সে যেদিন তিনি ঠাকুরবাড়ির বউ হয়ে এলেন, সেদিন থেকে রবিই হয়ে ওঠেন তার প্রাণের দোসর। কৈশোরে রবি ছিলেন তার একমাত্র বন্ধু। রবির হাতে হাত রেখেই তো কাদম্বরীদেবী তার ভাললাগার প্রথম আলোর দেখা পান নন্দকাননে। কাদম্বরীদেবীর মনে হয়েছিল তার প্রতি ঠাকুরবাড়ির সব লাঞ্ছণা, অবহেলা, অপমান, উপেক্ষা,ঘৃণা আর কুৎসার যেন প্রতিশোধ নিচ্ছেন রবি। সারা ঠাকুরবাড়িতে কাদম্বরীদেবী একজনকেই প্রাণের মানুষ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন যে তার কষ্ট, দহন বুঝেতে সক্ষম হয়েছিল গভীরভাবে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও কেন আত্মহত্যা করেছিলেন রবির প্রাণের সখা কাদম্বরী? কাদম্বরী কি কোনো সুইসাইড-নোট লিখেননি? নাকি লিখেছিলেন? যা পুড়িয়ে ফেলা হয়..? লেখক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকায় জানিয়েছেন, ‘চিঠির সর্বাঙ্গ ঝলসে গেছে আগুনে। ঝলসানো চিঠিটাকে কে বাঁচিয়েছিলেন আগুন থেকে? রবীন্দ্রনাথ? নাকি অন্য কেউ? ১২৭ বছর আগের সেই রহস্যাবৃত ঘটনায় যেন সন্দেহের আলো ফেলেছেন লেখক। রবীন্দ্রনাথের বিয়ের মাত্র চার মাস পরেই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী, রবির নতুন বউঠানকে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিতে হলো? ঠাকুরবাড়ির বউ হয়ে আসার পর কেমন কাটছিল তাঁর জীবন? ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের নারীরা কেন তাঁকে সহজভাবে নিলেন না? রবীন্দ্রনাথ কি পারতেন তাঁকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচাতে? বইটি লেখার আগ পর্যন্ত একটি প্রশ্নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন লেখক স্বয়ং, কাদম্বরী তাঁর সুইসাইড-নোটে ‘কী’ লিখতে পারতেন? কার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর সুইসাইড-নোট লেখেছিলেন? লেখক তাঁর সৃজনশীলতায় দেখতে পেয়েছেন, কাদম্বরীর আত্মহননের ১২৭ বছর পর সুইসাইড-নোটটি হঠাৎ উদ্ধার হলো। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেলো, পিতৃ-আদেশ অমান্য করে কে সেটিকে আগুনে ছাই হতে দেননি? কল্পনার মিশেলে সেই ঝলসানো চিঠির করুণ পাঠোদ্ধার কি করতে পেরেছিলেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়? কাদম্বরীদেবীর মৃত্যুর পর এত বছর কেটে গেছে, তারপরও বাঙালির স্মৃতিসত্তা থেকে মুছে যাননি নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবী। বরং ক্রমশঃ উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন তিনি এবং তার লেখা সুইসাইড নোট। কাদম্বরীদেবীকে নিয়ে রবীন্দ্র প্রেমীদের লেখা বিভিন্ন আর্টিকেলে তারই প্রমাণ বহন করে। অবশ্য রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের ‘কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট’ এ রবীন্দ্রনাথ-কাদম্বরীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে আমার দৃষ্টিতে যথেচ্ছ ছেলেখেলা করা হয়েছে। তবে হ্যাঁ, তাদের দুজনকে নিয়ে যেমন গুজব- গুঞ্জন রয়েছে, ফিসফিসানিও কম নেই। দিন যতই যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যেমন আমাদের আগ্রহ বাড়ছে। তেমনি আগ্রহ বাড়ছে রবীন্দ্রনাথ-কাদম্বরীর সম্পর্ক নিয়ে। প্রিয় পাঠক, একটি প্রশ্নের রহস্যোন্মোচন কিন্তু এখনো হয় নি। রবীন্দ্রনাথের মতো দেবতুল্য মানুষও প্রেম করতো! তাও কী-না আবার বৌদির সঙ্গে! আরেকটি প্রশ্ন রবীন্দ্র প্রেমীদের মনে আজও ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন কাদম্বরীদেবী আত্মহত্যা করেছিলেন? এর জন্য আসলেই কে দায়ী ছিল? রবীন্দ্রনাথ? জ্যোতিরিন্দ্রনাথ? নাকি মেজবউঠান জ্ঞানদানন্দিনী? এরকম অনেকগুলো প্রশ্নের ডুবুজলে হাবুডুবু খেলেও যারা 'কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট' পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই উদ্ধার করতে পেরেছেন কাদম্বরীদেবীর আত্মহননের প্রকৃত কারণ। সালেহ তিয়াসের লেখা 'সপ্তশ' বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর আরিফ সাহেবের মতো আসুন একবার লেগে যাই কাদম্বরীদেবীর আত্মহননের রহস্য উদঘাটনে।
Was this review helpful to you?
or
বই: কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড-নোট লেখক: রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশনী: নবযুগ প্রকাশনী প্রকাশ কাল: ২য় মুদ্রণ, বইমেলা ২০১৪ পৃষ্ঠা: ৮০ প্রচ্ছদ: সুদীপ্ত দত্ত মুদ্রিত মূল্য: ১৮০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: ১৮৮৪-র ১৯ এপ্রিল আত্মহত্যার চেষ্টায় আফিম খেলেন কাদম্বরীদেবী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বউঠান। কিন্তু বাবামশাই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদেশে আত্মহত্যার সব প্রমান লোপাট করা হয়। মনে করা হয় সেখান থেকে পুড়ে যাওয়া এক চিঠি উদ্ধার করা হয়, মৃত্যুর ১২৭ বছর পরে সেই চিঠির আদলে কল্পনায় লেখা এ সুইসাইড নোট, ঠিক সুইসাইড নোট নয় দীর্ঘ এক চিঠি। যে চিঠিতে উঠে এসেছে কাদম্বরীদেবীর খেলার সাথি রবির সাথে কাটানো শৈশব, কৌশেরর নানা খুনশুটি, যৌবনের আবেগ, সাহিত্য সাধনায় রবির প্রেরণাদায়ক নতুন বৌঠানের ভালোবাসা, গানের সুর। বিহারীলালের সাথে মিষ্টি প্রেমের আভাস। আর অন্দরমহলের অবজ্ঞা, কটুক্তির বেদনারস। কেনই বা কাদম্বরীদেবী আত্মহত্যা করেন, কী ছিল তার কারন, স্বামীর উদাসীনতা, অন্দরমহলের অবজ্ঞা নাকি রবীঠাকুরের বিয়ের পর নতুনবউঠানকে সময় না দেয়ায় প্রতিহিংসা। নিজস্ব মতামত : কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড আর পরকীয়া নিয়ে নানা রকম মত থাকলেও রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়ের সুইসাইড নোটকে একেবারে মিথ্যা কল্পনার আশ্রয় বলা যায় না। যদিও তার মৃত্যুর ১২৭ বছর পর কোথা থেকে এমন নোট সংগ্রহ হয়েছে কতটুকু সত্যতা আছে এসব প্রশ্ন থেকেই যায়। তবু নিছক একজন মেয়ের আত্মজীবনী মনে করে পড়লেও পাঠক হৃদয়কে নাড়া দেবার মত এক কালজয়ী উপন্যাস বলা চলে কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট। কতটা কষ্ট বুকের ভেতর পুষে রাখলে একজন সকল মায়া ত্যাগ করে পরপারে যাত্রা করে তার একটা সুক্ষ্মচিত্র যেন লেখক বর্ণনা করেছেন। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত জীবনের চিত্রও অনেকটাই উঠে আসে এই গল্পে। রবি ঠাকুরের সাহিত্য সাধনার অনুপ্রেরণা তথা প্রথম পাঠকও ছিল কাদম্বরীদেবী যে কিনা সেই শিশু বেলা থেকেই রবির সার্বক্ষণিক সঙ্গী। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে সাংসারিক ব্যতস্তা বাড়ে তৈরি হয় দূরত্ব আর এ দূরত্ব বা অবহেলাই কাল হয়ে ডেকে আনে বুঝি মৃত্যুর মতো ভয়ংকর পরিনতি। এক বসায় পড়ে ফেলার মত সুখপাঠ্য একটা বই। এছাড়া বইয়ের কাহিনী নির্ভর সিনেমাও তৈরি হয়েছে বইটা পড়ার পর সিনেমা দেখেও বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইঃ কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট লেখকঃ রন্ঞ্জন বন্দোপাধ্যায় ধরনঃ নারী প্রকাশনীঃনবযুগ মুল্যঃ১৮০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্নহত্যা করেছিলেন রবী ঠাকুরের নতুন বউঠান যার নাম ছিলো কাদম্বরী দেবী। তারপর শোনা যায় আত্নহত্যার কারণ জানিয়ে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেই চিঠি বা নোট এবং আত্নহত্যার অন্য সব প্রমান লুপ্ত হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনিবার্য অনুজ্ঞায়। কাদম্বরী জীবনের শেষ দিনটির কোন হদিস মেলেনি।শেষ দুদিনও লুপ্ত ছিল অনেকদিন। তাহলে কেন এই সিদ্ধান্ত? সেটা সম্পর্কে আদৌ কি কিছু জানা যায়? রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ছিলো ঠাকুরপো কাদম্বরী দেবীর। কাদম্বরী দেবীর যখন বিয়ে হয়েছিলো তখন সে এই বাড়িতে একা হয়ে যায়। তার পরিবার অনেক নীচু জাতের হওয়ার কারনে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে কটু চোখে দেখতো। এবং তিনি হীনমন্যতায় ভোগে। তারপর যখন একা হয়ে যায় তখন রবীঠাকুরের সাথে তার সম্পর্ক অনেক ভালো হয়ে যায়। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। প্রথম দিকে বন্ধুত্ব পুর্ন সম্পর্ক থাকলেও দিন যাওয়ার সাথে সাথে এই সম্পর্ক প্রনয়ে পরিবর্তন হয়ে যায়। এবং দুজন দুজনের প্রতি অসম্ভব দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বলতার কারন কি শুধুই ঠাকুর পরিবারের হীনমন্যতা নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারন ছিলো?? আর কাদম্বরী দেবীর স্বামীর সাথেই তার কেমন সম্পর্ক ছিলো?? আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন তার সাথে সম্পর্কে জড়িত ছিলো তাহলে কেন এরকম একটি পথ বেছে নিলেন তিনি?? তাহলে কি রবী ঠাকুরের ও কোন দোষ উপস্থিত ছিলো?? তার এতো বড় একটা ঘটনার কথা কে বুঝতে পেরেছিল ঠাকুর পরিবারে?? আর তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিলো এই সম্পর্ক যখন জানাজানি হয়ে যায়?? কেন আত্মহত্যা করলেন কাদম্বরী দেবী?? আর সেটাও বিয়ের ৪ মাস পরেই কেন?? কে বা কারা বন্ধ করে দিলো তার বেঁচে থাকার পথ?? ঠাকুরবাড়িতে বউ হয়ে আসার পর কেমন কাটছিলো তার নতুন সংসার?? ঠাকুরবাড়ির মেয়ে মহল কি তাকে গ্রহন করেনি?? তাহলে কাদের প্ররোচনার শিকার হলেন তিনি?? এই আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর কোন উপায় ছিলো কি?? নাকি এই সম্পর্কই ছিলো অসহায়ত্বের বড় কারন?? সকল প্রশ্নের উত্তর আছে এই বইটিতে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বিভিন্ন গ্রুপে অনেক রিভিউ দেখে অবশেষে বইটি পড়ে ফেললাম। বইটির প্রতিটা পৃষ্ঠা যেন একটি অবহেলিত নারীর করুন কান্না আর হাহাকারের সমষ্টি। বইটি কোন নারী পাঠক পড়লে অবশ্যই তার জায়গা গুলো বিবেচনা করলো অনেক খারাপ লাগবে কিন্তু যতো কষ্টই হোক না কেন তারপর ও কেন পরক্রিয়াকেই বেছে নিলেন?? কিন্তু আসলে সমাজে যে সম্পর্কের কোন পরিনতি দিতে পারেনা হয়তো সে মানুষ গুলো শেষ পর্যন্ত এরকম পথ বেছে নিয়ে থাকে। এক কথায় বইটি আমার ভালো লেগেছে কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় এই বই সম্পর্কে অনেক মতভেদ দেখেছি, সেখান থেকে জানতে পারি লেখক নাকি মনগড়া কথা লিখেছেন। এই কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বলবো লেখক ঠিক করেন নি বিশ্বকবিকে নিয়ে এরকম এক বানোয়াট গল্প ফেঁদে, অন্যদিকে একটি নারীকেও সাথে সাথে অতিমাত্রায় অপমান হয়ে গেছে অতিরঞ্জিত কিছু লেখার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
নীলক্ষেতের মোস্তফা মামার পরামর্শে বইটা কিনেছিলাম, উনি বলেছিলেন, বইটা নাকি বাজারে খুব চলতেছে। কয়েক মাস আগে কাদম্বরী মুভিটা দেখেছিলাম, তার আগে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর 'প্রথম আলো' পড়েছিলাম। বইটাতে আর মুভিটাতে নতুন বউঠানের জীবনের অনেকগুলো কাহিনী উঠে আসে। রবীন্দ্রনাথের সাথে তার সখ্যতা, ঠাকুর বাড়িতে তার মূল্যায়ন , রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে তার প্রভাব, সবকিছুই উঠে আসে। এই বইটাতে লেখক মূলত কাদম্বরীর লেখা সর্বশেষ চিঠিটা, যা উনি রবি ঠাকুরের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, তারই প্রতিচ্ছবি উঠে আসে। প্রায় ১২৭ বছর পরে ইতিহাসের গহ্বর থেকে কিছু লুপ্ত কাহিনী পড়তে মন্দ লাগে নি। তবে মূল চরিত্রের কণ্ঠে, পুরো বই জুরে ঝড়তেছিল বেদনাদায়ক অভিব্যক্তি, যা পাঠক হৃদয়কেও সিক্ত করে...